Show Posts

This section allows you to view all posts made by this member. Note that you can only see posts made in areas you currently have access to.


Messages - Md. Azizul Hakim

Pages: 1 2 [3] 4
31
Very Informative post.  :D

32
Very Informative post.

33
Very Informative post.

34
সাতছড়ি জাতীয় উদ্যান , হবিগঞ্জ।

১ দিনের ট্যুর এর জন্য খুব সুন্দর স্পট। সকালে গিয়ে রাতে খুব সহজে ফিরে আসা যায়।
সাতছড়ি এর উদ্দেশ্যে আমাদের যাত্রা র সময় ছিল সকাল ৬.৩৫ মিনিট। কমলাপুর থেকে পারাবত এক্সপ্রেস ঠিক সময়ে ছেড়ে যায়। আমরা ৪ জন ঠিক সময়ে কমলাপুর এসে পৌঁছাই (সকাল ৬.১৫) এর মধ্যে। হাল্কা কিছু খাবার , পানি কিনে উঠে পড়ি ট্রেন এ। আমাদের টিকেট অ্যাডভান্স কাঁটা ছিল। আমাদের মধ্যে সঞ্জীব ভাই এই কাজ টি খুব সুন্দর ভাবে করেছেন। যেদিন টিকেট ছাড়ছে ঠিক ঐদিন ই টিকেট কাটেন। তাই সিট পাওয়া নিয়ে সমস্যা নয় নাই।

ট্রেন ঠিক মতোই চলছিল। একটার পর একটা স্টেশন ছেড়ে যাচ্ছিল এবং আমরা ৯.৪৫ এ পৌঁছাই নোয়াপাড়া স্টেশন এ নামি। সকালের হালকা নাশতা করে আমরা স্টেশন থেকে সাতছড়ি জাতীয় উদ্যান এর জন্য অটো তে উঠি। সিএনজি অথবা অটো যেকোনো টি সিলেক্ট করতে পারেন। আমরা অটো সিলেকশন করেছি কারণ অটো সিএনজি এর তুলনায় আস্তে যাবে এবং ২ পাশের সুন্দর দৃশ্য উপভোগ করতে পারবো।

প্রায় ১ ঘন্টার মধ্যে আমরা সাতছড়িতে পৌঁছাই। ৪ জন টিকেট কেটে ঢুকে পরি উদ্যান এ। প্রথম ওয়াচ টাওয়ার এ উঠি। ওয়াচ টাওয়ার থেকে মনে হবে চারিদিকে সবুজের বিছানা। চারিদিকে শুধু সবুজ আর সবুজ এর দৃশ্য। যা আপনাকে মোহিত করবে। ওয়াচ টাওয়ার থেকে নেমে আমরা ১ ঘন্টার ট্রেইল এ সিলেক্ট করি। হাটতে থাকি জঙ্গল এর ভিতর দিয়ে। ২/১ জন কে দেখেছি জঙ্গল এর ভিতরে যেতে। কিন্তু কিছু দূর যাওয়ার পরে তারা ব্যাক করেন। কিন্তু আমাদের যাত্রা চলতে থাকে। একটা কথা বলে রাখি আমরা কিন্তু কোনো গাইড নেই নাই। আমাদের মনে হয়েছে দরকার নাই। আমরা যে পথে গিয়েছি ঠিক ওই পথে ই ফিরেছি। এই ব্যাপার টি মনে রাখতে হবে। ডান / বাম এর দিকে না যাওয়া ই ভালো। আমরা হাটতে হাটতে ১ ঘন্টার ট্রেইলে এর শেষ পর্যন্ত চলে আসি। কিন্তু তারপরেও আমরা আরো ২০ মিনিট এর মতো হাটি। ইচ্ছে হচ্ছিলো না ফিরে আসতে। ইচ্ছে হচ্ছিলো আরো গভীরে যাই। জঙ্গল এর ভিতরে যাওয়ার আগে পর্যাপ্ত পরিমান পানি , হালকা কিছু শুকনো খাবার সাথে রাখবেন। এই এলাকায় মোবাইল এর নেটওয়ার্ক থাকবেনা তাই আবেগে পরে কেউ ডিসিশন নিবেননা। আর দোল বেঁধে থাকবেন। কারণ দলছুট হয়ে গেলে জঙ্গল এর মধ্যে খুঁজে পাওয়া কঠিন। আমরা প্রায় ২ ঘন্টার মতো জঙ্গল এর মধ্যে ট্রেইল করে ব্যাক করি। এর পরে ট্রি একটিভিটি ছিল। গাছের উপরে মই দিয়ে উঠে কয়েক ধাপে এক গাছ থেকে আরেক গাছে যাওয়ার একটি advanture ধরণের একটিভিটি ছিল। এইখানে ১ ঘন্টার মতো আমাদের সময় প্রয়োজন হয়। তারপরে আমরা দুপুরে খাবার খেয়ে চলে যাই চা বাগানে। কিছু ছবি তুলে আর সময় কাটিয়ে আবার অটো তে উঠি চলে আসি হাইওয়ে তে। রিস্ক নিয়ে এনা তে উঠে ঢাকার উদ্দেশ্যে ব্যাক করি।

টোটাল খরচ এর হিসাব :

ঢাকা টু নোয়াপাড়া ( আমরা আরো ২ টি স্টেশন পরের টিকেট করি যেহেতু নোয়াপাড়া টিকেট পাচ্ছিলাম না ) - ২৫০ টাকা প্রতি জন।
নোয়াপাড়া টু সাতছড়ি উদ্যান : ১৮০ টাকা অটো ভাড়া।
সাতছড়ির টিকেট : ১০০ টাকা (৪*২৫)
ট্রি একটিভিটি : ১০০ টাকা প্রতি জন।
সাতছড়ি টু হাইওয়ে : অটো ভাড়া ২০০ টাকা।
ব্যাক টু ঢাকা : ৩০০ টাকা প্রতি জন ( এনা বাস )

অন্যান্য খরচ সহ সর্বসাকুল্যে প্রতি জন খরচ : ৯৯৫ টাকা

35
Faculty Sections / মায়াদ্বীপ
« on: March 27, 2019, 04:00:09 PM »
সময় যখন অল্প তখন ঘুরে আসতে পারেন ঢাকার অদূরেই নদীর বুকে জন্ম দেয়া সবুজাভ ছোট বড় দ্বীপ থেকেই । যেখানে মিলবে প্রকৃতির কিছু সবুজাভ ছোঁয়া ...

যাতায়াত :
গুলিস্তান থেকে বোরাকে করে মুগরাপাড়া (৬০ টাকা)
মুগরাপাড়া থেকে সিএনজি করে বৈদ্যের বাজার(১৫ টাকা)
সেখান থেকে নৌকায় নলারচর,মায়াদ্বীপ আর আশে-পাশের ছোট বড় চর। ( ৭-৮০০ টাকা ৩/৪ ঘন্টার জন্য)


36
Departments / আপেলের অরণ্য হারশিল
« on: March 27, 2019, 03:58:32 PM »
আপেলের অরণ্য হারশিল

চোখ দুটো বন্ধ করে একবার ভাবুন তো, কোন এক পাহাড়ের কোলে, এক অচেনা অরণ্যের মাঝে হেলান দিয়ে বসে আছেন কোন এক গাছের সাথে পিঠ ঠেকিয়ে। ঠিক কোন এক পাহাড়ের মাঝখানে। সবুজ পাহাড়ের নরম কোমল ঘাস মাড়িয়ে উপরের দিকে উঠে গেলেই পাথুরে পাহাড় আর তার পরেই বরফে জড়ানো পর্বত চুড়ার সারি। অথবা নিচের দিকে নেমে গেলেন বা তাকালেন দেখলেন পাহাড়ি লাল সবুজ বনভূমি নেমে গেছে অজস্র জলধারার উপরে হাজারো পাথরের উপরে। যে খরস্রোতা নদী পার হতে পারলেই আবারো সবুজ পাহাড়ের সিঁড়ি বেয়ে বরফের চূড়া থেকে উঠে যেতে পারবেন মেঘেদের সাথে, ভেসে বেড়াতে পারবেন ঝকঝকে নীল আকাশে।

এরপর চোখ মেলে তাকালেন ধীরে ধীরে। অবাক বিস্ময়ে দেখলেন যেখানে বসে ছিলেন তার চারপাশে ডানে-বামে যতদূর চোখ যায় শুধু রঙ বেরঙের আপেলের ছড়াছড়ি। গাছের তলায় ঝরে পরে থাকা অগনিত আপেলের ঝাঁক, গাছে গাছে ঝুলে থাকা লাল, খয়েরি, গোলাপি, আর সবুজ রঙের আপেল। যেন এক আপেলের অরণ্যে বসে আছেন আপনি। যার চারপাশটা কুয়াসায় ঘিরে থাকা পাহাড়, বরফে মোড়ানো পর্বত চূড়া, আর অনন্তকাল ধরে বয়ে চলা এক স্রোতধারা। গঙ্গার উম্মত্ত বয়ে চলা। আবার কোথাও এই একই গঙ্গার একদম ভিন্ন রূপে বয়ে চলা।

পাহাড় থেকে সমতলে নেমে গেছে নদী। একদম পথের সাথে মিশে গেছে কোথাও কোথাও। এতোটাই সমতল আর এতোটাই মসৃণ সেই নদীর বয়ে চলা যে অনেক যায়গায় চরের মত বিস্তীর্ণ বালুকা বেলা পর্যন্ত চোখে পরেছে। যে নুড়ি, পাথর আর বালুচর ধরে চলে যাওয়া যায় একদম নদীর বুকের মাঝে নিমিষেই। এমনকি কোথাও কোথাও তো নদী পেরিয়ে পাহাড়ি ঝর্নাধারায় পর্যন্ত চলে যাওয়া যায়।

যে নদীটি শুধু আঁকাবাঁকা সর্পিল পথ ছুটে গেছে, পাহাড় থেকে পাহাড় পেরিয়ে, পাহাড়ের পায়ের পাতা জড়িয়ে অবিরাম ছুটে চলেছে প্রমত্তা, চির যৌবনা, অবিরত কুলকুল করে তার সরে বয়ে যাওয়া উম্মত্ত কোন বরফ গলা নদী, শত শত পাহাড়ের বাঁক আর বাঁধা পেরিয়ে যে ছুটে চলেছে, গ্রাম, শহর হয়ে দেশ থেকে দেশান্তরে।

প্রমত্তা পাহাড়ি নদীর সুর ছোঁয়া ওপারে আবারো পাহাড়ের হাতছানি। ঘন অরণ্যে আচ্ছাদিত পাহাড়ের সারি। স্তরে স্তরে উঠে গেছে ওপরে। এতটাই ওপরে যেন আকাশ ছুতে চায়, কোন কোন পাহাড়ের চূড়া! অরণ্যে ঘেরা সেই পাহাড়ের মাঝে মাঝে আলতো মেঘেদের ওড়াউড়ি আর লুকোচুরি। সবুজ অরণ্যে ঘেরা পাহাড়ের সিঁড়ি শেষ হতেই, রুক্ষ, গাছ বা ঘাসহীন পাথুরে পাহাড়ের ভিন্ন রকম আকর্ষণ। আর সেই পাথুরে পাহাড়ের সিঁড়ি পেরিয়েই পৌঁছে যাওয়া যাবে বরফে ঢাকা, তুষারে জড়ানো শুভ্র কোন পাহাড় চূড়ায়। ঠিক যেন আকাশের সাথে মিশে গেছে বরফ জড়ানো তুষার শুভ্র পাহাড় চূড়া!

আমিও এমন করেই আচ্ছন্ন ছিলাম, ঠিক কতক্ষণ জানিনা। হঠাৎ একটা পাহাড়ের বাঁকে এসে বেশ জোরে গাড়ি ব্রেক করতেই চেতনা ফিরে পেলাম। তবে হ্যাঁ কাঁচের জানালা দিয়ে পাহাড়ের দিকে তাকিয়ে দেখি হ্যাঁ আমি সত্যি, সত্যি-ই আপেলের অরণ্যের মধ্যেই আছি! আমাদের গাড়ি ছুটে চলেছে পাহাড়ে পাহাড়ে আচ্ছাদিত বাদামি রঙের গাছে ঝুলে থাকা রঙ বেরঙের আপেলের অরণ্যের মাঝ দিয়ে।

চারপাশেই পাহাড়ের বাঁকে বাঁকে আর পুরো পাহাড় জড়িয়ে আছে আপেলের বাগান। লাল, সবুজ, গোলাপি আর খয়েরি রঙের কতশত আপেল। আর গাছের তলায়, সবুজ ঘাসে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে অজস্র আপেল। সবকিছু মিলে এক অপার্থিব সকালের অপূর্ব স্বর্গীয় এক সকালের সবটুকু সুখ যেন ঘিরে ধরেছিল আমাদের চলার পথ, বাস আর তার চারপাশ।

কি ছিলোনা সেখানে? পাহাড়, পাহাড়ের নানা রকম রঙ রূপ আর ধরন। পাহাড়ে পাহাড়ে মেঘ, মেঘে মেঘে কতশত রঙের আয়োজন, পাহাড়ি নদী, কুয়াসা, সকালের ধোঁয়া ধোঁয়া জলের স্রোত, আঁকাবাঁকা সর্পিল পথ, হাজার পাহাড়ের হাতছানি, আপেলের স্বর্গীয় সুখ, পাহাড়ের গায়ে গায়ে সবুজে গড়িয়ে থাকা শত শত লাল গোলাপি আপেলের বিস্ময়।

ইচ্ছে হচ্ছিল বাস থেকে ওখানেই নেমে যাই। পুরো একটি দিন মনের সাধ মিটিয়ে ওই পাহাড়ে বসে থাকি, সবুজে গড়াই, মেঘেতে ভাসি, কুয়াসায় জড়িয়ে থাকি, ইচ্ছে মত আপেল কুড়াই, কিছু খাই, কিছু দিয়ে খেলি, নদীর স্রোতের সাথে পাহাড়ের তলদেশে মিলিয়ে যাই না হয় কোন এক বরফের চূড়ায় উঠে স্বর্গীয় সুখ উপভোগ করি। কিন্তু আগে থেকেই ঠিক করে রাখা কিছু যায়গা আর ভালো করে দেরাদুন শহর ঘুরে ঘুরে দেখবো বলে আর নামা হলনা। কিছুতা আক্ষেপ, কিছুটা কষ্ট আর একটুখানি মন খারাপ নিয়েই ফিরে আসতে বাধ্য হয়েছিলাম।

বাসে সেই আক্ষেপ নিয়ে যেতে যেতে শুনছিলাম হারশিলকে নাকি উত্তরখণ্ডের কাশ্মীর বলা হয়ে থাকে। এখানে শীতে খুব বরফ পড়ে নদী, পাহাড়, অরণ্য সবকিছু শুধু শুভ্রতায় ঘিরে থাকে। চারদিকে শুধু বরফে আচ্ছাদিত এক অন্যরকম হারশিলের দেখা মেলে তখন। যে কারনেই নাকি হারশিলকে উত্তরখণ্ডের কাশ্মীর বলা হয়ে থাকে।

আর তাই মনে মনে ঠিক, ঠিক করে রেখেছি। একবার, একটা ভ্রমণ বা এরপর ওইদিকে গেলে একদিন, পুরো একটি দিন শুধু হারশিলে থাকবো, পাহাড়ে গড়াবো, নদীতে ডুববো, আপেল কুড়াবো, কুয়াসার জড়াবো, যেখানে খুশি আর যা খুশি তাই করবো। এই আপেলের অরণ্য হারশিলে। হয় কোন আপেলের সময়ে নয়তো কোন বরফে জড়ানো হিম শীতল কোন এক সময়ে। হারশিলকে এতো এতো আর এতোই ভালো লেগেছে।

এই আপেলের অরণ্য হারশিল যাবার উপায়ঃ ঢাকা থেকে বাস বা ট্রেনে কলকাতা। কলকাতা থেকে প্লেন বা ট্রেনে দেরাদুন। দেরাদুন থেকে মুশৌরি হয়ে উত্তরকাশী হয়ে হারশিল। বেশ অল্প খরচেই ঘুরে আসা যাবে হারশিলে।
তবে, এমন আপেলের অরণ্য পেতে হলে যেতে হবে অগাস্ট বা সেপ্টেম্বর মাসে।

37
সিকিম ভ্রমণ ও কিছু কথা........


#ঢাকা_টু_শিলিগুরি ঃ
আমাদের বর্ডার ছিল চেংড়াবান্দা। তবে আপনারা ফুলবাড়ি পোর্ট এন্ট্রি করে আসার চেস্টা করবেন। এতে খরচ ও সময় দুইটায় কমবে। ফুলবাড়ি থেকে শিলিগুলি অটোতে ৩০ রুপী, সময় আধাঘন্টার মত লাগবে। আর চেঙড়াবান্দা থেকে আলাদাভাবে গাড়ি রিজার্ভ করে যেতে হবে। ৮ জনের গাড়ি ২৫০০ থেকে ৩০০০ রুপী লাগবে, সময়ও প্রায় ৩/৪ ঘন্টা।
আমরা ঢাকা থেকে রাতের SR পরিবহনে নন এসিতে ৬৫০ টাকায় বুড়িমারী পৌছায়। তারপর পায়ে হেটে বর্ডারে বাংলাদেশে স্পীডমানি ২০০টাকা আর ভারতীয় বর্ডারে ১০০ রুপী দিয়ে পার হই।
#শিলিগুরি_টু_গ্যাংটক_এবঙ_পারমিনশন ঃ
শিলিগুলি জংশনের পাশেই SNT ( SIKIM NATIONALIESED TRANSPORT) থেকে পারমিশনের ফর্ম ফিলাপ করে ফেলুন। তারপর জনপ্রতি 250 রুপীতে অথবা SNT এর পাশেই গাড়ির নাম্বার প্লেটে SK(মানে সিকিমের গাড়ি) লেখা দেখে ৮ জনের গাড়ি ২৪০০-৩০০০ রুপীর মধ্যে ঠিক করে ফেলুন। যাত্রাপথে Ranpo তে নেমে লাইনে দাড়িয়ে এন্ট্রি সিল নিয়ে নিন।
SNT তে কোন কাজ না করে শুধু Rangpo তে গেলেও হবে, তবে সময় একটু বেশী লাগবে।
Rangpo থেকে পাওয়া permit form ফটোকফি করে ফেলুন।
★★★ শিলিগুরি থেকে কোন প্যাকেজ নিবেন না। পথে বসায় দিবে তারা। সাবধান। শিলিগুরি খুবই বিপদজনক এলাকা।
#হোটেল ঃ
সিকিমে প্রথমেই যে ব্যাপার আসে, সেটা হল হোটেল। সিকিমের রাজধানী গ্যাংটকের সেন্ট্রাল পয়েন্ট হলো MG Marg । এখানে হোটেলের প্রাইস কিছুটা বেশী। তাই আমরা MG Marg থেকে ট্যাক্সিতে ১৫ টাকা দূরত্বে Deorali Bazar কাছে হোটেল নেই। 2 ডাবল বেড পার ডে ১০০০ রুপী।
#ইন্ডিয়ান_সিমকার্ড :
ইন্ডিয়ান সিমকার্ড নিয়ে আমাদের অনেক ভোগান্তি পোহাতে হয়ছে। আমাদের শিলিগুরি, চেংড়াবান্দা, সিকিমের কোথায় ফরেনার হওয়ার জন্য সিম দেয় নাই। আপনার চেস্টা করবেন টীমের অন্তত একজনের কাছে একটা সিম যেন থাকে যত টাকাই লাগুক।
কোনভাবে সিম ম্যানেজ করতে না পারলে সরাসরি ওদের কাস্টমার কেয়ারে চলে যাবেন। ওখান থেকে সিম পাবেন শিউর।
#ট্যুর_প্ন্যান ঃ
১ম দিন :
আমরা গ্যাংটক শহরে ঘুরছিলাম । ৪ জনের ট্যাক্সিতে ১০০০ রুপী তে।
আমরা নিচের জায়গাগুলা ঘুরছিলাম
১. রোপওয়ে
২. হনুমান টক
৩.গনেশ টক
৪. Institute of Tibetology বন্ধ থাকে রবিবার
৫. Flower Exibition center
৬.Neheru Botanical Garden
৭. Tashi view point
৮.Shanti view point
আরো যেতে পারেন, যদিও বেশ খানিকটা দূরে, তাই আমাদের সময় হয় নাই।
রুমটেক মনস্ট্রি
রাংকা মনস্ট্রি
এছাড়াও Sikim medical college আর Sikim Manipal University টাও ঘুরে আসতে পারেন। এগুলা শহরের কাছেই।
১ম দিনেই এন্জেসীর সাথে কথা বলে সাংঙ্গু আর ইয়াঙথাম ভ্যালীর প্যাকেজ ঠিক করে ফেলুন।
২টা প্যাকেজের জনপ্রতি ৬ কপি ছবি, ৬ কপি পাসপোর্টের ফটোকপি, ৬কপি ভিসার ফটোকপি লাগবে,৪ কপি Rangpo permit form । অন্যান্য permit এর কাজ এরাই করবে।
২য় দিন :
আমরা সাঙ্গু লেকে জন্য ৪০০০ টাকায় প্যাকেজ করেছিলাম। আর লোক যদি ৮ জন হয় তাহলে মাহিন্দ্রা BOLERO গাড়ি দিতে বলবেন। অন্য গাড়িতে কিছুটা কস্ট হয়। যাওয়ার পথে ১০০ রুপী দিয়ে বুট ভাড়া নিয়ে নিবেন। আর সাঙ্গুতে অবশ্যই রোপওয়ে উঠবেন। ৩২৫ টাকা পার পারসন। ব্যাক করার সময় দুপুর ২/৪ মধ্যে গ্যাংটকে পৌছে যাবেন। তারপর একটা সিনেমা দেখে ফেলতে পারেন। সিনেমা হল ৫টা পর্যন্ত খোলা থাকে। আর সিনেমা হল MG MARG এর পাশেই।
৩য় ও ৪র্থ দিন :
লাচুঙ ও ইয়ানথাম প্যাকেজ আমরা ১৫০০০ টাকায় বুক করছিলাম। এর মধ্যে ফুড,ট্রান্সপোটেশন, হোটেল ইনক্লুডেড।
প্যাকেজ নেয়ার সময় অব্যশই হোটেলের ব্যাপারে ভালো করে জেনে নিবেন। কাঠের হোটেল পরিহার করবেন। আর এজেন্সীর কাজ থেকে ২টা লান্চ,১টা ডিনার, ১টাব্রেকফাস্ট বুঝে নিবেন। আর কিছু শুকনা খাবার নিয়ে যাবেন সাথে করে।
এদিন আমরা সকাল ১০টাই বের হয়। রাস্তায় সেভেন স্টেপ ফলস,নাগা ফলস, চোঙদাম ড্যাম দেখে রাতে লাচুঙ থাকি, পরদিন সকালে ইয়ানথাম ভ্যালী চলে যাই। যদি সুযোগ থাকে ড্রাইভারকে ৫০০ টাকা এক্সট্রা দিয়ে জিরো পয়েন্ট চলে যাবেন। আর ড্রাইভারের কথায় ভুলে কাটাও যাওয়ার দরকার নাই। শুধু শুধু টাকা নস্ট হবে। তারপর দুপুর ১২টায় আমরা গাড়িতে করে গ্যাংটক ব্যাক করি। পৌছাতে ৪টা বাজে।
ওদিনই আমরা শিলিগুরি ব্যাক করি। গ্যাংটক থেকে ব্যাক করার সময় অবশ্যই Rangpo থেকে সীল নিয়ে আসবেন। পরদিন চেংড়াবান্দা হয়ে বাংলাদেশ।
#খাবার ঃ
গ্যাংটক শহরে প্রচুর বাংলা খাবারের দোকান পাবেন চিন্তার কিছু নাই। আর সকালের খাবার MG MARG করতে পারেন পুরী সবজি দিয়ে ৪০ টাকায়।
#খরচ ঃ
আমরা ৮ জন ছিলাম। বাজে খরচ বাদ দিয়ে আমাদের পার পারসন ১২হাজার টাকার মত লেগেছিল। ৮ জনের কম হলে খরচ বাড়বে। বেশী হলেও খরচ বাড়বে।
তবে এপ্রিল মাসে নাকি ভারতীয়রা সিকিম বেশী যায়, কারণ স্কুলে বন্ধ থাকে । তাই খরচ কিছুটা বাড়বে।

# কিছু_কথা ঃ
আপনার হাতে সময় থাকলে সাউথ সিকিম যেতে পারেন। সেটাও ছবির মত সুন্দর।
বাংলাদেশী জন্য গুরুডঙমার লেক, নাথুলা পাস, বাবা মন্দির যাওয়ার permit নাই।
যেখানে সেখানে ময়লা ফেলবেন না। ডাস্টবিন ব্যবহার করুন। রাতের বেলা উচ্চস্বরে কথা বলে বাংলাদেশীদের সম্মান নস্ট করবেন না। দেখে শুনে রাস্তা পার হওয়ার চেস্টা করবেন। ওভারব্রীজ থাকলে অবশ্যই সেটা ব্যবহার করবেন। মার্চ এপ্রিলে গেলে ছাতা নিয়ে যাবেন

38
হাজারিখিল অভয়ারণ্যতে ক্যাম্পিং এবং হাজারিখিল ট্রেইল অভিযান


'হাজারিখিল অভয়ারণ্য' জায়গাটা সম্পর্কে বাংলাদেশের মানুষ খুব একটা পরিচিত না। বাংলাদেশের কথা বাদ দিলাম চট্টগ্রাম এমনকি 'হাজারিখিল অভয়ারণ্য' যেখানে অবস্থিত ফটিকছড়ি, সেখানকার মানুষরাও এখনো ঠিক মতন চিনে না এই 'হাজারিখিল অভয়ারণ্য'। কিন্তু সেখানে গেলে আপনি বাংলাদেশের অন্যান্য টুরিস্ট স্পট গুলার থেকে অন্যরকম আলাদা একটা থ্রিল পাবেন! একদম শান্ত নিরিবিলি একটা জায়গা!যেখানে বাংলাদেশের অন্যান্য টুরিস্ট স্পটগুলাতে গেলে দেখা যায় মানুষ মানুষে একাকার, ময়লা আবর্জনা চারদিকে, জনবহুল এলাকা কিন্তু ‘হাজারিখিল অভয়ারণ্য’ একদম সম্পূর্ণ আলাদা।মানুষজনের আনাগোনা নাই বললেই চলে। শান্ত, নিরিবিলি, পরিষ্কার পরিচ্ছন একটা পরিবেশের মধ্যে বনে ক্যাম্পিং করতে পারবেন! 'হাজারিখিল অভয়ারণ্য' USAID এবং বন বিভাগ দ্বারা পরিচালিত একটা বন! আপনার ক্যাম্পিং'য়ের জন্যে যা যা লাগে সবকিছু ওরাই ব্যবস্থা করবে!
তাছাড়া আপনি যদি ক্যাম্পিং করতে না চান শুধু ঘুরতে চান সেক্ষেত্রে সেখানে ঘুরার জন্যে বন জঙ্গলের এলাকা আছে, চা বাগান আছে! ট্রি অ্যাডভেঞ্চার আছে! আর সবথেকে বড় ব্যাপার যেইটা, সেখান থেকেই শুরু ‘হাজারিখিল ট্রেইল’! মোটামুটি ৭/৮কিলোমিটারের ভয়ংকর এই হাজারিখিল ট্রেইল! ট্রেইলটা শেষ হয় 'কালাপানি' ঝর্ণাতে। অসাধারণ এই হাজারিখিল ট্রেইলটা। প্রকৃতির মায়াময় রুপ দেখা যায় এখানে গেলে। যদিও এখনো বৃষ্টির সময় শুরু হয় নাই তারপরো কিছু কিছু জায়গা আছে যেখানে হাঁটু সমান, গলা সমান পানি পাড় হয়ে সামনে আগাইতে হয়। হাজারিখিল ট্রেইলে ঢুকলে আমি গ্যারান্টি দিয়ে বলতে পারি আপনি ঝিরিপথ, ক্যাসকেডর মধ্য দিয়ে ইমোশনাল হয়ে সামনে হাঁটতেই থাকবেন খালি। ঝিরিপথ, ক্যাসকেডের এক একটা মোড় পার হয়ে যতই সামনে আগাবেন ততই অবাক হবেন কারণ এতোটা অসাধারণ সুন্দর এই হাজারিখিল ট্রেইল'টা।

কিভাবে যাবো?
১।ঢাকা থেকে বাস/ট্রেনে চট্টগ্রাম। তারপর অক্সিজেন। এখান থেকে বাসে করে ফটিকছড়ি। ভাড়া(৩৫/৪০নিবে)। ফটিকছড়ি ফুলকলি রেস্টুরেন্টের সামনে থেকে হাজারিখিলের সিএনজি পাওয়া যায়।। (ভাড়া ৪০টাকা নিবে) বলবেন একদম 'হাজারিখিল অভয়ারণ্যের' গেটে নামায় দিতে। নাইলে বাজারে নামায় দিবে। এখান থেকে আরো ১০/১৫মিনিটের হাঁটা পথ হাজারিখিল ।

২। অক্সিজেন থেকে হাজারিখিলে পৌছাইতে ৩/৪ঘন্টার মতন লাগে।

৩।ফিরার সময় ঠিক একি পথ। হাজারিখিল অভয়ারণ্য>ফটিকছড়ি>চট্টগ্রাম।
তবে এবার একটু বলি। আমাদের প্ল্যানটা ছিল একটু এক্সট্রিম। আমরা হাজারিখিল অভয়ারণ্যতে রাতে ক্যাম্পিং করবো, তারপর সকালে হাজারিখিল ট্রেইলে ঢুকে, কালাপানি ঝর্না দেখে ব্যাক করে একটা ছোট পাহাড় ট্রেকিং করে বাড়ৈয়াঢালা হয়ে বড় দারোগার হাট দিয়ে বের হবো। অর্থাৎ প্রায় ৩০কিলোমিটারের বেশী হাঁটা পথ এবং পাহাড় ট্রেকিং। আমরা রওয়ানা দিছিলাম সকাল ৯টায় আর বড় দারোগার হাটে যখন পৌঁছাই তখন বাজে সন্ধ্যা ৭টা।
তবে আপনারা ইচ্ছা করলে আবার 'হাজারিখিল অভয়ারণ্য'তেও ফিরতে পারবেন।

৪। হাজারিখিল ট্রেইলে গাইড নিতেও পারেন নাও নিতে পারেন। যদি গাইড নিতে চান তাহলে মাহবুব মামা: ০১৬৩৬৭০৬৯৭৮
গাইড হাজারিখিল থেকে কালাপানি ঝর্না হয়ে আবার হাজারিখিল পৌঁছায় দিবে;৫০০টাকা নিবে।
আর যদি হাজারিখিল থেকে কালাপানি ঝর্না ঘুরে বাড়ৈয়াঢালা হয়ে বড় দারোগার হাট দিয়ে বের হতে চান তাহলে;৮০০/৯০০নিবে।

যদি আপনাদের শুধু হাজারিখিল ট্রেইল এবং ট্রি অ্যাডভেঞ্চারের প্ল্যান থাকে সেক্ষেত্রে একদম সকালে হাজারিখিলে যাবেন।নতুবা ট্রেইল শেষ করে চট্টগ্রামে ফিরতে ফিরতে অনেক রাত হয়ে যাবে।

কি কি মনে রাখবো?
১। যদি হাজারিখিল অভয়ারণ্যতে ক্যাম্পিং করতে চান সেক্ষেত্রে আশীষ ভাই (০১৮১৭২৭৩৭৪০) এর সাথে যোগাযোগ করতে হবে। উনি হাজারিখিলের দায়িত্বে আছেন।
২। আশীষ ভাইয়ের সাথে কথা বলেই সব ঠিক করবেন আপনারা কয়জন যাচ্ছেন, কি খাবেন, ক্যাম্পিংএর ব্যাপারে বিস্তারিত সব কিছু। এক তাবুতে দুইজন থাকতে পারবেন। আমাদের পার হেড খরচ হয়েছিল(তাবু+বারবিকিউ+ক্যাম্প ফায়ারের জন্যে খড়ি+হাজারিখিলের জন্যে একজন গাইড যিনি তাবু থেকে শুরু করে বারবিকিউ সব কিছুতে হেল্প করবেন এবং রাতে পাহারা দিবেন) ৪৫০এর মতন।
৩। আর যদি শুধু ট্রেইলের প্ল্যান থাকে তাহলে হাজারিখিল ফিরে খাওয়াদাওয়া'র জন্যে আশীষ ভাইয়ের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন অথবা বাজারে গিয়েও খেতে পারেন
৪। ট্রি অ্যাডভেঞ্চার ১০০ টাকা”
৫। এই ট্রেইলে জোঁক আছে অনেক। তাই লবণ, সরিষার তেল রাখতে পারেন
৬। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি লাগবে। তাই আগেই পানি কিনে নিয়ে যাবেন হাজারিখিল থেকে।
৭। অনেক জায়গা আছে যেখানে হাঁটু, গলা সমান পানি এবং অনেক বেশী পিচ্ছিল পথ।তাই একটু সতর্ক থাকে নিরাপদ ভাবে চলাচল করবেন।

আমরা ছিলাম ১৩জন। আমাদের ঢাকা থেকে বাসে যাওয়া আসা সব সহ পার হেড ২২০০র মতন খরচ হয়েছিল।

ত আর দেরি কেন, যারা বন জঙ্গলের মধ্যে রাতে থাকতে চান, বন্য জঙ্গলের শান্তশিষ্ট, নিরিবিলি পরিবেশ এবং ফকফকা জোছনা রাতে ক্যাম্পিং করতে চান, মায়াময় প্রকৃতির মধ্যে ঘন্টার পর ঘন্টা ধরে হাঁটতে চান তাদের জন্যে 'হাজারিখিল বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য' এক কথার পারফেক্ট একটা জায়গা!

39
অনেকে চিকিৎসার জন্য চেন্নাই সিটি বা ভেলরে আসতে চান Apollo hospital, CMC hospital & Sangkara Nethralaya তে ---- এই পোস্টে কিছু হেল্প পেতে পারেন।

Tamil Nadu রাজ্যের আয়তন ১ লক্ষ ৩০ হাজার ব:কি এবং লোক সংখ্যা ৭ কোটি ৫০ লাখের মতো আর জেলা ৩২ টি তার মধ্যে চেন্নাই সিটি হচ্ছে রাজধানী ( পুরাতন মাদ্রাজ )। এখানে শীত নেই, সারা বছর প্রায় এক ই রকম। আয়তনে প্রায় বাংলাদেশের সমান।

চেন্নাই সিটি" এই এলাকা চরম ভাবে ব্যস্ত থাকে কারণ পাশেই আছে Apollo মেইন হাসপাতাল এবং ১ কি.মি. দুরেই আছে চোখের নাম করা Sangkara Nethralaya হাসপাতাল।

চোখের চিকিৎসার জন্য Sangkara Nethralaya ই সব চেয়ে ভালো এশিয়া মহাদেশের মধ্যে। এখানে এক চোখের জন্য প্রায় ১২০ + ডা: আছে যারা খুবই অভিজ্ঞ এবং চোখের ডিপার্টমেন্ট ই আছে ২২ টি।

আর আশেপাশে গড়ে উঠেছে ১৫০ এর মত আবাসিক হোটেল। এখানে বাজার, খাবার হোটেল, আবাসিক হোটেল, মেডিসিন শপ ও ট্যুরস এজেন্ট আছে প্রচুর পরিমাণে। আর তাই প্রতি বছর ১ মিলিয়নের ও বেশি সংখ্যক রোগি আসে শুধু বাংলাদেশ ও কলকাতা থেকে এই স্থানে।

আর অন্যদেশ থেকেও প্রচুর আসে যেমন ওমান, কুয়েত, তুরস্ক, শ্রীলংকা, দুবাই ইত্যাদি।

চোখের হাসপাতাল আর আ্যপোলোর জন্যই মুলত চেন্নাই ( মাদ্রাজ ) সিটি চরম ভাবে বিখ্যাত এবং বিজি সিটি। এখানকার ৯০ % মানুষ ইংরেজিতে চরম ভাবে এক্সপার্ট। ইংরেজি ভাষা যেন তাদের মায়ের ভাষার মত আর নিজেদের তামিল ভাষাকে খুব ভালবাসে।

হিন্দিকে তেমন পছন্দ করে না। আপনি যদি তাদেরকে জিজ্ঞেস করেন কোন ভাষা সহজ অকপটে বলবে তামিল ভাষা সহজ নট হিন্দি। আমাকে একদিন এক অটোয়ালা ৩০ মিনিটের মত ঘুরিয়ে ছিল আর বিভিন্ন শব্দ শিখিয়েছিল হিন্দিতে কি বলে, সেটা তামিলে কি বলে আর ইংরেজি তে কি বলে। আমার কাছ থেকে এক্সট্রা কোন ভাড়া নেইনি। সে আমাকে গ্যারান্টি দিয়েছিল শুধু এক মাস চেন্নাইতে থেকে গেলে আর ১ ঘণ্টা সময় দিলে সে আমাকে সব শিখিয়ে দিবে যা দিয়ে সারা তামিলে ভাষা সহজে ব্যবহার করে চলতে পারবো। আমি শুনে তো অবাক।

কারণ হিন্দি এবং তামিল কোন ভাষা ইন্ডিয়ার মাতৃভাষা হবে সেটা নিয়ে জল্পনাকল্পনার অবশান ঘটিয়ে "জহরলাল নেহেরু" হিন্দিকেই মাতৃভাষা হিসেবে ঘোষণা দিয়েছিলেন সেই থেকে চেন্নাই এর লোকজন হিন্দিকে মেনে নিতে পারেনি আর তাই নিজেরা সব দিক থেকে সেরা হওয়ার জন্য উঠে পড়ে

সত্যি ভারতের সমস্ত রাজ্যকে পিছে ফেলে আজ চেন্নাই সিটি এশিয়ার মধ্যে অনন্য এক সিটি হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। বিশেষ করে চিকিৎসা ক্ষেত্রে, গাড়ি উতপাদনে, টেম্পলের জন্য আর ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির আধুনিকতার জন্য চেন্নাই ( মাদ্রাজ ) ব্যাপক পরিচিতি পেয়েছে এছাড়া শিক্ষা দিক্ষায়ও কয়েক ধাপ এগিয়ে আছে

চেন্নাই সিটিতে জ্যাম নেই বললেই চলে কারণ এখানের রাজ্য সরকার জনগণ ও সরকারের সাথে অন্য রকম একটা সম্পর্ক তৈরি করে নিয়েছে

সিটিতে সরকারি বাস ছাড়া প্রাইভেট বাস চলে না। সরকারি বাসের ভাড়া ও কম এবং বাস স্টপ ছাড়া কোথাও থামে না এবং উঠেও না। আপনি যদি ৬ কি.মি. যাত্রা করেন সেক্ষেত্রে বাস ভাড়া মাত্র ৫ রুপি এবং টিকিট ও দিবে আপনাকে। বাসে মেয়েদের কে যথেষ্ট সম্মান করে থাকে। মেয়েদের সিট খালি থাকলে ও আমি কোন ছেলেকে বসতে দেখিনি। একবার সিট খালি ছিল কিন্তু দাঁড়িয়ে ছিলাম একবার ভাবলাম বসে পড়ি আর একবার সাহসে কোলাচ্ছিল না এরকম ভাবতে ভাবতেই মারিনা সি বিস পোর্ট এর ওখানে আসলে নেমে যায়।

চেন্নাই সিটির একটু বাইরে Marina Sea Beach আছে যা শহর এর কাছাকাছি। আ্যপোলো এবং সংকরনেত্রালয় হাসপাতাল থেকে মাত্র ৬ কি.মি. দূরে এই Sea Beach যেখানে প্রতি রবিবার ২০ হাজার এর বেশি লোকের সমাগম হয়ে থাকে তবে কিছুটা নোংরা কারণ এদের বাথরুম এর অভাব মে বি যাইহোক

আর চেন্নাই থেকে ১৩৩ কি.মি. দূরে আর একটা হাসপাতাল আছে সেটাও চরম ভাবে বিখ্যাত। CMC ( Christain Medical 😷Collage Hospital 🏥 এই হাসপাতাল টি মুলত ভেলর সিটিতে অবস্থিত যা তামিল নাড়ুর একটা জেলা। এই হাসপাতালে ও প্রচুর রোগি আসে যেমন প্রতি বছর ২ মিলিয়ন এর উপরে আসে শুধু এই CMC হাসপাতালে কারণ এখানে ১২২ টা ডিপার্টমেন্ট আছে যা এশিয়ার কোন হাসপাতালে আছে কিনা সন্দেহ। এখানে খরচ খুব কম কিন্তু ভিড়ের কারনে সময় লাগে বেশ।

এই CMS HOSPITAL 🏥 মূলত ক্যান্সার নিরাময়, থাইরয়েড, নাক, কান গলার জন্য বিখ্যাত ছিল কিন্তু ধীরে ধীরে এই হাসপাতালে এখন ১২২ টা ডিপার্টমেন্ট এর চিকিৎসা করা হয়ে থাকে। এই হাসপাতাল কে বলা হয় চিকিৎসা শাস্ত্রের এক কারখানা যেখানে এমন কোন রোগ নেই যার চিকিৎসা নেই

আর তাই প্রতি বছর এই হাসপাতালেই আসে ২ মিলিয়ন এর মত রোগী। একবার কল্পনা করুণ তো কি ভাবে সম্ভব এটা? এখানে বাংলাদেশের, কলকাতার, ওমান, কুয়েতের, তুরস্কের, শ্রীলংকা, মায়ানমারের রোগীর সংখ্যা বেশি আসে তবে বিডির রোগীর সংখ্যা বেশি হয়ে থাকে। আর এই জন্য সময় বেশি লাগে। কেউ যদি কোন রোগ দেখানোর জন্য CMS Hospital 🏥 এ আসতে চান তাহলে হাতে মিনিমাম ১৫ দিন নিয়ে আসতে হবে ( আসা + যাওয়ার সময় বাদে) কিন্তু চিকিৎসা ফার্স্ট ক্লাস।

মোট কথা Sangkara nethralaya ( Eye Hospital), Apollo Hospital ( Varieties ) and CMC hospital ( Vellore city) এই তিনটি হাসপাতাল ই চেন্নাই সিটি ও ভেলরে অবস্থিত যা তামিল রাজ্যের রাজধানী ও জেলা। প্রায় ৩ মিলিয়ন লোকজন প্রতি বছর চিকিৎসার জন্য আসেন এই চেন্নাইতে। চেন্নাই থেকে তারপর ভেলরে যেতে হয় যা ১৩৩ কি.মি. দূরে। ভেলরে যেতে ট্রেন ও বাস দুই ভাবে যেতে পারবেন। সময় লাগে ২:৩০ ঘণ্টার মত। "কোয়েমবেডু" হচ্ছে বাস স্ট্যান্ড এর নাম। ১০৫ রুপি করে ভাড়া। সরকারি বাস চলাচল করে আর প্রাইভেট বাস বা পরিবহণ সাধারনত দূরে যাতায়াত করে যেমন চেন্নাই টু কেরালা, বেংগালুর, হাইদ্রাবাদ ইত্যাদি।

আর ট্রেনে করে যেতে চাইলে চেন্নাই ট্রেন থেকে নেমে পাশেই লোকাল ট্রেনের প্লাটফর্ম ও লাল বিল্ডিং আছে ওখান থেকে কাউকে জিজ্ঞেস করলেই দেখিয়ে দিবে টিকিট কাউন্টার। ওখান থেকে ৭০ টাকা দিয়ে টিকিট কেটে নিবেন। সময় ২:৪৫ মি লাগবে ভেলরে পৌঁছাতে। ট্রেন থেকে নেমে অটো নিয়ে সরাসরি CMC হাসপাতাল গেট।

ভারতের ২৯ টি রাজ্যের মধ্যে সাউথ ইন্ডিয়ার দিকে পড়েছে পাঁচটি রাজ্য যার প্রথম টা টামিল নাড়ু ( চেন্নাই রাজধানী) তারপর কেরালা, করনকটা ( বেংগালুর রাজধানী), হাইদ্রাবাদ সিটি ইত্যাদি তারমানে উন্নত ও বিখ্যাত শহর এই দক্ষিন ভারতে অবস্থিত। আর এই ৫ রাজ্যের মোড়ল বলা হয়ে থাকে Tamil Nadu কে।

আর তাই দিল্লি, মুম্বাই ভারতের যতই উন্নত শহর ও রাজধানী হোক না কেন তামিল নাড়ু কে বাদ দিয়ে কোন বড় ধরনের ডিসিশন নিতে পারে না কারণ তামিল নাড়ু রাজ্যের যিনি মুখ্যমন্ত্রী হয়ে থাকেন তিনি ২৯ টি রাজ্যের মধ্যে অন্যতম ও ক্ষমতাবান নেতা হয়ে থাকেন।
-----------------------------------------------------

@চেন্নাইয়ের কিছু হোটেলের নাম ও ঠিকানা:
১। Royal Residency
সুবিধা: ছোট করে রান্নাঘর, বারান্দা, টিভি, এটাস্ট বাথরুম তবে এসি চালালে ৪০০ রুপি এক্সট্রা দিতে হবে আর না চালালে দেওয়া লাগবে না।

ঠিকানা: Greams Road, Opposite of Apollo Hospital, Chennai ( Begum Sahib Street/Bazar)
Hotel এর ফোন নম্বর: ৯১০৪৪২৮২৯১৭৮৬

যাওয়ার আগে ফোন করে রুম বুক দিতে পারবেন তবে ট্রেনের / প্লেনের টিকিট কাটার পর ফোন দিলে ওরা রেখে দিবে যদি ১০০% নিশ্চিত দিতে পারেন। আর জানাবেন কখন চেন্নাইতে পৌছাবেন।

২। Classical Residency

Same address পাশাপাশি হোটেল এবং সুবিধা ৯৫% সেম তবে এটিতে Lift আছে আর Royal Residency Hotel এ লিফট আছে তবে এখনো চালু হয়নি। তারপর ও Royal Residency আমার কাছে ভালো লেগেছে।

৩। M.K.S Hotel🏩
Thousand Lights ( Beside of Abbas Ali street )
মডেল স্কুল রোড। Beside of Mosjid এই হোটেলে দেখা শুনা করে দুইজন ই বাঙালা জানে কিন্তু হোটেল তেমন ভালো লাগেনি কারণ রুমের মধ্যেই রান্নার ব্যবস্থা যা গরম হয়ে যায় রুম কিন্তু অন্য যে গুলোর কথা বললাম সেখানে ছোট করে আলাদা রান্না ঘর আছে।

৪। Zianth Hotel --- Very luxurious
Rent: 1500 rupee করে। So much Neat and Clean
Location: MKS HOTEL এর পাশেই যে মসজিদ আছে তার পাশেই।

এরকম আরো অনেক হোটেল আছে

৫। বর্ধমান গেস্ট হাউজ --- খুব ই কম রেট
ভাড়া: ২৫০ রুপি
ভেলর সিটি

আপনি ৬০০ থেকে ৮০০ টাকার মধ্যে ভাল রুম পাবেন আর একটু ভাল ভাবে থাকতে চাইলে ১১০০ / ১২০০ টাকার মত খরচ হবে এসি ছাড়া।

হোটেলে উঠার সময় ৩ দিনের আ্যডভান্স ( ২০০০ রুপি) রেখে তারপর আপনার ডিটেইলস খাতায় ইনপুট করে রাখে।

তবে এই আরাম দায়ক ভাবে থাকতে হলে আপনাকে Thousand Lights ( Beside of Abbas ali street--- এই রোড আবার ১,২,৩,৪,৫,৬,৭ নম্বর পর্যন্ত আছে) এ থাকতে হবে কারণ এখানে কিছু হাইফাই হোটেল আছে। রুম ভাড়া ১৫০০ থেকে ২০০০ রুপি ও আছে। আবার ওই এরিয়াতে গ্রিমস রোডের মত হোটেল ও আছে। আর Greams road e ভালো পাবেন মানে পছন্দ হবে কমের মধ্যে অনেক হোটেল তবে আমি ব্যক্তিগত ভাবে পছন্দ করি ( Royal Residency Hotel🏩).

এখানের সমস্ত হোটেলের রুমে রান্না করার ব্যবস্থা আছে। গ্যাসের চুলো, হাড়ি, পাতিল, প্লেট পাবেন শুধু বাজার করবেন আর খাবেন। রুমের সাথে বারান্দা ও পাবেন। আর এসি চালালে ৩০০/৪০০ রুপি এক্সট্রা দিতে হবে না চালালে এসি লাইন অফ করে রাখবে মানে আপনার ইচ্ছা।

তাছাড়া ২/৩ টি বাঙালি খাবার হোটেল আছে যারা বাংলায় কথা বলে। মুরগির কারি মানে তরকারি পাবেন ৬০ রুপি দিয়ে ৪ পিস থাকবে বড় আকারে যা এক প্লেট নিলে দুইজনে খেতে পারবেন, সাদা ভাত প্রতি প্লেট ২০ রুপি করে। কাতলা মাছের কারি ৫০ রুপি, বড় এক পিস মাছ থাকে, কাতলা মাছের মশলা রান্না ৭০ রুপি করে রাখে। উস্তে ভাজির দাম বেশি ৪০ রুপি করে। পানি এক লিটার ২০ রুপি।

আর যদি নিজেরা রান্না করে খেতে চান তাহলে বড় সাইজের কাতলা মাছ যার ওজন ৪/৫ কেজি। গ্রাম হিসেবে বিক্রি করে যেমন কারো ৪০০/৫০০ গ্রাম লাগবে তারা আপনাকে কেটে মেপে আশ ছাড়িয়ে পিস হিসেবে করে দিবে যে কয় পিস আপনার লাগবে। যেমন আমি আগের দিন ৬৫০ গ্রাম মাছ কিনেছিলাম আর আমি ৮ পিস বানিয়ে দিতে বলেছিলাম। ১৯০ টাকা দাম রেখেছিল।

আর প্রতি কেজি কাতলা মাছ বিক্রি করে থাকে ২৪০ রুপি, ২৮০ রুপি মাঝে মাঝে ৩০০ রুপি করে। মানে আপনি সকাল ৭ থেকে ১১ টা পর্যন্ত মাছ পাবেন এমনকি তাজা শিং মাছ ও পাবেন, আপনার যত টুকু দরকার ততোটুকু দিবে। এই সব কিছুই পাবেন Greams road যেখানে প্রচুর হোটেল আর বাজার, দোকান গড়ে উঠেছে।

চেন্নাইয়ের ট্রেন থেকে নেমে অটো নিয়ে সরাসরি এই ঠিকানা বরাবর চলে আসতে সময় লাগে ১৫/২০ মি আর অটো ভাড়া ১৩০/১৫০ রুপি। অটোওয়ালে কে বলবেন--- I want to go to greams road, opposite of Apollo hospital, There are available Hotel, Have u understood ?? After getting green signal from auto Driver then জিজ্ঞাসা করবেন -- কিতনা রুপি (১৩০/১৫০) এর বেশি নয়।

পরামর্শ : কেউ চেন্নাইতে চিকিৎসার জন্য আসলে Greams Road ( Begum Sahib Bazar) এসে উঠা ভালো হবে সব কিছুই হাতের কাছে পাবেন যা চান।

আর শপিং করতে চাইলে T.Nagar এ যাবেন যেখানে শত শত শপিং মল, শোরুম। কম দামের মার্কেট ও আছে তবে Pondy Bazar ( পন্ডি বাজার ) থেকে শুরু করে কয়েক কি.মি. শুধু শোরুম ও শপিং মলে ভরা আছে। Greams road মানে আপনার হোটেল থেকে অটো ভাড়া ১০০/১২০ টাকা ভাড়া যদি দুপুরে, বিকেলে বের হন কিন্তু আসার সময় ১৩০ টাকার নিচে পাওয়া একটু কঠিন থাকে। আর যদি বাসে যেতে চান তাহলে যেতে ৫ রুপি আর আসতে ৫ রুপি প্রতি জন। তবে নতুন অবস্থায় বাসে গেলে বুঝে উঠতে সময় লাগবে।

পরিশেষে বলতে চাচ্ছি চোখের কোন সমস্যা হলে মানে চোখ সংক্রান্ত সমস্যার জন্য সংকার নেত্রালয় হাসপাতাল ই বেস্ট সারা ভারতের মধ্যে। শুধু ভারত না, এশিয়ার অনেক দেশ থেকে এই হাসপাতালে রোগী আসে তাদের চোখ দেখাতে। এটি চেন্নাইতে অবস্থিত আর পাশেই এ্যাপোলো হাসপাতাল।

আর আমাদের বিডিতে ব্যাঙেরছাতা যেমন দেখেন তেমনি চেন্নাইতে তার থেকেও বেশি অলি গলি রাস্তাতে কার, মটর বাইক রাতে পড়ে থাকে। সকালে যার যেটা সেটা নিয়েই বেরিয়ে পড়ে ওই যায়গা থেকে। চুরির কোন প্রশ্ন ই আসে না।

আর এখানকার একটা কমন চিত্র হলো মেয়েরা অহরহ বাইক চালায় যা নরমাল ভাবেই দেখে এমনকি আপনি ৬০ বছরের অধিক বয়স্ক মহিলার পিছে আরেক জনকে নিয়ে বাইক চালাচ্ছে তাও সচারচর দেখতে পারবেন, আমি প্রথম দিন দেখে ফ্যাল ফ্যাল করে অনেক ক্ষন তাকিয়ে দেখছিলাম আর আম্মু দেখে কইছিল একোন জগতে আসলাম।

বি:দ্র: ইন্ডিয়া আসার আগে স্টেট ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া থেকে ট্রাভেল কার্ড করে নিলে সুবিধা হবে তাহলে ৭০% রুপি কার্ডে লোড দিয়ে বাকি রুপি কাছে রাখলেন। কার্ড ১০০% নিরাপদ। এই কার্ড দিয়ে হাসপাতাল যে কোন বিল, কেনাকাটা করার বিল, বুথ থেকে রুপিও উঠাতে পারবেন। কারণ ইন্ডিয়াতে ম্যাক্সিমাম যায়গা কার্ড Accepted। প্রতি কার্ড ১৩৫০ টাকা ফি কেটে রাখবে একবার ই, কার্ড এর মেয়াদ ৫ বছর। কার্ড এর মজা পেয়ে গেলে আর নগদ তেমন আনতে ই মন চাইবে না। নগদ ২০০০০ রুপির মত কাছে রাখলেই হবে।

@ কিভাবে ট্রাভেল কার্ড করবেন ?
.............................................
১। পাসপোর্ট এর প্রথম ও মেইন পেজ এবং পরের পেজের ফটোকপি
২। আপনার ন্যাশনাল আইডির ফটোকপি
৩। আপনার পাসপোর্ট সাইজের ১ কপি ছবি
৪। মেইন পাসপোর্ট বই
৫। মিনিমাম ১৫০ ডলার সম পরিমাণ টাকা যেমন ১ ডলার = ৮০ টাকা হয় তাহলে ১৫০*৮০ = ১২,০০০ টাকা + কার্ড ফি ১৩৫০ টাকা = ১৩,৩৫০ টাকা

@ কোথা থেকে করবেন?
....................................
ব্যংকঃ বাংলাদেশের যে কোন প্রাইভেট ব্যাংক যেমন ডাচ বাংলা ব্যাংক, ব্রাক ব্যাংক ইত্যাদি তবে ইন্ডিয়া যেহেতু ইন্ডিয়া যেতে চান সেক্ষেত্রে স্টেট ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া থেকে করানো বেটার এতে ভিসা পেতে অনেক সুবিধা হবে। প্রতি বিভাগে এখন স্টেট ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া শাখা আছে। আপনি সমস্ত ডকুমেন্টস নিয়ে যাবেন যা উপরে উল্লেখ করেছি আর সেই সাথে টাকা। এবার ব্যাংকে গিয়ে বলবেন যে ডলার ইন্ডোর্সমেন্ট করবেন তারপর তারা আপনাকে জিজ্ঞেস করবে কত ডলার করবেন আপনি যদি ১৫০ ডলার করতে চান তাহলে তাই বলবেন আর যদি ৫০০ ডলার করতে চান তাহলে সেই পরিমাণ টাকা নিয়েই ব্যাংকে যাবেন। ৮০ টাকা হিসেব করে নিয়ে যাবেন বা কিছু বেশি তারপর ঔ দিন যে রেট থাকবে তা আপনাকে জানিয়ে দিবে।

এরপর একটা ফর্ম দিবে যা আপনাকে ৩/৪ যায়গায় সাইন করতে হবে তারপর একটা কম্পিউটার বেজড ডলারের স্লিপ দিবে আর টাকা জমা দিতে বলবে ক্যাশ কাউন্টারে। আপনি টাকা জমা দেয়ার পর কিছু সময় অপেক্ষা করে আপনার ট্রাভেল কার্ড টি নিয়ে নিবেন মানে ওরাই আপনাকে সব কিছু বুঝিয়ে দিবে। আর এই কার্ড দিয়েই ইন্ডিয়া বা অন্য দেশে ইউজ করতে পারবেন যে কোন বিল পরিশোধ করার জন্য। এটি ১০০% নিরাপদ।

আর একটা কথা "মারিনা সি বিচ ছোট এক বালুর পাহাড় আছে। অস্থির লাগে যখন উপরে উঠে সমুদ্র দেখা হয়।

40
কাশ্মীর হিমালয়ান পর্বতমালার সবচেয়ে বড় উপত্যকা ,কাশ্মীরকে বলা হয়  ভূস্বর্গ । মোগল বাদশাহ জাহাঙ্গীর কাশ্মীরকে প্রথম তুলনা করেছিলেন স্বর্গের  সঙ্গে। তাঁর আকুল আকাঙ্ক্ষা ছিল কাশ্মীরের তৃণভূমিতে মৃত্যুবরণ করার।

তিনি  ফার্সি ভাষায় বলেছিলেন, ‘আগার ফেরদৌস বে-রোহী যামীন আস্ত্। হামীন আস্ত্, হামীন আস্ত্, হামীন আস্ত্। অর্থাৎ পৃথিবীতে কোনো বেহেশত থেকে থাকে, তাহলে তা এখানে, এখানে, এখানে। 

মোঘল সম্রাটরা দিল্লীর গ্রীষ্মের তাপদাহ থেকে নিস্তার পেতে অবকাশ যাপনের  জন্য ছুটে আসতেন কাশ্মীরে। চশমাশাহী, পরিমহল, শালিমার, নিশাত, ভেরি নাগ  ইত্যাদি তারই স্বাক্ষ্য বহন করছে। শুধু কি মোগল বাদশারা ? বর্তমানে  সমস্ত পৃথিবী থেকেই ভ্রমণপিপাসু মানুষেরা ভূস্বর্গ কাশ্মীর দেখার জন্য  প্রতিনিয়ত ছুটে আসেন এখানে । তো চলুন আমরা জানার বুঝার চেষ্টা করি বাংলাদেশ থেকে এই ভুস্বর্গে আমরা কিভাবে সহজে এবং কম খরচে ঘুরে আসতে পারি ।

    কাশ্নীর যাবার উপযুক্ত সময় কখন : কাশ্মীর ঘোরার উপযুক্ত সময় এপ্রিল থেকে অক্টোবর পর্যন্ত। তবে কাশ্মীরের পুরো রুপ দেখতে চাইলে আপনাকে অন্তত তিনবার যেতে হবে। 
    -- এপ্রিল থেকে মে বসন্তকালঃ এই সময় ফুলে ভরা ভ্যালী। টিউলিপ ফুলও দেখতে পারবেন। আর শীতের পরপরই তাই Snow ও অনেক।   
    -- সেপ্টেম্বর থেকে অক্টোবর শরৎকালঃ  এই সময়ে Snow কিছুটা কম থাকবে। তবে উপরের দিকে পাওয়া যাবে। যেমন, গুলমার্গ  গন্ডোলার ২য় ফেজে, সোনামার্গের থাজিওয়াস হিমবাহে। এই সময় ফল পাওয়া যাবে।  গাছে গাছে আপেল ঝুলে থাকবে। আর তার সাথে চিনার গাছের রঙ্গিন রুপ। 
    -- ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি শীতকালঃ  এই সময়ে দেখবেন সাদা শুভ্র পাহাড়। চারিদিকে শুধু Snow, snow & snow.  আর Snow fall তো আছেই। তবে শীতকালে অসুবিধাও অনেক। শীতের অনেক প্রস্তুতি  নিতে হবে, রাস্তা-ঘাট বন্ধ থাকে ফলে অনেক জায়গায় যেতেই পারবেন না। এমন কি  আপনার আটকে পড়ার চান্স অনেক বেশী। তাই সবদিক বিবেচনা করলে এবং আপনি যদি একবার যেতে চান, তাহলে এপ্রিল-মে উপযুক্ত সময়। 
    বাংলাদেশ থেকে কাশ্মীর যাবো কিভাবে ?   
    -- প্রথমে ট্রেনে কিভাবে যেতে হবে সেটা বলি , ট্রেনে যেতে চাইলে আপনাকে ঢাকা  থেকে কলকাতা কলকাতা থেকে জম্মু যেতে হবে এবং সেখান থেকে গাড়ী করে শ্রীনগর।  কলকাতা থেকে জম্মু যাওয়ার দুটি ট্রেন আছে। হিমগিরি ও জম্মু তাওয়াই,  হিমগিরি সপ্তাহে ৩ দিন (মঙ্গল, শুক্র ও শনিবার) রাত ১১:৫০ টায় হাওড়া থেকে  জম্মুর উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। সময় লাগে ৩৫ ঘন্টা ৩৫ মিনিট। আর জম্মু তাওয়াই  প্রতিদিন চললেও সময় একটু বেশী লাগে। অনেকে আবার ট্রেনে দিল্লী গিয়ে  আগ্রার তাজমহল এগুলো ঘুরে কাশ্মীর যায় সেক্ষেত্রে আপনি দিল্লী চলে যান  সেখানে ঘুরে তারপর জম্মুর এভেইলেভেল ট্রেন পাবেন । কলকাতা থেকে দিল্লি  যাবার ট্রেন সবসময়ই পাবেন । কলকাতা থেকে জম্মু পর্যন্ত নন এসি  স্লিপার ১৫০০-১৬০০/- বাংলাদেশী টাকায় আর এসি ৩৩০০-৩৫০০/-টাকা পড়বে। এরপর  জম্মু থেকে শ্রীনগর গাড়ীতে ৬ জনের দল হলে পার হেড ৬০০-৮০০/- টাকায় হয়ে  যাবে। জম্মু থেকে শ্রীনগর যেতে সময় লাগবে ৮-১০ ঘন্টা। ট্রেনের টিকেট দেশের যেকোন ট্রাভেল এজেন্সি থেকে অগ্রিম কেটে রাখতে পারেন অথবা গিয়েও কাটতে পারেন যেমন আপনার খুশি ।
    -- এবার আসি বিমানে যারা যেতে চান তারা কি করবেন  কাশ্মীর যেতে হলে ঢাকা থেকে আন্তর্জাতিক বিমানে প্রথম যেতে হবে দিল্লি  ইন্ধিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সেখান থেকে শ্রীনগর। অথবা ঢাকা  থেকে কলকাতা যাবেন ট্রেনে বা বাসে পরে সেখান থেকে ডোমেস্টিক বিমানে জম্মু  অথবা শ্রীনগর বিমানবন্দরে যাওয়া যাবে। কলকাতা থেকে সরাসরি শ্রীনগরে কোনো  ফ্লাইট নেই তাই, দিল্লি হয়ে যেতে হয়। বিমানের টিকেট শ্রীনগর পর্যন্ত  ৮০০০/- ১৫,০০০/- টাকা বিভিন্ন মৌসুমের উপর নির্ভর করবে। তবে বিমান খরচ  কমানোর সবচেয়ে ভালো বুদ্ধি হলো বাংলাদেশের কোন ট্রাভেল এজেন্সি দিয়ে যত আগে  সম্ভব ১/২ মাস আগে বিমানের টিকেট কেটে রাখা এতে সস্তায় বিমানের টিকেট  পাওয়া যায় ।
    কোন_স্থল_বন্দর_দিয়ে ঢুকবেনঃ দর্শনা বা বেনাপোল দিয়ে ঢোকায় ভাল হবে।   
    ১।বেনাপোল (বেনাপোল-পেট্রাপোল) : ঢাকা থেকে যেকোন বাসে পৌছে যান সরাসরি  বেনাপোল । সীমান্তে দুই দেশের ইমিগ্রেশন পেরিয়ে আরেকটি অটোরিকশায় ২০ রুপি  নেবে বনগাঁও রেলস্টেশন পর্যন্ত। বনগাঁও থেকে কলকাতার ট্রেন পাওয়া যায় প্রায়  প্রতি ঘণ্টায়ই। টিকেট হবে ২০-৩০ রুপি। এছাড়া গ্রিনলাইন শ্যামলী সহ বেশকিছু বাস সার্ভিস সরাসরি কলকাতা পর্যন্ত যায় ।। ট্রেনেও ঢাকা থেকে যেতে পারেন সরাসরি কলকাতা ভাড়া পড়বে ৬৫০ টাকার মতো ।। কমলাপুর বা চিটাগাং স্টেশনে টিকেট পাবেন । কলকাতা হয়ে যাওয়াটা বেস্ট কারণ কলকাতাটাও দেখা হয়ে গেলো   
    ২। দর্শনা – গেদে দিয়ে যদি যেতে চান তাহলে প্রথমে দর্শনা হল্ট স্টেশনে  যেতে হবে। এখান থেকে চেকপোস্ট ৫ কিঃমিঃ এর মত। আপনি অটোরিকশা বা ভ্যানে চলে  যান। ভারতের দিকের চেকপোস্ট গেদে রেল স্টেশনেই। এখান থেকে ১ ঘন্টা ৩০ মিঃ  পরপর ট্রেন আছে। ভাড়া শেয়ালদহ পর্যন্ত ৩০ রুপি ও দমদম জং ২৫ রুপি। আপনি যদি  বিমানে শ্রীনগর যান তাহলে দমদম নামবেন আর ট্রেনে গেলে শিয়ালদহ। সীমান্ত পেরিয়ে আপনার ডলারগুলো রুপিতে কনভার্ট করে নিবেন তবে কনভার্ট করার আগে অনলাইনে রেটটা জেনে নিবেন ।
    থাকার ব্যবস্হা ?
    এবার দেখি থাকার ব্যবস্হা কি , থাকার জন্য প্রচুর হোটেল পাবেন কাশ্মীরে ।  সাধারণ মানের ব্যাচেলার থাকার জন্য হোটেল ৫০০-৬০০ টাকার মাঝে পাবেন । আর  ফ্যামিলির স্ট্যান্ডার্ট হোটেল ১২০০-১৫০০ রুপির ভিতরে পাবেন । এর চেয়ে দামী  দামী হোটেল পাবেন । আপনার বাজেট ও পছন্দ অনুযায়ী নিয়ে নিন হোটেল ।
    কাশ্মীরে কোথায় কোথায় ঘুরবেন : কাশ্মীর পুরোটাই ভ্রমণপিপাসুদের জন্য স্বর্গ । তারপরও ভিন্ন ভিন্ন লোকেশনে বেশ কিছু টুরিস্ট স্পটের তালিকা দিলাম । 
    ১। শ্রীনগরে- মোঘল গার্ডেন, টিউলিপ গার্ডেন, ডাল লেক ও নাগিন লেকে শিকারা রাইড, হযরত বাল মসজিদ।
    ২। গুলমার্গেঃ গন্ডোলা (ক্যাবল কার), গলফ কোর্স, বাবা ঋষির মাজার,আফারওয়াত পিক, সেন্ট ম্যারী চার্চ। 
    ৩। পেহেলগামঃ লিদার নদী, বেতাব ভ্যালী, আরু ভ্যালী, চন্দন বাড়ী এবং ঘোড়ায়  ট্রেকিং করে পেহেলগাম ভিউপয়েন্ট, মিনি সুইজারল্যান্ড খ্যাত বাইসারান,  ধাবিয়ান, কাশ্মীর ভ্যালী ভিউপয়েন্ট, কানিমার্গ, Waterfall, তুলিয়ান ভ্যালী  ইত্যাদি। পায়ে হেঁটেও যাওয়া যায়। তবে বৃষ্টি হলে রাস্তা অনেক পিচ্ছিল থাকে।  আর তাছাড়া ঘোড়ায় চড়লে একটু Adventure ও হয়। 
    ৪। সোনামার্গ : প্রধানত থাজিওয়াস হিমবাহ। এছাড়া সিন্ধ নদী, Waterfall, বাজরাঙ্গী ভাইজান ও রাম তেরে গঙ্গা মেরে ছবির স্যুটিং স্পট।  এবার আমরা দেখি এই প্রধান স্পটগুলো ঘুরে দেখার জন্য কিভাবে প্লান করা যেতে পারে 

    দিন-১ঃ শ্রীনগর 
    দিন-২ঃ পেহেলগাম (পেহেলগামে রাতে থাকবেন) 
    দিন-৩ঃ পেহেলগাম (পেহেলগাম দেখা শেষ করে শ্রীনগরে আবারও ফিরে আসবেন) 
    দিন-৪ঃ গুলমার্গ (গুলমার্গ দেখে শ্রীনগরে ফিরে আসবেন) 
    দিন-৫ঃ সোনামার্গ (রাতে সোনামাগার্গের হাউজ বোটে থাকবেন)  এভাবে প্লান করলে আপনি ৫ দিনে মোটামুটি কভার করে ফেলতে পারবেন  তবে আমি  শুধুমাত্র একটা গাইডলাইন দিয়ে দিলাম আপনি আপনার মতো কাস্টমাইজ করে  নিতে পারেন ।   সব জায়গাতেই রিজার্ভ গাড়ী নিতে হবে আপনাকে চারজন বসার  মতো গাড়ীগুলো ১২০০-১৫০০ নিবে এর চেয়ে বড়গুলো ২-৩ হাজার নিবে আপনি যাচাই করে  দাম দর করে গাড়ী ঠিক করবেন ,কিন্তু এরপরও কথা আছে কাশ্মীরে এক জোনের গাড়ী  আরেকজোন পর্যন্ত আপনাকে নিয়ে যাবে কিন্তু টুরিস্ট প্লেসগুলো দেখার জন্য  আবার গাড়ী নিতে হবে ওখানকার যেমন পেহেলগাম ও সোনামার্গে রিজার্ভ গাড়ীতে  যাওয়ার পর আবারও ওখানকার গাড়ী ভাড়া করতে হবে। যেমন পেহেলগামে থেকে আরু  ভ্যালী ও চন্দনবাড়ী যেতে ভাড়া ১৬০০ রুপি। পেহেলগামে ৬ পয়েন্ট (পেহেলগাম  ভিউপয়েন্ট, ধাবিয়ান, বাইসারান, কানিমার্গ, কাশ্মীর ভ্যালী ভিউ পয়েন্ট,  waterfall) ঘোড়ায় প্রতিজনের ১৫০০-২০০০ রুপি। এদিকে সোনামার্গ থেকে থাজিওয়াস  হিমবাহ গাড়ী ভাড়া ২৫০০- ৩৫০০/- রুপি। কি বুঝে গেলো ব্যাপারটা ?
    কাশ্মীরে ঘুরে আসতে খরচ কেমন হবে  সত্যি বলতে খরচটা নির্ভর করে আপনার উপরে আপনি কতটা খরুচে বা বিলাসীতা  প্রিয় এর উপর । তারপরও আমি একটা আইডিয়া দিয়ে দিচ্ছি ,এখান থেকে আপনি ভালো  আইডিয়া পাবেন । একটা রাফ হিসেব দেই 
    ১। বাংলাদেশ -কলকাতা (আসা  যাওয়া)=ট্রেনে ঢাকা টু কলকাতা ৬৫০ টাকা করে আসা যাওয়া রাফ হিসেব ১৫০০ টাকা  ।। অথবা বাসেও বর্ডারে গিয়ে সেখান থেকে কলতাকা চলে যেতে পারেন । 
    ২। কলকাতা- জম্মু= (ট্রেন+ খাওয়া)- ১৬০০+৬৫০=২২৫০x২= ৪৫০০ টাকা আসা যাওয়া 
    ৩। জম্মু- শ্রীনগর= ৭৫০/-x২= ১৫০০/- আসা যাওয়া ।
    ৪। কাশ্মীরে (সবকিছু) = ২০,০০০ টাকা ,থাকা খাওয়া ঘুরাঘুরি প্রতিজন । 

    তো রাফ হিসেব করলে আপনার বাজেট ২৫+ হাজার টাকায় ঘুরে আসতে পারবেন ।। এটা  একটা রাফ হিসেব খরচ বাড়তেও পারে আবার আপনি চাইলে কমতেও পারে নির্ভর করে  আপনার উপর ।। আমি শুধু একটা ধারণা দিলাম ।

    এবার কিছু দরকারী টিপস শেয়ার করি 

     ১। কাশ্মীর পর্যটন এলাকা। এখানে সবকিছুর দাম বেশী চাইবে। তাই যাই করুন না  কেনো, দরদাম করতে ভুলবেন না। তবে ভদ্রভাবে কথা বলবেন অবশ্যই। 
    ২।  এখানকার খাবারে মশলা বেশী থাকায় আমরা বাংলাদেশীরা খেতে সমস্যা হয়। ভাতের  দামও অনেক বেশী । তাই রুটি খেলে খরচ কম হবে এবং খাওয়াও যাবে।
    ৩।  সন্ধ্যা ৮টার পর হোটেলের বাইরে অযথা ঘোরাফেরা করবেন না। আর হ্যাঁ, কেনাকাটা  করতে চাইলে রাত ৮ টার মধ্যেই সারুন। কারন রাত ৮ টার পর দোকান বন্ধ হয়ে  যায়। 
    ৪। যেখানেই যান পাসপোর্টসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সঙ্গে রাখুন। 
    ৫। কাশ্মীর মুসলিম প্রধান (৯৯%)। তাই মুসলিম হলে পরিচয় দিলে সুবিধা পাবেন।  আর একটি কথা কাশ্মীরীরা বাংলাদেশ ক্রিকেট দলকে খুব পছন্দ করে এবং সাকিব আল  হাসানের খুবই ভক্ত। তাই বাংলাদেশী পরিচয় দিন নির্দিধায়।   
    ৬/ট্রাভেল ট্র্যাক্স ৫০০ টাকা যাবার আগে সোনালী ব্যাংকের যেকোন শাখায় দিয়ে দিলেই হবে তাহলে সীমান্তে আর এই ঝামেলাটা থাকলোনা ।

41
বিমানযোগে নেপাল ভ্রমণের বিস্তারিত বর্ণনা (খরচ এবং ছবিসহ)
--------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------

গত ১৫ সেপ্টেম্বর আমরা ৭ বন্ধু মিলে ঘুরে আসি হিমালয় কন্যা নেপাল থেকে। নেপাল যাওয়ার আগেই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম যে ট্যুর থেকে ফিরেই এই গ্রুপে ‘নেপাল ভ্রমণ’ বিষয়ে বিস্তারিত একটি বর্ণনা দিবো, যাতে ভবিষ্যতে যারা যাবেন তাদের একটু হলেও উপকারে আসে।

উল্লেখ্য, আমি কোন ট্রাভেল এজেন্ট এর মাধ্যমে যায় নি। সম্পূর্ণভাবে ToB Helpline, Google, Booking.com এবং TripAdvisor এর সাহায্য নিয়ে সবকিছু ব্যবস্থা করেছি।

কোন সময়ে যাওয়া উচিতঃ
--------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------

আমার হিন্দী ভাষা জানা থাকায় নেপালে গিয়ে খুবই সুবিধা হয়েছে কারণ তারা প্রায় সকলেই হিন্দী বুঝেন। এজন্য সেখানের লোকালদের সাথে আমি খুব সহজেই এবং সখ্যতার সাথে আলাপচারিতা করেছি। তাদের সাথে আলাপ করে যা বুঝলাম, নেপালে ভ্রমণ সিজন শুরু হয় অক্টোবর থেকে এবং এটি ফেব্রুয়ারী/মার্চ পর্যন্ত চলে। কিন্তু এ সময়ে প্রচুর ভীড় থাকে নেপালে এবং নেপাল অনেকটা ট্যুরিস্ট নির্ভর দেশ হওয়ায় এ সময়টাতে জিনিসপত্রের দামও বেশি থাকে।

আমি এ বিষয়টা গুগল করে কিছুটা আগেই জেনেছি এবং সেপ্টেম্বর ১৫ থেকে ৩০ এ সময়টা শুনেছি অনেকটা আদর্শ সময়। কারণ এ সময়ে বৃষ্টির পরিমাণ কমতে থাকে এবং অনেকটা অফসিজনই থাকে। তাই সবকিছু মোটামুটি কমে পাওয়া যায় এবং ভীড়ও কম থাকে। বিষয়টির সত্যতা পেয়েছি ঘুরে আসার পর।

তাই, আমি সাজেস্ট করবো সেপ্টেম্বর ১৫ থেকে ৩০ এ সময়টাতে ঘুরে আসতে। আর একটি সাজেশন্স হচ্ছে, আপনারা যদি চাকুরীজীবি হন, তবে যাওয়ার প্লানটা করবেন শুক্রবার - বুধবার। তাহলে বৃহস্পতিবার অফিস ধরতে পারবেন এবং আপনাকে শুধু ৪ দিনের ছুটি নিতে হবে (রবি, সোম, মঙ্গল, বুধ)।

কিভাবে যাবেনঃ
--------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------

নেপাল যাওয়ার জন্য আমরা বেছে নিয়েছিলাম ‘বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স” কে। এখানে কয়েকটি জিনিস/টিপস মনে রাখবেনঃ
- চেষ্টা করবেন কমপক্ষে ১ মাস আগে বুকিং দিতে। যত আগে কাটবেন তত খরচ কম পড়বে। ভাড়া পড়েছে রাউন্ড ট্রিপ ১৭১০০ রুপি। আপনার যদি মিউচুয়াল ট্রাস্ট বা স্ট্রান্ডার্ড চার্টাড ব্যাংক এর ক্রেডিট কার্ড থাকে তবে ১০% ডিসকাউন্ট পাবেন।

- বর্তমানে সর্বনিম্ন ভাড়া দিচ্ছে Us-Bangla Airlines: ১৬০০০ রুপি। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে ওদের ফ্লাইট সপ্তাহে ৩ দিনঃ রবি, মঙ্গল ও বৃহস্পতি। চাকুরীজীবিদের জন্য যা একদমই অনুপযোগী সময়। বিমান (বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স) এ বুক দেওয়ার কারণ এটাই যে শুধুমাত্র ওদেরই সপ্তাহে ৭ দিন ফ্লাইট রয়েছে।

- বিমান অফিসে গিয়ে সরাসরি টিকেট বুক দিবেন। তাতে করে সিট নম্বর আগেই কনফার্ম হতে পারবেন।

- নেপাল যাওয়ার সময় ডান সারির সিট নিবেন এবং ফেরার সময় বাম সারির সিট নিবেন। এতে করে, আকাশ পরিষ্কার থাকলে বিমান থেকেই হিমালয় দেখে ফেলতে পারবেন। একটি নমুনা এখানে দেখতে পারেনঃ http://bit.ly/2jMCfP5

- বিমানের ১৩-১৪-১৫-১৬-১৭ এই কয়েকটি সারির সিট নেওয়া থেকে বিরত থাকুন। এই সিটগুলো পাখার উপর। অনেকখানি ভিউ দেখা থেকে বঞ্চিত হবেন।

- বিমানের ফ্লাইট প্রতিদিন বাংলাদেশ সময় সকাল ১১:০৫ এ। নেপাল পৌছায় দুপুর ১২:৩০ থেকে ১টার মধ্যে (নেপাল সময়)।

ভিসা এবং ইমিগ্রেশন সংক্রান্তঃ
--------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------

নেপাল এ আমাদের জন্য রয়েছে অন-এরাইভাল ভিসা। মানে এয়ারপোর্টে নামলেই ভিসা দিয়ে দিবে। এখানে যে যে জিনিসগুলো মনে রাখা জরুরীঃ

- নেপাল এয়ারপোর্টে নেমে ভিতরে গেলেই দেখবেন সার্কভুক্ত দেশের ভিসা দেওয়ার জন্য একটি আলাদা লাইন রয়েছে। সেই লাইনে গিয়ে দাড়াবেন। বিদেশীদের লাইনে দাড়ানোর দরকার নেই।

- বছরে ১ বার নেপাল ভ্রমণ করলে ভিসার কোন খরচ লাগে না।

- ভিসার জন্য ১টি বোর্ডি কার্ড, ১টি ভিসা ফর্ম পূরণ করতে হয় এবং ১ কপি পাসপোর্ট সাইজ ছবি লাগে। বিমানে গেলে এয়ারহোস্টেসরা আপনাকে এগুলো দিয়ে দিবে। আপনি ল্যান্ড করার পূর্বে ৩২০০০ ফুট উপরে বসে সেগুলো পূরণ করে ফেলুন। ছবি লাগানোর জন্য স্ট্যাপলার মেশিন নিয়ে চিন্তা করার দরকার নেই, এয়ারপোর্টে গেলে ওরাই আপনাকে ছবি লাগিয়ে দিবে। উল্লেখ্য, এয়ারপোর্টে কিছু ডিজিটাল মেশিনও রয়েছে যেখানে আপনি সরাসরি ফিলআপ করতে পারেন। কিন্তু সময় বাচাতে চাইলে উপরের উপায়ে করে ফেলুন।

- ভিসা দেওয়ার জন্য কিছুই জিজ্ঞেস করে না ওরা। পাসপোর্ট খুলে আর ৩০ দিনের ভিসা দিয়ে দেয় মাত্র ৫ মিনিটে। ভিসার ছবি এখানেঃ http://bit.ly/2xT04Lz

- বাংলাদেশ ইমিগ্রেশনেও খুব বেশি সমস্যা হয় নি। শুধু জিজ্ঞেস করেছে কি করি। তবে, ফ্রেশ পাসপোর্ট হলে একটু বেশি প্রশ্ন করতে পারে, আটকানোর কথা না যদি আপনার গতিবিধি খুব বেশি সন্দেহজনক না হয়। ফ্রেশ পাসপোর্ট হলে আপনার জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি এবং আপনার বর্তমান পেশা সংক্রান্ত ডকুমেন্টস সাথে রাখুন। সেগুলো লাগতে পারে। আমার এক বন্ধুর ক্ষেত্রে লেগেছিল। আমরা গ্রুপে থাকায় খুব ঝামেলা করতে পারে নি।

পুরো ট্যুরে নেপালি সীম কেনা ছাড়া আমাদের কোথাও কোন ডকুমেন্টস লাগে নি। তবে, সতকর্তাস্বরূপ, আমি ২০০ ডলার এনডোর্স করিয়েছি, এনডোর্স সার্টিফিকেট সাথে রেখেছি। এছাড়া, পাসপোর্টের কয়েকটি কপি, এনঅাইডি কপি, কয়েক কপি পাসপোর্ট সাইজ ছবি, হোটেল বুকিংয়ের প্রিন্টেড কপি এবং ই-টিকেটের কপি সাথে রেখেছিলাম।

থাকার খরচঃ
--------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------

নেপালে আমরা ১ রাত থেকেছি কাঠমুন্ডুর Thamel এলাকায়, ২ রাত থেকেছি পোখারার Sarankot এলাকায় (সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ৫০০০ ফুট উপরে) এবং ২ রাত থেকেছি কাঠমুন্ডুর Nagarkot এলাকায় (সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ৬০০০ ফুট উপরে)।

অনেকে সাজেস্ট করেন রুম আগে বুকিং না দিয়ে সেখানে ঘুরে ঘুরে বুকিং দিতে। কিন্তু আমার অভিজ্ঞতা থেকে বলি, আগে বুকিং দেওয়াই ভালো। থামেলের রাস্তাগুলো বাংলাদেশের পুরান ঢাকার মত। সেখানে লাগেজ হাতে করে ঘুরে ঘুরে হোটেল খুঁজা খুবই ঝামেলাদায়ক হবে বলে আমার মনে হয়। তাছাড়া, এতে করে অনেক সময় নষ্ট হয়। ট্রাভেলে সময়ের মূল্য আছে।

Thamel এলাকায় ছিলাম Om Tara Guest House নামক হোটেল এ। বুকিং দিয়েছিলাম booking.com থেকে (https://booki.ng/2xkwZoS)। অগ্রীম কোন খরচ দিতে হয় নি। আমরা একটি এক্সিকিউটিভ রুম নিয়েছিলাম এবং ২টি ট্রিপল বেড রুম নিয়েছিলাম। সকালের খাবার ইনক্লুড ছিল না।

এক্সিকিউটিভ রুমে ২টি বড় বেড ছিল, আলাদা কিচেন রুম ছিল, ফ্রিজ ছিল, ড্রাইনিং টেবিল ছিল, সোফা ছিল, বাথটাব সহ বাথরুম এবং Well-decorated ছিল। আমরা রাতের খাবার এখানে নিজেরা রান্না করেছি  :) ছবি এখানেঃ http://bit.ly/2ys12v0

ট্রিপল বেড রুমে তিনটি বেড এবং সোফা ছিল উইথ এটাচড বাথরুম। ছবি এখানেঃ http://bit.ly/2hlw4gG

খরচঃ এক্সিকিউটিভ রুম ২৫ ডলার; ট্রিপল বেড রুম প্রতিটি ১৩.৫ ডলার। আপনি ওদেরকে ডলারে পেমেন্ট করলে ভালো। কনভার্সন করিয়ে রুপি দিলে আপনার লস হবে। আমাদের মোট বিল ছিল ৫২ ডলার। আমি ৫০ ডলার দিয়ে বাকি ২ ডলার রুপিতে দিয়ে দিয়েছি।

-----

পোখারার Sarangkot এলাকায় ছিলাম Superview Lodge নামক হোটেলে। বুকিং দিয়েছিলাম booking.com থেকে (https://booki.ng/2wIGdJI)। অগ্রীম কোন খরচ দিতে হয় নি। আমরা ৪টি ডিলাক্স ডাবল রুম নিয়েছিলাম।

সবগুলো রুমেই ২টি সিঙ্গেল বেড ছিল, বারান্দা ছিল এবং বাথরুম ছিল। বেস্ট হচ্ছে এখানকার ভিউ। আপনি রুমে বসেই পুরো পোখারা শহর দেখতে পাবেন।  :) ছবি এখানেঃ http://bit.ly/2xTwQvJ

খরচঃ ডিলাক্স ডাবল রুম প্রতিটি ২৫ ডলার। আপনি ওদেরকে ডলারে পেমেন্ট করতে পারবেন।

-----

কাঠমুন্ডুর Nagarkot এলাকায় ছিলাম Peaceful Cottage & Café du Mont নামক হোটেলে। বুকিং দিয়েছিলাম সরাসরি ওদের ফেসবুক ফ্যানপেজের মাধ্যমে। ওরা খুবই একটিভ। অগ্রীম কোন খরচ দিতে হয় নি। আমরা ১টি ৩৬০ ডিগ্রী রুম নিয়েছিলাম (৬জন থাকা যায় এবং সকালের ব্যুফে ব্রেকফাস্ট ইনক্লুডেড)।

এই রুমটি হোটেলের সবচেয়ে উপরের তলায় এবং এর চারিদিকে জানালা। মানে আপনি পুরো নাগরকোটের ভিউ পাবেন এই রুমে বসে। এতে ২টি সিঙ্গেল বেড ছিল, ১টি ডাবল বেড ছিল এবং ১টি ডাবল ফ্লোরিং বেড ছিল। তাছাড়া সোফা ছিল এবং বাথরুম ছিল। ছবি এখানেঃ http://prntscr.com/gnuibn

খরচঃ ৩৬০ ডিগ্রী রুম ১০০ ডলার। কিছুটা Bargain করতে হয়েছে। আমার কাছে প্রথমে চেয়েছিল ১৪০ ডলার। আপনি ওদেরকে ডলারে পেমেন্ট করতে পারবেন।

খাওয়ার খরচঃ
--------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------

নেপালে গিয়ে আমাদের খাওয়া-দাওয়া নিয়ে একটু সমস্যায় পড়তে হয়েছে কারণ আমরা হালাল খাবার খুজছিলাম সব জায়গায়।
Thamel এলাকায় হালাল খাবার খেতে চাইলে চলে যান Al-Madina HALAL FOODS রেস্টুরেন্ট এ। গুগল ম্যাপ কো-অর্ডিনেট এখানে দিয়ে দিলাম (https://goo.gl/maps/7NmY5dB2Fry)। এখানের খাবার খরচ নিম্নরূপঃ

- ভাত ফুল ১৬০ রুপি; হাফ ৮০ রুপি (১টি ফুল এবং ১টি হাফ নিলে দুজন খেতে পারবেন)
- মুরগী / মহিষ কারি ফুল ২৬০ রুপি; হাফ ১৩০ রুপি (প্রত্যেক হাফ এ ২টি বড় মুরগীর পিস থাকে)
- ডাল ফুল ১৪০ রুপি; হাফ ৭০ রুপি (১টি হাফ ২ জনের জন্য যথেষ্ট)
- আলু-ফুলকপি সবজি ফুল ১৬০ রুপি; হাফ ৮০ রুপি (১টি হাফ ২/৩ জনের জন্য যথেষ্ট)

---------

পোখারা এলাকায় হালাল খাবার খেতে চাইলে চলে যান "পোখারা হালাল ফুড" নামক রেস্টুরেন্ট এ। গুগল ম্যাপ কো-অর্ডিনেট এখানে দিয়ে দিলাম (https://goo.gl/maps/xVNHdda4poz)। দোকানটি মার্কেটের ভিতরে। খুজতে সমস্যা হতে পারে। এখানের খাবার খরচ নিম্নরূপঃ

- মুরগী/মহিষ, ডাল ও ভাত প্যাকেজ জনপ্রতি ৩০০ রুপি (একস্ট্রা ভাত নিতে পারবেন)
- এখানে আলাদা আলাদা নিয়ে লাভ হয় না। প্যাকেজে খাওয়াই ভালো।

টিপসঃ
- গ্রুপে গেলে উপরের মত শেয়ার করে খাবেন। তাহলে দুপুর এবং রাতের খাবারে আপনাদের জনপ্রতি খরচ হবে ২০০-২২০ রুপি।

- থামেলে আমাদের রুমের সাথে কিচেন থাকায় রাতে আমরা ডিম-সবজি দিয়ে নুডুলস রান্না করে খেয়েছি। আমাদের জনপ্রতি খরচ হয়েছে ৬০ রুপির মত।

- নেপালে ১ লিটার পানির দাম ২০ রুপি। কিন্তু অধিকাংশ জায়গাতেই ২৫ রুপিতে বিক্রি করে। পাহাড়ের উপর ৪৫ থেকে ৫০ রুপি। আল মদিনা হোটেলের পাশে ১টি মুদি দোকান পাবেন। সেখানে ২০ রুপিই রাখে এবং ৩ টি পানি কিনলে ১টি পানি ফ্রী দেয়  :) আমরা একসাথে ১ ডজন কিনে নিয়েছিলাম।

- Sarangkot এবং Nagarkot এ হালাল খাবার পাওয়া যায় না। ভেজিটেবল দিয়ে জীবন পার করতে হবে।

- Sarangkot এবং Nagarkot এ খাবারের খরচ অনেক বেশি। তাই, আমরা মূল শহরে যখন ঘুরতে গিয়েছি তখন দুপুরের খাবার খেয়ে রাতের খাবার প্যাকেট করে সাথে নিয়ে নিয়েছি। এতে আপনি ভালো খাবারও খেলেন এবং খরচও কম হলো।

যাতায়াত খরচঃ
--------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------

নেপালে যাতায়াত খরচ একটু বেশি বলে আমার মনে হয়েছে। মনে রাখবেন, ওরা আপনার কাছ থেকে সবসময়ই বেশি নেওয়ার চেষ্টা করবে। তাই যাতায়াত বিষয়ে অবশ্যই দরদাম করবেন। আর ওদের ড্রাইভাররা খুব একটা ফ্রেন্ডলিও না। আপনি যাত্রাপথে কোথাও থামতে চাইলেই ওরা কেমন জানি করে।

- এয়ারপোর্টে নেমে যদি আপনি দরদাম না করে আরামে চলে যেতে চান গন্তব্যে, তবে এয়ারপোর্টে প্রি-পেইড ট্যাক্সি সেন্টার আছে। ওদের ভাড়া নির্ধারণ করা থাকে। এয়ারপোর্ট থেকে থামেলে যেতে ওরা খরচ নিবে ৭০০ রুপি (২০-২৫ মিনিটের রাস্তা)। এয়ারপোর্ট গেটে দাড়ানো ট্যাক্সিওয়ালাদের সাথে কথা বলে লাভ নাই। এরা প্রি-পেইড ট্যাক্সিওয়ালাদের লোক। জিজ্ঞেস করলে ভাড়া চাইবে ১০০০ রুপি, যাতে করে আপনি ভিতরে গিয়ে প্রি-পেইড ট্যাক্সি নিতে পারেন। আমার সাজেশন্স হচ্ছে এয়ারপোর্ট থেকে বেরিয়ে আসুন। ৫/৭ মিনিট হেটে এয়ারপোর্টের এক্সিট পয়েন্টে আসুন। অনেক খালি ট্যাক্সি পাবেন। দরদাম করলে ৪০০-৫০০ রুপিতে ট্যাক্সি পেয়ে যাবেন। আমরা ৭ জনের জন্য ১টি মাইক্রো নিয়েছিলাম ১০০০ রুপি দিয়ে।

- থামেল থেকে পোখারা যাওয়ার জন্য বেস্ট হচ্ছে বাস দিয়ে যাওয়া। থামেলে অনেক ট্যুরস এন্ড ট্রাভেলস এর দোকান পাবেন। সেখানে গিয়ে দরদাম করতে পারেন। আমরা এসি বাস পেয়েছিলাম জনপ্রতি ৬ ডলার দিয়ে। সাধারণত ভাড়া ৬-৮ ডলার হয়। যদি গাড়ি দিয়ে যেতে চান তবে খরচ পরবে ১৫০ ডলারের মত।

- পোখারা থেকে সারাংকোট যেতে চাইলে আপনাকে ট্যাক্সি নিতে হবে। সাধারণত ট্যাক্সিগুলোকে আপডাউন ভাড়া দিতে হয়। পার ট্যাক্সি খরচ পরবে ১০ ডলারের মত।

- পোখারায় ঘুরাঘুরির জন্য গাড়ী দরকার হয়। আমরা যোগাযোগ করেছিলাম এই ট্রাভেল এজেন্সির সাথে (http://bit.ly/2wAdVG9)। ওদের ফুল ডে প্যাকেজ ৪৫ ডলার এবং হাফ ডে প্যাকেজ ২৫ ডলার। আমরা হাফ ডে নিয়েছিলাম ২০ ডলার দিয়ে।

- থামেল থেকে নাগরকোট যেতে চাইলে আপনাকে ট্যাক্সি নিতে হবে। সাধারণত ট্যাক্সিগুলোকে আপডাউন ভাড়া দিতে হয়। পার ট্যাক্সি খরচ পরবে ২০০০ রুপির মত।

ভ্রমণ ও অন্যান্য খরচঃ
--------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------

- সীম কিনতে খরচ হয়েছে ৩৫০ রুপির মত সাথে ৫০০ এমবি ইন্টারনেট এবং ৫০ রুপি ব্যালেন্স। ৫ দিনের জন্য যথেষ্ট। ইন্টারন্যাশনাল কল করলে খরচ হবে ৮ রুপির মত পার মিনিট। দরদাম করে কিনবেন অবশ্যই। সীম এয়ারপোর্ট থেকে না কিনে থামেলে ঘুরে ঘুরে কিনতে পারেন। NCell কোম্পানীর সীমই ভালো। এটি আমাদের রবির মূল কোম্পানী Axiata এর।

- পোখারায় Paragliding যদি করতে চান তবে জনপ্রতি খরচ গুণতে হবে ৫০-৫৫ ডলার। প্রথমে ওরা ৮০-৮৫ ডলার চাইতে পারে। হোটেল পিকআপ এবং ড্রপ ও ছবি এবং ভিডিওসহ ওরা রেট দিবে।

- বিভিন্ন Temple ভিজিটে খরচ হবে সর্বমোট জনপ্রতি আনুমানিক ১০০ রুপি।

- সারাংকোট ভিউ পয়েন্টে যেতে জনপ্রতি ৫০ রুপি।

- ডলার ভাঙালে রেট ভালো দেখে নিবেন। এয়ারপোর্ট থেকে যত কম ভাঙানো যায় তত ভালো। আমরা ৫০ ডলার ভেঙেছি শুধু ট্যাক্সি ভাড়া এবং প্রাথমিক খরচের জন্য। সেখানে রেট দেয় ৯৯ রুপির এর মত। থামেলে আমরা সর্বোচ্চ রেট পেয়েছি ১০১.৪ রুপি। সেখান থেকে ভাঙিয়েছি।

কোথায় কোথায় ঘুরবেনঃ
--------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------

আমরা যা যা করেছি তা নিচে তুলে দিচ্ছি। জরুরী নয় যে এভা্বেই করতে হবে। তবে আমরা যতটুকু সম্ভব অধিকাংশ জিনিস কভার করার চেষ্টা করেছি।

Day 1: প্রথম দিন ইমিগ্রেশন শেষ করে থামেলে গিয়ে হোটেল উঠে ফ্রেশ হতে হতে বিকাল ৪টা বেজে যায়। আমরা বের হয়ে আল মদিনা হোটেলে চলে যাই এবং সেখানে দুপুরের খাবার খেয়ে নেই। খেতে খেতে মোটামুটি সন্ধ্যা হয়ে যায়। তারপর থামেল এলাকাটা ঘুরে দেখি। ঘুরার পাশাপাশি আপনাকে এখানে আরো যে ৩টি জিনিস করতে হবে তা হলোঃ ক) পোখারা যাওয়া জন্য বাহন (বাস/গাড়ি) ঠিক করা। অনেক ট্রাভেল এজেন্সী পাবেন। ভালো ভিউ পেতে চাইলে বাসের বাম দিকে সিট বুক করুন। আমাদের হোটেলের পাশে একটি ছিল, আপনি সেখানেও দেখতে পারেন খ) ডলার ভাঙানো। কারণ থামেল ছাড়া আর কোথাও ভালো রেট পাবেন না গ) সীম কিনে ফেলা। এগুলো কেনা হয়ে গেলে একটু তাড়াতাড়ি শুয়ে পরার চেষ্টা করুন। কারণ পোখারার বাসগুলো সকাল ৭:৩০ এ একযোগে ছেড়ে যায় এবং বাস মিস করে ফেললে গাড়ী দিয়ে যাওয়া ছাড়া আর উপায় নাই।

Day 2: সকালে উঠে বাসে উঠে পড়ুন। এই জার্নিটা অনেক লম্বা। পোখারা পৌছাতে পৌছাতে ২:৩০ এর মত বেজে যাবে। পথে ২/৩ জায়গায় ব্রেক দিবে ব্রেক ফাস্ট ও লাঞ্চের জন্য। এসব জায়গায় ব্রেক ফাস্টে খরচ হবে জনপ্রতি ২০০ রুপির মত এবং লাঞ্চে খরচ হবে জনপ্রতি ৪০০-৫০০ রুপির মত। আমার সাজেশন্স হচ্ছে এখানে লাঞ্চ না করে টুকটাক নাস্তা খেয়ে ফেলুন।

আপনি যদি আমাদের মত সারাংকোটে থাকতে চান, তবে পোখারা বাসস্ট্যান্ড এ নেমে আপনার প্রথম কাজ হবে পরদিনের সাইটসিংয়ের জন্য প্ল্যান করে ফেলা (যেই ভুলটা আমার করেছিলাম। কারণ উপরে চলেগেলে আপনার হোটেলের সাথে যোগাযোগ করা ছাড়া আর উপায় থাকবে না)। উপরে উল্লেখিত ট্রাভেল এজেন্সির দোকানে চলে যান, গুগল ম্যাপ লোকেশন এখানে (https://goo.gl/maps/Fzc3y9XqrwF2 এই দোকানের পাশের দোকান)। এখানে গিয়ে যা যা বুক দিবেনঃ

- উক্ত দিনে আপনাদেরকে সারাংকোট পৌছানের জন্য একটি গাড়ী ঠিক করে দেওয়া।

- প্যারাগ্লাইডিং এর বুক দেওয়া।

- কাঠমুন্ডুর ফিরতি বাসের টিকেট বুক করা।

- ফিরতি দিনে সারাংকোট থেকে আপনাদেরকে পিক করার জন্য গাড়ী পাঠানো।

এগুলো বুক দেওয়া হয়ে গেলে, হেটে চলে যান Pokhara Halal Food নামক দোকানে। সেখানে গিয়ে লাঞ্চ সেরে রাতের খাবার পার্সেল করে নিয়ে নিন এবং গাড়ী যোগে সারাংকোট চলে যান। পোখারা থেকে সারাংকোটে হোটেলের ঐখানে যেতে প্রায় ৪৫ মিনিট সময় লাগে। চেষ্টা করবেন সূর্য ডোবার আগে যেতে। তাহলে পুরো পোখারা শহরের বিকেলের সৌন্দর্যটা উপভোগ করতে পারবেন।
সারাংকোটে থাকার মূল কারণ হচ্ছে পোখারা ভিউ এবং রুমে বসে অন্নপূর্ণা রেঞ্জের ভিউ উপভোগ করা। আর বেস্ট পার্ট হচ্ছে আপনার হোটেল থেকে মূল ভিউ পয়েন্টে যেতে পায়ে হেটে সময় লাগবে ৫ মিনিট। এই ভিউ দেখলে ৫০০০ ফুট উপরে কেন এসে বসে আছেন, তার উত্তর পেয়ে যাবেন। আর সারাংকোটে আপনার বারান্দার সামনে মেঘ ভেসে বেড়াবে এবং কপাল ভালো হলে দেখবেন যে মেঘ কালো হয়ে নিচে বৃষ্টিও হচ্ছে।

Day 3: সারাংকোটে যদি আপনি নাও থাকেন তবুও এদিনে আপনাকে সারাংকোটের ভিউ পয়েন্টে আসতেই হবে ভিউ পয়েন্ট থেকে সূর্যোদয় দেখার জন্য। সে এক স্বর্গীয় দৃশ্য। অন্নপূর্ণার উপর যখন সূর্যের লাল আভা পরে তখন আর কি বলবো। সারাংকোটে থাকার সুবিধা এটাই যে, এই ভিউ দেখতে হলে আপনি সূর্য উঠার ১৫ মিনিট আগে ঘুম থেকে উঠলেই হবে। আর যদি পোখারায় থাকেন, তবে আপনাকে উঠতে হবে রাত ৩-৪টায়। উঠে গাড়ী নিয়ে রওনা দিতে হবে। যাই হোক, ঘুম থেকে ভিউ পয়েন্টে চলে যান। অবশ্যই টিকেট সঙ্গে নিবেন। সূর্য উঠা দেখা শেষ হলে, হোটেলে চলে আসুন এবং একটু রেস্ট নিয়ে সকালের নাস্তাটা সেরে ফেলুন।

সকাল ১০টা নাগাদ প্যারাগ্লাইডিং এর গাড়ী আপনাকে নিতে আসবে। প্যারাগ্লাইডিং সারাংকোটেই হওয়ায় আপনার গন্তব্যে যেতে ১০ মিনিট লাগবে। এরপর প্যারাসুট নিয়ে পাহাড় থেকে লাফ দিয়ে নিচে নেমে পড়ুন।

প্যারাগ্লাইডিং শেষে পোখারার আশেপাশে টুকটাক কেনাকাটা সেরে নিতে পারেন এবং দুপুরের খাবার খেয়ে নিন। তারপর HALF DAY Sightseeing এ বেরিয়ে পড়ুন। Full DAY নিতে চাইলে কেনাকাটা আর খাওয়া বাদ দিয়ে প্যারাগ্লাইডিং শেষ করেই বেরিয়ে পড়ুন। তবে আমার মতে, Half Day প্যাকেজটাই বেটার। কারণ Full DAY তে ১/২টা একস্ট্রা যে আইটেম আছে তা না দেখলেও চলে।

সাইটসিংয়ের জায়গাগুলোর নাম এখানেঃ http://bit.ly/2xV3FII
সাইটসিং শেষে হোটেলে চলে যান এবং সূর্যাস্তের আগে যদি পৌছান তবে আবারো ভিউ পয়েন্টে চলে যান এবং অন্নপূর্ণা দেখে আসুন। টিকেটটি পুনরায় নিয়ে যান।

Day 4: সকাল ৬:৩০ এর মধ্যে গাড়ী নিয়ে পোখারা বাস স্ট্যান্ড এ চলে যান এবং বাসে উঠে পড়ুন কাঠমুন্ডুর উদ্দেশ্যে। এখানে সবকিছু মোটামুটি DAY 2 এর অনুরূপ।

কাঠমুন্ডু পৌছানোর পর থামেলে গিয়ে আল মদিনা থেকে দুপুরের খাবার খেয়ে নিন এবং রাতের খাবার প্যাকেট করে নিন। তারপর ট্যাক্সিযোগে রওনা দিন নাগরকোটের উদ্দেশ্যে। চেষ্টা করবেন ৫টার আগে রওনা দিতে। কারণ কাঠমুন্ডুতে ৫টার পর ঢাকা শহরের মত জ্যাম থাকে। থামেল থেকে নাগরকোট যেতে আপনার সময় লাগবে ২ ঘন্টা ১৫ মিনিটের মত। নাগরকোট পৌছে হোটেলে চেকইন করে বিশ্রাম নিন। নাগরকোটে মোটামুটি ঠান্ডা পরে। সুয়েটার নিতে ভুলবেন না।

Day 5: নাগরকোট হচ্ছে এমন এক জায়গা যা মূহুর্তে মূহুর্তে রং বদলায়। একবার দেখবেন পুরো পরিষ্কার আবার দেখবেন মেঘ দিয়ে চারদিক পূর্ণ হয়ে গেছে। নাগরকোটে আপনি চাইলে সারাদিন শুয়ে বসে প্রকৃতি দেখে কাটিয়ে দিতে পারেন। কিংবা সকালের নাস্তা সেরে কাঠমুন্ডু চলে যান লোকাল বাস দিয়ে। নাগরকোট বাস স্ট্যান্ড থেকে বাস নিয়ে চলে যান Bhaktapur (জনপ্রতি ৫০ রুপি) এবং সেখান থেকে আরেক বাসে কাঠমুন্ডু (জনপ্রতি ২৫ রুপি)।

কাঠমুন্ডু গিয়ে “New Road” এলাকায় চলে যান এবং গুগল ম্যাপ ধরে ধরে (http://bit.ly/2fldkRp) থামেলের দিকে পায়ে হেটে যেতে থাকুন। এই পুরো হাটার মধ্য দিয়ে আপনার শপিং সেরে ফেলুন। এখানে থামেল থেকে সস্তায় জিনিস পাবেন।

[আমাদের ঘুরাঘুরির কিছু ছবি এখানেঃ http://bit.ly/2xwTvgq]

কেনাকাটা বিষয়ক টিপসঃ
--------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------

১। নেপালে ট্যুরিস্ট দেখলে সবাই একটু দাম বেশি বলে। সাধারণ দোকান থেকে কিনলে দামাদামি করে কিনবেন। ওরা যা বলবে তার থেকে ৫০ ভাগ কম দাম বলবেন। কেনাকাটার জন্য উপরে “New Road” এলাকায় চলে যান এবং নির্দেশনা অনুযায়ী করে ফেলুন।

২। চকলেট এবং সাবানের জন্য আমি বলবো এয়ারপোর্টের ডিউটি ফ্রী শপ থেকে কেনার জন্য।

অনেস্ট রিভিউঃ
--------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------

সব মিলিয়ে নেপাল ভ্রমণ আমার কাছে মোটামুটি লেগেছে। এর আগে ভুটান এবং ইন্দোনেশিয়া ভ্রমণ করেছি। তাই হয়তো তুলনা করে মন ভরে নি।

কিছু জিনিস খারাপ লেগেছে। যেমন, নেপাল কিছুটা নোংরা এবং ধুলিময় দেশ। মানুষজন যেখানে সেখানে ময়লা ফেলে রাখে। রাস্তাঘাটের অবস্থাও খুব বেশি ভালো না। আগেই বলেছি যে, ড্রাইভারদের ব্যবহার আমার কাছে সন্তোষজনক মনে হয় নি। আর কাঠমুন্ডুতে জ্যামের কথা আর নাই বা বললাম। ঘুরাঘুরির চেয়ে জার্নিটা একটু বেশি হয়ে গেছে।

তবে, অন্নপূর্ণা রেঞ্জ দেখা, সারাংকোট এবং নাগরকোটের সৌন্দর্য বর্ণনা করে প্রকাশ করার মত নয়। এগুলো দেখেই খারাপ জিনিসগুলো ভুলে থাকতে পেরেছি  :D

এইতো। আশা করি, বিস্তারিত কভার করতে পেরেছি। কোন সংযোজন-বিয়োজন-জিজ্ঞাসা থাকলে মন্তব্যে জানাবেন। উত্তর দেয়ার চেষ্টা করবো।

আমাদের ট্যুরে জনপ্রতি খরচ হয়েছে বাংলাদেশী টাকায় ২৯০০০ টাকা (তন্মধ্যে বিমান ভাড়া ১৭১০০ টাকা)। আরেকটু কিপটামি করতে পারলে বাজেট ২৮০০০ এ নামিয়ে আনা সম্ভব।

*** প্যারাগ্লাইডিং এবং শপিং এর খরচ এখানে অর্ন্তভুক্ত নয়।

#Happy_Travelling

42
টাঙ্গুয়ার হাওড়,  সুনামগন্ঞ্জ
(শীতকালীন পর্ব)
   আপনি যদি নিজেকে একজন প্রকৃতিপ্রেমী হিসেবে ভাবতে পছন্দ করেন তাহলে সুনামগন্ঞ্জের টাঙ্গুয়ার হাওর, নিলাদ্রী,  বড়ছরা হতে পারে আপনার জন্য অন্যতম আদর্শ জায়গা।
( পোষ্টটি বড় হলেও ভ্রমনে অনেক কাজে আসবে বলে আশা করি, তাই কষ্ট করে পড়ে ফেলুন অথবা সেভ করে রাখুন। )
   যাওয়া যাবে ঢাকা থেকে শ্যামলী পরিবহন অথবা মামুন এ করে। ( ভুলেও কোন লোকাল বাসে উঠতে যাবেন না,  কারন এতে সারাদিন লেগে যেতে পারে)  সকাল ৬ টায় ঢাকা ছাড়ে মামুন বাস। ভাড়া পরবে ৫০০ টাকা। নামিয়ে দিবে সুনামগন্ঞ্জের নতুন ব্রিজ এলাকায় , সেখান থেকে বাইকে করে তাহিরপুর বাজার হয়ে মনিপুর ঘাট (ভাড়া পরবে জনপ্রতি ১৪০ টাকা (বাইক ভাড়া) ।  যাতায়াতের জন্য অন্যান্য পরিবহন  যেমন সিএনজি, অটো ও আছে। তবে সময় লাগবে দ্বিগুনের বেশী। আপনি চাইলে তাহেরপুর বাজার থেকেও ইন্ঞ্জিন চালিত নৌকা ভাড়া করতে পারেন সেক্ষেত্রে  মনিপুর ঘাট পর্যন্ত যেতে ৪০ টাকা (বাইক ভাড়া) সেভ হলেও মুল টাংগুয়ার হাওড়ে যেতে ঘন্টা খানেক লেগে যাবে। কিন্তু যেতে যেতে নদীর দুই পারের যে দৃশ্যগুলো চোখে পরবে তা হয়ত বাইকে চড়ে উপভোগ করার নয়।
   যাই হোক, যদি ৪-৫ জনের একটা গ্রুপ হয় তাহলে ১০০০ টাকায় একটা নৌকা ভাড়া করলে খরচ অনেক কমে যাবে। হোটলে রাত্রিযাপন শেষে ( ডাবল বেড এটাচ্ বাথ ৩৫০ টাকা ) তাহেরপুর বাজারে সকালের নাস্তা করে আমরা ১০০০ টাকায় একটা মাঝারি নৌকা ভাড়া করেছিলাম বাজার ঘাট থেকে। এখানে বলে রাখা ভালো ইন্ঞ্জিন চালিত নৌকাটি কিন্তু আপনাকে ওয়াচ টাওয়ার পর্যন্ত নিয়ে যেতে পারবে,  সেখান থেকে আবার একটা মাছ ধরার ছোট নৌকা বা আপনি চাইলে বড় নৌকাও ব্যবস্থা করতে পারেন,  সেক্ষেত্রে ভাড়া বেশী পরবে। যাই হোক, আমরা একটা ছোট নৌকা ভাড়া করেছিলাম ১৭০ টাকায় ২ ঘন্টায় ঘুরিয়ে সব দেখিয়ে নিয়ে আসবে। আমাদের টার্গেট ছিল অতিথি পাখি দেখবো। মাঝির সাথে আলাপচারিতায় জানা গেল মাঘ মাসের শেষে বসন্তের শুরুতে অনেক প্রজাতির অতিথি পাখির আগমন ঘটে আর হাওড়টাও দেখতে নাকি বেশ  চমৎকার লাগে । যাই হোক, সব দেখা শেষে ফিরলাম সেই ইন্ঞ্জিন চালিত নৌকা করে, বলা ছিল আমাদের আবার নিয়ে আসবে একি ভাড়ায়। আপনারা চাইলে প্রথমদিন হোটলে থেকে পরের দিন সকালে বা চাইলে মধ্য দুপুরে হাওড়ে যাওয়ার উদ্দেশ্যে বের হতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুধুলি লগ্নে হাওড়ের দৃশ্য  চমৎকার হয়ে ধরা পড়ার সম্ভাবনা থাকতে পারে। সকালের দৃশ্যও অনেক সুন্দর।  ( বি.দ্র. তাহেরপুর থেকে হাওড়ে যেতে চাইলে ৪-৫ ঘন্টা হাতে সময়  নিয়ে বের হবেন। তাহলে মনমতো ঘুরতে পারবেন আর সেইসাথে সুন্দর সুন্দর ছবিও তুলতে পারবেন। ছবি তোলার পারফেক্ট সময় হচ্ছে সকাল ৮ থেকে ৯ টা আর বিকাল ৪টা থেকে ৫টা পর্যাপ্ত আলো থাকা স্বাপেক্ষে।)
    এখানে বলে রাখা ভালো, হাওড়ের পানি এতোই স্বচ্ছ যে আপনার গোসল করতে মন চাইবে তাই আনুসাঙ্গিক জিনিসপত্র সাথে করে নিয়ে যান আর দুপুরে হাওড়ের টাটকা চিংড়ি মাছের আইটেম খেতে চাইলে মাঝির সাথে আলাপ করে হাওড় বিলাস (ওয়াচ টাওয়ারে পাশে একটা ছোট গ্রামে অবস্হিত ছোট একটা দোকানের নাম ) নামে একটা অর্ডারি দোকানে জানিয়ে রাখুন ছোট নৌকা করে ঘুরাঘুরির পূর্বে। আমাদের দুই জনের জন্য ব্যবস্থা করেছিল চিংড়ি মাছের তরকারি,  আলু ভর্তা, ডাল। বিল ৫০০ টাকা! সদস্য বেশি হলে বাবর্চি সাথে করে নিয়ে গেলে খরচের খাতটাও কমে যাবে। সাথে হালকা খাবার নিতে ভুলবেন না। তাহেরপুর বাজার থেকে ওয়াচ টাওয়ার পর্যন্ত যেতে আমাদের লেগে গিয়েছিল দেড় ঘন্টার বেশি কিছু সময়। তবে যদি মনিপুর ঘাট থেকে যেতে চান তাহলে হয়ত আধা ঘন্টা লাগতে পারে। তবে এই মৌসুমে মাঝিরা বাজার ঘাটেই নৌকা ভিড় করিয়ে রাখে,  বর্ষা মৌষুমে তারা মনিপুর ঘাটে চলে যায়।
   যাদের পানি ভীতি আছে তারা অবশ্যই লাইফ জ্যাকেট সাথে করে নিয়ে যাবেন। না হলে ভ্রমনে অস্হিরতা আসতে পারে। যদি সাথে নিয়ে না আসতে পারেন চিন্তার কিছু নেই,  তাহেরপুর বাজার থেকেও কিনতে পারবেন। এখানে যখন ঘুরতে আসবেন, চেষ্টা করবেন জোড় সংখ্যক সদস্য নিয়ে আসার। কারন বাইকে দুইজন করে চলা যায়। আর সান গ্লাস পড়ে নিতে ভুলবেন না,  কারন রাস্তাঘাটের খুবই লাজুক।
    এই ছিল টাংগুয়ার হাওড়ে ঘুরাঘুরির আদ্যপান্ত বিবরন। এইখানে কোন বাইক চালক কিংবা মাঝির নাম্বার দেইনি, কারন আপনি তাদের এভেলএবেল দেখতে পাবেন।  ভাড়া এখানে আমি যা দিয়েছি তা সম্প্রীতি। তারপরও আপনারা কিছু দামাদামি করে নিতে পারেন।
   এবার আসুন আমার অভিজ্ঞতার আলোকে একটা টুর প্ল্যান নি আলোচনা করি।
  ------ --------- ----------- ------------- -------------- ----
Tour Plan : A ( only for tanguar haor)
member : 5 persons
(1 day & 2 nights : 1 night for coming & 1 night for going )
cost : 1780 taka ( 500*2 = 1000 (bus rent) +200 (Bike rent) + 300 ( lunch+dinner) +280 (boat rent)+ 200 (others)
  --------- ----------- ----------- ---------- ------------- -------
    সবচেয়ে ভালো হবে যদি ঢাকা থেকে রাত্রে রওনা  দেওয়া যায়। তাহলে খুব সকালের মধ্যেই সুনামগন্ঞ্জে পৌঁছে যেতে পারবেন। সাধারনত ৬ ঘন্টা লাগে ঢাকা থেকে সুনামগঞ্জে পৌঁছাতে। সেই হিসেব করেই রাত্রে ১২ টায় রওনা দিবেন। আগেই মামুন অথবা শ্যামলী পরিবহনে ফোনে আলাপ করে জেনে নিন ঢাকা /সুনামগঞ্জ থেকে বাস ছাড়ার সময়সূচীগুলো।  আসার পূর্বে অবশ্যই শীতের পোশাক সাথে নিয়ে নিবেন, বিশেষ করে মাফলার আর কান টুপি নিতে ভুল করবেন না।
   মনে করলাম খুব সকাল সকাল সুনামগঞ্জে পৌঁছে গেলেন। বাস থেকে নামার পরপরই নাস্তা করে ফেলেন। ধরুন, সকাল ৭ টার মধ্যে  নাস্তা করে রওনা দিবেন তাহেরপুর বাজারের উদ্দেশ্যে নতুন ব্রীজ এলাকা থেকে বাইকে করে, সেখানে বাইক না পেলে নতুন ব্রীজ পার হবেন অটোতে করে। ভাড়া পড়বে ১০-১৫ টাকা জনপ্রতি। তবে কিছুক্ষন নতুন ব্রীজ এলাকায় দাড়িয়ে থাকলেই দেখবেন বাইক নিয়ে কিছু লোক আপনার সামনে হাজির হয়ে গেছে। ভাড়া পড়বে জনপ্রতি ১০০ টাকা করে।
    সাধারনত ঘন্টা খানেক লাগবে তাহেরপুর বাজারে পৌঁছাতে। যেতে যেতেই দেখবেন মেঘালয়ের পাহাড়গুলো পুরোটা সময় জুড়েই (হাতের ডানদিকে) আপনার ভ্রমনের সংঙ্গী হয়ে থাকবে, এমন দৃশ্য দেখলেই কষ্ট করে এখানে আসাটা স্বার্থক বলে মনে হবে আপনার। যতই এগুতে থাকবেন, পাহাড়গুলো ততই স্পষ্ট হতে থাকবে। পাহাড়গুলোর হাতছানি আপনার ভ্রমনকে করে তুলবে আরো মাতোয়ারা।
     ধরে নিলাম সকাল ৮ টার মধ্যেই তাহেরপুরে পৌঁছে গেলেন।  এবার সদস্য সংখ্যার ওপর ভিত্তি করে সরোজমিনে গিয়ে দেখেশুনে ভালো একটা নৌকা ভাড়া করুন। সকাল সাড়ে নয়টার মধ্যে ওয়াচ টাওয়ারে পৌঁছে কিছুক্ষন যাত্রা বিরতি দিয়ে ওইখান থেকে আরেকটা নৌকা ভাড়া করেন ৩ ঘন্টার জন্য,  মাঝ হাওড়ে যেতে ১ ঘন্টা, আসতে ১ ঘন্টা,  আর আধা ঘন্টা থেকে ১ ঘন্টা রাখবেন ঘুরে ঘুরে রঙ বেরঙের অতিথি পাখি দেখার জন্য। সাথে একটা ছাতা রাখতে পারলে ফলাফল দেখতে পাবেন সরাসরি,  বলছি এই কারনে যে আপনি যখন মাঝ হাওড়ে থাকবেন সুর্যমামা থাকবে তখন মাথার ওপরে।
   এবার মনে করলাম বেলা ১টা পর্যন্ত ঘুরাঘুরি শেষে তাহেরপুরের উদ্দেশ্যে রওনা দিলেন,  আসতে আসতে  ২ টা বেজে যেতে পারে শুধু ওয়াচ টাওয়ারের এখানেই আসতে। দুপুরের খাওয়াটা এইখানেই সেরে ফেলেন হাওড় বিলাস থেকে। হাওড়ে ঘুরতে যাওয়ার আগেই অর্ডার করে যাবেন। খাওয়া দাওয়া শেষে রওনা দিয়ে তাহেরপুরে আসতে আসতে সাড়ে ৪ টা বেজে যেতে পারে। সেখান থেকে বাইকযোগে সুনামগঞ্জ পুরাতন বাস টার্মিনালে আসতে আসতে লাগবে ৫ টা বেজে যাবে। এবার বাসের টিকিট কনফার্ম করে ঘুরে আসতে পারেন হাসান রাজার বাড়ি থেকে ( যদি সম্ভব হয়)। এবার রাতের বাসে করে ফিরে চলুন নিজ গন্তব্যেরর উদ্দেশ্যে।
     এবার আসি টুর প্ল্যান বি এর ব্যাপারে আলাপ করতে। যদি ঢাকা বেক না করে একটি রাত তাহেরপুর বাজারে কাটিয়ে দিতে পারেন তাহলে আপনার জন্য থাকছে মেঘালয় পাহাড়ের ডাকে সাড়া দেওয়ার অপূর্ব সুযোগ।
  -------  -------- --------- ---------- ---------- ----------- -----
      Tour plan : B ( Tanguar Haur, Borchora, Niladri & Barika tila)
  ( 3 nights & 2 day including coming & going)
       Member : 6 persons
       Cost : 2580 taka (per person)= Tour Plan A cost 1780 taka + 200 (hotel rent per person) + 300 (bike rent) + 100 ( lunch) +200 (others)
  -------  --------  --------- --------- ---------- ---------- -------
     টুর প্ল্যান এ এর টাঙ্গুয়ার হাওড় ঘুরে ওইদিনের জন্য তাহেরপুরে থেকে যেতে পারেন, থাকতে পারেন শাহাজালাল হোটেলে। অথবা বিকেলেই আধা ঘন্টার মধ্যেই চলে যেতে পারেন বাদাঘাটে। থাকতে পারেন সেখানে অবস্হিত আল মদিনা হোটেলে ( সুন্দর পরিবেশের ২০ টা ডাবল রুমের হোটেল)। এইক্ষেত্রে একটা সুবিধা হবে পরেরদিন সময় নিয়ে ঘুরতে পারবেন। সকালের নাস্তা সেরে ৯ টার দিকে রওনা দিবেন যদি তাহেরপুর থেকে আসেন। কারন বাদাঘাট হয়ে বড়ছড়া পৌঁছাতে দেড় ঘন্টার মতো লেগে যাবে। বাইক ভাড়া ১৫০ টাকা তাহেরপুর থেকে আর ১০০ টাকা  বাদাঘাট থেকে। উল্লেক্ষ্য তাহেরপুর থেকে বাদাঘাটে আসার জন্য বাইক ছাড়া অন্য কোন বাহন পাবেন না,  পেলেও অনেক পথ ঘুরে আসতে হবে। আর বাদাঘাট থেকে সকাল ১০ টায় রওনা দিতে পারেন। ধরে নিলাম বড়ছড়া ( টেকেরঘাট) , নিলাদ্রী ঘুরাঘুরি করলেন বেলা ২ টা পর্যন্ত। টেকেরঘাটে দুপুরের খাবার শেষে বারিকাটিলার উদ্দেশ্যে রওনা দিবেন।  যেতে যেতে  সাড়ে তিনটা থেকে চারটা বেজে যেতে পারে। এখানে বাইক এমনভাবে ঠিক করবেন যেন চালক বারিকাটিলা ঘুরিয়ে সরাসরি পুরাতন বাস টার্মিনালে দিয়ে আসবে। টেকেরঘাট বাইক ভাড়া ১৫০ টাকার মতো পরতে পারে জনপ্রতি। পড়ন্ত বিকেলে বারিকটিলার ওপর থেকে মেঘালয় পাহাড় আর জাদুকাটা নদী  দেখতে যে কতো ভালো লাগে তা নিজের চোখে না দেখলে অনুধাবন করতে পারবেন না।
    এই হলো টোটাল টুরের আদ্যপ্রান্ত। বিস্তারিত আরও লিখতে চাইলেও লিখতে পারলাম না বলে আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত ও লজ্জিত। তবে কারো কোন জিঞ্জাসা থাকলে আমাকে ইনবক্ম করতে পারেন।
 
বি.দ্র.  ঘুরাঘুরির সময় খাবারের উষিষ্ট যেখানে সেখানে ফেলে পরিবেশ নষ্ট করবেন না দয়া করে।

43
Faculty Sections / What Causes Water Retention and How to Avoid It
« on: April 22, 2017, 03:12:13 PM »
Swellings in the hands, feet, and legs are a result of water retention, or otherwise known as edema. Edema is manifested by the buildup of fluids in the tissues, circulatory system, and cavities.
most common reasons for water retention include premenstrual syndrome, physical inactivity, sedentary lifestyle, pregnancy, and use of certain medications.

Swellings often occur during a long flight as well. Edema is most often not serious, but at times, it can indicate a kidney disease or heart failure. Due to this, you should always find a way to treat edema.

These are the main reasons for water retention and ways to treat it:

Excessive Consumption of Processed Foods
Processed foods are loaded with sugar and sodium, which is one of the main causes of edema. They are also rich artificial food additives which have toxic nature, and thus put a load on the kidneys and the liver. Foods high in sugar lead to insulin spikes and high blood sugar.

Excessive Sodium Intake
In case you consume foods rich in sodium and do not drink enough water, the body will start using the reserves, leading to edema. With the help of water, the human cells can expand up to 20 times.

Sodium is also added to processed meat, canned vegetables, condiments, etc. You should avoid table salt and start using Celtic and Himalayan sea salt.

Dehydration
Dehydration occurs when a person does not drink sufficient amounts of water. In this case, the body retains water to survive, and this causes swellings in the body. Remember to avoid coffee and soda drinks, and drink more water.

Vitamin B6 deficiency
The lack of vitamin B6 in the body often causes water retention.

The Journal of Caring Sciences published a study which involved women who experienced water retention due to premenstrual syndrome. The intake of vitamin B6 daily improved their condition.

Since it is water-soluble, it is best to consume it in the form of whole foods. Foods rich in it include tuna, sunflower seeds, pistachio nuts, potatoes with skin, dried fruits, chicken, lean beef, turkey, and bananas.

Magnesium Deficiency
Edema is often caused by the lack of magnesium in the body, which is an essential mineral for numerous bodily functions. Researchers have found that the daily dose of 200 milligrams can reduce water retention in women with premenstrual symptoms.

Therefore, make sure you consume more magnesium- rich foods, like nuts, whole grains, dried fruits, peas, spinach, dark green veggies, dark chocolate, and avocados.

Potassium deficiency
Potassium is vital for the proper function of cells, tissues, and organs in the body, and it regulates the water balance. If you consume high amounts of salt and not enough foods rich in potassium, you will experience edema.

Potassium reduces water retention as it reduces the sodium levels. Rockmelons, watermelons, and honey melons are especially rich in it.

The following plants have potent diuretic properties and thus effectively reduce water retention:

Garlic
Nettle
Hibiscus
Horsetail
Dandelion
Parsley
Fennel
Corn silk

Reference :
http://www.healthyfoodhouse.com/causes-water-retention-avoid/?utm_source=Vicky&utm_medium=Vicky&utm_campaign=US123

44
ড্রাইভিং লাইসেন্সের পূর্বশর্ত হলো লার্নার বা শিক্ষানবিশ ড্রাইভিং লাইসেন্স। গ্রাহককে প্রথমে লার্নার বা শিক্ষানবিশ ড্রাইভিং লাইসেন্স-এর জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ আবেদন করতে হবে।
লার্নার ড্রাইভিং লাইসেন্স কিভাবে পাবেন?
১/ প্রথমে লাইসেন্স প্রত্যাশীকে তার স্থায়ী ঠিকানা বা বর্তমান ঠিকানা (প্রয়োজনীয় প্রমাণাদিসহ) বিআরটিএ’র যে সার্কেলের আওতাভূক্ত তাকে সেই সার্কেল অফিসে আবেদন করতে হবে। সার্কেল অফিস কর্তৃপক্ষ তাকে একটি শিক্ষানবিস বা লার্নার ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রদান করবে যা দিয়ে আবেদনকারী ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ গ্রহণ করতে পারবে।
২/৩ মাস প্রশিক্ষণ গ্রহণের পর তাকে নির্ধারিত তারিখ ও সময়ে নির্ধারিত কেন্দ্রে লিখিত, মৌখিক ও ফিল্ড টেস্ট-এ অংশ গ্রহণ করতে হবে। এসময় প্রার্থীকে তার লার্নার বা শিক্ষানবিশ ড্রাইভিং লাইসেন্স (মূল কপি) ও লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য কলম সাথে আনতে হবে।
লাইসেন্স প্রাপ্তির বয়সসীমাঃ অপেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রাপ্তির জন্য ন্যূনতম ১৮ বছর এবং পেশাদার ন্যূনতম ২০ বছর বয়স্ক ব্যক্তি আবেদন করতে পারবেন।
 
লার্নার বা শিক্ষানবিশ ড্রাইভিং লাইসেন্স এর জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র:
১। নির্ধারিত ফরমে আবেদন।
২। রেজিষ্টার্ড ডাক্তার কর্তৃক মেডিকেল সার্টিফিকেট।
৩। ন্যাশনাল আইডি কার্ড / জন্ম সনদ/পাসপোর্ট এর সত্যায়িত ফটোকপি।
৪। নির্ধারিত ফী, ১ ক্যাটাগরি-৩৪৫/-টাকা ও ২ ক্যাটাগরি-৫১৮/-টাকা বিআরটিএ’র নির্ধারিত ব্যাংকে (ব্যাংক এর তালিকা www.brta.gov.bd –তে পাওয়া যাবে) জমাদানের রশিদ।
৫। সদ্য তোলা ০৩ কপি স্ট্যাম্প ও ০১ কপি পাসপোর্ট সাইজ ছবি।
লার্নার ড্রাইভিং লাইসেন্স ফী:
(ক) ০১ (এক) ক্যাটাগরি-৩৪৫/-টাকা (শুধু মোটরসাইকেল অথবা শুধু হালকা মোটরযান অর্থাৎ যে কোনো এক ধরণের মোটরযান)
(খ) ০২ (দুই) ক্যাটাগরি-৫১৮/-টাকা  (মোটরসাইকেল এবং হালকা মোটরযান একসাথে অর্থাৎ মোটরসাইকেলের সাথে যে কোনো এক ধরণের মোটরযান)
 
স্মার্টকার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্স পেতে কি করবেন?
লিখিত, মৌখিক ও ফিল্ড টেস্ট পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর পুনরায় একটি নির্ধারিত ফরমে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও ফী প্রদান করে স্মার্টকার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্স-এর জন্য সংশ্লিষ্ট সার্কেল অফিসে আবেদন করতে হবে। গ্রাহকের বায়োমেট্রিক্স (ডিজিটাল ছবি, ডিজিটাল স্বাক্ষর ও আঙ্গুলের ছাপ) গ্রহণপূর্বক স্মার্ট কার্ড ইস্যু করা হয়। স্মার্ট কার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রিন্টিং সম্পন্ন হলে গ্রাহককে এসএমএস এর মাধ্যমে তা গ্রহণের বিষয়টি জানিয়ে দেয়া হয়।
স্মার্টকার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্সের আবেদন করার পর বিআরটিএ একটি প্রাপ্তি রিসিট গ্রাহককে দিবে। যা স্মার্টকার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্স না পাওয়া পর্যন্ত ঐ স্লিপটি ড্রাইভিং লাইসেন্স হিসেবে গণ্য করা হয়।
 
স্মার্টকার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্স–এর জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র:
১। নির্ধারিত ফরমে আবেদন।
২। রেজিষ্টার্ড ডাক্তার কর্তৃক মেডিকেল সার্টিফিকেট।
৩। ন্যাশনাল আইডি কার্ড / জন্ম সনদ/পাসপোর্ট এর সত্যায়িত ফটোকপি।
৪। নির্ধারিত ফী (পেশাদার- ১৬৮০/-টাকা ও অপেশাদার- ২৫৪২/-টাকা) বিআরটিএ’র নির্ধারিত ব্যাংকে জমাদানের রশিদ।
৫। পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স-এর জন্য পুলিশি তদন্ত প্রতিবেদন।
৬। সদ্য তোলা ১ কপি পাসপোর্ট সাইজ ছবি।
ড্রাইভিং লাইসেন্স ফি
স্মার্ট কার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্স ফী :
(ক) পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স ফী – ১৬৮০/-টাকা (০৫ বছরের নবায়ন ফীসহ)
(খ) অপেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স ফী – ২৫৪২/-টাকা (১০ বছরের নবায়ন ফীসহ)
 
পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্সের প্রকৃতিঃ
(১) পেশাদার হালকা: (মোটরযানের ওজন ২৫০০কেজি-এর নিচে) ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য প্রার্থীর বয়স কমপক্ষে ২০ বছর হতে হবে।
(২) পেশাদার মধ্যম:(মোটরযানের ওজন ২৫০০ থেকে ৬৫০০ কেজি) ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য প্রার্থীর বয়স কমপক্ষে ২৩ বছর হতে হবে এবং পেশাদার হালকা ড্রাইভিং লাইসেন্সের ব্যবহার কমপক্ষে ০৩ বছর হতে হবে।
(৩) পেশাদার ভারী: (মোটরযানের ওজন ৬৫০০ কেজির বেশী) ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য প্রার্থীর বয়স কমপক্ষে ২৬ বছর হতে হবে এবং পেশাদার মধ্যম ড্রাইভিং লাইসেন্সের ব্যবহার কমপক্ষে ০৩ বছর হতে হবে।
 
[বি:দ্র: পেশাদার ভারী ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রাপ্তির জন্য প্রার্থীকে প্রথমে হালকা ড্রাইভিং লাইসেন্স নিতে হবে এর ন্যূনতম তিন বছর পর তিনি পেশাদার মিডিয়াম ড্রাইভিং লাইসেন্স-এর জন্য আবেদন করতে পারবেন এবং মিডিয়াম ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়ার কমপক্ষে ০৩ (তিন) বছর পর ভারী ড্রাইভিং লাইসেন্স-এর জন্য আবেদন করতে পারবেন। ]

45

বাইক চুরি প্রতিরোধের দুর্দান্ত টিপস 0
BY NEWSDESK ON APRIL 20, 2017 রিভিউ-টিপস
আপনি কি নতুন বাইক কিনেছেন অথবা আপনার খুব শখে কেনা প্রিয় বাইকটি চুরি হবার ভয়ে ভুগছেন? বাইক চুরি হবার ব্যাপারটা আজকাল অনেক প্রচলিত একটা ব্যাপার। অনেক মানুষই বিভিন্নভাবে তাঁদের প্রিয় বাইক হারিয়ে বোকার মত আফসোস ছাড়া আর কিছুই করতে পারেনি।

কিন্তু, সময়মত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করলে আপনার মূল্যবান বাইকটি কোন চোরের খপ্পর হতে রক্ষা করতে পারেন।

আসুন তবে, দেখে নেই বাইক চুরি প্রতিরোধে ২৮টি দুর্দান্ত টিপস –

১। আপনি আপনার বাইকে ডিস্ক লক প্রযুক্তি ব্যবহার করতে পারেন। তবে অবশ্যই ভালো এবং নির্ভরযোগ্য ব্র্যান্ডের ডিস্ক লক ব্যবহার করবেন। যদিও অনেক সময় চোরেরা বাইক স্টার্ট করে জোরে টান দিয়ে ডিস্ক লক ভেঙ্গে ফেলতে পারে তাই দেখে শুনে বড় মাপের ডিস্ক লক ব্যবহার করবেন।

২। কোথাও ঘুরতে গেলে ডিস্ক লক ছাড়াও এক্সট্রা টায়ার হোল্ড লক ব্যবহার করতে পারেন। বেশি নির্জন জায়গায় কখনো বাইক ফেলে রাখবেন না অথবা রাস্তার পাশে বাইক রেখে কোথাও যাবেন না।

অনেককেই দেখেছি রাস্তার পাশে বাইক রেখে হয়তো রাস্তা থেকে দূরে কোথাও নিশ্চিন্ত মনে চলে যায়। কিন্তু, একবার ভেবে দেখুন এতে করে চোর নিজের বাইক বলে পরিচয় দিয়ে এমন কি চাবি হারিয়ে গেছে বলে ভ্যান কিংবা যেকোনো ভাবেই আপনার বাইক নিয়ে হাওয়া হয়ে যেতে পারে তাই এ ব্যাপারে সতর্ক থাকুন।

৩। আপনি আপনার বাইকে টাচ সেন্সর সমৃদ্ধ আধুনিক সিকিউরিটি এলার্ম ব্যবহার করতে পারেন। এ ধরণের ডিভাইস আপনাকে অনেক উঁচু মানের সুরক্ষা দিতে পারবে।

৪। আপনি যেকোনো বাইক মেরামত অথবা যন্ত্রাংশ বিক্রি করে যেসব দোকান সেগুলো থেকে ভালো মানের ইঞ্জিন কিল সুইচ ব্যবহার করতে পারেন। এর ফলে, আপনি ছাড়া আর কেও চাবি দিয়ে ইঞ্জিন স্টার্ট করতে পারবে না তবে অবশ্যই ছোট সাইজের সুইচ ব্যবহার করবেন এবং এমন জায়গায় সেটা লুকিয়ে রাখুন বাইকের মাঝে যেন কেও বুঝতে না পারে।

৫। কিছু অতিরিক্ত টাকা খরচ করে যদি আপনি একটি জিপিএস ট্র‍্যাকার লাগিয়ে নিতে পারেন তবে এর চাইতে ভালো সুবিধা মনে হয় আর কিছুই হবেনা।

৬। যতটা আড়ালে সম্ভবপর হয় জিপিএস ট্র্যাকার টি লুকিয়ে রাখুন।

৭। সবসময় চেষ্টা করুন লোক সমাগম বেশি এরকম জায়গায় আপনার বাইক পার্ক করে রাখার জন্য। কোথাও দীর্ঘক্ষণ কাজ করার থাকলে আশেপাশে কাছে এটিএম বুথ থাকলে কিংবা হাসপাতাল অথবা এমন জায়গা যেখানে সার্বক্ষণিক সিসি-ক্যামেরা সচল আছে এমন জায়গায় রাখার চেষ্টা করুন।

আপনার অফিসের মাঝে পার্কের জায়গা না থাকলে আশেপাশের দোকানের সামনে অথবা কোন শপিং মলের সামনে পার্ক করে রাখুন এবং আশেপাশে যারা নিরাপত্তার কাজে থাকে তাঁদের কে আপনি কিছু টাকা বকশিশ দিতে পারেন। এতে করে তারা খুশি হয়ে আপনার বাইকের ওপর নজর রাখবে অথবা আশেপাশের পরিচিত দোকানদারকেও বলে রাখতে পারেন।

৮। ভালো কোম্পানির গ্রিপ লক ব্যবহার করুন। পারলে বাইকের উভয় চাকার সাথেই এক্সট্রা লক ব্যবহার করতে পারেন।

৯। রেস্টুরেন্টের সামনে বাইক রেখে ভেতরে গেলে এমন জায়গায় বসুন যেখান থেকে আপনি আপনার বাইকের প্রতি নজর রাখতে পারবেন।

১০। আপনি বাইকের মাঝে থাকা তেলের লক মানে অয়েল লক এর জন্য ও চাবি বানিয়ে এটি ব্যবহার করতে পারেন।

১১। আপনি আপনার বাইকটিকে একদম আলাদা ভাবে কাস্টমাইজড করে আলাদা গ্রাফিক্স স্টিকার ব্যবহার করে একটু আকর্ষণীয়তার পাশাপাশি আলাদা রকম লুক এনে দিবে।

১২। বাইকের চাবি দেবার ব্যাপারে সতর্ক হোন। যাকে তাকে ইচ্ছেমত চাবি দিয়ে দিবেন না। এতে করে যে কেও আপনার চাবির ছাপ রেখে নকল করে বাইকটি নিয়ে যেতে পারবে।

১৩। রাতের বেলা কিংবা হাইওয়ে রাইড হলে আপনার সাথে কাওকে রাখুন এবং যে পারদর্শী এতে করে একজন সঙ্গীর পাশাপাশি আপনি অনেক ঝামেলা থেকে সেইফ থাকবেন।

১৪। রাতে বেশি রাইড করতে হলে সবসময় বাইকের মাঝে আলোর ব্যবস্থা পর্যাপ্ত পরিমাণ রাখবেন। ভালো কোম্পানির ফগ লাইট ব্যবহারের পাশাপাশি কাস্টমাইজড করা এলিডি লাইট ব্যবহার করতে পারেন।

১৫। রাস্তায় একা রাইডিং এর সময় অপরিচিত কেও দাঁড়াতে বললে বর্তমান পরিস্থিতি অনুযায়ী না দাঁড়ানোটাই শ্রেয়। কারণ এতে করে আপনি ছিনতাইকারীর কবলে পরতে পারেন। তাই সতর্ক থাকুন।

১৬। রাতের বেলা কখনো অপরিচিত কাওকে ভুল করেও লিফট দিতে যাবেন না।

১৭। বাইকের টায়ারে লিক প্রুফ জেল ব্যবহার করুন এতে করে রাস্তায় যদি ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে কেও পেরেক রেখে দেয় তবে কোন ক্ষতি করতে পারবে না।

১৮। দূরের যাত্রা কিংবা সম্ভব হলে সবসময় এবং বিশেষ করে রাতের বেলা রাইডিং এর সময় ফুল ফেস হেলমেটের পাশাপাশি বডি আর্মর পরে বাইক রাইডিং করাটাই ভালো এতে করে কেও আঘাত করলে বাইক নেবার জন্য আপনি ক্ষতিগ্রস্ত হবার আশংকা অনেকটাই কম থাকবে।

১৯। আপনি জানেন কিনা জানিনা অনেক সময় ছিনতাইকারীরা অনেক ধরণের কৌশল ব্যবহার করে বাইক চুরির জন্য।

রাস্তার মাঝে হুট করে বাইকার কে লক্ষ্য করে কিছু একটা ছুঁড়ে মারে কিংবা গালি দেয় তখন আপনি দাড়িয়ে গেলেই আপনার বাইকটি তারা ছিনিয়ে নিতে পারবে অনেক সহজেই। তাই এমন পরিস্থিতিতে না দাড়িয়ে দ্রুত সরে পড়ুন।

২০। নির্জন জায়গায় আশেপাশে কোন শব্দ কিংবা কোন ধরণের কোন চিৎকার শুনে ভুল করেও দাঁড়াবেন না বিপদ হতেও পারে।

২১। দূর ভ্রমণের সময় সাথে করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নাম্বার সাথেই রাখুন ।

২২। ভালো মানের লুকিং গ্লাস ব্যবহার করুন এতে করে আপনার পেছনে কেও আপনাকে ফলো করলে আপনি ভালো করে সেটা স্পষ্ট দেখতে পাবেন।

২৩। হাইওয়ের মাঝে কোন বাসের পিছু পিছু যান। বিপদে পরলে সহায়তা পাবেন।

২৪। রাস্তার মাঝে এক্সিডেন্ট ভেবে দাঁড়াতে যাবেন না কারণ অনেকসময় এরকম ফাঁদ ও ব্যবহার করে হয় ।

২৫। দূরের পথে অবশ্যই চেক করুন পর্যাপ্ত পরিমাণ তেল ফুরিয়ে নিয়েছেন কিনা আপনার বাইকের মাঝে ।

২৬। খুব প্রয়োজনীয় টুল কিট গুলো আপনার বাইকের টুল বক্স এ রাখুন ।

২৭। অপরিচিত কেও টেস্ট রাইড চাইলে সরাসরি না করুন ।

২৮। ভ্রমণের পথে কোথাও থেমে কিছু খেতে হলে খুব সাবধানে খাবেন।

আজ আর কথা না বাড়িয়ে শুধু এটুকু বলতে চাই, নিজের সাবধানতা নিজের কাছে। তাই যেকোনো প্রকার বিব্রতকর পরিস্থিতির উদয় হবার আগেই নিজেকে রাখুন সুরক্ষিত। প্রয়োজনীয় সেফ গার্ড পোশাক পরে বাইক রাইড করুন।

মনে রাখবেন, বাইক থেকেও আপনার জীবনের মূল্য বেশি। ছিনতাইয়ের কবলে পরলে বাইকের আশা না করে সেখান থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে রাখার চেষ্টাটাই সবার আগে করুন। বিপদে পড়ার সাথে সাথে থানায় জিডি করুন এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দ্বারা যথাযথ ব্যবস্থা নিন।

Pages: 1 2 [3] 4