(http://www.myhdiet.com/healthnews/wp-content/uploads/2016/01/Heart-Health-is-Of-Course-Essential%E2%80%A6But-How-Do-You-Maintain-a-Healthy-Heart.jpg)
প্রতিদিন ৭ ঘণ্টা ঘুমানোর অভ্যাস করলে হৃৎপিণ্ড সুস্থ সবল থাকবে। এতে কমবে হৃদরোগের ঝুঁকি। যুক্তরাষ্ট্রের জর্জিয়ার এমোরি ইউনিভার্সিটির করা গবেষণায় এমন ফলই পাওয়া গেছে। গবেষণায় দেখা যায়, প্রকৃত বয়সের তুলনায় হৃদযন্ত্রের ক্ষয় তাদেরই সবচেয়ে কম যারা রাতে টানা ৭ ঘণ্টা ঘুমান নিয়মিত।
৭ ঘণ্টার কম কিংবা বেশি ঘুমানো হৃদযন্ত্রের বয়সজনিত ক্ষয় বাড়ায় বা হৃদযন্ত্রের বয়স বাড়ায়। এদের মধ্যে যারা কম ঘুমান তাদের হৃদযন্ত্রের ওপর বয়সের প্রভাব সবচেয়ে বেশি। ঘুমের সময় আর দ্রুত হৃদস্পন্দন একসঙ্গে মিলিয়ে তুলনা করলে হৃদরোগের ঝুঁকির সঙ্গে ঘুমের সময়ের সম্পর্ক পাওয়া যাবে।
যুক্তরাষ্ট্রের জর্জিয়ার এমোরি ইউনিভার্সিটির জুলিয়া ডারমার বলেন, এ গবেষণার গুরুত্বপূর্ণ কারণ হৃদরোগের ঝুঁকি পরিমাপ করতে ঘুমের পরিমাণ একটি মাপকাঠি হিসেবে কাজ করছে। ‘স্লিপ’ জার্নালে প্রকাশিত গবেষণাটির জন্য ৩০ থেকে ৭৪ বছর বয়সি ১২ হাজার ৭৭৫ জনকে পর্যবেক্ষণ করা হয়।
অংশগ্রহণকারীরা তাদের ঘুমের সময় জানান গবেষকদের, যাকে পাঁচটি শ্রেণিতে ভাগ করা হয়। ৫ ঘণ্টা বা তার কম, ৬ ঘণ্টা, ৭ ঘণ্টা, ৮ ঘণ্টা এবং ৯ ঘণ্টা বা তারও বেশি। লিঙ্গভিত্তিক ‘ফ্রামিংহাম হার্ট এইজ অ্যালগরিদম’ ব্যবহার করে গবেষকরা প্রত্যেক অংশগ্রহণকারীর হৃদযন্ত্রের বয়স বের করেন। পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষা করে ঘুমের পরিমাণ ও হৃদরোগের মধ্যে সম্পর্ক খুঁজে বের করার চেষ্টা করেন। গড় ফল, প্রতি ২৪ ঘণ্টায় যারা ৭ ঘণ্টা ঘুমান তাদের হৃদযন্ত্রের বয়স সবচেয়ে কম।
যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল স্লিপ ফাউন্ডেশনের মতে, ‘যারা পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমান না তাদের হৃদরোগ হওয়ার আশঙ্কা বেশি। এরসঙ্গে তাদের বয়স, ওজন কিংবা ধুমপানের অভ্যাস আছে কি না তার কোনো সম্পর্ক নেই।
Source:http://www.alokitobangladesh.com