Show Posts

This section allows you to view all posts made by this member. Note that you can only see posts made in areas you currently have access to.


Topics - Jannatul Ferdous

Pages: 1 2 [3] 4 5 ... 8
31
দিনের বড় একটা অংশ কর্মজীবীদের অফিসে কাটাতে হয়। সে কারণে সতেজ থাকাটা জরুরি। অফিসের কাজের চাপ মানসিক চাপ বাড়ায়। অতিরিক্ত মানসিক চাপের ফলে অফিসে যেমন কাজে মন দেওয়া কঠিন হয়ে পড়ে, ঠিক তেমনি বাড়ি ফিরেও অন্য কোনো কাজে মন দেওয়া সম্ভব হয় না। এতে কাজের ক্ষতি হয়। শরীরেও এর প্রভাব পড়ে।
ক্লান্তি-অবসন্নতার কারণে কাজে মনোযোগ দেওয়া অসম্ভব হয়ে পড়ে, কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রেও ঝামেলা হয়ে যায়। সে কারণে কর্মক্ষেত্রে সতেজ থাকাটা জরুরি।
কিছু নিয়ম মেনে চললে এই ক্লান্তি-অবসন্নতা কাটিয়ে ওঠা সম্ভব। দেখে নেওয়া যাক সেগুলো—
রাতের বেলা সময়মতো ঘুমানোটা অনেক বেশি জরুরি। ছয় থেকে আট ঘণ্টা ঘুমালে সকালে উঠে সতেজ ভাব কাজ করবে এবং কর্মক্ষেত্রেও ক্লান্তি কাজ করবে না। প্রতি রাতেই একই সময় ঘুমিয়ে সকালে একই সময়ে উঠে পড়ার অভ্যাস করুন। ঘুমের পরিবেশটা নিরিবিলি কি না, তা নিশ্চিত করুন।
প্রতিদিন সকালে ভালোভাবে ভারী নাশতা করুন। অনেক সময় অনেকে তাড়াহুড়া করে সকালের খাবার খেতে ভুলে যান। কিন্তু এটা শরীরের জন্য ক্ষতিকর। সকালে ভালোভাবে খাবার খেলে সহজে ক্লান্ত হবেন না।
দুপুরে যতটা সম্ভব হালকা খাবার খান। দুপুরে অনেকেই ভারী খাবার খেয়ে থাকেন; ফলে ক্লান্তি কাজ করে এবং কাজে মন দেওয়া সম্ভব হয় না।
বারবার খাওয়ার অভ্যাস করুন। অর্থাৎ কাজের ফাঁকে ফলমূল, বাদাম অথবা সবজি খাওয়া যেতে পারে।
অফিসে চা-কফি পান করুন। কিন্তু অতিরিক্ত মাত্রায় নয়, অর্থাৎ তিন কাপের বেশি নয়। কারণ, কফিতে অতিরিক্ত ক্যাফেইন থাকে, যা শরীরের জন্য ক্ষতিকর।
শরীরের ওজন কমিয়ে ফেলুন। অতিরিক্ত ওজন ক্লান্তি-অবসন্নতার মূল কারণ হয়ে যায়। শরীরের ওজন কম থাকলে এমনিতেই ফুরফুরে থাকবেন।
অফিসে একটানা বসে কাজ করবেন না। কাজের ফাঁকে ফাঁকে মাঝেমধ্যে ব্যায়াম করুন, উঠে হাঁটাহাঁটি করুন।
অফিসে অনেকক্ষণ কাজ করার ফলে অনেক বেশি ক্লান্ত লাগলে কিছুক্ষণের জন্য ঘুমিয়ে নেওয়া যেতে পারে। ১৫-২০ মিনিটের জন্য ঘুমিয়ে নিলে ক্লান্তি কাটিয়ে ওঠা যায়।
প্রতিটা কাজ করার আগে একটা পরিকল্পনা রাখা উচিত। কোন কাজটা আগে করা হবে, কোন কাজটা পরে করা হবে, এভাবে পরিকল্পনামাফিক গুছিয়ে নিলে চাপ কম পড়ে।
কর্মক্ষেত্রে প্রচুর পরিমাণে পানি করুন। সূত্র: উইকি হাউ
* রাতের বেলা সময়মতো ঘুমানোটা অনেক বেশি জরুরি। ছয় থেকে আট ঘণ্টা ঘুমালে সকালে উঠে সতেজ ভাব কাজ করবে এবং কর্মক্ষেত্রেও ক্লান্তি কাজ করবে না। প্রতি রাতেই একই সময় ঘুমিয়ে সকালে একই সময়ে উঠে পড়ার অভ্যাস করুন
* প্রতিদিন সকালে ভালোভাবে ভারী নাশতা করুন। অনেক সময় অনেকে তাড়াহুড়া করে সকালের খাবার খেতে ভুলে যান। কিন্তু এটা শরীরের জন্য ক্ষতিকর। সকালে ভালোভাবে খাবার খেলে সহজে ক্লান্ত হবেন না

32
Children / সন্তান যাচ্ছে দূরে...
« on: August 31, 2016, 10:09:59 AM »
শামীম সাহেব থাকেন উত্তরবঙ্গের একটি জেলায়। তাঁর বড় ছেলে নাদিম। বছর দুয়েক হলো পড়ছে ঢাকার একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে। ছেলেটি নিয়মিত বাসায় যোগাযোগ করে, ফোনে কথা হয়। ছুটিতে বাড়ি যায়। পড়ালেখা নাকি ভালোই চলছে। সব ঠিক ছিল। কিন্তু একদিন একটি রেজিস্ট্রি ডাকযোগে শামীম সাহেব একটি চিঠি পান। প্রেরকের ঘরে নাদিমের বিশ্ববিদ্যালয়ের ঠিকানা। চিঠি পড়ে নাদিমের বাবা হতবাক—চিঠির বক্তব্য হচ্ছে বিগত এক বছর ধরে শামীম বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুপস্থিত, উপরন্তু এক বছর আগের শেষ পরীক্ষায় অকৃতকার্য হয়েছিল। গত এক বছরে বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো টাকা জমা দেয়নি। কর্তৃপক্ষ বিষয়টি অভিভাবকের জ্ঞাতার্থে জানাল মাত্র। শামীম সাহেব তো নিয়মিত ছেলেকে সেমিস্টার ফি পাঠাচ্ছেন। মাসে মাসে অন্যান্য খরচ পাঠাচ্ছেন। কখনো চাহিদামতো বাড়তি টাকাও পাঠিয়েছেন। তিনি ভাবনায় পড়ে গেলেন, ‘কী করে আমার ছেলে?’
এ রকম ভাবনায় পড়তে পারেন অনেক অভিভাবকই। সন্তানেরা উচ্চশিক্ষার প্রয়োজনে নিজ জেলার বাইরে দূরে পড়তে যায়। কখনো দেশের মধ্যেই, বিশেষত রাজধানী ঢাকাসহ বড় বড় জেলায়, আবার কখনোবা বিদেশে। সন্তানকে অনেক আশা নিয়ে উচ্চশিক্ষার জন্য পাঠিয়েছেন, ঠিকমতো যোগাযোগও রাখছেন তিনি কিন্তু প্রকৃতপক্ষে কী করছে তা সব সময় বাবা-মায়ের পক্ষে জানা সম্ভব হয় না। সন্তান সে ছেলেই হোক আর মেয়েই হোক, বাড়ির বাইরে পড়তে গেলে বাবা-মায়ের মনে একটা বাড়তি উদ্বেগ থাকে। নানা বিষয় নিয়ে এই উদ্বেগ। সে ঠিকমতো খাওয়া-দাওয়া করছে কি না, শরীরের যত্ন নিচ্ছে কি না, পড়ালেখা কেমন করছে, অসৎ সঙ্গে মিশে উচ্ছন্নে যাচ্ছে কি না, ‘প্রেম’ করছে কি না, নেশা করছে কি না, কোনো অপরাধ চক্রের সঙ্গে মিশে রাষ্ট্রদ্রোহ কাজে জড়িয়ে পড়ছে কি না ইত্যাদি নানান চিন্তা। বাবা-মায়েরা একটা বিশ্বাস আর আস্থা নিয়েই সন্তানকে দূরের শহরে পড়তে পাঠান। কিন্তু সব সন্তান সব সময় এই বিশ্বাসের মর্যাদা রাখতে পারে না। কেউ কেউ অকৃতকার্য হয়, সমস্যায় পড়ে আর কেউ কেউ অকৃতকার্য হয়ে সমস্যায় পড়েও বাবা-মাকে সেটি বলতে পারে না।
.সংকোচ আর ভয়ের কারণে তারা সমস্যাটি গোপন করতে থাকে। একপর্যায়ে গোপন করতে করতে তারা মিথ্যার পাহাড় বানিয়ে ফেলে, তখন বাবা-মায়ের কাছে সাহায্য চাওয়াটা তাদের কাছে অনেক কঠিন হয়ে পড়ে। যেকোনো বাবা-মা এই ধরনের সমস্যার মুখোমুখি হতে পারেন। কিন্তু তাই ভেবে সন্তানকে উচ্চশিক্ষার জন্য ঢাকা বা বড় শহরে পাঠানো থেকে বিরত থাকা যাবে না। তার উচ্চশিক্ষার পথে এই ভাবনা যেন বাধা হয়ে না দাঁড়ায়। এ জন্য বাবা-মা আর সন্তান সবাইকে আগে থেকেই প্রস্তুতি নিতে হবে। পাশাপাশি যে সন্তান দূরে পড়তে যাচ্ছে, তাকে নিয়মিত দেখভালের ব্যবস্থা করতে হবে আর বিপদে পড়ে গেলে দেরি না করে দ্রুত সমস্যা সমাধানের জন্য কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে হবে।



source: goo.gl/Jkn55q

33
আমার প্রথম সন্তান রিয়াসাত জন্মাল যখন, আমাদের উচ্ছ্বাসের সীমা নেই। তার ছবি তোলার জন্য ডিজিটাল ক্যামেরা কেনা হলো। স্বাস্থ্যকর আর সুস্বাদু বেবি ফুড খাওয়ানো হলো। বছরখানেক কেনা পানি পান করানো হলো। নিউইয়র্ক ও বাংলাদেশে একাধিকবার জমজমাট জন্মদিন পালন করা হলো। বাড়িতে গানের আসর হলো রাতভর। যাকে নিয়ে এতসব আয়োজন, সম্ভবত সে এসবের কিছুই বোঝেনি। কেননা, এ নিয়ে তার কোনো উচ্ছ্বাস ও অনুভূতি চোখে পড়েনি কখনো।

আমার দ্বিতীয় সন্তান রিহান। জন্মের পর অযথা কান্নাকাটি নেই। হাত-পা ছুড়ে হাসে। খাবার দিলে খায়, না দিলে ঝামেলা করে না। তাকে কেনা পানি খাওয়ানো হয়নি। পরিবারের অন্য সদস্যদের মতোই রেগুলার খাবার খেয়ে বেড়ে উঠছে। তার জন্ম জুলাইয়ে। ওই সময় নিউইয়র্কের স্কুলগুলোতে গ্রীষ্মের ছুটি থাকে প্রতি বছর। ফলে স্কুলে কখনোই কেউ তাকে জন্মদিনে উইশ করেনি এবং করবেও না। কিন্তু প্রায়ই স্কুলে কারও না কারও বার্থডে পার্টি হয়। তখন বাড়ি ফিরে ভীষণ উচ্ছ্বাসে আমায় বলে, আম্মু, তুমি জান, টুমরো ইজ মাই বার্থডে? রিহানের ধারণা, যেহেতু স্কুলে একে একে সবাইকে ঘিরে জন্মদিনের পার্টি হচ্ছে, নিশ্চয়ই আগামীকাল তাকে ঘিরে হবে। কিন্তু সেই আগামীকাল আর আসে না। জুনের শেষ সপ্তাহে স্কুলগুলোয় দুই মাসের জন্য গ্রীষ্মের ছুটি শুরু হয়ে যায়।
ভীষণ সুখী সুখী উচ্ছলতায় সে যখন মাঝে মাঝেই আমাকে বলে, আম্মু, তুমি জানো, টুমরো ইজ মাই বার্থডে? আমরা সবাই হো হো করে হাসি। বলি, ধুর বোকা, প্রতিদিন কী কারও বার্থডে হয় নাকি! এতে সে খানিক লজ্জা পায়। কিন্তু জন্মাবধি কেউ তো কখনো তার চারপাশ ঘিরে দাঁড়িয়ে একযোগে হ্যাপি বার্থডে গান গেয়ে ওঠেনি। কিংবা হাততালি দিয়ে কেক কাটেনি। তাই হয়তো বা রিহানের শিশু মন প্রতিদিনই বার্থডে বয় হওয়ার স্বপ্ন দেখে।
এখন রিহান দিন ও মাস বোঝে। অনেক দিন পর গত মাসে এক রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে আচমকা আমায় বলে, আম্মু, তুমি জান, টুমরো ইজ মাই বার্থডে? আমি চমকে উঠি। তাই তো! অতঃপর সে সারা বাড়ি হেঁটে হেঁটে তার দাদু, ভাইয়া, চাচ্চু সকলকেই বলতে থাকে, তুমি জানো, টুমরো ইজ মাই বার্থডে? এবার আর আমরা হো হো করে হেসে উঠি না। তাঁকে জড়িয়ে ধরি। আগাম উইশ করি। ছোট্ট মানুষটি আকাশছোঁয়া আনন্দ নিয়ে ঘুমিয়ে পড়ে। ঘুমন্ত রিহানকে দেখে আমার ভেতরের টুকরো টুকরো অনুভূতিগুলো নাড়া দিয়ে ওঠে। কোনো কারণ ছাড়াই তার নিষ্পাপ মুখখানা বিষণ্ন মনে পড়ে। বাতি নিভিয়ে ছোট্ট মানুষটির গালের সঙ্গে গাল লাগিয়ে শুয়ে থাকি। বুকের ভেতরে এক চিনচিন সূক্ষ্ম ব্যথা বোধ করি। চার দেয়াল বেয়ে গাঢ় অন্ধকার নেমে আসে। সেই অন্ধকারে জানালার পর্দার ওপাশে লুকিয়ে থাকে ভীষণ এক নির্জনতা।
পরিবারের দ্বিতীয় সন্তান ভাব প্রকাশের অদ্ভুত এক ক্ষমতা দিয়ে সকলের মন জয় করে নেয় যদিও, কিন্তু তবুও তাঁরা প্রথম সন্তানের মতো মনোযোগ পায় না। কী অবলীলায় এই সব ছোট ছোট অবহেলাগুলো আমাদের মনোযোগ এড়িয়ে যায়, হায়! অথচ, এবার শতভাগ ইচ্ছে সত্ত্বেও অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে তার জন্মদিনটি আয়োজন করে পালন করা হয়নি। কদিন বাদে রিহান হয়তো ভাববে, তাকে কেউ ভালোবাসে না। জীবনের অনেকটা সময় আমি নিজেও ‘আমাকে কেউ ভালোবাসে না’ এমন একটি ধারণা নিয়ে বেড়ে উঠেছি। কেননা, আমিও যে দ্বিতীয়জন ছিলাম!
ভালোবাসায় ভালো থাকুক পরিবারের সকল দ্বিতীয়জন।

34
Fashion / টিপের সাজে
« on: August 16, 2016, 12:01:39 PM »
টিপের সাজে

টিপের নকশা নির্ভর করবে পোশাক ও চুল বঁাধার ওপর মডেল: লাবণ্য ও মাহারিয়া, সাজ: রেড পোশাক: রঙ বাংলাদেশ ছবি: সুমন ইউসুফটিপ, শুধু শাড়ির সঙ্গে সাজেই পূর্ণতা আনে, এই প্রচলিত ধারণাটা এখন আর নেই৷ এই সময়ের মেয়েরা সব পোশাকের সঙ্গেই পরছে টিপ৷ আর নকশাও আসছে নানা ফিউশন৷
.একটা সময় মুখের গড়ন বুঝেই পরা হতো টিপ৷ রেড বিউটি স্যালনের রূপবিশেষজ্ঞ আফরোজা পারভীন বললেন, তবে এখন পোশাকের নকশায় অনেক বৈচিত্র্যতা৷ চলাফেরার স্বাচ্ছন্দ্যের জন্য টিউনিক, ফতুয়া বা কুর্তার মতো পোশাকগুলো মেয়েদের পরতে দেখা যায়৷ ছোট বা বড় নকশারই গোল টিপ নয়, পোশাকের সঙ্গে যায় এমন নানা বৈচিত্র্যময় .নকশার টিপ পরছে মেয়েরা৷ পোশাকের সঙ্গে মিলিয়ে টিপের নকশাটা কেমন হতে পারে, সে বিষয়ে একটা ধারণা দিলেন এই রূপবিশেষজ্ঞ৷ সালোয়ার-কামিজের সঙ্গে পাথরের জমকালো নকশার লম্বাটে টিপ পরতে পারেন৷ এ ক্ষেত্রে দুই চোখের কোণে টিপের পাথরের সঙ্গে মিলে যায় এমন দুটো পাথর বসিয়ে দিন৷ যেকোনো অনুষ্ঠানে টিপের এই সাজটাই জমকালো ভাব নিয়ে আসবে৷ পাশ্চাত্য নকশার পোশাকের সঙ্গে টিপের সাজে ফাংকি লুকটা ভালো যায়৷ এ জন্য টিপে একটু ফানি বা মজার নকশা আনা যেতে পারে৷ একটু বাঁকা চাঁদের মতো নকশা বা স্টার নকশার টিপ এই সাজে বেশ মানায়৷ আবার এই ধরনের পোশাকের সঙ্গে ড্রপ ড্রপ করে বা সারি সারিভাবে টিপ পরতে পারেন৷ পোশাকের পাশাপাশি চুল বাঁধার ধরনের ওপরও টিপের নকশা খানিকটা নির্ভর করে৷ যেমন যাঁরা চুল উঁচু করে টেনে পনিটেল বাঁধেন, তাঁদের চিকন পাতার মতো নকশার টিপ পরলে ভালো দেখাবে৷ আবার টেনে বাঁধা চুলের সঙ্গে চিকন লম্বা টিপের নিচে ছোট টিপও পরতে পারেন৷ বড় নকশার গোলাকার টিপ পরতে পারেন ছেড়ে রাখা খোলা চুলের সঙ্গে৷ আবার যাঁদের মুখ খুব বেশি চওড়া, তাঁরা বড় গোল টিপ পরে দেখতে পারেন৷ এটা মুখের ভলিউম কমাতে সাহায্য করবে৷ স্কয়ার বা বর্গাকৃতি ও হার্ট আকৃতির মুখেও বড় টিপ ভালো দেখায়৷ ওভাল শ্যাপের মুখে মানিয়ে যাবে যেকোনো নকশার টিপ৷ এদিকে মুখের মেকআপ বা সাজটা কেমন হবে, সেটা বিবেচনায় রেখে টিপের রং বেছে নেওয়ার পরামর্শ দিলেন আফরোজা পারভীন৷ যেমন খুব লাইট টোন বা হালকা মেকআপের সঙ্গে লিপস্টিকে গাঢ় রংটা এখনকার চলতি ধারা। এই সাজে লিপস্টিকের রঙের সঙ্গে মিলিয়ে টিপ পরার চলটা এখন বেশ জনপ্রিয়৷ এদিকে হালকা বা ন্যাচারাল টোনের মেকআপে হালকা রঙের টিপটাই ভালো দেখাবে৷

35
গর্ভাবস্থায় প্রথম ৩ মাস যে সতর্কতাগুলো অবশ্যই অবলম্বন করবেন

যদিও অনেকটাই বোঝা যায় না, কিন্তু গর্ভাবস্থার প্রথম তিন মাস যে কোন মায়ের কাছেই ভীষণ জাদুকরি বলেই মনে হয়। নতুন প্রাণের আগমনের খবর উদ্বেলিত করে তোলে নতুন মায়ের জীবন। শুধু মায়ের জন্য নয়, সন্তানের জন্যও এই সময়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচিত হয়ে থাকে। তাই দরকার সচেতনতার। যেহেতু সন্তানের একদম প্রথম পর্যায় এটি, তাই মাকে হতে হবে অনেক বেশি সতর্ক।

কিন্তু বললেই তো আর সতর্ক হওয়া যায়না, কারন অনেক ক্ষেত্রেই মায়েরা বুঝতে পারেন না যে কি হচ্ছে বা কি হতে পারে। অনেকেরই নিজের শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান থাকেনা, জানা থাকেনা কিসে সন্তানের ভাল বা খারাপ হতে পারে। তাই সন্তান গর্ভধারণের এই প্রথম পর্যায়টি অনেকের জন্যই হতে পারে ক্ষতিকারক, যদি সঠিক যত্ন না হয়। সন্তান গর্ভধারণের প্রথম পর্যায়ের মায়েদের শারীরিক অবস্থা্র সবকিছু নিয়েই আমাদের এই আয়োজন।

প্রথমেই জেনে নিন আপনি প্রেগন্যান্ট কি না। আজকাল প্রেগন্যান্সি কিট কিনতে পাওয়া যায়। তা দিয়ে পরীক্ষা করে দেখতে পারেন। এসব কিট দিয়ে যে পরীক্ষা করা হয় তার মধ্যে প্রায় ৯৫ শতাংশ পরীক্ষাই সঠিক হয় বলে ধরা হয়। তবে ১০০ শতাংশ নিশ্চিত হতে চাইলে ডাক্তারের পরামর্শে আলট্রাসাউন্ড পরীক্ষা করে দেখতে পারেন। নিশ্চিত তো হওয়া গেল, এখন জানা যাক পরবর্তী পদক্ষেপগুলো সম্পর্কে।

একবার পরীক্ষা করে নিশ্চিত হয়ে গেলে এর পরে থেকে সাবধানে চলাফেরা করুন। এলকোহল, ক্যাফেইন, ধুমপান থেকে দূরে থাকুন, তা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ যেমনই হোক না কেন। কারন এই সময় এসব জিনিস অন্য যে কোন কিছুর থেকেই সবচাইতে বেশি ক্ষতি করে বাচ্চার।
যেহেতু আপনি অন্তঃসত্ত্বা, তাই আপনাকে সবসময় ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী চলতে হবে। অতিসত্বর একজন ডাক্তার নির্বাচন করুন। ডাক্তার নির্বাচন করার আগে কিছু জিনিষ মনে রাখবেন। যেমন- ডাক্তারের সাথে যে কোন সময় যোগাযোগ করা সম্ভব কি না, যে কোন দরকারে তাকে পাওয়া যাবে কি না। সেই সাথে দূরত্বটাও খেয়াল রাখবেন। যেহেতু আপনি অন্তঃসত্ত্বা তাই এ সময় বেশি চলাচল করতে পারবেন না। কেননা তা বাচ্চার জন্য ক্ষতিকারক হতে পারে। তাই ডাক্তারের কাছে অল্প সময়ে যেন পৌঁছানো যায় সেটাও খেয়াল রাখতে হবে।

অন্তঃসত্ত্বা হবার কারনে শরীরে বেশ কিছু হরমোন পরিবর্তন ঘটে। যার ফলে বমি ভাব, মাথা ঘোরা, খেতে না পারা, শরীর খারাপ ভাব হতে পারে। তবে সবাইকে যে এই সকল পরিস্থিতি পার করতে হয় তাও নয়, অনেক মায়ের মধ্যেই এসবের কোনটি বা কখনও কখনও একটিও উপসর্গ দেখা যায় না। এমন কিছু হলে ভয় পাবেন না, আবার না হলেও ভয় পাবেন না। বেশি বমি হলে সকালে উঠে লেবু পানি খেতে পারেন। আর মাথা বেশি ঘোরালে শুয়ে পড়ুন। কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিলে ঠিক হয়ে যাবে।

এছাড়াও হরমোন ঘটিত পরিবর্তনের কারনে এ সময় স্তনের আকারে পরিবর্তন হওয়া শুরু হয় ধীরে ধীরে। সেই কারণে স্তনে ব্যথা হবে ও স্তন নরম হয়ে যাবে। এমনটা হলে ভয় পাবেন না। মনে রাখবেন এই পরিবর্তন আপনার সন্তানের জন্য জরুরি।

সন্তান গর্ভে ধারণ করার ফলে কিছু শারীরিক পরিবর্তনও ঘটে। যেহেতু সন্তান জরায়ুতে ধারণ করা হয় ও জরায়ুর অবস্থান থাকে প্রসাবের নালীর উপরে, তাই বাচ্চার বৃদ্ধির সাথে সাথে জরায়ু প্রসাবের নালির উপরে কিছু চাপ ফেলে। ফলে প্রসাবের পরিমান বেড়ে যাবে। এই সমস্যা প্রথম ৩ মাস এবং শেষ ৩ মাসের মধ্যেই প্রবল থাকে বেশি।

এছাড়াও অনেক অন্তঃসত্ত্বা নারীরই রক্তচাপের সমস্যা দেখা দিতে পারে। কারো রক্তচাপ বেড়ে যেতে পারে, আবার কারো বা কমে যেতে পারে। সেই সাথে দেখা দিতে পারে সুগারের সমস্যা। তাই সন্তানের গর্ভধারণের পরপর ডাক্তারের পরামর্শে সব কিছুর পরীক্ষা একবার করে নিয়ে দেখতে হবে গর্ভাবস্থা স্বাভাবিক আছে কি না। এমন কোনও সমস্যা দেখা দিলে নিয়মিত চেকআপের মধ্যে থাকতে হবে।

বুক জ্বালা করা এবং কোষ্ঠকাঠিন্যও হতে পারে অনেক মায়ের। অন্তঃসত্ত্বা নারীর খাবার হজম হতে ও পেট খালি হতে অন্য নারীদের তুলনায় বেশি সময় লাগে, কারন গর্ভস্থ বাচ্চার খাবার থেকে পুষ্টি গ্রহন করতে সময় লাগে একটু বেশি। কিন্তু এই কারণটাই গর্ভবতী নারীর জন্য হয়ে যায় কষ্টের কারণ। এর ফলেই গর্ভবতী নারী শিকার হতে পারেন কোষ্ঠকাঠিন্য ও বুক জ্বালা করা রোগের। ঘাবড়ে যাবেন না। দরকার পড়লে ডাক্তারের পরামর্শে কোন ওষুধ সেবন করতে পারেন।

এছাড়াও একজন গর্ভবতী নারী গর্ভ ধারণ করেছেন এটা জানার পরে আনন্দিত, উদ্বিগ্ন, প্রফুল্ল ও ক্লান্ত ইত্যাদি সব ধরনের অনুভূতি অনুভব করেন। এত সব কিছু এক সাথে মানিয়ে নেয়াটাও একটা বড় ব্যাপার হয়ে দেখা দেয়। অনেকেই ঠিক মত মানিয়ে নিতে পারেন না নতুন পরিস্থিতির সাথে। ফলে শিকার হন মুড সুইং এর। সেই সাথে নানা রকম “হরমোনাল চেঞ্জ” এর কারণে রাগ বা খারাপ লাগা অনুভুত হতে পারে। এমন কিছু হলে অধিক উত্তেজনা পরিহার করে চলতে হবে। কারণ বেশি উত্তেজনা গর্ভস্থ সন্তানের জন্য ভাল নয়।

সঙ্গীর সাথে সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটু ধৈর্য ধরুন। মনে রাখতে হবে আপনি যেমন মা হচ্ছেন, তেমনই তিনিও বাবা হচ্ছেন। তার কোন ভুল দেখতে পেলে তার সাথে রাগারাগি না করে সাহায্য করুন, সেই সাথে আপনার কোন কিছু খারাপ লাগলে তাকে জানাতে ভুলবেন না।
মনে রাখবেন আপনি যে কাজ করছেন তা “প্রেগন্যান্সি সেফ” কিনা জেনে নিন। ভারি কোন কাজ একদম করতে যাবেন না। মনে রাখবেন প্রথম তিন মাস খুব সাবধানী হতে হবে কারণ এই তিন মাসেই এবরশনের হার সবচাইতে বেশি থাকে। সেই সাথে এমন খাবার খাবেন না যা বাচ্চার জন্য খারাপ হবে। পেঁপে, আনারসের সাথে সাথে কাঁচা বা আধা সিদ্ধ প্রোটিন যেমন মাছ, মাংস, ডিম এসব পরিহার করে চলতে হবে। প্রোটিন ভালো করে রান্না করে তবেই খাবেন। সেই সাথে গলিত চিজ বা এই জাতীয় খাবারও পরিহার করে চলবেন। প্রথম ৩ মাস খেতে কষ্ট হয়, কিছু খেতে ইচ্ছা করেনা তাও বাচ্চার কথা চিন্তা করে যতটা সম্ভব ততটা স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার চেষ্টা করবেন।

ডাক্তারের পরামর্শ মোতাবেক কোন ওষুধ খাবার থাকলে তা খাবেন। এমনকি গ্যাসের সমস্যা বা মাথা ব্যাথা বা জ্বর হলেও ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ খেতে যাবেন না। এতে বাচ্চার ক্ষতি হতে পারে।
ঘুমের সময় বাড়িয়ে দিন। দিনে ৮ থেকে ১০ ঘন্টা করে ঘুমানোর চেষ্টা করবেন। এছাড়াও সারাদিনের কাজের ফাঁকে ফাঁকে হালকা বিশ্রাম নিতে পারেন।

মনে রাখবেন সন্তান সবার কাছেই মূল্যবান। সবাই চাইবে সুস্থ সন্তানের জন্ম দিতে। তাই কষ্ট হলেও সন্তানের ভালোর জন্য সাবধানে সবকিছু মেনে চলার চেষ্টা করুন। সেই সাথে নিয়মিত ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ রাখুন। বিস্রামে থাকুন, উত্তেজিত থাকবেন না, সেই সাথে উদ্বেগ না হয় এমন কিছু করবেন না ও ভয় পাবেন না। সব থেকে বড় কথা হল নিজের খেয়াল রাখুন। আপনি ভাল থাকলেই আপনার সন্তানও ভাল থাকবে।

36
জেনে নিন উচ্চতা অনুযায়ী আপনার আদর্শ ওজন কতো হওয়া উচিত?

আমরা কোনো কিছু না ভেবে শুধু দেখেই কাউকে মোটা বা চিকন বলে থাকি। আসলে কিন্তু ব্যাপারটি মোটেই তা নয়। চিকিৎসা বিজ্ঞান মতে বডি মাস ইনডেক্স বা বিএমআই নির্ণয় করে কাউকে রোগা বা মোটা বলা হয়ে থাকে। উচ্চতার সাপেক্ষে প্রতিটি মানুষের আছে একটি আদর্শ ওজন। ধারনা করা হয় যে ওজন যদি এই আদর্শ মাত্রায় থাকে, অর্থাৎ এর চাইতে বেশি বা কম না হয়ে থাকে, তাহলে মানুষটি সুস্থ দেহের অধিকারী। এবং রোগ বালাই হবার সম্ভাবনা কম।

আদর্শ ওজন নির্ণয়ের পদ্ধতিতে একজন ব্যক্তির ওজন কিলোগ্রামে মাপা হয় এবং উচ্চতা মিটারে মাপা হয়। এবার ওজনকে উচ্চতার বর্গফল দিয়ে ভাগ করা হয়। এই ভাগফলকে বলে বিএমআই। বিএমআই ১৮ থেকে ২৪-এর মধ্যে হলে স্বাভাবিক। ২৫ থেকে ৩০-এর মধ্যে হলে স্বাস্থ্যবান বা অল্প মোটা, ৩০ থেকে ৩৫-এর মধ্যে হলে বেশি মোটা। আর ৩৫-এর ওপরে হলে অত্যন্ত ও অসুস্থ পর্যায়ের মোটা বলা যেতে পারে।

অতিরিক্ত ওজন কিংবা অতি কম ওজন কারোই কাম্য নয়। আমাদের মধ্যে অনেকেই আছেন বেঁটে কিন্তু মোটা, আবার অনেকে খুব লম্বা কিন্তু যেন তালপাতার সেপাই। এরকম অবস্থা মানে উচ্চতা অনুযায়ী তাঁদের ওজন ঠিক নেই। আপনার ওজন বেশি না কম, নাকি তা ঠিকই আছে তা বুঝতে হলে জেনে নিন উচ্চতা অনুযায়ী আপনার ওজন কতো-

উচ্চতা | পুরুষ(কেজি) | নারী(কেজি)
►৪’৭” —— ৩৯-৪৯ —– ৩৬-৪৬
►৪’৮” —— ৪১-৫০ —– ৩৮-৪৮
►৪’৯” —— ৪২-৫২ —– ৩৯–৫০
►৪’১০” —— ৪৪-৫৪ —– ৪১–৫২
►৪’১১” —— ৪৫-৫৬ —– ৪২-৫৩
►৫ফিট —— ৪৭-৫৮ —– ৪৩-৫৫
►৫’১” —— ৪৮-৬০ —– ৪৫-৫৭
►৫’২” —— ৫০-৬২ —– ৪৬-৫৯
►৫’৩” —— ৫১-৬৪ —– ৪৮-৬১
►৫’৪” —— ৫৩-৬৬ —– ৪৯-৬৩
►৫’৫” —— ৫৫-৬৮ —– ৫১-৬৫
►৫’৬” —— ৫৬-৭০ —– ৫৩-৬৭
►৫’৭” —— ৫৮-৭২ —– ৫৪-৬৯
► ৫’৮” —— ৬০-৭৪ —– ৫৬-৭১
► ৫’৯” —— ৬২-৭৬ —– ৫৭-৭১
►৫’১০” —— ৬৪-৭৯ —– ৫৯-৭৫
►৫’১১” —— ৬৫-৮১ —– ৬১-৭৭
►৬ ফিট —— ৬৭-৮৩ —– ৬৩-৮০
►৬’১” —— ৬৯-৮৬ —– ৬৫-৮২
►৬’২” —— ৭১-৮৮ —– ৬৭-৮৪

শরীর অতিরিক্ত রুগ্ন হলে দেখতে খারাপ তো লাগেই, সাথে চেহারায় দ্রুত বলিরেখা পড়ে। অতি রুগ্ন মানুষ অপুষ্টির শিকার। ফলে পুষ্টি জনিত নানাবিধ রোগ, যেমন- অ্যানিমিয়া বা রক্ত শুন্যতা, শারীরিক দুর্বলতা, নানান রকম চর্মরোগ ইত্যাদি হওয়ার প্রবল সম্ভাবন থাকে। অপুষ্টির শিকার হলে চুল পড়ে যাওয়া, দাঁত নষ্ট হয়ে যাওয়া, হাড় খয়ে যাওয়া সহ নানা রকম রোগ হতে পারে।

আবার শরীরে অতিরিক্ত চর্বি জমার ফলে মানুষ মোটা হয় বা ভুঁড়ি হয়। ফ্যাট সেল বা চর্বিকোষ আয়তনে বাড়ে তখন শরীরে চর্বি জমে। পেটে, নিতম্বে, কোমরে ফ্যাট সেল বেশি থাকে। অতিরিক্ত খাওয়ার জন্য দেহে চর্বি জমে, আবার যে পরিমাণ খাওয়া হচ্ছে বা দেহ যে পরিমাণ ক্যালরি পাচ্ছে সে পরিমাণ ক্ষয় বা ক্যালরি খরচ হচ্ছে না-এ কারণেও দেহে মেদ জমতে পারে। এগুলো শোনার বা জানার পর অনেকে হয়তো বলবেন, সঠিক পরিমাণে খাদ্য গ্রহণের পরও ওজন বেশি। তাদের অভিযোগ সঠিক। বংশগত কারণেও মানুষ মোটা হতে পারে।

মদ্যপান, অতিরিক্ত ঘুম, মানসিক চাপ, স্টেরয়েড এবং অন্য নানা ধরনের ওষুধ গ্রহণের ফলেও ওজন বাড়তে পারে। বাড়তি ওজন কিংবা ভুঁড়ি নিয়ে অনেক সমস্যা। বাড়তি ওজনের জন্য যেকোনো ধরনের হৃদরোগ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এছাড়া রক্তনালিতে চর্বি জমে নানা সমস্যার সৃষ্টি হয়। বাড়তি ওজন রক্তচাপেরও কারণ।ডায়াবেটিস টাইপ-২ দেখা দিতে পারে মেদ বৃদ্ধির জন্য। মেদবহুল ব্যক্তির জরায়ু, প্রস্টেট ও কোলন ক্যান্সারের সম্ভাবনা শতকরা ৫ ভাগ বেশি।

ওজন বৃদ্ধির সাথে সাথে হাঁটাচলা করতে সমস্যা হয়। হাঁটুর সন্ধিস্থল, কার্টিলেজ, লিগামেন্ট ক্ষয়প্রাপ্ত হয়। আর্থ্রাইটিস, গেঁটে বাত এবং গাউট হওয়ার সম্ভাবনাও বেড়ে যায়। অতিরিক্ত চর্বি থেকে পিত্তথলিতে পাথর হওয়ার সম্ভাবনাও বেড়ে যায়।

সব মিলিয়ে বলা যায়, অতিরিক্ত কম ওজন বা অতিরিক্ত বেশি ওজন- দুটোই সুস্থতার বিপরীত। নিজের আদর্শ ওজন নির্ণয় করুন, এবং আপনার অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে ওজনকে আদর্শ অবস্থানে আনবার জন্য চেষ্টা করুন। কেবল সুন্দর থাকা মানেই ভালো থাকা নয়, সুস্থ ভাবে বেঁচে থাকাই সত্যিকারের ভালো থাকা।

37
দারুণ সহজ একটি প্যাকে হাত থেকে বয়সের ছাপ দূর করুন

আমাদের শরীরের অন্যান্য অংশ থেকে হাতে সবার আগে বয়সের ছাপ পড়ে। অথচ এই হাতকে আমরা সবচেয়ে বেশি অবহেলা করে থাকি। নিয়ম করে আমরা মুখে নানা রকম ক্রিম, মাস্ক, প্যাক লাগিয়ে থাকি, কিন্তু হাতের যত্নে তেমন কিছু করি না। আর এই কারণে হাতের চমড়া দ্রুত কুঁচকিয়ে যায়, হাতে ছোপ ছোপ কালো দাগ পড়ে। দ্রুত বয়সের ছাপ পড়ে যায়। হাতের কালো দাগ দূর করে বয়সের ছাপ দূর রোধ করবে এমন একটি ঘরোয়া ক্রিমের কথা জানা যায় hellonatural.co থেকে।

উপকরণ

১/৪ কাপ ভাত
১/২ টেবিল চামচ বিশুদ্ধ মধু
১/২ টেবিল চামচ লেবুর রস

যেভাবে তৈরি করবেন

ভাত, লেবুর রস এবং মধু ব্লেন্ডারের ব্লেন্ড করে নিতে পারনে। অথবা হাত দিয়ে ভাল করে ম্যাশ করে নিতে পারেন। লেবুর রস যদি আপনার ত্বকে সমস্যা করে থাকে তবে লেবুর রসের পরিবর্তে পানি ব্যবহার করতে পারেন।

যেভাবে লাগাবেন

– প্রথমে হাতটা ভাল করে ধুয়ে ফেলুন।

– এইবার প্যাকটি আপনার হাতের পিঠে চক্রাকারে ম্যাসাজ করুন।

– হালকা চাপ দিয়ে ১ থেকে ২ মিনিট ম্যাসাজ করুন।

– তারপর হালকা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

– সব শেষে একটি ভাল ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে নিন।

– এই প্যাকটি রাতে লাগাবেন।

– সপ্তাহে এক থেকে দুই বার এই প্যাকটি ব্যবহার করবেন।

– এই প্যাকটি হাতের রোদেপোড়া ছোপ ছোপ দাগ, বয়সের ছাপ দূর করে থাকে।

– এই প্যাকটি ত্বককে হাইড্রেটেড করে চামড়া এক্সফলিয়েট করে থাকে। তার সাথে হাতের ত্বকের রং হালকা করে থাকে।

টিপস

১। প্রতিদিন বাইরে যাবার আগে হাতে অব্যশই সান স্ক্রিন লাগিয়ে বের হবেন।

২। রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে যেকোন ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে ঘুমাতে যাবেন। এতে সকালে ঘুম থেকে উঠে পেয়ে যাবে এক জোড়া নরম কোমল হাত। ময়েশ্চারাইজারে পরিবর্তে আপনি ভ্যাসলিন বা গ্লিসারিনও ব্যবহার করতে পারেন।

38
চকবার আইসক্রিম খুব সহজে ঘরেই তৈরি করে ফেলুন

গরম হোক বা শীত সব ঋতুতে আইসক্রিম খাওয়া হয়ে থাকে। তবে গরমকালে এটি একটু বেশি খাওয়া হয়। কাঠফাটা রোদে একটু শীতল পরশ পেতে আইসক্রিমের জুড়ি নেই। চকবার আইসক্রিমটি ছোট বড় সবার বেশ প্রিয়। এই আইসক্রিমটি পছন্দের হলেও বাসায় তৈরির কথা সাধারণত কেউ চিন্তা করে না। এই মজাদার আইসক্রিমটি যদি বাসায় তৈরি করা যায়, তবে কেমন হয় বলুন তো? দারুন না। আজ তাহলে চকবার তৈরির রেসিপিটি জেনে নেওয়া যাক।
উপকরণ:
১ কাপ হুইপড ক্রিম
২ চা চামচ ভ্যানিলা এসেন্স
১/২ কাপ চকলেট
১ এবং ৩/৪ কাপ দুধ
১/৫ কাপ গুঁড়ো দুধ
প্রণালী:
১। প্রথমে একটি পাত্রে হুইপড ক্রিম বিটার দিয়ে বিট করে নিন। এতে চিনি দিয়ে আবার বিট করুন।
২। ক্রিম ভাল করে বিট করা হলে এতে ভ্যানিলা এসেন্স, গুঁড়ো দুধ মিশিয়ে নিন।
৩। তারপর এতে তরল দুধ দিয়ে আবার ভালো করে মেশান।
৪। মিশ্রণটি ফ্রিজে ৩ থেকে ৪ ঘন্টা রেখে দিন।
৫। আরেকটি পাত্রে চকলেট চুলায় দিয়ে গলিয়ে নিন।
৬। আইসক্রিমের ছাঁচে গলানো চকলেট চামচ দিয়ে ভাল করে লাগিয়ে নিন। আপনি চাইলে এতে বাদাম কুচি দিয়ে দিতে পারেন।
৭। এর ভেতর হুইপড ক্রিম দিয়ে দিন। খুব বেশি পরিমাণে হুইপড ক্রিম দিবেন না।
৮। এর মাঝে কাঠি দিয়ে দিন।
৯। আইসক্রিমের ছাঁচ ৩ থেকে ৪ ঘন্টার জন্য ফ্রিজে রেখে দিন।
১০। পরিবেশনের সময় আইসক্রিমের ছাঁচটি সাধারণ তাপমাত্রার পানিতে ১০ মিনিট ভিজিয়ে রাখুন। এতে আইসক্রিম সহজে ছাঁচ থেকে বের হয়ে আসবে।


39
অসাধারণ যে ৬টি ব্যবহার মাউথওয়াশের আপনি এখনো জানেন না!

স্বাস্থ্যসচেতন মানুষ হলে আপনার বাথরুমে অবশ্যই আছে মাউথওয়াশের একটি বোতল। কিন্তু এই মাউথওয়াশ শুধুমাত্র মুখের পরিচ্ছন্নতা রক্ষাতেই নয়, বরং ঘরদোরের আরও কিছু কাজে দারুণ ভূমিকা রাখতে পারে। ১৮৭৯ সালে লিস্টেরিন প্রস্তুত করেন ডক্টর জোসেফ লরেন্স কিন্তু তা মূলত সার্জারির সময়ে অ্যান্টিসেপটিক হিসেবে ব্যবহার করা হতো। এটি মুখের ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করে তা জানতে পারার পর এটি মাউথওয়াশ হিসেবে ব্যবহার শুরু হয়। এর মাঝে থাকা অ্যান্টিসেপটিক আরও অনেক কাজ করতে সক্ষম, তবে তার জন্য এই মাউথওয়াশে অবশ্যই অ্যালকোহল জাতীয় উপাদান থাকতে হবে।
১) খুশকি দূর করুন
ঈস্ট জাতীয় ফাঙ্গাস malassezia যখন বেশি বেড়ে যায় তখনই মাথার তালুতে দেখা যায় খুশকি। বেশিরভাগ মাউথওয়াশে ইউক্যালিপটল থাকে যা এই ফাঙ্গাস দূর করতে পারে। এক ভাগ মাউথওয়াশের সাথে ৮ ভাগ পানি মিশিয়ে তা চুলের গোড়ায় স্প্রে করুন মাথা ধোয়ার পর। তবে অবশ্যই মাথার ত্বকে কাটা-ছেঁড়া থাকলে এই কাজ করবেন না।
২) কমিয়ে ফেলুন বগলের দুর্গন্ধ
মাউথওয়াশে থাকা ইউক্যালিপটল, থাইমল এবং মিথাইল স্যালিসাইলেট আপনার বগলের জীবাণু মেরে ফেলতে পারে, এতে কমে আসে বগলের দুর্গন্ধ। এই সুবিধা পেতে হলে তুলোয় করে কিছুটা মাউথওয়াশ নিয়ে বগলে ঘষে নিন এবং এরপর আপনার ডিওডোরেন্ট ব্যবহার করুন।
৩) ধোয়া কাপড়ের বাসি গন্ধ দূর করুন
কাপড় ধোয়ার পরেও অনেক সময়ে এতে রয়ে যায় একটা বাসি গন্ধ। বিশেষ করে ওয়াশিং মেশিনে এ ঘটনাটি বেশি হয়। কাপড় ধোয়ার সময়ে এক কাপ চিনিমুক্ত, রঙহীন মাউথওয়াশ ব্যবহার করলে এ সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন।
৪) পরিষ্কার করুন টয়লেটের কমোড
মাউথওয়াশ ব্যবহারে কমোডের দাগ উঠবে না, তবে জীবাণু মারা যাবে নিশ্চিত। এক কাপ মাউথওয়াশ ঢেলে দিন কমোডে এবং ব্রাশ দিয়ে ঘষে দিন। এ ছাড়াও প্রতিদিন মাউথওয়াশ দিয়ে কুলি করে তা ফেলে দিতে পারে কমোডের মাঝেই।
৫) ফুল রাখুন তাজা
ফুলদানিতে ভিজিয়ে রাখা ফুল তাজা রাখতে হলে এক ক্যাপ মাউথওয়াশ ঢেলে দিন ফুলদানির পানিতে। ফুল দিব্যি তাজা থাকবে বেশ কিছুদিন।

40
যে কারণে পুরুষের তুলনায় নারীদের একটু বেশি ঘুম প্রয়োজন

যে কারণে পুরুষের তুলনায় নারীদের একটু বেশি ঘুম প্রয়োজন

rupcare_woman needs more sleep than man

আমাদের সমাজের উন্নয়নে কার অবদান বেশী? নারীর নাকি পুরুষের? এক কথায় আপনি বলবেন, দুজনেরই। তবে অর্থ উপার্জনের ক্ষেত্রে পুরুষরা এগিয়ে। কারণ কর্মোক্ষম পুরুষদের প্রায় সবাই অর্থ আয় করেন। সেখানে কর্মোক্ষম নারীদের একটা বড় অংশ অর্থ আয় তো করেনই না, শিক্ষায়ও তারা পিছিয়ে আছে উল্লেখযোগ্য হারে। তবু গবেষণা বলছে, নারীর মস্তিষ্ক বেশী কাজ করে পুরুষের মস্তিষ্কের তুলনায়। কীভাবে? উত্তর পাবেন একটু ভাবলেই।

যেমন-

১। একজন পুরুষ বাইরে কাজে বের হচ্ছেন। তিনি কিন্তু আগে থেকেই জানেন তিনি অফিসে যাবেন। আলাদা করে সিদ্ধান্ত নেওয়ার কিছু নেই। কিন্তু নারীকে সকালে ঘুম থেকে ওঠা থেকেই সিদ্ধান্ত নিতে হচ্ছে, তিনি কী খাবেন, তার স্বামী-সন্তান কী খাবেন!

২। শুধু খাওয়া নয়, সারা দিনে একজন নারীকে অনেকগুলো সিদ্ধান্ত নিতে হবে। বিষয়গুলো আপাত দৃষ্টিতে ছোট হলেও প্রতিবারই তাকে মাথা খাটাতে হয়।

৩। এর সাথে নারী যদি হন চাকরিজীবী তাহলে তাকে নিজের অফিসও সামলাতে হয়।

৪। নারী যদি হন ব্যবসায়ী তাহলে সিদ্ধান্ত গ্রহণের দায়িত্ব বাড়ে আরও।

৫। নারীকে বলা হয় Home maker. কারণ পরিবার একটি প্রতিষ্ঠান। সেই প্রতিষ্ঠানের সকল দায়িত্ব সামলাতে হয় তাকে।

বিজ্ঞানীরা বলছেন, পুরুষের তুলনায় নারীদের অন্তত ২০ মিনিট বেশি ঘুম প্রয়োজন। কারণ নারীর মস্তিষ্ক তুলনামূলক বেশি কাজ করে এবং তার বিশ্রামের প্রয়োজনও বেশি।

গবেষণাটি করা হয়েছিল ২১০ জন মধ্য বয়সী নারী এবং পুরুষের মাঝে।

স্টাডিটির লেখক এবং গবেষক জিম হর্ণ বলেন, “ঘুমের একটি জরুরি কাজ মস্তিষ্ককে আবারও উজ্জ্বিবিত করা”। তিনি Loughborough University এর ঘুম গবেষণাকেন্দ্রে নিযুক্ত একজন ঘুম বিশেষজ্ঞ। তিনি আরও বলেন, “গভীর ঘুমের সময় মস্তিষ্কের কর্টেক্স যা কিনা স্মৃতি, ভাষা এবং আরও অনেক কিছুর দায়িত্বে রয়েছে সেটি আপনাকে সকল অনুভূতি থেকে বিরত রাখে এবং রিকভারি মুডে চলে যায়।”

প্রফেসর হর্ন বলেন, “কার কতটা ঘুমের প্রয়োজন তা নির্ভর করে তার মস্তিষ্ক কতটা জটিল কাজ করছে তার উপর”। তিনি আরও বলেন, ‘আপনার মস্তিষ্ক দিনে যত কাজ করবে তত তার রিকভার করার প্রয়োজন হবে এবং তার জন্যই তাকে ঘুমাতে হবে”।

“নারীরা বহুবিধ কাজ করেন। একই সাথে তাদের অনেকগুলো কাজ করতে হয়। তাই তারা প্রকৃতপক্ষে পুরুষের তুলনায় বেশি মস্তিষ্কের ব্যবহার করে থাকেন। তাই তাদের ঘুমের চাহিদাও বেশী।”

“গড়ে ২০ মিনিট বেশী ঘুম প্রয়োজন নারীর। তবে ক্ষেত্র বিশেষে তা বেশী বা কম হতে পারে। নির্ভর করে কাজের ধরণের উপর।”

তবে হ্যাঁ, হর্ন এটাও বলেন যে, “যেসব পুরুষ জটিল কাজ করেন, একই সময় একাধিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন, চিন্তা করেন তাদের ক্ষেত্রে ঘুমের চাহিদাও বেশী হবে।” তাই গড়ে কিছু পুরুষ যারা বেশী কাজ করেন তাদেরও অন্য পুরুষদের তুলনায় বেশী ঘুমের দরকার হবে।

41
ঢাকাইয়া মালাই বিরিয়ানি

উপকরণ

বাসমতি বা পোলাও চাল ৭৫০ গ্রাম, মুরগি ২টি, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, পেঁয়াজ বেরেস্তা ১ কাপ, রসুন ৪ কোয়া, কাঁচা মরিচ ৬ থেকে ৭টা, আদা বাটা ২ টেবিল চামচ, আলু ৫টি, টক দই সিকি কাপ, গোটা মসলা (লবঙ্গ, দারুচিনি, এলাচি, জয়ফল, জয়ত্রী ও ধনে) পরিমাণমতো, দুধে ভেজানো জাফরান অল্প একটু, তেজপাতা কয়েকটি, কেওড়াজল সামান্য, ঘি ৩ টেবিল চামচ, চিনি ১ চা-চামচ, মালাই আধা কাপ ও মাওয়া আধা কাপ।

প্রণালি

গোটা মসলাগুলো মিক্সচারে পিষে নিন। এবার কাঁচা মরিচ, পেঁয়াজ, আদা ও রসুন পেস্ট করে নিন। টক দইতে গুঁড়া মসলাগুলো দিয়ে ফেটিয়ে রাখুন। এবার মাংসের মধ্যে সব বাটা মসলা ও টক দইয়ের মিশ্রণ, চিনি ও লবণ দিয়ে মেরিনেট করুন। বেশি সময় ধরে মেরিনেট করলে মাংস দ্রুত নরম হয়। এবার মেরিনেট করা মাংসের মধ্যে গোটা আলুগুলো দিয়ে প্রেশারকুকারে দুই থেকে তিনটি সিটি পর্যন্ত রান্না করুন। রান্নার সময় আঁচ অল্প রাখতে হবে।

এবার অন্য পাত্রে এক ঘণ্টা চাল ভিজিয়ে রেখে তুলে নিন। আলাদা পাত্রে পরিমাণমতো পানি গরম করুন। এবার গরম পানিতে ধোয়া চাল দিয়ে দিন। তেজপাতা ও লবণ দিন। ভাত সম্পূর্ণ হয়ে যাওয়ার আগে নামিয়ে নিন। নেট বা ছাঁকনিতে ভাত ঢেলে ঝরঝরে করে নিন। দুধে ভেজানো জাফরান দিয়ে ভাতটা ঝাঁকিয়ে নিন। এবার একটি পাত্রে প্রথমে কিছু ভাত দিন। তারপর রান্না করা মুরগির মাংসের কয়েক টুকরো, আলু ও পেঁয়াজ বেরেস্তা ছড়িয়ে দিন। তারপর অর্ধেক মাওয়া ও মালাই দিন। এরপর আবার একইভাবে লেয়ার করুন ভাত ও মাংসের। এভাবে ওপরের লেয়ারে আরেকটু ভাত দিয়ে তারপর ঘি ছড়িয়ে ঢেকে দিন যাতে দম বের হতে না পারে। এবার চুলায় একটা তাওয়া রেখে বিরিয়ানির পাত্রটি বসিয়ে ৩০ মিনিট রেখে দিন। নামিয়ে সাজিয়ে পরিবেশন করুন।

মোগলাই কাবাবমোগলাই কাবাব
উপকরণ
গরুর মাংস আধা কেজি, পেঁয়াজ মিহি কুচি সিকি কাপ, ছোলার ডাল ৫০ গ্রাম, আদা বাটা আধা চা-চামচ, গরমমসলা গুঁড়া পরিমাণমতো, বাদাম বাটা ১ টেবিল চামচ, ধনে গুঁড়া, ভাজা জিরা গুঁড়া ও গোলমরিচ গুঁড়া আধা চা-চামচ, কাঁচা মরিচ মিহি কুচি ১ টেবিল চামচ, ধনেপাতা কুচি ২ টেবিল চামচ, তেল ও লবণ পরিমাণমতো, লেবুর রস ১ টেবিল চামচ ও ডিম ১টি।
প্রণালি
প্রথমে ডাল সেদ্ধ করে বাটুন। গরুর মাংস ছোট ছোট টুকরো করে কেটে নিয়ে বেটে কিমা করুন। এবার বাটা কিমায় ডাল, সব মসলা, ধনেপাতা কুচি, কাঁচা মরিচ কুচি ও লবণ একসঙ্গে মেখে গোল করুন। এবার গোল দলাগুলো খানিকটা চ্যাপ্টা করে কাবাব বানান। কড়াইতে তেল গরম হতে দিন। এবার হাতে বানানো কিমা ফেটানো ডিমে ডুবিয়ে নিয়ে তেলে ভাজুন। বাদামি হলে নামিয়ে নিন।

42
আপনার সন্তানের বন্ধুটি ভাল না খারাপ? জেনে নিন ৫ টি কৌশলে


আপনার সন্তানের বন্ধুটি ভাল না খারাপ? জেনে নিন ৫ টি কৌশলে

rupcare_friends good or bad

সন্তানদের নিয়ে বাবা মায়েদের চিন্তার কোন শেষ নাই। আর তা যদি হয় টিনএজার তবে তো কোন কথায় নেই। সাধারণত বয়ঃসন্ধির এই সময়টাতে বড় ধরণের ভুলগুলো করে থাকে ছেলেমেয়েরা।কিছু ভুল করে অন্যকে দেখে কিছু ভুল করে নিজে থেকে আর কিছু ভুল করে বন্ধুদের সংস্পর্শে এসে। আর এই বন্ধুদের নিয়ে বাবা মার চিন্তার কোন কমতিও থাকে না। আপনি কীভাবে জানবেন আপনার সন্তানের বন্ধুটি ভাল না খারাপ? কিভাবে জানবেন আপনার সন্তানের বন্ধুটি আপনার সন্তানের যোগ্য কিনা? আসুন জেনে নিই কীভাবে জানবেন আপনার সন্তানের বন্ধুটি ভাল না খারাপ।
১। একটি ভাল বন্ধু আপনার সন্তানের সেরা দিকটা খুঁজে বের করে

আপনার সন্তান কি ছোট ভাইবোনের সাথে খেলা করছে? তাদের সাথে শেয়ার করছে তার প্রিয় জিনিস? তবে হ্যাঁ আপনার সন্তান ভাল বন্ধুদের সংস্পশেই আছে। যারা আপনার সন্তানকে পরিবারের সাথে বিশেষত ছোট ভাইবোনদের সাথে সময় কাটানো শেখায়। ছোট ভাইবোনকে ভালবাসতে শেখায়।
২। একটি ভাল বন্ধু কখনই বন্ধুর পারিবারিক ঐত্যিহ নিয়ে কথা বলবে না

আপনার পরিবার এর সংস্কৃতি, বিধি, প্রত্যাশা, মান, ভ্যালু বা অন্য কিছু যা আপনার পরিবারের ঐতিহ্য বহন করে তা নিয়ে একজন ভাল বন্ধু কখনই কোন নেতিবাচক কথা বলবে না।একজন ভাল বন্ধু এমন কোন কাজ করবে না যা আপনার পরিবারের ঐতিহ্যকে কটাক্ষ করে। পরিবারের বিপদ আপদে যেকোন সম্যসায় বন্ধুটিকে যদি আপনার সন্তানের পাশে পান, তবে বুঝে নেবেন আপনার সন্তান একজন ভাল বন্ধুর সাথেই আছে।
৩। একটি ভাল বন্ধু কখনোই আপনার সন্তানের সাফল্যে হিংসা করবে না

হিংসার মধ্যে ভালবাসার চেয়ে স্ব প্রেম নিহিত বৌদ্ধ ধর্মের এই কথাটি একজন ভাল বন্ধুর ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। ভাল বন্ধু কখনই আপনার সন্তানের সাফল্যে হিংসা করবে না। বরং তার সাফল্যে সেও খুশি হবে আপনারই মতো।
৪। খুব বেশী মিথ্যা বলা

ছেলেমেয়েরা দিনের বেশীর ভাগ সময় স্কুলে কাটায় তার বন্ধুদের সাথে। বন্ধুটির ভাল খারাপ সবকিছু অনুসরন করে থাকে।আর মিথ্যা বলার অভ্যাসটাও সে পেয়ে থাকে এই বন্ধুদের কাছ থেকেই। হঠাৎ করে যদি আপনার সন্তান খুব বেশী মিথ্যা বলা শুরু করে তবে বুঝতে হবে আপনার সন্তান এই অভ্যাসটি তার বন্ধুর কাছ থেকে পেয়েছে।
৫। প্রতিশোধ পরায়নতা

আপনার সন্তান কি হঠাৎ করে প্রতিশোধপরায়ন হয়ে উঠেছে? তাদের ইচ্ছা অনুযায়ী কাজ না করলে জেদ করছে? আপনি না বলার পরও একই কাজ বার বার করছে? তবে বুঝতে হবে সে এই কাজগুলো অন্য কারোর কাছ থেকে শুনে বা দেখে করছে।অন্য দিয়ে প্রভাবিত হচ্ছে আপনার সন্তান।

সন্তানদেরকে স্বাধীনতা দিন তার বন্ধু পছন্দ করার ক্ষেত্রে। কিন্তু সে বন্ধুটি যদি খারাপ হয় তবে তাকে তা বুঝিয়ে বলুন। কখনোই তাকে কোন কিছুতে বাধ্য করেবন না। এতে ভাল হওয়ার চেয়ে খারাপ হওয়ার সম্ভাবনাই বেশী থাকে।

43
কমাতে চান রাগ? প্রতিদিন খান এই খাবারগুলো

‘রেগে গেলেন তো হেরে গেলেন’- বহুল প্রচলিত একটি কথা। কথাটি অনেকাংশে সত্যি। রাগ কখনও কোন সমস্যার সমধান হতে পারে না। অনেকেই আছেন যারা খুব সহজে রেগে যান। আর রেগে গিয়ে এমন কিছু কথা বলে ফেলেন যা তাদেরকে বিপদে ফেলে দেয়। মাঝে মাঝে রাগ হতে পারে, কিন্তু এই রাগ যখন নিত্যদিনের সঙ্গী হয়ে যায় তখন তা ভয়ংকর রূপ নেয়। গবেষণায় দেখা গেছে কিছু খাবার আছে যা আমাদের মুডকে নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। এই খাবারগুলো আমাদের মনের সাথে সম্পর্কিত। কিছু খাবার আছে যা আমাদের নার্ভকে উত্তেজিত করে তোলে আবার কিছু খাবার আছে যা আমাদের মনকে শান্ত করে দেয়। এমন কিছু খাবারের কথা জানা যায় boldsky.com, bubblews.com এবং girlstalkinsmack.com থেকে।

১। ডিম

ডিম আপনার মুডকে প্রভাবিত করে থাকে। এতে প্রোটিন, ভিটামিন বি, ডি, আছে যা আপনার রাগ নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। প্রতিদিনকার খাদ্যতালিকায় ১টি বা ২টি ডিম রাখার চেষ্টা করুন। ডিম সিদ্ধ বা ভাজি যেকোন উপায়ে খেতে পারেন।

২। কলা

কলাতে প্রচুর প্ররিমাণে ভিটামিন বি এবং পটাশিয়াম আছে যা আপনার নার্ভকে শান্ত রাখে। নিয়মিত কলা খাওয়ার ফলে আপনার নার্ভ অনেকটা শান্ত হয়ে যাবে।

৩। অ্যাভাকাডো

অ্যাভাকাডোতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি আছে যা মস্তিষ্কের কোষকে দক্ষতার সাথে পরিচালনা করে থাকে। এতে বিটা ক্যারাটিন, লুটিন, ভিটামিন ই, এবং গ্লুটাথায়ন আছে। যা নার্ভকে শান্ত রাখতে সাহায্য করে। আপনি এটি সালাদ বা স্মুথি দুইভাবে খেতে পারেন।

৪। নুডলস

নুডলস কারো খুব পছন্দের খাবার আবার কারোর একদমই পছন্দ না। কিন্তু এই খাবারটি আপনার রাগ কমাতে সাহায্য করে থাকে। নিয়মিত নুডলস খান আর দেখুন আপনার নার্ভ আগের থেকে অনেক ঠান্ডা হয়ে গেছে। তবে হ্যাঁ নুডলসে অতিরিক্ত ঝাল দিবেন না।

৫। আলু

কার্বোহাইড্রেট এবং ভিটামিন বি সমৃদ্ধি একটি খাবার হল আলু। এটি রক্তচাপ কমিয়ে আপনার মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে। মজাদার এই সবজিটি নিয়মিত খান আর রাগকে নিয়ে আসুন আপনার হাতের মুঠোয়।

৬। আপেল এবং পিনাট বাটার

রাগকে নিয়ন্ত্রণ করতে আপেল এবং পিনাট বাটারের জুড়ি নেই। হঠাৎ খুব রাগ হল একটি আপেল খেয়ে নিন আর দেখুন রাগ অনেক কমে গেছে।

৭। ভাজা পনির

পনির খাবারটি এমনিতে অনেক মজাদার আর এই মজাদার খাবারটি আপনার রাগকে নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। পনিরে আছে কার্বোহাইড্রেট এবং ক্যালসিয়াম যা আপনার শরীরের শক্তি যোগানোর পাশাপাশি আপনার রাগকেও নিয়ন্ত্রণ করে থাকবে।

44

রূপচর্চায় ডিমের কুসুমের অসাধারণ এই ব্যবহারগুলো আপনি জানেন কি?

amitumi_eggyolk in skin care

প্রোটিনের অন্যতম উৎস হল ডিম। ডিম শুধু শরীরের প্রোটিনের চাহিদাই পূরণ করে থাকে না, সৌন্দর্যচর্চাতেও এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ত্বক ও চুল পরিচর্যায় ডিম এবং ডিমের কুসুমের অভাবনীয় কিছু ব্যবহার রয়েছে। ডিমের কুসুমের এমন কিছু ব্যবহার নিয়ে আজকের এই ফিচার।
১। ব্ল্যাকহেডেস দূর করতে

ব্ল্যাকহেডেসের সমস্যায় বিরক্ত? এই সমস্যার সহজ সমাধান দেবে ডিমের কুসুম। একটি ব্রাশে ডিমের কুসুম লাগিয়ে নিন। তারপর ব্রাশটি নাকে লাগিয়ে একটি কাগজ দিয়ে ঢেকে দিন। প্রথম লেয়ারটি শুকিয়ে গেলে আরেকটি লেয়ার লাগিয়ে নিন। এরপর শুকিয়ে গেলে ম্যাসাজ করুন। কুসুম গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন।
২। শুষ্ক ত্বকের জন্য

একটি ডিমের কুসুম, এক চা চামচ মধু ভাল করে মিশিয়ে নিন। মুখ পরিষ্কার করে প্যাকটি ত্বকে লাগিয়ে নিন। ১০ থেকে ১৫ মিনিট পর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এটি শুষ্ক ত্বক ময়োশ্চারাইজ করে ত্বক নরম কোমল করে থাকে।
৩। স্বাস্থ্যোজ্বল চুলের জন্য

এক কাপ টকদই এবং একটি ডিমের কুসুম ভাল করে মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে নিন। এবার এই প্যাকটি চুলে লাগিয়ে নিন। এভাবে কমপক্ষে ২০ মিনিট অপেক্ষা করুন। ২০ মিনিট পর ঠান্ডা পানি দিয়ে শ্যাম্পু করে ফেলুন। এটি চুল ঝলমলে সিল্কি করে তুলবে।
৪। ব্রণ প্রবণ ত্বকের যত্নে

একটি ডিমের কুসুম, এক চা চামচ মধু এবং এক চা চামচ বাদাম তেল। একটি পাত্রে সবগুলো উপাদান ভাল করে মিশিয়ে নিন। এমনভাবে মেশান যেন ফেনা উঠে। এরপর প্যাকটি ত্বকে লাগান। ১৫ মিনিট পর কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
৫। নখের ভঙ্গুরতা দূর করতে

মধু এবং ডিমের কুসুম মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণে নখ ভিজিয়ে রাখুন ১৫ মিনিট। তারপর কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। কুসুম গরম পানি দিয়ে হাত দুটি ধুয়ে ফেলুন।
৬। ডিম, গাজরের ফেসপ্যাক

একটি ডিমের কুসুম, এক টেবিল চামচ ঘন ক্রিম এবং এক টেবিল চামচ ফ্রেশ গাজরের রস মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে নিন। এবার এই প্যাকটি ত্বকে লাগিয়ে ৫ থেকে ১০ মিনিট অপেক্ষা করুন। শুকিয়ে গেলে কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এটি ত্বকে রক্ত চলাচল বজায় রেখে ত্বক উজ্জ্বল এবং তারুণ্যদীপ্ত করে তোলে।

45
ত্বকের যত্নে অতুলনীয় ৫টি প্রাকৃতিক উপাদান


ত্বকের যত্নে অতুলনীয় ৫টি প্রাকৃতিক উপাদান

amitumi_natural skin care

রাসায়নিক প্রসাধনি নিয়ে যাদের মনে ভয় কাজ করে তাদের জন্য প্রয়োজন ত্বক পরিচর্যার প্রাকৃতিক উপকরণ। প্রকৃতির এসব উপাদানের তালিকা বেশ দীর্ঘ। তবে একজন বিশেষজ্ঞ মাত্র ৫টি উপকরণের একটি তালিকা দিচ্ছেন যার দ্বারা আপনার সব প্রয়োজন মিটে যাবে। এই তালিকায় একটু চোখ বুলিয়ে নিন।

১. অ্যালোভেরা :
অ্যালো ভেরা ত্বকের জন্য উপকারী। বিশেষ করে সূর্যে পোড়া ত্বকের জন্য এটি যাদুর মতো কাজ করে। এর মোটা তরতাজা পাতার ভেতরের ঘন তরলই আসল উপকরণ। তা ছাড়া এতে এতো বেশি পুষ্টি উপাদান রয়েছে যা গোটা দেহে ব্যবহার করলে ব্যাপক উপকার পাবেন।

২. পেঁপে :
এমনকি পেঁপেও ত্বক পরিচর্যার দারুণ উপকরণ। দারুণ মজার এই ফল হালকা পরিমাণ এক্সফোলিয়েটর রয়েছে যা ত্বকের উপরিভাগের মৃত অংশ দূর করে। তা ছাড়া ত্বক কোমল করতেও এর তুলনা নেই।

৩. লেবু :
এটি শুধু শরবত খাওয়ার জন্যেই নয়। এটা গোটা দেহের যত্নের জন্য কার্যকর উপকরণ। এর রসের সিট্রাস ত্বককে ফ্রেশ করে। তা ছাড়া ত্বকের যেকোনো সংক্রমণের বিরুদ্ধে কাজ করে লেবুর রস এবং ক্লান্তিভাব দূর করে সজীবতা আনে ত্বকে।

৪. আলমন্ডের তেল :
সুস্বাস্থ্যের জন্য আলমন্ড বাদামের কথা নিশ্চয়ই সবাই জানেন। এই বাদাম থেকে যে তেল বের হয় তা কিন্তু রূপচর্চায় দারুণ প্রসাধনী। ত্বককে মসৃণ করতে এবং শুষ্ক ত্বকের ময়েশ্চারাইজার হিসেবে কাজ করে এটি। এই তেলে স্বাস্থ্যকর ফ্যাট রয়েছে যা নির্জীব ত্বককে সজীব করে তোলে।

৫. আনারের কোষ :
আনারের ছোট ছোট লাল টুকটুকে কোষ খেতে যেমন মজা তেমনি ত্বকের জন্য উপকারী। ত্বকের মৃতপ্রায় কোষগুলোকে মুহূর্তেই চাঙ্গা করে দেয় এর রস। সেইসঙ্গে নতুনভাবে কোষের বৃদ্ধি ঘটায় যার ফলে আজীবন উন্নত ত্বকের অধিকারী হবেন আপনি।

Pages: 1 2 [3] 4 5 ... 8