Daffodil International University

Faculties and Departments => Faculty Sections => Topic started by: nmoon on April 26, 2015, 04:11:12 PM

Title: হাত ও পায়ের জ্বালা-পোড়া উপশমের উপায়
Post by: nmoon on April 26, 2015, 04:11:12 PM
অনেকেই রাতে ঘুমানর সময় হাত-পায়ের প্রচণ্ড জ্বলন অনুভব করে থাকেন। শুধু রাতেই না, এই জ্বলন আপনি যে কোনো সময় অনুভব করতে পারেন। এটা খুব অসস্থিকর এবং কষ্ট দায়ক। চর্মরোগবিশেষজ্ঞ বলেন, সাধারণত এটি পায়ের স্নায়ু ক্ষতিগ্রস্তের কারনে হয়ে থাকে। আপনি গর্ভবতী হন তাহলে এটা কোলেস্টাসিসের কারণেও হতে পারে। এর ফলে হাত পা ফেটে যেতে পারেভ ও হাত ও পায়ের তলায় ঘা সহ বিভিন্ন চর্মরোগ হতে পারে। এই জ্বলন থেকে পরিত্রাণ পেতে ঔষধ এর উপর নির্ভর না করে, আত্মনির্ভর ও সচেতন হয়ে এবং প্রাকৃতিক বিভিন্ন বস্তু ব্যাবহার করেও মুক্তি পেতে পারেন।
চলুন জেনে নেওয়া যাক হাত ও পায়ের জ্বালা-পোড়া থেকে মুক্তির কয়েকটি পদ্ধতি:
রাতে ঘুমানোর আগে গোসল করুণ কিন্তু গরম পানি পরিহার করুণ:
রাতে হাত-পা জ্বলা পোড়া থেকে মুক্তি পেতে প্রতিদিন রাতে বিছানায় যাওয়ার আগে গোসল করুণ। গোসলের সময় মনে রাখবেন।
১। পানি যেনো কিছুতেই গরম না হয়। গরম পানি আপনার শরীর থেকে প্রাকৃতিক তেল ধুয়ে দিতে পারে ফলে আপনার স্কিন ড্রাই হয়ে যেতে পারে।
২।দীর্ঘ সময় গোসল না করে স্বল্প সময় গোসল করেন, বেশি সময় গোসল করলেও ত্বক ড্রাই হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থকে। ফলে জ্বলন আরও বেড়ে যেতে পারে।
ময়শ্চারাইজার ব্যাবহার করুণ:
জ্বলন এবং চুলকানি প্রশমিত করতে ওয়েল বেজ লোশন লাগাতে পারেন, এতে করে আপনার ত্বক সফট হবে ও এতে স্কিনের সেলস গুলোকে রক্ষা করবে। বর্তমানে ওষুধের দোকান গুলোতে এমন অনেক লোশন পাওয়া যায়। এতে করে আপনার হাত ও পায়ের তলার জ্বলন ও চুলকানি প্রশমিত হতে পারে। রাতে খুমানোর আগে ও গোসলের পর ভেজা শরীরে লোশন ব্যাবহার করুণ।
ডায়াবেটিক নিয়ন্ত্রণে রাখুন:
যারা ডায়াবেটিসের রোগী তারা রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে রাখুন, ডায়াবেটিসের কারনে নিউরোপ্যাথি হয়ে থাকে কারণ রক্তে সুগার লেভেল বেড়ে গেলেও হাত পাতে জ্বালা পোড়া হতে পারে। তাই হাত-পায়ের যত্ন নিতে শিখুন। বিশেষ করে পায়ের যত্ন অনেক বেশি সচেতন হন।
প্রচুর পানি পান করুণ:
শরীরে পানি শূন্যতা হতেও জ্বলন হতে পায়ে। সাধারণত যারা পানি কম পান করেন তাদের উচিত বেশি পরিমাণে পানি পান করা এবং মিনারেল জাতীয় খাবার বেশি পরিমাণে খাওয়া। এতে করে হাত-পা ও শরীর জ্বালা-পোড়া অনেক অংশে কমে যাবে।
টক ফল খান:
প্রতিদিন অল্প পরিমাণে হলেও যে কোনো টক ফল পানি মিশিয়ে ১ ঘণ্টা পরপর খাওয়ার অভ্যাস করুন। প্রথমে শরীরকে অ্যাসিডমুক্ত রাখুন। এটি খালি পেটে খাওয়ার অভ্যাস করুন। চাইলে হালকা খাবার খেতে পারেন। প্রতিদিন ৫০ গ্রাম আঙুর খেলেও জ্বালা কমকে। এছাড়া পায়ের ফাটা ভাব কমলেও হাতের কোমল ভাব বজায় থাকবে।
মেহেদি ও তেলাকুজ পাতা:
টাটকা মেহেদি পাতার রস হাত ও পায়ের তালুতে লাগালে জ্বালা-পোড়া কমে যায়। তাছাড়া তেলাকুজের পাতা পানিতে চটকে তাতে হাত পা ভিজিয়ে রাখলেও জ্বলন কমে যায়।
মানসিক চাপ কমান:
অনেক সময় মানসিক চাপ ও দুশ্চিন্তা থেকেও হাত পায়ে জ্বালা পোড়া হতে পারে। দুশ্চিন্তা ও মানসিক চাপ কমান। প্রয়োজনে চিকিৎসা নিন। নিউরোপ্যাথি আছে প্রমাণিত হলে স্নায়ুর যন্ত্রণা লাঘব করে এমন কিছু ওষুধ পাওয়া যায়, চিকিৎসকের পরামর্শে সেগুলো নিয়মিত খেতে পারেন৷ সূত্র: উইকিহাও।