Show Posts

This section allows you to view all posts made by this member. Note that you can only see posts made in areas you currently have access to.


Messages - Nahian Fyrose Fahim

Pages: 1 ... 19 20 [21]
301
আবূ সা‘ঈদ  হতে বর্ণিত - এক ব্যক্তি নাবী  সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর নিকট এসে বললঃ আমার ভাইয়ের পেটে অসুখ হয়েছে। তখন নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তাকে মধু পান করাও। এরপর লোকটি দ্বিতীয়বার আসলে তিনি বললেনঃ তাকে মধু পান করাও , অতঃপর তৃতীয়বার আসলে তিনি বললেন তাকে মধু পান করাও। এরপর লোকটি এসে বললঃ আমি অনুরূপই করেছি। তখন নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ আল্লাহ সত্য বলেছেন, কিন্তু তোমার ভাইয়ের পেট মিথ্যা বলছে। তাকে মধু পান করাও। অতঃপর সে তাকে পান করাল। এবার সে রোগমুক্ত হল। [৫৭১৬; মুসলিম ৩৯/৩১, হাঃ ২২৬৭, আহমাদ ১১১৪৬]
মধু একটি খুব উপকারী খাদ্য, পথ্য ও ঔষধ। জন্মের পর নানা দাদীরা মুখে মধু দেয় নাই এমন লোক খুঁজে পাওয়া কঠিন । প্রাচীনকাল থেকে মানুষ প্রাকৃতিক খাদ্য হিসেবে,মিষ্টি হিসেবে, চিকিৎসা ও সৌন্দর্যচর্চাসহ নানাভাবে মধুর ব্যবহার করে আসছে। শরীরের সুস্থতায় মধুর উপকারিতা অনেক।
আল কোরআনে আছে:- আপনার পালনকর্তা মৌমাছিকে আদেশ দিলেন: পর্বতে, গাছে ও উঁচু চালে বাড়ি তৈরী কর,এরপর সর্বপ্রকার ফল থেকে খাও এবং আপন পালনকর্তার উন্মুক্ত পথে চলো। তার পেট থেকে বিভিন্ন রঙের পানীয় নির্গত হয়। তাতে মানুষের জন্য রয়েছে রোগের প্রতিকার। নিশ্চই এতে চিন্তাশীল সম্প্রদায়ের জন্যে নিদর্শন রয়েছে। (সূরা নাহলের ৬৮ ও ৬৯ নম্বর আয়াত)
এই আয়াত এটা স্পষ্ট যে মধু আমাদের জন্য কতখানি উপকারি।

মধু কি?

মধু হচ্ছে একটি তরল আঠালো মিষ্টি জাতীয় পদার্থ, যা মৌমাছিরা ফুল থেকে নেকটার বা পুষ্পরস হিসেবে সংগ্রহ করে মৌচাকে জমা রাখে। পরবর্তীতে জমাকৃত পুষ্পরস প্রাকৃতিক নিয়মেই মৌমাছি বিশেষ প্রক্রিয়ায় পূর্ণাঙ্গ মধুতে রূপান্তর এবং কোষবদ্ধ অবস্থায় মৌচাকে সংরক্ষণ করে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এবং খাদ্য ও কৃষি সংস্থার মতে মধু হচ্ছে এমন একটি অগাজানোশীল মিষ্টি জাতীয় পদার্থ যা মৌমাছিরা ফুলের নেকটার অথবা জীবন্ত গাছপালার নির্গত রস থেকে সংগ্রহ করে মধুতে রূপান্তর করে এবং সুনির্দিষ্ট কিছু উপাদান যোগ করে মৌচাকে সংরক্ষণ করে।
মধুর ভৌত বৈশিষ্ট্য
বাংলাদেশের জাতীয় মধু বোর্ডের সংজ্ঞা অনুযায়ী "মধু হল একটি বিশুদ্ধ পদার্থ যাতে পানি বা অন্য কোন মিষ্টকারক পদার্থ মিশ্রিত করা হয় নাই।"মধু চিনিরচাইতে অনেক গুণ মিষ্টি। তরল মধু নষ্ট হয় না, কারণ এতে চিনির উচ্চ ঘনত্বের কারণে প্লাজমোলাইসিস প্রক্রিয়ায় ব্যাকটেরিয়া মারা যায়। প্রাকৃতিক বায়ুবাহিত ইস্ট মধুতে সক্রিয় হতে পারে না, কারণ মধুতে পানির পরিমাণ খুব অল্প। প্রাকৃতিক, অপ্রক্রিয়াজাত মধুতে মাত্র ১৪% হতে ১৮% আর্দ্রর্তা থাকে। আর্দ্রর্তার মাত্রা ১৮% এর নিচে যতক্ষণ থাকে, ততক্ষণ মধুতে কোন জীবাণু বংশবৃদ্ধি করতে পারে না। পাস্তুরাইয্ড মধুতে মধুর প্রাকৃতিক ঔষধি গুণাবলী হ্রাস পায়।

মধুতে যা বিদ্যমানঃ
মধুতে প্রায় ৪৫টি খাদ্য উপাদান থাকে। ফুলের পরাগের মধুতে থাকে ২৫-৩৭ শতাংশ গ্লুকোজ। ৩৪-৪৩ শতাংশ ফ্রুক্টোজ, ০.৫-৩.০ শতাংশ সুক্রোজ এবং ৫-১২ শতাংশ মন্টোজ। আরো থাকে ২২ শতাংশ অ্যামাইনো এসিড, ২৮ শতাংশ খনিজ লবণ এবং ১১ ভাগ এনকাইম। এতে চর্বি ও প্রোটিন নেই। ১০০ গ্রাম মধুতে থাকে ২৮৮ ক্যালরি।

আছে যত ধরনের মধু
বিভিন্ন ফুল থেকে মধু হয় যেমন-সরিষা ফুল, লিচু, সুন্দর বন, কালজিরা থেকে আহরিত মধু। এ ছাড়া রয়েছে ধুনিয়া ফুল, গুজি তিল ও তৃষি থেকেও উৎপাদিত হয় মধু।প্রায় সব গুলুর গুনাগুন একই।
 
সবচেয়ে সেরা মধু
নিউজিল্যাণ্ডের মানুকা হানি বাজারে প্রাপ্য সকল মধুর চেযে বেশী চেযে ঔষধিগুণ সম্পন্ন গণ্য করা হয়। মানুকা নামীয় একপ্রকার ঝোপ জাতীয় উদ্ভিদের ফুল থেকে উৎপন্ন মধু "মানুকা হানি" নামে পরিচিত।

মধুর ব্যাবহার

আধুনিক চিকিত্সাবিদ্যার জনক নামে পরিচিত হিপ্পোক্রেটস শরীরের প্রদাহ ও সিফিলিস রোগের চিকিত্সায় মধু ব্যবহার করতেন বলে কথিত আছে। ২ হাজার বছর আগেও যখন চিকিত্সা বিজ্ঞান আজকের মতো এতটা উন্নত ছিল না, তখনও মানুষ জানত মধুর কী গুণ! গ্রিক অ্যাথলেটরা অলিম্পিকে অংশগ্রহণের আগে প্রচুর পরিমাণ মধু সেবন করত শক্তি বাড়ানোর জন্য। তাদের ধারণা ছিল, মধু খেলে তাদের পারফরমেন্সের উন্নতি হবে।কারণ মধুতে রয়েছে উচ্চমাত্রার ফ্রুক্টোজ ও গ্লুকোজ যা যকৃতে গ্রাইকোজেনের রিজার্ভ গড়ে তোলে।

খাটি মধুর বৈশিষ্ট্য:-

•খাটি মধুতে কখনো কটু গন্ধ থাকে না।
•মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকারক কোনো বিষাক্ত উপাদান প্রাকৃতিক গাছে থাকলেও তার প্রভাব মধুতে থাকে না।
•মধু সংরক্ষণে কোনো পৃজারভেটিভ ব্যবহৃত হয় না। কারণ মধু নিজেই পৃজারভেটিভ গুণাগুণ সম্পন্ন পুষ্টিতে ভরপুর খাদ্য।
•মধু উৎপাদন, প্রক্রিয়াজাত, নিষ্কাশন, সংরক্ষণ ও বোতলজাতকরণের সময় অন্য কোনো পদার্থের সংমিশ্রণ প্রয়োজন হয় না।
•খাটি মধু পানির গ্লাসে ড্রপ আকারে ছাড়লে তা সরাসরি ড্রপ অবস্থায়ই গ্লাসের নিচে চলে যায়।

খাটি মধুতে যে মান থাকা আবশ্যক 
•পানি শতকরা ২১ ভাগের বেশি নয়।
•সুক্রোজ শতকরা ৫ ভাগের বেশি নয়।
•অ্যাশ শতকরা ১ ভাগের বেশি নয়।
•রিডিউসিং সুগার শতকরা ৬৫ ভাগের কম নয়।

খাঁটি মধু চেনার কিছু উপায়

বর্তমানে আমরা বাজার থেকে যে মধু কিনে আনি তা যে কতটুকু খাঁটি তা বলা মুশকিল । মধুর মধ্যে সাধারণত ভেজাল হিসেবে পানি, চিনি ও আরও অনেক কিছু মেশানো হয় । চলুন আমরা জেনে খাঁটি মধু চেনার কিছু উপায় -
ফ্রিজিং পরীক্ষা : মধুকে ফ্র্রিজের মধ্যে রেখে দিন । খাঁটি মধু জমবে না । ভেজাল মধু পুরাপুরি না জমলেও জমাট তলানী পড়বে।
পিঁপড়া পরীক্ষা : এক টুকরা কাগজের মধ্যে কয়েক ফোঁটা মধু নিন । তারপর যেখানে পিঁপড়া আছে সেখানে রেখে দিন । পিঁপড়া যদি মধুর ধারে কাছে না ঘেসে তবে তা খাঁটি মধু । আর পিঁপড়া যদি তা পছন্দ করে তবে মধুতে ভেজাল আছে।
চক্ষু পরীক্ষা : খুব অল্প পরিমাণ মধু চোখের ভেতরে দিন । যদি মধু খাঁটি হয় তবে প্রথমে চোখ জ্বালাপোড়া করবে ও চোখ থেকে পানি বের হবে এবং খানিক পরে চোখে ঠান্ডা অনুভূতি হবে । (এই পরীক্ষায় অনুৎসাহিত করছি)
•দ্রাব্যতা পরীক্ষা : এক গ্লাস পানি নিয়ে এর মধ্যে এক টেবিল চামচ পরিমাণ মধু নিন । খুব ধীরে ধীরে গ্লাসটি শেক করুন । যদি মধু পানিতে পুরাপুরি দ্রবীভূত হয়ে যায় তবে তা ভেজাল মধু । আর মধু যদি পানিতে ছোট ছোট পিন্ডের আকারে থাকে তবে তা খাঁটি মধু ।
মেথিলেটেড স্পিরিট পরীক্ষা : সমান অনুপাতে মধু এবং মেথিলেটেড স্পিরিট মিশ্রিত করে নাড়াতে থাকুন। খাঁটি মধু দ্রবীভুত না হয়ে তলনীতে জমা হবে । আর ভেজাল মধু দ্রবীভূত হয়ে মেথিলেটেড স্পিরিটকে মিল্কি করবে ।
শিখা পরীক্ষা : একটি কটন উয়িক নিয়ে উহার এক প্রান্তকে মধুর মধ্যে ডুবিয়ে নেই । তারপর উঠিয়ে হালকা শেক করে নিই । একটি মোমবাতি জ্বালিয়ে বা লাইটার জ্বলিয়ে তা আগুনের শিখায় ধরি । যদি তা জ্বলতে থাকে তবে মধু খাঁটি আর যদি না জ্বলে তবে মধুতে পানি মেশানো আছে । যদি মধুতে অল্প পরিমাণ পানি মেশানো থাকে তবে কটন উয়িক জ্বলতে থাকবে কিন্তু ক্র্যাকলিং সাউন্ড শোনা যাবে ।
শোষণ পরীক্ষা : কয়েক ফোঁটা মধু একটি ব্লটিং পেপারে নিন ও পর্যবেক্ষণ করুন । খাঁটি মধু ব্লটিং পেপার কর্তৃক শোষিত হবে না । ভেজাল মধু ব্লটিং পেপারকে আর্দ্র করবে ।
কলংক পরীক্ষা : একটুকরা সাদা কাপড়ের উপর সামান্য পরিমাণ মধু নিন এবং এবং কিছুক্ষন পর কাপড়টি ধৌত করুন । ধোয়ার পর কাপড়টিতে যদি কোন দাগ থাকে তবে মধুতে ভেজাল আছে । আর যদি কোন দাগ না থাকে তবে মধু খাঁটি ।
হানি কম্ব পরীক্ষা : একটি কাঁচের বা সাদা রংয়ের বোলের মধ্যখানে দেড় থেকে দুই চা চামচ (প্লস্টিকের তৈরি) মধু নেই । তারপর বোলের চারদিক দিয়ে ধীরে ধীরে ঠান্ডা পানি ঢালতে থাকি । যখন পানি মধুকে ঢেকে ফেলবে তখন পানি ঢালা বন্ধ করি । তারপর বোলটিকে তুলে ধরে ঘড়ির কাঁটার বিপরীত দিকে দুই মিনিট ধরে ঘুরাতে থাকি । খাঁটি মধু এই মুভমেন্টের পরেও পানিতে দ্রবীভূত হবে না এবং হেক্সাগোনাল আকৃতি ধারণ করবে যা দেখতে প্রায় হানি কম্ব এর মত।
স্বচক্ষে দেখা পদ্ধতি : এই পরীক্ষগুলো না করেও খাঁটি মধু সম্পর্কে নিশ্চত হতে পারবেন যদি আপনি নিজে উপস্থিত থেকে মৌচাক থেকে মধু সংগ্রহ করে আনতে পারেন ।


মধুর উপকারিতা

মধুর উপকারিতার কথা লিখে শেষ করা যাবে না।মধুর নানাবিধ উপকারিতা নিম্নে প্রদত্ত হলঃ
•শক্তি প্রদায়ী মধু ভালো শক্তি প্রদায়ী খাদ্য। মধু তাপ ও শক্তির ভালো উৎস। মধু দেহে তাপ ও শক্তি জুগিয়ে শরীরকে সুস্থ রাখে।
•হজমে সহায়তা এতে যে শর্করা থাকে তা সহজেই হজম হয়। কারণ এতে যে ডেক্সট্রিন থাকে তা সরাসরি রক্তে প্রবেশ করে এবং তাৎক্ষণিকভাবে ক্রিয়া করে।পেটরোগা মানুষদের জন্য মধু বিশেষ উপকারি।
•কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে
•মধুতে রয়েছে ভিটামিন বি-কমপ্লেক্স, ডায়রিয়া, কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।১ চা চামচ খাঁটি মধু ভোরবেলা পান করলে কোষ্ঠবদ্ধতা এবং অম্লত্ব দূর হয়।
•রক্তশূন্যতায়
•মধু রক্তের হিমোগ্লোবিন গঠনে সহায়তা করে বলে এটি রক্তশূন্যতায় বেশ ফলদায়ক।কারণ এতে থাকে খুব বেশি পরিমাণে কপার, লৌহ ও ম্যাঙ্গানিজ।
•ফুসফুসের যাবতীয় রোগ ও শ্বাসকষ্ট নিরাময়ে
বলা হয়, ফুসফুসের যাবতীয় রোগে মধু উপকারী। যদি একজন অ্যাজমা (শ্বাসকষ্ট) রোগীর নাকের কাছে ধরে শ্বাস টেনে নেয়া হয় তাহলে সে স্বাভাবিক এবং গভীরভাবে শ্বাস টেনে নিতে পারবেন। কেউ কেউ মনে করেন, এক বছরের পুরনো মধু শ্বাসকষ্টের রোগীদের জন্য বেশ ভালো।

মধু বনাম চিনি
একজন মানুষের জন্য দৈনিক যত ক্যালরি খাদ্য দরকার, তার ২২ ক্যালরি পাওয়া যায় এক চা চামচ মধুতে। একই পরিমাণ চিনিতে পাওয়া যাবে ১৫ ক্যালরি। তবু এক কেজি চিনির চেয়ে এক কেজি মধুর দাম অনেক বেশি। কারণ, চিনি যতটা সহজলভ্য মধু ততটা নয়। অবশ্য মধু চিনির চেয়ে দুষ্প্রাপ্য বলেই যে এর দাম বেশি, তাও নয়। আসলে চিনির চেয়ে মধুর দ্রব্যগুণটা মানব শরীরে অনেক বেশি সক্রিয়। তাই প্রাকৃতিকভাবে তৈরি মধুর কাছে কারখানায় তৈরি চিনি তেমন পাত্তা পায় না। খাদ্যবিজ্ঞানীরা দেখেছেন, মধুতে রয়েছে প্রচুর গ্লুকোজ আর ফলজ শর্করা। এটি দিয়ে লিভারে সঞ্চিত হয় প্রচুর পরিমাণে গ্লাইকোজেন। আর এতে শরীরে পাওয়া যায় অমিত শক্তি ও প্রাণচাঞ্চল্য। ।

মধুর দানাদার সমস্যা
অনেক মধু দানাদার আকার ধারণ করে। যদি কোনো মধুতে গ্লুকোজের পরিমাণ ফ্রুক্টোজের চেয়ে বেশি থাকে তখন সে মধু অতি দ্রুত দানাদার হয়। যেমন সরিষা ফুলের মধু। আবার মধুতে পর্যাপ্ত পোলেন, ধুলাবালি ও বুদবুদ থাকলে সে মধু সহজে দানাদার হয়। সাধারণত ১১ থেকে ১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় মধু জমতে পারে। তবে ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা মধু অতি দ্রুত জমতে সহায়ক। পানির পরিমাণ বেশি থাকলে মধুকে দানাদার হতে ত্বরান্বিত করবে। তবে দানাদার মধু খেতে কোনো সমস্যা নেই। দানাদার মধুকে পরোক্ষ তাপ প্রয়োগের মাধ্যমে তরল করা যায় বা কৃম মধুতে রূপান্তর করা যায়। দানাদার মধু ছয় মাসের মধ্যে ব্যবহার করা উত্তম।

সতর্কতা
মধু সব রোগের মহৌষধ হলেও একটি কথা থেকেই যায়, সেটি হলো ডায়াবেটিস রোগের ক্ষেত্রে মধু খুবই বিপজ্জনক। কারণ এটি রক্তে সরাসরি শোষিত হয় বলে সহজেই দেহের রক্ত শর্করাকে উচ্চস্তরে নিয়ে আসবে এতে কোনো সন্দেহ নেই। সুতরাং ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য মধু গ্রহণ নিষেধ ।


Source : Internet




302
খালিদ ইবনু সা‘দ  হতে বর্ণিত- তিনি বলেন, আমরা যুদ্ধের অভিযানে বের হলাম। আমাদের সঙ্গে ছিলেন গালিব ইবনু আবজার। তিনি পথে অসুস্থ হয়ে গেলেন। এরপর আমরা মদিনা্য় ফিরলাম তখনও তিনি অসুস্থ ছিলেন। তাঁকে দেখাশুনা করতে আসেন ইবনু আবূ ‘আতীক। তিনি আমাদের বললেনঃ তোমরা এ কালো জিরা সাথে রেখ। এত্থেকে পাঁচটি কিংবা সাতটি দানা নিয়ে পিষে ফেলবে, তারপর তন্মধ্যে যাইতুনের কয়েক ফোঁটা তৈল ঢেলে দিয়ে তার নাকের এ দিক-ওদিকের ছিদ্র দিয়ে ফোঁটা ফোঁটা করে প্রবিষ্ট করাবে। কেননা, ‘আয়িশাহ আমাদের নিকট বর্ণনা করেছেন যে, তিনি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -কে বলতে শুনেছেনঃ এই কালো জিরা ‘সাম ছাড়া সব রোগের ঔষধ। আমি বললামঃ ‘সাম কী? তিনি বললেনঃ মৃত্যু।
সুতরাং কালো জিরা হোক আমাদের নিত্য সঙ্গী। সু-স্বাস্থ্য অর্জনে ও সংরক্ষনে কালোজিরা জাত ওষুধ গ্রহনে কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া বা জটিলতা সৃষ্টি করে না।সর্ব রোগের মহৌষধ হোমিওপ্যাথিক ও দেশীয় চিকিৎসায় সহযোগী ওষুধ রূপে এর ব্যবহার।

কালোজিরায় কি আছেঃ
এর মধ্যে রয়েছে ফসফেট, লৌহ,ফসফরাস, কার্বো-হাইড্রেট ছাড়াও জীবাণু নাশক বিভিন্ন উপাদান সমূহ। এতে রয়েছে ক্যন্সার প্রতিরোধক কেরোটিন ও শক্তিশালী হর্মোন, প্রস্রাব সংক্রান্ত বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধকারী উপাদান, পাচক এনজাইম ও অম্লনাশক উপাদান এবং অম্লরোগের প্রতিষেধক।
ঔষধি গুণ
মস্তিষ্ক, চুল, টাক ও দাঁদ, কান,দাঁত, টনসিল, গলাব্যথা,পোড়া নারাঙ্গা বা বিসর্গ,গ্রন্থি পীড়া, ব্রণ, যাবতীয় চর্মরোগ, আঁচিল, কুষ্ঠ, হাড়ভাঙ্গা,ডায়াবেটিস, রক্তের চাড় ও কোলেষ্টরেল, কিডনী, মুত্র ও পিত্তপাথরী, লিভার ও প্লীহা,ঠান্ডা জনিত বক্ষব্যাধি,হৃদপিন্ড ও রক্তপ্রবাহ, উদরাময়, পাকস্থলী ও মলাশয়, প্রষ্টেট, আলসার ও ক্যান্সার এ কালিজিরা উপকারি ।চুলপড়া, মাথাব্যথা, অনিদ্রা,মাথা ঝিমঝিম করা, মুখশ্রী ওসৌন্দর্য রক্ষা, অবসন্নতা-দুর্বলতা, নিষ্কিয়তা ও অলসতা,আহারে অরুচি,মস্তিষ্কশক্তি তথা স্মরণশক্তি বাড়াতেও কালোজিরা উপযোগী।কালোজিরার যথাযথ ব্যবহারে দৈনন্দিন জীবনে বাড়তি শক্তি অজির্ত হয়। এর তেল ব্যবহারে রাতভর আপনি প্রশান্তিপর্ন নিদ্রা যেতে পারেন।রোগপ্রতিরোধক কালো জিরা দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।

Source: Somewhereinblog.net
            www.hadithbd.com

303
Scholarship / স্বপ্ন পূরণের এক ধাপ
« on: August 26, 2015, 02:00:36 PM »
দেশের বাইরে পড়াশোনা করতে  যাবেন ? নিচের ওয়েব সাইট গুলো আপনার কাজে লাগতে পারে । জলদি একবার ঘুরে আসুন আপনার কাঙ্ক্ষিত সাইট টিতে , হয়তো আপনার প্রয়োজনীয় কোন  তথ্য ও পেয়ে যেতে পারেন ।
১ । www.dst.gov.au – অষ্ট্রেলিয়ার শিক্ষা সংক্রান্ত বিভন্ন তথ্য জানার জন্য এ সাইট টি ভিজিট করতে পারেন
২। www.braintrack.com – এই সাইটটিতে বিশ্বের প্রায় সকল দেশেরই বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট সহ বিভিন্ন আনুষঙ্গিক তথ্য দেয়া আছে । আপনি ইচ্ছে করলেই এ সাইট থেকে আপনার পছন্দের বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন তথ্য জানতে পারবেন । এ সাইটটির আর একটি সুবিধা হল এখানে সকল বিশ্ববিদ্যালয় গুলোকে একটি ইনডেক্সের মধ্যে বর্ণানুক্রমিক ভাবে সাজানো হয়েছে ।
৩। www.globaled.us - এখানে মানচিত্রের মধ্যে চিহ্নিত বিভিন্ন দেশের উপর ক্লিক করলেই স্ক্রীনে ভেসে আসবে ঐ দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট ও অন্যান্য তথ্য ।
৪। www.education-world.com – এ সাইটটিতে বিশ্বের সব মহাদেশের সেরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ওয়েবসাইট সহ বিভিন্ন তথ্য দেয়া আছে । এ ছাড়া এখানে স্কলারশিপ , বিভিন্ন টেস্ট ও শিক্ষার্থীদের জন্য বেশ কিছু জরুরি তথ্য দেয়া আছে ।
৫।www.wes.org - আমেরিকা , কানাডার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির তথ্য , ক্রেডিট ট্রান্সফার , আর্থিক সহায়তার তথ্য , ভর্তি পরীক্ষা এবং TOFEL,IELTS,SAT,GRE,GMAT এর তথ্য সমৃদ্ধ এ সাইটে আরও আছে আমেরিকায় ইমিগ্রেশন সংক্রান্ত সকল তথ্য ও চাকরির খবরাখবর।
৬।www.educationusa.state.gov – মার্কিন ভিসা , মার্কিন শিক্ষা মেলা সংক্রান্ত তথ্য , বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আবেদনের জন্য জরুরি তথ্য , আর্থিক সহযোগিতা , বিভিন্ন কোর্স সম্পর্কে তথ্য ও মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর তথ্যে সমৃদ্ধ এ সাইটটি আমেরিকায় অধ্যয়নে আগ্রহীগণের জন্য চমৎকার এক দিকনির্দেশনা / গাইডলাইন ।
৭।www.education.yahoo.com - ইয়াহুর এ সাইটটিতে ঢুকে আপনি যে বিষয়ে বিদেশে উচ্চশিক্ষায় আগ্রহী সেই বিষয়ের উপর ক্লিক করলে বিশ্বের যে সমস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ঐ বিষয়ে উচ্চশিক্ষার ব্যবস্থা আছে তাদের বিভিন্ন তথ্য ধারাবাহিক ভাবে আপনার সামনে উপস্থাপিত হবে ।
৮। www.einnews.com – এ সাইটটিতে সাইপ্রাসে পড়াশোনা সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য ও নিয়মকানুন দেয়া আছে ।
৯। www.exchanges.state.gov – এ সাইটটিও আমেরিকায় অধ্যয়নে আগ্রহীদের জন্যে এক তথ্যবহুল সাইট ।
১০। www.iic.org - বিশ্বের বিভিন্ন দেশের শিক্ষাবিষয়ক তথ্যসমৃদ্ধ এ সাইটটি একটি অলাভজনক সংস্থার ওয়েবসাইট ।
১১ । www.iefa.org - স্কলারশিপ , ঋন , পড়াশোনায় আর্থিক সহযোগিতা ছাড়াও উচ্চশিক্ষার অন্যান্য তথ্যসমৃদ্ধ এ সাইটটিতে রয়েছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের উচ্চশিক্ষা সম্পর্কিত তথ্য ।
১২ । www.internationalstudent.com – এ সাইটটিতে আমেরিকা , অষ্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ডের শিক্ষাব্যবস্থা , আবাসন ব্যবস্থা , স্কলারশিপ তথ্য  , আবেদন প্রক্রিয়া , কোর্স নির্ধারন তথ্য ছাড়াও রয়েছে বিভিন্ন ইন্সু্রেন্স পরিকল্পনা , স্টুডেন্ট জব , TOFEL , ইন্টার্নশিপ ইত্যাদি সম্পর্কিত তথ্য ।
১৩। www.financialaidofficer.com - এ ওয়েব সাইটটিতে মূলত স্কলারশিপ ও আর্থিক সহযোগিতা সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্য বিস্তারিত দেয়া আছে  যা উচ্চশিক্ষায় স্কলারশিপ পেতে আগ্রহীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ।
১৪ । www.f1study.com – বিশ্ববিদ্যালয় বাছাই , আবেদন পাঠানো , আর্থিক সহায়তা , ভিসা পরামর্শ ,SAT, TOFEL তথ্য , ভিসা প্রক্রিয়া তথ্য ও বিভিন্ন ইন্সুরেন্স তথ্যে সমৃদ্ধ এ ওয়েবসাইটটি উচ্চশিক্ষার্থে বিদেশগামীদের জন্য আদর্শ একটা সাইট ।
১৫ । www.univsource.com – এ সাইটটিতে রয়েছে আমেরিকা ও কানাডার শিক্ষা সম্পর্কাত যাবতীয় তথ্য ।
১৬ । www.usaforstudent.com – এ সাইটটিতে ধারাবাহিকভাবে ছাত্রছাত্রীদের জব প্লেসমেন্ট , B1/ F1ভিসা প্রোগ্রাম নিয়ে তথ্যের পাশাপাশি রয়েছে গ্রীণকার্ডধারীদের জন্য চাকরির তথ্য ।
১৭ । www.internationalscholarships.com – এ সাইটটিতে রয়েছে আন্তর্জাতিক ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য বিভিন্ন স্কলারশিপ ও আর্থিক  সহযোগিতার বিভিন্ন সোর্স সম্পর্কিত তথ্য ।
১৮ । www.collegeconfidencial.com - বিভিন্ন কলেজে ভর্তির তথ্য এবং এ সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর পাওয়ার সুবিধা সম্বলিত এ সাইটটি ভিজিট করতে পারেন আগ্রহীগণ ।
১৯ । www.howstuffworks.com - কিভাবে ভাল কলেজ বাছাই করবেন তার পরামর্শ ও ও উচ্চশিক্ষার বিভিন্ন তথ্য সম্পর্কে আগ্রহীগন ভিজিট
করতে পারেন এ সাইটটি ।
২০ । www.nacacnet.org – এ সাইটটি National Association for college Admission Counselingনামক একটি প্রতিষ্ঠানের । এখানে পোস্ট গ্র্যাজুয়েট এডুকেশন সংক্রান্ত তথ্য সহ উচ্চশিক্ষার আরো তথ্য সংগৃহীত আছে ।
২১ । www.euroeducation.net - ইউরোপের বিভিন্ন দেশের শিক্ষাব্যবস্থা সহ আমেরিকা- কানাডার শিক্ষা সম্পর্কিত তথ্য জানার জন্য এ সাইটটি ভিজিট করতে পারেন । এ ছাড়াও এ সাইটটিতে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের নানান তথ্য দেয়া আছে ধারাবাহিকভাবে ।
২২। www.dmoz.org – ইউরোপের বিভিন্ন দেশের নানান তথ্যসহ সেসব দেশের নানান তথ্যসহ সেসব দেশের বিশ্ববিদ্যালয় গুলোর ওয়েবসাইটে ঢোকার সুবিধাসহ বিভিন্ন তথ্য রয়েছে এ সাইটে ।
২৩ । www.studyabroad.com - বিদেশে পড়তে যেতো ইচ্ছুক শিক্ষার্থীরা ল্যাঙ্গুয়েজ কোর্স ,ইন্টার্নশিপ সহ প্রয়োজনীয় বহু বিষয়ের
তথ্য পাবের এখানে ।
২৪ । www.123world.com - শিক্ষা সম্পর্কিত তথ্য সমৃদ্ধ এ সাইটটিতে ঢুকে ইউনিভার্সিটি সেকশনে গেলেই বিশ্বের শত শত ইউনিভার্সিটির
ওয়েবসাইট পাওয়া যাবে এবং তাতে ক্লিক করেই সরাসরি সংশ্লিষ্ট ইউনিভার্সিটির ওয়েবসাইটটি ভিজিট করা যাবে ।
২৫ । www.goabroad.com - এটি তথ্যবহুল এবং লিংকবিশিষ্ট একটি ওয়েবসাইট । বিষয় বা দেশভিত্তিক "সার্চ" অপশনে গিয়ে এই ওয়েবসাইটটি থেকে আপনি সংগ্রহ করতে পারেন আপনার কাঙ্খিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান , ল্যাঙ্গুয়েজ স্কুল , ইন্টার্নশিপ , স্কলারশিপের জন্য প্রতিষ্ঠান এবং এরকম কিছু প্রতিষ্ঠানের ঠিকানা , ফোন নম্বর, ই-মেইল ইত্যাদি বহুবিধ জরুরি তথ্য ।
২৬। www.transitionsabroad.com - শিক্ষা , চাকরি , ভ্রমণ প্রভৃতি কারনে বিদেশে গমনেচ্ছুদের জন্য transitions abroad পত্রিকার ডাটাবেজ এটি । শিক্ষা , কাজ , ইন্টার্নশিপ , ভাষা শিক্ষা , অভিভাসন ইত্যাদি বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য এখানে রয়েছে ।
২৭ । www.language-learning.net – কোথায় এবং কিভাবে আপনি ভাষা শিখতে পারেন তার একটি বিস্তৃত তথ্যভান্ডার হল এ সাইটটি । এই ডাটাবেজে প্রায় ৬০০০ ল্যাঙ্গুয়েজ কোর্সের তথ্য আছে । পৃথিবীর ২০ টি ভাষা এই কোর্সগুলোর অন্তর্ভুক্ত ।


Source :  http://higherstudyabord.blogspot.com/2015/03/scholarship.html

304
Its a great opportunity for the freshers who just completed HSC this year but think about those students who prepared themselves from last year, how they are feeling . :(

305
GRE ম্যাথ সমাধান করার সময় বেশ কিছু তথ্য মাথায় রাখা দরকার। এতে নির্ভুলভাবে অংক করা সম্ভব হবে। যেমনঃ

1। 1 কোন প্রাইম নাম্বার নয়। 2 হল একমাত্র প্রাইম নাম্বার যেটা জোড়।
2। 1 এর চেয়ে বড় কোন সংখ্যা যদি প্রাইম নাম্বার না হয়, তাহলে সেটাকে composite number বলে। প্রথম দশটা composite number হল 4, 6, 8, 9, 10, 12, 14, 15, 16 এবং 18 ।
3। 1 এর চেয়ে বড় প্রতিটা পূর্ণ সংখ্যাই হয় প্রাইম নাম্বার, নয় প্রাইম নাম্বারের গুণফল। যেমন, 14 = 2*7 বা 15 = 3*5 । এই ধরণের এক্সপ্রেশনকে বলে prime factorization ।

4। বন্ধনীর (parentheses) ভেতরে নেগেটিভ চিহ্ন থাকলে বর্গ করার সময় চিহ্নসহ করতে হবে। যেমন, (-3)^2 হল 9 । কিন্তু বন্ধনী ছাড়া বর্গ থাকলে শুধু সংখ্যাটা বর্গ করতে হবে। অর্থাৎ এক্ষেত্রে নেগেটীভ চিহ্ন বদলাবে না। যেমন, -3^2 হল -9 ।
5। শূন্যের উপরে যদি সূচক হিসেবে শূন্য বসে (0^0), তাহলে সেটার ফলাফল হবে অসংজ্ঞায়িত।
6। সব পজেটিভ নাম্বারেরই দুইটা বর্গমূল, একটা পজেটিভ আর একটা নেগেটিভ। কিন্তু শূন্যের বর্গমূল শুধু শূন্যই।
7। যখন চলকের বদলে বিভিন্ন সংখ্যা ব্যবহার করে অংক করতে হয়, তখন ZONEF সূত্রটি মনে রাখতে হবে। অর্থাৎ চলকের বদলে Zero, one, negative number/positive number, extremely big number/equal number, fractions – এইগুলো বসিয়ে দেখতে হবে।



306
Higher Education / Re: Some Tips about IELTS
« on: August 26, 2015, 12:03:13 PM »
Thank You  for sharing  these important issues .

307
Pharmacy / Re: The Mission of the Department of Pharmacy at DIU
« on: August 25, 2015, 02:21:13 PM »

Daffodil International University , Pharmacy department
is a new beginning and we are the flag bearer . As a pharmacy graduate from DIU its my duty to uphold my university reputation .  We will provide  pharmaceutical education, research, patient care and public service for the betterment of our society .

In Spring 2009 , Pharmacy department started its journey with only 21 students . Gradually total number of students are increasing and we feel proud that now we have almost 1000 students including some foreigners  :) . In-sha-Allah , we hope ,its not so far we will provide worlds best pharmacist . Pharmacist has so many scopes for working for the society  and we are committed to do these responsibilities .   

 
 

308
জনসংখ্যা বেড়ে চলছে, আমাদের জীবনযাত্রাও হয়ে উঠছে প্রযুক্তি নির্ভর। ফলে শারীরিক শ্রমও কমে চলেছে। এই অবস্থায় আলঝেইমার রোগ আরও বেশি ছড়িয়ে পড়ছে। একদল গবেষক তা প্রতিরোধের পথ বাতলে দিচ্ছেন। ভুলে যাওয়া স্বাভাবিক। আমরা সবাই প্রায় প্রতিদিন কত কিছুই না ভুলে যাই। কিন্তু স্মৃতিশক্তি ধীরে ধীরে উধাও হয়ে গেলে বিষয়টি বেশ মর্মান্তিক- এমনকি মারাত্মক হয়ে উঠতে পারে। আল্সহাইমার এমনই এক রোগ। শারীরিকভাবে সুস্থ, সবল মানুষের জীবনও প্রায় অর্থহীন করে তুলতে পারে এই রোগ। কাছের মানুষের পরিচয়ও মনে থাকে না। কিছু রোগীর ক্ষেত্রে বিষয়টি বংশগত, অন্যরা পারিপার্শ্বিক প্রতিকূলতার শিকার।
কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষকের হিসাব অনুযায়ী ২০৫০ সালের মধ্যে প্রায় ১০ কোটি ৬০ লাখ মানুষ আল্সহাইমার রোগে আক্রান্ত হবেন। ২০১০ সালে এই সংখ্যা ছিল ৩ কোটি। এমন এক পরিস্থিতি এড়াতে এই রোগ প্রতিরোধের পথ খোঁজা হচ্ছে।
ডাঃ এলইস আলঝেইমার ১৯০৬ সালে সর্বপ্রথম রোগটির বর্ণনা দেন। আলঝেইমার রোগে স্নায়ুকোষ, তথ্যবাহী স্নায়ূতন্তু ও স্নায়ুসংযোগ (সিন্যাপ্স) সমূহ বিনষ্ট হয়ে যায়। মস্তিস্কের যেসব স্থানে স্মৃতি সংরক্ষিত থাকে সেগুলিই প্রধানতঃ আক্রান্ত হয়। শতকরা ৫০ থেকে ৭৫ ভাগ ক্ষেত্রে আলঝেইমার রোগের কারনে ডিমেনশিয়া হয়ে থাকে।
আলঝেইমার রোগে ব্রেনের স্মৃতিতে নতুন তথ্য ধারন ও সংরক্ষণকারী টেমপোরাল লোব বিশেষতঃ হিপ্পোক্যাম্পাস শুকিয়ে যায় ফলে ব্রেন সংকুচিত হয়। স্মরণশক্তি, কথা, চিন্তা ও বিচারক্ষমতা ব্যহত হয়। ব্রেনের এসিটাইলকলিন ও আরোকিছু জটিল রাসায়নিক পদার্থ তৈরীর পরিমান কমে যায়। কি কারণে স্নায়ুকোষ নষ্ট হয় তা স্পষ্ট নয় তবে মৃত্যূর পর ব্রেন পরীক্ষা করে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন দেখা যায়। ক্ষতিগ্রস্ত অংশগুলো অনুবীক্ষণ যন্ত্রে পরীক্ষা করলে স্নায়ুকোষের অভ্যন্তরে নিউরোফিব্রিলারী ট্যাঙেল ও বাহিরে নিউরাইটিক প্ল্যাক জাতীয় আমিষ কণা পাওয়া যায়। এ থেকে আলঝেইমার রোগ ডায়াগনোসিস নিশ্চিত হয়।
সম্প্রতি, একটি জার্নালে প্রকাশিত প্রতিবেদনে গবেষকরা বলছেন, নিয়মতান্ত্রিক নিরবচ্ছিন্ন আট ঘণ্টা ঘুম বৃদ্ধ বয়সে আলঝেইমার এড়াতে সহায়ক হতে পারে। বিশেষত, তরুণ এবং মধ্যবয়সীদের ক্ষেত্রে ঘুম খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, ঘুম স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি এবং নতুন কিছু শেখার ক্ষেত্রে সহায়ক ভূমিকা রাখে।
প্রতিবেদনে গবেষকরা বলেন, ধারণা করা হচ্ছে, শিশুকাল অথবা তরুণ বয়স থেকেই নিয়মতান্ত্রিক ঘুম বৃদ্ধ বয়সে স্মৃতি শক্তি লোপ পাওয়া থেকে রক্ষা করতে পারে।টেক্সাস বেইলর ইউনিভার্সিটির স্লিপ নিউরোসায়েন্স অ্যান্ড কগনিশন ল্যাবরেটরির পরিচালক মাইকেল স্কুলিন গত ৫০ বছর ধরে ঘুম সংক্রান্ত বিভিন্ন গবেষণা করে আসছেন।তিনি বলেন, মধ্য বয়স থেকে নিয়মতান্ত্রিক জীবনযাপন করলে এর ফল পাওয়া যাবে ২৮ বছর পরে। কেবল স্মৃতিশক্তিই নয়, সুস্বাস্থ্যের জন্যও ঘুম খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কেননা, উচ্চ রক্তচাপ, অতিরিক্ত ওজন এমনকী ডায়াবেটিসের (টাইপ-২) কারণেও স্মৃতিশক্তি লোপ পেতে পারে।

309
ছোট্ট শিশুটি পৃথিবীর আলো দেখে পরিবারের সবার আশীর্বাদ পুষ্ট হয়ে। বাবা মায়ের নয়নের মনি হৈ – হুল্লোড় করতে করতে ধীরে ধীরে বড় হয় । পিতা মাতার অক্লান্ত পরিশ্রমের বিনিময়ে স্বপ্ন সাজায় নিজের ভবিষ্যতের এবং জয়-পরাজয়ের মধ্য দিয়ে উপনীত হয় জীবন সায়াহ্নে । এটা ই আমাদের সমাজ সংসার এর চলমান ধারা ।বার্ধক্য জীবনের শেষ পর্যায়ের স্বাভাবিক পালাবদল।আমাদের দেশে প্রবীণদের বয়সসীমা এখনও নির্ধারণ করা হয়নি। তবে ৬০ বা তার ঊর্ধ্ব বয়সী ব্যক্তিকে সাধারণত প্রবীণ হিসেবে গণ্য করা হয়।জনসংখ্যার দিক দিয়ে বিশ্বে সপ্তম এবং দারিদ্রতা ও দূর্নীতি জর্জরিত বাংলাদেশের ১৫ কোটি মানুষের ১০ভাগই প্রবীণ নারী-পুরুষ। বয়স বারার সাথে সাথে কিছু রোগ দেখা দেয় যেমন যা হয়ত মৃত্যুর আগে পর্যন্ত পিছু ছাড়ে না ।এর মধ্যে উল্লেখযোগ্যঃ

•   হাঁপানি
•   ডায়াবেটিস
•   উচ্চ রক্তচাপ
•   অস্টিওআর্থ্রাইটিস
•   শ্রবণশক্তি নষ্ট হয়ে যাওয়া
•   প্রস্রাবের সমস্যা
•   পাইলস বা হিমোরয়েড
•   ইলেকট্রোলাইট ইমব্যালান্স
•   চোখের অসুখ
•   শ্বাসকষ্ট
•   আলঝেইমার
•   ডিমেনসিয়া
•   বাত
•   মনস্তাত্ত্বিক সমস্যা

একটু ভাবুনতো নিয়ম মেনে ঔষধ সেবন ই কি এসব রোগ থেকে প্রতিকারের একমাত্র উপায় ?   প্রচলিত আছে -পথ্য নয়  সেবায় ই নিরাময় । ছোটো বেলায়  অসুস্থ হলে  ঔষধ এর পাশাপাশি বাবা মায়ের  সেবা যত্নে ই দ্রুত আমাদের  সেরে উঠা । যে পিতা মাতা আমাকে আপনাকে ছোট্ট শিশু থেকে বড় করে আনন্দময় ভবিষ্যতের জন্য ক্ষয় করেন নিজের জীবন।  তদের প্রতি আমাদের দায়িত্ব বা কর্তব্য কতখানি হয়া উচিত ? আধুনিক সমাজের কতজন শিক্ষিত মানুষ সত্যিকারে বৃদ্ধ মা-বাবার কথা ভাবেন?সভ্য সমাজের গতিময়তা ধরে রাখতে এই মানুষ গুলকে আমরা  জঞ্জাল মনে করে হিসাবের বাইরে ফেলে দেই । বয়সের ভারে ন্যুজ্ব পিতামাতা সংসারে হয়ে পড়েন অপাংক্তেয়।

বাবা মায়ের তথাকথিত ভালর কথা চিন্তা করে , নিজেদের দায় মুক্তির জন্য আমাদের সমাজে প্রবীণ দের আশার বানী শোনাচ্ছে “বৃদ্ধাশ্রম” ।আমি “বৃদ্ধাশ্রম” এর বিরুদ্ধে বলছি না। একজন অশহায় সন্তানহীন , সমাজ সংসারে একা পিতা –মাতা ই কেবল স্ব ইচ্ছায়  বৃদ্ধাশ্রম কে আশীর্বাদ হিসাবে মেনে নিতে পারেন। কিন্তু একটু ঘুরে আসুন আমাদের দেশের বৃদ্ধাশ্রম , দেখবেন সেখান কার  চিত্র যেন বড়ই বিচিত্র । বৃদ্ধা অশ্রমের গন্ডিতে ধুকে ধুকে সময় পার করে এই সব অবহেলিত অগ্রজরা ।আমার কানে বাজছে হিরন বানু , করিমন , আতাউর রহমান এর করুন আরতনাদ,আর ছলছল চোখের চাহনি, যারা বার্ধক্য জনিত রোগের সাথে লড়াই করে যাচ্ছেন আর শত কষ্ট  দেওয়ার পর ও প্রানপ্রিও সন্তান এর অপেক্ষা করছেন।

কথা হয় একজন বৃদ্ধাশ্রম পরিচালক এর সাথে , দুখের সাথে তিনি বলেন আমি ও চাই না জীবনের শেষ দিনগুলো এই লোক গুলো খাঁচার পাখি হয়ে বিদায় নিক , তার ভাষায় ঃ‘‘দায়িত্ববান সন্তানের কাছে পরিবারের অন্যতম সদস্য হয়ে বেঁচে থাকুন পিতা-মাতা, দাদা-দাদী। বুক উঁচু করে বেঁচে থাকুক সেই সব সন্তান, যারা তাদের পিতা-মাতাকে জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত এতো টুকুও সম্মানহানী না করে, কষ্ট না দিয়ে তাদের আগলে রাখে’’।

পিতা-মাতাকে দূরে ঠেলে দিয়ে লোভী দৃষ্টি সুদৃঢ়ভাবে তৈরি করতে চায় আপন সংসার , যার কেন্দ্রবিন্দু কিনা তার সন্তান।  সন্তানের নিশ্চিত ভবিষ্যৎ তৈরী করতে  বিলিয়ে দিচ্ছে নিজেকে,কিন্তু সময় বড় নিষ্ঠুর! কে জানে  তার পিতামাতার মত সেও হয়ত অগ্রসর  হচ্ছে সর্পিল দিনের কালো অধ্যায়ে। তার আদরের সন্তানেরা বড় হয়ে যে তার মতই নিষ্ঠুর ব্যবহার কবে না সে নিশ্চয়তা কে দেবে? আসুন  সচেতন হই , বৃদ্ধ বাবা মায়ের  বার্ধক্য কে আনন্দে পরিনত করি । নিজের সুস্থ ,স্বাভাবিক ,আনন্দময় ভবিষ্যৎ গড়ি।

310
Thank you sir ...

311
Pharmacy / তুলসীর যত গুণ !!
« on: August 24, 2015, 05:00:40 PM »
তুলসী গাছ আমাদের আশেপাশেই থাকে অনেক সময় । কিন্তু, আমরা তার সদ্ব্যবহার করতে পারি না। শুধু পুজো-অর্চনাতেই তুলসী পাতার প্রয়োজন পড়েনা ৷ আয়ুর্বেদে তুলসীকে ভেষজের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হিসেবে আখ্যা দেওয়া হয়েছে ৷
নাম:
বাংলা : তুলসী
অন্যান্য ভাষায় : Holy basil, Tulsi
বৈজ্ঞানিক নাম: Ocimum sanctum
গোত্র: Lamiaceae

নানা রোগে এ গাছের রসের ব্যবহার সেই প্রাচীনকাল থেকে। গাছটি কৃমিনাশক, বায়ুনাশক, হজমকারক ও রুচিবর্ধক হিসেবে বহুল ব্যবহৃত।
১. চর্মরোগে তুলসী পাতা দূর্বাঘাসের ডগার সংগে বেটে মাখলে ভালো হয়ে যায়।
২. জ্বর হলে পানির মধ্যে তুলসী পাতা, গোল মরিচ এবং মিশ্রী মিশিয়ে ভাল করে সেদ্ধ করে নিন ৷ অথবা উপরিউক্ত তিনটে দ্রব্য মিশিয়ে বড়ি তৈরি করুন ৷ দিনের মধ্যে তিন-চার বার ঐ বড়িটা পানি দিয়ে সেবন করুণ । জ্বর খুব তাড়াতাড়ি সেরে যাবে।
৩. কাশি হলে তুলসী পাতা এবং আদা একসাথে পিষে মধুর সঙ্গে মিশিয়ে খান ৷ এতে উপকার পাবেন ৷
৪. ডাইরিয়া হলে ১০ থেকে বারোটি পাতা পিষে রস খেয়ে ফেলুন।
৫. মুখের দুর্গন্ধ দূর করতে দিনে ৪-৫ বার তুলসী পাতা চেবান ।
৬. আপনার শরীরে যদি কোনরকম ঘা যদি থাকে তাহলে তাহলে তুলসী পাতা এবং ফিটকিরি একসঙ্গে পিষে ঘা এর স্থানে লাগান।
৭. শরীরের কোন অংশ যদি পুড়ে যায় তাহলে তুলসীর রস এবং নারকেলের তেল ফেটিয়ে লাগান, এতে জ্বালাপোড়া কমে যাবে। পোড়া জায়গাটা তাড়াতাড়ি শুকিয়ে যাবে এবং পোড়া দাগ ওঠে যাবে।
৮. ত্বকের রোশনি বাড়ানোর জন্য, ত্বকের বলীরেখা এবং ব্রোন দূর করার জন্য তুলসী পাতা পিষে মুখে লাগান।
৯. যদি কখনও বমি কিংবা মাথা ঘোরা শুরু করে, তাহলে তুলসী রসের মধ্যে গোলমরিচ মিশিয়ে খেলে বিশেষ উপকার পাওয়া যায়।
১০. সকালবেলা খালি পেটে তুলসী পাতা চিবিয়ে রস পান করলে খাবার রুচী বাড়ে।
১১. নিয়মিত তুলসীর রস পানে হৃদরোগেও উপকার পাওয়া যায়।   


তথ্য সূত্র ঃ ন্যাচারাল মেডীক

312

১। গ্রীন টি শরীরের মেটাবোলিজম বাড়িয়ে ফ্যাট ও ওজন কমাতে সহায়তা করে। এছাড়া শরীরকে হাইড্রেটেড রাখতে, একটি হেলদি মেটাবোলিক রেট দিতেও এটি সহায়ক।
২। অনেকেই ডায়েট কোক কিংবা পানীয়কে গ্রীন টি’র বিকল্প ভাবতে পারেন এবং তবে এটি জেনে রাখা ভালো যে এসব পানীয় মহিলাদের টাইপ-২ ডায়বেটিসের সম্ভাবনা ৭০ শতাংশ বাড়িয়ে দিতে পারে। তাই ডায়েট প্ল্যান এ এসব পানীয় বাদ দিয়ে গ্রীন টি রাখাই শ্রেয়।
৩। গবেষণা অনুযায়ী প্রতিদিন এক কাপ গ্রীন টি স্ট্রোকের সম্ভাবনা তিনভাগের একভাগ কমিয়ে আনে।
৪। যারা বিশেষত কোমরের ফ্যাট কমাতে ইচ্ছুক তাঁদের জন্য গ্রীন টি বিশেষ উপকারী। এছাড়া এটি দ্রুত ওজন বৃদ্ধিও প্রতিরোধ করে।
৫। যারা ওজন কমাতে দৌড়াতে কিংবা হাঁটতে শুরু করেছেন তাঁদের জন্য ভালো খবর হলো গ্রীন টি প্রতিদিন বেশিক্ষণ ধরে দৌড়াতে কিংবা হাঁটতে ধৈর্য্যএবং শক্তি ধরে রাখতে সাহায্য করে।
৬। গ্রীন টি শরীরের বিভিন্ন অংশকে ভেতর থেকে সতেজ করে তোলে এবং সেই সাথে স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধিতেও সহায়তা করে।
৭। রক্তচাপ এবং কোলেস্টোরেল কমাতে গ্রীন টি দারুণ ভূমিকা রাখে।

314
বাংলাদেশের প্রবীণ নাগরিক বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন ‘ডিমেনশিয়া’ বা ‘মানসিক স্মৃতিভ্রম’ রোগে। দিন দিন রোগটি ছড়িয়ে পড়ছে। এতে আক্রান্তদের অস্বাভাবিক আচার-আচারণ, আবদার  কিংবা খিটখিটে  মেজাজের জন্য পরিবারের সদস্যের বিরক্তি হচ্ছে তাদের ওপর। আখ্যা পাচ্ছেন-‘পাগল’ হিসেবে।ফলে পরিবারে অবহেলার শিকার হচ্ছেন প্রবীণরা। চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা এ রোগ বা উপসর্গে আক্রান্ত হওয়ার প্রকৃত কোনো কারণ এখনো আবিস্কার করতে পারেননি। তবে বিশেষজ্ঞরা বলেছেন,  এ রোগে আক্রান্তদের জন্য দরকার পরিবারের সব সদস্যের ভালোবাসা, শ্রদ্ধা,সহমর্মিতা, সহানুভূতি ও সেবা।

ডিমেনশিয়া কতগুলো উপসর্গের সমষ্টি যেমন স্মৃতি শক্তি লোপ পাওয়া, বুদ্ধি, বিচার ক্ষমতা, পরিকল্পনা করা সংগঠন করা, ব্যক্তিত্ব, সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষমতা, কোন কাজে মনোযোগের গভীরতা লোপ পেতে শুরু করে ও ব্যবহারগত পরিবর্তন হয়। সাধারণত মস্তিষ্কের ফ্রন্টাল লোবের নিউরোনগুলো প্রথমে নষ্ট হয়। পরে ব্রেইনের অন্যান্য লোবের নিউরোন গুলোও নষ্ট হতে শুরু হয় এবং নতুন নতুন উপসর্গ সৃষ্টি হয়। যেহেতু এই রোগের অদ্যাবধি কোন নিরাময়কারী ঔষধ আবিস্কৃত হয়নি তাই রোগীর অবস্থা ক্রমান্বয়ে খারাপ হতে থাকে । এক সময় রোগী ব্যক্তিগত দৈনন্দিন কাজগুলো করতে পারে না এবং অন্যের উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ে। যার ফলে পরিবারের সদস্যদের উপর বিভিন্ন ধরণের চাপ, চিন্তা ও উদ্বেগের সৃষ্টি হয়। যদিও সাধারণত ৬৫ বৎসর বয়সের উপর লোকদের এই রোগ হয়, কিন্তু কোন কোন ক্ষেত্রে ৪০/৫০ বৎসর বয়সেও ডিমেনশিয়া হতে পারে।


Refference: www.dementiabangladesh.org

Pages: 1 ... 19 20 [21]