Show Posts

This section allows you to view all posts made by this member. Note that you can only see posts made in areas you currently have access to.


Messages - Shahana Parvin

Pages: [1] 2
1
হৃদ্‌রোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকির প্রধান কারণ উচ্চ রক্তচাপ, যা প্রতিরোধযোগ্য। রোগীপ্রতি বছরে মাত্র ৯ ডলার (৮৫৫ টাকা) খরচ করেই দেশব্যাপী উচ্চ রক্তচাপের মানসম্মত চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব। ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে প্রকাশিত নতুন এক গবেষণায় এসব তথ্য উঠে এসেছে।

বুধবার রাজধানীর একটি হোটেলে ‘বাংলাদেশ হাইপারটেনশন কন্ট্রোল ইনিশিয়েটিভস’ শীর্ষক মিট দ্য প্রেস অনুষ্ঠানে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়। অনুষ্ঠানটি আয়োজন করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অসংক্রামক রোগনিয়ন্ত্রণ (এনসিডিসি) প্রোগ্রাম, প্রজ্ঞা (প্রগতির জন্য জ্ঞান), ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশ (এনএইচএফবি), গ্লোবাল হেলথ অ্যাডভোকেসি ইনকিউবেটর (জিএইচএআই) এবং রিজলভ টু সেভ লাইভস।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়েছে, বৈশ্বিক জনস্বাস্থ্যবিষয়ক অলাভজনক সংস্থা রিজলভ টু সেভ লাইভসের সহযোগিতায় ২০১৮ সাল থেকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অধীনে এনসিডিসি ও এনএইচএফবি যৌথভাবে একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। এ প্রকল্পের আওতায় প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবাকেন্দ্রে উচ্চ রক্তচাপ শনাক্ত করা, চিকিৎসা প্রদান ও ফলোআপ কার্যক্রম শক্তিশালী করা হচ্ছে।

উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির বার্ষিক বাস্তবায়ন খরচ নির্ণয়ে ব্যবহৃত হার্টস কস্টিং টুল নামের একটি অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করে এই গবেষণা করা হয়। চিকিৎসক ও এই সেবার সঙ্গে জড়িত অন্যদের মধ্যে দায়িত্ব ভাগাভাগি (টাস্ক-শেয়ারিং) নিশ্চিত করা, টাস্ক-শেয়ারিংয়ের মাধ্যমে পুরো প্রক্রিয়ায় স্থানীয় কমিউনিটি স্বাস্থ্যকর্মীদের আরও বেশি সম্পৃক্ত করা এবং গুণগত মান ঠিক রেখে প্রতি ইউনিট ওষুধের দাম আরও কমিয়ে আনা গেলে হার্টস প্যাকেজ বাস্তবায়ন বেশি সাশ্রয়ী হবে বলে এতে সুপারিশ করা হয়েছে। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাপনায় নার্স ও অন্য স্বাস্থ্যকর্মীদের ভূমিকা বাড়ানো হলে বিপুল অর্থ সাশ্রয় হবে। এই গবেষণা ব্লুমবার্গ ফিলানথ্রপিসের অর্থায়নে পরিচালিত হয়েছে।

রিজলভ টু সেভ লাইভসের প্রেসিডেন্ট ও সিইও এবং যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টারস ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের (সিডিসি) সাবেক পরিচালক টম ফ্রিইডেন বলেন, বাংলাদেশে প্রতি পাঁচজন প্রাপ্তবয়স্কের মধ্যে একজনের উচ্চ রক্তচাপ রয়েছে। বাংলাদেশে প্রাপ্তবয়স্কদের উচ্চ রক্তচাপজনিত চিকিৎসা দেওয়ার জন্য সরকারের প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করার পদক্ষেপ গ্রহণ করা হলে অসংখ্য জীবন বাঁচানোসহ হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোক প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে। এ সময় আলোচকেরা জানান, সাধারণ ওষুধের মাধ্যমে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ সম্ভব। কিন্তু বাংলাদেশে উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত প্রায় ২ কোটি ২০ লাখ মানুষের মধ্যে মাত্র ৪৯ শতাংশের উচ্চ রক্তচাপ শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে। মাত্র ৩৫ শতাংশ চিকিত্সাসেবা গ্রহণ করছেন এবং ১৪ শতাংশ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে পেরেছেন।

মিট দ্য প্রেসে বলা হয়, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এনসিডিসি এবং ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনের যৌথ পরিচালনায় উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি দেশের ৫১টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বাস্তবায়ন করা হয়েছে। এই কর্মসূচির আওতায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হার্টস টেকনিক্যাল প্যাকেজের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে রোগীদের উচ্চ রক্তচাপ সেবা প্রদান করা হচ্ছে। কর্মসূচির আওতায় চিকিৎসার জন্য এ পর্যন্ত নিবন্ধিত ১ লাখ রোগীর মধ্যে ৫৮ শতাংশই উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সক্ষম হয়েছেন। ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা ও জাতীয় অধ্যাপক ব্রিগেডিয়ার (অব.) আব্দুল মালিক বলেন, বাংলাদেশে মোট মৃত্যুর ৩০ শতাংশই ঘটে হৃদ্‌রোগের কারণে। অথচ স্বাস্থ্য খাতের বাজেটের ৫ শতাংশের কম বরাদ্দ রাখা হয় অসংক্রামক রোগের চিকিৎসার জন্য।

রিজলভ টু সেভ লাইভসের সহযোগিতায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এনসিডিসি এবং ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন পরিচালিত উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচিটি টাস্ক-শেয়ারিং এবং টিমভিত্তিক সেবা প্রদানের নীতিমালা অন্তর্ভুক্ত করে সফলতার মুখ দেখছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অসংক্রামক রোগনিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির লাইন ডিরেক্টর অধ্যাপক মোহাম্মদ রোবেদ আমিন। তিনি জানান, দুই বছরের ব্যবধানে এক লাখের বেশি রোগী নিবন্ধন করেছেন। অর্থাৎ মাসে গড়ে চার হাজারের বেশি নতুন রোগী নিবন্ধিত হয়েছে। সেবা গ্রহণকারীদের ৫৮ শতাংশই রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সফল হয়েছেন। সাফল্যের এই হার জাতীয় গড়ের প্রায় চার গুণ।

অনুষ্ঠানে আলোচকেরা বলেন, প্রবীণের সংখ্যা বৃদ্ধি, দ্রুত নগরায়ণ, শারীরিক পরিশ্রম অত্যন্ত কম এমন জীবনাচরণ, প্রক্রিয়াজাত খাদ্য গ্রহণ এবং অন্যান্য আর্থসামাজিক ও জীবনযাত্রা সম্পর্কিত বিভিন্ন কারণে বাংলাদেশে উচ্চ রক্তচাপের বোঝা আগামী বছরগুলোতে বাড়বে। বাংলাদেশে এই উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ প্রকল্পটি সম্প্রসারণ করা হলে অল্প ব্যয়ে অনেক জীবন বাঁচানো সম্ভব হবে।


2
করোনা মহামারিকালে অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের তিন বিষয়ে পড়াশোনায় যে ঘাটতি হয়েছে (শিখনঘাটতি) তা পূরণ করতে সপ্তাহের প্রতি বৃহস্পতিবার একটি করে অতিরিক্ত ক্লাস নিতে হবে। তিন বিষয়ে মোট ৪৭টি অতিরিক্ত ক্লাস করতে হবে।

গত বছর অষ্টম শ্রেণিতে পড়া শিক্ষার্থীরা এখন নবম শ্রেণিতে পড়ে। তাদের অষ্টম শ্রেণিতে ঘাটতি হওয়া ক্লাসগুলো এ বছর নবম শ্রেণিতে ও আগামী বছর দশম শ্রেণিতে করাতে হবে। ওই শিক্ষার্থীরা ২০২৪ সালে এসএসসি পরীক্ষা দেবে।
জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) শিক্ষার ঘাটতি পূরণে বিস্তারিত একটি কর্মপরিকল্পনা করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে অতি সম্প্রতি জমা দিয়েছে। সেখানেই অতিরিক্ত ক্লাস নেওয়াসহ ঘাটতি পূরণে আরও কী কী করতে হবে তা সুনির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশ পরীক্ষা উন্নয়ন ইউনিটের (বেডু) গবেষণা প্রতিবেদনে উঠে আসা অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের শিখনঘাটতি চিহ্নিত করা হয়েছিল। তার পরিপ্রেক্ষিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে এনসিটিবি এই কর্মপরিকল্পনা ঠিক করে দিয়েছে।
এনসিটিবির সদস্য (শিক্ষাক্রম) অধ্যাপক মো. মশিউজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, কর্মপরিকল্পনাটি তাঁরা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে জমা দিয়েছেন। এখন মন্ত্রণালয় পরবর্তী পদক্ষেপ নেবে।

২০২১ শিক্ষাবর্ষে অষ্টম শ্রেণিতে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের বাংলা, ইংরেজি ও গণিতে কী মাত্রায় শিখনঘাটতি তৈরি হয়েছে, তা উঠে আসে বেডুর ওই গবেষণায়। ওই গবেষণার তথ্য বলছে, মহামারিকালে অষ্টম শ্রেণির অর্ধেকেরও বেশি শিক্ষার্থীর বাংলা, ইংরেজি ও গণিত বিষয়ে মধ্যম ও উচ্চমাত্রায় শিখনঘাটতি তৈরি হয়েছে, যা পূরণ করতে হবে। তবে জেলা বিবেচনায় পার্বত্য অঞ্চলের তিন জেলায় পরিস্থিতি আরও খারাপ।
যা আছে কর্মপরিকল্পনায়
গবেষণায় ওই তিন বিষয়ে ৮২টি বিষয়বস্তুর (শিখনফল) ক্ষেত্রে মধ্যম ও উচ্চমাত্রার ঘাটতি চিহ্নিত হয়েছে। এনসিটিবি বলছে, প্রতিটি শিখনফলের জন্য পৃথক ক্লাসের প্রয়োজন নেই। একাধিক বিষয়বস্তুর সমন্বয়ে একটি ক্লাস করা সম্ভব। এ ক্ষেত্রে প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে বাংলায় ১৫টি, ইংরেজিতে ১৭টি এবং গণিতে ১৫টি মিলিয়ে মোট ৪৭টি অতিরিক্ত ক্লাস পরিচালনা করতে হবে।

প্রতিটি অতিরিক্ত ক্লাসের সময় হবে ৪০ মিনিট। ছুটি ছাড়া প্রতি বৃহস্পতিবার নিয়মিত ক্লাস রুটিনে একটি করে অতিরিক্ত ক্লাস সংযোজন করতে হবে। এ জন্য সংশ্লিষ্ট শিক্ষকদের অতিরিক্ত প্রতিটি ক্লাসের জন্য ৫০০ টাকা প্রণোদনা দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে।

রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবানে যেহেতু ঘাটতি থাকা শিক্ষার্থীর হার অনেক বেশি, তাই ওই সব এলাকার জন্য আরও বেশিসংখ্যক অতিরিক্ত ক্লাসের ব্যবস্থা করতে হবে বলে উল্লেখ করেছে এনসিটিবি।
এ জন্য ওই সব এলাকায় এই বছর ও আগামী শিক্ষাবর্ষের (২০২৩) জন্য খণ্ডকালীন শিক্ষক নিয়োগ করা প্রয়োজন। এ ছাড়া দুর্বল তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি (আইসিটি) অবকাঠামোর জন্য এসব এলাকার শিক্ষার্থীরা করোনাকালে অনলাইন শ্রেণি কার্যক্রমে ঠিকমতো অংশ নিতে পারেনি। তাই অধিক মাত্রায় শিখনঘাটতি হয়েছে। এ বিষয় বিবেচনায় নিয়ে পাহাড়ি এলাকায় দ্রুত আইসিটি অবকাঠামো উন্নয়নের উদ্যোগ নিতে হবে।
অতিরিক্ত ক্লাসের পাশাপাশি এসব শিক্ষার্থীর জন্য করোনাকালের মতো অ্যাসাইনমেন্ট (নির্ধারিত বিষয়ে বাড়ির কাজ) কার্যক্রম পরিচালনা করতে বলেছে এনসিটিবি। এ ক্ষেত্রে বেশি ঘাটতি আছে এমন বিষয়বস্তুর ওপর প্রতিটি বিষয়ে ৫টি করে মোট ১৫টি অ্যাসাইনমেন্ট দেওয়া প্রয়োজন।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আবু বকর ছিদ্দীক গতকাল মঙ্গলবার প্রথম আলোকে বলেন, কর্মপরিকল্পনাটি এখনো তাঁর হাতে আসেনি। হাতে পাওয়ার পর সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে আলোচনা করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
নিরাময়মূলক ক্লাস অন্য শ্রেণির জন্যও প্রয়োজন
এনসিটিবির কর্মপরিকল্পনায় বলা হয়, গবেষণায় শুধু অষ্টম শ্রেণির তিন বিষয়ের শিখন ঘাটতি চিহ্নিত হয়েছে। কিন্তু করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতির প্রভাবে সব শ্রেণির সব বিষয়েই কোনো না কোনো মাত্রায় শিখনঘাটতি হয়েছে। তাই অন্যান্য শ্রেণি ও বিষয়েও নিরাময়মূলক কার্যক্রম পরিচালনা করার প্রয়োজন আছে।

আর কর্মপরিকল্পনা অনুযায়ী নিরাময়মূলক কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালিত হচ্ছে কি না, তা তদারক করতে হবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক এস এম হাফিজুর রহমান গতকাল প্রথম আলোকে বলেন, যে ঘাটতি তৈরি হয়েছে, তা পূরণ করতেই হবে।

না হলে এসব শিক্ষার্থী বিভিন্ন স্তরে ধাক্কা খাবে। এ ঘাটতি শুধু অষ্টম শ্রেণিতে নয়, অন্য শ্রেণিতেও হয়েছে। তাই অন্যসব শ্রেণির শিখনঘাটতিও পূরণের ব্যবস্থা করতে হবে।

3
রাজধানী ঢাকার জনসংখ্যা কত—তা নিয়ে একটা প্রশ্ন ছিল। ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের হিসাবেও বিষয়টি স্পষ্ট ছিল না। আজ প্রকাশিত জনশুমারি প্রতিবেদনে এ সংখ্যা তুলে ধরা হয়েছে।

সেই হিসাব অনুযায়ী, ঢাকা শহরে ১ কোটি ২ লাখের বেশি মানুষ বসবাস করে।
 রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলনকেন্দ্রে আজ বুধবার প্রাথমিক এ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। জনশুমারি প্রতিবেদনে বলা হয়, বিভাগ হিসেবে ঢাকায় সর্বাধিক ৪ কোটি ৪২ লাখ ১৫ হাজার ১০৭ জন মানুষের বসবাস। এর মধ্যে পুরুষ ২ কোটি ২৪ লাখ ৫৯ হাজার ৮২২ জন। আর নারী ২ কোটি ১৭ লাখ ২১ হাজার ৫৫৬ জন। এ বিভাগে ট্রান্সজেন্ডারের সংখ্যা ৪ হাজার ৫৭৭ জন। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, ঢাকা উত্তর সিটির জনসংখ্যা ৫৯ লাখ ৭৯ হাজার ৫৩৭ জন। আর ঢাকা দক্ষিণ সিটির জনসংখ্যা ৪২ লাখ ৯৯ হাজার ৩৪৫।

সে হিসাবে দুই সিটি করপোরেশনের মোট বাসিন্দা ১ কোটি ২ লাখ ৭৮ হাজার ৮৮২ জন। দেশের ১২টি সিটি করপোরেশনের মধ্যে ঢাকা উত্তরে সবেচেয়ে বেশি মানুষ বাস করে। আর সবচেয়ে কম মানুষ বাস করে বরিশাল সিটিতে। এ সংখ্যা ৪ লাখ ১৯ হাজার ৩৫১।

4
মধ্য আফ্রিকার দেশ অ্যাঙ্গোলার এক খনিতে গোলাপি রঙের বিরল একটি হীরকখণ্ডের সন্ধান পাওয়া গেছে। আজ বুধবার অস্ট্রেলিয়ার একটি খনি অপারেটর এ তথ্য জানিয়েছে। যে খনিতে ওই হীরা পাওয়া গেছে, সেখানে খনিজ সম্পদ উত্তোলনকাজে নিয়োজিত প্রতিষ্ঠানটি।বিনিয়োগকারীদের উদ্দেশে দেওয়া এক বিবৃতিতে লুকাপা ডায়মন্ড কোম্পানি নামে ওই প্রতিষ্ঠান বলেছে, বিশ্বে গত ৩০০ বছরের মধ্যে কোনো খনিতে পাওয়া বিরল ‘গোলাপি’ রঙের সবচেয়ে বড় হীরকখণ্ড এটি। অ্যাঙ্গোলার খনিতে পাওয়া হীরার টুকরাটির নাম রাখা হয়েছে ‘দ্য লুলো রোজ’। এর ওজন ১৭০ ক্যারেট। দেশটির হীরাসমৃদ্ধ উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় লুলো খনিতে এটি পাওয়া গেছে।

টাইপ আইআইএ শ্রেণির (প্রাকৃতিক পাথরগুলোর মধ্যে অন্যতম বিরল ও বিশুদ্ধতম) হীরাটির সন্ধান পাওয়াকে সাড়াজাগানো ঘটনা হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এটি সন্ধানের জন্য খনির উত্তোলনকাজে নিয়োজিত ব্যক্তিদের অভিনন্দন জানিয়েছে অ্যাঙ্গোলার সরকার। এই খনিতে দেশটির সরকারের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করছে লুকাপা ডায়মন্ড কোম্পানি।অ্যাঙ্গোলার খনিজ সম্পদবিষয়ক মন্ত্রী দিয়ামান্তিনো আজেভেদো বলেছেন, লুলো খনিতে দর্শনীয় গোলাপি হীরা পাওয়ার বিষয়টি বিশ্বমঞ্চে অ্যাঙ্গোলাকে গুরুত্বপূর্ণ দেশ হিসেবে তুলে ধরছে।

রেকর্ড দামে আন্তর্জাতিক নিলামের মাধ্যমে হীরাটি বিক্রি করা হবে বলে জানানো হয়েছে। তবে নিলামে ভালো দাম পেতে হীরাটিকে কেটে পলিশ করতে হবে। এ প্রক্রিয়ার সময় সেটি প্রায় ৫০ শতাংশ ওজন হারাতে পারে।

এ ধরনের গোলাপি হীরা অতীতে রেকর্ড দামে বিক্রি হয়েছে। ২০১৭ সালে হংকংয়ে এক নিলামে ৫৯ দশমিক ৬ ক্যারেটের একটি ‘পিংক স্টার’ হীরা ৭১ দশমিক ২ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে বিক্রি হয়েছিল। এখন পর্যন্ত এটিই বিশ্বে সবচেয়ে বেশি দামে বিক্রি হওয়া গোলাপি হীরা।

5
পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর ঢাকা-বরিশাল নৌপথে যাত্রী সংকটে মঙ্গলবার থেকে বন্ধ হয়ে গেছে দ্রুতগামী নৌযান এমভি গ্রিন লাইন-৩। পদ্মা সেতুর এই ঢেউ শুধু নৌপথেই নয়, এবার আকাশপথেও লেগেছে। ঢাকা-বরিশাল আকাশপথে চলাচলকারী বেসরকারি বিমান পরিবহন সংস্থা নভোএয়ার আগামী ১ আগস্ট থেকে এই রুটে ফ্লাইট পরিচালনা স্থগিত রাখার ঘোষণা দিয়েছে।

নভোএয়ারের মার্কেটিং অ্যান্ড মিডিয়া কমিউনিকেশনের সহকারী ব্যবস্থাপক নিলাদ্রী মহারত্ম প্রথম আলোকে বলেন, আগামী ১ আগস্ট থেকে বরিশাল-ঢাকা রুটে নভোএয়ারের ফ্লাইট চলাচল আপাতত স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে যাত্রী বাড়লে পরিস্থিতি বুঝে সংস্থাটি পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে বলেও জানান তিনি।
এর আগে গত মঙ্গলবার নিজস্ব ফেসবুক পেজে ঢাকা-বরিশাল নৌপথে এমভি গ্রিন লাইনের যাত্রী পরিষেবা বন্ধ করার ঘোষণা দেয়। প্রতিষ্ঠানটির স্থানীয় কর্মকর্তারা বলছেন, পদ্মা সেতু চালুর পর ঢাকা-বরিশাল নৌপথে যাত্রীসংখ্যা কমে গেছে। এ জন্য আপাতত ঢাকা-বরিশাল ভায়া হিজলা নৌপথে গ্রিন লাইনের সেবা বন্ধ রাখা হয়েছে। তবে ঢাকা-কালিগঞ্জ-ইলিশা (ভোলা) রুটে এমভি গ্রিন লাইন-২ নিয়মিত চলাচল করবে।

বরিশাল বিমানবন্দর সূত্রে জানা গেছে, পদ্মা সেতু দিয়ে যান চলাচল শুরু হওয়ার পর বরিশাল-ঢাকা রুটে যাত্রীসংখ্যা কমতে থাকে। এতে দুশ্চিন্তায় পড়ে বেসরকারি বিমানসংস্থা নভোএয়ার ও ইউএস বাংলা। যাত্রী ধরে রাখতে তারা ঈদুল আজহার পর ভাড়া কমিয়ে দেয়। ইউএস বাংলা প্রতি আসনে সাড়ে চার হাজার থেকে ভাড়া কমিয়ে সাড়ে তিন হাজার টাকা করে। আর নভোএয়ার চার হাজার টাকা থেকে কমিয়ে তিন হাজার ৪৯৯ টাকা নির্ধারণ করে। বাংলাদেশ বিমানও একই পথ অনুসরণ করে ২০০ টাকা ভাড়া কমিয়ে দেয়। কিন্তু ভাড়া কমিয়েও খরচ তুলতে পারছিল না নভোএয়ার। তারা ১ আগস্ট থেকে ফ্লাইট চলাচল স্থগিত রাখার ঘোষণা দিয়েছে।
নভোএয়ারের দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, পদ্মা সেতুর কারণে বরিশাল-ঢাকা ও ঢাকা-যশোর রুটে আশঙ্কাজনক হারে যাত্রী কমে গেছে। ঢাকা-যশোর রুটের যাত্রী পরিস্থিতি কিছুটা ভালো থাকায় ওই রুটে ফ্লাইট চলাচল অব্যাহত থাকবে। আগে সপ্তাহে সাত দিন ঢাকা-বরিশাল রুটে ফ্লাইট পরিচালনা করত সংস্থাটি।

ইউএস বাংলার বরিশালের বিপণন কার্যালয়ের দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, এখন ঢাকা-বরিশাল রুটে তাদের ৭০ আসনের উড়োজাহাজ যাত্রী পরিবহন করছে। সেতু চালু হওয়ার পর প্রায়ই প্রতিটি ফ্লাইটে এক–তৃতীয়াংশ আসন ফাঁকা যাচ্ছে। এ অবস্থায় ইউএস বাংলা কত দিন এই রুটে সেবা দিতে পারবে তা নিয়েও শঙ্কায় আছে প্রতিষ্ঠানটি।বাংলাদেশ বিমানের বরিশাল স্টেশনের ব্যবস্থাপক শওকত আলী খান প্রথম আলোকে বলেন, পদ্মা সেতু চালুর পর ঢাকায় যাতায়াতে সময় কমে গেছে। খরচ কমে আসায় আকাশপথে যাত্রী কমেছে। গত শনিবার থেকে বিমানের ভাড়া ৩ হাজার ২০০ থেকে কমিয়ে ৩ হাজার টাকা করা হয়েছে।

পদ্মা সেতু চালুর পর বরিশাল তথা দক্ষিণাঞ্চল থেকে সড়কপথে যাত্রীর চাপ দুই থেকে তিন গুণ বেড়ে যায়। এতে দক্ষিণের নৌপথগুলোতে যাত্রী সংকট দেখা দেয়। বরিশাল থেকে প্রতি আধা ঘণ্টা পরপর বেসরকারি পরিবহন ও বিআরটিসির বাস যাত্রী নিয়ে ঢাকার উদ্দেশে ছুটছে। আগে যেখানে একটি বাস ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ দুটি ট্রিপ দিতে পারত, এখন দৈনিক তিন থেকে চারটি ট্রিপ দিতে পারছে। এ ছাড়া গত এক মাসে দক্ষিণের ৬ জেলার সড়কপথে অন্তত ৫০০ নতুন বাস যাত্রী পরিবহনে যুক্ত হয়েছে। ফলে নৌ ও আকাশপথের যানগুলো যাত্রীসংকটে পড়েছে।

6
দেশে করোনায় আরও একটি মৃত্যুহীন দিন গেল। সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় (গতকাল রোববার সকাল ৮টা থেকে আজ সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত) দেশে করোনায় সংক্রমিত হয়ে কারও মৃত্যু হয়নি। এ সময় নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে ১১৬ জন। আজ সোমবার বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ১০ হাজার ৮৯৯ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে ১ দশমিক শূন্য ৬ শতাংশ। আগের দিন এ হার ছিল শূন্য দশমিক ৯৪ শতাংশ। আগের দিন সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছিল ৮২ জনের। করোনায় মৃত্যু হয়েছিল তিন জনের। গত এক সপ্তাহে পাঁচদিনই করোনায় কারও মৃত্যু হয়নি। গত মঙ্গলবার থেকে টানা তিন দিন করোনায় কোনো মৃত্যু হয়নি।

করোনায় দেশে এ পর্যন্ত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ১৯ লাখ ৫০ হাজার ৭২৫ জন। তাঁদের মধ্যে মারা গেছেন ২৯ হাজার ১১৭ জন, সুস্থ হয়েছেন ১৮ লাখ ৭১ হাজার ৬১১ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ১৪০ জন।

7
কর্মক্ষেত্রে নারীদের অংশগ্রহণ এবং সমাজে নারীদের ভূমিকার স্বীকৃতি দিতে প্রথমবারের মতো ১০ নারী ও ৩ প্রতিষ্ঠানকে ‘বেসিস লুনা শামসুদ্দোহা অ্যাওয়ার্ড ২০২২’ দিয়েছে দেশের সফটওয়্যার ও তথ্যপ্রযুক্তি সেবা খাতের সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস)। আজ রোববার রাতে রাজধানীর একটি হোটেলে এ পুরস্কার দেওয়া হয়।

বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতের অগ্রণী উদ্যোক্তা ও দোহাটেক নিউ মিডিয়ার চেয়ারম্যান প্রয়াত লুনা শামসুদ্দোহা স্মরণে এ পুরস্কারের প্রচলন করা হলো। প্রতিবছরই এ পুরস্কার দেবে বেসিস। ব্যক্তিগত জীবনে অসামান্য সাফল্য ও নারীদের কর্মক্ষেত্রে উৎসাহিত করার জন্য আজীবন সম্মাননা পেয়েছেন গ্রাফিক পিপল ও অ্যাডকম লিমিটেডের চেয়ারম্যান এবং সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা গীতি আরা সাফিয়া চৌধুরী। বেসিসের পুরস্কারপ্রাপ্ত অন্যরা হলেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এসডিজিবিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক  জুয়েনা আজিজ, যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাঈদা মুনা তাসনিম, বাংলাদেশ পুলিশের উপপুলিশ মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) আমেনা বেগম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণ রসায়ন ও মলিকুলার বায়োলজি বিভাগের অধ্যাপক হাসিনা খান, এসবিকে টেক ভেঞ্চারস ও এসবিকে ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক সোনিয়া বশির কবির, ইউনাইটেড হাসপাতালের রেসপিরেটরি মেডিসিন বিভাগের পরামর্শক রওশন আরা খানম, ট্রাস্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হুমায়রা আজম, ব্র্যাক এন্টারপ্রাইজেসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তামারা হাসান আবেদ এবং চাইল্ড হেলথ রিসার্চ ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের পরিচালক অণুজীববিজ্ঞানী সেঁজুতি সাহা। এ ছাড়া বেসিসের সদস্য প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ নারী কর্মীর সংখ্যার হিসাবে বিপিও কোম্পানি বিভাগে জেনেক্স ইনফোসিস, সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট প্রতিষ্ঠান বিভাগে বিজেআইটি এবং পুরুষ ও নারী অনুপাতে সোশ্যাল এন্টারপ্রাইজ বিভাগে ডিনেট এই পুরস্কার দেওয়া হয়।

পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে লুনা শামসুদ্দোহাকে শ্রদ্ধা জানিয়ে ‘অর্থনীতিতে নারীর অবদান ও অংশগ্রহণ’ শীর্ষক প্যানেল আলোচনাও অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী। আলোচনায় তিনি বলেন, নারীদের জন্য সুযোগ তৈরি করতে হবে। একইসঙ্গে সক্ষমতাও অর্জন করতে হবে। নারীদের জন্য কাজ করতে হবে। তা হলেই নারীরা এগিয়ে যাবে। আলোচনায় শিক্ষামন্ত্রী দিপু মনি বলেন, নারীকে চলার পথে অনেক বাঁধা পার হতে হয়। নারী উন্নয়নে আমরা এগিয়েছি অনেক দূর। তৈরি পোশাকশিল্পে এখন নারীর অংশগ্রহণ ৭৫ শতাংশ। কৃষিসহ সব কাজে নারীরা আছেন।

অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি খাত ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান বলেন, পোশাকশিল্পসহ নারীদের অংশগ্রহণ এখন সব জায়গায়।

প্যানেল আলোচনায় তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি (আইসিটি) প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্‌মেদ বলেন, নারীরা তথ্যপ্রযুক্তিতে কাজ করবে এমনই স্বপ্নই ছিল লুনা শামসুদ্দোহার। আমাদের ১৫ শতাংশ নারী আইসিটি খাতে কাজ করছেন। সামনে এই হার আমরা ৩০ শতাংশে নিয়ে যাব।

বাংলাদেশে কানাডার হাইকমিশনার লিলি নিকোলস, সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত নাথালি শিউয়ার্ড, বার্জার পেইন্টস বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রুপালী চৌধুরী, বাংলাদেশ এনভায়রনমেন্ট ল’ইয়ারস অ্যাসোসিয়েশনের (বেলা) নির্বাহী পরিচালক সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান আলোচনায় অংশ নেন। সঞ্চালক ছিলেন বেসিসের সভাপতি রাসেল টি আহমেদ। উল্লেখ্য, বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতের অগ্রণী উদ্যোক্তা লুনা শামসুদ্দোহা বাংলাদেশের রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর মধ্যে প্রথম নারী চেয়ারম্যান হিসেবে জনতা ব্যাংকে দায়িত্ব পালন করেন। বাংলাদেশ উইমেন ইন টেকনোলজির (বিডব্লিউআইটি) প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি লুনা শামসুদ্দোহা বেসিসের কার্যনির্বাহী কমিটির পরিচালকও ছিলেন। গত বছরের ১৭ ফেব্রুয়ারি তিনি মারা যান।

8
দেড় মাসের মধ্যে আবারও বড় ধরনের নিরাপত্তাত্রুটির খোঁজ মিলেছে এজ ব্রাউজারে। এ নিরাপত্তা ত্রুটি কাজে লাগিয়ে চাইলেই দূর থেকে ব্যবহারকারীদের কম্পিউটারে নিয়ন্ত্রণ নিতে পারে সাইবার অপরাধীরা। এজ ব্রাউজারের ৯৯.০.১১৫০.৩০ সংস্করণের আগের সব সংস্করণ ব্যবহারকারীরা এ হামলার আশঙ্কায় রয়েছেন। এ বিষয়ে এজ ব্রাউজার ব্যবহারকারীদের জন্য নিরাপত্তাঝুঁকির সতর্কতা জারি করেছে ভারতের কম্পিউটার ইমার্জেন্সি রেসপন্স টিম। এরই মধ্যে দেশটির নাগরিকদের ব্রাউজারটি ব্যবহারে সতর্কও করেছে তারা। ভারতের সরকারি প্রতিষ্ঠানটির দাবি, মাইক্রোসফটের তৈরি এজ ব্রাউজারে একাধিক নিরাপত্তাত্রুটির সন্ধান মিলেছে। এসব ত্রুটি কাজে লাগিয়ে ব্রাউজারের নিরাপত্তাব্যবস্থা এড়িয়ে ব্যবহারকারীদের যন্ত্রের নিয়ন্ত্রণ নেওয়া যায়। সাইবার হামলা থেকে রেহাই পেতে ব্যবহারকারীদের সর্বশেষ সংস্করণের এজ ব্রাউজার (৯৯.০.১১৫০.৩৯) ব্যবহারের অনুরোধ করেছে তারা। গত সপ্তাহে উন্মুক্ত হওয়া এজ ব্রাউজারটিতে নিরাপত্তাব্যবস্থা হালনাগাদ করেছে মাইক্রোসফট। ফলে ব্যবহারকারীরা আগের তুলনায় বেশি নিরাপদ থাকবে। বিশ্বজুড়ে প্রায় ৯.৫৪ শতাংশ কম্পিউটারে এজ ব্রাউজার ব্যবহার হয়ে থাকে। উইন্ডোজ ১১ অপারেটিং সিস্টেম উন্মুক্তের পর এজ ব্রাউজার ব্যবহারকারীর সংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে।

ফেব্রুয়ারি মাসের শুরুতে এজ ব্রাউজারের ৯৮.০. ১১০৮.৪৩ সংস্করণের আগের সংস্করণগুলোতে নিরাপত্তাত্রুটির সন্ধান পেয়ে সবাইকে সতর্ক করেছিল ভারতের কম্পিউটার ইমার্জেন্সি রেসপন্স টিম।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া

9
অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমে চলা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের স্মার্টফোন নিরাপত্তাঝুঁকিতে রয়েছে বলে সতর্ক করেছে ‘ক্রিপ্টোওয়্যার’। মুঠোফোনের নিরাপত্তা নিয়ে কাজ করা প্রতিষ্ঠানটির দাবি, স্মার্টফোনে ব্যবহৃত ‘ইউনিসক’ প্রসেসরে নিরাপত্তাত্রুটির সন্ধান পাওয়া গেছে। এই ত্রুটি কাজে লাগিয়ে সহজেই স্মার্টফোনে সাইবার হামলা চালাতে পারে হ্যাকাররা। ফলে প্রসেসরটিতে চলা স্মার্টফোনগুলো নিরাপত্তাঝুঁকিতে রয়েছে। চীনে তৈরি ‘ইউনিসক’ প্রসেসর সাধারণত বিভিন্ন ব্র্যান্ডের কম দামি স্মার্টফোনে ব্যবহার করা হয়। ক্রিপ্টোওয়্যার জানিয়েছে, ইউনিসক প্রসেসরের ত্রুটি কাজে লাগিয়ে হ্যাকাররা সহজেই স্মার্টফোনে থাকা বার্তা, ই-মেইল ঠিকানাসহ বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করতে পারে। শুধু তা–ই নয়, চাইলে স্মার্টফোনের নিয়ন্ত্রণও নিতে পারে।

নিরাপত্তা ত্রুটির কারণও খুঁজে পেয়েছে ক্রিপ্টোওয়্যার। তাদের দাবি, ইউনিসক প্রসেসরের সঙ্গে থাকা অ্যাপগুলো বৈধ প্রটোকল অনুসরণ করে তৈরি না হওয়ায় এ নিরাপত্তা সমস্যা তৈরি হয়েছে। এই নিরাপত্তাত্রুটি কেবল প্রসেসর নির্মাতার পক্ষেই সমাধান করা সম্ভব। এরই মধ্যে বিষয়টি ইউনিসককে জানানো হয়েছে।

ইউনিসক প্রসেসরের কারণে সাইবার হামলার হুমকিতে থাকা স্মার্টফোনগুলোর তালিকাও প্রকাশ করেছে ক্রিপ্টোওয়্যার। নিরাপদে থাকতে স্মার্টফোনগুলো ব্যবহার না করার পরামর্শ দিয়েছে তারা। তালিকায় লেনোভো এ৭ ও কে১৩, মটোরোলার মটো ই৬ আই এবং ই৭ আই পাওয়ার, রিয়েলমির সি১১, স্যামসাংয়ের গ্যালাক্সি এ০৩ এবং এ০৩ কোরসহ নকিয়া, এইচটিসি এবং জেডটিই-এর একাধিক মডেলের স্মার্টফোন রয়েছে।

10
বছরের শুরু থেকেই নিরাপত্তা নিয়ে বেশ ঝামেলায় পড়েছেন ক্রোম ব্রাউজার ব্যবহারকারীরা। কারণ, জানুয়ারি মাস থেকেই বারবার নিরাপত্তা ত্রুটির সন্ধান মিলেছে জনপ্রিয় ব্রাউজারটিতে। সমস্যা সমাধানে গত মাসের মাঝামাঝি সময়ে ব্রাউজারটির নতুন সংস্করণ উন্মুক্ত করে গুগল, কিন্তু কয়েক দিন পরেই সংস্করণটিতে নিরাপত্তা ত্রুটির খোঁজ মেলে। বিষয়টি জানতে পেরে তড়িঘড়ি করে ব্রাউজারটির নিরাপত্তা সমস্যার সমাধান করেছিল গুগল। কিন্তু আবারও সেই সংস্করণসহ ক্রোমের পুরোনো সব সংস্করণে বেশ কয়েকটি নিরাপত্তা ত্রুটির সন্ধান পেয়েছে ভারতের কম্পিউটার ইমার্জেন্সি রেসপন্স টিম। এরই মধ্যে দেশটির নাগরিকদের ব্রাউজারটি ব্যবহারে সতর্কও করেছে তারা। কম্পিউটার ইমার্জেন্সি রেসপন্স টিমের তথ্যমতে, ক্রোম ব্রাউজারে থাকা নিরাপত্তা ত্রুটি কাজে লাগিয়ে হ্যাকাররা চাইলেই ব্যবহারকারীদের যন্ত্রে নতুন কোড যুক্ত করে সাইবার হামলা চালাতে পারে। আর তাই সতর্ক না হলে যেকোনো সময় সাইবার হামলার কবলে পড়তে পারেন ক্রোম ব্রাউজার ব্যবহারকারীরা। সমস্যা সমাধানে গুগল ক্রোমের নতুন (৯৯.০.৪৮৪৪.৭৪) সংস্করণ ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছে তারা। গত সপ্তাহে উন্মুক্ত হওয়া গুগল ক্রোমের ৯৯.০.৪৮৪৪.৭৪ সংস্করণটিতে একাধিক নিরাপত্তা ত্রুটির সমাধান করা হয়েছে বলে জানিয়েছে গুগল। আর তাই সংস্করণটি ডাউনলোড করলে নিরাপদে ইন্টারনেট ব্যবহারের সুযোগ মিলবে। বর্তমানে বিশ্বজুড়ে প্রায় ৬৫.৩৮ শতাংশ কম্পিউটারে ক্রোম ব্রাউজার ব্যবহার হয়ে থাকে।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া

11
উইন্ডোজ–১১ অপারেটিং সিস্টেমের ২১এইচ–২ সংস্করণে সার্চ হাইলাইটস নামের নতুন সুবিধা যোগ করেছে মাইক্রোসফট। এতে সার্চ প্যানেলের রূপ পরিবর্তন করে টাস্কবারেই সার্চ বক্স এবং সার্চ হোম আপডেট সুবিধা চালু করা হয়েছে। ফলে সহজেই সম্প্রতি ব্যবহার করা অ্যাপ ও ফাইলের তালিকা দেখার পাশাপাশি ভবিষ্যৎ ছুটির দিন, বার্ষিকী এবং অন্যান্য তথ্য জানা যায়। ব্যবহারকারীর অবস্থান ও সার্চ ফলাফলের ওপর ভিত্তি করে নিয়মিত তথ্য হালনাগাদ করায় অনেকেই ফিচারটি ব্যবহার করতে আগ্রহী নন। সেটিংস অপশন পরিবর্তন করে সহজেই উইন্ডোজ–১১ অপারেটিং সিস্টেমের ২১ এইচ ২ সংস্করণের সার্চ হাইলাইটস ফিচারের কার্যক্রম বন্ধ করা যায়। এ জন্য একসঙ্গে Windows এবং ‘I’ কী চেপে সেটিংস অ্যাপ চালু করতে হবে। এবার অ্যাপের বাঁ পাশের সাইডবার থেকে Privacy & Security অপশন নির্বাচন করে Search সেটিংস অপশনে ক্লিক করতে হবে। এরপর সার্চ সেটিংস থেকে Show search highlights অপশন বন্ধ করতে হবে। সার্চ হাইলাইটস ফিচার বন্ধ হয়েছে কি না তা জানতে একসঙ্গে Windows এবং S চাপতে হবে।

12
সহজে ছবি ও ভিডিও বিনিময়ের সুযোগ থাকায় কিশোর-কিশোরীদের কাছে খুবই জনপ্রিয় ইনস্টাগ্রাম। এ জন্য ইনস্টাগ্রামে ব্যবহারকারী বৃদ্ধির তালিকায় বরাবরই প্রাধান্য থাকে কিশোর-কিশোরীদের। বিষয়টি মাথায় রেখে সন্তানের ইনস্টাগ্রাম ব্যবহারের সময় নিয়ন্ত্রণের জন্য অভিভাবকদের জন্য নতুন টুল চালু করেছে ছবি ও ভিডিও বিনিময়ের সামাজিক মাধ্যমটি। টুলটি কাজে লাগিয়ে অভিভাবকেরা তাঁদের সন্তান কতক্ষণ ইনস্টাগ্রাম ব্যবহার করছে, তা জানতে পারবেন। চাইলে সন্তানের জন্য ইনস্টাগ্রাম ব্যবহারের সময়ও নির্ধারণ করে দিতে পারবেন তাঁরা। প্রাথমিকভাবে যুক্তরাষ্ট্রে চালু হলেও শিগগিরই অন্যান্য দেশে এ সুবিধা উন্মুক্ত করা হবে। ইনস্টাগ্রামের তথ্যমতে, টুলটি কাজে লাগিয়ে সন্তান ইনস্টাগ্রামে কোন কোন ব্যক্তির অ্যাকাউন্ট অনুসরণ করে, তা জানার পাশাপাশি তাদের বিনিময় করা তথ্যও দেখার সুযোগ মিলবে। ফলে কিশোর-কিশোরীরা নিরাপদে ইনস্টাগ্রাম ব্যবহার করার সুযোগ পাবে। গত বছরের শেষ নাগাদ এক ব্লগ বার্তায় ইনস্টাগ্রাম প্রধান অ্যাডাম মোসেরি জানিয়েছিলেন, কিশোর-কিশোরীদের নির্দিষ্ট সময় পর ইনস্টাগ্রাম ব্যবহার থেকে বিরতি দিতে নতুন সুবিধা চালু করা হবে। এরই ধারাবাহিকতায় অভিভাবকদের নিয়ন্ত্রণ–সুবিধা চালুর ঘোষণা দিল ইনস্টাগ্রাম।
সম্প্রতি ব্যবহারকারীদের সংখ্যা বৃদ্ধির লক্ষ্যে নিজেদের রিলস ফিচারে ভিডিও ধারণের সময় ৯০ সেকেন্ড পর্যন্ত বৃদ্ধির ঘোষণা দিয়েছে ইনস্টাগ্রাম।

13
এক মাসের মধ্যেই আবারও নিরাপত্তাত্রুটির দেখা মিলেছে ক্রোম ব্রাউজারে। এ নিরাপত্তাত্রুটি কাজে লাগিয়ে হ্যাকাররা চাইলেই ক্রোম ব্রাউজার ব্যবহারকারীদের যন্ত্রে নতুন কোড যুক্ত করে সাইবার হামলা চালাতে পারে। আর তাই সতর্ক না হলে যেকোনো সময় সাইবার হামলার কবলে পড়তে পারেন ক্রোম ব্রাউজার ব্যবহারকারীরা। এক ব্লগ বার্তায় এ বিষয়ে ব্যবহারকারীদের সতর্কও করেছে গুগল। গুগল জানিয়েছে, নতুন করে ব্রাউজারটিতে ২৭টি নিরাপত্তা-দুর্বলতার সন্ধান মিলেছে, যার মধ্যে ৮টি ব্যবহারকারীদের জন্য বড় ধরনের হুমকির কারণ হতে পারে। উইন্ডোজ, ম্যাক এবং লিনাক্স অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহারকারীরা এ হামলার আশঙ্কায় রয়েছেন।

এ নিরাপত্তাত্রুটি এতই ভয়ংকর যে ভারতের কম্পিউটার ইমার্জেন্সি রেসপন্স টিম এরই মধ্যে দেশটির নাগরিকদের ক্রোম ব্রাউজার ব্যবহারে সতর্ক করেছে। সমস্যা সমাধানে উইন্ডোজ, ম্যাক এবং লিনাক্স অপারেটিং সিস্টেমের জন্য ব্রাউজারটির নতুন সংস্করণ ‘ক্রোম ৯৮’ উন্মুক্ত করেছে গুগল। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পর্যায়ক্রমে সংস্করণটি ব্যবহারের সুযোগ পাওয়া যাবে। সংস্করণটি ডাউনলোড না করলে অনেক ব্যবহারকারী নিরাপত্তার শঙ্কায় থাকবেন। আর তাই দ্রুত সংস্করণটি ডাউনলোডের অনুরোধ জানিয়েছে গুগল।
সূত্র: ফোর্বস

14
ফেসবুক মেসেঞ্জারে বন্ধু বা পরিচিতদের সঙ্গে বার্তা বিনিময়ের সময় অনেকেই গোপনে স্ক্রিনশট নেন। পরে তথ্য প্রকাশ করে অন্যকে বিপদে ফেলেন তাঁরা। এবার এ বিষয়ে মুখ খুলেছেন মেসেঞ্জারের মূল প্রতিষ্ঠান মেটার প্রধান নির্বাহী মার্ক জাকারবার্গ। সবাইকে সতর্ক করে তিনি জানান, মেসেঞ্জার চ্যাটের স্ক্রিনশট নেবেন না। স্ক্রিনশট নিলেই অপর প্রান্তে থাকা মেসেঞ্জার ব্যবহারকারীকে আপনার কার্যকলাপের তথ্য জানিয়ে দেবে ফেসবুক। ৪ ফেব্রুয়ারি এক বার্তায় মার্ক জাকারবার্গ জানিয়েছেন, মেসেঞ্জারের হালনাগাদ সংস্করণে এনক্রিপশন সুবিধা চালু হওয়ায় কেউ নিজের চ্যাটের স্ক্রিনশট নিলেই অপর পাশে থাকা ব্যক্তিকে বিষয়টি বিজ্ঞপ্তি আকারে জানানো হবে। সতর্কবার্তার পাশাপাশি মেসেঞ্জারের এনক্রিপশন বার্তায় জিআইএফ, স্টিকার এবং প্রতিক্রিয়া জানানোরও সুযোগ মিলবে। জাকারবার্গ এমন সময় এ সতর্কবার্তা দিলেন, যখন মেসেঞ্জারে এনক্রিপশনের পাশাপাশি বেশ কিছু নতুন সুবিধা চালুর ঘোষণা দিয়েছে মেটা। নতুন এসব সুবিধা কাজে লাগিয়ে নিরাপদে বার্তা বিনিময়ের পাশাপাশি নির্দিষ্ট সময় পর সেগুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবে মুছে ফেলারও সুযোগ পাবেন ব্যবহারকারীরা।

প্রাথমিকভাবে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসকারীরা মেসেঞ্জারের নতুন সুবিধাগুলো ব্যবহারের সুযোগ পাচ্ছেন। সবকিছু ঠিক থাকলে কয়েক সপ্তাহের মধ্যে ইউরোপের বিভিন্ন দেশেও এ সুযোগ মিলবে।

সূত্র: ইউএসএ টুডে

15
ইউটিউবে রেসট্রিকটেড মোড চালু থাকলে অবাঞ্ছিত বা অশ্লীল কোনো ভিডিও দেখা যায় না। ফলে অভিভাবকদের অগোচরে শিশুরাও নিরাপদে ইউটিউব ব্যবহার করতে পারে। ইউটিউবে রেসট্রিকটেড মোড চালুর জন্য প্রথমে নাম, পাসওয়ার্ডসহ প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে শিশুর জন্য আলাদা একটি জিমেইল অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে। এবার ইউটিউব চালু করে ডান পাশে থাকা Sign In অপশনে নতুন খোলা জিমেইল অ্যাকাউন্ট দিয়ে লগইন করতে হবে। এরপর ইউটিউবের হোম পেজের ডান পাশে  থাকা ইউজার প্রোফাইল আইকনে ক্লিক করলেই নিচে Restricted Mode অপশন দেখা যাবে। এবার Restricted Mode-এ ক্লিক করে Active Restricted Mode অপশন চালু করতে হবে। এই পরিবর্তনের ফলে শিশুদের অনুপযোগী কোনো ভিডিও ইউটিউবে দেখা যাবে না। ইউটিউবে শিশুরা কোন ভিডিও দেখছে, তা-ও জানা যায়। এ জন্য ইউটিউবের হোম পেজের বাম পাশে থাকা ‘history’ অপশন নির্বাচন করতে হবে। অপশনটি চালু থাকলে শিশুরা কবে কখন কোন ভিডিও দেখেছে, তা জানার সুযোগ মিলে থাকে।

Pages: [1] 2