Show Posts

This section allows you to view all posts made by this member. Note that you can only see posts made in areas you currently have access to.


Topics - shan_chydiu

Pages: 1 [2] 3 4 ... 6
16
মেডিটেশন মানসিক ও শারীরিক ধকল কমায়
যাবতীয় জাগতিক সমস্যার অধিকাংশের উৎপত্তি ঘটে স্ট্রেস কিংবা ধকল হতে। আপনার স্ট্রেসের কারণ যেটিই হোক না কেন, মেডিটেশন এটি কমাতে সাহায্য করে। ২০১৭ সালের জানুয়ারি মাসে যুক্তরাষ্ট্রের জর্জটাউন ইউনিভার্সিটির একটি গবেষণা মতে, মেডিটেশনের ফলে আপনার মস্তিষ্ক থেকে এন্ডরফিন নিঃসৃত হয় যেটি ধকল, রাগ এবং মনঃক্ষুণ্ণতা কমাতে সাহায্য করে। গবেষণাটি প্রকাশিত হয়েছিলো সাইকিয়াট্রিক ইন্সটিটিউটের একটি জার্নালে এবং ৮৯ জন দুশ্চিন্তাগ্রস্ত রোগীকে নিয়ে। ফলাফলস্বরুপ জানা গিয়েছে যে, স্বতস্ফূর্তভাবে মেডিটেশনের অনুশীলনের মাধ্যমে আপনি বর্তমান মুহূর্তে অবস্থান করা শেখেন, ধকল কমাতে সমর্থ হন এবং শারীরিক প্রদাহ কমাতে পারেন।
রক্তচাপ কমায়
মেডিটেশনকে মনকে স্বস্তি দেয় এবং আপনাকে আরামদায়ক পরিস্থিতি দান করে। এতে করে শরীরে নাইট্রিক অক্সাইড বৃদ্ধি পায়। নাইট্রিক অক্সাইড রক্তের গতিকে নিয়ন্ত্রণ করে ধমনীতে ছড়িয়ে পড়ে এবং এতে করে আর্টারি যেন জমাটবদ্ধ না হয়ে যায় সেজন্যে আরও রক্ত ​​প্রবেশ করতে পারে। ২০১৭ সালের জুন মাসে কেস ওয়েস্টার্ন রিজার্ভ ইউনিভার্সিটির স্কুল অব মেডিসিনের একদল গবেষক ৩০-৬০ বছর বয়সী একশজন রোগীর ওপর গবেষণা চালান যারা কিনা অতিরিক্ত চিন্তার জন্যে কোন ধরনের ঔষধ গ্রহণ করছিলেন না। অংশগ্রহণকারীগণ সপ্তাহে ছয়দিন ৪৫ মিনিট মেডিটেশন করতেন। গবেষকগণ তাদের রক্তচাপে বেশ উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন লক্ষ্য করেছিলেন।
প্যানিক ডিজঅর্ডারের লক্ষণ কমায়
আমেরিকান জার্নাল অব সাইকিয়াট্রিতে প্রকাশিত একটি গবেষণা মতে, ২২ জন রোগী দুশ্চিন্তা ও প্যানিক ডিজঅর্ডারে আক্রান্ত ছিলেন এবং তাদের  তিন মাস মেডিটেশনের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। বিজ্ঞানীরা খেয়াল করে দেখলেন যে ধ্যানের জন্যে বিশজন রোগীর দুশ্চিন্তা ও ভয় অনেকাংশে কমে গিয়েছে। সুতরাং, আপনি যদি প্যানিক অ্যাটাকের দরুণ ভীত হয়ে থাকেন, আজ থেকেই মেডিটেশনের চর্চা শুরু করুন।
মেডিটেশন আপনাকে সুখী করে তোলে
মেডিটেশন মস্তিষ্কের বা পাশের কর্টেক্স এর সংকেত প্রদানের মাত্রা বাড়িয়ে দেয় যার দরুণ ইতিবাচক মানসিকতা বৃদ্ধি পায়। একই সময়ে ডান পাশের অর্থাৎ যে পাশ নেতিবাচক মানসিকতার জন্য দায়ী তার মাত্রা কমে যায়। আপনি যদি হাসিখুশি থাকেন তবে মেডিটেশন ডিহাইড্রোপিয়ান্ড্রোস্টেরন নামক পদার্থের সৃষ্টি করে। এতে করে মানসিক স্বাস্থ্য ও সুস্থতা অর্জিত হয়।
মনোযোগ বৃদ্ধি করে
ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়ার একটি জরিপ মতে, মেডিটেশন করা অবস্থায় এবং তার পরবর্তী সময়ে অংশগ্রহণকারীরা অধিক মনোযোগী। বিশেষ করে বিরক্তিকর কাজ করবার সময়েও তাদের মনোযোগ অটুট থাকে। মাত্র বিশ মিনিট এর অনুশীলন করলেও আপনার যেকোন কাজ করার দক্ষতা বৃদ্ধি পায়।
সুতরাং, আজই ভেবে দেখুন অল্প একটু সময় মেডিটেশন অনুশীলন করলে আপনি কতোভাবে উপকৃত হচ্ছেন। লাখ লাখ টাকা কঠিন চিকিৎসার পেছনে ব্যয়ের পরিবর্তে করেই দেখুন মেডিটেশন। আপনি কোনভাবেই ঠকবেন না কিংবা আপনার সময় নষ্ট হবে না।
সূত্র: Femina

17
১/ মানসিক উদ্দীপনা তৈরি করে

গবেষণা থেকে প্রমাণ হয়েছে যে মানসিক উদ্দীপনা আলঝেইমার এবং ডেমেনশিয়ার মতো মানসিক সমস্যা প্রতিরোধে সহায়তা করে থাকে। আপনার মস্তিষ্ক উদ্দীপনাময় এবং কর্মচঞ্চল থাকলে মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য ভালো থাকে। আপনার শরীরের অন্যান্য অংশের মতোই, আপনার মস্তিষ্কের এক্সারসাইজের প্রয়োজন রয়েছে সুস্থ এবং সবল থাকার জন্য। পাজল মেলানো এবং দাবা খেলার মতো খেলাগুলো মস্তিষ্কের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে থাকে।

২/ মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে

অফিসে কাজের চাপ, পারিবারিক সমস্যার চাপ অথবা ভালোবাসার সম্পর্কে চাপ যতোই থাকুক না কেনো, আপনি চাইলেই সবসময়ই এই সকল সমস্যা এবং চাপ থেকে নিজেক সরিয়ে রাখতে পারেন একটা ভালো গল্পের বই পড়ার মাধ্যমে। খুব দারুণ কোন উপন্যাসের গল্প আপনাকে নিমিষেই আপনার বাস্তব জগতের সমস্যা থেকে অন্য একটা কাল্পনিক জগতে নিয়ে যেতে সাহায্য করে বলে আপনার মানসিক চাপ কমে যায় অনেকখানি।

৩/ জ্ঞান বৃদ্ধি করে

আপনি যত বেশী বই পড়বেন, তত বেশী আপনার জ্ঞান বৃদ্ধি পাবে। প্রতিটি বইয়ে থাকে হাজারো রকমের তথ্য, যখন কোন একটা বই আপনি পড়বেন, হোক সেটি গল্পের বই কিংবা কল্পকাহিনী, আপনি বই পড়ার সাথে সাথে নানা ধরণের তথ্য নিজের ভেতরে গ্রহণ করে নিতে পারছেন। জ্ঞান সবসময় এবং সকল ক্ষেত্রেই একজন মানুষকে সমৃদ্ধ করে। সেক্ষেত্রে বই পড়ার জন্যে আপনি নিজেই নিজের উপকার করছেন।

৪/ আপনার শব্দভান্ডার সমৃদ্ধ করে

খুব স্বাভাবিকভাবেই, আপনি যত বেশী দেশী এবং বিদেশী ভাষার বই পড়বেন আপনার শব্দ ভান্ডার তত বেশী ভারী হবে। শুধুমাত্র পাঠ্যবই পড়ে আপনি কখনোই আপনার শব্দ জ্ঞান বাড়াতে পারবেন না। যত বেশী আপনার শব্দ ভান্ডার ভারী হবে, তত বেশী আপনার কথা বলার উপর অথবা লেখার উপর দখল আসবে। যে অনেক বেশী বই পড়েন, অনেক বেশী জানেন এবং সকলের সাথে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলতে পারেন, চাকরী ক্ষেত্রে তার উন্নতি হয় খুব দ্রুত।

৫/ স্মরণশক্তি বাড়ায়

একটা উপন্যাস পড়ার সময়ে আপনাকে উপন্যাসের অনেকগুলো চরিত্র, চরিত্রের ধরণ, চরিত্রের নাম, উপন্যাসের কাহিনী, উদ্দেশ্য, ইতিহাসসহ বিভিন্ন জিনিস মনে রাখতে হয় এবং এইভাবে মনে রেখেই আপনাকে উপন্যাসটি শেষ করতে হয়। যদিও এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া তবুও আপনাকে উপন্যাসের গল্পটির বিভিন্ন বাঁক, এবং বিভিন্ন ঘটনা ও টুকিটাকি মনে রাখতে হয় বলে এক্ষেত্রে আপনার প্রচুর ব্রেইন ওয়ার্ক হয়। যে কারণে, বই পড়ার মাধম্যে আপনার স্মরণশক্তি বৃদ্ধি হয়।

৬/ আপনার বিশ্লেষণধর্মী চিন্তাক্ষমতা বৃদ্ধি পায়

কখনো কি এমন হয়েছে, কোন একটা রহস্য উপন্যাস পড়ছেন, সেই উপন্যাসটি শেষ করার আগেই আপনি রহস্য ধরে ফেলতে পেরেছেন? যদি এমন করতে পেরে থাকেন তবে বুঝতে হবে যেকোন পরিস্থিতি এবং ঘটনাকে বিশ্লেষণ করার ক্ষমতা আপনার খুব দারুণ।

যেকোন সময়ে আপনার এই বিশ্লেষণ ধর্মী চিন্তাধারা আপনার বাস্তব জীবনের কাজের উপরেও প্রভাব ফেলবে এবং আপনাকে বিভিন্ন কাজে সাহায্য করে থাকবে।

৭/ আপনার মনোযোগ বাড়াতে সাহায্য করে

ইন্টারনেটের এই যুগে প্রতিটা মানুষ এখন প্রতি মুহুর্তে হাজারো কাজে একসাথে ব্যস্ত থাকে। একসাথে সকল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে থাকতে হয়, সকলের সকল ঘটনার ব্যপারে একদম আপ-টু-ডেট থাকতে হয়। আবার নিজের কাজের খাতিরে ই-মেইল দেখা, কাজের খোঁজ রাখা ইত্যাদি একশ ধরণের কাজের মধ্যে ডুবে থাকতে হয় নিজেকে। সেখানে একটা বই পড়ার মতো কাজ অনেক ধৈর্যর ব্যাপারই বটে। ঘন্টার পর ঘন্টা তো বটেই, দিনের পর দিন একটা বই নিয়ে বসে থাকার ফলে যেমন আপনার সকল মনোযোগ একদিনে কেন্দ্রীভূত হয়, তেমনভাবেই যেকোন কাজের প্রতি মনোযোগটাও বৃদ্ধি পাবে আপনার।

৮/ লেখার দক্ষতা বেড়ে যাবে আপনার

বেশী বই পড়লে যেমন আপনার শব্দ ভান্ডারের ঝুলি ভারী হয়ে যায়, ঠিক একইভাবে আপনার লেখালেখির উপর দক্ষতা চলে আসে। যত বেশী শব্দ জানেবেন আপনি, তত বেশী লেখার ক্ষেত্রে হাত ভালো হয়ে উঠবে আপনার।

৯/ মানসিক প্রশান্তি আনতে সাহায্য করে

আপনার পছন্দের বিষয় এবং পছন্দের বই এবং পছন্দের লেখা পড়লে মানসিকভাবে আপনি অনেক বেশী শান্ত এবং প্রশান্তি অনুভব করতে পারবেন। গবেষণা থেকে দেখা গেছে যে, আধ্যাত্মিক মূলক বই পড়লে রক্তচাপ কমে যায় অনেকখানি!

এমনকি দেখা গেছে যে, হালকা মানসিক সমস্যায় ভুক্তভোগীদের ক্ষেত্রেও মানসিকশক্তি বৃদ্ধিমূলক বই পড়া খুব সাহায্য করে থাকে। 

১০/ সকলের জন্য উন্মুক্ত বিনোদন

বই যে শুধুমাত্র জ্ঞান বাড়ানোর জন্য অথবা তথ্য আহরণের উপায় তা কিন্তু নয়! একটা দারুণ গল্পের বই বা উপন্যাসের বই আপনাকে হাসাতেও পারে আবার কাঁদাতেও পারে। মোট কথা, একটা চমৎকার বই আপনার অনুভূতিগুলো নিয়ে দারুনভাবে খেলা করতে পারে, যা কিনা আপনাকে দিতে পারে সময় কাটানোর জন্য চমৎকার বিনোদন। 

সূত্র: Life Hack

18
১। ব্যায়ামের শুরু করুন সোমবার থেকে

ব্যায়াম শুরু করুন সোমবার থেকে। মনোবিজ্ঞানীরা এই দিনটি থেকে ব্যায়াম শুরু করার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। সপ্তাহের এই দিনটি থেকে ব্যায়াম শুরু করলে সারা সপ্তাহ এর ধারাবাহিকতা ধরে রাখা সম্ভব হবে।

২। সকালবেলা ব্যায়াম করার চেষ্টা করুন

দিনের শুরুতে ব্যায়াম করার চেষ্টা করুন। ঘুম থেকে উঠে নাস্তার খাওয়ার পূর্বে ব্যায়ামটি করে ফেলুন। প্রতিদিন এই কাজটি করার চেষ্টা করুন। একটা সময়ে এটি আপনার অভ্যাসে পরিণত হবে।

৩। খুব বেশি দিন ব্যায়ামে বিরতি না দেওয়া


পর পর দুই দিন ব্যায়াম করা থেকে বিরত থাকবেন না। আজকে হয়তো আপনি ব্যায়াম করছেন না, কিন্তু পরের দিন অব্যশই ব্যায়াম করবেন। ব্যায়ামে খুব বেশি দিন বাদ দেওয়া হলে সেটি তার কার্যকারিতা হারিয়ে ফেলবে।

৪। নিজেকে ঘুষ দিন

নিজের ছোটখাটো অর্জনের জন্য নিজেকে নিজে উপহার দিন। যেমন ১০ মিনিট ব্যায়াম করলেন। এটি যদি টানা তিনদিন করতে পারেন তবে নিজেকে ছোট একটা উপহার দিন। তা হতে পারে পছন্দের কোনো খাবার। এতে আপনার ব্যায়াম করার আগ্রহ থাকবে।

৫। নিয়মিত ব্যায়াম করুন

ব্যায়াম হিসেবে আপনি যদি সুইমিং অথবা সাইকেলিং করেন, তবে তা নিয়মিত করুন। মাসে একবার বা দুইবার করলে সেটি থেকে উপকার পাবেন না।

৬। ব্যায়ামকে আনন্দময় করে তুলুন

বিরক্তিকর ব্যায়ামকে আনন্দময় করে তুলুন ছোটখাটো বিষয়ের মাধ্যমে। প্রয়োজনে ব্যায়াম করার জন্য পছন্দের কোনো ব্যায়ামের মেশিন ক্রয় করুন। একটু টাকা খরচ হলেও এটি ব্যায়ামের প্রতি আগ্রহ তৈরি করবে।

৭। ব্যায়ামকে গুরুত্বপূর্ণ অংশ মনে করা

ব্যায়ামকে জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ মনে করুন। সকালের নাস্তা খাওয়ার মতো ব্যায়ামের অভ্যাস গড়ে তুলুন।  ব্যায়ামকে বিকল্প মনে না করে অব্যশই করণীয় মনে করুন।

ব্যায়াম মানে ৫ মাইল হাঁটা কিংবা দীর্ঘ সময় জিমে সময় কাটানো তা কিন্তু নয়। প্রতিদিন নিয়ম করে ৩০-৪০ মিনিট হাঁটাও ব্যায়ামের অংশ। তাই বড় বড় ব্যায়াম করার পরিবর্তে ছোট কোনো ব্যায়াম দিয়ে শুরু করুন।

সূত্র: হাফিংটন পোস্ট

19
সার্চ জায়ান্ট গুগল তাদের ইমেজ সার্চ অ্যাপে নতুন হালনাগাদের ঘোষণা দিয়েছে। হালনাগাদ ফিচারটির নাম ‘স্টাইল আইডিয়াস’। মোবাইল ওয়েব ও অ্যান্ড্রয়েডের গুগল অ্যাপে এটি কাজ করবে।

গুগলের ইমেজ সার্চ ব্যবহার করে জায়গা ও ভ্রমণের স্থানের, কেনাকাটার জিনিস, প্রিয় তারকা, চিত্রকর্মের মতো নানা জিনিসের ছবি পাওয়া যায়। আর ‘স্টাইল আইডিয়াস’ ফিচারটি ব্যবহার করে ফ্যাশন পণ্য সম্পর্কে ধারণা পাবেন ব্যবহারকারী। ইমেজ সার্চের নতুন ফিচারে পছন্দমতো স্টাইল দেখার ও মেলানোর সুযোগ থাকবে।

এখানে একই রকম নানা পণ্য ব্যবহারকারীর সামনে তুলে ধরবে গুগল। অর্থাৎ, পছন্দ অনুযায়ী পণ্য মিলিয়ে দেখার সুযোগ পাবেন গুগল ব্যবহারকারী।

সূত্র: গ্যাজেটস নাউ

20
১। পর্যাপ্ত পানি পান করুন

অনেকেই কম পানি পান করে থাকেন। কিন্তু গরমে যেহেতু ঘামের মাধ্যমে শরীর থেকে তরল বের হয়ে যায় বেশি তাই আপনাকে পানি পান করতে হবে বেশি। ডিহাইড্রেশন থেকে দূরে থাকার প্রথম পদক্ষেপই হচ্ছে পর্যাপ্ত পানি পান করা। প্রতিদিন ৬-৮ গ্লাস পানি পান করার পরামর্শ দেন কিছু বিশেষজ্ঞ। কিন্তু মনে রাখবেন তরলের প্রয়োজনীয়তা ব্যক্তি বিশেষ ভিন্ন হতে পারে বিভিন্ন কারণে যেমন- ব্যক্তির উচ্চতা, ওজন, শারীরিক সক্রিয়তা এবং তিনি কোথায় অবস্থান করছেন তার উপর নির্ভর করে।

২। ডাইইউরেটিক এড়িয়ে চলুন

ডাইইউরেটিক হচ্ছে কোন বস্তু বা খাবার যা মূত্রের পরিমাণ বৃদ্ধি করে। এর ফলে শরীর থেকে অনেক তরল বের হয়ে যায়। জনপ্রিয় ডাইইউরেটিক বা মূত্রবর্ধক হচ্ছে ক্যাফেইন সমৃদ্ধ পানীয় যেমন - চা, কফি, কোলা এবং চকলেট ইত্যাদি।

৩। মসলাযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন

এসিডিটি এবং বুক জ্বালাপোড়া করার সমস্যা সৃষ্টি করা ছাড়াও মসলাযুক্ত খাবার শরীর থেকে তরল বের হয়ে যাওয়া বৃদ্ধি করে দেহের অভ্যন্তরীণ তাপমাত্রা বৃদ্ধি করার মাধ্যমে। কিন্তু ঘাম প্রতিরোধের জন্য গরমের সময় মসলাযুক্ত খাবার এড়িয়ে যাওয়ার বিষয়টি বিতর্কের যোগ্য। কারণ কিছু বিশেষজ্ঞ মনে করেন মসলাযুক্ত খাবার খাওয়া ভালো। তাদের মতে মসলা যুক্ত খাবার খেলে শরীরের অভ্যন্তরীণ এবং বাহ্যিক তাপমাত্রার মধ্যকার বৈসাদৃশ্য কমে এবং পরবর্তীতে একটি শীতল অনুভূতি পাওয়া যায়।

৪। পটাসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার খান

ডিহাইড্রেশন শুধু পানির ঘাটতিকেই বুঝায় না। পানির সাথে সাথে প্রচুর ইলেক্ট্রোলাইটও কমে যায়। এ জন্য আপনার পটাসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার যেমন- কলা, আনারস, মিষ্টি আলু, ডাবের পানি এবং আম খাওয়া প্রয়োজন।

৫। অত্যধিক পরিশ্রম এড়িয়ে চলুন

ফিট থাকার জন্য শারীরিকভাবে সক্রিয় থাকা বা ব্যায়াম করা গুরুত্বপূর্ণ এই বিষয়ে কোন সন্দেহ নাই। কিন্তু গরমের সময় অনেক বেশি পরিশ্রমের ব্যায়াম করার ফল মারাত্মক হতে পারে। বিশেষ করে যদি আপনি পানির ঘাটতি পূরণের জন্য একটু পর পর পানি পান না করেন তাহলে।

৬। হালকা ও ঢিলেঢালা পোশাক পরুন

গাড় রঙের ভেতরে তাপ বেশি শোষিত হয় বলে গরম বেশি লাগে এবং ঘাম বেশি হয়। টাইট ফিটিং পোশাক পড়লে শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায়। তাই বাহিরে যাওয়ার সময় হালকা রঙের ও ঢিলেঢালা পোশাক, বিশেষ করে সুতির পোশাক নির্বাচন করুন।

৭। ঘরের ভেতরে থাকুন

সরাসরি সূর্যের তাপে গেলে অনেকবেশি ঘাম হয় বলে ডিহাইড্রেশন হতে পারে। বৈশাখের প্রথম প্রহরে তো অনেকেই বাহির হয়েছেন। আর যারা এখনো যাননি তারা দুপুরের পরে বের হলেই ভালো।

৮। ইয়োগা করুন

ইয়োগা শরীরকে শিথিল হতে ও নার্ভকে শান্ত হতে সাহায্য করে। বাহিরের অত্যধিক তাপের ফলে অতিরিক্ত ঘাম হওয়ার সকেত দেয় যে স্নায়ু তাকে শান্ত রাখতে করতে পারেন ইয়োগা।   

৯। ধূমপান ও অ্যালকোহল বর্জন করুন

ধূমপান করলে গলার ভেতরের কোষগুলোকে পানিশূন্য করে দেয়। এছাড়া এটি তৃষ্ণার উপর ও প্রভাব ফেলে বলে আপনি পানি পান করার আকুতি অনুভব করেন না। অন্যদিকে অ্যালকোহল ডাইইউরেটিক। এটি গলা এবং পাকস্থলীর প্রাচীরকে ডিহাইড্রেট করে। এটি যকৃত কোষের উপর ও প্রভাব ফেলে বলে তীব্র ডিহাইড্রেশন হতে পারে।

 

সূত্র: দ্যা হেলথ সাইট

21
Ebola Zaire সম্প্রতি মহামারি সৃষ্টি করেছে। এর দ্বারা আক্রান্ত ৯০ শতাংশ মানুষই মৃত্যুবরণ করেছে। এটি ইবোলা পরিবারের সবচেয়ে মারাত্মক প্রজাতি। বোস্টন বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক্রোবায়োলজির সহযোগী অধ্যাপক এবং ইবোলা ভাইরাস বিশেষজ্ঞ এলকে মোহলবার্গার বলেন, ‘এটি আরো খারাপ হতে পারত’। 

কিন্তু এমন আরো কিছু ভাইরাস আছে যা প্রাণের সংশয় সৃষ্টিকারী এবং এর চেয়েও মারাত্মক হতে পারে। এমন ৮ টি মারাত্মক ভাইরাসের বিষয়েই জানবো আজকের ফিচারে।

১। মারবারগ ভাইরাস

বিজ্ঞানীরা ১৯৬৭ সালে মারবারগ ভাইরাস শনাক্ত করেন, যখন জার্মানির ল্যাবরেটরির শ্রমিকদের মধ্যে প্রাদুর্ভাব হতে দেখা যায় উগান্ডা থেকে আমদানিকৃত বানরের দ্বারা সংক্রমিত হওয়ার ফলে। মারবারগ ভাইরাস ও ইবোলার মতোই হিমোরেজিক ফিভার সৃষ্টি করে, অর্থাৎ সংক্রমিত মানুষের মধ্যে উচ্চমাত্রার জ্বর এবং শরীরে রক্তপাত হয় যার ফলে পক্ষাঘাত হয় এবং মৃত্যু হয়।

২। ইবোলা ভাইরাস

১৯৭৬ সালে প্রথম ইবোলার প্রাদুর্ভাব হয় সুদান এবং কঙ্গোতে। সংক্রমিত মানুষ বা জীবজন্তুর রক্ত বা শরীরের অন্য কোন তরল বা টিস্যুর দ্বারা এটি অন্যদের মাঝে ছড়িয়ে পরে। ইবোলার একটি প্রজাতি ইবোলা রেস্টোন মানুষকে অসুস্থ করেনা। কিন্তু WHO এর মতে, এর বান্ডিবাগিও  প্রজাতিটির দ্বারা সৃষ্ট সংক্রমণের কারণে মৃত্যু হার ৫০ শতাংশের বেশি এবং এর সুদান প্রজাতিটির দ্বারা মৃত্যু হার ৭১ শতাংশ।

৩। র‍্যাবিস

যদিও ১৯২০ সালে পোষা প্রাণীর টিকা র‍্যাবিস এর সাথে পরিচয় ঘটে মানুষের যা সারা পৃথিবীতে এর ছড়িয়ে যাওয়া রোধ করে। এটি এখনো আফ্রিকার কিছু অংশে এবং ভারতে মারাত্মক সমস্যা।

মোহলবার্গার বলেন,  ‘এটি মস্তিষ্ককে ধ্বংস করে দেয় এবং এটি সত্যিই মারাত্মক একটি রোগ’।  তিনি বলেন, ‘র‍্যাবিসের টিকা আছে আমাদের এবং আমাদের অ্যান্টিবডি আছে যা র‍্যাবিসের  বিরুদ্ধে কাজ করে’।  তাই কেউ যদি ক্ষিপ্র জীবজন্তুর কামড় খায় তাহলে তাকে নিরাময় করা সম্ভব। তিনি এটাও বলেন যে, যদি আপনি চিকিৎসা গ্রহণ না করেন তাহলে আপনার মৃত্যু হওয়ার ১০০% সম্ভাবনা আছে। 

৪। এইচআইভি

বর্তমান যুগের সবচেয়ে প্রাণঘাতী ভাইরাসটি হল এইচআইভি। ইনফেকশিয়াস ডিজিজ সোসাইটি অফ আমেরকার মুখপাত্র এবং সংক্রামক রোগের চিকিৎসক ডা. অ্যামেশ অ্যাডালজা বলেন,  ‘এটিই এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় খুনি’। 

১৯৮০ সালে এই রোগটি শনাক্ত হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত ৩৬ মিলিয়ন মানুষ মৃত্যুবরণ করে। অ্যাডালজা বলেন, মানবতার উপর সবচেয়ে বড় আঘাত হানছে এই সংক্রামক রোগটি। শক্তিশালী অ্যান্টিভাইরাল ড্রাগ ব্যবহার করে এইচআইভি নিয়েও কয়েক বছর বেঁচে থাকা যায়। 

৫। হান্টাভাইরাস

১৯৯৩ সালে প্রথম দৃষ্টিগোচর হয় হান্টাভাইরাস পালমোনারি সিনড্রোম (HPS)। আমেরিকায় ৬০০ মানুষের মধ্যে HPS এর সংক্রমণ হতে দেখা যায় এবং এদের মধ্যে ৩৬ শতাংশের মৃত্যু হয়। এই ভাইরাসটি একজন থেকে আরেকজনে সংক্রমিত হয়না। বরং সংক্রমিত ইঁদুরের মল দ্বারা সংক্রমণ ছড়িয়ে পরে।

৬। ইনফ্লুয়েঞ্জা

সবচেয়ে মারাত্মক ফ্লু সৃষ্টিকারী ভাইরাস হচ্ছে স্প্যানিশ ফ্লু। ১৯১৮ সালে এটি পৃথিবীর জনসংখ্যার ৪০ শতাংশ মানুষকে অসুস্থ করে তোলে। প্রায় ৫০ মিলিয়ন মানুষ মারা যায়।

৭। ডেঙ্গু

১৯৫০ সালে ফিলিপাইন এবং থাইল্যান্ড এ ডেঙ্গু ভাইরাসটি প্রকাশিত হয়। তখন থেকেই এটি বিশ্বের গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ও প্রায় গ্রীষ্মমণ্ডলীয় অঞ্চলে ছড়িয়ে পরে এটি। পৃথিবীর জনসংখ্যার ৪০ শতাংশ মানুষই বাস করে ডেঙ্গু উপদ্রুত এলাকায়। এই ভাইরাসটি ছড়ায় মশার মাধ্যমে। এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুর টিকা আবিস্কার হয়নি।

৮। রোটা ভাইরাস

রোটা ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে শিশুদের সুরক্ষা দেয়ার জন্য ২ টি টিকা রয়েছে। এই ভাইরাস দ্রুত ছড়িয়ে পরে এবং এর দ্বারা আক্রান্ত হলে মারাত্মক ডায়রিয়া হয় ছোট শিশুদের। WHO এর মতে, ২০০৮ সালে ৫ বছরের কম বয়সের ৪,৫৩,০০০ শিশু মারা যায় রোটাভাইরাসের সংক্রমণের কারণে। টিকা আবিস্কারের পরে সংক্রমণের হার কমে এসেছে।

সূত্র:  লাইভ সায়েন্স

22
১। টমেটো
হতাশা দূর করতে টমেটো বেশ কার্যকরী একটি খাবার। এর ফলিক অ্যাসিড এবং আলফা লিপোক অ্যাসিড হতাশা দূর করতে সাহায্য করে। গবেষণায় দেখা গেছে যারা হতাশায় ভুগে থাকেন তাদের নিয়মিত টমেটো খাওয়া হতাশা দূর করতে সাহায্য করে।
২। কাজুবাদাম
কাজুবাদাম জিঙ্কের অন্যতম উৎস। এক আউন্স কাজুবাদামে ১১% আরডিএ (RDA) পরিমাণ জিঙ্ক রয়েছে। অর্থাৎ জিঙ্কের দৈনিক চাহিদার ১১ শতাংশ দিতে পারে এক আউন্স কাজুবাদাম। শরীরে জিঙ্কের অভাব দেখা দিলে হতাশা, উদ্বেগ দেখা দেয়। আমাদের শরীর জিঙ্ক সংরক্ষণ করে রাখে না, তাই প্রতিদিন অল্প পরিমাণের হলেও জিঙ্ক খাওয়া উচিত। এটি আমাদের দুশ্চিন্তা দূর করে মন ভাল করে দেয়।
৩। মিষ্টি আলু
মিষ্টি আলুতে প্রচুর পরিমাণ বিটা ক্যারটিন এবং ভিটামিন বি৬ রয়েছে যা মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটায়। এটি হতাশা দূর করতেও বেশ কার্যকর।
৪। পেঁয়াজ এবং রসুন
অ্যান্টি ইনফ্লামেটরি, অ্যান্টি অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ সবজি ক্যান্সার প্রতিরোধ করার পাশাপাশি আপনার মুড পরিবর্তন করতে সাহায্য করে। প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় পেঁয়াজ এবং রসুন রাখুন।
৫। অ্যাভাকাডো
অ্যাভাকাডো মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। এতে স্বাস্থ্যকর ফ্যাট, প্রোটিন, ভিটামিন বি, সি,ই এবং কে রয়েছে যা রক্তে চিনির মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে থাকে।
৬।  ডার্ক চকলেট
ডার্ক চকলেট মন ভালো করে দেয়ার ক্ষমতা রাখে। ডার্ক চকলেটে থাকা পলিফেনল মানসিক অবস্থা উন্নত করে। এছাড়া এটা রক্তচাপ কমাতেও সাহায্য করে। খুব বেশি স্ট্রেস অথবা মন খারাপের সময় এক টুকরো ডার্ক চকলেট খান। আর দেখুন নিমিষে মন ভাল হয়ে গেছে।
৭। আপেল
মনোবিজ্ঞানী দূরে রাখতে চাইলে প্রতিদিন একটি করে আপেল খাওয়ার অভ্যাস করুন। বেরি, আপেলে প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টি অক্সিডেন্ট রয়েছে যা সেলুলার স্তরে ইনফ্লামেশন মেরামত করে থাকে। দ্রবণীয় আঁশ হওয়ার এটি রক্তে চিনির মাত্রা নিয়ন্ত্রণ রাখতে সাহায্য করে।  ছোটখাটো ক্ষুধা মেটাতে একটি আপেল খাওয়ার চেষ্টা করুন।
৮। পালংশাক
উচ্চ মাত্রার ম্যাগনেসিয়াম সমৃদ্ধ এই পালং শাক ক্লান্ত বিষণ্ণতা দূর করে থাকে। এছাড়া এই শাক ভিটামিন এ, বি, সি এবং আয়রনের চমৎকার উৎস। সেই সাথে এতে থাকা প্রোটিন দেহের শক্তির মাত্রা বৃদ্ধি করে।
সূত্র: বোল্ড স্কাই


23
আমাদের শরীরের ৯৯% ক্যালসিয়াম সংরক্ষিত হয় হাড় ও দাঁতে। বাকি ১% পাওয়া যায় রক্ত, পেশী এবং কোষীয় তরলে। ক্যালসিয়াম প্রয়োজন হয় পেশীর সংকোচনের মাধ্যমে অঙ্গের  চলনে, হৃদপিন্ডের সংকোচনে, রক্ত জমাট বাঁধায়, হরমোনের নিঃসরণে এবং এনজাইম তৈরিতে। এবং স্নায়ুতন্ত্রের মাধ্যমে বার্তা পাঠাতেও কাজ করে ক্যালসিয়াম।

বিভিন্ন বয়সের মানুষের ক্যালসিয়ামের চাহিদা বিভিন্ন হয়, যেমন-

১ থেকে ৯ বছর বয়সের বাচ্চাদের দৈনিক ৬০০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম গ্রহণ করা প্রয়োজন

১০ বছর ও তার চেয়ে বেশি বয়সের শিশুদের দৈনিক ৮০০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম গ্রহণ করা প্রয়োজন। কিশোর অবস্থা পর্যন্ত এই পরিমাণ ক্যালসিয়াম প্রয়োজন হয়।

স্বাভাবিক পূর্ণবয়স্ক নারী ও পুরুষের দৈনিক ৬০০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম প্রয়োজন।

ক্যালসিয়াম গ্রহণের মাত্রা বৃদ্ধি পায় গর্ভবতী ও দুধ পান করান এমন নারীদের ক্ষেত্রে। গর্ভস্থ শিশুর বৃদ্ধির জন্য এবং বুকের দুধের পরিমাণ বৃদ্ধির জন্য তাদের দৈনিক ১২০০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম গ্রহণ করা প্রয়োজন।

বেশিরভাগ মানুষই ক্যালসিয়ামের জন্য গরুর দুধ পান করেন। সাম্প্রতিক এক গবেষণায় ভিন্ন ফলাফল দেখা গেছে। ননী যুক্ত ও পাস্তুরিত দুধে উচ্চ মাত্রার ক্যালসিয়াম থাকে। কিন্তু এটি সঠিকভাবে শরীরে শোষিত হয়না বা ব্যবহৃত হয়না। এছাড়াও প্রায়ই দুধে গবাদিপশুর বৃদ্ধি হরমোন এবং অ্যান্টিবায়োটিক ও থাকতে পারে। সুখবর হচ্ছে এমন অনেক খাবার আছে যা উচ্চ মাত্রার ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ। ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ এমন কিছু খাবারের কথাই জেনে নিব আজ।

১। তিল বীজ

তিল বীজে উচ্চ মাত্রার ক্যালসিয়ামের পাশাপাশি অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ভিটামিন ও মিনারেল ও থাকে। ১০০ গ্রাম কাঁচা তিল বীজে ১০০০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম থাকে।

২। গাড় সবুজ শাকসবজি

গাড় সবুজ শাকসবজি ক্যালসিয়ামের চমৎকার উৎস। ১ কাপ পালং শাকে ৫৬ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম থাকে। ১০০ গ্রাম পাতাকপিতে ১৩৯ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম থাকে। ১০০ গ্রাম সবুজ সরিষায় ১০৩ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম থাকে।

৩। কমলা

১ কাপ তাজা কমলার রসে ৭২ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম থাকে। তাছাড়া কমলায় ভিটামিন সি থাকে যা ক্যালসিয়ামের শোষণে সাহায্য করে। পটাসিয়াম, ভিটামিন এ এবং বিটা ক্যারোটিনের ও চমৎকার উৎস কমলা।

৪। শুষ্ক ফল ও বাদাম

অনেক ড্রাই ফ্রুটেই ক্যালসিয়াম থাকে। বস্তুত দিনে ৫ টি শুকনো ডুমুর খেলে ১৩৫ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম পাওয়া যায়। কাঠ বাদামে উচমাত্রার ক্যালসিয়াম থাকে। ১০০ গ্রাম কাঁচা অথবা নাট বাটারে ব্যবহৃত চূর্ণ করা কাঠ বাদামে ২৬৬ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম থাকে।

৫। ব্রোকলি

১ কাপ সবুজ ব্রোকলিতে ৭৪ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম এবং ১২০ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি থাকে যা ক্যালসিয়ামের শোষণে সাহায্য করে থাকে। এছাড়াও ব্রোকলিতে ভিটামিন কে, ভিটামিন এ, ফোলেট এবং ডায়াটারি ফাইবার থাকে।

এছাড়াও ১০০ গ্রাম দই এ ১১০ মিলিগ্রাম, ১০০ গ্রাম পনিরে ৮৩ মিলিগ্রাম, ১০০ গ্রাম সয়াবিনে ২৭৭ মিলিগ্রাম, ১০০ গ্রাম টফুতে ৩৫০ মিলিগ্রাম, ১ টেবিল চামচ ঘন ও গাড় গুঁড়ে ১৭২ মিলিগ্রাম  ক্যালসিয়াম থাকে।


(collected)


24
সফল হতে কে না চায়? কিন্তু কিছু কিছু মানুষের জীবনে সফলতা যেন সোনার হরিণ। যে কাজেই হাত দেন তারা, ব্যর্থ হন। না তাদের দিয়ে ব্যবসা হয়, না টেকে কোন চাকরি। চতুর্দিক থেকে ব্যর্থতার ধিক্কার তাদের জীবনকে অতিষ্ট করে তোলে।
জেনে নিন, কীভাবে আপনি নিজেই নিজের সফলতাকে বাঁধাপ্রাপ্ত করছেন-
 
ব্যর্থতার ভয়
আপনি যদি সারাক্ষণ ভয়েই থাকেন যে আপনি ব্যর্থ হবেন তাহলে আপনি এগোতে পারবেন না। আপনাকে সাহস করে ঝুঁকি নিতে হবে। নাহলে যেমন ব্যবসা করা যাবে না তেমনি করা যাবে না চাকরিও। অনেকে মনে করেন, চাকরিতে কোন ঝুঁকি নেই। আসলে তা নয়। চাকরিক্ষেত্রেও নিজেকে প্রমাণ করতে অনেক কাজ নিজেই সাহসের সাথে এগিয়ে করতে হয়। নাহলে থমকে থাকে ক্যারিয়ার। অনেক সময় হতে হয় চাকরিচ্যুত।
 
সময় চলে যাওয়ার ভয়
আপনার মাঝে সব সময় একটা তাড়া কাজ করে। আপনি ভাবেন এক্ষুনি কাজটা না করলে হয়ত আর করা হবে না। এক্ষেত্রে আপনি পরিস্থিতিকে বিবেচনা করতে ভুলে যান। আপনার আভ্যন্তরীন গতি সময়কে অতিক্রম করে যায়। শান্ত হন। ভেবে চিন্তে সিদ্ধান্ত নিন।
 
পরিবর্তনের ভয়
আপনি অবাক হবেন এটা জেনে যে আপনি নিজেই চান না সফল হতে। আপনার মাঝে পরিবর্তনের ভয় কাজ করে। সফল হতে হলে আপনাকে নিজের জীবনের অনেক কিছুই বদলে ফেলতে হবে। অনেক অনিয়ম ত্যাগ করতে হবে। আপনি এই বদল মেনে নিতে পারেন না। কিন্তু শ্রম না দিলে, কাজ অনুযায়ী পাল্টে না গেলে কি করে আসবে সফলতা?




লিখেছেন....
আফসানা সুমী
ফিচার রাইটার, প্রিয় লাইফ

25
আজকাল পরিবারের সদস্যদের বা একদল বন্ধুদের একত্রে একসাথে বসে থাকতে দেখলেও তাদের মাঝে কথা বলার পরিবর্তে মোবাইল ফোনের ছোট স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে থাকতেই দেখা যায় বেশি। বর্তমান ডিজিটাল যুগে স্মার্টফোনের আসক্তি মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। গবেষণায় দেখা গেছে যে দীর্ঘ সময় স্মার্টফোন ব্যবহার করলে বিভিন্ন প্রকার দৈহিক ও মানসিক সমস্যা হয়। দৈহিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের উপর স্মার্টফোনের ক্ষতিকর প্রভাবের কথাই আজ জেনে নিব আমরা।

১। আমরা সবাই জানি সুস্থ থাকার জন্য একজন মানুষের দৈনিক ৭-৮ ঘন্টা ঘুমানো প্রয়োজন। কিন্তু রাতে বিছানায় স্মার্টফোন নিয়ে শুতে গেলে ফেসবুক বা ইনস্টাগ্রামে চোখ বুলাতে যেয়ে রাত ৩ টার আগে ঘুম হয়না অনেকের, বিশেষ করে টিনএজারদের। গবেষণায় দেখা গেছে যে দীর্ঘক্ষণ স্মার্টফোনে সময় ব্যয় করা সরাসরি ইনসমনিয়ার সাথে সম্পর্কিত। তাই ঘুমাতে যাওয়ার আগে আপনার ফোনটি বিছানা থেকে দূরে ও সাইলেন্ট করে রাখুন।

২। ঘুমের সমস্যা ছাড়াও আপনার স্মার্টফোনের কারণে আপনার মানসিক সমস্যা যেমন- বিষণ্ণতা ও উদ্বিগ্নতার সৃষ্টি হতে পারে। ২০১৫ সালে বিহ্যাভিয়ারাল অ্যাডিকশন্স নামক জার্নালে প্রকাশিত গবেষণা প্রতিবেদনে জানানো হয় যে, যারা দীর্ঘক্ষণ যাবত স্মার্টফোন ব্যবহার করেন তাদেরকে বিষণ্ণতা ও উদ্বিগ্নতায় ভুগতে দেখা যায় বেশি।

৩। দৈনিক ৬ ঘন্টার বেশি স্মার্টফোন ব্যবহার করলে আঙ্গুল ও কব্জির উপর চাপ পড়ে। ফলে “স্মার্টফোন পিঙ্কি” নামক সমস্যাটি তৈরি হয়। যার ফলে আপনার আঙ্গুলের উপর একটি ব্যান্ড তৈরি হতে দেখবেন। এছাড়াও আপনার বৃদ্ধাঙ্গুলি ও কব্জি ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার ঝুঁকিও সৃষ্টি হয়। এই সমস্যাগুলো এড়াতে চাইলে স্মার্টফোনে অধিক সময় ব্যয় করা কমিয়ে দিন।

৪। গবেষণায় দেখা গেছে যে স্মার্টফোন ব্যবহারের ফলে গালে ও কানের আশেপাশের ত্বকে যন্ত্রণা বা ডার্মাটাইটিসের সৃষ্টি হতে পারে। এই সমস্যা হওয়ার কারণ হচ্ছে কিছু ফোনে অ্যালার্জি সৃষ্টিকারী উপাদান যেমন- নিকেল, ক্রোমিয়াম এবং কোবাল্ট থাকে। ব্ল্যাকবেরি ও ফ্লিপ ফোনে এই ধরণের ধাতু থাকার সম্ভাবনা বেশি।

৫। স্মার্টফোনের স্ক্রিনের দিকে বেশিক্ষণ তাকিয়ে থাকলে চোখের বিভিন্ন ধরণের সমস্যা যেমন- চোখ শুষ্ক হয়ে যাওয়া, দৃষ্টি ঘোলা হওয়া, চোখ লাল হয়ে যাওয়া এবং চোখে জ্বালাপোড়ার মত সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে। স্মার্টফোন আসক্তদের মধ্যে এই পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াগুলোর কোন না কোনটি দেখা যাওয়া নিশ্চিত। 

৬। ডার্মাটোলজিস্টদের মতে স্মার্টফোন ত্বকের শত্রু হিসেবে কাজ করে। তাই অসময়ে বয়স বৃদ্ধির ছাপ পড়ে চেহারায়। কারণ আপনি যখন স্মার্টফোন ব্যবহার করেন তখন দীর্ঘক্ষণ আপনার ঘাড় বাঁকানো থাকে ফলে ঘাড়ের মাসল কমতে থাকে এবং ত্বকে টানের সৃষ্টি হয়। ফলে ত্বক ঝুলে পড়ে ও বলিরেখা সৃষ্টি হয়।

৭। আমেরিকার ভার্জিনিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের করা এক গবেষণায় জানা যায় যে, দীর্ঘক্ষণ স্মার্টফোন ব্যবহারকারীদের মধ্যে অনেক বেশি অমনোযোগিতা এবং প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে হাইপারঅ্যাক্টিভিটি বা অস্বাভাবিক কর্মকাণ্ডের প্রবণতা দেখা দিতে পারে। এই ধরণের উপসর্গকে অ্যাটেনশন ডিফিসিট হাইপারঅ্যাক্টিভিটি ডিজঅর্ডার(ADHD) বলে।

৮। স্মার্টফোন আপনার সম্পর্কের ক্ষেত্রেও সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। অনবরত ম্যাসেজ করা, সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে সময় ব্যয় করা এবং ফোনে অনবরত কথা বলার ফলে সঙ্গীর সাথে ভুলবোঝাবুঝির সৃষ্টি হয়। অনেক ক্ষেত্রে সম্পর্কছিন্ন করার মত পরিস্থিতি ও সৃষ্টি হতে পারে।

এতোসব সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে যে স্মার্টফোন তার ব্যবহার কি কমানো উচিৎ নয়? চিন্তা করে দেখুন এবং নিজের সুস্থতার জন্য শুধুমাত্র প্রয়োজনের খাতিরে ব্যবহার করুন স্মার্টফোন। 


26
কিছু জিনিস মনে থাকে কারণ কিছু জিনিস ভুলে যাই
আমাদের মস্তিষ্ক এক্ষেত্রে আমাদের বস। সব যদি আমরা মনে রাখতে চাই, বা আমাদের মস্তিষ্ক জমিয়ে রাখে তাহলে আমরা হয়ত পাগলই হয়ে যাব। আমাদের চারপাশের ঘটনা থেকে যা যা মজার, উৎসাহদায়ক তাই শুধু মনে থাকে। একঘেয়ে বিষয়গুলো সহজে ভুলে যাই আমরা। মস্তিষ্কের এই স্মৃতি বাছাই প্রক্রিয়াকে বলে 'eraser effect'।
 
জোর করে মনে রাখা যায়
মস্তিষ্ক একঘেয়ে বলে যা যা বাতিল করে দেয় তার মধ্যে সবচেয়ে এগিয়ে আছে হয়ত পড়াশোনা। যাদের পড়তে একদমই ভাল লাগে না, তারা যেন যতই পড়ে ততই ভোলে। তবে সুখবর হল, জোর করেও মনে রাখা সম্ভব। একই বিষয় বারবার আওড়াতে থাকলে একসময় তা আমাদের স্মৃতিতে জায়গা করে নেয়।

আপনি জানেন না এমন অনেক তথ্য আছে আপনার স্মৃতিতে

একজন এমনেশিয়ার রোগীকে একটা শব্দের লিস্ট দেওয়া হয়েছিল মুখস্থ করতে। তিনি কোনমতেই সেটা পারলেন না। এরপর তাঁকে কিছু শুন্যস্থান পূরণ করতে দেওয়া হল, যেখানে ওই শব্দগুলোই ব্যবহার করতে হবে। তিনি সেটা ঠিকই পারলেন। কীভাবে? আসলে আমাদের মস্তিষ্ক ঠিকই মনে রাখে কিন্তু অনেক সময় আমরা সেটা টেরও পাই না।
 
অনেক সময় মস্তিষ্ক পুরোনো স্মৃতির সাথে মিলিয়ে নতুন তথ্য গ্রহণ করে
আমরা যখন কোন সিনেমা দেখি তখন সিনেমায় আগত নতুন নায়িকার সাথে পুরোনো কারও মিল খুঁজি। আবার যখন কোন বই পড়ি তার প্রধান চরিত্রের সাথে নিজের যেন মিল পাই। এটা খুবই স্বাভাবিক এবং সবার ক্ষেত্রেই ঘটে। আমাদের মস্তিষ্ক সবসময়ই নতুন তথ্য মনে রাখার সময় তার সাথে জুড়তে থাকে পুরোনো তথ্য।
 
ছবি মনে রাখতে সাহায্য করে

আপনার যদি কোন কিছু মনে রাখতে কষ্ট হয় তাহলে কোন ছবির সাথে সেটিকে যুক্ত করার চেষ্টা করুন। ছবি আপনাকে মনে রাখতে সাহায্য করবে। আমাদের মস্তিষ্ক দৃশ্যত বিষয়কে বেশী খেয়াল করে। মনে করে দেখুন, গল্পের বইয়ের অনেক কাহিনীর চাইতে বেশী মনে থাকে সিনেমা। বাচ্চাদের আমরা বর্ণ পরিচয়ের সময় ছবির সাথে যুক্ত করে পড়াই। অর্থাৎ, অ তে অজগর পড়ানোর সময় আমরা পাশে একটি অজগরের ছবিও দেই। কারণ একটাই।
 
খাওয়ার পর আর স্ট্রেসড অবস্থায় মনে থাকে বেশী

ভাল নাস্তা খাওয়ার পর শরীর গ্লুকোজ নিঃসরণ করে। তখন সহজে অনেক কিছু মনে থাকে। তাই ভরা পেটে পড়া মুখস্থ হয় ভাল! স্ট্রেস বেশি থাকলেও একই ঘটনা ঘটে।
 
শারীরিক শ্রম ভার্সেস মানসিক শ্রম
আপনি যদি শারীরিক শ্রমের চেয়ে বেশী মানসিক শ্রম করাকে পেশা হিসেবে বেছে নেন তাহলে আপনার মস্তিষ্ক আরও বেশী সজীব থাকবে। গবেষণায় দেখা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসরদের স্মৃতি অনেক ভাল থাকে। অবসর গ্রহণের পরও তারা সহজেই নতুন প্যারাগ্রাফ মুখস্থ করতে পারেন।
 
দীর্ঘদিনের হতাশা স্মৃতিশক্তি কমায়
মানুষের চনমনে মনের সাথে তার গ্রহণক্ষমতাও থাকে চনমনে। দীর্ঘদিন যাবত হতাশা, বিষণ্ণতা মানুষকে বিপর্যস্ত করে দেয়, কমিয়ে স্মৃতিশক্তি।

27
যখন স্বাভাবিক চাপের হারের চেয়ে বেশি উচ্চ মাত্রায় ধমনীর মধ্য দিয়ে রক্ত প্রবাহিত হয় তখন তাকে উচ্চ রক্তচাপ বা হাইপারটেনশন হয়েছে বলা হয়। এর  ফলে ধমনী ক্ষতিগ্রস্থ হয় এবং স্ট্রোক ও হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বৃদ্ধি করে। এটি বেশিরভাগ পূর্ণ বয়স্ক মানুষের সাধারণ স্বাস্থ্যগত সমস্যা হলেও বছরের পর বছর তা অলক্ষেই থেকে যায়। এই অবস্থার উন্নতি করা সম্ভব ওজন নিয়ন্ত্রণে রেখে ও পুষ্টি সমৃদ্ধ খাবার খেয়ে, যাতে রক্তনালী গুলো উন্মুক্ত ও প্রসারিত থাকে এবং শরীর থেকে অতিরিক্ত সোডিয়াম বাহির হয়ে যায়। যদি আপনি প্রাকৃতিক উপায়ে হাইপারটেনশনকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে চান তাহলে কিছু স্বাস্থ্যকর, সুস্বাদু ও হার্টের জন্য উপকারি বেছে নিতে পারেন। আমরা জানি উচ্চমাত্রার সম্পৃক্তচর্বি ও কোলেস্টেরল সমৃদ্ধ খাবার বর্জন করে রক্তচাপ কমানো যায়। তাজা ফলমূল, শাকসবজি, কম চর্বিযুক্ত দুধ ও দুগ্ধ জাতীয় খাবার খেলে রক্তচাপ কমে। আজ তাহলে এমন কিছু খাবারের কথাই জেনে নেই আসুন যা আপনাকে হাইপারটেনশন মুক্ত রাখতে সাহায্য করবে।
১। কলা
কলা শুধুমাত্র সুস্বাদুই নয় বরং স্ট্রোক ও হার্ট ডিজিজ হওয়ার ঝুঁকিও কমায়। কলাতে পটাসিয়াম থেকে সোডিয়াম পর্যন্ত সকল ধরণের খনিজ থাকে। একটি মাঝারি আকারের কলাতে ১% ক্যালসিয়াম, ৮% ম্যাগনেসিয়াম এবং ১২% পটাসিয়াম থাকে। মূত্রবর্ধক হিসেবে পটাসিয়াম খাওয়ার পরামর্শ দেয়া হয়। তাই দিনে একটি বা দুটি কলা খেলে রক্তের সুগার লেভেল পুনরুদ্ধারে সাহায্য করে।
২। সূর্যমুখীর বীজ
ম্যাগনেসিয়ামের চমৎকার উৎস সূর্যমুখীর বীজ। এক কাপের এক চতুর্থাংশ পরিমাণ সূর্যমুখীর বীজ স্ন্যাক্স হিসেবে খেতে পারেন। তবে অবশ্যই লবণ ছাড়া যেনো হয়।
৩। ডার্ক চকলেট
২০০৭ সালের জুলাই মাসে “দ্যা জার্নাল অফ দ্যা আমেরিকান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন” (JAMA)  তে প্রকাশিত প্রতিবেদনে পরামর্শ দেয়া হয় যে, প্রতিদিন সামান্য পরিমাণে ডার্ক চকলেট খেলে রক্তচাপ কমে। ডার্ক চকলেটে ফ্লেভোনলস নামক উপাদান থাকে যা কারডিওভাস্কুলার ডিজিজ এর ঝুঁকি কমায়।
৪। পালংশাক
সবুজ শাক বিশেষ করে পালংশাকে ক্যালোরি কম থাকে, উচ্চমাত্রার ফাইবার থাকে এবং হৃদস্বাস্থ্যের জন্য পুষ্টিকর উপাদান যেমন- পটাসিয়াম, ফোলেট ও ম্যাগনেসিয়ামে পরিপূর্ণ থাকে। রক্তচাপের মাত্রা স্বাস্থ্যকর ভাবে নিয়ন্ত্রণের মূল উপাদানই এগুলো।
৫। টমেটো 
লাইকোপেন ও অন্য গুরুত্বপূর্ণ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে টমেটোতে যা রক্তচাপ কমতে সাহায্য করে। পটাসিয়াম এর একটি ভালো উৎস টমেটো। পটাসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার খেলে উচ্চরক্তচাপ কমতে ও হার্ট ডিজিজের ঝুঁকি কমায়।
৬। রসুন
রসুন হাইপারটেনশনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার একটি ভালো উপাদান। কারণ রসুন রক্তকে পাতলা করে। যখন রসুনকে টুকরো টুকরো করা হয় তখন আলিসিন উৎপন্ন হয় যা একটি অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টিফাঙ্গাল উপাদান। এটি হাইপারটেনশনের ফলে সৃষ্ট বিভিন্ন রোগের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে সাহায্য করে যেমন- স্টোক, হার্ট ডিজিজ ইত্যাদি। রসুন কোলেস্টেরল কমতেও সাহায্য করে।
৭। পাস্তুরিত দুধ
এটি শরীরের জন্য সত্যিই উপকারি। পাস্তুরিত দুধ ক্যালসিয়াম, পটাসিয়াম ও ভিটামিন ডি প্রদান করে। এই ৩টি উপাদান একত্রে একটি টিমের মত কাজ করে উচ্চ রক্তচাপের মাত্রা ৩-১০% পর্যন্ত কমাতে পারে।
৮। সিদ্ধ আলু 
ম্যাগনেসিয়াম ও পটাসিয়াম এ ভরপুর সিদ্ধ আলু যা হৃদস্বাস্থ্যের জন্য উপকারি। যখন পটাসিয়াম কমে যায় তখন শরীর অতিরিক্ত সোডিয়াম ধরে রাখে এবং সোডিয়াম বৃদ্ধি পেলে রক্তচাপ ও বৃদ্ধি পায়। অন্যদিকে যখন আমরা পটাসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার খাই তখন শরীর অতিরিক্ত সোডিয়াম বাহির করে দেয়। ম্যাগনেসিয়াম ও পটাসিয়াম এর মত খনিজ উপাদানগুলো একসাথে রক্ত প্রবাহের উন্নতি ঘটায়।                                                     
উচ্চ রক্তচাপের উপর আরো অনেক কারণই প্রভাব বিস্তার করে যেমন- শারীরিক কার্যকারিতা, পর্যাপ্ত ঘুম, সান এক্সপোজার, মেডিটেশন এবং অন্যান্য স্ট্রেস ব্যবস্থাপনার কাজগুলো করা ইত্যাদি। তবে আপনি কি খাচ্ছেন তা অবশ্যই অনেক গুরুত্বপূর্ণ এবং এমন আরো অনেক খাবারই আছে যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে যেমন- সয়াবিন, মটরশুঁটি, জলপাই তেল, গ্রিনটি, হলুদ, কাঠবাদাম, বিট ও মাছের তেল, কিউই, পিচফল, টকদই, আস্ত শস্যদানা ইত্যাদি।       
লিখেছেন-
সাবেরা খাতুন
ফিচার রাইটার, প্রিয় লাইফ
প্রিয়.কম

28
ঘাড় ব্যথা খুব সাধারণ একটি সমস্যা। এটি কোন বড় কোন রোগের লক্ষণ নাও হতে পারে, তবে এটি বেশ অস্বস্তিকর। পেশি টান, একটানা একভাবে বসে কাজ করা, ভুল ভঙ্গিতে ঘুমানো, পুষ্টির অভাব, অতিরিক্ত ব্যায়াম, একটানা মাথা নিচু রাখা ইত্যাদি কারণে ঘাড় ব্যথা হতে পারে। এই অস্বস্তিকর ব্যথা দূর করা সম্ভব ঘরোয়া কিছু উপায়ে। আসুন জেনে নেওয়া যাক কার্যকরী ঘরোয়া উপায়গুলো।
১। আইস প্যাক
ইনফ্লামেশনের কারণে ঘাড়ের পেশিতে যে ব্যথা হয়ে থাকে, তা দূর করতে আইস প্যাক বেশ কার্যকর। একটি ব্যাগে কয়েক টুকরো বরফ ঢুকিয়ে ঘাড়ে দিয়ে রাখুন। ১৫ মিনিট রাখুন। এটি ২ থেকে ৩ ঘন্টা পর পর ব্যবহার করুন। ঘাড়ের ব্যথা কমিয়ে দিবে নিমেষে।
২। আপেল সাইডার ভিনেগার
আপেল সিডার ভিনেগারে একটি টাওয়েল ভিজিয়ে নিন। এবার এটি ঘাড়ে ব্যথার স্থানে লাগিয়ে রাখুন। এভাবে কয়েক ঘন্টা রাখুন। এটি দিনে দুইবার করুন। এছাড়া দুই কাপ আপেল সাইডার ভিনেগার কুসুম গরম পানিতে মিশিয়ে নিন। ১৫ মিনিট পর এটি দিয়ে গোসল করে ফেলুন।
৩। গরম পানির সেঁক
গোসলের সময় ঘাড় ব্যথার স্থানে তিন থেকে চারবার গরম পানি দিন। এরপর ৩০ থেকে ৪০ সেকেন্ড ঠান্ডা পানি ঢালুন। এই কাজটি কয়েকবার করুন। গরম পানি পেশিতে রক্ত চলাচল বৃদ্ধি করে দিবে আর ঠান্ডা পানি পেশি ইনফ্লামেশন রোধ করবে।
৪।  আদা
দুই কাপ পানি মাঝারি আঁচে জ্বাল দিয়ে দিন। এরপর এতে আদা কুচি, দিয়ে ১০ মিনিট সিদ্ধ করুন। এর সাথে মধু মিশিয়ে নিন। ঘাড় ব্যথার সময় এটি পান করুন। আদার অ্যান্টি-ইনফ্লামেনটরী উপাদান রক্ত চলাচল সচল রেখে ঘাড় ব্যথা কমিয়ে দেয়। এছাড়া একটি সুতির কাপড়ে আদা কুচি পেঁচিয়ে সেটি গরম পানিতে ৩০ সেকেন্ড ভিজিয়ে নিন। এবার এটি ঘাড়ে ব্যথার স্থানে লাগিয়ে নিন। এটিও আপনার ঘাড় ব্যথা কমিয়ে দিবে দ্রুত।
৫। হলুদ
এক গ্লাস গরম দুধে এক চা চামচ হলুদ গুঁড়ো দিয়ে অল্প আঁচে ৫ মিনিট জ্বাল দিন। এর সাথে মধু মিশিয়ে ঠান্ডা হয়ে গেলে পান করুন। এটি দিনে দুইবার পান করুন। ব্যথা না কমা পর্যন্ত এটি পান করতে থাকুন।

29
প্রত্যেক সচেতন পিতামাতাই তাদের সন্তানকে শৃঙ্খলা শিখানোর জন্য বাসায় কিছু নিয়ম কানুন এর প্রচলন করেন। কিন্তু বর্তমান পরিবর্তিত বিশ্বে গতানুগতিক নিয়মগুলোর অধিকাংশই তার কার্যকারিতা হারিয়েছে। আধুনিক যুগের শিশুরা যথেষ্ট স্মার্ট। তাই তাদেরকে বোকা বানানো সহজ কাজ নয়। বরং তাদেরকে নিয়ন্ত্রণের জন্য যুক্তির মাধ্যমে বুঝিয়ে বলার প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়। কিছু অভিভাবক ইতিমধ্যেই কিছু বিচিত্র নিয়ম চালু করেছেন বাসায় তাদের ছেলেমেয়েদের শৃঙ্খলা শিখানোর জন্য। এই নিয়মগুলো এমন যে এগুলো অনুসরণ করা ছাড়া আর অন্য কোন বিকল্প নাই। আজ আমরা এমন কিছু বিচিত্র শৃঙ্খলা বিধির কিছু নিয়ম এর উদাহরণ জেনে নেই আসুন যা বিশেষজ্ঞরা ও অভিজ্ঞ পিতামাতারা কাজে লাগিয়েছেন। 
১। আপনার সন্তান যদি ঘ্যানঘ্যান করে বিরক্ত করে তাহলে তাকে বলুন, “তুমি কেন  ঘ্যানঘ্যান করছো আমি বুঝতে পারছিমনা, আমি তোমার কথা শুনবো যদি তুমি আমাকে ঠিক ভাবে বল”। অভিজ্ঞ অভিভাবক বারবারা রাউলি বলেন”, এটি বলার ফলে আপনার সন্তান বুঝতে পারবে তার গুরুত্ব আছে আপনার কাছে আর আপনিও খারাপ ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকতে পারবেন”।
২। আপনি কাজ করার সময় আপনার সন্তানকে বলবেন না যে আমি কাজ করার সময় এই রুমে আসবেনা। বরং টুকিটাকি কাজ করার সময় আপনার সন্তানকে আপনার সাথে কাজ করতে বলুন। এর ফলে দুটি কাজ হবে, সে যদি আপনার সাথে কাজে আগ্রহী হয় তাহলে করবে আর না হলে অন্য জায়গায় গিয়ে নিজের কাজে ব্যস্ত হবে।
৩। ঘুমাতে যাওয়ার সময় ঠিক রাখার জন্য আপনি হয়তো বলে থাকেন যে, “ঘুমাতে যাওয়ার সময় হয়েছে তোমরা ঘুমাতে যাও আর আমারও বিশ্রাম নিতে হবে”। এর পরিবর্তে বলুন, রাত ৮ টার পরে আমি আর কাজ করার অনুমতি দেব না, তাই তোমাদের বিছানায় যাওয়া উচিৎ।
৪। আপনার সন্তান যদি খেলাধুলার পরে সব কিছু সঠিক স্থানে রাখতে ভুলে যায় তাহলে ঘরের একটি নির্দিষ্ট স্থানে তার জিনিসগুলো রাখার ও খেলার ব্যবস্থা করে দিন এবং তার খেলাধুলা শেষে খেলনা গুলো গুছিয়ে রাখার সময় তাকে সাহায্য করুন। তাহলেই গুছিয়ে রাখার বিষয়টি তার মধ্যে কাজ করবে।
৫। যখন আপনার সন্তান তার নিজের জমানো টাকা খরচ করবে তখন তার বা তাদের সম্ভাব্য ভুলগুলো চিহ্নিত করে পরামর্শ দিতে পারেন। তবে যদি না সেই জিনিসটি স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তার কোন বিষয় না হয় তাহলে কথা না বলাই ভালো এবং তর্ক না করাই উচিৎ। তার পছন্দটি হয়তো খারাপ হয়েছে কিন্তু সে এটার থেকে শিক্ষা পাবে।
৬। খাওয়ার ক্ষেত্রে শৃঙ্খলা আনার জন্য আপনি আপনার সন্তানকে এটা বলবেন না যে, ভালো করে খাও না হলে টেবিল ছেড়ে যেতে পারবে না। এর পরিবর্তে বলতে পারেন, “যথেষ্ট পরিমাণে খাও আবার খাওয়ার সময় হওয়ার আগ পর্যন্ত আর কোন খাবার দিবো না তোমাকে”। এর অর্থ এই না যে তার ক্ষুধা লাগলেও তাকে খেতে দিবেন না। তাদের পর্যাপ্ত পরিমাণ খাওয়া উচিৎ বলেই এই কথাটি আপনি তাকে বলবেন।
এগুলো শুধু মাত্র কয়েকটি উদাহরণ যার মাধ্যমে আপনার সন্তানের মধ্যে শৃঙ্খলা আনতে সাহায্য করবে। আপনি এগুলো প্রয়োগ করে দেখতে পারেন অথবা নিজেই কিছু নিয়ম তৈরি করে নিতে পারেন যা আপনার সন্তান মেনে চলবে বলে মনে করেন। কারণ আপনার সন্তানের জন্য কোন নিয়মটি প্রযোজ্য তা আপনিই ভালো বুঝতে পারবেন যদি আপনি সচেতন হন।
লিখেছেন-
সাবেরা খাতুন
ফিচার রাইটার, প্রিয় লাইফ

30
ঠান্ডা বা জ্বর হওয়ার প্রথম লক্ষণ হলো গলা ব্যথা। ছোট বাচ্চা থেকে শুরু করে বড়রা সবাই এই গলা ব্যথায় আক্রান্ত হয়ে থাকে। বিভিন্ন কারণে গলা ব্যথা হতে পারে। মূলত ঠান্ডা লাগার কারণে গলা ব্যথা হয়ে থাকলেও আরও কিছু কারণ রয়েছে এই গলা ব্যথার। এসিড রিফ্লাক্স, অত্যধিক ধূমপান, ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ, অ্যালার্জি ইত্যাদি নানা কারনে গলা ব্যথা হতে পারে।
চা পান করা অনেকের অভ্যাস। এই চা গলা ব্যথা সারাতে সাহায্য করবে। এমন কিছু চায়ের কথা আসুন জেনে নেওয়া যাক।
১। গ্রিন টি
গলা ব্যথা দূর করতে গ্রিন টি বেশ কার্যকর। এর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে থাকে। এর সাথে লেবুর রস মিশিয়ে পান করতে পারেন। গলা ব্যথার সময় দিতে তিনবার এটি পান করুন। দেখবেন গলা ব্যথা দূর হয়ে গেছে।
২। মধু-লেবুর চা
মধুতে অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল উপাদান আছে এবং লেবুর রস প্রাকৃতিক উপাদান থাকে যা গলার ইনফেকশন দূর করে থাকে। গলা ব্যথার সময় মধু লেবুর চা পান করুন।
৩। হলুদ চা
হলুদে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট এবং পুষ্টি উপাদান আছে। এর কারকিউমেন দেহের ইনফ্লামেশন দূর করে গলা ব্যথা সারিয়ে তোলে। গলার ব্যথার সময় হলুদ চা পান করুন।
৪। আদা চা
আদার অ্যান্টি ইনফ্লামেনটরী উপাদান গলার পেশি রিল্যাক্স করে থাকে। গলা ব্যথা দূর করতে আদা চা বেশ উপকারী। দুধ ছাড়া আদা চা তৈরি করুন। এটি দিনে দুইবার পান করুন।
৫। লবঙ্গ এবং পানি
এক থেকে তিন চা চামচ লবঙ্গের গুঁড়ো পানির সাথে মিশিয়ে নিন। এবার এটি দিয়ে কুলকুচা করুন। লবঙ্গের অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি-ইনফালমেনটরী উপাদান গলা ব্যথা হ্রাস করতে সাহায্য করবে।

Pages: 1 [2] 3 4 ... 6