Show Posts

This section allows you to view all posts made by this member. Note that you can only see posts made in areas you currently have access to.


Messages - Raihana Zannat

Pages: 1 ... 16 17 [18] 19 20 ... 26
256
Faculty Forum / Re: Stay healthy this winter
« on: February 28, 2018, 12:57:39 PM »
 :)

258
Faculty Forum / Re: ভালোবাসুন নিজেকে
« on: February 14, 2018, 12:48:08 PM »
 :)

260
 ??? but nice.thanks for sharing.

264
Faculty Forum / Re: দার্জিলিং
« on: February 05, 2018, 04:07:48 PM »
Thanks.

265
Faculty Forum / Re: Support Vector Machine (SVM)
« on: February 05, 2018, 03:35:33 PM »
nice

268
Faculty Forum / Re: ভালোবাসুন নিজেকে
« on: January 30, 2018, 10:57:51 AM »
Thanks Ma'm.

269
ব্লকচেইন হচ্ছে তথ্য সংরক্ষণ করার একটি নিরাপদ এবং উন্মুক্ত পদ্ধতি (এএফপি)

বিশ্বজুড়ে এখন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে ব্লকচেইন প্রযুক্তি। যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশেরও ব্লকচেইন প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করার সময় এসে গেছে। কিন্তু তার আগে জানতে হবে আমরা কি নতুন প্রযুক্তি গ্রহণে প্রস্তুত?

ব্লকচেইনকে আধুনিক কালের এক অভিনব উদ্ভাবন বলা হচ্ছে। ‘সাতোশী নাকামতো’ ছদ্মনামের এক বা একাধিক ব্যক্তি বা গোষ্ঠী এ প্রযুক্তির উদ্ভাবক। ২০০৯ সালে প্রথমবারের মতো বিটকয়েন সফটওয়্যার প্রকাশিত হওয়ার পর থেকে ব্লকচেইন প্রযুক্তির অনেক বিবর্তন ঘটে চলেছে। তথ্যকে ডিজিটালরূপে বণ্টন করা (অনুলিপি নয়) এই ব্লকচেইন প্রযুক্তি এক নতুন ধরনের ইন্টারনেট সৃষ্টি করেছে। কেবল ডিজিটাল মুদ্রা বিটকয়েনের জন্য ব্লকচেইনের উদ্ভাবন করা হলেও এখন প্রযুক্তির নানা ক্ষেত্রে এর সম্ভাব্যতা যাচাই চলছে।

শুরুতেই বলি, ব্লকচেইন হচ্ছে তথ্য সংরক্ষণ করার একটি নিরাপদ এবং উন্মুক্ত পদ্ধতি। এ পদ্ধতিতে তথ্য বিভিন্ন ব্লকে একটির পর একটি চেইন আকারে সংরক্ষণ করা হয়। এটি একটি অপরিবর্তনযোগ্য ডিজিটাল লেনদেন যা শুধুমাত্র অর্থনৈতিক লেনদেনের জন্যই প্রযোজ্য নয়। এ প্রযুক্তি ব্যবহার করে যেকোনো কার্য-পরিচালনা রেকর্ড করা যেতে পারে। এটা এমন একটি বন্টনযোগ্য ডাটাবেজ যাতে অংশগ্রহণকারী পক্ষ গুলির মধ্যে সব লেনদেনের নথি করে রাখা যায়। প্রতিটি লেনদেন আবার সিস্টেমের সংখ্যাগরিষ্ঠতা দ্বারা যাচাই করা হয়। একবার লেজারে কোনো তথ্য প্রবেশ করলে স্থায়ীভাবে তা থেকে যায় এবং কখনো মুছে ফেলা যায় না। ব্লকচেইন প্রতিটি একক লেনদেনের যাচাইযোগ্য রেকর্ড নিয়ে গঠিত হয়। এই অন্তর্নিহিত প্রযুক্তি নির্ভুলভাবে কাজ করে এবং বিভিন্ন কাজে এটির প্রয়োগ করা যেতে পারে।

যেহেতু ব্লকচেইন প্রযুক্তি ব্যবহারে ডিজিটাল তথ্যসমূহের নিরাপত্তার সঙ্গে আপস না করেই ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র ডিজিটাল তথ্য যাচাই করা যায়, সেহেতু এটি প্রয়োগ করে ডিজিটাল বিশ্বে এক আমূল পরিবর্তন নিয়ে আসা সম্ভব। ব্লকচেইন প্রযুক্তির একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রয়োগ হলো ‘স্মার্ট কন্ট্রাক্ট’। এটি মূলত একটি কম্পিউটার প্রোগ্রাম যা স্বয়ংক্রিয়ভাবে একটি চুক্তির শর্তাবলি সম্পাদন করতে পারে। আরেকটি নির্ভরযোগ্য প্রয়োগ হলো—এই স্মার্ট চুক্তি ব্যবহার করে সম্পত্তির মালিকানা নিয়ন্ত্রণ, যাকে ‘স্মার্ট প্রোপার্টি’ বলা হয়।

ব্লকচেইন প্রযুক্তির ডেটাবেইস বণ্টিত ও সর্বজনীন। এটা কোনো একক জায়গায় অবস্থান করে না বা সংরক্ষণ করা হয় না। অর্থাৎ, এতে যে রেকর্ড গুলি থাকে তা সত্যিকার অর্থেই সবার জন্য এবং সহজেই যাচাইযোগ্য। কোনো কেন্দ্রীয় সংস্করণ না থাকার ফলে এটা হ্যাকিংয়ের ঝুঁকি থেকেও মুক্ত। ব্লকচেইন ডাটাবেজ সংখ্যাগরিষ্ঠতার ওপর নির্ভর করে কাজ করে। একই সঙ্গে স্বয়ংক্রিয়ভাবে প্রতি দশ মিনিট অন্তর প্রত্যেকটি লেনদেন যাচাই করতে থাকে। এই লেনদেন গুলিকে এক একটি ব্লক বলা হয়। অর্থাৎ, কোনো একটি অংশের তথ্য পরিবর্তন করে ডেটাবেইস-এর অখণ্ডতা বা বিশুদ্ধতা নষ্ট করা যায় না। এর ফলে স্বচ্ছতা বজায় থাকে।

ব্লকচেইন প্রযুক্তি বিকেন্দ্রিত হওয়ায় অনেক অনুক্রমিক কাজ একসঙ্গে হয়ে যায়। যেমন—এ প্রযুক্তি ব্যবহারে শেয়ার-বাজারের লেনদেন যুগপৎভাবে হতে পারে; কিংবা, ভূমি নিবন্ধন রেকর্ডকে জনসাধারণের জন্য অনেক সহজলভ্য করা যেতে পারে।

ভারতের মহারাষ্ট্র প্রদেশ ই-গভর্নেন্স চালু করার জন্য ব্লকচেইন প্রযুক্তি ব্যবহারের ঘোষণা দিয়েছে। এ প্রযুক্তির জন্য প্রয়োজন ক্লাউড-কম্পিউটিং প্ল্যাটফর্ম। মহারাষ্ট্র সরকার বলছে, তাঁরা পাবলিক ক্লাউড ব্যবহার করবে। এতে ২০০ কোটি মার্কিন ডলারের বাজার সৃষ্টি করবে এবং সরকারের সমস্ত তথ্য ক্লাউডে স্থানান্তরিত হওয়ায় সরকারের প্রচুর পরিমাণ অর্থ সাশ্রয় হবে। ব্লকচেইন ব্যবহারের কারণে তথ্যের নিরাপত্তা ও স্বচ্ছতা তো থাকবেই।

বাংলাদেশে কি এই ব্লকচেইন প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করা যায় না? যথার্থ সময় এসে গেছে। তবে কাজ শুরু করার আগে মানসিকতার পরিবর্তন আনতে হবে। আমরা যদি কেন্দ্রীভূত নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার মানসিকতা ছাড়তে না পারি, তাহলে এ প্রযুক্তি কাজ করবে না।

ডিজিটাল বাংলাদেশের একটি প্রধান উদ্দেশ্য স্বচ্ছতা। তাই সরকারকেও বিকেন্দ্রিত ও বণ্টিত তথ্যভান্ডার সম্বন্ধে ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি করতে হবে। নতুন প্রযুক্তির সঙ্গে মানিয়ে নিতে হবে। যদি আমরা এখনই নিজেদের মানিয়ে নিতে না পারি, তাহলে আমরা হয়তো এগোব ঠিকই, কিন্তু অন্যরা আমাদের থেকে অনেক বেশি এগিয়ে যাবে। নতুন প্রযুক্তিতে বাংলাদেশ নিশ্চয়ই পিছিয়ে পড়তে চাইবে না!

লেখক: বেসিসের সভাপতি

270
Faculty Forum / ভালোবাসুন নিজেকে
« on: January 24, 2018, 12:52:03 PM »
‘যাকে ভালোবেসেছ, তাকে যদি ক্ষমা নাই করতে পারো তবে ভালোবাসা কিসের?’ এই বাক্যটি শুধু আমাদের প্রিয় মানুষটির জন্যই নয়। নিজের ক্ষেত্রেও এটি প্রযোজ্য। কেননা সবার আগে নিজেকে বোঝা এবং নিজের ভুলত্রুটিগুলো ক্ষমা করার মানসিকতা রাখা প্রয়োজন।

ক্ষমা করা চাই নিজেকেও।
মনোবিজ্ঞানের প্রভাষক এবং কাউন্সেলর অ্যানি বাড়ৈ বলেন, ‘মানুষের মধ্যে অনেক ধরনের আবেগ কাজ করে। মনোবিজ্ঞানের ভাষায় এই আবেগগুলোকে বলা যেতে পারে “ইড”। বিভিন্ন ধরনের আবেগকে এক পাশে রেখে আমরা যুক্তি দিয়ে কাজ করি। আর এই যুক্তিকে বলা হয় “ইগো”। তারপরও বিভিন্ন সময় যুক্তির চেয়ে আবেগ প্রকট হয়ে ওঠে। যার ফলে অনেক ভুলত্রুটি আমরা করে ফেলি।’ আর এই ভুলগুলো কখনো হয়ে থাকে নিজের অজান্তে, আবার কখনো ইচ্ছাকৃতভাবে। পারিপার্শ্বিক বিভিন্ন কারণে আমরা বেশ কিছু ভুল করে ফেলি। যেভাবেই হোক না কেন এই ভুলগুলোকে পেছনে ফেলে সামনে এগিয়ে যাওয়ার মানসিকতা রাখতে হবে।

বিভিন্ন কারণে হতে পারে ভুল
চারপাশের পরিবেশ থেকে শুরু করে ব্যক্তির নিজ মানসিকতার ওপর নির্ভর করে এই কারণগুলো—

* কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছতে না পারা
এটি আমাদের প্রত্যেকের জীবনেই হয়ে থাকে। পারিবারিক সম্পর্ক থেকে শুরু করে শিক্ষাজীবন কিংবা ভালো চাকরি সবকিছুতে সাফল্য কামনা করি। কিন্তু সব ক্ষেত্রেই কি একই রকম ফল পাওয়া যায়? আর এর জন্য ব্যক্তি সবার আগে নিজেকেই দায়ী করেন। অনেকের মনেই ক্ষোভ থাকে, ‘যদি আরেকটু চেষ্টা করতাম, তাহলে হয়তো এ পরিস্থিতি হতো না।’ এমনটি শিশু-কিশোর থেকে শুরু করে প্রতিটি মানুষের মধ্যেই কাজ করে।
* প্রতিকূল পরিবেশ
পরিবার কিংবা প্রিয়জনের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি অথবা অর্থনৈতিক বিভিন্ন কারণেই আমরা অনেক সময় নিজেদের লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারি না। তার জন্য অনেকেই নিজ পরিবারকে দায়ী করেন। এর ফলে কিন্তু ব্যক্তির মধ্যে ‘ইনফেরিওরিটি কমপ্লেক্স’ দেখা দিতে পারে। যা পরবর্তী সময়ে মোটেই ইতিবাচক হয় না।
* যুক্তির চেয়ে আবেগের প্রাধান্য
‘ইড’ এবং ‘ইগো’র ব্যাপারটি। এমন কিছু মুহূর্ত চলে আসে যখন আমরা আবেগকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারি না। তখন এমন কিছু আচরণ আমরা করে বসি, যার প্রভাবটা নেতিবাচক হয়ে পড়ে। যেমন ধরুন আপনার অফিসের কথাই। কোনো কারণে হয়তো সহকর্মীর সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করে বসলেন কিংবা বসের সামনেই হুট করে রেগে গেলেন।
* নিজের অজান্তেই ভুল
এমনও তো হতে পারে যে আপনি ভুলটা করেছেন একেবারেই নিজের অজান্তে। নতুন অফিসে কাজ করছেন। আপনি হয়তো জানেনই না এখানকার নিয়মকানুন। আর করে বসলেন ভুল। এভাবেও কিন্তু আমরা অনেক ভুলত্রুটি করে থাকি।
* হতাশার কারণে
এ ক্ষেত্রে ব্যক্তি একেবারেই যুক্তির ঊর্ধ্বে চলে যান। কেননা দীর্ঘদিনের হতাশা তার এরূপ কর্মকাণ্ডে লক্ষ করা যায়। হয়তো একটা সময় পর ব্যক্তি নিজেও বুঝতে পারেন। কিন্তু তখনো তার মধ্যে হীনম্মন্যতা কাজ করতে পারে অতীতের এসব ভুলত্রুটির কারণে।
* তাই ক্ষমা করুন আগে নিজেকে
ভুলত্রুটি যে কারণেই হোক না কেন, তাই নিজেকে ক্ষমা করার মানসিকতা রাখুন। আর এ জন্য সবার আগে প্রয়োজন নিজেকে বোঝা।
* যুক্তি দিয়ে বোঝার চেষ্টা
নিজেকে বোঝার পাশাপাশি বুঝতে চেষ্টা করুন কেন ভুল করেছিলেন। সেটা কি আপনার অজান্তে ছিল? কোনো নির্দিষ্ট কারণে এমন আচরণ করেছিলেন। কারণটি বের করার চেষ্টা করুন। সেই অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ নিন।
* নিজ মূল্যবোধ মেনে চলা
সব সময় চেষ্টা করুন নিজের নৈতিকতা, মূল্যবোধের কাছে স্পষ্ট থাকার। হয়তো আপনি দীর্ঘদিনের কারণবশত রাগ করে বসলেন। আবার এর জন্য নিজেকেই দায়ী করছেন। তাই চেষ্টা করুন নিজের মূল্যবোধগুলো মেনে চলার।
* সাফল্য ও ব্যর্থতা নিয়েই আমাদের পথচলা
নিজেকে দায়ী করছেন কাজটি সঠিকভাবে করতে পারেননি বলে? এ ক্ষেত্রে নিজেকে দায়ী করার পরিবর্তে মেনে নিতে চেষ্টা করুন যে ব্যর্থতা ও সফলতা এই দুটি মিলিয়েই আমাদের দীর্ঘ পথচলা। অতীতের ব্যর্থতা থেকেই আপনি শিখতে পারেন। এটাকেই কাজে লাগানোর চেষ্টা করুন।
নতুন যেকোনো পরিবেশ, হতে পারে আপনার কর্মস্থল, বিশ্ববিদ্যালয়ের হল বা নতুন কোনো পরিবার, এই প্রতিষ্ঠানগুলোর নিয়মকানুন জেনে নিন। এটা ছেলে ও মেয়ে উভয়ের জন্যই প্রযোজ্য। এর ফলে আপনাকে বিব্রতকর কোনো পরিস্থিতিতে পড়তে হবে না।
* অতীতকে যেতে দিন
কিছু ক্ষেত্রে অতীতকে যেতে দিন। যা হয়েছে তাকে আগলে না রেখে সামনে এগিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করুন। প্রয়োজনে কারও সঙ্গে আলোচনা করুন।
আর সব সময়ই চেষ্টা করুন পরবর্তী সময়ে এই ভুলগুলো না করার। কেননা একই ভুল বারবার করার ফলে আপনি নিজেও কিন্তু আত্মবিশ্বাস হারিয়ে ফেলবেন। তাই ভুল থেকেই শেখার চেষ্টা করুন। লজ্জা মনের ভেতর না রেখে সামনে যাতে এমন না হয় তেমন পদক্ষেপ নিন।

ভুল থেকেই শেখার মানসিকতা রাখুন।
(copied)

Pages: 1 ... 16 17 [18] 19 20 ... 26