Show Posts

This section allows you to view all posts made by this member. Note that you can only see posts made in areas you currently have access to.


Topics - Kanij Nahar Deepa

Pages: 1 [2] 3 4
16
পিঁয়াজের গোড়ায় আছে এক প্রকারের একজাইম। যখন পিঁয়াজের এই গোড়ায় আঘাত লাগে অর্থাৎ কাটা হয়, তখন এই এনজাইম নিঃসৃত হয়। সেই এনজাইম পুরো পিঁয়াজের সাথে বিক্রিয়া করে একরকম গ্যাস নির্গত হয়। এই গ্যাস যখন আপনার চোখের পানির সংস্পর্শে আসে, তখন আপনার চোখ জ্বলতে শুরু করে।

    প্রথমেই যেটা করা যায় যা হলো পিঁয়াজের গোড়ার অংশটি (অর্থাৎ যেখানে মূল থাকে) ভালো করে করে ফেলে দেয়া। ছুরির মাথা দিয়ে সাবধানে কয়েতে পুরো অংশটি ফেলে দিলেও হবে। সেই সাথে পিঁয়াজের উপরের আস্তরটিও ফেলে দিন। কেননা বেশির ভাগ এনজাইম থাকে এই গোড়ায় ও ওপরের আস্তরে।

    পিঁয়াজ কুচি করতে চান? ছিলে টুকরো করে পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। বেশ খানিকটা সময় পর পানি বদলে ভালো করে ধুয়ে নিয়ে তারপর কাটুন, চোখ জ্বলবে না। ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ভিজিয়ে রাখতে পারলে আরও ভালো হবে। পানিতে নিঃসৃত এনজাইম ধুয়ে যাবে, ফলে চোখ জ্বলবে না।

    পিঁয়াজ ছিলে নিয়ে আধ ঘণ্টার মতন ফ্রিজে রেখে দিন। তারপর ভালো করে ধুয়ে নিয়ে টুকরো করুন বা কুচি করুন। ঠাণ্ডায় পিঁয়াজের এনজাইম নিষ্ক্রিয় হয়ে যায়, ফলে চোখ জ্বলার সম্ভাবনা কমে যায়।

    চপিং বোর্ডে ভিনেগার মাখিয়ে নিয়ে তারপর পিঁয়াজ কাটুন। ভিনেগারের এসিড এনজাইমকে নিষ্ক্রিয় করে দেবে। এনজাইম নিষ্ক্রিয় হয়ে গেলে গ্যাসও নির্গত হবে না, চোখও জ্বলবে না।

    পিঁয়াজ কাটার সময়ে একটি মোমবাতি বা চুলা জ্বালিয়ে রাখতে পারেন কাছে। এতে নির্গত গ্যাস আপনার চোখের পানির সাথে বিক্রিয়া করার আগেই আগুনের শিখা তাকে আকর্ষণ করবে।

    চোখে যারা লেন্স পরেন, তাঁদের চোখ জ্বলবে না পিঁয়াজ কাটার সময়ে।

    পিঁয়াজ কাটার সময় জোরে ফ্যান ছেড়ে নিন। তাতে গ্যাস আপনার চোখ পর্যন্ত নির্বিঘ্নে পৌছাতে পারবে না।

    পিঁয়াজ লবণ পানিতে ভিজিয়ে রাখুন মিনিট পনেরো, তারপর কাটুন। লবণ পানি নিষ্ক্রিয় করে ফেলবে চোখ জ্বলার জন্য দায়ী এনজাইমকে।

    মুখ দিয়ে নিঃশ্বাস নিন নাকের বদলে। এতেও চোখে পানি আসা ও জ্বলুনি অনেকটাই কমবে।

17
Food / দাগ মেটানোর নানা উপায়
« on: December 03, 2013, 03:36:58 PM »
রি বা কাঁচি থেকে মরচে দাগ তোলার জন্য ভিনেগারে বেশ কিছুক্ষণ ভিজিয়ে এরপর আধা ঘণ্টা ফুটিয়ে নিন।

► কম্পিউটারের কি-বোর্ড বা মাউসে ময়লা জমলে তুলার প্যাডে কয়েক ফোঁটা নেইল রিমুভার দিয়ে ময়লার ওপর বুলিয়ে নিন। সব ময়লা উঠেযাবে।

► অনেক সময় বাসনের স্টিকার সহজে তোলা যায় না। তুলতে গেলেও আঠালো ভাব লেগে থাকে। তাই হাত দিয়ে না তুলে একপাশে মোমবাতি ধরুন। এরপর মোমবাতি সরিয়ে এককোণ থেকে স্টিকার তুলে ফেলুন।

► রান্না করার পর প্রেশার কুকারে অনেক সময় হলদে দাগ পড়ে। এই দাগ তুলতে কুকারে লেবুর রস ও লেবু একসঙ্গে কিছুক্ষণ ফুটিয়ে নিন। দাগ থাকবে না। ভিনেগার দিয়ে ফোটালেও দাগ থাকবে না।

► বালতি বা অন্য কোনো প্লাস্টিকের জিনিসে মরচের দাগ পড়লে তারপিন তেলের সঙ্গে লবণ মিশিয়ে ঘষুন। দাগ নিমেষে উঠে যাবে।

► কাপড়ের কালো দাগ তোলার জন্য দাগের ওপর কেরোসিন ঘষুন। এরপর এক টুকরা লেবু ঘষে দিন। সাবান দিয়ে কাপড় কেচে রোদে মেলে দিন।

► পিতলের জিনিসের কালচে দাগ তুলতে ময়দা, লবণ ও ভিনেগারের পেস্ট বানিয়ে পিতলের জিনিসের ওপর মাখিয়ে দিন। ১০ মিনিট পর নরম কাপড় দিয়ে ঘষে তুলে ফেলুন। চকচকে হয়ে যাবে।

► রুপার গয়না কালো হয়ে গেলে একটি পাত্রে গয়না রেখে পানি দিয়ে কয়েক টুকরো আলু দিন। ১০ মিনিট ফোটান। নামিয়ে ঠাণ্ডা হলে পানি থেকে তুলে নরম কাপড় দিয়ে ঘষে নিন।

18
Calls for the closer integration of science in political decision-making have been commonplace for decades. However, there are serious problems in the application of science to policy — from energy to health and environment to education.

One suggestion to improve matters is to encourage more scientists to get involved in politics. Although laudable, it is unrealistic to expect substantially increased political involvement from scientists. Another proposal is to expand the role of chief scientific advisers, increasing their number, availability and participation in political processes. Neither approach deals with the core problem of scientific ignorance among many who vote in parliaments.

Perhaps we could teach science to politicians? It is an attractive idea, but which busy politician has sufficient time? In practice, policy-makers almost never read scientific papers or books. The research relevant to the topic of the day — for example, mitochondrial replacement, bovine tuberculosis or nuclear-waste disposal — is interpreted for them by advisers or external advocates. And there is rarely, if ever, a beautifully designed double-blind, randomized, replicated, controlled experiment with a large sample size and unambiguous conclusion that tackles the exact policy issue.

In this context, we suggest that the immediate priority is to improve policy-makers' understanding of the imperfect nature of science. The essential skills are to be able to intelligently interrogate experts and advisers, and to understand the quality, limitations and biases of evidence. We term these interpretive scientific skills. These skills are more accessible than those required to understand the fundamental science itself, and can form part of the broad skill set of most politicians.

To this end, we suggest 20 concepts that should be part of the education of civil servants, politicians, policy advisers and journalists — and anyone else who may have to interact with science or scientists. Politicians with a healthy scepticism of scientific advocates might simply prefer to arm themselves with this critical set of knowledge.

We are not so naive as to believe that improved policy decisions will automatically follow. We are fully aware that scientific judgement itself is value-laden, and that bias and context are integral to how data are collected and interpreted. What we offer is a simple list of ideas that could help decision-makers to parse how evidence can contribute to a decision, and potentially to avoid undue influence by those with vested interests. The harder part — the social acceptability of different policies — remains in the hands of politicians and the broader political process.

Of course, others will have slightly different lists. Our point is that a wider understanding of these 20 concepts by society would be a marked step forward.

19
Life Science / How Men's Brains Are Wired Differently Than Women's
« on: December 03, 2013, 03:20:50 PM »
   Men aren't from Mars and women aren't from Venus, but their brains really are wired differently, a new study suggests.

The research, which involved imaging the brains of nearly 1,000 adolescents, found that male brains had more connections within hemispheres, whereas female brains were more connected between hemispheres. The results, which apply to the population as a whole and not individuals, suggest that male brains may be optimized for motor skills, and female brains may be optimized for combining analytical and intuitive thinking.

"On average, men connect front to back [parts of the brain] more strongly than women," whereas "women have stronger connections left to right," said study leader Ragini Verma, an associate professor of radiology at the University of Pennsylvania medical school. But Verma cautioned against making sweeping generalizations about men and women based on the results. [10 Surprising Facts About a Man's Brain]

Previous studies have found behavioral differences between men and women. For example, women may have better verbal memory and social cognition, whereas men may have better motor and spatial skills, on average. Brain imaging studies have shown that women have a higher percentage of gray matter, the computational tissue of the brain, while men have a higher percentage of white matter, the connective cables of the brain. But few studies have shown that men's and women's brains are connected differently.

In the study, researchers scanned the brains of 949 young people ages 8 to 22 (428 males and 521 females), using a form of magnetic resonance imaging (MRI) known as diffusion tensor imaging, which maps the diffusion of water molecules within brain tissue. The researchers analyzed the participants as a single group, and as three separate groups split up by age.

As a whole, the young men had stronger connections within cerebral hemispheres while the young women had stronger connections between hemispheres, the study, detailed today (Dec. 2) in the journal Proceedings of the National Academy of Sciences, found. However, the cerebellum, a part of the brain below the cerebrum that plays a role in coordinating muscle movement, showed the opposite pattern, with males having stronger connections between hemispheres.

Roughly speaking, the back of the brain handles perception and the front of the brain handles action; the left hemisphere of the brain is the seat of logical thinking, while the right side of the brain begets intuitive thinking. The findings lend support to the view that males may excel at motor skills, while women may be better at integrating analysis and intuitive thinking.

"It is fascinating that we can see some of functional differences in men and women structurally," Verma told LiveScience. However, the results do not apply to individual men and women, she said. "Every individual could have part of both men and women in them," she said, referring to the connectivity patterns her team observed.

When the researchers compared the young people by age group, they saw the most pronounced brain differences among adolescents (13.4 to 17 years old), suggesting the sexes begin to diverge in the teen years. Males and females showed the greatest differences in inter-hemisphere brain connectivity during this time, with females having more connections between hemispheres primarily in the frontal lobe. These differences got smaller with age, with older females showing more widely distributed connections throughout the brain rather than just in the frontal lobe.

Currently, scientists can't quantify how much an individual has male- or female-like patterns of brain connectivity. Another lingering question is whether the structural differences result in differences in brain function, or whether differences in function result in structural changes.

20
ব্লেন্ডার

-ব্লেন্ডারের জগ কোন কজে ব্যবহার করার জগ এর মধ্যে  এর মধ্যে  লিকুইড সাবান  দিয়ে ৩০ সেকেন্ড ব্লান্ড করবেন। তারপর ভালোভাবে লিকুইড সাবান বা ভিম বার দিয়ে ভাল করে বাহিরের অংশ পরিষ্কার করে ফেলুন। ধোয়ার পর জগটি উল্টা করে রাখতে হবে যাতে পানি ঝরে পরে।

-পরিষ্কার করার পর ভালোভাবে শুকিয়ে তারপর ব্লেন্ডার বাক্সে আবার ভরে রাখবেন।

মাইক্রোওয়েভ ওভেন

-ওভেন সবসময় পরিষ্কার হাত দিয়ে ধরবেন। আর অবশ্যই গ্লোপস ব্যবহার করবেন।

-ওভেনে খাবার গরম করার সময় অবশ্যই ওভেনপ্রুপ ঢাকনা ব্যবহার  করবেন যেন  খাবার ছিটকে ওভেন নোংরা না হয়।

-খাবার গরম করার পরপরই ওভেনের ভিতরটা টিস্যু দিয়ে মুছে ফেলবেন।

- সপ্তাহে একবার সাবান পানি দিয়ে মুছে অথবা বাটিতে ভেনিগার দিয়ে ওভেন কিছুক্ষন চালিয়ে রাখে ওভেন পরিষ্কার  করবেন।

ওয়াশিং মেশিন

-ওয়াশিং মেশিনে কখনো একসাথে রঙিন কাপড় ও সাদা কাপড় দিবেন না, এতে রঙিন কাপড়ের রং সাদা কাপড়ে লেগে যেতে পারে।

-১৫ দিন অথবা  ১ মাস  পরপর ওয়াশিং মেশিন পরিষ্কার করে ফেলবেন। এর বাইরের অংশটা সাবান-পানি দিয়ে পরিষ্কার করবেন।

রাইস কুকার

-রাইস কুকার  বোলে খিচুড়ি, বিরিয়ানি বা ভাত যাই রান্না  করুন না কেন রান্নার পর পানি দিয়ে কিছুক্ষণ ভিজিয়ে রাখুন।

-পরিষ্কার করার বার বা লিকুইড সাবান দিয়ে পরিষ্কার করবেন কিন্তু  পরিষ্কার করার সময় বোলে শক্ত কোন কিছু দিয়ে ঘষা দিবেন না বা মাজবেন না তাহলে দাগ পরে যেতে পারে।

21
Beauty Tips / শীতে চাই আর্দ্রতা
« on: December 03, 2013, 03:08:05 PM »
শীতকালে প্রকৃতির পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে আমরা নিজেদের কিছু শারীরিক পরিবর্তনও টের পাই। এই সময়টায় ত্বকের আর্দ্রতা কমে যায়, চুল শুষ্ক হয়ে যায়, ঠোঁট ফেটে যায় ইত্যাদি। ত্বকের সঙ্গে মানানসই ক্রিম, তেল, সাবান, শ্যাম্পুর ব্যবহার, প্রয়োজনীয় খাদ্য গ্রহণ ও জীবনযাত্রার সামান্য পরিবর্তন আনার মাধ্যমে আমরা শীতকালেও শারীরিক এসব পরিবর্তনকে আমাদের নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারি।
এ সময়ে ক্রিম, সাবান যা-ই ব্যবহার করবেন, লক্ষ রাখবেন তা যেন বাড়তি আর্দ্রতাযুক্ত হয়। দিনে অন্তত দুবার ক্রিম ব্যবহার করবেন। আলফা হাইড্রক্সি বা ভিটামিন-ই যুক্ত ক্রিম ব্যবহার করা ভালো। গোসলের আগে শরীরে জলপাই তেল মাখতে পারেন অথবা গোসলের শেষে অল্প পানিতে কিছুটা জলপাই তেল দিয়ে গা ধুয়ে নিন। তারপর আলতো করে গা মুছে নেবেন।
অনেকের ধারণা শীতকালে সানস্ক্রিন প্রয়োজন হয় না। কেউ কেউ রোদ পোহাতে পছন্দ করেন। কিন্তু সূর্যের গামা রশ্মি ত্বকের জন্য ক্ষতিকর। গামা রশ্মি ত্বকে দ্রুত বলিরেখা তৈরি করে। ত্বকে উপযুক্ত সানস্ক্রিন ব্যবহার করলে বার্ধক্যজনিত সমস্যা থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব। রোদে বের হওয়ার আগে শীতকালেও সানস্ক্রিন লাগিয়ে নিন।
শীতে বাতাসের আর্দ্রতা কম থাকে বিধায় ত্বকের ওপর থেকে আর্দ্রভাব কমে যায়। এর ফলে ত্বকে বলিরেখা দেখা দিতে পারে। এ ক্ষেত্রে ময়েশ্চারাইজারযুক্ত ক্রিম ব্যবহার করতে হবে। তা ছাড়া গোলাপজল ও গ্লিসারিন ৩ঃ১ অনুপাতে মিশিয়ে ব্যবহার করলে ভালো ফল পাওয়া যায়।
শীতের আরেক সমস্যা হচ্ছে ঠোঁট ফাটা ও কালো হয়ে যাওয়া। এর সমাধানও গ্লিসারিন। বারবার জিভ দিয়ে ঠোঁট ভেজাবেন না। আর ঘুমাতে যাওয়ার আগে গ্লিসারিন লাগাবেন।
হাত-পায়ের ত্বক ফেটে গেলে তারপর গ্লিসারিন বা পেট্রোলিয়াম জেলি না মেখে বরং ফেটে যাওয়ার আগেই এগুলো নিয়মিত মাখা ভালো।
যাঁরা নিয়মিত ফেসিয়াল, স্ক্রাব ম্যাসাজ করান, তাঁরা শীতকালেও নিয়মিত চালিয়ে যান। শীতকালের জন্য ফেসিয়াল ও স্ক্রাব ম্যাসাজ বেশ ভালো। কারণ এতে ত্বকের মরা কোষ উঠে যায়।
বাতাসে আর্দ্রতা কম থাকার কারণে শীতে চুল হয়ে উঠে রুক্ষ এবং খুশকির উপদ্রব হয়। খুশকির জন্য ভালো শ্যাম্পু ব্যবহার করবেন। প্রয়োজনে ত্বক বিশেষজ্ঞের শরণাপন্ন হন।
চুলে নিয়মিত কন্ডিশনার ব্যবহার করলে চুলের রুক্ষভাব কমে যায়। কন্ডিশনার চুলের আর্দ্রতা বজায় রাখে বলে চুল সুন্দর ও মসৃণ হয়। রাতে নিয়মিত গরম তেল চুলে ম্যাসাজ করে লাগিয়ে পরদিন কন্ডিশনারযুুক্ত শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুলেও অনেক উপকার পাবেন। শ্যাম্পু করার পর মোটা দাঁতের চিরুনি বা রাবারের কাঁটাযুক্ত ব্রাশ দিয়ে চুল আঁচড়ানো ভালো। এ ছাড়া সামান্য গরম জলপাই তেল চুলের গোড়ায় ম্যাসাজ করে তারপর গরম পানিতে তোয়ালে ভিজিয়ে মাথায় জড়িয়ে রাখতে পারেন ১৫ মিনিট। এরপর চুলের উপযোগী শ্যাম্পু ব্যবহার করে চুল ধুয়ে ফেলবেন।
শীতকালে ত্বকের ও চুলের যত্নে কিন্তু খাওয়াদাওয়ার ব্যাপারও খুব গুরুত্বপূর্ণ। শীতের শাকসবজি, ফল সুন্দর-স্বাস্থ্যোজ্জ্বল ত্বক ও চুলের জন্য প্রয়োজন। শিম, বরবটি, নানা রকম শাক, মটরশুঁটি, ফুলকপি, ক্যাপসিকাম ইত্যাদি প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় রাখুন।
আরেকটি পরামর্শ, প্রতিদিন ভোরে ঘুম থেকে উঠে আধা গ্লাস কুসুম গরম পানিতে এক চামচ মধু ও এক চামচ লেবুর রস মিশিয়ে খেয়ে নিতে পারেন। তাতে ত্বক ও স্বাস্থ্য দুটোই ভাল থাকবে।

22
উপকরণ :

বাসমতি চাল ৪০০ গ্রাম

ইলিশ মাছ ৬ পিস

পানি ঝাড়ানো টক মিষ্টি দই ১/২ কাপ

আদা বাটা ১/২ চা চামচ

মরিচ গুঁড়া ১/২ চা চামচ

পেঁয়াজ বাটা ১ টেবিল চামচ

শান বিরিয়ানির মশলা ১ টেবিল চামচ

আস্ত এলাচ ৪টি

দারচিনি ২ সেমি ৩ টুকরা

তেজপাতা ২টি

লবঙ্গ ৩টি

লবণ স্বাদমতো

তেল/ঘি ১ কাপ

কাঁচা মরিচ ৪/৫টি

আলু বোখারা ৪টি

লেবুর রস ১ টেবিল চামচ

পেস্তা বাদাম, কাঠবাদাম, কাজুবাদাম কুচি ২ টেবিল চামচ

কিশমিশ ১ টেবিল চামচ

জাররান ১ চিমটি

প্রনালিঃ

১. চাল ধুয়ে পানি ঝরিয়ে নিন। ফুটন্ত গরম পানিতে লবন দিয়ে চাল আধা সিদ্ধ করে মাড় ঝরিয়ে মাড় আলাদা পাত্রে রেখে দিন।

২. মাঝারি সাইজের টুকরা করে মাছ ধুয়ে পানি ঝরিয়ে নিন।

৩. হাফ তেল ও ঘি এর সাথে সব উপকরন দিয়ে মাছ ম্যারিনেড করুন ১০ মিনিট।

৪. এখন পাতিলের মধ্যে ম্যারিনেড করা মাছ গুলো সাজিয়ে উপরে আলু বোখারা ও কাঁচা মরিচ দিয়ে সাজান। একটু জাফরান দিন।

৫. আধা সিদ্ধ ভাত এর সাথে বাদাম কুচি ও কিশমিশ মিসিয়ে উপরে সুন্দর করে বিছিয়ে দিন।

৬. বাকি তেল ও ঘি ভাত এর উপর দিয়ে দিন। একটু জাফরান ছিটিয়ে দিন।

৭. ভাতের ওপরে মাড় দিয়ে দিন। এমন ভাবে দিন যেন মাড় ভাতের এর নিচে থাকে।

৮. আটা গুলে পাতিলের ঢাকনা দিয়ে সিল করে দিন।

৯. চড়া আঁচে ৫ মিনিট রাখুন। তারপর চুলায় তাওয়া বসিয়ে মুখবন্ধ হাঁড়িটি এর ওপর বসান। আঁচ ঢিম করে আরো ৩০ মিনিট রাখুন।

১০. কাচ্চি হয়ে এলে বড় ডিসে উল্টে ঢালুন।

১১. সালাদ সহযোগে পরিবেশন করুন।

23
Food / দুধ ডিম সেমাই
« on: December 02, 2013, 12:41:53 PM »
উপকরণ :

সেমাই ২৫০ গ্রাম (নরমাল)

দুধ ২ লিটার

এলাচ ৩ টুকরা

দারচিনি ২ টি

বাদাম ১ টেবিল চামচ

কিশমিশ ১ টেবিল চামচ

ডিম ২ টি

চিনি ২ কাপ (পরিমাণমতো)

প্রণালীঃ

সেমাই দিয়ে হাল্কা বাদামি করে ভেজে নিন। দুধ অল্প আঁচে জ্বালিয়ে ১.৫ লিটার করে ঠাণ্ডা করুন। ডিম অনেক করে ফেটে দুধের সাথে মেশান। এখন চুলাই দিয়ে দুধ ও ডিম এর মিশ্রণে ভেজে রাখা সেমাই, চিনি, এলাচ ও দারচিনি দিয়ে নাড়ুন। ৫ মিনিট নাড়ুন। এখন পরিবেশনের পাত্রে ঢেলে বাদাম কুচি ও কিশমিশ ছড়িয়ে দিন। ফ্রিজে রেখে ঠাণ্ডা করে পরিবেশন করুন।

24
Food / ক্যারামেল পুডিং
« on: December 02, 2013, 12:35:35 PM »

উপকরনঃ

দুধ – ১ লিটার

ডিম – ৫ টা

চিনি – ১/২ কাপ বা পরিমানমতো

কর্ণফ্লাওয়ার এক টেবিল চামচ

লবণ সামান্য

প্রণালীঃ

- ১ লিটার দুধ নেড়ে নেড়ে জ্বাল দিতে থাকুন, খেয়াল রাখবেন দুধে যাতে স্বর বসে না যায়। তাই ঘন ঘন নাড়তে হবে। দুধ কমে যখন প্রায় অর্ধেক হয়ে যাবে নামিয়ে ঠান্ডা করুন।

- অন্য পাত্রে ৫ টা ডিম ভাল করে ফেটে নিন, এইবার এর সাথে চিনি ,কর্ণফ্লাওয়ার,লবণ মেশান। । মিশ্রণটি জ্বাল দেয়া ঠান্ডা দুধে দিয়ে ভাল করে ব্লান্ড করুন।

-একটি ঢাকনাসহ স্টিলের বক্সে প্রথমে একটু চিনি ও পানি চুলায় দিন। যতক্ষণ চিনি বাদামী রঙ না হয় সে পর্যন্ত পাত্রটি ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে সব জায়গায় ক্যারামেল লাগান। এবার ক্যারামেল শক্ত হয়ে গেলে পুডিং এর মিশ্রণ ঢেলে মুখ বন্ধ করে দিন।

-একটি পাত্রে পানি দিয়ে বাটির মুখ খুব ভালোভাবে আটকিয়ে উপরে ভারি কিছু দিয়ে বাটিটা ভাপে রেখে দিবেন ১/২ ঘন্টা খেয়াল রাখবেন পাত্রে পানি যেনো শুকিয়ে না যায়। অল্প অল্প করে পানি দিবেন। পুডিং হয়ে গেলে ছুরি দিয়ে চারপাশ কেটে একটি প্লেটে উল্টিয়ে দিন।

-তৈরি হয়ে গেল মজাদার ক্যারামেল পুডিং। ঠাণ্ডা করে পরিবেশন করুন।

►পূডিং জমাট না বাঁধার কারণ গুলো হতে পারে এই রকমঃ

১ রেসিপিতে ডিমের পরিমান অন্য উপাদান গুলোর তুলনায় হয়ত কম হয়েছে।
২ মিশ্রণটি আলাদা ভাবে এবং একসঙ্গে ভাল করে ফেটানো হয়নি হয়ত।
৩ পুডিং রান্নার সময় মিশ্রণটির ভেতর কোনভাবে হয়ত বাহির থেকে পানি ডুকে যাই।

এই কারণ গুলোর জন্যে পুডিং জমাট না বেঁধে পানি পানি হয়ে যেতে পারে।

25
Food / অ্যারাবিয়ান পাস্তা
« on: December 02, 2013, 12:33:59 PM »
উপকরণ:

সিদ্ধ পাস্তা ৫০০ গ্রাম

একটি মুরগির চার ভাগের এক ভাগ বুকের মাংস কুচি/ চিংড়ি ১/২ কাপ

পেঁয়াজ ১/২ কাপ

গাজর কুচি ১/২ কাপ

কাপ্সসিলাম কুচি ১/২ কাপ

সয়াসস ১ চা চামচ

ধনিয়া গুড়া ১/২ চা চামচ\

রসুন কুচি ১ চা চামচ

কাঁচা মরিচ কুচি ১ টেবিল চামচ

লবণ পরিমাণমতো

তেল ৩ টেবিল চামচ

গোল মরিচ গুঁড়া ১/২ চা চামচ

অরিগানো ১/২ চা চামচ

মজারেলা চিজ পরিমাণমতো।

সস:

দুধ ১ কাপ

পানি ১/২ কাপ

ময়দা ৩ টেবিল চামচ

বাটার ১ টেবিল চামচ

রসুন বাটা সামান্য

গোল মরিচ সামান্য।

প্রণালি :

স্টেপ -১
সসঃ
প্যানে কম আঁচে মাখন গলিয়ে রসুন কুচি ও গোলমরিচ দিন। এবার উপরে ময়দা ছিটিয়ে দিন। হাল্কা বাদামী হলে দুধ দিয়ে নাড়তে থাকুন। মিশ্রণ ঘন হয়ে বুদবুদ উঠলে নামান।

স্টেপ -২
পাস্তা সিদ্ধ সামান্য লবন দিয়ে সিদ্ধ করে অর্ধেক সাদা সস দিয়ে মিক্স করুন।

স্টেপ -৩
প্যানে তেল দিয়ে মাংস দিয়ে ভাজুন। এখন পিয়াজ ও রসুন দিয়ে নরম করে ভেজে নিন। এরপর গাজর কুচি, কাপ্সসিলাম কুচি, সয়াসস,ধনিয়া গুড়া,কাঁচা মরিচ ও লবণ দিয়ে কিছুক্ষণ ভেজে নামিয়ে অর্ধেক টা সাদা সস দিয়ে মিক্স করুন।

স্টেপ -৪
পাস্তা এবং রান্না মাংস ও সবজি গোলমরিচ দিয়ে মিক্স করুন।

ওভেন প্রুফ বাটিতে প্রথমে তেল দিয়ে নিন। এখন পাস্তা এবং রান্না মাংস ও সবজি বিছিয়ে দিন। এবার মজারেলা চিজ ও অরিগানো ছিটিয়ে ইলেক্ট্রিক ওভেনে ১৮০ তে দিয়ে ১৫ মিনিট অথবা মাইক্রো ওভেন এ ৩ মিনিট বেক করুন।

26
Food / বার বি কিউ প্রন
« on: December 02, 2013, 12:29:42 PM »
উপকরনঃ

অতিরিক্ত বড় চিংড়ি

লেমন গ্রাস -সাদা অংশ মিহি করে কাটা

কাঁচা মরিচ মিহি করে কাটা

আদা বাটা ১ চা চামচ

চিনি ১ চা চামচ

ফিস সস ১ টেবিল চামচ

ভেজিটেবিল ওয়েল ১ টেবিল চামচ

টাটকা লেবু এবং পুদিনা পাতা পরিবেশন এর জন্য

প্রণালীঃ

সব উপকরন এক সাথে মাখিয়ে স্টিক এ চিংড়ি গুলো গেথে ঢেকে ১ ঘণ্টা ফ্রিজ এ রাখুন।ওভেন প্রি হিট করুন। ২০০ ডিগ্রী তে ১০-১৫ মিনিট বেক করুন। যদি না হয় তবে আরও কিছুক্ষন বেক করুন। নামিয়ে লেবুর রস ও পুদিনা পাতা দিয়ে পরিবেশন করুন।

27
Food / ঝাল তেহেরি
« on: December 02, 2013, 12:28:35 PM »
উপকরণ:

গরুর সিনার মাংস ১ কেজি

পোলাওয়ের চাল ১/২ কেজি

পেঁয়াজ কুচি পৌনে ১ কাপ

আদা বাটা ১ টেবিল চামচ

রসুন বাটা ১ চা চামচ

মরিচ গুঁড়ো ১/২ টেবিল চামচ

হলুদ গুঁড়ো ১/২ টেবিল চামচ

ধনে গুঁড়ো ১/২ টেবিল চামচ

জিরা গুঁড়ো ১/২ টেবিল চামচ

গোলমরিচ গুঁড়ো আধা চা চামচ

তেজপাতা ২টি

দারচিনি ২ সেমি ৩ টুকরো

এলাচ ৩টি

লবঙ্গ ৩টি

কাঁচামরিচ ৮টি

লবণ পরিমান মত

সরিষা বা সয়াবিন তেল এক কাপ।

প্রণালী:

মাংস ছোট টুকরো করে ধুয়ে নিন। সমস্ত বাটা ও গুঁড়ো মসলা এবং লবণ দিয়ে মাংস সেদ্ধ করুন। মাংস নরম হলে ও পানি শুকালে নামান। একটা বড় হাঁড়িতে তেল গরম করে পেঁয়াজ তেজপাতা ও গরম মসলা সামান্য ভেজে মাংস, লবণ দিন। মাংস কষিয়ে ভুনা করুন। মাংস কষানো হলে মসলা থেকে মাংস আলাদা করে তুলে রাখুন। চাল ধুয়ে পানি ঝরিয়ে মসলায় দিন। ২-৩ মিনিট ভাজুন। ৪ কাপ গরম পানি ও লবণ দিন। ফুটে উঠলে নেড়ে মাংস ছড়িয়ে দিয়ে ওপরে কাঁচামরিচ দিয়ে ঢেকে মৃদু আঁচে ২০ মিনিট রাখুন। চুলা থেকে নামিয়ে রাখুন। ২০-২৫ মিনিট পর ঢাকনা খুলবেন। সালাদ দিয়ে পরিবেশন করুন।

28
Food / ওভেন ছাড়া প্লেন কেক!
« on: December 02, 2013, 12:27:25 PM »
উপকরনঃ

ডিম ৪ টি

ময়দা ১ কাপ

তেল ১ কাপ

বেকিং পাওডার ১ চা চামচ

গুরা দুধ ২ টেবিল চামচ

চিনি ১ কাপ

বাদাম অল্প কিছু

ভ্যানিলা আছেন্স ১ চা চামচ

সিরাপ ২ টেবিল চামচ

প্রনালিঃ

* প্রথমে ডিম এর সাদা অংশ ফাটে নিন তারপর কুসুম দিয়ে আবার ফাটুন।

* ময়দা বেকিং পাওডার,গুরা দুধ, এক সাথে চেলে নিন।

* এরপর ডিম এর সাথে অল্প অল্প করে চিনি ও তেল মেশান।

* এরপর ময়দা বেকিং পাওডার,গুড়া দুধ খামির এর সাথে অল্প অল্প করে মেশান।

* এরপর ভ্যানিলা আছেন্স খামির এর সাথে মেশান।

* প্যান এর চার পাশে কাগজ দিয়ে খামির ঢেলে দিন।

* এবার একটি বড় গভীর গর্তযুক্ত পুরু সস প্যান নিন। চুলাই তাওয়া দিয়ে তার উপর সসপ্যান দিন। তলা ভারী সস প্যান হতে হবে। খেয়াল রাখবেন সসপ্যানটি যেন একদম শুকনা থাকে। যদি এতে হালকা পরিমাণেরও তেল বা পানি রয়ে যায় তবে তা থেকে ধোঁয়ার সৃষ্টি হবে।সসপ্যানটিতে এমন একটি ঢাকনা দিয়ে আটকে দিতে হবে যেন এটা থেকে কোন বাতাস চলাচল করতে না পারে।

*  সসপ্যান চুলায় দিয়ে বেশি আঁচে খুব ভালো করে গরম করুন। (৫ মিনিট)

* সস প্যানের মাঝখানে ছোট্ট একট র‍্যাক অথবা স্ট্যান্ড বসান।

* এখন কেকের ব্যাটার রাখা বাটিটাকে সাবধানে স্ট্যান্ডের উপর বসিয়ে দিন।

* সস প্যানের উপর ঢাকনা দিয়ে ভালো করে মুখ বন্ধ করুন। সসপ্যানটিতে এমন একটি ঢাকনা দিয়ে আটকে দিতে হবে যেন এটা থেকে কোন বাতাস চলাচল করতে না পারে। এভাবে ৩০ মিনিট রাখুন। প্রথম ৫ মিনিট চুলার জ্বাল পুরো বাড়ানো থাকবে, আর পরের ২০ মিনিটের জন্য চুলার জ্বাল মাঝারী আঁচে থাকবে।

* ৩০ মিনিট পর কাপ কেকে একটি টুথপিক ঢুকিয়ে দেখুন পরিষ্কার হয়ে উঠে আসছে কিনা। পরিষ্কার হয়ে উঠে না আসলে আরো ১০ মিনিট রাখুন।

* এবার একটা ছুরি দিয়ে বাটির চারপাশে ঘুরান। একটা সমতল প্লেটে কেকের বাটিটা উল্টে দিন। এবার আস্তে করে বাটিটা তুলে ফেলুন। কেকের উপরে লেগে থাকা কাগজটি আস্তে করে সরিয়ে ফেলুন।

* ঠাণ্ডা করে কেক এর উপর সিরাপ দিয়ে ব্রাশ করুন।

29
Food / নার্গিসি কোপ্তা কারি
« on: December 02, 2013, 12:25:02 PM »
স্টেপ -১

উপকরণ:

যে কোনো মাংসের কিমা (মুরগির /গরুর/ খাসির) – ১/২ কাপ

পেয়াঁজ কুচি – ১/৪ কাপ

কাঁচা মরিচ কুচি – ১ টেবিল চামচ অথবা স্বাদ অনুযায়ী

হলুদের গুঁড়া -১/২ চা চামচ

জিরার গুঁড়া – ১/২ চা চামচ

গরম মসলার গুঁড়া – ১/২ চা চামচ

আদা বাটা -১/২ চা চামচ

রসুন বাটা – ১/২ চা চামচ

ধনিয়া পাতা কুচি – ২ চা চামচ

তেল – ১ টেবিল চামচ

লবন – ১/২ চা চামচ অথবা স্বাদ অনুযায়ী

বেসন ১২৫ গ্রাম

তেল+ ঘি ভাজার জন্য।

প্রণালীঃ

একটি পাত্রে তেল গরম করে পেয়াঁজ কুচি দিয়ে নরম না হওয়া পর্যন্ত নাড়ুন। তারপর আদা বাটা, রসুন বাটা, হলুদ গুঁড়া, জিরার গুঁড়া, লবন, কাঁচা মরিচ কুচি দিয়ে কযেক সেকেন্ড নাড়ুন। মসলা থেকে তেল আলাদা হলে মাংসের কিমা দিযে নাড়ুন এবং সামান্য পানি দিয়ে পাত্রটি ঢেকে দিন। কিমা সিদ্ধ হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। তারপর পত্রের ঢাকনা খুলে দিয়ে কিমার অতিরিক্ত পানি শুকিয়ে ফেলুন। এখন বেসন দিয়ে কিমা ভালো করে মাখন। এবার এই মিশ্রণটি ৪ ভাগে ভাগ করুন৷ সেদ্ধ ডিমে কিমার মিশ্রণ লাগিয়ে ডিমের আকারে কাবাব গড়ুন৷ একটা ফ্রাইংপ্যানে ঘি গরম করে কাবাবগুলো ভেজে তুলুন৷

স্টেপ- ২

উপকরনঃ

টক দই আধা কাপ

মিষ্টি দই সিকি কাপ

পেঁয়াজ কুচি ১/২ কাপ

পেঁয়াজ বাটা ২ টেবিল চামচ

আদা বাটা ১ চা চামচ

রসুন বাটা ১ চা চামচ

বাদাম বাটা ২ টেবিল চামচ

ঘি সিকি কাপ

তেল আধা কাপ

গরম মসলার গুঁড়া ১ চা চামচ

কিসমিস ২ টেবিল চামচ

লবণ পরিমাণমতো

প্রণালীঃ

কড়াইতে তেল দিয়ে  এলাচি, তেজপাতা, দারুচিনি ও পেঁয়াজ কুচি দিয়ে নাড়তে থাকুন। এরপর একে একে পেয়াজ বাটা, আদা বাটা,বাদাম বাটা,রসুন বাটা্‌ ,গরম মসলার গুঁড়া দিয়ে কিছুক্ষন কষাতে থাকুন। মশলা হালকা বাদামী হলে তাতে ডিম, দই  দিন। সাথে লবন, পানি দিন। ঝোল মাখা মাখা হয়ে আসলে কিসমিস দিয়ে ও কোপ্তা দিয়ে নামিয়ে ফেলুন।

30
ত্বকের কুঁচকে যাওয়া ঠেকাতে কৃত্রিম পদ্ধতির চেয়ে খাবারের দিকে নজর দেওয়ার পরামর্শই দিচ্ছেন মার্কিন গবেষকেরা। এ নিয়ে বিস্তর গবেষণাও চলছে।
বলিরেখা দূর করার জন্য বিশেষ কিছু খাবারের পরামর্শ দিয়েছেন মার্কিন গবেষকেরা। লস অ্যাঞ্জেলেসের চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ জেসিকা উ জানিয়েছেন, ত্বকের জন্য প্রয়োজনীয় খাবার বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন। ‘ফিড ইওর ফেস’ নামের একটি বইও লিখেছেন জেসিকা।
জেসিকা জানিয়েছেন, মানুষ যেসব খাবার গ্রহণ করে তা হরমোনের ভারসাম্যের ক্ষেত্রে প্রভাব ফেলে। ত্বকের বয়স বাড়ার সঙ্গে খাবারের ভূমিকা রয়েছে।
জেসিকার মতে, অলিভ ওয়েলকে ত্বকের জন্য গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হিসেবে মনে করা হয়। ২০১২ সালে ‘প্লস ওয়ান’ সাময়িকীতে এক গবেষণা নিবন্ধ প্রকাশিত হয়েছিল যাতে এক হাজার ২৬৪ জনের ওপর পরিচালিত এক গবেষণায় দেখা যায় প্রতিদিন ২ চা চামচ পরিমাণ অলিভ ওয়েল গ্রহণ করলে ৩১ শতাংশ ক্ষেত্রে ত্বকের বুড়িয়ে যাওয়ার প্রবণতা কমে। অলিভ ওয়েলে থাকা অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ত্বক সজীব রাখে।
অলিভ ওয়েলের পাশাপাশি ত্বকের যত্নে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান টমেটো। যাঁরা প্রতিদিন পাঁচ চা চামচ পরিমাণ টমেটো স্যুপ খান এবং সঙ্গে এক চামচ করে অলিভ ওয়েল, তাঁদের ত্বক অন্যদের তুলনায় বেশি সজীব থাকে। ২০০৮ সালে যুক্তরাজ্যের গবেষকেরা পরীক্ষা করে দেখেছেন যাঁরা শুধু অলিভ ওয়েল গ্রহণ করেন তাদের তুলনায় টমেটো ও অলিভ ওয়েল গ্রহণকারীদের ক্ষেত্রে ৩৩ শতাংশ ক্ষেত্রে ভালো ফল পাওয়া যায়। গবেষকেরা বলেন টমেটো লাইকোপেন নামে বিশেষ অ্যান্টি অক্সিডেন্ট রয়েছে যা ত্বকের সজীবতা আনতে পারে। এ ছাড়াও টমোটোর পুষ্টিগুণ থাকায় এটি ফুসফুস, অগ্ন্যাশয়, কোলন ক্যানসার প্রতিরোধে সহায়ক।

ত্বক ভালো রাখতে গবেষকেদের পরামর্শ হচ্ছে গ্রিন টি পান করা। ২০১১ সালে ‘জার্নাল অব নিউট্রিশনে’ প্রকাশিত এক গবেষণা নিবন্ধে বলা হয়  যারা ১২ সপ্তাহ ধরে দৈনিক গ্রিন টি পান করেন তাদের ত্বক বেশি মসৃণ ও নমনীয় হয়। এ ছাড়াও সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি থেকে ত্বক রক্ষা পায়। গ্রিন টিতে থাকা অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ত্বকে রক্তের প্রবাহ বাড়াতে সাহায্য করে এবং ত্বক সুস্থ রাখে।

ত্বক ভালো রাখতে বেশি করে পানি খাবার বিকল্প নেই। ত্বকের ভাঁজ দূর করার পাশাপাশি বেশি করে পানি পান করলে শরীরে চিনি জমতে পারে না। শরীরে চিনির পরিমাণ বেড়ে গেলে ত্বকের নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে। গবেষকেদের পরামর্শ হচ্ছে ত্বকের সমস্যা দূর করতে বেশি করে পানি পান করতে হবে।

পানির পাশাপাশি নিয়মিত কফি পান করলেও ত্বকের ক্ষেত্রে উপকার পাওয়া যেতে পারে। তবে কফি পানের পরিমাণ যেন মাত্রাতিরিক্ত না হয় সে বিষয়ে খেয়াল রাখার পরামর্শও দেন গবেষকেরা।

ত্বকের যত্নে ডিম উপকারী। ডিমে চর্বি কম প্রোটিন থাকে বেশি। গবেষকেরা বলেন, খাবারে যত চর্বি কম তত ত্বকের জন্য ভালো। ক্লিনিক্যাল নিউট্রিশন সাময়িকীতে প্রকাশিত এক গবেষণা নিবন্ধে বলা হয় ১৭ গ্রাম চর্বির বৃদ্ধিতে ২৮ শতাংশ ত্বকের কুচকে যাওয়া ভাব বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে।

ত্বকের যত্নে সবজি হিসেবে মিষ্টি কুমড়া এবং গাজরও উপকারী হতে পারে। মিষ্টি কুমড়ায় থাকা বিটা ক্যারোটিন শরীরে ভিটামিন এর চাহিদা পূরণ করে। ত্বককে সজীব ও নরম ও সতেজ রাখতে সক্ষম দৈনিক আধ কাপ পরিমাণ মিষ্টি কুমড়ার তরকারি।

গবেষকেরা বলেন, সুন্দর ত্বকের জন্য গাজর উত্কৃষ্ট খাবার। তাঁরা বেশি বেশি গাজর খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।

Pages: 1 [2] 3 4