Show Posts

This section allows you to view all posts made by this member. Note that you can only see posts made in areas you currently have access to.


Messages - Md. Nurul Islam

Pages: 1 [2] 3
16
Success / Think for Sucess
« on: July 19, 2016, 09:51:49 AM »
সফলতার পেছনে দৌড়ালেই সফল হওয়া যায় না। সফল হতে হলে অনেক কিছু করতে হয় আবার বেশ কিছু জিনিস এড়িয়ে চলতে হয়। যে বিষয়গুলো সফলতার পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায় সেগুলো যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলাই বুদ্ধিমানের কাজ।
সফল হতে চাইলে যে কাজগুলো করবেন না, তার একটি তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে আইএনসি ওয়েবসাইটে। আপনি চাইলে এই পরামর্শগুলো একবার দেখে নিতে পারেন।
.
সবকিছু সঠিক হবে এটা চিন্তা করা বন্ধ করুন

আমরা যখন কোনো কাজ করি, তখন ধরেই নেই যে সেটা আমাদের নিজেদের মনমতো হবে। যা মনে মনে চাচ্ছি সেটাই হোক, এমনটাই আশা করি। আর সেটা যখন না হয়, তখন বিষণ্ণ হয়ে পড়ি। অনেক বেশি হতাশা কাজ করে, যা আমাদের আত্মবিশ্বাসকে নষ্ট করে দেয়। তাই কখনোই এই বাড়তি চাপ নেবেন না। জীবনে সবকিছু পারফেক্ট হয় না। একটাতে সফল না হলে আরেকটাতে হবেন। এই বিশ্বাস নিয়ে এগিয়ে যান।
.
মনের বিরুদ্ধে কিছু করবেন না

অনেক সময় ইচ্ছার বিরুদ্ধেই আমরা কাজ করি। যা আমাদের সফলতার পথের প্রধান বাধা। ‘না’ বলতে শিখুন। সফল হতে চাইলে যে বিষয়ে মন সায় দেবে না সেটা ভুলেও ‘হ্যাঁ’ বলবেন না।
.
নিজের দুর্বলতাকে পাত্তা দেবেন না

কোনো মানুষই পৃথিবীতে পারফেক্ট না। সবারই কিছু না কিছু দুর্বলতা থাকে। আর আপনি যদি নিজের দুর্বলতাকে বড় করে দেখেন আর ভাবেন এটা আপনাকে দিয়ে সম্ভব না তাহলে কখনোই সফল হতে পারবেন না। নিজের দুর্বলতাকে নিজের শক্তি বানান। দেখবেন, সহজেই সফলতাকে আপনাকে ধরা দেবে।
.
অন্যকে দোষ দেওয়া বন্ধ করুন

অন্যের কাঁধে দোষ চাপিয়ে নিজেকে সঠিক প্রমাণ করার চেষ্টা করবেন না। আপনি যখন সফল হন তখন ভাবেন, সেটা নিজের যোগ্যতায় হয়েছেন। আর সফল না হলে চট করেই অন্যের কাঁধে দোষ চাপিয়ে দেবেন? এটা মোটেও বুদ্ধিমানের কাজ না।
.
নেতিবাচক চিন্তাগুলো ঝেড়ে ফেলুন

নিজের আত্মবিশ্বাস ধরে রাখতে মনের সব নেতিবাচক চিন্তা ঝেড়ে ফেলুন। আমি পারব না, আমাকে দিয়ে হবে না, আমার চেয়ে অন্যরা ভালো পারে- এ ধরনের চিন্তা যতদিন ধরে রাখবেন, ততদিন সফলতা আপনার থেকে অনেক দূরে থাকবে।
.
অতীতকে জোর করে ধরে রাখবেন না

অতীতে যা ঘটে গেছে, সেটার জন্য নিজের ভবিষ্যৎ নষ্ট করে লাভ কী? অতীতে বসবাস করলে বর্তমান ও ভবিষ্যৎ দুটোই ডোবাবেন। তাই সফল হতে চাইলে অতীতকে চিরবিদায় জানান।
.
সবাইকে খুশি করার চিন্তা বাদ দিন

একজন মানুষ কখনোই একসঙ্গে সবাইকে খুশি করতে পারে না। তাই অযথা এর পেছনে দৌড়ে কোনো লাভ নেই। নিজের ভালোটা দেওয়ার চেষ্টা করুন। তাতে কেউ খুশি হবে, কেউ হবে না। এটা মনে নিতে শিখুন।
.
নেতিবাচক চিন্তার মানুষদের কাছ থেকে দূরে থাকুন

আমাদের জীবনে অন্যের কথার বেশ প্রভাব পড়ে। নিজের অজান্তেই সেই কথাগুলো আমাদের সফলতাকে নষ্ট করে। তাই এসব নেতিবাচক চিন্তার মানুষদের কাছ থেকে যতটা পারুন দূরে থাকুন।
.
কখনোই নিঃসঙ্গ থাকবেন না

একাকিত্ব মানুষের মনের উদ্যমতাকে নষ্ট করে দেয়। কার্যক্ষমতা কমিয়ে দেয়। তাই একা না থাকার চেষ্টা করুন। পরিবার-বন্ধুদের সঙ্গ আপনার মনকে চাঙ্গা রাখবে, আপনার কার্যক্ষমতা কয়েকগুণ বাড়িয়ে দেবে।
.

17
Self Improvement / How To Raise Your Self-Esteem
« on: March 15, 2016, 09:49:45 AM »
Self-Esteem

Have you wondered about what self-esteem is and how to get more of it? Do you think your self-esteem is low? Do you know how to tell? Do you know what to do about it?
Self-esteem answers the question, “How do I feel about who I am?” We learn self-esteem in our family of origin; we do not inherit it.
Global self-esteem (about “who we are”) is normally constant. Situational self-esteem (about what we do) fluctuates, depending on circumstances, roles, and events. Situational self-esteem can be high at one moment (e.g., at work) and low the next (e.g., at home).
Low self-esteem is a negative evaluation of oneself. This type of evaluation usually occurs when some circumstance we encounter in our life touches on our sensitivities. We personalize the incident and experience physical, emotional, and cognitive arousal. This is so alarming and confusing that we respond by acting in a self-defeating or self-destructive manner. When that happens, our actions tend to be automatic and impulse-driven; we feel upset or emotionally blocked; our thinking narrows; our self-care deteriorates; we lose our sense of self; we focus on being in control and become self-absorbed.
Global self-esteem is not set in stone. Raising it is possible, but not easy. Global self-esteem grows as we face our fears and learn from our experiences. Some of this work may require the aid of a psychotherapist. In the meantime, here is what you can do:
Get sober. Get help through 12-step groups to stop self-destructive behaviors. Addictions block learning and drag down our mood. Identify them and replace them with self-care.
Practice self-care. Make new lifestyle choices by joining self-help groups and practicing positive health care.
Identify triggers to low self-esteem. We personalize stressful events (e.g., criticism) by inferring a negative meaning about ourselves. A self-defeating action often follows. Each event can, instead, be a chance to learn about ourselves, if we face our fear of doing so and the negative beliefs about ourselves that sustain the negative meanings.
Slow down personalizing. Target personalizing to slow impulsive responses. You can begin to interfere with these automatic overreactions by using relaxation and stress management techniques. These techniques are directed at self-soothing the arousal. This allows us to interrupt the otherwise inevitable automatic reaction and put into play a way to begin to face the unacknowledged fears at the root of low self-esteem.
Stop and take notice. Pay attention to the familiarity of the impulse. Our tendency is to overreact in the same way to the same incident. Awareness of the similarity can be the cue to slow our reactivity.
Acknowledge reaction. Verbalize, “Here I go again (describe action, feeling, thought) . . . ” Actively do something with the awareness rather than passively note it. The result is to slow the impulse and give ourselves a choice about how we want to respond.
Choose response. Hold self-defeating impulses. Act in a self-caring and effective way. By choosing to act in a more functional way, we take a step toward facing our fears.
Accept impulse. Be able to state the benefit (e.g., protection) of overreaction. We won’t be able to do this at first, but as we become more effective, we will begin to appreciate what our self-defeating impulse had been doing for us.
Develop skills. We can provide for our own safety, engender hope, tolerate confusion, and raise self-esteem by learning and using these essential life skills:
Experience feelings. “Feel” feelings in your body and identify your needs. When we do not respect our feelings, we are left to rely on what others want and believe.
Optional thinking. End either/or thinking. Think in “shades of gray” and learn to reframe meanings. By giving ourselves options, we open ourselves to new possibilities about how to think about our dilemmas.
Detachment. End all abuse; say “no” to misrepresentations and assumptions. By maintaining personal boundaries, we discourage abuse by others and assert our separateness.
Assertion. Voice what you see, feel, and want by making “I” statements. By expressing our thoughts, feelings, and desires in a direct and honest manner, we show that we are in charge of our lives.
Receptivity. End self-absorption; listen to others’ words and meanings to restate them. In this way, we act with awareness of our contribution to events as well as empathize with the needs of others.

18
ই-কমার্স ব্যবসা শুরুর গাইডলাইন

ই-কমার্স ব্যবসা কি , কেন করবেন , কিভাবে শুরু করবেন এই কথাগুলো বারবার মাথার মধ্যে ঘুরপাক খেতে হবে এই খাতে নিজেকে একজন উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তুলতে হলে । প্রতিটা ব্যবসার মূলে একটা কথা থাকে , তা হচ্ছে R&D । এর পুরো অর্থ হচ্ছে রিসার্চ এন্ড ডেভেলপমেন্ট । একজন উদ্যোক্তা ব্যবসায়ীর জীবনে সফলতার গল্প যেমন থাকার সম্ভাবনা রয়েছে ঠিক তেমনি সফল না হওয়ারও সম্ভাবনা থাকে । কিন্তু এই R&D যদি আপনি ব্যবসার শুরু এবং ব্যবসা শুরু করার পরেও ব্যবসা চলাকালীন সময় সঠিকভাবে প্রয়োগ না করেন, তবে আপনি সফল হওয়ার জন্যে যথেষ্ট পরিমান নিজে পরিশ্রম ও চেষ্টা করছেননা তা আপনাকেই বুঝে নিতে হবে ।
ই-কমার্স ব্যবসাটি কি ? ? ? ?

এতগুলো প্রশ্নবোধক চিহ্ন দেয়ার একটাই কারণ হলো এর ব্যাপকতা, আপনার জিজ্ঞাসা ব্যাপক থাকা উচিত । ইলেকট্রনিক কমার্স বুঝায় সোজা কথায় ই-কমার্স । অনলাইনে কেনাকাটা করবেন , অনলাইনে আপনার ক্রেতা একটি প্রোডাক্ট পছন্দ করবে এবং তা কেনার আগ্রহ দেখাবে সেই মানুষ এবং যখন সেই ব্যক্তি আপনার প্রোডাক্ট কেনার জন্যে অনলাইনে টাকা প্রদান করলো , ঠিক তখন থেকে আপনার দায়িত্ব বেড়ে গেলো কয়েকগুন । প্রথমেই অনলাইনে পেমেন্ট কনফার্ম করতে হচ্ছে আপনাকে , তারপর ক্রেতার পছন্দের জিনিসটি আপনার স্টক থেকে খুঁজে বের করে ভালো একটি প্রোডাক্ট ক্রেতার ঠিকানায় ডেলিভারি করতে হবে সঠিকভাবে । এখানেই উদ্যোক্তার দায়িত্ব সমাপ্ত নয় , কাজ এখান থেকে আরও নিবিড়ভাবে শুরু হয় । ক্রেতা প্রোডাক্ট পাওয়ার পর ক্রেতার সার্ভিস এবং প্রোডাক্ট সম্পর্কে অনুভূতি কি জানতে হবে এবং এই ক্রেতা যেন পরবর্তীতেও আরও প্রোডাক্ট কেনে সেই ব্যাপারে সচেতন হতে হবে এবং ভালো কাস্টমার সাপোর্ট দিতে হবে , সাথে করে নতুন কোন এক্সুসিভ প্রোডাক্ট আসলে তা ক্রেতাকে সৌজন্য মেসেজের মাধ্যমে জানাতে হবে ।

 

কেন করবেন ই-কমার্স ব্যবসা

আপনি যথেষ্ট পরিমান দায়িত্বশীল মানুষ ? মানুষকে ভালো সার্ভিস কিভাবে দিতে হয় , প্রোডাক্ট নিয়ে আপনার চিন্তাভাবনা অন্য অনেকের থেকেই খুব সুচারুভাবে সম্পূর্ণ করতে সক্ষম হবেন, তবেই এই ব্যবসা নামতে পারেন । তবে কিন্তু আছে !! ! !

 

কয়েকবছর এই ব্যবসা সম্পর্কে আপনার বিশদ একটা ধারণা রাখতে হবে । প্রায়োগিক জ্ঞান এবং অর্থ এই দুটোর কোন একটি কম হলেই এই ব্যবসায় সফল হওয়ার সম্ভাবনা অনেকটুকু আপনার কমে যাবে ।

সেইজন্যে ভাবুন ! আবার ভাবুন ! আবার ভাবুন ! আমি বলবো আবার ভাবুন !

 

সময় নিন আপনার কি কি বিষয় জানা কম আছে যা এই ব্যবসায় নামার আগে আপনাকে কঠিন অবস্থার সম্মুখীন করতে পারে । টেকনিক্যাল বিষয় , প্রোডাক্ট সোর্সিং , প্রোডাক্ট ডেলেভারি , পেমেন্ট , কমিনিকেশন , রিসার্চ , ডেভেলপমেন্ট , কাস্টমার সাপোর্ট , মার্কেটিং , সময়ের সাথে পলিসি ঠিক করা , আইনি বিষয়ে নিজে কতটুক জানেন এসব বিষয় আপনাকে জানতে হবে ।

এখন হয়ত প্রশ্ন আসতে পারে আমি এইসব ব্যাপারে দক্ষ লোক রাখবো । তবে বলবো , সেই দক্ষ লোককে চেনার জন্যেও আপনার দক্ষতা থাকতে হবে এবং দক্ষ থাকলেও আপনাকে ব্যবসার পুরো দিক সম্পর্কে আসলেই ভালো কিছু বিষয় এবং অবস্থানগত বিষয় ভালোভাবে জানতে হবে । সেটাই এই ব্যবসায়ের জন্যে মূল চালিকাশক্তি ।   

 

কিভাবে শুরু করবেন ই–কমার্স ব্যবসা

 

ব্যবসা শুরু করার আগে কয়েকটি বিষয় আপনাকে অনেক গুরুত্বের সাথে চিন্তা করতে হবে । সেই বিষয়গুলো হলোঃ

 

১। আপনি কি প্রস্তুত এই ব্যবসার জন্যে

আপনি এই ব্যবসায় আসতে আর্থিক এবং মনগতভাবে প্রস্তুত কিনা । আপনার কাছে কি আসলেই যথেষ্ট পরিমান অর্থের ব্যবস্থা আছে । এবং ব্যবসার চ্যালেঞ্জিং মুহূর্তগুলো মোকাবেলার মত যথেষ্ট পরিমান মনোবল আছে । নিজের সাথে কথা বলুন এবং ভাবুন । ভাবুন এবং আবার কথা বলুন । নিজের ক্ষমতা সম্পর্কে জানুন । আপনি আসলে কি করতে পারেন এবং কি পরিমান পদক্ষেপ কতটুকু করতে পারবেন সেই বিষয়ে পুরো একটি গ্রাফ কিংবা ছক করুন ।

 

২। কি প্রোডাক্ট নিয়ে কাজ করতে চান       

কি ধরণের প্রোডাক্ট মূলত বিক্রি করবেন সেই বিষয়ে লক্ষ্য নির্ধারণ করুন । একসাথে কতগুলো প্রোডাক্ট নিয়ে কাজ করা আপনার পক্ষ্যে সম্ভব । মানুষ আসলে কি ধরণের প্রোডাক্ট কিনতে চায় সেই প্রোডাক্ট নিয়ে কাজ করা প্রোডাক্টগুলো কি সহজে সংগ্রহ করা যাবে নাকি না । যদি সম্ভব হয় তবে কত কম খরচে তা সংগ্রহ করা যাবে তা ঠিক করতে হবে এবং সংগ্রহ করা আপনার পক্ষে অনেক কঠিন হলে কত সহজে সংগ্রহ করা যায় খেয়াল করতে হবে ।

 

৩। প্রোডাক্ট এর খরচ এবং পরিবহন খরচ

অল্প সময়ে ভালো প্রোডাক্ট কিভাবে আনা যাবে ও কত কম খরচ পরবে প্রোডাক্ট আনতে তা খেয়াল রাখতে হবে । মনে রাখতে হবে প্রোডাক্ট যত কম দামে আপনি কিনতে পারবেন ও পরিবহন খরচ যত কম হবে আনতে, আপনার খরচ মূলত তত কমবে এবং আপনি তত কম মূল্যে ক্রেতার কাছে বিক্রি করতে সক্ষম হবেন প্রোডাক্ট । আর এই খরচ যত কমাতে পারবেন প্রতিযোগিতামূলক বাজারে ঠিকে থাকা আপনার পক্ষে তত বেশি সম্ভব । ক্রেতার কাছে ততবেশি আপনি কাছে পৌঁছাতে পারবেন । কত বেশি লাভ করতে পারবেন তা নয় বরং কত কম দামে ভালো প্রোডাক্ট কিনে কত কম লাভে বিক্রি করতে পারবেন তা লক্ষ্য থাকবে । 

 

৪। প্রোডাক্ট এর গুণগত মান রক্ষা

প্রোডাক্ট ভালো এবং সুন্দরভাবে সুরক্ষিত উপায়ে পৌঁছে দিতে সক্ষম হতে পারা ব্যবসার জন্যে গুরুত্বপূর্ণ একটি পদক্ষেপ । কত সময় প্রোডাক্ট ভালো থাকবে এবং কিভাবে রাখলে ভালো অবস্থায় সংরক্ষিত থাকবে তা নিজেকে সঠিক উপায়ে ঠিক করতে হবে । প্রোডাক্টকে ভালোভাবে প্যাকিং করতে হবে , যাতে ভালোভাবে সংরক্ষিত থাকে । প্রোডাক্ট সম্পর্কে ভালো ধারণা রাখতে হবে । ক্রেতা যেই ধরণের প্রোডাক্ট বিষয়ে কথা বলা হয়েছে সেই প্রোডাক্ট অক্ষুন্নভাবে মান নিয়ন্ত্রণ করতে হবে ।

 

৫। প্রতিষ্ঠানের নাম নির্ধারণ ও আইনি কাজ

প্রতিষ্ঠানের নাম নির্ধারণ করতে হবে । যদি বিশেষ কোন প্রোডাক্ট নিয়ে কাজ করার ইচ্ছে থাকে তবে সেই প্রোডাক্ট এর নামে প্রতিষ্ঠানের নাম খোলা যায় , আর যদি বেশকিছু প্রোডাক্ট নিয়ে কাজ করার ইচ্ছে থাকে তবে প্রোডাক্টগুলোর সাথে মানানসই সেইরকম ভাবে ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের নাম ঠিক করতে হবে এবং ট্রেডমার্ক , লোগো সহ যাবতীয় আইনি কাজ সম্পূর্ণ করতে হবে । নাম নির্বাচনের ক্ষেত্রে সমসাময়িক শব্দ কিংবা কিওয়ার্ড নিয়ে দারুণভাবে সময়কে পর্যবেক্ষণ করতে এবং মানুষ কোন শব্দ পছন্দ করে তা নিয়ে আলোচনা – চিন্তা করতে হবে । তাহলেই ভালো নাম মনে আসবে । মনে রাখতে বিজনেজ দাঁড় করানোর প্রথম পদক্ষেপই হচ্ছে নাম । নাম দিয়েই মানুষ আপনার প্রতিষ্ঠানকে চিনবে । নাম নির্বাচন ও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় । মনে রাখতে হবে “নেম ইজ ব্র্যান্ড” , তারপর মানুষের কাছেই আপনি আপনার কোম্পানির ভালো সেবা নিয়ে খুব সহজে ভালো স্থান করতে পারবেন ।

 

৬ । ডোমেইন এবং হোস্টিং নির্বাচন

ডোমেইন এবং হোস্টিং নির্বাচন করতে হবে । ডোমেইন নিয়ে রিসার্চ করতে হবে কি ধরণের ডোমেইন নাম অর্থাৎ ওয়েবসাইটের ঠিকানা কি হলে মানুষ খুব পছন্দ করবে। সহজে পড়া যায় এবং সুন্দর একটা নাম রাখতে হবে । যেই নাম দিয়েই আপনি ক্রেতার কাছে আকর্ষণ করতে পারবেন আপনার সার্ভিসের বিষয়ে । আশেপাশে পরিচিত সুন্দর শব্দগুলো থেকেই সঠিক উপায়ে নাম নির্ধারণ করতে হবে । একটা নাম এখানে অনেক কিছু অর্থ বহন করে । এরপর ডোমেইন প্রোভাইডাররা পুরো কন্ট্রোল প্যানেল দিচ্ছে নাকি সেটা খেয়াল রাখতে হবে। আপনাকে সিক্রেট কোড দিচ্ছে নাকি সেটা দেখতে হবে ।   তারপর খেয়াল রাখতে হোস্টিং এর ব্যাপারে । কত পরিমান ডাটা এবং কত ব্যান্ডউইথ নিয়ে আপনাকে কাজ করতে হবে সেই বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে । কতজন আপনার সাইট একসাথে ভিজিট করতে সক্ষম তার সম্যক একটা ধারণা অবশ্যই আপনাকে রাখতে হবে আর তা না হলে Website Temporary Unavilable এর সমস্যায় পরতে হতে পারে যার ফলে আপনার সাইটের সুনাম ধরে রাখতে পারবেন না , CPU Use Limit এর সমস্যার জন্যে এটি হয় অর্থাৎ বেশি ভিজিটর আসলে এই সমস্যায় পরতে হয় এবং সেই হিসেব করেই আপনাকে তাই নিতে হবে আপনার পছন্দমত হোস্টিং প্ল্যান । ডেডিকেটেড হোস্টিং সার্ভার প্ল্যান নিতে হবে । লিনাক্স , ভিপিএস কিংবা ক্লাউড হোস্টিং প্ল্যানের মতন আপনাকে একটা প্ল্যান নিতে হবে আপনার হোস্টিং সাপোর্ট প্রতিষ্ঠান যেইরকম প্ল্যান সেবা দিয়ে থাকে। শেয়ারড হোস্টিং নেয়া যাবেনা , এতে করে সাইট স্লো হওয়ার সম্ভাবনা যথেষ্ট থাকে কারণ এই হোস্টিং এ অনেকের একাধিক সাইট শেয়ারড অবস্থায় থাকে আর তাই সাইট স্লো হয় । তাই হাইস্পিড ,খরচ , আপটাইম , সার্ভিস সবকিছু খেয়াল করে প্ল্যান নিতে হবে। ব্যাকআপ কতদিন দিবে এই প্ল্যানে সেই ব্যাপারেও আপনাকে খেয়াল রাখতে হবে । প্ল্যানে ব্যাকআপ কি কয়েকদিন দেয়ার কথা থাকবে নাকি সপ্তাহ নাকি মাস থাকবে সেই ব্যাপারে আপনার ধারণা রাখতে হবে । SSL সার্ভিস নেয়া যায় , আর সাইটের নিরাপত্তার জন্যে SITE LOCK সার্ভিস এবং হোস্টিং এ ব্যবহার করতে পারেন CDN সার্ভিস ।

 

৭। ওয়েবসাইট এর প্ল্যাটফরম তৈরি

ওয়েবসাইট এর প্ল্যাটফরম কি হবে এবং কোনটি সহজ সবকিছু বিবেচনা করে CMS কিংবা কনটেন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম সিলেক্ট করতে হবে ।

 

কয়েকটি উল্লেখযোগ্য (CMS কিংবা কনটেন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম )

Opencart    – আকর্ষণীয় ডিজাইন এবং সহজে ব্যবহার উপযোগী ওপেনসোর্স কনটেন্ট

                       ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম হিসেবে এটি ব্যবহার করা যায় ।

Magento      – Zend Framework এ তৈরি জনপ্রিয় একটি কনটেন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম এটি ।

                     বিভিন্ন ধরণের জনপ্রিয় ফিচার রয়েছে ই-কমার্স এর জন্যে জনপ্রিয় এই ফ্রি                   

                       ওপেনসোর্স ম্যাজেন্টো’তে ।

Presta shop      – ফ্রি ওপেনসোর্স ভিত্তিক একটি CMS বা কনটেন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম এটি ।

                       সুন্দর এবং আকর্ষণীয় ডিজাইনের জন্যে এটি বেশ জনপ্রিয়।

Zencart          – জনপ্রিয় একটি ওপেনসোর্স ভিত্তিক CMS হচ্ছে জেনকার্ট ।

Woocommerce – ওয়ার্ডপ্রেসের মাধ্যমে আকর্ষণীয় সাইট তৈরি করা যায় Woocommerce এর দ্বারা ।

                       একটি ওয়ার্ডপ্রেস প্লাগিন এটি ।

 

৮। কিওয়ার্ড রিসার্চ–

কিওয়ার্ড রিসার্চ একজন উদ্যোক্তাকে তার নেয়া উদ্যোগের ক্ষেত্রে অনেক এগিয়ে নেবে । কিওয়ার্ড নিয়ে নিজের সম্ভাব্য প্রোডাক্ট নিয়ে রিভিউ লিখে ব্লগ করা যেতে পারে । সার্চ ইঞ্জিনে যেসব প্রোডাক্ট কিওয়ার্ড নিয়ে মানুষ বেশি সার্চ করে সেইসব কিওয়ার্ড নিয়ে ই-কমার্স সাইটের ব্লগে কাজ করা উচিত নিজের প্রোডাক্ট এর ওপর । এতে করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এবং ব্লগের মাধ্যমে ক্রেতার কাছে নিজের কোম্পানির প্রোডাক্ট সম্পর্কে তথ্য তুলে ধরা যাবে । পেইড টুল লংটেল প্রো ( Long tail pro v3) সফটওয়্যারটি www.longtailpro.com/ থেকে কিনে ব্যবহার করা যায় এবং পেইড ও ফ্রি টুল Moz দিয়ে কিওয়ার্ড রিসার্চ করা যাবে । 

 

৯। মার্কেটিং – 

যত ভালো অবস্থাই থাকুক প্রতিষ্ঠানের , আপনি ঠিকমত যদি মার্কেটিং করতে না পারেন তবে আপনি আপনার কাস্টমারদের কাছে পৌঁছাতে পারবেন না । আর কাস্টমারদের কাছে পৌঁছাতে না পুরো ব্যবসাই লাভের দেখা পাবেনা । সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো সঠিক ব্যবহার করতে হবে , ফেসবুক , টুইটার সহ অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পেইড বিজ্ঞাপন করতে হবে । পেজ প্রমোট করতে হবে , সাথে পেজ থেকে বুস্টপোস্ট করতে হবে । এছাড়া এসইও , ইমেইল মার্কেটিং , এসএমএস মার্কেটিং , পোস্টারিং , লিফলেট , ডিজিটাল বিজ্ঞাপন সবকিছুর নিয়ে চিন্তা করতে হবে একজন উদ্যোক্তাকে তার বাজেট অনুযায়ী । বাজেট যেমন হবে সেইরকম চিন্তা রেখে মার্কেটিং করতে হবে । তবে আপনাকে ধরে রাখতে হবে মূল ব্যবসায়ের ৩৫-৪৫% এর মতন অর্থ ব্যবস্থা রাখতে হবে নূন্যতম মার্কেটিং এর জন্যে । এতে করে ক্রেতার কাছে সহজে আপনি আপনার প্রোডাক্ট নিয়ে পৌঁছাতে পারবেন । 

 

 

১০। পেমেন্ট সিস্টেম –

পেমেন্ট প্রসেস কি হবে সেই সম্পর্কে ভালোরকম ধারণা পোষণ করতে হবে একজন নতুন উদ্যোক্তাকে । ক্যাশ অন ডেলেভারি এবং অনলাইন পেমেন্ট দুইটি মাধ্যমের ব্যবস্থা রাখতে হবে । ক্রেতাকে সময়ের সাথে সাথে অনলাইনে পেমেন্ট করে কেনাকাটায় আগ্রহী করে তুলতে চেষ্টা করতে হবে । এতে করে কেনাকাটার পদ্ধতি এবং লেনদেন অনেক সহজতর হবে এবং ক্যাশ অন ডেলেভারি প্রসেস পুরোপুরি ব্যবস্থা করতে হবে । SSL ব্যবস্থা রাখা উচিত সাইটে যাবতীয় অনলাইন পেমেন্ট নিরাপত্তা রাখার পাশাপাশি । (SSL কি , কিভাবে কাজ করে তার বিস্তারিত )

 

১১। প্রোডাক্ট ডেলিভারি–

প্রোডাক্ট ডেলিভারির সময় ট্রেকিং পদ্ধতি চালু করতে পারলে খুব ভালো হয়। প্রোডাক্ট এখন কোন এলাকায় আছে তা যদি জানা যায় তবে ক্রেতা এবং বিক্রেতার মধ্যে এক দারুণ সমন্বয় ঘটবে । প্রোডাক্ট ঠিকমত ক্রেতার কাছে পৌঁছাতে কত সময় লাগবে তা সঠিক নিরূপণ করে ক্রেতাকে জানানো সম্ভব হলে তা ক্রেতার কাছে সেই প্রতিষ্ঠান থেকে কেনার ব্যাপারে দারুণ আগ্রহী করে তুলবে । প্রোডাক্ট ডেলিভারির সময় খুব সুন্দরভাবে কোম্পানির লোগোর মোড়ানো পেপার দিয়ে প্যাকিং করে দিতে হবে এবং প্রোডাক্ট এর গুণগতমান যেন ভালো থাকে তা লক্ষ্য রাখতে হবে । তাহলে ক্রেতা ভালো প্রোডাক্ট পাবে ।

 

১২ । কাস্টমার সাপোর্ট– 

অনেক সময় প্রোডাক্ট নিয়ে অনেক সমস্যা হয় । সেই বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের জন্যে ২৪ ঘণ্টা কাস্টমার সাপোর্ট ব্যবস্থা করতে হবে ,যা ক্রেতার সন্তুষ্টি অনেকাংশে বৃদ্ধি করবে । ক্রেতার সাথে ভালো ব্যবহার করতে পারা ব্যবসার এক গুরুত্বপূর্ণ দিক । ক্রেতা কাস্টমার সাপোর্ট পেয়ে সন্তুষ্ট হলেই পরবর্তীতে সেই ব্যক্তি একই প্রতিষ্ঠান থেকে আগ্রহী হবে প্রোডাক্ট কিনতে । কোন সমস্যা হলো কিনা ডেলেভারি নিয়ে তা জেনে নেওয়া এবং কি ধরণের সেবা ক্রেতা চাচ্ছেন তা সম্পর্কে জেনে নিবে । ভালো কাস্টমার সাপোর্ট দেই যেই প্রতিষ্ঠান সেই প্রতিষ্ঠানের এইদিক দিয়ে মার্কেটিং এর ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখে । কারণ ক্রেতা সন্তুষ্ট হয় এবং সাথে আরও কয়েকজনকে প্রতিষ্ঠানের ভালো সার্ভিসের ব্যাপারে জানায় মানুষকে । সবকিছুই একটা ভালো দিকে এই ক্ষেত্রে ।

১৩। টিম ম্যানেজমেন্টঃ

কোন বিষয়ে কোন মানুষ দক্ষ সেটা যদি একজন উদ্যোক্তা বুঝতে না পারেন তাহলে সমস্ত প্রসেস চেইন ঠিকমত কাজ করবেনা । সাপ্লাই থেকে শুরু করে পুরো প্রসেস এবং পেমেন্ট , প্রোডাক্ট সোর্সিং সব বিষয়গুলো একটি ডিপার্টমেন্ট আরেকটি ডিপার্টমেন্ট এর সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত । প্রতিটি পদক্ষেপ তখনই হওয়ার সম্ভাবনা থাকে সফল যখন প্রতিটি ডিপার্টমেন্ট এর লোক ঠিকমত কাজ করে দক্ষতার সাথে । এইজন্যে ট্রেনিং সেশন প্রতিষ্ঠানে চালু রাখা উচিত । কারো পারফর্ম নেমে গেলেই তাকে ট্রেনিং সেশনে পাঠিয়ে দক্ষতা বৃদ্ধি নিয়ে কাজ শেখানো এবং দক্ষতা বৃদ্ধির ওপর কাজ করা দরকার । সমস্যা বুঝতে হবে টিমের । কে আসলে কোথায় বাঁধা পরছে ,সেই জায়গায় কাজ করতে হবে । তবেই প্রতিষ্ঠান ভালো করবে ।

১৪। বাজেট নির্ধারণঃ 

সব উদ্যোগ ও কাজগুলো সম্পূর্ণ করতে চাই একটি সুনির্দিষ্ট বাজেট । কখন, কোথায়, কিভাবে, কত পরিমাণ বাজেট নির্ধারণ করতে হবে তার সম্ভাব্যতা যাচাই করতে হবে । প্রতিষ্ঠান শুরুর পূর্ববর্তী রিসার্চ করার সময়ই ব্যাপারগুলো উঠে আসে । যেই পরিমান অর্থ নিয়ে প্রতিষ্ঠান দাঁড় করানোর দরকার মনে করছেন ,ঠিক সেই পরিমান টাকা আপনার সাপোর্টিং বাজেট হিসেবে রাখুন । যাতে প্রতিষ্ঠান দাঁড় করানোর সময় কিংবা দাঁড় করানোর পরেও কোনরুপ সমস্যার সম্মুখীন হলে সেই সাপোর্টিং বাজেট আপনাকে সহায়তা করতে হবে । এটা অবশ্যই আমাদের দেশে উদ্যোক্তাদের ব্যবসার শুরুতেই ভাবা উচিত । ঠিক একই পরিমান বাজেট , যে বাজেট নিয়ে আপনি ব্যবসা করছেন সেটা কিভাবে খরচ করবেন কোন খাতে সেটাও লক্ষ্য রাখতে হবে । ৩৫-৪০ ভাগ বাজেটের টাকা মার্কেটিং , ৩৫-৪০ ভাগ প্রোডাক্ট ও প্রোডাক্ট কোথায় পাওয়া যায় , আনার বিষয়ে বাজেট ধরতে হবে এবং কারিগরি দিক ও প্রতিষ্ঠান চালানো খরচ ২০-২৫ ভাগ বাজেট রাখতে হবে । বাজেটের আকারভেদে আপনার ইচ্ছেয় বিভিন্ন বিষয় বুঝে সেই হিসেবে সঠিকভাবে বাজেট রাখতে পারেন ।

ব্যবসার প্রতি ধাপ ব্যবসার সামনের দিক ঠিক করবে ।

সবাইকে শুভেচ্ছা, ভালো থাকবেন ।     

19
শখের বসে ২০ হাজার টাকা পুঁজি নিয়ে ব্যবসা শুরু করেছিলেন গৃহবধূ তনুজা রহমান মায়া। নিরলস প্রচেষ্টা আর অক্লান্ত পরিশ্রমে তিনি এখন দেশের একজন শ্রেষ্ঠ নারী উদ্যোক্তা। ৩ হাজারের অধিক নারী-পুরুষকে হস্তশিল্প পণ্য তৈরি করে জীবিকা নির্বাহের সুযোগ করে দিয়েছেন। তারা কাপড়ে সুই-সুতা দিয়ে নকশি কাঁথা, নকশি চাদর, হাতের কাজের শাড়ি, থ্রি-পিস, পাঞ্জাবি, ফতুয়া, টুপিসহ ৪০ ধরনের পণ্য তৈরি করছে। প্রতি মাসে এসব শ্রমিকের বেতন দেয়া হয় ১২ লাখ টাকার ওপর। তনুজার হ্যান্ডিক্র্যাফট ব্যবসায় এখন বিনিয়োগ তিন কোটি টাকা।

কথা হয় সফল এ নারী উদ্যোক্তা যশোরের তনুজার সঙ্গে। তিনি তুলে ধরেন তার সাফল্যের ইতিবৃত্ত। তনুজার শুরুটা ছিল শখের। পরবর্তীতে প্রয়োজনের তাগিদে নিজের পায়ে দাঁড়ানোরও একটা প্রচেষ্টা ছিল। পুরনো দিনের স্মৃতি তুলে ধরে তনুজা বলেন, ‘একদিন আমার স্বামীকে কিছু টাকা ধার দিই। পরে স্বামীর কাছে ধারের টাকা চাইলে আর ফেরত দেয় না। স্বামী বলে তোমার কিসের টাকা? তুমি কি ইনকাম কর? তখন থেকে মনে জেদ আসে। সেই জেদ থেকেই ১৯৯৬ সালে হ্যান্ডিক্র্যাফটের ব্যবসা শুরু।’

উচ্চমাধ্যমিক পাস তনুজার বিয়ে হয় কিশোরী বয়সে অষ্টম শ্রেণীতে পড়া অবস্থায়। ১৯৯৮ সালে তার স্বামী মারা যান। দুই ছেলে ও এক মেয়ের জননী তনুজা। বড় ছেলে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং পাস করে চাকরি করছে। মেয়ে ক্যান্টনমেন্ট কলেজে বিবিএ পড়ছে। উদ্যোক্তা হিসেবে তনুজার যাত্রা শুরু ১৯৯৬ সালে। তখন ঘরে বসেই সেলাইয়ের কাজ করতেন। তারপর গড়ে তোলেন রঙ হ্যান্ডিক্র্যাফট নামে একটি প্রতিষ্ঠান।
১০ থেকে ১২ জন কর্মী নিয়ে লড়াইটা শুরু হয়। চার বছর পর্যন্ত কঠোর সংগ্রাম করতে হয়েছে তনুজাকে। এরই মধ্যে যশোর শহরে তার সুনাম ছড়িয়ে পড়ে, চাহিদা বাড়তে থাকে তার তৈরি পণ্যের। চার বছর পর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি শুধু সামনে এগিয়ে যাওয়ার পালা।

মাত্র ২০ হাজার টাকা দিয়ে শুরু করা তনুজার হ্যান্ডিক্র্যাফট ব্যবসায় এখন বিনিয়োগ তিন কোটি টাকা। এর মধ্যে এসএমই ফাউন্ডেশনের লোন নেয়া আছে ৭৫ লাখ টাকা। আর ব্যাংক থেকে তিনি দেড় কোটি টাকা সিসি লোন নিয়েছেন। যশোরের রেলগেটসংলগ্ন মুজিব সড়কে প্রথমে ছোট একটা শোরুম চালু করেন, সঙ্গেই ফ্যাক্টরি। যেসব পণ্য তৈরি হতো তার বাজার যশোর শহরের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল। গুণগত ও মানসম্মত হওয়ায় তার পণ্য অল্প সময়ের মধ্যে সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ে। সফল হওয়ার পেছনে গোপন রহস্য কী জানতে চাইলে তনুজা বলেন, আমি মানের সঙ্গে কখনোই আপস করিনি, করবও না। এ কারণে টিকে আছি। তিনি বলেন, সামাজিক, পারিবারিক প্রতিবন্ধকতা প্রথমে কাজ করতে গিয়ে অনুভব করেছি। তারপরও প্রাচীন বাংলার নকশাকে তুলে ধরার মাধ্যমে আমার পণ্যে দেশি কাঁচামাল ব্যবহার করছি, যা ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। তিনি আরও বলেন, এখন প্রতিষ্ঠান বড় হয়েছে। বহু মানুষ কাজ করছে। দরকার ছিল ব্যাংক ঋণের। কিন্তু পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে এ ব্যাপারে এগিয়ে আসে এসএমই ফাউন্ডেশন। বাণিজ্যিক ব্যাংকের মাধ্যমে তারা জাতীয় এসএমই নারী উদ্যোক্তা হিসেবে আমাকে ঋণ দেয়। ফলে এখন আমাকে আর অর্থ নিয়ে চিন্তা করতে হয় না। ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমার তৈরি পণ্য ব্র্যান্ড হিসেবে সুপ্রতিষ্ঠিত করতে চাই। পাশাপাশি কর্মসংস্থান ৩ থেকে বাড়িয়ে ৫ হাজারে উন্নীত করব, এটা আমার স্বপ্ন। তিনি বলেন, নিজের পায়ে দাঁড়ানোর পর যখন দেখি গ্রামে মেয়েদের আয়-রোজগার দরকার, তখন আর বসে থাকতে পারলাম না। আমার এখানে কাজ করার পর অনেক মেয়ের ভাগ্য বদলে গেছে। এটা দেখে বুকটা ভরে যায়।

তনুজা বলেন, ব্যবসা করতে গিয়ে ট্যাঙ্ বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে। এ বিড়ম্বনার কারণে অনেক ব্যবসায়ী ট্যাঙ্ দিতে আগ্রহ দেখান না। অনেকে বাধ্য হয়ে ট্যাঙ্ দেন। বিশেষ করে যারা ব্যাংক লোন নিয়ে ব্যবসা করছেন তারা ভোগান্তি স্বীকার করে ট্যাঙ্ দিচ্ছেন। তনুজা মনে করেন, ট্যাঙ্ প্রক্রিয়া সহজ এবং পরিমাণটা কম হওয়া উচিত। তাহলে সব ব্যবসায়ী ট্যাঙ্ দিতে উৎসাহী হবে। তিনি বলেন, এক সময় যে তরুণরা আড্ডা আর ক্যারাম খেলে সময় পার করত তাদের কারচুপির কাজ শিখিয়েছি। কারচুপির কাজ করে একটা ছেলে এখন সপ্তাহে ৫ থেকে ৬ হাজার টাকা আয় করছে। এ টাকার ৭০ শতাংশ তাদের দেয়া হয়। বাকি ৩০ শতাংশ প্রভিডেন্ট ফান্ড হিসেবে রেখে দেয়া হয়। প্রভিডেন্টের এ টাকা তাদের প্রতি বছরের রমজান মাসে দিয়ে দেয়া হয়। যাতে তারা ঈদ ভালোভাবে করতে পারে।

তনুজার ফ্যাক্টরিতে কথা হয় জনি ও আসাদুল নামের দুই কর্মচারীর সঙ্গে। এ দুইজন মাসে ৩৫ থেকে ৪০ হাজার টাকা আয় করেন। দুইজনকে ভারতের মুম্বাই থেকে প্রশিক্ষণ করিয়ে এনেছেন তনুজা। তনুজার কারখানার শ্রমিক জনি বলেন, একটি পাঞ্জাবির ডিজাইন করতে অনেক সময় লেগে যায়। দিনে মাত্র দুই থেকে তিনটি পাঞ্জাবির কাজ করা যায়। তনুজা জানান, বাংলাদেশে হস্তশিল্পের যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে, প্রয়োজন সহযোগিতা ও অনুকূল পরিবেশ। নারীদের জন্য ব্যাংক ঋণ পাওয়াটা খুবই কঠিন বলে জানান তিনি।তার মতে, সহজ শর্তে ও কম সুদে ঋণ পাওয়া গেলে এ দেশে অসংখ্য নারী আছে, যারা বড় উদ্যোক্তা হতে পারেন। প্রথমদিকে তিনি নিজেও এ সমস্যা মোকাবিলা করেছেন। তবে এমএমই ফাউন্ডেশন এবং বাণিজ্যিক ব্যাংক তাকে সহযোগিতা করায় ব্যবসাটা প্রতিষ্ঠিত করতে পেরেছেন।

ব্যবসা করে শুধু অর্থ উপার্জনই করেননি, পেয়েছেন কাজের স্বীকৃতিও। দারিদ্র্যবিমোচন ও কর্মসংস্থানে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ২০১০ সালে তিনি পেয়েছেন জাতীয় এসএমই নারী উদ্যোক্তা পুরস্কার। ২০১৩ সালে পেয়েছেন শিল্প মন্ত্রণালয়ের কোয়ালিটি অ্যাঙ্গেলিন্ট অ্যাওয়ার্ড।

20
ই–কমার্সে নানা ধরনের কাজ করতে হয়। সেটা হতে পারে,  আপনার সাইট বানানো থেকে , রিসার্চ করা ,  হোস্টীং নেয়া ,  বিভিন্ন ধরনের অনলাইন সেবা ,  ইত্যাদি। এদের সব কিছুর জন্যে অনলাইনে কোন না কোন সাইট বা জায়গা আছে যেখান থেকে আপনি এই সেবাগুলো নিতে পারেন। সমস্যা যে আপনি যদি সঠিক না জানেন ঠিক কোথা থেকে সেবাগুলো নিতে হবে তাহলে খুব স্বাভাবিকভাবেই আপনাকে গুগল সার্চ করে করে হয়রাণ হতে হবে। কেমন হয় যদি   ই–কমার্সে দরকারি সব টুলের একটা তালিকা করা যায়।

টুলগুলোকে কয়েকটি ক্যাটাগরিতে ভাগ করা যেতে পারেঃ

শপিং কার্ট

অনলাইন সার্ভিস

আউট সোরসিং

রিসার্চ

শপিং কার্ট

শপিং কার্ট

ম্যাজেন্টো

Magento-Logo

সাধারণত যারা ই–কমার্স ব্যবসায়ে নিজেদেরকে ইতিমধ্যেই শক্ত ভিতের মধ্যে নিয়ে গেছেন তারা ম্যাজেন্টো ব্যবহার করতে পারেন। এটির যেমন অনেক শক্তিশালী সব ফিচার আছে তেমনি এটিকে বেশ জটিল একটি সিএমএস ও বলা যেতে পারে। যারা ই –কমার্সে নতুন তাদের ম্যাজেন্টোতে না যাওয়াই ভাল। আপনি যদি সিএমএসে আগেই থেকেই বেশ ভাল ধারনা রাখেন অথবা আপনার সিএমএস ব্যবস্থাপনার জন্য পর্যাপ্ত বাজেট থাকে তবে আপনি ম্যাজেন্টোতে যেতে পারেন।

এটা শেখা বেশ কঠিন ।আর এটি রিসোচ হাংরি বলে পরিচিত। আপনি যদি ভাল গতিতে কাজ করতে চান তবে গুনগত মানের ওয়েব হোস্টের জন্য পয়সা খরচ করতে হবে। এসব কারনে নতুনদের জন্য এই সিএমএস টি উপযোগী নয় । রবং নতুনদের জন্য শপিফাই অনেক বেশি সহজ ও কার্যকর।

আপনি যদি সার্ভার বা কোডিং সম্পর্কে তেমন কিছু না জানেন। আপনার জন্য শপিফাই অনেক বেশি উপযোগী। এর মাধ্যমে আপনি সেসব না জেনেও আপনার অনলাইন স্টোরটি শুরু করতে ও ব্যবস্থাপনা করতে পারেন। আপনি ব্যবসায়ের শুরুতে শপিফাইকে বেছে নিতে পারেন। তবে যখন আপনার ব্যবসায় বাড়তে থাকবে তখন ফিচার সমৃদ্ধ কাস্টমএবল সলিউশান বেছে নিতে পারেন। তবে নিজের ব্যবসায়কে শক্ত একটা ভিতের উপর দার না করিয়ে শপিং কার্টের জন্য অর্থ বিনিয়োগ না করাই ভাল।

ব্যবসায়ের শুরুর দিকে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় গুলো হচ্ছে ভাল একটি নিস বাছাই  করা,  আপনার ক্রেতাদেরকে বোজার চেষ্টা করা ,ক্রেতাদের চাহিদা বোজার চেষ্টা করা , এবং ব্যবসায়ের প্রচারের জন্য মার্কেটিংর খুঁটি নাটি বোজা।  এগুলো ভালভাবে আয়ত্ত করা অনেক ফিচার সহ,  ফেন্সি  কোন শপিং কার্ট বেছে নেয়ার চেয়ে অনেক গুরুত্বপূর্ণ। একারনেই শুরুর দিকে আপনি ই –কমার্স ব্যবসায়ের জন্য শপিফাইকে বেছে নিতে পারেন। এতে করে আপনি আপনার স্টোরকে দ্রুত অনলাইনে নিয়ে আসতে পারবেন। যেহেতু এটি ব্যবহারে আপনাকে তেমন জামেলা পোহাতে হবে না বা খুব বেশি সময় দিতে হবে না তাই আপনি ব্যবসায়ের অন্য সব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোতে অনেক বেশি সময় দিতে পারবেন।

ওপেন কার্ট

opencart-web-design

আরো বেশি নিয়ন্ত্রন ও কাস্টমাজেশনের জন্য আপনি যদি নিজের স্টোরটিকে হোস্ট করতে চান তবে ওপেন কার্ট হতে পারে দারুন এক সমাধান। তবে কথা থাকে যে, আপনি অবশ্যই ম্যজেন্টের মত রিসোচ হাংরি , জটিল কিছু চাইতে পারবেন না। ওপেন  সোরছ পিএইচপি পাওয়ারড শপিং কার্ডগুলোর মাজে এটি অন্যতম। এটি বেশ সাদামাটা , পরিষ্কার । একই সাথে এর আছে দারুন সব ফিচার। এই ক্ষেত্রে আপনি আরো অনেক কিছুই বেছে নিতে পারেন যেমনঃ ও এস কমার্স ,  এক্স–কার্ট এবং জেন্ড কার্ট। তবে আমি মনে করি এগুলোর মধ্যে ওপেন কার্ট  সবচেয়ে এগিয়ে।

ই– কমার্স ওয়েব সার্ভিস

 জেন ডেস্ক

 এটিকে আপনার সাইটের সব কাস্টমারদের সব ধরনের সার্ভিস ভান্ডার বলা যেতে পারে। আর এটি খুব ভাল একটি ফিচার হল আপনি এটিকে আপনার নিজের মত করে কাস্টমাইজ করে নিতে পারবেন। যেমন আপনার সাইটে অনেক সময়ই কাস্টমাররা বিভিন্ন পণ্য বা সেবা সম্পর্কে জানতে চায়, বা বিভিন্ন বিষয়ে তাদের জিজ্ঞাসা থাকে,  এরকম ক্ষেত্রে আপনি সাধারণ কিছু জিজ্ঞাসা বা কুইরির অটোমেটেড রিপ্লাই বানিয়ে নিতে পারবেন অথবা কোন নিদ্রিস্ট বিষয়য়ে কোন নিদ্রিস্ট এজেন্ট এসাইন  করতে পারেন বা আপনার টিমের সাথে একজন কাস্টমারের আলাপচারিতার সমস্ত ইতিহাস ট্রাক করতে পারেন। তাদের কাস্টমার সাপোর্ট ও খুবই চমৎকার।

এউয়েবার

AWeber-Review

এটি অনলাইনে সবচেয়ে জনপ্রিয় ইমেইল মার্কেটিং সেবাগুলোর একটি। এর সেবা আপনি ব্যবহার করতে পারেন আপনার ই–কমার্স সাইট বা ব্লগে। তাদের কাস্টমার সাপোর্ট ভাল , তাদের রয়েছে অসাধারন সব ফিচার এবং দাম ও যোক্তিক পর্যায়ে।

পেডি এক্ট

logo_padiact

ভিজিটরদের লিড বা ক্রেতায় পরিণত করতে না পারলে ই–কমার্সে সফলতা আসবে না। পেডি এক্ট ঠিক এই কাজটি করতে সাহায্য করে থাকে। তারা মুলত সঠিক ভিজিটরদের টার্গেট করে অনেক বেশি ইমেইল লিড এবং সাবস্ক্রাইবার এনে দেবার কাজটি করে থাকে। সঠিক ভিজিটর টার্গেট করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় যেমনঃ আপনি যদি একজন ছেলে ভিজিটরের কাছে মেয়েদের প্রসাধনী বিক্রি করতে চান বা একজন মেয়ে ভিজিটরকে টার্গেট করেন ছেলেদের পোশাক বিক্রি করতে তবে এ কথা বলাই যায় যে , আপনার সফল হবার সম্ভাবনা খুবই কম থাকবে। পেডি এক্ট সঠিক ভিজিটরদের টার্গেট করে তাদের ব্যবহারকারীদের জন্য ৩ মিলিয়নের বেশি লিড এবং সাবস্ক্রাইবার সংগ্রহ করেছে ।

আসানা

asana_logo

আপনার ই–কমার্স ব্যবসায়ে যদি আপনার একাধিক বড় প্রজেক্ট থাকে, অনেক ব্যক্তিগত কাজ থাকে যেগুলো আপনাকে প্রতিদিন সম্পাদন করতে হয়। তবে খুব স্বাভাবিকভাবেই এত এত প্রজেক্ট , আর কার্যতালিকা সামলাতে আপনাকে হিমসিম খেতে হয়। এ ব্যপারে আপনাকে সাহায্য করতে পারে আসানা। এটি আপনার সব বড় প্রজেক্ট এবং আপনার কাজের তালিকাকে একসাথে করে আপনার কাজে গতি এনে দিতে সাহায্য করবে। এর ফলে আপনি বা আপনার দল থাকবে সংগঠিত । আর সব কাজগুলো তাদের গুরুত্ব অনুসারে করতে পারবেন। এর খুব সুন্দর একটি ইন্টারফেস রয়েছে। আর যেহেতু এটি ব্যবহারে আপনাকে কোন অর্থ ব্যয় করতে হবে না তাই আপনি এর মাধ্যমে বাড়িয়ে নিতে পারেন আপনার ব্যবসায়। এটি ৩০ বা তার কম সংখ্যক কর্মী আছে এমন ব্যবসায়ের জন্য আদর্শ ।       

 

এসইও মস

SEOmoz

 এটি যেহেতু বিনামুল্যের নয় তাই ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের জন্য উপযোগী নয়। তবে যাদের মাসে ৯৯ ডলার ব্যয়ের সামর্থ্য আছে তারা এটি ব্যবহার করে দেখতে পারেন। এর প্রো মেম্বারশিপ নিলে আপনি এসইওর জন্য বিভিন্ন ধরনের অনেক টুল ব্যবহারের সুযোগ পাবেন। যেগুলো আপনাকে আপনার ব্যবসায়ের গভীরে নিয়ে যাবে যেখান থেকে আপনি এমন সব তথ্য পাবেন যেগুলো আপনাকে ব্যবসায় বাড়িয়ে দেবার জন্য গুরুত্বপূর্ণ সব সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করবে।       

গুগল এনালিটিক্স

 Google-Analytics

আপনার সাইটে আসা ভিজিটরদের সম্পর্কে আপনাকে ভাল ধারনা রাখতে হবে ,  তারা কি পছন্দ করে, কখন পছন্দ করে,  তাদের ডেমোগ্রাফিক তথ্য সহ অনেক তথ্য আপনার হাতে থাকা জরুরী। এসব তথ্যের আলোকে আপনি আপনার ব্যবসায় পরিকল্পনা সাজাবেন এবং সফলতার পথে এগিয়ে যাবেন। গুগল এনালিটিক্স আপনাকে এসব তথ্য পেতে সাহায্য করবে। এটি ব্যবহারে কোন অর্থ ব্যয় করতে হবে না। ট্রাফিক   তথ্য সম্পর্কিত দারুন সব ফিচার রয়েছে এই টুলে। এটি ব্যবহারে সাইটের মালিকানা থাকা অবশ্যক। এটি  আপনার সাইটে অন্তর্ভুক্ত করা খুব সহজ। আর আপনার প্রস্তাবিত পরিবর্তন ,উন্নতির সুপারিশ বা পরীক্ষা,  নিরীক্ষা আপনি আপনার সংগ্রহ করা সব তথ্যের উপরই প্রয়োগ করতে পারবেন।

লাস্ট পাসLastPassLogoShadow

 

পাসওয়ার্ড মনে রাখা এক বিরাট যন্ত্রণার ব্যপার।আপনাকে প্রতিদিন মনে রাখতে হয় জিমেইল , ইয়াহু মেইল,  ফেসবুক, টুইটার ,  পিন্টারেস্ট , লিঙ্কডইন সহ আরো অনেক অনেক সাইটে লগ ইনের পাসওয়ার্ড যেগুলো প্রতিনিয়ত এসব সার্ভিস নিতে বা সাইটে প্রবেশ করতে দরকার হয়। এখন প্রশ্ন আপনি এক মাথায় কতগুলো পাসওয়ার্ড মনে রাখবেন? একটা সমাধান হল এক পাসওয়ার্ড সব একাউন্টে ব্যবহার করা। আপনি এটা করতে পারেন কিন্তু সেটা কোনভাবেই নিরাপদ সমাধান নয় । কেননা আপনি যদি নিরাপত্তার কথা ভাবেন, তবে পাসওয়ার্ড দেয়া হয় আপনার একাউন্ট যাতে নিরাপদ থাকে তার জন্য , যখন আপনি একটি মাত্র পাসওয়ার্ড সব জায়গায় ব্যবহার করবেন তখন যেকোন সময় আপনি বড় ধরনের বিপদে পরে যেতে পারেন মানে কেউ যদি মানে কোন দুষ্ট লোক যদি আপনার কোন অসতর্ক মুহূর্তকে কাজে লাগিয়ে বা কোনভাবে আপনার পাসওয়ার্ড জেনে যায়। তবে সে আপনার সব একাউন্টের পাসওয়ার্ড একেবারে পেয়ে গেল। মানে আপনার সব একাউন্ট একসাথে হেকড হয়ে যেতে পারে বা যাবার জোর সম্ভাবনা থেকে গেল! আর এজন্য সব একাউন্টের পাসওয়ার্ড আলাদা আলদা হওয়া জরুরী। সেক্ষেত্রে সব পাসওয়ার্ড মনে রাখার ব্যপারটি চলে আসে। এতগুলো পাসওয়ার্ড একসাথে মনে রাখা খুবই কঠিন অনেক ক্ষেত্রেই তা অসম্ভব ও বটে। তাহলে এসবের নিরাপদ সমাধান কি ?   আপনি পাসওয়ার্ড ম্যনেজার লাস্টপাস ব্যবাহার করতে পারেন। এটি ব্যবাহার করে আপনি প্রতিটি একাউন্টেরব জন্য আলাদা ইউনিক পাসওয়ার্ড ব্যবহার করতে পারবেন আর সব পাসওয়ার্ড আপনি উদ্ধার করবেন একটি মাস্টার পাসওয়ার্ড দিয়ে। এখানে আপনি যেটা করবেন তা হল অবশ্যই মাস্টার পাসওয়ার্ড টিকে সুপার সিকিউরভাবে বানিয়ে নিবেন। ব্যাস , আপনার সব একাউন্ট এখন থেকে থাকবে নিরাপদে আর আপনি থাকবেন নিশ্চিন্ত ।

আউট সোরসিং

ওডেস্ক

upwork-logo-1200

ই– কমার্সে বিভিন্ন কাজ করাতে হয়,  যেমন সাইট ডেভেলেপের,  গ্রাফিক্সের , কনটেন্ট ডেভেলেপমেন্ট, মার্কেটিং , এসইও , ইত্যাদি ইত্যাদি। এসবের জন্য আপনি দক্ষ নাও হতে পারেন , সেক্ষেত্রে এ কাজগুলো আপনাকে উপরোক্ত নিদ্রিস্ট কাজে দক্ষ কারো সাহায্য নিতে হবে। আপনার জানা শোনা অনেকেই থাকতে পারে যারা এসব কাজে দক্ষ , সেক্ষেত্রে নিতে পারেন তাদের সাহায্য। কিন্তু যদি আশেপাশে সেরকম দক্ষ কাউকে না পান তবে আপনি বিভিন্ন মার্কেট প্লেসে যেতে পারেন। যেখানে নিদ্রিস্ট কাজের উপর দক্ষ অনেক লোক পাবেন। তাদের থেকে বেছে নিতে পারবেন আপনার পছন্দের লোকটিকে। আমি মার্কেট প্লেস হিসেবে ওডেস্ক (এখন যেটি আপ ওয়ার্ক নামে পরিচিত ) কে এগিয়ে রাখবো। এই মার্কেট প্লেসে আপনি আপনার হায়ার করা কর্মীর কাজের প্রতি মুহূর্তের স্ক্রিন শট দেখতে পাবেন যার ফলে আপনি আপনার কাজের জন্য ব্যয় করা অর্থের অপচয় রোধ করতে পারবেন। এর বাইরে এর কমিউনিটি অনেক বড় বিধায় আপনি সারা বিশ্বের যেকোন দক্ষ কর্মীটিকে হায়ার করতে পারবেন নিমিষেই ।

মার্কেট রিসার্চ টুল

গুগল এড ওয়ার্ড

আপনার ই–কমার্স সাইটের সফলতার জন্য কনটেন্ট , এসইও , এবং সাইটের মার্কেটিং এর উপর জোর দেয়া আবশ্যক (ধরে নেয়া হচ্ছে আপনি সবচেয়ে ভাল পণ্য বা সেবা দিবেন একই সাথে দিবেন সবচেয়ে ভাল বিক্রয় উত্তর সেবা)।দীঘমেয়াদে ফল পেতে হলে আপনি শুধু মাত্র ফেসবুক বা সোসিয়াল মিডিয়ার উপর নির্ভরশীল হলে , তা হবে আপনার জন্য খুবিই বিপদ জনক (মহাবিপদ ও বলতে পারেন। ২০১৫ সালে ২২ নভেম্বর থেকে টানা ২২ দিন ফেসবুক বন্ধ থাকা এ মহাবিপদের একটি নমুনা মাত্র )। আর এসইও বা কনটেন্ট মার্কেটিং এর জন্য প্রথমেই আপনাকে জানতে হবে কোন নিদ্রিস্ট একটি টার্মে বা বিষয়ের উপর কত লোক সার্চ করে থাকে বা কোন কোন টার্ম বা বিষয়গুলো জনপ্রিয়। এসব বিষয়ে জানতে বা কিওয়ার্ড রিসার্চ করতে বাজারে অনেক টুল রয়েছে তাদের মধ্যে গুগল এডওয়ার্ড অন্যতম জনপ্রিয়। যেটি একই সাথে ফ্রি ও বটে।   

ওপেন সাইট এক্সপ্লোরার

এসইও নিয়ে কাজ করলে আপনাকে জানতে হবে ব্যাক লিঙ্ক, এঙ্ক র টেক্সট , লিঙ্কিং ডোমেইন সহ আরো অনেক কিছু,  জানতে হবে এদের সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য ও । ওপেন সাইট এক্সপ্লোরার আপনাকে এ ব্যপারে সাহায্য করতে পারে। এটি এসইও মজের একটি ফ্রি টুল (এদের প্রিমিয়াম মেম্বারশিপ ও রয়েছে)। সব সুবিধা পেতে চাইলে মেম্বারশিপ এর জন্য টাকা খরচ করতে হবে। তবে ফ্রি ভারসানে ও আপনি পাবেন প্রচুর দরকারি সব তথ্য।

21
মানসিকতা একটা বিরাট ব্যাপার উদ্যোক্তা হওয়ার জন্য। মানসিকতা থাকতে হবে। এই মানসিকতার মধ্যে রয়েছে ১. স্রোতে গা না ভাসিয়ে দিয়ে অন্যরকম কিছু করার চিন্তা। ২. রয়েছে নিজের আত্মবিশ্বাস রেখে কিছু একটা করে দেখানোর জেদ। ৩. রয়েছে ঝুকি নিয়ে সেটা সামাল দিয়ে মাথা তুলে দাড়ানোর ক্ষমতা ৪. সামনের পথটা অনেক দূর অবধি দেখতে পারার মতো শক্তি। আগামী দিনগুলোতে কি হবে তা বুঝতে হবে এখনই। ৫. এবং কিছু ব্যক্তিগত যোগ্যতা।

১. অন্যরকম কিছু করার চিন্তা।

লেখাপড়া মানে চাকরী করা এই চিন্তাটা মাথা থেকে বের করে ফেলে দিতে হবে। তাহলে এই চিন্তার বাইরে রয়েছে পেশাগত জীবন ও ব্যবসায়। পেশাগত জীবন মানে আইনজীবি, ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার আমি স্বাধীন পেশার কথা বলছি।পেশা বাদ দিলে থাকে ব্যবসায়িক উদ্যোগ। একটা পর্যবেক্ষনে দেখা গেছে। যারা ঠেকায় পড়ে ব্যবসায় করে আর যারা ছাত্রজীবন থেকে উদ্যোক্ত হওয়ার স্বপ্ন দেখে তাদের মধ্যে প্রথম পক্ষই সফল হয় বেশী। আবার যারা বিভিন্ন কাজে ব্যর্থ হয়ে পরিশেশে ব্যবসায় করে তাদের মধ্যে যারা অনেক বেশী চোট খায় তারাই সফল হয়। এই দুই সফল গ্রুপ দুইভাবে ব্যবসায়ের প্রস্তুতি ও শিক্ষা গ্রহণ করে থাকে। প্রথম সফল গ্রুপ যারা ছাত্রজীবনে উদ্যোক্তা হওয়ার স্বপ্ন দেখে আর স্বপ্নকে সফলতার তাড়িয়ে নিয়ে যায় তারা চারপাশের সবকিছু থেকে শিক্ষা প্রহণ করে প্রতিনিয়ত আর নিজের পথটাকে তখনিই ঠিক করে নেয়। আর দ্বিতীয় সফল গ্রুপে যারা রয়েছেন এরা নানা ঘাত প্রতিঘাত ব্যর্থতা ও প্রত্যাখানের মধ্য দিয়ে জীবনের শিক্ষাগুলোকে কাজে লাগাতে শেখে।

এজন্য আমাদের আগে থেকেই উদ্যোক্তা হওয়ার মানসিকতা রাখেতে হবে । কোনো বিশেষ পরিস্তিতিতে যদি তা করা না যায় তাহলে অন্য কিছূ। আমরা চীনের দিকে তাকালে বুঝতে পারি। উদ্যোক্তা হওয়ারি মানষিকতাই তাদেরকে অর্থনীতির মোড়ল বানাচ্ছে। আর তার বিপরীতে আমরা খুব ছোটখাটো জিনিস যেগুলো খুব সহজে তৈরী করা যায় সেগুলো আমরা চীন থেকে আমদানী করি, যেমন ধরুন একটা হাতুড়ী ধরুন একটা সেপটিপিন।একবার ভেবে দেখুন আমরা কতটা পরনিভর্রশীল জাতি।

২. আত্মবিশ্বাস নিয়ে পথ চলা

আত্মবিশ্বাস থাকা আর না থাকা সব কাজের মধ্যে পার্থক্য তৈরী করে দেয়। যেমন আপনি যদি আত্মিবিশ্বাসহীন হোন তাহলে যতই সমস্যা হবে আপনি ততই ভাববেন আপনাকে দিয়ে হবেনা। আর আপনার যত আত্মবিশ্বাস থাকবে ততই আপনার মনে হবে আপনি পরের বার সফল হবেন। এখানে একটা কথা গুরুত্ববহ। আপনি যে নিজেকে যোগ্য বা অযোগ্য মনে করছেন তা কোনো আবেগ থেকে নয়, বাস্তবতার আলোকে বিচার করুন।

আর সবচে বড়ো বিষয় হলো জানুন শিখূন বুঝুন। প্রয়োজনে যখনি যে কাজে হাত দেবেন তার সফলতা্ ব্যর্থতা নিয়ে কোনো মন্তব্য বা ধারনা করার আগে সে বিষয়ে অন্তত একটি বই কিনুন, নেটে অন্তত ১০টি আর্টিকেল পড়ুন, পরিচিত অন্তত ৫ জনের সাথে কথা বলুন যারা এই বিষয়ে জানে। এই তিনটি কাজ বইপড়া নেট সার্চ এবং পরামর্শ না করে কখনো মনে করবেন না আপনি অনেকে জেনে গেছেন। হয়তো আপনি যেকোনোভাবে একবারে এই সমপরিমাণ জ্ঞান বা ধারনা নিয়েছেন কিন্তু জানতে আপনাকে হবেই। তারপর আপনার রাস্তা আপনি খুজে নেবেন। এতে করে আপনি ব্যবসায়ী হয়ে যাবেন তা নয়, আপনি আপনার পরবর্তী করনীয় কি সেটা ঠিক করতে পারবেন। এমন হতে পারে এই তিনটি কাজ করার পর আপনি সিদ্ধান্ত নেবেন এই বিষয়ে যত তথ্য আছে আগে সব জেনে নিই। আবার এমনও হকত পারে জানার পর আনপার মনে হলো না বরং আপনাকে এটা বাদ দিয়ে অন্য কিছু ভাবতে হবে। তবে এই জানা এটা আপনার আত্মবিশ্বাস বাড়াবে আপনার আবেগকে সঠিক পথে পরিচালিত করবে।

 

৩. ঝুঁকি সামাল দেয়া

ব্যবসায় করলে ঝুকি নিতে হবে। এটা পুরনো কথা বরং আমরা এটাকে এভাবে ভাবি যে ব্যবসায়ী হতে হলে ঝুঁকি সামাল দেয়ার যোগ্যতা থাকতে হবে। এই ঝুকি তিনভাবে সামাল দেয়া যায়। ক. ঝুকি আছে জেনে নিয়ে এমনভাবে প্রস্তুতি দেয়া যাতে ব্যবাসায়ের কোনো লোকসান বা ক্ষতি না হয়। খ. ঝুকির মাত্রা যেন কম হয় সেজন্য প্রয়োজনীয় সাপোর্টে বা ব্যবস্থা রাখা। গ. ঝুকি ব্যবসায় লোকসান ক্ষতি বা আয়ের তুলনায় ব্যয় বেশী হয়ে গেলে সেটা কাটিয়ে উঠার জন্য প্রয়োজণীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা।

একজন ভালো ব্যবসায়ী মূলত তিনটি প্রথই অবলম্বন করেন একটা ঝুকি সামাল দেয়ার সব ধরনের প্রস্তুতি মানে প্রতিটি সিদ্ধান্ত এমনভাবে নেন যাতে লোকসানের কোনো আশংখা না থকে। আবার তিনি যখন দেথতে পান লোকসান হচ্ছে তখন বিভিন্ন একে নিয়ন্ত্রণ করে সহনীয় মাত্রায় রেখে দেন যাতে এই ক্ষতির কারণে তার ব্যবসায়ে কোনো প্রভাব না পড়ে। আবার ক্ষতি হয়ে যাওয়ার পরও কি করতে হবে বা কিভাবে ঘুরে দাঁড়াতে তিনি তা ভালো করে জানেন।

৪. সামনের পথটা অনেক দেখতে পাওয়া:

হ্যা এটা ব্যবসায়ের একটা অপরিহার্য বিষয়। একজন উদ্যোক্তা খুব সহজে যেন বুঝতে পারেন। আগামী দিনে কোন পন্যের চাহিদা রয়েছে, অথবা একই ধরনের পন্য নিয়ে ববসায়ে নামতে হলে ঠিক কিভাবে পরিবেশন করলে তিনি ভোক্তার মনোযোগ আকৃষ্ট করতে পারবেন। কোনে সিজনে কি পরিমাণ পন্য সেল হতে পারে। এবং হালের ক্রেজ বা প্রবণাতা কোন দিকে যাচ্ছে।?

একটা কথা আমি বলে থাকি যে, আপনি যদি টেকনিক্যাল কোনো কিছু না জানেন তার জন্য লোক রাখতে পারবেন, কারিগরি বা মেকানিক্যাল কোনো বিষয়ও তাই। এমনকি মার্কেটিং, ব্রান্ডিং, ম্যানেজমেন্ট, যোগাযোগ, ডেলিভারী এসবের জন্য আপনি লোক রেখে সার্ভিস আদায় করতে পারবেন আপনার সীমাবদ্ধতার একটা অংশ পূর্ণ করতে পারবেন কিন্তু আপনি নিজে যদি ব্যবসায় না বোঝেন বা ব্যবসায়ের সামনের দিনগুলো সম্পর্কে সঠিক ধারণা রাখতে না পারেন। সেটা আপনি কোটি টাকার বিনিময়েও হাসিল করতে পারবেন না।

৫. ব্যক্তিগত যোগ্যতা।

উদ্যোক্তার সামাজিক যোগ্যতা থাকবে তিনি সব ধরনের লোকদের সাথে ইতিবাচক ভাবমূর্তি তৈরীর মাধ্যমে যোগাযোগ সৃষ্টি ও রক্ষা করতে পারবেন। তিনি তার নিজের ব্যবসায় সম্পর্কে শিক্ষিত হবেন। যেমন একজন কৃষক তিনি লেখাপড়া না জোনলেও। কখন কিভাবে ধান লাগাতে হয় তিনি জানেন, তিনি জমি চাষ পদ্ধতি জানেন, তিনি জানেন কতদিনে চারা হয়! তিনি জানেন কখন ধান পাকবে। ধান দেখে তিনি নাম বলে দিতে পারেন। চাল দেখে বলতে পারেন ভাত কেমন হবে। দেখুন তার কাজের বিষয়ে তিনি কত দক্ষ। ঠিক আপনি যে বিষয়ে ব্যবসায় করবেন সে বিষয়ে আপনাকে এমনি দক্ষ হতে হবে। এর কোনো বিকল্প নেই।

ই কমার্স বা অনলাইন ব্যবসায়টা জ্ঞান ও প্রযুক্তিনির্ভর ব্যবসায় এখানে আপনাকে তিনটা বিদ্যা জানতেই হবে। এর একটা কম হল্ও আপনার জন্য ঝুকি রয়েছে।

প্রথমত, প্রাতিষ্ঠানিক ও সামাজিক বিদ্যা। প্রাতিষ্ঠানিক বিদ্যা হলো আমরা যা স্কুল কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে থেকে অর্জন করি। আর সামাজিক বিদ্যা হলো আমরা যা সমাজ থেকে শিখি, যেমন পারষ্পরিক আচরন, অপরের প্রতি সম্মান ইত্যাদি।

দ্বিতীয়ত, প্রযুক্তিও ব্যবসায়িক জ্ঞান। ই কমার্স ব্যবসায়ের জন্য এটা জরুরী আপনি একটি নুন্যতম ধারণা নিয়ে শুরু করবেন এবং নিয়মিত নিজেকে আপডেট রাখবেন সবর্শেষ প্রযুক্তি ও এপস সম্পর্কে। এতে নূনতম ধারনা না হলে চলেনা আবার প্রথমে অনেক জানলেন পরে আর কিছু জানার দরনকার মনে করলেন না, সেটাও আত্বঘাতি হবে। কারণ প্রতিনিয়ত নতুন প্রযক্তি এসে আমাদের কাজের গতকালের ধারণা পদ্ধতি ও ফলাফলকে বদলে দিচ্ছে।

তৃতীয়ত: সাবজেক্টিব জ্ঞান। এটা হচ্ছে আপনি ঠিক যে পন্য বা সেবাটি নিয়ে কাজ করছেন তার জানা। এটা হতে পারে সমুদ্রের লইট্টা শুটকি, হতে পারে সুন্দরবনের মধু। সে যাই হোক তার সম্পর্কে আপনার সম্যক ধারনা থাকা চাই। এটি কোথায় পাওয়া যায়, কখন পাওয়া যায়? কিভাবে সংগ্রহ করতে হয়, কোথায় কোয়ালিটি ও দামের পার্থক্য কেমন? কোথাকার প্যেণ্যর উপর ভোক্তার আগ্রহ বেশী বা কম এবং সেটা কেন? কারা এই ব্যবসায় করছে, তাদের কি প্রতিফল, যদি ভালো করে থাকে তাহলে রহস্যটা কি, যদি খারাপ পরিস্তিতি হয় তাহলে কারনটা কি? আরো এতসব ব্যাপার।

আমাদের মানষিকতা বদলালে আমরা যেমন সত্য জানতে পারবে, সঠিক তথ্যের কাছে যেতে পারবো এবং উদ্যোক্তাকে তার ব্যবসায়িক মেজাজ রেখে পথে পা বাড়াতে পারবে। আবার আমরা জেনে শুনে বুঝে কাজ করলে লভ্য জ্ঞানের দ্বারা আমরা আমাদের মানসিকতায় ইতিবাচক ও কাযকর পরিবর্তন আনতে পারবো যা আমাদের সাফল্য লাভের পথে সহায়ক ভূমিকা রাখবে।

Md. Nurul Islam

22
ওয়েবসাইটে https কি ? ওয়েবসাইটে এর কি প্রয়োজন ? এবং এর ব্যবহার  ( SSL পার্ট)
__________________________________
 
SSL এর অর্থ SECURE SOCKETS LAYER , ওয়েবসাইটে ক্রেতার তথ্য সুরক্ষিত রাখার একটি ভাগ কিংবা স্তর বলা যেতে পারে এই এসএসএল’কে ।  SSL ইন্টারনেট মাধ্যমে প্রেরিত সকল তথ্য কিংবা ডাটাকে সুরক্ষিত রাখে এবং ক্রেতা কিংবা সেই ওয়েবসাইট থেকে সেবা গ্রহণকারীকে সকল তথ্য নিরাপদ রাখে ।
 
SSL কেন প্রয়োজন ?
_________________
 
একটি ওয়েবসাইট কিংবা ই-কমার্স সাইটে SSL এর সার্টিফিকেট এর কথা যখন উল্লেখ থাকবে তখন ক্রেতা সেই সাইট থেকে প্রোডাক্ট অনলাইনের মাধ্যমে কিনতে সবচেয়ে বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করবে । কারণ ক্রেতা জানবে এই সাইট থেকে প্রোডাক্ট কেনা তার জন্যে নিরাপদ আর্থিকভাবে । ক্রেতা অনলাইনে প্রোডাক্ট কেনার সময় যে অনলাইন পেমেন্ট কার্ড ব্যবহার করে সেই কার্ডের নাম্বার, secure code ব্যবহার করতে হয় সেই কেনাকাটার ওয়েবসাইটে । SSL সার্টিফিকেট চিহ্ন থাকলে অনলাইন সাইটটিতে তখন ক্রেতা তার কার্ড ব্যবহার করতে নিরাপদ মনে করে । এতে করে তার কার্ডের তথ্য প্রাইভেট কিংবা ব্যক্তিগতভাবেই সেই সাইটে সংরক্ষিত থাকে । ক্রেতা প্রোডাক্ট কিনতে তখন অনেক স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে ।
SSL সার্টিফিকেট সাইট বোঝার উপায়
_____________________________
 
SSL এর সুবিধাসম্পূর্ণ সাইট বোঝার উপায় হচ্ছে http অর্থাৎ , “hyper text transfer protocol”  ওয়েবসাইটের ইউআরএল’ মানে ওয়েব এড্রেসে কিভাবে লেখা । যদি ওয়েব এড্রেস https: দিয়ে শুরু হয়ে তবে বুঝতে হবে এই সাইটে SSL সুবিধা রয়েছে এবং এই সাইট থেকে ক্রেতার কেনাকাটা করা নিরাপদ ।  https মানে হচ্ছে - “hyper text transfer protocol secure” , অর্থাৎ এই সাইট যাবতীয় তথ্য দেয়ার জন্যে নিরাপদ ও স্বাচ্ছন্দ্যময় ।
SSL বিষয়টি প্রযুক্তিগতভাবে কাজ করে কিভাবে ?
___________________________________
SSL এর প্রযুক্তিগত দিকগুলোর অনেকগুলো পর্যায় আছে , সেই  পর্যায়গুলো ধারাবাহিকভাবে রক্ষা করে SSL এর নিরাপত্তা ব্যবস্থা কাজ করে । সেই পর্যায়গুলোর প্রায়োগিক ব্যবহার সম্পর্কে নিম্নে বিশ্লেষণ করে দেয়া হল । এই পর্যায়গুলোই ক্রেতার অনলাইনে কেনাকাটার বিষয়কে সুরক্ষা প্রদান করে এবং ক্রেতা যতবেশি সুরক্ষিত মনে করবে যেই সাইটের ব্যাপারে সেই সাইট থেকেই ক্রেতা কেনাকাটা করবে এবং করতে চাইবে ।         
 
cipher text -  এই টেক্সট কিংবা লেখা আপনি পড়তে পারবেন না , যতক্ষণ পর্যন্ত আপনি টেক্সটটিকে plain text রুপান্তরিত করছেন । plain text  হচ্ছে লিখিত ডাটা , যা আমরা পড়তে পারি । plain text অন্তর্ভুক্ত হচ্ছে যাবতীয় অক্ষর, নম্বর, বিভিন্ন ক্যারেক্টার অক্ষর ।
encryption -  encryption(ইনক্রিপশন) হচ্ছে একধরণের secret code , আপনি যখন কোন ডাটা কোন ওয়েবসাইটে দিবেন অর্থাৎ , আপনার ব্যাংক মাস্টার কিংবা ভিসা কার্ডের পিন নাম্বার দিবেন ঠিক তখন সেই ডাটার জন্যে একটি secret কোড তৈরি হবে এবং সেই কোড secret কোড হিসেবে সেই ওয়েবসাইটে লিপিবদ্ধ হবে । ক্রেতার তথ্য সুরক্ষিত রাখার এক অনন্য পদ্ধতি এটি ।
encryption(ইনক্রিপশন) দুই ধরণের
______________
 
public key encryption (পাবলিক কি ইনক্রিপশন) এবং symmetric encryption (সিমেট্রিক ইনক্রিপশন)
public key encryption (পাবলিক কি ইনক্রিপশন)
___ 
public key encryption  দুই ধরণের key ব্যবহার করে ,পাবলিক key এবং প্রাইভেট key ।
পাবলিক key হচ্ছে যে key সকলের জন্যে উন্মুক্ত , অর্থাৎ সবাই যে তথ্য জানতে পারবে , অপরদিকে প্রাইভেট key হচ্ছে সেই তথ্য ,যা শুধুমাত্র ক্রেতার জন্যে উন্মুক্ত যা শুধু ক্রেতাই জানতে পারবে ।
পাবলিক key দিয়ে প্রাইভেট key অনলাইনে সনাক্ত করা সহজ নয় , তাই প্রাইভেট key যথাযথভাবে নিরাপদ ।
 
symmetric encryption (সিমেট্রিক ইনক্রিপশন)
________
symmetric encryption (সিমেট্রিক ইনক্রিপশন) এ একই ধরণের ডাটা কিংবা লেখা ব্যবহার করা হয় encrypt এবং decrypt মেসেজে । decrypt হচ্ছে secret code থেকে টেক্সটে ফেরত আসা ।
 
তাহলে ক্রেতাকে প্রথমেই আকৃষ্ট করার প্রথম উপায় SSL , একজন ক্রেতা যখন অনলাইনে কেনাকাটা করতে আসবে তখন আমাদের সেই ক্রেতাকে ধরে রাখার জন্যে প্রথমেই আমাদের ওয়েব এড্রেস দিয়ে তাকে বোঝাতে হবে যে এই সাইট ক্রেতার যাবতীয় তথ্য, অর্থপ্রদানকারী কার্ডে ডাটা কিংবা তথ্য সব নিরাপদভাবে সংরক্ষিত রাখবে এবং সাইট ক্রেতার কেনাকাটার জন্যে একটি চমৎকার সাইট।
প্রথম দেখায় , প্রথম ব্যবহার , প্রথম কেনাকাটা করার মাধ্যমে ক্রেতা যে সুন্দর লেনদেনের মাধ্যমে তার পছন্দের প্রোডাক্ট যখন কিনতে পারবে তখন ক্রেতা পরবর্তীতে নিজে আরও প্রয়োজনীয় প্রোডাক্ট কিনতে সাইটে আসবে এবং অন্যদেরকেও অনলাইন সাইটটি থেকে প্রোডাক্ট কিনতে উৎসাহিত করবে । ক্রেতা স্বার্থ সংরক্ষণ করা অনলাইনে কেনাকাটা সাইটগুলোর জন্যে দারুণ গুরুত্ব বহন করে , যখন সেই স্বার্থ ঠিকভাবে সংরক্ষিত রাখবে একটা অনলাইনশপ তখন ক্রেতা নিজে থেকেই অনলাইন কেনাকাটায় আগ্রহী হয়ে উঠবে ।

23
যেসব রোগের জন্য নামাজ ব্যতীত ঔষধ নেই

ইসলাম ডেস্ক : কিছু কিছু রোগ আছে যার নামাজ ব্যতিত কোন ঔষধ বা প্রেসক্রিপশন নেই। নামাজ হার্ট এ্যাটাক, প্যারালাইসিস, ডায়াবেটিস, মেলিটাস ইত্যাদির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ সৃষ্টিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

হার্টের রোগীদের প্রতিদিন বাধ্যতামূলকভাবে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা উচিত, যেমনিভাবে তারা তাদের ডাক্তারদের নিকট খারাপ অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য অনুমতি লাভ করে থাকেন।

নামাজ একটি উত্তম ইসলামী ব্যায়াম, যা মানুষকে সব সময় সতেজ রাখে, অলসতা এবং অবসাদগ্রস্ততাকে শরীরে বাড়তে দেয় না।

অন্যসব ধর্মের মধ্যে এমন সামগ্রিক ইবাদত আর নেই যা আদায়ের সময় মানুষের সকল অঙ্গ নড়াচড়া ও শক্তিশালী হয়।

নামাজীর জন্য এটা একটা বিশেষ বৈশিষ্ট্য যে, এটা একান্তই সামগ্রিক ব্যায়াম যার প্রভাব মানবের সকল অঙ্গগুলোতে পড়ে এবং সামগ্রিক মানব অঙ্গগুলোতে নড়াচড়া ও শক্তি সৃষ্টি হয় এবং স্বাস্থ্য অটুট থাকে।

তুরস্কের ডাক্তার হুলুক নূর বাকী নামাজের আত্মিক দিকের ওপর অনেক গুরুত্ব দিয়েছেন, কিন্তু তিনিও এর দৈহিক উপকারিতার দিকে দৃষ্টি দেননি। এভাবে তিনি লিখেছেন—It today even materialist acknowledge that there can be no prescription other than prayer for the relief of joints.‘আজ বস্তুবাদীরাও স্বীকার করে যে, জোড়ার ব্যথা থেকে মুক্তির জন্য আজ নামাজ ব্যতিত আর কোনো ব্যবস্থাপত্র নেই।’

ক্যামিস্ট্রির ব্যবস্থাপত্র : নামাজের ব্যায়াম যেমন বাইরের অঙ্গ সুনিপুণ সৌন্দর্য ও বৃদ্ধির মাধ্যম, এটা তেমনি ভেতরের অঙ্গগুলো যেমন-হূদয়, প্লীহা, জঠর, ফুসফুস, মগজ, অন্ত্র, পাকস্থলী, মেরুদন্ডের হাড়, ঘাড়, বুক এবং দেহের সকল গ্লান্ড ইত্যাদি সুদৃঢ় করে ও উন্নত করে এবং দেহের সিডিউল এবং সৌন্দর্য রক্ষা করে। নামাজের প্রচলন যদি হতো তাহলে :কিছু রোগ এরূপও আছে যেগুলো থেকে নামাজ চালু করার দ্বারা রক্ষা পাওয়া যায়, কেননা নামাজ আদায়ের মাধ্যমে দেহে এসব রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।

এর ধারাবাহিকতায় ডাক্তার হাসান গজনবীর এ বাক্যগুলো চিন্তার খোরাক জোগায়। তিনি লেখেন :
“In addition to saving us from the sins and elevating us to the hights of spirituality prayers are great help in maintaining our physical health. The keep our body active, help digestion and save us from nuscase and joint diseaes through regular balanced exercise. They help the circulation of blood and also the bad effect of cholesterol. Prayers a vital role in acting as preventive measure against heart attack, Paralyes. diabetes mellitus etc. Hearts patients should offer the five obligatory prayers regularly as they get the permission from their doctor to leave bad. (Islamic Medicine. P. 68)

24
ইংরেজি এমন একটি ভাষা যা আপনার সঠিক ভাবে জানা থাকলে পৃথিবীর যে কোন দেশে গিয়ে জীবন চালাতে পারবেন। কিন্তু আমাদের বাংলাদেশে অনেক মানুষই আছেন যারা ইংরেজিকে ভয় পেয়ে থাকেন। শুধু পড়তে ভয় না, তারা ইংরেজি বলতেও ভয় পেয়ে থাকেন। মনে করেন যে, ইংরেজি বলতে গিয়ে কী থেকে কী বলে ফেলি! ভুল বলে থাকলে মানুষ হাসাহাসি করবে। কিন্তু ভুল বলেই মানুষ সঠিকটা শেখে। এবং যতই ভয় পান না কেন ইংরেজি কিন্তু খুব আনন্দায়ক একটি ভাষা। আপনার সঠিক ভাবে ইংরেজি জানা থাকলে দেখবেন নিজের ওপর নিজের আত্মবিশ্বাস অনেক বেড়ে যাবে। তাই জেনে রাখুন যে ৯ টি কারণে আজকাল ইংরেজি জানাটা খুব প্রয়োজন।

ইংরেজি শিক্ষা খুব আনন্দদায়ক

ইংরেজি শিক্ষা খুব আনন্দের ঠিকই, তবে অনেকের কাছেই এই বিষয়টি মোটেও আনন্দের নয়। ইংরেজি ভাল না লাগার আসল কারণ হল আপনি কীভাবে ইংরেজি শিখেছেন কিংবা শিখছেন। ইংরেজি শিখতে সময় নিন, ইংরেজি গান শুনুন, সিনেমা দেখুন, গল্পের বই পড়ুন, গেমস খেলুন। আনন্দ নিয়ে ইংরেজি শেখার অনেক উপায় আছে, সেই উপায়গুলোকে কাজে লাগান। দেখবেন একটি সময় যখন ইংরেজি বলতে, বুঝতে ও লিখতে পারবেন, দেখবেন তখন নিজের প্রতি নিজের আত্মবিশ্বাস অনেক বেড়ে গিয়েছে।

ইংরেজি শিক্ষা আপনার কর্মজীবনে সফলতা বয়ে আনে

আপনি যখন কোন অাধুনিক কর্মক্ষেত্রে যোগদান করবেন তখন প্রথমেই ইন্টারভিউ থেকে শুরু করে সবকিছুতেই আপনাকে ইংরেজি বলতে হবে। হয়তো সবার সাথে প্রতিনিয়ত ইংরেজিতে কথা বলা একটু কঠিন কাজ, কিন্তু এটিই নিয়ম। কর্মক্ষেত্রে আপনার সফলতা কেউ ধরে রাখতে পারবে না, যদি আপনি ভালমত ইংরেজি জেনে থাকেন। তাই বিশেষ করে নিজের কর্মজীবনকে সফলতার উচ্চে নিতে হলে ইংরেজি জানা খুব জরুরী।

ইংরেজি শিক্ষার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক যোগাযোগ বৃদ্ধি পায়

আপনি পৃথিবীর যে প্রান্তেই থাকুন না কেন, কাজের ক্ষেত্রে আপনাকে যে কোন সময় যে কোন মুহূর্তে বিদেশী কোন ক্লাইন্ট এর সাথে যোগাযোগ হতে পারে ঠিক এই সময়ে আপনাকে কিন্তু ইংরেজিতেই কথা বলতে হবে। আপনি বিদেশ যেতে চান পড়ালেখা করতে, আপনি অন্য সব বিষয়ে খুব মেধাবী, কিন্তু ইংরেজি বিষয়টিতে আপনি পারদর্শী নন তাহলে তো হবেনা কারণ বিদেশে গিয়ে জীবন চালাতে হলে, সবার সাথে যোগাযোগ বৃদ্ধি করতে হলে সর্বপ্রথম আপনাকে ইংরেজি জানতে হবে ভালমতো।

ইংরেজি শিক্ষা আপনাকে সাহায্য করে

আপনি যদি খুব সহজেই ইংরেজি বলতে ও বুঝতে পারেন তাহলে দেখবেন যে কোন কিছু আপনার কাছে খুব সহজ লাগবে ও কোন বিষয়ে নতুন তথ্যও আপনার কাছে খুব সাধারণ মনে হবে। ধরুন আপনি ও পুরো পরিবারের সবাই মিলে দেশের বাইরে কোথাও বেড়াতে গেলেন কিন্তু আপনার পরিবারের কেউ ইংরেজি জানে না, তখন কিন্তু আপনাকেই সবকিছু করতে হবে। তাছাড়া এমন আরও অনেক বিষয় আছে যা ইংরেজি জানা থাকার কারণে আপনাকে খুব সহযোগিতা করে।

ইংরেজি শিক্ষা আপনাকে স্মৃতিশক্তি লোপ পাওয়া থেকে রক্ষা করবে

বিজ্ঞানীদের বিভিন্ন গবেষণায় বলা হয়েছে, আপনি যদি আপনার মনকে কোন কিছু শিখতে ব্যবহার করেন তাহলে তা আপনার স্মৃতিশক্তিকে অক্ষত রাখতে সাহায্য করে। স্মৃতিশক্তি লোপ পাওয়া ও ব্রেনের অন্যান্য অসুখ আপনি খুব সহজেই দূরে রাখতে পারবেন ইংরেজি শিক্ষার মাধ্যমে। তাই এখন থেকেই ইংরেজি শিক্ষায় মনোযোগ দিন।

ইংরেজি আপনাকে যেকোন গুরুতর কঠিন ভাষাও বুঝতে সহায়তা করে

পৃথিবীতে সহজ অনেক বিষয়ের পাশাপাশি কঠিন অনেক বিষয়ও আছে। যা ইংরেজি ঠিক ভাবে জানা থাকলে খুব সহজেই বুঝতে পারবেন। তাছাড়া অনেক বিদেশী আছেন যাদের ইংরেজি ভাষা স্পষ্ট না তখন আপনি যদি ইংরেজি জেনে থাকেন তাদের ভাষা সহজেই বুঝে ফেলতে পারবেন।

ইংরেজি শিক্ষা আপনাকে আরও বেশি শিখতে সাহায্য করে

আপনি ভালোভাবেই ইংরেজি জানেন। কিন্তু আপনি যখন ইংরজিতে কোন একটি বিষয় নিয়ে মস্তিষ্ক খাটাবেন তখন দেখবেন ইংরেজি জানা থাকা সত্ত্বেও আপনার আরও অনেক কিছু জানতে ও শিখতে ইচ্ছে করবে। ধরুন আপনি গল্পের বই পড়তে খুব ভালবাসেন ও গল্পের বই গুলো আপনাকে আরও বেশি করে গল্পের বই পড়তে আগ্রহী করে তোলে, ইংরেজি শিক্ষাটাও ঠিক সেইরকম।

ইংরেজি শিক্ষা আপনার মনের ভয় দূর করে

আপনি ইন্টারভিউ দিতে ভয় পাচ্ছেন, দেশের বাইরে গিয়েছেন ঠিকই কিন্তু ইংরেজি না জানার কারণে কারও সাথে কথাও বলতে পারছেন না, কোন ইংরেজি মজার সিনেমা দেখছেন কিন্তু কি বলছে সিনেমাটিতে কিছুই বুঝতে পারছেন না। এই ধরনের সমস্যাগুলো অনেকেরই হয়ে থাকে এবং এটি কিন্তু কোন সাধারণ সমস্যা না। তাই এই সমস্যা দূর করতে ইংরেজি শিক্ষা খুব প্রয়োজন।

ইংরেজি হল পুরো বিশ্বের ভাষা

বিভিন্নি দেশের বিভিন্ন ভাষা আছে। কিন্তু নিজ নিজ দেশের ভাষা জানার পাশাপাশি ইংরেজি ভাষাও জানা কেন খুব জরুরী তা নিশ্চয়ই আপনি এখন বুঝতে পারছেন।

25
প্রোগ্রামিং করতে এসে মেমোরি ম্যানেজমেন্ট শব্দটা শুনে অস্বস্তিতে পড়েনি এরকম কাউকে খুঁজে পাওয়া মনে হয় একটু কঠিন। অল্প কথায় মেমোরি ম্যানেজমেন্টের ধারনাটা এরকম, আমাদের কোন প্রোগ্রাম বা অ্যাপলিকেশন চলার জন্য যে মেমোরি লাগে সেটার পরিমাণ এবং আমাদের মেশিনের প্রসেসর এর কাজ করার ক্ষমতা সীমিত। কাজেই, আমাদের প্রোগ্রামগুলো এমনভাবে লিখতে হবে যেন সেটা আমাদের প্রোগ্রামের জন্য বরাদ্দ সীমিত জায়গা ও ন্যূনতম রিসোর্স ব্যবহার করে দ্রুতগতিতে চলতে পারে। এইজন্যই মেমোরি ম্যানেজমেন্ট যেকোন প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজের ক্ষেত্রেই খুবই গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার।

মেমোরি ম্যানেজমেন্ট ব্যাপারটা খুব সহজভাবে দেখলে এভাবে বলা যায়, আমরা আমাদের প্রোগ্রামে প্রয়োজন ইচ্ছামত অবজেক্ট ব্যবহার করি। এখানে সমস্যা হল, আমরা যখন নতুন একটা অবজেক্টকে অ্যালোকেট করি, সেটা আমাদের মেশিনের মেমোরিতে একটা যায়গা দখল করে। এভাবে বিভিন্ন সময়ে প্রয়োজনমত অবজেক্ট অ্যালোকেট করার ফলে সেগুলো মেমোরিতে তাদের প্রয়োজনীয় জায়গা দখল করে বসে থাকে। যেহেতু আমাদের মেমোরি ও প্রসেসরের কার্যক্ষমতা দুইটাই সীমিত, কাজেই আমাদের অবজেক্টগুলো যদি মেমোরি পুরোটাই দখল করে ফেলে সেক্ষেত্রে আমরা আরেকটা নতুন অবজেক্ট ব্যবহার করতে গেলে সেক্ষেত্রে সমস্যা হবে কারন জায়গা নেই।

এজন্য আমাদেরকে অবজেক্ট একটু বুদ্ধি করে ব্যবহার করতে হবে। যেমন, যত কম সংখ্যক অবজেক্ট দিয়ে আমরা কাজ সারতে পারি আমাদের হাতে তত ফ্রি মেমোরি থাকবে। আর সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ বুদ্ধিটা হল, ধরা যাক আমরা বাজার থেকে একটা টুথপেস্ট টিউব কিনলাম। তো সেই টিউবে যতদিন টুথপেস্ট থাকবে ততদিন আমরা সেটা ব্যবহার করবো। টুথপেস্ট শেষ, মানে আমাদের প্রয়োজনও শেষ। এরপর সেই অপ্রয়োজনীয় টিউবটা টেবিলের উপর রেখে জায়গা নষ্ট কোন যুক্তি নেই, কাজেই সেটাকে ডাস্টবিনে ফেলে দিতে হবে। মেমোরি ম্যানেজমেন্ট ব্যাপারটা আসলে এটাই, প্রয়োজন হলে অবজেক্ট অ্যালোকেট করতে হবে, সেটাকে দরকারমত ব্যবহার করতে হবে। ব্যবহার শেষ হয়ে গেলে, ভবিষ্যতে যদি আর কোন কাজে লাগার সম্ভাবনা না থাকে তাহলে সেটাকে রিলিজ করে দিতে হবে। এতে করে মেমোরিতে সেটার জন্য আগে বরাদ্দকৃত জায়গা খালি হয়ে যাবে ও আমরা সেটা হয়ত অন্য অবজেক্ট এর জন্য ব্যবহার করতে পারব।

আমরা যদি সেটা না করি তাহলে কি হবে ? তাহলে অপ্রয়োজনীয় অবজেক্ট আমাদের মেমোরি দখল করে বসে থাকবে , গারবেজ কালেক্টর অপ্রয়োজনীয় জিনিস পেয়েও সেটাকে ফ্রি করতে পারবে না, ফলে মেমোরি লিক হবে, প্রোগ্রাম ক্রাশ করবে।

অন্যান্য অবজেক্ট ওরিয়েন্টেড প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজের সাথে অবজেক্টিভ সি এর কিছু পার্থক্য আছে। যেমন, জাভাতে আমাদের মেমোরি ম্যানেজমেন্ট নিয়ে বেশি কিছু ভাবতে হয়না কারন এতে গারবেজ কালেক্টর থাকে। এর কাজ হল, সেখানে যা অপ্রয়োজনীয় অবজেক্ট থাকে সেগুলোকে সংগ্রহ করে ফ্রি করে দেয়া। অবজেক্টিভ সি ২.০ তে গারবেজ কালেক্টর থাকলেও আইওএস প্ল্যাটফর্মে সেটা নেই ও ভবিষ্যতে আসারও সম্ভাবনা নেই। এখানে প্রোগ্রামারের দায়িত্ব একটু বেশি।

অবজেক্টিভ সিতে অবজেক্ট ওনারশিপ বলে একটা ব্যাপার আছে। ধরা যাক, আমাদের দুইটা ক্লাস আছে , ক্লাস A ও ক্লাস B। আমরা যদি ক্লাস A তে ক্লাস B এর কোন অবজেক্ট ব্যবহার করি তাহলে ক্লাস A হবে ক্লাস B অবজেক্ট এর মালিক বা ওনার। এটুকু বুঝতে পারলে মেমোরি ম্যানেজমেন্টের নিয়মগুলো এবার আমরা দেখতে পারব। নিয়ম মূলত ৪ টা।

    আমাদের কোন ক্লাস যদি অন্য কোন ক্লাসের অবজেক্ট অ্যালোকেট করে কিংবা কপি করে তাহলে আমাদের ক্লাস হবে সেই অন্য ক্লাসের ওনার। ওনারশিপের জন্য মূলত  alloc, allocWithZone, copy, copyWithZone, mutableCopy, mutableCopyWithZone ইত্যাদি মেথড ব্যাবহৃত হয়ে থাকে। এরকম ওনারশিপকে বলা হয় ডিরেক্ট ওনারশিপ।
    এরকম হতে পারে যে, আমাদের ক্লাস অন্য আরেকটা ক্লাসের ওনার নয়, কিন্তু সে চায় যে, অন্য ক্লাসটা যেন তার দরকারের সময় মেমোরিতে থাকে। সেটা কেমন ? খুব সোজা, যদি এমন হয় যে আমাদের ক্লাস অন্য একটা ক্লাসের কোন ক্লাস মেথড ব্যবহার করে তাহলে ঐ ক্লাসকে মেমোরিতে থাকতে হবে। এরকম ওনারশিপকে বলা হয় ইনডিরেক্ট ওনারশিপ।
    আমি (আমার ক্লাস) যদি অন্য একটা ক্লাসের অবজেক্ট এর ওনার হই, তবে দরকার শেষ হলে আমাকে নিজ দায়িত্বে তাকে রিলিজ করতে হবে। release, autorelease এই মেথডগুলো দিয়ে অবজেক্ট রিলিজ করা হয়।
    আমি (আমার ক্লাস) যদি অন্য একটা ক্লাসের অবজেক্ট এর ওনার না হই, তবে তাকে রিলিজ করার ক্ষমতা আমার নেই। রিলিজ করার চেষ্টা করলে সেটার ফল ভালো হবেনা যেহেতু সেটা আমার ক্ষমতার বাইরে।

এখন আমাদের দেখতে হবে। একটা অবজেক্ট আমরা কখন রিলিজ করবো ও সিস্টেম তাকে কখন ফ্রি করবে। এটার জন্য একটা মডেল আছে যেটাকে রেফারেন্স কাউন্টিং মডেল বলা হয়। নিচের কোডে দেখা যাচ্ছে, আমরা যখন কোন অবজেক্ট অ্যালোকেট করি তখন তার রেফারেন্স কাউন্ট ১ বাড়ে। এরপর আমরা তাকে যদি পরে ব্যবহার করার জন্য মেমোরিতে রেখে দিতে চাই তাহলে retain মেথড কল করতে হয়। রিটেইন কথাটার মানে হল, মনে রাখা। আমরা   অবজেকটিভ সি – ক্লাস , মেথড , প্রপার্টি লেকচারে দেখেছিলাম, strong প্রপার্টি কখন ব্যবহার করে। strong এবং retain দুইটাই এক জিনিস। এটা ব্যবহার করার অর্থ হল, যতক্ষণ আমার ক্লাস মেমোরিতে থাকবে ততক্ষণ strong এবং retain প্রপার্টির অবজেক্টগুলো মেমোরিতে থাকবে। অনুরূপভাবে, যখন আমরা release কল করবো তখন রেফারেন্স কাউন্ট ১ কমে যাবে। এভাবে যতক্ষণ কোন অবজেক্ট এর রেফারেন্স কাউন্ট শূন্যের চেয়ে বড় ততক্ষণ সে মেমোরিতে থাকবে, যখন কোন অবজেক্ট এর রেফারেন্স কাউন্ট শুন্যতে নেমে আসে তখন অপারেটিং সিস্টেম তাকে ধ্বংস করে ফেলে ও মেমোরিতে যায়গা ফ্রি হয়। এ ব্যাপারে আরও বিস্তারিত ব্যাখ্যা এখানে পাওয়া যাবে।


কি কঠিন লাগছে ? :)

তাহলে ব্যাপারটা সহজ করে দিই। অবজেক্টিভ সি প্রোগ্রামারদের আজ থেকে কয়েক বছর আগেও এভাবে ম্যানুয়ালি মেমোরি ম্যানেজমেন্ট করতে হত উপরের মত। কিন্তু আইওএস ৫ থেকে অ্যাপল নতুন একটা সিস্টেম নিয়ে আসে। এটার নাম অটোম্যাটিক রেফারেন্স কাউন্টিং বা ARC । ARC কোন গারবেজ কালেক্টর নয়। এটা মেমোরি ম্যানেজমেন্ট এর নতুন একটা মডেল। এর কাজ হল, আমরা আমাদের কোডে যে অবজেক্টগুলো ব্যবহার করি তাদের রেফারেন্স কাউন্ট এর হিসাব রাখা। আমাদের প্রজেক্ট যদি ARC এনাবল করা হয় তাহলে আমাদেরকে retain, release, dealloc ইত্যাদি মেমোরি ম্যানেজমেন্ট মেথডগুলোকে কল করা লাগবেনা। ARC রেফারেন্স কাউন্ট হিসাব করে প্রোগ্রাম কম্পাইল টাইমে কোডের ভিতর যেখানে যেখানে দরকার সেখানে ঐ মেমোরি ম্যানেজমেন্ট এর মেথডগুলো যোগ করে দিয়ে কম্পাইল করবে। কাজেই এখন আমাদেরকে মেমোরি ম্যানেজমেন্ট নিয়ে এত মাথা না ঘামালেও কোন সমস্যা নেই।



26
কম ক্ষতিকর কিন্তু অত্যন্ত বিরক্তিকর ভাইরাস ছড়ানোর সবচেয়ে সহজ ও সচরাচর মাধ্যম হলো পেনড্রাইভ। এ জন্য পিসিতে খুব সাবধানে এ ডিভাইসটি ব্যবহার করা উচিৎ। তবে আপনার পিসিটি যদি অন্যকে ব্যবহারের অনুমতি দিয়ে রাখেন তাহলে অসাবধান ব্যবহারকারীর হাতে ভাইসরাস আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। এ কারণে কম্পিউটারের পেনড্রাইভ ব্লক করে রাখাই ভালো।

এ কাজটি আপনি খুব সহজেই করতে পারেন। এটা করলে আপনার পিসিতে পেনড্রাইভ লাগালেও তা শো করবে না।

যা করবেন
১. Start এ গিয়ে Run এ যান এবং regedit লিখে এন্টার করুন
২. HKEY_LOCAL_MACHINE–>System–>Current Control Set–>Services–>USBSTOR
এ যানpendrive01 পিসিতে কীভাবে ব্লক করবেন পেনড্রাইভ পিসিতে কীভাবে ব্লক করবেন পেনড্রাইভ pendrive01

৩. Start ওপেন করে ভ্যালু ৩ থাকলে ৪ করে দিন।

ব্যস পেনড্রাইভ ব্লক হয়ে গেল। আবার পেনড্রাইভ ব্যবহার করতে চাইলে ভ্যালুটা আবার ৩ করে দিলেই হবে।

27
কোষ্ঠকাঠিন্য নিরাময়

কোষ্ঠ্যকাঠিন্য নিরাময়ে ইসবগুলের ভুষির তুলনা নেই। যারা নিয়মিত কোষ্ঠ্যকাঠিন্যের সমস্যায় ভুগে থাকেন তারা প্রতিদিন ইসবগুলের শরবত খেলে উপকার পাবেন। তবে এক্ষেত্রে ইসবগুল পানিতে অনেকক্ষণ ভিজিয়ে না রেখে পানিতে মেশানোর সাথে সাথেই খেয়ে ফেললে বেশি উপকার পাওয়া যাবে।

হৃৎপিন্ড সুরক্ষায় এবং কোলেস্টেরন নিয়ন্ত্রণে

প্রচুর তেল-ঘি যুক্ত খাবার খাওয়া হয়েছে বলে কোলেস্টেরল বেড়ে গিয়েছে? অথবা হৃৎপিন্ডে দেখা দিচ্ছে নানান সমস্যা? নিয়মিত ইসবগুল-এর শরবত খাওয়ার অভ্যাস করে ফেলুন। প্রতিদিন ইসবগুলের শরবত খেলে হৃৎপিন্ড ভালো থাকে এবং রক্তের খারাপ কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে থাকে।

হজমশক্তি বৃদ্ধি পায়

অনেকেই আছেন একটু বেশি খেয়ে ফেললেই খাবার হজম করতে হিমশিম খান। কিংবা একটু তেলে ভাজা খাবার খেলেই গ্যাস্টিকের সমস্যায় অতিষ্ট হয়ে যায় জীবন। যাদের হজম সংক্রান্ত সমস্যা আছে তারা নিয়মিত ইসবগুলের শরবত খেলে হজমশক্তি বৃদ্ধি পায়। এছাড়াও দূর হয়ে যায় নানান রকমের হজমের সমস্যা, বুক জ্বালাপোড়া, গ্যাস ও আলসারের সমস্যা।

ওজন নিয়ন্ত্রণ

ইসবগুল ওজন নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে জাদুকরী একটি উপাদান। ইসবগুলে আছে প্রচুর ফাইবার। ইসবগুল খেলে উচ্চমাত্রার ক্যালরীযুক্ত খাবার খাওয়ার ইচ্ছাও কমে যায়। ফলে ওজনটা নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। ওজন কমানোর জন্য ইসবগুল খেতে চাইলে পানিতে এক চা চামচ করে ইসবগুল মিশিয়ে তিন বেলা খাওয়ার অভ্যাস করুন। তবে শরবতে চিনি ব্যবহার করবেন না।

28
বেঁচে থাকতে চাই খাদ্য।  এ উপমহাদেশে ভাতই আমাদের প্রধান খাবার।  সুস্থ জীবন ধারণের জন্য খাবারের ভুমিকা প্রধান হলেও খাবার গ্রহনের পর কিছু বদ অভ্যাস হতে পারে সুস্থ জীবন ধারণের প্রধান অন্তরায়। ভাত খাওয়ার পরে আমরা হরহামেশা অনেক কিছুই করে থাকি যার বিরূপ প্রভাব আমাদের অনেকের অজানা।

১। খাবার শেষ করার পরপরই আমরা ফল খাই। এটা একদম অনুচিত। এতে বাড়তে পারে অ্যাসিডিটি। খাবার গ্রহনের দু এক ঘণ্টা আগে বা পরে ফল খাওয়া যেতে পারে। অন্যদিকে খাবার শেষ করার সঙ্গে সঙ্গে অনেকেই ধূমপান করেন। খাবার গ্রহনের পর একটি সিগারেট বা বিড়ি যে ক্ষতি করে তা চিকিৎসকদের বিবেচনায় অন্য সময়ের দশটির সমান ক্ষতিকর।

২। খাবার পরেই অনেকেই হাতে চায়ের কাপ নিয়ে বসে যান।  চায়ে থাকে প্রচুর পরিমাণ টেনিক এসিড থাকে যা খাদ্যের প্রোটিনকে ১০০ গুণ বাড়িয়ে তোলে। এতে খাবার হজম হতে স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বেশী সময় লাগে। চা পান করতে হলে খাবার গ্রহনের বেশকিছুক্ষণ পর করুন।

৩।খাবার গ্রহনের সঙ্গে সঙ্গে গোসল করা থেকে বিরত থাকুন। খাওয়ার পরপরই গোসল করলে শরীরের রক্ত সঞ্চালন মাত্রা বেড়ে যায়। ফলে পাকস্থলির চারপাশের রক্তের পরিমাণ কমে যেতে পারে যা পরিপাক তন্ত্রকে দুর্বল করতে পারে। খাবার হজমের স্বাভাবিক সময়কে করে তোলে ধীরগতির।

৪। খাবার শেষে বেল্ট কিংবা প্যান্টের কোমর ঢিলা করবেন না। খাবারের পরপরই বেল্ট কিংবা প্যান্টের কোমর ঢিলা করলে অতি সহজেই ইন্টেসটাইন (পাকস্থলি) থেকে রেক্টাম (মলদ্বার) পর্যন্ত খাদ্যনালীর নিম্নাংশ বেকে যেতে পারে, পেঁচিয়ে যেতে পারে অথবা ব্লকও হয়ে যেতে পারে। এ ধরণের সমস্যাকে ইন্টেস্টাইনাল অবস্ট্রাকশন বলা হয়।

৫। খাবার পরপরই ব্যায়াম করবেন না।

৬। ভাত খাওয়ার পরপরই ঘুমাবেন না। এতে শরীরে বাড়তি মেদ জমতে পারে।

সর্বোপরি অতিরিক্ত কোনকিছু খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।

29
ফ্রিলেন্সিং কি?
 
প্রথমেই কিছু সাধারণ ধারণা নেয়া যাক, ফ্রিলেন্সিং জিনিসটা কি এই ব্যাপারে।
আসলে ফ্রিলেন্সিং কি কোনও পেশার নাম?  না, বরং এটা মুলত পেশার ধরণ। ফ্রিলেন্সিং অর্থ হল মুক্ত পেশা। যেমন আপনার পেশা হতে পারে গ্রাফিক ডিজাইন কিংবা সফটওয়্যার প্রোগ্রামিং অথবা ফটোগ্রাফি বা তবলা বাজানো যাই হোক না কেন।
 কিন্তু যদি আপনি কোনও নির্দিষ্ট অফিসে চিরাচরিত নিয়মের চাকুরি না করে কোনও কোম্পানিতে নির্দিষ্ট কোনও প্রোজেক্ট অথবা প্রোজেক্টের জন্য কিছু নির্দিষ্ট সময়ে কাজ করেন তাহলে এটাকেই ফ্রিলেন্সিং বলা যায়। এখানে আপনি কোনও প্রতিষ্ঠানের জন্য পারমানেন্ট কাজ করছেন না আবার একি সাথে কয়েকটা প্রতিষ্ঠানের জন্যও কাজ করতে পারেন।
অনলাইনে বিভিন্ন ওয়েবসাইটে নিবন্ধন করে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, ক্লাইন্টের জন্য কাজ করাকে অনলাইন ফ্রিলেন্সিং বলে।

Who is a Freelancer

ভাল করে দেখে নিনঃ

অনলাইন ফ্রিলেন্সিং ব্যাপারটা বর্তমানে আমাদের দেশে একটা ট্রেন্ডের মত হয়ে আছে। সবাই করছে... আমিও করি—এই টাইপের। যেমনটা আমরা আগেও দেখেছি অনেক অন্যান্য জিনিসের বেলায়। আমরা বাঙালি জাতি অনেকটাই হুজুগে। কিন্তু অনলাইনে কাজ করে টাকা কামানোর ব্যাপারটা হুজুগে না। আমরা চাইলেও সবাইকে উৎসাহিত করতে পারি না, কিন্তু যাদের মধ্যে আসলেই ইচ্ছা আছে কাজ করার, ইচ্ছা আছে ধৈর্য নিয়ে কাজ শেখার, পরিশ্রম করার আর সর্বোপরি নিজের জ্ঞানকে বর্তমান প্রযুক্তি দুনিয়ার সাথে আপ টু ডেট রাখার- তাদেরকেই এই লাইনে কাজ করার জন্য উৎসাহিত করার উচিত।

অনলাইনে কাজ করে ইঙ্কাম করাটা একেবারে সোজা কাজ না যে,যেই আসবে টাকা ইঙ্কাম করবে। এই পেশায় আসার আগে নিজেকে বারবার প্রশ্ন করুন আপনি কি আদৌ কম্পিউটার-ইন্টারনেট আর বর্তমান প্রযুক্তিকে ভালবাসেন? কারণ মন থেকে ভাল না বাসলে কখনই আপনি এখানে সফলতার মুখ দেখতে পারবেন না। যারা এখন প্রতিষ্ঠিত অনলাইন ফ্রিলেন্সার হিসেবে কাজ করছেন তারা কি পরিমাণ কষ্ট করে এখানে এসেছেন সেটা একবার জেনে নিবেন। সারাদিন-রাত টানা কম্পিউটার নিয়ে পড়ে ছিলেন না, এমন লোক কেউ খুঁজে পাবেন না। আগে প্রশ্ন করুন আপনি নিজে এসব করতে পারবেন? নাকি আপনার বন্ধু,বড়ভাই কি সব কাজ করে ডলার ইঙ্কাম করছে দেখে ব্যস আপনিও নেচে উঠলেন; কাজ করার জন্য কি পরিমাণ ত্যাগ-তিতিক্ষা করা লাগবে এসব না জেনে, না বুঝেই। তাই আবারো বলছি আগে একটু নিজেকে রিসার্চ করে নিন আপনি কি এই কাজে ফিট কি’না। অভিজ্ঞদের পরামর্শ হচ্ছে যে কাজে আপনি মজা পান সেটা নিয়েই কাজ করুন, জীবনে কাজ উপভোগ করতে পারবেন।

নতুনদের কিছু কমন প্রশ্নের উত্তরঃ

*কিভাবে শুরু করবোঃ

আগে নিজেকে জিজ্ঞেস করুন আপনি কোন কাজ ভাল পারেন কিংবা শুরু করতে চাইলে কয়েকটা জিনিসের উপর নজর দেন যেমন,আপনার আগ্রহের ব্যাপার কি,কি ধরনের কাজে আপনি মজা পান,আপনার নিজের কোনও স্কিল আছে কি’না। এসব মার্ক করে আর কাজের ধরনের উপর কিছু রিসার্চ করে বের করুন আপনার জন্য সঠিক সেক্টর।

*ইংলিশ লেভেলঃ

যেহেতু অনলাইনের ফ্রিলেন্সিং করবেন তাই আপনাকে সব কাজ আর যোগাযোগ অনলাইনেই করতে হবে। আর সেখেত্রে অবশ্যই এবং অবশ্যই আপনাকে ইংলিশ ভাল জানতে হবে। দরকার হলে প্রতিদিন ইংলিশ চর্চা করুন। নিজের শব্দভাণ্ডার ভারি করে তুলুন।
ভাল কমুনিকেশন স্কিল না থাকলে এবং ক্লাইন্টের সাথে ভাল ভাবে যোগাযোগ রক্ষা না করতে পারলে বেশিদিন টিকে থাকা অনেক কষ্টকর হয়ে যাবে।

*কোথায় কাজ শিখবোঃ

বড়রা সব সময় এই প্রশ্নের উত্তরে বলেন Google. আমিও তাই বলছি। আপনার মনে যা প্রশ্ন আসে আপনি নিশ্চিন্তে গুগলের সার্চ বক্সে লিখে দিন। বিশ্বাস করুন আপনি বেশি বৈকি কম শিখবেন না।
অনেকেই বলেন গুগল সার্চ করে ভাল কিছু পাচ্ছেন না। হ্যাঁ হয়তো আপনি ঠিকভাবে সার্চ করতে পারছেন না কিন্তু তাই বলে থেমে থাকবেন না কারণ এডভান্স গুগল সার্চ করা অভিজ্ঞতার বিষয়। কয়েকদিন ভাল ভাবে সার্চ করতে করতে দেখবেন আপনি খুব ভাল সার্চ রেজাল্ট পাচ্ছেন। দরকার পড়লে কিভাবে এডভান্স সার্চ করতে হয় এটাও গুগল থেকে জেনে নিন।

* কাজের জন্য টিউটোরিয়াল কোথায় পাবোঃ

টিউটোরিয়াল খোঁজার জন্য আপনি অবশ্যই সবার আগে কাঙ্ক্ষিত বিষয়ে গুগলকে জিজ্ঞেস করবেন।
বিশেষ বিশেষ কাজের জন্য বিশেষ কিছু ওয়েবসাইট রয়েছে , তবে ভিডিও টিউটোরিয়ালের জন্য ইউটিউব হচ্ছে বেস্ট। এখানে আপনি সব ধরনের কাজের সব টিউটোরিয়াল পাবেন। বর্তমানে আমাদের দেশের বেশ কিছু ভাল মনের মানুষ বাংলায় টিউটোরিয়াল বানিয়ে এখানে ফ্রি দিয়েছেন আমাদের শেখার জন্য। এসবের যথোপযুক্ত ব্যাবহার করতে শিখুন।

* ট্রেইনিং সেন্টারঃ

অনেকেই কাজ শেখার জন্য ট্রেইনিং সেন্টারের খোঁজ জানতে চান। দেশে অনেক সেন্টার আছে যেখানে ৩ মাস বা ৬ মাসের কোর্স করানো হয়। তবে আমার অনুরোধ থাকবে আগে নিজে নিজে শিখার চেষ্টা করুন। আপনি বেসিকটুকু জেনে থাকলে ওই ট্রেইনিং সেন্টারগুলো থেকে এডভান্স কোর্স করে নিতে পারেন।

*কাজ কিভাবে পেতে পারিঃ

কাজ কিভাবে পাবেন তার আগে নিজেকে প্রশ্ন করুন আপনি কি কাজ পারেন বা আপনি কি কাজ পাওয়ার যোগ্য? যদি এই দুইটা প্রশ্নের উত্তর হ্যাঁ হয় তাহলে আপনি অনলাইনে যেকোনো মার্কেটপ্লেস এ কাজ করতে পারবেন। মার্কেটে কাজ করার জন্য শুধু কাজ পাওয়াটাই মুখ্য ব্যাপার না, আসল পরীক্ষা হচ্ছে আপনার কাজ সুন্দর ভাবে শেষ করে আপনার ক্লাইন্ট/কোম্পানিকে সন্তুষ্ট করা।

কয়েকটা মার্কেটপ্লেসের নাম হলো :  www.odesk.com, www.freelancer.com, www.elance.com, www.peopleperhour.com,
99Designs.com
এছারাও আরও অনেক মার্কেট প্লেস আছে।
এর মধ্যে যেকোনো একটা মার্কেটপ্লেস এ বা একাধিক মার্কেটপ্লেস অ্যাকাউন্ট খুলে আপনি কাজ শুরু করতে পারেন। অ্যাকাউন্ট খুলার আগে ঐ মার্কেটপ্লেস সম্পর্কে খুব ভাল করে জেনে নিবেন। আর একটু কষ্ট করে গুগল সার্চ করে দেখলেই সব ইনফরমেশন পেয়ে যাবেন। অযথা না জেনে ভুলেও অ্যাকাউন্ট করবেন না।

এছাড়া আপনি যদি নিজেকে অনেক দক্ষ মনে করেন তাহলে আপনি চাইলে আপনার কাজ কে বিক্রি করতে পারেন। কাজ বিক্রি করার এমন একটি মার্কেটপ্লেস হচ্ছে www.envato.com .
মনে রাখবেন কাজ পাওয়া টা আপনার দক্ষতার ওপরে নির্ভর করে।

অভিজ্ঞদের পরামর্শঃ

অনলাইনে বিভিন্ন সেক্টরে যারা অনেক ভালভাবে নিজের ক্যারিয়ার সাজিয়েছেন তাদের সবাই সার্ভিস বেজড কাজের তুলনায় প্রোডাক্ট বেজড কাজকে অনেক বেশি প্রাধান্য দিয়ে থাকেন। তাই এখন যারা অনলাইনে ফ্রিলেন্সার হিসেবে কাজ করছেন তাদের সবার উচিৎ নিজেদের প্রোডাক্ট ডেভেলপ করে বিভিন্ন মার্কেটেপ্লেসে উপস্থাপন করা।

সাধারণ ওয়েব ডেভেলপিং করে কাজ পাওয়া এখন অনেক টাফ একটা ব্যাপার, আবার শুধু বেসিক ফটোশপ জ্ঞান নিয়ে গ্রাফিকের কাজ বেশিদূর আগানো সম্ভব না। সাধারণ লিঙ্ক বিল্ডিং আর স্প্যামিং করে এসইও করার দিন শেষ।  তাই যে সেক্টরেই কাজ করতে হবে একেবারে পাকাপোক্ত হয়ে কাজ করতে হবে।

Freelancing Is A Serious Business

 উজ্জ্বল সম্ভাবনাময় ক্যারিয়ারঃ

ইদানিং কালে এন্ড্রয়েড অ্যাপস নিয়ে অনেক ভাল কাজ হচ্ছে আর এটার ফিউচার বেশ ভাল। আইওএস, মোজিলা ওএস নিয়েই অনেক ভাল কাজ করছেন আমাদের দেশের অনেক এক্সপার্ট তরুন প্রোগ্রামাররা। এই সব কাজের চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। বর্তমান যুগে ডেস্কটপ সফটওয়্যারের সাথে মোবাইল অ্যাপস গুলোর চাহিদাও অনেক বেশি পরিমানে বেড়েছে।
আবার গ্রাফিক ডিজাইন ছাড়া এসবের চিন্তাও করা যাবেনা।

ইন্টারনেট মার্কেটিং এবং এফিলিয়েট মার্কেটিং হচ্ছে আরেক সম্ভাবনাময় সেক্টর! অনেক ভাল ক্যারিয়ার হতে পারে অনলাইন বেজড বিজনেস এবং মার্কেটিং ক্যারিয়ার। একটা সাইট নিয়ে গুগলের অ্যাডসেন্স কিংবা অ্যামাজনের এফিলিয়েট করে মাসে স্ট্যাবল একটা আরনিং সোর্স তৈরি করা যায়। সেই সাথে পেইড মার্কেটিং করেও বেশ ভাল আরনিং করার সম্ভাবনা রয়েছে।

ওয়ার্ডপ্রেস, মেজেন্টো, জুমলাসহ সকল ধরণের ওয়েব ডেভেলপমেন্ট- ওয়েব ডিজাইন এসবের চাহিদা কোনোদিন কমবে কিনা সেটা জানা নেই, তাই এই কাজে পারদর্শী যে কেউ করে নিতে পারেন নিজের ক্যারিয়ার।

সবশেষেঃ

আসলে সব কথার এক কথা এটাই যে যদি কেউ নিজেকে স্মার্ট কাজের উপযুক্ত মনে করে আর সেজন্য যথেষ্ট পরিমাণ শ্রম দিতে পারবেন এমন যে কেউ এখানে আসতে পারেন। অনলাইনে কাজ করে টাকা ইনকাম করা চাট্টিখানি কথা না, সবখান থেকে এভয়ডেড হয়ে এখানে আসার চিন্তা করলে হবেনা। এখানে যারা নিজ যোগ্যতায় প্রতিষ্ঠিত তারা সমাজের অন্যান্য অনেক প্রতিষ্ঠিত ব্যাক্তির চেয়ে অনেক বেশি যোগ্য বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই।
নিজেকে প্রতি মুহূর্তে শেখার জন্য প্রস্তুত রাখা, নিজেকে ভালভাবে রিপ্রেজেন্ট করা এবং আরও অনেক ভাল কাজ করার মনমানুষিকতা থাকতে হবে। সবশেষে কথা একটাইঃ ফ্রিলেন্সিং ইজ আ সিরিয়াস বিজনেস!

বিঃদ্রঃ উপরের কথাগুলো আমার নিজের নয়। কাজ করতে গিয়ে প্রতিমুহূর্তে শিখছি আর বড়রা যা বলেছেন সেগুলই আমার নিজের মত করে লিখেছি। আমি কিছুই জানি না এখনও... প্রতিমুহূর্তে শিখে চলেছি। এই লেখায় অনেক ভুল থাকতে পারে, আশা করছি ধরিয়ে এবং শুধরিয়ে দিবেন। নতুন কিছু শেখার প্রচণ্ডরকম তীব্র আকাংখা আছে, আমার আশেপাশের কিছু মহৎ মানুষদের সানিদ্ধে থেকে পথ চলছি নিজস্ব গতিতে।

30

লেবু এবং লবঙ্গ ব্যবহার

ভ্যাঁপসা গরম আর হুটহাট বৃষ্টির কারণে মশার উত্‍পাত যেন বেড়েই চলেছে। কয়েল আর অ্যারোসল দিয়েও তেমন কাজ হয় না। বাড়িতে ছোট শিশু থাকলে ঘন ঘন অ্যারোসল ব্যবহার করাও ঠিক নয়। তাহলে কি মশা তাড়ানোর কোনো উপায় নেই? অবশ্যই আছে এবং তা একেবারেই প্রাকৃতিক। শিশু বা অসুস্থ কারুরই কোনো সমস্যা হবে না। জেনে নিন উপায়টি।

মশা তাড়ানোর ব্যবস্থা করতে আপনার প্রয়োজন হবে লেবু এবং লবঙ্গ। একটি পাতিলেবু মাঝখানে কেটে দুভাগ করুন। এবার ৫-৬টি লবঙ্গ লেবুতে গেঁথে দিন। ঘরের অন্ধকার কোনায় লবঙ্গগাঁথা লেবুর টুকরোগুলো রাখুন। পাঁচ মিনিটের মধ্যেই মশারা পালাতে শুরু করবে।

Pages: 1 [2] 3