Show Posts

This section allows you to view all posts made by this member. Note that you can only see posts made in areas you currently have access to.


Messages - BRE SALAM SONY

Pages: 1 2 [3] 4 5 ... 55
31
মোবাইলের সঠিক ব্যবহার ও জরুরি মাসায়েল : মুফতি নাজমুল হাসান
[/url]


আধুনিক জ্ঞান-বিজ্ঞানের এক নব আবিস্কার হলো মোবাইল ফোন। বাদশাহ ফকির, নারী-পুরুষ, যুবক-যুবতী, শিশু-কিশোর সকলের হাতেই এখন মোবাইল। কেমন যেন, মোবাইল ফোনটি আজকাল জীবনের একটি অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আর মানুষের জীবনকে করেছে গতিময়। আগের যামানায় যে কাজে দীর্ঘ সময়ের প্রয়োজন হত, বর্তমানে তা মুহূর্তের মধ্যে হয়ে যায়। এদিকে লক্ষ করলে বুঝে আসে মোবাইল অত্যন্ত জরুরি একটি জিনিস। কিন্তু একথা সত্য যে, মোবাইল ফোনের ব্যবহার কারো কারো জন্য অভিশাপের কারণ। বিশেষ করে তরুণ প্রজন্ম এর শিকার। অনেকের মোবাইল তো অশ্লীলতা ও বেহায়াপনায় ভরপুর। শুধু মোবাইলই নয়, রেডিও, টেপরেকর্ড, অডিও, ভিডিও, ক্যামেরা, টেলিভিশন এবং ইন্টারনেটের সকল সুযোগ সুবিধা গ্রহণ করে মহামূল্যবান সময় নষ্ট করছে কত মানুষ। ভিডিও ফিল্ম দেখে, চলতে ফিরতে গান শুনে ইন্টারনেটে অশ্লীল ছবি দেখে নিজের চারিত্রকে ধ্বংস করছে। মোবাইল ফোন একজন শিক্ষার্থীকে শিক্ষার উজ্জ্বল আলো থেকে বঞ্চিত করে মূর্খতার ঘোর অন্ধকারে নিমজ্জিত করছে। ধ্বংস করে দিচ্ছে তার মহামূল্যবান জীবন সম্পদ কে। তাছাড়া যারা প্রয়োজনে মোবাইল ব্যবহার করে তাদের কেউ কেউ কিছু জিনিসের ক্ষেত্রে শরয়ী সীমা-রেখাকে  স্থির রাখেনা এবং তাদের দ্বারা কী ভুল ভ্রান্তি হয় তাও বুঝে না। মোবাইল ফোনের এসব ভয়াবহ ক্ষতি খারাবের প্রতি ইঙ্গিত, জনসাধারণের নিকট মোবাইল সংক্রান্ত সমস্যার সমাধান ও মাসআলা-মাসায়েল উপস্থাপন করাই হলো এ লিখনির মূল উদ্দশ্য। মহান আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে সঠিক বুঝ দান করুন। আমীন। প্রিয় পাঠক! আল্লাহ তাআলার মনোনীত ধর্ম একমাত্র ইসলাম। আর কেয়ামত পর্যন্ত যাবতীয় সমস্যার শরয়ী সমাধান একমাত্র ইসলাম ধর্মেই পাওয়া যায়। আধুনিক সকল মাসআলা-মাসায়েলের সমাধান দিতে ইসলাম সম্পূর্ণ সক্ষম। আর বিজ্ঞানের একটি নব আবিস্কার হলো মোবাইল ফোন, যার সাথে শরিয়তের অনেক মাসআলা মাসায়েলের সম্পৃক্ততা রয়েছে। সে মাসআলাগুলো মোবাইল ব্যবহারকারী প্রতিটি মুসলিম ভাইদের জানা অত্যন্ত জরুরি। যাতে এ সমস্ত মাসআলা মাসায়েল জেনে মোবাইলের ভয়াবহ ক্ষতি ও অপব্যবহার থেকে বাঁচতে পারে এবং শরিয়াতের অন্যতম উসুল ‘‘যতটুকু দ্বারা প্রয়োজন পূরণ হয় ততটুকু করা” এর উপর আমল করে মোবাইলের সঠিক ব্যবহার জানতে পারে। মাওলানা মানসুরপুরী সাহেব মোবাইলের ব্যবহার নীতির উপর মূল্যবান ছোট্ট একটি রেসালা উর্দু ভাষায় রচনা করেছেন, যার অনুবাদ করেছেন ইবরাহিম খলীল সাহেব, এতে মোটামুটি মোবাইলের জরুরি মাসআলাগুলো লেখা হয়েছে। সেখান থেকে কিছু গুরুত্বপূর্ণ মাসআলা পাঠকদের জ্ঞাতার্থে এখানে তুলে ধরা হলো-

নামাজের মধ্যে মোবাইল ফোন বন্ধ করা নামাজ শুরু করার পূর্বেই মোবাইলের রিংটোনটি বন্ধ করে নেয়া আবশ্যক। এদিকে সতর্ক দৃষ্টি রেখে অভ্যাসে পরিণত করা চাই। তবে যদি ভুলবশত বন্ধ না করে নামাজ শুরু করে আর নামাজে তা বেজে উঠে, তখন  মোবাইলটি পকেটে রেখেই এক হাত দিয়ে বন্ধ করবে। এর দ্বারা নামাজে কোন রকমের সমস্যা হবে না। আর মোবাইল বন্ধ করার জন্য নামাজ ছেড়ে দেয়ার প্রয়োজন নাই। [বাহরুর রায়েক : ২/১১] নামাজে বারবার মোবাইল বাজা যদি একবার বন্ধ করার পর (অর্থাৎ একবার পকেটে হাত দিয়ে কল কেটে দেয়ার পর) যদি আবার বেজে উঠে, তাহলে আমলে কালিলের মাধ্যমে তিনবার পর্যন্ত কল বন্ধ করা যেতে পারে। তবে শর্ত হলো- এ বন্ধ করাটা যাতে আমলে কাছিরের সীমা পর্যন্ত গিয়ে না পৌঁছে। যদি আমলে কাছির হয়ে যায়, তাহলে নামাজ ভেঙ্গে যাবে। [মাজমাউল আনহার : ১/১২] আমলে কালিল ও আমলে কাছির নামাজে আমলে কালিল ও আমলে কাছির নির্ধারণের ব্যাপারে ফোকাহায়ে কেরামের বিভিন্ন বক্তব্য পাওয়া যায়। তন্মধ্যে গ্রহণযোগ্য মত হলো আমলে কাছির বলা হয়- নামাজে এমন কোন কাজ করা যার দ্বারা নামাজ বিশুদ্ধ হওয়ার ক্ষেত্রে সমস্যা সৃষ্টি হয়। অযথা এমন কোন কাজ করা, যা দেখে সামাজের বাহিরের লোকদের প্রবল ধারণা হয় যে, লোকটি নামাজে নেই। তবে যদি মুসল্লির কাজটি এ পর্যায়ের না হয়। তাহলে তাকে আমলে কালিল বলা হয়। [শামী : ১/৪৩] মোবাইল বন্ধ করার জন্য নামাজ ভেঙ্গে ফেলা যদি আমলে কালিলের মাধ্যমে মোবাইল বন্ধ করা সম্ভব না হয়, আর তা বাজতে থাকার কারণে নিজের ও অন্যান্য মুসল্লিদের নামাজে সমস্যা হয়, তাহলে শুধু একারণে নামাজ ছেড়ে দিয়ে মোবাইল বন্ধ করা জায়েয নেই। কারণ নামাজ ছেড়ে দেয়ার অনুমতি শুধু বিশেষ কিছু ওযরের কারনে হয়ে থাকে। আর নামাজে একাগ্রতায় সমস্যা হওয়া এমন কোন শরয়ী ওযর নয়, যার কারনে নামাজ ছেড়ে দেয়ার অবকাশ রয়েছে। [শামী : ১/৪৪] রিংটোন হিসেবে আযান বা কুরআনের আয়াত সেভ করা রিংটোন দ্বারা উদ্দেশ্য হলো এ কথার প্রতি ইঙ্গিত করা যে, কোন ব্যক্তি আপনার সাথে আলাপ করার আশা করছে। বিষয়টি কেমন যেন দরজায় আওয়াজ করার মত। সুতরাং এজন্য কুরআনের আয়াত অথবা আযানের আওয়াজকে ব্যবহার করার কোন যৌক্তিকতা নেই, বরং এক হিসেবে এর দ্বারা কালামে পাক ও আযানের মান ক্ষুন্ন হয়। তাই এর ভিত্তিতে ফোকাহায়ে কেরাম এ ধরণের উদ্দেশ্য হাসিলের ক্ষেত্রে যিকিরের শব্দগুলো ব্যবহার করাও না জায়েয বলে ঘোষণা দিয়েছেন। সুতরাং ফোকাহায়ে কেরামের ঘোষণা অনুযায়ী মোবাইলে রিংটোন হিসেবে আযান, কুরআনে কারিমের আয়াত ও হামদ-নাম ইত্যাদি সেভ করা ঠিক হবে না। অনেক সময় এমনও হয়ে থাকে যে, কেউ মোবাইল নিয়ে টয়লেটে প্রবেশ করলো, আর সেখানে আয়াতে কারিমার আওয়াজ ভেসে উঠলো এতে কুরআনের অবমাননা হয়। তাই এর থেকে বেঁচে থাকা আবশ্যক। [হিন্দিয়া : ৫/৩১৬, আল আশবাহ ওয়ান নাযায়ের : ৫৩, ইমদাদুল ফাতওয়া : ৩৪৯] রিংটোন হিসেবে গান সেভ করা মোবাইলের রিংটোনে গান বাজানো এবং মিউজিক লাগানো কখনই জায়েয নয় বরং মহাপাপ। [আত তারগিব ওয়াত তারহিব : ৪/১৮৪, শামী জাকারিয়া : ৯/৫৬৬] গান শোনা কোন অস্থাতেই গান শোনা জায়েয নেই চাই মোবাইলের মাধ্যমে হোক কিংবা অন্য কোন মাধ্যমে হোক। [কুরতুবি : ৭/৫০, শামী জাকারিয়া : ৯/৫৬৬] মোবাইলে ফিল্ম দেখা ফিল্ম দেখা সর্বাবস্থায় নাজায়েয হারাম। চাই মোবাইলে দেখুক কিংবা অন্য কোথাও দেখুক। মোবাইলে ক্রিকেট ম্যাচ দেখা মোবাইল ইত্যাদির মাধ্যমে ক্রিকেট ম্যাচ দেখা অনর্থক সময় অপচয় ছাড়া আর কিছুই নয়। অনেক সময় তাতে গুনাহ অন্তর্ভুক্ত হয়ে যায়। কারণ খেলার মাঝে মাঝে এমন কিছু অশ্লীল ছবি ও এডভেটাইজ দেখানো হয়, যা দেখার দ্বারা দৃষ্টির হেফাজত সম্ভব হয় না। [ইমদাদুল ফাতাওয়া : ৪/২৫৭, ফাতাওয়া রাহমানিয়া : ১০/৩২৬] মোবাইলে গেমস খেলা মোবাইলে গেমস খেলা মানে নিজের অমূল্য সম্পদ সময়কে অপচয় করা। তাই তা থেকে বিরত থাকা আবশ্যক। [শুয়াবুল ঈমান : হা. ৪৯৮৭] মোবাইলের মাধ্যমে দ্বীনী বয়ান শোনা মোবাইলের মাধ্যমে দ্বীনী বয়ান হামদ-নাত ইত্যাদি শোনা জায়েয। তবে শর্ত হলো তাতে কোন ছবি না থাকা। [ইমদাদুল ফাতাওয়া : ৫/২৪৯, কিফায়াতুল মুফতি : ৯/২০৭] মোবাইলে মিস্ডকল দেয়া মিস্ডকল করার ক্ষেত্রে একটু ব্যাখ্য রয়েছে, যদি এমন ব্যক্তিকে মিস্ডকল করা হয় যার সাথে তার অন্তরঙ্গতা রয়েছে কিংবা মিস্ডকল দিলে খারাপ মনে করবে না; বরং তার সাথে কল মিলাবে, তাহলে এমন ব্যক্তিকে মিস্ডকল দিতে কোন সমস্যা নেই। কিন্তু যদি কোন অপরিচিত লোক হয়, অথবা এমন কোন লোক হয় যাকে মিস্ডকল দিলে খারাপ মনে করবে, তাহলে এমন লোককে মিস্ডকল দেয়া ঠিক হবে না। [রুহুল মায়ানি : ১০/৩২৩] বিরক্ত করা মোবাইলে রিং দিয়ে কাউকে বিরক্ত করা বা কষ্ট দেয়া মস্পূর্ণ না জায়েয। [বুখারি]

32
বিভিন্ন ইসলামীক মাসলা-মাসায়েল
জীবন জিজ্ঞাসা : এ সংখ্যার উত্তর দিয়েছেন : মুফতি সাহেব, মারকাজুল ইসলাম
রশ্ন : অনেক সময় মাদরাসার হুজুরদেরকে যাকাতের টাকা কালেকশনের সময় যাকাতদাতা পৃথকভাবে কিছু টাকা হাদিয়া দেয়। উক্ত হাদিয়া গ্রহণ করা জায়িয আছে কিনা?
উত্তর : না, উক্ত হাদিয়া গ্রহণ করা যাবে না। তবে যদি তাদের মাঝে পূর্ব থেকে হাদিয়ার আদান প্রদান হয়ে থাকে, তাহলে গ্রহণ করা যাবে। তথাপি গ্রহণ না করাই উত্তম। [সহীহ বুখারী : ২/১০৬৪, সহীহ মুসলিম : ২/১২৩, ফাতহুল কাদীর : ৬/৩৭১, আদ-দুররুল মুখতার : ৮/৪৯, ইমদাদুল মুফতিয়ীন : ৮৮৩ পৃ:]

খালেদ, ঢাকা।
প্রশ্ন : এক লোক এক লাখ টাকা ব্যাংকে জমা রাখে। পাঁচ বছর পর মুনাফাসহ এক লাখ পঞ্চাশ হাজার টাকা পায়। মুনাফা  বাবদ প্রাপ্ত এ পঞ্চাশ হাজার টাকার যাকাত দিতে হবে কিনা?
উত্তর : বর্ণিত ৫০ হাজার টাকার পুরোটাই সাওয়াবের নিয়ত ছাড়া যাকাতের হকদারদের মধ্যে বন্টন করে দিতে হবে। নিজে ভোগ করা জায়িয হবে না। অতএব এর যাকাত প্রদানের প্রসঙ্গ রইলো না। [আদ্-দুররুল মুখতার : ৩/২১৮, ফাতাওয়া তাতারখানিয়া : ২/২৮৯, ফাতাওয়া বাযযাযিয়া আলা হামেশে হিন্দিয়া : ৪/৮৬, আহসানুল ফাতাওয়া : ৪/২৮৩, ইমদাদুল মুফতিয়ীন : ২/১৫]

ছাইফুল ইসলাম, চাঁদপুর।
প্রশ্ন : জনৈক ব্যক্তির হাতে মাদরাসার গোরাবা ফান্ডের কিছু টাকা ছিলো। এক সময় বিশেষ প্রয়োজনে তিনি সেই টাকা ব্যক্তিগত কাজে খরচ করে ফেলেন। অবশ্য পরবর্তীতে তা দিয়ে দিয়েছেন। এভাবে ব্যক্তিগত কাজে গোরাবা ফান্ডের টাকা ব্যায় করাতে তার গুনাহ হয়েছেকিনা?
উত্তর : গোরাবা ফান্ডের টাকা ব্যক্তিগত কাজে লাগানো জায়িয নেই। যতো দ্রুত সম্ভব তা গরীবদের দিয়ে দেয়া চাই। কাজেই প্রশ্নোক্ত ব্যক্তি গুনাহগার হয়েছে। ভবিষ্যতে আর এমনটি করবে না। [আদ-দুররুল মুখতার : ৩/১৮৮, আল-ফিকহুল ইসলামী ওয়া আদিল্লাতুহু : ২/৮৯১, খুলাছাতুল ফাতাওয়া : ১/২৪৪]

আব্দুল আউয়াল, নারায়ণগঞ্জ।
প্রশ্ন : মোবাইল ফোনের মাধ্যমে সাক্ষ্য দিলে তা  গ্রহণযোগ্য হবে কিনা?
উত্তর : সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণযোগ্য হওয়ার জন্য অন্যতম শর্ত হলো, কাযী বা বিচারকের সামনে সাক্ষী সশরীরে উপস্থিত থাকা। তাই ফোনে সাক্ষ্য দিলে তা গ্রহণযোগ্য হবে না। [জাদীদ ফিকহী মাসায়িল : ১/৪৫২, আদ-দুররুল মুখতার : ৫/৪৬১, ফাতাওয়া হিন্দিয়া : ৩/৪৫, আল-বাহরুর রায়িক : ৭/৫৬, ফাতহুল কাদীর : ৬/৪৪৬]

আনিছুর রহমান, পাবনা।
প্রশ্ন : হাদিসে সকাল-বিকাল পড়ার ব্যাপারে যে সকল যিকির বর্ণিত আছে, সেগুলো সকাল বিকাল কোন সময় পড়তে হবে?
উত্তর : হাদিসে বর্ণিত সকালে পড়ার যিকির সমূহ ফজরের পর থেকে দ্বিপ্রহর পর্যন্ত। আর বিকালে পড়ার যিকির সমূহ যোহরের পর থেকে মাগরিব পর্যন্ত সময়ের মধ্যে পড়ার অবকাশ আছে। তবে উত্তম হলো, ফজরের পর থেকে সূর্যোদয় পর্যন্ত সময়ের মধ্যে সকালের যিকির সমূহ পড়ে নেয়া। আর আসরের পর থেকে মাগরিব পর্যন্ত সময়ের মধ্যে বিকালের যিকির সমূহ পড়া। তবে যেসব দু’আ ফজর ও মাগরিবের নামাযের পর পড়ার কথা হাদিসে উল্লখ আছে, সেগুলো উল্লিখিত সময়েই পড়তে হবে। [আল আযকার লিন্-নববী : পৃ.৭১,রিয়াযুস সালিহীন : ৩৪৭, তাফসীরে রূহুল মা‘আনী : ১০/১৭৬, কাওয়ায়িদুল ফিক্হ : পৃ: ৩৪৬, পৃ.৪৮১, আল-ফিকহুল ইসলামী ওয়া আদিল্লাতুহু : পৃ.৩৫৪, ৫৬৪]

শফিকুল ইসলাম, চট্টগ্রাম।
প্রশ্ন : যে কোনো এক্সিডেন্টে মৃত্যুবরণকারী এবং অস্বাভাবিকভাবে মৃত ব্যক্তির লাশের পোষ্টমর্টেম করা সরকারী আইনে জরুরি। তাই প্রশ্ন হচ্ছে, এটা জায়িয আছে কিনা?
উত্তর : শরী‘আতে পোষ্টমর্টেম করার অনুমতি নেই। তদন্তের প্রয়োজনে অন্য কোন পদ্ধতি অবলম্বন করবে, পোষ্টমর্টেম নয়। [সুরা বনী ইসরাঈল : ৭০, নিজামুল ফাতাওয়া : ১/৪১৩, আবু দাউদ : ২/১০২, আওযাযুল মাছালিক : ২/৫০৭, ফাতাওয়া মাহমূদিয়া : ৬/৩৫৫, আহসানুল ফাতাওয়া : ৮/৩৩৮]

রহমত উল্লাহ, ঢাকা।
প্রশ্ন : জনৈক ব্যক্তি উত্তর দিকে ফিরে পেশাব করে পশ্চিম দিকে ফিরে পানি ব্যবহার করেছে। এভাবে পশ্চিম দিকে ফিরে পানি ব্যবহার করা জায়িয আছে কিনা?
উত্তর : হাজত পূর্ণ করার পর পশ্চিম দিকে ফিরে পানি ব্যবহার করা বেয়াদবী। তাই তা পরিহার করবে। [আদ-দুররুল মুখতার : ১/৫৫৪, মুনইয়াতুল মুসল্লী : ১/১১, আল-বাহরুর রায়িক :১/২৪৩, গুনইয়াতুল মুতামাল্লী : ১/৩৮, কিতাবুল ফিকহী আলাল মাযাহিবিল আরবা‘আ : ১/৮৮, বাদরুল মুত্তাকী বিহামেশি মাজমায়িল আনহুর : ১/৬৭]

আসমা, গাইবান্ধা।
প্রশ্ন : ৪/৫ মাস গর্ভধারিনী স্ত্রীর পেটে তার স্বামী আঘাত করে। ফলে তার পেট থেকে শুধু হাত পা বিশিষ্ট সন্তান প্রশব হয়ে যায়। এতে মহিলার রক্তক্ষরণ হতে থাকে। এ অবস্থায় উক্ত রক্ত নিফাস হিসেবে গণ্য হবে নাকি এস্তেহাযা?
উত্তর : নিফাস হিসাবে গণ্য হবে। [আল-হিদায়া : ১/৭০, ফাতাওয়া হিন্দিয়া : ১/৩৭, তাবয়ীনুল হাকায়িক : ১/৬৭, আল-বাহরুর রায়িক : ১/৩১৮, ফাতাওয়া তাতারখানিয়াহ : ১/৩৯২]
তরিকুল ইসলাম, লাকসাম।
প্রশ্ন : অনেকে মুরব্বী এবং সম্মানী লোকদের পায়ে হাত বুলিয়ে হাতে চুমু খায়। এটা কতোটুকু শরী‘আত সম্মত জানাবেন।
উত্তর : কোনরূপ বদ আকিদা ও ভিন্ন মতাদর্শের বশবর্তী হওয়া ব্যতীত মুরব্বী বা সম্মানী লোকদের পায়ে হাত বুলিয়ে হাতে চুমু খাওয়া জায়িয আছে। খেয়াল রাখতে হবে, পায়ে হাত বুলানোর সময় যেন রুকূ এবং সিজদার সূরত না হয়ে যায়। তথাপি আকিদাগত ফিতনা ও বিভ্রান্তির এযুগে এরূপ করবে না। [আদ-দুররুল মুখতার : ২/৩৮৩, ফাতাওয়া হিন্দিয়া : ৫/৩৬৯, আল-বাহরুর রায়িক : ৮/১৯৮, কিফায়াতুল মুফতী : ৯/১১৫, ফাতাওয়া রশীদিয়া : ১৬৯]

হাবিবুর রহমান, বরগুনা।
প্রশ্ন : যেসব মুসলিম শাসকদের মাঝে ইসলামী আদর্শ নেই, তাদেরকে খলীফাতুল মুসলিমীন বা শুধু খলীফা বলা যাবে কিনা?
উত্তর : ইসলামী পরিভাষায় যেসব গুণাগুণ থাকলে কোন শাসককে খলীফাতুল মুসলিমীন বা আমীরুল মুমিনীন বলা যায়, বর্তমান মুসলিম শাসকদের মধ্যে সেসব গুণাগুণ নেই। তাই তাদেরকে ইসলামী পারিভাষিক উপাধি খলীফাতুল মুসলিমীন বা আমিরুল মুমিনীন বলা যাবে না। [ইযালাতুল খাফা আন খিলাফাতিল খুলাফা : ১/১৯, তাফসীরে ইবনে কাছীর : ১/৭২, তাফসীরে মাযহারী : ১/৪৯, তাফসীরে খাযিন : ১/৪২]

আল আমীন, গাজিপুর।
প্রশ্ন : আমাদের দেশে কুরআনে কারিমের ত্রিশতম পারাটি আম্মাপারা নামে পৃথকভাবে ছাপানো পাওয়া যায়। এটি কুরআন শরিফের তারতীবে ছাপা হয়নি; বরং সম্পূর্ণ বিপরীত তারতীবে ছাপা হয়েছে। আর মকতবে বাচ্চাদেরকে এই আম্মাপারাই পড়ানো হয় এবং কুরআনে কারিমের বিপরীত তারতীবে পড়ানো হয়। এব্যাপারে শরয়ী দৃষ্টিভঙ্গী কি?
উত্তর : বাচ্চাদের শিক্ষার সুবিধার্থে এভাবে ছাপানো এবং পড়ানো দুটিই জায়িয আছে। তবে তিলাওয়াতের উদ্দেশ্যে উল্টোভাবে পড়ার অনুমতি নেই। [আদ-দুররুল মুখতার : ১/৫৪৬, আল-ফিকহুল ইসলামী ওয়া আদিল্লাতুহু : ১/৬৯৬,  ফাতাওয়া রাহীমিয়া : ১/১৯-২০, ফাতাওয়া মাহমূদিয়া : ১/১৩-১৭, আহছানুল ফাতাওয়া : ৮/১৭]

মোবারক হোসেন, নেত্রকোণা।
প্রশ্ন : জনৈক ব্যক্তির জানা আছে সালামের উত্তর দেওয়া ওয়াজিব। সে প্রতিদিন ফজরের নামাযের পর হাটতে হাটতে সুরা ইয়াসিন তিলাওয়াত করে। এসময় অনেকে তাকে সালাম দেয়। সালামের জওয়াব দিতে গেলে তিলাওয়াতের ব্যাঘাত ঘটে। এ অবস্থায় সালামের উত্তর দেওয়া জরুরি কিনা?
উত্তর : না, তিলাওয়াতকারীর উপর সালামের উত্তর দেওয়া জরুরি নয়।  [ফাতাওয়া শামী : ১/৬১৮, আল-ফিকহুল ইসলামী ওয়া আদিল্লাতুহু : ৩/৫৭৮, আল-বাহরুর রায়িক : ২/৯, তাবয়ীনুল হাকায়িক : ১/৫৭]

রফিকুল ইসলাম, তুরাগ, ঢাকা।
প্রশ্ন : শুনেছি মসজিদের উপরতলার প্রথম কাতারে দাঁড়ানোর চেয়ে নীচতলার শেষ কাতারে দাঁড়ানোর সাওয়াব বেশি। কথাটি সঠিক কিনা জানাবেন।
উত্তর : হ্যাঁ, আপনার শ্র“ত কথাটি সঠিক। [আদ-দুররুল মুখতার : ১/৫৬৯-৫৭০, ফাতাওয়া হিন্দিয়া : ১/৭৯, আল-বাহরুর রায়িক : ১/৩৫৪, হাশিয়াতুত তাহতাবী আলা মারাকিল ফালাহ : পৃ. ১২৮]

বেলাল হাওলাদার, নীলফামারী।
প্রশ্ন : যদি কেউ অতি বৃদ্ধ হওয়ার দরুণ নিজের শরীরের অবাঞ্ছিত লোম পরিষ্কার করতে সক্ষম না হয়, তাহলে তার জন্য করণীয় কি?
উত্তর : এ অবস্থায় সে ব্যক্তি তার স্ত্রীর মাধ্যমে পরিষ্কার করে নিবে। আর যদি স্ত্রী না থাকে বা স্ত্রীও যদি অক্ষম হয়, তাহলে বর্তমানে বাজারে যে সব লোমনাশক ক্রীম, জেলী ইত্যাদি পাওয়া যায়, এসব ব্যবহার করে পরিষ্কার করে নিবে। [বাদায়িউস সানায়িউ : ৫/১১৯, ফাতাওয়া শামী : ৯/৫৪৯, ফাতাওয়া হিন্দিয়া : ৫/৩৫৮, আল মুহীতুল বুরহানী : ৬/৭০, আল-বাহরুর রায়িক : ৮/১৯২]

আব্দুল কাদির, শেরপুর।
প্রশ্ন : রাস্তা ঘাটে অনেক ভেল্কিবাজ ভেল্কির খেলা দেখায়। এসব দেখা জায়িয কিনা জানাবেন।
উত্তর : না, এসমস্ত ভেল্কিবাজী দেখা জায়িয নেই। [সূরা লুকমান : ৬, মুকাদ্দিমাতু দুররিল মুখতার : ১/১২৭, ফাতাওয়া শামী: ৬/৩৯০, ফাতাওয়া হিন্দিয়া : ৫/৩৫২, আল-হিদায়া : ৪/৪৭৫, ফাতাওয়া রহীমিয়া : ৭/২৭৭]

বিলকিস আকার, নেত্রকোণা।
প্রশ্ন : গোবর বা নাপাক বস্তু থেকে সৃষ্ট গ্যাস অথবা সরাসরি শুকনো গোবর দিয়ে রান্না করা বস্তু খাওয়া যাবে কিনা?
উত্তর : হ্যাঁ, যাবে। [আল-মুহীতুল বুরহানী : ৭/৩০২, আল-হিদায়া : ৪/৪৬৮, আদ-দুররুল মুখতার : ৯/৫৫২, বাদায়িউস সানায়ি’ : ১/১৯৭]

আব্দুর রাজ্জাক, নাটোর।
প্রশ্ন : কেউ যদি চল্লিশ দিন পর্যন্ত ক্ষুরকার্য না করে, তাহলে তার নামায হবে কি না?
উত্তর : চল্লিশ দিন ক্ষুরকার্য না করার কারণে নামাযে কোনো ক্ষতি হবে না। তবে এমনটি করা মাকরূহে তাহরীমী। তাই এজন্য তার কঠিন গুনাহ হবে। [ফাতাওয়া হিন্দিয়া : ৫/৩৫৭, ফাতাওয়া শামী : ২/১৮১, মাজমাউল আনহুর : ২৫৫৬, আল-মুহীতুল বুরহানী : ২১৩]

আক্তার হোসেন, নেত্রকোণা।
প্রশ্ন : হিফজ বিভাগের একজন শিক্ষক ছোট এক ছাত্র দুষ্টুমি করায় শাসনের উদ্দেশ্যে কয়েকটি হালকা বেত্রাঘাত করেন। ঘটনাক্রমে একটি বেত্রাঘাত গলায় লাগে। এতে সে সাথে সাথে মাটিতে পড়ে যায়। হাসপাতালে নেওয়া হলে সে সেখানে মারা যায়। এমতাবস্থায় উক্ত শিক্ষকের উপর দিয়াত আসবে কিনা?
উত্তর : হ্যাঁ, বর্ণিত অবস্থায় শিক্ষকের উপর দিয়াত ওয়াজিব হবে। [ফাতাওয়া শামী : ৪/৬৪৯, ফাতহুল কাদীর : ৫/১১৯, কিতাবুল ফিকহি আলাল মাযাহিবিল আরবা‘আ : ৫/২৫৮, আল-ফিকহুল ইসলামী ওয়া  আদিল্লাতুহু : ৬/৩১১]
জয়নুল আবেদীন, রাঙ্গামাটি।
প্রশ্ন : যেসব লোক উলামায়ে কিরামের সমালোচনা করে, গালিগালাজ করে, তাদেরকে সালাম দেয়া তাদের সালামের উত্তর দেয়া যাবে কিনা?
উত্তর : শরয়ী কোনো কারণ ব্যতীত উলামায়ে কিরামকে গালমন্দকারী ফাসিক। এতে কোনো সন্দেহ নেই। বরং এতে তার ঈমান চলে যাওয়ারও সমূহ আশংকা রয়েছে। কাজেই তার প্রতি শ্রদ্ধা বা সম্মান প্রদর্শন হয় এমন যে কোনো কাজ করা মাকরূহে তাহারীমী। কেননা তারা কেবল লাঞ্ছনা বঞ্চনা আর অপমান পাওয়ার যোগ্য। আর ফাসিককে সালাম দেয়া তাকে সম্মান প্রদর্শনের নামান্তর। তাই উলামায়ে কিরামের গালমন্দকারীকে সালাম দেয়া মাকরূহে তাহরীমী। এমন ব্যক্তি সালাম দিলে তার উত্তর দেয়াও জরুরি নয়। [আদ-দুররুল মুখতার মাআ ফাতাওয়া শামী : ৬/৪১৫, ফাতাওয়া হিন্দিয়া : ২/২৭০; ২/৩২৬, আল-বাহরুর রায়িক : ১২৩/৫, ফাতাওয়া মাহমূদিয়া : ৭/৪১৪]

নূরুল হুদা, পাবনা।
প্রশ্ন : একসাথে ৮/৯ টি ডিম সিদ্ধ করা হয়। পাত্র থেকে ডিম উঠানোর পর জানা যায়, দুইটি ডিম নষ্ট ছিলো। এখন বাকী ডিমগুলো একসাথে সিদ্ধ হওয়ার দরুণ খেতে কোন সমস্যা আছে কিনা?
উত্তর : বর্ণিত অবস্থায় ভালো ডিমগুলো ফাটা না হলে তা খেতে কোনো সমস্যা নেই। তবে সব সময়ই ডিম সিদ্ধ করার পূর্বে তা পঁচা কিনা দেখে নিবে। [আদ-দুররুল মুখতার : ১/৫৪৪, ফাতাওয়া তাতারখানিয়া : ১/৩১২, ফাতহুল কাদীর : ১/১৮৫, আল-মুহীতুল বুরহানী : ১/২২৭, কিতাবিল ফিকহ আলাল মাযাহিবিল আরবা‘আ : ১/২৩]

মুহাম্মদ যুবায়ের, দিনাজপুর।
প্রশ্ন : দ্বীনের ব্যাপারে পরামর্শ করা ফরয। আর দুনিয়ার ব্যাপারে পরামর্শ করা মুস্তাহব। কথাটি কতোটুকু সঠিক?
উত্তর : কুরআনে কারিম ও পবিত্র হাদিসের মাধ্যমে জানা যায় যে, এমন বিষয় যেখানে ভিন্ন ভিন্ন রায় বা মতামতের সম্ভাবনা রয়েছে, চাই তা রাষ্ট্রীয় ব্যাপারে হোক বা অন্য কোনো ব্যাপারে হোক সেক্ষেত্রে পরস্পরে পরামর্শ করা হুজুর সা. ও সাহাবায়ে কিরাম রা. এর সুন্নাত। এতে দুনিয়া ও আখিরাতে বরকতও লাভ হয়। আর যে বিষয় জনসাধারণের সাথে সম্পৃক্ত যেমন রাষ্ট্রীয় কোনো বিষয় সেক্ষেত্রে পরামর্শ করা ওয়াজিব।
একটি বিষয় জেনে রাখা জরুরি যে, পরামর্শ শুধু এমন ক্ষেত্রেই সুন্নাত যে ক্ষেত্রে কুরআন ও হাদিসের স্পষ্ট কোনো নির্দেশ নেই। যেখানে স্পষ্ট শরয়ী হুকুম রয়েছে, সেখানে কারো সাথে পরামর্শের প্রয়োজন নেই। এমনকি তা জায়িযও নেই। পরামর্শ শুধু দুনিয়াবী ব্যাপারে নয় বরং যে শরয়ী আহকামের ব্যাপারে ইসলামী শরীআতে স্পষ্ট বিধান নেই সে সবের বেলায়ও পরামর্শ করা সুন্নাত। [মূল : তাফসীরে কুরতুবী : ৪/২৫০-২৫১,  মাআরিফুল কুরআন : ২/২১৯-২২০, আহকামুল কুরআন : ২/৬৫-৬৮, মাআরিফুল কুরআন : মুফতী মুহাম্মদ শফী রহ. : ২/২১৯-২২০, মাআরিফুল কুরআন : মাওলানা মুহাম্মদ ইদরীস কান্ধালবী রহ. : ২/৭৮, তাফসীরে ইবনে কাছীর : ১/৩৯৭]

শাখাওয়াত, মাগুরা।
প্রশ্ন : কোনো এলাকার জনৈক মাওলানা সাহেব বলেছেন, সকাল-বিকাল সুরায়ে হাশরের শেষের তিন আয়াত তিলাওয়াত করার সময়                                            তিন বার

পড়ে বিসমিল্লাহ পড়তে হবে। একথাটি সঠিক কিনা দলীলসহ জানতে চাই।
উত্তর : না, সঠিক নয়। কেননা, যে হাদিসে সকাল-বিকাল সুরায়ে হাশরের শেষের তিন আয়াত পড়ার কথা বলা হয়েছে, সে হাদিসে এর পর বিসমিল্লাহ পড়ার কথা উল্লেখ নেই। [তাফসীরে ইবনে কাছীর : ৪/৩৪৪, তিরমিযী : ২/১২০, তাফসীরে রুহুল মা‘আনী : ১৪/৬৪, তাফসীরে মাযহারী : ৯/২৫৭]

আব্দুর রহীম, ঢাকা।
প্রশ্ন : ক্রামবোর্ড খেলার ব্যাপারে শরয়ী বিধান কি?
উত্তর : ক্রামবোর্ড খেলা নাজায়িয। [আদ-দুররুল মুখতার : ৯/৫৬৬, ফাতাওয়া হিন্দিয়া : ৫/৩৫২, ফাতহুল কাদীর : ৮/৮৯৪, বাদায়িউস সানায়ি’ : ৫/১২৭, আল-বাহরুর রায়িক : ৮/২০৭, আপ কে মাসায়িল আওর উনকা হল : ৪/৩২৯, আল-ফিককুল ইসলামী ওয়া আদিল্লাতুহু : ৩/৫৭১]

আব্দুস সাত্তার, সাতক্ষীরা।
প্রশ্ন : যদি কারো দাঁত স্বর্ণ বা রূপা দ্বারা বাঁধাইকৃত হয়, তবে মৃত্যুর পর তা খুলে দাফন করতে হবে কিনা?
উত্তর : যদি দাঁত মুখ থেকে বের করা কঠিন হয় এবং এর কারণে মৃত ব্যক্তির অসম্মানী হয়, তাহলে সেটি সহই দাফন করবে। অন্যথায় খুলে রেখে দাফন করবে। [আদ-দুররুল মুখতার : ২/২৩৮, আল-ফিকহুল ইসলামী ওয়া আদিল্লাতুহ : ২/৫২৯, ফাতহুল কাদীর : ২/১০২, আহসানুল ফাতাওয়া : ৪/২৪১]

জাকির, কুমিল্লা।
প্রশ্ন : আমার তাবীজের  উপর আরবী অক্ষরে আল্লাহ লেখা রয়েছে, তা গলায় ঝুলিয়ে পড়তে হয়। এখন যদি আমি উক্ত তাবীজ নিয়ে বাথরুমে যাওয়ার সময় কাপড়ের নীচে লুকিয়ে যাই, তাহলে কোনো সমস্যা হবে কিনা?
উত্তর : না, এতে কোনো সমস্যা হবে না। তবে তা খুলে রেখে যাওয়াই উত্তম। [হাশিয়াতুত তাহতাবী আলা মারাকিল ফালাহ : ফ. ৩, মিশকাত শরীফ : ১/৪২, আল-ফিকহুল ইসলামী ওয়া আদিল্লাতুহু : ১/২০২, ফাতাওয়া হিন্দিয়া : ১/৫০, মিরকাতুল মাছাবীহ : ১/৩৫৩]

রফিকুল হক, বাগেরহাট।
প্রশ্ন : জনৈক ব্যক্তি প্রতি বছর তার পিতার মাগফিরাত কামনায় ইসালে সাওয়াবের উদ্দেশ্যে ফকীর-মিসকীন ও আলিম-উলামাদের জন্য দাওয়াতের আয়োজন করে। তবে তা তার পিতার মৃত্যুর তারিখে না করে একদিন আগে বা পরে করে। এভাবে ইসালে সাওয়াবের অনুষ্ঠান করা জায়িয হবে কিনা?
উত্তর : মৃত ব্যক্তির জন্য ইসালে সাওয়াবের উদ্দেশ্য কোনো দিন তারিখ জরুরি মনে না করে গরীব-মিসকীনদের খাওয়ানো যাবে। এমনকি মাইয়িতের মাগফিরাতের জন্য মাঝে মাঝে এ ধরনের খাওয়ানো ভালো। তবে ইসালে সাওয়াবের উদ্দেশ্যে কুরআন খতম করে বিনিময় লেনদেন করা নাজায়িয ও হারাম। তাই তা করবে না। [ফাতাওয়া শামী : ৩/১৪৮, আল-বাহরুর রায়িক : ২/১৯২, বাদরুল মুত্তাকী লি হামিশে মাজমায়িল আনহুর : ১/১৮৭]

রিজওয়ান আহমেদ, ভোলা।
প্রশ্ন : এক স্থান হতে অন্য স্থানে ডাক যোগে কুরআন শরিফ পাঠালে গুনাহ হবে কিনা জানাবেন।
উত্তর : প্রয়োজনের প্রেক্ষিতে যথাযথ ইহতিরামের সাথে ডাক যোগে কুরআন শরিফ পাঠালে কোনো গুনাহ হবে না। তবে একান্ত প্রয়োজন ছাড়া কুরআন শরিফ ডাকে পাঠাবে না। [ফাতাওয়া হিন্দিয়া : ৫/২২৩, ফাতাওয়া বাযাযিয়াহ আলা হামিশিল হিন্দিয়া : ৬/৩৭৭, ফাতাওয়া খানিয়াহ : ৪/৩৭৮, আল মুহীতুল বুরহানী : ৭/৫০]

33
প্রিয় taslima ম্যাম আপনার এই প্রশ্নের উত্তর অত্যান্ত সহজ এবং গুরুত্বপূর্ন
 ইসলামে ফজিলত লাভের উদ্দেশ্যে তিন মসজিদে ভ্রমণ করার অনুমোদন আছে। এর মধ্যে প্রথমটি হলো মক্কা মুকাররমা বা কাবা শরিফ (সৌদি আরব)। দ্বিতীয়টি হচ্ছে মসজিদ আল-আকসা বা বায়তুল মুকাদ্দাস: ইসলামের প্রথম কিবলা মসজিদ (ফিলিস্তিন)। তৃতীয়টি হলো মদিনা আল-মুনাউওয়ারার মসজিদে নববী: নবীজিকে যেখানে চির শয়নে শায়িত করা হয়েছে। মদিনা নবীর শহর, একে আরবিতে বলা হয় ‘মদিনাতুন নবী’। আর মদিনার প্রাণকেন্দ্র হলো ‘মসজিদে নববী’। মদিনার ৯৫টি নাম রয়েছে, যেমন দারুস সালাম (শান্তির ঘর)। তা ছাড়া মদিনার ৯৯টি বৈশিষ্ট্য রয়েছে। রাসূলুল্লাহ (সা.) মদিনার বরকতের জন্য দোয়া করেছেন, একে হারাম বা সম্মানিত ঘোষণা করেছেন। হাদিস শরিফে বর্ণিত আছে যে, ঘর থেকে অজু করে মসজিদে কুবায় গিয়ে নামাজ পড়লে একটি উমরাহর সওয়াব পাওয়া যায়। মসজিদে নববীর ভেতরে স্বয়ংক্রিয় ছাদের ব্যবস্থা আছে, যা দিনের বেলা সুইচের মাধ্যমে খুলে দেওয়া হয় আর রাতে বন্ধ করে দেওয়া হয়। মসজিদে নববীতে নারীদের জন্য আলাদা নামাজ পড়ার জায়গা আছে। ভেতরে কিছুদূর পরপর পবিত্র কোরআন মজিদ রাখা আছে, আর পাশে আছে জমজম পানি খাওয়ার ব্যবস্থা। পাশেই ‘জান্নাতুল বাকি’ গোরস্তান। এখানে হজরত ফাতেমা (রা.), বিবি হালিমা (রা.) ও হজরত ওসমান (রা.)সহ অগণিত সাহাবায়ে কিরামের কবর রয়েছে। এর একপাশে নতুন কবর হচ্ছে প্রত্যহ। এখানে শুধু একটি পাথরের খণ্ড দিয়ে চিহ্নিত করা আছে একেকটি কবর। মসজিদে নববীর উত্তর দিকের গেট দিয়ে বেরিয়েই সাহাবাদের মসজিদ। পাশাপাশি দু’টি এবং একটি একটু দূরে একই ডিজাইনে করা তিনটি মসজিদ। এগুলোকে ‘সাহাবা মসজিদ’ বলা হয়।

মসজিদে নববীতে সালাত আদায় ও দোয়া করার উদ্দেশ্যেই মদিনায় গমন এবং সালাত আদায় করে রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর রওজা শরিফ জিয়ারত করা ও সালাম পৌঁছানোর ইচ্ছা প্রতিটি ধর্মপ্রাণ মুসলমানের থাকে। জিয়ারত ও নামাজ আদায়ের উদ্দেশ্যে মদিনায় যাওয়া সুন্নত। মসজিদে নববীতে নামাজ পড়ায় ফজিলত বেশি। মসজিদে নববীতে জিয়ারতের জন্য ইহরাম বাঁধতে বা তালবিয়া পড়তে হয় না। তবে মদিনা থেকে যদি মক্কায় আবার আসতে হয়, তাহলে মিকাত বীর আলী পার হলে ইহরাম বেঁধে আসতে হবে।

রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর রওজা মোবারক

উম্মুল মুমিনীন হজরত আয়েশা (রা.)-এর কক্ষেই রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর ওফাত হয় এবং সেখানেই তাঁকে দাফন করা হয়। মসজিদ সম্প্রসারণ করার পর বর্তমানে তাঁর কবর মোবারক মসজিদে নববীর অন্তর্ভুক্ত হয়ে গেছে। রাসূলে করিম (সা.)-এর রওজা মোবারকের ডানদিকে ইসলামের প্রথম খলিফা হজরত আবু বকর সিদ্দিক (রা.) ও দ্বিতীয় খলিফা হজরত ওমর ফারুক (রা.)-এর কবর। নবী করিম (সা.)-এর রওজা মোবারক সালাম পেশ করার নিয়ম কিবলার দিকে পিঠ করে নবী করিম (সা.)-এর চেহারা মোবারককে সামনে রেখে এমনভাবে দাঁড়াতে হবে, যেন রাসূলুল্লাহ (সা.) আপনার সামনে। এ সময় পৃথিবীর যাবতীয় চিন্তাভাবনা থেকে দিলকে মুক্ত করে একমন, একদিল হয়ে অত্যন্ত আদবের সঙ্গে সালাম পেশ করতে হবে। এ রকম খেয়াল করতে হবে যে, নবী করিম (সা.) কবর মোবারকে কিবলার দিকে মুখ করে আরাম করছেন এবং সালাম-কালাম শ্রবণ করছেন।
http://hajjsangbad.com

34
হজকে সৌদির প্রধান আয়ের উৎস করার চিন্তা
[/b][/size][/color]
সৌদি আরব জ্বালানি তেল বাদ দিয়ে এখন পবিত্র হজকে দেশটির প্রধান জাতীয় আয়ের উৎসে পরিণত করার চিন্তাভাবনা করছে। রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত দৈনিক সৌদি গ্যাজেটের বরাত দিয়ে রেডিও তেহরানের এক খবরে এ কথা বলা হয়েছে। পবিত্র হজ খাত থেকে সৌদি আরব বছরে ৫৩০ থেকে ৬১০ কোটি ডলার সমপরিমাণ অর্থ আয় করে থাকে। পবিত্র হজ যাত্রীদের সংখ্যার ওপর এ আয়ের পরিমাণ নির্ভর করে।
এতে আরো বলা হয়েছে, অধিক সংখ্যক হজযাত্রীর কারণে তেল ও গ্যাসের পরেই দ্বিতীয় বৃহত্তম রাজস্ব আয়ের উৎস হয়ে উঠেছে পবিত্র হজ এবং এটি একটি শিল্পখাতের মতোই গড়ে উঠেছে। পবিত্র হজের সময়ে প্রায় ২০ লাখ মুসলমান পবিত্র মক্কা ও মদিনা শরিফ ভ্রমণ করে থাকেন। ২০২০ সালের মধ্যে এ সংখ্যা বেড়ে ২৭ লাখে পৌঁছবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

35

নিবন্ধনের পরও ৪০ হাজার হজযাত্রীর হজ অনিশ্চিত
আজকালের মধ্যে পুনরায় শুরু হচ্ছে প্রাক-নিবন্ধন

চলতি বছর পবিত্র হজব্রত পালনে ইচ্ছুকদের প্রাক-নিবন্ধন কার্যক্রম শুরু হয়েছে গত ২৩ মার্চ। ৩০ মে পর্যন্ত এটি চলার কথা থাকলেও নিবন্ধন শুরুর ৬ দিনের মধ্যেই বেসরকারি হজযাত্রীদের কোটাপূর্ণ হয়ে যায়। এ কারণে হজ অফিসের ওয়েবসাইট বন্ধ করে রাখা হয়। ফলে হজ পালনে আগ্রহী আরও প্রায় ৪০ হাজার হজযাত্রী প্রাক-নিবন্ধন করতে পারেনি। বিষয়টি নিয়ে সরকারের সঙ্গে হজ এজেন্সি মালিকদের বৈঠকের পর ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয় শর্তসাপেক্ষে কোটার অতিরিক্ত আরও ৪০ হাজার হজযাত্রীকে প্রাক-নিবন্ধনের সুযোগ প্রদানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। জানা গেছে, দুয়েক দিনের মধ্যে নিবন্ধন কার্যক্রম শুরু হবে। তবে প্রাক-নিবন্ধনের এ সুযোগ পাওয়ার পরও এসব হজযাত্রীর হজ পালন নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়েছে। হজ এজেন্সি মালিকরা এ অনিশ্চয়তার বিষয়টি জানান। তাদের যুক্তি, সিরিয়ালের ভিত্তিতে ৯১ হাজার ৭৫৮ জনকে হজ পালনের সুযোগ দেওয়া হবে। বেসরকারিভাবে আগে নিবন্ধিত হজযাত্রীদের কেউ যদি সরকার নির্ধারিত হজ প্যাকেজের ৩ লাখ ৫ হাজার টাকা ৩০ মে তারিখের মধ্যে পরিশোধ করতে না পারেন তাহলে অতিরিক্ত কোটা থেকে নিয়ে পূরণ করা হবে। বাকি হজযাত্রীরা হয় টাকা ফেরত নেবেন, নয় তো আগামী বছর হজ পালনের সুযোগ পাবেন। অর্থাৎ কোটার অতিরিক্ত ৪০ হাজার হজযাত্রী একটি শর্তের বেড়াজালে পড়েছেন; অনিশ্চিত থেকে যাচ্ছে এ বছর তারা হজ পালন করতে পারবেন কি না।

ধর্ম মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব মো. আব্দুল জলিলও জানিয়েছেন, এবার দ্বিতীয় দফায় প্রাক-নিবন্ধনের পর যারা হজ পালনের সুযোগ পাবেন না, তাদের আগামী বছর (২০১৭) সুযোগ দেওয়া হবে।

সূত্র জানায়, চলতি বছরের ১১ জানুয়ারি ২০১৬ সালের জন্য পৃথক দুটি হজ প্যাকেজের অনুমোদন দেয় মন্ত্রিসভা। মন্ত্রিসভায় মোট ১ লাখ ১৩ হাজার ৮৬৮ জন বাংলাদেশিকে হজ পালনের অনুমোদন দেওয়া হয়। এসব হজযাত্রীর হজ পালনের বিষয়ে গত ১৪ ফেব্রুয়ারি সৌদি সরকারের সঙ্গে বাংলাদেশ সরকারের চুক্তি সম্পন্ন হয়। হজ চুক্তির সময় ১ লাখ ১৩ হাজার ৮৬৮ বাংলাদেশিকে হজ পালনের সুযোগ দিতে রাজকীয় সৌদি সরকারের কাছে আবেদন জানানো হয়েছিল ঢাকা থেকে। কিন্তু সৌদি সরকার ১ লাখ ১ হাজার ৭৫৮ বাংলাদেশিকে হজ পালনের অনুমোদন দিয়েছে। এর মধ্যে সরকারিভাবে ১০ হাজার এবং বেসরকারিভাবে ৯১ হাজার ৭৫৮ জন রয়েছেন।

গত ২০ মার্চ সকালে সচিবালয়ের ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ধর্মমন্ত্রী অধ্যক্ষ মতিউর রহমান আনুষ্ঠানিকভাবে প্রাক-নিবন্ধন কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। অনুষ্ঠানে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব জানান, আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হলেও প্রাক-নিবন্ধন কার্যক্রম সারা দেশে একযোগে শুরু হবে আরও ৩ দিন পর অর্থাৎ ২৩ মার্চ থেকে। যারা সরকারিভাবে যাবেন, তারা ৩০ হাজার এবং যারা বেসরকারিভাবে যাবেন তারা ৩০ হাজার ৭৫২ টাকা জমা দিয়ে অনলাইনে প্রাক-নিবন্ধন করবেন।

ধর্ম সচিবের ঘোষণা অনুযায়ী ২৩ মার্চ থেকে প্রাক-নিবন্ধন কার্যক্রম শুরু হয়। কিন্তু প্রাক-নিবন্ধন শুরুর ৬ দিনের মধ্যেই বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ পালনের জন্য ১ লাখ ১১ হাজার ২৯৫ জন হজ অফিসের অনলাইনে নাম-ঠিকানা দিয়ে ডেটা এন্ট্রি করেন। যার মধ্য থেকে ২৮ মার্চ দুপুর দেড়টা পর্যন্ত ৮৮ হাজার ২০৪ জন প্রাক-নিবন্ধন সম্পন্ন করেন। বেসরকারি হজযাত্রীর কোটা পূর্ণ হওয়ায় ওইদিনই ওয়েবসাইটে ডেটা এন্ট্রি বন্ধ করে দেয় হজ অফিস। আর এরপর থেকেই প্রাক-নিবন্ধন সম্পন্ন করতে না পারা হজযাত্রীরা হজ এজেন্সি অফিস, হজ অফিস ও ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ে দৌড়ঝাঁপ শুরু করেন।

হজ এজেন্সিজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (হাব) সভাপতি ইব্রাহিম বাহার ও মহাসচিব শেখ আব্দুল্লাহ বলেন, বেসরকারি হজযাত্রীর কোটা পূরণ হলেও আরও প্রায় ৪০ হাজার হজযাত্রী প্রাক-নিবন্ধনে অংশগ্রহণে আগ্রহী। এসব হজযাত্রী হাব অফিস, হজ অফিস ও ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের দ্বারস্থ হচ্ছেন। বিষয়টি নিয়ে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে হাব নেতা ও হজ এজেন্সি মালিকদের বৈঠক হয়েছে। এরপরই সরকার কোটার অতিরিক্ত আরও ৪০ হাজার হজযাত্রীকে প্রাক-নিবন্ধনের সুযোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আজকালের মধ্যে হজ অফিসের ওয়েবসাইট খুলে দেওয়া হবে। এরপরই আগ্রহী হজযাত্রীরা ডেটা এন্ট্রি করবেন এবং ডেটা এন্ট্রি সম্পন্নকারী হজযাত্রীরা ব্যাংকে টাকা জমা দিয়ে প্রাক-নিবন্ধন করবেন।

36

প্রাক-নিবন্ধনকারীরা অপেক্ষমাণ থেকে ২০১৭ সালে হজে
[/size][/color]
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
সোহাগ মাহমুদ ,ঢাকা
হজসংবাদ.কম
x
Download PDF
প্রাক-নিবন্ধনকারীরা অপেক্ষমাণ থেকে ২০১৭ সালে হজে

এ বছর সৌদি আরবে হজ চুক্তি অনুযায়ী গাইড, মুনাজ্জেম, সরকারি খরচে হজ পালনকারীসহ ১ লাখ ১ হাজার ৭৫৮ জন বাংলাদেশ থেকে সৌদি আরব যেতে পারবেন। এ সংখ্যা অতিক্রম করলে নিয়মমতো হজযাত্রীরা অপেক্ষমাণ তালিকায় থাকবেন এবং পরবর্তী বছর হজে যাবেন।
হজে যাওয়ার প্রথম ধাপে প্রাক-নিবন্ধন করতে হবে। সৌদি ই-হজ সিস্টেমের সঙ্গে সমন্বয়ের জন্য এ বছর থেকে প্রাক-নিবন্ধন চালু করা হয়েছে।
হজ ওয়েবসাইট www.hajj.gov.bd থেকে জানা যায়, গত ২৩ মার্চ থেকে প্রাক-নিবন্ধন চালু হয়। প্রাক-নিবন্ধনের টাকা জমা সাপেক্ষে ব্যাংক প্রাক-নিবন্ধন ক্রমিক নম্বর দেওয়া হয়। সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজে যেতে ইচ্ছুক প্রাক-নিবন্ধন চলমান রয়েছে।
২৮ মার্চ বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজে যেতে ইচ্ছুক ৮৮ হাজার ২০০ জনের কোটা পূরণ হয়ে যায়। পর্যায়ক্রমে এ বিষয়ে পুলিশ তদন্ত করবে।
পুনরায় ৪ এপ্রিল থেকে শুরু হয় বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজে যেতে ইচ্ছুক ব্য​ক্তিদের প্রাক-নিবন্ধন, চলবে আগামী ৩০ মে পর্যন্ত । ৯ এপ্রিল পর্যন্ত (১ লাখ ৩০ হাজার ৬৬১ – ৮৮ হাজার ২০০) ‍= ৪২ হাজার ৪৬১ জন প্রাক-নিবন্ধন করেছেন।

ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আব্দুল জলিল জানান, কোটা পূরণ হলে প্রাক-নিবন্ধনকারীরা অপেক্ষমাণ তালিকায় থাকবেন এবং পরবর্তী বছর (২০১৭ সালে) হজে যাবেন। তিনি আরও​ জানান, ৮৮ হাজার ২০০ জনের মধ্যে যদি কেউ না যান, তবে অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে সুযোগ পাবেন।

 

এ বছর সৌদি আরবে হজ চুক্তি অনুযায়ী গাইড, মুনাজ্জেম, সরকারি খরচে হজ পালনকারীসহ ১ লাখ ১ হাজার ৭৫৮ জন বাংলাদেশ থেকে সৌদি আরব যেতে পারবেন। এ সংখ্যা অতিক্রম করলে নিয়মমতো হজযাত্রীরা অপেক্ষমাণ তালিকায় থাকবেন এবং পরবর্তী বছর হজে যাবেন।
হজে যাওয়ার প্রথম ধাপে প্রাক-নিবন্ধন করতে হবে। সৌদি ই-হজ সিস্টেমের সঙ্গে সমন্বয়ের জন্য এ বছর থেকে প্রাক-নিবন্ধন চালু করা হয়েছে।
হজ ওয়েবসাইট www.hajj.gov.bd থেকে জানা যায়, গত ২৩ মার্চ থেকে প্রাক-নিবন্ধন চালু হয়। প্রাক-নিবন্ধনের টাকা জমা সাপেক্ষে ব্যাংক প্রাক-নিবন্ধন ক্রমিক নম্বর দেওয়া হয়। সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজে যেতে ইচ্ছুক প্রাক-নিবন্ধন চলমান রয়েছে।
২৮ মার্চ বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজে যেতে ইচ্ছুক ৮৮ হাজার ২০০ জনের কোটা পূরণ হয়ে যায়। পর্যায়ক্রমে এ বিষয়ে পুলিশ তদন্ত করবে।
পুনরায় ৪ এপ্রিল থেকে শুরু হয় বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজে যেতে ইচ্ছুক ব্য​ক্তিদের প্রাক-নিবন্ধন, চলবে আগামী ৩০ মে পর্যন্ত । ৯ এপ্রিল পর্যন্ত (১ লাখ ৩০ হাজার ৬৬১ – ৮৮ হাজার ২০০) ‍= ৪২ হাজার ৪৬১ জন প্রাক-নিবন্ধন করেছেন।

ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আব্দুল জলিল জানান, কোটা পূরণ হলে প্রাক-নিবন্ধনকারীরা অপেক্ষমাণ তালিকায় থাকবেন এবং পরবর্তী বছর (২০১৭ সালে) হজে যাবেন। তিনি আরও​ জানান, ৮৮ হাজার ২০০ জনের মধ্যে যদি কেউ না যান, তবে অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে সুযোগ পাবেন।

37

আগামী ১৯ শে এপ্রিলের হাবের জরুরী সভা ঢাকা হয়েছে
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
সোহাগ মাহমুদ ,ঢাকা
হজসংবাদ.কম
x
Download PDF

হজের প্রাকনিবন্ধন নিয়ে জটিলতার প্রেক্ষাপটে হজ এজেন্সীজ এসাশিয়েশন অব বাংলাদেশের পক্ষ থেকে আগামী ১৯ শে এপ্রিল অফিসার্স ক্লাব এ এক জরুরী সভা ঢাকা হয়েছে ।

উক্ত সভায় হজের বিষয়ে জরুরী সিদ্ধান্ত গ্রীহিত হবে বলে জানাযায় ।

38
প্রাক-নিবন্ধিত হজযাত্রীদের পুলিশ ভেরিফিকেশন শুরু হচ্ছে
[/color]
চলতি বছরের প্রাক-নিবন্ধিত হজযাত্রীদের পুলিশ ভেরিফিকেশন শিগগিরই শুরু হচ্ছে। বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় নির্ধারিত কোটার (৮৮ হাজার ২০০ জন) সবার পুলিশ ভেরিফিকেশনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়। এ লক্ষ্যে প্রাক-নিবন্ধিত এই হজযাত্রীদের তথ্য আগামী ১০ এপ্রিল পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) কাছে দেয়া হবে। গতকাল ধর্ম মন্ত্রণালয়ে এক বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়।
ভারপ্রাপ্ত ধর্মসচিব আব্দুল জলিলের সভাপতিত্বে বৈঠকে হাবের সহসভাপতি ফরিদ আহমেদ মজুমদার, মহাসচিব শেখ আব্দুল্লাহ, আইটি প্রতিষ্ঠান বিজনেস অটোমেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বজলুল হক বিশ্বাস এবং পুলিশের বিশেষ শাখার কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে হাব প্রাক-নিবন্ধিত সব হজযাত্রীর পুলিশ ভেরিফিকেশন করে রাখার জন্য প্রস্তাব করে। কিন্তু ধর্মসচিব নির্ধারিত কোটার মধ্যে যারা আছেন প্রাথমিকভাবে তাদের পুলিশ কিয়ারেন্সের সিদ্ধান্তের কথা জানান। পরে কোটা খালি হলে পরবর্তী তালিকা থেকে ভেরিফিকেশন করা হবে বলে জানান তিনি।
জানতে চাইলে হাবের সহসভাপতি ফরিদ আহমেদ মজুমদার বলেন, আমরা নিবন্ধিত সব হজযাত্রীর পুলিশ ভেরিফিকেশন করে রাখার পক্ষে মত দিয়েছিলাম। কিন্তু আপাতত নির্ধারিত কোটার ৮৮ হাজার ২০০ জনের ভেরিফিকেশনের ব্যাপারেই সিদ্ধান্ত হয়েছে। আগামী ১০ এপ্রিলের মধ্যে এসবির কাছে হজযাত্রীদের তালিকা হস্তান্তর করা হলে ওই তালিকা অনুযায়ী সারা দেশে ভেরিফিকেশন শুরু হবে।
গতকালের বৈঠকে প্রাক-নিবন্ধনের ক্ষেত্রে যেসব এজেন্সি হজযাত্রীদের মোবাইল ফোন নম্বর না দিয়ে এজেন্সির মোবাইল নম্বর দিয়েছে তাদেরকে শিগগিরই হজযাত্রীর মোবাইল নম্বর সংযোজন করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে গতকালই ধর্ম মন্ত্রণালয়ের হজবিষয়ক ওয়েবসাইটে বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়েছে।
১ লাখ ২৯ হাজারের প্রাক-নিবন্ধন : এ দিকে কোটা অতিক্রম করলেও হজের প্রাক-নিবন্ধনকার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। গতকালও সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত নিবন্ধনকার্যক্রম চলে। তাতে দেখা যায় সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজে গমনেচ্ছুদের ডাটা এন্ট্রির সংখ্যা : ৪০৯১। সরকারি ব্যবস্থাপনায় প্রাক-নিবন্ধিত হজে গমনেচ্ছুর সংখ্যা : ৩৪৩৫ জন।
বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজে গমনেচ্ছুর ডাটা এন্ট্রির সংখ্যা : ১৩৭,১০৮। বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় প্রাক-নিবন্ধিত হজে গমনেচ্ছুর সংখ্যা : ১২৯,০১৩। ডাটা এন্ট্রিকৃত হজে গমনেচ্ছুদের মধ্যে পুরুষ ৯৪,১৪৪ জন এবং মহিলা ৪৭,০৫৫ জন। ডাটা এন্ট্রিকৃত হজে গমনেচ্ছুর মধ্যে ১৮ বছরের নিচে ১৩২৭ জন, প্রবাসী ১০৩২ জন, এবং ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে ১৩৮,৮৪০ জন। মোট প্রাক-নিবন্ধিত সরকারি ৩৪৩৫ + বেসরকারি ১২৯,০১৩= ১৩২৪৪৮ জন। চলতি বছর সরকারি-বেসরকারি মিলে মোট হজযাত্রী পাঠানোর কোটা হচ্ছে ১ লাখ ১ হাজার ৭৫৮ জন। আগামী ৩০ মে পর্যন্ত হজের প্রাক- নিবন্ধন কার্যক্রম চলবে। ইতোমধ্যেই প্রায় ৪০ হাজার হজযাত্রী কোটার অতিরিক্ত হয়ে গেছে বলে দাবি করেছে হাব। অতিরিক্ত হজযাত্রীদের হজে পাঠানোর জন্য সৌদি সরকারের সাথে যোগাযোগ করে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য ইতোমধ্যেই প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছে সংগঠনটি

39
Hajj / হজের সকল সংবাদ [http://hajjsangbad.com]
« on: April 10, 2016, 08:53:16 PM »
হজের সকল সংবাদ [http://hajjsangbad.com]
প্যাকেজ মূল্য জমা দিয়ে হজ আইডি গ্রহণ নিয়ে বিভ্রান্তি
বেসরকারি ব্যবস্থাপনার হজযাত্রীদের সর্বনি¤œ প্যাকেজ মূল্য জমা দিয়ে প্রিলগ্রিম আইডি গ্রহণ নিয়ে বিভ্রান্তি দেখা দিয়েছে। এরই মধ্যে নির্ধারিত কোটা সংখ্যক হজযাত্রীর প্রাক-নিবন্ধন সম্পন্ন হয়েছে। এ ক্ষেত্রে সরকার নির্ধারিত ব্যাংকে মোয়াল্লেম ফি জমা দিতে হয়েছে। বলা হয়েছে, সরকার ঘোষিত সর্বনি¤œ প্যাকেজ মূল্যের বাকি টাকা জমা দিলেই কেবল প্রিলগ্রিম বা হজ আইডি দেয়া হবে। আর যারা প্রিলগ্রিম আইডি পাবেন তারাই কেবল হজে যেতে পারবেন। কিন্তু মোয়াল্লেম ফির টাকার বাইরে সর্বনি¤œ প্যাকেজের আরো প্রায় দুই লাখ ৭৫ হাজার টাকা কোথায় জমা দেয়া হবে এ ব্যাপারে কোনো নির্দেশনা নেই। এজেন্সিগুলো এ ব্যাপারে এখনো অন্ধকারে। জানতে চাইলে হাবের মহাসচিব শেখ আবদুল্লাহ গতকাল সন্ধ্যায় নয়া দিগন্তকে বলেন, সরকার হজযাত্রীদের প্যাকেজ মূল্য ব্যাংকে জমার বিষয়টি নিশ্চিত করে হাবকে ছাড়পত্র দিতে বলেছে। বুধবার ধর্ম সচিবের সাথে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এ নিয়ে আলোচনা হয়েছে। বুধবার সন্ধ্যায় হাবের নির্বাহী কমিটির সভায়ও বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে।আমরা প্রাথমিকভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছি এজেন্সিগুলো তাদের হাজীদের সর্বনি¤œ প্যাকেজ মূল্য হাবের অ্যাকাউন্টে জমা দেয়ার পরই হাব ছাড়পত্র দেবে। এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়ার জন্য আগামী ১৯ এপ্রিল হাবের জরুরি সাধারণ সভা আহ্বান করা হয়েছে বলে জানিয়ে তিনি বলেন, সেই সভায় মূলত এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে। এক প্রশ্নের জবাবে শেখ আবদুল্লাহ বলেন, এরই মধ্যেই ৪০ হাজারের বেশি হজযাত্রী অতিরিক্ত হয়ে গেছে। ফলে যাতে কোনো ভুয়া নাম তালিকায় রেখে পরে কেউ রিপ্লেসমেন্টের সুযোগ না পায় সেটি এবার নিশ্চিত করা হবে। এ জন্য সরকার হজযাত্রীদের পুরো টাকা জমার বিষয়টি নিশ্চিত হতে চাইছে। কিন্তু হাব নিজেদের অ্যাকাউন্টে টাকা জমা না হলে কিভাবে টাকা জমার ব্যাপারে ছাড়পত্র দেবে, তা নিয়ে চিন্তায় আছে।এ দিকে এজেন্সি মালিকদের অনেকে বলছেনÑ বাড়ি ভাড়া, ক্যাটারিং সার্ভিসের টাকা ব্যাংকিং চ্যানেলে এজেন্সিগুলোকে সৌদি আরব পাঠাতে হবে। এ ছাড়া বিমান ভাড়ার টাকাও এজেন্সিগুলোকেই পরিশোধ করতে হবে। সে ক্ষেত্রে সরকার বা হাবের অ্যাকাউন্টে এজেন্সির অধীন হাজীদের সব টাকা জমা দিলে এ টাকা পাঠানো নিয়ে নতুন ঝামেলাও সৃষ্টি হবে। এজেন্সিগুলোর অনেকে বলছেন, এজেন্সিগুলো তাদের নিজস্ব অ্যাকাউন্টে তাদের নিজ নিজ হজযাত্রীদের টাকা জমার বিষয়টি নিশ্চিত করলেই তো সমস্যার সমাধান হয়ে যায়। এ দিকে সংশ্লিষ্ট অনেকে বলছেন, আসলে সর্বনি¤œ প্যাকেজ মূল্য থেকে অনেক কম মূল্যে হজযাত্রী সংগ্রহ করায় অনেক এজেন্সির পক্ষে সর্বনি¤œ প্যাকেজ মূল্য সরকার বা হাবের অ্যাকাউন্টে জমা দেয়া কঠিন হয়ে পড়বে। সে ক্ষেত্রে অনেকে প্রাক-নিবন্ধন সত্ত্বেও হজযাত্রী পাঠাতে পারবেন না। সূত্র মতে, যেখানে সর্বনি¤œ প্যাকেজ মূল্য তিন লাখ চার হাজার ৯০৩ টাকা, সেখানে অনেক এজেন্সি সর্বনি¤œ দুই লাখ ১০ থেকে ২০ হাজার টাকায় পর্যন্ত হজযাত্রী নিয়েছেন। অন্য দিকে ধর্ম মন্ত্রণালয় এ বছর এ ব্যাপারে কঠোরতা আরোপ করার চেষ্টা করছে। সে ক্ষেত্রে কোনো এজেন্সি পুরো টাকা জমা দিতে ব্যর্থ হলে পরবর্তী তালিকা থেকে হজযাত্রী পাঠানোর ব্যাপারে আগাম ঘোষণা দিয়ে রেখেছে মন্ত্রণালয়। তবে গত বছরও হজের আগে প্যাজেক মূল্য কিস্তিতে জমার জন্য ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কার্যকর হয়নি। তবে সর্বশেষ পাওয়া অতিরিক্ত কোটার পাঁচ হাজার হজযাত্রী পাঠাতে নির্ধারিত দুই লাখ ৫০ হাজার টাকা হাবের অ্যাকাউন্টে জমা নেয়া হয়েছিল। হজ-পরবর্তী সেই টাকা নিয়েও অনিয়মের অভিযোগ তুলেছে  কিছু এজেন্সি। যদিও হাব নেতারা অনিয়মের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, এজেন্সিগুলোকে খরচের পর উদ্বৃত্ত হওয়া টাকা ফেরত দেয়া হয়েছে এবং ধর্ম মন্ত্রণালয়ের পাওনা টাকাও পরিশোধ করা হয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক এজেন্সি মালিক গতকাল সন্ধ্যায় বলেন, হাব যেখানে গত বছর পাঁচ হাজার হজযাত্রীর টাকা জমা নিয়ে সামাল দিতে পারেনি, সেখানে ৯১ হাজার হজযাত্রীর টাকা জমা নিয়ে কিভাবে সামাল দেবে। তবে হাবের মহাসচিব শেখ আবদুল্লাহ এ ব্যাপারে বলেন, গত বছরও পাঁচ হাজার হজযাত্রীর টাকা নিয়ে কোনো অনিয়ম হয়নি। এবারো হাবের অ্যাকাউন্টে টাকা জমা হলে কোনো অনিয়মের আশঙ্কা নেই। যেহেতু এজেন্সিগুলো ব্যাংকিং চ্যানেলে খরচের টাকা সৌদি আরব পাঠাবে, সে ক্ষেত্রে হাব তাদের চাহিদানুযায়ী চেক দিয়ে দিলেই তো হবে।
এ দিকে প্রাক-নিবন্ধনকারী এজেন্সিগুলোর মধ্যে ৪০২টি এজেন্সি সর্বনি¤œ কোটা ১৫০ জন হজযাত্রীর নিবন্ধন করতে পারেনি। ধর্ম মন্ত্রণালয়ের হজবিষয়ক ওয়েবসাইটের দেয়া তথ্যানুযায়ী ১৪৬ জনের নিচে হজযাত্রীর প্রাক-নিবন্ধনকারী ৪০২টি এজেন্সির হজযাত্রী ৩৫ হাজার ৬১৯ জন। অন্য দিকে ১৪৬ জনের ঊর্ধ্বে প্রাক-নিবন্ধনকারী ২৯১টি এজেন্সির হজযাত্রীর সংখ্যা ৫২ হাজার ৫৮১ জন। সব মিলিয়ে বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় প্রাক-নিবন্ধিত হজযাত্রী দাঁড়িয়েছে ৮৮ হাজার ১৯৭ জন। ১৫০ জনের কম হজযাত্রীর প্রাক-নিবন্ধন করেছে এমন এজেন্সিগুলোকে নিজেদের মধ্যে গ্রুপ করে একটি লিড এজেন্সির মাধ্যমে তাদের হজযাত্রী পাঠানোর তালিকা দেয়ার জন্য এরই মধ্যেই ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। সৌদি সরকারের নিয়মানুযায়ী একটি এজেন্সি ১৫০ জনের নিচে হজযাত্রী পাঠাতে পারবে না। অন্য দিকে গতকাল বিকেল পর্যন্ত সরকারি-বেসরকারি মিলে সর্বমোট এক লাখ ৩৪ হাজার ১৮০ জনের প্রাক-নিবন্ধন শেষ হয়েছে। এর মধ্যে বেসরকারি ব্যবস্থাপনার এক লাখ ৩০ হাজার ৬৬১ জন এবং সরকারি ব্যবস্থাপনার তিন হাজার ৫১৯ জন। চলতি বছর সরকারি-বেসরকারি মিলে সর্বমোট হজযাত্রী পাঠানোর কোটা এক লাখ এক হাজার ৭৫৮ জন। আগামী ৩০ মে পর্যন্ত হজের প্রাক-নিবন্ধন চলবে। কোটার অতিরিক্ত হজযাত্রীদের আগামী বছরের জন্য অগ্রাধিকার তালিকায় রাখা হবে জানানো হয়েছে।

[http://hajjsangbad.com][/size]

40
মক্কা জাদুঘরে সংরক্ষিত মক্কামদীনার কিছু বিরল ছবি ।না দেখলে মিস করবেন
[/b][/size]


























































41
হজ এজেন্সির সর্বনিম্ন কোটা ১৫০ হজ ২০১৬ তে হজে  যেতে পারবেন ১০১৭৫২ জন

হজ ও উমরাহের যেতে ইচ্ছুকদের জন্য গুরুত্বপূর্ন হলো চলতি বছর প্রত্যেকটি হজ এজেন্সী সর্বনিম্ন ১৫০ জন হজযাত্রী নিতে পারবে । প্রতি বছর যেকানে সর্বনিম্ন ছিল ৫০ জন সর্বোচ্চ ৩০০ জন হজযাত্রী নিতে পারবে । সৌদি সরকার বাংলাদেশের ধর্ম মন্ত্রনালয় এর মাননীয় মন্ত্রী মহোদয়ের সাথে চুক্তি বদ্ধ হয়েছেন ।কিন্তু আফসোসের বিষয় হলো কেন মন্ত্রী মহোদয় এই সিদ্ধান্ত মেনে নিল ?

হজ ও উমরাহের যাবতীয় আপডেট পেতে এই ওয়েব সাইট টি আপনাদের উপকারে আসবে বলে আশা রাখি

ফেইজবুকে ও তাদের পেইজ আছে
ফেইজবুকে তাদের লিংক

এছাড়াও আছে সরকারী ওয়েব সাইট
সরকারী ওয়েব সাইট 

হজনিউজ.কম.বিডি 

এছাড়াও একটি হজ এজেন্সী আছে যাহারা নিয়মিত উন্নত সেবা প্রদানের প্রতিশুতি দিয়ে দীর্ঘ ১৭ বছর ধরে হজ ও উমরাহ যাত্রীদের সেবা দিয়ে আসছে

জিলহজ গ্রুপ বাংলাদেশ 
http://zilhajjgroup.com


হজ এজেন্সী মালিকদের এসোসিয়েশন এও আপনি আপনার বুকিং কৃত এজেন্টএর ডিটেইলস পেতে পারেন এখানে
হজ এজেন্সীস এসোশিয়েশন অব বাংলাদেশ [হাব ]

42
Hajj / হজ্জের ধারাবাহিক কাজ
« on: February 09, 2016, 11:08:21 PM »
জিলহজ গ্রুপ বাংলাদেশ    থেকে সংগ্রীহিত - হজ্জের ধারাবাহিক কাজ

তারিখ
স্থান
করনীয় ইবাদত

৮ই যিলহজ্জের পূর্বের কাজ
মীকাত
(১) মীকাত থেকে ইহরাম বাঁধবেন।

মক্কা
(২) কাবা ঘরে উমরার তাওয়াফ করবেন।
(৩) সাঈ করবেন।
(৪) চুল কেটে হালাল হয়ে যাবেন।

হজ্জের ধারাবাহিক কাজ

৮ই যিলহজ্জ তারউইয়্যার দিন
মিনা
নিজ বাসস্থান থেকে ইহরাম বেঁধে হজ্জের নিয়ত করে সূর্যোদয়ের পর মিনায় রওয়ানা হবেন। সেখানে যুহর, আসর, মাগরিব, এশা ও ফজরের সালাত আদায় করবেন।

৯ই যিলহজ্জ (আরাফার দিন)
আরাফা ময়দান
(১) সূর্যোদয়ের পর আরাফাতে রওয়ানা হবেন।
(২) যুহরের প্রথম ওয়াক্তে যুহর ও আসর পড়বেন একত্রে পরপর দুই দুই রাকআত করে।
(৩) সূর্যাস্তের পর মুযদালিফায় রওয়ানা করবেন। মাগরিব-এশা সেখানেই পড়বেন।
(৪) সেখানে রাত্রি যাপন করে প্রথম ওয়াক্তে অন্ধকার থাকতেই ফজর পড়বেন।
(৫) আকাশ ফর্সা হওয়া পর্যন্ত কেবলামুখী হয়ে হাত তুলে দীর্ঘ সময় দোয়া ও মোনাজাতে মশগুল থাকবেন।
(৬) বড় জামারায় নিক্ষেপের জন্য ৭টি কংকর এখান থেকে কুড়াতে পারেন।

১০ ই যিলহজ্জ (ঈদের দিন)
মিনা
(১) বড় জামরায় ৭টি কংকর নিক্ষেপ করবেন।
(২) কুরবানী করবেন।
(৩) চুল কাটাবেন। অতঃপর ইহরামের কাপড় বদলিয়ে সাধারণ পোষাক পরে ফেলবেন।

মক্কা
(৪) তাওয়াফে ইফাদা করবেন। এদিন না পারলে এটি ১১ বা ১২ তারিখেও করতে পারবেন এবং তৎসঙ্গে সাঈও করবেন।

১১ ই যিলহজ্জ (আইয়ামে তাশরীক)
১ম দিন
মিনা
(১) দুপুরের পর সিরিয়াল ঠিক রেখে প্রথমে ছোট, মধ্যম ও এর পরে বড় জামরায় প্রত্যেকটিতে ৭টি করে কংকর নিক্ষেপ করবেন।
(২) মিনায় রাত্রি যাপন করবেন।

১২ ই যিলহজ্জ (আইয়ামে তাশরীক)
২য় দিন
মিনা
১) পূর্বের নিয়ম অনুযায়ী ৩টি জামরায় ৭+৭+৭=২১টি কংকর নিক্ষেপ করবেন। দুপুরের আগে কংকর নিক্ষেপ করবেন না।
(২) সূর্যাস্তের আগে মিনা ত্যাগ করবেন। তা না পারলে আজ দিবাগত রাতও মিনায় কাটাবেন।

১৩ ই যিলহজ্জ (আইয়ামে তাশরীক)
৩য় দিন
মিনা
(১) যারা গত রাত মিনায় কাটিয়েছেন তারা আজ দুপুরের পর পূর্ব দিনের নিয়মেই ৭টি করে মোট ২১ টি কংকর মারবেন। অতঃপর মিনা ত্যাগ করবেন।

অতঃপর
মক্কা
দেশে ফেরার পূর্বে বিদায়ী তাওয়াফ করবেন।

হজ্জের ধারাবাহিক কাজ






আমার সাথে হজ বিষয়ক যেকোন পরামর্শ এর জন্য আপনারা যোগাযোগ করতে পারেন ।আমি ডেফোডিলের একজন গর্বিত ছাত্র। আমি গর্ব করে বলতে পারি ডেফোডিল থেকে আমি যা পেয়েছি তাহা আমার সারা জীবনের অর্জন । আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় আমার অহংকার । জিলহজ গ্রুপ বাংলাদেশ 

43
হজ ব্যবস্থাপনা নিয়ে আমার কিছু প্রস্তাবনা

সৌদি আরবের বর্ষপঞ্জি অনুযায়ী ২০১৬ সালের পবিত্র হজ অনুষ্ঠানের সম্ভাব্য তারিখ হচ্ছে, ১০ সেপ্টেম্বর, ৯ জিলহজ ১৪৩৭ হিজরি, শনিবার।
সরকারি ও বেসরকারি হজযাত্রীদের দাফতরিক কার্যক্রমগুলো এবং সব হজ ব্যবস্থাপনা অতীতের চেয়ে আরো সহজ, সুষ্ঠু, সুন্দর ও হালনাগাদ করার সুবিধার্থে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সম্মানিত যথাযথ কর্তৃপক্ষের সুবিবেচনার লক্ষ্যে কিছু প্রস্তাবনা নি¤েœœ পেশ করা হলো :
১. সরকারি নিয়মনীতি অনুসরণের মাধ্যমে বেসরকারি হজ এজেন্সিগুলোর নিজস্ব হজ প্যাকেজ নির্ধারণের সুবিধার্থে ২০১৬ সালের সরকারি হজ প্যাকেজ আগামী ৩১ জানুয়ারির মধ্যে ঘোষণা দেয়া।
২. এপ্রিল ২০১৬ পর্যন্ত হজযাত্রী বুকিং সময়সীমা চালু রাখার চেষ্টা করা। যদি সৌদি সরকারের সাথে বাংলাদেশ সরকারের হজ চুক্তির শর্ত অনুযায়ী সুযোগ থাকে। আর স্বল্প সময়ের মধ্যে বুকিং শেষ করতে হলে, শুধু মুয়াল্লিম ফি জমা দিয়ে হজ বুকিংয়ের সুযোগ দেয়া।
৩. নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সরকারি ও বেসরকারি হজযাত্রীদের কোটা পূরণ করার সুবিধার্থে হজ প্যাকেজ ঘোষণার পরপরই একাধারে কমপক্ষে ১৫ দিন ধরে ন্যূনতম পাঁচটি জনবহুল প্রচারিত জাতীয় দৈনিক পত্রিকার প্রথম পৃষ্ঠায় বিজ্ঞাপন আকারে এবং কয়েকটি ইলেকট্রনিকস মিডিয়ায় নিয়মিত ব্রেকিং নিউজে ও দৈনিক নিয়মিত খবর পরিবেশনে হজযাত্রী বুকিং সময়সীমা ব্যাপকভাবে প্রচার করা প্রয়োজন, যাতে দেশের সর্বস্তরে খবরটি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে।
৪. বেসরকারি হজযাত্রীদের প্যাকেজে সরকার কর্তৃক নির্ধারিত খরচ ১,৭০০ টাকার ট্রলি ব্যাগটি আরো উন্নত ও মজবুত করা এবং ওই টাকা আরো কমিয়ে নেয়া। অথবা ওই টাকা প্যাকেজ থেকে বাদ দিয়ে প্রত্যেক এজেন্সিকে নিজ নিজ দায়িত্বে তৈরি করে হজযাত্রীদের ওই ট্রলি ব্যাগটি সরবরাহ করার ঘোষণা দেয়া।
৫. প্রত্যেক এজেন্সি যেহেতু নিজ নিজ ব্যবস্থাপনায় স্বীয় হজযাত্রীদের প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে, এ জন্য বেসরকারি প্যাকেজে হজ প্রশিক্ষণ ফি ৩০০ টাকা এবং সে সাথে সরকারি কল্যাণ তহবিলের নামে ২০০ টাকা খরচের খাত থেকে বাদ দেয়া। যেহেতু সরকার প্রত্যেক হজযাত্রীর নামে একটি সার্ভিস চার্জ এজেন্সির কাছ থেকে জমা নেয়।
৬. সৌদি সরকারকে প্রদেয় জনপ্রতি ব্যাংক গ্যারান্টি (অফেরতযোগ্য) এসআর ৫০´২১ = ১০৫০ টাকা প্রত্যেক এজেন্সিকে নিজ নিজ হজযাত্রীর সংখ্যা অনুযায়ী ফেরত দেয়ার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া। যেহেতু ব্যাংকিং ভাষায় গ্যারান্টির টাকা অফেরতযোগ্য হয় না।
৭. সর্বোচ্চ সাত দিনের মধ্যে হজযাত্রীদের পাসপোর্ট ডেলিভারি পাওয়ার ব্যবস্থা করা। এ জন্য প্রয়োজনে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, ধর্ম মন্ত্রণালয় ও পাসপোর্ট তৈরি বিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে আলোচনার মাধ্যমে দেশের প্রতিটি পাসপোর্ট অফিসে ‘হজযাত্রী পাসপোর্ট তৈরি’ শিরোনামে পৃথক কাউন্টার চালু করা এবং পাসপোর্ট তৈরির আবেদন ফরমেও ‘হজযাত্রী পাসপোর্ট’ লেখার জন্য পৃথক একটি কলাম রাখা।
৮. হজযাত্রীদের ক্ষেত্রে গড়পড়তা পুালিশ রিপোর্ট বাদ দিয়ে শুধু মানব পাচারমূলক সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে রিপোর্ট নেয়া।
৯. হজফাইট শিডিউল ৩০ থেকে ৩৫ দিনের মধ্যে কার্যকর করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা এবং টিকিটের সাথে হজযাত্রীদের BOADING PASS ইস্যু করার চেষ্টা করা।
১০. হজ যাত্রীদের সেবার মান উন্নত করার সুবিধার্থে প্রত্যেক লাইসেন্সের অধীনে হজযাত্রীর কোটা সর্বনি¤œœ ৫০ জন নির্ধারিত রেখে সর্বোচ্চ ১৫০ থেকে ২০০-এর মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখা।
১১. হজযাত্রীদের বুকিং টাকা ব্যাংকে আগে জমা দেয়া এরপর ইন্টারনেটে নিবন্ধন ডাটার সিস্টেম চালু করা।
১২. প্রত্যেক এজেন্সির হজযাত্রীরা প্রয়োজনীয় রিপ্লেসমেন্টসহ ভিসার জন্য হজ অফিস আশকোনা কর্তৃক একটি ডিও লেটার ইস্যু করার চেষ্টা করা।
১৩. সরকার ঘোষিত শর্ত অনুযায়ী বেসরকারি হজযাত্রী তথা এজেন্সির হজযাত্রীদের প্রতি ৪৫ জনের জন্য একজন অভিজ্ঞ হজ গাইড নিয়োগের সুবিধার্থে প্রত্যেক এজেন্সির হজযাত্রীর সংখ্যা অনুযায়ী প্রতি ৪৫ জনের জন্য একটি করে একাধিক বারকোড সরবরাহ করা।
১৪. প্রত্যেক এজেন্সির হজযাত্রীদের বাড়ি ভাড়াসহ অন্যান্য দাফতরিক কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে আনজাম দেয়ার সুবিধার্থে সৌদি দূতাবাস কর্তৃক প্রদত্ত মাল্টিপল বা ভিজিট ভিসার মেয়াদ মৌসমুল হজ পর্যন্ত বৃদ্ধি করা অথবা কমপক্ষে হজ ফাইট শুরু হওয়ার আগ পর্যন্ত ভিসার মেয়াদ করা এবং একই ভিসার কমপক্ষে দুই মাস অবস্থান করার সুযোগ থাকা। ওই বিষয়ে সৌদি সরকারের যথাযথ কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনার মাধ্যমে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
১৫. বাংলাদেশ সরকার ও সৌদি সরকারের হজচুিক্তর সময় জেদ্দা থেকে মক্কা ও মদিনা শরিফ এবং মিনা ও আরাফাতে হজযাত্রীদের বহন করার গাড়ি, বাসগুলো সেপ্টকো, দাল্লা, মক্কা ও জাতীয় কোম্পানির উন্নতমানের গাড়ি সরবরাহ করার জন্য উল্লেখ থাকা। এ ছাড়া মিনা ও আরাফাত একই সময়ে প্রত্যেক এজেন্সির হজযাত্রীরা সিট ক্যাপাসিটি অনুযায়ী বসে যাতায়াতের ব্যবস্থা করা। ১৬. মিনার তাঁবু পাহাড়ের ওপর না দিয়ে সমতলে বরাদ্দ দেয়ার প্রয়োজনীয় চেষ্টা করা।
১৭. জেদ্দা এয়ারপোর্ট আসা-যাওয়ার সময় ইমিগ্রেশন স্বল্প সময়ে সম্পন্ন করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া।


আমার সাথে হজ বিষয়ক যেকোন পরামর্শ এর জন্য আপনারা যোগাযোগ করতে পারেন ।আমি ডেফোডিলের একজন গর্বিত ছাত্র। আমি গর্ব করে বলতে পারি ডেফোডিল থেকে আমি যা পেয়েছি তাহা আমার সারা জীবনের অর্জন । আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় আমার অহংকার । জিলহজ গ্রুপ বাংলাদেশ 

44
হজ ও উমরা সংক্রান্ত বাংলাদেশের যাবতীয় অনলাইন তথ্য ভান্ডার
হজ ও উমরাহের যেতে ইচ্ছুকদের যাবতীয় আপডেট সংবাদ ও খবরা খবর পেতে দেশীয় ওয়েব সাইট

হজ এবং উমরাতে প্রতি বছর বাংলাদেশ থেকে প্রায় ২৫০০০০ জন যাত্রী সৌদি আরবে যেয়ে থাকে । আমার জানা মতে বাংলাদেশে হজ ও উমরাহ যাত্রীদের জন্য পৃথক দুইটি অনলাইন পত্রিকা আছে যাহারা শুধুমাত্র হজ উমরাহ সংক্রানত সংবাদ গুলো প্রকাশ করে থাকে ।
আপনাদের যদি হজ উমরাহ সংক্রান্ত কোন নিউজের প্রয়োজন হয় আশা করি আপনাদের জন্যই এই ওয়েব সাইটটি উপকারে আসবে বলে মনে হয় ।

হজ ও উমরাহের যাবতীয় আপডেট পেতে এই ওয়েব সাইট টি আপনাদের উপকারে আসবে বলে আশা রাখি

ফেইজবুকে ও তাদের পেইজ আছে
ফেইজবুকে তাদের লিংক

এছাড়াও আছে সরকারী ওয়েব সাইট
সরকারী ওয়েব সাইট 

হজনিউজ.কম.বিডি 

এছাড়াও একটি হজ এজেন্সী আছে যাহারা নিয়মিত উন্নত সেবা প্রদানের প্রতিশুতি দিয়ে দীর্ঘ ১৭ বছর ধরে হজ ও উমরাহ যাত্রীদের সেবা দিয়ে আসছে

জিলহজ গ্রুপ বাংলাদেশ 


হজ এজেন্সী মালিকদের এসোসিয়েশন এও আপনি আপনার বুকিং কৃত এজেন্টএর ডিটেইলস পেতে পারেন এখানে
হজ এজেন্সীস এসোশিয়েশন অব বাংলাদেশ [হাব ]


45
Law / Re: জমি রেজিস্ট্রেশনের নিয়ম
« on: February 09, 2016, 10:31:34 PM »
আপনার এই টপিকস এ পোস্টটি অত্যান্ত গুরুত্ব পূর্ন যাহারা নতুন করে কোন জায়গা বা সম্পত্তি ক্রয় করতে ইচ্ছুক তাদের জন্য ।

হজ ও উমরাহের যাবতীয় আপডেট পেতে আমাদের ওয়েব সাইট টি আপনাদের উপকারে আসবে বলে আশা রাখি

Pages: 1 2 [3] 4 5 ... 55