Show Posts

This section allows you to view all posts made by this member. Note that you can only see posts made in areas you currently have access to.


Topics - shirin.ns

Pages: [1] 2 3 ... 15
1
সারাবিশ্বে এখন আতঙ্কের নাম করোনা ভাইরাস। যেটি এরইমধ্যে প্রাণ নিয়েছে তিন হাজারেরও বেশি মানুষের। ক্রমশ বেড়েই চলেছে এর সংখ্যা।

প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসে (কোভিড-১৯) সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়েছে চীন। সেখানে মৃতের সংখ্যা বেড়ে তিন হাজার জনে দাঁড়িয়েছে। এতে আক্রান্ত হয়েছেন ৭৭ হাজার ৬৫৮ জন। ভাইরাসটি চীন ছাড়িয়ে এশিয়া, মধ্যপ্রাচ্য ও ইউরোপের অন্যান্য অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে।

তবে আমাদের দেশে এটি না ছড়ালেও সতর্ক থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. জাহাঙ্গীর কবির জানিয়েছেন প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসে (কোভিড-১৯) থেকে বাঁচার উপায়। এ ভাইরাস থেকে দূরে থাকার এবং প্রতিরোধের উপায় জানিয়েছেন তিনি। দিয়েছেন নানা পরামর্শ-

> প্রাণঘাতী এ ভাইরাস থেকে বাঁচতে মাস্ক ব্যবহার করুন।

> আক্রান্ত ব্যক্তির কাছ থেকে দূরে থাকুন।

> খাওয়ার আগে ভালোভাবে হাত পরিষ্কার করুন।

> সবসময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকুন।

> কাঁচা বা অর্ধেক রান্না মাংস খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।

তবে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হলে তা থেকে বাঁচার উপায় জেনে নিন-
এজন্য আপনাকে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে হবে। আর এভাবেই আপনি মুক্তি পাবেন করোনা ভাইরাস থেকে। কোষের স্বাস্থ্য উন্নত করে ভাইরাস প্রতিরোধ করতে পারবেন খুব সহজেই। জেনে নিন কীভাবে এ সময় ধরে রাখবেন শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা।

> শুরুতেই চিনি জাতীয় খাবার খাদ্য তালিকা থেকে বাদ দিন।

> ব্যায়াম, দৌড়, সাঁতার কাটুন নিয়মিত। ভাইরাসজনিত রোগগুলো থেকে বাঁচার ভালো উপায় এগুলো।

> যে কোনো খাবার ভালোভাবে রান্না করে তারপর খেতে হবে।

> সব ধরনের ফাস্টফুট খাবার বাদ দিতে হবে।

> কোমল পানীয় খাওয়া যাবে না।

> কেমিকেল জাতীয় তেল, খাবার খাওয়া বাদ দিন। এগুলো শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমিয়ে দেয়।

> মেডিটেশন বা ইয়োগা করুন। এক্ষেত্রে নামাজ আপনাকে মানসিক প্রশান্তি দেবে। মূলত মনকে শান্ত রাখুন। এটি মনের পাশাপাশি শরীরের ওপর খুব ভালো প্রভাব ফেলে।

> পর্যাপ্ত ঘুম আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে খুবই সহায়ক।

> সকালের ব্যায়াম এবং রোদ আপনার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সবচেয়ে বেশি কার্যকরী।

> পারলে রোজা রাখুন। রোজা বা না খেয়ে থাকা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে পারে। কারণ বার বার খাবার খেলে শরীর তার কাজ করতে সুযোগ পায় না। এজন্য সবচেয়ে কার্যকরী হলো রোজা রাখুন।

> স্বাস্থ্যকর এবং পুষ্টি সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে।

> পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিন। দুশ্চিন্তা মুক্ত থাকুন। দুশ্চিন্তা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেক কমিয়ে দেয়।

2
চীনের চিকিৎসকরা বলেছেন, ভিটামিস সি সমৃদ্ধ খাবারগুলো করোনাভাইরাস ঠেকাতে দারুণ কার্যকরী। আগে থেকেই শোনা যাচ্ছিল, করোনাভাইরাসে আক্রান্তের ফলে ফুসফুস থেকে শুরু করে শরীরের অন্যান্য অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের ক্ষতি হয়।

গবেষকরা চেষ্টা করছেন, স্মৃতি নষ্ট হয়ে যাওয়া সারিয়ে তোলার ব্যাপারেও আরো বিশদভাবে গবেষণা করতে। তারা বলছেন, সারাবিশ্বে ভিটামিস সি সাপ্লিমেন্টের পেছনে বছরে অন্তত আটশ ৮০ মিলিয়ন পাউন্ড খরচ হচ্ছে। ২০২৪ সালের মধ্যে এই অঙ্ক ১.১ বিলিয়ন পাউন্ডে উন্নীত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

সর্দি ঠেকাতে দারুণভাবে কার্যকরী ভিটামিন সি। এদিকে করোনাভাইরাসের লক্ষণের মধ্যে সর্দি-কাশি, নিউমোনিয়া, জ্বর রয়েছে। ক্ষত থেকে শুরু করে ভাইরাসের আক্রমণ থেকে বাঁচতে ভিটামিন সি কার্যকর। ভিটামিন সি গ্রহণের ফলে ইমিউন সিস্টেম চাঙা হয়ে যায়।

চিকিৎসকরা বলছেন, ভিটামিন সি গ্রহণের ফলে শ্বেত রক্তকণিকা সক্রিয় হয়ে ওঠে। বিভিন্ন ধরনের ভাইরাসের সঙ্গে এটি লড়াই করে। এমনকি তাদের আক্রমণ করে মেরে ফেলে।

অতি মাত্রায় ভিটামিন সি গ্রহণে করোনাভাইরাস সেরে যাবে কিনা সে ব্যাপারে চীনে গবেষণা চলছে। তবে এখনো সেই গবেষণার ফল প্রকাশ করা হয়নি। উহান ইউনিভার্সিটির অধীনে ঝংনান হসপিটালের চিকিৎসকরা এ ব্যাপারে গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন।

এই গবেষণার আওতায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ১২০ জনকে টানা সাতদিন ২৪ গ্রাম করে ভিটামিন সি দেওয়া হয়েছে। এখনো ফল হিসেব করে বের করা হয়নি। তবে গবেষকরা বলছেন, ভিটামিন সি দেওয়ার ফলে ইতিবাচক ফল এসেছে।

3
আর্থিক লেনদেনের অন্যতম জনপ্রিয় একটি মাধ্যম হচ্ছে বিকাশ। শুধুমাত্র প্রয়োজন মোবাইল নম্বর দিয়েই এই লেনদেন করা যায়। তবে অসাবধানতাবশত অনেকেই কাঙ্ক্ষিত নম্বরে টাকা না পাঠিয়ে ভুল নম্বরে পাঠান। এভাবে অপরিচিত নম্বরে টাকা পাঠিয়ে বিপদে পড়েন অথবা হয়রানি হন। তবে ভুলে অন্য নম্বরে টাকা চলে গেলে ফেরত পাওয়ার উপায় আছে। দ্রুত সময়ে কাজটি করতে পারলে নিজের টাকা নিজের কাছে ফেরত আনা যায়।

যা করতে হবে-

বিকাশ একাউন্ট থেকে ভুলবশত কোনও নম্বরে টাকা গেলে প্রথমে নিকটস্থ থানায় যোগাযোগ করুন। ট্রানজেকশন নম্বর নিয়ে জিডি করুন। যত দ্রুত সম্ভব জিডি কপি নিয়ে বিকাশ অফিসে যোগাযোগ করুন এবং আপনার সমস্যা জানান। ভুল নম্বরে গেলে সঙ্গে সঙ্গে প্রাপককে ফোন না করে দ্রুত অন্য পদক্ষেপ নেয়া উচিত। কারণ অনেকেই টাকা ফিরিয়ে দিতে চান না। তাই তিনি টাকা উঠিয়ে ফেলার আগে পদক্ষেপ নিতে হবে।
টাকা উঠানোর আগে, জিডি কপি এবং মেসেজসহ বিকাশ অফিসে যোগাযোগ করতে পারেন। অফিস থেকে দায়িত্বরত ব্যক্তিরা অস্থায়ীভাবে ওই ব্যক্তির অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেবেন এবং ওই ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলবেন। প্রাপক টাকা ফেরত দিতে চাইলে অফিস থেকেই টাকা স্থানান্তর করে দেবে। যদি তিনি নিজের টাকা দাবী করেন, তাহলে ৭ কর্ম দিবসের মধ্যে তাকে অফিসে এসে অ্যাকাউন্ট ঠিক করে নিতে হবে। পরবর্তী ৬ মাসে যদি তিনি না আসেন, তাহলে প্রেরকের অ্যাকাউন্টে টাকা পৌঁছে যাবে। পরবর্তী ৬ মাসে অ্যাকাউন্ট ঠিক না করলে অ্যাকাউন্টটি অটো ডিজেবল হয়ে যাবে চিরতরে এবং প্রেরক আদালতের সাহায্য নিয়ে টাকা আনতে পারবেন। এই পদ্ধতি শুধু বিকাশেই নয়, রকেট এবং নগদের ক্ষেত্রেও এটি প্রযোজ্য।

বিকাশের ওয়েবসাইটের সতর্কবার্তায় বলা আছে, 'বিকাশ একাউন্ট থেকে যেকোনো ভুল লেনদেনের দায়িত্ব গ্রাহকের/প্রেরকের (যিনি টাকা পাঠাচ্ছেন)। কারণ লেনদেন করার সময় গ্রাহক নিজেই প্রাপকের মোবাইল নাম্বার, টাকার পরিমাণ ও পিন (PIN) দেয়ার মাধ্যমে টাকা পাঠান। পিন নম্বর দেয়ার আগে গ্রাহক তার মোবাইল ফোনের স্ক্রিনে নিজের দেয়া তথ্য (প্রাপকের মোবাইল নম্বর ও টাকার পরিমাণ) দেখতে পান যাতে টাকা পাঠানোর আগে প্রেরক তথ্যগুলো যাচাই করতে পারেন এবং কোনো ভুল হয়ে থাকলে টাকা পাঠানোর নির্দেশ বাতিলও করতে পারেন। তাই গ্রাহক এর পরেও ভুল একাউন্টে টাকা পাঠালে, গ্রহণকারীর অনুমতি বা আদালতের নির্দেশনা ছাড়া পাঠানো টাকা প্রেরককে ফেরত দেয়ার এখতিয়ার বিকাশ-এর নেই।

বিডি প্রতিদিন/আরাফাত

4
নকল বা ক্লোন আইএমইআই (ইন্টারন্যাশনাল মোবাইল ইক্যুইপমেন্ট আইডেন্টিটি) সম্বলিত ও অবৈধভাবে আমদানি করা মোবাইল সেটে চলতি বছরের মধ্যে নেটওয়ার্ক থেকে বিচ্ছিন্ন করা হবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)।

সম্প্রতি বিটিআরসি'র এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়ে বলা হয়, বিটিআরসিতে খুব ‍শিগগিরই স্থাপিত হতে যাচ্ছে ‘ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেনটিটি রেজিস্টার (এনইআইআর)’। এই প্রযুক্তির মাধ্যমেই অবৈধ হ্যান্ডসেটগুলো নেটওয়ার্ক বিচ্ছিন্ন করা হবে।

মোবাইল সেট কেনার ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বনের পরামর্শ দিয়ে দেওয়া এই বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়,  মোবাইল ফোন কেনার সময় মেসেজ অপশনে গিয়ে KYD<space> ১৫ ডিজিটের আইএমইআই নম্বর লিখে ১৬০০২ তে পাঠাতে হবে। মোবাইল ফোনের বক্সে বা প্যাকেটে প্রিন্টেড স্টিকার থেকে অথবা *#০৬# ডায়াল করার মাধ্যমে তাৎক্ষকিভাবে সংশ্লিষ্ট হ্যান্ডসেটের আইএমইআই জানা যায়। বৈধ মোবাইল ফোন হ্যান্ডসেট ক্রয়ে এ পদ্ধতি অনুসরণ করতে হবে।

গত বছরের ১ আগস্ট থেকে যেসব নকল বা ক্লোন আইএমইআই সম্বলিত ও অবৈধভাবে আমদানি করা মোবাইল হ্যান্ডসেট মোবাইল নেটওয়ার্কে যুক্ত হয়েছে সেগুলো অচিরেই স্থাপিতব্য ন্যাশনাল ইক্যুপমেন্ট আইডেন্টিটি রেজিস্ট্রার (এনইআইআর) এর মাধ্যমে নেটওয়ার্ক থেকে বিচ্ছিন্ন করা হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়।

5
কোনো কারণে চাপে থাকলে আমরা প্রায়ই বলি জীবনটা তেজপাতা হয়ে গেছে। কিন্তু মজার ব্যাপার হচ্ছে, এই তেজপাতা কিন্তু মানসিক চাপ কমায়। শুধু মানসিক চাপই নয়, আরও অনেক ক্ষেত্রেই উপকারী রান্নার এই সুগন্ধি মশলা।

জেনে নিন উপকারিতা:

- খুশকি ও চুল পড়ে যাওয়া নিয়ে বিপাকে আছেন? চুলের যত্নে তেজপাতায় রয়েছে কিছু গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। কয়েকটি তেজপাতা গরম পানিতে সেদ্ধ করুন। কিছুক্ষণ ঠাণ্ডা হতে দিন। এবার এ পানি দিয়ে চুল ও স্কাল্প ধুয়ে ফেলুন। অবশ্যই শ্যাম্পু করার পর এটি করবেন।

- একটি প্যানে ২ কাপ পানিতে ৫টি শুকনো তেজপাতা নিয়ে ঢেকে জ্বাল দিন। এরপর ঢাকনা খুলে ২ মিনিট জ্বাল দিয়ে একটি সসপ্যানে নামিয়ে নিন। একটি তোয়ালে দিয়ে মাথাসহ সসপ্যানটি ঢেকে ভাপ আপনার ত্বকে নিন। এভাবে মিনিট দশেক ভাপ নিলেই ব্রণ ও রিংকেল সমস্যা দূর হবে। ভালো ফল পেতে সপ্তাহে দুই বার করুন।

- কোষ্ঠকাঠিন্য? তেজপাতা আপনার স্বাভাবিক হজমশক্তি ফিরিয়ে আনবে। এটি শরীর থেকে অতিরিক্ত টক্সিন বের করে দেয়। অতিরিক্ত প্রস্রাবের সমস্যা কমায় ও হজম রস তৈরিতে এটি উদ্দীপক হিসেবে কাজ করে।

- তেজপাতায় রয়েছে রুটিন ও ক্যাফেক অ্যাসিড। এ উপাদানগুলো হার্টের দেয়ালকে মজবুত করে ও কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে দেয়।

- তেজপাতা প্রদাহের বিরুদ্ধে কাজ করে। এটি যেকোনো ধরনের মাথা ব্যথা, জয়েন্টের ব্যথা এমনকি বাতের ব্যথা উপশমে কার্যকরী।

- যদি দিনের শেষে আপনার মনমেজাজ ভালো না লাগে তাহলে এক কাপ তেজপাতার চা খেয়ে দেখতে পারেন। এটি স্নায়ু শান্ত করে ও উদ্বিগ্নতা কমায়।

6
সুস্থ থাকতে হলে অবশ্যই ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। অতিরিক্ত ওজন বিভিন্ন রোগের ঝুঁকি বাড়ায়।


প্রত্যেকটি মানুষের উচ্চতার সঙ্গে ওজন সামজস্যতা থাকা প্রয়োজন। তবে আপনি জানেন কী আপনার উচ্চতা অনুযায়ী ওজন কত হওয়া প্রয়োজন।

আসুন জেনে নিই উচ্চতা অনুযায়ী ওজন কত হওয়া প্রয়োজন-

১. ৪ ফুট ৭ ইঞ্চি থেকে ৫ ইঞ্চির জন্য ওজন থাকতে হবে ৪০-৫৮ কেজি; এটি পুরুষের জন্য প্রযোজ্য। আর নারীর জন্য ৩৬-৫৫ কেজি।

২. ৫ ফুট ১ ইঞ্চি পুরুষের ওজন ৪৮-৬০ কেজি ও নারীর ৪৫-৫৭ কেজি।

৩. ৫ ফুট ২ ইঞ্চি পুরুষের ওজন ৫০-৬০ কেজি ও নারীর ৪৬-৫৮ কেজি।

৪. ৫ ফুট ৩ ইঞ্চি পুরুষের ওজন ৫১-৬৩ কেজি ও নারীর ৪৮-৬১ কেজি।

৫. ৫ ফুট ৪ ইঞ্চি পুরুষের ওজন ৫২র ৬৬ কেজি ও নারীর ৪৮-৬৩ কেজি।

৬. ৫ ফুট ৫ ইঞ্চি পুরুষের ওজন ৫৫-৬৮ কেজি ও নারীর ৫০-৬৫ কেজি।

৭. ৫ ফুট ৬ ইঞ্চি পুরুষের ওজন ৫৬-৭০ কেজি ও নারীর ৫৩-৬৭ কেজি।

৮. ৫ ফুট ৭ ইঞ্চি পুরুষের ওজন ৫৭-৭২ কেজি ও নারীর ৫৪-৬৯ কেজি।

৯. ৫ ফুট ৮ ইঞ্চি পুরুষের ওজন ৬০-৭৪ কেজি ও নারীর ৫৬-৭১ কেজি।

১০. ৫ ফুট ৯ ইঞ্চি পুরুষের ওজন ৬৩-৭৬ কেজি ও নারীর ৫৭-৭২ কেজি।

১১. ৫ ফুট ১০ ইঞ্চি পুরুষের ওজন ৬৫-৭৯ কেজি ও নারীর ৫৯-৭৩ কেজি।

১২. ৫ ফুট ১১ ইঞ্চি পুরুষের ওজন ৬৭-৮১ কেজি ও নারীর ৬১-৭৫ কেজি।

১৩. ৬ ফুট পুরুষের ওজন ৬৯-৮৩ কেজি ও নারীর ৬৩-৭৭ কেজি।

১৪. ৬ ফুট ১ ইঞ্চি পুরুষের ওজন ৭১-৮৫ কেজি ও নারীর ৬৫-৭৯ কেজি।

১৫. ৬ ফুট ২ ইঞ্চি পুরুষের ওজন ৭৩-৮৭ কেজি ও নারীর ৬৭-৮১ কেজি।

7
প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় বিকল হয়ে পড়ে প্রচলিত টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা। ফলে মোবাইল ফোনে কল করে ক্ষয়ক্ষতির পরিমান জানানোও অসম্ভব হয়ে পড়ে। এই সমস্যার সমাধানে দুর্যোগের সময় সিম ও ইন্টারনেট ছাড়াই ৯৯৯ কল করার পদ্ধতির সফল পরীক্ষা-নীরিক্ষা করলো বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) এবং ডিজাস্টার রেসপন্স এক্সারসাইজ অ্যান্ড এক্সচেইঞ্জ বাংলাদেশ।

যৌথভাবে আয়োজিত এই মহড়া বুধবার রাজধানীতে আয়োজন করা হয়। বাংলাদেশে এই ধরনের পরীক্ষা এই প্রথম। রাজধানীর দুটি জায়গায় এই পরীক্ষা চালানো হয়েছে।

মহড়ায় বিটিআরসির প্রতিনিধি ছাড়াও ডিজাস্টার রেসপন্স এক্সারসাইজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্চ বাংলাদেশ-২০১৯ এ অংশ নেয়া সশস্ত্র বাহিনীর উধর্বতন কর্মকর্তারা, ইউএস আর্মির কর্মকর্তারা এবং সংশ্লিষ্ট অপারেটর-প্রযুক্তি সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

ডিজাস্টার রেসপন্স এক্সারসাইজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ বাংলাদেশ একটি প্রশিক্ষণ কার্যক্রম যা বাংলাদেশ দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ ও ইউএস আর্মি প্যাসিফিকের যৌথ উদ্যোগে ২০১০ সাল হতে অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

সিম ছাড়াই এই প্রযুক্তিতে জরুরি সেবা ৯৯৯ এ ফোন করার সুযোগ রয়েছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এই সেবা চালু রয়েছে। এই সেবার আওতায় ফোনের এসওএস বাটন চেপে কল করা যাবে। অনেক সময় ফোনের এসওএস বাটনে ৯১১ নাম্বার প্রিসেট করা থাকে। সেক্ষেত্রে প্রিসেট নাম্বার রিসেট করে নেয়া যাবে। তবে এই পদ্ধতিতে কল করতে হলে যেকোনো মোবাইল ফোন অপারেটরের নেটওয়ার্ক বিস্তৃত ও চালু থাকতে হবে।

দুর্যোগকালীন সময়ে বিটিআরসি সবগুলো মোবাইল অপারেটরকে নির্দেশনা দেবে যেন তারা নেটওয়ার্কে ইমার্জেন্সি ওই যোগাযোগের অপশন চালু করে দেয়। এক্ষেত্রে গ্রাহকের মোবাইল যে কোনো একটি নেটওয়ার্ক পেলেই সংযোগ নিয়ে নেবে।

8
অনেকে নিয়মিত জিমেইল ব্যবহার করেন। কিন্তু তাদের অনেকেই এসব সুবিধা সম্পর্কে জানেন না। জিমেইলে নতুন কিছু ফিচার যুক্ত করায় আপনার পাঠানো মেইলে নির্দিষ্ট সময়সীমা দিয়ে দিতে পারবেন। এতে ওই সময়ের পর মেইলটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে ডিলিট হয়ে যাবে। এমন আরও অনেক সুবিধা এখন জিমেইলে আছে। সেরকম কয়েকটি হলো-

পাঠানো মেইল ফিরিয়ে আনা: আমরা অনেক সময় ভুল করে খসড়া মেইল পাঠিয়ে দিই। কিংবা চাপ লেগে মেইল চলে যেতে পারে। এ ধরনের সমস্যা সমাধানের একটি উপায় যুক্ত করেছে গুগল। ভুল করে কোনও মেইল পাঠানোর পর সেই ভুল শোধরাতে আপনাকে সময় দেওয়া হবে সর্বোচ্চ ৩০ সেকেন্ড। এর মধ্যে ‘আনডু’ অপশনে ক্লিক করতে হবে। এতে আপনার পাঠানো মেইলটি প্রাপকের ইনবক্স থেকে মুছে গিয়ে আপনার ইনবক্সে এসে জমা হবে। ‘আনডু সেন্ড’ নামের এই অপশনটি পাওয়া যাবে জি-মেইলের ভেতর সেটিংস ট্যাবে।

স্বয়ংক্রিয়ভাবে মুছে যাবে মেইল: গত বছর জি-মেইলে ফিচারটি নিয়ে আসে গুগল। এই ফিচারের সাহায্যে ইমেইল পাঠানোর সময় একটি সময় নির্ধারণ করে দিতে পারবেন গ্রাহকরা। নির্ধারিত ওই সময়ের পরে মেইলটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে মুছে যাবে। সময় শেষ হয়ে যাওয়ার পর কোনও প্রাপক চাইলেও সেই মেইলে প্রবেশ করতে পারবেন না। এই ফিচারটি পাওয়া যাবে ই-মেইল কম্পোজের সময় নিচের দিকে লক বা তালা চিহ্নিত অপশনে। সূত্র : গেজেটস নাউ

মেইল প্রাপকের কাছে কখন পৌঁছবে তা নির্ধারণ করা: কাজের প্রয়োজনে আপনি বিভিন্ন মেইল করে থাকেন। কিন্তু সেটি কখন গ্রাহকের কাছে পৌঁছবে ওই সময়টিও এখন থেকে নির্ধারণ করে দেওয়া যাবে। এক্ষেত্রে ই-মেইল পাঠানোর সময় সেন্ড অপশনের পাশে একটি অ্যারো বা তীর চিহ্নিত অপশন দেখতে পাবেন। সেখানে ক্লিক করে ই-মেইলের টাইম ঠিক করে দেওয়া যাবে।

মেইলে এসএমএস পাসকোড যুক্ত করা: মেইলে বাড়তি নিরাপত্তা যোগ করা যায় এসএমএস পাসকোডের মাধ্যমে। মেইল কম্পোজের সময় নিচের দিকে লক বা তালা চিহ্নিত অপশনে এই ফিচারটি পাওয়া যাবে। এটি ব্যবহারের ফলে এসএমএসে যাওয়া পাসকোড ছাড়া মেইল ওপেন করা যাবে না।

অফলাইনে ইমেইল ব্যবহার: বর্তমানে অফলাইনেও ইমেইল ব্যবহার করা যায়। যদিও এর মূল কাজটি অনলাইনেই হয়। তবে জি-মেইলে অফলাইন মোড দেওয়া থাকলে কোনও ব্যবহারকারী ইন্টারনেটে না থাকলেও মেইলে প্রবেশ করতে পারবেন এবং ইমেইল কম্পোজ ও সেভ করে রাখতে পারবেন। অফলাইন মোড অপশনটি পাওয়া যাবে জিমেইলের সেটিংস অপশনে।

9
অ্যাপেল এরইমধ্যে তাদের ফ্ল্যাগশিপ আইফোন ১১ ব্যবহারকারীদের জন্য উন্মুক্ত করেছে। তবে যারা এখনো কোম্পানিটির আইফোনের মডেল ৫ ব্যবহার করছেন তাদের সফটওয়্যার আপেডট দিতে বলেছে অ্যাপল।
প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, আগামী ৩ নভেম্বরের মধ্যে ফোনটির আইওএস ১০.৩.৪ সফটওয়্যারটি ইন্সটল না করলে বিপদ হতে পারে।

এটির ফলে ইমেইল, অ্যাপ স্টোর ও আইক্লাউড ব্যবহার করা যাবে না। এমনকি ওয়েব ব্রাউজিং করতেও বাধার সম্মুখীন হতে হবে।
তবে ৩ নভেম্বরের মধ্যে আপডেট না দিলে পিসিতে আইফোন ৫ এর গুরুত্বপূর্ণ ফাইলগুলোর ব্যাকআপ রাখতে হবে।

এছাড়া সফটওয়্যারটি আপডেট না করলে চতুর্থ প্রজন্মের আইপ্যাড ব্যবহারকারীরাও জিপিএস ফাংশনালিটিই হারাবেন। বাকি সব কিছু ঠিক থাকবে।

অ্যাপল জানিয়েছে, আইওএস ১২ সফটওয়্যারের আগের সংস্করণ ব্যবহার করেন মাত্র ৯ শতাংশ ব্যবহারকারী। তাই আইওএস ১০.৩.৪ সফটওয়্যারটির ব্যবহারকারী সংখ্যা খুব বেশি হবে না।

10
স্মার্টফোন আসক্তি বর্তমানে বিশ্বব্যাপী একটি বড় সমস্যা। আসক্তি কাটাতে এবার একাধিক নতুন অ্যাপ নিয়ে হাজির এল গুগল। পরীক্ষামুলকভাবে অ্যাপগুলো লঞ্চ হয়েছে। স্মার্টফোন আসক্তি কমাতে ছয়টি নতুন অ্যাপ নিয়ে এসেছে গুগল। এই অ্যাপগুলো হল Unlock Clock, Post Box, We Flip, Paper Phone, Desert Island এবং Morph। অ্যানড্রয়েড গ্রাহকরা এই অ্যাপ ব্যবহার করতে পারবেন। নতুন ছয়টি অ্যাপ  গুগল প্লে স্টোর থেকে ডাউনলোড করা যাচ্ছে।

গুগল জানিয়েছে,  Unlock Clock একটি লাইভ ওয়ালপেপার অ্যাপ। দিনে মোট কতবার স্মার্টফোন আনলক করছেন তা দেখাবে এই লাইভ ওয়ালপেপার অ্যাপ। এর ফলে দিনে মোট কতবার স্মার্টফোনে নজর রাখছে সহজেই বোঝা যাবে।

অনবরত নোটিফিকেশনের হাত থেকে মুক্তি পেতে Post Box ব্যবহার করতে পারেন। এই অ্যাপ ব্যবহার করলে সব সময় নোটিফিকেশন দেখা যাবে না। দিনে এক বার থেকে চার বার বিভিন্ন সময়ে একবারে সব নোটিফিকেশন সামনে আসবে। ফলে নোটিফিকেশনের জন্য বারবার মনঃসংযোগ বিচ্ছিন্ন হবে না।
একাধিক বন্ধু দেখা করলে ডিজিটাল দুনিয়াকে দূরে রাখতে কাজে লাগবে We Flip অ্যাপ।

এর পরে আসছে Paper Phone। অনেক সময় বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সাথে রাখার জন্য স্মার্টফোন পকেটে নিয়ে বেরতে হয়। এই অ্যাপ ব্যবহার করে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সহজেই প্রিন্ট করে স্মার্টফোন দূরে রেখে দিতে পারবেন।

এছাড়াও Desert Island আর Morph নামে দুটি লঞ্চার নিয়ে এসেছে গুগল। এই দুই লঞ্চার ব্যবহার করে অপ্রয়োজনীয় অ্যাপ দূরে রেখে শুধুমাত্র অত্যাবশ্যকীয় অ্যাপ ব্যবহার করা যাবে।

সূত্র: এনডিটিভি

11
মানবদেহে সৃষ্ট আতঙ্কের অন্য নাম ক্যান্সার। ক্যান্সার একটি ভয়াবহ রোগ যার নির্দিষ্ট কোনো কারণ নেই। অনেক ধরণের ক্যান্সার আছে, যা সহজে শনাক্ত করা কঠিন।

শরীরে ক্যান্সার বাসা বাঁধলে খুবই স্বাভাবিক কিছু উপসর্গ দেখা দেয়, যা কেউ এতো গুরুত্ব দেন না। কিন্তু জানেন কি, সাধারণ কিছু অসুখই হতে পারে মারাত্মক ক্যান্সারের লক্ষণ। তাই কোনো অসুস্থতাই এড়িয়ে যাওয়া উচিত নয়। চলুন তবে জেনে নেয়া যাক ক্যান্সারের লক্ষণগুলো-

১. দিন দিন অকারণে ওজন হ্রাস হয়ে যাওয়া।

২. অনিয়মিত ভাবে মূত্র ত্যাগ হতে পারে মূত্রথলির ক্যান্সার।

৩. অকারণে শরীরের কোনো অংশের মাংস বেড়ে যাওয়া বা ফোড়ার মত হওয়া।

৪. কোনো রকম কারণ ছাড়া দেহের যেকোনো অঙ্গে ব্যথা অনুভব করাও ক্যান্সারের কারণ।

৫. কারণ ছাড়াই রক্তপাত অন্ত্রেরের ক্যান্সারের লক্ষণ। তাছাড়া অকারণে নারীদের জরায়ুতে রক্তপাত ও ব্যথা হওয়া ক্যান্সারের অন্যতম লক্ষণ।

৬. প্রতিনিয়ত কাশি, কর্কশ কণ্ঠ ফুসফুস ক্যান্সারের লক্ষণ হতে পারে।

৭. ত্বকের আচিলের যদি পরিবর্তন ঘটে, তবে অনেক সময় সেটি চামড়ার ক্যান্সারের লক্ষণ হতে পারে।

৮. যখন তখন মল বা মূত্র ত্যাগ অর্থাৎ কোনো ধারাবহিকতা থাকে না।

৯. কোনো ক্ষত সহজে না শুকানো, যেমন মুখের অনেক দিনের ঘা হতে পারে মুখে ক্যান্সারের লক্ষণ।

১০. যদি খাবার স্বাভাবিক ভাবে খেতে কষ্ট হয় এবং দিন দিন এই সমস্যা বাড়তে থাকে, তবে সেটি হতে পারে খাদ্যনালীর ক্যান্সার।

উপরোক্ত কারণগুলো কোনো একটি দেখা দিলে দেরি না করে খুব দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

12
অ্যালবার্ট আইনস্টাইন জার্মানিতে জন্মগ্রহণকারী একজন নোবেল পুরস্কার বিজয়ী পদার্থবিজ্ঞানী। তিনি তার বিখ্যাত আপেক্ষিকতার তত্ত্ব এবং বিশেষত ভর-শক্তি সমতুল্যতার সূত্র আবিষ্কারের জন্য বিখ্যাত। তিনি ১৯২১ সালে পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন। তার পুরস্কার লাভের কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়, তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞানে বিশেষ অবদান এবং বিশেষত আলোক-তড়িৎ ক্রিয়া সম্পর্কীত গবেষণার জন্য। ৪ মার্চ, ১৮৭৯ জার্মানির উলমা শহরে জন্ম। বাবা ছিলেন হারমান আইনস্টাইন আর মা পাওলিন। স্কুল শেষ করে জুরিখের পলিটেকনিক ইউনিভার্সিটিতে পড়াশোনা শুরু করেন অ্যালবার্ট।

১. ১৯০৫ সাল ছিল আইনস্টাইনের জীবনের অন্যতম বিস্ময়কর বছর। এ বছরে তার তিনটি পেপার প্রকাশ পায়। প্রথম পেপারে বিশেষ আপেক্ষিকতাবাদের ভিত তৈরি। দ্বিতীয় পেপারে ব্রাউনিয়ান মোশন থেকে অণুর অস্তিত্ব শনাক্ত করা। আর তৃতীয় পেপারে আলোর কণা কোয়ান্টামের প্রয়োগ, যার সূত্রে আইনস্টাইনের নোবেল পুরস্কার।

২. এ বিস্ময় বিজ্ঞানীর এমন কিছু স্বভাব ছিল, যেগুলো অনেকের কাছে মোটেই স্বাভাবিক ছিল না। তার মতো একজন বিজ্ঞানী যে এগুলো করতে পারেন, তা কল্পনাও করতে পারতেন না অনেকেই। আবার অনেকের মতে, এ স্বভাবগুলোই আইস্টাইনের মস্তিষ্ককে আরও তীক্ষ্ণ করে তুলেছিল।

৩. রোজ অন্তত ১০ ঘণ্টা ঘুমোতেন তিনি। যেখানে বর্তমানে মানুষের ঘুমের গড় হিসাব ৬-৮ ঘণ্টা। এ ঘুমের মধ্যেই অনেক বিজ্ঞানী নাকি কঠিন সমস্যার সমাধান করে ফেলেছিলেন। যেমন বিজ্ঞানী ওয়াটসন ডিএনএর গঠন বুঝে ফেলেছিলেন বা আইনস্টাইন আপেক্ষিকতাবাদের সূত্র।

৪. প্রিন্সটনে কাজ করার সময় আইনস্টাইন রোজ প্রায় আড়াই কিলোমিটার পথ হেঁটে কর্মক্ষেত্রে যেতেন। কারণ আইনস্টাইন মনে করতেন এতে স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি পায়।

৫. ভায়োলিন বাজাতে খুব পছন্দ করতেন আইনস্টাইন। মস্তিষ্কের সঙ্গে হাত আর চোখের সমন্বয় ঘটে। তাই প্রায়ই ঘণ্টার পর ঘণ্টা ভায়োলিন বাজাতেন তিনি। তিনি বলতেন, ক্ল্যাসিকাল মিউজিক কর্টিসল হরমোনের মাত্রা কমিয়ে মনকে চাপমুক্ত রাখতে সাহায্য করে।

৬. স্প্যাগেটি খেতে দারুণ ভালোবাসতেন তিনি। শুধু ভালো লাগার জন্যই যে স্প্যাগেটি খেতেন তা-ই কিন্তু নয়। সারা শরীরের ২০ শতাংশ এনার্জি প্রয়োজন ব্রেনের। আর আইনস্টাইনের মতে, স্প্যাগেটির কার্বোহাইড্রেট ব্রেনের জন্য খুব ভালো এনার্জির উত্স।

৭. আইনস্টাইনের একটা বদভ্যাস ছিল ধূমপান। তার মুখে সারাক্ষণই পাইপ থাকত আর ধোঁয়ার কুণ্ডলী তাকে ঘিরে থাকত সর্বক্ষণ।

৮. জানা যায়, শেষ জীবনে আইনস্টাইন নিরামিষাশী হয়ে গিয়েছিলেন। তিনি ১৯৫৩ সালে বন্ধু ম্যাক্স ক্যারিয়েলকে চিঠিতে লিখেছিলেন, “আমি যখনই প্রাণীর মাংস খেতাম, ভিতরে ভিতরে একটা অপরাধবোধ জাগত।”

৯. আইনস্টাইন কখনও মোজা পরতেন না। ছোট থেকেই এ অভ্যাস গড়ে উঠেছিল তার। তিনি বিশ্বাস করতেন, যেটা আরামদায়ক হবে সেটাই পরা উচিত। মোজা তার কাছে একেবারেই তেমনটা ছিল না।

১০. আইনস্টাইন কখনও সাঁতার শেখেননি। এদিকে তার ইচ্ছা ছিল ঘণ্টার পর ঘণ্টা পানিতে ভেসে থাকা। ফলে নৌকা তার সেই ইচ্ছাপূরণ ঘটিয়েছিল।

13
আইফোন নিয়ন্ত্রণ করতে স্মার্ট রিং তৈরি করছে মার্কিন প্রযুক্তি জায়ান্ট অ্যাপল। যুক্তরাষ্ট্রের পেটেন্ট অ্যান্ড ট্রেডমার্ক অফিসের তথ্য অনুযায়ী আঙ্গুলে পড়া যায় এমন একটি স্মার্ট রিংয়ের জন্য পেটেন্ট জমা দিয়েছে অ্যাপল।

তথ্য অনুসারে জানা গেছে, এটিতে স্মার্টফোনের মতো টাচ স্ক্রিন সুবিধা থাকবে। এছাড়া থাকবে কম্পিউটার প্রসেসর, মাইক্রোফোন, ওয়্যারলেস ট্রান্সসিভার ও রিচার্জ করার সুবিধা থাকবে। যার মাধ্যমে এ ডিভাইস থেকে ইনপুট দিয়ে অন্য ডিভাইস চালানো যাবে। এতে আগে থেকে ঠিক করে রাখা নানা প্রোগ্রাম থাকবে। যা আঙুলের নড়াচড়া শনাক্ত করে সেই অনুযায়ী কাজ করতে পারবে। এটি দিকনির্দেশক যন্ত্র হিসেবেও ব্যবহার করা যাবে।

স্মার্ট রিং তৈরির উদ্দেশ্য হতে পারে আইফোন ও আইপ্যাড নিয়ন্ত্রণ করা। কোনো কোনো ক্ষেত্রে আইফোন বা আইপ্যাড কিছুটা দূরে থাকলে সেটি নিয়ন্ত্রণ করা যাবে এমন প্রযুক্তি রিংয়ে থাকবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তাছাড়া কোনো বিপদের সম্মুখীন হলে অ্যালার্ম দিয়ে সতর্কও করে দেবে এই রিং।

রিং আনার কথা জানা গেলেও অ্যাপলের পক্ষ থেকে এটি নিয়ে কোনো ধরনের কথা শোনা যায় নি।

14
বেশিক্ষণ পানি ব্যবহার করলে নখের চামড়া কুঁচকে যাওয়ার সমস্যায় অনেকেই ভুগেন। বিশেষ করে কাপড় ধোয়া বা রান্নার সময় অতিরিক্ত পানির কাজ করলে এ সমস্যায় পড়েন নারীরা।
আমাদের চামড়ার উপরিভাগে সিবাম নামক একটি বিশেষ ধরনের তেলজাতীয় পদার্থের উপস্থিতি রয়েছে। এই সিবাম আমাদের চামড়াকে রক্ষা করে। পিচ্ছিলকারক হিসেবে কাজ করে এবং ত্বকের আর্দ্রতাও বজায় রাখে।

এটি চামড়ায় কিছুটা জলনিরোধক হিসেবেও কাজ করে। আমরা যখন বেশীক্ষণ পানিতে থাকি, তখন এই সিবাম বলতে গেলে ধুয়ে যায়। ফলে পানি তখন চামড়া ভেদ করতে পারে। আর এর ফলেই চামড়া ওভাবে কুঁচকে যায়৷

কিন্ত কেন?

বর্তমানে বিজ্ঞানীরা ধারণা করেন, বেশীক্ষণ পানিতে থাকলে হাত কুঁচকে যাওয়াটা আমাদের স্বয়ংক্রিয় স্নায়ুবিক প্রতিক্রিয়ারই একটি অংশ। যাদের হাত বা পায়ের স্নায়ুগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, বিজ্ঞানীরা তাদের ক্ষেত্রে এ ধরনের কুঁচকানো পর্যবেক্ষণ করেন নি।

ভেজা অবস্থায় আমাদের হাতের গ্রিপ বা কোনো কিছু শক্তভাবে ধরার ক্ষমতা কমে যায়। এই গ্রিপ এর বিষয়টিকে ঠিক রাখতেই হাত বা পায়ের চামড়া কুঁচকে যায়, কারণ কুঁচকানো হাত দিয়ে কোনো কিছু ধরা তুলনামূলক সহজ।

কিছু ভেজা মার্বেল নিয়ে গবেষণাকালে বিজ্ঞানীরা দেখতে পান, যাদের হাতের চামড়া কুঁচকে গিয়েছে, তারা সেই মার্বেলগুলোকে অন্যদের চেয়ে (যাদের হাতের চামড়া কুঁচকানো ছিলো না) ভালো মত ধরতে পারছে। অর্থাৎ ভেজা পরিবেশে গ্রিপ বাড়ানোর জন্যই চামড়া কুঁচকে যাচ্ছে এই যুক্তিতে কোনো খুঁত এখনও চোখে পড়ছে না।

ভেজা পরিবেশ থেকে খাবার সংগ্রহে, কিংবা বৃষ্টিস্নাত পরিবেশে ভালোমত হাঁটতে আমাদের পূর্বপুরুষদের সাহায্য করেছে চামড়া কুঁচকে যাওয়া। অন্তত বিজ্ঞানীরা এখন পর্যন্ত তাই মনে করছেন।

15
হেডফোন এবং ইয়ারফোন এমন এক প্রযুক্তি যা বর্তমানে ছোট বড় সবাই ব্যবহার করে। তবে আমরা কি এর পার্শ-প্রতিক্রিয়া বা ক্ষতিকর দিক সমূহ সম্পর্কে জানি? আবার অনেকে জেনেও অবাধে সেটি ব্যবহার করেন। ছোট্ট এই গেজেটটি আপনার স্বাস্থ্যের ওপর কী কী প্রভাব ফেলে?

১) শ্রবণ জটিলতা- যখন আপনি হেডফোন বা ইয়ারফোন ব্যবহার করেন তখন সরাসরি অডিও আপনার কানে যায়। ৯০ ডেসিবেল বা তার বেশি মাত্রার আওয়াজ যদি আপনার কানে যায় তাহলে শ্রবণ জটিলতা ঘটাতে পারে। এমনকি আপনি চিরতরে আপনার কানের কিছু ক্ষমতা হারাতে পারেন। তাই আপনি যদি হেডফোনের ব্যবহার করতেই চান, তবে আপনার কানের কিছু বিশ্রাম দিতে ভুলবেন না। কখনো উচ্চ ভলিউমে গান শুনবেন না।

২) কানের ইনফেকশন- আপনার হেডফোন বা ইয়ারফোন কি আপনার ব্যক্তিগত? নাকি অন্য কারো সঙ্গে ভাগ করছেন? এর ফলে কিন্তু সহজেই কানে সংক্রমণের ফলে হতে পারে। বিভিন্ন মানুষের কান থেকে ব্যাকটেরিয়া সহজেই আপনার হেডফোন মাধ্যমে আপনার কানে আসতে পারে।

৩) বাতাস প্রবেশে বাধা- বর্তমান সময়ে হেডফোন কোম্পানিগুলো তাদের হেডফোনের অডিও এক্সপেরিয়েন্স এর দিকে ঠিকই নজর দিয়েছে। যার ফলে আপনি খুব ভাল কোয়ালিটির গান শুনতে পারছেন। কিন্তু আপনি আপনার কানে এমন স্থানে হেডফোন লাগান যাতে করে আপনার কানের ছিদ্র পুরোপরি বন্ধ হয়ে যায়। কোনো বাতাস প্রবেশ করতে পারেনা। যার ফলে আপনার কানে ইনফেকশন, টিটিনাস, শ্রবণ জটিলতার ঝুঁকি থেকেই যায়।

৪) সাময়িক বধির- এক গবেষণায় দেখা গেছে, যারা অনেক সময় ধরে উচ্চ ভলিউমে গান শুনেন তারা হেডফোন খোলার পরেও অনেকক্ষণ ভালোভাবে কানে শোনেনা। যদি কেউ ১৫ মিনিটের জন্য ১০০ ডেসিবেলের বেশি শোনে, তবে সে বধির হয়ে যেতে পারে।

৫) কানে ব্যাথা- যারা অতিরিক্ত হেডফোন ব্যবহার করেন তারা সাধারণত এর সমস্যায় ভুগেন। মাঝে মাঝে কানের ভেতরে ভোঁ ভোঁ আওয়াজ হয়ে থাকে। এটিও কিন্তু ক্ষতির লক্ষণ।

৬) মস্তিষ্কের উপর খারাপ প্রভাব- হেডফোনের দ্বারা সৃষ্ট ইলেক্ট্রম্যাগনেটিক তরঙ্গ আপনার মস্তিষ্কের জন্য গুরুতর বিপদ ডেকে আনতে পারে। আর যারা ব্লুটুথ হেডফোন ব্যবহার করেন তারা আরো অত্যাধিক ঝুঁকিতে ভুগেন। কান সরাসরি মস্তিষ্কের সঙ্গে যুক্ত। তাই হেডফোন খুব বাজে ভাবে আপনার মস্তিষ্কে আঘাত হানে।

Pages: [1] 2 3 ... 15