Show Posts

This section allows you to view all posts made by this member. Note that you can only see posts made in areas you currently have access to.


Topics - Mafruha Akter

Pages: 1 2 [3] 4 5 ... 15
31
Food Habit / জলপাই-গাজরের আচার
« on: January 26, 2019, 01:36:46 PM »
উপকরণ: জলপাই দেড় কেজি। বড় গাজর ২টি। সরিষাবাটা ৩ টেবিল-চামচ। আদা ও রসুন বাটা আড়াই টেবিল-চামচ করে। হলুদ গুঁড়া ১ চা-চামচ। মরিচগুঁড়া আধা চা-চামচ। লবণ আধা চা-চামচ। চিনি দেড় কাপ। ভিনিগার ১ কাপ। সরিষার তেল দেড় কাপ। আস্ত পাঁচফোড়ন ১ চা-চামচ। পাঁচফোড়ন গুঁড়া দেড় চা-চামচ।

পদ্ধতি: জলপাইয়ের দানার দুপাশ দিয়ে কেটে নিন। গাজর কিউব করে কেটে নিন।

আলাদা আলাদা করে জলপাই ও গাজর ভাপ দিয়ে পানি ঝরিয়ে নিন।

হাঁড়িতে তেল গরম করে আস্ত পাঁচফোড়ন ফোঁড়ন দিয়ে বাটা ও গুঁড়া মসলা কষিয়ে চিনি ও ভিনিগার মিশিয়ে নিন। চিনি গলে পানি ফুটে উঠলে জলপাই মেশান। মাঝে মাঝে নাড়ুন, যেন তলায় পোড়া না লেগে যায়।

চিনির পানি শুকিয়ে অর্ধেক হলে গাজর মিশিয়ে নিন। তেল ছেড়ে আসলে নামিয়ে নিন। ঠাণ্ডা হলে কাচের বয়ামে ভরে সংরক্ষণ করুন।

32
Food Habit / আমড়া-রসুনের আচার
« on: January 26, 2019, 01:36:04 PM »
সুস্বাদু এই আচারের রেসিপি দিয়েছেন বীথি জগলুল।

উপকরণ: আমড়া এক থেকে দেড় কেজি। রসুনে কোঁয়া ১ কাপ। কাঁচামরিচ ১ কাপ। ভিনিগার দেড় কাপ। সরিষাবাটা আধা কাপ। আদা ও রসুন বাটা দেড় চা-চামচ করে। হলুদ ও মরিচ গুঁড়া ১ চা-চামচ করে। আস্ত পাঁচফোড়ন ২ চা-চামচ। লবণ স্বাদ মতো। সরিষার তেল দেড় কাপ।

পদ্ধতি: আমড়া ছিলে পাতলা পাতলা করে কেটে এবং ধুয়ে পানি ঝরিয়ে রাখুন। অল্প ভিনিগারের সঙ্গে সরিষাবাটা, আদা ও রসুন বাটা এবং হলুদ ও মরিচ গুঁড়া গুলিয়ে রাখুন।

মাঝারি আঁচে তেল গরম করে আস্ত পাঁচফোড়ন ফোঁড়ন দিয়ে সরিষা বাটার মিশ্রণ ঢেলে আবার একটু ভিনিগার (সিরকা) দিয়ে ভালোভাবে কষিয়ে নিন।

মসলা কষানো হলে আমড়া মিশিয়ে অর্ধেক ভিনিগার দিয়ে ঢেকে ১০ থেকে ১৫ মিনিট রান্না করুন।

আমড়া প্রায় সিদ্ধ হয়ে গেলে রসুন, কাঁচামরিচ, লবণ ও বাকি ভিনিগার মিশিয়ে ঢাকনা ছাড়াই রান্না করুন।

আঁচ মৃদু থেকে মাঝারি অবস্থায় রান্না করুন এবং মাঝে মাঝে নেড়ে দিন।

মসলা থেকে তেল ছেড়ে আসলে নামিয়ে ঠাণ্ডা করে নিন। বয়ামে ভরে সংরক্ষণ করুন

33
Food Habit / দানাদার মিষ্টি
« on: January 26, 2019, 01:35:11 PM »
ডো’র জন্য: ছানা ১ কাপ (১ লিটার দুধ থেকে তৈরি। ছেঁকে ঝরঝরে করে নেওয়া)। ময়দা ১ টেবিল-চামচ। সুজি ১ টেবিল-চামচ। চিনি ১ চা-চামচ।
সিরার জন্য: এলাচি ৩টি। চিনি ১ কাপ। পানি ১ কাপ।

পদ্ধতি: ছানা হাতের তালু দিয়ে ভালোভাবে মথে নিন। এবার ছানার সঙ্গে ময়দা, সুজি ও চিনি দিয়ে ভালোভাবে ময়ান করে নরম ডো বানিয়ে নিন।

এবার ডো’টা দুভাগ করে পছন্দ মতো রং মিশিয়ে নিন। তারপর এগুলো থেকে অল্প অল্প করে নিয়ে ছোট ছোট মিষ্টির আকারে বানিয়ে নিন।

চিনি, এলাচ ও পানি জ্বাল দিয়ে একবার বলক তুলে সিরা তৈরি করে রাখুন।

গরম সিরায় মিষ্টিগুলো দিয়ে মাঝারি আঁচে পাঁচ মিনিট ঢেকে রাখুন। তারপর প্যানের হাতল ধরে ঘুরিয়ে দিতে হবে যাতে মিষ্টিগুলোর উপরের অংশ নিচে ও নিচের অংশ উপরে উঠে যায়।

এবার ঢাকনা দিয়ে আরও ১০ মিনিট রান্না করুন। তারপর মিষ্টিগুলো চামচ দিয়ে উল্টে দিন এবং আরও ১০ মিনিট রান্না করুন। খেয়াল করুন চিনির সিরাটা আঠালো হয়ে মিষ্টির গায়ে লেগে গেছে।

সিরা থেকে মিষ্টিগুলো তুলে চিনিতে গড়িয়ে ঠাণ্ডা করে পরিবেশন করুন মজাদার দানাদার মিষ্টি।

34
Food Habit / ছানার জরদা
« on: January 26, 2019, 01:34:11 PM »
উপকরণ: ছানা (২ লিটার দুধ থেকে তৈরি করে নেওয়া)। চালের গুঁড়া ১/৪ কাপ (পোলাওয়ের চাল বা বাসমতী ধুয়ে পানি শুকিয়ে গুঁড়া করা অথবা সাধারণ চালের গুঁড়া)। ময়দা ২ টেবিল-চামচ। তেল ভাজার জন্য।
গ্রেটার বা ছিদ্র থাকে এমন চামচ।

সিরার জন্য: চিনি দেড় কাপ। পানি ২ কাপ। এলাচগুঁড়া বা আস্ত ৪ থেকে ৫টি। খাবার রং সামান্য।

ছানা তৈরি: দুধ ২ লিটার। লেবুর রস বা ভিনিগার ৪ টেবিল-চামচ। সুতি বা মসলিন নরম কাপড়।

দুধ চুলায় দিয়ে ফুটতে শুরু করলেই চুলা বন্ধ করে দিন।

লেবুর রসের সঙ্গে ২ টেবিল-চামচ পানি মিশিয়ে অল্প অল্প করে দুধে মেশাতে থাকুন।

দুধ ফেটে সবুজ পানি আলাদা হয়ে গেলে সঙ্গে সঙ্গে ছানা কাপড়ে ছেঁকে ফেলুন।

এখন ঠাণ্ডা পানিতে ছানা দুতিনবার ধুয়ে নিন যাতে টক ভাব দূর হয়ে যায়।

ছানার কাপড়ের পুটলি চেপে চেপে পানি বের করে উঁচু জায়গাতে ঝুলিয়ে রাখুন দুই ঘণ্টা (পানির কলের উপরে রাখলে ভালো হয়)।

পদ্ধতি: একটি পাত্রে ছানা, চালের গুঁড়া, ময়দা মিশিয়ে ভালো করে মথে (ছয় থেকে সাত মিনিট) নিন। খুব মসৃণ খামির বানিয়ে ২০ মিনিট ঢেকে রাখুন।

সিরার সব উপাদান মিশিয়ে চুলায় দিন। ফুটে উঠলে আরও পাঁচ থেকে ছয় মিনিট ফুটিয়ে চুলার আঁচ একদম কমিয়ে দিন। সিরা বেশি ঘন বা পাতলা হবে না।

কড়াইতে তেল দিয়ে আঁচ মাঝারি রাখুন।

ছানার খামির দিয়ে চার-পাঁচটি বল বানিয়ে নিন।

এখন গরম তেলের উপর ছোট ছিদ্রের গ্রেটার (পেঁয়াজ বা সবজি কুচানি) রেখে ছানা চেপে চেপে গ্রেট করুন। দেখবেন বড় চালের মতো তেলে পড়বে।

এক মিনিটের মতো ভেজে হাল্কা সাদা থাকা অবস্থায় তেল থেকে তুলে ছেঁকে নিন। এভাবে বাকিগুলো তৈরি করে নিন।

অর্ধেক ছানা ভাজা হলে সিরাতে দিয়ে ঢেকে অল্প আঁচে ১০ মিনিট রাখুন।

এখন সিরা থেকে ছেঁকে তুলে প্লেটে ছড়িয়ে রাখুন। এতে একটির সঙ্গে অন্যটি লাগবে না, ঝরঝরে থাকবে। বাকি অর্ধেক ভাজা হলে সিরাতে দিন।

উপরে কিশমিশ, বাদামকুচি ও ছোট গোলাপজামুন দিয়ে গরম বা ঠাণ্ডা পরিবেশন করুন।


35
Food Habit / আলুর কালোজাম
« on: January 26, 2019, 01:33:30 PM »
আলু দিয়ে মিষ্টি, তাও আবার কালোজাম- শুনতে অবাক লাগছে খুব! হ্যাঁ, আলু দিয়েও মিষ্টি তৈরি করা যায় বৈকি! চলুন, তবে শিখে নিই কৌশল।

উপকরণ: সিদ্ধ চটকানো আলু পৌনে এক কাপ। ছানা ১/৩ কাপ। গুঁড়া-দুধ আধা কাপ। কর্নফ্লাওয়ার ৩ টেবিল-চামচ। বেইকিং পাউডার আধা চা-চামচ। লাল রং তিন থেকে চার ফোঁটা। ঘি দুই টেবিল-চামচ। ডিমের কুসুম একটি। তেল ভাজার জন্য।

সিরার জন্য: দুটি এলাচ, দুই কাপ চিনি ও চার কাপ পানি ফুটিয়ে পাতলা সিরা বানিয়ে এক টেবল-চামচ লেবুর রস দিয়ে একটু নেড়ে চুলা বন্ধ করে সিরা ঢেকে দিন। দুই কাপ সিরা উঠিয়ে রাখতে হবে। মিষ্টি জ্বাল দেওয়ার সময় কিছুক্ষণ পর পর উঠিয়ে রাখা সিরা অল্প অল্প করে ঢালতে হবে।

মিষ্টি তৈরি

ভালোভাবে আলু চটকাতে হবে, যাতে কোনো গুটি না থাকে।

 আলুর সঙ্গে তেল বাদে অন্য সব উপকরণ মিশিয়ে লম্বা কালোজামের আকারে গড়ে ডুবো তেলে ভেজে নিতে হবে।
সিরা জ্বাল দিয়ে কালোজাম গরম সিরায় দিয়ে পাঁচ মিনিট জ্বাল দিয়ে চুলা বন্ধ করতে হবে। আর এতেই তৈরি হয়ে যাবে আলুর কালোজাম।

ভালো করে ঠাণ্ডা হতে দিন, সিরা মিষ্টির মাঝে ঢুকতে সময় দিন। তারপর পরিবেশন করবেন।

36
Food / রুই মাছের ব্যঞ্জন
« on: January 09, 2019, 12:30:27 PM »
উপকরণ: রুই মাছ টুকরা করা ৫০০ গ্রাম। রসুনবাটা ১ চা-চামচ। আদাবাটা আধা চা-চামচ। পেঁয়াজবাটা আধা কাপ। টমেটো পেস্ট করা আধা কাপ। ধনেপাতার কুচি ২ টেবিল-চামচ। কাঁচামরিচ আস্ত ৪-৬টি। হলুদ ও মরিচগুঁড়া ১ টেবিল-চামচ করে। জিরাগুঁড়া ১ চা-চামচ। লবণ স্বাদ অনুযায়ী। তেল ও পানি পরিমাণমতো।
পদ্ধতি: প্রথমে মাছের টুকরাগুলো ভালো করে ধুয়ে নিন। তাতে হলুদ ও লবণ মাখিয়ে হালকা করে দুই পিঠ ভেজে নিতে নিন।

একটি কড়াইয়ে তেল গরম করে তাতে একে একে সব বাটা মসলা স্বাদ অনুযায়ী লবণ, গুঁড়ামসলা ও টমেটো দিয়ে ভালো করে কষিয়ে তাতে ভাজা রুই মাছ, ধনেপাতার কুচি, আস্ত কাঁচামরিচ, জিরাগুঁড়া ও পরিমাণমতো পানি দিয়ে ঢেকে ২০ মিনিট রান্না করুন।

যখন দেখবেন মাছের মসলা ঘন হয়ে আসছে তখন সেটি চুলা থেকে নামিয়ে সার্ভিং ডিসে ঢেলে পরিবেশন করুন রুই টমেটো ভুনা।

চাইলে উপরে ধনেপাতার কুচি ছড়িয়ে পরিবেশন করতে পারেন।
শালগম দিয়ে রুইমাছের ঝোল
শালগম দিয়ে রুইমাছের ঝোল উপকরণ: রুই মাছ টুকরা ৮টি। শালগম ২০০ গ্রাম টুকরা করা। আলু ২টি। পেঁয়াজকুচি ২ টেবিল-চামচ। রসুনবাটা ১ চা-চামচ। আদাবাটা ১ চা-চামচ। হলুদগুঁড়া ১ চা-চামচ। ধনেগুঁড়া বা বাটা আধা চা-চামচ। কাঁচামরিচ ৫টি। মরিচগুঁড়া আধা চা-চামচ। জিরাগুঁড়া আধা চা-চামচ। লবণ পরিমাণমতো। তেল ২ টেবিল-চামচ। পানি পরিমাণমতো।
পদ্ধতি: মাছ কেটে টুকরা করে ধুয়ে, লবণ ও হলুদ মাখিয়ে ভেজে পাত্রে রাখুন। শালগম ও আলু টুকরা করে কেটে ধুয়ে নিন। কড়াইয়ে তেল ও পেঁয়াজ দিন।

পেঁয়াজ লাল হলে শালগম ও আলু দিয়ে দিন।

এখন একে একে মরিচগুঁড়া, রসুনবাটা, আদাবাটা, হলুদগুঁড়া, ধনেগুঁড়া বা বাটা এবং লবণ দিয়ে অল্প পানিসহ কষিয়ে নিন। কষানো হলে আবার পানি দিন।

পানি ফুটে উঠলে উপরে মাছ দিয়ে ঢেকে দিন। নামানোর কিছুক্ষণ আগে কাঁচামরিচ দিন। পানি শুকিয়ে এলে জিরাগুঁড়া ছিটিয়ে নামিয়ে নিন।

37
Food / বাইন মাছের কোরমা
« on: January 09, 2019, 12:28:51 PM »
উপকরণ: এলাচ ২টি। দারুচিনির ছোট টুকরা ২টি। আস্ত গোলমরিচ ২,৩টি। তেল ৩ টেবিল-চামচ। পেঁয়াজকুচি ১/৩ কাপ। পেঁয়াজবাটা ৩ টেবিল-চামচ। আদাবাটা ১ টেবিল-চামচ। রসুনবাটা ১ টেবিল-চামচ। মরিচগুঁড়া আধা চা-চামচ। লবণ স্বাদ মতো। ছিলে ধুয়ে ছোট করে কেটে নেওয়া বাইন মাছ আধা কেজি। গরম মসলাগুঁড়া ১/৪ চা-চামচ। পানি আধা কাপ। নারিকেল-দুধ অথবা দুধ দুতিন কাপ। চিনি এক চিমটি। কাঁচামরিচ-কুচি ৩টি।

পদ্ধতি: কেটে নেওয়া বাইন মাছ মরিচগুঁড়া, আদা ও রসুন বাটা দিয়ে মাখিয়ে রাখুন। তেল গরম করে পেঁয়াজকুচি ভেজে বেরেস্তা করে রাখুন।

এবার এই তেলে এলাচ, দারুচিনি ও আস্ত গোলমরিচ ছেড়ে দিন। পেঁয়াজবাটা দিয়ে ভাজুন। হাল্কা লাল হয়ে এলে মাখিয়ে রাখা বাইন মাছ ছেড়ে কষিয়ে নিন।

তারপর পানি, লবণ ও গরমমসলা-গুঁড়া দিয়ে চুলার আঁচ কমিয়ে ঢেকে দুই মিনিট রান্না করে নারিকেল দুধ দিয়ে আবার দুই মিনিট রান্না করুন। 

চিনি ও কাঁচামরিচ ছিটিয়ে সামান্য নেড়ে দিন। তেল ছেড়ে এলে নামিয়ে নিন। উপর দিয়ে বেরেস্ত ছিটিয়ে পোলাও বা গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করুন।

38
Food / পাবদা মাছের দোপেঁয়াজি
« on: January 09, 2019, 12:27:55 PM »
উপকরণ: পাবদা মাছ ৭,৮টি। পেঁয়াজ-কুচি আধা কাপ। রসুন-বাটা, আদা-বাটা, জিরা-গুঁড়া, হলুদ-গুঁড়া ১/২ চা-চামচ করে। মরিচ-গুঁড়া ১ চা-চামচ। লবণ ও তেল পরিমাণ মতো। কাঁচামরিচ ৪/৫টি। ধনেপাতা-কুচি পরিমাণ মতো।

পদ্ধতি: মাছ কেটে ভালো করে ধুয়ে পানি ঝরিয়ে রাখুন। মাছে সামান্য লবণ ও হলুদ মেখে ভেজে নিন।

প্যানে তেল গরম করে পেঁয়াজ-কুচি সোনালি করে ভেজে বাটা ও গুঁড়া মসলা দিয়ে একটু পানিসহ কষাতে হবে।

কষানোর পর তেল বের হয়ে এলে মাছগুলো দিয়ে একটু নেড়ে গরম পানি ঢেলে ঢেকে রান্না করতে হবে মাঝারি আঁচে।

এবার ঢাকনা খুলে আর নাড়া যাবে না, তাহলে মাছ ভেঙে যাবে। এজন্য প্যানের হাতল ধরে নেড়ে দিতে হবে। তারপর কাঁচামরিচ দিয়ে দিন।

যখন ঝোলটা মাখা মাখা হয়ে আসবে তখন ধনেপাতা-কুচি দিয়ে লবণ দেখে নামাতে হবে।

39
বিশ্বে প্রতি দশটি মৃত্যুর একটি হয় স্ট্রোকের কারণে। আর পঙ্গুত্বের জন্য ঘরবন্দি হয়ে বাকি জীবন কাটানোর পিছনেও একটিই কারণ, তা হল ব্রেন স্ট্রোক। একটু সতর্ক হলেই এই মারাত্মক রোগটি প্রতিরোধ করা সম্ভব। তাই প্রত্যেকেরই উচিত স্ট্রোকের কারণ ও তা প্রতিকারের উপায় সম্পর্কে সম্যক ধারণা থাকা।
স্ট্রোকের কারণ :

মস্তিষ্কে রক্ত চলাচল বন্ধ হওয়ার অন্যতম প্রধান কারণ উচ্চ রক্তচাপ। বিশেষ করে অনিয়ন্ত্রিত রক্তচাপ থাকলে স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ে। ওয়ার্ল্ড স্ট্রোক অর্গানাইজেশন-এর সমীক্ষা অনুযায়ী, প্রতি ১০০ জন রোগীর মধ্যে ৪৮ জনেরই হাই ব্লাড প্রেশার থাকে। প্রেশারের ওষুধ নিয়ম করে না খেলে প্রেশার বেড়ে গিয়ে স্ট্রোকের ঝুঁকি বেড়ে যায়।

যাঁদের সারা দিন চেয়ারে বসে কাজ করতে হয়, হাঁটাচলা-সহ কায়িক পরিশ্রম তেমন নেই বললেই চলে, তাঁদের এই রোগের ঝুঁকি অন্যদের থেকে বেশি। সমীক্ষায় জানা গিয়েছে, ১০০ জন স্ট্রোকের রোগীর মধ্যে ৩৬ জনেরই তেমন কোনও নিয়ম মেনে চলেন না।

যাঁদের রক্তে কোলেস্টেরলের পরিমাণ স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি, তাদেরও স্ট্রোকের সম্ভাবনা বেশি। প্রসঙ্গত এলডিএল ও ভিএলডিএল কোলেস্টেরল ও ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রাধিক্য এবং ভাল কোলেস্টেরল এইচডিএল কম থাকলে স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ে প্রায় ২৭ শতাংশ।

সুষম খাবারের পরিবর্তে ভাজাভুজি, জাঙ্ক ফুড বেশি খেলে স্ট্রোকে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে। দেখা গিয়েছে যে, স্ট্রোকে আক্রান্তদের ২৩ শতাংশ এই ধরনের খাবারে আসক্ত।

সেন্ট্রাল ওবেসিটি অর্থাৎ ভুঁড়ি থাকলে ব্রেন স্ট্রোক হতে পারে।  ১৯ শতাংশ স্ট্রোকের রোগীর সেন্ট্রাল ওবেসিটি আছে।

মানসিক চাপ স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ায়। স্ট্রেস ও ডিপ্রেশন-সহ অন্যান্য মানসিক সমস্যা থাকলেও এই সমস্যার সম্ভাবনা থাকে। স্ট্রোকের রোগীদের ১৭% মানসিক চাপের শিকার।

ধূমপানে আসক্তি অন্যান্য অনেক অসুখের সঙ্গে সঙ্গে স্ট্রোকের ঝুঁকিও বাড়ায় এবং মদ্যপানে স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ে।

যাঁরা ডায়াবিটিসে ভুগছেন ও ডায়েট বা শরীরচর্চা করেন না, তাঁদেরও স্ট্রোকের সম্ভাবনা অনেক বেশি।
স্ট্রোকের প্রতিকার :

স্ট্রোক থেকে বাচঁতে পারেন নিজেরাই। আপনার বংশে কারো স্ট্রোক হলে একটু বেশি সাবধান হোন। আপনার বংশের কেউ স্ট্রোক করলে নিয়মিত প্রেশার, ব্লাড সুগার, কোলেস্টেরল-সহ প্রয়োজনীয় পরীক্ষা করাতে হবে। ব্লাড প্রেশার আর সুগার থাকলে তা তো নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। আর ধূমপানের সঙ্গ ত্যাগ করতে হবে। একই সঙ্গে নিয়ম করে সপ্তাহে অন্তত পাঁচ দিন আধ ঘণ্টা করে দ্রুত পায়ে হাঁটুন। ভুঁড়ি বাড়তে দেওয়া যাবে না। নিয়ম করে ছয় থেকে আট ঘণ্টা ঘুমোতে হবে। ঘুম কম হলে ব্লাড প্রেশার বেড়ে গিয়ে স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। যদি অল্প সময়ের জন্যে ব্ল্যাক আউট হয়, হাত পা বা শরীরের কোনও একদিক হঠাৎ অবশ লাগে, কিংবা চোখে দেখতে বা কথা বলতে অসুবিধে হয় অথবা ঢোক গিলতে কষ্ট হয়, কোনও ঝুঁকি না নিয়ে রোগীকে অবশ্যই চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যেতে হবে। এমন কিছু সাধারণ নিয়ম মানলেই এড়িয়ে যেতে পারেনএমন অসুখ।

40
উপকারীতাঃ

* সাগু দানা সহজেই হজম হয়, তাই শিশু খাদ্য হিসেবে এটি ব্যবহার করা হয়। এটি মানব শরীরে দ্রুত শক্তি যোগায়। এছাড়াও শিশুর কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে নিয়মিত সাগু দানা খাওয়ালে উপকার পাওয়া যায়।

*দেহের পেশী সংকোচনে সহায়তা করে।

*শরীরে পানির ভারসাম্য রক্ষা করে।

*সাগু দানা প্রোটিনের এক উৎস। ভিটামিন কে এবং ক্যালসিয়াম ও লৌহের মতো খনিজ পুষ্টি বিদ্যমান এতে। যা শিশুর বেড়ে ওঠার জন্য অত্যন্ত জরুরী।

*এটি সহজপাচ্য ও পুষ্টিকর এবং অপরদিকে শিশুটি শিশুরা খুব সহজেই তা গিলতে পারে।

*শুধু শিশুরা নয়, বড়রাও খেতে পারবে সাগু দানা। সম্পৃক্ত চর্বি খুবই কম থাকায় হার্টের রোগীদের জন্য ভালো একটি খাবার।

41
সকল রোগের ক্ষেত্রে সচেতন হওয়া প্রয়োজন।কারণ রোগ হলে চিকিৎসা করার চেয়ে রোগ নিয়ন্ত্রণ করা ভালো।এতে করে আপনি সুস্থ থাকবেন আর আপনার খরচও বাঁচবে। এজন্য স্বাস্থ্য পরীক্ষা করিয়ে নেয়াই বুদ্ধিমানের কাজ।

স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো অনেকে সময় নষ্ট মনে করেন। জেনে রাখা ভালো প্রত্যেকের ক্ষেত্রেই অত্যন্ত জরুরি হচ্ছে স্বাস্থ্য পরীক্ষা।তবে পুরুষদের ক্ষেত্রে কিছু স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা জরুরি।

পুরুষদের জন্য কিছু অত্যাবশ্যকীয় স্বাস্থ্য পরীক্ষার কথা বলে থাকেন চিকিৎসকেরা।এই স্বাস্থ্য পরীক্ষাগুলো ছয় মাস বা বছর খানেক পর পর করা উচিত।

আসুন জেনে নেই পুরুষদের জন্য কিছু অত্যাবশ্যকীয় স্বাস্থ্য পরীক্ষা।

হার্ট অ্যাটাক: হার্ট অ্যাটাক সত্যিই একটি জটিল রোগ। এর কারণ হলো হার্ট অ্যাটাক রোগে যারা মৃত্যুবরণ করে তাদের বেশির ভাগ লোকই কিন্তু প্রথম ঘণ্টার মধ্যে মারা যান।তাই আপনার হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কেমন? প্রথমেই তার পরীক্ষা করতে হবে।

উচ্চ রক্তচাপ: উচ্চ রক্তচাপ ভয়ংকর পরিণতি ডেকে আনতে পারে। অনেক সময় উচ্চ রক্তচাপের কোনো প্রাথমিক লক্ষণ দেখা যায় না। নীরবে উচ্চ রক্তচাপ শরীরের বিভিন্ন অংশকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। এ জন্যই উচ্চ রক্তচাপকে ‘নীরব ঘাতক’ বলা যেতে পারে। অনিয়ন্ত্রিত এবং চিকিৎসাবিহীন উচ্চ রক্তচাপ থেকে মারাত্মত শারীরিক জটিলতা দেখা দিতে পারে।তাই উচ্চ রক্তচাপ পরীক্ষা জরুরি।

ক্যান্সারের ঝুঁকি: আপনার মধ্যে ক্যান্সারের ঝুঁকি কতটা! এর জন্যে ফ্লেক্সিবল সিগমোইডোস্কপি করিয়ে নিতে হবে। ফিকাল অকাল্ট ব্লাড টেস্ট (এফওবিটি), কোলনোস্কপি আর মোল স্ক্রিনিং করানোটাও খুবই জরুরি। যারা ধূমপায়ী, তাদের জন্যে লো-ডোজ কম্পিউটেড টমোগ্রাফি করানো অত্যন্ত জরুরি। এছাড়া প্রোস্টেট স্পেসিফিক অ্যান্টিজেন এবং ডিজিটাল রেক্টাল করিয়ে নিতে পারলে ভাল হয়।

শ্রবণজনিত সমস্যা: শ্রবণজনিত কোনও সমস্যা রয়েছে কিনা তা-ও পরীক্ষা করে দেখে নেওয়া দরকার।এ জন্য অডিওগ্রাম পরীক্ষা করতে হবে। এই পরীক্ষার মাধ্যমে বোঝা যাবে শ্রবণজনিত কোনও সমস্যা রয়েছে কিনা বা অন্য কোনও সমস্যা রয়েছে কী না।

দৃষ্টিশক্তি: দৃষ্টিশক্তি ঠিক আছে কিনা তা পরীক্ষা করা প্রয়োজন। নিশ্চিত হওয়ার জন্য ছয় মাস পর পর চোখের পরীক্ষা করিয়ে নিন। দৃষ্টিশক্তিতে কোনও সমস্যা বা দুর্বলতা আছে কিনা, তা জানা যাবে।

ডায়াবেটিস: ডায়াবেটিস মারাত্মক একটি রোগ। ডায়াবেটিসের আক্রান্তের সংখ্যা যে ভাবে বেড়ে চলেছে, তাতে রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ কতটা বা রক্তে গ্লুকোজের ভারসাম্য ঠিক আছে কী না তা পরীক্ষা করে জেনে নেওয়া উচিত।

এই স্বাস্থ্য পরীক্ষাগুলো করিয়ে নিতে পারলে আপনি শরীরিকভাবে ভালো থাকবেন। এছাড়া কোনো সমস্যা থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে পারেন।

42
Food / গোয়ালন্দ চিকেন কারি
« on: November 07, 2018, 12:21:36 PM »
উপকরণ: দেশি মুরগি, পেঁয়াজ, রসুন, আদা, কাঁচা ও শুকনো মরিচ, হলুদ, লবণ, সরিষার তেল, কুচো চিংড়ি মাছ। সব উপকরণ পরিমাণমতো নিতে হবে।

প্রণালি: পেঁয়াজ কুচি কুচি করে কাটুন। আদা-রসুন-কাঁচা ও শুকনো মরিচও কুচি করে কেটে নিন। এবার মুরগি ভালো করে ধুয়ে একটা পাত্রে রাখুন। কেটে রাখা মুরগিতে পেঁয়াজ, রসুন, আদা, মরিচ, হলুদ আর লবণ দিন। পরিমাণমতো সরিষার তেল দিন। এরপর খুব ভালো করে মেখে নিন। এবারে দুই ঘণ্টা রেখে দিন ঢাকনা দিয়ে। মাথা, খোলা ও পা বাদ দিয়ে কুচো চিংড়ি ভালো করে ধুয়ে খুব মিহি করে বেটে নিন। একটা ছোট ডেকচি বা কড়াইয়ে অল্প সরিষার তেল দিন। চিংড়িবাটা মুরগিমাখায় মিশিয়ে দিন। তেল গরম হয়ে গেলে মুরগিমাখা কড়াইয়ে ছাড়ুন। আঁচ কমিয়ে রাখুন। ৩-৪ মিনিট নাড়ুন। তারপর আঁচ একেবারে কমিয়ে দিন আর ঢেকে দিন ভালোভাবে, যেন খুব বেশি বাষ্প বেরিয়ে যেতে না পারে। আধঘণ্টা পর ঢাকনা খুলে আধকাপ পানি দিন। এরপর আবার ঢাকনা চাপা দিয়ে ১০ মিনিট খুব কম আঁচে রান্না করুন। এবার উনুন বন্ধ করে দিন। কিন্তু কড়াইয়ের ঢাকনা খুলুন আরও ১০-১৫ মিনিট পর। ব্যস, হয়ে গেছে আপনার গোয়ালন্দ চিকেন কারি।

43
স্বাস্থ্য ডেস্ক: ঠোঁট, জিব, গাল, তালু, সাইনাস কিংবা গলার ভেতরে ক্যানসারকে ওরাল ক্যানসার বা মুখের ক্যানসার হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।

প্রথম পর্যায়ে ধরা পড়লে এটা সম্পূর্ণ নিরাময়যোগ্য। কিন্তু এই ক্যানসার দ্বিতীয় পর্যায়ে পৌঁছে গেলেই এর চিকিৎসা ও নিরাময় খুবই কঠিন হয়ে পড়ে। এমনকি মৃত্যুও হতে পারে।

লক্ষণঃ

ত্বকে ক্ষত দেখা যাওয়া, ঠোঁটে লাম্প বা আলসার, মাড়ি বা মুখের ভেতরে অন্য কোথাও এমন ক্ষত হওয়া। খাবার গিলতে বা চিবানোতে সমস্যা হওয়া কিংবা কথা বলতে কষ্ট হওয়া। মুখের ভেতর বা জিবে ব্যথা হওয়া। মুখের ভেতর অনাকাঙ্ক্ষিত রক্ত ঝরা। এগুলো সবই ওরাল ক্যানসারের লক্ষণ হতে পারে। তবে অন্য কোনো কারণে এসব হচ্ছে নাকি ক্যানসারের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে, সেটা নিশ্চিত হতে অবশ্যই চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে।

প্রতিরোধে করনীয়ঃ

তামাক সেবন না করা:

ধূমপান করা বা তামাক-জর্দা দিয়ে পান চিবানোর অভ্যাস থাকলে ক্যানসারের ঝুঁকি কমাতে দ্রুত এই অভ্যাস ছাড়ুন। ওরাল ক্যানসারের কারণগুলোর মধ্যে সিগারেট-পানসহ নানা তামাকজাত দ্রব্যের আসক্তি সবচেয়ে বড় কারণগুলোর একটা।

অ্যালকোহল পান না করা:

মদ-বিয়ারসহ নানা ধরনের অ্যালকোহল পানের আসক্তি নিয়ন্ত্রণ করুন। নিয়মিত বেশি মাত্রায় অ্যালকোহল পান সব সময়ই ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়িয়ে দিতে পারে।

সরাসরি সূর্যের আলো:

যদি নিয়মিতই বেশি সময় ধরে সরাসরি সূর্যের আলোয় থাকতে হয়, তাহলে অতিবেগুনি রশ্মি প্রতিরোধের ব্যবস্থা নিন। এসব ক্ষেত্রে লিপ বাম বা লিপ গ্লস ব্যবহার করলে ঠোঁট সুরক্ষা করে ঠোঁটের ক্যানসার প্রতিরোধে সতর্ক হতে পারেন।

দাঁতের সুরক্ষা:

নিয়মিত দাঁতের যত্ন নিন। নিয়মিত দাঁত মাজা, মুখ পরিষ্কার রাখা শরীরের রোগ প্রতিরোধের জন্যই জরুরি। বছরে অন্তত দুইবার দাঁতের চিকিৎসকের কাছে গিয়ে দাঁত এবং মুখের ক্যানসারের ঝুঁকি পরীক্ষা করে নেওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকেরা।

ব্যায়াম ও শরীরচর্চা:

নিয়মিত শারীরিক পরিশ্রম করা এবং ব্যায়াম করা সুস্বাস্থ্যের জন্য খুবই জরুরি। আপনার শরীর সম্পর্কে জানুন এবং সচেতন হোন। এটা আপনাকে ক্যানসারসহ নানা রোগ প্রতিরোধে সহায়তা করবে।

সবজি ও ফল খান:

প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় প্রচুর সবজি ও ফল থাকা জরুরি। সবুজ-লাল-হলুদ-বেগুনিসহ নানা রঙের সবজি ও ফলে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট মুখের ক্যানসারসহ নানা রোগের ঝুঁকি কমিয়ে দিতে পারে।

44
পলিসিস্টিক ওভারি সিন্ড্রোম একটি হরমোনজনিত স্বাস্থ্য সমস্যা। বালিকা ও মহিলাদের প্রজননক্ষম সময়ে হয়ে থাকে (১৫-৪৪ বছর)। বাংলাদেশে এ রোগের হার ২৫ শতাংশের কাছাকাছি হবে বলে ধরে নেয়া হয়।


নারীদেহে এন্ড্রোজেনের (পুরুষ যৌন হরমোন) আধিক্যের কারণে সংঘটিত শারীরিক সমস্যা। এর প্রভাবে বিভিন্ন লক্ষণ দেখা দিতে থাকে, যেমন- ক. অনিয়মিত মাসিক খ. অতিরিক্ত রক্তস্রাব গ. মুখে ও শরীরে অত্যধিক লোম (পুরুষালি) ঘ. ব্রণ মুখে ও শরীরের অন্যান্য অংশে।

আরও কিছু শারীরিক সমস্যা থাকতে পারে- তলপেটে ব্যথা, মকমলের মতো কালো ত্বক (ঘাড়, বগল ইত্যাদি জায়গায়), বন্ধ্যত্ব। রোগীদের টাইপ-২ ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়। এদের অনেকেই দৈহিক স্থূ’লতায় আক্রান্ত হয়, নাকডাকা ও ঘুমের সময় হঠাৎ করে শ্বাস বন্ধ হওয়া, হৃদরোগের ঝুঁকি বেড়ে যাওয়া, মানসিক ভারসাম্যহীনতা ও জরায়ু ক্যান্সারের ঝুঁকি বৃদ্ধি পেতে পারে।

জিনগত ত্রুটি আছে এমন কিশোরীর দৈহিক ওজন বৃদ্ধি পাওয়া, খুব কম শারীরিক শ্রম সম্পাদন করা ও ঝুঁকিপূর্ণ খাদ্য গ্রহণ করা ইত্যাদি এ রোগের আশঙ্কা বাড়িয়ে দেয়। পলিসিস্টিক ওভারি সিন্ড্রোমে ডিম্বাশয় অতিরিক্ত পরিমাণে টেস্টোস্টেরন হরমোন তৈরি করতে উদ্দীপ্ত হয়।

যার পেছনে পিটুইটারি গ্রন্থি কর্তৃক অতিরিক্ত এলএইচ (LH) নিঃস্বরণ ও দেহে ইনসুলিন রেজিস্ট্রেন্সের উপস্থিতিই কারণ।

পলিসিস্টিক ওভারি সিন্ড্রোম নাম হওয়ার প্রধান কারণ হল ডিম্বাশয়ে বিভিন্ন বয়সী, বিভিন্ন আকারের, বিভিন্ন সংখ্যার সিস্ট থাকার।

রোগ শনাক্তকরণ

নিম্নলিখিত ক্রাইটেরিয়ার যে কোনো দুটির উপস্থিতি আবশ্যক-

* নারীদেহে অতিরিক্ত এন্ড্রোজেন হরমোন উপস্থিতি।

* অনিয়মিত ঋতুস্রাব।

* ডিম্বাশয়ে সিস্ট।

পরীক্ষা-নিরীক্ষা

* সিরাম টেস্টোস্টেরন, এলিস, এফএসএইচ।

* পেটের আল্ট্রাসনোগ্রাম।

* ওজিটিটি।

চিকিৎসা

জীবনযাত্রা ব্যবস্থাপনা : চিকিৎসার শুরুতেই খাদ্য ব্যবস্থাপনার দিকে নজর দিতে হবে। রোগীর দৈহিক ওজন কাক্সিক্ষত মাত্রায় পৌঁছতে সাহায্য করবে, বিপাকীয় প্রক্রিয়ার উন্নতি ঘটাবে যাতে করে ইনসুলিন রেজিস্ট্রেন্স কমে যাওয়ার সম্ভাবনা বৃদ্ধি পাবে। আদর্শ জীবনযাপন ব্যবস্থাপনা রোগীর হৃদরোগ ও ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকি কমাবে।

এ রোগীদের খাদ্য তালিকায় শর্করার আধিক্য কম থাকবে, শাকসবজি (আলু বাদে), রঙিন ফল-মূল ও আমিষজাতীয় খাদ্য প্রাধান্য পাবে।

দৈহিক ওজন বা বিএমআই বিবেচনায় রেখে শারীরিক শ্রমের ব্যবস্থা করতে হবে।

ওষুধ

* মহিলাদের জন্ম নিয়ন্ত্রণের জন্য ব্যবহৃত পিলগুলো যাতে স্বল্প মাত্রায় ইস্ট্রোজেন ও প্রজেস্ট্রেরন থাকে, তা সহায়ক ওষুধ।

* মেটফরমিন

* অবাঞ্ছিত লোম দূর করার ক্রিম

* প্রজনন সম্ভাবনা বৃদ্ধির ওষুধ

পলিসিস্টিক ওভারি সিন্ড্রোমে আক্রান্ত নারীদের অধিকাংশই এ সমস্যার শারীরিক লক্ষণগুলো খুব দ্রুত বুঝতে পারেন না। কেউ কেউ লক্ষণগুলো বুঝতে পারলেও সংকোচ বোধের কারণে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে দেরি করেন। যেহেতু রোগটির ব্যাপকতা ও সুদূরপ্রসারী স্বাস্থ্য ঝুঁকি আছে, তাই প্রজননক্ষম বয়সের সব নারীকে তার এ সমস্যা আছে কিনা জানার জন্য হরমোন বিশেষজ্ঞের শরণাপন্ন হওয়া জরুরি।

লেখক : হরমোন ও ডায়াবেটিস বিশেষজ্ঞ, সহকারী অধ্যাপক, এন্ডোক্রাইনোলজি বিভাগ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়

45
হঠাৎ পা ফুলে গেলে উদ্বিগ্ন হন না এমন লোক খুঁজে পাওয়া যাবে না। সামান্য ফোলা নিয়ে ডাক্তারের কাছে এসে কেউ পায়ে হাত ঘষতে ঘষতে অস্থির হয়ে পড়েন।


ডাক্তার সাহেব, দেখেছেন অবস্থা! ফুলে একেবারে ঢোল। ডাক্তার টিপেটুপে ‘মাইল্ড এডেমা’র (এডেমা- পা ফোলার ডাক্তারি পরিভাষা) বেশি কিছু খুঁজে পান না। আবার অনেকে সত্যিকারের ঢোল দিয়ে হাজির হন, কিন্তু বাজাতে বেমালুম ভুলে যান। ডাক্তারই বরং পরীক্ষা করে উদ্ধার করেন- এডেমা থ্রি/ ফোর প্লাস। মানে পা ভয়াবহ রকমের ফোলা। যাই হোক হাত-পা ফোলা অবহেলার বিষয় নয়। বিশেষভাবে লক্ষ্য করার বিষয় হল দুই পা, নাকি এক পা ফোলা। দুই পা একসঙ্গে ফুলে যাওয়া দেখলে সাধারণত নিচের কারণগুলো বিবেচনায় নিতে হয়-

* হার্ট ফেইলিউর * কিডনি ফেইলিউর * লিভার ফেইলিউর * থাইরয়েড হরমোনের অভাব * কোনো ওষুধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া।

এদের প্রত্যেকটিরই নিজস্ব অনুসঙ্গ থাকবে। যেমন শ্বাসকষ্ট, মুখ ফোলা, পেট ফোলা, জন্ডিস, প্রস্রাব কম হওয়া বা না হওয়া, গলার স্বরে পরির্বতন ইত্যাদি। হার্ট, লিভার বা কিডনির কার্যক্ষমতায় উন্নতি হলে এসব ফোলাও কমে যায়।

ডিভিটি কী

যে পথগুলো দিয়ে রক্ত হৃৎপিণ্ডে ফিরে যায়, সেগুলোকে শিরা বলা হয়, ইংরেজিতে ভেইন (Vein)। শিরাগুলো দু’ স্তরে বিন্যস্ত; চামড়ার নিচে ও মাংসের বা দেহগহ্বরের ভেতরে। গভীরে অবস্থিত শিরাগুলোই রক্ত ফেরত নেয়ার মূল কাজটা করে। এরা আকারেও অনেক বড়। কোনো কারণে যদি এসব মোটা শিরার মধ্যে রক্ত জমাট বেঁধে যায়, তাকে ‘ডিপ ভেইন থ্রম্বোসিস’ (Deep Vein Thrombosis) বা সংক্ষেপে ডিভিটি (DVT) বলে। এর ফলে রক্ত ফেরত যাওয়ার মূল পথটাই বন্ধ হয়ে যায়। ধমনীর মাধ্যমে রক্ত পায়ে আসছে কিন্তু ফেরত যেতে পারছে না, তাই পা ফুলে যায়। ফোলা যখন এক পায়ে হয়, তখন ডিভিটি’র কথা মাথায় আনতে হয়। প্রশ্ন উঠতে পারে ডিভিটি দুই পায়ে একসঙ্গে হতে পারে না? পারে। তবে সাধারণত হয় না।

লক্ষণ

হঠাৎ ব্যথার সঙ্গে পা ফুলে শক্ত হয়ে যাওয়া ডিভিটির মূল লক্ষণ। এর সঙ্গে কারণ সংক্রান্ত কিছু অনুসঙ্গ রোগ শনাক্তকরণে সাহায্য করতে পারে। যেমন রোগী দীর্ঘদিন বিছানা বন্দি ছিলেন কিনা, রোগী ক্যান্সারে ভুগছেন কিনা, পায়ে কোনো আঘাত পেয়েছেন কিনা, উড়োজাহাজ, ট্রেন বা বাসে লম্বা পথ ভ্রমণ করেছেন কিনা ইত্যাদি। অনেক সময় অবশ্য এসবের কিছুই থাকে না, বিশেষত অল্প বয়স্কদের হঠাৎ পা ফুলে যাওয়ার ক্ষেত্রে। এসব ক্ষেত্রে রক্তের উপাদানগত ক্রটির কথা ভাবতে হয়।

লিম্ফ ইডিমা বা সেলুলাইটিস নয় তো

এক পা ফুলে গেলেই ডিভিটি সব সময় হবে তা নয়। মাঝে মাঝে লসিকা নালীতে ব্লক (লিম্ফ ইডিমা), প্রদাহ বা জীবাণুর সংক্রমণে (Cellulitis) হাত-পা ফুলতে পারে।

ভারকো’স ট্রায়াড (Virchow's Triad)

ডিভিটির কারণ হিসেবে তিনটি বিষয়কে বিবেচনা করা হয়। এগুলোকে বিখ্যাত জার্মান চিকিৎসক রুডলফ ভারকো’র নামানুযায়ী ভারকো’স ট্রায়াড নামে অভিহিত করা হয় যদিও তিনি নিজে কখনও এগুলোকে বর্ণনা করেননি।

রক্তপ্রবাহে স্থবিরতা (Stasis of blood flow)

রক্ত চলাচল স্থবির হয়ে পড়লে ডিভিটি’র আশঙ্কা বেড়ে যায়। অসুস্থতা, অপারেশন বা অন্য যে কোনো কারণে দীর্ঘদিন বিছানায় শুয়ে আছেন এমন ব্যক্তি এবং বিমান বা সড়ক পথে দীর্ঘ ভ্রমণেও এমন অবস্থার সৃষ্টি হতে পারে।

ইকোনমি ক্লাস সিনড্রোম (Economy Class Syndrome)

বিমানে দীর্ঘপথ ভ্রমণে অনেক সময় ডিভিটি হয়। এক্ষেত্রেও কারণ ওইটাই। পায়ের নড়াচাড়া দীর্ঘক্ষণ বন্ধ থাকার কারণে রক্ত চলাচল স্থরির হয়ে পড়ে। ইকোনমি ক্লাসে ভ্রমণে হাত-পা নড়াচাড়ার সুযোগ তুলনামূলকভাবে কম হওয়াতে এদের ডিভিটি বেশি হয়। বিজিনেস ক্লাসে জায়গা বেশি, নড়াচাড়ার সুযোগও বেশি, ডিভিটিও তাই কম হওয়ার কথা।

শিরার ভেতরের দেয়ালে ক্ষত (Endothelial Injury)

শিরার ভেতরের দেয়ালে এক বিশেষ ধরনের আস্তরণ (Endothelium) থাকে যা স্বাভাবিক অবস্থায় শিরার ভেতরে রক্ত জমাট বাঁধা প্রতিরোধ করে। কোনো কারণে এই আস্তরণে ক্ষত সৃষ্টি হলে রক্ত জমাট বেঁধে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়। আঘাত, রক্তচাপ, জীবাণু, রক্তবাহিত বিভিন্ন ধরনের রাসায়নিক বা রক্তপ্রবাহে কোনো কৃত্রিম পদার্থের উপস্থিতি এ ধরনের ক্ষত সৃষ্টি করতে পারে।

রক্ত জমাট বেঁধে যাওয়ার প্রবণতা (Hypercoa-gulability)

উপাদানগত ত্রুটির কারণে অনেক সময় রক্তের জমাট বেঁধে যাওয়ার প্রবণতা বেড়ে যায়। প্রোটিন সি, প্রোটিস এস, অ্যান্টি থ্রম্বিন-৩, ফ্যাক্টর-৫ লিডেন এসব উপাদান রক্ত জমাট বাঁধা প্রতিরোধ করে। জন্মগত তথা জিনের ত্রুটি বিচ্যুতির কারণে এরকম হয়ে থাকে। রক্তের ঘনত্ব বৃদ্ধিও এর জমাট বেঁধে যাবার প্রবণতা বাড়িয়ে দেয়। পানিশূন্যতা থেকেও এমনটা হতে পারে।

পরীক্ষা-নিরীক্ষা

রক্তনালীর আল্ট্রাসনোগ্রাম বা ভাস্কুলার ডুপ্লেক্স স্টাডির (Vascular Duplex Study) মাধ্যমে প্রায় ৯৯% ক্ষেত্রে এই রোগ নিরুপণ করা সম্ভব। ’ডি ডাইমার’ নামের এক ধরনের রক্ত পরীক্ষাও এ সম্পর্কে ধারণা দিতে পারে।

চিকিৎসা

আমাদের দেশে এখন পর্যন্ত ডিভিটির চিকিৎসা মূলত ওষুধের মাধ্যমে করা হয়। হেপারিন নামে এক ধরনের ওষুধ আছে যা রক্তকে জমাট বঁাঁধতে বাঁধা দেয়। শুরুতে ইনজেকশনের মাধ্যমে প্রয়োগ করা হয়। সময়মতো চিকিৎসা শুরু করা গেলে এই ওষুধের ফলাফল বেশ ভালো। সম্প্রতি এই ইনজেকশনের বিকল্প মুখে খাবার ওষুধ বাজারে এসেছে। এর কার্যকারিতা ইনজেকশনের মতোই। আরও এক ধরনের ওষুধ ডিভিটি’র চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়। ওয়ারফারিন নামের এই ওষুধও যথেষ্ট কার্যকর, দামও কম। কিন্তু ওষুধটি শরীরে দীর্ঘমেয়াদে কাজ করে এবং অন্য অনেক ওষুধের সঙ্গে এর বিক্রিয়া রয়েছে যার ফলে নির্দিষ্ট মাত্রার ওষুধ নিয়মিত খাওয়া সত্ত্বেও রক্তে এর মাত্রা কমে বা বেড়ে যেতে পারে। তাই মাঝে মাঝে রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে শরীরে এর মাত্রা দেখে নিতে হয়। অন্যথায় মাত্রা বেশি হয়ে গেলে শরীর থেকে রক্তক্ষরণের আশঙ্কা থাকে।

ডিভিটি’র আধুনিক চিকিৎসা

থ্রম্বোলাইসিস

আধুনিক চিকিৎসায় শিরাতে স্যালাইনের মাধ্যেমে বা ডিভিটি আক্রান্ত শিরার মধ্যে ক্যাথেটার ঢুকিয়ে তার মাধ্যমে এমন ওষুধ প্রয়োগ করা হয় যার কাজ জমাট রক্তকে তরলায়িত করা। অনেক সময় আবার জমাট রক্তকে যন্ত্রের মাধ্যমে চূর্ণ করে বাইরে বের করে নিয়ে আসা হয়। ডিভিটি শুরু হওয়ার সর্বোচ্চ ৩ সপ্তাহের মধ্যে এসব চিকিৎসা শুরু করার সুযোগ থাকে। এসব চিকিৎসা অত্যন্ত ব্যয়বহুল হওয়াতে বাংলাদেশে এখনও সহজলভ্য ও জনপ্রিয় হয়ে ওঠেনি।

ডিভিটি থেকে পালমোনারি এম্বোলিজম

ডিভিটি মূলত পায়ের সমস্যা হলেও কখনও কখনও এটা প্রাণঘাতি হয়ে উঠতে পারে। পায়ের শিরা থেকে জমাট রক্তের বড় চাকা ছুটে গিয়ে রক্ত স্রোতের সঙ্গে ভেসে ফুসফুসের রক্তনালীতে গিয়ে আটকে যেতে পারে। তাতে হঠাৎ শ্বাস বন্ধ হয়ে রোগীর মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। ডিভিটি’র অর্ধেকেরও বেশি রোগী পালমোনারি এম্বোলিজম (Pulmonary Embolism) নামে পরিচিত এই জটিলতায় আক্রান্ত হন, তবে সব সময় তা প্রাণঘাতি হয় না। এই জটিলতা প্রতিরোধের উপায় আছে। পালমোনারি এম্বোলিজম প্রতিরোধে ধাতুর জাল দিয়ে তৈরি ছাতা জাতীয় এক ধরনের ফিল্টার (Vena Cava Filter) পেটের মধ্যে শিরার প্রবাহপথে (Inferior Vena Cava) স্থাপন করা হয়। পায়ের শিরা থেকে জমাট রক্ত ছুটে গেলেও ফুসফুসে পৌঁছানোর আগেই এই ফিল্টারে আটকে যায়। বেশ খরচসাপেক্ষ হওয়াতে আমাদের দেশে খুব একটা ব্যবহৃত হয় না।

পোস্ট থ্রম্বোটিক সিনড্রোম

এক সময় পা ফোলা ছিল এখন ফোলা খুব একটা নেই তবে পা আস্তে আস্তে কালো হয়ে যাচ্ছে। মাঝে মাঝে ঘা হচ্ছে, শুকাচ্ছে, আবার হচ্ছে। ডিভিটি’র পরে এরকম ঘটনা ঘটতে পারে। মূলত ডিভিটি রোগীদের প্রায় দুই তৃতীয়াংশ এই পোস্ট থ্রম্বোটিক সিনড্রোম নামক জটিলতায় ভুগে থাকেন। এর চিকিৎসা সহজ নয়।

অল্প বয়সে ডিভিটি

অল্প বয়সীদের ডিভিটি রোগ হলে উপরে বর্ণিত রক্তের উপাদানগত ক্রটির (যেমন প্রোটিন সি, প্রোটিন এস, অ্যান্টি থ্রম্বিন-৩ ইত্যাদির ঘাটতি) কথা মাথায় রাখতে হয়। এসব রোগীদের সারাজীবন রক্ত তরল রাখার ওষুধ সেবন করতে হতে পারে।

একিউট ডিভিটি, ক্রনিক ডিভিটি

প্রথম দু’সপ্তাহের ভেতরে ডিভিটিকে একিউট ডিভিটি বলা হয় এর পর এটা ক্রনিক পর্যায়ে চলে যায়। একিউট ডিভিটির চিকিৎসা যতটা সন্তোষজনক, ক্রনিক ডিভিটি ততটা নয়। থ্রম্বোলাইসিস জাতীয় আধুনিক চিকিৎসা ক্রনিক ডিভিটিতে কাজ করে না। আধুনিক চিকিৎসায় অনেক সময় ক্রনিক ডিভিটিতে আক্রান্ত পায়ের উপরের দিকে বন্ধ শিরা বেলুন/রিং ব্যবহার করে খুলে দেয়া হয় তাতে রক্ত উপরিবহনের উন্নতি হয়ে পা ফোলাসহ অন্যান্য লক্ষণগুলোর উন্নতি হয়। ব্যয়বহুল হওয়াতে এই চিকিৎসার প্রয়োগ আমাদের দেশে খুবই কম।

হাতের ডিভিটি

পায়ের তুলনায় হাতের ডিভিটি তুলনামূলকভাবে অনেক অনেক কম। বিশেষ কিছু পরিস্থিতিতে হাতেও ডিভিটি হতে পারে। যেমন, কোনো কারণে যদি ঘাড়ের কাছে হাত থেকে রক্ত নিয়ে যাওয়া শিরায় বাঁধার সৃষ্টি হয়। এরকম বাঁধার সৃষ্টি হতে পারে যদি জন্মগতভাবে ঘাড়ের কোনো পাশে সারভাইকাল রিব নামের বাড়তি হাড় থাকে। ফুসফুসের উপরের দিকে বড় ধরনের টিউমার থাকলে সেটাও শিরার উপর চাপ প্রয়োগের মাধ্যমে হাতের ডিভিটির কারণ হতে পারে।

লেখক : সহযোগী অধ্যাপক, জাতীয় হৃদরোগ ইন্সটিটিউট ও হাসপাতাল। বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতাল, শ্যামলী, ঢাকা

Pages: 1 2 [3] 4 5 ... 15