Show Posts

This section allows you to view all posts made by this member. Note that you can only see posts made in areas you currently have access to.


Topics - nusratjahan

Pages: 1 2 [3]
31
উষ্ণ পানীয় হিসেবে কফি বেশি পরিচিত। তবে শীতল পানীয় হিসেবেও কফির জনপ্রিয়তা কম নয়। তাহলে এই দুটির মধ্যে কোনটি ভালো।
গরমে ‘আইস্ড কফি’ প্রাণ যেমন জুড়ায় তেমনি শীতে এক্সপ্রেসো শট কিংবা ‘লাতে’ দিতে পারে উষ্ণ অনুভূতি। তবে স্বাস্থ্যবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদনে পুষ্টিবিজ্ঞানের বরাত দিয়ে জানায়, গরমের চাইতে কফির শীতল পানীয় বেশি উপকারী।

গরমে শরীর শীতল করতে পছন্দের কোমল পানীয়, আইসক্রিম, লেমোনেইড বা তাজা ফলের রস পান করি। তবে পছন্দের পানীয় কফি খাওয়ার ক্ষেত্রে তাপমাত্রার পার্থক্য খুব একটা বড় বিষয় নয়। ঠাণ্ডা ও গরম নির্বিষেশে কফি পান করা হয়।

বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় গরম কফির উপকারিতার কথা লেখা থাকলেও ঠাণ্ডা কফি নিয়ে খুব একটা লেখা হয়নি। তার মানে এই নয়, শীতল কফি উপকারী নয়।

কফি খাওয়ার বিভিন্ন স্বাস্থ্যপোকারিতা রয়েছে। হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে, টাইপ টু ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমায় এবং আয়ু বাড়াতে সাহায্য করে। তাছাড়া হতাশা কমাতে এবং মননশীল দক্ষতা বাড়াতেও সাহায্য করে কফি।

কফিতে উচ্চ মাত্রার পলিফেনল, খনিজ উপাদান ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে বলে এর জনপ্রিয়তা এত বেশি।

কফির বায়ো অ্যাক্টিভ উপাদানের জন্য এটা স্বাস্থ্যকর। কফিতে বরফ যোগ করা হলে এর গুণাগুণের কোনো পরিবর্তন হয়না। গরম ও ঠাণ্ডা কফির গুণাগুণ একই থাকে।

যাদের গ্যাসট্রিকের সমস্যা আছে তাদের জন্য ঠাণ্ডা কফি বেশি উপকারী। ঠাণ্ডা কফি প্রাকৃতিকভাবেই ৬৭ শতাংশ কম অ্যাসিডিক এবং এটা হজম ক্রিয়ার জন্যও আরামদায়ক। 

যারা গরম কফি খেতে গিয়ে জিভ পুড়িয়ে ফেলে তাদের জন্যও ঠাণ্ডা কফি ভালো।

ঠাণ্ডা কফিতে ক্যাফেইনের মাত্রা বেশি থাকে। তাই যাদের ঘুমের সমস্যা আছে তাদেরকে ‘কোল্ড কফি’ এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়। অথবা ঘুমাতে যাওয়ার কমপক্ষে চার ঘণ্টআ আগে পান করা যেতে পারে।

তবে মনে রাখা দরকার, বেশি ক্যাফেইন সব সময়ই খারাপ নয়।

32
স্মার্টফোনের বিক্রি যখন দিন দিন বাড়ছে ঠিক সে সময় প্রায় ৭০ শতাংশ টিনএজার স্মার্টফোনে তাদের সময় কমানোর চেষ্টা করছে, এক গবেষণায় এমন তথ্য উঠে এসেছে।
মার্কিন অলাভজনক প্রতিষ্ঠান স্ক্রিন এডুকেশন-এর করা জরিপে দেখা যায়, স্মার্টফোনে সময় ব্যয় নিজেরা নিয়ন্ত্রণ করতে পারলে ফলাফল ভালো হতো এমন ইচ্ছা প্রকাশ করেছে ৬৫ শতাংশ টিনএজার। আর ২৬ শতাংশের মতে তারা নিজেরা এই সময় ব্যয় নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন না, তাই তারা চান অন্য তাদের স্মার্টফোনে সময় দেওয়া অন্য কেউ নিয়ন্ত্রণ করুক। ৩৭ শতাংশ টিনএজার এই নিয়ন্ত্রণের জন্য কোনো বন্ধুর দ্বারস্থ হয়েছেন।

স্মার্টফোনে দেওয়া সময় বাড়তে থাকার কারণে অন্য কাজ করতে না পারায় অনুতাপ প্রকাশ করেছেন ৩৫ শতাংশ টিনএজার। স্কুলে কম নাম্বার পাওয়ার জন্য ৪১ শতাংশই তাদের স্মার্টফোনকে দোষ দিয়েছেন, খবর আইএএনএস-এর।

স্ক্রিন এডুকেশন-এর প্রেসিডেন্ট বলেন, “টিনএজারদের স্মার্টফোন আসক্তি শনাক্তে এটি জোরালো পদক্ষেপ নেওয়ার সময়। এই বাচ্চারা এখন জানে তাদের ফোনগুলো তাদের জীবনে বিভিন্নভাবে ক্ষতি করছে, আর তারা সহায়তা চায়।”

এই গবেষণায় সপ্তম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির ১,০১৭ জন কিশোরকে ৪৬টি প্রশ্ন করা হয়। এতে আরও জানা যায়, ৩৬ শতাংশ টিনএজার প্রতি সপ্তাহে অনলাইন হয়রানি দেখেন। যেখানে ৩০ শতাংশেরও বেশি টিনএজার অনলাইন হয়রানি থেকে শারীরিক নির্যাতন হতে দেখেছেন।

33
বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষুদ্র কম্পিউটার তৈরির দাবি করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের গবেষকেরা। ‘মিশিগান মাইক্রো মোট’ নামের এ ডিভাইসটির আকার মাত্র দশমিক তিন মিলিমিটার। এটি ক্যানসার পর্যবেক্ষণ ও চিকিৎসায় নতুন সম্ভাবনার পথ খুলে দেবে বলে মনে করছেন গবেষকেরা।

দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের এক খবরে বলা হয়, এর আগে গবেষকেরা ২ বাই ২ বাই ৪ মিলিমিটার আকারের একটি ডিভাইস তৈরি করেছিলেন। তাতে বাইরে থেকে শক্তি জোগানো বন্ধ হলেও তা তথ্য ধরে রাখতে পারত। কিন্তু ক্ষুদ্রতম কম্পিউটারটির ক্ষেত্রে একবার চার্জ শেষ হলে তার আগের সব তথ্য মুছে যায়।

যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ডেভিড ব্লাউ বলেন, একে কম্পিউটার বলা যাবে কি না তা আমরা নিশ্চিত নই। এটি মতামতের ওপর নির্ভর করে। কম্পিউটার হতে গেলে যে ফাংশন থাকার কথা, তা আছে কি না, সে বিষয়টি মতামতসাপেক্ষ। র‍্যাম ও ফটোভল্টাইকসসহ এ কম্পিউটিং ডিভাইসে প্রসেসর, তারহীন ট্রান্সমিটার ও রিসিভার রয়েছে। যেহেতু এতে প্রচলিত রেডিও অ্যানটেনা নেই এটি দৃশ্যমান আলোর সাহায্যে তথ্য আদান-প্রদান করে। একটি বেজ স্টেশন শক্তি ও প্রোগ্রামের জন্য আলো সরবরাহ করে এবং তথ্য গ্রহণ করে।

ডেভিড ব্লাউ বলেন, সিস্টেম প্যাকেজিং স্বচ্ছ তৈরি করতে হয় বলে ‘মিশিগান মাইক্রো মোট’ তৈরির চ্যালেঞ্জ হলো এটি কীভাবে কম শক্তিতে চালানো যায়। এ সমস্যা দূর করতে নতুনভাবে সার্কিটের নকশা করতে হয়েছে।

নিখুঁত তাপমাত্রা পরিমাপক সেনসর হিসেবে এটি তৈরি করা হয়। নতুন এ ডিভাইসিট তাপমাত্রাকে ইলেকট্রনিক স্পন্দনে রূপান্তর করতে পারে। এ প্রক্রিয়ায় কোষের মধ্যে তাপমাত্রার ওঠানামা নিখুঁতভাবে নির্ণয় করতে পারে এ যন্ত্র।

ক্ষুদ্র এই মাইক্রো কম্পিউটার অন্যান্য কাজে লাগানোর কথা ভাবছেন গবেষকেরা।

34
যদি সময়ের ব্যাপ্তি ঠিক না থাকে তবে ভাত ঘুমের মতো আরামদায়ক বিষয়টা জটিল হয়ে যেতে পারে।

দুপুরের খাওয়ার পর সবারই আলসেমি দেখা দেয়। তবে এসময় ঘুমানোর অভ্যাসটা কতটা স্বাস্থ্যকর তা নিয়ে রয়েছে বিভিন্ন মত।

গবেষণার ভিত্তিতে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দুপুরে ঘুমানো অস্বাস্থ্যকর কিছু নয়, তবে খেয়াল রাখতে হবে কতক্ষণ ঘুমাচ্ছেন তার উপর।

ইউনিভার্সিটি অফ পেনসালভানিয়া’র মনোবিজ্ঞার বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ফিলিপ গেরমান বলেন, “শারীরিক জড়তার কাটানোর পাশাপাশি কাজের দক্ষতা, সৃজনশীলতা এবং মন মেজাজ প্রফুল্ল রাখতে দুপুরের ঘুম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। সেই সঙ্গে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতেও তা উপকারী বলে বিশ্বাস করেন গবেষকরা।”

তবে, তা সঠিক মাত্রায় না হলে রাতের ঘুমে ব্যাঘাত ঘটতে পারে।

সঠিক মাত্রা: ১৫ মিনিট থেকে আধা ঘণ্টার ঘুম শারীরিক জড়তা কাটিয়ে মন মেজাজ সতর্ক করার জন্য যথেষ্ট।

তবে কেউ যদি মানসিকভাবে বিপর্যস্ত থাকেন, সেক্ষেত্রে তার উচিত হবে ৯০ মিনিটের লম্বা ঘুম এবং এর বেশি নয়। এর কারণ হল, এসময়ে সে ঘুমের গভীর পর্যায়ে যেতে পারবে এবং জেগে উঠবে সতর্ক অবস্থায়।

তবে এর মাঝামাঝি সময়ে ঘুম ভেঙে গেলে মেজাজ খিটখিটে বা শরীর আরও বেশি ম্যাজম্যাজে হয়ে থাকতে পারে। সঙ্গে সামান্যা মাথাব্যথা হওয়ার সম্ভাবনাও থাকে।

শরীরচর্চা আর ঘুম: গবেষকদের মতে, শরীরচর্চার পরপরই ঘুমানো উচিত নয়। কারণ শরীরচর্চার সময় মস্তিষ্ক উজ্জীবিত হয়, সে কারণে ঘুমানো কষ্টকর হয়ে যায়। তাই শরীরচর্চা আর ঘুমানোর মাঝে কমপক্ষে দুই ঘণ্টার একটি বিরতি থাকা উচিত। অপরদিকে দুপুরের ঘুমের একটি নির্দিষ্ট সময় মেনে চলাও গুরুত্বপূর্ণ। এতে শরীর ওই সময় নিজে থেকেই ঘুমের জন্য তৈরি হয়ে যাবে।

সবার জন্য নয়: মনে রাখতে হবে, যদি দুপুরের ঘুমটা প্রয়োজনীয় মনে না হয় তবে না ঘুমানোই ভালো। সবাই এসময় ঘুমাতে পারে না।

এমনকি গবেষণা বলে, প্রায় ৫০ শতাংশ মানুষই এই ঘুম থেকে কোনো উপকার পায় না। এধরনের মানুষদের আছে ‘মনোফেইসিক সার্কাডিয়ান রিদম’ অর্থাৎ এই মানুষগুলোর ঘুমের অভ্যাস আলো ও অন্ধকার চক্রের সঙ্গে জড়িত।

তাই তারা যখন তখন ঘুমাতে পারেন না। অথবা তাদের শরীর যথেষ্ট বিশ্রাম পেয়েছে, আপাতত দরকার নেই।

35
কিবোর্ডে গ্রাহকের আঙ্গুলের তাপ পরিমাপ করেই সেখান থেকে পাসওয়ার্ড চুরি করতে পারেন হ্যাকাররা, এমনটাই উঠে এসেছে ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালিফোর্নিয়ার গবেষকদের চালানো এক জরিপে।

“আপনি যদি পাসওয়ার্ড টাইপ করেন এবং সেখান থেকে সরে যান, কেউ একজন আপনার বিষয়ে অনেক কিছু জানতে পারেন।”
এ ধরনের হামলাকে ‘টার্মিনেটর’ নাম দিয়েছেন গবেষকরা। এর মাধ্যমে গ্রাহকের টেক্সট, কোড এমনকি ব্যাংকিং পিন নাম্বার হাতিয়ে নিতে পারেন হ্যাকাররা, বলা হয়েছে ব্রিটিশ ট্যাবলয়েড মিররের প্রতিবেদনে।

এই হামলার জন্য হ্যাকারের দরকার শুধু এমন জায়গায় একটি থার্মাল ক্যামেরা, যা দিয়ে তিনি গ্রাহকের কিবোর্ড স্পষ্ট দেখতে পাবেন। ফুটেজ থেকে আক্রান্তের চাপা ‘কি’ গুলো শনাক্ত করে সেখান থেকে ভিন্ন ভিন্ন কোড বানানো যেতে পারে।

পরীক্ষার সময় ৩১ জন অংশগ্রহণকারী চার ধরনের কিবোর্ডে পাসওয়ার্ড লিখেছেন। এরপর থার্মাল ক্যামেরার ফুটেজ থেকে বিশেষজ্ঞ নন এমন আটজন ব্যক্তিকে অংশগ্রহণকারীদের চাপা ‘কি’ গুলো বের করতে বলা হয়।

ফলাফলে দেখা গেছে কিবোর্ড চাপার পর ৩০ সেকেন্ড পর্যন্ত ওই ব্যক্তিরা তা ঠিকভাবে শনাক্ত করতে পেরেছেন।

প্রযুক্তি ডেস্ক,  বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম

36
অনেকেই অনিদ্রা বা ইনসমনিয়ায় ভোগেন। কারও ঘুম আসতে দেরি হয়, কারও ঘুম রাতে ভেঙে যায়। তাঁদের জন্য রাত একধরনের বিভীষিকা। ইনসমনিয়ার সমস্যায় আজকাল ওষুধ নয়, আচরণগত পরিবর্তন ও কগনিটিভি বিহেভিয়র থেরাপির কথা বেশি বলা হচ্ছে। এই আচরণগত পরিবর্তনের মধ্যে খাদ্যাভ্যাসের কিছু পরিবর্তনও জরুরি।

কিছু খাবার অনিদ্রার রোগীদের না খাওয়াই উত্তম। এগুলো কিছু রাসায়নিক তৈরি করে, যা মস্তিষ্ককে উত্তেজিত করে ঘুম দূর করে। যেমন: অতিরিক্ত চিনিযুক্ত বা মিষ্টি খাবার, লবণযুক্ত খাবার, চকলেট, কোমল পানীয়, কৃত্রিম রংযুক্ত খাবার, সংরক্ষিত খাবার ইত্যাদি। এ ছাড়া চা, কফি বেশি খাওয়া উচিত নয়। বেশি দেরি করে খাওয়াও ভালো নয়। ঘুমের অন্তত তিন ঘণ্টা আগে খাওয়া শেষ করবেন। ঘুমাতে যাওয়ার আগে কোনো উত্তেজক পানীয় পান না করাই ভালো। তবে দুধ খাওয়া ভালো। শোয়ার আগে এক চামচ মধুযুক্ত এক কাপ দুধ প্রশান্তি আনে। এর সঙ্গে চারটা বাদামও খেতে পারেন।

ক্যালসিয়াম, ট্রিপটোফ্যান, ম্যাগনেশিয়ামযুক্ত খাবার ঘুমের জন্য ভালো। তাই দুধ, দুগ্ধজাত খাবার, ডাল, বাদাম, পনির, ডিম, সূর্যমুখীর বীজ, ডুমুর, খেজুর, কিশমিশ ইত্যাদি নিয়মিত খান। ভিটামিন বি কমপ্লেক্স, ভিটামিন ডি যেন পর্যাপ্ত থাকে।

পেটে গ্যাস বা বদহজম হলেও ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে। তাই রাতের খাবার বেশি ভারী না হওয়াই ভালো।

আখতারুন নাহার, পুষ্টিবিদ

37
যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা স্পেসএক্সের তৈরি ‘ফ্যালকন-৯’ রকেটে চড়ে মহাকাশে পৌঁছেছে বাংলাদেশের স্যাটেলাইট (কৃত্রিম উপগ্রহ)—বঙ্গবন্ধু ১। ইলন মাস্ক এই প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী। ২০১৪ সালে ইউনিভার্সিটি অব সাউদার্ন ক্যালিফোর্নিয়ার সমাবর্তনে তরুণদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য দিয়েছিলেন তিনি। বলেছেন একটি সফল প্রতিষ্ঠান গড়ার সূত্র।

শুরুতে আপনাদের ধন্যবাদ জানাই। আমি বোধ হয় কথা বলার জন্য পাঁচ থেকে ছয় মিনিট সময় পাব। চেষ্টা করব এই সময়টুকু কাজে লাগাতে। চারটি বিষয় নিয়ে বলব। এর কোনো কোনোটা শুনে মনে হতে পারে যেন আপনারা এগুলো আগেও শুনেছেন। তবে এসব কথা আবারও নতুন করে গুরুত্ব পাওয়ার দাবি রাখে।

প্রথম কথাটি হলো: আমাদের কাজ করতে হবে। তবে এই কাজের পরিমাণ নির্ভর করবে আমরা কতটা ভালো করতে চাই তার ওপর। আমরা যদি একটা প্রতিষ্ঠান শুরু করতে চাই সে ক্ষেত্রে বাড়তি পরিশ্রম দরকার। কিন্তু বাড়তি পরিশ্রম মানে কী? যেমন আমি আর আমার ভাই যখন আমাদের প্রথম প্রতিষ্ঠানটি চালু করি, সেই সময় একটা অ্যাপার্টমেন্ট নেওয়ার বদলে আমরা শুধু একটা ছোট্ট অফিস ভাড়া করেছিলাম। তখন ঘুমাতাম কাউচে এবং স্নান করতাম ওয়াইএমসিএতে। আমাদের পুঁজি এতই কম ছিল যে একটি মাত্র কম্পিউটার দিয়েই কাজ চালাতে হতো। ফলে দিনের বেলায় ওয়েবসাইটটি চালু থাকত আর রাতে সেই ওয়েবসাইটের জন্য আমি কোডিং করতাম। এভাবেই কাজ করেছি সপ্তাহে সাত দিন, দিনরাত।

প্রচুর পরিশ্রম করতে হবে, বিশেষত আপনি নিজেই যদি একটা প্রতিষ্ঠান শুরু করতে চান। একটা সহজ হিসাব দিয়ে বুঝিয়ে বলি। অন্য একটা প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা যদি সপ্তাহে পঞ্চাশ ঘণ্টা কাজ করেন, তাহলে তাঁরা যেটুকু কাজ সম্পন্ন করতে পারবেন, ১০০ ঘণ্টা কাজ করতে পারলে আমরা নিশ্চয়ই তাঁদের চেয়ে দ্বিগুণ কাজ শেষ করতে পারব।

আমার দ্বিতীয় কথা: নতুন কোম্পানি গড়ি কিংবা কোনো কোম্পানিতে যোগ দিই; উভয় ক্ষেত্রেই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো অসাধারণ সব লোক জোগাড় করা। কোথাও যোগ দিতে হলে সেরকম একটি ব্যতিক্রম দলেই আমার যাওয়া উচিত, যারা আমার সম্মান পাওয়ার যোগ্য। একটি প্রতিষ্ঠান হচ্ছে এমন কিছু লোকের একটি দল, যারা এক জোট হয়েছে কোনো একটি পণ্য তৈরির বা সেবা প্রদানের লক্ষ্যে। আর সেই দলের লোকজন কতটা প্রতিভাবান ও পরিশ্রমী এবং সঠিক পথে তারা কতটা সুন্দরভাবে এগোচ্ছে, এসবের ওপরেই নির্ভর করবে প্রতিষ্ঠানের সাফল্য। কাজেই প্রতিষ্ঠান তৈরি করতে হলে অসাধারণ কিছু মানুষ পাওয়ার জন্য যা যা করার দরকার, সবই আমাদের করতে হবে।

তিন: আওয়াজ তোলার চেয়ে কাজের দিকে বেশি মনোযোগ দিন। অনেক প্রতিষ্ঠানই এই দুটি বিষয়কে গুলিয়ে ফেলে। তারা এমন সব ক্ষেত্রে কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা খরচ করে যেগুলো তাদের পণ্যের মান উন্নয়নে আসলে কোনো কাজে আসে না। এখানে আমাদের কোম্পানি টেসলার উদাহরণ দেওয়া যায়। আমরা কখনোই বিজ্ঞাপনের পেছনে টাকা খরচ করি না। আমরা আমাদের সব পুঁজি খাটাই গবেষণা ও উন্নয়নের কাজে, উৎপাদন ও নকশার কাজে, যেন আমাদের পণ্যটা আরও ভালো করা যায়। আমি মনে করি এভাবেই এগোনো উচিত। যেকোনো প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রেই এই প্রশ্নটি সব সময় সামনে রাখতে হবে, ‘এই যে এত উদ্যোগ, এত যে অর্থ ব্যয়, এসবের ফলে কি আমাদের পণ্য বা সেবার মান বাড়ছে?’ এই প্রশ্নের উত্তর যদি নেতিবাচক হয়, তাহলে এই সব উদ্যোগ বন্ধ করে দিতে হবে।

সবশেষের কথাটি হচ্ছে, কেবল গতানুগতিক পথ ধরে হাঁটতে থাকলেই চলবে না। আপনারা হয়তো আমাকে এই কথা বলতে শুনেছেন যে পদার্থবিদ্যার সূত্র অনুযায়ী চিন্তাভাবনা করাটা ভালো। প্রথম শর্ত হলো, অন্য কিছুর সঙ্গে তুলনার ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেওয়ার চেয়ে যুক্তি দিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া উত্তম।

একদম গভীরে গিয়ে আগে সমস্যাটা বুঝুন। তারপর যুক্তি দিয়ে সিদ্ধান্ত নিন। আমার কাজ আসলেই অর্থবহ হলো নাকি অন্য সবাই যা করছে আমিও তা-ই করলাম, যাচাই করার এটি একটি ভালো পন্থা। অবশ্যই এ কথা ঠিক যে এভাবে চিন্তাভাবনা করা খুব কঠিন এবং সব ক্ষেত্রে সম্ভবও নয়। এর জন্য অনেক চেষ্টার দরকার। তবে আমি যদি নতুন কিছু করতে নামি তাহলে এটাই হবে চিন্তার সর্বোত্তম ধারা। পদার্থবিদেরা এই কাঠামোটা উদ্ভাবন করেছেন গতানুগতিকতার বাইরে বা ঊর্ধ্বে নতুন কিছু পাওয়ার জন্য। যেমন, কোয়ান্টাম পদ্ধতি। এটি খুবই শক্তিশালী একটি পদ্ধতি।

পরিশেষে, একটা বিষয়ে আপনাদের উৎসাহ দিতে চাই। ঝুঁকি নেওয়ার এটাই সময়। আপনাদের কারও ছেলেপুলে নেই, তেমন কোনো পিছুটান নেই। কিন্তু বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আপনাদের দায়িত্বের পরিধিও বাড়তে থাকবে। যখন আপনাদের পরিবার হবে, তখনো অবশ্য আপনারা ঝুঁকি নেওয়া শুরু করতে পারেন। শুধু নিজের জন্য নয়, পরিবারের জন্যও। কিন্তু সেরকম পরিস্থিতিতে পরিকল্পনা ঠিকভাবে কাজ না করলে আপনি বিপদে পড়বেন। সে কারণেই ওই কাজগুলো করে ফেলার এখনই সময়, দায়দায়িত্বের বোঝা ঘাড়ে চাপার আগেই। আমি আপনাদের ঝুঁকি নেওয়ার এবং সাহসী কোনো পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানাব। বিশ্বাস রাখুন, পস্তাবেন না। ধন্যবাদ।

আমি জানি না কথাগুলো আপনাদের কোনো কাজে লাগল কি না।

ইংরেজি থেকে অনুবাদ: জেরীন মারযান.
সূত্র: অনুষ্ঠানটির ভিডিও.

38
প্রতিদিন খুব ভোরে ঘুম থেকে ওঠে ব্যায়াম করবেন বলে ছয় মাস ধরে প্রস্তুতি নিচ্ছেন। প্রত্যয়টি কোনোভাবে বাস্তবের মুখ দেখছে না। আগামীকাল দেখিয়ে দেব ভেবে ঘুমাতে যান হয়তো, আর ঘুম ভাঙলে সব প্রত্যয় উবে যায়। কীভাবে নিজেকে অনুপ্রাণিত করা যায়, তা নিয়ে এবারের আয়োজন।

অনুপ্রেরণা বনাম অভ্যাস
অনুপ্রেরণা আজ একরকম, কাল আরেক রকম। আপনি যদি অভ্যাস তৈরি করতে পারেন তাহলে ব্যায়াম থেকে শুরু করে প্রতিদিন যেকোনো কাজই করতে পারবেন।
প্রতিদিন যদি অনুপ্রেরণার জোরে ভোর পাঁচটায় ওঠার পরিকল্পনা করেন, তাহলে কোনো কোনো দিন নাও ঘুম ভাঙতে পারে। ভোরের একটু বৃষ্টি আর বিছানার ওম ছেড়ে ওঠা কি এত সহজ? উল্টো দিকে আপনি যদি অভ্যাস আর নিয়মে অনুরক্ত হন তাহলে রোদ-বৃষ্টি-শীত কোনো কিছুই আপনাকে সকালে উঠতে আটকাতে পারবে না।
পরিবেশ বদলে ফেলুন
একই পরিবেশে সব সময় থাকতে থাকতে অজান্তেই নিজেকে বিষাদের চক্রে আটকে ফেলি। নিজেকে অনুপ্রাণিত করতে দীর্ঘদিন ধরে একই পরিবেশে না থেকে চারপাশে নতুন কিছু তৈরি করুন। নিজের ঘরটিকে ভিন্নভাবে গুছিয়ে নিন। অফিসের কাজের টেবিলকে একটু এদিক-সেদিক করে নিজের চারপাশে নতুন পরিবেশ তৈরি করুন। নতুন পরিবেশে আমাদের মস্তিষ্কে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি কাজ করে। আগ্রহ আর মনের জোর বাড়াতে পরিবেশ বদলে নিন।

পোশাকে মনোযোগ দিন
মনের দুর্বলতা আর বিষণ্নতাকে প্রভাবিত করে আমরা কি পরছি তার ওপর। কোন রঙের পোশাক পরছি, কোন ধরনের পোশাকে নিজেকে আয়নার সামনে দেখি তা আমাদের অবচেতন মনের ওপর প্রভাব ফেলে। নিজেকে সামাজিক কোনো অবস্থানে ছোট মনে হলে পোশাক পরিবর্তন করুন। আপনাকে যে পোশাকে আত্মবিশ্বাসী মনে হয়, তাই পরে নিজের মনের জোর বাড়ান।

অনুপ্রেরণার গল্প থেকে শিক্ষা নিন
অন্যদের সাফল্যের গল্প থেকে নিজের জন্য শিক্ষা খুঁজে নিন। অন্যদের ব্যর্থতা থেকে নিজের জন্য কী শিক্ষা হতে পারে, তা ভাবার চেষ্টা করুন। গল্পের পেছনের মূল ভাবনা কীভাবে আপনাকে সামনে এগিয়ে নিতে পারে, তা নিয়ে নিজের সঙ্গে বোঝাপড়া বাড়ানোর চেষ্টা করুন।

ছোট ছোট লক্ষ্যে এগিয়ে যান
এক দিনে ২০ মাইল দৌড়ানো কি সম্ভব? হুট করেই এক দিন এমন দীর্ঘ পথ দৌড়ানো যেমন অসম্ভব, তেমনি এক দিনে হাজার পৃষ্ঠার উপন্যাস লেখাও অসম্ভব। আপনি যদি প্রতিদিন ২০ মিনিট করে লেখা বা দৌড়ানোর অভ্যাস করেন, তাহলে একদিন ২০ মাইল ছাপিয়ে যেতে পারেন। ছোট ছোট লক্ষ্য ঠিক করে প্রতিদিন একটু একটু করে সামনে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করুন।

সময়কে নিয়ন্ত্রণ করতে শিখুন
হয়তো ঘড়ির কাঁটায় ঠিক ভোর ছয়টা বাজলে অ্যালার্মের চিৎকার শুনে ঘুম থেকে ওঠার চেষ্টা করছেন। উল্টোভাবে চিন্তা করে নিজেকে বদলে ফেলার চেষ্টা করুন। রাতে এমন সময় ঘুমান যেন ভোর ছয়টায় আপনার এমনিতেই ঘুম ভেঙে যায়। সময়কে নিজের জন্য আয়ত্ত করতে শিখুন।
সূত্র: কোরা


39
খন জ্বরের প্রকোপ বাড়ছে। এই জ্বর সাধারণ ভাইরাসের কারণে নাকি ডেঙ্গু! আবার চিকুনগুনিয়া নয়তো? মে থেকে সেপ্টেম্বর—বিশেষ করে গরম ও বর্ষার সময় ডেঙ্গু জ্বরের প্রকোপ বেশি দেখা যায়। সাধারণ ভাইরাসজনিত জ্বর মশার মাধ্যমে ছড়ায় না। কিন্তু ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া জ্বরের জীবাণু বহন করে মশা এবং তা একই প্রজাতির। দুটোই এডিস মশার কারণে হয়। এই দুটি রোগের লক্ষণে নানা মিল যেমন রয়েছে, তেমনি ভিন্নতাও আছে।
ডেঙ্গু জ্বরের জীবাণুবাহী মশা কাউকে কামড়ালে তিনি চার থেকে ছয় দিনের মধ্যে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হন। এবার আক্রান্তকে কোনো জীবাণুবিহীন এডিস মশা কামড়ালে সেই মশাটি ডেঙ্গু জ্বরের জীবাণুবাহী মশায় পরিণত হয়। এভাবে একজন থেকে অন্যজনে মশার মাধ্যমে ডেঙ্গু ছড়িয়ে থাকে।
এ বিষয়ে রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজের মেডিসিন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক গোবিন্দ চন্দ্র রায় বলেন, ‘এই জ্বর এমনিতেই ভালো হয়ে যায়। কিছু ক্ষেত্রে এটি শরীরে জটিলতা সৃষ্টি করে। তবে জ্বরে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চললে কয়েক দিনেই ডেঙ্গু পুরোপুরি ভালো হয়ে যায়।’

লক্ষণ
ডেঙ্গু জ্বরে সাধারণত তীব্র জ্বর এবং সেই সঙ্গে শরীরে প্রচণ্ড ব্যথা হয়। জ্বর ১০৫ ডিগ্রি ফারেনহাইট পর্যন্ত ওঠে। শরীরে বিশেষ করে হাড়, কোমর, পিঠসহ অস্থিসন্ধি ও মাংসপেশিতে তীব্র ব্যথা হয়। মাথাব্যথা ও চোখের পেছনে ব্যথা হয়। জ্বর হওয়ার চার বা পাঁচ দিনের সময় সারা শরীরে লালচে দানা দেখা যায়। এর সঙ্গে বমি বমি ভাব এমনকি বমি হতে পারে।
রোগী অতিরিক্ত ক্লান্তিবোধ করেন এবং তাঁর রুচি কমে যায়। এই অবস্থা যেকোনো সময় জটিল হয়ে উঠতে পারে। যেমন অন্য সমস্যার পাশাপাশি যদি শরীরের বিভিন্ন অংশ থেকে রক্ত পড়া শুরু হয়। যেমন: চামড়ার নিচে, নাক ও মুখ দিয়ে, মাড়ি ও দাঁত থেকে, কফের সঙ্গে, রক্তবমি, পায়খানার সঙ্গে তাজা রক্ত বা কালো পায়খানা, চোখের মধ্যে ও চোখের বাইরে রক্ত পড়তে পারে।
মেয়েদের বেলায় অসময়ে ঋতুস্রাব বা রক্তক্ষরণ শুরু হলে অনেক দিন পর্যন্ত রক্ত পড়তে থাকা ইত্যাদি হতে পারে। এই রোগের বেলায় অনেক সময় বুকে পানি, পেটে পানি ইত্যাদি উপসর্গ দেখা দিতে পারে। অনেক সময় লিভার আক্রান্ত হয়ে রোগীর জন্ডিস, কিডনি আক্রান্ত হয়ে রেনাল ফেইলিউর ইত্যাদি জটিলতা দেখা দিতে পারে।

কখন চিকিৎসকের কাছে যাবেন
ডেঙ্গু জ্বরের নির্দিষ্ট কোনো চিকিৎসা নেই। তবে এই জ্বর সাধারণত নিজে নিজেই ভালো হয়ে যায়। তাই উপসর্গ অনুযায়ী সাধারণ চিকিৎসা যথেষ্ট। তবে কিছু ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়াই ভালো—
* শরীরের যেকোনো অংশে রক্তপাত হলে
* প্লাটিলেটের মাত্রা কমে গেলে
* শ্বাসকষ্ট হলে, পেট ফুলে পানি এলে
* প্রস্রাবের পরিমাণ কমে গেলে
* জন্ডিস দেখা দিলে
* অতিরিক্ত ক্লান্তি বা দুর্বলতা দেখা দিলে
* প্রচণ্ড পেটে ব্যথা বা বমি হলে।
চিকিৎসা
ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত বেশির ভাগ রোগী সাধারণত ৫ থেকে ১০ দিনের মধ্যে ভালো হয়ে যায়। তবে রোগীকে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে চলতে হবে। যাতে ডেঙ্গুজনিত কোনো মারাত্মক জটিলতা না হয়। ডেঙ্গু জ্বরটা আসলে গোলমেলে রোগ, সাধারণত লক্ষণ বুঝেই চিকিৎসা দেওয়া হয়।
* সম্পূর্ণ ভালো না হওয়া পর্যন্ত বিশ্রামে থাকতে হবে।
* যথেষ্ট পরিমাণে পানি, শরবত, ডাবের পানি ও অন্যান্য তরল-জাতীয় খাবার গ্রহণ করতে হবে।
* খেতে না পারলে দরকার হলে শিরাপথে স্যালাইন দেওয়া যেতে পারে।
* জ্বর কমানোর জন্য শুধু প্যারাসিটামল-জাতীয় ব্যথার ওষুধই যথেষ্ট। এসপিরিন বা ডাইক্লোফেনাক-জাতীয় ব্যথার ওষুধ কোনোক্রমেই খাওয়া যাবে না। এতে রক্তক্ষরণের ঝুঁকি বাড়বে।
* জ্বর কমানোর জন্য ভেজা কাপড় দিয়ে গা মোছাতে হবে।

ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়া ও সাধারণ ভাইরাল জ্বরের পার্থক্য
* ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়া জ্বরে সাধারণত ঠান্ডা-কাশি হয় না; নাক দিয়ে পানি ঝরে না। তবে সাধারণ ভাইরাসের কারণে হওয়া জ্বরে এগুলো হয়।
* সাধারণ ভাইরাল জ্বরে তাপমাত্রা বেশি ওঠে না, শরীরে ব্যথা তুলনামূলক কম থাকে।
* ডেঙ্গু জ্বরে শরীরে কাঁপুনি, ঘাম ও তীব্র অবস্থায় রক্তক্ষরণ হয়। তবে চিকুনগুনিয়া জ্বরে সাধারণত এগুলো হয় না।
* হাতের আঙুলের জোড়ায়, পায়ের গোড়ালিতে ব্যথা হলে চিকুনগুনিয়া হওয়ার আশঙ্কা বেশি। আর মাংসপেশিতে ব্যথা হলে ডেঙ্গু জ্বর হওয়ার আশঙ্কা বেশি।
* চিকুনগুনিয়ায় হাত-পা ও মুখমণ্ডলে র‍্যাশ হয়। তবে ডেঙ্গু হলে পুরো শরীরে র‍্যাশ হয়।
* ডেঙ্গু জ্বরে রক্তের অণুচক্রিকার সংখ্যা অনেক কমে যায়। তবে চিকুনগুনিয়ায় রক্তের অণুচক্রিকার সংখ্যা ততটা কমে না।
* চিকুনগুনিয়া জ্বরের অস্থিসন্ধির ব্যথা জ্বর কমে যাওয়ার পরও কয়েক সপ্তাহ পর্যন্ত থাকতে পারে। ডেঙ্গু জ্বরে অস্থিসন্ধির ব্যথা জ্বর কমে যাওয়ার পর কমে যায়। চিকুনগুনিয়া জ্বর ভালো হলেও রোগটি অনেক দিন ধরে রোগীদের ভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। অন্য কোনো ভাইরাল জ্বরে এতটা ভোগান্তি হয় না।
* একই মশা দিয়ে চিকুনগুনিয়া ও ডেঙ্গু জ্বর হলেও ডেঙ্গুতে ঝুঁকি হয়। চিকুনগুনিয়া হলে কারও মৃত্যু হয় না। আর একই ব্যক্তির শরীরে ডেঙ্গু জ্বর চারবার পর্যন্ত হতে পারে। কিন্তু চিকুনগুনিয়া একবার হলে সাধারণত আর হয় না।

প্রতিরোধ
* যেহেতু এটি একটি মশাবাহিত রোগ সেহেতু মশার বংশবৃদ্ধি রোধ, নিধন ও প্রতিরক্ষামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
* ঘর-বাড়ি ও এর চারপাশে পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে থাকা ক্যান, টিনের কৌটা, মাটির পাত্র, বোতল, নারকেলের মালা ও এ-জাতীয় পানি ধারণ করতে পারে এমন পাত্র ধ্বংস করে ফেলতে হবে, যেন পানি জমতে না পারে। গোসলখানায় বালতি, ড্রাম, প্লাস্টিক ও সিমেন্টের ট্যাংক কিংবা মাটির গর্তে চার-পাঁচ দিনের বেশি কোনো অবস্থাতেই পানি জমিয়ে রাখা যাবে না। পরিষ্কার ও স্থবির পানিতে ডেঙ্গুর জীবাণু বেশি জন্মায়।
* ঘরের আঙিনা, ফুলের টব, বারান্দা, বাথরুম, ফ্রিজের নিচে ও এসি এর নিচে জমানো পানি নিয়মিত পরিষ্কার করা যাতে বংশবৃদ্ধি করতে না পারে।
* মশা মারার ওষুধ দিয়ে মশা নিধন করা। দিনের বেলায় এডিস মশা কামড়ায় বলে দিনের বেলাতেও মশারির নিচে ঘুমান। বাচ্চাদের হাফপ্যান্টের বদলে ফুল প্যান্ট পরানো। আক্রান্ত রোগীকে পৃথক বিছানায় মশারির ভেতর রাখতে হবে। ঘরের দরজা, জানালায় ও ভেন্টিলেটরে মশানিরোধক জাল ব্যবহার করুন।

40
২০১৩ সালের আগস্টে প্রায় ১০০ কোটি ইয়াহু মেইল ব্যবহারকারীর অ্যাকাউন্ট হ্যাক হয়। পরের বছরেই আরও ৫০ কোটি ব্যবহারকারীর তথ্য খোয়া যায়। ব্যবহারকারীর তথ্যের নিরাপত্তায় প্রশংসিত অ্যাপলের আইক্লাউডও হ্যাকারদের কবলে পড়ে। বেহাত হওয়া তথ্যগুলোর মধ্যে আছে ই-মেইল ঠিকানা, পাসওয়ার্ড এবং আরও অনেক তথ্য। এই কোটি কোটি ব্যবহারকারীর তথ্যের মধ্যে নির্দিষ্ট কার তথ্য রয়েছে, এত দিন তা জানা সম্ভব ছিল না। তবে এখন থেকে ব্যবহারকারীর যেকোনো তথ্য চুরি গেলে তা জানিয়ে দেবে মজিলা ফায়ারফক্স ব্রাউজার। ফায়ারফক্স মনিটর নামের নতুন এ সুবিধা শিগগিরই যোগ করতে যাচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি।

ইন্টারনেটের বড় কোনো তথ্য চুরির ঘটনায় ফায়ারফক্স ব্রাউজার ব্যবহারকারীরা তাঁদের কী কী তথ্য চুরি হয়েছে, আদৌ চুরি হয়েছে কি না, তা জানতে পারবেন এ সুবিধার মাধ্যমে। ‘হ্যাভ আই বিন পনড’ নামের একটি ওয়েবসাইট আছে। এ ধরনের তথ্য খুঁজে পেতে বিনা মূল্যে সেবা দিয়ে থাকে ওয়েবসাইটটি। তাদের এ সেবাই ফায়ারফক্সকে দেবে হ্যাভ আই বিন পনডের নির্মাতা ট্রয় হান্ট। তিনি জানান, দীর্ঘদিন ধরেই এ সেবা চালু রয়েছে, তবে এর ডেটাবেইস বেশি সমৃদ্ধ নয়। আর তাই সেবাটি ফায়ারফক্স ব্রাউজারের ব্যবহারকারীদের জন্য দেবেন তিনি। নতুন ফায়ারফক্স মনিটর ওয়েবসাইটে ব্যবহারকারীরা প্রয়োজনীয় তথ্য প্রদান করবেন। ব্যবহারকারী তাঁর কোনো তথ্য ডিজিটাল চুরির শিকার হলো কি না, তা যাচাই করতে পারবেন। নতুন সেবার মাধ্যমে সুবিধাটির আরও গ্রাহক বাড়বে বলে আশাবাদী ট্রয়।

ফায়ারফক্স এখনো সুবিধাটি নিয়ে পরীক্ষামূলকভাবে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। এ মাসেই প্রায় আড়াই লাখ ব্যবহারকারীকে নতুন সুবিধাটি ব্যবহারের আমন্ত্রণ জানাবে বলে জানিয়েছে মজিলা কর্তৃপক্ষ। আর যাঁরা ফায়ারফক্স ব্যবহার করেন না, তাঁরা haveibeenpwned.com ঠিকানার ওয়েবসাইটে গিয়ে কখনো তথ্য চুরি হয়েছে কি না, জানতে পারবেন।

শাওন খান, সূত্র: সিনেট

41
মাইগ্রেনের ব্যথা অনেকের কোনো কোনো দিনকে অসহ্য করে তোলে। মাথার কোনো এক পাশে প্রচণ্ড ব্যথা, বমি ভাব বা বমি, চোখে ঝাপসা দেখা ইত্যাদি সমস্যা এ সময় মানুষকে প্রায় শয্যাশায়ী করে ফেলে। মাইগ্রেনের ব্যথার আকস্মিক আক্রমণের জন্য কিছু বিষয় কাজ করে। এর মধ্যে রয়েছে কিছু খাবারদাবার, যা এই ব্যথাকে বাড়িয়ে দেয়।

অপর্যাপ্ত পানি পানের কারণে সৃষ্ট ডিহাইড্রেশন বা পানিশূন্যতা এবং দীর্ঘ সময় না খেয়ে থাকার কারণে রক্তে শর্করা কমে যাওয়া মাইগ্রেনের ব্যথাকে আমন্ত্রণ জানায়। এ ছাড়া নিয়াসিন ও ভিটামিন বি কমপ্লেক্সের অভাব ঘটলে এবং রক্তস্বল্পতার কারণেও মাথাব্যথা বাড়ে।

ব্যথার তীব্রতা কমাতে ট্রিপটোফেন-জাতীয় খাবার বেশ সুফল বয়ে আনে। লাল চাল, খেজুর, কিশমিশ, দুধ, দই, ডিম, শিম, বাদাম, ডুমুর, সবুজ ও কমলা রঙের সবজি, কলাসহ নানা ধরনের ফল নিয়মিত খাওয়া উচিত তাঁদের। ভেষজ চা, বিশেষ করে আদা-চা ও পুদিনা-চা মাথাব্যথা কমাতে সাহায্য করবে।

কিছু খাবার মাইগ্রেনের রোগীদের জন্য পরিত্যাজ্য। যেমন: চকলেট, পাউরুটি, কেক পেস্ট্রি, রং দেওয়া খাবার, সংরক্ষিত খাবার, আচার বা সস ও ময়দা-চিনির খাবার। মনোসোডিয়াম গ্লুটামেট বা টেস্টিং সল্ট ব্যথা বাড়ায়।

আখতারুন নাহার, পুষ্টিবিদ.


42
বাড়িতে খেতে ভালো লাগে না বলে অনেকেই নিয়মিত বাইরে খান। বাড়ির খাবারের বদলে রোজ রোজ বাইরের জাঙ্ক ফুড খেলে ওজন বেড়ে যাওয়া, স্থূলতা, হৃদ্‌রোগের মতো নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে। এর বাইরে আরেকটি সমস্যা প্রায়ই দেখা দেয়। তা হচ্ছে মুখে দুর্গন্ধ। একবার মুখে দুর্গন্ধ সৃষ্টি হলে তা সহজে যেতে চায় না।

সম্প্রতি এ বিষয়ে ‘ন্যাচারাল সায়েন্স, বায়োলজি অ্যান্ড মেডিসিন’ সাময়িকীতে একটি নিবন্ধ প্রকাশিত হয়। ওই নিবন্ধে বলা হয়, যাঁরা নিয়মিত ফাস্ট ফুডে আসক্ত হয়ে পড়েন, অন্তত সপ্তাহে তিন দিন বাইরের খাবার খান, তাঁরা যাঁরা বাইরে খান না, তাঁদের তুলনায় বেশি মুখের দুর্গন্ধ সমস্যায় ভোগেন। একে হালিটোসিস বলা হয়।

জাঙ্ক ফুডের স্বাদ জিবে জল এনে দিলেও এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবে তাই মুখের দুর্গন্ধের বিষয়টি খেয়াল রাখতে হবে। এ ছাড়া বাইরের এসব খাবার মুখের স্বাস্থ্যেরও বারোটা বাজায়। কারণ, এতে খনিজ ও ভিটামিনের ঘাটতি থাকে। এতে থাকে ব্যাকটেরিয়া, জীবাণুর মতো ক্ষতিকর উপাদান।

এসব খাবার হজমে সমস্যা হয় বলে এ থেকে গ্যাস সৃষ্টি হয়। এসব গ্যাস মুখ দিয়ে বের হয়ে আসে। এ বিরক্তিকর দুর্গন্ধ থেকে সহজে বের হওয়া যায় না।

এ ছাড়া জাঙ্ক ফুডে যে তেল ব্যবহার করা হয়, এতে অ্যাসিডিটি বা অম্লত্ব দেখা দিতে পারে। এতে মুখের দুর্গন্ধ আরও ছড়িয়ে পড়ে।

যাঁদের ডায়াবেটিসের সমস্যা আছে, তাঁদের ক্ষেত্রে এ ধরনের দুর্গন্ধ মারাত্মক আকার ধারণ করে। মুখের ব্যাকটেরিয়া উচ্চ মাত্রার চিনি পেলে দ্রুত বাড়তে থাকে এবং গন্ধ তীব্রতর করে তোলে।

বারডেম হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ অরূপ রতন চৌধুরীর তথ্য অনুযায়ী, প্রধানত মুখের খাদ্যকণা থেকে বিপাকীয় পদ্ধতিতে নির্গত জীবাণু থেকে অ্যামাইনো অ্যাসিড তৈরি হয়, যা এই দুর্গন্ধের জন্য দায়ী।

জীবনযাপনের পদ্ধতিতে পরিবর্তন আনলে এ সমস্যা থেকে কিছুটা মুক্তি পাওয়া যায়। মুখের দুর্গন্ধ থেকে রক্ষা পেতে সতেজ শাকসবজি ও ফল খাওয়ার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। এ ছাড়া ভিটামিন সি সমৃদ্ধ কমলা, স্ট্রবেরি মুখের দুর্গন্ধ দূর করতে কাজ করে। এতে থাকা ভিটামিন সি ব্যাকটেরিয়াকে বাড়তে দেয় না। এ বাইরে মুখের দুর্গন্ধে তাৎক্ষণিক সমাধান পেতে দারুচিনি, লবঙ্গ, মৌরির মতো প্রাকৃতিক উপাদান কার্যকর। তবে শরীর বেশি করে আর্দ্র রাখার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা।

এ ছাড়া দুর্গন্ধ দূর করতে মুখের ভেতরে একটি লবঙ্গ বা এলাচি দানা রাখতে পারেন। মূল খাবারের আগে বা পরে প্রতিবার সম্ভব হলে দাঁত ব্রাশ করুন অথবা ভালোভাবে কুলকুচো করে ফেলুন। ধূমপান বা তামাকজাত দ্রব্য জর্দা, পান ইত্যাদি ত্যাগ করুন।

Pages: 1 2 [3]