Show Posts

This section allows you to view all posts made by this member. Note that you can only see posts made in areas you currently have access to.


Topics - silmi

Pages: [1] 2 3 ... 5
1
কর্মব্যস্ত জীবনে কাজের চাপে প্রাণ যখন ওষ্ঠগত, তখনই মনে হয় একটু ঘুরে আসি প্রাকৃতিক কোল থেকে। কিন্তু ঢাকায় কোথায় পাবেন প্রকৃতির ছোঁয়া? ঢাকার কেন্দ্রে না হলেও একটু দূরেই কিন্তু পেয়ে যাবেন প্রকৃতির স্পর্শ। দর্শনীয় বহু স্থান তো আছেই, চাইলে ঘুরতেও পারবেন নদীর কোলে কিছুক্ষণ। খুব বেশি দূরে যেতে হবে না এর জন্য। ঢাকা থেকে মাত্র কয়েক কি.মি দূরত্বে পেয়ে যাবেন নদী, জমিদার বাড়িসহ দারুণ বৈচিত্র্যময় এই স্থানের খোঁজ আর খরচও হবে বেশ কম। সময় পেলে ঘুরে আসতে পারেন ঢাকার কাছে নবাবগঞ্জ থেকে। আসুন চিনে নিই নবাবগঞ্জ এর দর্শনীয় জায়গাগুলো।
ইছামতি নদী

নবাবগঞ্জ শহরে মহাকবি কায়কোবাদ মোড় থেকে পশ্চিম দিকে কলাকোপার দিকে শহরে বয়ে চলেছে ইছামতি নদী। শান্ত, স্নিগ্ধ এক নদী। চাইলে এই নদীর বুকে নৌকা নিয়ে ঘুরে বেড়াতে পারেন কিছুক্ষণ। এখানকার বাসিন্দা, বর্তমানে ঢাকার তিতুমির কলেজে পড়াশোনারত সৌরভ প্রিয়.কম কে বলেন “ ইছামতি নদীতে আসলে মন ভাল হয়ে যায়। এখানে বিকেলে ঘুরতে আসা দর্শনাথীদের খাওয়ার জন্য ফুচকা, চটপটির দোকান বসে”।

এখানকার নিরাপত্তা সম্পর্কে জানতে চাইলে সৌরভ প্রিয়.কম কে বলেন “ ইছামতি নদী অনেক নিরাপদ। আর প্রতি শুক্রবার এখানে পুলিশ টহল দিয়ে থাকে”।

এছাড়া পৌষ মাসে পৌষ মেলা, বৈশাখ মাসে বৈশাখমেলা বসে এই নদীর পাড়ে।
গান্ধী মাঠ

নবাবগঞ্জ এলাকায় বিখ্যাত একটি জায়গা হল গান্ধী মাঠ। এই মাঠে দেখার মত একটি বট গাছ আছে। তবে বর্তমানে বিশাল এই মাঠ পড়ে আছে অযত্ন আর অবহেলায়।
আর এন হাউজ

গান্ধী মাঠ থেকে কিছুটা সামনে গেলে দেখতে পাবেন প্রাচীন একটি বাড়ি। এই বাড়ীটির নাম হল আর এন হাউজ। আগের জৌলুস থাকলেও এখন বাড়ীটি চুন সুরকি খসে ধ্বংসের প্রহর গুণছে। তবে এখন এখানে দেখার মত অনেক কিছু আছে। চারিদিকে কক্ষ ঘেরা এই বাড়ির সামনের অংশে ছিল অতিথিশালা, পেছনে অন্দর মহল এবং পাশেই মন্দির। আর তার মাঝে ছোট একটি খোলা জায়গা। এই হাউজের সামনে একেবারে ইছামতির তীর ঘেঁষে রয়েছে সুন্দর দোতলা বাড়ি। দেখে আসতে পারেন এই প্রাচীন দোতলা বাড়ী থেকে।
জগবন্ধু সাহা হাউস

আর এন হাউজ থেকে কিছুটা দূরে গেলে দেখতে পাবেন আরেকটি প্রচীন ভবন জগবন্ধু সাহা হাউস। জগবন্ধুসাহা তৈরি করেছিলেন এ বাড়ি। এই দ্বিতলা বাড়িটির নির্মাণশৈলী আপনাকে মুগ্ধ করবে।
খোলারাম দাতার বাড়ি

কলাকোপা থেকে ছোট্ট করটি সড়ক চলে গেছে বান্দুরার দিকে। আর এই বান্দুরায় দেখতে পাওয়া যায় একটি বিশাল বাড়ি তার নাম হল খোলারাম দাতার বাড়ি। এই বাড়ির মালিক খেলারামকে নিয়ে এ অঞ্চলে অনেক কাহিনী প্রচলিত আছে।

এই বাড়ি থেকে একটি সুড়ঙ্গ পথ ছিল ইছামতির পাড়ে। দোতলা এ বাড়ির নিচতলায় এখনো সুড়ঙ্গ পথটির অস্তিত্ব পাওয়া যায়। নিচতলায় অনেকগুলো কক্ষ থাকলেও এখন তার প্রায় সবই আবর্জনা আর মাটিতে ঢেকে আছে। আর দোতলায় চারপাশে ও চার কোণে চারটি করে বাংলা ঘরের আকৃতিতে এক কক্ষ বিশিষ্ট আটটি ঘর। মাঝে রয়েছে মঠ আকৃতির আরেকটি ঘর।
ব্রজ নিকেতন

বান্দুরা- দোহার সড়কের পাশেই দেখতে পাবেন প্রাচীন আরেকটি বাড়ি। দ্বিতলা এই সুন্দর বাড়িটির নাম হল ব্রজ নিকেতন। তবে বর্তমানে বাড়িটি জজ বাড়ি নামে পরিচিত। এর অসাধারণ নির্মাণশৈলী আপনাকে কিছুক্ষণের জন্য হলেও বিমোহিত করবে।
নতুন বাড়ি

ব্রজ নিকেতনের পাশে আরেকটি বাড়ি হল নতুন বাড়ি। বিশাল পুকুরের পাড়ে সুপারি বাগানের মাঝে এক অপূর্ব বাড়ি, যার নাম ‘নতুন বাড়ি’।
জপমালা রানীর গির্জা

কলাকোপা থেকে কিছুটা সামনে বান্দুরায় আছে প্রাচীন গির্জা। গির্জার পাশেই রয়েছে খ্রীস্টানদের একটি কবরস্থান ও সেন্ট ইউফ্রেটিজ কনভেন্ট নামে সিস্টারদের একটি থাকার জায়গা। বড়দিন, ইস্টার সানডে’তে এখানে বড় উৎসবের আয়োজন থাকে।
কীভাবে যাবেন

নিজের গাড়ি করে যেতে পারলে সবচেয়ে ভাল হয়। গুলিস্তান গোলাপশাহ্‌ মাজার থেকে বান্দুরাগামি বাসে করে সোজা চলে যাবেন নবাবগঞ্জ। এছাড়া ঢাকার গুলিস্তান ও নয়াবাজার থেকে যমুনা, শিশির ও নবাবগঞ্জ পরিবহনের বাস চলাচল করে এই রুটে। ভাড়া জনপ্রতি ৫০-৬০ টাকা। এরপর এখান থেকে রিক্সা করে ঘুরে আসতে পারেন যে কোন জায়গা থেকে।

2
ঘুরতে তো সবাই-ই কম বেশি পছন্দ করেন। কিন্তু মৃত্যুকে জড়িয়ে ধরে ঘুরতে যাওয়া! এও কি সম্ভব? সত্যিই সম্ভব। আর সেটা যে ঠিক কতখানি বিপদজনক, তার উদাহরণ জানতে দেখে নিন এই পর্যটনস্থলগুলোকে। এই স্থানগুলোতে মৃত্যু হবার সমূহ সম্ভাবনা সাথে করে নিয়ে বেড়াতে যান পর্যটকেরা এবং... মারাও যান! হ্যাঁ, একদম ঠিক শুনেছেন। চলুন, জেনে নিই সেই ভয়াল স্থানগুলোর কথা।
১. বলিভিয়া

বাইকে করে ঘুরে বেড়ানোর ইচ্ছে কার না থাকে? নিজের ইচ্ছেমতন মাটিতে হাওয়ার বেগে উড়ে চলার এই অভিজ্ঞতা প্রায় সবাই-ই নিতে চায়। বিশেষ করে বলিভিয়ায় ঘুরতে যাওয়া পর্যটকেরা। আঁকাবাকা রাস্তা ধরে টানা বাইকে ঘোরাঘুরি কেবল। শুনতে আরো রোমাঞ্চকর লাগবে আপনার যখন আপনি জানবেন যে এই রাস্তাটা পুরোটাই চলে গিয়েছে পাহাড়ের ওপর দিয়ে অনেকটা সরু হয়ে। পাহাড়ের ওপরে রাস্তা? তাও আবার সরু? শুনে অনেকেই হয়তো পেছাবেন খানিকটা। কিন্তু তারপরেও থেকে যান কিছু মানুষ যারা শেষ অব্দি বাইকে ভ্রমণটা সেরেই ফেলেন। তাও আবার বলিভিয়ার সবচাইতে বিপদজনক রাস্তা ইউনগাসের ওপর দিয়েই। ৪০ থেকে ৫০ অব্দি গতিবেগ নিয়ে যান তারা। আর ফলাফল? প্রতি বছর প্রায় ২০০ জন পর্যটককে নিজের কাছে টেনে নেয় ইউনগাসের নীচটা।
২. হুয়াশান পাহাড়

চীনে মোট ৫ টি পাহাড় রয়েছে যেগুলো একসাথে ফুলের মতন আকৃতি নিয়েছে সময়ের বিবর্তনে। আর এদের ভেতরে ধর্মীয় দিক থেকে সবচাইতে এগিয়ে রয়েছে হুয়াশান নামের এই পাহাড়টি। প্রতিদিন শত শত মানুষ আসে এই পাহাড়ে ট্র্যাকিং-এর জন্যে। একে পবিত্র, তারপর ট্র্যাকিং এর জন্যে আদর্শ! আর কী চাই? এখানে মারা গেলে পবিত্র স্থানে মারা যাবার খেতাব ও বিনামূল্যের শেষকৃত্য পাওয়ারও সুযোগ রয়েছে। তবে সেই সাথে আছে সাত হাজার ফুট ওপর থেকে পড়ে মারা যাবার ভয়ও। তবে এত ভয়ও দমিয়ে রাখতে পারেনা অনেককে। পৃথিবীর নানা কোণ থেকে আসা প্রায় ১০০ মানুষ প্রতি বছর মারা যায় এখান থেকে পড়ে।
৩. চারনোবিল পাওয়ার প্ল্যান্ট

২৫ বছর আগের কথা। হঠাৎ করেই ইউক্রেনে প্রিপিয়াটে অবস্থিত চারনোবিল পাওয়ার প্ল্যান্ট নামের এই প্ল্যান্টটি বিস্ফোরিত হয় এবং এর ভেতরকার রেডিয়েশন পুরো পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়ে। তবে এতদিনে সবটা একদম ঠিকঠাক হয়ে গেলেও প্রিপিয়াটে ব্যাপারটা কিন্তু আগের মতনই আছে। একই রকম রেডিয়েশনে ভরা স্থানটি থেকে হুটহাট বিষাক্ত রাসায়নিক বের হয়ে মেরে ফেলে আশপাশের অনেককে। এতটা জানবার পরে কি জীবনটা হাতে নিয়ে আর এমন জায়গায় ঘুরতে যাবেন আপনি? তবে আশ্চর্যের কথা হচ্ছে সেটাই হয় এবং প্রতিবছরই বেশকিছু মানুষ মারাও যায় এখানটা ঘুরতে এসে। আর এ জন্যে তাদেরকে পরিশোধ করতে হয় ভেতরে ঢোকার প্রবেশমূল্যও!
৪. সেরো নেগ্রো

নিকারাগুয়ায় অবস্থিত এই আগ্নেয়গিরিটি গত ১০০ বছরে মোট ২৩ বার উদ্গীরন করেছে। সামনে হয়তো আরো বেশি করতে পারে। প্রায়ই এটাকে কাঁপতে দেখা যায়। এর পাশের মানুষগুলোর উচিত তখন সেখান থেকে সরে যাওয়া। কিন্তু তারা সেটা তো করেই না, উল্টো পর্যটকদের আকর্ষণে পরিণত হয়েছে এই স্থানটি কেবল এই আগ্নেয়গিরিটির জন্যে। হাজার হাজার মানুষ এখানে আসে নানারকম প্যাকেজ নিয়ে যেখানে তাদেরকে আগ্নেয়গিরি কাঁপবার সময়েই হেলিকপ্টার করে সেটার ওপর বসিয়ে দেওয়া হবে এবং পিছলে নীচে নেমে যাবে তারা। এখনো অব্দি কোন মৃত্যু না হয়নি যদিও এখানে। তবে হতে আর কতক্ষণ!
৫. অষ্ট্রেলিয়া

প্রচন্ড ক্ষুধার্ত কোন কুমিরের কাছে যাওয়ার কথা ভেএছেন কখনো? শুধু ভাবনাই নয়, সেটাকে পর্যটকদের আকর্ষণে পরিণত করে ফেলে বর্তমানে অষ্ট্রেলিয়ার মানুষেরা। ১৫ মিনিটের জন্যে টাকা খরচ করে এক্ষেত্রে কেইজ অব ডেথ বা মৃত্যুর খাঁচাতে ঢুকে পড়ে তারা যেখানে তাদের মুখোমুখি হয় ভয়ংকর সব কুমির!

3
ঢাকায় রয়েছে অনেক অনেক পর্যটনস্থল। রয়েছে ঢাকাই কাপড়, সংস্কৃতি আর ঢাকাইয়া ভাষা। তবে এ সবকিছুর পাশাপাশি ঢাকায় সবাইকে আকর্ষণ করবার মতন আর যে জিনিসটি রয়েছে সেটা হল এখানকার ঐতিহ্যকে বহন করে আসা নানা রকমের উপাদেয় খাবার। ভোজনবিলাসী হিসেবে বাংলাদেশের মানুষদের একটা আলাদা পরিচিতি থাকলেও ঢাকার, বিশেষ করে পুরোন ঢাকার মানুষদের খ্যাতি এ ব্যাপারে অনেকটাই বেশি। কিন্তু দৃঃখজনক হলেও সত্যি যে, ঢাকায় বসবাসের অনেক দিন পেরিয়ে গেলেও এ শহরে এমন অনেকে আছেন যারা ঢাকার, বিশেষ করে পুরোন ঢাকার ঐতিহ্যবাহী খাবারগুলোকে এখনো অব্দি চেখেই দেখেননি পুরোপুরি। চেখে দেখা তো দূরে থাকুক, অনেকে কখনো নামই শোনেন নি অনেক বিখ্যাত খাবারের। আর সেসব ঢাকাবাসীদের জন্যেই আজকে দেওয়া হল প্রিয়তে ঢাকার ঐতিহ্যবাহী কিছু খাবারের নাম। যেগুলো না খেলে হয়তো জীবনে বড় একটা ব্যাপার হারাবেন আপনি! আর তাই চটজলদি জেনে নিন খাবারগুলোকে আর নিয়ে আসুন তাদের স্বাদ।
১. কাচ্চি বিরিয়ানী

ঢাকায় এসেছেন অথচ নান্না, হাজি কিংবা হানিফের বিরিয়ানীর নাম শোনেন নি এমন মানুষ হাতে গুনে হয়তো দু-পাঁচজনও পাওয়া যাবে কিনা সন্দেহ। অনেক আগে থেকেই সবার মুখের স্বাদকে আরো অনেকটা বাড়িয়ে দিয়ে চালু করা হয়েছিল এই নানান মশলার উপাদেয় খাবার। আর তারপর থেকে এখনো অব্দি বাঙালীর রসনা পুরোপুরিভাবে তৃপ্ত করে দিয়ে আসছে এই খাবারটি। ঢাকার বিখ্যাত কাচ্চি বিরিয়ানীর খোঁজ পেতে হলে আপনাকে ঢুঁ মারতে হবে কাজী আলাউদ্দীন রোড, নারিন্দা, নাজিমুদ্দীন রোড, মালিটোলা, সুরিটোলা, নবাবপুর কিংবা মৌলবীবাজার রোডে। সেখানে গেলেই গন্ধে গন্ধেই আপনাকে টেনে নেবে নান্না, হানিফ, হাজী, ভুলু, মামুন, রহিম, রয়েল কিংবা ঝুনার কাচ্চি বিরিয়ানী।
২. বাকরখানি

আগা বাকেরের নামে নামাঙ্কিত এই বাকরখানি তৈরি হয় দুধ, ময়দা, মেওয়ার খামির আর ঘি থেকে। ঢাকার অন্যতম জনপ্রিয় এই উপাদেয় খাবারটির নাম অনেকেই জানেন না কিংবা খেয়ে দেখেন নি। প্রথম দেখাতে হয়তো অতটা জাঁকজমকপূর্ণও মনে হবেনা এই খাবারটিকে। কিন্তু একবার মুখে তুলে নিলেই বুঝবেন কি স্বাদকে এতদিন দূরে রেখেছিলেন।
৩. তেহারী

ছোট ছোট টুকরো মাংস পোলাও চালের ওপর ছড়িয়ে দিয়ে শক্ত করে ঢাকনি আটকে দিয়ে তৈরি করা হয় তেহারী নামের এই উপাদেয় খাবার। আর এর স্বাদ কিংবা গন্ধ? এক ঝটকাতেই আপনাকে টেবিলে বসিয়ে দেওয়ার মতন। চকবাজার কিংআ নীলক্ষেতের পাশ দিয়ে হাটবার সময় আপনাআপনিই পাশের দোকানগুলো থেকে এর গন্ধ কেড়ে নেবে আপনার মন। এছাড়াও বিখ্যাত বিরিয়ানীর দোকানগুলোতেও পাওয়া যায় ভালো মানের তেহারী।
৪. লাবাং

মিষ্টিদই, গরম মশলা, চিনি, লবন এবং মাঠা দিয়ে তৈরি করা এই অসাধারন পানীয়টির দেখা সাধারনত রমজানেই মেলে বেশি। লালবাগ, চকাজার ও নাজিমউদ্দীন রোডে সহজেই মিলে যাবে আপনার লাবাং এর দেখা। দুধের মতন দেখতে ঝাঁঝালো স্বাদের এই পানীয়টিকে আজকাল দেখতে পাওয়া যায় আড়ংসহ নানারকম দোকানেও। পুরোন ঢাকার ঐতিহ্য হলেও আজকাল অনেক উন্নত রেষ্টুরেন্টেও পাওয়া যায় লাবাং।
৫. কাবাব

শিক কাবাব, বটি কাবাব, খিড়ি কাবাব, সুতি কাবাব, শর্মা কাবাব, কবুতরের কাবাব, ডোনা কাবাব, বিফ জালি, শামি কাবাব, লাহরি কাবাব, রেশমি কাবাব- কত রকমের কাবাব চাই আপনার? সাধারনত এর সবগুলো পাওয়া গেলেও কাবাবের জন্যে বিখ্যাত পুরোন ঢাকায় রমজানে আপনি খোঁজ পাবেন প্রায় ৩৫ থেকে ৪০ পদের কাবাবের। মাংসের সাথে সাথে ইদানিং জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে মাছের কাবাবও। ঢাকার চকবাজার, লালবাগ, জনসন রোড ও নবাবপুরে পাবেন আপনি অত্যন্ত মুখোরোচক এই কাবাবগুলোকে।
৬. জাফরান মিষ্টি

ঢাকার সবচাইতে সুস্বাদু কোন মিষ্টি যদি খেতে চান তাহলে তালিকার প্রথমেই রাখুন জাফরান মিষ্টিকে। অসাধারন এই মিষ্টিগুলোর ব্যাপারে একটা কথাই বলা চলে- না খেলে পস্তাবেন! রসমালাই এর মতন কিন্তু আকারে অনেক বড় এই মুষ্টিগুলো সত্যিই এক কথায় অমৃত।
৭. পুরি



4
 কম খরচে এবং ভিসা ছাড়াই দেশের বাইরে থেকে ঘুরে আসতে পারলে কেমন হয় বলুন তো? দারুন! তাই না? অবাক হচ্ছেন এই ভেবে ভিসা ছাড়া দেশের বাইরে কীভাবে যাওয়া যায়! হ্যাঁ, হাতেগোনা কিছু দেশ আছে যেখানে যাওয়ার জন্য কোন ভিসা লাগে না। তেমনি একটি দেশ হল ভূটান। ভিসা ছাড়া অল্প খরচেই ঘুরে আসা যায় অপরূপ সৌন্দর্যের লীলাভূমি ভূটান থেকে।

হিমালয় কন্যা ভূটান। কম খরচে অনেক কিছু দেখার আছে এখানে। ভিসার ঝামেলা নেই, ফলে খুব সহজে ঘুরে আসা যায় এই অপার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের দেশটি থেকে।
কীভাবে যাবেন

ভূটান যাওয়ার জন্য ভিসার প্রয়োজন নেই। ভারত-ভূটানের বর্ডার ওপেন, সেজন্য ভিসা না লাগলেও এন্ট্রি পারমিট নিতে হয়। যা ভিসার কাজ করে। এখানে একটি কথা জেনে রাখা ভালো তা হল এয়ারপোর্টে অন এরাইভাল যে ভিসা দেয় তা শুধু ভুটানের তিনটি শহর ফুয়েন্টশোলিং, থিম্পু আর পারোর জন্য। অন্য জায়গাগুলোতে যাওয়ার জন্য আলাদা ইমিগ্রেশন ডিপার্টমেন্ট থেকে ভিসা নিতে হয়।

ভুটানে ঢোকা তেমন কোন কঠিন ব্যাপার না। ভারতের নাগরিক এবং বাংলাদেশীদের জন্য ভূটানে ঢুকতে কোন টাকা লাগেনা। পশ্চিমা দেশগুলোর নাগরিকদেরকে প্রতিদিনের জন্য ২০০ ডলার করে ফী দিতে হয় ভূটান সরকারকে।

ভূটানে আকাশপথ ও সড়ক পথ দুইভাবে যাওয়া যায়। আকাশ পথে যেতে একটু বেশি খরচ পড়বে। আনুমানিক ২০০০০ থেকে ২৫০০০ টাকা বাই এয়ারে লাগবে। ভুটানে শুধুমাত্র একটি এয়ারলাইনের প্লেনেই যাওয়া যায়। এছাড়া বাই রোডে ভূটানে যাওয়া যায়। ভারতের শিলিগুড়ি হয়ে, ভূটানের ফুটসলিং হয়ে থিম্পু।

কমলাপুর থেকে সরাসরি শিলিগুড়ির বাস ধরতে পারেন। ভাড়া নেবে ১৩০০ টাকার মত। রাতে রওনা হয়ে শিলিগুড়ি পৌছাবেন পরদিন দুপুর ১২ টার দিকে। বাসে যাওয়া অনেক বেশি সাশ্রয়ী।
কোথায় থাকবেন

ফুয়েনশলিং-এ ফাইভ স্টারের সাথে সাথে থ্রি-স্টার মানেরও কিছু হোটেল পাবেন। হোটেল ডেসটিনি, এমবিয়েন্ট ক্যাফে, নরজিন লাম ভূটানের কিছু হোটেলের নাম। চাইলে আগে থেকে বুকিং দিয়ে রাখতে পারেন। ভাড়া ৮০০/- রুপির মত পড়তে পারে। রাতটা ওখানে থেকে সকালে বাসে থিম্পুর উদ্দেশ্যে রওনা হবেন। ভূটানে দ্রব্যমূল্য বেশি, তাই এখানে একটু বুঝে শুনে খরচ করতে হবে।
কোথায় ঘুরবেন

ভারত-ভুটান সীমান্ত শহর ফুয়েনশলিং, রাজধানী থিম্পু, সাবেক রাজধানী পুনাখা, এয়ারপোর্টের শহর পারো এগুলো হল ভূটানের প্রধান আকর্ষণীয় স্থান। এগুলোতে অব্যশই ঘুরবেন। বিশেষ করে পারো, এবং এর পাহাড়ী সৌন্দর্য্য অতি মনোমুগ্ধকর। ভূটানের কেনাকেটা করার সম্পর্কে প্রিয়.কমকে গৃহিণী রোকসানা লিনা বলেন “ ভূটান অনেক এক্সপেন্সিভ জায়গা। এখানে কেনাকাটা না করাই ভাল। ওদের নিজেদের প্রডাক্ট নেই বললেই চলে। প্রায় সবই ইন্ডিয়ান, বাংলাদেশি প্রডাক্টও প্রচুর। আর আছে চাইনিজ আর থাইল্যান্ডের পন্য”। তাই কেনাকেটার ইচ্ছা বাদ দিয়ে শুধু ঘুরতে যাওয়ার জন্য ভূটান অতুলনীয়।
টিপস

-ভূটান যাওয়ার সময় ইমিগ্রেসনে পাসপোর্ট সাইজ ছবি আর পাসপোর্টের ফটোকপি লাগে।তাই মনে করে ছবি আর পাসপোর্ট নেবেন সাথে।
-ভূটান সফরের জন্য গ্রুপ করা খুবই ভাল। সর্বোচ্চ ৮ জনের গ্রুপ হলে ভাল হয়। এতে ট্রান্সপোর্ট ও হোটেল পাওয়া সহজ হয়। আর খরচও অনেকটা কমে যায়। প্রতি কাপলের যাওয়া-আসা মিলিয়ে ৪ রাতের ট্যুরে প্রায় ২৫,০০০/- টাকার মত খরচ হয়।
-ভূটান ঘুরার জন্য ৩ দিনই যথেষ্ট। ৩ দিনে মোটামুটি সব ঘোরা হয়ে যায়।
-ভারতের ট্রানজিট ভিসার জন্য আগেই টোকেন নিতে হবে।

5
বাংলাদেশের বর্তমান পর্যটন আকর্ষণ হিসেবে যে সকল স্থান বহুলভাবে পরিচিত এর অধিকাংশই পাহাড়ি অঞ্চলে অবস্থিত। এরই অংশ হিসেবে পার্বত্য চট্টগ্রামের পাহাড়ি এলাকায় এ্যাডভেঞ্চার হিসেবে ইকো-ট্যুরিজমের অপার সম্ভাবনা রয়েছে। প্রচারে স্বল্পতা কিংবা যোগাযোগসহ পরিবেশবান্ধব আধুনিক সুযোগ-সুবিধার অপ্রতুলতা থাকা সত্ত্বেও বগালেক ভ্রমণ পিপাসুদের জন্য একটি দর্শনীয় স্থান।

বান্দরবান জেলার রুমা উপজেলার ১৫ কিলোমিটার পাহাড়ি পথ পাড়ি দিলেই বগা লেক। পানি দূষণ, বায়ু দূষণ আর ভূমি ক্ষয়ে বিপন্ন প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যের এই অপরূপ লীলাভূমি। পর্যটকদের দ্বারা দূষণ রোধে এই এলাকায় এখনই ইকো-ট্যুরিজম বা পরিবেশবান্ধব পর্যটন শিল্প বিকাশে দ্রুত পদক্ষেপ তাগিদ দিচ্ছেন পরিবেশ-বিশ্লেষকরা।

পর্যটকের কাছে এককভাবে দর্শনীয় স্থান ভ্রমণের পরিবর্তে দলগতভাবে দর্শনীয় স্থান ভ্রমণ বেশ আকর্ষণীয়। প্রায় ২৫ কিলোমিটার ব্যাসের একটি পাহাড়ি পর্যটন বলয়ের মধ্যে বগা লেক, কেওক্রাডং, তাজিনডং, পুকুরপাড় লেক, জাদিপাই ঝরনা, রিজুক ঝরনা, শঙ্খ নদীসহ আরও অনেক আকর্ষণীয় স্থান রয়েছে।

পরিবেশ ও প্রাণীবিদ আনিসুজ্জামান খান প্রিয়.কম-কে বলেন, বাংলাদেশে ইকো টুরিজম খুব রিসেন্টলি এই বিষয় নিয়ে চিন্তা-ভাবনা চলছে। এর মানে হলো ইকোলজিক্যাল টুরিজম। কেউ কেউ বলে ইকোনমিক টুরিজম। তবে এটি হবে ইকোলজিক্যাল টুরিজম এর মানে হলো মানুষ প্রকৃতির উপায়ে ভ্রমণ করবে।

তিনি বলেন, সারাবিশ্বে মানুষ ভাবছে প্রকৃতির যে কাজ আছে সেটা যাতে নষ্ট না হয় সেজন্যই ইকো টুরিজম নিয়ে ভাবনা হচ্ছে। পাহাড়ি এলাকায় মানুষদের জীবন-যাপন কিন্তু নগরজীবনের থেকে অনেক ভিন্ন। সেখানে গেলে পাহাড়িরা কালচারাল হেজিটেশন অনুভব করে। এছাড়া আমরা যখন সেখানে যাই তখন তাদের বিষয়গুলো নিয়ে বিকৃত উল্লাস করি।

আনিসুজ্জামান খান বলেন, সরকার ও প্রশাসনকে যে ব্যবস্থা করতে হবে তা হলো- কোনো নির্দিষ্ট এলাকায় টুরিজমের থেকে যে অর্থ আসবে তা ওসব স্থানে বসবাসকারীদের এর একটি ভাগ দেয়া অবশ্যই প্রয়োজন। কারণ পর্যটনের জন্য ওইসব এলাকায় বসবাসকারীদের অনেক ত্যাগ স্বীকার করতে হয়। এমন কি পর্যটনের জন্য তাদের আবাসস্থলও তাদের ছাড়তে হয়।

তিনি বলেন, প্রাকৃতিক যে বৈশিষ্ট্য আছে তা যেন ধ্বংস না হয় সেভাবেই পর্যটনের ব্যবস্থা করতে হবে। ইকোনোমিক বেনিফিট লোকাল কমিউনিটির সাথে শেয়ার করতে হবে।

ইকো-টুরিজ্যম বা পরিবেশবান্ধব ভ্রমণ হলো পরিবেশের কাছাকাছি, সবুজের দেশে, পরিবেশ বান্ধব উপায়ে পাড়ি দেয়া। আর পরিবেশবান্ধব ভ্রমণের প্রথম শর্ত হলো- পরিবেশের একেবারে কাছাকাছি চলে যাওয়া। বিশাল পাহাড়ের ওপরে, খোলা আকাশের নীচে, মাটির কোলে, নদীর বুকে নিজেকে ভাসিয়ে দেয়া। দ্বিতীয়ত ভ্রমণস্থানের সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্যের সঙ্গে পরিচিত হওয়া৷ এবং তৃতীয়, স্থানীয় মানুষের উন্নয়নে সহযোগিতা ও আর্থিক সাহায্য করতে প্রস্তুত থাকা।

বিগত ২০০৫ সাল থেকে লেকটি নিয়ে গবেষণা করছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের অধ্যাপক মো. শহীদুল ইসলাম। বগা লেক যেহেতু পর্যটকদের জন্য আকর্ষণীয় স্থান, তাই এটিকে দ্রুতই ইকো-ট্যুরিজমের আওতায় আনার দাবি জানিয়ে তিনি প্রিয়.কম-কে বলেন, বগা লেকে একটি নৈসর্গিক সৌন্দর্য রয়েছে। সেখানে পর্যটকের লেকের পানিতে গোসল করেন। কিন্তু তা করতে গিয়ে সাবান-শ্যাম্পু ব্যবহার করে তা লেকের পানিতে ফেলে আসেন। কিন্তু পর্যটকেরা তা না করলেই পারেন। নৌকা করে পর্যটকেরা লেকের মাঝে যান। এটিও লেকের পরিবেশের জন্য উপযোগী নয়।

বিগত দুই বছর ধরে তিনি বগা লেকের তলদেশের চিত্র ধারণ করে চলেছেন ফ্রি-ল্যান্স ফটো সাংবাদিক ও দেশের প্রথম সমুদ্র বিজ্ঞান ও পরিবেশ বিষয়ক তথ্য ও ভিডিও চিত্র নির্মাণ প্রতিষ্ঠান ‘সাইলেন্ট ব্লু’র চেয়ারম্যান শরিফ সারোয়ার। গত এপ্রিলে লেকটির তলদেশে সর্বশেষ অভিযান পরিচালনা করে সংস্থাটি। ওই সময় লেকের তলদেশের ধারণকৃত ছবি ও ভিডিও চিত্রে দেখা যায়, পর্যটকদের ব্যবহৃত শ্যাম্পু, সাবানের প্যাকেট, বিয়ারের ক্যান, প্ল্যাস্টিক পলিথিনসহ বিভিন্ন বর্জ্য লেকটির পরিবেশ দূষিত করছে।

বগা লেক এলাকায় ইকো ট্যুরিজম প্রসঙ্গে আলোকচিত্রী শরীফ সারোয়ার প্রিয়.কমকে বলেন, আমি মনে করি বগা লেক এলাকাকে শুধু ইকো-ট্যুরিজম এরিয়া ঘোষণা করেই নয় বরং এজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে সংশ্লিষ্টদের। এছাড়াও প্রত্যেক পর্যটকেও পরিবেশ ও প্রকৃতি রক্ষায় সচেতন হতে হবে।

6
প্রতি বছরেই হয়তো ঘুরতে যাওয়া হয় পৃথিবীর এখান থেকে সেখানে। নতুন নতুন অনেক জিনিসই দেখা হয়। কিন্তু এমন কিছু জায়গা আছে যেগুলো দেরী না করে খুব তাড়াতাড়িই দেখে আসা উচিত আপনার। ভাবছেন, কেন এত তাড়াহুড়ো? পালিয়ে যাচ্ছে নাকি জায়গাগুলো? হ্যাঁ! শুনতে অদ্ভূত শোনালেও কয়েক বছর পর হয়তো পালিয়েই যাবে ওগুলো আপনার হাতের নাগাল থেকে। আর তাই চটজলদি ঘুরে আসুন জায়গাগুলো থেকে।
১. গ্ল্যাসিয়ার ন্যাশনাল পার্ক

১০ হাজার বছর আগে মন্টানা গ্ল্যাসিয়ার ন্যাশনাল পার্কের বরফের পরিমাণ ছিল ১.৬ কিলোমিটার গভীর। ১৯১০ সালে উদ্যানটি চালু করার সময়েও সেখানে ছিল ১৫০ টি গ্ল্যাসিয়ার বা বরফের হিমবাহ। বর্তমানে সেগুলোর মাত্র ২৫ টি টিকে আছে এবং মনে করা হচ্ছে ২০৩০ সালের ভেতরে এই হিমবাহগুলোও ধ্বংস হয়ে যাবে। আর এর প্রধান কারণ হচ্ছে অতিরিক্ত গরম। বর্তমানে পৃথিবীর অন্য স্থানগুলোর চাইতে ১.৮ বার বেশি উষ্ণ হচ্ছে এই উদ্যানটি। বরফের কারণে এখানে গড়ে ওঠা প্রাণী শৃঙ্খলাও ভেঙে যাচ্ছে ধীরে ধীরে। আর তাই দেরী হযে যাওয়ার আগেই দেখে আসুন অত্যন্ত আকর্ষনীয় এই জায়গাটি।
২. দ্যা ভ্যালি অফ কিং

রাজার উপত্যকা নামের এই উপত্যকাটি অবস্থিত মিশরে। মিশরের আরো অনেক স্থান, যেমন- পিরামিড বা তুতেনখামেনের কবর এর ভেতরেই চোর ও ডাকাতের কাছ থেকে হুমকির সম্মুখীন হলেও দ্যা ভ্যালি অব কিং এগুলোর চাইতে একেবারে ভিন্ন একরকমের বিপদের মুখে আছে, আর সেটি হচ্ছে ফাঙ্গাস বা ছত্রাক! পুরো স্থাপত্যের ভেতরে বাতাস চলাচলের সুবিধা এতোটাই কম যে এর ভেতরেই দেয়ালে ও সমাধিতে ফাঙ্গাস পড়া শুরু হয়েছে। মনে করা হচ্ছে এভাবে চলতে থাকলে আর ১৫০ বছর পরেই হাওয়া হযে যাবে এই স্থাপত্যটি। দেখে আসতে পারেন এই স্থাপত্যটিও।
৩. সিসিলিস

মাদাগাস্কার থেকে খানিকটা দূরে ১১৫ টি দ্বীপের সমন্বয়ে গড়ে ওঠা স্বর্গীয় একটি জায়গা হচ্ছে সিসিলিস। অনেকেই পৃথিবীর ওপরে অবস্থিত এই এক টুকরো স্বর্গের কথা এর আগে শোনেননি। ১৬০০ সালে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির দ্বারা আবিষ্কারের পর থেকেই একেবারে মানুষহীন অবস্থায় পড়ে আছে দ্বীপগুলো। পরবর্তীতে জলদস্যুদের স্বর্গেও পরিণত হয়েছিল এটি। তবে বর্তমানে তিমি আর হাঙরের আবাসভূমি হিসেবে বিখ্যাত এটি। তবে অসাধারণ এই জায়গাটি আর ৫০ বছরের ভেতরেই হারিয়ে যেতে পারে পানির নীচে। তাই দেরি না করে ঘুরে আসুন চটজলদি!
৪. গালাপাগোস

প্রকৃতির প্রতি স্বাভাবিক একটা টান আমাদের সবারই রয়েছে। আর সত্যিই যদি আপনি পছন্দ করেন জীববৈচিত্র্য আর প্রকৃতির সান্নিধ্য পেতে তাহলে ঘুরে আসুন জীব-জন্তুর অসাধারন এক মিলনমেলা গালাপাগোসে। প্রায় ৯,০০০ প্রজাতির প্রাণী আছে এখানে। যেগুলোর অনেকেই বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছে। পাওয়া যায়না পৃথিবীর কোথাওই! তবে দিনকে দিন পর্যটক, কর্মী আর বাইরের খাবারের চাহিদা মেটাতে গিয়ে বিলুপ্তির মুখে পড়ে গিয়েছে অন্যরকম এই অভয়ারণ্য। পৃথিবীর আরো অনেক স্থানের মতন একেবারেই হারিয়ে যাওয়ার আগেই দেখে আসুন প্রাণীগুলোকে।
৫. তাজমহল

অসাধারণ সুন্দর স্থাপত্যের নিদর্শন ভারতের সম্রাট শাহজানের দ্বারা স্ত্রী মুমতাজের প্রতি নিবেদিত বিখ্যাত তাজমহলকে কে না চেনে? দিন কিংবা রাত, সবসময়েই নিজের মহিমায় পুরো পৃথিবীকে সৌন্দর্যের উদাহরন দেখিয়ে দেয় তাজ। কিন্তু সামনের পাঁচ বছরের ভেতরে তাজমহলকে জনসাধারনের জন্যে বন্ধ করে দেওয়া হতে পারে। এছাড়াও পানি আর জলবায়ু দূষনের ফলে তাজমহলের সাদা রঙ খানিকটা হলদেটে হয়ে যাচ্ছে ধীরে ধীরে। আর তাই এখনো যারা দেখেননি তাজকে, সময় করে একবার দেখেই আসুন।

7
খেলতে কে না ভালোবাসে? কিন্তু সেটা যদি হয় মৃত্যুর খেলা তবে? ভাবছেন, মৃত্যু নিশ্চিত এমন খেলাও মানুষ খেলে? সত্যি বলতে কি, আসলেই খেলে থাকেন। আর মারাও যান অনেকে। নতুন কিছু করার ইচ্ছে থেকে প্রায়ই এমন সব খেলা তৈরি করে মানুষ যার ফাঁদে পড়ে তারা নিজেরাই। আসুন জেনে নিই এমন কিছু ভয়ংকর মৃত্যখেলা সম্পর্কে।
১. দ্যা প্রফেট

আমেরিকার ক্যালিফোর্নিয়ায় অবস্থিত দ্যা প্রোফেট। আকাশের দিকে প্রায় ৫৫০ মিটার উঁচু হয়ে থাকা এই খাড়া পাহাড়টির রয়েছে মৃত্যূর দূত হিসেবে ভয়ানক পরিচিতি। এতে চড়া মানে বহু বাঘা বাঘা মানুষেরও মৃত্যু। কিন্তু তবু সব বিপদকে তুচ্ছ করে পাহাড়টিতে উঠে পড়ে মানুষ। রোজই ওঠে। কোন কারণ ছাড়াই কেবল খেলার তাগিদে। শুধু তাই নয়, কখনো কখনো খেলতে গিয়ে আরো বেশি মজার জন্যে দড়ি পর্যন্ত নিতে চান না অনেকে। আর ফলাফল? প্রতি বছরই অনেক মানুষ মারা যান এই পাথুরে শরীর বেয়ে নীচে পড়ে।
২. ফ্যান্টম গুহা ও ময়ুর ঝর্ণা

কেবল উঁচু কোন স্থানেই নয়, মানুষ মৃত্যুর সন্ধানে খেলতে চলে যায় মাটির নীচের গুহাতেও। অবসর কাটাতে অনেক সময় আমেরিকার এই গুহাতে খেলতে যান অনেকে। খেলার ভেতরে পড়ে অন্ধকারের ভেতরে পানিতে সাঁতার কেটে চলা। যেটা কিনা মাটির চাইতে কয়েকশত মিটার নীচে অবস্থিত। এখন পর্যন্ত এই গুহার ভেতরের রাস্তাকে ৪০০ মিটার বলে উল্রেখ করা হয়েছে মানচিত্রে। আর তার কারণ, এর বেশি এখন পর্যন্ত কেউ গিয়ে ফিরে আসতে পারেনি। ডুবে মরার ভয় আর অন্ধকার দুটোরই মিশেল এই গুহা আর ঝর্ণার ভেতরে হাতড়ে বেড়ানোর খেলা তবু এখনো কম টানেনা মানুষকে।
৩. মোহারের রাস্তা

আয়ারল্যান্ড এর হুইস্কি, সবুজ পাহাড়ের চূড়া আর নানারকম গাছের জন্যে বেশ পরিচিত। তবে এর সবগুলো শুনতে যতটা ভালো মনে হচ্ছে ততোটা আসলে নয়। বিশেষ করে এর রাস্তা মোহারের কথা তো না বললেই নয়! সমুদ্রের বালি দিয়ে একটু একটু করে তৈরি হয়েছে মোহার নামের পাহাড়ের চূড়াটি। প্রচন্ড সরু আর ১৮০ মিটার নীচে নেমে যাওয়া মোহারের চূড়ার এই রাস্তাটিতে হাঁটতে গেলেও ভয় লাগে। তবু সেখানে নিছক খেলার জন্যেই সাইকেল নিয়ে প্রতিযোগিতায় নামা হয়। ভাবুন তো, মৃত্যু কতোটা হয় সেখানে?
৪. হাঙরের সাথে খেলা

প্যাডল বোর্ডিং বা দাঁড় বাওয়ার খেলা খুব একটা অপরিচিত নয় কারো কাছে। এখানে মানুষকে হাতের মাধ্যমে দাঁড় বেয়ে ছুটে যেতে হয় পানিতে। কিন্তু এই পুরো ব্যাপারটিকে অনেক বেশি ভয়ঙ্কর করে ফেলেন ক্রিস ফেলোর মতন কিছু অত্যন্ত সাহসী কিছু খেলোয়ার। যেখানে তারা হাঙরের কাছ থেকে মাত্র ১.৭ মিটার দূরে থাকা অবস্থাতেও দাঁড় বেয়ে যান যথাসাধ্য!
৫. রকি মাউন্টেইন ওয়াটারফল

এ খেলায় বরফের চূড়ায় ওঠার পরিবর্তে আগাগোড়া বরফে জোড়ানো একটা পানির স্রোতের ওপর দিয়ে চড়তে হয়। যেখানে হঠাৎ করে হয়ে যেতে পারে কোন ধরনের দূর্ঘটনা। ভাবুন তো একবার, আপনি উঠছেন আর হঠাৎ করে ভেঙে পড়ে গেল আপনার ধরে থাকা বরফটুকু। কি হবে তখন? আপনি সহ গিয়ে পড়বে সেটা একদম নীচে। কানাডায় এই পাহাড়টিতে তাও আজও খুব উত্সাহ নিয়েই খেলা হয় এই খেলা।

8
চীনে বেড়াতে গেলে মহাপ্রাচীর, স্থাপত্যশিল্প, রঙ্গীন নানারকম ফুলসহ কতকিছুই তো দেখার আছে আপনার। কিন্তু দেখাটাই কি সব? কেমন হবে যদি এতকিছু দেখার ভিড়ে দেশটির ঐতিহ্যবাহী আর অসম্ভব মুখরোচক খাবারগুলো চেখেই না দেখতে পারেন একবারের জন্যেও? শুধু তাই নয়, চীনের ঐতিহ্য আর সংস্কৃতিকে ভালো করে জানতে ও তাদের জীবনকে আরো কাছ থেকে বুঝতে কিছু খাবার না খেলেই নয়। আর তাই এক্ষুণি জেনে নিন চীনে গেলে যে খাবারগুলো খেতে একদমই ভোলা চলবেনা আপনার।
১. নুডলস

চীনের দৈনন্দিন খাবার ও যেকোন অনুষ্ঠানের খাবারে বিশেষ একটি জায়গা জুড়ে রয়েছে নুডলস। আর নুডুলসের রকম? গুনে শেষ না করতে পারবার মতন প্রকারভেদ রয়েছে এখানকার নুডলসের। শিচুয়ান ডানডান থেকে শুরু করে লামিয়ান ও চাউমিন, কি নেই এখানে! উৎপাদনের স্থান, উপকরণ, আকৃতি, বিস্তৃতি ও রান্নার ধরনের ওপর নির্ভর করে আলাদা হয় সেগুলো। চেষ্টা করুন চীনে গিয়ে এর যতটা সম্ভব চেখে দেখার।
২. ডাম্পলিং

ডাম্পলিং বা জিয়াওজি হচ্ছে চীনের আরেকটি অত্যন্ত পরিচিত আর ঐতিহ্যবাহী খাবার। উত্তর চীনে নতুন বছরের শুরুতে ডাম্পলিং তৈরি করা প্রতিটি ঘরের জন্যেই অত্যন্ত দরকারী কাজ। এতে মাংস, মাছ, চিংড়ি, মাশরুম ছাড়াও থাকে অনেক রকমের কাটা সবজি। মাংস হতে পারে গরু কিংবা মুরগীর। সবজিগুলো সেদ্ধ করা থাকে ডাম্পলিংএ।
৩. পেকিং ডাক রোস্ট

পেকিং ডাক রোস্টকে বেইজিংএ সবচাইতে বিখ্যাত খাবার বলে মনে করা হয়। পুরো বিশ্বের সুস্বাদের জন্যে খ্যাতি আছে এর। ইউন রাজত্বে জন্ম হলেও বর্তমানে সবজায়গাতে নাম ছড়িয়ে গিয়েছে এর। এবং হয়ে উঠেছে এটি চীনের অন্যতম সাংস্কৃতিক খাবার। তবে রান্নার চাইতেও সবচাইতে বেশি আকর্ষণীয় রোস্টেড ডাকটি কাটার ব্যাপারটি। অত্যন্ত দক্ষ পরিচারকের দ্বারা কাটা হয় সেটা সবার সামনেই। অনেক বেশি পারদর্শী খানসামা ৪-৫ মিনিটে ১০০-১২০ টি টুকরো কেটে ফেলতে পারেন।
৪. ডিম সাম

ডিম সাম বলতে বিশেষ একটি পদ্ধতি বোঝায় যেখানে গরম ধরে রাখতে পারা ছোট্ট পাত্রে অল্প একটু খাবার পরিবেশন করা হয়। সাধারণত রেষ্টুরেন্টে ডিম সাম খেতে যাওয়াকে চা খেতে যাওয়া বলা হয়। কারণ চায়ের সাথেই ডিম সাম খাওয়ার প্রচলন রয়েছে চীনে। তবে দক্ষিণ হংকংএও এখন ডিম সাম পারিবারিক খাবারে যোগ হয়েছে।
৫. হট পট

বেইজিংএ উত্তর চীনের একটি প্রচন্ড বিখ্যাত খাবার হল ভেড়ার মাংসের হট পট। সয়া সস, চিলি তেল, সিসামে পেস্ট, রেড বীন কার্ডসহ আরো অনেকগুলো উপাদানের মাধ্যমে তৈরি হয় এই খাবারটি। কিছু কিছু জায়গায় আপনি নিজেও পছন্দমতন উপাদান যোগ করতে পারেন খাবারে। আর স্বাদ? অসাধারণ! তাই ভুলেও চীনে গেলে হট পট খেতে ভুলবেন না।

9
গল্প শুনতে কে না ভালোবাসে? আর সেটা যদি হয় প্রাচীন কোন গাছ, ফুল, নদী বা রাজা-রাজড়ার পুরাকাহিনী তবে? কিন্তু সত্যিই কি প্রাচীন এসব যুগ যুগ ধরে মানুষের মুখে চলে আসা পৌরাণিক কাহিনীগুলো একেবারেই মিথ্যে, বানোয়াট আর ভিত্তিহীন? এদের গোড়ায় কি এতটুকুও সত্যি নেই? সাধারণত এদেরকে মানুষের সভ্যতার ভাঁজে ভাঁজে লেখা মনগড়া গল্প বলেই মনে হবে আমাদের। কিন্তু আসলে যতটা গল্প ভাবা হয় এদেরকে আসলে এগুলো ততটা নয়। বরং এদের সত্যিকারের অস্তিত্ব আর প্রবেশের দরজা নিয়েও রয়েছে মানুষের মতামত। অনেকে খুঁজে পেতে ম্যাপও বানিয়ে ফেলেছেন বৈকি! দেখে নিতে চান কাল্পনিক সেসব দুনিয়ায় ঢুকে পড়ার রাস্তাটা? রইলো আজকের ফিচারে।
১. দ্যা স্কোলোমান্স

রোমানিয়ান পৌরাণিক কাহিনীর অংশ এই স্কুলটিকে রোমানিয়ার ভাষায় বলা হয় সোলোমানারি। রোমানিয়ানদের মতে, একটা সময় এই স্কুলকে তৈরি করেছিল শয়তান স্বয়ং। সেখানে মোট ১০ জন ছাত্র ছিল। যাদের ভেতরে নয়জনকে শিক্ষিত করে বের করে দেওয়া হয় আর সম্মানী হিসেবে রেখে দেওয়া হয় একজনকে। আর প্রয়োজনে বজ্রপাত করতে ব্যবহার করা হয় তাকে। এই স্কুল থেকেই ড্রাকুলা নিজের সব ধরনের শয়তানী শিখেছিল বলে ধারণা করা হয়। তবে সত্যি যেটাই হোক না কেন, এখনো অব্দি এই স্কুলটিতে যাওয়ার উপায় আছে বলে মনে করেন অনেকে। হার্মান্সটাডটের কার্পাথিয়ান পাহাড়ের কাছে একনো স্কুলটি আছে বলে মনে করেন অনেকে, যেটা কিনা প্রায়ই কেঁপে ওঠে প্রচন্ড বজ্রপাতে!
২. নিউগ্রাঞ্জ

আয়ারল্যান্ডের বইনি উপত্যকার খুব উঁচু এই সমাধিস্থলটির বয়স প্রায় ৫,০০০ বছর। অনেক অনেক ইতিহাস আর স্থাপত্যের নিদর্শন বলে মেনে নেওয়া হয় এটিকে। তবে সেসবরের সাথে সাথে আয়ারল্যান্ডবাসীরা একে ইশ্বরের আসা-যাওয়ার স্থান বলেও মনে করে। মনে করা হয় সেলটিকের অন্য পৃথিবীতে যাওয়ার দরজা আছে এখানেই। সেলটিকদের পৌরাণিক কাহিনী অনুসারে এখান দিয়েই দেবতারা নিজেদের রাজ্যে চলে যেতে পারেন। আবার ফিরতেও পারেন। নিউগ্রাঞ্জের অপরদিকে এমন এক দুনিয়া রয়েছে বলে বর্ণনা করা হয় সেলটিকদের পুরানে, যেখানে কোন বয়ংস নেই, মৃত্যু কিংবা জরা নেই। আছে ভালো ভালো কাবার, বারবার অতিরিক্ত ফল বিরতিহীনভাবে দিয়ে যাওয়া গাছসহ আরো ভালো ভালো জিনিস!
৩. হেসপেরেডেসের বাগান

গ্রিক পুরাকাহিনী অনুসারে গায়া হেরাকে একটি গাছ দিয়েছিল যেটা সোনার আপেলের জন্ম দেয়। আর সেই গাছটিকে সুরক্ষিত রাখার জন্যে লাগানো হয়েছিল হেসপেরেডিসের বাগানে। যেটার কড়া সুরক্ষাবেষ্টনী ভেদ করে হারকিউলিস নিয়ে এসেছিল একটি আপেল। বর্তমানে মরোক্কোর লিক্সাসে হেসপেরেডিসের সেই বাগানে যাওয়ার রাস্তা আছে বলে মনে করেন অনেকে। এর আগে প্রচন্ড সমৃদ্ধ থাকলেও বর্তমানে বেশ বিধ্বস্ত অবস্থায় রয়েছে মরোক্কোর এই সমুদ্রতীরবর্তী স্থানটি।
৪. স্টিক্স নদী

গ্রীক নেদারওয়ার্ল্ডে ঢোকার প্রাথমিক রাস্তা হিসেবে ধরা হয এই স্টিক্স নদীকে। যেটার পানি প্রচন্ড দূষিত এবং মানুষকে মেরে ফেলার জন্যে যথেষ্ট। পৌরাণিক কাহিনী অনুসারে এই নদীর পানি মানুষের কথা বন্ধ করে দিতে পারে, চলত্শক্তিহীন করে দিতে পারে, এমনকি মেরেও ফেলতে পারে। আর বর্তমান বিশ্বের আলেক্সান্ডার দ্যা গ্রেটসহ আরো বেশ কিছু নেতা, বিশেষ করে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় অনেক বেশি পরিমাণে মানুষ নদীর পানি খেয়ে এমনই ঝামেলায় পড়েন। তাই সব প্রমাণ অনুসারে পেলোপনেশিয়ান পাহাড় থেকে আসা মেভ্রোনেরি নদীকেই সেই নদী বলে মনে করা হয়। যাকে বর্তমানে সবাই চেনে ব্ল্যাক ওয়াটার নামে!
৫. শামভালা

সাঙ্গারি-লা বা বৌদ্ধধর্মাবলম্বীদের কাছে পরিচিত স্বর্গ শামভালা বলে কিছু একটা সত্যিই আছে বলে মনে করেন অনেকে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়ে নাজিরা অনেক চেষ্টাতেও সেটাকে বের করতে পারেনি। বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের মতে সেখানে যেতে হলে পাপশূণ্যাবস্থায় যেতে হবে। তবে এখনো সেটাতে কেউ না যেতে পারলেও শামভালাতে ঢোকার বেশ কয়েকটি স্থান বের করেছে মানুষ খসড়াভাবে। আর জায়গাগুলো হচ্ছে- রাশিয়ার বেলুখা, আফগানিস্তানের সুফি সারমাউন সেটেলমেন্ট, হিমালযে তিব্বতের সীমানা, প্রাচীন শহর বলখ এবং ভারতের সুটলেজ উপত্যকা!

10
ভ্রমণের যে কোনো বিষয়, তথ্য কিংবা ভ্রমণ বিষয়ক সহযোগিতা মিলবে এক অ্যাপে। ভ্রমণকেন্দ্রিক এটুজেড বিষয় নিয়ে ভ্রমণপ্রেমীদের বন্ধু ট্যুর অ্যাপ। অ্যাপ্লিকেশনটি বানিয়েছে দেশের অন্যতম সফটওয়্যার নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ই-সফট।

ভ্রমণ গাইড হিসেবে বিস্তারিত জানার জন্য খুবই কার্যকরী একটি মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন এটি, যা গুগল প্লে স্টোর থেকে এখনই ডাউনলোড করে নিতে পারেন। আপনার স্মার্টফোনে এই অ্যাপ্লিকেশনটি থাকা মানে শুধু ঢাকা নয়, বাংলাদেশ এবং পুরো বিশ্বের ভ্রমণ তথ্য হাতের মুঠোয় থাকা।

ছুটির দিনগুলোতে অ্যাপটি আপনাকে জানিয়ে দেবে ভ্রমণের বিস্তারিত আরো তথ্য। মিলবে নানা ধরনের স্থান ঘুরতে যাওয়ার নিত্যনতুন তথ্য এই মোবাইল অ্যাপ্লিকেশনে। অ্যাপ্লিকেশনটির ডাউনলোড করা যাবে https://play.google.com/store/apps/details?id=com.e_softbilling.tour এই ঠিকানা থেকে।

11
প্রিয় মানুষটিকে সাথে নিয়ে রোমান্টিক কিছু সময় কাটানোর জন্য মধুচন্দ্রিমার প্রয়োজন নেই একেবারেই। শুধু সঙ্গীর হাত ধরে ঘুরে আসলেই হলো অসাধারণ সুন্দর রোমান্টিক কিছু স্থান থেকে। যদি প্রিয়জনকে নিয়ে ঘুরে আসতে চান তাহলে ঘুরে আসুন এমন স্থান থেকে যার স্মৃতি মনে রাখতে পারবেন চিরকাল। আর যারা নতুন বিবাহিত তাদের মধুচন্দ্রিমার জন্য প্ল্যান তো থাকেই এমন স্থানে যাওয়ার যার স্মৃতি পুরো জীবন ধরে রাখা যায়। যদি এমনই পরিকল্পনা থাকে তাহলে এই ফিচারটি আপনাদের জন্যই। আজকে দেখে নিন এমনই অসাধারণ সুন্দর ৫ টি রোম্যান্টিক ‘বিচ রিসোর্ট’ যা সত্যিকার অর্থেই মুগ্ধ করবে আপনাকে।
১) ফোর সিজনস, বোরা বোরা, ফ্রেঞ্চ পলিনেশিয়া

অসম্ভব সুন্দর বিলাসবহুল এই বিচ রিসোর্টটিকে বলা হয় বিশ্বের সেরা রোমান্টিক স্থানগুলোর মধ্যে অন্যতম। এবং একে আখ্যায়িত করা হয় বিশ্বের সেরা বিচ হোটেল হিসেবে। শ্বাসরুদ্ধকর পানির উপর এবং ফ্রন্ট বিচ ভিউ ভিলা, সানসেট ক্রুজ সহ আরও রোমাঞ্চকর বিলাসিতা অপেক্ষা করছে এই রিসোর্টটিতে শুধুমাত্র আপনার জন্যই।
২) ইন্টারকন্টিনেন্টাল রিসোর্ট, মরিশাস

বালাকলাভা সৈকতে অবস্থিত মরিশাসের সবচাইতে রোমান্টিক স্থানগুলোর মধ্যে একটি হচ্ছে এই ইন্টারকন্টিনেন্টাল রিসোর্টটি, যেখানে আপনি নিজের জীবনের সবচাইতে রোম্যান্টিক মুহূর্তগুলো কাটাতে পারেন। বিলাসবহুল এই রিসোর্টটি এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে যার প্রায় প্রতিটি রুম থেকেই অবলোকন করা যায় অসম্ভব সুন্দর ওশান ভিউ। এই রিসোর্টে দুইধরনের রুম পাওয়া যায় ‘ডিলাক্স ওশান’ এবং ‘ডিলাক্স টেরেস ওশান’। এছাড়াও এই রিসোর্টে হানিমুন কাপলদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা রয়েছে।
৩) আমানকিলা, বালি

একপাশে সমুদ্র এবং একপাশে পর্বতের এই অসাধারণ রিসোর্টটি বালির সবচাইতে সুন্দর রিসোর্ট হিসেবে পরিচিত। এই রিসোর্টে রয়েছে বিলাসবহুল ৩৪ টি স্যুইট। রিসোর্টে বেড়াতে আসা সকলেই রিসোর্টের ৩ স্তরের অসাধারণ সুন্দর ও মোহনীয় সুইমিং পুলে এবং মজা নিতে পারেন বিচ ক্লাবের। লাইভ মিউজিক এবং ট্র্যাডিশনাল নাচের মাধ্যমে বরণ করা এই রিসোর্টটি আতিথেয়তায় বিশ্বসেরা।
৪) ফোর্ট আগুয়াডা বিচ রিসোর্ট, গোয়া

অ্যারাবিয়ান সমুদ্র সৈকতের উপরে তৈরি অসাধারণ অতিথি পরায়ণ এবং নিজেদের সার্ভিসের কারণে বিশ্বসেরা এই অসাধারণ বিচ রিসোর্টটি আমাদের পাশের দেশ ভারতের গোয়াতেই অবস্থিত। প্রিয়জনকে নিয়ে রোমান্টিক মুহূর্ত কাটাতে চাইতে ঘুরে আসতে পারেন অসাধারণ এই বিচ রিসোর্ট থেকে।
৫) Al Cielo, মেক্সিকো

সামনে সৈকতের অসাধারণ ভিউ রেখে এই রিসোর্টটি তৈরি হয়েছে ৪ টি রাস্টিক স্টাইল্ড রুম নিয়ে। এবং এই ৪ টি রুমের রয়েছে আলাদা নাম, ওয়াতারম আর্থ, এয়ার এবং ফায়ার। কিং সাইজ বেড, ও্যাক ইন ক্লজিট,

12
৫৬ হাজার বর্গমাইলের বিশ্বের বৃহত্তম ব-দ্বীব বাংলাদেশে রয়েছে সৌন্দর্যের অপার লীলাভূমি।  আর দেশের প্রাকৃতিক স্থানগুলোকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠছে বিশাল পর্যটনশিল্প।  এই সৌন্দর্যকে রক্ষায় দেশের প্রতিবেশ গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলোতে সংরক্ষিত পর্যটন ব্যবস্থা চালুর করার কথা জানলেন বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন।

সম্প্রতি দেশের একমাত্র জলার বন রাতারগুলের পরিবেশ দূষণ নিয়ে ‘হুমকির মুখে রাতারগুলের জীব-বৈচিত্র্য’ এবং ‘ইজারা প্রতিযোগিতার খপ্পরে দেশের একমাত্র জলারবন রাতারগুল’ শিরোনামে প্রিয়.কম  এ সংবাদ প্রকাশিত হয়।  প্রতিবেদনগুলোতে অপরিকল্পিত পর্যটনের কারণে সৃষ্ট দূষণের চিত্র উঠে আসে।

তবে শনিবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে পর্যটন সাংবাদিকদের সংগঠন এভিয়েশন অ্যান্ড ট্যুরিজম জার্নালিস্ট ফোরাম (এটিজেএফবি) ও পর্যটনের ক্রাউডসোর্স ভিত্তিক প্ল্যাটফর্ম ‘অফরোড বাংলাদেশ’ যৌথভাবে এ কর্মশালায় পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন জানান, পর্যটন আকর্ষনে দেশের মানুষকে বর্তমানে বলা যাবে না যে দেশের মধ্যে যেখানে ইচ্ছে ঘুরে বেড়াও বরং এখন আমাদের পর্যটন এলাকা সংরক্ষিত করতে হবে।  কারণ বেশ কিছু প্রতিবেশ গুরুত্বপূর্ণ এলাকা পর্যটন জোন হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে।  যার ফলে ওইসব এলাকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও পরিবেশ বিপন্ন হচ্ছে।  এর মধ্যে রয়েছে সিলেটের রাতারগুল ও কক্সবাজার।  কারণ এসব এলাকাগুলো পরিবেশ অনেক নষ্ট হচ্ছে।  তাই এসব এলাকায় সংরক্ষিত-ট্যুরিজম চালু করার উদ্যোগ নিচ্ছি।

এছাড়া পার্বত্য এলাকাতে অ্যাডোভেঞ্চার ট্যুরিজমের বিষয়েও সরকার চিন্তা ভাবনা করছে এবং এ বিষয়ে বেশ কিছু তরুণ কাজ করছে বলেও জানান পর্যটনমন্ত্রী।

তিনি বলেন, পর্যটক শুধুমাত্র বেড়ানো বা বিনোদনের জন্য নয়।  পর্যটন শিল্পের মাধ্যমে দারিদ্র বিমোচন ও কর্মসংস্থান করা সম্ভব।  এক্ষেত্রে পর্যটন ও পরিবেশ একসূত্রে জড়িত।  তাই আমরা পরিবেশ যে আইন তা মেনে পর্যটনবান্ধব বাংলাদেশ করতে যাচ্ছি।  এজন্য আগেই ইকোলজিক্যালি ক্রিটিকাল এরিয়া বা প্রতিবেশ গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় ইতোমধ্যেই পরিবেশ আইন গ্রহণ করে তা রক্ষার করার উদ্যোগ নিচ্ছি।  তা না হলে জাফলং, লালাখাল ও বিছানাকান্দি পরিবেশ বিনষ্ট করে দেয়া হচ্ছে।

13
আমরা নিজের শহর বা দেশের বাইরে কোথাও বেড়াতে গেলে প্রচুর পরিমাণ টাকা খরচ করি। আর এর বেশিরভাগটাই খরচ হয় বাসস্থান আর খাওয়া-দাওয়ার পেছনে। কিন্তু ভাবুন তো, কেমন হবে যদি আপনার ভ্রমণের খরচের তালিকা থেকে বাদ হয়ে যায় এই বিশাল দুটি ব্যাপারই? সত্যিই কি এমনটা সম্ভব? হ্যাঁ! সম্ভব। কিন্তু কী করে? জেনে নিন ভ্রমণে গিয়ে অল্প খরচে থাকা-খাওয়ার পাট চুকিয়ে ফেলার মজার কিছু উপায়।

১. স্থানীয়দের সাথে থাকা

যে দেশে ঘুরতে যাচ্ছেন সেখানে এমন অনেকেই থাকবেন যারা বিদেশীদের নিজ বাড়িতে রাখতে আগ্রহী সামান্য কিছু টাকার বিনিময়ে। অর্থাৎ পেয়িং গেস্ট। খোঁজার চেষ্টা করুন এমন স্থানীয় পরিবারকে। এক্ষেত্রে কেবল খুবই কম খরচে থাকতে বা খেতে পারাই নয়, আপনি পাবেন স্থানীয় সংস্কৃতি ও তাদের দৈনন্দিন জীবনের ছোঁয়া। প্রযুক্তির এই যুগে অনলাইন আপনাকে সাহায্য করতে পারে এক্ষেত্রে অনেকটা। এক্ষেত্রে আপনি দেখতে পারেন- কাউচ সার্ফিং ( couch surfing ), ট্রাম্পোলিন ( Trampolinn ) বা হসপিটালিটি ক্লাবের ( Hospitality club ) মতন সাইটগুলো।

২. ঘর খেয়াল রাখা

বেড়াতে গিয়ে বিনামূল্যে বাসস্থানের ব্যবস্থা করার আরেকটি ভালো মাধ্যম হচ্ছে হাউজ সিটিং বা বাড়ি দেখে শুনে রাখা। এক্ষেত্রে আপনি তেমন একজন মানুষের বাড়িতে বিনামূল্যে থাকতে পারেন যে কিনা নিজে বাড়ির বাইরে যাচ্ছে আর কাউকে রাখার দরকার পড়ছে ঘরে সবকিছুর খেয়াল রাখার জন্যে। এক্ষেত্রে আপনি নিতে পারেন বেশ কিছু সাইটের সাহায্য। যেগুলো আপনাকে খুঁজে পেতে সাহায্য করবে হাউজ সিটার চাচ্ছে এমন কাউকে। আর এমন কিছু সাইট হচ্ছে- ট্রাস্টেড হাউজ সিটার ( Trusted house sitters ), মাইন্ড মাই হাউজ (Mind My House ) ও হাউজ কেয়ারারস( HouseCarers ) ।

৩. ঘর বিনিময়

অপ খরচে দেশের বাইরে কোথাও গিয়ে বেড়িয়ে আসবার আরেকটি খুব কার্যকরী উপায় হচ্ছে বাসস্থান বিনিময় করে নেওয়া। অর্থাৎ, আপনি যেমন কারো বাড়িতে থাকবেন বিদেশে গিয়ে, ঠিক সেই সময়ে ঐ বাড়ির মালিকটি আপনার বাড়িতে এসে থাকবে। এবং অবশ্যই বিনামূল্যে! এক্ষেত্রে দুজনেই লাভবান হবার সুযোগ থাকায় এ পদ্ধতিটি প্রায়শই ব্যবহার করে ভ্রমনপিপাসুরা। পরিচিত কারো সাথে বাড়ি বিনিময় হলে তো ভালোই। তবে সেটা না হলেও চিন্তার কিছু নেই। এক্ষেত্রেও আপনাকে সাহায্য করতে পারবে বেশ কিছু ওয়েবসাইট।

14
১) ম্যাককিন আইল্যান্ড, মিশিগান

এই আইল্যান্ডটিতে শুধুমাত্র একটি ইউএস স্টেট হাইওয়ে রয়েছে এবং এখানে গাড়ি চলাচল একেবারেই নিষিদ্ধ। এখানের সবচাইতে বড় টুরিস্ট আকর্ষণের স্থান লেক হুরনে দর্শনার্থী এবং যারা সেখানে থাকেন তারা পৌঁছান শুধুমাত্র বাই সাইকেল চালিয়ে কিংবা পায়ে হেঁটে অথবা ঘোড়ার গাড়িতে। খুবই আশ্চর্যজনক তাই না? কিন্তু দেখুন প্রচ্ছদের ছবিতে সকলেই কেমন খুশি মনে ঘোড়ার গাড়ি করে ঘুরে বেরাচ্ছেন।
২) ভক্তপুর, নেপাল

এই স্থানটি হচ্ছে ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট যা পনেরশ শতাব্দী পর্যন্ত নেপালের রাজধানী ছিল। এখনো এই স্থানটির পথঘাট গাড়িবিহীন এবং তারপরও আশেপাশের সকল স্থানের সাথে খুবই ভালো যোগাযোগপূর্ণ অসাধারণ সুন্দর প্রাচীন একটি শহর।
৩) ফেজ এল বালি, মরক্কো

প্রায় দেড় লাখ লোকের বসবাস এই স্থানটিতে। মরক্কো শহরের সবচাইতে প্রাচীন শহরগুলোর মধ্যে একটি এই ফেজ যা পৃথিবীর সবচাইতে বড় স্থান যেখানে গাড়ির চলাচল নেই। সমস্যা হচ্ছে এই স্থানের রাস্তাগুলো এতো বেশীই ছোট যে এখানে কোনো গাড়িই চলতে পারে না।
৪) টাইম স্কয়ার, নিউ ইয়র্ক সিটি

গত কয়েক বছর আগে নিউ ইয়র্কের টাইম স্কয়ারকে পথচারীদের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হয় এবং তাদের সুবিধার্থেই বন্ধ করে দেয়া হয় গাড়ি চলাচল। প্রতিদিন প্রায় আড়াই লাখ ভ্রমণ পিপাসু মানুষ এই স্থানে ঘুরতে এসে অবাক হয়ে যান।
৫) ইলহা গ্র্যান্ড, ব্রাজিল

প্রায় ২০০০ মানুষের বসবাস এই আইল্যান্ডে। কিন্তু একটু গ্রাম ধরণের হওয়ার কারণেই এই স্থানের মানুষের কাছে গাড়ি নেই এবং তারা নিজেরাও নিজেদের ছোট ইকোটুরিজমের কারণে পরিবেশের ক্ষতি চান না বলেই গাড়ি চলতে চান না।
৬) ভেনিস, ইতালি

সঙ্গত কারণেই ইতালির ভেনিসে গাড়ি চলে না। পুরো ভেনিস নগরীই দাড়িয়ে আছে পানির উপরে এখানে চাইলেও গাড়ি চালানো সম্ভব নয়। এটিই বিশ্বের সবচাইতে বড় শহর যেখানে চলে না কোনো ধরণের গাড়ি।

15
১. ফাস্ট ফুড

ভ্রমণের আগে ফাস্ট ফুড খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। সাধারনত বাস, ট্রেন, বিমান- সবখানেই সাধারন খাবারের চাইতে বেশি বিক্রি হয় ফাস্ট ফুড। দেখতে আর খেতে ভালো হলেও এই খাবারগুলো আপনার শরীরকে করে তোলে অনেকটাই দূর্বল। এমনিতেই ভ্রমণের সময় শরীরের খাদ্যগ্রহন প্রক্রিয়া ঠিকমতন কাজ করেনা। আর এই অতিরিক্ত পরিমাণ স্নেহ সেটাকে করো তোলে আরো অস্বাভাবিক। বিশেষ করে আকাশে ভ্রমণের সময় রক্ত চলাচলকে বাঁধা দেয় এগুলো। খাদ্যগ্রহন, পরিপাক আর রক্ত চলাচলে অসুবিধা- ভ্রমণের সময় সবকিছুতেই ঝামেলা সৃষ্টি করে ফাস্টফুড।
২. গ্যাস সৃষ্টিকারী খাবার

ভেতর থেকে সমস্যা সৃষ্টি করে, বিশেষ করে আপনার যদি গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা থাকে, এমন খাবার থেকে যতটা সম্ভব দুরত্ব বজায় রাখুন ভ্রমণের আগে। গ্যাস এমনিতে ফাস্ট ফুড আর তেলযুক্ত খাবার থেকেই তৈরি হয়। তবে ভ্রমণের সময় গ্যাসের বেলুন হয়ে না উঠতে চাইলে এগুলোর পাশাপাশি বিরত থাকুন ফুলকপি, পেঁয়াজ, বাঁধাকপিসহ আপনার গ্যাস সমস্যার সৃষ্টি করে এমন সব ধরনের খাবার থেকে। কারণ, ভ্রমণের সময় গ্যাসজনিত সমস্যা কেবল আপনারই নয়, ঝামেলা তৈরি করতে পারে অন্যদের জন্যেও।
৩. নেশাজাতীয় দ্রব্য

অনেকেই, বিশেষ করে আকাশপথে ভ্রমণকারী যাত্রীরা ভ্রমণের আগে ভয় দূর করতে অ্যালকোহল পান করে নেন। কিন্তু চিকিৎসকদের মতে, এমনিতে খুব একটা সমস্যা না হলেও রক্তে পানির পরিমাণ কম থাকলে অ্যালকোহল বিমানে ভ্রমণকারীদের জন্যে হয়ে উঠতে পারে মারাত্মক নেশার কিংবা মাথাব্যাথার। আর তাই যদি মনের ভয় দূর করতে খানিকটা অ্যালকোহল পান করতেও হয় আপনাকে, চেষ্টা করুন প্রচুর পানিও পান করতে।
৪. কার্বনেটেড খাবার ও পানীয়

ভ্রমণের আগে কার্বনেটেড পানীয়, যেমন- কোকা কোলা পান করা থেকে বিরত থাকুন। কারণ এগুলো আপনার ভেতরে অস্বস্তিসহ তৈরি করতে পারে উদ্বায়ী বায়ুরও। নিশ্চয়ই এটা ভালো লাগবেনা আপনার যে আপনার পাশের আসনের মানুষটি খানিক পরপর ঢেকুর তুলে যাচ্ছেন। আর তাই কার্বনেটেড খাবার ও পানীয় থেকে দূরে থাকুন ভ্রমণের সময়।
৫. সবকিছু

নিউ ইয়র্ক টাইমসের একটি জার্নাল অনুসারে গবেষকেরা পরামর্শ দেন ভ্রমণের, বিশেষ করে বিমান ভ্রমণের পর জেট লেগের ঝামেলা থেকে মুক্তি পেতে ভ্রমণের আগে ১৬ ঘন্টা ধরে সব ধরনের খাদ্যগ্রহন থেকে বিরত থাকতে। এতে করে জেট লেগের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে বলে ধারণা করেন তারা।
৬. আইসক্রীম এবং ফল

আইসক্রীম একবার জমাট বাঁধে, এরপর আবার খানিকটা গলে যায়, তারপর ফের জমাট বাঁধে। আপনি না খাওয়া অব্দি এটি কতবার এই প্রক্রিয়ার ভেতর দিয়ে যায় সেটা বলাটা মুশকিল। আর বারবার জমাট বাঁধার ফরে এতে থাকে অনেক বেশি ব্যাকটেরিয়া। এছাড়াও পাতলা খোসাযুক্ত ফল, যেমন- আপেল, জাম ইত্যাদিতে সহজেই ব্যাকটেরিয়া চলে আসতে পারে আর ছড়িয়ে পড়তে পারে আপনার শরীরে। তাই শক্ত খোসাযুক্ত ফল, যেমন- আম, পেঁপে, কমলা ইত্যাদি গ্রহন করুন আর আইসক্রীমকে খানিকটা কষ্ট হলেও না বলুন।

Pages: [1] 2 3 ... 5