Show Posts

This section allows you to view all posts made by this member. Note that you can only see posts made in areas you currently have access to.


Messages - yousuf miah

Pages: 1 2 3 [4] 5 6 ... 12
46
Cold / Flu / Fever virus in domestic remedy really works
« on: February 01, 2017, 01:09:48 PM »
তাপমাত্রার হঠাৎ পরিবর্তনের কারণে সিজনাল ইনফেকশন হয়। একটি সাধারণ সিজনাল ইনফেকশন হচ্ছে ভাইরাস জ্বর। অ্যান্টিবায়োটিক সেবনের পূর্বে কিছু প্রাকৃতিক উপায় ব্যবহার করে দেখতে পারেন। এই প্রাকৃতিক উপাদানগুলো সহজলভ্য এবং ভাইরাস জ্বর নিরাময়ে অনেক কার্যকরী।

১। ধনেপাতা

ধনেপাতার বীজে ভিটামিন এবং ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট থাকে যা ইমিউন সিস্টেমকে উদ্দীপিত হতে সাহায্য করে। এতে অ্যান্টিবায়োটিক যৌগ এবং ক্ষমতাশালী এসেনশিয়াল অয়েল থাকে যা ভাইরাসের ইনফেকশন দূর করতে প্রাকৃতিক প্রতিকার হিসেবে কাজ করে। একটি পাত্রে ১ গ্লাস পানি এবং ১ টেবিলচামচ ধনে বীজ নিন। এই মিশ্রণটি গরম করুন। তারপর এটিকে ঠান্ডা হতে দিন এবং ছেঁকে নিন। এবার এর মধ্যে সামান্য দুধ ও চিনি মেশান। চায়ের মত পান করুন। এই পানীয়টি ভাইরাস জ্বরের উপসর্গ কমাতে সাহায্য করে।

২। তুলসি পাতা

ভাইরাস জ্বরের উপসর্গ কমানোর জন্য সবচেয়ে কার্যকরী এবং ব্যপক ব্যবহৃত প্রাকৃতিক প্রতিকারটি হচ্ছে তুলসি পাতা। ব্যাকটেরিয়া রোধী, ছত্রাকরোধী, জীবাণুরোধী, এবং অ্যান্টিবায়োটিক উপাদান থাকায় তুলসি পাতা ভাইরাস জ্বরের শক্তিশালী প্রতিকার। এছাড়াও তুলসি পাতা আপনার ইমিউনিটির উন্নতিতে সাহায্য করে। ১ লিটার পানিতে ২০ টির মত পরিষ্কার ও তাজা তুলসি পাতা এবং আধা চামচ লবঙ্গ গুঁড়া মিশিয়ে ফুটিয়ে নিন। মিশ্রণটির পানির পরিমাণ অর্ধেকে কমে যাওয়া পর্যন্ত ফুটাতে থাকুন। প্রতি ২ ঘন্টা পর পর এই পানীয়টি পান করুন। 

৩। ভাতের মাড়

অতি প্রাচীন কাল থেকেই প্রাকৃতিকভাবে ভাইরাস জ্বর নিরাময়ের জন্য ভাতের মাড় ব্যবহার হয়ে আসছে। এই ঐতিহ্যবাহী প্রতিকারটি মূত্রবর্ধক হিসেবে কাজ করে এবং ইমিউন সিস্টেমকেও উদ্দীপিত হতে সাহায্য করে। এটি একটি পুষ্টিকর পানীয় হিসেবেও কাজ করে, বিশেষ করে ভাইরাস জ্বরে আক্রান্ত শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তিদের জন্য।  ১ কাপ চালে ১ বা আধাকাপ পানি দিয়ে তাপ দিন। চালগুলো যখন অর্ধেক রান্না হবে তখন পানিটুকু ছেঁকে নিন। এবার এই তরলের সাথে ১ চিমটি লবণ মিশিয়ে উষ্ণ থাকা অবস্থায় পান করুন ভাইরাস জ্বরের উপসর্গ কমাতে।

৪। শুষ্ক আদার মিশ্রণ

স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী আদা। এতে অ্যান্টি ইনফ্লামেটরি, অ্যান্টি অক্সিডেন্ট এবং ব্যথানাশক উপাদান থাকে যা ভাইরাস জ্বরের উপসর্গ কমাতে সাহায্য করে। ভাইরাস জ্বরে আক্রান্তদের শুকনো আদার সাথে মধু মিশিয়ে খেতে পরামর্শ দেয়া হয়।  ১ কাপ পানিতে ২ টুকরো শুকনো আদা দিয়ে ফুটিয়ে নিন।

৫। মেথির পানি

ঔষধি যৌগ যেমন ডাইওসজেনিন, স্যাপোনিন এবং অ্যাল্কালয়েড থাকে মেথিতে। এছাড়াও ভাইরাস সংক্রমণের সাথে সম্পর্কিত উপসর্গ এবং জ্বর কমাতে সাহায্য করে মেথিতে থাকা বিভিন্ন ধরনের যৌগ। ১ টেবিলচামচ মেথিবীজ আধাকাপ পানিতে ভিজিয়ে রাখুন সারারাত। সকালে দ্রবণটি ছেঁকে নিয়ে কিছুক্ষণ পর পর পান করুন। মেথি বীজের গুঁড়াও খেতে পারেন।

 সূত্র:  দ্যা হেলথ সাইট

47
Namaj/Salat / Physical Benefits of Prayer
« on: January 16, 2017, 09:41:20 AM »
নামাজ ফরজ ইবাদাত। আল্লাহ তাআলা প্রতিদিন সব মুসলমানের জন্য পাঁচ ওয়াক্ত নামাজকে ফরজ করেছেন। এ নামাজ পরকালের মুক্তি লাভের অন্যতম মাধ্যম। কারণ পরকালে সর্বপ্রথম নামাজের হিসাব গ্রহণ করা হবে। যে ব্যক্তি নামাজের হিসাব সুন্দরভাবে দিতে পারবে, তার পরবর্তী হিসাব সহজ হয়ে যাবে।

আবার নামাজ দুনিয়ায় সব ধরনের অশ্লীল ও অন্যায় কাজ থেকে বিরত রাখে। শুধু তাই নয়, নামাজের মাধ্যমে নামাজি ব্যক্তি অনেক শারীরিক উপকার লাভ করে। যার কিছু তুলে ধরা হলো-

দাঁড়ানো
মানুষ যখন নামাজে দাঁড়ায়; তখন সব চোখ সিজদার স্থানে স্থির থাকে। ফলে মানুষের একাগ্রতা ও মনোযোগ বৃদ্ধি পায়।

রুকু
নামাজি ব্যক্তি যখন রুকু করে এবং রুকু থেকে ওঠে সোজা হয়ে দাঁড়ায় তখন মানুষের কোমর ও হাঁটুর ভারসাম্য রক্ষা হয়। রক্ত চলাচল বৃদ্ধি পায়। ফলে কোমর ও হাটু ব্যাথা উপশম হয়।

সিজদা
নামাজে যখন সিজদা করা হয় তখন নামাজি ব্যক্তির মস্তিস্কে দ্রুত রক্ত প্রবাহিত হয়। ফলে তার স্মৃতি শক্তি বহুগুণে বৃদ্ধি পায়। আবার সিজদা থেকে ওঠে যখন দুই সিজদার মাঝখানে বসে এতে তার পায়ের উরু ও হাঁট সংকোচন এবং প্রসরণ ঘটে। এতে করে মানুষের হাঁটু ও কোমরের ব্যথা উপশম হয়।

ওঠা বসা
নামাজের সময় নামাজি ব্যক্তিকে দাঁড়ানো, রুকুতে যাওয়া, রুকু থেকে ওঠে সোজা হয়ে স্থির দাঁড়ানো, আবার সিজদায় যাওয়া, সিজদা থেকে ওঠে স্থিরভাবে বসা, আবার সিজদা দিয়ে দাঁড়ানো বা বসা। এ সবই মানুষের শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যায়াম। এতে মানুষের শারীরিক বহুবিদ উপকার সাধিত হয়।

মানসিকতার পরিবর্তন
নামাজের মাধ্যমে মানুষের মন ও মানসিকতায় অসাধারণ পরিবর্তন আসে। গোনাহ, ভয়, নীচুতা, হতাশা, অস্থিরতা, পেরেশানি ইত্যাদি দূরভীত হয়। ফলে বিশুদ্ধ মন নিয়ে সব কাজে সম্পৃক্ত হওয়া যায়।

দেহের কাঠামোগত উন্নতি
নামাজ মানুষের দেহের কাঠামোগত ভারসাম্যতা বজায় রাখে। ফলে স্থুলতা ও বিকলঙ্গতা হার কমে যায়। মানুষ যখন নামাজে নড়াচড়া করে তখন অঙ্গগুলো স্থানভেদে সংবর্ধিত, সংকুচিত হয়ে বিশেষ কাজ করে থাকে। অঙ্গ ও জোড়াগুলোর বর্ধন ও উন্নতি এবং শক্তি বৃদ্ধি পায়।

পরিচ্ছন্ন রাখে
নামাজের জন্য মানুষকে প্রতিদিন পাঁচবার অজু করতে হয়। আর এতে মানুষের ত্বক পরিষ্কার থাকে। ওজুর সময় মানুষের দেহের মূল্যবান অংশগুলো পরিষ্কার হয় য দ্বারা বিভিন্ন প্রকার জীবানু হতে মানুষ সুরক্ষিত থাকি।

চেহারার লাবন্যতা বৃদ্ধি
নামাজের জন্য মানুষ যতবার অজু করে, ততবারই মানুষের মুখমণ্ডল ম্যাসেস হয়ে থাকে। যাতে মুখমণ্ডলে রক্ত প্রবাহ বৃদ্ধি পায়। ফলে মানুষের চেহারার লাবন্যতা বৃদ্ধি পায়, মুখের বলিরেখা ও মুখের দাগ কমে যায়।

বিশেষ করে…
নামাজ মানুষের মানসিক, স্নায়ুবিক, মনস্তাত্ত্বিক, অস্থিরতা, হতাশা-দুশ্চিন্তা, হার্ট অ্যাটাক, হাড়ের জোড়ার ব্যাথা, ইউরিক এসিড থেকে সৃষ্ট রোগ, পাকস্থলীর আলসার, প্যারালাইসিস, ডায়াবেটিস মেলিটাস,  চোখ এবং গলা ইত্যাদি রোগ প্রতিরোধে সহায়ক।

হার্টের রোগীদের প্রতিদিন বাধ্যতামূলকভাবে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা উচিত,নামাজ মানুষকে সব সময় সতেজ রাখে, অলসতা এবং অবসাদগ্রস্ততাকে শরীরে বাড়তে দেয় না।

পৃথিবীর অন্যান্য ধর্মের মধ্যে নামাজের মতো এমন সামগ্রিক ইবাদত আর নেই। নামাজির জন্য এটা একটা বিশেষ বৈশিষ্ট্য যে, এটা একান্তই সামগ্রিক ব্যায়াম। যার প্রভাব মানুষের সব অঙ্গগুলোতে পড়ে এবং মানুষের প্রতিটি অঙ্গ নড়াচড়ার ফলে শক্তি সৃষ্টি হয় এবং সুস্বাস্থ্য অটুট থাকে।

পরিশেষে...
নামাজের উপকারিতায় আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘নিশ্চয় নামাজ অশ্লীল ও অন্যায় কাজ থেকে বিরত রাখে।’ শুধু তাই নয়, নামাজ মানুষের শারীরিক, মানসিক ও আত্মিক পবিত্রতা সাধনের অনন্য হাতিয়ার।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে সময়মতো নামাজ আদায় করার তাওফিক দান করুন। নামাজ আদায়ের মাধ্যমে শারীরিক, মানসিক ও আত্মিক উপকারিতা লাভের তাওফিক দান করুন। আমিন।
Jago News

48
শুক্রবার মুসলিম উম্মাহর সাপ্তাহিক উৎসবের দিন। আর যাদের সম্পদ নেই অর্থাৎ গরিবদের জন্য হজের দিন। জুমার নামাজের
ম্মানে এই দিনকে ‘ইয়াওমুল জুমা’বলা হয়। মহান আল্লাহ তায়ালা নভোমণ্ডল, ভূমণ্ডল ও গোটা জগতকে ছয় দিনে সৃষ্টি করেছেন।

এই ছয় দিনের শেষ দিন ছিল জুমার দিন। এই দিনেই হজরত আদম (আ.)কেও সৃষ্টি করা হন। এ দিনেই তাকে জান্নাতে প্রবেশ

করানো হয় এবং এ দিনেই তাকে জান্নাত থেকে পৃথিবীতে নামিয়ে দেয়া হয়। সপ্তাহের গুরুত্বপূর্ণ এই জুমার দিনে মসজিদে গিয়ে চার রাকাত নফল নামাজ পড়া মুস্তাহাব।

রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, জুমার দিনে মসজিদে – গিয়ে চার রাকাত নফল নামাজ পড়লে ওই নামাজির জান, মাল, সন্তান, পরিজন এবং

দুনিয়া ও আখিরাতের সম্পদ আল্লাহ তাআলা অনিষ্ট থেকে রক্ষা করবেন। কেয়ামত এ দিনেই সংঘটিত হবে। আল্লাহ তায়ালা প্রতি

সপ্তাহে মানবজাতির সমাবেশ ও ঈদের জন্য এ দিন নির্ধারণ করেছিলেন। কিন্তু পূর্ববর্তী উম্মতরা তা পালন করতে ব্যর্থ হয়। ইসলামের

জুমার গুরুত্ব অপরিসীম। স্বয়ং আল্লাহপাক কোরান পাকে ইরশাদ করেন ‘হে মুমিনগণ জুমার দিনে যখন নামাজের আজান দেয়া হয়,

তখন তোমরা আল্লাহর স্মরণের উদ্দেশেও দ্রুত ধাবিত হও এবং ক্রয়-বিক্রয় ত্যাগ কর’। (সূরা জুমা, আয়াত নং-৯) তাই জুমার

আজানের আগেই সব কর্মব্যস্ততা ত্যাগ করে জুমার নামাজের জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করে মসজিদে গমন করা সব মুসলমানের ইমানি দায়িত্ব।

এ দিনে এমন একটি সময় রয়েছে, তখন মানুষ যে দোয়াই করে তা-ই কবুল হয়। এই দিনের বিশেষ কিছু আমল রয়েছে, যা হাদিস দ্বারা প্রমাণিত।

জুমার রাত (বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত) ও জুমার দিনে নবী করিম (সা.) এর প্রতি বেশি বেশি দরুদ পাঠের কথা বলা হয়েছে।

এমনিতেই যে কোনো সময়ে একবার দরুদ শরিফ পাঠ করলে আল্লাহ তায়ালা পাঠকারীকে দশটা রহমত দান করেন এবং

ফেরেশতারা তার জন্য দশবার রহমতের দোয়া করেন।


Jana ojana News

49
Bones / A long time, Sedentary risk
« on: January 09, 2017, 09:59:48 AM »
জীবন-জীবিকার প্রয়োজনে আমাদের অফিস বা ব্যবসা ক্ষেত্রে দীর্ঘক্ষণ চেয়ারে বসে থাকতে হয়। এই চেয়ারে বসে থাকার ফলে আমাদের ভুগতে হয় নানা সমস্যায়। তার মধ্যে সবচেয়ে ক্ষতিকর ও দীর্ঘমেয়াদি সমস্যা হলো কোমর ও ঘাড়ে ব্যথা।

ডেস্ক জব করেন, কিন্তু কোমর বা ঘাড়ে ব্যথা হয়নি এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। অনেকের জন্য এটা একটা অভিশাপের মতো দেখা দেয়, কারণ এই সমস্যার জন্য অনেকে পেশা পরিবর্তন করতেও বাধ্য হন।

আজ আমরা আলোচনা করব, এই ধরনের বসে থাকার জন্য যে কোমর বা ঘাড়ে ব্যথা হয়, তার কারণ ও প্রতিকার নিয়ে।

স্বাভাবিক ভাবেই চেয়ারে বসার সময় আমরা কিছুটা সামনের দিকে ঝুঁকে বসি। আমাদের কোমরের যে মেরুদণ্ড আছে, তা কিন্তু সরল রেখার মতো সমান বা সোজা নয়। মেরুদণ্ড অনেকগুলো ছোট হাড়ের সমন্বয়ে তৈরি। এই হাড়গুলোর মাঝখানে আবার রয়েছে নরম জেলির মতো ডিস্ক যা হাড়ের মধ্যে ঝাঁকুনি প্রতিহত করে ও পুরো মেরুদণ্ডকে ফ্লেক্সিবল করে।

আমরা যখন দীর্ঘক্ষণ সামনের দিকে ঝুঁকে বসে থাকি, তখন আমাদের মেরুদণ্ডের এই ডিস্কগুলোতে অনেক চাপ পড়ে, সেই সাথে চাপ পড়ে মেরুদণ্ডের আসেপাশের মাংসপেশি ও লিগামেন্টের ওপর। ডিস্কগুলো যেহেতু নরম, তারা এই অস্বাভাবিক চাপের দরুন আস্তে আস্তে স্ফিত হয়ে মেরুদণ্ডের ভেতর থেকে শরীরের বিভিন্ন নার্ভের ওপর চাপ দেয়। আর এজন্য আমরা ব্যথা অনুভব করি। এই চাপের তারতম্য বা তীব্রতার ওপর ব্যথার ধরণ নির্ভর করে। চাপ যত বেশি হবে, ব্যথার তীব্রতাও বেশি হবে, সেই সাথে কোমর থেকে ব্যথা ছড়িয়ে পড়বে। অনেক সময় এই ব্যথা পায়েও অনুভূত হতে পারে।

উন্নত দেশগুলোতে প্রতিষ্ঠান তার কর্মীদের এ ধরনের সমস্যা থেকে রক্ষা করার জন্য বিশেষ অ্যাডজাস্টেবল চেয়ারের ব্যবস্থা করে থাকে, যা মেরুদণ্ডের আকৃতি ঠিক রেখে বসতে সাহায্য করে। তবে বাংলাদেশে কোনো প্রতিষ্ঠানে এখনো এ চেয়ার ব্যবহার করা হয় না।

আশার কথা হচ্ছে, সাধারণ চেয়ারে কিছু বিশেষ ধরনের কুশন ব্যবহার করে মেরুদণ্ডকে সোজা রেখে কোমর ও ঘাড় ব্যথা থেকে রক্ষা পাওয়া যেতে পারে।

যারা কোমর অথবা ঘাড়ে ব্যথায় ভুগছেন, তাদের জন্য পরামর্শ হচ্ছে, কোনোভাবেই সামনে ঝুঁকে বসা যাবে না। কাজের চাপে আমাদের মনে থাকে না সোজা হয়ে বসার কথা। এজন্য আমরা একটি বিশেষ কুশন চেয়ারের সাথে ব্যবহার করতে পারি। এগুলোকে বলা হয় লাম্বার রোল। এই লাম্বার রোল ব্যবহার করলে আমাদের কোমর সোজা থাকবে।

২-৩ ঘণ্টা বসে কাজ করার পর ১০-১৫ মিনিটের জন্য হালকা হাঁটা চলা করে নিন। ব্যথা বেশি হলে অবশ্যই আপনাকে ফিজিওথেরাপিস্টের পরামর্শ নিতে হবে। তিনি থেরাপিউটিক এক্সারসাইজ (সাধারণ এক্সারসাইজ নয়) দেবেন, যাতে আপনার মেরুদণ্ডের ডিস্কগুলো আগের জায়গায় ফিরে আসে।

শেষ কথা হচ্ছে, বেশিদিন কর্মক্ষম থাকতে হলে আমাদের অবশ্যই সামনে ঝুঁকে বসে কাজ করা থেকে বিরত থাকতে হবে। সব সময় কোমরের স্বাভাবিক বক্রতা বজায় রেখে বসতে হবে। প্রয়োজনে লাম্বার রোল ব্যবহার করতে হবে যাতে ব্যথার উৎপত্তিই না হয়।

বন্ধুরা এটা পড়ার পরেও কি এখনো আমরা ডেস্কে সামনের দিকে ঝুঁকে বসে আছি?

 লাইফস্টাইল ডেস্ক
| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

50
Fruit / For that reason, so in the winter to eat dates
« on: January 08, 2017, 09:42:55 AM »
আমারা সাধারণত মনে করি মিষ্টি যেকোন খাবার স্বাস্থ্যকর নয়। কিন্তু খেজুর এমন একটি শুকনো, মিষ্টি ফল যা আসলেই স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। খেজুরের স্বাস্থ্য উপকারিতা প্রচুর বলে খেজুর খাওয়া ভালো, বিশেষ করে শীতের দিনে। খেজুরে  অত্যাবশ্যকীয় পুষ্টি উপাদান যেমন- ভিটামিন, ক্যালসিয়াম, আয়রন, পটাসিয়াম, ন্যাচারাল গ্লুকোজ এবং ফাইবার থাকে যা শরীরকে উষ্ণ রাখার জন্য প্রয়োজনীয়। খেজুর খেলে প্রচুর শক্তি পাওয়া যায় বলে মুসলিম সম্প্রদায় ইফতারের সময় খেজুর খায়। শীতের সময়েও কেন খেজুর খাবেন সে কারণগুলো জেনে নিই চলুন।

১। উষ্ণতা প্রদান করে
খেজুর ক্যালসিয়াম, আয়রন, ফাইবার, ভিটামিন ও ম্যাগনেসিয়ামের চমৎকার উৎস। এটি শরীরকে উষ্ণ থাকতে সাহায্য করে বলে শীতের সময়ে খেজুর খাওয়ার পরামর্শ দেয়া হয়।

২। ঠান্ডা নিরাময়ে সাহায্য করে
যদি আপনি ঠান্ডার সমস্যায় ভোগেন তাহলে ২-৩ টি খেজুর, কয়েকটি গোলমরিচ এবং ১-২ টি এলাচ পানিতে দিয়ে সিদ্ধ হতে দিন। ঘুমাতে যাওয়ার আগে এই দ্রবণটি পান করুন। এটি ঠান্ডা নিরাময়ে সাহায্য করবে।

৩। অ্যাজমা ভালো করে
অ্যাজমা এমন একটি স্বাস্থ্য সমস্যা যা শীতের সময়ে বৃদ্ধি পায়। প্রতিদিন সকালে ও সন্ধ্যায় ১-২ টি খেজুর খেলে অ্যাজমা সমস্যা বৃদ্ধি পায় না।

৪। শক্তি বৃদ্ধি করে
 খেজুরে প্রাকৃতিক চিনি থাকে বলে তাৎক্ষণিকভাবে পেতে সাহায্য করে। যখনই আপনার শক্তি বৃদ্ধি করার প্রয়োজন হবে তখনই কয়েকটি খেজুর খেয়ে নিতে পারেন।

৫। কোষ্ঠকাঠিন্য
খেজুর ফাইবারে সমৃদ্ধ। একগ্লাস পানিতে কয়েকটি খেজুর ভিজিয়ে রাখুন সারারাত। সকালে ভেজানো খেজুরগুলোকে পিষে নিন এবং এই সিরাপটি খালি পেটে পান করুন। এটি কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করবে।

৬। হৃদপিন্ডের জন্য ভালো
খেজুর ফাইবারে সমৃদ্ধ বলে হৃদপিন্ডকে সুস্থ থাকতে সাহায্য করে। এটি হৃদস্পন্দন নিয়ন্ত্রণে থাকতে সাহায্য করে বলে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি প্রতিরোধ হয়, বিশেষ করে শীতের সময়ে।

৭। আরথ্রাইটিসের জন্য ভালো
খেজুরে প্রদাহরোধী উপাদান আছে। এজন্য খেজুর খেলে আরথ্রাইটিসের ব্যথা কমে যা শীতের সময়ে খুব সাধারণ একটি বিষয়। তাই প্রতিদিন কয়েকটি খেজুর খেতে পারেন।

৮। ব্লাড প্রেশার কমায়
খেজুর ম্যাগনেসিয়াম ও পটাসিয়াম সমৃদ্ধ, এই দুটি উপাদান রক্তচাপ কমতে সাহায্য করে। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে প্রতিদিন ৫-৬টি খেজুর খেতে পারেন।

সূত্র : বোল্ডস্কাই

51
Appendix / How to understand the pain ayapendisaitisera
« on: December 28, 2016, 02:37:01 PM »
সাধারণ পেটে ব্যথা এবং অ্যাপেন্ডিসাইটিসের ব্যথার পার্থক্য জানা আছে আপনার? পার্থক্যটা না বুঝলে আপনার এখনই হাসপাতালে যাওয়া উচিত কিনা সে বিষয়টি নির্ধারণ করা বেশ কঠিন। অ্যাপেন্ডিসাইটিসের ব্যথা হঠাৎ করেই শুরু হয় বলে এর উপসর্গ সম্পর্কে জানা প্রয়োজন। চলুন তাহলে জেনে নিই অ্যাপেন্ডিসাইটিসের ব্যথার উপসর্গগুলোর বিষয়ে।

পেটের নীচের অংশে বৃহদান্ত্র এর সাথে সংযুক্ত থলির মত ছোট অঙ্গকে অ্যাপেন্ডিক্স বলে। যখন অ্যাপেন্ডিক্স ফুলে যায় ও উদ্দীপ্ত হয় এবং এর ভেতরে পুঁজ জমে তখন প্রচন্ড ব্যথার সৃষ্টি হয়। একেই অ্যাপেন্ডিসাইটিস বলে।

অ্যাপেন্ডিসাইটিসের ব্যথা শুরু হয় নাভির চারপাশ থেকে। সময়ের সাথে সাথে এই ব্যথা বৃদ্ধি পেতে থাকে এবং তা তলপেটের ডান পাশে ছড়িয়ে যায়। প্রথম লক্ষণ দেখা যাওয়ার ১২-১৮ ঘন্টার মধ্যে তীব্র ব্যথা হতে দেখা যায়। এর পরে পরিস্থিতি মারাত্মক আকার ধারণ করে।

যেকোন বয়সের যেকোন মানুষ যেকোন সময়ে অ্যাপেন্ডিসাইটিসের ব্যথায় আক্রান্ত হতে পারে। যদিও ১০-১৩ বছর বয়সের মানুষদেরই অ্যাপেন্ডিসাইটিসের ব্যথা হতে দেখা যায় বেশি।

অ্যাপেন্ডিসাইটিসের লক্ষণ খুব অল্প সময়ে নির্ণয় করাটা গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এর চিকিৎসা পদ্ধতি বেশ জটিল বিশেষ করে শিশু এবং বয়স্কদের ক্ষেত্রে। বিভিন্ন ব্যক্তির ক্ষেত্রে লক্ষণের বিভিন্নতা লক্ষ্য করা যায়।

অ্যাপেন্ডিসাইটিসের সবচেয়ে সাধারণ লক্ষণগুলো হচ্ছে :

১। নাভির চারপাশে ব্যথা শুরু হয় এবং সময়ের সাথে সাথে তা অন্যত্র অর্থাৎ তলপেটে স্থানান্তরিত হয়।

২। পেটের ডানপাশে অথবা পেছনে তীব্র ব্যথা হয়।

৩। ওই স্থানে চাপ দিলে অসহ্য ব্যথা হয়।

৪। শরীর ঠান্ডা হয়ে যায়।

৫। কোষ্ঠকাঠিন্য বা ডায়রিয়া দেখা দিতে পারে।

৬। সময়ের সাথে সাথে জ্বরের তীব্রতা বৃদ্ধি পায়।

৭। ক্ষুধামন্দা দেখা দিতে পারে।

৮। কাঁপুনি দেখা দিতে পারে।

৯। বমি বমি ভাব থাকে এবং বমি হয়।

অ্যাপেন্ডিসাইটিস হওয়ার কারণ :

বিভিন্ন কারণে হতে পারে অ্যাপেন্ডিসাইটিস, সবচেয়ে সাধারণ কারণটি হচ্ছে অ্যাপেন্ডিক্সের মধ্যে কোন বাঁধার সৃষ্টি হলে। এটা হতে পারে খাবার বা মলের কারণে অথবা সংক্রমণের কারণে। গ্যাস্ট্রোইন্টেস্টাইনাল সংক্রমণের কারণেও হতে পারে অ্যাপেন্ডিসাইটিস।

ব্যাকটেরিয়া খুব দ্রুত সংখ্যা বৃদ্ধি করতে পারে, যার কারণে পুঁজের মত সংক্রামক বস্তু বা তরল অ্যাপেন্ডিক্সকে পরিপূর্ণ করে তোলে। এর ফলে এপেন্ডিক্সে প্রদাহ সৃষ্টি হয় এবং ফেটে যাওয়ার সম্ভাবনাও থাকে।

যদি অ্যাপেন্ডিক্স বার্স্ট হয়ে যায় তাহলে এর ভেতরের সংক্রমিত পদার্থ পেটের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। এর  ফলে পেরিটোনাইটিস হয়, যার কারণে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। জটিলতা এড়ানোর জন্য অপারেশনের মাধ্যমে এপেন্ডিক্স সরিয়ে ফেলাই হচ্ছে সবচেয়ে কার্যকরী চিকিৎসা।

যদি আপনার নাভির চারপাশে ব্যথা হয় এবং আস্তে আস্তে এই ব্যথা পেটের ডানপাশে ও পেছনে ছড়িয়ে যায় এবং ওই স্থানে চাপ দিলে তীব্র ব্যথা হয় তাহলে আপনার অ্যাপেন্ডিসাইটিসের ব্যথা হচ্ছে বুঝতে হবে। এগুলোর পাশাপাশি তীব্র জ্বর আসলে, বমি বা ডায়রিয়ার সাথে রক্ত গেলে, পেটে শক্ত অনুভব হলে, বুকে বা ঘাড়ে ব্যথা হলে, প্রস্রাবের সময় ব্যথা হলে এবং মাথা ঘোরার অনুভুতি হলে নিশ্চিতভাবেই বলা যায় যে আপনার অ্যাপেন্ডিসাইটিসের ব্যথা শুরু হয়েছে। এধরণের উপসর্গ দেখা যাওয়ার সাথে সাথে দ্রুত এবং জরুরী ভিত্তিতে হাসপাতালে যেতে হবে। অ্যাপেন্ডিসাইটিস প্রতিরোধ করা অসম্ভব। তাই উপসর্গ দেখা দিলে জটিলতা কমানোর জন্য চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়াই সবচেয়ে ভালো। 

তথ্যসূত্র :   স্টেপ টু হেলথ
[/font][/size]

52
শিরোনাম দেখে আপনি হয়তো ভাবছেন আমরা ব্রোকলি বা পালং শাকের কথা বলছি। কিন্তু না রোগের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার সবচেয়ে বড় যোদ্ধা হচ্ছে বাদাম। হ্যাঁ মুখরোচক এই স্ন্যাক্সটিই আপনার জীবন বাঁচাতে পারে।   

বিএমসি মেডিসিন নামক সাময়িকীতে প্রকাশিত নতুন এই গবেষণায় জানা যায় যে, যারা প্রতিদিন অন্তত একমুঠো বাদাম খান তাদের হৃদরোগ ও ক্যান্সারের মত মারাত্মক রোগ এবং অন্যান্য রোগ হওয়ার ঝুঁকি কমে। নরওয়ের অসলো এর বিজরকনেস বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক এবং লন্ডনের ইম্পেরিয়াল কলেজের পোষ্ট ডক্টোরাল রিসার্চ ফেলো ও গবেষণার সহ লেখক ড্যাগফিন অনি বলেন, ‘বাদামে উচ্চমাত্রার প্রোটিন, ফাইবার, পলিআনস্যচুরেটেড এবং মনোআনস্যাচুরেটেড ফ্যাট এর পাশাপাশি ভিটামিন এবং মিনারেলও থাকে’। তিনি বলেন, ‘আখরোটের মত কিছু বাদাম ও সূর্যমুখীর বীজে উচ্চমাত্রার অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ফাইটোকেমিক্যাল থাকে’।

গবেষণাটি লন্ডনের ইম্পেরিয়াল কলেজ এবং নরওয়েজিয়ান ইউনিভার্সিটি অফ সাইন্স এন্ড টেকনোলজির দ্বারা পরিচালিত হয়। তারা বাদাম এবং রোগের ঝুঁকির সম্পর্ক নিয়ে গবেষণার জন্য ২৯ টি গবেষণার তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখেন যাতে সারাবিশ্বের ৮,১৫,০০০ জনের বেশি লোক অংশগ্রহণ করে। ফলাফলে দেখানো হয় যে, দিনে গড়ে একমুঠো বা ২০ গ্রাম বাদাম খেলে করোনারি হার্ট ডিজিজ হওয়ার ঝুকি ৩০ শতাংশ, ডায়াবেটিসের ঝুঁকি ৪০ শতাংশের কাছাকাছি, ক্যান্সারের ঝুঁকি ১৫ শতাংশ এবং অন্য কারণে অকাল মৃত্যুর ঝুঁকি ২২ শতাংশ কমে। 

যদিও গবেষণাটিতে বাদামের কোন নির্দিষ্ট প্রজাতির সাথে ক্যান্সার বা অন্যান্য রোগের ঝুঁকি কমার সরাসরি সম্পর্ক আছে বলে দেখা যায়নি। গবেষকেরা পর্যবেক্ষণ করেছেন যে, চিনা বাদাম স্ট্রোকের ঝুঁকি কমার সাথে সম্পর্কিত এবং গাছ বাদাম (কাজু বাদাম, পেস্তা বাদাম, আখরোট ইত্যাদি) ক্যান্সারের ঝুঁকি কমার সাথে গভীরভাবে সম্পর্কিত।

ডা. অনি বলেন, করোনারি হার্ট ডিজিজ, কার্ডিওভাস্কুলার ডিজিজ, ক্যান্সারে মৃত্যু হার, শ্বসনতন্ত্রের রোগ, ডায়াবেটিস, সংক্রমণ এবং অন্যান্য রোগের ঝুঁকি কমেছিল বলে দেখা গেছে। 

এটি জানার পরেও কী আপনি অনেক বেশি বাদাম খাওয়ার বিষয়ে উৎসাহিত হবেন না? গবেষকেরা আরো দেখতে পান যে, ৪.৫ মিলিয়ন অকাল মৃত্যুকে প্রতিহত করা যেত যদি ঐ মানুষগুলো দৈনিক ২০ গ্রাম বাদাম খেত। যদি আপনি ওজন কমানোর চেষ্টায় থাকেন এবং স্ন্যাক্স হিসেবে বাদাম খান তাহলে চিন্তা করবেন না। ডা. অনি বলেন, ‘যদিও মনে করা হয় যে স্থূলতা এবং ওজন বৃদ্ধিতে বাদামের অবদান আছে, কিন্তু বেশীর ভাগ গবেষণাতেই দেখা গেছে উভয়ের মধ্যে কোন সম্পর্ক নেই’। তাই বাদামকে এড়িয়ে চলার কোন কারণ নেই। বরং বাদাম খাওয়ার অনেক কারণ আছে। 

পরিশেষে ডা. অনি বলেন, ‘যদি আপনার বাদামের অ্যালার্জি না থাকে তাহলে বাদাম খান’।

তথ্যসূত্র : The best disease fighter is already in your pantry 

53
Namaj/Salat / Prayer is important to abstain from work
« on: October 15, 2016, 09:15:58 AM »
নামাজ মুমিনের জন্য মিরাজস্বরূপ। নামাজের মাধ্যমে মানুষ দৈনিক পাঁচবার আল্লাহ তাআলার দরবারে উপস্থিত হন। এ নামাজে মানুষ না জানার কারণে অথবা অনেকে মনের ভুলে এমন অনেক কাজ করে থাকেন, যা থেকে বিরত থাকা জরুরি। নামাজে মুসল্লির বিরত থাকার কিছু ‍বিষয় তুলে ধরা হলো-

১. নামাজি ব্যক্তির জন্য এদিক-ওদিক তাকানো নিষেধ। তবে বিপদ বা প্রয়োজনে তাকানো যাবে।
২. নামাজ পড়ার সময় দুই চোখ বন্ধ করা ও মখু মণ্ডল ঢেকে রাখা যাবে না।
৩. দুই পায়ের পাতা খাড়া করে উরুর ওপর ভর দিয়ে বসা যাবে না। যা দেখতে অনেকটা কুকুরের বসার মতো দেখা যায়।
৪. প্রয়োজন ছাড়া নামাজে নড়াচড়া ও অনর্থক কাজ করা যাবে না।
৫. কোমরে হাত রাখা বা কোমরে ভর দেয়া যাবে না।
৫. যে জিনিস দৃষ্টিতে আসলে নামাজের বিঘ্ন ঘটে বা অন্যমনষ্ক করে দেয়; নামাজে এমন জিনিসের দিকে দৃষ্টি দেয়া যাবে না।
৬. নামাজে সিজদার সময় উভয় হাতকে বিছিয়ে দেয়া যাবে না। অর্থাৎ হাতের তালু থেকে শুরু করে কনুই পর্যন্ত বিছিয়ে সিজদা করা যাবে না।
৭. পেশাব বা পায়খানার বেগ রেখে কিংবা হাওয়া আটকিয়ে রেখে নামাজ আদায় করা যাবে না।
বিশেষ করে নামাজের সময় যদি কারো পেশাব, পায়খানা বা হাওয়া বের হওয়ার বেগ হয়; তাদের জন্য আবশ্যক কর্তব্য হলো অজু নষ্ট করে পেশাব, পায়খানা বা হাওয়া ত্যাগ করে তারপর নতুন করে অজু করে নামাজ আদায় করা। যদি পানি পাওয়া না যায় তবে তায়াম্মুম করে নামাজ আদায় করা। এটাই নামাজ আদায়ের উত্তম পন্থা।
৮. নামাজের পূর্ব মূহুর্তে খানা হাজির হলে,খাওয়ার ইচ্ছা থাকলে এবং নামাজের পূর্বে খাবার খেয়ে নেয়ার সুযোগ থাকলে তা খেয়ে নামাজ আদায় করা।
৯. লুঙ্গি, পায়জামা অথবা প্যান্ট ইত্যাদি টাখনুর নিচে ঝুলিয়ে রেখে নামাজ আদায় করা যাবে না।
১০. মখুমণ্ডল বা নাক ঢেকে রাখা যাবে না। অনুরূপভাবে চুল বা কাপড় জমা করে রাখা যাবে না।
১১. ইচ্ছাকৃতভাবে নামাজে হাই উঠানো যাবে না।
১২. নামাজের সময় মসজিদে থুথু ফেলা অন্যায় কাজ। তাই এ রকম করা যাবে না।
১৩. নামাজরত অবস্থায় কিবলার দিকে থুথু ফেলা যাবে না। নামাজের বাইরেও ইহা নাজায়েজ।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে নামাজ আদায়ের সময় এ বিষয়গুলোর প্রতি যথাযথভাবে খেয়াল রাখার তাওফিক দান করুন। আমিন।

54
Pain / Shoulder and neck pain will go away
« on: September 01, 2016, 10:13:37 AM »
সঠিক ভঙ্গিতে না বসে ল্যাপটপ বা কম্পিউটারে বেশিক্ষণ কাজ করলে কাঁধ ও ঘাড়ে ব্যথা শুরু হতে পারে। এবং এর ফলে কাজে মন বসানো যায় না। বেশিক্ষণ মোবাইল নিয়ে ব্যস্ত থাকলেও কাঁধ, ঘাড়ের ব্যথার সমস্যায় পড়া লাগতে পারে।

 

এ ছাড়া গলব্লাডারে কোনো সমস্যা, লিভার বা হৃদপিণ্ডে কোনো গন্ডগোল হলে তার প্রভাব পড়তে পারে কাঁধ বা ঘাড়ে। পুরনো কোনো ব্যথা, স্পন্ডিলাইটিস অথবা ঘুমের সময়ে ঠিকভাবে না শুয়ে থাকলেও এমনটা হতে পারে। আপনার ঘাড়ে বা কাঁধে কী ধরনের ব্যথা হচ্ছে, তা কী সাময়িক নাকি ক্রনিক ব্যথায় কষ্ট পাচ্ছেন সেটা বুঝে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

 

তবে আপনার কাঁধ বা ঘাড়ে ব্যথা যদি সহ্যের মধ্যে থাকে, তাহলে এই অস্বস্তিকর ব্যথা পুরোপুরি দূর করতে কিছু ঘরোয়া উপায় জেনে রাখুন।

 

* ঠান্ডা প্রলেপ : বরফের টুকরো গ্লাসে বা প্যাকেটে ভরে ব্যথা জায়গায় দিতে পারেন। এতে কিছুক্ষণের জন্য ব্যথা বোধ অনুভূত হবে না। এভাবে আস্তে আস্তে ব্যথা কমবে।

 

* লবণ পানিতে গোসল : হালকা গরম পানিতে একটু এপসম লবণ মিশিয়ে গোসল করতে পারেন। এতে রক্ত সঞ্চালন ভালো হবে। এবং ক্লান্ত মাংসপেশি আরাম পাবে।

 

* গরম ভাপ : শুধু কাঁধ-ঘাড়ে ব্যথার জন্যই নয়, যেকোনো জায়গার ব্যথা কমাতেই এটি অব্যর্থ। হট ওয়াটার ব্যাগে গরম পানি ভরে ব্যথা জায়গায় চেপে রাখুন।

 

* হলুদ : নারকেল তেলে হলুদ মিশিয়ে সেই প্রলেপ ব্যথা জায়গায় লাগান।

 

* আদা চা : আদায় এমন উপাদান রয়েছে যা শরীরে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করে। যার ফলে ব্যথা সেরে যায়। গ্রিন টি-র মধ্যে আদা ও মধু মিশিয়ে খেতে পারেন। এতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস উপকারে আসবে।

 

* আপেল সিডার ভিনেগার : কাঁধ ও ঘাড়ের ব্যথা সহ শরীরের যেকোনো ব্যথা দূর করতে আপেল সিডার ভিনেগার বেশ উপকারী। গরম পানিতে ভিনেগার মিশিয়ে ক্লান্ত মাংসপেশিকে সবল করে তুলতে পারেন। এছাড়া ভিনেগার ও মধু পানিতে মিশিয়ে সেটি খেলেও উপকার পাবেন।

 

তথ্যসূত্র : ওয়ান ইন্ডিয়া।

55
Body Fitness / 6. solving problems guava leaf tea
« on: September 01, 2016, 10:03:45 AM »
পেয়ারা সকলের পছন্দের একটি ফল। এবং এর পুষ্টিগুণও অনেক-এটা সকলেরই জানা। কিন্তু পেয়ারা পাতার গুণ সম্পর্কে জানা আছে কী? পেয়ারা পাতার গুণও কিন্তু কম নয়। বিশেষ করে চায়ের ক্ষেত্রে।

 

চায়ের মধ্যে কচি পেয়ারা পাতা ফুটিয়ে খাওয়ার রেওয়াজ রয়েছে মেক্সিকো এবং দক্ষিণ আমেরিকার অনেক দেশে। পুষ্টিবিদদের মতে, পেয়ারা পাতায় রয়েছে ভিটামিন সি। এছাড়াও এমন অনেক উপাদান রয়েছে যা আমাদের নানাবিধ রোগ সারাতে কাজে লাগে।

 

* ডায়রিয়া:‌ এই রোগের জন্য দায়ী ব্যাকটেরিয়াকে নির্মূল করার ক্ষমতা রাখে পেয়ার পাতার চা। পেটের ব্যথাও কমায়।

 

* কোলেস্টেরল:‌ একটি গবেষণায় দেখা গেছে, পেয়ারা পাতার চা আট সপ্তাহ খেলে শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যায়।

 

* ডায়াবেটিস:‌ পেয়ারা পাতাকে ডায়াবেটিসের চিকিৎসায় ব্যবহার করা যায়। খাওয়াদাওয়ার পর পেয়ারা পাতার চা খেলে রক্তের দু‌ই ‌ধরনের সুগার- সুক্রোজ এবং মেলাটোজ নিয়ন্ত্রণে থাকে।

 

* ওজন হ্রাস:‌ জটিল শ্বেতসারকে ঝরাতে সাহায্য করে পেয়ারা পাতায় থাকা উপাদান। তাই পেয়ারা পাতার রস বা চা খেতে পারেন।

 

* সর্দি-কাশি:‌ পেয়ারা পাতা ভিটামিন সি এবং আয়রনে সমৃদ্ধ। সর্দি-কাশিতে শ্লেষ্মা কমাতে পেয়ারা পাতার চা কিংবা পেয়ারা পাতা ফুটানো পানি দিয়ে কুলকুচি উপকারী।

 

* দাঁত ব্যথা:‌ পেয়ারা পাতার চা দাঁত ব্যথা, মাড়ি ফুলে যাওয়ার মতো রোগ সারাতে পারে। পাতা বাটা পেস্ট করে দাঁত মাজলেও উপকার পাবেন।

 
 

56
Stomach / Food in the stomach ulcers that heal
« on: September 01, 2016, 09:55:23 AM »
পেটের আলসারকে চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় পেপটিক আলসার বলা হয়। জনসাধারণের কাছে এটি গ্যাসট্রিক আলসার নামেই বেশি পরিচিত, যা অতি পরিচিত একটি রোগ। অনেকেই এ সমস্যায় আক্রান্ত।

 

পেটের ভেতর ক্ষত বা ঘা হওয়াকে আলসার বলা হয়। পেটের দেয়ালে হওয়া ঘায়ের সঙ্গে খাবারের মধ্যে থাকা মসলা, তরল ইত্যাদির সংস্পর্শ হলে বা অ্যাসিডিটি হলে পেটে প্রচণ্ড ব্যথা হয়, গ্যাসট্রাইটিসের সমস্যা হয়, পেট জ্বালা করতে থাকে, যা সহ্য করা একেক সময় অসম্ভব হয়ে ওঠে। এটিকে সাধারণ রোগ ভেবে অবহেলা করলে পরবর্তী সময়ে এটি অনেক মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে। শুরুতে যদি সঠিক চিকিৎসা নেওয়া যায় তবে সম্পূর্ণভাবে আলসার ভালো হয়ে যেতে পারে।

 

আলসার ধরা পড়ার পর চিকিৎসার মাধ্যমে সারানো যায়। বস্তুত আলসার সারানোর নানা উপায় রয়েছে। জেনে নিন, কোন কোন খাবার ডায়েট চার্টে থাকলে আলসার সারতে পারে।

 

* মধু: মধু এমন একটি অ্যান্টিসেপটিক, যা যেকোনো জ্বালা-পোড়া বা ঘা সারাতে লড়াই করে। মধু খেলে আলসার আর বাড়ে না। বরং ধীরে ধীরে কমবে।

 

* টক দই : কম ফ্যাটের ডেইরি প্রোডাক্ট, বিশেষ করে দই আলসার সারাতে অসাধারণ কাজ করে।

 

* বাঁধাকপি  : বাঁধাকপিতে থাকে এস-মেথিলমেথিওনাইন, যা আলসারের সঙ্গে লড়াই করে তা সারাতে সাহায্য করে।

 

* অঙ্কুরিত ছোলা বা ডাল : অঙ্কুরিত ছোলা বা ডাল খেলে পেটের মধ্যে থাকা ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া নির্মূল হয়। পেট ভালো থাকে।

 

* ফুলকপি : বাঁধাকপির মতো ফুলকপিও পেটের পক্ষে উপকারী। এর মধ্যে রয়েছে অত্যধিক পরিমাণে সালফোরাফেন, যা পেটের আলসার সারাতে সাহায্য করে। একই সঙ্গে এর মধ্যে থাকা ভিটামিন সি ও ফাইবার পেটের সুরক্ষা করে।

 

* ফাইবার ফুড : ফাইবার বেশি মাত্রায় রয়েছে, এমন খাবার পেটের স্বাস্থ্য ভালো রাখে। আলসারেও তা অব্যর্থ কাজ করে।

 

* নাশপাতি : নাশপাতিতে রয়েছে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, যা আলসার প্রতিরোধে সাহায্য করে। এ ছাড়া বেশি পরিমাণে ফাইবার হজমে সাহায্য করে।

 

* তেল : সব তেল নয়, অলিভ অয়েল ও সূর্যমুখী তেল পেটের আলসারে ভালো কাজ দেয়।

 

* ব্রকোলি: ফুলকপির মতো দেখতে আলসার সারাতে মোক্ষম এই সবজিকে স্থান দিন আপনার ডায়েট চার্টে।

 

তথ্যসূত্র: ওয়ান ইন্ডিয়া


তথ্যসূত্র: ওয়ান ইন্ডিয়া

57
Fruit / For this reason, more and more good to eat green apple
« on: September 01, 2016, 09:45:17 AM »
সারা পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশি খাওয়া হয় যে ফলটি তা হচ্ছে আপেল। বেশিরভাগ মানুষই লাল আপেল খেয়ে থাকেন। যেহেতু লাল আপেল হজমে সাহায্য করে, উচ্চ রক্তচাপ কমায়, দাঁতের ছিদ্র হওয়া প্রতিরোধ করে এবং নিঃশ্বাসের দুর্গন্ধ দূর করে। আপেল নিয়ে প্রচলিত জনপ্রিয় প্রবাদ – “প্রতিদিন একটি আপেল খেলে ডাক্তারের কাছে যেতে হয়না” এর কথা মনে আসলেই আমাদের মনে পড়ে লাল আপেলের কথা। লাল আপেলের নিকটাত্মীয় হচ্ছে সবুজ আপেল যার কৃতিত্বের স্বীকৃতি সে পায়না। সবুজ আপেল ভিটামন এ, সি ও কে তে সমৃদ্ধ। এছাড়াও সবুজ আপেল আয়রন, পটাসিয়াম, ক্যালসিয়াম, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ফ্ল্যাভোনয়েডের সমৃদ্ধ উৎস। নিয়মিত সবুজ আপেল খাওয়ার উপকারিতাগুলোর বিষয়ে জেনে নিই চলুন।

১। ফুসফুসের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটায়

গবেষণায় জানা যায় যে, সবুজ আপেল খেলে অ্যাজমার ঝুঁকি কমে যেহেতু এটি ফ্ল্যাভোনয়েড সমৃদ্ধ। অ্যাজমার ঝুঁকি কমানোর সাথে ফ্ল্যাভোনয়েড সম্পর্কযুক্ত বলে  দাবী করেন গবেষকেরা। এটি ছাড়াও সবুজ আপেল ফুসফুসের ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায় নারীদের ক্ষেত্রে ২১% পর্যন্ত।

২। ব্লাড ক্লট প্রতিরোধে সাহায্য করে

সবুজ আপেলে রুটিন নামক রাসায়নিক যৌগের উপস্থিতির কারণে রক্ত জমাট বাঁধা প্রতিরোধে সাহায্য করে। এর কারণ হচ্ছে রুটিন রক্ত জমাট বাঁধার এনজাইমকে আটক করে ফেলে। গবেষকেরা বলেন এই আবিষ্কারটি হৃদরোগ ও স্ট্রোকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে সাহায্য করে। এক গ্লাস  সবুজ আপেলের জুস বা আস্ত সবুজ আপেল খেলে আপনাকে সুস্থ থাকতে সাহায্য করবে।

৩। মেটাবোলিজমের উন্নতি ঘটায়

সবুজ আপেল হজমের জন্য অত্যন্ত ভালো। এটি পেট ফাঁপা প্রতিরোধে সাহায্য করে এবং পাকস্থলী থেকে যেকোন বিষাক্ত উপাদান বের করে দিতে সাহায্য করে। সবুজ আপেলে ফাইবার থাকে বলে সহজে হজম হয় এবং বিপাক ক্রিয়া বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। এছাড়াও এটি হতে পারে আদর্শ স্ন্যাক্স যা ক্ষুধা নিবারণ করে এবং অন্য চিনিযুক্ত খাবার খাওয়া থেকে বিরত রাখে।

৪। হাড়ের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটায়

সবুজ আপেল খাওয়া নারীদের জন্য বিশেষ উপকারী কারণ এটি পটাসিয়াম, ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন কে এ পরিপূর্ণ থাকে। গবেষণায় জানা গেছে যে, ভিটামিন কে নারীদের অষ্টিওপোরোসিস প্রতিরোধে এবং সার্বিক হাড়ের স্বাস্থ্যের উন্নতিতে সাহায্য করে।

৫। অকালে ত্বকের বয়স বৃদ্ধির বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে

সবুজ আপেল ভিটামিন এ, সি এমনকি অ্যান্টি অক্সিডেন্টের ও ভালো উৎস। তাই ত্বকে বয়সের ছাপ পড়া প্রতিরোধ করে এবং ত্বককে স্বাস্থ্যবান রাখতে সাহায্য করে সবুজ আপেল।

৬। দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখে

যদি আপনি আপনার চোখ ও দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখতে চান তাহলে সবুজ আপেল খাওয়া শুরু করুন। যেহেতু সবুজ আপেলে ভিটামিন এ থাকে তাই এটি চোখের স্বাস্থ্য রক্ষায় কাজ করে।

৭। ডায়াবেটিসের রোগীদের জন্য ভালো

যদি আপনি ডায়াবেটিকে আক্রান্ত হয়ে থাকেন তাহলে লাল আপেলের পরিবর্তে সবুজ আপেল খান। ডাক্তারদের মতে সবুজ আপেলে লাল আপেলের তুলনায় চিনির পরিমাণ কম থাকে এবং ফাইবার বেশি থাকে। সবুজ আপেল টাইপ ২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমায়।

৮। কার্ডিওভাস্কুলার ডিজিজ প্রতিরোধ করে

সবুজ আপেল এবং ফ্ল্যাভোনয়েড সমৃদ্ধ অন্যান্য খাদ্য খেলে কার্ডিওভাস্কুলার ডিজিজের ঝুঁকি ৩৫% কমে। অন্য একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে সমস্ত নারীরা লাল ও সবুজ আপেল উভয়টিই নিয়মিত খান তাদের হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি ১৩-২২% পর্যন্ত কমে। এর কারণ এই ফলটি খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে পারে।

প্রিয়.কম .............

58
যে কোনো কাজে তাড়াহুড়া করা মানুষের জন্মগত স্বভাব। এ প্রসঙ্গে আল্লাহ বলেন, “মানুষ খুব দ্রুততা প্রিয়।” [বনী ইসরাঈল, আয়াত: ১১]

নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “ধীরস্থিরতা আল্লাহর পক্ষ থেকে আর তাড়াহুড়া শয়তানের পক্ষ থেকে”। [তিরমিযী; মিশকাত, হাদীস নং ৫০৫৫; সিলসিলা সহীহাহ, হাদীস নং ১৭৯৫]

জামাআতের মধ্যে লক্ষ্য করলে দেখা যায় যে, ডানে-বামে অনেক মুসল্লী ইমামের রুকু-সাজদায় যাওয়ার আগেই রুকু-সাজদায় চলে যাচ্ছে। এমনকি লক্ষ্য করলে নিজের মধ্যেও এ প্রবণতা দেখা যায়। উঠা-বসার তাকবীরগুলোতে তো এটা হরহামেশাই হতে দেখা যায়। এমনকি অনেকে ইমামের আগে সালামও ফিরিয়ে ফেলে। বিষয়টি অনেকের নিকটই গুরুত্ব পায় না। অথচ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এজন্য কঠোর শাস্তির হুমকি শুনিয়েছেন। তিনি বলেন, “সাবধান! যে ব্যক্তি ইমামের আগে মাথা তোলে তার কি ভয় হয় না যে, আল্লাহ তার মাথাটা গাধার মাথায় রূপান্তরিত করতে পারেন”? [সহীহ বুখারী; মুসলিম; মিশকাত, হাদীস নং ১১৪১]

একজন মুসল্লীকে যখন ধীরে সুস্থে সালাতে উপস্থিত হওয়ার কথা বলা হয়েছে এবং তাড়াতাড়ি বা দ্রুত পায়ে নিষেধ করা হয়েছে । [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ৬৩৬; মুসনাদে আহমদ, হাদীস নং ১০৯০০৬]

তখন স্বীয় সালাত যে ধীরে-সুস্থে আদায় করতে হবে তাতে আর সন্দেহ কি? আবার কিছু লোকের নিকট ইমামের আগে গমন ও পিছনে পড়ে থাকার বিষয়টি তালগোল পাকিয়ে যায়। তাই মুজতাহিদগণ এজন্য একটি সুন্দর নিয়ম উল্লেখ করেছেন। তা হলো, ইমাম যখন তাকবীর শেষ করবেন মুক্তাদী তখন নড়াচড়া শুরু করবে। ইমাম ‘আল্লাহু আকবার এর ‘র’ বর্ণ উচ্চারণ করা মাত্রই মুক্তাদী রুকু-সাজদাহয় যাওয়ার জন্য মাথা নীচু করা শুরু করবে। অনুরূপভাবে রুকু থেকে মাথা তোলার সময় ইমামের ‘সামি‘আল্লাহু লিমান হামিদাহ’-এর ‘হ’ বর্ণ উচ্চারণ শেষ হলে মুক্তাদী মাথা তুলবে। এর আগেও করবে না, পরেও না। এভাবে সমস্যাটা দূর হয়ে যাবে।

সাহাবীগণ যাতে রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর আগে চলে না যান সে বিষয়ে খুব সতর্ক ও সচেষ্ট থাকতেন। বারা ইবন আযিব রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু বলেন, “সাহাবীগণ রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের পিছনে সালাত আদায় করতেন। যখন তিনি রুকু থেকে মাথা তুলতেন তখন আমি এমন একজনকেও দেখি নি যে, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কপাল মাটিতে রাখার আগে তার পিঠ বাঁকা করেছে। তিনি সাজদায় গিয়ে সারলে তারা তখন সাজদায় লুটিয়ে পড়তেন”। [সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৪৭৪]

নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন একটু বুড়িয়ে যান এবং তাঁর নড়াচড়ায় মন্থরতা দেখা দেয়, তখন তিনি তাঁর পিছনের মুক্তাদীদের এ বলে সতর্ক করে দেন যে, “হে লোকেরা! আমার দেহ ভারী হয়ে গেছে। সুতরাং তোমরা রুকু-সাজদায় আমার আগে চলে যেও না”। [বায়হাকী; সিলসিলা সহীহাহ, হাদীস নং ১৭২৫]

অপরদিকে ইমামকেও সালাতের তাকবীরে সুন্নাত মোতাবেক আমল করা জরুরি। এ সম্পর্কে আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু বর্ণিত একটি হাদীসে এসেছে, “রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন সালাতে দাঁড়াতেন তখন শুরুতে তাকবীর বলতেন। তারপর যখন রুকুতে যেতেন তখন তাকবীর বলতেন। তারপর বলতেন, ‘সামি‘আল্লাহু লিমান হামিদাহ’ যখন রুকু থেকে পিঠ সোজা করতেন। তারপর দাঁড়ানো অবস্থায় বলতেন, ‘রাব্বানা লাকাল হামদ’ বর্ণনাকারী আবদুল্লাহ ইবন সালেহ তার উস্তাদ লাইস থেকে বর্ণনা করেন, ‘ওয়ালাকাল হামদ’। অতঃপর যখন সাজদায় যেতেন তখন তাকবীর বলতেন। অতঃপর যখন সাজদাহ থেকে মাথা উঠাতেন তখন তাকবীর বলতেন, তারপর যখন (দ্বিতীয়) সিজদায় যেতেন তখন তাকবীর বলতেন, সাজদাহ থেকে মাথা তুলতে তাকবীর বলতেন। এভাবে সালাত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকবীর বলতেন। আর দ্বিতীয় রাকাতে বৈঠক শেষে দাঁড়ানোর সময়ও তাকবীর বলতেন”। [সহীহ বুখারী; সহীহ মুসলিম; মিশকাত, হাদীস নং ৭৯৯]

সুতরাং এভাবে ইমাম যখন সালাতে উঠা-বসার সঙ্গে তার তাকবীরকে সমন্বিত করে একই সাথে আদায় করবেন এবং মুক্তাদীগণও উল্লিখিত নিয়ম মেনে চলবে তখন সবারই জামা‘আতের বিধান ঠিক হয়ে যাবে।

মূল : শাইখ মুহাম্মাদ সালেহ আল-মুনাজ্জিদ

59
Skin / For that reason mosquitoes attack you more
« on: May 16, 2016, 10:54:41 AM »
(প্রিয়.কম)- রক্তের গন্ধ পেলেই দলে দলে ছুটে আসে মশা। কিন্তু সবাইকে একভাবে আক্রমণ করে না। কিছু কিছু মানুষকে মশা খুব বেশিই উৎপাত করে। এটা আসলেই সত্যি, নাকি আমাদের মনের ভুল? না, মনের ভুল না। ব্যাপারটা আসলে গবেষণা থেকে প্রমাণিত। কিছু মানুষকে আসলেই মশারা কামড়ে বেশি সুখ পায়। তার কারণ হলো এসব মানুষের ডিএনএ।
 
গবেষকেরা দেখেন, কিছু মানুষের পায়ের গন্ধ মশাকে আকৃষ্ট করে সুগন্ধি পনিরের মতো। এর মানে এই নয় যে আপনার পা ময়লা। বরং আপনার ডিএনএ-র জন্যই মশাদের কাছে আপনি উৎকৃষ্ট একটি খাবার। টাইপ ও রক্ত থাকলে এবং গর্ভাবস্থায় অবশ্য মশা স্বাভাবিকের চাইতে একটু বেশি কামড়ায়, তার ডিএনএ যেমনই হোক।
 
লন্ডনের গবেষকেরা সম্প্রতি মশাদের এই আকর্ষণের পেছনে জেনেটিক কারণ উদ্ঘাটন করতে আটঘাট বেঁধে লাগেন। ১৮ জোড়া আইডেন্টিকাল এবং ১৯ জোড়া ফ্র্যাটারনাল যমজ নারীকে এই গবেষণায় নেওয়া হয়। কিছু পরীক্ষায় ২০টা করে মশাকে ছেড়ে দেওয়া হয় একজোড়া যমজের যে কোনো একজনকে কামড়াতে। ৩৭ জোড়া যমজের ওপর গবেষণার শেষে দেখা যায়, আইডেন্টিকাল টুইনদেরকে মশারা মোটামুটি একই পরিমাণে কামড়ায়। কিন্তু ফ্র্যাটারনাল টুইন অর্থাৎ যাদের ডিএনএতে পার্থক্য থাকে, তাদের প্রতি মশার আকর্ষণটাও হয় ভিন্ন। মোটামুটিভাবে একজন মানুষকে পোকা কতটা উত্যক্ত করবে তার ৬৭ শতাংশ নির্ভর করে তার জিনের ওপর।
 
 
তারমানে কী, ডিএনএ এর দোষে আমাদের শরীর মশা আকৃষ্ট করার গন্ধ উৎপাদন করে? না, ব্যাপারটা আরেকটু মজার। ডিএনএ আকৃষ্ট করে বিশেষ কিছু মাইক্রোব্যাক্টেরিয়াকে। এসব ব্যাকটেরিয়া আবার মশাকে আকৃষ্ট করে আমাদের শরীর পর্যন্ত। শুনে গা গুলিয়ে উঠল বুঝি? তাহলে শুনুন, প্রতিটি মানুষ এই মুহূর্তে ১০০ ট্রিলিয়ন অণুজীবে আবৃত হয়ে আছে। এর পরিমাণ আমাদের মোট ডিএনএ এর চাইতে ১০ গুণ বেশি। আমাদের প্রত্যেকেরই শরীরের এই জীবাণুর সমষ্টি অর্থাৎ “মাইক্রোবায়োম” আলাদা। এর কারণে একেক মানুষের শরীরের গন্ধ একেক রকমের হয়।
 
একেক ধরণের মশা শরীরের একেক অংশের গন্ধ পছন্দ করে। এডিস গ্যাম্বি নামের ম্যালেরিয়া ছড়ানো মশাটি হাত ও পায়ে কামড়াতে পছন্দ করে। কেউ কেউ আবার সোজা বগল এবং কুঁচকির ত্বক আক্রমণ করে। ঠিক কী করে এই বিপত্তি এড়াবেন আপনি? আপনিও যদি এমন কেউ হন যাকে মশারা বিশেষভাবে পছন্দ করে, তাহলে আপনি করতে পারেন কিছু কাজ-
 
- DEET, লেমন ইউক্যালিপটাস অয়েল, icaridin অথবা IR3535 এসব রিপেলেন্ট দিয়ে এদেরকে দূরে রাখতে পারেন
- পারমাথ্রিন নামের রাসায়নিকযুক্ত পোশাক পরতে পারেন যা মশাকে দূরে রাখে
- ত্বক শুষ্ক রাখুন যতটা সম্ভব, উষ্ণ ও ঘর্মাক্ত ত্বক মশাকে আকৃষ্ট করে
- অ্যালকোহল পান থেকে বিরত থাকুন
 
সাধারণত এমন কোনো খাবার নেই যেটা খেলে মশা আপনার থেকে দূরে থাকবে। অনেকে মনে করেন রসুন অথবা ভিটামিন বি সাপ্লিমেন্ট খেলে মশা দূর হয় কিন্তু এর কোনো প্রমাণ নেই। সুতরাং মশা দূরে রাখার জন্য প্রাকৃতিক বা কৃত্রিম রিপেলেন্ট ব্যবহার করাটাই আপনার জন্য ভালো উপায়।

60
Life Style / 5 ways to say goodbye to sweat durgandhake
« on: May 16, 2016, 10:50:26 AM »
(প্রিয়.কম)- গরমে ঘাম হবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু অনেকের ঘামে বিশ্রী দুর্গন্ধ থাকে। সুতির কাপড় পরে এবং ভাল মানের ডিওডোরেন্ট  ব্যবহার করেও এই দুর্গন্ধ দূর করা সম্ভব হয় না। যার কারণে পড়তে হয়ে অনেক বিব্রতকর সমস্যায়। মূলত এই দুর্গন্ধের জন্য জন্য ব্যাকটেরিয়া দায়ী, যা ঘাম থেকে সৃষ্টি হয়। পরবর্তীতে এই ঘাম থেকে সৃষ্টি হয় বিভিন্ন রোগের। ডিওডোরেন্ট একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত কাজ করে তারপর আবার ঘামের প্রকট হয়ে উঠে ঘামের দুর্গন্ধ। দেখে নিন কিছু প্রতিকার।

১। বেকিং সোডা

এক টেবিল চামচ বেকিং সোডা এবং লেবুর রস মিশিয়ে নিন। এটি হাতের বগলে এবং শরীরের অন্যান্য অংশে, যেখানে ঘাম বেশি হয় সেসব স্থানে লাগান। কয়েক মিনিট অপেক্ষা করুন। তারপর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এরপর গোসল করুন। এটি দিনে একবার করে কয়েক সপ্তাহ ব্যবহার করুন।

২। লেবুর রস

খুব সহজ এবং  ঝামেলাবিহীন একটি উপায় এটি। লেবু অর্ধেকটা কেটে নিন। এটি দিয়ে দুর্গন্ধের স্থানে ঘষুন। এছাড়া লেবুর রস বের করে নিন। একটি তুলোর বল দিয়ে এটি বগলে লাগান। লেবুর রসে অ্যালার্জি থাকলে এতে সামান্য পানি মিশিয়ে নিতে পারেন। শেভিং করার পর লেবুর রস ব্যবহার করবেন না। এটি জ্বালাপোড়া সৃষ্টি করতে পারে।

৩। অ্যাপেল সিডার ভিনেগার

ব্যাকটেরিয়াকে মেরে ফেলে ঘামের দুর্গন্ধ দূর করতে অ্যাপেল সিডার ভিনেগার অতুলনীয়। এটি শরীরের পিএইচ লেভেল ঠিক রেখে ঘামের দুর্গন্ধ দূর করে দেয়।

অ্যাপেল সিডার ভিনেগারে একটি তুলোর বল ভিজিয়ে নিন। এবার এটি ঘাম হওয়ার স্থানগুলোতে ঘষুন। ২ থেকে ৩ মিনিট অপেক্ষা করুন। তারপর গোসল করুন। এটি সকালে এবং রাতে একবার করুন।  এছাড়া কুসুম গরম পানিতে এক কাপ অ্যাপেল সিডার ভিনেগার মিশিয়ে নিন। এই পানি দিয়ে প্রতিদিন গোসল করুন। দেখবেন অল্প কিছুদিনের মধ্যে ঘামের দুর্গন্ধ দূর হয়ে গেছে।

৪। টি ট্রি অয়েল

টি ট্রি অয়েলের অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টিসেপটিক উপাদান ত্বকের ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করে দেয়। এক আউন্স পানিতে দুই ফোঁটা টি ট্রি অয়েল মিশিয়ে নিন। এবার এটি একটি স্প্রে বোতলে ঢুকিয়ে ব্যবহার করুন।

৫।  টমেটো

৭/৮ টি টমেটোর রস বের করে নিন। এবার এক বালতি পানিতে টমেটোর রস দিয়ে দিন। এই পানি দিয়ে গোসল করুন। এটি প্রতিদিন করুন। কিছুদিনের মধ্যে ঘাম হতে দুর্গন্ধ হওয়া বন্ধ হয়ে যাবে। প্রতিদিন দুই গ্লাস টমেটোর জুস খান, এটিও ঘামের দুর্গন্ধ দূর করে দেবে।

টিপস:

১। সুতি এবং আরামদায়ক কাপড় পরিধান করুন।

২। প্রচুর পরিমাণ পানি পান করুন।

৩। প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় শাকসবজি এবং ফল রাখুন।

Pages: 1 2 3 [4] 5 6 ... 12