Show Posts

This section allows you to view all posts made by this member. Note that you can only see posts made in areas you currently have access to.


Messages - protima.ns

Pages: 1 [2] 3 4 ... 27
16
বসন্তে হতে পারে সংক্রামক অসুখ, কী করবেন?"
বিদায় নিয়েছে শীত আর শুরু হয়েছে বসন্ত। এই বসন্তে হতে পারে নানাবিধ অসুখ। তাই এ বিষয়ে অবশ্যই সতর্ক থাকতে হবে।

ঋতুর এই পরিবর্তন সহজে মানিয়ে নিতে পারে না শরীর। শিশু থেকে শুরু করে বয়স্ক সবাই সংক্রামক আক্রান্ত হতে পারেন।
সামনের দিনগুলোতে গরমের প্রকোপ বাড়বে। আর তার সঙ্গেই তাল মিলিয়ে সক্রিয় হয়ে উঠবে কিছু ভাইরাস ও ব্যাক্টেরিয়াও। তাই এই সময়ে শারীরিক সুস্থতার কথা মাথায় রেখে চলতে হবে। কারণ এই বসন্তে হতে পারে চিকেন পক্স, জ্বর, কাশি-সর্দির মতো রোগ।

এই সময়ে সবচেয়ে বাড়ে চিকেন পক্স। গরমে বাতাসে বহু পরিমাণে ভেসে বেড়ায় ভেরেসেলা জোস্টার ভাইরাস। ফলে সংক্রমণ ঘটতে পারে। এ ছাড়া ভাইরাল ফিভার, শ্বাসকষ্ট তো রয়েছেই।

কারণ এই সময়ে শরীরে পানির পরিমাণ কমে যায়। আর ক্যালোরিযুক্ত খাবারের ফলে কখনও কখনও কোষ্ঠকাঠিন্যে ভুগতে হয়, কখনও আবার ডায়েরিয়া হানা দিতে পারে।

আসুন জেনে নিই বসন্তে সুস্থ থাকতে কী করবেন-

১. বাড়ি থেকে বেরোনোর আগে আবহাওয়ার পূর্বাভাস দেখে নিন। রাতের দিকে তাপমাত্রা কমে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকলে সঙ্গে একটা গরম পোশাক রাখুন।

২. বাড়িতে বা অফিসে কেউ ভাইরাল ফিভার, সর্দিকাশি ও সংক্রামক রোগে ভুগলে তার কাছ থেকে দূরে থাকুন।

৩. হালকা জ্বর বা গা ব্যথা হলে প্যারাসিটামল খান। অসুস্থ থাকলে চিকিত্সকের পরামর্শ নিয়ে নিন।

৪. প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন। ঈষদুষ্ণ পানিতে খুব ভালো করে রোজ গোসল করুন।

৫. মৌসুমি ফল ও সবজি খান। পরিমিত ফ্যাট, প্রোটিন, শাকসবজি ছাড়াও একটি করে মৌসুমি ফলকে খাবার পাতে রাখুন।

17
স্মার্ট তরুণদের প্রথম পছন্দ ‘স্মার্টওয়াচ’:
সময় দেখার জন্য ঘড়ির ব্যবহার কমে গেছে আগের থেকে। এ যুগে ঘড়ি ‘স্মার্ট ওয়াচ’ নামে বিশেষভাবে এসেছে মানুষের কাছে। প্রযুক্তি ও ফ্যাশনপ্রিয় মানুষদের কাছে এ উপকরণ আছে পছন্দের তালিকায়।


প্রয়োজনীয়তা

কয়েক বছর ধরেই তর তর করে বাড়ছে স্মার্ট ওয়াচের জনপ্রিয়তা। স্মার্ট ওয়াচ ব্যবহারকারীর হাঁটার পদক্ষেপ, হার্ট রেট, তাপমাত্রাসহ তথ্য সংগ্রহও করে। স্মার্ট ওয়াচ হৃৎস্পন্দনে সব সময় নজর রাখে। এটি আপনাকে জানিয়ে দেবে, কত ক্যালরি খরচ করলেন।

এর ফলে ওজন নিয়ন্ত্রণের উদ্দেশ্য থাকলে ওয়াচের সাহায্যে ক্যালরির ঘাটতি পূরণে খাবারের পরিকল্পনাও করা যায়। প্রতিদিন কত পদক্ষেপ হাঁটলেন কিংবা দৌড়ালেন, তা জানাবে এই স্মার্ট যন্ত্র। পর্যাপ্ত ঘুম আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী।

তা যথাযথ রুটিনে মেনে চলাও জরুরি। স্মার্ট ওয়াচের মনিটর কম সময় ঘুমালে সেটিও জানাবে। কতটুকু ঘুম স্বাস্থ্য অনুসারে প্রয়োজন, তা-ও জানতে পারবেন। স্মার্ট ওয়াচে তাপমাত্রা নির্ণয়ের জন্য থার্মোমিটার ব্যবহার করা হয়।

এই ফিচারটি অ্যাথলেটদের জন্য বেশ কার্যকর। কতটুকু ক্যালরি বার্ন হয়েছে, তার হিসাব কষতে স্মার্ট ওয়াচে ব্যবহার করা হয় অ্যালগরিদম। এর মাধ্যমে জিম করা, দৌড়ানো, পাহাড়ে ওঠা, সাইকেল চালানো ও সাঁতার কাটার সময় পরিমাপ করা যায়।

হুয়াওয়ে ওয়াচ জিটি

ওয়াচ জিটি’র পর নতুন একটি স্মার্টওয়াচ দেশের বাজারে নিয়ে এসেছে হুয়াওয়ে। ওয়াচ জিটি ২ নামে এ স্মার্টওয়াচটি ৪৬ মিলিমিটার ও ৪২ মিলিমিটারের দু’টি ভার্সনে পাওয়া যাচ্ছে। ৪৬ মিলিমিটার ভার্সনটির সংস্করণ দু’টি- স্পোর্টস ও ক্ল্যাসিক। দৈনন্দিন জীবনে স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিভিন্ন তথ্য পাওয়া যাবে স্মার্ট এ ডিভাইসটিতে।

হুয়াওয়ের ওয়াচ জিটি ২ স্মার্টওয়াচটি হাতঘড়ি হিসেবে ব্যবহারের পাশাপাশি, প্রাত্যহিক জীবনের স্মার্ট অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবেও কাজ করবে। এর সাহায্যে জানা যাবে হৃৎস্পন্দনের গতির বিভিন্ন বিবরণ, অনুশীলনের বিবরণ, ক্যালরি ক্ষয়ের মাত্রা।

নান্দনিক ডিজাইনের এ ডিভাইস দিয়ে স্বাস্থ্য সম্পর্কিত সকল ডেটার সার্বিক বিশ্লেষণও করা যাবে।

উন্নতমানের ব্যাটারি পারফরমেন্স

হুয়াওয়ের ওয়াচ জিটি ২’তে এমন কিছু ফিচার ও প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে যার ফলে উন্নতমানের ব্যাটারি পারফরমেন্স পাওয়া যাবে। এতে ব্যবহার করা হয়েছে হুয়াওয়ের নিজস্ব কিরিন এআই চিপ।

এ চিপ ব্যবহারের ফলে ব্যাটারি অপচয় কম হবে। পাশাপাশি হাই অপারেশন পারফরমেন্সও নিশ্চিত করবে। ডুয়াল চিপ ডিজাইনসহ পাওয়ার সেভিং অ্যালগরিদম ২.০ প্রযুক্তি ব্যবহারের কারণে দীর্ঘসময় ধরে ব্যাটারি ব্যাকআপ দেবে।

ঘড়িটি ২৪ ঘণ্টা হাতে পরিধান করলে ২ সপ্তাহের বেশি ব্যাটারি ব্যাকআপ পাওয়া যাবে।

নান্দনিক ডিজাইন

ওয়াচ জিটি ২ এর ডিজাইনে ক্ল্যাসিক হাতঘড়ি ও নতুনত্বের মিশেল রাখা হয়েছে। থ্রিডি কার্ভড ডিজাইনের বেজেললেস এ স্মার্টওয়াচটি ধুলা ও পানিরোধী। অ্যামলয়েড ডিসপ্লের গোলাকার এ ওয়াচটির কেস ৪৬ ও ৪২ মিলিমিটার।

ফলে এটি দেখতে নৈপুণ্যপূর্ণ, রুচিসম্মত, হালকা ও মজবুত। স্মার্টওয়াচটির ডিসপ্লে নিজের মতো করে পরিবর্তনের সুবিধাও রয়েছে। বিভিন্ন স্টাইল ও কালারের জন্য জিটি ২ হবে বৈচিত্র্যময়।

প্রফেশনাল স্পোর্টস ট্রেইনার

হুয়াওয়ের ওয়াচ জিটি ২’তে পাওয়া যাবে স্বাস্থ্য সুরক্ষার সব ধরণের ট্র্যাকিংয়ের ফলাফল। দৌড়ের মাত্রা, হৃৎস্পন্দনের গতি, হাঁটার বিভিন্ন মাত্রার বিবরণ, ঘুমের বিভিন্ন পরিমাপ পাওয়া যাবে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং হুয়াওয়ের ট্রুসিন প্রযুক্তির সাহায্যে স্মার্টওয়াচটি হৃৎস্পন্দনের গতি জানিয়ে দেবে।

এছাড়া সাতার কাঁটার সময়ও জানা যাবে হৃৎস্পন্দনের গতি, ক্যালরি ক্ষয়ের বিবরণ, সাতার কাঁটার দূরত্ব ও এর গতি। এটি পানিরোধক হওয়ায় সাতার কাঁটালেও কোনো সমস্যা হবে না ওয়াচ জিটি ২ এর। ট্র্যাকিং সম্পর্কিত বিভিন্ন ডেটার সাহায্যে সার্বিক ফলাফলও দেবে স্মার্টওয়াচটি।

প্রাত্যহিক জীবনের স্মার্ট অ্যাসিস্ট্যান্ট

দৈনন্দিন জীবনকে আরও সহজ করতে হুয়াওয়ের ওয়াচ জিটি ২ তে ব্যবহার করা হয়েছে দারুণ কিছু ফিচার। ব্যায়াম, খেলাধুলা বা ব্যস্ত সময়ে এই ডিভাইসটি দিয়ে মোবাইল ফোনে কল করা যাবে ও রিসিভ করা যাবে।

এতে ৫০০ এর মতো গান সংরক্ষণ করা যাবে। এর বিল্ড ইন স্পিকারে সেটি শোনাও যাবে। যুক্ত করা যাবে ব্লুটুথ হেডফোনের সাথেও। ঘুমের ৬টি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের বিভিন্ন ধরণের ফলাফল জানাবে ওয়াচ জিটি ২।

18
মস্তিষ্ককের স্বাস্থ্য ভালো রাখে যেসব ভিটামিন:
ভিটামিন ও খনিজ উপাদান মস্তিষ্ককের স্বাস্থ্য ভালো রাখে। এ ছাড়া মন ভালো রাখতে সহায়তা করে। পুষ্টিবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদনে মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখারসহায়ক কয়েকটি ভিটামিন সম্পর্কে জানানো হয়েছে।


আসুন জেনে নিই যেসব ভিটামিন মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখে–

ভিটামিন 'বি'

মস্তিষ্কের বিকাশে ভিটামিন 'বি' খুব ভালো কাজ করে। ভিটামিন 'বি’র নানান রূপ যেমন- বি১, বি২, বি৩, বি৬ ইত্যাদি, যা হতাশা ও চাপ কমাতে সাহায্য করে।

সেলেনিয়াম

সংক্রমণ থেকে শরীরকে রক্ষা পেতে সেলেনিয়াম ভিটামিন খুব ভালো কাজ করে। মস্তিষ্কে অক্সিজেন সরবরাহ, প্রদাহ হ্রাস এবং কোষের ক্ষয় থেকে রক্ষা করে বলে জানা যায় বিভিন্ন গবেষণা থেকে।

ভিটামিন 'ডি'

হাড় ও মস্তিষ্কের জন্য ভিটামিন 'ডি' খুবই ভালো কাজ করে। গবেষকদের মতে, পুষ্টিতে হরমোনের মতো বায়োকেমিক্যাল থাকে, যা মস্তিষ্কের ‘রিসেপ্টর’গুলোর সঙ্গে যোগাযোগ করে এবং মস্তিষ্কের মধ্য দিয়ে চলে এমন গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো বজায় রাখতে সহায়তা করে।

হলুদ

হলুদের রয়েছে অনেক গুণ। শরীর সুস্থ রাখে ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। হলুদে রয়েছে এডিএইচডি, যা হতাশা ও মানসিক অবসাদ দূর করে।

ম্যাগনেসিয়াম

মস্তিষ্কের জন্য ম্যাগনেসিয়াম খুব ভালো উপাদান। এটি মূল স্নায়ুর কার্যক্রিয়া নিয়ন্ত্রণ করে এবং মস্তিষ্ক থেকে শরীরে সংকেত দেয় ও কার্যক্রিয়া সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করতে সাহায্য করে।

19
লেবুর খোসা খেলে সারবে যেসব রোগ:
লেবুতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি। লেবু খেতে অনেকে পছন্দ করলেও এর পুষ্টিগুণ সম্পর্কে আমরা অনেক কিছুই জানি না।

গবেষণা বলছে, লেবুর রস ও খোসাও সুস্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। আর লেবুর খোসা খেলে বিভিন্ন রোগ ভালো হয়।
তবে এখন প্রশ্ন হলো– লেবুর খোসা কীভাবে খাওয়া যায়। আসুন জেনে নিই কীভাবে খাবেন লেবুর খোসা।

১. লেবুর খোসায় ভিটামিন সি ও সাইট্রিক অ্যাসিড থাকে, যা মাড়ি থেকে রক্ত পড়া, জিঞ্জিভাইটিসসহ একাধিক রোগ প্রতিরোধ করে।

২. লেবুর খোসায় সাইট্রাস বায়ো ফ্লেভোনয়েড থাকে, যা স্ট্রেস কমাতে সাহায্য করে।

৩. ত্বকের সৌন্দর্য বাড়াতে লেবুর খোসা খুব ভালো কাজ করে। লেবুর খোসায় অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে, যা ত্বক থেকে টক্সিক বের করে দেয়।

৪. লেবুর খোসায় সয়ালভেসস্ট্রল কিউ ৪০ ও লিমোনেন্স থাকে, যা ক্যান্সারের কোষ ধ্বংস করে, ব্য়াকটেরিয়াল ও ছত্রাক সংক্রমণের প্রকোপ কমায়।

৫. নিয়মিত লেবুর খোসা খেলে শরীরে সাইট্রিক অ্যাসিডের মাত্রা বৃদ্ধি পায়। ফলে কিডনিতে পাথর হওয়ার ঝুঁকি কমায়।

৬. লেবুর খোসায় প্য়াকটিন নামে একটি উপাদান থাকে, এটি শরীরের ফ্য়াট বার্ন করে।

22
Thanks for your sharing.

25
কম্পিউটারের কাট-কপি-পেস্টের জনকের মৃত্যু:
কম্পিউটারের কাট-কপি-পেস্টের ধারনা দেয়া বিজ্ঞানী ল্যারি টেসলার সোমবার মারা গেছেন। এসময় তার বয়স হয়েছিল ৭৪ বছর।


১৯৪৫ সালে নিউইয়র্কের ব্রোনেক্সে জন্মে নেয়া টেসলার পড়াশুনা করেছেন ক্যালিফোর্নিয়ার স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে কম্পিউটার বিজ্ঞানে।

স্নাতকে ডিগ্রির পর ল্যারি ‘ইউজার ইন্টারফেস ডিজাইন’ নিয়ে কাজ শুরু করেন। যাতে কম্পিউটার পরিচালন আরও ব্যবহার উপযোগী হয়।

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে গবেষণার কাজ করার পর তিনি জেরোক্স’স পালো অ্যালটো গবেষণা কেন্দ্রে (পারস) যোগ দেন ১৯৭৩ সালে।

সেখানেই প্রথম এই কাট-কপি-পেস্ট ধারনাটি তৈরি করেছেন তিনি। পরে তা কম্পিউটার পরিচালন ব্যবস্থায় একটি অপরিহার্য বিষয়ে পরিণত হয়েছে।

অ্যাপলেও তিনি কাজ করেছেন ১৭ বছর। এরপর এডুকেশন সেটআপ, অ্যামাজন ও ইয়াহুতে অবদান রাখেন ল্যারি।

জেরোক্স জানায়, কাট-কপি-পেস্ট, ফাইন্ড, রিপ্লেসসহ বিভিন্ন ধরনের কম্পিউটারের ধারনা আবিষ্কারে অবদান রেখেছেন টেললার। তার বিপ্লবী ধারনাগুলোর কারণেই আজ কর্মস্থলে আমরা সহজে কাজ করতে পারছি।

26
ক্যান্সার নিরাময়ে নতুন সম্ভাবনা:

ক্যান্সার চিকিৎসায় একটি নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করেছেন বিজ্ঞানীরা। আমাদের শরীরের প্রতিরোধ ব্যবস্থার নতুন একটি অংশের সন্ধান পাওয়া গেছে, যা সব ধরনের ক্যান্সারের চিকিৎসায় কাজে লাগতে পারে।

যুক্তরাজ্যের কার্ডিফ বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক প্রোস্টেট, স্তন, ফুসফুসসহ অন্যান্য ক্যান্সার নিরাময়ের ওই পদ্ধতি উদ্ভাবন করেছেন। অবশ্য গবেষকদের কার্যক্রম এখনও পরীক্ষাগারেই সীমাবদ্ধ। বিবিসির খবর।

গবেষণাসংক্রান্ত নিবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে ‘চার ইমিউনোলজি’ সাময়িকীতে। গবেষকেরা বলছেন, তাদের উদ্ভাবিত পদ্ধতি এখনও কোনো রোগীর ক্ষেত্রে প্রয়োগ করা না হলেও এর ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ওই গবেষণা এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে থাকলেও এটা কম কিছু নয়।

মূলত আমাদের দেহের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা শরীরের স্বাভাবিক রক্ষাকবচ হিসেবে কাজ করার পাশাপাশি ক্যান্সার কোষকেও আক্রমণ করে। গবেষকেরা অপ্রচলিত উপায়ে ক্যান্সার কোষকে আক্রমণের ওই উপায় নিয়ে গবেষণা করছিলেন।

তারা দেখেন মানুষের রক্তকোষে থাকা টি-সেল শরীরে থাকা ক্ষতিকর কোষ খুঁজে বের করে। এ কোষের বিশেষত্ব হল, এটি বিভিন্ন ধরনের ক্যান্সারে আঘাত হানতে পারে। গবেষক অ্যান্ড্রু সেওয়েল বলেন, ওই কোষ আবিষ্কারের ফলে এখন সব ধরনের ক্যান্সার রোগীকে চিকিৎসা দেয়া যাবে।

কার্ডিফের গবেষক দল ওই টি-সেল ও তার গ্রহীতা অংশ খুঁজে পেয়েছে, যা পরীক্ষাগারে ফুসফুস, ত্বক, রক্ত, কোলন, স্তন, হাড়, প্রোস্টেট, ওভারিয়ান, কিডনি, সার্ভিক্যালসহ সব ধরনের ক্যান্সার কোষ খুঁজে বের করে তা ধ্বংস করে ফেলে। এ চিকিৎসায় সাধারণ কোষের কোনো ক্ষতি হয় না।


27
সূর্যের জন্মের আগের রহস্যজনক পদার্থের সন্ধান:
পৃথিবীতে হদিশ মিলেছে সূর্যের জন্মের আগের আদিমতম কঠিন পদার্থের। সাড়ে ৫০০ কোটি বছর আগে ওই পদার্থ প্রচণ্ড তাপে গলে বা বাষ্পীভূত হয়ে যাওয়ার কথা থাকলেও পদার্থটি গলেনি। এখনও তা কঠিনই রয়েছে।


৫১ বছর আগে উত্তর মেক্সিকোতে আছড়ে পড়া একটি উল্কাপিণ্ড থেকে সেই বিরল পদার্থটির হদিশ মিলেছে। উল্কাপিণ্ডটির নাম ‘অ্যালেন্দে’। ১৯৬৯-র ফেব্রুয়ারিতে অ্যালেন্দে আছড়ে পড়ে পৃথিবীর বুকে। ব্রহ্মাণ্ডের আদিমতম ওই কঠিন পদার্থকে বলা হয়, ‘প্রি-সোলার গ্রেইনস’।

উল্কাপিণ্ডটির খাঁজেই ছিল ঝাপসাটে সাদা পদার্থটি। কিন্তু সেটি কী দিয়ে তৈরি, তা জানা সম্ভব হয়নি। আর তাই ওই পদার্থটির নাম দেয়া হয়েছিল ‘কিউরিয়াস মারি’। দু’-দু’বার নোবেল পুরস্কারজয়ী রসায়নবিদ মারি ক্যুরির স্মরণে।

জানা যায়, অ্যালেন্দের খাঁজে থাকা পদার্থটি আসলে ক্যালসিয়াম ও অ্যালুমিনিয়াম ধাতুর একটি যৌগ। আর তার মধ্যে রয়েছে সিলিকন ও কার্বনের একটি যৌগ- সিলিকন কার্বাইড। যা রয়েছে আদ্যোপান্ত কঠিন অবস্থায়। ব্রহ্মাণ্ডে যার সৃষ্টি হয়েছিল সূর্যেরও জন্মের আগে। আজ থেকে অন্তত ৫০০/৫৫০ কোটি বছর আগে।

সেন্ট লুইয়ে ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গবেষণা এই খবর দিয়েছে। গবেষণাপত্রটি প্রকাশিত হয়েছে আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান-জার্নাল ‘নেচার-অ্যাস্ট্রোনমি’তে।

৫১ বছর আগে পৃথিবীর বুকে আছড়ে পড়া অ্যালেন্দে উল্কাপিণ্ডটি রাখা আছে শিকাগো ফিল্ড মিউজিয়ামের ‘প্রিৎজকার সেন্টার ফর মেটিওরিটিক্স অ্যান্ড পোলার স্টাডিজ’-এ।

মূল গবেষক প্রাভদিভ্‌তসেভার বলেন, আমাদের সূর্যের জন্মের আগে নেবুলার কোনও কোনও জায়গায় হয়তো এমন তাপমাত্রা ছিল, যাতে সিলিকন কার্বাইডের মতো কঠিন পদার্থ সৃষ্টির পর তা কয়েকশো কোটি বছর ধরে স্থায়ী হতে পারে। এর মানে, সূর্যের জন্মের আগে যে কঠিন পদার্থগুলির জন্ম হয়েছিল, তাদের সকলেই প্রচণ্ড তাপমাত্রায় গলে বা বাষ্পীভূত হয়ে যায়নি।

28
বিস্ফোরিত হবে উজ্জ্বল তারকা:
বিশ্বজুড়ে জ্যোতির্বিদরা তা সে অ্যামেচার কিংবা পেশাদার যেই হোন না কেন, আকাশের দিকে নজর রেখেছেন ‘জীবনে একবার আসে এমন একটি মুহূর্তের’ সাক্ষী হওয়ার জন্য।


তারা ধারণা করছেন, বেটেলজাস যেটি কিনা পৃথিবী থেকে দেখা যায় এমন উজ্জ্বলতম নক্ষত্রগুলোর একটি হয়তো সুপারনোভায় পরিণত হতে যাচ্ছে, আর এটা হতে যাচ্ছে ধারণা করা সময়ের চেয়ে অনেক আগেই।

সহজ ভাষায় বলতে গেলে : বিস্ফোরিত হতে যাচ্ছে। যদিও জ্যোতির্বিদরা জানেন যে, বেটেলজাস ধীরে ধীরে ‘বিস্ফোরিত’ হবে, কিন্তু সম্প্রতি হওয়া কিছু পরিবর্তন তাদের মনে প্রশ্নের উদ্রেক করেছে। বেটেলজাসকে এরইমধ্যে ‘ধ্বংসের মুখে থাকা নক্ষত্র’ সিসেবে শ্রেণিবদ্ধ করা হয়েছে, যার বিস্ফোরণ এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র।

আমাদের সূর্য যা প্রায় ৪ দশমিক ৫ বিলিয়ন বছর বয়সী-তার তুলনায় এই তারাটির বয়স ৮০ লাখ থেকে এক কোটি বছর। কিন্তু এটি এর পারমাণবিক জ্বালানি দ্রুত মাত্রায় ব্যয় করে ফেলেছে। এটি হচ্ছে লাল একটি সুপার জায়ান্ট, একটি তার যার আয়ু প্রায় শেষের পথে, কিন্তু এর আকার যথেষ্ট প্রসারিত হয়েছে।

বেটেলজাস একটি বিশালাকার স্পন্দিত নক্ষত্র অর্থাৎ এটি একইসঙ্গে প্রসারিত এবং সংকুচিত হয়- এই ‘প্রতিবেশী’র পরিসীমা সূর্যের চেয়ে ৫৫০ থেকে ৯২০ গুণ বেশি হতে পারে।

‘এর সম্পর্কে যা জানা যায় তা হচ্ছে এটির সুপারনোভায় পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে,’ বিবিসিকে এ কথা বলেন নটিংহাম ট্রেন্ট ইউনিভার্সিটির সহকারী অধ্যাপক ড্যানিয়েল ব্রাউন। ‘এর বর্তমান অবস্থা থেকে এটা বোঝা যায় যে, জ্যোতির্বিজ্ঞানের সময়ের হিসাবে এটি যেকোনো সময় ঘটতে পারে।’ ‘কিন্তু এটার অর্থ হচ্ছে এটা আগামী এক লাখ বছরেও হতে পারে,’ ব্রাউন বলেন। তার মানে এটি শিগগিরই সুপারনোভায় পরিণত হচ্ছে না?

গদ কয়েক মাসে জ্যোতির্বিদরা লক্ষ্য করেছেন যে, ব্রেটেলজাস ধীরে ধীরে অনুজ্জ্বল তারায় পরিণত হচ্ছে- যুক্তরাষ্ট্রের ভিলানোভা ইউনিভার্সিটির গবেষকরা গত ডিসেম্বর দাবি করেছেন যে, তারাটি ৫০ বছর ধরে পর্যবেক্ষণ সময়ের মধ্যে সবচেয়ে অনুজ্জ্বল পর্যায়ে পৌঁছেছে। উল্লেখযোগ্য হারে উজ্জ্বলতা হারানো থেকে ধারণা করা হচ্ছে যে, এই রেড জায়ান্টটি ‘বিস্ফোরিত হতে যাচ্ছে।’

‘আয়ুষ্কাল শেয় হয়ে এলে বিশালাকার নক্ষত্রও তাদের ব্যাপক হারে ভরশূন্য হয়ে পড়ে’ টুইটারে এমনটা লেখেন ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্যোতির্বিদ এবং বেটেলজাসের গবেষক সারাফিনা ন্যান্স।

29
চুল পাতলা হয়ে যাচ্ছে, কী করবেন?
অতিরিক্ত চুল ওঠার কারণে চুল পাতলা হয়ে যায়। যত্নের অভাবে চুল পাতলা হয়ে যায় এমন নয়। দূষণ, পানির প্রকৃতি, মানসিক, চুলের স্টাইলিং, যন্ত্রের ব্যবহার, কেমিক্যাল হেয়ার ট্রিটমেন্টসহ বিভিন্ন কারণে চুল পাতলা হয়ে যায়।


তবে কিছু উপায় মেনে চললে চুল পাতলা হওয়া রোধ করা যায়।

আসুন জেনে নিই চুলের যত্নে কী করবেন?

১. সপ্তাহে দুদিন শ্যাম্পু করার আগে গরম তেলের ম্যাসাজ করুন চুলে। নারিকেল তেল, অলিভ অয়েল বা অ্যাভোকাডোর মতো প্রাকৃতিক তেল চুলের জন্য ভালোই। আর চুল বড় করতে চাইলে নারিকেল তেলের সঙ্গে ক্যাস্টর অয়েল মেশাতে পারেন।

২. ড্রাই ম্যাসাজও চুলের জন্য ভালো। মাথা নিচু করে পুরো চুলটা সামনের দিকে নিয়ে আসুন এবং আঙুলের ডগা দিয়ে মাথার ত্বকে ম্যাসাজ করুন।

৩. ভালো মানের শ্যাম্পু, তেল, কন্ডিশনার চুল ভালো রাখে। প্রয়োজনে চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলে শ্যাম্পু, তেল, কন্ডিশনার বেছে নিন।

৪. ভিটামিন 'সি' ও প্রোটিনসংবলিত খাবার খেতে হবে। এরা চুলের কেরাটিন মজবুত করে চুল ঘন করে তোলে।

Pages: 1 [2] 3 4 ... 27