Show Posts

This section allows you to view all posts made by this member. Note that you can only see posts made in areas you currently have access to.


Messages - Forman

Pages: 1 2 [3] 4
31
এখন ফ্রিল্যান্সিং দারুণ আকর্ষণীয়। অনেকেই চাকরি না করে ফ্রিল্যান্সিং করার স্বপ্ন দেখেন। ফ্রিল্যান্সিংয়ে একদিকে যেমন স্বাধীনভাবে কাজ করার সুযোগ থাকে তেমনি আয়ের পরিমাণও বেশি।



কাজের স্বাচ্ছন্দ্যের পাশাপাশি কাজের স্থান ও সময়ের কোনো বাঁধাধরা নিয়ম থাকে না বলে অনেকেই এ পেশায় আসতে চান। কিন্তু ফ্রিল্যান্সিং পেশায় আসার আগে এ ক্ষেত্রের চ্যালেঞ্জগুলোও জানা থাকা জরুরি। একাকিত্ব, রাত জেগে কাজ করে অসুস্থ হয়ে পড়ার আশঙ্কা, সামাজিক স্বীকৃতির আক্ষেপের মতো অনেক বিষয় এর সঙ্গে যুক্ত।
বেশির ভাগ ফ্রিল্যান্সার মনে করেন, অনেক সময় ক্লায়েন্টের বেঁধে দেওয়া সময়সীমার মধ্যে কাজ সম্পন্ন করতে হয় বলে ফ্রিল্যান্সারকে দিন-রাত পরিশ্রম করা লাগে। এ ছাড়া চাকরিতে নির্দিষ্ট বেতন থাকলেও ফ্রিল্যান্সিং কাজ সব সময় হাতে না–ও থাকতে পারে। কাজের জন্য দীর্ঘসময় অপেক্ষা করতে হয়। যাঁরা চাকরি ছেড়ে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করতে চান, তাঁদের জন্য কয়েকটি বিষয় জেনে রাখা জরুরি। জেনে নিন বিষয়গুলো:

একাকিত্বের সঙ্গী প্রয়োজন
মনে রাখবেন, ফ্রিল্যান্সিং আপনাকে একাকী করে দেবে। আপনার জীবনযাপন অন্যদের চেয়ে আলাদা হয়ে যাবে। বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে সম্পর্ক নষ্ট হবে। রাতের বেলা জেগে কাজ করতে হবে। আপনার কাজে সহকর্মী না থাকায় নির্দিষ্ট সময় অফিসে যাওয়া লাগবে না। কাজের সময় তাই অফিসের পরিবেশ পাবেন না। তাত্ত্বিকভাবে এটা ভালো শোনালেও প্রকৃতপক্ষে আপনি একাকী হয়ে যাবেন। এই একাকিত্ব দূর করতে সাপোর্ট নেটওয়ার্ক থাকা জরুরি। এতে দিনের বেলা বা অন্য সময় গল্প-গুজব বা আড্ডা দিতে পারেন। তা না হলে পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বেন। বন্ধুবান্ধব, আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে সম্পর্ক রাখা জরুরি। কাজের সময় নির্ধারিত না থাকায় সকাল–বিকেল কাজ করা লাগতে পারে, এ কারণে পরিবার ও বন্ধুদের সঙ্গে সম্পর্ক নষ্ট হয়।

নিজের অর্থের ব্যবস্থাপনা
যখন বড় কোম্পানিতে কাজ করেন, তখন অনেক জটিল অর্থনৈতিক বিষয় কোম্পানি ঠিক করে রাখে। বিশেষ করে বেতন ও ট্যাক্সের মতো বিষয়টি। যখন ফ্রিল্যান্সিংয়ের মতো স্বাধীন কাজের সঙ্গে যুক্ত হবেন, তখন নিজের অর্থ ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব নিজেকেই নিতে হবে। সঠিক সময়ে ট্যাক্স রিটার্ন দাখিল করার পাশাপাশি অর্থ জমানোর মতো বিষয়গুলোতে নজর দেওয়া প্রয়োজন। চাকরি শেষে যেমন পেনশনের সুবিধা থাকে, তেমনি নিজের কাজের শেষ বছরান্তে যাতে অর্থ গচ্ছিত থাকে, সে বিষয়টিতে ফ্রিল্যান্সারকে গুরুত্ব দিতে হবে।

অসুস্থতার জন্য অর্থ সাশ্রয়
অসুস্থ হলে চাকরিতে ছুটি পাওয়া যায়। আপনার কাজের জন্য অসুস্থতাজনিত বিরতি বা বছর শেষে বেড়ানোর মতো সময় রাখবেন। একটা কথা মনে রাখবেন, ফ্রিল্যান্সিংয়ে কাজ করলে তবে অর্থ পাবেন। যদি কাজ না করেন, তবে সে সময়গুলোতে আপনার অর্থ আসবে না। তাই ফ্রিল্যান্সিং বা স্ব–উদ্যোগে কাজ করার আগে থেকে অর্থ জমানোর অভ্যাস করা প্রয়োজন। অনেক সময় কাজ শুরু করার সময় হাতে অর্থ না–ও থাকতে পারে। কোন মাসে কত আয় করবেন, তারও কোনো বাঁধাধরা নিয়ম থাকে না। কোনো মাসে অনেক আয় আসতে পারে, আবার কোনো মাস একেবারে শূন্য যেতে পারে। তাই আয় ও ব্যয়ের ক্ষেত্রে একটা ভারসাম্য রাখা অবশ্যই উচিত। এ ছাড়া নিজের জন্য ছুটি রাখার বিষয়টিও গুরুত্বপূর্ণ।

নিজের দক্ষতা বাড়ান
যাঁরা নতুন কাজ শুরু করতে যাচ্ছেন, তাঁদের জন্য ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস বেশ কঠিন। কাজ পাওয়া এখন অনেক কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে যাঁরা ইতিমধ্যে প্রতিষ্ঠিত ও যাঁদের অনেক কাজদাতা আছে, তাঁদের জন্য সুবিধাও বেড়েছে। তাই যাঁদের ক্লায়েন্ট কম ও যাঁরা কাজ খুঁজছেন, তাঁরা অনলাইনে দারুণ পোর্টফোলিও তৈরি করুন। এ ছাড়া শুরুতে কঠোর পরিশ্রম করুন। নিজের সম্মান ও দক্ষতা অর্জন করুন। ক্লায়েন্টকে আপনার কাজ দিয়ে, যোগাযোগ দক্ষতা দিয়ে মুগ্ধ করুন। পেশাদার আচরণ করুন। তবে সবার আগে প্রয়োজন নিজের দক্ষতাকে প্রমাণ করার। আপনি যে কাজে দক্ষ, তা ভালোভাবে চর্চা করুন। আপনার দক্ষতা অনুযায়ী কাজ খুঁজে নিয়ে তা সম্পন্ন করে ক্লায়েন্টের কাছ থেকে ইতিবাচক ফিডব্যাক নিন। এটাই আপনার উন্নতির চাবিকাঠি। যখন আপনি সফল হতে শুরু করবেন, তখন কোন সুযোগটি আপনার জন্য অধিক জুতসই, তা নির্বাচন করতে ভুলবেন না।

কাজ করুন দক্ষতা অনুযায়ী
আপনার দক্ষতা কি ফ্রিল্যান্সার হওয়ার উপযোগী? অনেকেই না বুঝে ফ্রিল্যান্সিং পেশায় আসতে চান। মনে রাখবেন, এটা দক্ষ ব্যক্তিদের প্রতিযোগিতার ক্ষেত্র। এ ক্ষেত্রে সীমিত দক্ষতা নিয়ে টিকে থাকা কঠিন। আপনি কাজের ক্ষেত্র নষ্ট করলে দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট হবে। তাই কাজ না জেনে এ ক্ষেত্রে আসা উচিত হবে না। বাড়িতে বসে কাজ করার বিষয়টি আকর্ষণীয় হতে পারে। তবে এ কাজ শুরুর আগে এ ক্যারিয়ারে আসার বিষয়টি নিয়ে চিন্তা করা প্রয়োজন। ফাইবার, আপওয়ার্কের মতো প্ল্যাটফর্মগুলোর কারণে ফ্রিল্যান্সারদের সংখ্যা বাড়ছে। এর মধ্যে ক্রিয়েটিভ ইন্ডাস্ট্রি, যেমন ডিজাইন, মিউজিক ও অডিওর পাশাপাশি প্রোগ্রামিং ও টেক খাতে ফ্রিল্যান্সারদের জন্য ব্যাপক কাজের সুযোগ রয়েছে। তবে এ খাতে ক্যারিয়ার নিয়ে ভাবার আগে আপনি কোন খাতে ভালো করবেন, সেটি ভাবুন।

প্রয়োজন নিজস্ব প্রণোদনা
আপনি কি স্ব–উদ্যোগী? আপনার নিজের কাজ ঠিক রাখতে মোটিভেশন বা প্রণোদনার প্রয়োজন হবে। অনেক সময় ফ্রিল্যান্সিং খাতে কাজ করতে এসে ফ্রিল্যান্সাররা হতাশ হন। এমন সময়ে নিজের দায়িত্ব নিজেকে নিতে হবে। ফ্রিল্যান্সার মানে নিজের ব্যবসা, নিজেই ব্যবস্থাপক, নিজেই হিসাবরক্ষক। নিজের সঙ্গে মিটিং করতে হবে। সময়সীমার মধ্যে কাজ করার তাড়া থাকতে হবে। ক্রেতার প্রত্যাশা পূরণের তাড়া থাকতে হবে। অর্থাৎ, সব সময় নিজেকে কাজের চাপ, যোগাযোগের মতো বিষয়ে তটস্থ থাকতে হবে। তবে অনেক সময় হাতে কাজ না থাকতে পারে, তখন হতাশ হলে চলবে না। মনে রাখতে হবে, প্রতিটি কাজে ওঠানামা থাকে। নিজেকে মোটিভেশন দিতে হবে। নিজের কাজের প্রতি সদিচ্ছা ও আত্মনিয়োগ আপনাকে এগিয়ে রাখবে। নিজের কাজে শৃঙ্খলা থাকলে, স্বাধীন ও নমনীয় সময়ে কাজ করার সুবিধাও নিতে পারবেন।

Source: Prothomalo

32
গিগ ইকোনমি বা শেয়ারড অর্থনীতির ক্ষেত্রে দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। রাইড শেয়ারিং, ই-কমার্স, অনলাইন মার্কেটপ্লেস, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও অ্যাপভিত্তিক নানা কাজে যুক্ত হচ্ছেন দেশের তরুণেরা। দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলে গিগ অর্থনীতির দিক থেকে ভারতের পরেই বাংলাদেশের অবস্থান বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এই গিগ অর্থনীতির বিষয়টি বেশ কিছুদিন ধরেই প্রযুক্তি দুনিয়ায় আলোচিত হচ্ছে।



গিগ ইকোনমির সংজ্ঞায় বলা হচ্ছে, ‘গিগ ইকোনমি’ এমন একটা পরিবেশ, যেখানে অস্থায়ী চাকরির ছড়াছড়ি থাকবে আর বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান স্বল্পমেয়াদি চুক্তিতে স্বতন্ত্র কর্মীদের (ইন্ডিপেন্ডেন্ট ওয়ার্কার্স) নিয়োগ দেবে। তারা ফুল টাইম কর্মীদের চেয়ে ফ্রিল্যান্সারদের গুরুত্ব বেশি দেবে এবং বেশির ভাগ কাজ এই ফ্রিল্যান্সারদের দিয়েই করাবে। এই ধারার সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলার ক্ষমতাকে বা এই রকম ফ্রিল্যান্স দক্ষতাগুলোকে বলা হচ্ছে, ‘গিগ ক্যাপাসিটি’। যেই দেশ বা শহর যত বেশি প্রযুক্তিগতভাবে উন্নত ও গতিশীল, সেই দেশে বা শহরে এই ‘গিগ ক্যাপাসিটিসম্পন্ন’ লোকবলের দরকার বেশি হবে। মজার ব্যাপার হলো, এই গিগস রাই কিন্তু হবে শহুরে অর্থনীতির মূল চালিকা শক্তি।

অর্থনৈতিক বোদ্ধারা বলছেন, উন্নত বিশ্বে এই ধারা ইতিমধ্যে পরিলক্ষিত হচ্ছে এবং ধারণা করা যাচ্ছে, ২০২০ সালের মধ্যে প্রায় ৪০ ভাগ আমেরিকান চাকরির এই ধারা (ট্রেন্ড) দ্বারা প্রভাবিত হবেন, যা আস্তে আস্তে পুরো বিশ্বে ছড়াবে। বাংলাদেশও ইতিমধ্যে গিগ অর্থনীতিতে শক্তিশালী অবস্থানে চলে এসেছে। সরকারি তথ্য অনুযায়ী, শুধু ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে সাড়ে ছয় লাখ ফ্রিল্যান্সার কাজ করছেন।

সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ও অর্থনীতিবিদ হোসেন জিল্লুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, নতুন প্রযুক্তির উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে গিগ ইকোনমির মতো বিষয়গুলোতে আগ্রহ বাড়ছে। গিগ ইকোনমিতে কাজের বিষয়গুলো কতটা সংগতিপূর্ণ বা টেকসই হচ্ছে কি না, তা ভেবে দেখতে হবে। ফ্রিল্যান্সারদের হাত ধরে বাংলাদেশে গিগ ইকোনমির ধারাটি শুরু হয়েছে। এটা কতটা প্রভাব ফেলবে তা গবেষণা জরুরি। বিশ্বের অনেক দেশে এখন গিগ অর্থনীতি ব্যাপকভাবে প্রভাব ফেলছে। অনেক কাজ হচ্ছে ঘরে বসে। বাজার অনেক প্রতিযোগিতামূলক আর দ্রুত পরিবর্তনশীল। দেশের গিগ ইকোনমি কোন পর্যায়ে, এখন তা জানাটা জরুরি। যে অর্থনীতির দিকে আমরা যাচ্ছি, তার আয় বণ্টন কেমন হবে, শ্রমিকেরা কতটুকু পাবেন, নতুন ধারা নিয়ে কাজ করতে হবে। তবে এটা যে দেশের অর্থনীতির অন্যতম ধারা হবে, তা নিয়ে দ্বিমত নেই। তবে উদ্বেগের জায়গা হচ্ছে, মানসম্মত কর্মসংস্থান। এটা নিয়ে গবেষণা করে তার ফলাফলের ভিত্তিতে নীতিমালা তৈরিতে জোর দিতে হবে।

যুক্তরাষ্ট্রের গবেষণা প্রতিষ্ঠান এডিসন রিসার্চের তথ্য অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রে ২০১৪ সালের তুলনায় বর্তমানে ফ্রিল্যান্সারের সংখ্যা ৩০০ গুণ বেড়েছে। প্রায় ৬ কোটি আমেরিকান বর্তমানে ফ্রিল্যান্সের সঙ্গে যুক্ত। এটা ধারণা করা হচ্ছে যে ২০২৭ সালের মধ্যে আমেরিকার বেশির ভাগ কর্মীই ফ্রিল্যান্সের সঙ্গে যুক্ত হবেন।

ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্ম আপওয়ার্ক ও ফ্রিল্যান্সার্স ইউনিয়নের সাম্প্রতিক গবেষণা অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রের মোট শ্রমশক্তির চেয়ে তিন গুণ দ্রুত বাড়ছে ফ্রিল্যান্সিং শ্রমশক্তি। এ ক্ষেত্রে নতুন প্রযুক্তি ব্লক চেইন, বড় প্রযুক্তিপ্রতিষ্ঠানগুলোকে ফ্রিল্যান্সিং কর্মী নিয়োগের ইচ্ছা বড় ভূমিকা রাখবে।

দূর–নিয়ন্ত্রিত কর্মীদের চাহিদাও এখন বাড়ছে। ফ্লেক্সজবস নামের অনলাইন প্ল্যাটফর্মের কর্মকর্তারা মনে করেন, যুক্তরাষ্ট্রে ১৭০টি ভার্চ্যুয়াল কোম্পানি কাজ করছে। ২০১৪ সালে এ সংখ্যা ছিল মাত্র ২৬। এর মধ্যে রয়েছে অটোমেটিক, আনসার কানেক্ট, ইনভিশন ও টপটালের মতো বড় প্রতিষ্ঠান।

গিগ ইকোনমির দিক থেকে বিবেচনায় এশিয়ার মধ্যে শীর্ষে রয়েছে ভারত। কিন্তু ভারতের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করতে এশিয়ার অন্যান্য দেশ দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে।

বৈশ্বিক ফ্রিল্যান্সিং অ্যান্ড ক্রাউডসোর্সিং মার্কেটপ্লেস ফ্রিল্যান্সার ডটকমের তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশ ও ভারতে গিগ অর্থনীতি দ্রুত বিকশিত হচ্ছে। প্রতিষ্ঠানটির ২০১৬ সালের এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, গিগ অর্থনীতির দিক থেকে ভারত বিশ্ব ও এশিয়া অঞ্চলে নেতৃত্ব দেবে। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশও সম্ভাবনাময়। বাংলাদেশের গিগ ইকোনমি এগিয়ে নিতে ফ্রিল্যান্সার ও ক্ষুদ্র উদ্যোক্তারা বড় ভূমিকা রাখছেন।

অক্সফোর্ড ইন্টারনেট ইনস্টিটিউট (ওআইআই) ডিজিটাল গিগ ইকোনমি নিয়ে ২০১৭ সালে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। ওই তালিকায় গিগ ইকোনমিতে এশিয়ার দেশগুলোর প্রাধান্য দেখা যায়। ওই প্রতিবেদনে ছয়টি দেশের কথা তুলে ধরা হয়। এ ছয়টি দেশ গ্লোবাল ফ্রিল্যান্সিং ইকোসিস্টেমের অনলাইন জবগুলোর অধিকাংশ পেয়ে থাকে।

ওই তালিকায় বাংলাদেশ ভালো অবস্থানে রয়েছে। বৈশ্বিক বিবেচনায় বাংলাদেশ সেলস অ্যান্ড মার্কেটিং সাপোর্ট কাজগুলো ভালোভাবে করে। বাংলাদেশের সফটওয়্যার নির্মাতাদের সংগঠন বেসিস সূত্রে জানা গেছে, দেশে এখন ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, গ্রাফিকস ডিজাইনসহ বিভিন্ন ধরনের বেশি আয়ের কাজগুলো বাড়ছে। বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ আরও দক্ষ কর্মী সরবরাহ করতে সক্ষম হচ্ছে।

অক্সফোর্ড ইন্টারনেট ইনস্টিটিউটের (ওআইআই) ওই সমীক্ষা প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশ্বে অনলাইনে শ্রমদাতা (আউটসোর্সিং) দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান দ্বিতীয়। অক্সফোর্ড ইন্টারনেট ইনস্টিটিউটের সমীক্ষায় বলা হয়েছে, ভারত অন্য সব দেশের চেয়ে এগিয়ে প্রথম স্থান অধিকার করেছে। দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ। তৃতীয় হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। অনলাইনে শ্রমদান বা অনলাইনে কাজের ক্ষেত্রে ভারত ২৪ শতাংশ অধিকার করেছে। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ১৬ শতাংশ ও যুক্তরাষ্ট্র ১২ শতাংশ অধিকার করেছে। শুধু যুক্তরাষ্ট্রই নয়, পাকিস্তান, ফিলিপাইন, যুক্তরাজ্য, কানাডা, জার্মানি, রাশিয়া, ইতালি ও স্পেন বাংলাদেশের পেছনে অবস্থান করছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ইন্টারনেট ফ্রিল্যান্স কাজ করা এবং ডিজিটালি তা ছাড় করানোর জন্য বৈশ্বিক বাজার সৃষ্টি করেছে এবং এই বাজার দ্রুত বাড়ছে। শীর্ষ পেশাদারির ক্ষেত্রে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে লেখন ও অনুবাদ গুরুত্ব পাচ্ছে। অন্যদিকে, ভারতীয় উপমহাদেশে সফটওয়্যার উন্নয়ন ও প্রযুক্তি গুরুত্ব পাচ্ছে।

ওই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, অনলাইনে ফ্রিল্যান্স কাজের ক্রেতা-বিক্রেতাদের চারটি বৃহত্তম প্ল্যাটফর্ম থেকে প্রাপ্ত তথ্য-উপাত্তের ওপর ভিত্তি করে এই তথ্যচিত্র তৈরি করা হয়েছে।

‘অনলাইন লেবার ইনডেক্স ওয়ার্কার সাপ্লিমেন্ট’ চারটি অনলাইন লেবার প্ল্যাটফর্ম, তথা অনলাইন ফ্রিল্যান্সিং বা অনলাইন আউটসোর্সিং প্ল্যাটফর্ম থেকে সংগ্রহ করা হয়। এগুলো হচ্ছে ফাইভার, ফ্রিল্যান্সার, গুরু ও পিপলপার আওয়ার।

সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড টেকনোলজি ক্যাটাগরিতে ভারতীয় উপমহাদেশের কর্মীদের প্রাধান্য দেখা যায়, যা এই খাতের ৫৫ শতাংশ। প্রফেশনাল সার্ভিস ক্যাটাগরিতে যুক্তরাজ্যের কর্মীদের প্রাধান্য দেখা যায়, যা এই খাতের ২২ শতাংশ।

সার্বিক বিবেচনায় ‘অনলাইন লেবার’-এ ‘সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড টেকনোলজি, ক্রিয়েটিভ, মাল্টিমিডিয়া, ক্ল্যারিক্যাল, মাল্টিমিডিয়া ও ডেটা এন্ট্রির ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদানসহ বিপণন সহায়তায় বাংলাদেশ অন্য সব দেশের চেয়ে এগিয়ে রয়েছে।

গিগ অর্থনীতির বাংলাদেশ প্রেক্ষাপট

বৈশ্বিক ফ্রিল্যান্সিং বাজারের বড় একটি গন্তব্য বাংলাদেশ। এ খাতের কর্মী সরবরাহে বাংলাদেশ ১৬ শতাংশ বাজার দখল করে আছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এখানে মাসে ৬০ মার্কিন ডলার মতো মাসিক আয়। সেখানে গিগ অর্থনীতি বা আউটসোর্সিং আর্থিক স্বাধীনতা ও আয় বাড়ানোর জন্য বড় সুযোগ। দেশের তরুণ জনগোষ্ঠী সে সুযোগ নিচ্ছে।

দেশে বসেই বিদেশের চারটি প্রতিষ্ঠানের জন্য কর্মী নিয়োগ দেওয়া, মানবসম্পদ বিভাগ দেখাসহ প্রতিষ্ঠানের গুরুদায়িত্ব পালন করছেন মেরিলিন আহমেদ। অনলাইনের একটি মার্কেটপ্লেস থেকেই তাঁর মাসে গড়ে দুই লাখ টাকা আয় হয়। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক অনলাইন মার্কেটপ্লেস আপওয়ার্কে কাজ করা মেরিলিন বলেন, ঘরে বসে বাইরের এ কাজে দেশের তরুণদের মধ্যে উৎসাহ বাড়ছে। অনেকেই উদ্যোক্তা হিসেবে প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলে খণ্ডকালীন কাজ করছেন।

গিগ অর্থনীতি বা ফ্রিল্যান্সিং কাজের সুযোগ খুঁজে দেয় বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠান সেবা এক্সওয়াইজেড। প্রতিষ্ঠানটির ব্যবসা বিভাগের প্রধান কর্মকর্তা ঈশা আবরার বলেন, কয়েক বছর ধরে ফ্রিল্যান্সিং কাজে আগ্রহ বাড়তে দেখা গেছে। তাঁদের সাইটে এ ধরনের কাজের ব্যবহারকারীর বেড়েছে ধারাবাহিকভাবে। যাঁরা এ ধরনের কাজের জন্য একা বা কয়েকজন মিলে উদ্যোগ নেন, তাঁদের বলে উদ্যোক্তা। ২০১৬ সালে তাঁদের সাইটে ছিলেন ১৪২ জন উদ্যোক্তা। ২০১৭ সালে তা ১ হাজার ৫০৮ জন, যা ২০১৮ সালে দাঁড়িয়েছে ১৬ হাজারে। ভালো উদ্যোক্তারা মাসে ৫ থেকে ৮ লাখ টাকা আয় করছেন।

‘অনলাইন লেবার ইনডেক্স ওয়ার্কার সাপ্লিমেন্ট’–এর তথ্য অনুযায়ী, গিগ অর্থনীতিতে পাকিস্তানের চেয়ে দ্বিগুণ ভালো অবস্থানে আছে বাংলাদেশ। গ্লোবাল গিগ অর্থনীতির ৮ শতাংশ পাকিস্তানের।

বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (বেসিস) সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবীরের ভাষ্য, বিশ্বে আউটসোর্সিং তালিকায় কর্মী সরবরাহে বাংলাদেশ তৃতীয় অবস্থানে। এখানে প্রায় সাড়ে ছয় লাখ ফ্রিল্যান্সার রয়েছেন। তাঁদের মধ্যে পাঁচ লাখ কাজ করেন মাসিক আয়ের ভিত্তিতে। বিশাল এ জনগোষ্ঠীর অধিকাংশ তরুণ। তাঁরা চাকরির বদলে ফ্রিল্যান্সিংকেই পেশা হিসেবে নিয়েছেন। বাংলাদেশে ১৬ শতাংশ তরুণের মধ্যে এখন ঘরে বসে ইন্টারনেটে আয় বা অনলাইনে কাজ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। চাকরির চেয়ে স্বাধীনভাবে কাজ করার সুযোগ নিয়ে অনেকেই এখন ঝুঁকছেন ফ্রিল্যান্সিংয়ে।

ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসগুলোর তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বজুড়ে ২ লাখের বেশি ফ্রিল্যান্সার কাজ করছেন। ২০২০ সাল নাগাদ ফ্রিল্যান্সারদের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াবে ২০ কোটিতে। কাজের সুবিধার কথা মাথায় রেখে প্রচলিত কাজ ছেড়ে অনেকেই ফ্রিল্যান্সিংয়ে ঢুকছেন। ফ্রিল্যান্সিংয়ের বাজারে বাংলাদেশ একটি গুরুত্বপূর্ণ জায়গা দখল করেছে। মার্কেটপ্লেসগুলোতে দক্ষ ফ্রিল্যান্সারদের চাহিদা বেশি। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে।

ফ্রিল্যান্সিং খাতে আরও এগিয়ে যেতে দক্ষতা উন্নয়নের ওপর জোর দেন তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ। তিনি বলেন, ‘প্রতিবছর আমরা এখন ৩০ হাজার তরুণকে প্রশিক্ষণ দিচ্ছি। আগামী ২০২১ সালে আমরা এক লাখ তরুণকে প্রশিক্ষণ দেওয়ার টার্গেট নিয়েছি। প্রশিক্ষণ নেওয়ার পর এই তরুণেরা জনশক্তিতে পরিণত হবেন।’

অর্থনীতিবিদ হোসেন জিল্লুর বলেন, ‘গিগ ইকোনমিতে অস্থায়ী কাজ হওয়ায় এ ক্ষেত্র ঘিরে উদ্বেগও কম নয়। এ ক্ষেত্রে কর্মীদের অধিকার ও পারিশ্রমিক ঠিকমতো হচ্ছে কি না, তা দেখা জরুরি। এ ক্ষেত্রে মানসম্মত কর্মসংস্থানের বিষয়টি বিবেচনায় ধরতে হবে। যেহেতু এ খাতে তরুণেরা জড়িয়ে পড়ছেন, এটি কতখানি আমাদের দেশে প্রভাব ফেলবে, তা নিয়ে বিস্তর গবেষণা করাও জরুরি।’

Source: Prothomalo

33
চলতি বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিক, অর্থাৎ এপ্রিল থেকে জুন মাসে ফ্রিল্যান্সিংয়ের বৈশ্বিক ধারা (ট্রেন্ড) প্রকাশ করেছে ফ্রিল্যান্সারদের অর্থ লেনদেনের জনপ্রিয় অনলাইন মাধ্যম পেওনিয়ার। প্রতিষ্ঠানটি প্রথমবারের মতো বৈশ্বিক গিগ অর্থনীতির সূচক প্রকাশ করেছে, যেখানে বাংলাদেশের স্থান অষ্টম।



গিগ অর্থনীতির সংজ্ঞায় বলা হচ্ছে, এটি এমন একটি পরিবেশ, যেখানে অস্থায়ী চাকরি বেশি থাকবে আর বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান স্বল্পমেয়াদি চুক্তিতে স্বতন্ত্র কর্মীদের (ইনডিপেনডেন্ট ওয়ার্কার্স) নিয়োগ দেবে। তারা পূর্ণকালীন কর্মীর চেয়ে মুক্ত পেশাজীবী ফ্রিল্যান্সারদের গুরুত্ব বেশি দেবে।

পেওনিয়ার জানাচ্ছে, তাদের নেটওয়ার্কে থাকা বিশ্বব্যাপী তিন লাখের বেশি ফ্রিল্যান্সার, সেবাদাতা ও আউটসোর্সিং পেশাজীবীদের তথ্য বিশ্লেষণ করে ফ্রিল্যান্সিং অর্থনীতির সূচকটি তৈরি করা হয়েছে।

গবেষণায় দেখা গেছে, ৩৫ থেকে ৪৪ বছর বয়সী সেবাদাতারা অন্য বয়সের কর্মীদের তুলনায় আয় করেন বেশি। যুক্তরাষ্ট্রের পেশাজীবীদের মধ্যে ফ্রিল্যান্সিং জীবনযাপনে আগ্রহ বাড়ায় গিগ অর্থনীতি বড় হচ্ছে ও অনলাইনে মার্কেটপ্লেসের আকার বাড়ছে। গত বছরের এ সময়ের তুলনায় চলতি বছরে এশিয়ার ফ্রিল্যান্সারদের আয় দ্বিগুণ বেড়েছে। ইউক্রেনে প্রচুর শিক্ষিত তথ্যপ্রযুক্তি পেশাজীবী দেশটির আউটসোর্সিং পেশাকে জনপ্রিয় করে তুলেছেন এবং সেখানকার অর্থনীতি আরও মজবুত হয়েছে। পেওনিয়ারের প্রতিবেদনে আয় বৃদ্ধির দিক থেকে গত বছরের তুলনায় এ বছর বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি ২৭ শতাংশ। সে কারণে বাংলাদেশ অষ্টম স্থানে রয়েছে। গত এক বছরে ফ্রিল্যান্সিংয়ে সবচেয়ে বেশি প্রবৃদ্ধি ৭৮ শতাংশ হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের। এরপর ৫৯ শতাংশ প্রবৃদ্ধি নিয়ে আছে যুক্তরাজ্য। ব্রাজিলের প্রবৃদ্ধি ৪৮ শতাংশ। এক বছরে প্রবৃদ্ধি হয়েছে পাকিস্তান, ইউক্রেন ও ফিলিপাইনের। ২৯ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হওয়ায় বাংলাদেশের ঠিক ওপরে আছে ভারত। বাংলাদেশের পর ২০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি নিয়ে রাশিয়া ও ১৯ শতাংশ প্রবৃদ্ধি নিয়ে অবস্থান করছে সার্বিয়া।

অর্থনীতিবিদ হোসেন জিল্লুর রহমানের ভাষ্য, নতুন প্রযুক্তির উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে গিগ অর্থনীতির মতো বিষয়ে আগ্রহ বাড়ছে। গিগ অর্থনীতিতে কাজের বিষয়গুলো কতটা সংগতিপূর্ণ বা টেকসই হচ্ছে কি না, তা ভেবে দেখতে হবে। ফ্রিল্যান্সারদের হাত ধরে বাংলাদেশে গিগ ইকোনমির ধারাটি শুরু হয়েছে। এটা কতটা প্রভাব ফেলবে, তা গবেষণা জরুরি।

পেওনিয়ারের বাংলাদেশে ব্যবসা উন্নয়ন বিভাগের প্রধান নাহিদ হাসান বলেন, প্রতিবেদন অনুযায়ী বৈশ্বিক গিগ ইকনোমি সূচকে বাংলাদেশ শীর্ষ দশ দেশের মধ্যে স্থান পেয়েছে। বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিক দুর্দান্তভাবে কাটানোয় বিশ্বের ফ্রিল্যান্সার হাব হিসেবেও স্বীকৃতি পেয়েছে। গিগ অর্থনীতি ছাড়াও অনেক ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা বৈশ্বিক বাজারে পণ্য বিক্রি করছে। তাদের কাজে সহযোগিতা করছে পেওনিয়ার। উন্নয়নশীল বাজার হিসেবে বাংলাদেশ দারুণ প্রবৃদ্ধি করছে।

Source: Prothomalo

34
ফ্রিল্যান্সাররা ভালো আয় করলেও বিয়ে নিয়ে ঝামেলা, ব্যাংকঋণসহ নানা সুবিধা পান না। ফ্রিল্যান্সারদের নানা সুবিধা দিতে ‘ফ্রি আইডি’ নামের এক ধরনের বিশেষ কার্ড চালু করতে চায় সরকার। ‘ফ্রি আইডি’ অর্থাৎ, ফ্রিল্যান্সার আইডি হবে ন্যাশনাল আইডির আদলে এক ধরনের কার্ড যাতে ফ্রিল্যান্সারদের বিভিন্ন তথ্য থাকবে।



আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে আগারগাঁওয়ে বিডা মিলনায়তনে এক মতবিনিময় সভায় তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ এ কথা বলেন।


প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ বলেন, ‘ফ্রিল্যান্সারদের জন্য কী কী সুবিধা দেওয়া যায়, সে জন্যই আমরা এখানে বসেছি। বাংলাদেশে ছয় লাখ ফ্রিল্যান্সার রয়েছে। এ সভার মূল উদ্দেশ্য আন্তর্জাতিক অলাইন মার্কেটপ্লেসে কর্মরত ফিল্যান্সারদের সমস্যা চিহ্নিতকরণে ও সমাধানে করণীয় নির্ধারণে মতবিনিময় সভা।’ এখানে ব্যাংক, সরকারি ও বেসরকারি খাতের কর্মকর্তারা মতামত দেন। ফ্রিল্যান্সারদের সুবিধা দিতে ‘ফ্রি আইডি’ কার্ড বিনা মূল্যে পাওয়া যাবে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ফ্রিল্যান্সারদের সুবিধা দিতে ও গাইডলাইন দিতে তারা একটি উদ্যোগ নিচ্ছেন। তাঁদের পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সহযোগিতা করছে ফ্রিল্যান্সার সংস্থা বাংলাদেশ ফ্রিল্যান্সারস ডেভেলপমেন্ট সোসাইটি (বিএফডিএস) ।

সরকার ফ্রিল্যান্সারদের নিয়ে যে তথ্যভাণ্ডার গড়বে এতে একটি সাইটে ফ্রিল্যান্সাররা তথ্য দেবেন। এটি পরে অ্যাপ হিসেবেও থাকবে। এর বাইরে একটি পরিচয়পত্র থাকবে, যাতে নাম, মোবাইল নম্বরসহ ব্যক্তিগত তথ্য থাকবে। এর অপর পাশে কিউআর কোডসহ বিশেষ কোড থাকবে, যাতে ব্যাংক বা থার্ড পার্টি চাইলে ফ্রিল্যান্সারের পরিচয় যাচাই করতে পারবেন। এতে কেওয়াইসির সব ডেটা থাকবে।

পলক বলেন, এটি পৃথিবীর অন্যতম কোড হবে। এতে নিজস্ব কোড বসানো থাকবে। নিজস্ব ডেটাবেইস হবে। এতে কার লোন, ব্যাংক লোনসহ নানা সুবিধা পাবেন।

Source: Prothomalo

35
যাঁরা প্রচলিত অফিস বাদ দিয়ে ঘরে বসে ফ্রিল্যান্সিং করে সবচেয়ে বেশি আয় করতে চান, তাঁদের জন্য ডেটা অ্যানালিটিক্স ও ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট ক্ষেত্রের দক্ষতা সবচেয়ে বেশি কাজে লাগবে। সম্প্রতি এ দুটি খাতে দক্ষ কর্মীর চাহিদা সবচেয়ে বেশি বাড়তে দেখা গেছে। ফ্রিল্যান্সিং ক্ষেত্রের জনপ্রিয় অনলাইন মার্কেটপ্লেস ফ্রিল্যান্সার ডটকমের তথ্য অনুযায়ী, কর্মী নিয়োগদাতাদের কাছে ডেটা অ্যানালিটিক্স ও ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট জানা কর্মীর চাহিদা জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে সবচেয়ে বেশি দেখা গেছে। সম্প্রতি ‘ফাস্ট ৫০’ নামে দক্ষতাবিষয়ক প্রান্তিক সূচক প্রকাশ করেছে ফ্রিল্যান্সার ডটকম। ওই তালিকায় সবচেয়ে চাহিদাসম্পন্ন দক্ষতার মধ্যে স্থান পেয়েছে ডেটা অ্যানালিটিক্স, ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট, মাইক্রোসফট অফিস, কপি টাইপিং, ট্রান্সক্রিপশন, রাশিয়ান ট্রান্সলেশন, বুককিপিং, ই-মেইল হ্যান্ডেলিং ও কাস্টমার সাপোর্ট। যাঁদের এ ধরনের কাজে দক্ষতা আছে, তাঁরা চাইলে ফ্রিল্যান্সিং ক্ষেত্রে ভালো করতে পারেন।



ফ্রিল্যান্সার ডটকমের তথ্য অনুযায়ী, গত প্রান্তিকে ডেটা অ্যানালিটিক্স ও ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট ক্ষেত্রের চাহিদা বেড়েছে ৫৮.৯ ও ৫৫.৬ শতাংশ। জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর মাসে তাদের সাইটে ৪ লাখ ৭৩ হাজার ফ্রিল্যান্সিং কাজের পোস্ট হয়েছে। অনলাইন মার্কেটপ্লেসে সবচেয়ে চাহিদাসম্পন্ন ৫০টি কাজের তালিকা থেকে তৈরি করা হয়েছে ‘ফাস্ট ৫০’। দেখে নিন সবচেয়ে বেশি চাহিদা থাকা ৫টি ফ্রিল্যান্সিং কাজ সম্পর্কে:

ডেটা অ্যানালিটিক্স: বাজার বিশ্লেষকেরা বলছেন, ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে ডেটা অ্যানালিটিক্সের চাহিদা বাড়তে থাকবে। ২০২৩ সাল নাগাদ ডেটা অ্যানালিটিক্স মার্কেট বেড়ে দাঁড়াবে ২৭৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে। গত প্রান্তিকে ফ্রিল্যান্সার ডটকমে ডেটা অ্যানালিটক্সে চাহিদাসম্পন্ন কর্মীর চাহিদা ৫৮.৯ শতাংশ বেড়েছে। বর্তমান ব্যবসার ট্রেন্ড বুঝতে এবং সে অনুযায়ী পরিকল্পনা সাজাতে দক্ষ কর্মীদের জন্য নানা প্রকল্প নিচ্ছে নিয়োগদাতারা। তাই যাঁরা ফ্রিল্যান্সিংয়ে আগ্রহী, তাঁদের জন্য এ দক্ষতা বাড়তি আয়ের পথ খুলে দেবে।

ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট: গত প্রান্তিকে ফ্রিল্যান্সার ডটকমে ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট পদে চাকরি আগের প্রান্তিকে পোস্ট হওয়া ৭ হাজার ৯২৫ থেকে ১২ হাজার ৩২৯টিতে পৌঁছেছে। অর্থাৎ, এ খাতে চাহিদা বেড়েছে ৫৫ শতাংশের বেশি। ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট পদে যাঁরা কাজ করেন, তাঁদের নানা রকম কাজে নিয়োগদাতাকে সাহায্য করতে হয়। গ্রাহকসেবা, সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং, ব্লগ পোস্টিং থেকে শুরু করে ভার্চুয়াল অফিসে বাস্তব অফিসের সহকারীর মতো কাজ করতে হয়। এ ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট প্রকল্পভিত্তিক বা ঘণ্টা ভিত্তিতে আয়ের সুযোগ থাকে।

মাইক্রোসফট অফিস: গত প্রান্তিকে মাইক্রোসফট এক্সেলে দক্ষ কর্মীদের প্রচুর চাহিদা বাড়তে দেখা গেছে। সাধারণ টাইপিং বা ডেটা এন্ট্রি কাজের তুলনায় এক্সেল দক্ষতা কিছুটা জটিল। এক্সেল ও প্রোগ্রামিং দক্ষতাসম্পন্ন একজন কর্মী কাজকে স্বয়ংক্রিয় করে তোলার মাধ্যমে নিয়োগকারীর সময় বাঁচাতে পারেন। অনেক ক্ষেত্রে ২০ ঘণ্টার কাজ এক ঘণ্টায় হয়ে যায়। এ ধরনের কাজে দক্ষ কর্মীরা স্বল্প সময়ে প্রচুর আয় করতে পারেন। যাঁরা ফ্রিল্যান্সিং কাজে ঢুকতে আগ্রহী, তাঁরা এক্সেল নিয়ে কাজে দক্ষতা অর্জন করতে পারেন।

কপি টাইপিং: টানা দুই প্রান্তিক জুড়ে শীর্ষ ১০ চাহিদাসম্পন্ন কাজের মধ্যে রয়েছে কপি টাইপিং। গত প্রান্তিকে এর চাহিদা বেড়েছে ৫৩ শতাংশ। বিস্তৃত ও এলোমেলো তথ্য থেকে পরিষ্কার তথ্যে কপি তৈরি, হাতে লেখা পোস্টকে সম্পাদনা উপযোগী পোস্টে রূপান্তর করার মতো নানা কাজ করতে হয় কপি টাইপিং কর্মীকে। নির্দিষ্ট প্রকল্পে নির্দিষ্ট বাজেট বা ঘণ্টা ভিত্তিতে কাজ করার সুযোগ পাওয়া যায়। যাঁরা দ্রুত ও নির্ভুল কপি টাইপ করতে পারেন, তাঁদের জন্য ফ্রিল্যান্সিং বাজারে কাজের সুযোগ রয়েছে।

ট্রান্সক্রিপশন: যাঁরা ভাষান্তর কাজে পারদর্শী তাঁদের জন্য ফ্রিল্যান্সিং ক্ষেত্রে ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। বর্তমানে ট্রান্সক্রিপশনে দক্ষ কর্মীর চাহিদা বাড়ছে। গত প্রান্তিকে ফ্রিল্যান্সার ডটকমে ৫২ দশমিক ২ শতাংশ চাহিদা বেড়েছে ট্রান্সক্রিপশন কাজে দক্ষ কর্মীদের। যাঁরা নতুন করে ফ্রিল্যান্সিং করতে চান, তাঁরা ভাষান্তর কাজে দক্ষতা অর্জন করতে পারেন। আরবি, রুশ, মান্দারিন, ফ্রেঞ্চসহ যত বেশি ভাষা জানবেন, তত বেশি আয় করতে পারবেন।

অন্যান্য: ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে এখন অন্যের জন্য বই লিখে দেওয়ার কাজের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। নিয়োগদাতার চাহিদা ও নির্দেশ অনুযায়ী সময়মতো বই লিখে দিতে পারলে ফ্রিল্যান্সিং করেও ব্যাপক আয় করতে পারবেন।

Source: Prothomalo

36
আগামী বছর হতে যাচ্ছে ফ্রিল্যান্স কর্মীদের জন্য দারুণ সময়। বিশ্বের বড় বড় অনেক প্রতিষ্ঠান ফ্রিল্যান্স কর্মীদের দিকে হাত বাড়িয়ে দেবে। কর্মী ও নিয়োগদাতা প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের মনোভাবের পরিবর্তন শুরু হচ্ছে। সাম্প্রতিক এক সমীক্ষায় এসব তথ্য উঠে এসেছে।

‘দ্য ২০২০ ট্যালেন্ট টেকনোলজি আউটলুক’ নামের ওই সমীক্ষা পরিচালনা করে কর্মী সমাধানদাতা প্রতিষ্ঠান এসসিআইকেই।



এখন চাকরির জন্য যোগ্য কর্মী খুঁজে বের করা এবং তাঁদের ধরে রাখা প্রতিষ্ঠানের জন্য অনেক কঠিন হয়ে দাঁড়াচ্ছে। গত বছরের তুলনায় এ বছর কর্মী নিয়োগ আরও কঠিন হয়ে গেছে বলে ৭৮ শতাংশ প্রতিষ্ঠান এক সমীক্ষায় তাদের মতামত দিয়েছে।

গত দশকে কর্মশক্তি উল্লেখযোগ্যভাবে পরিবর্তিত হয়েছে বলে উল্লেখ করে সাম্প্রতিক ওই গবেষণায় বলা হয়েছে, চাকরি থেকে ঝরে পড়ার হার বেড়ে যাওয়া ও এবং হতাশার হার ২২ শতাংশ ছাড়ানোর ফলে এখন নিয়োগ মানেই চাকরি নয় বরং কর্মীকে আকর্ষণের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।

সমীক্ষায় বিশ্বের ৪টি মহাদেশের ১০০ জনের বেশি প্রধান নির্বাহী পর্যায়ের কর্মকর্তা, মানবসম্পদ বিভাগের কর্মকর্তাদের মতামত বিশ্লেষণ করা হয়। তাঁদের নিয়ে করা সমীক্ষা, সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে নানা ইনপুট, সাক্ষাৎকার ও প্যানেল আলোচনার মাধ্যমে পাওয়া তথ্য বিশ্লেষণ করেছেন এসসিআইকেইর গবেষকেরা।

গবেষকেরা বলছেন, দীর্ঘ সময় ধরে নিয়োগপ্রক্রিয়ায় চাকরি থেকে ঝরে পড়ার হার বাড়ে এবং হতাশার ফলে কর্মীর চাকরি ছেড়ে দেওয়ার হার বেড়ে গেছে। এতে নতুন কর্মী নিয়োগ দেওয়া যেমন ব্যয়বহুল হয়েছে, তেমনি কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ ছাড়া ব্যবসায় প্রভাব ফেলতে পারে, এমন যোগ্য কর্মীকে আকর্ষণ করার বিষয়টিও অনেক কঠিন হয়ে গেছে।

সমীক্ষায় বলা হয়, ৬৮ শতাংশ কর্মী আংশিক বা পুরোপুরিভাবে কাজের সঙ্গে সংযুক্ত না থাকায় কয়েক বিলিয়ন ডলার উৎপাদন পর্যায়ে লোকসান হচ্ছে।

গবেষকেরা বলছেন, ২০২০ সালে প্রতিষ্ঠানগুলো এ বাস্তবতা বুঝতে পারবে। তাই কর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রযুক্তি ও ব্র্যান্ডিংয়ের ওপর বেশি গুরুত্ব দেবে। এতে দ্রুত প্রতিষ্ঠানের জন্য মেধাবী কর্মীকে আকর্ষণ করা যাবে। প্রতিষ্ঠানের সুনাম বাড়াতে ব্র্যান্ডিং ও মার্কেটিং বিশেষজ্ঞ নিয়োগ দেওয়ার হার বাড়বে আগামী বছর। এতে দক্ষ কর্মীদের কাছে প্রতিষ্ঠানের সঠিক তথ্য তুলে ধরা যাবে। এ ছাড়া মানবসম্পদ মার্কেটিংয়ের ক্ষেত্রে আগামী বছর সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

গবেষণায় ফ্রিল্যান্সার বা চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের জন্য সুখবর উঠে এসেছে। গবেষকেরা বলছেন, ২০২০ সালে ব্যয়বহুল কর্মীর চেয়ে প্রতিষ্ঠানগুলো আরও বেশি চুক্তিভিত্তিক বা গিগ কর্মী নিয়োগ দেবে। সমীক্ষায় অংশ নেওয়া ৫৪ শতাংশ সিইওদের মত হচ্ছে, আগামী দুই বছরে তাঁদের ব্যবসার প্রয়োজনে ক্রাউড রিসোর্স ব্যবহার করবেন। অর্থাৎ, ফ্রিল্যান্সারদের নিয়োগে আগামী দুই বছরে বেশি আগ্রহী প্রতিষ্ঠানগুলো।

গবেষণায় দেখা গেছে, পূর্ণকালীন চাকরির অনিশ্চয়তা কর্মীদের আরও বেশি চুক্তিভিত্তিক কাজের দিকে বা গিগ ইকোনমির দিকে ঠেলে দেবে। ২০২০ সালে কর্মী ও চাকরিদাতা প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের মানসিকভাবে পরিবর্তন দেখতে শুরু করবে বিশ্ব।

গিগ ইকোনমির সংজ্ঞায় বলা হচ্ছে, ‘গিগ ইকোনমি’ এমন একটা পরিবেশ, যেখানে অস্থায়ী চাকরির ছড়াছড়ি থাকবে আর বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান স্বল্পমেয়াদি চুক্তিতে স্বতন্ত্র কর্মীদের (ইনডিপেনডেন্ট ওয়ার্কার্স) নিয়োগ দেবে। তারা ফুলটাইম কর্মীদের চেয়ে ফ্রিল্যান্সারদের গুরুত্ব বেশি দেবে এবং বেশির ভাগ কাজ এই ফ্রিল্যান্সারদের দিয়েই করাবে। এই ধারার সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলার ক্ষমতাকে বা এই রকম ফ্রিল্যান্স দক্ষতাগুলোকে বলা হচ্ছে, ‘গিগ ক্যাপাসিটি’। যেই দেশ বা শহর যত বেশি প্রযুক্তিগতভাবে উন্নত ও গতিশীল, সেই দেশে বা শহরে এই ‘গিগ ক্যাপাসিটিসম্পন্ন’ লোকবলের দরকার বেশি হবে। মজার ব্যাপার হলো, এই গিগস রাই কিন্তু হবে শহুরে অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি।

অর্থনৈতিক বোদ্ধারা বলছেন, উন্নত বিশ্বে এই ধারা ইতিমধ্যে পরিলক্ষিত হচ্ছে এবং ধারণা করা যাচ্ছে, ২০২০ সালের মধ্যে প্রায় ৪০ ভাগ আমেরিকান চাকরির এই ধারা (ট্রেন্ড) দ্বারা প্রভাবিত হবেন, যা আস্তে আস্তে পুরো বিশ্বে ছড়াবে। বাংলাদেশও ইতিমধ্যে গিগ অর্থনীতিতে শক্তিশালী অবস্থানে চলে এসেছে। সরকারি তথ্য অনুযায়ী, শুধু ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে সাড়ে ছয় লাখ ফ্রিল্যান্সার কাজ করছেন।

Source: Prothomalo

37
প্রতিদিন বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সরকার গুগলের কাছে বিভিন্ন তথ্য চেয়ে অনুরোধ পাঠায়। বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে বড় তথ্যভান্ডার গুগল এত দিন এসব অনুরোধ আমলে নিয়ে যতটা সম্ভব তথ্য সরবরাহের চেষ্টা করেছে। এ জন্য দীর্ঘদিন ধরেই তারা কোনো ফি নেয়নি। কিন্তু সময়ের সঙ্গে এই তথ্য চাওয়ার হার বেড়ে যাওয়ায় এখন নতুন করে ফি বসানো শুরু করেছে প্রতিষ্ঠানটি।



মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমসে ২৪ জানুয়ারি প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছ থেকে আসা অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে তথ্য সরবরাহের জন্য গুগল এখন থেকে নির্দিষ্ট পরিমাণ ফি নেবে। চলতি মাস থেকেই তথ্যে বিনিময়ে ফি গ্রহণের কাজটি শুরু করে গুগল।

যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিতই বিভিন্ন তথ্যের অনুরোধ আসে গুগলের কাছে। এর মধ্যে ই-মেইলের তথ্য থেকে শুরু করে ব্যবহারকারী–সম্পর্কিত বিভিন্ন তথ্য বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। এমনকি ব্যবহারকারীর অবস্থান জানতেও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছ থেকে অনুরোধ আসে তাদের কাছে। সময়ের সঙ্গে এমন অনুরোধের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। ফলে গুগল এ ক্ষেত্রে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে কিছু ফি নির্ধারণ করে দিয়েছে।

গুগল নির্ধারিত ফি শুরু হয়েছে ৪৫ ডলার থেকে। সাধারণ শমনের তথ্যের জন্য এই ফি পরিশোধ করতে হবে। এ ছাড়া ওয়্যার ট্যাপের জন্য পরিশোধ করতে হবে ৬০ ডলার। আর একটি পূর্ণাঙ্গ সার্চ ওয়ারেন্টের জন্য গুনতে হবে ২৪৫ ডলার। এরই মধ্যে বিভিন্ন ক্যাটাগরির তথ্যের জন্য নির্ধারিত ফি উল্লেখ করে একটি নোটিশ পাঠানো হয়েছে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী দপ্তরে।

এ বিষয়ে গুগলের মুখপাত্র নিউইয়র্ক টাইমসকে বলেন, বিভিন্ন ধরনের শমন ও পরোয়ানায় চাওয়া তথ্য জোগাড়ে যে ব্যয় হয়, তা কিছুটা পুষিয়ে নিতেই এ ফি ধার্য করা হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল আইন অনুযায়ী, সরকারি প্রয়োজনে সাড়া দেওয়ার জন্য ব্যয়িত অর্থ পরিশোধের জন্য এ ধরনের ফি নির্ধারণের এখতিয়ার কোম্পানিগুলোকে দেওয়া আছে। কিন্তু বিশ্বের অনেক দেশেই এ ধরনের আইন নেই। ফলে এটি নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। সবচেয়ে বড় কথা হলো, আইনি অনুরোধে সাড়া দেওয়ার ধরনে একটি বড় পরিবর্তনের ইঙ্গিত গুগল নিজেদের এ সিদ্ধান্তের মাধ্যমে জানিয়ে দিল।

গুগলসহ সিলিকন ভ্যালির বহু কোম্পানিই বহু বছর ধরে এ ধরনের ফি নেওয়া থেকে বিরত থেকেছে। ২০০৮ সালের দিকে গুগল ফির বিনিময়ে তথ্য সরবরাহ করত সরকারগুলোকে। কিন্তু পরে এই ফি নেওয়ার রেওয়াজ তুলে দেওয়া হয়েছিল। মূলত, ফি নিলে সরকারি কাজে ‘অসহযোগিতার’ মতো নেতিবাচক তকমা লেগে যাওয়া এবং এভাবে গৃহীত ফি সমন্বয় করা নিয়ে জটিলতার কারণেই কোম্পানিগুলো এ পথ থেকে নিজেদের সরিয়ে নেয়। কিন্তু সময়ের সঙ্গে এ ধরনের অনুরোধের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় গুগল তার পুরোনো অবস্থানে ফিরে গেল। শুধু গত বছরই যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশের সরকার গুগলের কাছে তার ১ লাখ ৬৫ হাজার ব্যবহারকারীর অ্যাকাউন্টের তথ্য চেয়ে অনুরোধ পাঠায়। এই অনুরোধগুলোর এক-তৃতীয়াংশই যুক্তরাষ্ট্রের।

এত বেশিসংখ্যক অনুরোধ নিয়ে কাজ করতে গিয়ে গুগলের বেশ বড় অঙ্কের অর্থ ব্যয় হয়। নতুন ফির মাধ্যমে ওই ব্যয়ের একটি অংশই কেবল পূরণ করা সম্ভব বলে জানিয়েছেন প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোর হয়ে বহু বছর আইনজীবী হিসেবে কাজ করা এবং বর্তমানে স্ট্যানফোর্ড’স সেন্টার ফর ইন্টারনেট অ্যান্ড সোসাইটির পরিচালক আল গিদারি। তাঁর মতে, এই ফি ধার্যের ফলে তথ্য চেয়ে করা অনুরোধের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে কমে আসবে। বিশেষত ওয়্যার ট্যাপ ও সার্চ ওয়ারেন্টের বিপরীতে সাড়া দিতে বেশ অর্থ ব্যয় হয়। এ ক্ষেত্রে ফি ধার্যের কারণে মানুষের ওপর সরকারি নজরদারিও কিছুটা কমে আসবে।

এ বিষয়ে সরকারি কর্তাব্যক্তিরা অবশ্য বলছেন, এই ফি ধার্য করার মধ্য দিয়ে আইনপ্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর কাজ কঠিন হয়ে পড়বে। বিশেষত, যেসব সংস্থার আর্থিক সংগতি কম, তারা আইনি পদক্ষেপ নিতে প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহে বিপাকে পড়বে। কারণ, গুগলের পথ অনুসরণ করে অন্য প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোও অচিরেই এমন ফি ধার্য করবে।

Source: Prothomalo

38
এখন ফ্রিল্যান্সিং কাজের দিকে ঝুঁকে পড়ছেন অনেকেই। অফিসের ধরাবাঁধা নিয়মে আটকে না থেকে ফ্রিল্যান্সিংকেই পেশা হিসেবে বেছে নিচ্ছেন অনেকেই। কয়েকটি খাতে নিয়মিত ফ্রিল্যান্সার বা মুক্ত পেশার কর্মী নিয়োগ দেওয়া হয়। নিজ কর্মসংস্থানের সুযোগ এখন এতটাই বেড়েছে যে বিশাল জনগোষ্ঠী আজ এ দিকেই ঝুঁকে পড়ছে।



বাংলাদেশেও ফ্রিল্যান্সারদের সংখ্যা বাড়ছে। সরকারি তথ্যমতে দেশে প্রায় ৭ লাখ ফ্রিল্যান্সার কাজ করছেন।

বর্তমানে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ফ্রিল্যান্স কর্মীদের নিয়োগ দেওয়ার কথা বলা হয়। করপোরেট প্রতিষ্ঠানগুলো অনেকটাই কম খরচে বিশেষজ্ঞ কর্মী দিয়ে কাজ করার সুযোগ পাচ্ছে এতে। যে কয়েকটি খাতে ফ্রিল্যান্সিং কাজের চাহিদা বাড়ছে তা জেনে নিন:

১. কনটেন্ট লেখা: অনেকেই ভালো কনটেন্ট লিখতে পারেন। ইংরেজিসহ যেকোনো ভাষায় ভালো মানের কনটেন্ট লিখতে পারেন, এমন কর্মীর চাহিদা রয়েছে। পেশাদার কর্মী হিসেবে ভালো কনটেন্ট তৈরি বা কোনো বিষয় তুলে ধরতে পারলে ফ্রিল্যান্সিং ক্ষেত্রে ভালো করার সুযোগ রয়েছে। দেশের প্রতিটি ছোট বা বড় ব্যবসার ক্ষেত্রেই কনটেন্টের প্রয়োজন পড়ে। তাই এ খাতে ফ্রিল্যান্সারদের জন্য বড় সুযোগ রয়েছে।

২. ডিজিটাল মার্কেটিং: স্টার্টআপ বা উদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের ক্ষেত্রে ফ্রিল্যান্সারদের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। প্রতিষ্ঠানকে বাজারে তুলে ধরতে কম খরচে ডিজিটাল মার্কেটারদের খোঁজ করে অনেক প্রতিষ্ঠান। সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম থেকে শুরু করে ওয়েব প্ল্যাটফর্মে প্রতিষ্ঠানকে তুলে ধরতে ফ্রিল্যান্সার ডিজিটাল মার্কেটিং কর্মীর দিকেই বেশি ঝোঁক দেখা যায়। তাই ফ্রিল্যান্সাররা এ খাতে ভালো করতে পারবেন।

৩. আর্থিক পরামর্শক: ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের আর্থিক ব্যবস্থাপনার কাজে দক্ষ ফ্রিল্যান্স কর্মীর চাহিদা বাড়ছে। বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে দক্ষ এ ধরনের কর্মীকে তাঁর অভিজ্ঞতার ওপর ভিত্তি করে ভালো পারিশ্রমিকে কাজের সুযোগ দেওয়া হয়। যাঁরা এ ধরনের পেশায় রয়েছেন, তাঁদের জন্য ফ্রিল্যান্সিং ভালো সুযোগ হতে পারে।

৪. ডেটা অ্যানালাইটিকস: ফ্রিল্যান্স পেশাদার কর্মীদের ক্ষেত্রে চাহিদাসম্পন্ন একটি দক্ষতা হচ্ছে ডেটা অ্যানালিটিকস। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের তথ্য বিশ্লেষণ করে প্রয়োজন অনুযায়ী ইনসাইট দেওয়া ও কাজে লাগানোর পরামর্শদাতাকে এখন অনেক প্রতিষ্ঠানেই নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। স্টার্টআপের ক্ষেত্রে ফ্রিল্যান্স ডেটা অ্যানালাইটিকস দক্ষ কর্মীকে নিয়োগ দেওয়ার হার বেশি। তবে বড় বড় প্রতিষ্ঠানেও এখন এ ধরনের কর্মীর চাহিদা বাড়ছে।

৫. ওয়েব ডেভেলপার: এখন ওয়েব ডেভেলপারদের চাহিদা তুঙ্গে। এখনকার বাজারে অনেকেই নতুন ওয়েবসাইট তৈরি বা যুগোপযোগী অনলাইন ব্যবসা শুরু করছেন। ফলে নতুন কোম্পানিগুলোর ক্ষেত্রে ওয়েব ডেভেলপারদের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। ফ্রিল্যান্সারদের এ খাতটিতে কাজ করার ব্যাপক সুযোগ রয়েছে।

৬. শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ: অনেক বড় বড় প্রতিষ্ঠান এখন তাঁদের কর্মীদের দক্ষতা বাড়াতে প্রশিক্ষক নিয়োগ দিচ্ছে। এ ছাড়া নিজেরও প্রশিক্ষক হিসেবে কোর্স চালু করার সুযোগও রয়েছে। অনেক প্রতিষ্ঠান এখন চাপমুক্তি, সম্পর্ক ব্যবস্থাপনা, কর্মক্ষেত্রে সুস্থ থাকার মতো নানা বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে। ফলে প্রশিক্ষক হিসেবে ফ্রিল্যান্সারদের কাজ করার সুযোগও বাড়ছে।

৭. ক্রিয়েটিভ ডিজাইন: ফ্রিল্যান্সারদের মধ্যে এখন সবচেয়ে জনপ্রিয় ক্ষেত্র হলো ক্রিয়েটিভ ডিজাইন। অনেক প্রতিষ্ঠান এখন ফ্রিল্যান্সারদের মাধ্যমে তাদের প্রেজেন্টেশন তৈরি বা ডিজাইনের কাজ করিয়ে নেয়। যাঁরা ক্রিয়েটিভ ডিজাইনে দক্ষ, তাঁরা দেশে ও দেশের বাইরে বিভিন্ন মার্কেটপ্লেসে কাজের মাধ্যমে ক্যারিয়ার গড়ে তুলছেন।

Source: Prothomalo

39
রহস্যময় করোনাভাইরাস নিয়ে মানুষের কৌতূহলের সুযোগ নিচ্ছে সাইবার দুর্বৃত্তরা। যাঁরা অনলাইন প্ল্যাটফর্মগুলোতে করোনাভাইরাসের উপসর্গ ও প্রতিকার বিষয়ে তথ্য খুঁজছেন, তাঁদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন সাইবার বিশেষজ্ঞরা। আইএএনএসের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

সাইবার নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠান ক্যাসপারস্কির গবেষকেরা বলেন, বিশ্বজুড়ে আলোচনার কেন্দ্র হয়ে ওঠা করোনাভাইরাসের তথ্য নিয়ে ক্ষতিকর ফাইল ছড়াচ্ছে সাইবার দুর্বৃত্তরা। বিভিন্ন পরামর্শ বা দিকনির্দেশনা দেওয়ার নামে কম্পিউটারে ম্যালওয়্যার শনাক্ত করা হয়েছে। এসব ম্যালওয়্যার পিডিএফ, এমপি ফোর ও ডকএক্স ফাইল আকারে কম্পিউটারে ডাউনলোডের জন্য ছড়ানো হচ্ছে।



ফাইলগুলোতে বিভিন্ন ভিডিওর মাধ্যমে করোনাভাইরাস থেকে সুরক্ষার নির্দেশনা দেওয়ার কথা বলা হয়। এমনকি ভাইরাস শনাক্ত ও এ–সংক্রান্ত ঝুঁকির বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে এসব ফাইলে নির্দেশনা রয়েছে বলে দাবি করা হয়। সাইবার বিশেষজ্ঞরা বলেন, এসব ফাইলের মধ্যে লুকানো থাকে বিভিন্ন ট্রোজান ভাইরাস, যা কম্পিউটার ও কম্পিউটার নেটওয়ার্কে ঢুকে তথ্য নষ্ট করা, ব্লক করা বা পরিবর্তন করতে পারে।

ক্যাসপারস্কির ম্যালওয়্যার বিশ্লেষক অ্যান্টন ইভানভ বলেন, করোনাভাইরাসের তথ্য ইতিমধ্যে সাইবার অপরাধীরা টোপ হিসেবে ব্যবহার করেছে। এখন পর্যন্ত ১০টি ক্ষতিকর ফাইলের সন্ধান পাওয়া গেছে। এ ধরনের প্রবণতা আরও বাড়তে পারে। মানুষ স্বাস্থ্য বিষয়ে যত উদ্বেগে পড়ছে, তত ম্যালওয়্যারযুক্ত ভুয়া তথ্য ছড়ানোর হার বাড়ছে।

এ ধরনের ক্ষতিকর প্রোগ্রাম থেকে সুরক্ষা পেতে সন্দেহজনক কোনো লিংকে ক্লিক করা থেকে বিরত থাকতে হবে। এ ছাড়া বিশ্বাসযোগ্য এবং বৈধ তথ্যের অফিশিয়াল উৎস হিসেবে দাবি করা সাইটের প্রলোভনেও পড়া যাবে না। ডাউনলোড করা ফাইল এক্সটেনশনে যদি ডট ইএক্সই বা ডট লিংক ফরম্যাট থাকে তবে এগুলোর বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।

Source: Prothomalo

40
অপারেটিং সিস্টেম উইন্ডোজ ৭–এর হালনাগাদ আর করবে না এর নির্মাতা মাইক্রোসফট। এতে বর্তমান ব্যবহারকারীরা তেমন কোনো অসুবিধার মুখোমুখি না হলেও একটি সমস্যা রয়ে গেছে। আর তা হলো উইন্ডোজ ৭–এর ওয়ালপেপার সরিয়ে সেখানে কালো রঙের পর্দা দেখায়।

সাধারণ ব্যবহারকারীদের জন্য হালনাগাদ যেহেতু শেষ, মাইক্রোসফট এই ত্রুটি আর সারাবে না। তবে এ থেকে মুক্তি পাওয়ার একটি উপায় আছে। মূলত ওয়ালপেপার ঠিক করে দেওয়ার ‘Stretch’ অপশনে এই ত্রুটি আছে। তাই কালো ওয়ালপেপার এড়াতে চাইলে আপনি ওয়ালপেপারের ‘Fill’, ‘Fit’, ‘Tile’ বা ‘Center’-এর মতো বিকল্প বেছে নিতে পারেন।



কাজটি করতে আপনার ডেস্কটপের পটভূমিতে মাউসের ডান বোতামে ক্লিক করুন এবং ‘Personalize’ নির্বাচন করুন। এখন ‘Desktop Background’-এ ক্লিক করে ড্রপডাউন মেনু থেকে ‘Stretch’ ছাড়া যেকোনো অপশন নির্বাচন করুন।

এভাবে আপনি যেকোনো ডেস্কটপ ওয়ালপেপার নির্বাচন করতে পারেন, যা আপনার মনিটরের রেজল্যুশনের সঙ্গে মেলে।

উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, আপনার কম্পিউটারের মনিটরের রেজল্যুশন যদি প্রস্থে ১৯২০ ও দৈর্ঘ্যে ১০৮০ পিক্সেল হয়ে থাকে, তাহলে সে মাপের একটি ওয়ালপেপার খুঁজে নিন। আবার ছবি সম্পাদনার সফটওয়্যার থেকে নির্দিষ্ট মাপে কেটে (ক্রপ) নিতে পারেন। ডিসপ্লের বর্তমান রেজল্যুশন দেখতে ডেস্কটপে মাউসের ডান বোতামে ক্লিক করে ‘Screen Resolution’ নির্বাচন করুন। সূত্র: হাউ-টু-গিক

Source: prothomalo

41
Internet / Re: জি-মেইলে শর্টকাট কি
« on: February 04, 2020, 09:57:34 AM »
Learned new short cut of Gmail.

42
অনলাইনে যোগাযোগের ক্ষেত্রে অনেকেই এখন হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করেন। তবে যাঁরা অনেক পুরোনো ফোনে হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করছেন তাঁদের জন্য দুঃসংবাদ অপেক্ষা করছে। আইওএস, অ্যান্ড্রয়েড ও উইন্ডোজ ফোনের পুরোনো সংস্করণ থেকে হোয়াটসঅ্যাপ তাদের সমর্থন পুরোপুরি সরিয়ে ফেলার ঘোষণা দিয়েছে। এর ফলে, কোটি কোটি পুরোনো স্মার্টফোন ব্যবহারকারী জনপ্রিয় এ মেসেজিং সেবাটি আর ব্যবহার করতে পারবেন না।

আগামী বছর থেকে বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন ফোনে বন্ধ হয়ে যাবে হোয়াটসঅ্যাপ। প্রতিষ্ঠানটির এক ব্লগ পোস্টে বলা হয়, আগামী বছর থেকে কয়েকটি মোবাইল প্ল্যাটফর্মে সমর্থন বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। এর ফলে বিশ্বব্যাপী কয়েক কোটি ফোনে জনপ্রিয় এই মেসেজিং অ্যাপ ব্যবহার করা যাবে না।

এ বছরের ৩১ ডিসেম্বরের পর বিশ্বের সব উইন্ডোজ ফোনে বন্ধ হয়ে যাবে হোয়াটসঅ্যাপ। আইওএস ৮ অথবা পুরোনো অপারেটিং সিস্টেমের আইফোনে ২০২০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি থেকে হোয়াটসঅ্যাপের ব্যবহার বন্ধ হবে। এ ছাড়া অ্যান্ড্রয়েড ২.৩.৭ অথবা তার চেয়ে পুরোনো সংস্করণের ফোনে চলবে না হোয়াটসঅ্যাপ।

ইতিমধ্যে পুরোনো অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহারকারী গ্রাহকদের জন্য নতুন অ্যাকাউন্ট তৈরি করেছে হোয়াটসঅ্যাপ। এতে পুরোনো ফোনে হোয়াটসঅ্যাপ মুছে গেলে আর লগ ইন করার সুবিধা থাকছে না।

হোয়াটসঅ্যাপ সম্প্রতি সিস্টেম সমর্থনের জন্য প্রয়োজনীয় বিষয়গুলোর হালনাগাদ করে। তাতে বলা হয়, কমপক্ষে আইওএস ৯, অ্যান্ড্রয়েড ৩.০ চালিত ডিভাইস না থাকলে হোয়াটসঅ্যাপ চালানো যাবে না। ৩১ ডিসেম্বর থেকে সব উইন্ডোজ ফোনে হোয়াটসঅ্যাপ সেবা বন্ধ হয়ে যাবে।



গুরুত্বপূর্ণ যেসব ফোনে হোয়াটসঅ্যাপ চালানো যাবে না এর মধ্যে রয়েছে আইফোন ৫–এর নিচের সব সংস্করণ, সব মাইক্রোসফট লুমিয়া স্মার্টফোন, এইচপি এলিট স্মার্টফোন, ২০১০ সালের আগে বাজারে আসা সব ধরনের অ্যান্ড্রয়েড ফোন। অ্যান্ড্রয়েড ফোনের মধ্যে রয়েছে গুগল নেক্সাস ওয়ান, স্যামসাং এপিক ফোরজি, মটোরোলা ড্রয়েড এক্স প্রভৃতি।

বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ হচ্ছে, হোয়াটসঅ্যাপ চালাতে প্রয়োজন হলে অপারেটিং সিস্টেম হালনাগাদ করে নিতে হবে, অন্যথায় হোয়াটসঅ্যাপের বিকল্প অ্যাপগুলো ব্যবহার করা শুরু করতে হবে। অনেক পুরোনো অ্যাপ আছে যা যোগাযোগের ক্ষেত্রে হোয়াটসঅ্যাপের বিকল্প হিসেবে পুরোনো ফোন সমর্থন করবে। কিন্তু হোয়াটসঅ্যাপ অতি জরুরি হলে নতুন সিস্টেমের দিকে যাওয়ার বিকল্প নেই।

Source: Prothomalo

43
Internet / Re: DATA CENTER IN DAFFODIL
« on: February 04, 2020, 09:50:52 AM »
Thanks sir.

44
Thank you for reading my post.

Pages: 1 2 [3] 4