Show Posts

This section allows you to view all posts made by this member. Note that you can only see posts made in areas you currently have access to.


Topics - sadique

Pages: [1] 2 3 ... 7
1
Journalism & Mass Communication / Reunion of JMC
« on: March 21, 2014, 11:09:41 PM »

3
অমর একুশে গ্রন্থমেলা



অমর একুশে গ্রন্থমেলা ব্যাপকভাবে পরিচিত একুশে বইমেলা, স্বাধীন বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী মেলাগুলোর অন্যতম। প্রতি বছর পুরো ফেব্রুয়ারি মাস জুড়ে এই মেলা বাংলা একাডেমীর বর্ধমান হাউজ প্রাঙ্গনে ও বর্ধমান হাউজ ঘিরে অনুষ্ঠিত হয়।
১৯৫২ খ্রিস্টাব্দের ফেব্রুয়ারি মাসের ২১ তারিখ বাংলা ভাষার জন্য আত্মোৎসর্গের যে করুণ ঘটনা ঘটে, সেই স্মৃতিকে অম্লান রাখতেই এই মাসে আয়োজিত এই বইমেলার নামকরণ করা হয় 'অমর একুশে গ্রন্থমেলা'।
এই মেলার ইতিহাস স্বাধীন বাংলাদেশের মতোই প্রাচীন। যতদূর জানা যায়, ১৯৭২ খ্রিস্টাব্দের ৮ ফেব্রুয়ারি তারিখে চিত্তরঞ্জন সাহা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন বর্ধমান হাউজ প্রাঙ্গনে বটতলায় এক টুকরো চটের ওপর কলকাতা থেকে আনা ৩২টি বই সাজিয়ে বইমেলার গোড়াপত্তন করেন। এই ৩২টি বই ছিলো চিত্তরঞ্জন সাহা প্রতিষ্ঠিত স্বাধীন বাংলা সাহিত্য পরিষদ (বর্তমান মুক্তধারা প্রকাশনী) থেকে প্রকাশিত বাংলাদেশী শরণার্থী লেখকদের লেখা বই। এই বইগুলো স্বাধীন বাংলাদেশের প্রকাশনা শিল্পের প্রথম অবদান। ১৯৭২ থেকে ১৯৭৬ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত তিনি একাই বইমেলা চালিয়ে যান। ১৯৭৬ খ্রিস্টাব্দে অন্যান্যরা অনুপ্রাণিত হোন। ১৯৭৮ খ্রিস্টাব্দে বাংলা একাডেমীর তৎকালীন মহাপরিচালক আশরাফ সিদ্দিকী বাংলা একাডেমীকে মেলার সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত করেন। ১৯৭৯ খ্রিস্টাব্দে মেলার সাথে যুক্ত হয় বাংলাদেশ পুস্তক বিক্রেতা ও প্রকাশক সমিতি; এই সংস্থাটিও প্রতিষ্ঠা করেছিলেন চিত্তরঞ্জন সাহা। ১৯৮৩ সালে কাজী মনজুরে মওলা বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক হিসেবে বাংলা একাডেমিতে প্রথম "অমর একুশে গ্রন্থমেলা"র আয়োজন সম্পন্ন করেন। কিন্তু স্বৈরাচারী এরশাদ সরকারের বিরুদ্ধে শিক্ষা ভবনের সামনে ছাত্রদের বিক্ষোভ মিছিলে ট্রাক তুলে দিলে দুজন ছাত্র নিহত হয়। ওই মর্মান্তিক ঘটনার পর সেই বছর আর বইমেলা করা সম্ভব হয়নি। ১৯৮৪ সালে সাড়ম্বরে বর্তমানের অমর একুশে গ্রন্থমেলার সূচনা হয়। সেই ৩২টি বইয়ের ক্ষুদ্র মেলা কালানুক্রমে বাঙালির সবচেয়ে স্বনামধন্য বইমেলায় পরিণত হয়েছে।
বেশ কয়েক বছর পূর্বে প্রতি বছর ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম দিন থেকে ২১শে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত গ্রন্থমেলা নিয়মিতভাবে অনুষ্ঠিত হতো। এরপর ক্রেতা, দর্শক ও বিক্রেতাদের আবেদনের প্রেক্ষিতে ফেব্রুয়ারির শেষ দিন অবধি এই মেলা বাংলা একাডেমী প্রাঙ্গনে অনুষ্ঠিত হয়। যেহেতু ফেব্রুয়ারি মাসে চার বছর পর পর অধিবর্ষ আসে, তাই কখনও এই মেলা মাসের ২৮ তারিখে, কখনও ২৯ তারিখে শেষ হয়। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় মেলা নিয়ন্ত্রণের যাবতীয় দায়িত্ব পালন করে। প্রকাশনীসমূহের স্টলগুলো প্রকাশক এলাকা, প্রকাশক-বিক্রেতা এলাকা, শিশু কর্ণার, সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এবং লিটল ম্যাগাজিন ইত্যাদি এলাকায় বিভাজন করে স্থান দেয়া হয়। এছাড়া মেলা চত্বরকে ভাষা শহীদ সালাম, রফিক, জব্বার, বরকত, শফিউর এবং রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, কাজী নজরুল ইসলাম, ড. মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ, আব্দুল করিম সাহিত্য বিশারদ প্রমুখ ব্যক্তিত্বের নামে ভাগ করা হয়। এই মেলায় দেশের খ্যাতনামা সব প্রকাশনী, বই বিক্রেতা ছাড়াও দেশের বাইরে, যেমন ভারত, রাশিয়া, জাপান প্রভৃতি দেশ থেকেও নানা প্রকাশনা সংস্থা তাঁদের বই ও প্রকাশনা নিয়ে অংশগ্রহণ করেন। এই মেলায় গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারেরও বহু রাষ্ট্রায়ত্ব প্রতিষ্ঠান, যেমন: বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশন, বাংলাদেশ প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর ইত্যাদি তাদের স্টল নিয়ে মেলায় অংশগ্রহণ করে। এছাড়া বিভিন্ন বেসরকারি সেবামূলক প্রতিষ্ঠানও অংশ নেয়। মেলাতে ইদানিং বিভিন্ন ডিজিটাল প্রকাশনা যেমন সিডি, ডিভিডি ইত্যাদিও স্থান করে নিয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন মোবাইল ফোন সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানও তাদের সেবার বিবরণসহ উপস্থিত হয়। মেলাতে বেশ জনপ্রিয়তার সাথে স্থান করে নিয়েছে লিটল ম্যাগাজিনও। মেলার মিডিয়া সেন্টারে থাকে ইন্টারনেট ও ফ্যাক্স ব্যবহারের সুবিধা। এছাড়া থাকে লেখক কর্ণার এবং তথ্যকেন্দ্র। মেলা প্রাঙ্গন পলিথিন ও ধূমপানমুক্ত। মেলায় বইয়ের বিক্রয়ে ২০-২৫ শতাংশ পর্যন্ত ছাড় থাকে। এছাড়া মেলায় শিক্ষাসহায়ক পরিবেশ ও তথ্যের নিরাপত্তার জন্য বিশেষ টাস্কফোর্স রাখা হয়, যারা বইয়ের কপিরাইট বা মেধাসত্ত্ব আইন লঙ্ঘন করেছে কি-না সনাক্ত করেন ও যথাযোগ্য ব্যবস্থা নেন।
মেলায় প্রবেশের জন্য ছুটির দিন ও ছুটির দিন বাদে অন্যান্য দিন আলাদা প্রবেশ সময় থাকে। মেলায় প্রবেশের জন্য কোনো প্রবেশ ফি ধার্য করা হয় না।
মেলা চলাকালীন প্রতিদিনই মেলাতে বিভিন্ন আলোচনা সভা, কবিতা পাঠের আসর বসে; প্রতি সন্ধ্যায় থাকে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এছাড়া মেলাতে লেখককুঞ্জ রয়েছে, যেখানে লেখকেরা উপস্থিত থাকেন এবং তাঁদের বইয়ের ব্যাপারে পাঠক ও দর্শকদের সাথে মতবিনিময় করেন। এছাড়া মেলার তথ্যকেন্দ্র থেকে প্রতিনিয়ত নতুন মোড়ক উন্মোচিত বইগুলোর নাম, তদীয় লেখক ও প্রকাশকের নাম ঘোষণা করা হয় ও দৈনিক প্রকাশিত বইয়ের সামগ্রিক তালিকা লিপিবদ্ধ করা হয়। এছাড়া বিভিন্ন রেডিও ও টেলিভিশন চ্যানেল মেলার মিডিয়া স্পন্সর হয়ে মেলার তাৎক্ষণিক খবরাখবর দর্শক-শ্রোতাদেরকে অবহিত করে। এছাড়াও মেলার প্রবেশদ্বারের পাশেই স্টল স্থাপন করে বিভিন্ন রক্ত সংগ্রাহক প্রতিষ্ঠান স্বেচ্ছাসেবার ভিত্তিতে রক্ত সংগ্রহ করে থাকে।
২০১০ খ্রিস্টাব্দ থেকে এই মেলার প্রবর্তক জনাব চিত্তরঞ্জন সাহার নামে একটি পদক প্রবর্তন করা হয়। পূর্ববর্তী বছরে প্রকাশিত বইয়ের গুণমান বিচারে সেরা বইয়ের জন্য প্রকাশককে এই পুরস্কার প্রদান করা হয়। পুরষ্কারটির আনুষ্ঠানিক নাম 'চিত্তরঞ্জন সাহা স্মৃতি পুরস্কার'। এছাড়া স্টল ও অঙ্গসজ্জার জন্য দেয়া হয় 'সরদার জয়েনউদদীন স্মৃতি পুরস্কার'। সর্বাধিক গ্রন্থ ক্রয়ের জন্য সেরা ক্রেতাকে দেয়া হয় 'পলান সরকার পুরস্কার'।
মেলায় কোন কোন প্রকাশনা সংস্থার স্টল স্থান পাবে, কেমন স্টল করতে পারবে, তার জন্য বাংলা একাডেমীর তত্ত্বাবধানে আলাদা কমিটি গঠিত হয়। ২০১০ খ্রিস্টাব্দ থেকে এই নির্বাচন প্রক্রিয়ায় কিছুটা কড়াকড়ি আরোপ করা হয়: প্রকাশিত বইয়ের কপি জাতীয় আর্কাইভ ও জাতীয় গণগ্রন্থাগারে জমা দেওয়া হয়েছে কিনা, কর-নির্দেশক-নম্বর (TIN) ঠিক আছে কিনা যাচাই করার পাশাপাশি প্রকাশিত নতুন বইয়ের কপি বাংলা একাডেমীর তথ্যকেন্দ্রে জমা দেওয়ার বিষয়টিও বাধ্যতামূলক করা হয়।

4
আজ ঋত্বিক ঘটকের ৩৮-তম মৃত্যুবার্ষিকী



ঋত্বিক কুমার ঘটক ( জন্ম: ৪ নভেম্বর, ১৯২৫ - মৃত্যু: ৬ ফেব্রুয়ারি, ১৯৭৬) একজন বিখ্যাত বাঙালি চলচ্চিত্র পরিচালক। তাঁর জন্ম পূর্ববঙ্গের (বর্তমান বাংলাদেশের) ঢাকা শহরের ঋষিকেশ দাস লেনে। ১৯৪৭ এর ভারত বিভাগের পরে তাঁর পরিবার কলকাতায় চলে যায়। বাংলা চলচ্চিত্র পরিচালকদের মধ্যে তিনি সত্যজিৎ রায় এবং মৃণাল সেনের সাথে তুলনীয়। ভিন্নধর্মী চলচ্চিত্র নির্মাণের কারণে তিনি যেমন প্রশংসিত ছিলেন; ঠিক তেমনি বিতর্কিত ভূমিকাও রাখেন। বাংলা চলচ্চিত্রের ইতিহাসে তাঁর নাম বহুল উচ্চারিত।
ঋত্বিক ঘটক পূর্ববঙ্গের (বর্তমান বাংলাদেশের) জিন্দাবাজার, ঢাকা জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর মায়ের নাম ইন্দুবালা দেবী এবং বাবা সুরেশ চন্দ্র ঘটক। তিনি বাবা-মায়ের ১১তম এবং কনিষ্ঠতম সন্তান। ১৯৪৩ এর দুর্ভিক্ষ এবং ১৯৪৭ এর ভারত বিভাগের পরে পূর্ববঙ্গের প্রচুর লোক কলকাতায় আশ্রয় নেয় এবং এরই ধারাবাহিকতায় তাঁর পরিবার কলকাতায় চলে যায়। শরণার্থীদের অস্তিত্বের সংকট তাঁকে গভীরভাবে আলোড়িত করে এবং পরবর্তী জীবনে তাঁর চলচ্চিত্রে এর স্পষ্ট প্রমাণ পাওয়া যায়।
১৯৪৬ সালে রাজশাহী কলেজ থেকে আই.এ এবং ১৯৪৮ সালে বহরমপুর কৃষ্ণনাথ কলেজ থেকে বি.এ ডিগ্রি লাভ করেন। ১৯৫০ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজিতে এম.এ কোর্স শেষ করেও পরীক্ষা না দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ত্যাগ করেন তিনি।[৬]
তাঁর বাবা সুরেশ চন্দ্র ঘটক একজন জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ছিলেন এবং তিনি কবিতা ও নাটক লিখতেন। তাঁর বড় ভাই ঐ সময়ের খ্যাতিমান এবং ব্যতিক্রমী লেখক মনীশ ঘটক ছিলেন ইংরেজির অধ্যাপক এবং সমাজকর্মী। আইপিটিএ থিয়েটার মুভমেন্ট এবং তেভাগা আন্দোলনে মনীশ ঘটক জড়িত ছিলেন। মনীশ ঘটকের মেয়ে বিখ্যাত লেখিকা ও সমাজকর্মী মহাশ্বেতা দেবী। ঋত্বিক ঘটকের স্ত্রী সুরমা ঘটক ছিলেন স্কুল শিক্ষিকা।
ঋত্বিক ঘটক তাঁর প্রথম নাটক কালো সায়র লেখেন ১৯৪৮ সালে। একই বছর তিনি নবান্ন নামক পুণর্জাগরণমূলক নাটকে অংশগ্রহণ করেন। ১৯৫১ সালে তিনি ভারতীয় গণনাট্য সংঘে (আইপিটিএ) যোগদান করেন। এসময় তিনি নাটক লেখেন, পরিচালনা করেন ও অভিনয় করেন এবং বের্টোল্ট ব্রেশ্ট ও নিকোলাই গোগোল-এর রচনাবলি বাংলায় অনুবাদ করেন। বিমল রায় জ্বালা নাটকটি তিনি লেখেন এবং পরিচালনা করেন ১৯৫৭ সালে; এটিই তাঁর পরিচালনায় শেষ নাটক। ঋত্বিক ঘটক চলচ্চিত্র জগতে পা রাখেন নিমাই ঘোষের ছিন্নমূল (১৯৫১) সিনেমার মধ্য দিয়ে; তিনি একই সাথে অভিনয় করেন এবং সহকারী পরিচালক হিসাবে কাজ করেন। এর দু'বছর পর তাঁর একক পরিচালনায় মুক্তি পায় নাগরিক। দু'টি চলচ্চিত্রই ভারতীয় চলচ্চিত্রের গতানুগতিক ধারাকে জোর ঝাঁকুনি দিতে সমর্থ হয়েছিল।
তাঁর সবচেয়ে বিখ্যাত চলচ্চিত্রগুলোর মধ্যে মেঘে ঢাকা তারা (১৯৬০), কোমল গান্ধার (১৯৬১) এবং সুবর্ণরেখা (১৯৬২) অন্যতম; এই তিনটি চলচ্চিত্রকে ট্রিলজি বা ত্রয়ী হিসাবে চিহ্নিত করা হয়, যার মাধ্যমে কলকাতার তৎকালীন অবস্থা এবং উদ্বাস্তু জীবনের রুঢ় বাস্তবতা চিত্রিত হয়েছে। সমালোচনা এবং বিশেষ করে কোমল গান্ধার এবং সুবর্ণরেখা'র ব্যবসায়িক ব্যর্থতার কারণে এই দশকে আর কোন চলচ্চিত্র নির্মাণ তাঁর পক্ষে সম্ভব হয়নি।
ঋত্বিক ঘটক ১৯৬৫ সালে স্বল্প সময়ের জন্য পুনেতে বসবাস করেন। এসময় তিনি ভারতীয় চলচ্চিত্র এবং টেলিভিশন ইনস্টিটিউটে ভিজিটিং প্রফেসর হিসেবে যোগদান করেন ও পরবর্তীতে ভাইস-প্রিন্সিপাল হন। এফটিআইআই-এ অবস্থানকালে তিনি শিক্ষার্থীদের নির্মিত দুটি চলচ্চিত্রের (Fear and Rendezvous) সাথে জড়িত ছিলেন। ঋত্বিক ঘটকের চলচ্চিত্রের জগতে পুণরাবির্ভাব ঘটে সত্তরের দশকে যখন এক বাংলাদেশী প্রযোজক তিতাস একটি নদীর নাম (চলচ্চিত্র) নির্মাণে এগিয়ে আসেন। অদ্বৈত মল্লবর্মন রচিত একই নামের বাংলা সাহিত্যের একটি বিখ্যাত উপন্যাস ঋত্বিক ঘটকের পরিচালনায় চলচ্চিত্রে রূপদান সম্পন্ন হয়। তিতাস একটি নদীর নাম চলচ্চিত্র আকারে মুক্তি পায় ১৯৭৩ সালে। খারাপ স্বাস্থ্য এবং অতিরিক্ত মদ্যপানের কারণে নিয়মিত কাজ চালিয়ে যাওয়া তাঁর পক্ষে প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ে। তাঁর শেষ চলচ্চিত্র যুক্তি তক্কো আর গপ্পো (১৯৭৪) অনেকটা আত্মজীবনীমূলক এবং এটি তাঁর অন্যান্য চলচ্চিত্র থেকে ভিন্ন ধাঁচের।
১৯৬৯ সালে ভারত সরকার তাঁকে পদ্মশ্রী উপাধিতে ভূষিত করেন। ১৯৭৫ সালে যুক্তি তক্কো আর গপ্পো চলচ্চিত্রের শ্রেষ্ঠ কাহিনীর জন্য ভারতের জাতীয় পুরস্কার লাভ করেন।

5
Person / আজ বব মার্লের জন্মদিন
« on: February 06, 2014, 09:30:27 PM »
আজ বব মার্লের জন্মদিন



বব মার্লে জামাইকান রেগে শিল্পী, গীটার বাদক, গীতিকার। 'বাফেলো সোলজার', 'নো ওম্যান, নো ক্রাই', 'গেট আপ স্ট্যান্ড আপ', 'ব্ল্যাক প্রগ্রেস'-এর মতো অনেক ভুবনকাঁপানো গান দিয়ে সংগীতপ্রেমীদের মন জয় করেছিলেন বব মার্লে। অবহেলিত মানুষের অধিকার নিয়ে গান গাওয়ায় অনেকের প্রিয় মানুষে পরিণত হয়েছিলেন মার্লে। নিজের গানে নানা ক্ষোভ ও সমস্যার কথা বলে মন জয় করেছিলেন তরুণদের। মার্লে ও তার ব্যান্ড ওয়েলার্স ১৯৭৪ সালে 'বার্নিন' নামে যে অ্যালবামটি নিয়ে আসে তাতে ছিল বিখ্যাত গান 'গেট আপ অ্যান্ড স্ট্যান্ড আপ'। ষাট ও সত্তরের দশকে দেশে দেশে উত্তাল জাতীয়তাবাদী ও সাম্রাজ্যবাদবিরোধী আন্দোলনে বিদ্রোহী মানুষের বুকে সাহস জুগিয়েছে এ গান।
জ্যামাইকার কুখ্যাত একটি শহরতলির বস্তিতে ১৯৪৫ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন মার্লে। তার জন্মের সময় জ্যামাইকা ছিল একটি অশান্ত দেশ। রাজনৈতিক, সামাজিক, অর্থনৈতিক সব ক্ষেত্রেই অস্থিরতা চলছিল দেশটিতে। শ্বেতাঙ্গ-কৃষ্ণাঙ্গ বিভেদের কারণে সংঘাতও ছিল নিয়মিত ঘটনা। কৃষ্ণাঙ্গ মা ও শ্বেতাঙ্গ বাবার কারণে ছোটবেলা থেকেই সাদা-কালো দ্বন্দ্বে ভুগতেন তিনি।
সুবিন্যস্ত জটাধারী চুলের মার্লে সবসময় মানবতার পক্ষে গান গাইতেন। তাই তার অবস্থান ছিল কৃষ্ণাঙ্গদের পক্ষে। ‘নিপীড়িত আর খেটে খাওয়া মানুষের জন্য গান করতেন তিনি। সবাইকে বলতেন একত্র হতে, কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে থাকতে। বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে কালোদের ওপর চলতে থাকা বর্ণবাদী নির্যাতনের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছিলেন তার গানের মাধ্যমে। রাজনৈতিক আগ্রাসনের প্রতিবাদও করেছেন মার্লে গানের মাধ্যমে। অধিকারবঞ্চিত মানুষের পক্ষ নিয়ে তিনি সাম্রাজ্যবাদের বিরোধিতা করতেন তাঁর গানের মাধ্যমে। নিজ দেশের রাজনৈতিক সংঘাত মেটাতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন তিনি। শান্তির জন্য কয়েকটি কনসার্ট করেছেন তিনি জ্যামাইকায়। এ সব কনসার্টের মাধ্যমে তিনি রাজনৈতিক নেতাদের এক মঞ্চে আনার চেষ্টা করতেন। বব মার্লে তাঁর পুরো ক্যারিয়ারেই যুক্ত ছিলেন রাসটাফারি আন্দোলনের সঙ্গে। জীবনঘনিষ্ঠ গান গাইতেন বলেই বিশ্বজুড়ে মার্লের বিপুল জনপ্রিয়তা তৈরি হয়। ইউরোপ ও আমেরিকার বিভিন্ন দেশে অনেক কনসার্টে গান গেয়েছেন তিনি। ১৯৯৯ সালে তাঁর 'বব মার্লে এন্ড দ্য ওয়েইলার্স' অ্যালবামকে 'বিশ শতকের সেরা অ্যালবাম' নির্বাচিত করে টাইম ম্যাগাজিন।
মাত্র ১৮ বছর বয়সেই কয়েকজন বন্ধুকে নিয়ে ব্যান্ডদল গঠন করেছিলেন মার্লে। এরপর কখনো দলের হয়ে আবার কখনো এককভাবেই গানের অ্যালবাম বের করেছেন। একাধারে গীতিকার, সুরকার, গায়ক ও গিটারবাদক ছিলেন।
ফুসফুস ও মস্তিষ্কের ক্যান্সারের কারণে তাঁর শিল্পীজীবন মাত্র ১৮ বছরের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে। ১৯৮১ সালের ১১ মে তাঁর মৃত্যু হয়। এরপর অনেক বছর পার হলেও এখনো তাঁর জনপ্রিয়তায় ভাটা পড়েনি।

6
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মজার ঘটনা সমূহ!


১. শান্তিনিকেতনেরবীন্দ্রনাথের প্রিয় ছাত্রদের অন্যতমছিলেন কথাশিল্পী প্রমথনাথ বিশী। তো,একবার প্রমথনাথ বিশী কবিগুরুর সঙ্গেশান্তিনিকেতনের আশ্রমের একটি ইঁদারার পাশদিয়ে যাচ্ছিলেন। ওখানেএকটি গাবগাছ লাগানো ছিল। কবিগুরুহঠাৎ প্রমথনাথকে উদ্দেশ করে বলেউঠলেন, ‘জানিস, একসময়ে এইগাছের চারাটিকে আমি খুব যত্নসহকারেলাগিয়েছিলাম? আমার ধারণা ছিল,এটা অশোকগাছ; কিন্তু যখন গাছটিবড় হলো দেখি, ওটাঅশোক নয়, গাবগাছ।’
অতঃপর কবিগুরু প্রমথনাথের দিকে সরাসরি তাকিয়েস্মিতহাস্যে যোগ করলেন, ‘তোকেওঅশোকগাছ বলে লাগিয়েছি, বোধকরিতুইও গাবগাছ হবি।’


২. একবাররবীন্দ্রনাথ ও গান্ধীজি একসঙ্গেবসে সকালের নাশতা করছিলেন। তোl গান্ধীজি লুচিপছন্দ করতেন না, তাইতাঁকে ওটসের পরিজ (Porridge of Oats) খেতে দেওয়াহয়েছিল; আর রবীন্দ্রনাথ খাচ্ছিলেনগরম গরম লুচি।
গান্ধীজি তাই না দেখেবলে উঠলেন, ‘গুরুদেব, তুমি জানো নাযে তুমি বিষ খাচ্ছ।’ উত্তরেরবীন্দ্রনাথ বললেন, ‘বিষই হবে; তবেএর অ্যাকশন খুব ধীরে।কারণ, আমি বিগত ষাটবছর যাবৎ এই বিষখাচ্ছি।’


৩. রবীন্দ্রনাথেরএকটা অভ্যাস ছিল, যখনইতিনি কোনো নাটক বাউপন্যাস লিখতেন,l সেটাপ্রথম দফা শান্তিনিকেতনে গুণীজনসমাবেশে পড়ে শোনাতেন।শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় প্রায়ই এরূপ পাঠেরআসরে যোগদান করতেন।তা, একবার আসরে যোগদানকালেবাইরে জুতা রেখে আসায়সেটা চুরি গেলে অতঃপরতিনি জুতা জোড়া কাগজেমুড়ে বগলদাবা করে আসরে আসতেশুরু করে দিলেন।
রবীন্দ্রনাথ এটা টের পেয়েগেলেন। তাইএকদিন শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়কে এভাবে আসরে প্রবেশকরতে দেখে তিনি বলেউঠলেন, ‘শরৎ, তোমার বগলেওটা কী পাদুকা-পুরাণ?’এ নিয়ে সেদিন প্রচণ্ডহাসাহাসি হয়েছিল।


৪. একবারএক দোলপূর্ণিমার দিনে রবীন্দ্রনাথের সঙ্গেকবি ও নাট্যকারlদ্বিজেন্দ্রলাল রায়ের সাক্ষাৎ ঘটে। তো,পরস্পর নমস্কার বিনিময়ের পর হঠাৎ দ্বিজেন্দ্রলালতাঁর জামার পকেট থেকেআবির বের করে রবীন্দ্রনাথকেবেশ রঞ্জিত করে দিলেন।
আবির দ্বারা রঞ্জিত রবীন্দ্রনাথরাগ না করে বরংসহাস্যে বলে উঠলেন, ‘এতদিন জানতাম দ্বিজেন বাবুহাসির গান ও নাটকলিখে সকলের মনোরঞ্জন করেথাকেন। আজদেখছি শুধু মনোরঞ্জন নয়,দেহরঞ্জনেও তিনি একজন ওস্তাদ।’


৫. মরিসসাহেব ছিলেন শান্তিনিকেতনে ইংরেজিও ফরাসি ভাষার অধ্যাপক। একাথাকলেl তিনি প্রায়ইগুনগুন করে গান গাইতেন। তো,একদিন তিনি তৎকালীন ছাত্রপ্রমথনাথ বিশীকে বললেন, ‘গুরুদেবচিনির ওপর একটি গানলিখেছেন, গানটি বড়ই মিষ্টি।’ অতঃপরতিনি গানটি গাইতে লাগলেন,‘আমি চিনি গো চিনিতোমারে, ওগো বিদেশিনী, তুমিথাকো সিন্ধুপারে...।’
‘তা চিনির গান তোমিষ্টি হবেই। কিন্তুএই ব্যাখ্যা আপনি কোথায় পেলেন?’প্রমথনাথ বিস্মিত হয়ে তাঁকে প্রশ্নকরলেন।
উত্তরে মরিস সাহেব জানালেন,‘কেন, স্বয়ং গুরুদেবই আমাকেবলে দিয়েছেন।’


৬. কবিগুরুর৫০ বছর বয়সে পদার্পণউপলক্ষে শান্তিনিকেতনের একটি কক্ষে সভাl বসেছিল, যেখানেতিনি স্বকণ্ঠে গান করছিলেন।তো, তিনি গাইলেন, ‘এখনোতারে চোখে দেখিনি, শুধুকাশি শুনেছি।’ কবিগুরুএটা গেয়েছিলেন আচার্য যতীন্দ্রমোহন বাগচিউক্ত কক্ষে প্রবেশের পূর্বক্ষণে,তাই বাগচি মহাশয় কক্ষেপ্রবেশ করে বিস্ময়নয়নে সকলের দিকে তাকিয়েরইলেন।
‘সিঁড়িতে তোমার কাশির শব্দশুনেই গুরুদেব তোমাকে চিনেছেন’, সত্যেন্দ্রনাথদত্ত তখন বাগচি মহাশয়কেবুঝিয়ে দিলেন, ‘তাই তো তাঁরগানের কলিতে বাঁশির স্থলেকাশি বসিয়ে তাঁর গানটিগেয়েছেন।’


৭. সাহিত্যিক‘বনফুল’ তথা শ্রীবলাইচাঁদ ব্যানার্জিরএক ছোট ভাই বিশ্বভারতীতেl অধ্যয়নের জন্যশান্তিনিকেতনে পৌঁছেই কার কাছথেকে যেন জানলেন, রবীন্দ্রনাথকানে একটু কম শোনেন। অতএবরবীন্দ্রনাথের সঙ্গে দেখা করতেগেলে রবীন্দ্রনাথ যখন বললেন, ‘কীহে, তুমি কি বলাইয়েরভাই কানাই নাকি’, তখনবলাইবাবুর ভাই চেঁচিয়ে জবাবদিলেন, ‘আজ্ঞে না, আমিঅরবিন্দ।’
রবীন্দ্রনাথ তখন হেসে উঠেবললেন, ‘না কানাই নয়,এ যে দেখছি একেবারেশানাই।’


৮. একবারকালিদাস নাগ ও তাঁরস্ত্রী জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়িতে বেড়াতে এসেছেন।l রবীন্দ্রনাথ মৃদুহাস্যেনাগ-দম্পতিকে প্রশ্ন করলেন, ‘শিশুনাগদের (সাপের বাচ্চাদের) কোথায়রেখে এলে?’


৯. আরেকবার রবীন্দ্রনাথতাঁর চাকর বনমালীকে তাড়াতাড়িচা করে আনতে পাঠিয়েছিলেন। কিন্তুতার আসতে দেরি হচ্ছেদেখে কপট বিরক্তির ভাবদেখিয়ে বললেন, ‘চা-কর বটে,কিন্তু সু-কর নয়।’


১০. আরও একবার কবিগুরুর দুইনাতনি এসেছেন শান্তিনিকেতনে, কলকাতাথেকে। একদিনসেই নাতনি দুজন কবিগুরুরপা টিপছিলেন; অমনি তিনি বলেউঠলেন, ‘পাণিপীড়ন, না পা-নিপীড়ন?’প্রথমটায় তারা কিছুই বুঝতেনা পারলেও পরে কথাটারঅন্তর্নিহিত অর্থ বুঝতে পেরেখুবই মজা পেয়েছিলেন।


১১. সুধাকান্ত রায়চৌধুরীর সাথে রবীন্দ্রনাথ একবারবেড়াচ্ছিলেন । হঠাৎগুরুদেবের কাতরক্তি শুনে সুধাকান্তবাবু তারদিকে তাকাতেই, রবীন্দ্রনাথ নিজেকে সামলে নিয়েবললেন , “পা-কে চরনকমলবা পাদ-পদ্ম কেনকলে জান?” প্রশ্ন শুনে সুধাকান্তবাবুর চোখেবিষ্ময় দেখে রবীন্দ্রনাথ পায়েরমোজা খুলতে খুলতে বললেন“তাই যদি না হয়,তাহলে শরীরের এত জায়গাথাকতে মোজা ভেদ করেমৌমাছিটা পায়ের একেবারে তলায়হুলটা বিঁধালো কেন !!”


১২. জীবনেরশেষ দিকে এসে রবীন্দ্রনাথএকটু সামনের দিকে ঝুঁকেউবু হয়ে লিখতেন।একদিন তাঁকে ওভাবে উবুহয়ে লিখতে দেখে তাঁরএক শুভাকাঙ্ক্ষী তাঁকে বলল, ‘আপনারনিশ্চয় ওভাবে উপুড় হয়েলিখতে কষ্ট হচ্ছে।বাজারে এখন এ রকমঅনেক চেয়ার আছে যেগুলোতেআপনি হেলান দিয়ে বেশআয়েশের সঙ্গে লিখতে পারেন। ওরকম একটা আনিয়ে নিলেইতো পারেন।’ লোকটারদিকে খানিকক্ষণ চুপচাপ তাকিয়ে রবীন্দ্রনাথজবাব দিলেন, ‘তা তো পারি। তবেকি জানো, এখন উপুড়হয়ে না লিখলে কিআর লেখা বেরোয়! পাত্রেরজল কমে তলায় ঠেকলেএকটু উপুড় তো করতেইহয়।’


বি.দ্র: সবগুলো ঘটনাই বিভিন্ন ব্লগ থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে।

7
রান্নাবান্নার ভুল গুলোকে "শুধরে" নেয়ার ১০টি কার্যকরী টিপস!

রাঁধতে গিয়ে ছোটখাট ভুল অতি বড় রাঁধুনিও করেন। আপনিও করেন নিশ্চয়ই? কী করবেন তরকারিতে তেল বা লবণ বেশি হয়ে গেলে? কিংবা কী করবেন ফ্রিজে পড়া থাকা বাসি লাড্ডুগুলো দিয়ে? সরষে বাটা থেকে তিতকুটে দূর করবেন কী করে? নেতিয়ে পড়া লেটুস গুলো তাজা করার কোনো উপায় আছে কী? আর পোলাওতে তেল বেশি হয়ে গেলেই বা কমাবেন কীভাবে? এমন ১০টি বিচ্ছিরি সমস্যা দূর করার টিপস নিয়েই আমাদের আজকের এই ফিচার! আসুন জেনে নিই এইসব ভুলকে ঠিক করার উপায় :

(১)অনেক সময় তরকারিতে তেল বেশি হয়ে যায়। কী করবেন তখন? প্রথমে তরকারিটি ঠান্ডা করে স্বাভাবিক তাপমাত্রায় নামতে দিন। তারপর পরিমাণ বুঝে নিয়ে ছেড়ে দিন কয়েক টুকরো বরফ। কয়েক সেকেন্ড পর দেখবেন বরফের শরীরে বসে গেছে বাড়তি তেল। তাড়াতাড়ি বরফ তুলে ফেলে দিন। আবার গরম করে নিন তরকারি।

(২)দুধ যদি ফেটে যায় অথবা ফেটে যাওয়ার উপক্রম হয় তাহলে একটু লেবুর রস মিশিয়ে পুরোপুরি ছানা তৈরি করে চিনি মিশিয়ে জ্বাল করে নিন। চমত্কার নাশতা তৈরি হবে, মিষ্টিও তৈরি হবে।

(৩)সরষে ইলিশ! নাম শুনলেই জল আসে মুখে কিন্তু অনেক সময় বাটা সরিষায় থাকে তিতকুটে স্বাদ।এটা রোধ করতে বাটার সময় সামান্য লবণ ও কাচামরিচ দিলে তিতা ভাব চলে যায়।

(৪)তরকারিতে লবণ বেশি দিয়ে ফেললে এক দলা ময়দার খামির তরকারিতে ছেড়ে ফুটতে দিন। পরে ময়দার দলাটি তরকারি থেকে তুলে ফেলে দিন। তরকারির অতিরিক্ত লবণ কমে যাবে।

(৫)ডিম সিদ্ধ করার সময় অনেক ক্ষেত্রে ফেটে সাদা অংশ বের হয় পড়ে। সেক্ষেত্রে এক চিমটি লবণ পানিতে দিয়ে সেই পানিতে ডিম সিদ্ধ করুন। ডিম ফাটবেনা।

(৬) মাংস সিদ্ধ না হলে কাঁচা পেঁপের টুকরো ফেলে দিতে পারেন মাংসের হাঁড়িতে অথবা সুপারির বড় টুকরা ফেলে দিন। আবার রান্না শেষে সুপারির টুকরোটি তুলে ফেলুন।

(৭) কেক বানাতে গিয়ে যদি ডিমের পরিমান কম থাকে তাহলে একটু র্কণফ্লাওয়ার ব্যবহার করে দেখবেন ডিমের ঘাটতি কেটে গেছে।

(৮) লাড্ডু জাতীয় মিষ্টি বেশি দিন ঘরে রাখলে বাসি হয়ে যায়। খেতেও ভালো লাগেনা। তাই এই লাড্ডুগুলো হাত দিয়ে ভেঙে অল্প দুধে ফুটিয়ে নিন। চমত্কার পায়েস তৈরি হবে।

(৯) নেতিয়ে পড়া লেটুস পাতা তরতাজা করতে হলে একটি আলুর খোসা ছাড়িয়ে কুচিকুচি করে লেটুসপাতাসহ ঠান্ডা পানিতে ছেড়ে দিন।

(১০) অসাবধানতা বশত পোলাও রান্না শেষে দেখলেন খুব বেশি নরম বা জ্যাবজ্যাবে হয়ে গেছে, তখন একটুও মন খারাপ না করে একটি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন তোয়ালে বিছিয়ে তার ওপর পোলাও ঢেলে রেখে দিন। কিছুক্ষণ পর দেখবেন পোলাওয়ের জ্যাবজ্যাবে ভাবটি তোয়ালেতে টেনে কেমন ঝরঝরে করে তুলেছে।

(সংগৃহীত)

8

A Comparison of Old and New Paradigm Perspectives

Our world appears to be making a profound shift to a new paradigm. The old paradigm served humanity for many, many years, and in some ways serves us still. Yet this exciting new paradigm is paving the way for a more loving, harmonious way of living and interacting with all around us. The below comparison is an attempt to capture the spirit of the old and new paradigm without the intention of making one better than the other, yet also inviting us to join in welcoming inspiring new ways which can support us all in being the best we can be and making a difference in our lives and world.

New Paradigm Comparisons

Old: Man is born into sin, essentially corrupt at the core.
New: All people in their core essence are beautiful and worthy of love.

Old: Hatred and vengeance are justified for wrongs suffered. An eye for an eye.
New: Love is the most trans formative force. Forgiveness is an act of courage and compassion.

Old: Don't show real feelings, or you will get hurt. Create a convincing persona to present to the world.
New: Welcome authenticity and vulnerability. It's all about being honest and real with each other.

Old: Emphasis on hierarchies. Focus on competition so that the best rise to the top of the hierarchy.
New: Emphasis on equality. Focus on cooperation in order to support the greatest good for all.

Old: Tend to avoid personal responsibility by blaming those above or below them in the hierarchy.
New: Take personal responsibility for actions and learn from our mistakes.

Old: People need to be led or controlled by those believed to be better or more capable.
New: Each individual is a powerful creator capable of meeting their needs with the help of others.

Old: The mind and science is supreme. The scientific paradigm supersedes God and religion.
New: The heart and personal relationships are of paramount importance. The deepest essence of life is a divine mystery to be welcomed and explored.

Old: Don't question the accepted scientific paradigm. Focus on three-dimensional, five-sensory world.
New: Foster fluid intelligence. Explore the edges of consciousness, especially other dimensions and capabilities not believed to be possible under the old paradigm.

Old: Categorizing and dissecting nature allows us to better control it and to profit from it.
New: Recognizing the interconnectedness of all life leads to greater growth and harmony.

Old: Focus on order, discipline.
New: Welcome flexibility and even occasional chaos and disorder as means to see new possibilities.

Old: Value boundaries, borders, and divisions. These give security, safety, and comfort.
New: While respecting and honoring differences, look for shared vision and ways to work together. Take risks in order to grow. Short-term pain can bring long-term gain.

Old: You can't trust anyone.
New: Surrender to and trust in a divine force greater than our egoism selves.

Old: Focus on defeating and conquering the enemy, us versus them. War against evil.
New: Committed to transforming and integrating life's challenges. The external reflects the internal.

Old: Focus on details, complexity.
New: Remember the bigger picture. Identify simple principles behind the complexities of life.

Old: Look outwards for guidance. Don't trust self. Have rigid rules and beliefs.
New: Look inwards for guidance. Develop intuition. Have flexible guidelines and beliefs

9
অমিমাংসিত সন্ধি
----- হেলাল হাফিজ



তোমাকে শুধু তোমাকে চাই, পাবো?
পাই বা না পাই এক জীবনে তোমার কাছেই যাবো।

ইচ্ছে হলে দেখতে দিও, দেখো
হাত বাড়িয়ে হাত চেয়েছি রাখতে দিও, রেখো

অপূণতায় নষ্টে-কষ্টে গেলো
এতোটা কাল, আজকে যদি মাতাল জোয়ার এলো

এসো দু’জন প্লাবিত হই প্রেমে
নিরাভরণ সখ্য হবে যুগল-স্নানে নেমে।

থাকবো ব্যাকুল শর্তবিহীন নত
পরস্পরের বুকের কাছে মুগ্ধ অভিভূত।

10

শখের তোলার দাম নাকি লাখ টাকা। অনেকেই শখ করে ছবি তোলেন। কিন্তু তাই বলে কি সবারই লাখ টাকা খরচ করে ডিএসএলআর বা ডিজিটাল সিঙ্গেল-লেন্স রিফ্লেক্স ক্যামেরা কেনার সাধ্য আছে? তবে বাজারে এখন ৫০ হাজার টাকার মধ্যে বেশ কটি ব্র্যান্ডের ডিএসএলআর ক্যামেরা কিনতে পাওয়া যায়। সেসবের খোঁজ জানাচ্ছেন জাহিদ হোসাইন খান


ফুজি ফিল্ম

৫০ হাজার টাকার মধ্যে বাজারে ফুজি ফিল্মের দুটো মডেলের ক্যামেরা কিনতে পাওয়া যায়। ১৬.২ মেগাপিক্সেলের ফাইনপিক্স এসএল১০০০ মডেলের ক্যামেরার দাম ৪০ হাজার ৯৯০ টাকা। ১৬ মেগাপিক্সেল রেজুল্যুশনের ফাইনপিক্স এইচএস৩৫ইএক্সআর ক্যামেরার দাম ৩৯ হাজার ৯৯০ টাকা।
 

ক্যানন

বাজারে ৫০ হাজার টাকার নিচে ক্যাননের দুটি মডেলের ডিএসএলআর ক্যামেরা কিনতে পাওয়া যায়। ১২.৬ মেগাপিক্সেল রেজুল্যুশনের ক্যানন ডিজিটাল এসএলআর ইওএস ১১০০ডি ক্যামেরার দাম ৩৭ হাজার টাকা। ১৮ মেগাপিক্সেলের ইওএস ৬০০ডি ক্যামেরার দাম ৪৫ হাজার টাকা।
 

নাইকন

বাজারে নাইকন ব্র্যান্ডের বেশ কটি ডিএসএলআর ক্যামেরা কিনতে পাওয়া যায়। ১৪.২ মেগাপিক্সেল রেজুল্যুশনের ১৮ থেকে ৫৫ মিমি লেন্সের নাইকন ডি৩১০০ ক্যামেরার দাম ৩৫ হাজার ৫০০ টাকা। এই ক্যামেরায় ৩ ইঞ্চির পর্দা যুক্ত রয়েছে। ১৬.২ মেগাপিক্সেলের নাইকন ডি৫১০০ ডিএসএলআর ক্যামেরার দাম ৪৩ হাজার টাকা। নাইকন ডি৩২০০ ডিএসএলআর ক্যামেরার দাম ৪৪ হাজার টাকা। এই ক্যামেরায় রয়েছে ২৪.২ মেগাপিক্সেল রেজুল্যুশনের নিকন এফ মন্ট ১৮ থেকে ৫৫ মিলিমিটার লেন্স।

কোথায় পাবেন

রাজধানী ঢাকার আগারগাঁওয়ের বিসিএস কম্পিউটার সিটি, বসুন্ধরা সিটি শপিং মলসহ দেশের বিভিন্ন প্রযুক্তি পণ্য বিক্রেতাদের কাছেপাওয়া যাবে ডিএসএলআর ক্যামেরা।

খেয়াল রাখুন

মেগাপিক্সেল: ডিজিটাল ক্যামেরার মেগাপিক্সেল যত বেশি হবে, ছবির মানও তত ভালো হবে—এই ধারণা পুরোপুরি সঠিক নয়। ছবির আকার নির্ধারণ করে দেয় মেগাপিক্সেল।

সেন্সর: ইমেজ সেন্সরের ওপর ছবির মান নির্ভর করে। সেন্সরের আকার যত বড় হবে, ছবির মান তত ভালো হবে। ক্যামেরায় দুই ধরনের ইমেজ সেন্সর দেখা যায়। সিসিডি ও সিএমওএস নামের সেন্সরে সিএমওএস সেন্সরে কম ব্যাটারি খরচ হয়।

জুম: ক্যামেরাগুলোর অপটিক্যাল ও ডিজিটাল দুই ধরনের জুম থাকে। অপটিক্যাল জুম লেন্সের ফোকাল দৈর্ঘ্য পরিবর্তন করে বিষয়বস্তুকে কাছে নিয়ে আসে। ফলে ছবির মান অটুট থাকে।

 

ডিএসএলআর ক্যামেরার যত্নআত্তি


*ব্র্যান্ডের ক্যামেরা কেনার সময় বাংলাদেশে পরিবেশক, সার্ভিস সেন্টার কোথায় আছে, তা জেনে নিন।
*পানি, ধুলা, বালু, কাদা থেকে ক্যামেরা দূরে রাখার চেষ্টা করুন।
*ক্যামেরা কেনার সময় ব্যাগ বা ক্যামেরা রাখার বাক্স কিনে নিন।
*ক্যামেরা ও লেন্স ভালো রাখার জন্য সিলিকা জেল ব্যবহার করা যেতে পারে। সিলিকা জেল ব্যবহার করার ক্ষেত্রে কিছুটা সাবধানতা অবলম্বন করুন।
*ছবি তোলার পর ক্যামেরার ব্যাটারি খুলে রাখা উচিত। ব্যাটারি খুলে ক্যাপসহ ব্যাটারি সংরক্ষণ করুন।
*ক্যামেরা ও লেন্স বায়ুরোধী বাক্সে জলীয়বাষ্প শোষণকারী পদার্থ (ডেসিকেটিং এজেন্ট) দিয়ে সংরক্ষণ করুন।
*লেন্সে বা ক্যামেরায় ধুলা পড়লে হাত দিয়ে কিংবা ফুঁ দিয়ে সরানোর চেষ্টা না করে ব্লোয়ার ব্যবহার করুন।
*শীতাতপনিয়ন্ত্রিত রুম থেকে বের হওয়ার আগে ২০ থেকে ২৫ মিনিট আগে ক্যামেরা ব্যাগে ভরে রাখুন। ক্যামেরা খোলা অবস্থায় বের করা হলে লেন্সে পানি জমে যায়। এতে লেন্সে স্থায়ী দাগ পড়তে পারে।

 

সূত্র: রয়টার্স

ভাষান্তর: মিজানমল্লিক
(প্রথম আলো)

11
History / শহীদ আসাদ দিবস
« on: January 19, 2014, 10:31:49 PM »
শহীদ আসাদ দিবস


গণঅভ্যুত্থান দিবস। ১৯৬৯ সালের এ দিনে তৎকালীন পূর্বপাকিস্তানে স্বৈরাচারী আইয়ুব সরকার তথা পাকিস্তানি আমলা-সামরিক শাসকদের বিরুদ্ধে গণবিস্ফোরণ ঘটেছিল। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে পরপর তিনটি মাসই গুরুত্বপূর্ণ, ঐতিহাসিক তাৎপর্যে সম্পৃক্ত : জানুয়ারি গণঅভ্যুত্থানের মাস, ফেব্রুয়ারি ভাষা শহীদের মাস এবং মার্চ স্বাধীনতা সংগ্রামের মাস। ষাটের দশকজুড়ে আইয়ুব শাহীর বিরুদ্ধে এবং বাঙালির স্বাধিকার আদায়ের লক্ষ্যে যে বেগবান আন্দোলন গড়ে উঠেছিল, তারই প্রবল বিস্ফোরণ ঘটেছিল ১৯৬৯ সালের ২৪ জানুয়ারি। মূলত ২০ জানুয়ারিই গণঅভ্যুত্থান ঘটে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আসাদুজ্জামানের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে। আইয়ুব খান ক্ষমতা টিকিয়ে রাখার জন্য একের পর এক দমনমূলক ও ষড়যন্ত্রমূলক পদক্ষেপ নিতে থাকেন। ১৯৬২ সালে যে শিক্ষানীতি চাপিয়ে দিতে চেয়েছিলেন, তা ছিল বাঙালির মেধা ও মননকে পঙ্গু করে দেওয়ার পরিকল্পনা। বাংলাভাষাকে আরবি হরফে তারপর রোমান হরফে লেখার পাঁয়তারা করেছিলেন আইয়ুব। বাঙালি দালালদের সঙ্গে নিয়ে বাঙালি জাতির মগজে চাপাতে চেয়েছিলেন বাঙালি কালচারের পরিবর্তে পাক কালচার। ১৯৬৫ সালে আইয়ুব জনরোষকে ভিন্ন পথে পরিচালিত করার জন্য পাক-ভারত যুদ্ধ লাগিয়ে দেন কাশ্মীরের ঘটনাকে কেন্দ্র করে। এটা হয়ে দাঁড়াল তার জন্য মারাত্মক বুমেরাং। পয়ষট্টির যুদ্ধের সময় পূর্ববাংলা ছিল সম্পূর্ণ অরক্ষিত। ব্যাপারটি লক্ষ্য কারছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। এ সূত্র ধরেই তিনি ১৯৬৬ সালে লাহোরে ঐতিহাসিক ৬ দফা পেশ করেন। ৬ দফা ত্বরিতগতিতে পূর্ববাংলায় জনপ্রিয়তা অর্জন করে। ৬ দফা হয়ে দাঁড়ায় বাঙালির মুক্তি সনদ। অত্যন্ত সহজ, প্রাঞ্জল ভাষায় বঙ্গবন্ধু জনগণের সামনে ৬ দফার মর্মকথা তুলে ধরতে লাগলেন। ৬ দফাকে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন 'স্বাধীনতার সাঁকো'। সদ্য প্রয়াত জননেতা আবদুর রাজ্জাককে বলেছিলেন, 'সাঁকো দিলাম'। ৬ দফার বিরুদ্ধে আইয়ুব খান অস্ত্রের ভাষা প্রয়োগ করেছিলেন। ভুট্টো চ্যালেঞ্জ জানিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধুকে। বঙ্গবন্ধু সে চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করেছিলেন। মোনায়েম খান বলেছিলেন, শেখ মুজিবকে জেলে পচে মরতে হবে, তাকে সূর্যের মুখ দেখতে দেওয়া হবে না। ৬ দফার জনপ্রিয়তা ধ্বংস করার জন্য আইয়ুব খান তথাকথিত আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা করেন। এর এক নম্বর আসামি ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর। মামলাটি দায়ের করা হয়েছিল ১৯৬৭ সালে। মামলাটির নামই ছিল স্টেট বনাম শেখ মুজিবুর রহমান। ১৯৬৭ সালেই আইয়ুব সরকারের তথ্যমন্ত্রী এলান জারি করেন যে, রবীন্দ্রনাথ যেহেতু হিন্দু, সেহেতু পাকিস্তান বেতারে রবীন্দ্রসংগীত প্রচার করা হবে না। এটা পাকওয়াতানের জন্য খুব ক্ষতিকর। এ আক্রমণ রবীন্দ্রনাথের ওপর দ্বিতীয়বার হলো। ১৯৬১ সালে আইয়ুব সরকার রবীন্দ্র জন্মশত বার্ষিকী উদযাপন করা নিষিদ্ধ করেছিলেন, তাতেও নাকি পাকওয়াতানের ক্ষতি হতো। আইয়ুব-মোনায়েমের রবীন্দ্র উচ্ছেদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের শিল্পী-সাহিত্যিক কবি ও সাংস্কৃতিক যোদ্ধারা অত্যন্ত জোরালো প্রতিবাদী ভূমিকা পালন করেছিলেন। মূলত ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান ঘটে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলাকে কেন্দ্র করে। ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের ঐতিহাসিক ১১ দফা ও ৬ দফার মতো অভূতপূর্ব জনপ্রিয়তা অর্জন করে। ১১ দফাকে সমর্থন করেন মওলানা ভাসানী, পরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানও। এটা জনতার দাবিতে পরিণত হয়। এ সময় চলছিল ঢাকা কুর্মিটোলা ক্যান্টনমেন্টের সামরিক আদালতে আগরতলা মিথ্যা মামলার আসামিদের বিচারের প্রহসন। তাদের হত্যার নীলনকশা করা হয়েছিল। বঙ্গবন্ধু গোপনে মওলানা ভাসানীকে একজন সাংবাদিকের মাধ্যমে একটি চিরকুট পাঠিয়ে অনুরোধ করেছিলেন, 'মওলানা সাহেব, আমরা সবাই কারাবন্দি, এই দুঃসময়ে আপনি আন্দোলনের হাল ধরুন।' বঙ্গবন্ধুর চিঠি পেয়ে মওলানা লাফ দিয়ে ওঠে বলেন, মুজিব পাঠিয়েছে না? আমি জানি, আইয়ুব ওদের হত্যা করতে চায়।' পরদিনই মওলানা পল্টন ময়দানে বিশাল জনসমাবেশে বললেন, জ্বালো জ্বালো আগুনে জ্বালো, জেলের তালা ভাঙবো শেখ মুজিবকে আনবো।' আন্দোলন দমন করার জন্য আইয়ুব সরকার ১৪৪ ধারা জারি করেছিল। মওলানা ভাসানী তিনটি সেস্নাগান তুলেছিলেন, আগুন জ্বালো, লাটভবন ঘেরাও করো আর শেখ মুজিবকে মুক্ত কর। তাই করেছিল জনগণ, ঘেরাও, জ্বালাও, পোড়াও আন্দোলন শুরু হয়। ১৯৬৯ সালের ১৯ জানুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন দুঃসাহসী ছাত্র ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে প্রতিবাদ সভা করেছিল, নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে শোভাযাত্রা বের করেছিল। কয়েক হাজার পুলিশ, ইপিআর ছাত্র মিছিলের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। সেই সাহসী তরুণেরা প্রত্যেকেই আহত হয়ে বন্দি হয়েছিল। ২০ জানুয়ারি ছাত্রজনতা ১৪৪ ধারা পদদলিত করে অকুতভয়ে পুলিশ-ইপিআরের বিরুদ্ধে লড়াই করছিল। সেদিন জনতার মারমুখো প্রতিবাদের মুখে পিছু হটতে বাধ্য হয়েছিল। অকেজো হয়ে গিয়েছিল কাঁদানে গ্যাস। সব বাধা অতিক্রম করে বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ভবন থেকে বেরিয়ে গিয়েছিল বিরাট শোভাযাত্রা শহীদ মিনারের দিকে, শহীদ মিনার হয়ে মেডিকেল কলেজের দিকে, সেই শোভাযাত্রার অন্যতম নায়ক আসাদুজ্জামানকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছিল মেডিকেল কলেজের সামনে। তারপর জনতা আসাদের লাশ ছিনিয়ে মুখোমুখি লড়েছিল সশস্ত্র বাহিনীর সঙ্গে আসাদের রক্তাক্ত শার্ট নিয়ে। ২৪ জানুয়ারি প্রতিবাদ দিবস ছিল কিন্তু দিবসটি রূপান্তরিত হলো গণঅভ্যুত্থান দিবসরূপে, দেশব্যাপী হরতাল পালন হয়েছিল সেদিন, জনতার ওপর বার বার গুলিবর্ষণে ছাত্রসহ ৬ জন নিহত ও বহু আহত হয়েছিল। সেক্রেটারিয়েটের গেটে বিক্ষুব্ধ জনতার ওপর পুলিশের গুলিবর্ষণে নিহত হন শেখ রুস্তম আলী, মকবুল আর নবকুমার স্কুলের নবম শ্রেণীর ছাত্র মতিউর রহমান। বিক্ষুব্ধ জনতা শহীদ মতিউরের লাশ নিয়ে ঢাকার সর্ববৃহৎ শোভাযাত্রা বের করেছিল। ... আর সেদিনই জনতার আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছিল দৈনিক পাকিস্তান ও মর্নিং নিউজ পত্রিকা অফিস আরও পুড়েছিল আগরতলা মামলার প্রধান বিচারকের এস রহমানের বাসভবন, সরকারি অতিথিশালা, নবাব আসকারির বাড়ি, রবীন্দ্রনাথ নিষিদ্ধকারী খাজা শাহাবুদ্দীনের আবাস। (ড. রফিকুল ইসলাম_ বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম, মনসুর মুসা সম্পাদিত বাংলাদেশ, আগামী_ ১৯৯৪)। গণঅভ্যুত্থান সফল হওয়ার পেছনে দু'জন ছাত্র আসাদ ও মতিউরের আত্মদান মৌল ভূমিকা পালন করেছে। তারা আমাদের জাতীয় বীর। তারা বাঙালির হৃদয়ে স্থান পেয়েছেন। আমাদের প্রধান কবি শাসসুর রাহমান তার কবিতায় আসাদ ও মতিউরকে অমর করে রেখেছেন। ওদের রক্তই আইয়ুবকে বিতাড়িত করেছে, বঙ্গবন্ধুকে মিথ্যা মামলার ফাঁসিকাষ্ট থেকে ছিনিয়ে এনেছে।

12


Yes!!!!!!!!!!
Congratulation !!!!!!!!!!

You will be happy to learn that Daffodil International University has already passed 12 years of time with many more glorious achievements and success. This year Daffodil International University  is going to celebrate its 12th Foundation Anniversary on February 15, 2014 at Permanent Campus in Ashulia through a day long program like other years. 
In this regards an organizing Committee  is working hard to make the event a grand success.

The day long programs include journey to Ashulia by Bus Rally, formal ceremony, fun events, Exhibition, games and sports, cultural program, Band Music, Raffle Draw and what not........?   

Details will be updated time to time. Keep eyes to your campuses and keep touch with DIU e-mail, DIU facebook and other social media.

Plan your dreams right now how you would to celebrate the 12th Founding Anniversary. 


I am Ready ? You ................ ?


Copied from email......(PRO, DIU)

13
ভাল ফটোগ্রাফার হতে চাইলে দশটি টিপস মনে রাখা দরকার


নিজের দুর্বল দিক খুজে বের করা

কি কি কাজে আপনি পারদর্শি নন তার একটি তালিকা বানিয়ে নিন। সেই কাজগুলো একে এক রপ্ত করার চেস্টা করুন। একটিতে উন্নতি করলে পরের কাজটি প্রাকটিস করুন।

ছবি তুলে অসন্তুষ্ট হলে
কোন একটি ছবি ভাল না হলে সেটা ত্যাগ করা যাবে না। আরও সময় দিতে হবে ছবিটার পেছনে। ঘুরে ভিরে আরও ভাল ছবি তোলার চেষ্টা করতে হবে।

নিজে নিজে পরীক্ষা চালানো
নিজে নিজে কোন একটি বিষয়ের ছবি কিভাবে ভাল হয় তা সিদ্ধান্ত নেয়া এবং সেভাবে একটি পরিবেশ তৈরী করার চেস্ট করতে হবে।

নতুন জিনিসের অনুসন্ধান করা

সবসময় নতুন কোন বিষয়,প্রকৃতির অনুসন্ধান করতে হবে অপরিচিত সৌন্দর্য আবিষ্কার করতে হবে।

র্য্য ধারন করুন এবং সময় নিয়ে ছবি তুলুন
দ্রুততার সাথে ছবি না তুলে একটু সময় নিয়ে কয়েকবার ছবি তোললে ভাল ফলাফল পাওয়া যায়।

সৌন্দর্য খুজে বের করা:

অন্যের কাজ, ম্যাগাজিন ইত্যাদি থেকে ভিন্নধর্মী আইডিয়া মাথায় আসতে পারে। যা ভাল লাগে তা অনুসরণ কর উচিৎ। নকল নয়, জ্ঞান অর্জনের উদ্দেশ্যে এটা করবেন।

সেরা সেরা ছবি থেকে শিক্ষা গ্রহণ:
বিশ্বের সেরা সেরা ফটোগ্রাফাররের কাজের ধারা, নিজস্ব বৈশিষ্ট্যমন্ডিত কাজ কর্ম থেকে জ্ঞানলাভ করা যায়। তারা এত সুন্দর সুন্দর ছবি তুলতে পারলে আমি পারবো না কেন?

বার বার ছবি তোলা:

নিজের ভুলগুলো থেকে সবচেয়ে তারাতারি শিক্ষা নেয়া যায়। তাই বার বার ছবিতুলে ছবির যে অংশ ভাল লাগছে না তা নিজে নিজে যাচাই করে আবার ছবি তুলতে তুলতে একদিন ভাল ফটোগ্রাফার হয়ে যাবেন।

ফটোগ্রাফী ছেড়ে দিবেন না:
আসল কথা হলো,ভাল ফটোগ্রাফার হতে সময় লাগে । কিছুদিন ছবি তুলে ভাল কিছু না করতে পেরে ছেড়ে দিলে কি চলবে? ধর্য সহকারে নিয়মিত অনুশীলনই সফলতার হাতিয়ার।


14
আম আদমি পার্টি

২০১৩ সালের ডিসেম্বর মাস। প্রতিবেশী ভারতের পাঁচটি রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন। খুব কাছাকাছি আছে লোকসভা নির্বাচনও। তাই সে বিধানসভার নির্বাচনগুলোকে লোকসভা নির্বাচনের একটি মহড়া হিসেবেই বিবেচনা করা হয়েছে। ঔৎসুক্য ছিল দেশ-বিদেশে। প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ছিল কংগ্রেস ও বিজেপি। কিন্তু দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনে একটি তৃতীয় শক্তির আকস্মিক অভ্যুদয় সবাইকে তাক লাগিয়ে দেয়। মাত্র এক বছর আগে দলটি গঠিত হয়েছে। নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পেলেও কংগ্রেস সদস্যদের সমর্থনে তারা সরকার গঠন করেছে দিল্লিতে। দলটির নাম আম আদমি পার্টি। নামের অর্থ বিশ্লেষণের আবশ্যকতা নেই। সবাই সহজে বুঝতে পারেন এ ধরনের নাম। দলের নেতা অরবিন্দ কেজরিওয়াল। তিনি পরাজিত করেছেন পর পর তিন দফায় নির্বাচিত দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী, সৎ রাজনীতিক বলে পরিচিত শীলা দীক্ষিতকে। কংগ্রেস কার্যত নগণ্যসংখ্যক আসন পেয়েছে। বিজেপি আম আদমির চেয়ে তিনটি আসন বেশি পেলেও সরকার গঠনের সুযোগ পায়নি; বিরোধী দলে অবস্থান নিয়েছে।
এ ধরনের নির্বাচন তো হামেশাই হয়। জয়-পরাজয়ও ঘটে অনেক রথী-মহারথীর। তবে এবারের দিল্লি বিধানসভা নির্বাচন শুধু গতানুগতিক জয়-পরাজয়ের নির্বাচন ছিল না। এর মাধ্যমে দিল্লিবাসী একটি কঠোর সতর্কবার্তা দিয়েছে বৃহৎ দলগুলোকে। বিশেষ করে ক্ষমতাসীন দলকে। সেটা দুর্নীতির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর বার্তা। আরও জানান দিয়েছে, নিম্ন ও নিম্নমধ্যবিত্ত জনগণকে উপেক্ষা করে পাটিগণিতের হিসাবে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বিচার করলেই শুধু হবে না, সে প্রবৃদ্ধির অংশীদার আমজনতাকে করতে হবে। এদের চাওয়া-পাওয়া শাসনব্যবস্থায় প্রতিফলিত হতে হবে সুস্পষ্টভাবে। ভারতে দুর্নীতির বিরুদ্ধে জনগণ সোচ্চার দীর্ঘদিন ধরে। সরকারও নির্বিকার ছিল, এমনটি বলা যাবে না। তবে তা প্রত্যাশার সঙ্গে সংগতিপূর্ণ ছিল না। তাই দাবি ওঠে শক্তিশালী কার্যকর প্রতিষ্ঠান হিসেবে লোকপাল নিয়োগের। এ নিয়ে গান্ধীবাদী নেতা আন্না হাজারে ২০১১ সালে একাধিকবার গণ-অনশন করেছিলেন। কেজরিওয়ালও শরিক ছিলেন এতে। এ ছাড়া দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতি মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্তের জীবন দুর্বিষহ করে তুলছিল। তাদের দুর্দশা লাঘবে দিল্লির রাজ্য সরকার তেমন নজর দেয়নি। সেসব চাহিদা পর্যালোচনা করেই সমাধানের একটি প্যাকেজ নিয়ে এগিয়ে এলেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। গঠন করলেন আম আদমি পার্টি।
রাজনীতির জগতে অজ্ঞাত কেজরিওয়াল শুরুতে ছিলেন ভারতীয় রাজস্ব বিভাগের একজন কর্মকর্তা। এখন তাঁর বয়স ৪৫। ২০০৬ সালে যুগ্ম কর কমিশনার হিসেবে চাকরি থেকে ইস্তফা দেন। এর আগে লিয়েনে গিয়ে ‘পাবলিক কজ রিসোর্স ফাউন্ডেশন’ নামে একটি এনজিও গড়ে তোলেন। সুশাসনের জন্যই ছিল এর প্রচেষ্টা। জন লোকপাল বিলের একটি খসড়া তৈরি করে তা পাস করার জন্য দাবি জানাতে থাকে। তথ্য অধিকার আইন তৃণমূল পর্যায়ে প্রয়োগের জন্যও প্রবল চালিয়ে ব্যাপক সাফল্য পায়। বিষয়টি নজরে আসে দেশ-বিদেশের অনেকের। কেজরিওয়াল লাভ করেন এশিয়ান নোবেল খ্যাত র‌্যামন ম্যাগসেসাই পুরস্কার। সে পুরস্কারের টাকাটিও তিনি দান করে দেন ওই এনজিওকে।
দিল্লিবাসীর জন্য আম আদমি পার্টির প্রতিশ্রুতি ছিল, রাজ্যের দুর্নীতি প্রতিরোধে জন লোকপাল নিয়োগ দেবে। তাদের জন্য কিছু আর্থিক সহায়তার ঘোষণাও দেয় দলটি। যেমন, কোনো পরিবারের মাসে ৪০০ ইউনিট পর্যন্ত বিদ্যুৎ বিল ৫০ শতাংশ কমানো, দৈনিক ৭০০ লিটার পানি বিনা মূল্যে সরবরাহ। সে পানি থেকে বস্তিবাসী ও অবৈধ স্থাপনায় বসবাসকারীরাও বঞ্চিত হবে না বলে ঘোষণা করা হয়। এ ছাড়া সরকারি স্কুল, কলেজ ও হাসপাতালের সংখ্যা ও মান বৃদ্ধির প্রতিশ্রুতিও তাদের রয়েছে। জনপরিবহন, পরিবেশসহ সামাজিক খাতেও ব্যাপক গণমুখী ব্যবস্থা নেওয়ার কথা রয়েছে তাদের। তারা মূলত তরুণ। লড়াই করেছে দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞ রাজনীতিবিদদের বিরুদ্ধে। কিন্তু দিল্লিবাসী আস্থা রেখেছে তাদের ওপরেই। তারাও ক্ষমতা গ্রহণের এক সপ্তাহের মধ্যে পানি আর বিদ্যুৎ খাতে প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন শুরু করেছে।
কেউ কেউ এসব কর্মসূচি বাস্তবায়নে দিল্লি রাজ্য সরকারের সক্ষমতা সম্পর্কে সন্দিহান। এভাবে গণভর্তুকি চালু করলে উন্নয়নমূলক কাজ থমকে যেতে পারে বলেও কারও কারও আশঙ্কা। এসব সন্দেহ-আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যায় না। তবে শুধু প্রবৃদ্ধির হার দেখিয়েই জনগণের আস্থা দীর্ঘকাল ধরে রাখা যায় না। তাদের কর্মসংস্থান আর ন্যূনতম চাহিদার সঙ্গে সংগতি রেখে আয়ের ব্যবস্থাও করতে হবে। আর ক্ষেত্রবিশেষে কিছু ভর্তুকিও একেবারে অগ্রহণযোগ্য বলা যাবে না। ধনতান্ত্রিক রাষ্ট্রগুলোও পরোক্ষভাবে তা দিয়ে থাকে। সুতরাং কেজরিওয়াল বিনা মূল্যে কিছু পানি আর স্বল্পমূল্যে সীমিত বিদ্যুৎ দিলে দিল্লির রাজ্য সরকার দেউলিয়া হয়ে যাবে, এমনটা আশঙ্কা যথোচিত নয়। দুর্নীতি প্রতিরোধের জন্য তো তেমন টাকাপয়সার দরকার হয় না। প্রয়োজন সদিচ্ছা, দৃঢ়তা, কার্যকরী আইন ও প্রতিষ্ঠান।
দিল্লি রাজ্য সরকার পরিচালনার জন্য আম আদমি পার্টি যেসব কর্মসূচি দিয়েছে, তার কিছু কিছু সাফল্যের মুখ না-ও দেখতে পারে। কিছু থেকে যেতে পারে অসম্পূর্ণও। দিল্লির শাসনভার কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারের যৌথ দায়িত্ব। তদুপরি অধীনস্থ স্থানীয় সরকারগুলোর সদিচ্ছাও এখানে প্রয়োজনীয়। আম আদমি পার্টি নিজেদের জীবনযাত্রা সম্পর্কে যেসব প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, তা থেকেও ক্ষেত্রবিশেষে তাদের কিছুটা সরে আসতে হতে পারে। ইতিমধ্যে দু-একটি ক্ষেত্রে তা হয়েছেও। মুখ্যমন্ত্রী সরকারি বাসভবন নিতে সম্মতি দিয়েছেন। কাজের সুবিধা ও নিরাপত্তার জন্য সরকারি গাড়ি ও বাড়ি আবশ্যক। এর অপব্যবহার না হলেই জনগণ সন্তুষ্ট থাকবে। মূলত তরুণদের সমন্বয়ে আর তরুণ নেতৃত্বে দলটি গঠিত, তাদের বক্তব্য কিছুটা আবেগাশ্রয়ী হতে পারে। বাস্তবতার চাপে সময়ান্তরে আবেগ দূরীভূত হবে। প্রকৃত কার্যক্রম পরিচালনায় সুশাসনের অঙ্গীকারটিকে সর্বোচ্চে স্থান দিয়ে জনকল্যাণকর কার্যক্রম অব্যাহত রাখলে কিছু ক্ষেত্রে ব্যর্থতাও জনগণ মেনে নেবে। আর তা করতে সক্ষম না হলে বুদ্বুদের মতো মিলিয়ে যেতে পারে, এমন আশঙ্কাও অমূলক নয়।
দিল্লির জনসংখ্যা দুই কোটি ২০ লাখ। আয়তন প্রায় দেড় হাজার বর্গকিলোমিটার। এতে বেশ কয়েকটি পৌরসভা নিয়ে গঠিত দিল্লিকে বলা হয় ‘সিটি অব সিটিজ’। নগরটির অনেক সুপ্রাচীন ইতিহাস ও ঐতিহ্য রয়েছে। মহাভারতের যুগে ইন্দ্রপ্রস্থ নামে পাণ্ডবদের রাজধানী এখানেই ছিল বলে মনে করা হয়। খ্রিষ্টপূর্ব ৩০০ অব্দ থেকে আবার ইতিহাসের শিরোনামে আসে নগরটি। সম্রাট অশোকের সময়ে উত্তর-পশ্চিম ভারতের সঙ্গে গাঙ্গেয় সমভূমির সংযোগ হতো এ নগরের মাধ্যমে। এর রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক, বাণিজ্যিক দিকও বিকাশ লাভ করতে থাকে তখন থেকে। শাসক পরিবর্তন হয়েছে বহুবার। ১১৯২ সালে পৃত্থিরাজ চৌহানকে হটিয়ে আফগান শাসক মোহাম্মদ ঘুরী দখল করেন দিল্লি। তার আগ পর্যন্ত দিল্লি বিভিন্ন হিন্দু রাজবংশের শাসনাধীন ছিল। তুর্কিস্তানের জহির উদ্দিন মুহাম্মদ বাবর ১৫২৬ সালে দিল্লি দখল করে প্রতিষ্ঠা করেন মোগল সাম্রাজ্য। ১৮৫৭ সালে এটা যায় ইংরেজদের দখলে। ১৯১১ সালে তারা ভারতের রাজধানী কলকাতা থেকে দিল্লিতে স্থানান্তর করে। এ নগরটি যুগে যুগে দখল, ধ্বংস ও পুনর্নির্মাণ করা হয়েছে। এখনকার যুগে তা হওয়ার কথা নয়। তবে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের উত্থান আর দিল্লি রাজ্য সরকার দখল কিন্তু আধুনিক সংজ্ঞায় রাজধানী দখল। এটা ঘটেছে গণতান্ত্রিক পন্থায় আর ভোট নামক অস্ত্রে। এটা সবারই জানা, রাজধানী জয় করেই কোনো বিজয়ী শাসক থেমে থাকেন না। তিনি তাঁর সীমা ছড়িয়ে দিতে চান। অতীতে দিল্লি জয় করে অবশিষ্ট ভারতের দিকে নজর দিয়েছেন বিভিন্ন নৃপতি।
সাফল্য আর ব্যর্থতা দুটোই জুটেছে ভিন্ন ভিন্ন ক্ষেত্রে। ঠিক তেমনি আম আদমি পার্টি আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে ভারতের বিভিন্ন রাজ্য থেকে ৩০০ আসনে প্রার্থী দেওয়ার ঘোষণা করেছে। দিল্লি রাজ্য সরকার পরিচালনায় তারা সাফল্যের ছাপ রাখতে পারলে, এবারে না হলেও ভবিষ্যতে তারা লোকসভায় গুরুত্বপূর্ণ প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে দাঁড়াতে পারবে। এমনকি অসম্ভব হবে না ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার দখলও। ইন্দপ্র্রস্থে আজ যে নতুন হাওয়া বইছে, তা অদূর ভবিষ্যতে বর্তমান সীমানা ছাড়িয়ে ছড়িয়ে পড়তে পারে গোটা ভারতে। এমনকি পার্শ্ববর্তী কোনো কোনো দেশের রাজনীতিতেও এর ইতিবাচক গুণগত দিক প্রভাব ফেলতে পারে।

15
Jokes / দ্রুতগামী ট্রেন..........
« on: January 08, 2014, 02:12:36 AM »
রেলওয়েতে চাকরির ইন্টারভিউ হচ্ছে।
: ধর, একটা দ্রুতগামী ট্রেন আসছে। হঠাৎ দেখলে লাইন ভাঙা। ট্রেনটা থামানো দরকার। কী করবে তুমি?
: লাল নিশান ওড়াব।
: যদি রাত হয়?
: লাল আলো দেখাব।
: লাল আলো যদি না থাকে?
: তা হলে আমার ছোট বোনকে ডাকব!
: বোনকে! তোমার বোন এসে কী করবে?
: কিছু করবে না। ওর অনেক দিনের শখ সরাসরি একটা ট্রেন-দূর্ঘটনা দেখার।

Pages: [1] 2 3 ... 7