Show Posts

This section allows you to view all posts made by this member. Note that you can only see posts made in areas you currently have access to.


Topics - Akter Hossain

Pages: 1 2 [3] 4 5
31
অবশেষে কমানো হলো সব ধরণের জ্বালানি তেলের দাম। অকটেন ও পেট্রলের দাম লিটারে ১০ টাকা এবং কেরোসিন ও ডিজেলের দাম লিটারে তিন টাকা কমানো হয়েছে। রবিবার দিবাগত রাত ১২টার পর নতুন দাম কার্যকর হবে।

এ বিষয়ে রবিবার সন্ধ্যা ৭টায় পরিপত্র জারি করেছে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়।

নতুন মূল্যতালিকা অনুযায়ী এখন লিটারপ্রতি ডিজেলের দাম ৬৫ টাকা, কেরোসিনের দাম ৬৫ টাকা, অকটেনের দাম ৮৯ টাকা ও পেট্রলের দাম ৮৬ টাকা হবে।

এর আগে ২০১৩ সালে আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে মূল্য সমন্বয়ের সময় বাংলাদেশে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানো হয়েছিল। তখন খুচরা বাজারে প্রতি লিটার অকটেন ৯৯ টাকা, পেট্রোল ৯৬ টাকা, কেরোসিন ও ডিজেল ৬৮ টাকা নির্ধারণ করা হয়।

আন্তর্জাতিক বাজারে দফায় দফায় জ্বালানি তেলের দাম কমলেও দেশের বাজারে সরকার কোন ধরনের জ্বালানি তেলের দাম কমায়নি। যদিও বিভিন্ন মহল থেকে জ্বালানি তেলের দাম কমানোর দাবি রয়েছে। সেই প্রেক্ষাপটে গত ৩১ মার্চ প্রতি লিটার ফার্নেস অয়েলের দাম ৬০ টাকা থেকে কমিয়ে ৪২ টাকা করে সরকার। ওই সিদ্ধান্তের পর এপ্রিলের শুরুতে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু সাংবাদিকদের জানান, শীঘ্রই তিন ধাপে অকটেন, পেট্রল, কেরোসিন ও ডিজেলের দাম কমানোর প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে। প্রথম ধাপে দাম সাত থেকে ১০ দিনের মধ্যে কমতে পারে। এর পাঁচ-ছয় মাস পর হয়তো একটি ধাপে, তারও কয়েক মাস পর হয়তো আরেকটি ধাপে জ্বালানি তেলের দাম কমানো হবে।

তখন তিনি জানান, বিভিন্ন তেলের উপর ভিত্তি করে লিটারপ্রতি দাম ৪টাকা থেকে ১০টাকা পর্যন্ত কমতে পারে।

32
ডেঙ্গির পর কি এ বার এডসের টিকাও আমাদের হাতে আসতে চলেছে? তা সে কোনও দেশই হোক বা ঘর-বাড়ি অথবা আমার আপনার শরীর, বাইরের শত্রুকে ঠেকানোর ভাবনাটাই আমাদের ভাবতে হয় সবচেয়ে আগে। আর সেই শত্রু যদি এমন হয় যে তা দুদ্দাড়িয়ে বাড়ে সংখ্যায়, যাদের বংশ-বৃদ্ধি হয় রাক্ষসের বংশের মতো, তা হলে তাদের ঠেকানোর কাজটা জটিল থেকে জটিলতর হয়ে পড়ে

এইডসের মতো একটি দুরারোগ্য ব্যাধি যে গত দু’-তিন দশক ধরে গোটা বিশ্বের ঘুম কেড়ে নিয়েছে, তার একটাই কারণ। ভাইরাস ‘এইচআইভি-পজিটিভ’ রাক্ষসের মতো বাড়ে অনেক সংখ্যায়। অত্যন্ত দ্রুত হারে, নিমেষের মধ্যেই। ডেঙ্গি, ফ্লু’র (ইনফ্লুয়েঞ্জা) চেয়ে এডস ভাইরাসের ‘মিউটেশন রেট’ অনেক বেশি বলেই এটা হয়। যার জন্য এত দিন এই মারণ ব্যাধিকে রোখার পথ খুঁজে বের করতে কালঘাম ছুটে যাচ্ছিল ভাইরাস বিশেষজ্ঞদের।

অন্ধকারে এ বার কিছুটা হলেও, আলোর দেখা মিলেছে! মার্চের শেষে বিজ্ঞান জার্নাল ‘সায়েন্স’-এ বেরিয়েছে একটি সাড়া জাগানো গবেষণাপত্র। যার শিরোনাম- ‘এইচআইভি-ওয়ান ব্রডলি নিউট্রালাইজিং অ্যান্টিবডি প্রিকার্সার বি সেল্‌স রিভিলড বাই জার্মলাইন-টার্গেটিং ইমিউনোজেন’। ক্যালিফোর্নিয়ার ‘স্ক্রিপ্‌স রিসার্চ ইনস্টিটিউটে’র কম্পিউটেশনাল বায়োলজিস্ট উইলিয়াম শিফের নেতৃত্বে ওই গবেষক দলে যে একমাত্র ভারতীয় রয়েছেন, তিনি বাঙালি। অনিতা সরকার।

কলকাতায় জন্ম অনিতার। স্কুলজীবনের বেশির ভাগটাই থাকতেন ন্যাশনাল লাইব্রেরি ক্যাম্পাসে। পরে সেখান থেকে চলে যান মহেশতলায়। সেন্ট পল্‌স আর সেন্ট টেরেসা স্কুলের গণ্ডি পেরিয়ে জুলজিতে অনার্স নিয়ে স্নাতক হন দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। দিল্লিরই জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বায়োইনফর্মেটিক্সে স্নাতকোত্তর স্তরের পাঠ শেষ করে পিএইচডি করেন ফ্রান্সের গ্রেনোবল থেকে। অনিতার প্রথম পোস্ট ডক্টরাল থিসিসটির কাজ চলছে এখন ক্যালিফোর্নিয়ার স্ক্রিপ্‌স রিসার্চ ইনস্টিটিউটে।

স্ক্রিপ্‌স রিসার্চ ইনস্টিটিউটে চলছে এডস সংক্রান্ত গবেষণার কাজ।

সহযোগী গবেষক ক্যালিফোর্নিয়ার লা হোয়ায় ‘স্ক্রিপ্‌স রিসার্চ ইনস্টিটিউটে’র স্ট্রাকচারাল বায়োলজিস্ট অনিতা সরকার বলছেন, ‘‘শরীরে ভাইরাসের মতো শত্রুরা হামলা চালালে, তাদের রুখতে প্রাকৃতিক ভাবেই, শরীরে কিছু অ্যান্টিবডি তৈরি হয়। বিশেষ বিশেষ ভাইরাসের হানাদারি রোখার জন্য বিশেষ বিশেষ অ্যান্টিবডি। যেমন, তরোয়ালের বিরুদ্ধে লড়াই করতে ঢাল বা বর্ম লাগে। আর, বুলেট-বৃষ্টি থেকে বাঁচতে লাগে বুলেট-প্রুফ জ্যাকেট। প্রতিরোধের ধরনটা মোটামুটি একই রকম হলেও তার হাতিয়ারটা হয় আলাদা আলাদা।’’

স্ট্রাকচারাল বায়োলজিস্ট অনিতা সরকার।অনিতার কথায়, ‘‘গত ৩০ বছর ধরে গবেষণা চালিয়ে দেখা গিয়েছে, খুব অল্প সংখ্যক এইচআইভি-পজিটিভে আক্রান্ত মানুষ এমন বিশেষ ধরনের অ্যান্টিবডি তৈরি করতে পারেন। এমন অ্যান্টিবডির সংখ্যা ও ভাইরাসের ‘মিউটেশন রেট’-এর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে তাদের দ্রুত পরিবর্তনের ক্ষমতাই এইচআইভি ভাইরাসকে শরীরে দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে দেবে না। গবেষকরা চেষ্টা করছেন, এইচআইভি-পজিটিভ ভাইরাস রোখার জন্য়েও আমাদের শরীরে গড়ে ওঠে বিশেষ এক ধরনের অ্যান্টিবডি।গবেষকরা চেষ্টা করছেন, এমন একটা টিকা বানাতে যা দেহে ওই অ্যান্টিবডি তৈরি করে রাখে। যার ফলে, সুস্থ মানুষের শরীর ওই মারাত্মক ভাইরাসের হানাদারিকে রুখতে পারে।’’

যাকে দিয়ে বানানো হচ্ছে এডস ভাইরাসের টিকা।

এডস এখন বিশ্বে মহামারী হয়ে উঠেছে। এর কোনও প্রতিকার বা প্রতিরোধের উপায় আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞান এখনও পর্যন্ত খুঁজে পায়নি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) এবং রাষ্ট্রপুঞ্জের এডস প্রতিরোধ সংস্থার (ইউএনএডস) সাম্প্রতিক পরিসংখ্যান জানাচ্ছে, ২০১৩ সালের শেষে বিশ্বে সাড়ে তিন কোটি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন এডসে। তার মধ্যে শুধু ভারতেই এডস-আক্রান্ত মানুষের সংখ্যাটা বছর তিনেক আগেই পৌঁছে গিয়েছে ২১ লক্ষে। ওই এডস রোগীদের মধ্যে খুবই সামান্য একটা অংশের দেহে এডস ভাইরাসের দ্রুত বংশ-বৃদ্ধির প্রক্রিয়াকে ঠেকানোর অ্যান্টিবডি, প্রাকৃতিক ভাবেই গড়ে তুলতে পারে।

অণুবীক্ষণের তলায় এডস ভাইরাস।যে ভাবে এডস ভাইরাস ঠেকানোর প্রক্রিয়াকে জোরদার করা হচ্ছে।অনিতা বলছেন, ‘‘গবেষকরা চেষ্টা করছেন, যাঁদের এডস হয়নি, তাঁদের শরীরে ওই প্রতিরোধ ব্যবস্থাটাকে কৃত্রিম ভাবে, জোরদার করে তুলতে। আমরা কম্পিউটেশনাল ডিজাইন আর স্ট্রাকচারাল বায়োলজির মাধ্যমে এইচআইভি ভাইরাসের একটি প্রোটিনের একটি অংশ বানিয়েছি।

যেটা আমাদের ‘জার্মলাইন’ ( যেগুলি আমাদের শরীরে জন্মের সময় থেকেই থাকে) অ্যান্টিবডিগুলিকে শনাক্ত করে। আর সেগুলিকে এইচআইভি প্রতিরোধ করার মতো করে গড়ে তুলতে পারে। তার ফলে, ওই ভাইরাসের হানাদারি রোখার জন্য এ বার আমরা আগেভাগেই তৈরি থাকতে পারব।’’

অনিতা বলছেন, ‘‘আমাদের গবেষণায় আমরা দেখেছি, সাধারণ, সুস্থ-সবল মানুষের শরীরে এই জার্মলাইন অ্যান্টিবডিগুলো থাকে পর্যাপ্ত পরিমাণেই। ওই ‘ডিজাইনড্‌ প্রোটিন’ আর আ্যান্টিবডিগুলির গঠন দেখে আমরা নিশ্চিত, সাধারণ মানুষের মধ্যে এইচআইভি-র হানাদারি রোখার ক্ষমতা রয়েছে। আমাদের এই ‘ডিজাইনড্‌ প্রোটিন’ আগামী দিনে এইচআইভি রোখার জন্য টিকা তৈরির ক্ষেত্রে একটি বড় হাতিয়ার হয়ে উঠতে পারে। তার সম্ভাবনা যথেষ্টই।’’

এডসের মতো একটি দুরারোগ্য ব্যাধি যে গত দু’-তিন দশক ধরে গোটা বিশ্বের ঘুম কেড়ে নিয়েছে, তার একটাই কারণ। ভাইরাস ‘এইচআইভি-পজিটিভ’ রাক্ষসের মতো বাড়ে অনেক সংখ্যায়। অত্যন্ত দ্রুত হারে, নিমেষের মধ্যেই। ডেঙ্গি, ফ্লু’র (ইনফ্লুয়েঞ্জা) চেয়ে এডস ভাইরাসের ‘মিউটেশন রেট’ অনেক বেশি বলেই এটা হয়। যার জন্য এত দিন এই মারণ ব্যাধিকে রোখার পথ খুঁজে বের করতে কালঘাম ছুটে যাচ্ছিল ভাইরাস বিশেষজ্ঞদের।

অন্ধকারে এ বার কিছুটা হলেও, আলোর দেখা মিলেছে! মার্চের শেষে বিজ্ঞান জার্নাল ‘সায়েন্স’-এ বেরিয়েছে একটি সাড়া জাগানো গবেষণাপত্র। যার শিরোনাম- ‘এইচআইভি-ওয়ান ব্রডলি নিউট্রালাইজিং অ্যান্টিবডি প্রিকার্সার বি সেল্‌স রিভিলড বাই জার্মলাইন-টার্গেটিং ইমিউনোজেন’।

ক্যালিফোর্নিয়ার ‘স্ক্রিপ্‌স রিসার্চ ইনস্টিটিউটে’র কম্পিউটেশনাল বায়োলজিস্ট উইলিয়াম শিফের নেতৃত্বে ওই গবেষক দলে যে একমাত্র ভারতীয় রয়েছেন, তিনি বাঙালি। অনিতা সরকার। কলকাতায় জন্ম অনিতার। স্কুলজীবনের বেশির ভাগটাই থাকতেন ন্যাশনাল লাইব্রেরি ক্যাম্পাসে। পরে সেখান থেকে চলে যান মহেশতলায়।

সেন্ট পল্‌স আর সেন্ট টেরেসা স্কুলের গণ্ডি পেরিয়ে জুলজিতে অনার্স নিয়ে স্নাতক হন দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। দিল্লিরই জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বায়োইনফর্মেটিক্সে স্নাতকোত্তর স্তরের পাঠ শেষ করে পিএইচডি করেন ফ্রান্সের গ্রেনোবল থেকে। অনিতার প্রথম পোস্ট ডক্টরাল থিসিসটির কাজ চলছে এখন ক্যালিফোর্নিয়ার স্ক্রিপ্‌স রিসার্চ ইনস্টিটিউটে।

যে ভাবে এডস ভাইরাস ঠেকানোর প্রক্রিয়াকে জোরদার করা হচ্ছে।

অনিতা বলছেন, ‘‘গবেষকরা চেষ্টা করছেন, যাঁদের এডস হয়নি, তাঁদের শরীরে ওই প্রতিরোধ ব্যবস্থাটাকে কৃত্রিম ভাবে, জোরদার করে তুলতে। আমরা কম্পিউটেশনাল ডিজাইন আর স্ট্রাকচারাল বায়োলজির মাধ্যমে এইচআইভি ভাইরাসের একটি প্রোটিনের একটি অংশ বানিয়েছি। যেটা আমাদের ‘জার্মলাইন’ ( যেগুলি আমাদের শরীরে জন্মের সময় থেকেই থাকে) অ্যান্টিবডিগুলিকে শনাক্ত করে। আর সেগুলিকে এইচআইভি প্রতিরোধ করার মতো করে গড়ে তুলতে পারে। তার ফলে, ওই ভাইরাসের হানাদারি রোখার জন্য এ বার আমরা আগেভাগেই তৈরি থাকতে পারব।’’

কিন্তু, আমাদের শরীরে কি ওই ‘জার্মলাইন অ্যান্টিবডি’গুলি রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে?

33
শ বড় ধরণের ভূমিকম্প ঝুঁকিতে রয়েছে বাংলাদেশ। যেকোনো মুহূর্তে কেঁপে উঠতে পারে দেশের ভূপৃষ্ঠ। আর এর নেপথ্যে রয়েছে তিনটি টেকটোনিক প্লেট।
ইন্ডিয়ান ও বার্মিজ মাইক্রোপ্লেটের মাঝখানে অবস্থান দেশটির। এ ছাড়া ইন্ডিয়ান প্লেটের পাশেই রয়েছে ইউরেশিয়ান টেকটোনিক প্লেট। ভূতত্ত্ববিদদের অভিমতÑ ইন্ডিয়ান প্লেটটি উত্তর-পূর্ব দিকে বছরে ৬ সেন্টিমিটার সরে যাচ্ছে এবং একই সাথে এ প্লেটটি ইউরেশিয়ান প্লেটের নিচে বছরে ৪৫ মিলিমিটার করে ঢুকে যাচ্ছে। অন্য দিকে বার্মিজ প্লেটটি বছরে ৩৫ মিলিমিটার করে উত্তর ও পূর্ব দিকে সরে যাচ্ছে। এ তিনটি প্লেটের অনবরত নড়াচড়ায় ফল্টগুলোকে অধিক সক্রিয় করছে। আঞ্চলিকভাবে সক্রিয় এ ফল্টগুলো বাংলাদেশ ও এর সীমানার বাইরে মাঝারি থেকে বড় ভূমিকম্পের সৃষ্টি করতে পারে বলে ভূমিকম্প বিশেষজ্ঞরা বলছেন।
এ দিকে গত কয়েক দিনে বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল, মিয়ানমার, জাপান, ইকুয়েডরসহ বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ভূমিকম্প ও সুনামির সতর্ক বার্তার কারণে সর্বমহলে আতঙ্ক বিরাজ করছে। বিশেষত বাংলাদেশের মানুষ যেকোনো মুহূর্তে বড় ধরনের ভূমিকম্প হতে পারে এই আশঙ্কায় ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে পড়েছেন।
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. মেহেদী আহমেদ আনসারী এ প্রসঙ্গে বলেন, হিমালয় ভূকম্পন বলয়ে উত্থানপ্রক্রিয়া এখনো সক্রিয়। এ কারণে বাংলাদেশ ভূকম্পন এলাকা হিসেবে গণ্য। ঢাকা মহানগর ও আশপাশ এলাকার ভূমির গঠন অস্থিতিশীল ও ভূ-আলোড়নজনিত। এ মহানগরের পাশেই রয়েছে বেশ কয়েকটি অস্থিতিশীল ভূতাত্ত্বিক অঞ্চল। রয়েছে বেশ কিছু ফল্ট। এ ফল্টগুলো থেকেই হতে পারে ভূমিকম্প। ড. আনসারী জানিয়েছেন, ভূমিকম্প হতে পারে কিন্তু কখন হবে এর পূর্বাভাস দেয়া সম্ভব নয়। আমরা জনসাধারণকে সচেতন হতে বলি। বাড়ি নির্মাণের সময় ভূমিকম্পের বিষয়টি মনে রাখার জন্য বলি। আমরা বলি শক্ত ও মজবুত ভবন নির্মাণ করার জন্য। আতঙ্কিত না হয়ে অপেক্ষাকৃত দুর্বল ভবনগুলো মজবুত করা অথবা মজবুত করতে না পারলেও ভেঙে নতুন করে তৈরি করতে হবে। এতে ভূমিকম্প হলে ক্ষয়ক্ষতি হ্রাস পাবে।
বিশিষ্ট ভূতত্ত্ববিদ ড. হুমায়ুন আখতারের মতে, বঙ্গীয় ব-দ্বীপে প্রচুর শক্তি সঞ্চয় হচ্ছে। এই শক্তি এক সময় নির্গত হতে পারে। যুমনা থেকে মেঘনা পর্যন্ত এলাকা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। বিশেষত ঢাকা অত্যন্ত ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। ঢাকা থেকে ৫০ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে মানিকগঞ্জে যে ফল্ট রয়েছে এর সাথে মধুপুর ফল্টের সংযোগ আছে। এখান থেকেও যেকোনো সময় হতে পারে ভূমিকম্প।
অনেক চ্যুতি (ফল্ট) রয়েছে বাংলাদেশের মধ্যে ও এর সাথে লাগোয়া বেশ কিছু অঞ্চলে। বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ মধুপুর ফল্ট অন্যতম। এটা উত্তর-দক্ষিণে ১৫০ কিলোমিটার দীর্ঘ মধুপুর ও যমুনা প্লাবন অঞ্চলের মধ্যে অবস্থিত। দক্ষিণের সুরমা বেসিনের মধ্যে অবস্থিত ৩০০ কিলোমিটার আসাম-সিলেট ফল্ট। এটা উত্তর-পূর্ব থেকে দক্ষিণ-পশ্চিমমুখী একটি ফল্ট। চট্টগ্রাম-মিয়ানমার উপকূলজুড়ে সমান্তরালভাবে চলে গেছে ৮০ কিলোমিটার লম্বা চট্টগ্রাম-মিয়ানমার প্লেট বাউন্ডারি ফল্ট। মেঘালয়-বাংলাদেশ সীমান্তজুড়ে অবস্থিত ডাউকি ফল্ট। এটা পূর্ব-পশ্চিমমুখী শিলং মালভূমির একেবারে দক্ষিণ প্রান্তে অবস্থিত।
অতীতে বাংলাদেশে প্লেট বাউন্ডারি ও ফল্টের কাছাকাছি বড় ভূমিকম্প হলেও নিকট অতীতে বেশ কিছু স্থানে মাঝারি ধরনের ভূমিকম্প হওয়ার ইতিহাস রয়েছে। ১৯৯৭ সালের ৮ মে ৫ দশমিক ৬ মাত্রার ভূমিকম্পের উৎসস্থল ছিল সিলেটে। এ ভূমিকম্পে সিলেটের বিভিন্ন ভবনে ফাটল দেখা দেয়। ১৯৯৭ সালের ২১ নভেম্বর ৬ মাত্রার ভূমিকম্পের উৎসস্থল ছিল বান্দরবানে। সেখানে সেদিন ২০ জনের মৃত্যু হয়েছিল। ১৯৯৯ সালের ২২ জুলাই ৫ দশমিক ১ মাত্রার ভূমিকম্প হয় কক্সবাজারের মহেশখালীতে। এ ভূমিকম্পে মহেশখালীর মাটির ঘর ধসে ছয়জনের মৃত্যু হয়। ২০০৩ সালের ২২ জুলাই রাঙ্গামাটির বরকলে আরেকটি মাঝারি মাত্রার ভূমিকম্প হয়। সেখানে দুইজনের মৃত্যু হয় এবং বিভিন্ন ভবনে ফাটল দেখা দেয়। সেদিন সাগর বেশ উত্তাল হয়ে ওঠে।
বাংলাদেশ ভূমিকম্পঝুঁকিতে থাকলেও ভবিষ্যতের ক্ষতি মোকাবেলায় তেমন প্রস্তুতি নেই। বাংলাদেশ ঝড় ও বন্যাপ্রবণ অঞ্চল হওয়ায় এ দুটো প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায় যথেষ্ট প্রস্তুতি দেশটির রয়েছে।
এ দু’টি দুর্যোগ মোকাবেলায় আন্তর্জাতিক সুনামও আছে, কিন্তু ভূমিকম্পের ক্ষতি মোকাবেলায় প্রস্তুতি নেই বললেই চলে। প্রবল শক্তিসম্পন্ন ভূমিকম্প হলে ভেঙে পড়তে পারে দুর্বল ভবন। মানুষ ভবনের নিচে চাপা পড়তে পারে, আটকে যেতে পারে। সাভারের রানা প্লাজার মতো একটি ভবন ধসে গেলে ভবনের মধ্যে আটকে পড়াদের উদ্ধারপ্রক্রিয়া থেকেই অনুমান করা যায় ভূমিকম্পের ক্ষতি মোকাবেলায় বাংলাদেশ কত দুর্বল অবস্থানে রয়েছে বলে মনে করেন অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা আবদুর রহমান। তিনি বলেন, রানা প্লাজার উদ্ধার তৎপরতা আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করতেই লেগেছে এক সপ্তাহের বেশি। আবদুর রহমান মনে করেন, সরকারের উচিত ভূমিকম্পকে প্রাধান্য দিয়ে উদ্ধার করার সরঞ্জাম সংগ্রহ করা। ভূমিকম্প না হলেও এ যন্ত্রগুলো অন্য কাজে ব্যবহার করা যাবে। তার চেয়ে বেশি প্রয়োজন ভবন নির্মাণে ছাড়পত্র দেয়ার আগে প্রতিটি ভবন ভূমিকম্প সহনীয় কি না তা পরীক্ষা করে দেখা। এ ক্ষেত্রে সরকারের মনিটরিং বৃদ্ধির কোনো বিকল্প নেই। কেননা টাকা হলেই যেকেউ যেকোনো ভবন নির্মাণ করতে পারছে। আর একটু বড় ভূমিকম্প হলে ঢাকা হতে পারে ধ্বংসস্তূপ ও বিলুপ্ত শহর।

34
ডেভ হোয়াটমোর বলেছিলেন, “মাশরাফির সাথে পৃথিবীর কোনো খেলোয়াড় এর তুলনা চলেনা, তার তুলনা সে নিজেই” কারন :
■নিউজিল্যান্ডের গতিদানব ‘শেন বন্ড’ দুইবার সার্জারীর পরই ভয়ে ক্রিকেট ছেড়ে দেন
■বিশ্ববিখ্যাত ইংলিশ অলরাউন্ডার ‘এন্ড্রু ফ্লিন্টফ’ মাত্র একটি সার্জারীর ভয়েই ক্রিকেট কে গুডবাই জানিয়েছেন
■একমাত্র ক্রিকেটার যিনি পরপর ৭টা মারাত্নক সার্জারী করেও এখনো ক্রিকেট চালিয়ে যাচ্ছেন…বিশ্বের কোন ফার্স্ট বোলারই দুইবারের বেশি সার্জারী করে খেলতে পারেননি কিন্তু তিনিই এই অসাধ্য ব্যাপার সাধ্য করেছেন
■ একমাত্র পরিশ্রমী ক্রিকেটার যার ওজন বেড়ে যাচ্ছে বলে ক্রিকেট ছাড়ার আশংকা ছিল তাই তিনি ১মাসে ১২ কেজী ওজন কমিয়ে সবাইকে আশ্চর্য করে দিয়েছিলেন
■ যেকোন আঘাতে তাঁর বাম পা পঙ্গু হয়ে যেতে পারে এমন রিস্ক থাকা সত্ত্বেও তিনিই একমাত্র সাহসী মানব যিনি প্রতিটি ম্যাচে এখনো হিংস্র বাঘের মত বোলিং করে যাচ্ছেন
■ তিনিই একমাত্র দেশপ্রেমিক যার একমাত্র আদরের ৫ মাস বয়সী ছেলে এ্যপোলো হাসপাতালে ভর্তি হয়ে টাইফয়েডের সঙ্গে মূত্রাশয়ের সংক্রমণ রোগে মৃত্যুর মুখো-মুখি, অথচ দেশের স্বার্থে হাজার হাজার মাইল দূরে থেকে একমাত্র ছেলের সুস্থ্যতার জন্য দু’হাত তুলে দোয়া করে দেশের জন্য মাঠে নেমেছেন
■একমাত্র ক্রিকেটার যে প্রতি ম্যাচ শেষে হাটুতে জমে যাওয়া রস নিজে সিরিঞ্জ দিয়ে বের করে ফেলেন
■তিনিই সেই ক্রিকেটার যার প্রতিদিন ঘুম ভাঙ্গার পর ১৫মিনিট সময় লাগে হাঁটু ভাঁজ করে বিছানা থেকে নামতে
■আমাদের একমাত্র প্লেয়ার যে কিনা ইনজুরি বিধ্বস্ত অবস্থায় বোলিং এর কষ্টকে ভুলতে নিজেকে সান্ত্বনা দেন এই বলে “মুক্তিযোদ্ধারা পায়ে গুলি নিয়েও যুদ্ধ করে যেতে পারলে আমি কেনো সামান্য অপারেশন নিয়েবোলিং করতে পারবো না।”

35
মানুষের জানা বিশ্বের সবচেয়ে বড় মৌলিক সংখ্যার দাবীদার এখন নতুন একটি সংখ্যা আর এটি আবিষ্কার করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অফ সেন্ট্রাল মিসৌরি।

যেসব সংখ্যা শুধু ওই সংখ্যা আর ১ ছাড়া অন্য কোনো সংখ্যা দিয়ে নিঃশেষে ভাগ করা যায় না সেগুলোই মৌলিক সংখ্যা। যেমন ২,৩,৫,৭ এগুলো মৌলিক সংখ্যা।

কম্পিউটার এনক্রিপশনের ক্ষেত্রে এই মৌলিক সংখ্যাগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।

[] নতুন আবিষ্কৃত এই মৌলিক সংখ্যা হচ্ছে ২^৭৪২০৭২৮১-১।

[] এর মানে হচ্ছে ২-এর এর ঘাত ৭৪২০৭২৮১ হওয়ার পর যে সংখ্যা পাওয়া যাবে তা থেকে ১ বিয়োগ করলেই পাওয়া যাবে কাঙ্খিত এই সংখ্যা।

[] নতুন এই ৪৯ তম মারসিনি প্রাইম সংখ্যাই আবিষ্কার করেন ইউনিভার্সিটি অফ সেন্ট্রাল মিসৌরি’র ড. কার্টিস কুপার।

 - নতুন এই মৌলিক সংখ্যাটি ২ কোটি ২০ লাখেরও বেশি অঙ্ক বা ডিজিট বিশিষ্ট।

 - যা এর আগের সর্ববৃহৎ মৌলিক সংখ্যার তুলনায় ৫০ লক্ষ অঙ্ক বেশি।

 - নতুন এই মৌলিক সংখ্যা ভবিষ্যতে গণনার ক্ষেত্রে আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে জানিয়েছে বিবিসি।

- বিশ্বব্যাপী একটি বিশেষ ধরনের বৃহত্তর মৌলিক সংখ্যা খুঁজে বের করার প্রতিযোগিতা ‘গ্রেট ইন্টারনেট মারসিনি প্রাইম সার্চ’ (গিম্পস)-এর অংশ হিসেবে এই মৌলিক সংখ্যা আবিষ্কার করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়টি।

 - সপ্তদশ শতাব্দীতে একজন ফরাসি সন্ন্যাসী এগুলো নিয়ে গবেষণার পর এই বৃহৎ মৌলিক সংখ্যাগুলোর নাম দেওয়া হয় ‘মারসিনি প্রাইম’।

36
ICT / আইফোনের `I` এর মানে কী?
« on: February 18, 2016, 01:05:40 PM »
      যুক্তরাষ্ট্রের জনপ্রিয় প্রযুক্তি পণ্য নির্মাতা প্রতিষ্ঠান অ্যাপল। স্টিভ জবসের হাতে গড়া এই প্রতিষ্ঠানটি আইফোন, আপপ্যাড এবং আইম্যাকের মত ডিভাইস উৎপাদন বিশ্বব্যাপী ও বাজারজাত করছে। আপনি কখনো ভেবে দেখেছেন কি অ্যাপল ডিভাইসের আই ( I ) এর অর্থ? উত্তরটা জানা না থাকলে এক্ষুনি তা জেনে নিন।

স্টিভ জবস কখনোই অহঙ্কারি ছিলেন না যে, স্বমহিমা প্রকাশে সর্বত্র ‘I’ জুড়ে দেবেন। ১৯৯৮ সালে যখন আইম্যাক বাজারে আসে, তখন ইন্টারনেট কলেবরে বাড়ছে। সেই কথা মাথায় রেখে জোবস ইন্টারনেট-কে মাথায় রেখে বলেছিলেন, ‘‘I হল ইন্টারনেট।’’

এর পরে সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ে ইন্টারনেট। জোবস-এর ব্যবসাও বাড়তে থাকে বিভিন্ন দিকে। ফলে সেই I-এর অর্থেও বিস্তৃতি ঘটান জবস।

বর্তমানে I-এর অর্থ হল ইনফরমেশন, ইন্ডিভিজুয়াল ইনস্ট্রাক্ট, ইনফর্ম এবং ইনস্পায়ার। এই চারটি শব্দের উপরেই দাঁড়িয়ে রয়েছে ‘অ্যাপল’ এর ব্যবসায়িক দর্শন।

37
Football / লা লিগায় মেসির ৩০০
« on: February 18, 2016, 12:21:55 PM »
অনন্য এক গৌরবের সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন লিওনেল মেসি। এমন একটা গৌরব, যার স্বাদ পাননি আর কোনো ফুটবলার—লা লিগায় ৩০০ গোল। এই মাইলফলক ছোঁয়ার জন্য আর মাত্র একটি গোলের দরকার ছিল বার্সার আর্জেন্টাইন প্লে-মেকারের। গতরাতে স্পোর্টিং গিজনের বিপক্ষে মাঠে নেমে এই মাইলফলক ছোঁয়ার জন্য খুব বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি। গিজনের মাঠে ম্যাচের ২৫ মিনিটেই গোল করলেন। লা লিগায় ৩০০ গোল হয়ে গেল মেসির।
ম্যাচ শেষে লা লিগায় মেসির নামের পাশে ৩০১ গোল। তাঁর জোড়া গোলের রাতে গোল পেয়েছেন লুইস সুয়ারেজও। বার্সেলোনা জিতেছে ৩-১ ব্যবধানে।

38
পেঁপে পাবেন হাতের কাছেই। দামও সহনীয়। সবজি ও সালাদ হিসেবে কাঁচা পেঁপের বেশ কদর রয়েছে। সুমিষ্ট পাকা পেঁপে রং, সুবাস আর স্বাদে অতুলনীয়। পেঁপে খেলে ওজন কমে, ত্বক পরিষ্কার হয়। অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট আর নানা উপকারী উপাদানে ভরপুর পেঁপে খেলে একদিকে স্বাস্থ্য যেমন ভালো থাকে, তেমনি চুল আর ত্বকের জন্যও উপকারী। খাবারে তাই পেঁপে রাখাটা জরুরি।

ওজন কমায় পেঁপে
মাঝারি আকারের একটি পেঁপেতে মাত্র ১২০ ক্যালরি থাকে। এ ছাড়া এর যে পাচক তন্তু থাকে, তা হজমে সহায়তা করে।

ডায়াবেটিসে উপকারী
পেঁপে খেতে মিষ্টি স্বাদের হলেও এতে চিনির পরিমাণ কম থাকে। এক কাপ টুকরো করা পেঁপেতে ৮ দশমিক ৩ গ্রাম চিনি থাকে। ডায়াবেটিস প্রতিরোধক উপাদান আছে পেঁপেতে।

চোখের জন্য দরকারি
পেঁপেতে আছে ক্যারোটিনাইডস নামের উপাদান, যা চোখের জন্য উপকারী। পেঁপেতে টমেটো বা গাজরের চেয়েও বেশি ভিটামিন এ আছে। এ ছাড়া চোখের মিউকাস মেমব্রেনকে সবল করতে ও ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করতে যে ধরনের উপাদান দরকার, পেঁপেতে তা অধিক পরিমাণে থাকে। বিশেষ করে বেটা ক্যারোটিন, জিয়াক্সনাথিন ও লুটেইনের মতো উপাদানগুলো পেঁপেতে বিদ্যমান।

ত্বকের সুরক্ষায়
ভিটামিন ‘এ’ আর প্যাপিন নামের উপাদান আছে পেঁপেতে, যা শরীরের ত্বকের মৃত কোষগুলো সরিয়ে ফেলতে সাহায্য করে। শরীরের নিষ্ক্রিয় প্রোটিন ভেঙে ফেলে এবং কম মাত্রায় সোডিয়াম ত্বককে আর্দ্র রাখে।

হজমি গুণ
পেঁপেতে প্যাপিন এনজাইম থাকায় তা খাদ্যের বিপাক প্রক্রিয়ায় সাহায্য করে। এটি মাংস নরম করতেও ব্যবহৃত হয়। এতে তন্তু ও পানির পরিমাণ বেশি থাকায় কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।

পেঁপের আরও গুণ
সারা বছরই পেঁপে পাওয়া যায়। পেঁপে একদিকে যেমন সবজি, অন্যদিকে ফল। কাঁচা থাকতে পেঁপে সবজি—ভর্তা, ভাজি আর রান্না করে খাওয়া যায়। পাকলে পেঁপে হয়ে যায় সুস্বাদু ফল। অতিপরিচিত পেঁপের আরেকটি নামও কিন্তু আছে, নামটি হলো অমৃততুন্বী। এর আগে বারডেম জেনারেল হাসপাতালের জ্যেষ্ঠ পুষ্টিবিদ শামছুন্নাহার নাহিদ প্রথম আলোকে পেঁপের কিছু পুষ্টিগুণের কথা বলেছিলেন।
তাঁর ভাষ্য, ‘১০০ গ্রাম পেঁপেতে শর্করা থাকে ৭.২ গ্রাম, খাদ্যশক্তি ৩২ কিলোক্যালরি, ভিটামিন সি ৫৭ মিলিগ্রাম, সোডিয়াম ৬.০ মিলিগ্রাম, পটাশিয়াম ৬৯ মিলিগ্রাম, খনিজ ০.৫ মিলিগ্রাম এবং ফ্যাট মাত্র ০.১ গ্রাম। এই উপাদানগুলো শুধু শরীরের চাহিদাই মেটায় না, রোগ প্রতিরোধেও অংশ নেয়।’ প্রচুর পরিমাণ আঁশ, ভিটামিন সি, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট আছে পেঁপেতে। এই উপাদানগুলো রক্তনালিতে ক্ষতিকর কোলেস্টেরল জমতে বাধা দেয়। তাই হৃদস্বাস্থ্য সুরক্ষায় এবং উচ্চরক্তচাপ এড়াতে পেঁপে খেতে পারেন নিয়ম করে।
শরীরের মেদ ঝরাতে যাঁরা তৎপর, তাঁদের খাদ্যতালিকায় পেঁপে রাখুন। একদিকে যেমন কম ক্যালরি আছে, অন্যদিকে থাকা আঁশ পেট ভরা রাখতে সাহায্য করে। তাই ওজন নিয়ন্ত্রণে সবজি হিসেবে পেঁপে অনন্য। দেহের রোগ প্রতিরোধব্যবস্থা জোরদারে ভূমিকা রাখে পেঁপে। নিয়মিত পেঁপে খেলে সাধারণ রোগবালাই দূরেই থাকে। কোলন ও প্রোস্টেট ক্যানসার প্রতিরোধে এটি উপকারী। উৎসব-পার্বণে ভূরিভোজটা একটু বেশিই হয়ে যায়। এ জন্য বিড়ম্বনাও কম হয় না। হজমশক্তি বাড়াতে এবং পেটের গোলযোগ এড়াতেও খেতে পারেন পেঁপে।

39
গত ২৬ জানুয়ারি প্রথম আলোর নারীমঞ্চ পাতায় একটি প্রতিবেদন পড়ে কিছুটা বিস্মিত হলাম। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলায় গত এক বছরে ৫৮৩টি বিবাহবিচ্ছেদের ঘটনা ঘটেছে। দেশের শুধু এই একটি উপজেলায় মাত্র এক বছরে বিবাহবিচ্ছেদের এই সংখ্যা একটু বেশিই মনে হয়েছে। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, এই যে এত বিবাহবিচ্ছেদ হয়েছে, তার ৯০ শতাংশ হয়েছে নারীদের উদ্যোগে। নারীরাই তাঁদের স্বামীকে তালাক দিয়েছেন।
ওই প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, এসব বিবাহবিচ্ছেদের পেছনে মূলত রয়েছে স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির নির্যাতন। তাহলে কি আমরা ধরে নেব, নারীর ওপর নির্যাতনের মাত্রা এতটাই বেড়েছে যে তা সহ্য করতে না পেরে নারীরাই সংসার ভেঙে দিচ্ছেন! তা-ই হবে। কেননা, বাঙালি নারীদের যে চিরন্তন রূপ, তা হলো তাঁরা সহনশীল ও নমনীয়। সহজে তাঁরা সংসার ভাঙতে চান না। পুরুষদের অত্যাচারের শিকার হলেও সন্তান ও সামাজিক সম্মানের কথা ভেবে তাঁরা মুখ বুজে সব সহ্য করেন। সেখানে যখন নারীরাই স্বামীদের তালাক দিচ্ছেন, তাহলে বুঝতে হবে, নির্যাতনের মাত্রা ভয়াবহ রকমভাবেই বেড়েছে।
নারীর প্রতি সহিংসতা বিষয়ে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) সর্বশেষ প্রকাশিত প্রতিবেদনে দেখা গেছে, বিবাহিত জীবনে ৮৭ শতাংশ নারী নির্যাতনের শিকার হন। শারীরিক নির্যাতনের পাশাপাশি নারীরা মানসিক, অর্থনৈতিক ও যৌন নির্যাতনের শিকার হন। আইন ও সালিশ কেন্দ্রের এক জরিপের ফলাফলে বলা হয়েছে, ২০১৫ সালের জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত পারিবারিক সহিংসতার শিকার হয়েছেন ২৯২ জন নারী। এর মধ্যে মারা গেছেন ১৬৭ জন। নারীর ওপর এসব নির্যাতন কোনোভাবেই কাম্য নয়। হয়তো এসব নির্যাতনের প্রতিবাদ জানাতেই তাঁরা স্বামীদের তালাক দিচ্ছেন।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) হিসাব অনুযায়ী, ২০১১ থেকে ২০১৫ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত উত্তর সিটি করপোরেশনের পাঁচটি জোন থেকে ১৫ হাজার ২৮৬টি তালাকের নোটিশ জমা পড়ে। এর মধ্যে স্ত্রীর পক্ষ থেকে তালাকের নোটিশ জমা পড়ে ১০ হাজার ২৩০টি। আর স্বামীর পক্ষ থেকে ৫ হাজার ৫৬টি নোটিশ জমা পড়ে। কার্যকর হয় ১৪ হাজার ১৫১টি।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) পাঁচটি অঞ্চল থেকে ২০১১ থেকে ২০১৪ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত ১২ হাজার ২৫৫টি তালাকের নোটিশ জমা পড়ে। সেখানেও নারীরা এগিয়ে। এসব নারী তাঁদের স্বামীদের তালাক দেওয়ার কারণ হিসেবে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন, যৌতুক, স্বামীর বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়া, মাদকাসক্তি ইত্যাদি উল্লেখ করেছেন৷
নারীরা যে স্বামীদের তালাক দিচ্ছেন, অনেকেই বিষয়টিকে ইতিবাচকভাবে দেখছেন। তাঁরা মনে করছেন, নারীরা এখন আগের চেয়ে অনেক বেশি সচেতন। তাঁদের আত্মমর্যাদাবোধ বাড়ছে। তাই যেখানে তাঁরা নির্যাতিত হচ্ছেন, সেখান থেকে বের হয়ে যাওয়াকেই শ্রেয় মনে করছেন। তবে আমার মতে এটা কোনো স্থায়ী সমাধান নয়। বরং যে কারণে মূলত বিবাহবিচ্ছেদ হচ্ছে, তা নির্মূল করতে হবে। নারীর ওপর নির্যাতন বন্ধ করতে হবে।
বিয়ে হলো একটি সামাজিক বন্ধন বা বৈধ চুক্তি, যার মাধ্যমে দুজন মানুষের মধ্যে দাম্পত্য সম্পর্ক স্থাপিত হয়। বিয়ের মাধ্যমে গঠিত হয় পরিবার। সুযোগ সৃষ্টি হয় বংশবিস্তারের। সবাই চায় পরিবার টিকিয়ে রাখতে। কিন্তু পরিবারের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য স্ত্রীই যদি সহিংসতার শিকার হন, তাহলে সেই পরিবার টিকিয়ে রাখা কঠিন হবে। পুরুষদের বলছি, দায়িত্বজ্ঞানহীনের মতো আচরণ করবেন না। স্ত্রীকে ভালোবাসুন। তাঁকে শ্রদ্ধা করুন। শুধু নারী নয়, মানুষ মনে করুন স্ত্রীকে।
বিবাহবিচ্ছেদ মানে তো শুধু একটি নারী এবং একটি পুরুষের মধ্যে বিচ্ছেদ নয়, সন্তান থাকলে তাদের ওপরও এই বিচ্ছেদের কুপ্রভাব পড়ে। তাদের স্বাভাবিক বিকাশ ব্যাহত হয়, পড়ালেখা হয় না। অনেকে বখে যায় এবং নেশার দিকে ঝুঁকে পড়ে। এ রকম উদাহরণ সমাজে ভূরি ভূরি রয়েছে।
সংসার টিকিয়ে রাখতে হলে প্রথমে স্ত্রী নির্যাতন বন্ধের উদ্যোগ নিতে হবে। নারী নির্যাতনকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। তবেই বিবাহবিচ্ছেদের হার কমতে পারে।
রোকেয়া রহমান: সাংবাদিক।

40
বাংলা ট্রিবিউন: আপনার ‘গলি থেকে রাজপথে’ আসার কাহিনী জানতে চাই।
মো. সবুর খান: শুরু করেছিলাম ১০১/এ, গ্রিন রোডে, ছোট্ট পরিসরে। সেখানেই ড্যাফোডিল কম্পিউটার্সের শুরু। তখন আমি জানতাম না আজ  আমি এখানে এসে পৌঁছব। একজন উদ্যোক্তা সব সময়ই নতুন নতুন পরিকল্পনা করেন। আমিও করেছি। নতুন নতুন পরিকল্পনা করতে গিয়ে অনেক প্রতিবন্ধকতার মুখে পড়েছি। সেসব প্রতিবন্ধকতা জয় করেই সামনে এগিয়েছি। আমি মনে করি, প্রতিবন্ধকতা জয় করতে পারাটা আমার জীবনের একটি বড় সফলতা। মূলত সাফল্যের কারণই হলো প্রতিবন্ধকতা। কারণ একটি প্রতিবন্ধকতা জয় করতে গিয়ে আমি অনেক কিছু শিখেছি। সব সময় শতভাগ ওভারকাম করতে পারিনি।

আমি প্রতিবন্ধকতার মুখোমুখি হয়েছি, কিন্তু কখনও বাইপাস করিনি। দেখা গেছে, একটা সমস্যার সমাধান করতে গিয়ে ‘অল্টারনেটিভ অপুরচুনিটিজ বের হয়ে গেছে। যেহেতু বাইপাস করিনি তাই অল্টারনেটিভ অপুরচুনিটিজ ব্যবহার করে সে পথে গিয়ে সাফল্য পেয়েছি।
১৯৯৮, ’৯৯ সালে আমি এ দেশে বিশ্বখ্যাত কম্পিউটার ব্র্যান্ডগুলোর প্রতিনিধিত্ব করেছি। সেসময় লোকাল ব্র্যান্ড পিসি বাজারজাত করতে গিয়ে বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হয়েছি। এ কারণে আমি সব ব্র্যান্ড ছেড়ে দিই। কারণ ইন্টারন্যাশনাল ব্র্যান্ডগুলো আমাদের ঘাড়ে পা রেখে তাদের স্বার্থ হাসিল করছিল। তারা আমাদের স্বার্থের দিকে তাকাচ্ছিল না। ২০০০ সালের দিকে আমি যদি এইচপি, মাইক্রোসফট-সহ বড় বড় কোম্পানিকে ছেড়ে না দিতাম তাহলে আমি আজকের এ অবস্থানে আসতে পারতাম না। 

 আমি মনে করি সেই গ্রিন রোডের সেই গলি থেকে আজকের এই অবস্থানে আসার পেছনে আমার জীবনের সব বাধা, ব্যর্থতা এবং অল্টারনেটিভ অপুরচুনিটিজ সময় মতো ব্যবহার করতে পারার ক্ষমতা নিয়ামক হিসেবে কাজ করেছে।
আরেকটি কথা বলতে চাই, ১৯৯৮ সালের আগ পর্যন্ত আমার কলাবাগানের কম্পিউটারের সুপার স্টোরটি ছিল সবচেয়ে নামকরা। কিন্তু আগারগাঁওয়ে বিসিএস কম্পিউটার মার্কেট তৈরি হওয়ার পর আমার সুপারস্টোরটি জৌলুস হারাতে থাকে। কারণ ওখানেও আরও ভালো এবং নামকরা সব স্টোর তৈরি হয়। আমাদের ড্যাফোডিলেরও শো-রুম হয়। কিন্তু আমি যদি কলাবাগানের সুপারস্টোরটিকে আঁকড়ে পড়ে থাকতাম তাহলে আমি এতদূর আসতে পারতাম না। তাই সময়ের পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে যেটা সামনে এসেছে সেটাকে গ্রহণ করেছি। সেখান থেকে আমি শিফট (হার্ডওয়্যারে থেকে) করে চলে আসি সফটওয়্যারে। সফটওয়্যার থেকে চলে যাই শিক্ষাই। শিক্ষা এখন প্রতিষ্ঠিত। এখন যেতে চাইছি ফ্রিল্যান্সিং, আউটসোর্সিংয়ের দিকে।

বাংলা ট্রিবিউন: ড্যাফোডিল কম্পিউটার্সকে কেন এখন আর সেভাবে দেখা যাচ্ছে না। অথচ আপনার ভিত্তি কিন্তু গড়ে দিয়েছিল ড্যাফোডিল কম্পিউটার্স।
মো. সবুর খান:  কিছুদিন দূরে থাকলেও এখন আমি আবার ড্যাফোডিল কম্পিউটার্সে ফিরে এসেছি। কারণ এটা আমার ভিত্তিমূল। আমাকে গড়ে দিয়েছে। আজকে আমাদের ইউনিভার্সিটির (ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি) প্রত্যেক শিক্ষার্থীর হাতে ল্যাপটপ তুলে দেওয়ার অন্যতম শক্তিশালী হাতিয়ার হিসেবে কাজ করেছে ড্যাফোডিল কম্পিউটার্স। যদিও প্রথম দিকে আমরা ড্যাফোডিল পিসি দিতাম।
নতুন নতুন পণ্য নিয়ে ফের মাঠে নেমেছি। এর মধ্যে রয়েছে টেস্টেড সফটওয়্যার, মেডিক্যাল  সফটওয়্যার, ফার্মেসি ম্যানেজমেন্ট এবং ইআরপি সফটওয়্যার।

বাংলা ট্রিবিউন: আপনি বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির (বিসিএস) সভাপতি ছিলেন, ঢাকা চেম্বারের (ডিসিসিআই) সভাপতিরও দায়িত্বে ছিলেন। সে সময়ের অর্জনগুলো সম্পর্কে জানতে চাই।
মো. সবুর খান: বিসিএসে আমার মেয়াদে ভালো একটি টিম ম্যানেজমেন্ট পেয়েছিলাম। ২ বছর মেয়াদে বেশ কিছু কাজ করা হয়েছিল। ওই সময় আমরা সরকারকে তথ্যপ্রযুক্তির জন্য পৃথক মন্ত্রণালয় (আইসিটি মন্ত্রণালয়) ঘোষণা করতে বাধ্য করি (২০০২ সালের ২৪ মার্চ)। ওই সময় সরকার আইসিটি পণ্যে কর আরোপ করে। আমরা কর ওঠাতেও বাধ্য করি। দেশের প্রথম আইসিটি ইনকিউবেটর করি (কাওরান বাজারে, যেটা বর্তমানে সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক -১)।

ঢাকা চেম্বারে অল্প ক’দিনের দায়িত্বে যাওয়ার আগে আমি একটা পরিকল্পনা করে নিই। সে মতে কাজ করি। আমার লক্ষ্য ছিল একটা বিটুবি সাইট তৈরি করা। সেটা করেছি। সদস্যদের তালিকা হালনাগাদ করা হয়েছে। আমার মেয়াদে আমি ৭ কোটি টাকা সদস্য ফি ও নবায়ন ফি আদায় করেছি। একটি হেল্পডেস্কও করেছি।
উদ্যোক্তা তৈরি করা না গেলেও প্রশিক্ষণ দেওয়া যায়, গাইডলাইন দেওয়া যায়। উদ্যোক্তা হতে গেলে প্রয়োজন হয় জায়গা, পুঁজি ও কাজের ক্ষেত্র। এজন্য অবকাঠামোগত পরিবেশ প্রয়োজন। আমি নবীন উদ্যোক্তা বা স্টার্টআপদের জন্য একটি গাইডবুক প্রকাশ করেছি। তাদের প্রয়োজন হয় জায়গা। তার জন্য তৈরি করেছি ড্যাফোডিল বিজনেস ইনকিউবেটর।

বাংলা ট্রিবিউন: নেতৃত্ব থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। আবার কি কখনও নেতৃত্বে ফিরবেন?
মো. সবুর খান:  আমি নতুন নেতৃত্ব তৈরি করতে চাই। সরে না দাঁড়ালে নতুন নেতৃত্ব তৈরি হবে কিভাবে? আমি আর নেতৃত্বে আসতে চাই না। রাজনীতিতেও আসতে চাই না।

বাংলা ট্রিবিউন: আপনার উদ্যোক্তা তৈরির প্রকল্প সম্পর্কে জানতে চাই।
মো. সবুর খান: ঢাকা চেম্বারের নেতৃত্বে এসে আমি উদ্যোক্তা তৈরির প্রকল্প গ্রহণ করি। যদিও জানি যে উদ্যোক্তা কখনও তৈরি করা যায় না। কিন্তু এ বিষয়ে আমার আগ্রহের কথা জেনে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরও আগ্রহ প্রকাশ করেন। তিনি ১০০ কোটি টাকার একটি তহবিলও তৈরি করে দেন। তাতে ৩৯টি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান যুক্ত হয়। আমি ২ হাজার উদ্যোক্তা তৈরির প্রকল্প হাতে নিই।

বাংলা ট্রিবিউন: এ বিষয়ে যদি বিস্তারিত বলতেন।
মো.সবুর খান: উদ্যোক্তা তৈরি করা না গেলেও প্রশিক্ষণ দেওয়া যায়, গাইডলাইন দেওয়া যায়। উদ্যোক্তা হতে গেলে প্রয়োজন হয় জায়গা, পুঁজি ও কাজের ক্ষেত্র। এজন্য অবকাঠামোগত পরিবেশ প্রয়োজন। আমি নবীন উদ্যোক্তা বা স্টার্টআপদের জন্য একটি গাইডবুক প্রকাশ করেছি। তাদের প্রয়োজন হয় জায়গা। তার জন্য তৈরি করেছি ড্যাফোডিল বিজনেস ইনকিউবেটর।

বাংলা ট্রিবিউন: আপনার এই উদ্যোগের বর্তমান অবস্থা কি?
মো.সবুর খান: আমি এই উদ্যোগের জন্য ভেঞ্চার ক্যাপিটাল কোম্পানি তৈরি করেছি। এর নাম বাংলাদেশ ভেঞ্চার কোম্পানি লিমিটেড। এ পর্যন্ত এই ভেঞ্চার কোম্পানি ৮টি কোম্পানিকে অর্থায়ন করেছে। ১ হাজার ২০০ জনকে প্রশিক্ষণ দিয়েছি। আমার মেয়াদে ১৯টি কোম্পানিকে ফান্ডিংও করা হয়েছে। এখন তা ২০০ কোম্পানিকে ছাড়িয়ে গেছে।   

বাংলা ট্রিবিউন: সম্প্রতি আপনি আউটসোর্সিং ও ফ্রিল্যান্সিংয়ের প্রতি ঝুঁকেছেন।
মো.সবুর খান: এটা উদ্যোক্তার একটি অংশ, তাই ভাবলাম ফ্রিল্যান্সিং নিয়ে কাজ করি। এ ক্ষেত্রে দুই একটি উদাহরণ দিয়ে বিষয়টি বলতে চাই। আমি এমন একজনকে জানি যে কেনিয়া সরকারের ভূমি অটোমেশনের কাজ করে। সে আমাকে বলছে, ‘আমার দেশের সরকার তো কাজ দিচ্ছে না।’ এই ছেলেটিকে যদি আমরা কাজ দিতে পারি তাহলে সে একটা দিগন্ত বদলে দিতে পারবে।
আরও একটা কারণ আছে এটা নিয়ে কাজ করার। এখন যারা ফ্রিল্যান্সিংয়ে মার্কেট লিড দিচ্ছে তাদের বেশিরভাগই আমাদের তথ্যপ্রযুক্তির প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান  ডিআইআইটির শিক্ষার্থী। সম্প্রতি আমরা যে ১০০ জন সেরা ফ্রিল্যান্সারকে সংবর্ধনা দিয়েছি তাদের মধ্যে অন্তত ৩০ জন আমাদের প্রতিষ্ঠানের। তারমানে একটা বড় কমিউনিটি আমাদের মাধ্যমে ডেভেলপ হচ্ছে।
আমার ভাবতে ভালো লাগে, আমাদেরই একজন অ্যালামনাই দেশে একটি সুন্দর মার্কেটপ্লেস তৈরি করেছে। তাকে আমরাই উৎসাহিত করেছি। এমন আরও অনেক উদাহরণ দিতে পারব।

বাংলা ট্রিবিউন: বিল গেটস ঢাকায় এসেছিলেন। আপনার সঙ্গে তার সাক্ষাৎও হয়েছিল। মনে আছে সেদিনের ঘটনা, স্মৃতি?
মো.সবুর খান: এটা একটা দারুণ অভিজ্ঞতা। তার সঙ্গে আমার ব্যক্তিগতভাবে কথা বলার সুযোগ হয়েছিল। দারুণ আশাবাদী একজন মানুষ। এমনভাবে উৎসাহ দেন যে কাজ করার আগ্রহ বেড়ে যায়।
বিল গেটসের আগমন উপলক্ষে বিশাল একটা সুযোগ তৈরি হয়েছিল। তিনি আশা প্রকাশ করেছিলেন, বাংলাদেশে মাইক্রোসফটের অফিস করবেন। পরে অবশ্য তার সে প্রত্যাশা পূরণ হয়েছে। তার আগমনকে ঘিরে বিশেষ করে তার কিছু কিছু বিষয়ে তার যে ইনভলভমেন্ট ছিল, যেমন ১০ হাজার শিক্ষককে তিনি প্রশিক্ষণ দেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন এবং সেই সংখ্যাকে পরবর্তীতে ১০ লাখে উন্নীত করারও স্বপ্ন ছিল তার কিন্তু সেসব হয়নি। আমি বলব, ওই সময়ে যারা দায়িত্বে ছিলেন, এটা ছিল তাদের একটা বড় ব্যর্থতা। ওই বিষয়গুলোকে এগিয়ে নিতে কেউ কোনও কাজ করেনি। কোনও ফলোআপ করেনি। এটা ছিল আসলে আমাদের কর্তাব্যক্তিদের ব্যর্থতা। কারণ প্রাইভেট প্রতিষ্ঠান হিসেবে যতটা করার তা আমরা করেছিলাম।
বিল গেটস ২০০৬ সালে বাংলাদেশে এসেছিলেন। বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্য থেকে সমন্বয়কারীর ভূমিকায় ছিলাম আমি। সে সময় আমি তার যে স্পিরিট দেখেছিলাম, যে স্পৃহা দেখেছিলাম তা ছিল এক কথায় অনন্য। কথা কথায় আমাকে বলেছিলেন, ‘বাংলাদেশ একটা সম্ভাবনাময় দেশ। এই দেশে অনেক কিছু করার আছে। আমি কিছু করতে চাই।’ 

সরকারকে বাদ দিয়ে ডিজিটাল বৈষম্য দূর করা সম্ভব নয়। তাই আমরা ব্রিজিং করার চেষ্টা করছি সরকার, ব্যবসায়ী সম্প্রদায় এবং মাঠকর্মীদের সঙ্গে। সবাই মিলে এক হয়ে কাজ করলে এই বৈষম্য দূর করা সম্ভব।

বাংলা ট্রিবিউন: দেশে ডিজিটাল বৈষম্য কমাতে বিভিন্ন পক্ষের উদ্যোগগুলো সম্পর্কে জানতে চাই।
মো.সবুর খান: দেশে ডিজিটাল বৈষম্য আছে এবং সরকার সেসব বৈষম্য দূর করার চেষ্টা করছে। সরকারের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগ এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের একসেস টু ইনফরমেশন (এটুআই) প্রকল্প ভালো ভালো উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। সরকার লার্নিং অ্যান্ড আর্নিং প্রকল্পের মাধ্যমে ভালো কিছু করার চেষ্টা করে যাচ্ছে। কিন্তু এই প্রকল্পে যাদের পরামর্শক হিসেবে নেওয়া হয়েছে তারা আমাদের দেশের কেউ নন। তারা আমাদের আবেগ, অনুভূতি বুঝবেন কিভাবে? 
আমি সরকারকে দোষারোপ না করে বরং ব্যক্তি উদ্যোগে কি করা যায় সেসব নিয়ে আমরা ভাবছি। আমরা আমাদের এডুকেশন সিস্টেমের মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সারদের নিয়ে কাজ করার চেষ্টা করছি। তাদের সঙ্গে কাজ করার সময় তারা ক্ষোভ প্রকাশ করছে যে, ‘আমরা তো সব জানি কিন্তু সরকার তো আমাদের কাজে লাগাচ্ছে না।
সরকারকে বাদ দিয়ে ডিজিটাল বৈষম্য দূর করা সম্ভব নয়। তাই আমরা ব্রিজিং করার চেষ্টা করছি সরকার, ব্যবসায়ী সম্প্রদায় এবং মাঠকর্মীদের (যারা সত্যিকারের কাজটা করে) সঙ্গে। সবাই মিলে এক হয়ে কাজ করলে এই বৈষম্য দূর করা সম্ভব।

বাংলা ট্রিবিউন: সময় দেওয়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
মো. সবুর খান: বাংলা ট্রিবিউনকে শুভেচ্ছা।

 ছবি: মো. সাজ্জাদ হোসেন

 /এইচএএইচ/এইচকে/

41
প্রতিবছর সারা পৃথিবীতে লাখ লাখ মানুষ হার্ট অ্যাটাকে  মারা যান।  শরীরে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হৃদযন্ত্র।  হার্ট যদি কোনো কারণে অসুস্থ হয় তবে তা নানা সংকেত দিয়ে আমাদের জানান দেয়।

অনেক সময় আমরা সাধারণ কোনো রোগ ভেবে তা উপেক্ষা করি।  বেশির ভাগ ক্ষেত্রে এ কারণেই হার্ট অ্যাটাক হয়।  চিকিত্‍সকদের মতে, যদি হার্ট-অ্যাটাক হওয়ার ১ ঘণ্টার মধ্যে চিকিত্‍সা শুরু করা যায়।

তবে ৯৬ শতাংশ ক্ষেত্রে রোগী বেঁচে যান।  ১০টি লক্ষণে বাড়িতেই বুঝতে পারবেন আপনার হার্ট-অ্যাটাক হতে পারে।  অবিলম্বে চিকিত্‍সকের পরামর্শ নেয়া প্রয়োজন।  তবে ভালো করে দেখে নিন, কী কী সেই লক্ষণ-

১) বুকে ব্যথা : বিশেষত বুকের মাঝে ব্যথা হলে বুঝবেন হৃদযন্ত্রে সমস্যা রয়েছে।  যদি কোনো কারণে বুকের মাঝখানে তীক্ষ্ণ ব্যথা অনুভব করেন এবং সেটা বেশ কিছুক্ষণ ধরে হতেই থাকে।  দেরি না করে হাসপাতালে যাওয়াই ভালো।

২) ব্যথা ছড়িয়ে হাতের দিকে যাওয়া : বুকের মাঝ থেকে ব্যথা ছড়িয়ে মাঝখান পর্যন্ত যাচ্ছে, বুঝবেন হার্ট অ্যাটাকের সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে।  দেরি না করে শিগগিরই চিকিত্‍সকের পরামর্শ নিন।

৩) জোরে নাক ডাকা : বয়সজনিত কারণে অনেকেই রাতে ঘুমের সময় অল্প-বিস্তর নাক ডাকেন।  তবে তা অস্বাভাবিক জোরে হলে সমস্যা।  জোরে নাক ডাকার মানে হলো, ঘুমের সময় ঠিকমতো শ্বাস-প্রশ্বাস চলছে না।  ফলে হার্টকে অতিরিক্ত পরিশ্রম করতে হচ্ছে।

৪) তাড়াতাড়ি হাঁপ ধরা : আগে যে কাজ অবলীলায় করতেন তা করতেই ভীষণ হাঁপ ধরে যাচ্ছে।  অন্যতম লক্ষণ যে, আপনার হার্ট দুর্বল হয়ে পড়েছে।

৫) ক্রমাগত কাশি : ঠাণ্ডা লেগে সর্দি-কাশি হলে আলাদা কথা।  কিন্তু যদি সারা বছর ধরেই কাশছেন, অথচ ঠাণ্ডা লাগেনি।  তার সঙ্গে হাল্কা গোলাপি রঙের কফ উঠে আসছে।  এটার অর্থ হার্ট শরীরে চাহিদা অনুযায়ী কাজ করতে পারছে না।  তাই ফুসফুসে রক্ত চলে যাচ্ছে।

৬) অতিরিক্ত ঘামানো : শরিশ্রম করেছেন না, কিন্তু তাও হঠাত্‍ হঠাত্‍ খুব ঘামছেন।  এটাও অন্যতম লক্ষণ।

৭) অনিয়মিত হার্টবিট : এটা হলে নিজেই ভালো বুঝতে পারবেন।  মাঝে মাঝে বাড়বে বা কমবে।  তেমন ভয়ানক না হলেও ভয়ের কারণ রয়েছে। চিকিত্‍সকরে পরামর্শ নিন।

৮) হাত-পা-গোড়ালি ফুলে যাওয়া : এটা সংকেত যে, আপনার হার্ট ঠিক মতো রক্ত পাম্প করতে পারছে না।  দেরি না করে জাক্তারের কাছে সোজা চলে যান।

৯) মাথা ঝিমঝিম ভাব : দীর্ঘদিন ধরে মাথা ঘোরা বা মাথা ঝিমঝিম করার অর্থ আপনার রক্তচাপ বেশ খানিকটা কমে গেছে, যা হার্টে অতিরিক্ত চাপ দিচ্ছে।

১০) চোয়াল বা গলায় ব্যথা : বুকের মাঝখান থেকে গলা বা চোয়াল পর্যন্ত ব্যথা ছড়িয়ে পড়ছে।  এটার অর্থও হার্ট-অ্যাটাকের সম্ভাবনা রয়েছে।  দেরি না করে চিকিত্‍সকের পরামর্শ নিন। 
 সূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া

42
খুব বেশি প্রাচীন নয়। মধ্যযুগে সামন্তবাদী সমাজ ব্যবস্থার ফলে পরবর্তীতে বৃটিশ আমলে চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের সমান্তরালে বাঙালির পদবীর বিকাশ ঘটেছে বলে মনে করা হয়। অধিকাংশ ব্যক্তি নামের শেষে একটি পদবী নামক পুচ্ছ যুক্ত হয়ে আছে। যেমন উপাধি, উপনাম কিংবা বংশসূচক নামকে সাধারণ ভাবে পদবী বলা হয়।
বাঙালির জমি- জমা বিষয় সংক্রান্ত কিছু পদবী যেমন- হালদার, মজুমদার, তালুকদার, পোদ্দার, সরদার, প্রামাণিক, হাজরা, হাজারী, মন্ডল, মোড়ল, মল্লিক, সরকার, বিশ্বাস ইত্যাদি বংশ পদবীর রয়েছে হিন্দু -মুসলমান নির্বিশেষে সকল সম্প্রদায়ের একান্ত রূপ। বাঙালি মুসলমানের শিক্ষক পেশার পদবী হলো-খন্দকার, আকন্দ, নিয়াজী ইত্যাদি। আর বাঙালি হিন্দুর শিক্ষক পদবী হচ্ছে দ্বিবেদী, ত্রিবেদী, চর্তুবেদী ইত্যাদি।

এবার আপনাদের জানাবো বাঙালির কিছু বিখ্যাত বংশ পদবীর ইতিহাস। যেমন-শিকদার, সৈয়দ, শেখ, মীর, মিঞা, মোল্লা, দাস, খন্দকার, আকন্দ, চৌধুরী, ভুইয়া, মজুমদার, তরফদার, তালুকদার, সরকার, মল্লিক, মন্ডল, পন্নী, ফকির, আনসারী, দত্ত ইত্যাদি।

শিকদারঃ সুলতানি আমলে কয়েকটি মহাল নিয়ে গঠিত ছিল এক একটি শিক। আরবি শিক হলো একটি খন্ড এলাকা বা বিভাগ। এর সাথে ফারসি দার যুক্ত হয়ে শিকদার বা সিকদার শব্দের উদ্ভব হয়েছে। এরা ছিলেন রাজস্ব আদায়কারী রাজকর্মচারী। শব্দকোষে যাকে বলা হয়েছে শান্তিরক্ষক কর্মচারী। এরা শিক বন্দুক বা ছড়ি বন্দুক ব্যবহার করতো বলে শিকদার উপাধী পেয়েছিল; সেই থেকে বংশ পরমপরায় শিকদার পদবীর বিকাশ ঘটে।

সৈয়দঃ সৈয়দ পদবী মূলত এসেছে নবী নন্দিনী হযরত ফাতেমা ও হযরত আলীর বংশ ধর থেকে। প্রায় দেড় হাজার বছর আগের এই বংশের সাথে কোনা যোগসূত্র না থাকলেও বাংলাদেশের অনেক মুসলমান পরিবার সৈয়দ বংশ পদবী ব্যবহার করে নিজেদের সম্ভ্রান্ত ও কুলীন মুসলমান বলে দাবি করে থাকেন। বাঙালি মুসলমান সমাজে সৈয়দ পদবীর অপব্যবহার ও পক্ষেপণ ঘটেছে সবচেয়ে বেশি। প্রকৃত পক্ষে সৈয়দ নন এবং পারিবারিক কোন কুলীন পদবীও নেই, অথবা পূর্ব পদবী ঐতিহ্য পরিত্যাগ করতে ইচ্ছুক এমন অনেক বংশ গোষ্ঠী বা ব্যক্তি বিশেষে বাংলাদেশে সৈয়দ পদবী আরোপিতভাবে ব্যবহার শুরু করেছিলেন।

শেখঃ শেখ আরবি থেকে আগত পদবী। সম্ভ্রান্ত মুসলমানদের সম্মানসূচক বংশ পদবী শেখ। যিনি সম্মানিত বৃদ্ধ অথবা যিনি গোত্র প্রধান, তাকেই বলা হতো শেখ। হযরত মোহাম্মদ (সঃ) সরাসরি যাকে বা যাঁদের ইসলাম ধর্মে দীক্ষিত করেছিলেন, তিনি বা তার বংশ ধরও শেখ নামে অভিষিক্ত হতেন অথবা শেখ পদবী লাভ করতেন। বাঙালি মুসলমান সমাজে যারা শেখ পদবী ধারণ করেন, তারা এ রকম ধারণা পোষণ করেন না যে, তারা বা তাদের পূর্ব পুরুষরা এসেছিলেন সৌদী আরব থেকে। বাঙালি সৈয়দ পদবী ধারীদের থেকে শেখ পদবীধারীদের এখানে একটা মৌলিক তাৎপর্যগত পার্থক্য রয়েছে। শেখ পদবী গ্রহণের নেপথ্যে রয়েছে ঐ পূর্বোক্ত চেতনা। নবীর হাতে মুসলমান না হলেও বাংলায় ইসলাম ধর্ম আর্বিভাবের সাথে সাথে যারা নতুন ধর্মকে গ্রহণ করে নেন; নও মুসলমান’ হিসেবে প্রাচীন ও মধ্যযুগে তারাই শেখ পদবী ধারণ করেছিলেন। পরবর্তীকালে তাদের বংশের উত্তর সূরীরাই শেখ পদবী ব্যবহার করে এসেছেন। এমনিতে অন্য ধর্মের লোকের কাছে মুসলমান মানেই শেখ বা সেক। কেউ কেই শেখ কেউ সেক কিংবা কেউ বা শেখ এর রূপান্তর শাইখও ব্যবহার করে থাকেন।

মীরঃ মির বা মীর শব্দটি এসেছে আরবি থেকে। আরবি শব্দ আমীর’ এর সংক্ষিপ্ত রূপ হচ্ছে মীর। সেই অর্থে মীর অর্থ দলপতি বা নেতা, প্রধান ব্যক্তি, সরদার ইত্যাদি। জিতে নেয়া বা জয়ী হওয়া অর্থে মীর শব্দের ব্যবহার হতো। তবে মীর বংশীয় লোককে সম্ভ্রান্ত এবং সৈয়দ বংশীয় পদবীধারীর একটি শাখা বলে গাবেষকরা মনে করেন।

মিঞাঃ মিঞা মুসলিম উচ্চ পদস্থ সামাজিক ব্যক্তিকে সম্বোধন করার জন্য ব্যবহৃত সম্ভ্রম সূচক শব্দ। এক অর্থে সকল মুসলমানের পদবীই হচ্ছে মিঞা। বাঙালি হিন্দুর মহাশয়’ এর পরিবর্তে বাঙালি মুসলমান মিয়া শব্দ ব্যবহার করে থাকে। মিঞা’ শব্দটি এসেছে ফারসি ভাষা থেকে। প্রভু বা প্রধান ব্যক্তি বুঝাতেও মিয়া শব্দের প্রয়োগ করা হয়ে থাকে। তবে গ্রামীন প্রধান বা সর্দার অর্থের মিঞা পদবী হিসেবে বাঙালি মুসলমান সমাজে ঠাঁই পেয়েছে।

মোল্লাঃ মোল্লা এবং মুন্সী বাঙালির দুটো জনপ্রিয় পদবী। তাদের প্রসার প্রায় দেশব্যাপী। বঙ্গীয় শব্দকোষ এ মোল্লা শব্দের অর্থ করা হয়েছে মুসলমান পুরোহিত। বস্তুত এভাবে মসজিদে নামাজ পরিচালনার কারনেও অনেকে মোল্লা উপাধি পেয়েছিল। প্রকৃত পক্ষে, মোল্লা হচ্ছে তুর্কি ও আরবি ভাষার মোল্লা থেকে আগত একটি শব্দ যার আভিধানিক অর্থ হচ্ছে পরিপূর্ণ জ্ঞান বিশিষ্ট মহাপন্ডিত ব্যক্তি। অন্য অর্থে মুসলিম পন্ডিত বা ব্যবস্থাপক বা অধ্যাপক হলেন মোল্লা। পরবর্তী কালে মসজিদে নামাজ পরিচারলনাকারী মাত্রই মোল্লা নামে অভিহিত হতে থাকে। এখান থেকেই সাধারণত বংশ পদবী হিসেবে তা ব্যবস্থার হওয়া শুরু হয়। তাঁরা সকল জ্ঞানের জ্ঞানী না হওয়া সত্ত্বেও মোল্লা পদবী ধারণ করে। যার ফলে মোল্লার দৌড় মসজিদ পর্যন্ত’ প্রবাদের উৎপত্তি হয়েছে।

দাসঃ বাঙালি হিন্দু সমাজে দাস বা দাশ বংশ পদবীর ব্যাপক ব্যবহার রয়েছে। যে সমস্ত হিন্দু সম্পদায়ের মানুষ পদবীতে দাশ লিখেন তাদের পেশা ধীবর থেকে এসেছে বলে গবেষকরা মনে করেন। আর যারা দাস লেখেন তাদের পদবী স্রষ্টার ভূত্য চেতনা থেকে এসেছেন।

খন্দকারঃ মুসলিম সমাজের ফারসি শিক্ষক হিসেবে খোন্দকার বা খন্দকারের পরিচয় পাওয়া যায় । অন্য দিকে খোন্দকারের ‘ পদবী এসেছে সামন্ত সমাজ থেকে পেশাজীবী হিসেবে। সাধারণ ভাবে খোন্দকার বা খন্দকার অর্থ হচ্ছে কৃষক বা চাষাবাদকারী । মনে করা হয় ফারসি কনদহ ‘ এর যার অর্থ কৃষি’সাথেকার যুক্ত হয়ে কনদহকার> খনদহকার>খন্দকার হয়েছে। ভিন্ন মতে, খন্দকারের মূল উৎপত্তি সংস্কৃত কন্দ> খন্দ যার অর্থ ফসল বলা হয়েছে। এই খন্দ এর সাথে কার যুক্ত হয়েও খন্দকার> খোন্দকার হতে পারে। এবং এতেও পূর্বের খন্দকার’ শব্দের উৎসের অর্থের তারতম্য ঘটছে না। আবার ফারসি ভাষায়, খোন্দকার বলে একটি শব্দ আছে যার অর্থ শিক্ষক। সেখান থেকেও খোন্দকার পদবী আসা বিচিত্র কিছু নয়। অথবা খোন্দকার শব্দের যে ভিন্নভিন্ন অর্থ তার সবগুলো মিলিত তাৎপর্য থেকেই বিভিন্নভাবে খন্দকার পদবীর উৎপত্তি হয়েছে।

আখন্দঃ খন্দকার ও আখন্দ বা আকন সমার্থক। আখন্দ ও আকন নামে যে সব পদবী তাও সম্ভবত খন্দকার পদবীরই রূপভেদ। খন্দকার>আখন্দ> আকন হয়ে থাকতে পারে। আবার ফারসি আখুন্দ থেকেও আখন্দ এসে থাকতে পারে। যার অর্থ শিক্ষক। তবে আকন্দ এসেছে আখন্দ থেকেই।

চৌধুরীঃ সংস্কৃত চতুধারী শব্দ থেকে এসেছে বাংলা চৌধুরী শব্দ। এর অর্থ চর্তুসীমানার অন্তগর্ত অঞ্চলের শাসক। বাংলাদেশের বেশির ভাগ জমিদারদের পদবী হচ্ছে চৌধুরী। আবার অনেকে মনে করেন চৌথহারী’ যার অর্থ এক চতুথাংশ রাজস্ব আদায়কারী, সেখান থেকে উচ্চারণ পরিবর্তনের মাধ্যমে এসেছে চৌধুরী’। সেদিক থেকে চৌথ আদায়কারী বা রাজস্ব আদায়কারী পদ সৃষ্টি হয়েছিল বাংলার রাষ্ট্র ব্যবস্থার। বঙ্গীয় শব্দকোষ বলছে, চতুর’ যার অর্থ তাকিয়া বা মসনদ, তার সাথে যুক্ত হয়েছে ধর’ (অর্থ ধারক) এবং এই দুয়ে মিলে হয়েছে চৌধরী’ আর তার থেকেই চৌধুরী’। তবে তা মূলত হিন্দী ও মারাঠি শব্দ। জাতি ধর্ম নির্বিশেষে চৌধুরী বংশ পদবী ব্যবহার করা হয় এদেশে। বৃটিশ-ভারতের প্রায় সর্বত্র এ পদবীর অস্তিত্ব ছিল। কারণ চৌধুরী ছিল সামন্ত রাজার পদবী।

ভূঁইয়াঃ এই বংশ পদবীটি এসেছে খোদ ভূমির মালিকানা অর্থ থেকে। বাঙালি হিন্দু-মুসলিম উভয় এর মধ্যে এ পদবীর প্রচলন আছে। বাঙালি হিন্দু সমাজে যাঁরাই ভৌমিক’ বাঙালি মুসলমান সমাজে তারা ভূঁইয়া’ হিসেবে পদবী ধারণ করেছেন। মূল সংস্কৃত শব্দ ভৌমিক > (প্রাকৃত) ভূমিকা > (বাংলা) ভূঁইয়া > থেকে ভূঁইয়া বা ভূঁঞা এসেছে। প্রাচীন বড় জমিদার বা সামন্ত রাজার উপাধিও ছিল ভূঁইয়া। প্রকৃত পক্ষে কুলীন বংশ পদবীই ছিল তা। আবার যে সব মানুষ আগে স্থান বিশেষে বনজঙ্গল পরিষ্কার করে বসতি ও চাষাবাদের পত্তন করেছে তারা স্থানীয় জমিদার রাজার কাছ থেকে ভূঁইয়া নামে অভিহিত হয়ে ঐসব জমি জমার স্বত্ব লাভ করেছে।

মজুমদারঃ মজুমদার’ পদবী মূল আসলে মজুনদার’। এর মূল ফারসি শব্দ হচ্ছে মজমু আনদার’। রাষ্ট্রের ও জমিদারির দলিল পত্রাদির রক্ষক রাজকর্মচারীর জন্যে এই পদবী সংরক্ষিত ছিল। হিন্দু-মুসলমান নির্বিশেষে সমগ্র বাংলাদেশে মজুমদার’ পদবীর ব্যবহার লক্ষনীয়।

তরফদারঃ আরবি তরফ’ এবং ফারসি দার’ মিলে তরফদার শব্দের সৃষ্টি। রাজ্যের খাজনা আদায়ের মহালে তদারককারী বা খাজনা
আদায়কারীর উপাধী ছিল তরফদার। এই পদবী ব্যবহারকারী গোষ্ঠীর পূর্ব পুরুষরা রাজকার্য পরিচালনার কাজে নিয়োজিত ছিলেন,
সেখান থেকেই এই বংশ পদবী উৎপত্তি ও প্রচলন। অন্যমতে তরফদার তরফের রাজস্ব আদায়কারী লোক; তরফের মালিক; পদবী বিশেষ।

তালুকদারঃ আমাদের দেশে পরিচিত একটি বংশ পদবী। বাংলাদেশে জমিদারির পরই তালুক ভূ-সম্পত্তির একটি বিভাগ। মোগল ও বৃটিশ আমলে রাজস্ব ও ভুমি সংক্রান্ত বিষয়াদি থেকে যে সমস্ত পদবীর উৎপত্তি ও বিস্তার তার মধ্যে তালুকদার’ হচ্ছে অন্যতম পদবী। তালুক’ শব্দ থেকেও এই পদবীর মর্মাথ উপলব্ধি করা সম্ভব। আরবি শব্দ তা’ আল্লুক’ যার অর্থ ভূ-সম্পত্তি এবং এর সাথে ফারসি দার’ যুক্ত হয়ে (তা’আল্লুক+দার) তালুকদার’ শব্দের উৎপত্তি হয়েছে। প্রকৃত পক্ষে, যিনি তালুকদার, তিনি জমি ও ক্ষুদ্র ভূ-সম্পত্তি বন্দোবস্ত নিতেন সরকারের কাছ থেকেও যেমন, তেমনি জমিদারের কাছে থেকেও। ফলে তিনি হতেন উপজমিদার সেই অর্থেই এসেছে তালুকদার’।

সরকারঃ সরকার’ শব্দটি ফারসি থেকে আগত। এর অর্থ প্রভূ, মালিক, ভূস্বামী, শাসনকর্তা, রাজা। অর্থ আদায় ও ব্যয় সংক্রান্ত কর্মচারি ও সরকার। মোগল আমলে এদেশের স্থানীয় রাজকর্মচারিদের এ পদবী দেয়া হতো। মোট কথা প্রধান কর্মচারি এবং সম্পত্তি দেখাশুনার কাজে নিয়োজিত ব্যক্তিকে সরকার বলা হতো। বাঙালি হিন্দু-মুসলিম উভয় সম্প্রদায়ের মধ্যেই এ পদবীর ব্যবহার আছে।

মল্লিকঃ আরবি মালিক’ বা মলিক’ শব্দ থেকে এসেছে মল্লিক’ বংশ পদবী। ফারসি মালিক শব্দজাত মল্লিক ভূম্যাধিকারী বা জোতদারের উপাধি। গ্রাম প্রধান বা সমাজের প্রধান ব্যক্তি মালিক। আবার লিপিকুশল রাজকর্মচারিকে মোগল আমলে মল্লিক বা সুলেখক আখ্যা দেয়া হত বলেও আমরা জানতে পারি। হয়তোবা সেই থেকে মল্লিক বংশ পদবী এসেছে।

মন্ডলঃ বাঙালি হিন্দু-মুসলিম সমাজে সমান ভাবে ব্যবহৃত হয় মন্ডল পদবী। বাংলাদেশে অতীত কাল থেকে গ্রামের অনানুষ্ঠানিক এবং সাধারণ ভাবে গ্রাম- প্রধানকে বলা হয় মন্ডল। বাংলা মন্ডলরা আগে অত্যন্ত প্রভাবশালী ব্যক্তি ছিলেন। মন্ডলীয় কাজ করে তারা অনেক অধিকার ভোগ করতেন। খাজনা আদায়কারী ও রায়তদের মধ্যস্থতা করা কিংবা গ্রামীন বিবাদ আপোস মীমাংসা করতে মন্ডলরা কার্যকরী ভূমিকা পালন করতেন। কোন কোন সময় তাদের অধীনে পাটোয়ারি, তহসিলদার, চৌকিদার ইত্যাদি কর্মচারী কাজ করতেন। সরকার ও রায়তদের মধ্যবর্তী মানুুষ হিসেবে মন্ডলরা অধিক পরিচিত ছিল।

ফকিরঃ মুসলমানদের মধ্যে সন্ন্যাসবৃত্তি’ থেকেই এসেছে ফকির’ পদবী। মরমী সাধকরা গ্রহণ করতেন ফকির’ পদবী। এটি আরবি শব্দ, যার মূল অর্থ নি:স্ব। আবার আরবি ফকর শব্দের অর্থ দারিদ্র। এ থেকে ফকির শব্দের উৎপত্তি। ফকির এবং পার্শি দরবেশ ব্যক্তিগণ সাধারণত এদেশে ফকির নামে পরিচিত। বিশেষ কোন ধর্ম মতের একান্ত অনুসারী না হয়ে যারা সকল ধর্মের মূলনীতি নিয়ে আত্মতত্ত্বের সন্ধান করেন তাদেরকেও ফকির বলা হয়। আবার সুফি বা বাউল তত্বের ধারকরাও ফকির।

ঠাকুরঃ বাংলা শব্দের বিশেষজ্ঞ হরিচরণ বন্দ্যোপধ্যায়ের মতে- ঠাকুর শব্দের মূল হচ্ছে (সংস্কৃত) ঠাক্কুর’ তার থেকে > (প্রকৃত) ঠকুর > (বাংলা) ঠাকুর এসেছে। পদবীগত দিক থেকে তা ব্রাক্ষণের পদবী বিশেষ, এমনকি ক্ষত্রিয়েরও উপাধি এটি। মধ্য যুগের কাব্য চৈতন্য ভাগবত’ উদ্ধৃত করে লেখক বলেছেন, তা বৈঞ্চবেরও উপাধি। যেমন, হরিদাস ঠাকুর। পাচক ব্রাক্ষণও এক প্রকার ঠাকুর বলে পরিচিত। তবে আহমদ শরীফ সম্পাদিত সংক্ষিপ্ত বাংলা অভিধান’ বলছে, সংস্কৃত ঠক্কুর থেকে ঠাকুর আসলেও এর মূলে ছিল তুর্কী শব্দ। বাঙালি হিন্দু-মুসলমান উভয়েই এই পদবী ব্যবহার করে।
এরকম শতাধিক বংশ পদবী রয়েছে আমাদের দেশে। বাঙালির পদবীর ইতিহাস বৈচিত্র পথ ও মতের এক অসাধারণ স্মারক হিসেবে চিহিৃত। (তথ্য সুত্র somewhereinblog)

43
এত দিন পজিটিভ না নেগেটিভ সেই নিয়ে মাথা ঘামাতো মানুষ। বিশেষ করে যদি হয় ‘ও’ নেগেটিভ। এটা জেনেও অবাক হবেন যে আপনার ব্লাড গ্রুপ ডেকে আনতে পারে বড় অসুখকে। তাই সাবধান! রোগ শরীরে বাসা বাঁধার আগেই আপনি সতর্ক হয়ে যায়। জেনে নিন কোন কোন রোগ থেকে সতর্ক হতে হবে আপনাকে?

‘এ’- গ্রুপের রক্তে রোগের সম্ভাবনা: এই গ্রুপের রক্তের মানুষের ক্যানসারের সম্ভাবনা বেশি রয়েছে। যেমন অগ্নাশয়ের ক্যানসার এবং লিউকোমিয়া। এমনকী গুটি বসন্ত এবং ম্যালেরিয়াতেও আক্রান্ত হতে পারেন।

‘বি’- গ্রুপের রক্তে রোগের সম্ভাবনা: এই গ্রুপের রক্ত যদি আপনার হয় তা হলে সাবধান। কারণ, এই গ্রুপের ক্ষেত্রে ১১% হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা।

‘এবি’ গ্রুপের রক্তে রোগের সম্ভাবনা: এই ক্ষেত্রে হৃদরোগের সম্ভাবনা ২৩%। ‘বি’ গ্রুপের থেকে অনেকটাই বেশি। এই গ্রুপের রক্ত যাঁদের আছে ভবিষ্যতে তাঁদের বাক্ সমস্যা হতে পারে। মুখের স্নায়ু বা পেশী বিকল হয়ে যেতে পারে। হতে পারে স্বরযন্ত্রের সমস্যাও। সমস্যা হতে পারে স্মৃতিতে।

‘ও’-গ্রুপ রক্তে রোগের সম্ভাবনা: এই গ্রুপের মানুষেরা মিশ্র প্রকৃতির। এঁদের আলসার হওয়ার সমূহ সম্ভাবনা। সম্ভাবনা রয়েছে কলেরারও। তবে এই গ্রুপের রক্তের মানুষের নিশ্চিন্ত হওয়ারও বেশ কিছু কারণ রয়েছে। অগ্নাশয় ক্যানসার এবং ম্যালেরিয়া হওয়ার সম্ভাবনা এঁদের প্রায় নেই বললেই চলে।

44
বাংলাদেশের টেকনাফ বর্ডার দিয়ে মাদক হিসেবে ইয়াবা প্রথম প্রবেশ করে ১৯৯৭ সালে। ইয়াবা হলো মেথাফেটামাইন ও ক্যাফেইনের মিশ্রণ। মাদকটি একাধারে মস্তিষ্ক ও হূদ্যন্ত্র আক্রমণ করে। এর পরবর্তী সময়ে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালীন জার্মান প্রেসিডেন্ট এডলফ হিটলার তার মেডিকেল চিফকে আদেশ দিলেন দীর্ঘ সময় ব্যাপি যুদ্ধক্ষেত্রের সেনাদের যাতে ক্লান্তি না আসে এবং উদ্দীপনায় যুদ্ধ চালিয়ে যেতে পারে বা বিমানের পাইলটের নিদ্রাহীনতা, মনকে উৎফুল, চাঙ্গা রাখার জন্য একটা কিছু আবিস্কার করতে।
ইয়াবা
 
টানা ৫ মাস রসায়নবিদগণ চেষ্টা চালিয়ে মিথাইল অ্যামফিটামিন ও ক্যাফেইনের সংমিশ্রনে তৈরি করলেন ইয়াবা। ব্যাস! হিটলারের উদ্দেশ্য সফল। সেনারা মানসিক শক্তিতে বলিয়ান হল।
ইয়াবা আসলে কী জিনিস
এর মূল শব্দ থাই থেকে উত্পত্তি। সংক্ষিপ্ত অর্থ পাগলা ওষুধ। অনেকে একে বলে ‘ক্রেজি মেডিসিন‘। মূল উপাদান মেথঅ্যামফিটামিন। আসলে ইয়াবা নেশা জাতীয় ওষুধ। এক ভয়াবহ মাদক যা মস্তিষ্ক, হূদযন্ত্র এবং শরীরের যে কোনো অঙ্গকেই আক্রান্ত করতে পারে। ধীরে ধীরে অকেজো করে দেয় একটি সুন্দর দেহ, মন ও মানসিকতার। ইয়াবা আসক্তির কারণে মস্তিষ্কের বিকৃতি হতে পারে। মাঝে মাঝে ইয়াবার সঙ্গে ক্যাফেইন বা হেরোইন মেশানো হয়, যা আরও ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এটি এক সময় সর্দি ও নাক বন্ধ হয়ে যাওয়ার ওষুধ হিসেবে ব্যবহূত হতো কোনো কোনো দেশে।
আরো ব্যবহার করা হতো ওজন কমানোর ওষুধ হিসাবে। পরবর্তী সময়ে সাধারণ মানুষ বিশেষত শিক্ষার্থী, দীর্ঘ যাত্রার গাড়ি চালক ও দৌড়বিদরা এটি ব্যবহার শুরু করেন। ধীরে ধীরে এর কুফল বা দীর্ঘ মেয়াদি ক্ষতিকর প্রতিক্রিয়া উদঘাটিত হতে থাকায় বিশ্বব্যাপী এর ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জার্মানির সেনাদের নিদ্রা, ক্ষুধা ও ক্লান্তিহীন করার জন্য ইয়াবা জাতীয় ওষুধ খাওয়ানো হতো। বিশ্বযুদ্ধ চলাকালে ক্লন্তি দূর করতে ও সজাগ থাকতে সেনাদের মধ্যে জনপ্রিয় ছিল মেথঅ্যামফিটামিন। সেনারা হতো হিংশ্র, ক্লান্তিহীন ও আগ্রাসী। কিন্তু একবার আসক্ত হয়ে যুদ্ধ ফেরত সেনারা মানসিক অবসাদ গ্রস্ততায় ভুগত এবং আরও হিংশ্র হয়ে উঠত। এক সেনা আরেক সেনাকে গুলি করে মারত, আবার কখনো নিজে আত্মহত্যা করত।
ঐশী জন্ম দাতা দাত্রী পিতা মাতাকে খুন করেছে
ঐশী বাংলাদেশ তথা পৃথিবীতে এখন একটি আলোচিত নাম। যা নাড়া দিয়েছে কোটি কোটি মানুষের হূদয় ও বিবেককে। কারণ একটাই, সে তার জন্ম দাতা দাত্রী পিতা মাতাকে খুন করেছে। কোন সন্তান কি পারে তার মা বাবাকে খুন করতে? তাও আবার মেয়ের হাতে মা বাবা খুন! শিশুর কোমল মনটি কেন বিগড়ে গেল? কোমল মনটি কোথায় যেন হোঁচট খেয়ে মা বাবা খুনের দায় ঘাড়ে নিয়ে আজ জেলে। বাহ্যিক দৃষ্টিতে খুনের দায় ঐশীর ঘাড়ে। কিন্তু একটু গভীর দৃষ্টিতে তাকালে দেখা যায়, কোনো কোমল হূদয় বা মানুষের বিবেক এই খুন করেনি। খুন করেছে ইয়াবা নামক এক ভয়ানক
সর্বানাশা মাদক।
তরুণ প্রজন্ম যে একটু একটু করে হলেও মাদকতার নিষিদ্ধ জগতে হাত বাড়িয়েছে, তা আজ আর কারও অজানা নেই। ঐশীর জীবনের ভয়াবহ পরিণতি আমাদেরকে চোখে আঙুল দিয়ে বুঝিয়ে দিয়ে গেছে, আমাদের ইয়াবা রুপী মাদকতার বিষাক্ত ছোবল কতটা ভয়াবহ। ইয়াবা নামের ছোট্ট ট্যাবলেটটি দেখতে অনেকটা ক্যান্ডির মতো, স্বাদেও তেমনি মজাদার। তরুণ তরুণীদের কাছে আরও আকর্ষণীয় করে তুলতে মূল উপাদানের সঙ্গে মেশানো হয় আঙুর, কমলা বা ভ্যানিলার ফ্লেভার, সবুজ বা লাল কমলা রঙ। ফলে আসক্ত ব্যক্তিরা এর প্রচন্ড ক্ষতিকর প্রভাবটুকু প্রথমে বুঝতে পারে না। একই কারণে এটি পরিবহন করা ও লুকিয়ে রাখাও সহজ।
ইয়াবার আনন্দ আর উত্তেজনা আসক্ত ব্যক্তিদের সাময়িকভাবে ভুলিয়ে দেয় জীবনের সব যন্ত্রণা। তারা বাস করে স্বপ্নের এক জগতে। এই ভয়ানক মাদক সেবন করলে মনে উত্ফুল্ল ভাব তৈরি হয়, মুড হাই হয়ে যায়। ইয়াবা ট্যাবলেট খেলে সেক্স কি বাড়ে? এমনকি ইয়াবার প্রচন্ড উত্তেজক ক্ষমতা আছে বলে যৌন উত্তেজক হিসেবে অনেকে ব্যবহার করে এটি। এতে যৌন উত্তেজনা বেড়ে যায়, মনে উত্তেজনা আসে। তাই অনেক যুবক যুবতীরা কৌতূহল বশত ইয়াবা সেবন করে থাকে। ক্ষুধা কমিয়ে দেয় বলে স্লিম হওয়ার ওষুধ হিসেবে অনেকে শুরু করে ইয়াবা সেবন।
কিছুটা ওজন কমে। ঘুম কমিয়ে দেয়, সারা রাতের পার্টির আগে ক্লান্তিহীন উপভোগ নিশ্চিত করতে অনেকের পছন্দ ইয়াবা। তবে সবগুলোই সাময়িক। কিন্তু সাময়িক আনন্দের এই ভয়ানক ট্যাবলেটটি যে তাদের ধ্বংসের পথে নিয়ে যাচ্ছে, তা টের পাওয়ারও অবকাশ সে সময় তাদের আর থাকে না। দেখা যায়, কিছুদিন ইয়াবা সেবনের পর শুরু হয় এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া। কৌতূহল বশত: কয়েকদিন সেবনের পরই আসক্তি এমন পর্যায়ে পৌঁছে যায় যে, এটি ছেড়ে দেওয়া প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ে। তখন ইয়াবা ছাড়া আর কিছুই ভালো লাগে না। ওই মাদক পেতে যে কোনো হীন অপকর্ম করতেও হিতাহিত জ্ঞান থাকে না। প্রথমে কম ডোজে এ ট্যাবলেট কাজ করলেও ধীরে ধীরে ডোজ বাড়াতে হয়।
আগে যে পরিমাণ ইয়াবা আনন্দ এনে দিত, পরে তাতে আর হয় না। বাড়তে থাকে ট্যাবলেটের পরিমাণ, ক্ষণস্থায়ী আনন্দের পর বাড়তে থাকে ক্ষতিকর নানা উপসর্গও। প্রথমেই শুরু হয় মানসিক অবসাদ গ্রস্থতা। শরীর নিস্তেজ হয়ে পড়তে থাকে, মেজাজ হয় খিটখিটে, গলা মুখ শুকিয়ে আসতে থাকে, অনবরত প্রচন্ড ঘাম আর গরমের অসহ্য অনুভূতি বাড়তে থাকে। বাড়ে নাড়ির গতি, রক্তচাপ, দেহের তাপমাত্রা আর শ্বাস প্রশ্বাসের গতি। দেহে আসে মানসিক অবসাদ, ঘুম না হওয়া এবং চিন্তা ও আচরণে বৈকল্য দেখা দেয়। মানুষ আর মানুষ থাকে না। হয়ে উঠে হিংশ্র, হিতাহিত জ্ঞানশূন্য। ন্যায় অন্যায় বোধ লোপ পায়। হয়ে উঠে অপরাধ প্রবণ। অনায়াসে মানুষ খুন করতেও দিদ্ধা বোধ করেনা। এক সময়ে শরীরের অন্যান্য অঙ্গও অকেজো হয়ে যায়।
ইয়াবা সেবিরা উচ্চ রক্তচাপে ভোগে
দীর্ঘদিনের আসক্ত ব্যক্তিরা উচ্চ রক্তচাপে ভোগে। মস্তিষ্কের ভেতরকার ছোট রক্তনালিগুলো ক্ষয় হতে থাকে, এগুলো ছিঁড়ে অনেকের রক্তক্ষরণ শুরু হয়। স্মৃতিশক্তি কমে যায়, মানসিক নানা রোগের উপসর্গ দেখা দেয়। মেজাজ খিটখিটে হয়ে যায়, অহেতুক রাগারাগি, ভাংচুরের প্রবণতা বাড়ে। পড়াশোনা, কর্মক্ষেত্র বা পারিবারিক জীবনে বিরূপ প্রভাব পড়ে। সর্বক্ষেত্রে ব্যর্থতা বা পিছিয়ে পড়তে থাকায় আসক্ত ব্যক্তিরা বিষন্নতায় আক্রান্ত হয়। কারও কারও মধ্যে আত্মহত্যার প্রবণতা দেখা দেয়। দৃষ্টি বিভ্রম, শ্রুতি বিভ্রম আর অস্বাভাবিক সন্দেহ প্রভৃতি উপসর্গ থেকে এক সময় জটিল মানসিক ব্যধিও দেখা দেয়। বেশি পরিমাণে নেওয়া ইয়াবা সেবনের ফলে শরীরের স্বাভাবিক কার্যক্রমের ব্যত্যয় ঘটিয়ে মৃত্যু পর্যন্ত ডেকে আনতে পারে।
সামগ্রিক দৃষ্টিতে ইয়াবা সেবনের ক্ষতি অসীম ও অপূরণীয়ও এটি পরিবারকে ধ্বংস করে। সমাজকে করে কলুষিত এবং দেশকে করে পঙ্গু। পারিবারিক ও সামাজিক ব্যবস্থা ভেঙ্গে পরে। রাষ্ট্রের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটায়। এই মাদক জীবন থেকে জীবন এবং হূদয়ের আবেগ অনুভুতি কেড়ে নেয়। আলোর পথ ছেড়ে নিয়ে যায় অন্ধকার পথে। স্বাধীন হূদয় পরিণত হয় নেশার দাসে। ইয়াবার পরিমাণ বাড়ানোর পাশাপাশি আসক্ত ব্যক্তিরা এর ওপর শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্ভরশীল হয়ে পড়ে। একবার ইয়াবা নেওয়ার কয়েক ঘণ্টা বা নির্দিষ্ট সময় পর আবার না নিলে শরীরে ও মনে নানা উপসর্গ দেখা দেয়। ফলে বাধ্য হয়ে আসক্ত ব্যক্তিরা আবার ফিরে যায় নেশার জগতে।
ইয়াবার প্রতিকার ও প্রতিরোধ
ইয়াবা আসক্তি প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধ করা অনেক সহজ। সুতরাং প্রতিরোধের উপর বেশি মনোযোগ দিতে হবে। এই মাদকের আগ্রাসন থেকে দেশের যুব সমাজকে রক্ষা করতে প্রয়োজন সামগ্রিক প্রতিরোধ। আসক্ত ব্যক্তি, যিনি পুনরায় স্বাভাবিক সুস্থ জীবন ফিরে পেতে চায়, তাদের নিরাশ হওয়ার কিছু নেই। এ কথা মোটেই সত্য নয় যে, তারা আর কখনোই স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যেতে পারবে না। শুধু মাত্র প্রয়োজন ধৈর্য সহকারে দীর্ঘমেয়াদি চিকিত্সা। একবার কেউ আসক্ত হয়ে গেলে তার সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে ভালোভাবে বোঝাতে হবে, যাকে বলে কাউন্সেলিং। কোনক্রমেই বকাবকি, তালাবদ্ধ করে রাখা যাবে না। চিকিত্সার জন্য রাজি করিয়ে তার শারীরিক বিভিন্ন সমস্যার চিকিত্সার পাশাপাশি মানসিক চিকিত্সার জন্য মনোরোগ চিকিত্সকের পরামর্শ নেওয়া জরুরী। মানসিক রোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শে বিভিন্ন ধরনের চিকিত্সা পদ্ধতি আসক্ত ব্যক্তিদের আশার আলো দেখাচ্ছে।
তারা ফিরে যেতে পারছে মাদকমুক্ত জীবনধারায়। ওষুধ, সাইকোথেরাপি ও অন্যান্য উপায়ে মাদকাসক্ত ব্যক্তিকে স্বাভাবিক ও সুস্থ জীবনযাপন পদ্ধতিতে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করা হয়। পরিবর্তন করার চেষ্টা করা হয় তার আগের পারিপার্শিক পরিবেশ, যা তাকে মাদকাসক্ত হতে উদ্ধুদ্ধ করেছিল। এতে মানসিক রোগ চিকিত্সক ও মনোবিজ্ঞানীর যেমন ভূমিকা রয়েছে, তেমনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে পরিবার, আত্মীয়স্বজন আর প্রকৃত ভালো বন্ধুরও। একজন নেশাসক্ত ব্যক্তি সবার সম্মিলিত সহযোগিতায়ই আবার ফিরে পেতে পারে মাদকমুক্ত সুস্থ জীবন। আর প্রতিরোধ একক ভাবে কোনো ব্যক্তি, পরিবার, সমাজ বা দেশের পক্ষে করা সম্ভব নয়। সবাইকে নিয়েই এই প্রতিরোধ যুদ্ধে নামতে হবে এবং এই যুদ্ধ চলমান রাখতে হবে। গড়ে তুলতে হবে মাদক প্রতিরোধ সামাজিক আন্দোলন।দৃঢ় পারিবারিক বন্ধন ও সঠিক শিক্ষা মাদক প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।
প্রথমেই এসব দায়িত্ব বর্তায় পরিবারের উপর। আর সমাজ ও দেশের দায়িত্ব মাদকাসক্ত ব্যক্তিকে ঘৃণা ও অপরাধী হিসেবে বড় করে না দেখে কোথা থেকে, কীভাবে, কারা মাদক সরবরাহকারী বা কারা এসবের মূল হোতা, তাদের বিচার ও শাস্তির আওতায় আনা। তবেই এই ভয়ানক ইয়াবার ছোবল থেকে আমাদের ভবিষ্যত্ প্রজন্ম ও কোমলমতি সন্তানদের রক্ষা করা সম্ভব হবে। তাই এখনই উচিত সবাইকে একতাবদ্ধ হয়ে মাদক বিরোধী স্লোগানে সোচ্চার হওয়া। মনে রাখতে হবে অপরাধী নয়, অপরাধই ঘৃণার বিষয়। স্বাভাবিক সুস্থ জীবনে ফিরে আসতে তাদের প্রতি ঘৃণা নয়, বরং সহানুভূতির হাত বাড়িয়ে দিতে হবে।

45
পেনড্রাইভে করে দরকারি ফাইল নিয়ে কোথাও প্রিন্ট করতে গেলে অনেক সময় সমস্যায় পড়ে যান অনেকেই। নিজের কম্পিউটার থেকে কিছু প্রিন্ট করতে নিয়ে গিয়ে অন্য কোনো কম্পিউটারে সেটি খুললে অনেক সময় ফাইল খুঁজে পাওয়া যায় না। বিশেষ করে অন্য কম্পিউটারে পেনড্রাইভ লাগানোর পর পেনড্রাইভ ভাইরাসে আক্রান্ত হলে এমন সমস্যা হতে পারে। এ ক্ষেত্রে সবার আগে পেনড্রাইভটি নিয়ে ভালো কোনো কম্পিউটারে (যে কম্পিউটারে সর্বশেষ হালনাগাদ করা অ্যান্টিভাইরাস আছে) স্ক্যান করবেন।
স্ক্যান করার সময় দেখা যাবে অনেক ভাইরাস ধরা পড়ছে এবং অ্যান্টিভাইরাস সেগুলোকে মুছে ফেলেছে। তবে বিপদ হয় যখন দেখা যায় স্ক্যান শেষে পেনড্রাইভ ফাঁকা। এ ক্ষেত্রে পেনড্রাইভে মাউস রেখে ডান বাটনে ক্লিক করে প্রোপার্টিজে গেলে দেখা যায়, পেনড্রাইভে কিছু ডেটা আছে। অর্থাৎ পেনড্রাইভে কিছু ফাইল রয়ে গেছে। এ লুকোনো (হিডেন) ফাইলগুলো দেখার জন্য My computer-এ মাউস রেখে ডান বাটনে ক্লিক করে Properties-এ যান। এখন System Restore-এ ক্লিক করে Turn off System Restore on all drives-এ ঠিক চিহ্ন দিয়ে ok-তে ক্লিক করুন। নতুন একটি উইন্ডো এলে সেটির yes-এ ক্লিক করুন। এখন My Computer-এর মেন্যুবারের Tools থেকে Folder options সিলেক্ট করে View-তে ক্লিক করুন। Show hidden files and folders-এ টিক চিহ্ন দিন এবং Hide extensions ও Hide protected বক্স থেকে ঠিক চিহ্ন তুলে দিয়ে ok করুন। এখন দেখবেন পেনড্রাইভে আপনার ফাইল, ফোল্ডারগুলো হিডেন অবস্থায় দেখা যাচ্ছে। এ ফাইলগুলো নষ্ট হয়নি।

Pages: 1 2 [3] 4 5