1
BBA Discussion Forum / extraction of non renewable resource -coal and BD
« on: October 31, 2013, 04:38:05 PM »
this is a collected post, a lecture of Anu Muhammad ....please read it.
ভারতের ঝাড়খন্ড, মধ্যপ্রদেশ ও উত্তরপ্রদেশে অনেকগুলো উন্মুক্ত খনি ও কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র দেখার সুযোগ হল আমাদের। সুযোগ হলো সেই মানুষদের অবস্থা দেখার যারা উচ্ছেদ হয়েছেন, বহুজন বারবার, প্রজন্মের পর প্রজন্ম। কাজ ঘর চিকিৎসা এমনকি খাবার পানিও তাদের জন্য দুর্লভ। বেশ কয়েক জায়গায় দেখলাম, খনি থেকে কয়লা উঠানো শেষ কিন্তু ভেতরে আগুন জ্বলছেই খনির বিভিন্ন এলাকা জুড়ে, ধোঁয়া বেরুচ্ছে। আগ্নেয়গিরির চেহারা। বিষাক্ত চারপাশ সেই ধোঁয়ার মধ্যে দেখি একবছরের ভাইকে নিয়ে আটবছরের মেয়ে দাঁড়িয়ে আছে। শীতের মধ্যে একটু শরীরে গরম নেবার জন্য। খনি এলাকায় তো বটেই এর চারপাশের বহু অঞ্চলের আবাদী জমি শেষ হওয়ায় কাজ হারিয়েছেন অসংখ্য মানুষ। খনি হলে কাজ বাড়বে এটাই বরাবর প্রচারণা। কিন্তু জমি গেছে, খনিতে আর কজন কাজ পায়, শিল্পায়নও হয়নি। খনি বর্জ্য পাহাড় আর বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ছাইএর পুকুরের মাঝখানেই তাদের বাস। পুরো শহরগুলোতেই খাবার পানি এক বড় সংকট। রোগা অপুষ্ট অনাহারী মানুষে ভরা খনি আর তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র এলাকাগুলো। মাঝে মাঝে প্রাসাদ। আর সন্ত্রাসী কিংবা পুলিশের তৎপরতা। উচ্ছেদ হওয়া প্রতারিত মানুষ, পানি আর স্বাস্থ্য সংকটে জর্জরিত মানুষদের কোন নড়াচড়া দেখা গেলেই পুলিশ আর সন্ত্রাসীরা তৎপর হয়ে যায়। এনটিপিসির বৃহত্তম তাপভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের এলাকা সিংগ্রলিতে এরই কিছুটা স্বাদ আমরাও পেয়েছি দুদিন। এর আগে গুম হয়েছে সুদর্শন, শক্তিপ্রসাদকে দুদিন আগেই থানায় নিয়ে ভয়ংকর অত্যাচার করা হয়েছে। সিংগ্রলি এলাকার তিনদশকের সংগঠক অভিদেশ জানালেন, এখানে জরুরী অবস্থার সময়ের চাইতেও পরিস্থিতি অনেক কঠিন। পাহাড়ী কমজনবসতি এলাকাতেই ধ্বংস আর জীবনের যে কুৎসিৎ রূপ দেখলাম তাতে আমরা বাংলাদেশের মতো পানিসমৃদ্ধ, উর্বর জমি আর ঘনজনবসতি অঞ্চলে এই চিত্র আরও কতগুণ ভয়ংকর হতো সেটা চিন্তা করতেও আতংকবোধ করেছি। ফুলবাড়ীসহ ছয়থানার মানুষ লড়াই করে, জীবন দিয়ে কী ভয়াবহ বিপর্যয় থেকে রক্ষা করেছেন বাংলাদেশকে! লুটেরা রাজনীতির আধিপত্যের কারণে এখনও লড়াই শেষ হয়নি। ভারতেও বিভিন্ন অঞ্চলে লড়াই চলছে। সুন্দরবন দুদেশের জন্যই আন্দোলনের ডাক দিচ্ছে।
কলকাতা ও দিল্লীতে আলোচনা হল রাজনীতিবিদ, লেখক, বিশেষজ্ঞ, পরিবেশবিদ, সাংবাদিক, শিক্ষকদের সাথে। দুইদেশের সরকারের সুন্দরবন ধ্বংসকারী প্রকল্প নিয়ে বাংলাদেশের মানুষের বিশ্লেষণ, প্রতিবাদ, প্রতিরোধের সাথে যুক্ত হচ্ছেন তাঁরাও। দিল্লী ও কলকাতা থেকে প্রতিবাদ সংগঠিত হচ্ছে। সুন্দরবন রক্ষায় দুইদেশের মানুষের যৌথ আন্দোলন এই অঞ্চলে পুঁজির ধ্বংসাত্নক আগ্রাসনের বিরুদ্ধে মানুষের লড়াইএর নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে। উন্নয়ন ও রাজনীতির নতুন ভাষা নির্মাণ করবে।
ভারতের ঝাড়খন্ড, মধ্যপ্রদেশ ও উত্তরপ্রদেশে অনেকগুলো উন্মুক্ত খনি ও কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র দেখার সুযোগ হল আমাদের। সুযোগ হলো সেই মানুষদের অবস্থা দেখার যারা উচ্ছেদ হয়েছেন, বহুজন বারবার, প্রজন্মের পর প্রজন্ম। কাজ ঘর চিকিৎসা এমনকি খাবার পানিও তাদের জন্য দুর্লভ। বেশ কয়েক জায়গায় দেখলাম, খনি থেকে কয়লা উঠানো শেষ কিন্তু ভেতরে আগুন জ্বলছেই খনির বিভিন্ন এলাকা জুড়ে, ধোঁয়া বেরুচ্ছে। আগ্নেয়গিরির চেহারা। বিষাক্ত চারপাশ সেই ধোঁয়ার মধ্যে দেখি একবছরের ভাইকে নিয়ে আটবছরের মেয়ে দাঁড়িয়ে আছে। শীতের মধ্যে একটু শরীরে গরম নেবার জন্য। খনি এলাকায় তো বটেই এর চারপাশের বহু অঞ্চলের আবাদী জমি শেষ হওয়ায় কাজ হারিয়েছেন অসংখ্য মানুষ। খনি হলে কাজ বাড়বে এটাই বরাবর প্রচারণা। কিন্তু জমি গেছে, খনিতে আর কজন কাজ পায়, শিল্পায়নও হয়নি। খনি বর্জ্য পাহাড় আর বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ছাইএর পুকুরের মাঝখানেই তাদের বাস। পুরো শহরগুলোতেই খাবার পানি এক বড় সংকট। রোগা অপুষ্ট অনাহারী মানুষে ভরা খনি আর তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র এলাকাগুলো। মাঝে মাঝে প্রাসাদ। আর সন্ত্রাসী কিংবা পুলিশের তৎপরতা। উচ্ছেদ হওয়া প্রতারিত মানুষ, পানি আর স্বাস্থ্য সংকটে জর্জরিত মানুষদের কোন নড়াচড়া দেখা গেলেই পুলিশ আর সন্ত্রাসীরা তৎপর হয়ে যায়। এনটিপিসির বৃহত্তম তাপভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের এলাকা সিংগ্রলিতে এরই কিছুটা স্বাদ আমরাও পেয়েছি দুদিন। এর আগে গুম হয়েছে সুদর্শন, শক্তিপ্রসাদকে দুদিন আগেই থানায় নিয়ে ভয়ংকর অত্যাচার করা হয়েছে। সিংগ্রলি এলাকার তিনদশকের সংগঠক অভিদেশ জানালেন, এখানে জরুরী অবস্থার সময়ের চাইতেও পরিস্থিতি অনেক কঠিন। পাহাড়ী কমজনবসতি এলাকাতেই ধ্বংস আর জীবনের যে কুৎসিৎ রূপ দেখলাম তাতে আমরা বাংলাদেশের মতো পানিসমৃদ্ধ, উর্বর জমি আর ঘনজনবসতি অঞ্চলে এই চিত্র আরও কতগুণ ভয়ংকর হতো সেটা চিন্তা করতেও আতংকবোধ করেছি। ফুলবাড়ীসহ ছয়থানার মানুষ লড়াই করে, জীবন দিয়ে কী ভয়াবহ বিপর্যয় থেকে রক্ষা করেছেন বাংলাদেশকে! লুটেরা রাজনীতির আধিপত্যের কারণে এখনও লড়াই শেষ হয়নি। ভারতেও বিভিন্ন অঞ্চলে লড়াই চলছে। সুন্দরবন দুদেশের জন্যই আন্দোলনের ডাক দিচ্ছে।
কলকাতা ও দিল্লীতে আলোচনা হল রাজনীতিবিদ, লেখক, বিশেষজ্ঞ, পরিবেশবিদ, সাংবাদিক, শিক্ষকদের সাথে। দুইদেশের সরকারের সুন্দরবন ধ্বংসকারী প্রকল্প নিয়ে বাংলাদেশের মানুষের বিশ্লেষণ, প্রতিবাদ, প্রতিরোধের সাথে যুক্ত হচ্ছেন তাঁরাও। দিল্লী ও কলকাতা থেকে প্রতিবাদ সংগঠিত হচ্ছে। সুন্দরবন রক্ষায় দুইদেশের মানুষের যৌথ আন্দোলন এই অঞ্চলে পুঁজির ধ্বংসাত্নক আগ্রাসনের বিরুদ্ধে মানুষের লড়াইএর নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে। উন্নয়ন ও রাজনীতির নতুন ভাষা নির্মাণ করবে।