Show Posts

This section allows you to view all posts made by this member. Note that you can only see posts made in areas you currently have access to.


Topics - Afroza Akter

Pages: [1]
1
ঋতু পরিবর্তনের সময় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াবেন যেভাবে

 
[/size][/b]


প্রকৃতি থেকে শীত বিদায় নিচ্ছে। এবার গরম আসার পালা। প্রতি মুহূর্তে পরিবর্তন হচ্ছে আবহাওয়া। এই সময় অধিকাংশই নানা শারীরিক জটিলতায় ভোগেন। একদিকে যেমন সর্দি কাশি জ্বরের মতো সমস্যা দেখা দেয়, তেমনই অনেকে ভোগেন কঠিন মৌসুমি রোগে। আবার অনেকে এই সময় পেটের অসুখে ভুগে থাকেন। পুরো মৌসুম জুড়ে দেখা দেয় একের পর এক রোগ। এই সব রোগ থেকে মুক্তি পেতে পরিবর্তন আনুন খাদ্যতালিকায়। প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় এমন কিছু খাবার যোগ করুন যাতে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে।

এই সময় নিয়মিত খেতে পারেন সাইট্রাস ফল। শরীর নিজে থেকে ভিটামিন সি তৈরি করতে পারে না। এজন্য রোজ খেতে পারেন কমলা লেবু, পাতিলেবুর মতো উপাদান। এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি আছে। তাই নিয়ম করে এসব ফল খান। এতে সর্দি-কাশির মতো সমস্যা থেকে মুক্তি মিলবে।

খেতে পারেন ব্রকোলি। এটি ভিটামিন এ, সি ও ই-তে পূর্ণ। এই সবজিতে থাকা অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ও ফাইবার শারীরিক জটিলতা থেকে মুক্তি দেয়।

ব্ল্যাক টি খেলে মিলবে উপকার। রোজ ব্ল্যাক টি খাওয়ার অভ্যাস করুন। অ্যান্টি অক্সিডেন্ট পূর্ণ ব্ল্যাক টি শারীরিক জটিলতা কমায়। এছাড়াও খেতে পারেন ক্যামোমিল চা, ল্যাভেন্ডার চাসহ আরও উপকারী চা। এতে উপকার মিলবে।

ঋতু পরিবর্তনের সময় সুস্থ থাকতে বাদাম খান। সর্দি-কাশির সমস্যা দূর করতে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা উন্নত করতে বাদাম উপকারী। এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন আছে। যা শরীর সুস্থ রাখে।

খেতে পারেন দুগ্ধ জাতীয় পণ্য। এটি রোগ প্রতরোধ ক্ষমতা উন্নত করে। এতে থাকা প্রোবায়োটিক উপাদান অন্ত্রের জন্য উপকারী। শরীরে ক্যালসিয়ামের অভাবও পূরণ করে এই জাতীয় খাবার।

ঋতু পরিবর্তনের এই সময় রোজ খেতে পারেন পাকা পেঁপে। যা ভিটামিন সি সমৃদ্ধ। রোজ ১ বাটি করে পাকা পেঁপে খান। এতে উপকার মিলবে। পাকা পেঁপেতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকে। এটি শরীর সুস্থ রাখতে ও কঠিন রোগ থেকে মুক্তি পেতে সাহায্য করবে।


https://rb.gy/3kvphz

2
ভূমিকম্প আল্লাহর পক্ষ থেকে সতর্ক বার্তা
 
[/size]

প্রাকৃতিক নানা বিপর্যয়ের অন্যতম কারণ হিসাবে প্রিয়নবি হজরত মুহাম্মাদ (সা.) বলেন, ‘যখন অবৈধ উপায়ে সম্পদ অর্জিত হবে। কাউকে বিশ্বাস করে সম্পদ গচ্ছিত রাখা হবে, কিন্তু তা আত্মসাৎ করা হবে (অর্থাৎ যার সম্পদ সে আর ফেরত পাবে না)।

জাকাতকে দেখা হবে জরিমানা হিসাবে। ধর্মীয় শিক্ষা ছাড়া বিদ্যা অর্জন করা হবে, একজন পুরুষ তার স্ত্রীর বাধ্যগত হয়ে মায়ের সঙ্গে বিরূপ আচরণ করবে। বন্ধুকে কাছে টেনে নেবে আর পিতাকে দূরে সরিয়ে দেবে। মসজিদে উচ্চস্বরে শোরগোল (কথাবার্তা) হবে।

যখন সবচেয়ে দুর্বল ব্যক্তিটি সমাজের শাসকরূপে আবির্ভূত হবে। সে সময় তোমরা অপেক্ষা করো রক্তিম বর্ণের ঝড়ের (অ্যাসিড বৃষ্টি), ভূকম্পনের, ভূমিধসের, রূপ বিকৃতির (লিঙ্গ পরিবর্তন), পাথর বৃষ্টির এবং সুতা ছেঁড়া (তাসবিহ) দানার মতো একটির পর একটি নিদর্শনের জন্য’। (তিরমিজি, হাদিস নং : ১৪৪৭)।

আল্লামা ইবনু কাইয়িম (রা.) বলেন, মহান আল্লাহ মাঝে মধ্যে পৃথিবীকে জীবন্ত হয়ে ওঠার অনুমতি দেন। ফলে বড় ধরনের ভূমিকম্প অনুভূত হয়। তখন এ ভূমিকম্প মানুষকে ভীত করে। তারা মহান আল্লাহর কাছে তাওবা করে, পাপকর্ম ছেড়ে দেয়, আল্লাহর প্রতি ধাবিত হয় এবং তাদের কৃত পাপকর্মের জন্য অনুতপ্ত হয়ে মোনাজাত করে। আগেকার যুগে যখন ভূমিকম্প হতো, তখন সঠিক পথে পরিচালিত সৎকর্মশীল লোকরা বলত, ‘মহান আল্লাহ আমাদের সতর্ক করেছেন।’

ভূমিকম্প বিষয়ে পবিত্র কুরআনে ‘যিলযাল’ নামে স্বতন্ত্র একটি সূরা নাজিল করা হয়েছে। মানুষ যখন কোনো ঘটনার কারণ সম্পর্কে জানতে আগ্রহী হয় এবং ভূতত্ত্ববিজ্ঞানও এ কার্যকারণ সম্পর্কেই আলোচনা করে থাকে। ভূতত্ত্ববিজ্ঞান বলে, ভূ-অভ্যন্তরে শিলায় পীড়নের জন্য যে শক্তির সঞ্চয় ঘটে, সে শক্তির হঠাৎ মুক্তি ঘটলে ভূপৃষ্ঠ ক্ষণিকের জন্য কেঁপে ওঠে এবং ভূত্বকের কিছু অংশ আন্দোলিত হয়। এমন আকস্মিক ও ক্ষণস্থায়ী কম্পনকে ভূমিকম্প (ঊধৎঃযয়ঁধশব) বলে। সাধারণত তিনটি কারণে ভূমিকম্পের উৎপত্তি হয়ে থাকে-ভূপৃষ্ঠজনিত, আগ্নেয়গিরিজনিত ও শিলাচ্যুতিজনিত।

মহান আল্লাহ বলেন, ‘আমি ভয় দেখানোর জন্যই (তাদের কাছে আজাবের) নিদর্শনগুলো পাঠাই’। (সূরা বনি ইসরাইল, আয়াত নং : ৫৯)। আল্লাহতায়ালা আরও বলেন, বলে দাও, ‘আল্লাহ তোমাদের ওপর থেকে অথবা তোমাদের পায়ের নিচ থেকে আজাব পাঠাতে সক্ষম।’ (সূরা আনআম, আয়াত নং : ৬৫)।

বুখারি শরিফে আছে, জাবির ইবনে আবদুল্লাহ (রহ.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ‘যখন তোমাদের পায়ের নিচ থেকে আজাব পাঠাতে সক্ষম’ আয়াতটি নাজিল হলো, তখন রাসূল (সা.) বললেন, ‘হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করছি’। (বুখারি) শায়খ ইস্পাহানি (রা.) এ আয়াতের তাফসির করে বলেন, ‘এর ব্যাখ্যা হলো, ভূমিকম্প ও ভূমিধসের মাধ্যমে পৃথিবীর অভ্যন্তরে ঢুকে যাওয়া (পৃথিবীতে ভূমিকম্প হওয়া)।’

রাসূল (সা.) আরও বলেছেন, যে পর্যন্ত না ইলম উঠিয়ে নেওয়া হবে, অধিক পরিমাণে ভূমিকম্প হবে, সময় সংকুচিত হয়ে আসবে, ফিতনা প্রকাশ পাবে এবং খুনখারাবি বাড়বে, তোমাদের সম্পদ এত বাড়বে যে, উপচে পড়বে। (বোখারি, হাদিস নং : ৯৭৯)। বর্তমানে যেসব ভূমিকম্প ঘটছে, তা মহান আল্লাহর প্রেরিত সতর্ককারী নিদর্শনগুলোর একটি।

এগুলো দিয়ে তিনি তার বান্দাদের সাবধান করে থাকেন। এগুলো মানুষের পাপ ও অপরাধের ফল। আল্লাহ বলেন, ‘যে বিপদ-আপদই তোমাদের ওপর আসুক না কেন, তা হচ্ছে তোমাদের নিজেদের হাতের কামাই। আর আল্লাহ তোমাদের অনেক (অপরাধ) ক্ষমা করে দেন।’ (সূরা শুরা : ৩০)।

ভূমিকম্প হলে কী করণীয়?

প্রত্যেক মুসলমানের খুবই আন্তরিকভাবে মহান আল্লাহর কাছে তাওবা করা উচিত। মহান আল্লাহ বলেন, ‘যদি জনপদের মানুষ ইমান আনত এবং (আল্লাহকে) ভয় করত, তাহলে আমি তাদের ওপর আসমান-জমিনের সব ধরনের বরকতের দুয়ার খুলে দিতাম, কিন্তু তারা (আমার নবিকেই) মিথ্যা প্রতিপন্ন করেছে।

সুতরাং, তাদের কৃতকর্মের জন্য আমি তাদের পাকড়াও করলাম’। (সূরা আরাফ : ৯৬)। তাই যখন কোথাও ভূমিকম্প হয় অথবা সূর্যগ্রহণ কিংবা ঝড়ো বাতাস বা বন্যা হয়, তখন সবার উচিত মহান আল্লাহর কাছে অতিদ্রুত তওবা করা। তার কাছে নিরাপত্তার জন্য দোয়া করা।

মহান আল্লাহকে বেশি পরিমাণে স্মরণ করা এবং ক্ষমা প্রার্থনা করা। প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে মুক্তির জন্য দরিদ্র ও মিসকিনদের প্রতি দয়া প্রদর্শন করা এবং তাদের দান করা। কেননা রাসূল (সা.) বলেছেন, ‘দয়া প্রদর্শন করো, তোমার প্রতি দয়া প্রদর্শন করা হবে’। (মুসনাদে আহমদ)। ইতিহাসে আছে, ভূমিকম্প হলে উমর ইবনে আবদুল আজিজ (রহ.) তার গভর্নরদের দান-সদকা করার জন্য জোর দিয়ে চিঠি লিখতেন।

সবচেয়ে বড় কথা হলো, ভূমিকম্প আল্লাহর একটি সতর্কবার্তা। যাতে মানুষ তার অপরাধ বুঝতে পেরে, ফিরে আসে আল্লাহর পথে। আল্লাহ আমাদের সবাইকে আন্তরিকতার সঙ্গে খাঁটি তওবা করার তাওফিক দান করুন। আমিন।


https://t.ly/A0_x-

3
স্বাস্থ্যকর সম্পর্কই সুন্দরভাবে বেঁচে থাকার সবচেয়ে বড় ‘মোটিভেশন’
[/b]

বছরের শুরুতেই ইনস্টাগ্রামভিত্তিক মোটিভেশনবিষয়ক অনলাইন গণমাধ্যম উইনার স্পিরিট জানিয়েছে সুস্থ সম্পর্ক চর্চার বেশ কয়েকটি উপায়। যেগুলো অনুসরণ করে আপনি নিজেকে চলে যাওয়া বছর থেকে আরেকটু সুখী আর সম্পর্কে স্থিতিশীল হিসেবে তৈরি করতে পারেন। কী সেগুলো? জেনে নেওয়া যাক।

১. যেসব মানুষ আপনার সাফল্যে খুশি হন না বরং ঈর্ষা করেন, আপনার সম্পর্কে নেতিবাচকতা ছড়ান, আপনি আলাদা করে তাঁদের থেকে নিজেকে সরিয়ে রাখবেন না। আপনি বরং যে মানুষ আপনার সবচেয়ে বড় ‘চিয়ারলিডার’, সেই সম্পর্কগুলোকে গুরুত্ব দিন। তাতে বাকিদের থেকে স্বতঃস্ফূর্তভাবেই নিজেকে সরিয়ে রাখা হবে। ব্যক্তিগত, পারিবারিক, সামাজিক কোনো সম্পর্কগুলোকে কোনোভাবেই ‘টেকেন ফর গ্র্যান্টেড’ হিসেবে নেওয়ার সুযোগ নেই। দিন শেষে স্বাস্থ্যকর সম্পর্কই মানুষের সুন্দরভাবে বেঁচে থাকার সবচেয়ে বড় ‘মোটিভেশন’।

২. তবে সম্পর্ক চর্চার ক্ষেত্রে দূরত্বও খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। মাঝেমধ্যে দূরত্বই সম্পর্ককে নতুন মাত্রা দেয়। তাই প্রয়োজনে সামান্য বিরতি নেওয়া বা সম্পর্ককে ‘স্পেস দেওয়া’ জরুরি।

৩. প্রতিটি মানুষের জীবনে এ রকম দুই–একজন মানুষ জরুরি, যাঁদের কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে আপনি পূর্ণ ভরসা করতে পারেন। আপনার যদি এখনো এ রকম কোনো মানুষ না থাকে, তাহলে খুঁজে বের করুন।

৪. একাধিক গবেষণা জানাচ্ছে, অফিসের কলিগদের ভেতর চা-কফির আড্ডা, গল্পগুজব করা, পেশাগত সম্পর্কের বাইরে বন্ধুত্ব তৈরি—এগুলো সবই আদতে অফিসের কর্মদক্ষতা ও কাজের মান বাড়ায়। অফিসের পরিবেশে এমনসব সম্পর্ক আপনার পেশগত উন্নয়নের জন্যও জরুরি।

৫. প্রতিটা সম্পর্কের যেমন একটা শুরু আছে, তেমন কিছু কিছু সম্পর্কের শেষও আছে। সম্পর্ক নিশ্চিতভাবে শেষ হয়ে যাচ্ছে জেনেও ওই সম্পর্কের প্রতি অসম্মান প্রদর্শন করবেন না। যতটা সম্ভব ইতিবাচকভাবে সম্পর্ক শেষ করুন। আপনার অবস্থান সততার সঙ্গে স্পষ্ট করুন। সম্পর্ক শেষ হয়ে যাবার পরও সম্মান বজায় রাখুন। ভালো স্মৃতি আর ওই সম্পর্ক থেকে পাওয়া শিক্ষাকে পুঁজি করে তুলে রাখুন।[/size][/size][/size]


Source: shorturl.at/ckK79

4
অভিভাবকদের যেসব ভুল শিশুদের স্বার্থপর করে তোলে
[/size]


অত্যাধিক শাসন এবং মাত্রাতিরিক্ত প্রশ্রয় দেওয়া -দুটিই শিশুর জন্য ক্ষতিকর। গবেষণায় দেখা গেছে, যেসব শিশু অতিরিক্ত আদর বা শাসনের মধ্যে বড় হয় তাদের মধ্যে আচরণগত কিছু সমস্যা দেখা দেয়। তার মধ্যে স্বার্থপরতা অন্যতম।

'সোশ্যাল জাস্টিস প্যারেন্টিং:
হাউ টু রেইজ কমপ্যাশনেট অ্যান্টি-র‍্যাসিস্ট জাস্টিস মাইন্ডেড কিডস ইন অ্যানজাস্ট ওয়ার্ল্ড' এর লেখক অধ্যাপক ড. ট্র্যাসি ব্যাক্সলে তার লেখায় সন্তান লালনপালনের ক্ষেত্রে কিছু ভুল আচরণ তুলে ধরেছেন। তার ভাষায়, এ ধরনের আচরণ শিশুর বেড়ে ওঠায় নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। যেমন-

শিশুর সব চাওয়াকে হ্যাঁ বলা : শিশু যা চায় সবসময় তা দিলে সে জীবনে প্রত্যাখান বা না পাওয়ার কষ্ট নিতে পারবে না। একজন পরিপক্ক মানুষ তাকেই বলে যিনি অন্যের পছন্দকে সম্মান করবেন। আবার নিজের অপছন্দকে সম্মানের সাথে না বলবেন। সব কিছু চাইলেই যে পাওয়া যায় না এটা শিশুকে বোঝাতে হবে। শিশুকে না এর মুল্য না শেখালে সে বড় হয়ে স্বার্থপর হয়ে উঠতে পারে।

শিশুকে প্রকৃত শিক্ষা না দেওয়া : শুধু জন্ম দিলেই বাবা-মা হওয়া যায় না। শিশু লালনপালন ধৈর্য ও কঠোর পরিশ্রমের ব্যাপার। সন্তানকে এমনভাবে শিক্ষা দিতে হবে যাতে সে শৈশব থেকেই অন্যের অনুভূতিকে সম্মান করতে শেখে। তার মধ্যে নৈতিক মুল্যবোধ তৈরি করতে হবে। তা না হলে সে স্বার্থপরতা শিখবে।

বাইরের পৃথিবী সম্পর্কে না জানানো : পরিবার ছাড়াও বাইরের পৃথিবীটা কেমন সে সম্পর্কে শিশুকে ধীরে ধীরে জানাতে হবে। পরিবারই যে পৃথিবী নয় এটা তাকে বোঝাতে হবে। তা না হলে বাইরের নেতিবাচক প্রভাব তার উপরও পড়বে। কীভাবে সে অন্যদের সঙ্গে যোগাযোগ করবে এ সম্পর্কে আগে থেকেই তাকে দিক নির্দেশনা দিতে হবে। এতে শিশুকে বুদ্ধিমান এবং খোলা মনের ব্যক্তিতে পরিণত হতে সাহায্য করবে। এজন্য শিশুর সঙ্গে নানা খবর, সামাজিক মাধ্যমে দেখা কোনো কিছু শেয়ার করতে পারেন। এতে তার জ্ঞানও বাড়বে।

কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে শেখানো : অন্যের চেয়ে অনেক ক্ষেত্রে আপনার কিছু কম থাকতেই পারে। সেজন্য আফসোস না করে আপনার যা আছে তার জন্য স্রষ্টার কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করুন। শিশুকেও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে শেখান। এতে তার মধ্যেও কৃতজ্ঞতা বোধ বাড়াতে সাহায্য করবে। সে যদি কৃতজ্ঞতা বোধ করতে না শেখে তাহলে বড় হলে সে অসুখী থেকে যাবে।

Source: shorturl.at/fmp13

5
সুস্থ থাকতে মেনে চলুন ডাক্তারের ৫ পরামর্শ
[/size][/b]


বিশ্বজুড়ে বাড়ছে স্ট্রেস। বাড়ছে অস্থিরতা, অশান্তি, মানসিক চাপ। আর সবকিছু মিলে বাড়ছে হৃদরোগ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ট্রাফিক জ্যামই হোক আর অফিসে মাত্রাতিরিক্ত কাজের চাপ- নিত্যদিনের এসব টেনশন আর অস্থিরতা হৃদ্যন্ত্রের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলে, রক্তচাপ বাড়ায়।

তাই স্বাস্থ্যকর খাদ্যভ্যাস আর নিয়মিত হাঁটাহাঁটির বাইরেও মানসিক চাপ বা স্ট্রেস কমানোর পরামর্শ চিকিৎসকদের। সম্প্রতি হার্ভার্ড মেডিকেল স্কুলের বিজ্ঞানীরা কিভাবে দৈনন্দিন চাপ কমাবেন তার একটা নির্দেশনা দিয়েছেন।

হাসুন, পজিটিভ থাকুন: নির্মল হাসি রক্তনালির প্রদাহ কমায়, রক্তে স্ট্রেস হরমোনের পরিমাণ কমিয়ে দেয়, এমনকি রক্তে উপকারী এইচডিএল কোলেস্টেরল বাড়ায়।

ধ্যানমগ্নতা: সারা দিনের ব্যস্ততার মধ্যে ১০ মিনিট সময় বের করুন নিজের জন্য। এ সময়টা একা থাকবেন। গভীর শ্বাস নেবেন, চারপাশের সব ভাবনা চিন্তা ভুলে যাবেন। গবেষকরা বলছেন, মেডিটেশন বা ধ্যান, যোগব্যায়াম বা প্রার্থনা- যে পদ্ধতিই ব্যবহার করুন না কেন, এটা উপকারে আসবে।

ব্যায়াম: মনের এ ব্যায়ামের পাশাপাশি দেহের ব্যায়ামও জরুরি। ব্যায়াম যে শুধু ওজন, রক্তচাপ আর রক্তের চর্বি কমায় তা নয়, স্ট্রেস বা চাপ কমাতেও সাহায্য করে। যতবারই আপনি ব্যায়াম করেন, মন সজাগ আর আনন্দময় করার হরমোন নিঃসৃত হয়, যার নাম এনডোরফিন।

প্লাগ’ খুলে দিন: চাপ কমানোর একটা উৎকৃষ্ট উপায় হলো আনপ্লাগড হওয়া। দিনে টিভি, কম্পিউটার, সেলফোন অন্তত আধঘণ্টার জন্য হলেও বন্ধ করে রাখবেন। এ সময়টা এমন কিছু করবেন, যা দেহ-মনকে সতেজ করে।

সহজ শখ: খুব ছোট ছোট ব্যাপার যেমন- দীর্ঘ সময় ধরে দারুণ একটা গোসল, গুনগুনিয়ে গান গাওয়া বা শোনা, বাগান করা- এসব সহজ শখ মানসিক চাপ কমাতে অনেকটাই সাহায্য করে।


লেখক:অধ্যাপক ডা. খাজা নাজিম উদ্দিন 
অধ্যাপক, মেডিসিন বিভাগ, বারডেম হাসপাতাল, ঢাকা


Source: shorturl.at/eCHP2
 

6
শিশুকে অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়ানোর আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন


 
* শীতের শুরুতে ও শেষে শিশুদের শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণ বেড়ে যায় কেন?

** এ ঠান্ডা তাপমাত্রায় কিছু ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাস পরিবেশে বংশবৃদ্ধি করে। শিশুর শরীরও তাপমাত্রার হঠাৎ এ পরিবর্তন অর্থাৎ ওঠা-নামা অ্যাডজাস্ট করতে পারে না। ফলে শিশুর দেহে পরিবেশগত কিছু পরিবর্তন হয় এবং জীবাণুগুলো রোগ বিস্তার করে। ধুলাবালি বেড়ে যাওয়ার কারণেও এ সময় শ্বাসতন্ত্রের রোগ সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাসের সংক্রমণ বৃদ্ধি পায়। এ সময় হাঁচি, কাশি, সর্দি, গলা ব্যথা ছাড়াও ব্রঙ্কিয়াল অ্যাজমা, নিউমোনিয়া ও ব্রঙ্কিওলাইটিস রোগ ছড়ানোর সুযোগ বেশি থাকে। ঠান্ডা বাতাস নাক দিয়ে ঢুকে এখানকার পাতলা পর্দা বা ঝিল্লি যাকে মিউকাস মেমব্রেন বলে, তা ঠান্ডা হয়ে গিয়ে রক্তনালির সংকোচন ঘটে, ফলে ভাইরাস ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণও বাড়ে।

* এ লক্ষণ বা রোগ দেখা দিলে তাৎক্ষণিক করণীয় কী?

** সর্দি, কাশি, ঠান্ডা, গলা ব্যথার সঙ্গে শিশুর শ্বাসের গতি লক্ষ্য রাখতে হবে। বুকের পাজরের নিচে দেবে যাচ্ছে কি না তাও দেখতে হবে। শ্বাসের হার প্রতি মিনিটে ২ মাসের নিচের বাচ্চাদের ৬০-এর বেশি হলে, ২-১২ মাসের বাচ্চার ৫০-এর বেশি এবং ১-৫ বছরের বাচ্চার ৪০-এর বেশি হলে শিশুর নিউমোনিয়া বা ব্রঙ্কিওলাইটিস হয়েছে ধরা যায়। এ অবস্থায় ঘরোয়া চিকিৎসা না দেওয়াই ভালো। শ্বাসের হার স্বাভাবিক ও ঠান্ডা-কাশি থাকলে ছোট বাচ্চাদের মায়ের বুকের দুধ খাওয়াতে হবে, কুসুম গরম পানি, লেবু পানি, জ্বরের জন্য প্যারাসিটামল, শরীর স্পঞ্জ করে মুছে দিতে হবে, ঘরে আলো-বাতাস চলাচল করে এমন রুমে শিশুকে রাখতে হবে এবং জনসমাগম হয় এমন জায়গা যেমন মার্কেট, কোনো অনুষ্ঠান, বাস-ট্রেন স্টপেজে না নিয়ে যাওয়াই ভালো। এন্টি হিস্টামিন ওষুধ খেতে পারে। এরপরও সংক্রমণ বেড়ে গেলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

* এক্ষেত্রে কোনো ধরনের এন্টি অ্যালার্জিক ও কফ সিরাপ ব্যবহার করা যায়?

** কিছু কফ সিরাপ আছে যা কফ সাপ্রেসেন্ট বা কফ দমিয়ে রাখে। কিছু আছে কফ এক্সপেকটরেন্ট বা কফ বের করে দেয়, কিছু আছে কফ হওয়ার তীব্রতা কমিয়ে দেয়, কিছু আছে সিডেটিভ অর্থাৎ তন্দ্রালুতা সৃষ্টি করে কফ কমায়। গভীর, তীব্র কফে এটি ব্যবহার করা যায়। তবে এগুলো ডাক্তারের পরামর্শেই ব্যবহার করা ভালো। যদি নাক দিয়ে পানি পড়ে তাহলে ক্লোরোফেনারমিন ম্যালিয়েট, সেট্রিজিন ব্যবহার করা হয়। নাক পরিষ্কারের জন্য নাকের ড্রপ দেওয়া হয়। ছোট বাচ্চাদের কুসুম গরম পানি দিয়ে নরমাল স্যালাইন ড্রপ দেওয়া ভালো। বাচ্চার বুক পরীক্ষা করে এন্টি হিস্টামিন দেওয়া ভালো।

* অনেক শিশু দীর্ঘমেয়াদে খুসখুসে কাশিতে ভুগে। এক্ষেত্রে করণীয় কী?

** এটি সাধারণত অ্যালার্জিক কফ। ডাস্ট ও কোল্ড অ্যালার্জি এবং ঘাম থেকে হয়। তাই ঘাম যেন না হয় এবং ধুলাবালি ও ঠান্ডা এড়িয়ে চলতে হবে। যদি বুকে স্পাজম বা ঘরঘর শাঁই শাঁই আওয়াজ থাকে তাহলে নেবুলাইজেশন, ইনহেলার দেওয়া হয়। ছোট বাচ্চাদের স্পেসারের মাধ্যমে নেবুলাইজেশন দেওয়া হয়। বড় বাচ্চাদের ইনহেলার ব্যবহার করতে বলি। তবে দীর্ঘমেয়াদি কাশির কারণ খুঁজে বের করা জরুরি। শ্বাসতন্ত্রের ইনফেকশন, ব্রঙ্কিয়েকটেসিস, যক্ষ্মা কিংবা বাচ্চার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে গেলেও এ সমস্যা হতে পারে।

* শ্বাসতন্ত্রের রোগে ভুগে এমন শিশুদের টিকা নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয় কেন?

** নিউমোকক্কাল নিউমোনিয়া ও হেমোফাইলাস ইনফ্লুয়েঞ্জা টিকা দিলে শিশুর কিছু উপকার হয়। প্রতি বছর নভেম্বরে ইনফ্লুয়েঞ্জা টিকা দেওয়া হয়।

* শীতে শিশুদের ডায়রিয়া বা পেটে ব্যথার সমস্যা হলে কী করবে?

** ২ বছরের নিচের বাচ্চারা রোটা ভাইরাস ডায়রিয়ায় ভোগে। এডেনোভাইরাস বা অন্যান্য ভাইরাস দিয়েও শীতকালীন ডায়রিয়া হয়। এ জন্য অ্যান্টিবায়োটিকের প্রয়োজন নেই। প্রচুর পরিমাণে স্যালাইন খেতে হয়। ১ বছরের নিচের বাচ্চাদের লো অসমোলার ওরস্যালাইন বা নিওস্যালাইন দেওয়া ভালো। ১ বছরের বেশি বাচ্চাদের রাইস স্যালাইন খাওয়ানো যেতে পারে। ডায়রিয়া হলেও বাচ্চারা বুকের দুধ খাবে। জিঙ্ক ওষুধ খেতে পারে। সঙ্গে ফলিক এসিডও দেওয়া হয়। এ ডায়রিয়া সাত দিনে এমনিতেই ভালো হয়ে যায়। ৭ দিনের বেশি ডায়রিয়া থাকলে সে বাচ্চার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম আছে বলে ধরা হয়।

* শ্বাসতন্ত্রের ও পেটের এই সমস্যায় কখন অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়া হয়?

** ঠান্ডার সঙ্গে যদি প্রচণ্ড জ্বর, শ্বাসকষ্টের তীব্রতা বৃদ্ধি ও সঙ্গে নিউমোনিয়ার লক্ষণগুলো যদি দেখা যায় এবং সর্দি যদি ঘন হয়ে পুঁজের মতো হয় ও সাদা রং পরিবর্তিত হয় তখন এন্টিবায়োটিক দেওয়ার প্রয়োজন হয়। তিন দিনের বেশি জ্বর, শ্বাসকষ্ট, কাশি বাড়লেও এন্টিবায়োটিক প্রয়োজন হয়। হঠাৎ করে পানির মতো পাতলা পায়খানা সাধারণত ভাইরাসের কারণে হয়। এছাড়াও পেট খারাপ জিয়ারডিয়াসিস ও কলেরার জন্য হয়। শীতে কলেরা কম হয়। এছাড়া ইয়ারসিনিয়া এন্টারেকোলিটিকায় পেট খারাপ হয়। ইনভেসিভ ডায়রিয়া অর্থাৎ পায়খানার সঙ্গে রক্ত ও আম যাওয়া, পেটে প্রচণ্ড মোচড় দিয়ে ব্যথা হলে ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ মনে করে এন্টিবায়োটিক দেওয়া হয়।

* এখন শিশুদের ডেঙ্গির ও কোভিডের সংক্রমণ কেমন হচ্ছে?

** কোভিড এখন বাংলাদেশে নেই বললেই চলে। ডেঙ্গির তীব্রতা ও সংক্রমণও কমের দিকে। ডিসেম্বরে যেহেতু বৃষ্টি হয় না তাই ডেঙ্গির পরিমাণও কমে যাবে। বাচ্চা কিছুই খেতে পারছে না, প্রচুর বমি হচ্ছে, হঠাৎ বাচ্চা নিস্তেজ হয়ে যাচ্ছে, রক্তচাপ ও পালস প্রেসার কমে যাচ্ছে, পেটে প্রচণ্ড ব্যথা ও শরীরের কোনো জায়গা থেকে রক্তক্ষরণ হলে, প্রচণ্ড মাথা ব্যথা, হার্টের গতি বেড়ে গেলে, খিঁচুনি হলেও অতি দ্রুত সম্ভব হাসপাতালে ভর্তি করাতে হবে এবং ডেঙ্গিজ্বর হয়েছে কিনা দেখতে হবে। কোনো শিশুকে স্বাভাবিক দেখাচ্ছে কিন্তু তার পালস প্রেসার কমে যাচ্ছে তাহলে হাসপাতালে ভর্তির প্রয়োজন।

* শিশুর ত্বকের যত্নে কী করা যায়?

** গোসল করানোর আগে হালকা রোদে কিছুক্ষণ রেখে ওয়েল ইমালশন লাগিয়ে গোসল করানোর পর লোশন দেওয়া যায়। যে শিশুর ত্বক অতি সংবেদনশীল ও অ্যালার্জিক তাদের এন্টি অ্যালার্জিক লোশন দেওয়া হয়। ত্বক শুষ্ক হয়ে চুলকালে প্রচুর পানি, তরল, শাক-সবজি ও ফল খেলে ও মেডিকেটেড ময়েশ্চারাইজার লাগালে উপকার মেলে।


ডা. ফাহিম আহমেদ রুপম
০৩ ডিসেম্বর ২০২২, ১২:০০ এএম
সাক্ষাৎকার নিয়েছেন ডা. ফাহিম আহমেদ রুপম

Source: shorturl.at/ELT34

7
ডেঙ্গু : প্রতিরোধই মুখ্য
[/b]

ডেঙ্গু এডিস মশাবাহিত ভাইরাস ঘটিত রোগ। এবছর বর্ষার অনেক আগেই এটা শুরু হয়ে এখন অব্দি এর দাপট দেখিয়ে চলেছে। এই নভেম্বরেই মৃত্যু ১০০ ছাড়িয়েছে। মৌসুমি জলবায়ু পরিবর্তন ও মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে দীর্ঘ বর্ষাকাল, বৃষ্টি, তাপমাত্রা ও আর্দ্রতা বৃদ্ধি ইত্যাদি কারণে এডিস মশার বংশবিস্তার বৃদ্ধি পায়। ফলে সাম্প্রতিক বছর গুলোতে এ রোগের প্রাদুর্ভাব উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে।

চিকিৎসা বিজ্ঞানের প্রকাশিত তথ্যানুযায়ী, ডেঙ্গু মহামারী আকারে প্রথম ঘটে ফিলাডেলফিয়ায় ১৭৮০ সালে। এরপর পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ে। প্রতিবছর আমেরিকা, আফ্রিকা, এশিয়া ও ওশেনিয়া অঞ্চলে হাজার হাজার ডেঙ্গু এবং হেমোরেজিক ডেঙ্গু জ¦রে আক্রান্ত রোগীর রিপোর্ট পাওয়া যায়।

বাংলাদেশে ডেঙ্গু জ¦র প্রথম দেখা দেয় ১৯৬৪ সালে। সে সময় রোগ নির্ণয় সম্ভব হয়নি বলে তখন এটাকে ঢাকা ফিভার বলা হতো। ১৯৯৯ সালে এ দেশে আবার দেখা দেয়। এরপর সাম্প্রতিক বছরগুলোতে অনেক লোক ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছে এবং মারা গেছে অনেক। ২০১৯ সালে বাংলাদেশে ডেঙ্গু জ¦রের প্রাদুর্ভাব ভয়াবহ পর্যায়ে ছিল। এবছরও ডেঙ্গুর প্রকোপ অন্য আর সব বছরকে হার মানিয়েছে। সাধারণত জুন-জুলাই থেকে অক্টোবর-নভেম্বর মাস বাংলাদেশে ডেঙ্গুর বিস্তার বেশী থাকলেও বর্তমানে এডিস মশার প্রাদুর্ভাব লক্ষ করা যায় আরো আগে থেকে।

কীভাবে ছড়ায় : এডিস ইজিপ্টি মশার দংশনের ফলে এ রোগের বিস্তার ঘটে থাকে। এ মশা ঘরে, পর্দার ভাঁজে, বেসিনের নীচে, খাটের নীচে লুকিয়ে থাকে। বংশবিস্তার ঘটায় স্বচ্ছ পানিতে, ফুলের টবে জমে থাকা পানিতে, বৃষ্টির দিনে রাস্তার পাশে জমে থাকা পানিতে, নির্মাণ সামগ্রীতে থাকা পানি, নারকেলের খোলার জমা পানি, টায়ারের পানি, পেপসির ক্যান ইত্যাদিতে। এডিস মশা রাতে কামড়ায় না সাধারণত দিনের আলোতে বিশেষ করে ভোরবেলা ও সন্ধার পূর্বে এ মশা বেশী কামড়ায়। সংক্রমিত মশা কামড়ালে কোন মানুষ ৪-৬ দিনের মধ্যে ডেঙ্গু জ¦রে আক্রান্ত হন।

লক্ষণ : ১. ডেঙ্গুজ¦রের প্রধান লক্ষণ জ¦র। এর সাথে চামড়ার নীচে র‌্যাশ, কারো কারো রক্তক্ষরণও হতে পারে। ২. প্রথম দিন হতেই তীব্র জ¦র (সাধারণত ১০২ক্ক বা তার উপরে)। ৩. জ¦রের সাথে তীব্র শরীর ব্যথা, মাংশপেশিতে ব্যথা, গিঁরায় গিঁরায় ব্যথা, কোমড়ে ব্যথা ও চোখের পেছনে ব্যথা হবে। ৪. জ¦রের ২-৫ দিনের মধ্যে চামড়ার নীচে দানা বা র‌্যাশ ওঠে যা চুলকাতে থাকে। ৫. চামড়ায়, দাঁতের মাড়ি, নাক দিয়ে রক্তপড়া, চামড়ার নীচে রক্তের দাগ দেখা দেওয়া, রক্ত বমি, রক্ত পায়খানা, মেয়েদের মাসিকের সাথে বেশি রক্তপাত হওয়া।

ডেঙ্গুর ধরণ :
লক্ষণানুযায়ী ডেঙ্গু ২ ধরনের:
ক) ক্যাসিক্যাল ডেঙ্গু জ¦রঃ এটা অন্যান্য ভাইরাস জ¦রের মতো।
খ) হেমোরেজিক ডেঙ্গু জ¦রঃ ক্যাসিক্যাল ডেঙ্গুর সব লক্ষণ থাকে। রক্ষনালির লিকি হয় বলে সমস্যা দেখা দেয়। যথাযথ চিকিৎসা ও ব্যবস্থাপনা না নিলে এটাতে জীবনের জন্য ঝুঁকি বয়ে আনতে পারে।
পরীক্ষা : জটিলতা না হলে কোনো জ¦রের রোগীর ৩ দিন আগে পরীক্ষা করার দরকার নেই। ডেঙ্গু জ¦র নিশ্চিত হওয়ার জন্য কিছু পরীক্ষার প্রয়োজন পড়ে।

১) টিসি, ডিসি, হিমোগ্লোবিন, ইএসআর, এনএস১ এন্টিজেন, এসজিপিটি, এন্টিবডি পরীক্ষা ইত্যাদি। ২) প্লাটিলেট কাউন্ট ও হিমাটক্রিট, ভাইরাস আইসোলেশন। ৩) হেমোরেজিক ডেঙ্গু জ¦র হলে ফুসফুস ও পেটে নিশ্চিত করার জন্য বুকের এক্স-রে ও আল্টাসনোগ্রাফী প্রয়োজন হতে পারে।
জটিলতা : সাধারণত ৩-৭ দিনের মধ্যেই জ¦রের তাপমাত্রা কমতে থাকে। তবে জটিল ক্ষেত্রে নিম্নোক্ত

লক্ষণগুলো দেখা যায়:-
১. তীব্র পেট ব্যথা ও অনর্গল বমি। কখনো কখনো বমির সাথে রক্ত আসে। ২. কালো পায়খানা হবে। ৩. ত্বকে লালচে দাগ, কখনো ফ্যাকাশে, ঠান্ডা ও স্যাঁতস্যাঁতে হবে। ৪. দাঁতের মাড়ি ও নাক দিয়ে রক্ত পড়বে। ৫. তীব্র জ¦রের সাথে শ^াসকষ্ট থাকবে। ৬. হেমোরেজিক ডেঙ্গু জ¦রে নাক, মুখ, দাঁতের মাড়ি ও পায়ুপথ দিয়ে রক্ত আসতে পারে। এমনকি রোগির রক্তচাপ কমে গিয়ে অস্বস্তিবোধ এবং সংগাহীন হয়ে পড়তে পারে। ৭. একজন মানুষের জীবনে চারবার ডেঙ্গু হতে পারে চার প্রজাতির ডেঙ্গু ভাইরাস দিয়ে। যত বেশিবার ডেঙ্গু হবে, তত বেশি অধিক জটিল আকার ধারণ করবে।

চিকিৎসা : ডেঙ্গু জ¦রের কোনো সুনির্দিষ্ট চিকিৎসা নেই। তবে জ্বর কমানোর ওষুধ চালিয়ে যেতে হবে, বিশ্রামে থাকতে হবে। আর তরল খাবার বেশী খেতে হবে। এ রোগে আক্রান্ত রোগী বেশির ভাগ ক্ষেত্রে সাধারণত ৫ থেকে ১০ দিনের মধ্যে সুস্থ হয়ে যায়। তবে রোগীকে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়েই চলতে হবে। যাতে করে ডেঙ্গু জনিত কোনো জটিল অবস্থা সৃষ্টি না হয়। সাধারণত লক্ষণানুযায়ী চিকিৎস করাতে হবে।

প্রতিরোধ : ১) যেহেতু ডেঙ্গু রোগের বাহক মশা। তাই ডেঙ্গুর আবাস ধ্বংস করে ডেঙ্গু প্রতিরোধ করাই শ্রেয়। ২) এডিস মশা সাধারণত স্বচ্ছ পানিতে ডিম পারে। খেয়াল রাখতে হবে ঘরে এবং এর আশেপাশে যেন পানি না জমে। টব, ভাঙা বাসন, নারকেলের মালা, এসির পানি পরিত্যক্ত টায়ার, ছোট বড় গর্ত, ফুলের টব, টিনের কোটা ব্যাটারির শেল প্রভূতিতে যেন পানি না জমে সেদিকে নজর রাখতে হবে। ৩) কোথাও একটানা তিনদিনের বেশি পানি যেন না জমে সে দিকে লক্ষ রাখতে হবে। ৪) দিনে বা রাতে যখনই হোক ঘুমের সময় মশারি ব্যবহার করতে হবে। প্রয়োজনে কিছুক্ষণ পরপর মশার স্প্রে করতে হবে। ৫) প্রয়োজনে ফুল হাতা জামা-প্যান্ট পরা ভালো এবং উন্মুক্ত ত্বকে রিপলেন্ট ক্রীম ব্যবহার করতে হবে।

খাদ্য ও পথ্য : ১. রোগীকে পরিপূর্ণ বিশ্রাম নিতে হবে। ২. প্রচুর পানি পান, ডাবের পানি পান, খাবার স্যালাইন, ফলের রস, স্যুপ খেতে হবে। ৩. শরীর বারবার স্পঞ্জিং করে শুকনো কাপড় দিয়ে মুছে ফেলতে হবে। ৪. জ¦রে ক্যালোরির চাহিদা বেড়ে যায়। আবার মুখে রুচিও থাকে না। তাই এমন খাবার দিতে হবে যেন অল্প হলেও চাহিদা মিটতে পারে। যেমন : খিচুড়ি, পায়েস, ফিরনি ও পুডিং দেওয়া যেতে পারে। ৫. জ¦রের সংগে ডায়রিয়া ও বমি হলে শাক সবজি, ডাল, দুধ ও দুগ্ধ জাত খাবার বাদ দিতে হবে। এ অবস্থায় ডাবের পানি, স্যুপ, ভাতের মাড়, আপেলের রস বেশ উপকারী। ৬. শিং, পাবদা, শোল ইত্যাদি মাছ, মুরগীর তরকারী ও দেওয়া যেতে পারে। ৭. ডেঙ্গু হলে ভিটামিন কে সমৃদ্ধ খাবার রক্তে প্রোথ্রম্বিন তৈরী করে রক্ত জমাট বাঁধায় তাই রক্তক্ষরণের ঝুকি কমে। ব্রুকলি, ফুলকপি, পাতাকপি, সবুজ শাকসবজী, ডিমের কুসুমে ভিটামিন কে থাকে। ৮. পেপেঁ পাতার রস খাওয়া যেতে পারে। এতে এন্টি ইনফ্লামেটরি উপাদান পাওয়া যায় যা শরীর ব্যথা কমাতে সাহায্য করবে। ৯. শুধু তরল নয় এ সময় ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফলমুল খাদ্য তালিকায় রাখতে হবে। এগুলো রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াবে। ফলে এন্টি অক্সিডেন্টের চাহিদাও পুরণ হবে। লেবু, কমলা, মাল্টা, জাম্বুরা, আমড়া, আনারস, আপেল ইত্যাদিতে ভিটামিন সি পাওয়া যায়।



Source: shorturl.at/bEOSX


8
ঋণপত্র খোলা সীমিত, সংকটের শঙ্কা
[/b]



ডলার–সংকটের কারণে চাহিদা অনুসারে ঋণপত্র খুলতে না পারায় দেশে কম্পিউটার, ল্যাপটপসহ বিভিন্ন প্রযুক্তিপণ্যের আমদানি কমে গেছে। এতে বাজারে এসব পণ্যের সংকট দেখা দিয়েছে। পাশাপাশি আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্যের দাম ও দেশে ডলারের বিনিময় হার বেড়ে যাওয়ায় এসব পণ্যের দামও বেড়ে গেছে। এতে কমেছে বিক্রি। দুইয়ে মিলে প্রযুক্তিপণ্যের বাজার নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন এ খাতের ব্যবসায়ীরা।

ডলার–সংকটের কারণে বর্তমানে প্রযুক্তিপণ্য আমদানির বড় অঙ্কের ঋণপত্র খুলছে না ব্যাংকগুলো। ৩০–৪০ হাজার ডলারের বেশি ঋণপত্র খোলার অনুমতি পাচ্ছেন না ব্যবসায়ীরা। তবে তা–ও মিলছে অনেক অনুরোধের পর। এতে পণ্য আমদানি কমে গেছে। কম্পিউটার আমদানিকারক, পরিবেশক ও বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।




দেড় মাস যাবৎ ঋণপত্র খোলা যাচ্ছে না। এভাবে চললে মাসখানেক পর বাজারে ল্যাপটপ, কম্পিউটারসহ নানা প্রযুক্তিপণ্যের সংকট তৈরি হতে পারে।
এস এম আরিফুজ্জামান, ব্যবস্থাপক, ব্যবসা উন্নয়ন বিভাগ, রায়ানস কম্পিউটারস
এ খাতের ব্যবসায়ীরা জানান, দেশে কম্পিউটার, ল্যাপটপসহ আনুষঙ্গিক উপকরণের বাজার প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকার। তবে আমদানি কমে যাওয়ায় আগামী দু–তিন মাসের মধ্যে প্রযুক্তিপণ্যের বাজারে বড় ধরনের সংকট তৈরি হতে পারে বলে আশঙ্কা তাঁদের।

কম্পিউটারের ব্র্যান্ড আসুসের ব্যবসা উন্নয়ন বিভাগের ব্যবস্থাপক মো. আল ফুয়াদ জানান, ‘ঋণপত্র যে খুলতে পারছি না, এমন নয়। তবে চাহিদার তুলনায় তা খুবই অপ্রতুল। ঋণপত্রের অনুমতি পেতে ও ডলার ছাড় হতে দীর্ঘ সময় লাগছে। ফলে আমদানি পর্যায়ে অনেক ঘাটতি তৈরি হচ্ছে।’

নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রযুক্তিপণ্য আমদানিকারক একটি কোম্পানির এক কর্মকর্তা বলেন, ‘নতুন পণ্য আমদানি একপ্রকার বন্ধই আছে বলা চলে। আগে মাসে আমাদের ২৫–৩০টা ঋণপত্র খোলা হতো। এখন সেখানে করতে পারছি মাত্র চার–পাঁচটা। তা–ও ছোট ছোট পরিমাণে।’

ব্যবসায়ীরা জানান, বাজারে এখনো ল্যাপটপের মজুত আছে। তবে প্রসেসর, স্টোরেজ ডিভাইসসহ ডেস্কটপ কম্পিউটারের বিভিন্ন উপকরণ কম পাওয়া যাচ্ছে। এ ছাড়া প্রিন্টার, স্পিকার, প্রজেক্টরসহ অন্যান্য প্রযুক্তিপণ্যেরও ঘাটতি দেখা দিয়েছে।


কম্পিউটার ও প্রযুক্তিপণ্যের বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান রায়ানস কম্পিউটারসের ব্যবসা উন্নয়ন বিভাগের ব্যবস্থাপক এস এম আরিফুজ্জামান বলেন, দু–তিন মাস আগে খোলা ঋণপত্রের পণ্য এখন দেশে আসছে। তবে দাম অনেক বেশি। আর দেড় মাস যাবৎ ঋণপত্র খোলা যাচ্ছে না। এভাবে চললে মাসখানেক পর বাজারে ল্যাপটপ, কম্পিউটারসহ নানা প্রযুক্তিপণ্যের সংকট তৈরি হতে পারে।

এদিকে আনুষ্ঠানিক ঋণপত্র খুলতে না পেরে অনেকে এখন বিকল্প উপায়ে পণ্য সংগ্রহের চেষ্টা করছেন। কম্পিউটার সরবরাহকারী ও বিক্রির প্রতিষ্ঠান বাইনারি লজিকের প্রধান নির্বাহী মনসুর আহমদ চৌধুরী জানান, ইতিমধ্যে ঋণপত্র খোলা আছে, এমন ব্যক্তিদের মাধ্যমে অনেকে পণ্য আমদানির চেষ্টা করছেন। আবার কেউ কেউ স্থানীয় বাজার থেকে পণ্য কিনে গ্রাহক ধরে রাখছেন।


বেড়েছে দাম, কমেছে বিক্রি
আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্যের দাম ও দেশে ডলারের বিনিময় হার বেড়ে যাওয়ায় বেড়ে গেছে প্রযুক্তিপণ্যের আমদানি ব্যয়। এ ছাড়া চলতি অর্থবছরের বাজেটে প্রযুক্তিপণ্য আমদানিতে ১৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপ করা হয়েছে। এতে কম্পিউটার, ল্যাপটপসহ প্রযুক্তিপণ্যের দাম অনেক বেড়ে গেছে। জুলাইয়ের পর আনা সব পণ্যে ৩০ শতাংশের বেশি দাম বেড়েছে। বর্তমানে যেসব আমদানি ঋণপত্র খোলা হচ্ছে, সেসব পণ্যের দাম আরও বাড়বে হবে বলে জানিয়েছেন এই খাতের ব্যবসায়ীরা।

রাজধানীর আগারগাঁওয়ের বিসিএস কম্পিউটার সিটিতে গতকাল শনিবার ল্যাপটপ কিনতে যান স্নাতক প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী নাজমুল ইসলাম। ল্যাপটপ কিনতে যে বাজেট ধরেছিলেন নাজমুল, বাজারে দাম তার চেয়ে অন্তত ১০ হাজার টাকা বেশি। পরে কয়েক দোকান ঘুরে কম দামি একটি ল্যাপটপ কেনেন তিনি।

নাজমুলের মতো অনেকেই এখন প্রযুক্তিপণ্য কেনায় বাজেট কাটছাঁট করছেন। ফলে বিক্রি কমেছে দোকানগুলোয়। বিসিএস কম্পিউটার সিটিতে ১৫৬টি কম্পিউটার ও ল্যাপটপের দোকান রয়েছে। ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, গত ৪ মাসে ৩০–৩৫ শতাংশ বিক্রি কমে গেছে।

সাধারণ গ্রাহকের পাশাপাশি সরকারি প্রতিষ্ঠান ও প্রকল্পে প্রযুক্তিপণ্য কেনা একরকম বন্ধ হয়ে গেছে। পাশাপাশি করপোরেট গ্রাহকেরাও কেনাকাটা কমিয়ে দিয়েছেন।

   শফিকুল ইসলাম

Source :shorturl.at/lyZ37





Pages: [1]