Show Posts

This section allows you to view all posts made by this member. Note that you can only see posts made in areas you currently have access to.


Topics - Sahadat Hossain

Pages: 1 ... 23 24 [25]
361
বিশ্ব যতই এগোচ্ছে ততই মানুষের নানা বিধ্বংসী কর্মকাণ্ডের কারণে পৃথিবী হুমকির মুখোমুখি হয়ে পড়ছে। এ হুমকি কাটাতে বেশ কয়েকটি ভবন কাজ করছে। এ লেখায় রয়েছে তেমন কয়েকটি ভবনের কথা। এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানিয়েছে বিজনেস ইনসাইডার।

১. চেরনোবিল
বিশ্বের অন্যতম বড় দুর্ঘটনা ছিল চেরনোবিল পারমাণবিক দুর্ঘটনা, যা বিশাল এলাকাকে তেজস্ক্রিয় করে তুলেছিল। তিন দশক আগে চেরনোবিলের পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে বিস্ফোরণে আশপাশের বহু এলাকা তেজস্ক্রিয়তাপ্রবণ হয়ে পড়ে। দুর্ঘটনাকবলিত সে পারমাণবিক রিঅ্যাক্টরটি এর পরও তেজস্ক্রিয়তা ছড়ানোর ঝুঁকিতে ছিল। আর সে ঝুঁকি কমাতে ধ্বংসপ্রায় বিদ্যুৎকেন্দ্রটির ওপর তৈরি করা হয় আরেকটি ভবন।


এ ভবনটির প্রথম পর্যায়ের কাজ করা হয় দুর্ঘটনার ছয় মাস পর। সে সময় তাড়াহুড়া করে দুর্ঘটনাস্থলের ওপর সিমেন্টের ঢালাই করে দেওয়া হয়। সে সময় তেজস্ক্রিয়তার কারণে ভালোভাবে কাজ করা যায়নি। পরবর্তীতে ১৯৯০ সালে এ ভবনটির ওপর আরেকটি ভবন নির্মিত হয়। এটি ৯২.২ মিটার উঁচু ও ২৭০ মিটার চওড়া। এর নির্মাণে ব্যবহৃত হয় ইস্পাত ও পলিকার্বনেট। এটি মূলত একটি ছাউনি। এটি তৈরি করা হয় ১৮০ মিটার দূরে। এরপর তা রেলের মাধ্যমে স্থাপনার ওপর নিয়ে যাওয়া হয়।


২. শিকাগো স্যানিটারি অ্যান্ড শিপিং ক্যানাল
১৯ শতকে ক্রমবর্ধমান মার্কিন শহর শিকাগোতে একটি বড় সমস্যা দেখা দেয়। এ সমস্যার মূলে ছিল মানব বর্জ্য। বিশাল শহরে মানব বর্জ্য নিয়ন্ত্রণ করা অত্যন্ত কঠিন হয়ে পড়ে। আর এ সময় শহরের পরিবেশ অত্যন্ত হুমকির মুখোমুখি হয়ে পড়ে। শহরের পানির উৎস দূষিত হয়ে পড়ে এবং মহামারিতে শহরটির প্রায় ছয় শতাংশ মানুষ মারা যায়। ফলে নীতিনির্ধারকরা শহরে বর্জ্য নিষ্কাশনের জন্য একটি খাল খননের সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু খালটি শহরের বর্জ্য নিষ্কাশনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এ খালটি শিকাগো নদীর সঙ্গে ডেস প্লেইনস নদীর সংযোগ ঘটায়। ফলে লেক মিশিগান থেকে পানি শিকাগো নদী ও খাল বেয়ে মিসিসিপি নদীতে চলে যায়।


৩. স্ভ্যালবার্ড গ্লোবাল সিড ভল্ট
সারা বিশ্বেই কৃষিকাজের কারণে নানাভাবে পরিবর্তিত করা হচ্ছে ফসলকে। আর এ কারণে শস্যগুলোর আসল রূপ বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু সে শস্যগুলো হয়ত ভবিষ্যতে কোনো কারণে দরকার হতে পারে। এ প্রয়োজনীয়তা মাথায় রেখে ২০০৮ সালে নরওয়ে সরকার তৈরি করে 'গ্লোবাল সিড ভল্ট'। এটি সারা বিশ্বের খাদ্যশস্যের বীজ সংরক্ষণ করে। কোনো দেশের সরকার ইচ্ছে করলে এতে সংরক্ষণের জন্য শস্য পাঠাতে পারে। এ শষ্যভাণ্ডরটি তৈরি করা হয়েছে নরওয়ের স্পিটসবার্জেন দ্বীপে। কয়েকটি কারণে এ দ্বীপটি শস্যভাণ্ডার তৈরির জন্য উপযুক্ত।

এটি উত্তর মেরুর কাছাকাছি এলাকায় হওয়ায় এখানে খুবই ঠাণ্ডা আবহাওয়া বিদ্যমান থাকে সারা বছর। ফলে এ এলাকায় বাড়তি খরচ করে বীজগুলো ঠাণ্ডা রাখতে হবে না। এ ছাড়া এ এলাকায় ভূমিকম্প খুবই কম হয় এবং শস্যভাণ্ডারটির উচ্চতা সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা থেকে ১৩০ মিটার উঁচু হওয়ায় তা উচ্চতা বৃদ্ধির কারণেও সহজে ক্ষতিগ্রস্ত হবে না। স্থাপনাটি নির্মিত হয়েছে স্যান্ডস্টোন পর্বতের ১২০ মিটার গভীরে। এতে সব সময় তাপমাত্রা হিমাংকের নিচে ১৮ ডিগ্রি বজায় রাখা হয়।

৪. মাউন্ট ওয়েদার ইমার্জেন্সি অপারেশন্স সেন্টার
শীতল যুদ্ধের সময় পারমাণবিক হুমকি মোকাবিলায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়াতে মাউন্ট ওয়েদার ইমার্জেন্সি অপারেশন্স সেন্টার তৈরি করা হয়। এ সেন্টারটি ৫৬ হাজার বর্গমিটার আয়তনের একটি বিশাল কমপ্লেক্স, যার পুরোটাই মাটির নিচে রয়েছে। ১৯৫৯ সালে এটি নির্মিত হলেও ১৯৭৯ সাল পর্যন্ত এর কথা সাধারণ মানুষ জানতেও পারেনি। পারমাণবিক যুদ্ধের সম্ভাব্য হুমকির মুখে পরিকল্পনা করা হয়েছিল এ স্থাপনায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা নিরাপদে অবস্থান করবেন এবং সংকটকালে দেশের নানা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ন্ত্রণ করবেন। ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারসহ কয়েকটি স্থাপনায় সন্ত্রাসী হামলা হলে এ কেন্দ্রটি সচল হয়ে উঠেছিল।


৫. চেয়েনি মাউন্টেইন কমপ্লেক্স
ভূগর্ভস্থ আরেকটি বিশাল বাঙ্কার  হলো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের চেয়েনি মাউন্টেইন কমপ্লেক্স। এটি কলোরাডো রাজ্যে অবস্থিত। এ স্থাপনাটি নির্মিত হয়েছিল মূলত উত্তর আমেরিকার বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণে, যার যৌথবাবে তৈরি করেছে যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার যৌথ উদ্যোগে।

যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবাহিনী এখানে তাদের প্রশিক্ষণ কার্যক্রম চালাচ্ছে। এ স্থাপনাটি বেশ কিছু কারণে উল্লেখ করার মতো। এর মধ্যে রয়েছে স্থাপনাটির ৩০ মেগাটন পারমাণবিক বোমা সহ্য করার ক্ষমতা, যা দুই কিলোমিটার দূরে ফাটলেও স্থাপনার কোনো ক্ষতি হবে না। এ স্থাপনায় রয়েছে স্বাধীন বিদ্যুৎকেন্দ্র, হিটিং ও কুলিং টাওয়ার ও পানি সরবরাহ ব্যবস্থা। এ ছাড়া মেডিক্যাল জরুরি অবস্থা, প্রাকৃতিক দুর্যোগ, সিভিল দুর্যোগ, জীবাণুঘটিত দুর্যোগ, সাধারণ আক্রমণ, ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক পালস অ্যাটাক, সাইবার ইনফরমেশন অ্যাটাক, কেমিক্যাল ও বায়োলজিক্যাল অ্যাটাক থেকে রক্ষার ব্যবস্থা।
- See more at: http://www.deshebideshe.com/news/details/73387#sthash.ObF0tv7R.dpuf

362
হজরত তালহা (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর দরবারে হাজির হয়ে এক ব্যক্তি জিহাদে অংশগ্রহণের আবেদন জানাল। নবীজী (সা.) জিজ্ঞেস করলেন, তোমার মা বেঁচে আছেন কি? লোকটি বলল, হ্যাঁ বেঁচে আছেন। রাসুল (সা.) বললেন, যথার্থভাবে তার সেবা করো, বেহেশত তার পদতলে। (বোখারি শরীফ)।

মে মাসের দ্বিতীয় রোববার আন্তর্জাতিক ‘মা দিবস’। অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও ৮ মে (রবিবার) যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হবে বিশ্ব মা দিবস। বিশ্বজুড়ে এই ‘মা দিবস’র উদযাপন, এটি আসে মূলত আমেরিকানদের হাত ধরে। ১৮৭০ সালে সমাজসেবী জুলিয়া ওয়ার্ড হো আমেরিকার নারীদের যুদ্ধের বিরুদ্ধে সংগঠিত হওয়ার আহ্বান জানান। সে সঙ্গে দিবসটিকে স্বীকৃতি দেওয়াার জন্য প্রচুর লেখালেখি করেন।

১৯০৫ সালে আনা জারভিস মারা গেলে তার মেয়ে আনা মারিয়া রিভস জারভিস মায়ের কাজকে স্মরণীয় করে রাখার জন্য সচেষ্ট হন। ওই বছর তিনি তার সান ডে স্কুলে প্রথম এ দিনটি মাতৃ-দিবস হিসেবে পালন করেন। ১৯০৭ সালের এক রোববার আনা মারিয়া স্কুলের বক্তব্যে মায়ের জন্য একটি দিবসের গুরুত্ব ব্যাখ্যা করেন। ১৯১৪ সালের ৮ মে মার্কিন কংগ্রেস মে মাসের দ্বিতীয় রোববারকে মা দিবস হিসেবে ঘোষণা করে।

এভাবেই শুরু হয় মা দিবসের যাত্রা। এরপর পৃথিবীর দেশে দেশে মা দিবসটি পালিত হয়ে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় আমেরিকার পাশাপাশি মা দিবস এখন বাংলাদেশসহ অস্ট্রেলিয়া, ব্রাজিল, কানাডা, চীন, রাশিয়া ও জার্মানসহ শতাধিক দেশে মর্যাদার সঙ্গে দিবসটি পালিত হচ্ছে। বাংলাদেশ, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডাসহ সারাবিশ্বের প্রায় ৬০টির মতো দেশে প্রতি বছর মে মাসের দ্বিতীয় রোববার একসঙ্গে মা দিবস পালিত হয়ে আসছে বহু যুগ ধরেই।

মা জাতি সম্মানি জাতি। মায়ের তুলনা একমাত্র মা। মাকে শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা জানানোর নির্দিষ্ট কোনো দিন নেই। মায়ের প্রতি ভালোবাসা প্রতি মুহূর্তের। সারাবছর মায়ের হক আদায়ে বেখবর, আর ৮ মে, ‘মা দিবস’ এলেই মায়ের প্রতি আবেগের ভালবাসা ঢেলে দেয়া অযৌক্তিক? বছরে একবার ঢোলঢাল পিঠিয়ে ভালবাসা প্রকাশ এটা ইসলাম সমর্থন করে না। মাকে ভালবাসতে হবে সমসময়ই। মাকে যথাযথ সম্মান ও ভালবাসার কথা স্বয়ং কুরআনুল কারীমে আল্লাহপাক নির্দেশ দিয়েছেন। মা পৃথিবির সবৃশ্রেষ্ট নেয়ামাত। পৃথিবীতে সন্তানের জন্য সর্বশ্রেষ্ট পাওয়া সম্পদ হলো মা। মা হচ্ছেন একজন সন্তানের পৃথিবীতে আসার মূল ও প্রধান উৎস এবং অস্তিত্ব ও বেঁচে থাকা থাকার একমাত্র অবলম্বন। মা শব্দটির কোনো বিকল্প নেই একজন সন্তানের কাছে। মায়ের মায়া-মমতার সাথে পৃথিবীর কোন কিছু তুলনা হয় না। মায়ের আদর এবং লালন পালনের কষ্ট সন্তান কোন দিন শোধ করতে পারবে না। শীত, তাপ, ক্ষুধা ও তৃষ্ণার জ্বালা যিনি সস্তানকে শৈশবে অনুধাবন করতে দেননি তিনি হলেন মা।

সন্তানের অসুখে যিনি সারারাত জেগে থাকেন, সন্তান বাড়ি থেকে বের হয়ে ফেরার আগ পর্যন্ত যার চোখে ঘুম আসে না, সন্তানের বিপদ-মছিবতে সকল সুখ শান্তি যিনি বিসর্জন করে সর্বোচ্চ ত্যাগ দিয়ে সন্তানের বিপদ মুসিবত অসুখসহ যাবতীয় সমস্যা মোকাবিলা করেন থাকেন তিনি হলেন সকলের প্রাণপ্রিয় মা। মা সন্তানের জন্য পৃথিবীতে একটি বেহেশতের ফোটা ফুল। যার কাছে রয়েছে অসীম স্নেহ-মায়া-মমতা, আদর-ভালবাসা আর সান্তনা। মায়ের মতো আপন এ জগতে আর কেউ নেই। মায়ের তুলনা একমাত্র জন্মধাত্রি মা। সন্তানের উপর ফরজ কর্তব্য হলো সর্বদা মাকে যথাযথ সম্মান ও খিদমত করা। সার্বিক বিষয়ে খোঁজ-খবর রাখা। শুধু বছরে একদিন মায়ের প্রতি আবেগের ভালবাসা নয়। এ প্রসঙ্গে মহান আল্লাহপাক বলেন, ‘তোমরা কেবলমাত্র তারই ইবাদত করবে এবং পিতা মাতার সাথে সদ্বব্যবহার করবে। যদি তাদের মধ্যে একজন কিংবা দুজনই তোমার নিকটে বৃদ্ধ বয়সে উপনিত হয়ে যান তখন তাদেরকে ‘উফ’ শব্দও বলবে না এবং তাদেরকে ধমও দিবে না। আর তাদের জন্য দয়ার মধ্য থেকে নম্রতার বাহু ঝুঁকিয়ে দাও। আর তাদের জন্য দোয়াস্বরপ একথা বলবে, রাব্বির হামহুমা কামা রাব্বায়ানী ছগীরা’। (হে আমার পালনকর্তা! তাদের দুজনের ওপর এরকম দয়া কর যেরকম তারা আমাকে ছোট বেলায় লালন পালন করেছিলেন) (-সুরা বনি ইসরাইল:২৩-২৪)

অন্যত্র আল্লাহপাক বলেন, ‘আমি মানুষকে বিশেষ তাগিদ দিয়েছি তার পিতামাতার সাথে সদয় ব্যবহার করার। তার মা তাকে (গর্ভে) রেখেছে এবং তাকে দুধপান ছাড়ানোর সময় দিয়েছে ত্রিশ মাস। পরিশেষে যখন সে পূর্ণশক্তিতে পৌছে যায় এবং চল্লিশ বছর বয়সে উপনীত হয় তখন সে যেন বলে হে আমার পালনকর্তা আপনি আমাকে শক্তি দান করুন যাতে আমি আপনার সেই সম্পদের কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে পারি যা আপনি আমাকে এবং আমার মাতাপিতাকে পুরষ্কার দিয়েছেন। আর আমি যেন এমন ভালো কাজ করতে পারি যা আপনি পছন্দ করেন। আর আমার সন্তান সন্তুতিদের মধ্যেও আপনি ওই যোগ্যতা দান করুন। আমি আপনার কাছেই ফিরে এসেছি এবং আমি আপনার কাছে আত্মসমর্পণকারিদের মধ্যেও রয়েছি। (সূরা আহক্বাফ: ১৫)

হজরত আবু হোরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, একদা এক সাহাবি রাসুল (সা.)-এর খেদমতে হাজির হয়ে প্রশ্ন করলেন, ইয়া রাসুল্লাহ (সা.)! আমি সর্বাগ্রে কার সঙ্গে সদাচরণ করব? ওাসুলুল্লাহ (সা.) উত্তয়ে বললেন, তোমার মা। সাহাবি আবার বলল, তারপর কে? তিনি বললেন, তোমার মা। সাহাবি আবার জিজ্ঞেস করল তারপর কে? উত্তরে তিনি বললেন, তোমার মা। সাহাবি আবার জিজ্ঞেস করল অতঃপর কে? রাসুলুল্লাহ (সা.) বললেন, তোমার বাবা। (বোখারি শরিফ)

হজরত তালহা (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর দরবারে হাজির হয়ে এক ব্যক্তি জিহাদে অংশগ্রহণের আবেদন জানাল। নবীজী (সা.) জিজ্ঞেস করলেন, তোমার মা বেঁচে আছেন কি? লোকটি বলল, হ্যাঁ বেঁচে আছেন। রাসুল (সা.) বললেন, যথার্থভাবে তার সেবা করো, বেহেশত তার পদতলে। (বোখারি শরীফ)।

শেষ কথা, মায়ের প্রতি শ্রদ্ধা, মায়া, মমতা, ভালোবাসা ও দায়িত্বশীলতা প্রদর্শন একটি বিশেষ দিনের জন্য নয়; বরং তা প্রতিদিনের জন্য। মায়ের প্রতি আনুগত্য, মায়ের খেদমত, মায়ের হক আদায় ও বৃদ্ধাবস্থায় সেবা-যত্ন করা এবং পরকালীন মুক্তির জন্য দোয়া ও মাগফিরাত কামনা করা আমাদের সবার একান্ত কর্তব্য। যাদের মাতা পিতা জীবিত নেই তাদের জন্য মাগফিরাত কামনায় বেশি বেশি তিলাওয়াত কুরআন, নফল নামাজ, দান সদকা ও দোয়া দুরুদ পাঠ করা সন্তানের কর্তব্য । মাতাপিতাকে রুহের মাগাফরাত কামনায় নফল নামাজ, কুরআন তিলাওয়াত, দান সদকা করা অতি উত্তম কাজ। মা আমাদের জন্য আল্লাহর এক বিরাট নেয়ামত। আমাদের উচিত এবং প্রধান কর্তব্য হলো জীবিত মা বাবার খেদমত এবং কবরবাসী মা-বার জন্য রাব্বির হামহুমা কামা রাব্বায়ানি ছগীরার মাধ্যমে সর্বদা দোয়া করা।

-মাওলানা এহসান বিন মুজাহির

363
ক্ষুধা কি শুধু শারীরিক অনুভূতি? একদমই না। সুস্বাদু কোন খাবার আমাদের চোখের সামনে আসলেও আমাদের খাওয়ার ইচ্ছা জাগে। স্বাস্থ্যকর ক্ষুধা স্বাস্থ্যের জন্য ভাল। কিন্তু যখন তখন ক্ষুধা লেগে যাওয়া বা খাওয়ার ইচ্ছা কখনও ভাল নয়।

ক্ষুধা বৃদ্ধি অস্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রা, স্ট্রেস, উদ্বিগ্নতা, হতাশা ইত্যাদি বিভিন্ন মানসিক কারণ জড়িত। হঠাৎ করে আপনার ওজন বৃদ্ধি শুরু হয়েছে। আপনি কি জানেন এই ক্ষুধা বৃদ্ধি অনেকখানি দায়ী আপনার ওজন বৃদ্ধির জন্য? এমন কিছু খাবার আছে যা আপনার পেটকে দীর্ঘক্ষণ ভরিয়ে রাখার পাশাপাশি আপনার ওজন হ্রাস করতে সাহায্য করে।

১। ওটস
সকালটা শুরু করুন এক বাটি ওটস দিয়ে। এটি সারাদিনের কাজের শক্তি দিয়ে থাকে। এটি ছয় সপ্তাহের মধ্যে আপনার কোলেস্টেরল মাত্রা ৫% পর্যন্ত কমিয়ে দেবে। শুধু তাই নয় দীর্ঘক্ষণ আপনার পেট ভরিয়ে দেবে এই একটি খাবার।

২। আপেল
আপেল দ্রবণীয় আঁশ সমৃদ্ধ খাবার যা অতিরিক্ত খাওয়া প্রতিরোধ করে। আপেলে ক্যালরির পরিমাণ কম পানির পরিমাণ বেশি হওয়ার কারণে এটি ওজন বৃদ্ধি না করে শরীরে এ্যার্নাজি বৃদ্ধি করে থাকে। দীর্ঘ সময় ক্ষুধা নিবারণের জন্য এই ফলটি বেশ কার্যকর।

৩। ডিম
প্রোটিনের অন্যতম উৎস ডিম। এতে থাকা গ্রেরলিন উপাদান ক্ষুধা নিবারণ করে থাকে। সিদ্ধ ডিম খাওয়ার চেষ্টা করুন।

৪। কলা
একটি মাঝারি আকৃতির কলায় সারাদিনের ভিটামিনের ৩০% পর্যন্ত পূরণ করে থাকে। এটি মস্তিষ্কে সেরোটোনিন নামক হরমোন উৎপাদন করে, যা মানসিক চাপ, উদ্বেগ হ্রাস করে থাকে। তাই সকালের নাস্তায় একটি কলা রাখুন।

৫। কাঠবাদাম
কাঠবাদামে মোনোস্যাচুরেটেড এবং পলিয়োনস্যাটিটেড নামক স্বাস্থ্যকর ফ্যাট রয়েছে যা অতিরিক্ত খাওয়া দমন করে থাকে। ২০০৬ সালে Obesity Society Annual Scientific Meeting করেছেন, কাঠবাদাম আপনার ওজন হ্রাস করতেও সাহায্য করে।

৬। গ্রিণ টি
চা খাওয়ার অভ্যাস থাকলে দুধ চায়ের পরিবর্তে গ্রিণ টি খাওয়ার অভ্যাস করুন। এর অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান দেহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। আপনার মেটাবলিজমের হারকে বৃদ্ধি করে রক্তচাপ নিয়মিত রাখে।

এছাড়া টকদই, পানি, মাশরুম, সবুজ শাক সবজি আপনার ক্ষুধা দীর্ঘক্ষণ নিবারণ করবে।

লিখেছেন- নিগার আলম

364
ঢাকা, ০৯ মে- কোথাও কোনো সমস্যা বা অভিযোগ থাকলে ছবি তুলে অ্যাপে দিয়ে দিলেই সমাধানের ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আনিসুল হক।

বৃহস্পতিবার বিকেলে ৪টায় রাজধানীর মিরপুর-১০ নম্বর এলাকায় ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের আঞ্চলিক অফিসে নিরাপদ পথখাবারের গাড়ি হস্তান্তর অনুষ্ঠানে এ কথা জানান তিনি।

আনিসুল হক জানান, আগামী ২৫ মের মধ্যে আসছে নতুন মোবাইল অ্যাপ। এর মাধ্যমে এক ক্লিকে ছবি তুলে তা অ্যাপে দিয়ে দিলেই উত্তর সিটি কর্পোরেশনের নজরে আসবে। নাগরিকদের জানানো সমস্যার সমাধানে তাৎক্ষণিকভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

তিনি আরও বলেন, কোথাও কোনো সমস্যা বা অভিযোগ থাকলে ছবি তুলে অ্যাপে দিয়ে দিলেই হবে। কারো নাম-ঠিকানা লাগবে না। আমরা সেই ছবি ট্র্যাক করে সমস্যা সমাধানের ব্যবস্থা নেব। তাছাড়া হকারদের জন্য আমরা কাজ করছি। আগামী চার সপ্তাহ বা একমাসের মধ্যে হকারদের জন্য মিরপুর-১০ নম্বরে উত্তর সিটি কর্পোরেশনের আঞ্চলিক কার্যালয়ের মাঠে হলিডে মার্কেট করা হবে।

মেয়র আনিসুল হক বলেন, ঢাকা শহরকে বদলানোর দায়িত্ব নিয়ে ঠিক এক বছর আগে প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে দায়িত্ব নিয়েছিলাম। এতো ছোট শহরে ১২ মিলিয়ন লোক বাস করেন। সুতরাং এর সমস্যাও বেশি। আমাদের চ্যালেঞ্জ অনেক বেশি। তারপরও আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। এই এক বছরে আমরা নানা পদক্ষেপ নিয়েছি। তারই পদক্ষেপ হিসেবে পথ খাবার বিক্রির গাড়ি হস্তান্তর করা হচ্ছে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) প্রতিনিধি ডেভিড দুলান বলেন, নিরাপদ পথখাবার সরবরাহের স্বার্থে বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করছে (এফএও)। সাধারণ মানুষের জন্য নিরাপদ খাদ্য তৈরির জন্য দক্ষ জনবল তৈরি করা হয়েছে। নিরাপদ খাদ্য তত্ত্বাবধানের জন্য মনিটরিং ব্যবস্থা রাখা হবে।

এফএও’র সহায়তায় এসব গাড়ি সরবরাহ করা হচ্ছে। প্রথম পর্যায়ে ৮২টি গাড়ি হস্তান্তর করা হয়। মোট ২৭৫টি খাবারের গাড়ি বিতরণ করা হবে। বাকি ১৯৩টি গাড়িও একমাসের মধ্যেই বিতরণ করা হবে।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মেসবাহুল ইসলাম। বক্তব্য দেন শাহিদা তারেক দিপ্তী এমপি প্রমুখ।
- See more at: http://www.deshebideshe.com/news/details/73394#sthash.Sr5pLGjL.dpuf

365
সারা দিন-রাত মিলে ২৪ ঘন্টায় ঠিক কয় ঘন্টা জেগে থাকেন আপনি? কী করেন এই সময়ে? ঘরের কাজ, অফিসের কাজ, বাইরের টুকিটাকি কাজ- নিশ্চয় সবমিলিয়ে এতগুলো কাজের ফিরিস্তি দেবেন এখন? কিন্তু সেটার আগে একবার হিসেব করে দেখুন তো প্রতিদিন মোট কতক্ষণ চেয়ারে বসে থাকা হয় আপনার? যদি পরিমাণটা বেশি হয় তাহলে আপনার জন্যেই রয়েছে একটি মারাত্মক দুঃসংবাদ। আর সেটি হচ্ছে এই যে, চেয়ারে বসে দিনের বেশিরভাগ সময় কাটানোটা আমাদেরকে কেবল আরামই দেয়না, সাহায্য করে নানারকম শারিরীক ঝামেলা থেকে শুরু করে মৃত্যু পর্যন্ত এগিয়ে যেতেও। কী করে? দি এক্সপার্টসের এক প্রতিবেদন অনুসারে, দীর্ঘসময় ধরে বসে থাকলে মানুষের শরীরে বেশকিছু ঝামেলা দেখা যেতে পারে। উদাহরনস্বরুপ-

১. হৃদপিন্ডের অসুখ
দীর্ঘসময় বসে থাকলে মাংসপেশীর নড়াচড়া কম হয় এবং ফ্যাট পোড়েনা। এছাড়াও রক্ত সঞ্চালনেও বেশ ঝামেলা তৈরি করে এটি। ফলে উচ্চ রক্তচাপ আর কোলেস্টরল বৃদ্ধির মতন ব্যাপার ঘটতে পারে এক্ষেত্রে যেটি কিনা কোনভাবেই হৃদপিন্ডের জন্যে ভালো কিছু নয়। দীর্ঘসময় বসে থাকেন এমন মানুষের অন্যদের চাইতে বেশি কার্ডিয়োভাসকুলার সংক্রান্ত রোগ-ব্যাধি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে বলে জানা যায়।

২. ডায়াবেটিস
আমাদের শরীরের অগ্ন্যাশয় শরীরের যতটা সম্ভব প্রয়োজনীয় ইনসুলিন উত্পন্ন করার চেষ্টা করে। তবে অতিরিক্ত সময় ধরে বসে থাকলে এই অগ্ন্যাশয়ই স্বাভাবিকের চাইতে অতিরিক্ত মাত্রার ইনসুলিন তৈরি করে। ফলে সেটা আমাদেরকে নিয়ে যায় ডায়াবেটিস থেকে শুরু করে আরো নানারকম জটিল রোগের দিকে।

৩. ক্যান্সার
গবেষকদের মতে, অত্যাধিক সময় বসে থাকলে সেটা আমাদের শরীরে ক্যান্সার কোষ জন্ম নেওয়ার ক্ষেত্রে সাহায্য করে। আর এক্ষেত্রে সবচাইতে বেশি এগিয়ে থাকে উদর, বক্ষ আর কোলন ক্যান্সার। অতিরিক্ত ইনসুলিন উত্পন্ন হলে কোষের আকৃতি বেড়ে যায়। ফলে সেখান থেকেও কিছু ঝামেলা সৃষ্টি হয়। যা কিনা ক্যান্সারকে ত্বরান্বিত করে।

৪. মাংসপেশির সমস্যা
অতিরিক্ত সময় বসে থাকলে খুব স্বাভাবিকভাবেই আপনার শরীরের মাংসপেশী কোন কাজ করবেনা আর ঘন্টার পর ঘন্টা কোনরকম নড়াচড়া ছাড়াই পড়ে থাকবে। এক্ষেত্রে বেম কিছু সমস্যা দেখা দিতে পারে। প্রথমত, এভাবে এক স্থানে অনেকক্ষণ নড়াচড়া ছাড়া বসে থাকার ফলে আপনার পশ্চাত্ অংশে কিছু ত্বক ও চামড়া সংক্রান্ত সমস্যা ও মাংসপেশীর সংকুচিত হয়ে যাওয়ার মতন ঝামেলা ঘটতে পারে। তাছাড়া স্বাভাবিক নড়াচড়া না করার ফলে একটা সময় মাংসপেশী বেশ দূর্বল ও স্বাভাবিক চলত্ শক্তিহীনও হয়ে যেতে পারে।

৫. পায়ের সমস্যা
বেশি সময় কোন গতি ছাড়া পা এক স্থানে রেখে দিলে সারা শরীরের সাথে পায়ের রক্ত সঞ্চালনের বেশ ঝামেলা সৃষ্টি হয়। ফলে একটা সময় প্যারালাইসিস, ঝিঁঝিঁ ধরা সহ নানারকম সমস্যা দেখা দিতে পারে। এছাড়া এটা সত্যি যে, পায়ের গাড়কে শক্ত ও মজবুত করার জন্যে দরকার পড়ে সেটার অনুশীলনের। কিন্তু বেশিরভাগ সময় স্থিরভাবে কোন কাজ ছাড়া থাকলে পায়ের হাড় নাজুক হয়ে পড়ে।

৬. অন্যান্য...
এসব নানাবিধ সমস্যা ছাড়াও মস্তিষ্কে ক্ষতিকর প্রভাব রাখতে পারে স্থিরভাবে আপনার এই দিনের বেশিরভাগ সময বসে থাকা। ঘাড়ে ব্যাথা, কাঁধে সমস্যা, মেরুদন্ডের হাড়ে সমস্যা- এ ধরনের ব্যাপারগুলো তো অনেক বেশিই স্বাভাবিক হয়ে ওঠে এই ক্ষেত্রে।

ভাবছেন, তা হলে কি বসাই যাবেনা এখন থেকে আর? না! তা কেন? তবে বসার মাঝে একটু একটু করে নিজেকে সমসয় দিন। একটু উঠে হাঁটাহাঁটি করুন, ব্যায়াম করুন। আর বসতে গেলেও নিজের মেরুদন্ডকে সোজা রেখে, হাতকে কনুই বরাবর সোজা রেখে বসুন। যাতে করে পরবর্তীতে ঝামেলা না হয়।

লিখেছেন- সাদিয়া ইসলাম বৃষ্টি

366
Fair and Events / DIU Inter-University T20 Cricket Tournament 2016
« on: May 09, 2016, 01:23:34 PM »
Daffodil International University is going to organize “DIU Inter-University T20 Cricket Tournament 2016” to be held during 20-30 May 2016 at DIU Permanent Campus Cricket Ground, Ashulia, Savar, Dhaka.

This is a T20 Format Cricket Tournament, will play between the students of different Universities.

Pages: 1 ... 23 24 [25]