Daffodil International University

IT Help Desk => Internet => Topic started by: arefin on January 26, 2015, 05:46:41 PM

Title: এখন মহাকাশ থেকে আসবে ইন্টারনেট! সুবিধা পাবে আরও ৩০০ কোটি মানুষ
Post by: arefin on January 26, 2015, 05:46:41 PM
(http://www.somoyerkonthosor.com/wp-content/uploads/2015/01/27173659305dd6ceb292a8bfa534ee28-2.-Google-Internet.jpg)

দীর্ঘদিন ধরেই মহাকাশ-সংক্রান্ত বিভিন্ন প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করছেন এলন মাস্কের প্রতিষ্ঠান স্পেস এক্স। এবার এই প্রতিষ্ঠানে ১০০ কোটি মর্কিন ডলার বিনিয়োগ করেছে গুগল ও ফিডেলটি। এই বিনিয়োগের মাধ্যমে স্পেস এক্সের ১০ শতাংশের মালিকানা পেয়ে গেল গুগল ও ফিডেলটি।

এত বড় বিনিয়োগ পাওয়ার পর কী করা হবে, সে বিষয়ে বিস্তারিত পরিকল্পনার কথা জানায়নি স্পেস এক্স। তবে প্রযুক্তি-বিশ্লেষকেরা বলছেন, স্পেস এক্সের প্রতিষ্ঠাতা এলন মাস্ক আগামী ১২ বছরের মধ্যেই মঙ্গল গ্রহে বসতি স্থাপন করতে চান। সেখানে একটি শহর গড়ে তোলার লক্ষ্যে স্পেস এক্স কাজ করছে। এ ছাড়া স্যাটেলাইট বা কৃত্রিম উপগ্রহের মাধ্যমে বিশ্বজুড়ে ইন্টারনেট সেবা দেওয়ার লক্ষ্যেও কাজ করছে এলন মাস্কের প্রতিষ্ঠানটি।
গুগল হঠাৎ কেন মহাকাশ প্রকল্পে এত বিনিয়োগ করছে? প্রযুক্তি-বিশ্লেষকদের মতে, স্পেস এক্সে বিনিয়োগ ছাড়াও প্রজেক্ট লুন নামে বেলুনের মাধ্যমে মহাকাশ থেকে ইন্টারনেট সেবা দেওয়ার আলাদা একটি প্রকল্প পরিচালনা করছে গুগল। প্রতিষ্ঠানটির দুই কর্ণধার ল্যারি পেজ ও সের্গেই বিন, এ দুজনেরই মহাকাশ প্রকল্প নিয়ে উৎসাহ বেশি। এ প্রকল্পে গুগলের লাভের পরিমাণও বেশি হবে। কারণ, মানুষ যত বেশি অনলাইনমুখী হবে, ইন্টারনেট সার্চ ইঞ্জিন ও ডিজিটাল অ্যাড নেটওয়ার্ক কাজে লাগিয়ে গুগলের মুনাফা করার সম্ভাবনা তত বেড়ে যাবে।
এক বিবৃতিতে গুগল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ‘মহাকাশভিত্তিক বিভিন্ন অ্যাপ্লিকেশন যেমন ইমেজিং স্যাটেলাইটের মতো প্রযুক্তির কল্যাণে মানুষ আরও সহজে ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারবে। গুরুত্বপূর্ণ তথ্য তাদের হাতের নাগালে আসবে। এ কারণে স্পেস এক্সে বিনিয়োগ করতে পেরে গুগল রোমাঞ্চিত। স্পেস এক্স মহাকাশে কৃত্রিম উপগ্রহ পাঠানোর নতুন প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করবে।’
স্পেস এক্সের সঙ্গে চুক্তিতে গুগলের ডোনাল্ড হ্যারিসন স্পেস এক্সের পরিচালনা বোর্ডে অন্তর্ভুক্ত হচ্ছেন।
বর্তমানে স্পেস এক্সের মহাকাশযান ব্যবহার করে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে রসদ সরবরাহ করা হচ্ছে।
স্পেস এক্স ছাড়াও সম্প্রতি মহাকাশে কৃত্রিম উপগ্রহ পাঠানোর আরেকটি প্রকল্প নিয়ে কাজ করছে ওয়ানওয়েব নামের একটি কৃত্রিম উপগ্রহ নির্মাতাপ্রতিষ্ঠান। সম্প্রতি এই প্রতিষ্ঠানটিতে বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে রিচার্ড ব্র্যানসনের ভার্জিন গ্রুপ এবং মার্কিন চিপ নির্মাতাপ্রতিষ্ঠান কোয়ালকম।

(http://www.somoyerkonthosor.com/wp-content/uploads/2015/01/946b41c2a4f2ed6c67371fec31bb97f7-1.-google_space_nyt.jpg)

মহাকাশ থেকে দ্রুতগতির ইন্টারনেট সুবিধা দেওয়ার প্রকল্প এটি। বার্তা সংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, সারা বিশ্বে ইন্টারনেট সংযোগ সুবিধা দিতে ৬৪৮টি কৃত্রিম উপগ্রহ মহাকাশে পাঠানোর পরিকল্পনা করছে ভার্জিন ও কোয়ালকম। বিশ্বের ৩০০ কোটি মানুষ এখনো ইন্টারনেট সুবিধার বাইরে। বিশ্বের প্রতিটি মানুষের কাছে সাশ্রয়ী খরচে ইন্টারনেট পৌঁছে দিতে এই প্রকল্প নিয়ে কাজ চলছে।
মহাকাশে এই কৃত্রিম উপগ্রহ পাঠানোর জন্য মহাকাশযান নির্মাতাপ্রতিষ্ঠান ভার্জিন বিশেষ স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ সেবা লাঞ্চারওয়ান তৈরি করছে। এ ছাড়া মহাকাশে পর্যটক পাঠানোর জন্য স্পেসস্পেস টু নামে একটি যান তৈরি করছে প্রতিষ্ঠানটি।
মহাকাশে কৃত্রিম উপগ্রহ বসাতে একসঙ্গে কাজ করছে স্পেস এক্স, গুগল ও ফিডেলটিওয়ার্ল্ডভু স্যাটেলাইট নামের প্রতিষ্ঠানটি বর্তমানে ওয়ানওয়েব নামে কার্যক্রম পরিচালনা করছে। মহাকাশে কৃত্রিম উপগ্রহ পাঠানোর বিষয়ে সম্ভাব্য নির্মাতা, সরবরাহকারীসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রধানদের প্রস্তাব বিবেচনা করে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ওয়ানওয়েবের প্রধান নির্বাহী গ্রেগ ওয়েলার।
মহাকাশে এই কৃত্রিম উপগ্রহ পাঠাতে ১৫০ কোটি থেকে ২০০ কোটি মার্কিন ডলার খরচ হবে। বিশ্বজুড়ে দ্রুতগতির ইন্টারনেট ও টেলিফোন সেবা দেওয়াই এর কাজ হবে।
ওয়ানওয়েবের তৈরি এই কৃত্রিম উপগ্রহগুলোর একেকটির ওজন হবে ১৩৬ কেজি, যা পৃথিবী থেকে ৭৫০ মাইল দূরে অবস্থান করবে।
ওয়ানওয়েব কর্তৃপক্ষ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ওয়ানওয়েব সিস্টেম বিশ্বজুড়ে মোবাইল অপারেটরদের জন্য নেটওয়ার্ক সেবা দেবে, যাতে প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের কাছেও মোবাইল সেবা দেওয়া সম্ভব হবে।
ভার্জিন গ্যালাকটিকের প্রধান নির্বাহী রিচার্ড ব্র্যানসন বলেন, ‘যেসব এলাকায় ইন্টারনেট সংযোগ দেওয়া অসম্ভব বলে মনে করা হতো, সেই ৩০০ কোটি মানুষের কাছেও পৌঁছে যাবে ইন্টারনেট।