Show Posts

This section allows you to view all posts made by this member. Note that you can only see posts made in areas you currently have access to.


Messages - chhanda

Pages: 1 2 3 [4] 5 6 ... 20
46
Food Habit / রোগ প্রতিরোধে চিংড়ি
« on: December 12, 2014, 05:03:50 PM »
চিংড়ি মাছ প্রায় সবারই বেশ পছন্দের। কিন্তু এটি শারীরিক বিভিন্ন সমস্যা দূর করতে যে ভীষণ কার্যকরী, তা হয়ত অনেকের জানা নেই। চিংড়ির আছে আসাধারণ কিছু ক্ষমতা, জেনে নিন সেগুলো।

 

১. চিংড়ি মাছে প্রায় ৫৭% সেলেনিয়াম থাকে। মাত্র ১০০ গ্রাম চিংড়ি মাছ থেকে অনেকটা সেলেনিয়াম পাওয়া সম্ভব। ইন্সটিটিউট অব ফুড রিসার্চের গবেষকদের মতে, এই সেলেনিয়াম দেহে ক্যান্সারের কোষ গঠনে বাঁধা প্রদান করে থাকে। চিংড়ি মাছের এই সেলেনিয়ামের সঙ্গে ব্রকোলি, পাতাকপি, ফুলকপির সালফোরাফেইনের মিশ্রণ এই প্রতিরোধ আরো বাড়িয়ে তোলে।

 

২. চিংড়ি আমাদের দেহের ভিটামিন বি১২ এর চাহিদা প্রায় ২৫ শতাংশ দূর করে এবং দেহের রক্তের হিমোগ্লোবিনের মাত্রা অর্থাৎ রক্তের লাল কণিকা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। এতে রক্তস্বল্পতা দূর হয়।

 

৩. অনেকেই বিভিন্ন সময়ে শারীরিক দুর্বলতায় ভোগেন। এর অন্যতম কারণ শরীরে আয়রণের ঘাটতি। চিংড়ি শরীরে প্রায় ১৭ শতাংশ আয়রনের ঘাটতি পূরণ করতে পারে। এতে শারীরিক দুর্বলতা কেটে যায়।

 

৪. চিংড়িতে প্রায় ১৪ শতাংশ  ফসফরাস রয়েছে। এটি দেহের ফসসরাসের চাহিদা পূরণ করে যা হাড়ের ক্ষয় রোধ করে ও হাড়কে মজবুত করতে  বিশেষভাবে কাজ করে।

 

৫. মানুষের মোটা হয়ে যাওয়ার পিছনে অন্যতম দায়ী মেদের পরিমাণ বৃদ্ধি। চিংড়িতে রয়েছে প্রায় ১৩ শতাংশ নিয়াসিন যা ফ্যাট, কার্বোহাইড্রেট ও প্রোটিনকে শক্তিতে পরিণত করে ও শরীরে ফ্যাট জমতে বাধা দেয়।

 

৬. মাত্র ১০০ গ্রাম চিংড়ি মাছে  রয়েছে  প্রায় ৩৪৭ মিলিগ্রাম ওমেগা৩ ফ্যাটি অ্যাসিড। গবেষকদের মতে, এই ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড মস্তিষ্কে সেরেটেনিন উৎপন্ন করে যা বিষণœতা দূর করতে সাহায্য করে।

 

৭. গবেষণায় দেখা গেছে, মূত্রথলি সংক্রান্ত নানা রোগ ও ইনফেকশন থেকে আমাদের রক্ষা করতে সাহায্য করে জিঙ্ক। এমনকি  এটি মূত্রথলির ক্যান্সারের হাত থেকেও রক্ষা করে। চিংড়ি মাছের ১০০ গ্রামে পাওয়া যায় ১০-১৫ মিলিগ্রাম জিঙ্ক যা মূত্রথলিকে সুস্থ রাখে।

 

৮. চিংড়ি মাছে রয়েছে  প্রায় ১০ শতাংশ  কপার যা আমাদের থাইরয়েড গ্রন্থির কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং থাইরয়েড হরমোনের মাত্রা ঠিক রাখতে সহায়তা করে।

 

৯. চিংড়িতে রয়েছে ৮ শতাংশ ম্যাগনেসিয়াম। গবেষণায় দেখা যায়, ম্যাগনেসিয়াম টাইপ-২ ডায়বেটিসের হাত থেকে রক্ষা করে। এটি রক্তে চিনির মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।

 

১০. চিংড়ি মাছ আমাদের দেহের প্রায় ৪২ শতাংশ পর্যন্ত প্রোটিনের চাহিদা পূরণ করতে সক্ষম। এতে ত্বক, চুল এবং নখ সুরক্ষিত থাকে।  এই প্রোটিনের চাহিদা পূরণ না হলে দামি ব্যান্ডের কোনো প্রোডাক্টের মাধ্যমেও ত্বক, চুল ও নখের সুরক্ষা সম্ভব নয়।

 

সূত্র : ইন্টারনেট
- See more at: http://www.dailynayadiganta.com/details.php?nayadiganta=OTMyOTQ%3D&s=MzE%3D#sthash.x8B5dIvF.dpuf

48
like it

49
thank u for the instructive post maam

50
instructive post... thank u sagir

51
interesting post

53
 পেটের মেদ নিয়ে দুশ্চিন্তা? সেটা আজকাল কমবেশি সবারই আছে। আর পেটের মেদ এমন একটা বস্তু যে প্রত্যেক ইঞ্চি ইঞ্চিও দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। ব্যায়াম করে, নানা রকম ওষুধ খেয়েও ফল পাচ্ছেন না? ওজন তো কমছে, কিন্তু পেটের মেদ কমছে না? তাহলে আজ থেকে বদলে ফেলুন আপনার নিজেরই কিছু বদ অভ্যাস। এই অভ্যাসগুলো পেটের মেদ বৃদ্ধি, তথা ভুঁড়ি হবার মূল কারণ। দূর করুন এই অভ্যাসগুলো, মাত্র ৭ দিনেই ফল পাবেন। দেখবেন সুন্দর মত কমতে শুরু করেছে আপনার ভুঁড়ি।

দ্রুত খাওয়ার অভ্যাসটা ছাড়তে হবে
তাড়াতাড়ি খেলে কী হয়? খাওয়া বেশি হয়ে যায়। আপনি যেটুকুই খান না কেন, মূলত খেতে শুরু করার ১৫/২০ মিনিট পর মস্তিষ্ক সিগনাল দেয় ভরপেট খাওয়া হয়েছে। তাই দ্রুত খেলে পেট ভরলেও মন ভরে না, ফলে অনেক খাওয়া হয়। আর বলাই বাহুল্য যে এই বাড়তি খাওয়া একসাথে হজম হতে পারে না, সোজা গিয়ে জমে মেদ হিসাবে। আস্তে আস্তে সময় নিয়ে চিবিয়ে খান।
চা-কফিতে পরিবর্তন

দুধ ও চিনি ছাড়া চা-কফি পান করুন। সবচাইতে ভালো হয় এসব বাদ দিয়ে গ্রিন টি পান করলে। গ্রিন টি ওজন কমাতে ও হজম ক্ষমতা বাড়াতে দারুণ সহায়ক।
ঘুমের আগে খাওয়া

খাওয়ার পরপরই ঘুমিয়ে যান? এই অভ্যাস আজ থেকে একদম বাতিল। খাওয়ার অন্তত ৩ ঘণ্টার আগে মোটেও ঘুমাতে যাবেন না।
সাদা তিনটি খাবার একদম বাদ

সাদা চাল, সাদা আটা/ময়দা ও সাদা চিনি- এই তিনটি খাবার একদম বাদ দিয়ে দিন। বদলে খান লাল চা, লাল আটা। চিনির বদলে খান সুগার ফ্রি।
কোমল পানীয় একদম বাদ

যত ধরণের কোমল পানীয় ও শরবত আপনার প্রিয়, সেই সমস্ত কিছু বাদ দিয়ে দিন। বদলে পান করুন তাজা ফলের রস। তবে কেনা নয়, ঘরে তৈরি।
প্যাকেটজাত সবকিছু থেকে দূরে থাকুন

প্যাকেটে ভরা বিস্কুট হোক বা চিপস, বাদাম হোক বা জুস ইত্যাদি সব কিছুই আজ থেকে বাদ দিয়ে দিন খাদ্য তালিকা থেকে। খিদে পেলেই একটা প্যাকেট খুলে বসবেন না।
একটা প্রিয় অনুষ্ঠান বাদ দিন

হ্যাঁ, একদম ঠিক বলছি। সময় নেই ব্যায়াম করার? একটা টিভি অনুষ্ঠান দেখা বাদ দিয়ে সেই সময়টা হাঁটুন আর গান শুনুন। ভুঁড়ি না কমে যাবে কই?

54
Body Fitness / দ্রুত মেদ কমানোর উপায়
« on: December 09, 2014, 03:36:13 PM »
আমাদের অনেকের-ই খুব দ্রুত ফ্যাট বার্ন করার ইচ্ছে হয়। মনে হয়, ইশ! যদি তাড়াতাড়ি মেদ কমাতে পারতাম, তাহলে কতই না ভালো হতো। শরীরের অতিরিক্ত মেদটুকু ঝরাতে পারলে ঐ শাড়িটা বা এই পোশাকে আরও ভালো লাগতো, নিজের কাছেও এবং অন্যের কাছেও। কথায় বলে ইচ্ছে থাকলে উপায় হয়। তাহলে এর- ও নিশ্চয়ই কোন না কোন উপায় রয়েছে। এই বিষয়টাই আজ আপনাদের জানাবো।

ফ্যাট বার্ন করার বিষয়টাকে দুটো শিরোনামে ভাগ করতে পারি। একটি হলো ব্যায়াম বা এক্সারসাইজ,অপরটি খাদ্যাভ্যাস নিয়ন্ত্রণ করা। এ দুটো যদি নিয়মিত করা যায়, তবেই কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জন করা সম্ভব।

ক) ব্যায়ামঃ

প্রতিদিন-ই ব্যায়াম করা কাজের কথা নয়। সপ্তাহে ৪ দিন করাই যথেষ্ট। ছোটখাটো ব্যায়াম, যেগুলো কোন রকম যন্ত্রপাতি ছাড়াই করা সম্ভব-এই ফ্রি হ্যান্ড এক্সারসাইজ গুলো খুব উপকারী।

১) দ্রুত হাঁটাঃ

হাঁটার কথা তো সবসময়ই শোনা যায়। কিন্তু দ্রুত মেদ কমাতে হাঁটায় একটু বৈচিত্র্য আনতে হবে। প্রথমেই ওয়ার্ম আপ করে নিয়ে ৫ মিনিট দ্রুত হাঁটুন, তারপর ৩০ সেকেন্ড এর বিরতি, এই ৩০ সেকেন্ড আস্তে আস্তে হাঁটুন। এভাবে কয়েকবার করতে হবে। প্রথম প্রথম ২০ মিনিট করুন, তারপর আস্তে আস্তে ৫০ মিনিট থেকে ১ ঘণ্টা পর্যন্ত করতে পারেন। এই ব্যায়ামে ১ মাসে ১৩ পাউন্ড পর্যন্ত ওজন কমতে পারে।

২) পুশ আপঃ

এই ব্যায়ামটাও আমাদের খুব পরিচিত। উপুড় হয়ে দেহের ভার হাত আর পায়ের পাতার উপর দিয়ে, একবার নীচে নামুন, আরেকবার উপরে তুলুন। এতে অভ্যস্ত হয়ে গেলে এক পা উপরে তুলে তিনবার করুন, পরবর্তী তিনবার অপর পা উপরে তুলে পুশ আপ করুন।

৩) স্ট্যান্ডিং বার্ড ডগ ব্যায়ামঃ

নাম দেখেই বুঝতে পারছেন, ব্যায়ামটা কেমন হবে। প্রথমে ডান পায়ে ভর দিয়ে দাঁড়ান, তারপর বাম পা টি ধীরে ধীরে বুকের কাছে তুলে আনুন। ২ সেকেন্ড পর বাম পা পেছন দিকে, আর দুই হাত উপরে তুলে ধরুন। এটা শেষ হলে বাম পায়ে ভর দিয়ে ডান পা দিয়ে ব্যায়ামটি করুন।

২ আর ৩ নং ব্যায়াম এর মাধ্যমে ২ মাসে ২২ পাউন্ড পর্যন্ত ওজন কমতে পারে।

৪) বারপি ব্যায়ামঃ

দুই পা একসাথে রেখে দুই হাত মাথার উপরে তুলুন। তারপর ধীরে ধীরে হাত নামিয়ে মাটিতে রাখুন, দুই হাত দুই পায়ের দুই পাশে। এবার প্রথমে বাম পা পেছনে বর্ধিত করুন, তারপর বাম পা আগের অবস্থায় এনে ডান পা পেছনে বাড়ান। তারপর আবার দাঁড়িয়ে দুই হাত মাথার উপরে তুলুন। এভাবে কয়েকবার করুন।

৫) সাইড প্লাঙ্ক ব্যায়ামঃ

ডান হাত এবং ডান পায়ের কিনার এর উপর ভর দিয়ে আপনার দেহটি শুন্যে তুলে ধরুন, যেন কাঁধ, কোমর আর পা একই লাইনে থাকে। এবার বাম হাতটি উপরে তুলে ধরুন। কিছুক্ষণ পর পার্শ্ব বদল করে নিন।

side-plank

খ) খাদ্যাভ্যাসঃ

১) গ্রিন টিঃ

গ্রিন টি সম্পর্কে সবাই কম বেশি জানেন। অতিরিক্ত মেদ ঝরাতে এর কোন জুড়ি নেই। মেটাবোলিজমের হার বাড়িয়ে বাড়তি মেদ জমতেও দেয় না।


২) আয়রনঃ

আয়রন এর অভাব হলে অক্সিজেনের অভাব হয়। তখন মেটাবোলিজমের হার-ও কমে যায়। এজন্য আয়রন খাওয়া খুব-ই জরুরী। কচু শাকে, কলায় প্রচুর আয়রন আছে। প্রয়োজনে আয়রন ট্যাবলেট-ও খাওয়া যেতে পারে।

৩) পানিঃ

পানি পান না করে তো বাঁচা যায় না, কিন্তু পানি যে ওজন-ও কমায়, এটা হয়তো অনেকেই জানি না। এখন দিনে আপনি যতটা পানি পান করেন তার চেয়ে যদি দেড় লিটার প্রতিদিন বেশি পান করেন, তবে বছরে ১৭,৪০০ অতিরিক্ত ক্যালরি বার্ন করা সম্ভব।

৪) দুধ জাতীয় খাবারঃ

দুধ এবং দইজাতীয় খাবার বেশি খেতে হবে। এতে যে ক্যালসিয়াম থাকে, তা ফ্যাট বার্ন করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তবে চিনি এড়িয়ে চলুন।

৫) মাছঃ

বেশি করে মাছ খান, কারণ মাছ খাওয়ার দরুন লেপ্টিন নামক হরমোন এর লেভেল কমে যায়। লেপ্টিন হরমোন বেশি থাকলে মেদ বাড়ার প্রবণতা থাকে।

৬) পিনাট বাটারঃ

অবাক হয়ে ভাবছেন,বা টার কেন খাবেন? ব্যাপারটা হলো এই বাটারে প্রচুর পরিমাণে ম্যাগনেসিয়াম থাকে। আর এ কারণে আপনার মেটাবোলিজমের হার-ও বাড়িয়ে দেয়। ইচ্ছে করলে আপনি শুধু চিনাবাদাম-ও খেতে পারেন। ৩২০ মিলিগ্রাম ম্যাগনেসিয়াম-ই প্রতিদিন যথেষ্ট।

৭) সকালের নাস্তাঃ

অনেকেই মেদ ঝরাতে সকালে না খেয়ে থাকেন। এটা কখনোই করবেন না। সকালে না খেলে মেটাবোলিজমের হার অনেক কমে যায়। তাই ফ্যাট-ও বার্ন হয় না।

৮) প্রোটিনঃ

প্রোটিন জাতীয় খাবার প্রতি বেলাতেই কিছু না কিছু খেতে হবে। এতে করে মেটাবোলিজমের হার বেড়ে যায়।

৯) স্টার্চঃ

স্টার্চ জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলুন। রিফাইন্ড ময়দা, সাদা চাল, আলু এগুলো এড়িয়ে চলুন। ব্রাউন আটা খেতে পারেন। কার্বোহাইড্রেট বাদ দেয়া যাবে না। কার্বোহাইড্রেট এর চাহিদা পূরণ করবেন শাকসবজি, ডাল, ব্রাউন আটা এগুলো থেকে।

গ) অন্যান্যঃ

আরও কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে দ্রুত মেদ ঝরাতে আর বাড়তি মেদ না জমতে দিতে। যেমন-

১) আপনার মেটাবোলিজমের হার কম মনে হয় যদি, সেক্ষেত্রে চিকিৎসকের সাহায্য নিন। আপনার থাইরয়েড গ্রন্থির পরীক্ষা করে নিশ্চিত হোন।

২) যতটা পারেন স্ট্রেস এড়িয়ে চলুন। স্ট্রেস কন্ডিশনে করটিসল হরমোন বাড়ে। ক্ষুধা বাড়ে, মেটাবোলিজমের হার কমে। তাহলে মেদ তো জমবেই। তাই সবসময় হাসিখুশি থাকুন, দরকার হলে ম্যাডিটেশন করতে পারেন।

৩)  দৈনিক যে খাবারগুলো খাবেন, সেগুলো একবারে না খেয়ে বার বার করে অল্প অল্প করে গ্রহণ করুন। এতে করে আপনার ব্রেনকে ফাঁকি দেয়া হবে, তখন আপনার মেটাবোলিজমের হার-ও বাড়তেই থাকবে। একটি রুটিন করে নিয়ে তা ফলো করতে পারেন। যেমন-

সকাল ৮টা – নাস্তা

সকাল ১১ টা – হালকা স্ন্যাকস

দুপুর ১টা – দুপুরের খাবার

বিকাল ৪টা – হালকা খাবার

রাত ৯টা – ডিনার

রাত ১০/১১টা – এক গ্লাস দুধ।

এভাবে আপনার রুটিন আপনার পছন্দ অনুজায়ী বানিয়ে নিতে পারেন। লক্ষ্য করুন, এই রুটিনে সকালের দিকে বেশি খাবারের তালিকা দেয়া হয়েছে। কেননা সারা রাত ঘুমের পর মেটাবোলিজমের হার খুবই কম থাকে।

৪) পর্যাপ্ত ঘুমঃ

পর্যাপ্ত ঘুম না হলে স্ট্রেস হরমোন আর ইনসুলিন লেভেল বাড়ে। মেটাবোলিজমের হার-ও কমে। তাই নিয়মিত পর্যাপ্ত ঘুমের অভ্যাস করুন।

এভাবেই আপনি খুব সহজে বাড়তি মেদ ঝরিয়ে ফেলতে পারবেন।

55
জীবনে চলার পথে আর্থিক সংকট দেখা দিতেই পারে। জীবন সবসময় একইরকম ভাবে চলেনা। খারাপ ও ভাল দুটি সময়ই আমাদের জীবনে আসতে পারে। আর জীবনে ভাল করে চলতে গেলে প্রয়োজন অর্থের। কিন্তু জীবনে চলার পথে যদি দেখা দিয়ে থাকে আর্থিক সংকট, তখন বিষণ্ণতায় ডুবে না গিয়ে পজিটিভ মানসিকতা নিয়ে মোকাবেলা করুন এই দুঃসময়ের। অবশ্যই জয়ী হবেন। জেনে নিন এমন সময়ে কী করতে পারেন আপনি।

১। দৈনন্দিন জীবনের প্রয়োজনীয় ও অপ্রয়োজনীয় খরচের একটি তালিকা বানিয়ে ফেলতে পারেন। তালিকা বানানোর সময় পরিবারের সকলকে সেখানে উপস্থিত থাকতে বলুন। অপ্রয়োজনীয় খরচ কমিয়ে দিতে সবাইকে বলুন, তবে উত্তেজিত হয়ে না ঠাণ্ডা মাথায়। যারা ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করেন তাঁরা আর্থিক সংকট চলাকালীন সময়ে কার্ড ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকাই উত্তম কাজ হবে।

২। আপনার যদি ব্যাংকে কোন ডিপিএস থাকে সেই ক্ষেত্রে ব্যাংকের কতৃপক্ষের সাথে কথা বলে নিন আপনার সমস্যা সম্পর্কে। কারণ যেহেতু আপনি এখন আর্থিক সমস্যায় আছেন স্বাভাবিক ভাবেই ব্যাংকের একাউন্টটে টাকা জমা রাখতে আপনার সমস্যা হবে, তাই আগেই ব্যাংক কতৃপক্ষকে জানিয়ে রাখলে আপনার জন্যই ভাল। চেষ্টা করবেন একেবারে ঠেকায় না পড়লে সঞ্চয়টি না ভাঙার জন্য।

৩। বাড়িতে চুপচাপ বসে না থেকে নিজেকে কোন না কোন কাজে ব্যস্ত রাখুন। যদি চাকরি হারিয়ে থাকেন তখন সেই সময়টুকু পরিবারকে সঙ্গ দিন। অযথা মন খারাপ করে বসে থাকলে তা আপনার জন্য ক্ষতিকর এবং এই সময়টিতে উচিত পুরো পরিবারের উচিত মিলেমিশে একে অপরকে যতটা সম্ভব সাহায্য করা।

৪। মনে রাখবেন, আর্থিক সমস্যা জীবনে হতেই পারে। তাই সঞ্চয়ী হওয়া খুব প্রয়োজন। তাহলে যখন যে মুহূর্তে আপনি কোন আর্থিক সমস্যায় পড়বেন, তখন সঞ্চয়ের টাকাই আপনাকে সমস্যা কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করবে।

৫। খুব সমস্যায় পড়লে আত্মীয়-স্বজনদের কাছ থেকে আর্থিক সাহায্য নিতে পারেন। তবে খুব সত্যি কথাটি হল বিপদের সময় অনেক আত্মীয়ই পিছিয়ে যান। তাই বলে সবাই না, কাউকে না কাউকে ঠিকই পাশে পাবেন। আপনাকে যে সাহায্য করবে তাঁর অর্থ যতটা দ্রুত সম্ভব ফিরিয়ে দেয়ার চেষ্টা করুন যেন আপনার প্রতি আত্মীয়ের সহানুভূতি থাকে এবং অন্য কোন সময় বিপদে তাঁর কাছ থেকে সাহায্য নিতে পারেন।

সূত্র: প্রিয় লাইফ

56
এক রাতের মধ্যে কেউ স্মার্ট হয়ে যান না। সচেতনভাবে প্রতিদিনের চর্চার মাধ্যমে আপনি স্মার্টনেসকে অভ্যাসে পরিণত করে ফেলতে পারেন আপনি। প্রতিদিনই কীভাবে নিজেকে একটু স্মার্ট করে তুলতে পারেন তা নিয়ে ২৩টি পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। এগুলো একটু দেখে নিন।

১. যেকোনো নতুন ১০টি বিষয় প্রতিদিন চিন্তা করে বের করুন। মূলত যতক্ষণ নিজের মস্কিষ্কের কোষগুলোকে এসব চিন্তায় ব্যস্ত রাখবেন আপনার ততোই লাভ।

২. প্রতিদিনই পত্রিকা পড়ুন। পৃথিবীর চারদিকে কোথায় কী ঘটছেন তার খবর রাখুন। এটা আপনাকে জ্ঞান দেবে।

৩. সম্প্রতি যা শিখেছেন তা নিয়ে চিন্ত-ভাবনা করুন। এর পক্ষে-বিপক্ষে যুক্তি তুলে ধরুন এবং বিশদ ব্যাখ্যার চেষ্টা করুন।

৪. ফিকশন বা নন-ফিকশন বইয়ের যেকোনো একটি অধ্যায় পড়ার চেষ্টা করুন। এর মাধ্যমে প্রতি দিনই নতুন কিছু শিখছেন এবং একইসঙ্গে নতুন পাঠকদের সঙ্গে সখ্যতা গড়ে উঠবে।

৫. শুধু বিনোদনমূলক টেলিভিশন অনুষ্ঠান দেখার চেয়ে শিক্ষামূলক ভিডিওচিত্র দেখুন। তাতে শেখার অনেক বিষয় রয়েছে।

৬. মজার এবং অদ্ভুত বিষয়ে তথ্য দেয় এমন ওয়েবসাইটে রেজিস্ট্রেশন করুন। বিজ্ঞান, সমাজ, প্রকৃতি ইত্যাদি বিষয়ে এসব তথ্য দেখুন।

৭. প্রিয় জ্ঞান-বিজ্ঞান বিষয়ে তথ্যের উৎসগুলো পর্যবেক্ষণ করুন। প্রতিদিন এক পলক চোখ বুলান।

৮. যা শিখছেন তা অন্যদের সঙ্গে শেয়ার করুন। যদি এমন কাউকে পান যিনি আলোচনা করতে চান, তবে তা মিস করবেন না।

৯. দক্ষতা অর্জনে দুটো তালিকা করুন। একটি বর্তমান কাজের প্রয়োজনে এবং অপরটি ভবিষ্যতে যে সব বিষয়ে শিখতে চান।

১০. যা যা করেছেন তার একটি তালিকা করুন। এতে নিজের জ্ঞান সম্পর্কে ওয়াকিবহাল থাকবেন আপনি। আরো শেখার উৎসাহ বাড়বে।

১১. যা যা শিখছেন তথ্য আকারে তা লিখে ফেলুন। তাহলে তথ্যটি স্থায়ীভাবে মাথায় ঢুকে যাবে। এগুলো যেকোনো ব্লগে বা নোটপ্যাডে লিখে রাখতে পারেন। অন্যের সঙ্গে শেয়ার করতে পারেন।

১২. মানসিক স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে প্রতিদিন মেডিটেশন করুন এবং ব্যায়াম করুন। এতে যেকোনো কঠিন বিষয়ে মনটাকে শান্ত এবং সবল রাখতে সহজ হবে।

১৩. অনলাইনে যেকোনো জরপ্রিয় কোর্স করুন। দক্ষতা বৃদ্ধিসহ সিভি বেশ ভারী হবে। মনের মতো চাকরি সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বিভিন্ন কোর্স করতে পারেন।

১৪. এমন কারো সঙ্গে কথা বলুন যার সঙ্গে কথা বলার আগ্রহ রয়েছে আপনার। তাদের চিন্তা-ভাবনা সম্পর্কে জানার চেষ্টা করুন।

১৫. আপনার চেয়ে স্মার্ট এবং বিজ্ঞ মনে হয় এমন মানুষের সঙ্গ লাভের চেষ্টা করুন। তাদের কাছে থেকে নিজের স্মার্টনেসকে ঝালাই করে নিতে পারবেন।

১৬. নিজের মনের যে সব প্রশ্ন রয়েছে সেগুলো নিয়ে চিন্তা করুন। নিজেই উত্তর বের করার চেষ্টা করুন।

১৭. ভোকাবুলারি বাড়ানোর জন্য প্রতিদিন কিছু নতুন শব্দ শিখুন। এগুলো এক সময় আপনাকে আইএলটিএস বা এসএটি বা জিআরই পরীক্ষার জন্য প্রস্তুত করে দেবে।

১৮. ভয়ের কিছু করুন। যে সব পরিস্থিতিতে আমরা ভড়কে যায় সে সব পরিবেশের অভিজ্ঞতা ভবিষ্যতে কাজে দেবে। এ ছাড়া রোমাঞ্চকর অনুভূতি পাবেন এসবের মাধ্যমে।

১৯. নতুন কোনো এলাকা বা স্থানে ঘুরতে যান। অন্তত আপনার বাসস্থানের আশপাশের কোনো স্থান একটু দেখে আসুন।

২০. স্মার্ট গেম খেলুন। দাবা বা এ ধরনের গেম খেলুন। চ্যালেঞ্জ নিয়ে এসব গেম খেলুন।

২১. কিছু সময় বাঁচিয়ে বিশ্রাম করুন। এ সময়টিতে কিছুই করবেন না। এতে মানসিক শান্তিসহ দৈহিক শক্তি ফিরে পাবেন।

২২. উৎপাদনশীল কোনো শখ গড়ে তুলুন। প্রতিদিন এর পেছনে কাজ করতে পারেন। সেলাই থেকে শুরু করে মাছ ধরাও এর মধ্যে পড়তে পারে।

২৩. যা শিখেছেন যা বাস্তবজীবনে বাস্তবায়িত করার চেষ্টা করুন। নতুন যন্ত্র বাজানো বা নির্দিষ্ট কোনো কাজ করার পদ্ধতি বই বা অনলাইনে শিখে থাকলে তা নিজে করে দেখার চেষ্টা করুন।

সূত্র: কালেরকণ্ঠ

57
কর্মক্ষেত্রে থেকে ক্লান্ত-অবসন্ন হয়ে আমরা বাসায় ফিরি। গোটা দিনে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করা, বসদের চাহিদা পূরণ করা অথবা সহকর্মীদের সঙ্গে মানিয়ে চলার পেরেশানির পর আপনার আর কী অবশিষ্ট থাকে? স্ট্রেস কমানোর জন্য বহু বিশেষজ্ঞের পরামর্শ ইতিমধ্যে নিয়েছেন নিশ্চয়ই। কিন্তু নতুন এক গবেষণায় বলা হয়েছে, দম্পতিদের মধ্যে কর্মজীবী মানুষটি বাড়ি ফেরার সঙ্গী বা সঙ্গিনীই তার স্ট্রেস কমিয়ে দিতে পারেন।

ইউনিভার্সিটি অব মন্ট্রিল এর স্কুল অব ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিলেশনস এর প্রফেসর অ্যালাইন মারচান্ড বলেন, প্রতিদিনের কর্মজীবনের স্ট্রেস আরো বেড়ে যাবে নাকি কমবে তা নির্ভর করে কর্মস্থল থেকে ফেরার পর অন্য মানুষের সঙ্গে তিনি কেমন সময় কাটাবেন তার ওপর। তাই দিনের কাজের স্ট্রেস কমিয়ে উৎপাদনশীলতা আরো বাড়াতে সঙ্গী বা সঙ্গিনীর সঙ্গে স্বাস্থ্যকর সম্পর্ক বজায় রাখাই যথেষ্ট।

ইউনিভার্সিটি অব মন্ট্রিল এবং কনকর্ডিয়া ইউনিভার্সিটির গবেষকরা ৫৩টি প্রতিষ্ঠান থেকে ১ হাজার ৯৫৪ জন কর্মীর ওপর গবেষণা চালিয়েছেন। তারা এ সব মানুষের বৈবাহিক অবস্থা, উপার্জন, সমাজে তাদের অবস্থান, বয়স, স্বাস্থ্য এবং আত্মবিশ্বাসের মাত্রা ইত্যাদি বিষয়ে তথ্য নেন। এসব উপাদানের সঙ্গে কর্মক্ষেত্রে কর্মীদের দক্ষতা, মানসিক চাহিদা, পরিবেশ, চাকরির নিরাপত্তা ইত্যাদির তুলনামূলক বিশ্লেষণ করেন।

মারচান্ড বলেন, যারা তার সঙ্গী বা সঙ্গিনীর সঙ্গে স্বাস্থ্যকর সম্পর্ক বজায় রাখেন, কর্মক্ষেত্রে তাদের স্ট্রেস বেশ কম দেখা গেছে। এ ক্ষেত্রে যার আর্থিক অবস্থা, সন্তানের বিষয়ে সন্তুষ্টি এবং সামাজিকতায় অংশগ্রহণ যত বেশি, তার কর্মক্ষেত্রে স্ট্রেসও তত বেশি কম।

সূত্র: কালেরকণ্ঠ

58
আপনি একলা মানুষ পৃথিবীতে সবাইকে খুশি রাখতে পারবেন না আর এটা খুবই স্বাভাবিক। মানুষ হয়ে জন্মেছেন যখন, তখন পৃথিবীতে কাউকে ভালো লাগবে আবার কাউকে খারাপ। কারো আপনাকে ভালো লাগবে, কেউ আবার আপনাকে খুবই অপছন্দ করবে। সমস্যা হচ্ছে, কেউ যদি আপনাকে অপছন্দ করে থাকেন তাহলে বিনা কারণেই আপনার সাথে ঝামেলা করার চেষ্টা করবেন। পিঠ পিছে শত্রুতা করবেন, ষড়যন্ত্র করবেন, আবার অকারণে ঝগড়া বাঁধাবার চেষ্টা করবেন। আর এমন মানুষ আপনি আত্মীয়স্বজন হতে শুরু করে বন্ধু বান্ধব, কর্মক্ষেত্র ইত্যাদি সব স্থানেই পাবেন। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, আপনাকে অপছন্দ করে এমন কেউ অপমান করার চেষ্টা করলে কী করবেন?

১)মেপে কথা বলুন
কথা হচ্ছে এমন একটা জিনিস যেটা একবার বলে ফেললে ফিরিয়ে নেয়ার কোন উপায় নেই। যারা আপনাকে অপছন্দ করেন, তারা কিন্তু এই অপেক্ষাতেই থাকেন যে কখন আপনি কী বলবেন। তাই মুখ খুলুন খুব বুঝেশুনে।

২)অন্যের আচরণ নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা নেই, কিন্তু নিজের আছে
যারা আপনার সাথে খারাপ ব্যবহার করতে চায়, তাঁদেরকে আপনি ভালো বানাতে পারবেন না। কিন্তু হ্যাঁ, নিজের আচরণ অবশ্যই আপনি নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন। যত যাই হোক, উত্তেজিত হবেন না। মাথা খুবই ঠাণ্ডা রাখুন। তারা যেমন আচরণ করবে আপনার সাথে ঠিক তাঁর বিপরীত আচরণ করুন।

৩) কিছু ব্যাপার দেখেও না দেখা
কেউ আপনাকে অপমান করার চেষ্টা করছে, কিংবা অকারণেই ঝামেলা করার চেষ্টা করছে? তাঁদের এই আচরণগুলো দেখেও না দেখার ভাব করুন। কেউ আপনাকে তখনই অপমান করতে পারবে যখন তাঁর কৌশল বা চেষ্টা আপনি দেখবেন এবং প্রতিক্রিয়া দেখাবেন। যা আপনি দেখতেই পান নি, সেই জিনিস কীভাবে আপনাকে আঘাত করবে? এমন ভাব করুন যেন তাঁদের অপমান করার চেষ্টা আপনি দেখতে পাচ্ছেন না।

৪) সবকিছু ব্যক্তিগতভাবে নেবেন না
একজন ভালো মানুষ কখনো অন্যকে অপমান করার কথা চিন্তা করে না। এগুলো কেবল তাঁরাই চিন্তা করে যাদের মন খুবই ছোট। তাই কেউ আপনাকে অপমান করার চেষ্টা করছে বলে নিজেকে দোষী ভাববেন না, বা তাঁর কোন কাজ ব্যক্তিগতভাবে নেবেন না। জানবেন যে সমস্যা তাঁদের।

৫) বড় হাতিয়ার ভালো ব্যবহার
কেউ খারাপ ব্যবহার করলেই কি পাল্টা খারাপ ব্যবহার করতে হবে? আপনি তো তাঁদের মত নন, আর তাই তাঁদের মত আচরণও করবেন না। বরং সম্ভব হলে খুবই ভালো ব্যবহার করুন। এতে হয়তো তারা একটু হলেও লজ্জা পেতে পারেন আর অন্যায় চেষ্টা থেকে সরে আসার চেষ্টা করতে পারেন।

৬) নিজের কাজ কিংবা দায়িত্ব নিখুঁতভাবে করুন
যারা অপমান করার সুযোগ করছেন, তাঁদেরকে নিজের কোন দুর্বলতা বা ত্রুটির খোঁজ দেবেন না। নিজের কাজ ও দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করুন, তারা আপনার দোষ খুঁজে না পেলে অপমান করাটা একটু শক্তি হয়ে দাঁড়াবে।



59
very informative post .. like it sir  :)

Pages: 1 2 3 [4] 5 6 ... 20