Daffodil International University

Famous => Place => Topic started by: Golam Kibria on May 25, 2012, 07:07:52 PM

Title: Beautiful places of Bangladesh
Post by: Golam Kibria on May 25, 2012, 07:07:52 PM
(http://assets1.travelobd.com/uploaded_assets/spot_photos/1/medium/kuakata3.png)

কুয়াকাটা

নগরের ইট কাঠ পাথরের তৈরী বড় বড় বাক্সের মত বাড়ি গুলোতে বাস করতে করতে হাঁপিয়ে উঠে নগরের মানুষ। প্রকৃতিকে একটু কাছে থেকে দেখার সুযোগ কম। সেজন্য একটু অবসর পেলেই মানুষ ছুটে যায় কোন সবুজ ঘাসে, কোন নদীর পাশে অথবা কোন সমুদ্রের ধারে। বাংলাদেশ একটি ছোট দেশ হলেও এখানে দেখার আছে অনেক অখ্যাত ও বিখ্যাত স্থান। দক্ষিণ এশিয়ায় একটি মাত্র সমুদ্র সৈকত আছে যেখান থেকে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত এক সাথে দেখা যায়। দেখতে মনে হবে সমুদ্রের পেট চিরে সূর্য উদয় হওয়া এবং সমুদ্রের বক্ষে সূর্যকে হারিয়া যাওয়ার দৃশ্য অবলোকন করা নিঃসন্দেহে ভাগ্যের ব্যপার। আর এই সমুদ্র সৈকতটির নাম হলো কুয়াকাটা যা কিনা সাগরকন্যা নামে পরিচিত। এটি এমনই একটি সৈকত যা দেখে আপনার মন আপনা আপনি ভাল হয় যাবে। সব ক্লান্তি দুর হয়ে যাবে নিমিষেই।


কুয়াকাটা সমুদ্র মাত্র ২০ কিলোমিটার লম্বা। রাস্তা থেকে সৈকতে এসে নামলে ডানে লেবুচর ও ফাতরার বন এবং বামে গঙ্গামায়ার চর। ছোট এই সৈকতে তেমন কোন আভিজাত্য বা চাকচিক্য নেই। এ যেন প্রকৃতির নিজের হাতে সাজানো কোন ছবি। দেখলেই কেমন যেন আপন আপন মনে হয়। একদিকে চোখ রাখলে কেবল সাগর আর জলরাশি আর অন্যদিকে নারিকেল গাছের সারি। নারিকেল গাছের চিরিচিরি পাতার ফাঁক দিয়ে সূর্যাস্ত যেন এক ভিন্ন মাত্রা যোগ করে। আর রাতটি যদি হয় পূর্নিমার রাত তবে আপনি নির্ঘাত হারিয়ে যাবেন নষ্টালজিয়ায়।

কুয়াকাটার সামুদ্রিক মাছের রান্না খুবই সুস্বাদু। এখানকার তাজা মাছ আর সবজী আপনাকে দ্বিতীয়বার যেতে বাধ্য করবে। শুধু তাই নয় এখানে খাবারের মূল্যও বেশ কম। সুতরাং স্বল্প খরচে পেতে পারেন সর্বাধিক স্বাদের খাবারটি।

Source : http://travelobd.com/spots?locale=bn (http://travelobd.com/spots?locale=bn)
Title: Re: Beautiful places of Bangladesh
Post by: Golam Kibria on May 25, 2012, 07:11:18 PM
(http://assets3.travelobd.com/uploaded_assets/spot_photos/7/medium/nijhum_dwip33.jpg)

নিঝুম দ্বীপ

এখানে সমুদ্রের বুকে হেলে পড়ে অস্তগামী সূর্য, হাজার পাখির কলতান নিস্তব্দতার ঘুম ভাঙ্গায়, মায়াবী হরিনের পদচারনায় মুখরিত হয় জনপদ, সারি সারি কেওড়া গাছের কোল ঘেষে বয়ে চলে নদী, চুপিসারে কাছে ডাকে, মায়াবী ইন্দ্রজানে বেধে ফেলে মনুষ্যপ্রজাতীকে। সমুদ্রকোল হতে সরু খাল সবুজের বুক চিরে চলে গেছে গহীন বনে। সে যে সবুজ আর নোনা জলের কি এক প্রেমকাব্য না দেখলে বিশ্বাস করা যায় না। যেন সবুজ গালিচা বিছিয়ে দেয়া হয়েছে সমুদ্রের তলানী পর্যন্ত। স্বচ্ছ পানির নিচে সবুজ ঘাষ আর মাছেরা খেলা করে আপন খেয়ালে। দেখলেই মন চাইবে ঝাপিয়ে পড়ে পরাণ জুড়াই। এ এমনই এক মায়াবী প্রকৃতি যা শহুরে কর্মচঞ্চল মানুষক নতুন এক জীবন দেয়। নিঝুম দ্বীপ- সত্যিই নিঝুম। একবারই অলাদা। সব কিছুর বাহিরে। এখানে নেই পর্যটনের চাকচিক্য, রং চংগা বাতির ঝলক কিংবা যান্ত্রিক কোন বাহনের বিকট শব্দ। নিঝুম- সত্যিই নিঝুম, নিশ্চুপ। এ যেন প্রকৃতির একটি আলাদা সত্ত্বা। যা আর কোথাও নেই। বঙ্গোপসাগরের কোলে উত্তর ও পশ্চিমে মেঘনার শাখা নদী, আর দক্ষিণ এবং পূর্বে সৈকত ও সমুদ্র বালুচরবেষ্টিত ছোট্ট সবুজ ভূখণ্ড নিঝুম দ্বীপ—এখন পর্যটকদের জন্য এক আকর্ষণীয় স্থান। নোয়াখালীর দক্ষিণে মূল হাতিয়া পেরিয়ে এ দ্বীপে পৌঁছাতে পাড়ি দিতে হয় প্রমত্তা মেঘনা। শীতে নদী শান্ত থাকে বলে প্রকৃতিকে ভিন্ন স্বাদে উপভোগ করতে ভ্রমণপিয়াসীরা ছুটে যায় নিঝুম দ্বীপে। চিত্রা হরিনের চঞ্চল ছুটে চলা আর পাখির কলতান উপভোগ করার জন্য যেন প্রকৃতি আমাদেরকে বিলিয়ে দিয়েছ এই সম্পদ। ৬০ হাজারের বেশি হরিণের ছুটোছুটিতে এ দ্বীপের অরণ্য থাকে সর্বদাই মুখরিত। যারা বনবাদাড় মাড়িয়ে পায়ে হেঁটে সৈকত আর সমুদ্র বালুচর দেখতে আগ্রহী তাদের জন্য আরও আকর্ষণীয় এখন নিঝুম দ্বীপ। শীতের সময় শরীরকে একবার চাঙ্গা করে নিতে হলে এখন ঘুরে আসতেই হয় বঙ্গোপসাগরের চোখসদৃশ এ দ্বীপে।

লম্বা পথের ভ্রমন শেষে আপনি যখন নিঝুম দ্বীপে পৌছাবেন এখানকার কচি ডাব আপনার কান্তি দুর করবে নিশ্চয়ই। কক্সবাজার বা কুয়াকাটার মত এখানে ডাবের বিকিকিনি হয় না। যাদের ডাব গাছ আছে তাদেরকে অনুরোধ করলে হয়তো অর্থের বিনিময়ে পেয়ে যাবেন এই প্রাকৃতিক পানীয়। এখানে একটি স্থানীয় বাজার আছে। নামাবাজার। আপনি ইচ্ছা করতে এখান হতে চা, নাস্তা, দুপুর আর রাতের খাবার পেতে পারেন।

এখানে আর একটি উপভোগ্য বিষয় হলো রাতের ক্যাম্প ফায়ার আর বারবি-কিউ। অবাক হবেন না। এখানে বিখ্যাত কোন হোটেল নেই যে আপনার জন্য বারবি-কিউ করবে। তবে নিঝুম রিসোর্টের কেয়ারটেকার মনির হোসেন আপনাকে এ বিষয় পূর্ণ সহায়তা করবে। বারবি-কিউ করার জন্য উপযুক্ত যন্ত্রাপাতি তার কাছে রয়েছে। আপনি খরচের টাকা দিলেই হয়ে যাবে চিকেন বারবি-কিউ। তবে আর একটি ভিন্ন রকমের বারবি-কিউ আপনি করতে পারেন। তা হলো ইলিশ বারবি-কিউ। মৌসুমটি যদি ইলিশের হয়, তবে আপনি মহা ভাগ্যবান বলতেই হবে। এই স্বাদ আপনি মনে রাখবেন জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত। ইলিশ বারবি-কিউ, হোটেলের পরোটা আর খোলা আকাশের নিচে গলা ভরা গান যেন এক মায়াচ্ছন্ন মুহুর্তের সৃষ্টি করবে।
Title: Re: Beautiful places of Bangladesh
Post by: Golam Kibria on May 25, 2012, 07:13:54 PM
(http://assets0.travelobd.com/uploaded_assets/spot_photos/32/medium/nafakhum2.jpg)

নাফাখুম ঝর্না

বান্দরবান জেলার থানচি উপজেলার রেমাক্রি একটি মারমা অধু্যসিত এলাকা। মারমা ভাষায় ‘খুম’ মানে হচ্ছে জলপ্রপাত। রেমাক্রি থেকে তিন ঘন্টার হাঁটা পথ পাড়ি দিয়ে যেতে হয় আশ্চর্য সুন্দর সেই জলপ্রপাতে, যার নাম ’নাফাখুম’। রেমাক্রি খালের পানি প্রবাহ এই নাফাখুমে এসে বাঁক খেয়ে হঠাৎ করেই প্রায় ২৫-৩০ ফুট নিচে পতিত হয়ে প্রকৃতির খেয়ালে সৃষ্টি হয়েছে চমৎকার এক জলপ্রপাত! সূর্যের আলোয় যেখানে নিত্য খেলা করে বর্ণিল রংধনু! আকাশে ৈতরি হয় হাজার রঙের আলোকচ্ছটা। মেঘের আড়ালে যখন সূর্য হাসে আলোর সে হাসির ঝিলিক ছড়িয়ে পড়ে পুরো পাহাড়তলে। খরস্রোত নদীর জল সাই সাই করে ধেয়ে যায় কলকল শব্দে। ভয়ংকর সে নদীর সৌন্দর্য যেন আরো ভয়ংকর। যারা বিদেশের মাটিতে সুন্দরকে খুজে বেড়ান তাদের জন্য নাফাখুম চ্যালেঞ্জ ছাড়া আর কিছুই নয়। এ দেশে এমন সুন্দর থাকতে পারে তা বিশ্বাস করাই মুশকিল। পাহাড়, নদী আর পাথুরে খাল দেখে মনে হবে যেন কোন এক ছবির পাতায় পাতায় হাটছি। অসাধারন সুন্দর, অসহ্য সুন্দর। পানির গমগম করে ঝড়ে পরার শব্দে চারদিক মুখরিত। বর্ষার সময় ঝর্নার আকার বড় হয়। আর শীতের দিনে তা ক্ষীন হয়ে যায়। তবে সেপ্টেম্বর অক্টোবর মাসে নাফাখুমের প্রকৃত সৌন্দর্য দেখা যায়। উপর হতে আছড়ে পড়া পানির আঘাতে ঝর্নার চারিদিকে সৃষ্টি হয় ঘন কুয়াশার। উড়ে যাওয়া জলকনা বাষ্পের সাথে ভেসে ভেসে শরীরে এসে পড়ে। রোমাঞ্চকর সে অনুভূতি। একে বাংলার নায়াগ্রা বললে ভূল বলা হবে না। দুপাশের সবুজ পাহাড়ী বন আর পাথুরে ভুমি নাফাখুম ঝর্নাকে দিয়েছে ভিন্ন মাত্রা, করেছে আরো আকর্ষনীয়। পাথরের ফাকে ফাকে ছোপ ছোপ সবুজ ঘাসের থোকা সৌন্দর্যের মাত্রা আরো বাড়িয়ে দিয়েছে কয়েকগুন।

বান্দরবন হতে ৭৯ কিমি. দুরে অবস্থিত থানচি। এটি একটি উপজেলা। সাঙ্গু নদীর পাড়ে অবস্থিত থানচি বাজার। এই সাঙ্গু নদী ধরে রেমাক্রীর দিকে ধীরে ধীরে উপরে উঠতে হয় নৌকা বেঁয়ে। উপরে উঠা বলছি এই কারনে যে আসলেই নদীটা রেমাক্রী হতে থানচির দিকে ধীরে ধীরে ঢালু হয়ে এসেছে আর এই কারনে এখানে এত স্রোত। নদী কিছুদূর পর পর ১-২ ফুট এমন কি কোথাও কোথাও ৪/৫ ফুট পর্যন্ত ঢালু হয়ে নিচে নেমেছে। প্রকৃতি এখানে এত সুন্দর আর নির্মল হতে পারে ভাবাই যায় না। নদীর দুপাশে উচু উচু পাহাড়। সবুজে মোড়ানো প্রতিটি পাহাড় যেন মেঘের কোলে শুয়ে আছে অবলিলায়। কোন কোন পাহাড় এতই উচু যে তার চূড়া ঢেকে আছে মেঘের আস্তরে। অসাধারন সে দৃশ্য। সবুজে ঘেরা সে পাহাড়ে হঠাৎ হঠাৎ দেখা যায় দু একটি উপজাতী বসতঘর। পাহাড়ের ঢালুতে টিন আর বেড়ার ঘর গুলো দেখে মনে হবে যেন সাজিয়ে গুছিয়ে রাখা কোন বিদেশী পর্যটন কেন্দ্র। কড়া সবুজের মাঝে মাটি রং এর ঘর গুলো যেন ক্যানভাসে আঁকা কোন ছবি। বিমূর্ত সে ছবি, অপার তার সৌন্দর্য। চারদিক সুনসান, নিরব, নিশব্দ কেবলই পানির হুমহুম শব্দ আর পাখির কিচির মিচির।

এখানে নদীগুলোর গভীরতা একেবারেই কম। কোথাও কোথাও পানির তলার পাথর দেখা যায়। কোথাও বা নদীর মাঝেই উচু হয়ে আছে পাথর। কিন্তু গভীরতা কম হলে কি হবে মারাত্মক স্রোত। একটু উনিশ বিশ হলেই সর্বনাশ। যেখানে নদী ঢালু হয়ে গেছে সেখানে প্রচন্ড স্রোত। গমগম করে নেমে যাচ্ছে পানির ঢল। এমন জায়গায় নৌকা প্রায় চলতেই পারে না। তাই নেমে হেটে যেতে হয়। যাত্রা পথে এমন ভাবে বেশ কয়েকবারই নেমে নেমে হেটে যেতে হয়। শীতকালে নদীতে পানি কম থাকে বলে এই উঠা নামার পরিমানটা অনেকবেশী থাকে। এই পথে যেতে যেতে আপনাকে পারি দিতে হবে তিন্দু ও বড় পাথর। তিন্দুতে একটি বিজিবি ক্যাম্প আছে। অসাধারন সুন্দর একটি স্থান তিন্দু। অনেকে নাফাখুম যাবার পথে থানচি না থেকে তিন্দুতে এসে রাত্রিযাপন করে। এখানে থাকার জন্য কিছু ঘর ভাড়া পাওয়া যায়।

তিন্দু হতে একটু সামনে এগিয়ে গেলেই বড় পাথর। স্থানীয়রা একে রাজা পাথরও বলে থাকে এবং তারা বিশ্বাস করে যে এই রাজা পাথরকে সম্মান দেখাতে হয়, নতুবা দুর্ঘটনা ঘটে। এ কারনে এখানে এসে নিশ্চিত নেমে হেটে যেতে হয়। আসলে একটি বিশাল আকারের পাথর। পাশে আরো অনেকগুলো ছোট বড় পাথর নদীর ঠিক মাঝে পড়ে আছে। ধারনা করা হয় বহু বছর আগে ভুমিকম্পের কারনে পাশের পাহাড় হতে এই বিশাল আকারের পাথরের টুকরো গুলো নদীর মাঝে এসে পড়েছে। আর এ কারনে নদীর মুখ খুব ছোট হয়ে গেছে যার ফলে এখানে প্রবল স্রোতের সৃষ্টি হয়েছে।

বড় পাথর হতে ঘন্টা খানেক সামনে এগিয়ে গেলেই রেমাক্রী বাজার। বলতে দ্বিধা নেই যে এই নদী ভ্রমনটা না থাকলে কেবল নাফাখুম দর্শনটা একেবারেই পানসে হয়ে যেতো। নদী পাহাড় আর আকাশের এমন সমন্বয় পৃথিবীর আর কোথাও আছে বলে মনে হয় না। রেমাক্রী বাজারের ঠিক কয়েকশ গজ আগে ছোট একটা খুম (ঝর্না) আছে। নাম রেমাক্রীখুম। এক কথায় অসাধারন। নাফাখুমের পানি রেমাক্রী খাল দিয়ে এসে এখানে সাঙ্গু নদীতে পরেছে। প্রায় ৪/৫ ফুট উচু হতে ধাপে ধাপে পানি সাঙ্গু নদীতে পরছে। দুচোখ জুড়িয়ে যাবার মত দৃশ্য। প্রচন্ড স্রোতে পানি গমগম শব্দ করে নিচে পরছে। দেখে মনে হবে যেন ক্যানভাসে আঁকা ছবি। এক একটি দৃশ্য চোখে পরবে আর গর্বে বুকটা ভরে যাবে। মনে হবে এই আমার বাংলাদেশ, এই আমার মা। সৃষ্টিকর্তা এখানে দুহাতে সুন্দরকে ঢেলে দিয়েছেন, যেখানে পা ফেলা যায় সেখানই সুন্দর। এ যেন সুন্দরের আবাসস্থল।

রেমাক্রী বাজারটা খুবই ছোট। বাজারের মাঝখানে বিশাল একটা উঠান আর চারদিকে দোকান। এগুলো তাদের ঘরও বটে। পেছনে থাকার ব্যবস্থা আর সামনে দোকান। বাজারের পাশে একটা রেষ্টহাউজ আছে। আর তার পাশেই বিজিবি ক্যাম্প। রেমাক্রী বাজার হতে নদীর কুল ধরে প্রায় ২/৩ ঘন্টা হাটতে হয় নাফাখুম যেতে। নদীর পাড়টা সমতল কিন্তু পাথুরে এবং বালুকাময়। কিন্তু এর কোন কিছুই আর চোখে পড়বে না। দুচোখ কেবল চারিপাশের সুন্দর দেখতে দেখতে বিহ্বল হয়ে যাবে। এখানে জনবসতী একেবারেই কম। মাঝে মাঝে দু একজন উপজাতীদেরকে মাছ ধরতে দেখা যায়। এই পথে যেতে ৩ বার বুক সমান গভীর নদী পার হতে হয়। দেখতে শান্ত পানি হলে কি হবে? ভয়ংকর স্রোত সে পানিতে। পা স্থির রাখা যায় না। জায়গামত পা ফেলতে না পারলে ভেসে যেতে হবে।

বিচিত্র সব অভিজ্ঞতা অর্জন করতে হবে এই যাত্রা পথের প্রতি মুহুর্তে। নদীর পাড় কখনো উচু নিচু পথ, পাহাড়ের কিনারা বেয়ে সামনে এগোনো, কখনো আবার টারজানের মত লতা ধরে ঝুলে ঝুলে নদী পার হওয়া, রিতিমত রোমাঞ্চরক ভ্রমন। পথে যেতে যেতে কমপক্ষে ১০/১২ টা ছোট খাটো ঝর্না চোখে পরবে যার পানি গিয়ে রেমাক্রী খালে পতিত হয়েছে। দীর্ঘ পথ হেটে ক্লান্ত শরীর বা পা সে পানিতে ভেজানোর সাথে সাথে সব ক্লান্তি দুর হয়ে যাবে নিমিষেই। এ যেন এক প্রাকৃতিক জল থেরাপি। নদীর কিনারা ধরে ধরে যখন হাটু পানি বা কোমর পানি দিয়ে এগিয়ে যাবার সময় মনে হবে যেন আমাজন নদী পারি দিচ্ছি কিংবা আনাকোন্ডা সিনেমার দৃশ্যে অভিনয় করছি, এই বুঝি আনাকোন্ডা এসে খপ করে ধরে ফেল্লো। দারুন সব অনুভুতি। আপনি পুলকিত না হয়ে পারবেন না।
Title: Re: Beautiful places of Bangladesh
Post by: Golam Kibria on May 25, 2012, 07:15:48 PM
(http://assets0.travelobd.com/uploaded_assets/spot_photos/119/medium/shapnopuri0.jpg)

স্বপ্নপুরী

দিনাজপুর শহর থেকে ৫২ কিমি দক্ষিণে নবাবগঞ্জ উপজেলার আফতাবগঞ্জে সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত উদ্যোগে প্রায় ১৫০ একর জমির উপর গড়ে উঠেছে নান্দনিক সৌন্দর্যের এক স্বপ্নিল বিনোদন জগত স্বপ্নপুরী।

স্বপ্নপুরীর প্রবেশমুখে স্থাপিত প্রস্তরনির্মীত ধবধবে সাদা ডানাবিশিষ্ট দুটি সুবিশাল পরী যেন মোহনীয় ভঙ্গীতে পর্যটকদের অভ্যর্থনা জানাচ্ছে। স্বপ্নপুরী হচ্ছে একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ বিনোদন কেন্দ্র। এখানে রয়েছে দেশী-বিদেশী বিভিন্ন পশু-পাখির অবিকল ভাষ্কর্য, কৃত্রিম পাহাড়, কৃত্রিম ঝর্ণা এবং ইট-সিমেন্ট নির্মিত বাংলাদেশের এক সুবিশাল মানচিত্রের সমন্বয়ে তৈরী একটি কৃত্রিম চিড়িয়াখানা, জীবন্ত পশুপাখীদের চিড়িয়াখানা, শিশুদের জন্য পার্ক, দোলনা, বায়োস্কোপ ইত্যাদি।

স্বপ্নপুরীর আরো আকর্ষণঃ সারি সারি সবুজ দেবদারু গাছের মনোলোভা সৌন্দর্য আর বিস্তীর্ণ ঝিলের তীরে ফুটন্ত গোলাপ বাগানের মাঝখানে স্থাপিত অপরূপ সুন্দর “নিশিপদ্ম”। পর্যটকদের বিনোদনের জন্য আরো রয়েছে বিশাল দিঘিতে স্পিডবোট ও ময়ূরপঙ্খী নাও, দুই ঘোড়াচালিত টমটম, হরেক রকম সুগন্ধ ও সৌন্দর্য এবং স্বচ্ছ পানির ফোয়ারাবিশিষ্ট কয়েকটি ফুল বাগান এবং বিশ্রামের জন্য আকর্ষণীয় রেষ্টহাউস ও ডাকবাংলোসহ বিনোদনের আরো অনেক উপকরণ।

Title: Re: Beautiful places of Bangladesh
Post by: Golam Kibria on May 25, 2012, 07:17:18 PM
(http://assets2.travelobd.com/uploaded_assets/spot_photos/402/medium/salban1.jpg)

শালবন বিহার

কুমিল্লা শহর থেকে প্রায় ৯ কিলোমিটার পশ্চিমে ময়নামতিতে, লালমাই পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থিত দেশের সর্বপ্রাচীন বিশ্ববিদ্যালয় শালবন বিহার। ১৯৫৫ সাল থেকে নিয়মিত খননে এখানে ৫৫০ বর্গফুট আয়তনের এ বিহারটি আবিষ্কৃত হয়। বাংলাদেশে বৌদ্ধধর্মের সুবর্ণযুগ হিসেবে খ্যাত খ্রিস্টীয় সপ্তম শতাব্দীতে সমতটের দেব বংশের রাজারা বিহারটি নির্মাণ করেন। বাংলাদেশে আবিষ্কৃত অন্য সব বিহারের অনুরূপ এটিও বর্গাকার। মধ্যভাগে কেন্দ্রীয় মন্দির রেখে চতুর্দিকে শ্রমণ বা শিক্ষার্থীদের আবাস কক্ষ। ১২ বর্গফুট আকৃতির মোট ১১৫টি কক্ষ রয়েছে এ বিহারের চতুর্দিকে। বর্গাকৃতির বিহারের এই ছাত্রাবাসের বাইরের দিকের দেয়ালের প্রশস্ততা ১৬ ফুট। ভেতরের দিকের দেয়ালগুলো ৫ ফুট পুরু। ঘরগুলোর দেয়ালে বই-পুস্তক, প্রদীপ, দোয়াত-কলম ও মূর্তি রাখার জন্য তিনটি করে কুলুঙ্গি আছে। ছাত্রাবাসের কক্ষগুলোর সামনে রয়েছে সাড়ে ৮ ফুট প্রশস্ত টানা বারান্দা।

বাংলাদেশের যেসব এলাকায় প্রাচীনকালে সভ্যতা বিকাশ লাভ করে তার মধ্যে অন্যতম কুমিল্লা। এখানে আবিষ্কৃত প্রস্তর যুগে তৈরি হাত কুড়াল, বাটালি প্রভৃতি থেকে অনুমান করা হয়, প্রায় ৫ হাজার বছর আগে খ্রিস্টপূর্ব ৩ হাজার অব্দেরও কিছু আগে এ এলাকায় মানুষের বসতি গড়ে উঠেছিল। গড়ে উঠেছিল সভ্যতা। তবে সে সবের খুব কমই উদঘাটিত হয়েছে। পাথরের অপ্রাচুর্যতায় কাঠ-বাঁশ বা পোড়ামাটিতে তৈরি আবাস, নগর বা ব্যবহার্য নিদর্শনের প্রায় সবই হারিয়ে গেছে কালের গর্ভে। তবে নিকট অতীতের কিছু নিদর্শন এখনও পাওয়া যায়। শালবন বিহার তার অন্যতম।

শালবন বিহারের একটি মাত্র প্রবেশ পথ উত্তর দিকে থেকে দক্ষিণ দিকে ১৭৪ ফুট দীর্ঘ। মূল গেইট থেকে একটা ছোট রাস্তা দিতে যেতে যেতে দেখা যাবে রাস্তার দূপাশে অসংখ্য বাহারি ফুলের সমাহার।একটু একটু করে সামনে এগুতেই চোখে পড়বে বিহারের পুরাকীর্তি গুলো। প্রবেশ পথের দুই পাশে রয়েছে প্রহরীর কক্ষ। পাকা এই পথটি শেষ হয়েছে ৩৩ ফুট দীর্ঘ এবং ২২ ফুট প্রস্থ একটি হলঘরে গিয়ে। হলঘরটি ১২টি স্তম্ভের ওপর নির্মিত। পাহাড়পুরে অবস্থিত সোমপুর বিহারের সঙ্গে শালবন বিহারের নির্মাণশৈলীর অনেক মিল রয়েছে। আকারে ছোট হলেও এ বিহার সোমপুর বিহারের চেয়েও পুরনো তাই অনুমান করা যায় সোমপুর বিহার শালবন বিহারের অনুকরণে নির্মিত হয়েছিল। এখানে চারটি মতান্তরে ৬টি নির্মাণ বা পুনর্নির্মাণ যুগের নিদর্শন পাওয়া যায়। আদিতে কেন্দ্রীয় মন্দিরটি ত্রুক্রশাকৃতির ভিত্তির ওপর তৈরি হয়েছিল এবং এর প্রতিটি বাহু ছিল ১৭০ ফুট লম্বা। চতুর্দিকে চলাচলের জন্য ৭ ফুট চওড়া পথের নিদর্শনও পাওয়া যায়। মন্দিরে প্রবেশের জন্য ছিল প্রশস্ত সিঁড়ি। পরে নকশায় পরিবর্তন এনে মন্দিরটি আয়তাকার করা হয়। আয়তাকার কাঠামোর কেন্দ্রে রাখা হয় ১২ স্তম্ভ বিশিষ্ট হল ঘর, যার দক্ষিণে রয়েছে একটি উপাসনা কক্ষ।

প্রাচীন সভ্যতার অনেক কিছুই হারিয়ে গেছে কালের স্রোতে। যা টিকে আছে তাও কম গৌরবের নয়। প্রাচীন বিশ্ববিদ্যালয় শালবন বিহার আমাদের সেই সমৃদ্ধ অতীতেরই স্মৃতি বহন করে। তাই সময় করে ঘুরে আসুন কুমিল্লার শালবন বিহার।
Title: Re: Beautiful places of Bangladesh
Post by: Golam Kibria on May 25, 2012, 07:19:34 PM
(http://assets0.travelobd.com/uploaded_assets/spot_photos/711/medium/jadipai1.png)

জাদিপাই জলপ্রপাত

বান্দরবনের কেওক্রাডংয়ের খুব কাছের জনবসতি পাসিং পাড়াকে বিবেচনা করা হয় দেশের সবচেয়ে উঁচু গ্রাম হিসেবে। কারণ প্রায় ৩২০০ ফুট উচ্চতার কেওক্রাডং এর পরেই প্রায় ৩০৬৫ ফুট উচ্চতায় এই পাসিং পাড়া। আর বাংলাদেশের অন্য কোন পাহাড়েও এত উঁচুতে কোন জনবসতি নেই। প্রায় সারা বছরই মেঘের ভেতরেই থাকে এই পাসিং পাড়ার লোকজন। পাসিং পাড়া থেকে নিচের দিকে নেমে গেলে জাদিপাই পাড়া। এখান হতে ঘন্টা খানেক নিচের দিকে নামলেই পাওয়া যাবে অবর্ননীয় সুন্দর জাদিপাই জলপ্রপাত। এই নামার পথে পথে পাহাড় চুয়ে নামা পানি গড়িয়ে নামতে নামতে পুরো পথের অনেক অংশকেই বিপদজনকভাবে পিচ্ছিল করে রেখেছে। দুর্গম আর চরম ঝুঁকির পথ শেষে এ যেন অন্য এক পৃথিবী। তাড়া খেয়ে দ্রুত পালাচ্ছে এমন গতিতেই উচু পাহাড় থেকে ঝরে পড়ছে বিশালাকার পানির ঢল। এটি আপনার দেখা কোন ঝর্ণার সাথেই তুলনা চলে না এমন একটা ঝর্ণা। এক কথায় অসাধারণ।

জাদিপাই ঝর্ণার কোথাও কোন কৃত্রিমতা স্পর্শ করেনি। ঝর্ণার শীতল জল যেখানে পড়ছে সেখানে একটা পুকুরের মতো তৈরি হয়েছে। বড় বড় পাথরের ভেতর দিয়ে কল কল করে ফেনা তুলে নাচতে নাচতে ছুটে যাচ্ছে কোন একটা নদীর সাথে মিলবে বলে। খুব সম্ভবত সাঙ্গু নদীর সাথে। উচু হতে জাদিপাই ঝর্নার পানি সবুজের আস্তর কেটে গড়িয়ে পড়ছে নিচের পাথরে। পাথরের আঘাতে কুন্ডলী পাকাচ্ছে জলের আভা। চারিপাশে জলের ধোয়াশা। সূর্যের আলো পড়ে তৈরি হচ্ছে রংধনু। দুর্দান্ত যে দৃশ্য। নিচের চোখে না দেখলে বিশ্বাস করা যাবে না। পুরো ঝর্না দর্শনই একটা বিরাট এডভেঞ্চার। পাহাড়ের কোলে সবুজের আড়ালে আর মেঘের উপরে এমন একটি ঝর্না থাকতে পারে তা নিচের চোখে না দেখলে বিশ্বাস করাই মুশকিল। যারা কেওক্রাডং বেড়াতে যায় তাদের উচিত একবার হলেও জাদিপাই দেখে আসা। এমন বুনো ঝর্না হয়তো আর কোথাও খুজে পাবেন না। ঝর্না হয়তো পাওয়া যাবে কিন্তু ভূমির এত উপরে মেঘের কোলে ঝড়ে পরছে শত শত গ্যালন স্বচ্ছ জল, যা সত্যিই বিরল।

এখানে আসাটা খুব সহজ নয়। খুবই ঝুকিপূর্ণ আর কষ্টকর। তবে পাহাড় আর ঝর্না জয়ের যে আনন্দ তাও অভাবনীয় আর দুপ্রাপ্য। জয়ের এমন এমন আনন্দ হয়তো বহুদিন আপনি পাবেন না। তাই সময় থাকলে পাহাড় জয়ের সাথে জয় করে আসুন জাদিপাই এর মত একটি অদম্য আর বুনো ঝর্না।
Title: Re: Beautiful places of Bangladesh
Post by: Golam Kibria on May 25, 2012, 07:22:17 PM
(http://assets2.travelobd.com/uploaded_assets/spot_photos/98/medium/rangamati_resort3.jpg)

রাঙ্গামাটি ওয়াটার ফ্রন্ট রিসোর্ট

রাঙ্গামাটি ওয়াটার ফ্রন্ট রিসোর্ট

ঢাকা শহরের সন্নিকটে গাজীপুরের চন্দ্রায় অবস্থিত আরেকটি মনমুগ্ধকর রিসোর্ট ও বনভোজন কেন্দ্র এটি। এটি মুলত পারিবারিক ও কর্পোরেট পিকনিকের জন্য বিশেষ ভাবে প্রস্তুত করা। এখানে আছে বনভোজন কেন্দ্র, লেকে মাছ ধরা ও বেড়ানোর ব্যবস্থা এবং কটেজে অবকাশ যাপনের ব্যবস্থা। কামিনি, যামিনি, বিজ ফিল্ড ও এমফি থিয়েটার নামে ৪টি পিকনিক স্পট রয়েছে এখানে। প্রত্যেকটি স্পটে রয়েছে আদালা আলাদা খেলার মাঠ ও রান্না জায়গা। পুরো রিসোর্টের চার পাশে রয়েছে ঘন সবুজ অরন্য, নিরিবিলি পরিবেশ, শিশুদের খেলার জায়গা।

আরও রয়েছে
    *পিকনিক স্পট
    *মিউজিক ইভেন্ট
    * বার-বি-কিউ কর্নার
    * লাভ কর্নার
Title: Re: Beautiful places of Bangladesh
Post by: Ifti on June 22, 2013, 02:38:46 PM
Nijhun Dweep, Nafakhum and Jadipai are excellent !!! But all R situated in remote areas !!!! Instead they R really wild !!!!!