Show Posts

This section allows you to view all posts made by this member. Note that you can only see posts made in areas you currently have access to.


Topics - Mosammat Arifa Akter

Pages: [1] 2 3 4
1
টাকায় রোগ ছড়াচ্ছে। শুনতে অবাক লাগলেও আদতে গবেষণায় এমনটিই প্রমাণিত হয়েছে। তাও আবার এক-দুটি নয়, অন্তত ৭৮টি রোগের মাইক্রো অর্গানিজমের ফুটপ্রিন্টের উপস্থিতি মিলেছে বলে দাবি গবেষকদের।
 
অ-সুখের উপস্থিতি সেক্ষেত্রে বলাই বাহুল্য। কিন্তু অসুখ কি শুধু মনের বা সামাজিক?  গবেষণা বলছে মোটেও না। নোট বহন করে অসুখ-রোগ এবং যা পুরদস্তুর শারীরিক। ভারতীয় গবেষকরা এমন তথ্য দিয়েছেন।

বিজ্ঞানীরা ৭৮টি রোগ সৃষ্টিকারী মাইক্রো অর্গানিজমের ফুটপ্রিন্টের উপস্থিতি খুঁজে পেয়েছেন নোটের মধ্যে।

তার মানে আপনার ওয়ালেটটিতে আসলে ডজন ডজন রোগ সৃষ্টিকারী মাইক্রো-অর্গানিজম বহাল তবিয়তে ঘুরে বেড়ায়।

সিএসআইআর-এর অধীনস্থ ইনস্টিটিউট অফ জেনোমিক্স অ্যান্ড ইন্টিগ্র্যাটিভ বায়োলজি (আইজিআইবি)-গবেষকরা দক্ষিণ দিল্লির বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বহু ১০, ২০ ও ১০০ টাকার নোট সংগ্রহ করে তার উপর পরীক্ষা চালিয়েছেন।

তারা অন্তত ৭৮টি অসুখ সৃষ্টিকারী মাইক্রো অর্গানিজমের ডিনএন ফুটপ্রিন্ট খুঁজে পেয়েছেন ওই নোটগুলির মধ্যে। বেশিরভাগই ছত্রাক জাতীয়, তবে তার সঙ্গেই আছে টিউবারকিউলিস, আলসার ও আন্ত্রিকের ব্যাকটেরিয়াও।

এই গবেষণা বলছে এই নোটগুলি রোগ সৃষ্টিকারী মাইক্রোঅর্গানিজমের বাহক হিসেবে কাজ করে। দ্রুত গতিতে মাইক্রোবিয়াল ডিসিজ ছড়িয়ে দেয়।

ক্যাম্পাসলাইভ২৪ডটকম

2
Faculty Forum / মেদ ঝরাবে আলু!
« on: November 23, 2015, 08:29:42 PM »
আমাদের দেশে বহুদিন ধরেই প্রচলিত আছে-আলু খেলে মেদ বাড়ে। মুটিয়ে যায় শরীর।
 
আবার আলু ছাড়া বাঙালির খাবার পাতে বৈচিত্র্যও আসে না। মাছ-মাংস তো বটেই; সবজি-নিরামিষেও থাকে আলু। আর আলুর দম, আলুপুরি, আলুর সিঙ্গাড়ার কথা নাই বা বললাম।

এতোসব মুখরোচক খাবার এড়ানো মুশকিল। কিন্তু আলুতে মেদ বাড়বে বলে একটু হিসাব করে খাওয়া আরকি।

মজার বিষয় হচ্ছে সাম্প্রতিক গবেষণায় বেরিয়ে এসেছে মেদ ঝরাতে চাইলে নিয়মিত আলু খেতে হবে। ভাজা বা ভর্তা নয়, খেতে হবে আলুর রস।

গবেষণা চালিয়েছিলেন কানাডার ম্যাকগিল ইউনিভার্সিটির গবেষকরা।

তারা বলছেন, যদি ওজন কমাতে চান তবে নিয়ম করে খান আলুর রস। বলে কী! আলুর মধ্যে থাকে প্রচুর পরিমাণে পলিফেনল। এই পলিফেনল নাকি শুধু ওজনই কমায় না, টাইপ টু ডায়বেটিসও রুখতে পারে।

টানা ১০ সপ্তাহ ধরে ২৫ গ্রাম ওজনের কিছু ইঁদুরের ওপর পরীক্ষা চালিয়েছেন গবেষকরা। ইঁদুরদের দুটি ভাগে ভাগ করে একদলকে প্রতিদিন দেওয়া হয়েছিল আলুর রস।

দেখা গিয়েছে যেই ইঁদুরদের আলুর রস খাওয়ানো হয়নি পরের ১০ সপ্তাহে তাদের ১৬ গ্রাম করে ওজন বেড়েছে। এ দিকে আলুর রস খাওয়া ইঁদুরদের ওজন বেড়েছে মাত্র ৭ গ্রাম।

গবেষকরা জানাচ্ছেন একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের সারাদিনে ৩০টি আলুর রস খাওয়া উচিত্। তাই আর চিন্তা কী!

ক্যাম্পাসলাইভ২৪ডটকম

3
জীবন সংহারি একাধিক রোগ প্রতিরোধ করার উপাদান রয়েছে কলার মধ্যে। এমনকি এইডস পর্যন্ত।

এমনটাই দাবি করেছেন বিজ্ঞানীরা। তারা বলছেন, কলার মধ্যে রয়েছে এমন এক পদার্থ যা মানব দেহে রোগ সংক্রামক ও মারাত্মক ভাইরাসের সঙ্গে মোকাবিলা করতে সাহায্য করে।

নতুন এক গবেষণায় এমনটাও দাবি করা হয়েছে, কলার মধ্যে যে পদার্থ রয়েছে তা AIDS, হেপাটাইটিস সি এবং ইনফ্লুয়েঞ্জার মতো মরণ ব্যাধির ওষুধ হিসেবেও কাজ করে।

আমেরিকার মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়ে এই গবেষণা চালানো হয়। কলার বিভিন্ন নমুনা নিয়ে এখনও গবেষণা চলছে।

কলার মধ্যে থাকা ব্যানানা ল্যাকটিন মানব শরীরের কোষগুলোর মধ্যে ভাইরাস সংক্রামণকে ‘পড়তে’ পারে বলে দাবি নতুন গবেষণার।

গবেষণায় মানব দেহের রোগ প্রতিরোধের প্রকৌশল নিয়েও আলোচনা করা হয়, সেখানেই কলার মধ্যে থাকা প্রোটিন ও তার কার্যকারিতার বিষয়টি উঠে আসে।

গবেষকদের মতে BanLec (ব্যানানা ল্যাকটিন) মানব শরীরে AIDS, হেপাটাইটিস সি এবং ইনফ্লুয়েঞ্জার মত ভাইরাসগুলোকে বিশ্লেষণ করে দেয়।

ক্যাম্পাসলাইভ২৪ডটকম

4
Faculty Forum / Rules of motivating your will
« on: November 23, 2015, 08:23:07 PM »
A Stanford psychologist and author of The Willpower Instinct, Kelly McGonigal says, “Willpower gives you the energy and endurance to deal with challenges, the ability to persevere in the face of setbacks, and the strength to tolerate conflict or stress that might otherwise make us run away from goals or projects we care about.”

Anyone can learn to improve their willpower, so here are five tips to get you started:

1. Remember your goals

If your willpower feels drained, think of the task at hand as a necessary stepping stone to help you achieve your goals. “Willpower is very easily depleted if its disconnected from your values and goals,” McGonigal says.

2. Practice coping with stress.

When you’re working toward a goal, you are bound to hit tough times. To reach ambitious goals, you need to persist in stressful conditions, even when anxiety, fear, or even boredom threatens to sap your willpower.

3. Forgive your mistakes.

You are bound to make mistakes, but your willpower will be stronger if you take those errors in stride. “Forgiving yourself for your mistakes increases motivation and engagement with goals,” McGonigal says.

4. Connect with colleagues.

Willpower naturally rises when we feel recognized and appreciated for our work. “We think of willpower as being so tough and individual, but the more connected people feel, the more willpower they have,” McGonigal says.

5. Trust that it will get easier.
 
We often struggle to stay engaged during difficult tasks because we imagine, sometimes unconsciously, that they will continue to be just as hard in the future. We feel defeated or hopeless and give up.

To combat that feeling, remember that your skill improves with practice. “Appreciate that a task is difficult but don’t tell yourself the story that it’s always going to be difficult,” McGonigal says. Most likely, the task will be a little bit easier every time you try it.
campuslive24.com

5
Faculty Forum / Exercise can reduce sleepiness
« on: November 23, 2015, 08:20:58 PM »
Sleepiness in work period is a painful experience. Daily aerobic exercise can help you, if you find it too hard to stay awake at work, a research found recently.

Exercise reduces the levels of two proteins, resulting in reduced excessive sleepiness, the findings showed.

The study involved people with hypersomnia, which is characterised by sleeping too much at night as well as excessive daytime sleepiness.

“Identifying these biomarkers, combined with new understanding of the important role of exercise in reducing hypersomnia, have potential implications in the treatment of major depressive disorder,” said study senior author Madhukar Trivedi from University of Texas Southwestern Medical Center in the US.

People with hypersomnia are compelled to nap repeatedly during the day, often at inappropriate times such as at work, during a meal, or in conversation.

They often have difficulty waking from a long sleep, and may feel disoriented upon waking, according to the National Institute of Neurological Disorders and Stroke (NINDS), part of the US National Institutes of Health (NIH).

Other symptoms may include anxiety, increased irritation, decreased energy, restlessness, slow thinking, slow speech, loss of appetite, hallucinations, and memory difficulty.

The researchers looked at blood sample provided by study participants who were randomly assigned to two types of aerobic exercise to determine the effects of exercise on their depression.

More than 100 adults ages 18 to 70 who had major depression disorder participated.

Researchers found that reductions in two biomarkers – brain-derived neurotrophic factor (BDNF) and Interleukin-1 beta – are related to reductions in hypersomnia.

The findings appeared in the journal Translational Psychiatry.


 
campuslive24.com

6
 সুগন্ধ থাকুক আর না থাকুক সব ধরনের ফুল সবাই ভালোবাসে। আর ফুলের সৌন্দর্যে নিজেকে সাজাতে কার না ভালোলাগে?আপনিও হতে পারেন ফুলের সৌন্দর্যে আলোকিত। এজন্য ব্যবহার করতে পারেন ফুল-ই!
 
কিন্তু কীভাবে? জেনে নিন ত্বকের যত্নে অতি পরিচিত ৭টি ফুলের ব্যবহার ও তাদের গুণের কথা।

১. গাঁদা ফুল: গাঁদাফুল খুবই কার্যকর একটি অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল। ব্রণের সমস্যা দূর করতে এ ফুল খুবই ভালো কাজ করে। গাঁদাফুল ও পাতা থেঁতো করে ব্রণের ওপর লাগিয়ে রাখুন। ব্রণ দূর হয়ে যাবে।

gadhaরোদে পোড়া দাগ দূর করতেও গাঁদাফুলের জুড়ি নেই। কয়েকটা গাঁদাফুলের পাঁপড়ি বেটে নিয়ে এতে ২ চা চামচ কমলার রস মিশিয়ে নিন। মিশ্রণটি মুখসহ রোদে পোড়া অংশগুলোতে লাগান। ১৫ মিনিট অপেক্ষা করে ধুয়ে ফেলুন। এতে রোদে পোড়া দাগ দূর হবার পাশাপাশি ত্বকের রঙের অসামঞ্জস্যতাও দূর হবে।

ত্বকের কালো ছোপ ছোপ দাগ দূর করতে গাঁদাফুলের পাঁপড়ি বাটা, চন্দন পাউডার ও গোলাপজল মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে মুখে লাগান। ২০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। এতে দাগ দূর হবে ও ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়বে।

২. গোলাপ ফুল: ত্বকের পরিচর্যায় গোলাপফুলের ব্যবহার নানাবিধ। ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে গোলাপের কয়েকটি পাঁপড়ি কাঁচা দুধে ভিজিয়ে রাখুন। আধা ঘণ্টা পর এই পাঁপড়িগুলো বেটে নিন এবং এর সাথে ১ চা চামচ মধু মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণটি পুরো মুখে লাগিয়ে ১০ মিনিট অপেক্ষা করুন। এরপর কুসুম গরম পানিতে মুখ ধুয়ে ফেলুন। এটি ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়িয়ে ত্বককে করে তুলবে কোমল ও মসৃণ।

গোলাপফুল বলিরেখা দূর করতেও সাহায্য করে। কয়েকটি গোলাপের পাঁপড়ি ভালো করে বেটে নিন। এর সাথে ত্বক তৈলাক্ত হলে লেবুর রস, শুষ্ক হলে কমলার রস এবং মিশ্র হলে শসার রস মিশিয়ে নিন। এরপর এ মিশ্রণটি তুলার বলের ওপর নিয়ে প্রতিদিন ত্বকে লাগান। বলিরেখা তো দূর হবেই, ত্বকের উজ্জ্বলতাও বৃদ্ধি পাবে।

৩. জবা ফুল: লাল জবাফুল থেঁতো করে নিন। এর সাথে চালের গুঁড়া মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। এই পেস্ট ত্বকে লাগিয়ে রাখুন ১০ মিনিট। তারপর আলতো হাতে ঘষে ঘষে ধুয়ে ফেলুন। ত্বকের মৃত কোষ দূর করে ত্বক গভীর থেকে পরিষ্কার করে এ মিশ্রণটি।

৪. পদ্ম ফুল: ক্লেনজার, টোনার ও ময়েশ্চারাইজার–এই ত্রিমুখী ভূমিকা পালন করতে পারে পদ্মফুলের রস। পদ্মফুলের পাঁপড়ি বেটে রস ছেঁকে নিন। ফ্রিজে রেখে ঠাণ্ডা করে এই রসে তুলো ভিজিয়ে ত্বকে লাগান। ২০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন।

ত্বকের রঙ উজ্জ্বল করতেও পদ্মফুলের জুড়ি নেই। পদ্মপাঁপড়ি চটকে নিয়ে চালের গুঁড়ার সাথে মিশিয়ে ব্যবহার করুন। এটা স্ক্রাবার হিসেবে খুবই ভালো।

rajoni bandha৫. রজনীগন্ধা ফুল: শুষ্ক, রুক্ষ ত্বকে প্রাণ ফিরিয়ে আনতে পারে রজনীগন্ধা। পূর্ণস্ফুটিত রজনীগন্ধা ফুলের পাঁপড়ি বেটে নিন। এর সাথে সামান্য মাখন ও মধু মিশিয়ে ত্বকে ম্যাসাজ করুন। ২০ মিনিট পর ঠাণ্ডা পানিতে ধুয়ে ফেলুন।

৬. বেলী ফুল: বেলীফুল থেঁতো করে নিন। এর সাথে অ্যালোভেরার রস ও মধু মিশিয়ে ত্বকে লাগান। ১৫ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। ত্বক টানটান ও মসৃণ হয়ে উঠবে। নিয়মিত ব্যবহারে বলিরেখা বিলম্বিত হবে।

৭. শাপলা ফুল: শাপলাফুল ও তিল বেটে নিন। এর সাথে নিমের তেল মেশান। ত্বকে লাগিয়ে রাখুন ১০ মিনিট। এরপর বরফঠাণ্ডা পানিতে ত্বক ধুয়ে ফেলুন। তৈলাক্ত ও ব্রণযুক্ত ত্বকের যত্নে এ মিশ্রণের তুলনা নেই।

সতর্কতা:

১.ব্যবহার করার আগে ফুল ভালো করে ধুয়ে নিন।

২.বিভিন্ন মৌসুমে হরেক রকমের ফুল পাওয়া যায় এবং সেগুলো রূপচর্চায় কাজে লাগানো যেতেই পারে। তবে কোনোটিই সরাসরি ব্যবহার করা উচিত নয়। কারণ কোনোটির অম্লতা বেশি হতে পারে আর সেক্ষেত্রে হিতে বিপরীতও হতে পারে। তাই অবশ্যই কোনো কিছুর সাথে মিশিয়ে ব্যবহার করুন।

 ৩. ফুলের তৈরি প্যাক বা মিশ্রণগুলো টাটকা অবস্থায় ব্যবহার করা উচিত। বেশি দিন রেখে দিলে এতে ব্যাকটেরিয়া জন্ম নিতে পারে, যা ত্বকের জন্য ক্ষতিকর।

৪. ফুলের রস ব্যবহার করার আগে হাতের কোনো অংশে তা ব্যবহার করে দেখুন এর থেকে আপনার অ্যালার্জি হয় কি না।

ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম

7
স্মৃতিশক্তি দুর্বল! কোনো কিছুই সহজে মনে রাখতে পারছেন না? অথচ বয়সও এমন আহামরি নয় যে, বার্ধক্যের অজুহাত খুঁজবেন।
 
এসব ভাবনা থেকে রেহাই পাওয়ার পথ বেরিয়েছে। আর সেই দাওয়াইটি হলো যোগ ব্যায়াম। মাত্র ২০ মিনিটেই বাড়বে স্মৃতিশক্তি৷ অতিসম্প্রতি লন্ডনে এক গবেষণায় এমনই দেখা গেছে।

গবেষণায় দেখা যায়, যোগ ব্যায়াম শুধু মানুষকে শারীরিকভাবে সুস্থ রাখে তাই নয়, সেই সঙ্গে বাড়িয়ে দেয় স্মৃতিশক্তিকেও৷ তাই গবেষকদের দাবি, শুধু শারীরিকভাবে সুস্থ থাকতে নয়, মানসিকভাবে সুস্থ থাকতেও ব্যায়াম করা দরকার৷

ওই গবেষণায় আরও দেখা গেছে, মাত্র ২০ মিনিট ব্যায়াম করলেই একজন মানুষের মানসিক শক্তি বেড়ে যেতে পারে অনেকটাই৷

৩০ জন শিক্ষার্থীদের উপর গবেষণাকারীরা এই গবেষণা করে৷ সেখানেই এই সাফল্য পাওয়া গিয়েছে বলে জানিয়েছেন গবেষণাকারীরা৷ তারা আরও জানিয়েছেন, ভারি ব্যায়াম করার থেকে যোগ ব্যায়াম করা অনেক সহজ ও সুবিধাজনক৷ যারা সারাদিন ব্যস্ত থাকেন কাজের মধ্যে তাদের ভারি ব্যায়াম না করাই ভালো৷ তাদের পক্ষে হালকা যোগ ব্যায়াম করাই অনেক বেশি উপকারী৷

ক্যাম্পাসলাইভ২৪ডটকম

8
Faculty Forum / বদ অভ্যাসের ভালো গুণ!
« on: November 22, 2015, 11:54:59 PM »
বদ অভ্যাস। কথাটা শুনলেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে নানা নেতিবাচক বিষয়। আর বদ অভ্যাস মানেই যে মন্দ কিছু তা বলাই বাহুল্য।
 
কিন্তু শুনতে অবাক লাগলেও কিছু বদ অভ্যাস আপনার শরীর ও মনে বয়ে আনে ইতিবাচক কিছু বিষয়।

যা আপনাকে রাখতে পারে সুস্থ৷ তাই সেসব বদঅভ্যাস অল্প বিস্তর থাকলে ক্ষতি নেই৷ তবে মনে রাখবেন কোনো কিছুই অতিরিক্ত ভালো নয়৷

কফি-আসক্তি

সকালে এক কাপ কফি না হলে দিনের শুরু হয় না অনেকেরই৷ অথবা সারাদিনের ক্লান্তি দূর করে কাজে মনোযোগ ফিরিয়ে আনতে কফির কাপের দিকে কে না হাত বাড়ায়?

এটাকে বদভ্যাস মনে করলেও দুই এক কাপ কফি আপনার মানসিক শক্তি বাড়ায় একথা সত্যি। তার পাশাপাশি কমিয়ে আনতে পারে টাইপ টু ডায়াবেটিসের ঝুঁকিও।

তবে বিকেলের পর কফি পান না করাই ভালো। কারণ এতে আমাদের ঘুমের সমস্যা হতে পারে।

ঘুমকাতুরে

ঘুম অনেককেই বেশি ভালোবাসে৷ অনেকেই আছেন যারা সুযোগ পেলেই অল্প ঘুমিয়ে নিতে পছন্দ করেন৷ ঘুমে আসলে খারাপ কিছুই নেই। দিনে অন্তত ৭-৯ ঘন্টা ঘুমানোটা স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য জরুরি একথা আমরা সবাই জানি।

তবে এর মাঝে ব্যতিক্রমও আছে, অনেকে এর থেকে কম ঘুমিয়েও ঠিক থাকেন। এক একজনের শারীরিক চাহিদা অনুযায়ী তার শরীরে ঘুমের প্রয়োজন রয়েছে৷ আর সেই অনুযায়ী আপনি যদি ঘুমিয়ে নিতে পারেন তাহলে আপনারই শারীরিক লাভ।

ধীরে সুস্থে কাজ করা

একটা কাজ করার আগে ভালো করে ভেবে চিন্তেই কাজ করা উচিত৷ তাতে কাজটি অনেক সুষ্ঠুভাবে করা যায়৷

একসঙ্গে অনেকগুলো কাজ করতে গেলে তাতে চাপও পড়ে, আর কাজে ভুলও বেশি হয়৷ সেই কারণে কাজের ধরন বুঝে একটু সময় নিয়ে কাজ করাই ভালো।

চকলেট-প্রেম

অতিরিক্ত চকলেট যে কারোও পক্ষেই ভালো নয় তা সবাই জানে। কিন্তু চকলেটের লোভ সামলাতে পারেন না অনেকেই! মন খারাপ থাকলে এক টুকরো চকলেট খুশি করে দেয় অনেককেই৷

কিন্তু প্রচুর চিনি দেওয়া চকলেটের বদলে ডার্ক চকলেট খাওয়া শুরু করুন। চকলেটের চাহিদাও মিটবে, স্বাস্থ্যেরও উপকার হবে।

এতে আপনার হৃৎপিণ্ড ভালো থাকবে, স্মৃতি ভালো হবে এমনকি ওজনও কমবে। তাই চকলেট খেতে আর কোনও মানা নেই৷

একা থাকা

অনেকেই আছেন যাঁরা একা থাকতে পারেন না৷ সবসময় বন্ধুদের সঙ্গ খোঁজেন৷ আবার এমন অনেকে আছেন যাঁরা একাই থাকতে পছন্দ করেন বেশি৷ আর এর ফলে তাঁদের অনেকেই ভাবেন অসামাজিক৷

মনোবিদরা বলেন অনেকের মধ্যে থাকতে থাকতে আমরা হরিয়ে ফেলছি নিজেদেরই৷ আমরা ভুলে যাচ্ছি নিজেদের বুঝতে জানতে৷ তার থেকে নিজেদের একটু গুটিয়ে মাঝে মধ্যে নিজেদের শখের পিছনে একান্তভাবে সময় দেওয়াও প্রয়োজন৷ নিজেকে ভালোবাসাও প্রয়োজন৷

ক্যাম্পাসলাইভ২৪ডটকম

9
Faculty Forum / সপ্রতিভ থাকার মন্ত্র
« on: November 22, 2015, 11:52:30 PM »
আজকের ব্যস্ত জীবনে স্বাস্থ্য নিয়ে ভাবার ফুরসত কোথায়। কিন্তু স্বাস্থ্যই যে সকল সুখের মূল-এ আপ্তকথাটি ভুলে গেলে চলবে না। দিনের শুরুতে কিছু অভ্যাস করলে স্বাস্থ্যভাবনা থেকে রেহাই পাওয়া যাবে সহজেই।


 
পানিতেই বাজিমাৎ: সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর খালি পেটে যতটুকু সম্ভব পানি পান করুন। এতে আপনার শরীরের মেটাবলিজম ত্বরান্বিত হবে। ওজন বৃদ্ধি পাওয়ার আশঙ্কা কমবে। সম্ভব হলে এক গ্লাস কুসুম গরম পানিতে ২ চা চামচ মধু মিশিয়ে পান করুন। এতে আপনার পেটের যাবতীয় সমস্যা দূর হয়ে যাবে। পেট পরিষ্কার থাকবে ও কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হবে।

দাঁত পরিষ্কার করুন: আমরা প্রায় সবাই ঘুম থেকে উঠে নাশতা করার আগে দাঁত ব্রাশ করি। আসলে নিয়ম হলো সকালের নাশতার পর দাঁত ব্রাশ করা। যদি আপনি রাতে দাঁত ব্রাশ করে ঘুমান, তাহলে নাশতা করার আগে শুধু কুলি করে নিন।

এরপর নাশতা করার পর দাঁত ভালো করে ব্রাশ করে পরিষ্কার করুন। এতে আপনার মুখ ও দাঁত সারাদিনের জন্য পরিষ্কার থাকবে এবং নিঃশ্বাসেও খুব বেশি দুর্গন্ধ হবে না।

ব্যায়াম করুন: নিয়মিত ব্যায়াম আপনাকে করবে সুস্বাস্থ্যের অধিকারী। প্রতিদিন ঘুম থেকে ওঠার পর নিয়মিত ব্যায়াম করুন। অল্প সময়ের ব্যায়ামেই আপনি পাবেন দীর্ঘমেয়াদী ফল। আপনি থাকবেন সারা দিনের জন্য ঝরঝরে এবং কর্মক্ষম।

জোরে হাঁটা বা দৌড়ানো খুব ভালো ব্যায়াম। ঘুম থেকে ওঠার পর প্রতিদিন ৩০ থেকে ৪০ মিনিট হাঁটতে পারেন। এছাড়া করতে পারেন হালকা কোনো ব্যায়াম।

শবাসন করুন: আমাদের উপমহাদেশে উদ্ভাবিত যোগ ব্যায়াম আজ সারা বিশ্বে সমাদৃত, অথচ আমরা অনেকে এ বিষয়ে একবারেই অজ্ঞ। এ ব্যায়ামের মূল বৈশিষ্ট্য হলো বিশেষ ধরনের দেহভঙ্গিমা, যাকে আসন বলা হয়।

একেক আসনে দেহে একেকভাবে চাপ পড়ে, যা দেহের একেক অংশের উপকার সাধন। এসব আসনে কিছুক্ষণ থাকার পর একটি বিশেষ আসনে বিশ্রাম নিতে হয় যাকে শবাসন বলে।

মনকে চিন্তামুক্ত রেখে বালিশ ছাড়া চিত হয়ে হাত-পা ছড়িয়ে শুয়ে শবাসন করতে হয়। সকালে ঘুম ভাঙলে লাফিয়ে বিছানা থেকে না উঠে কিছুক্ষণ শবাসন করুন। এতে দৈহিক শক্তি ও আত্মবিশ্বাস বাড়ে। প্রতিদিন আধাঘণ্টা শবাসন করলে মেরুদণ্ড ভালো থাকে, অনেক পরিশ্রম ও মানসিক চাপ সহ্য করা যায়।

নাশতা করুন ভরপেট: অনেকেই মোটা হয়ে যাবার ভয়ে সকালে ঠিকমতো নাশতা করেন না। এটা আসলে একটা ভুল ধারণা। বরং সকালে নাশতা না করলেই ওজন বৃদ্ধির আশঙ্কা বেড়ে যায়। সকালে ভরপেট নাশতা করুন। এতে আপনার সারাদিনের কর্মক্ষমতা ঠিক থাকবে। দুপুরে ও রাতে অল্প পরিমাণে খেলেও সমস্যা হবে না।

খালি পেটে চা-কফি নয়: সকালে ঘুম থেকে উঠে অনেকেই খালি পেটে চা বা কফি খান। এটা খুবই খারাপ একটা অভ্যাস। এতে বিভিন্ন ধরনের অসুখ-বিসুখ হবার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। বিশেষ করে ক্রনিক অ্যাসিডিটি বা আলসারের সূত্রপাত এভাবেই হয়। এছাড়া কোষ্ঠকাঠিন্যের জন্যেও এ অভ্যাস দায়ী।

ক্যাম্পাসলাইভ২৪ডটকম

10
ব্যস্ত শহুরে জীবনে খাবারের ব্যাপারে আমরা অনেকখানিই ফ্রিজের ওপর নির্ভরশীল। কারণ রোজ রোজ বাজারে যাবার সময় কোথায়!


 
অন্যদিকে একবারে বেশি করে রান্না না করলে টিভি সিরিয়ালের জন্য সময় বের করা গৃহিনীদের জন্য মুশকিল বৈকি!

আপনি যদি এমন জীবন-ধারায় অভ্যস্ত হয়ে থাকেন, তবে নতুন করে ভাবার সময় এসেছে।

জেনে রাখুন ফ্রিজের খাবার খেয়ে আপনি নিজের শরীরের ক্ষতি করছেন। আর ফ্রিজ থেকে বের করেই যদি তা খেতে শুরু করে দেন তাহলে না খেয়ে থাকার চেয়েও বেশি ক্ষতি করছেন শরীরের। ঠাণ্ডা খাবার থেকে Food-Borne ডিজিজ হতে পারে |

সব থেকে আদর্শ হয় যদি রান্না করার তিন ঘণ্টার মধ্যে তা খেয়ে ফেলতে পারেন। এটা অনেকের পক্ষেই সম্ভব নয়। তাই খাবার আগে সব সময় খাবার গরম করে খান।

খুব ভালভাবে রান্না করলেও কিছুক্ষণ পর থেকে খাবারকে ডিগ্রেডেশন আর ব্যাকটেরিয়ার হাত থেকে বাঁচানো যায় না। এমনকী সঠিকভাবে খাবার ফ্রিজে ভরে রাখলেও তার মধ্যে ব্যাকটেরিয়া কাজ শুরু করে দেয়।

আমরা অনেকেই ভাবি ফ্রিজে খাবার ঢুকিয়ে রাখা মানে তা ঠিক থাকবে। তবে মনে রাখুন ঠাণ্ডার কারণে ব্যাকটেরিয়া ধীরে ধীরে কাজ করে। কিন্তু থেমে থাকে না। তাই ফ্রিজ থেকে খাবার বের করে তা অবশ্যই গরম করে নিয়ে খেতে হবে।

খাবার গরম করার আগে কিছু বিষয় মনে রাখতে স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। যেমন-

১. অল্প আঁচে খাবার গরম করুন। এর ফলে খাবারে যে ব্যাকটেরিয়া তৈরি হয়ে তাও খানিকটা মরে যায়। উচ্চ তাপমাত্রায় খাবার কখনো গরম করবেন না। এতে খাবারের নিউটিয়েন্টস‚ ভিটামিন এবং মিনারেল নষ্ট হয়ে যায়।

২. খাবার গরম না করে স্টিমিং করে নিন। অল্প পানি খাবারের ওপর ছিটিয়ে লো ফ্লেমের ওপর খাবারের পাত্র বসিয়ে রাখুন। মাইক্রো ওয়েভে খাবার গরম করলেও এ ভাবেই করুন।

৩. ডাল‚ সুপ বা ঝোল গরম করার সময় সেটা একবার ফুটিয়ে নিন। মাইক্রো ওয়েভ ওভেনে মাঝে মাঝে খাবার চামচ দিয়ে নাড়িয়ে দিন।

৪. পাঁউরুটি‚ পিজা বা ভাজা ফ্রিজে রাখলে তা নেতিয়ে যায়। তাই ফ্রিজ থেকে বের করে কিছুক্ষণ রুম টেম্পরেচারে রেখে তাওয়ায় গরম করুন। মাইক্রো না করাই ভালো। কারণ এরে ফলে তা আরো শক্ত হয়ে যায়।

৫. দুদিনের বেশি যে খাবার ফ্রিজে রাখা আছে তা না খাওয়াই ভালো।

ক্যাম্পাসলাইভ২৪ডটকম

11
শরীরের অঙ্গপ্রত্যঙ্গের সুস্থতায় ব্যায়ামের চর্চা বহু প্রাচীন। সারা শরীরেই ব্যায়ামের প্রভাব ও প্রচলন রয়েছে।
 
আজকের সচেতন শহুরে মানুষতো দিনের একটি অংশ বরাদ্দই রাখেন জিমের জন্য। কিন্তু শরীরের অন্যতম প্রধান স্পর্শকাতর অঙ্গ চোখ নিয়ে ভাবেন কয়জন!

বর্তমান সময়ে চোখের ওপর ধকলও বেড়েছে বহুগুণ। এই যেমন কম্পিউটার-মোবাইল কালচারে অভ্যস্তদের দীর্ঘ সময় কাটে স্ক্রিনে। এতে চোখের ওপর চাপ পড়ে অনেক।

ব্যায়াম রয়েছে চোখেরও। খুব সহজে যে কোনো জায়গায় বসে এ ব্যায়ামগুলো চর্চা করলে চোখের সুস্থতায় তা অনেক কাজে দেবে।

এক. কাজের ফাঁকে খানিকটা সময় চোখ বন্ধ করে রাখুন। হাতে হাত ঘষে হাতের তালু কিছুটা গরম করে বন্ধ চোখের ওপর রাখুন।

হাতের তালু এমনভাবে রাখুন যাতে ভেতরে কোনো আলো না যেতে পারে। দুই মিনিট এভাবে চোখ বন্ধ করে রাখুন। দিনে বেশ কয়েকবার এরকম করলে আপনার চোখের বিশ্রাম হবে।

দুই. যারা কম্পিউটার ও মোবাইল ফোন বেশি মাত্রায় ব্যবহার করেন তাদের চোখ শুকিয়ে যাওয়ার সমস্যায় ভুগতে দেখা যায়। তাদের জন্য ব্যায়াম হচ্ছে একটানা তাকিয়ে না থেকে ঘন ঘন চোখের পাতা ফেলা।

কম্পিউটার ও মোবাইল ফোন ব্যবহারের সময় সাধারণের তুলনায় ঘন ঘন চোখের পাতা ফেলুন। এতে চোখ শুকিয়ে যাওয়ার সমস্যা থেকে রেহাই পাবেন।

তিন. রাতে ঘুমানোর সময় বিছানায় শুয়ে এই ব্যায়ামটি করতে পারেন। চোখ বন্ধ করে চোখের পাতা আঙুলের ডগা দিয়ে হালকা করে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে ম্যাসাজ করুন।

ভ্রুর নিচের দিক ও চোখের নিচের দিক এভাবে দুই মিনিট ম্যাসাজ করে নিন। এতে ঘুমও ভালো হবে৷ আপনার চোখের অতিরিক্ত ক্লান্তিও দূর হবে৷

আপাতত এই তিনটি ব্যায়ামের চর্চা আপনার চোখের সুস্থতায় প্রয়োগ করে দেখুন। আরাম বোধ করবেন। সুস্থ থাকবে চোখ।

ক্যাম্পাসলাইভ২৪ডটকম

12
বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে যারা চাকরি করেন, তাদের জীবনটা আসলেই গৎবাঁধা।
 
হররোজ একই সময়ে ঘুম থেকে ওঠা। তারপর ফ্রেশ হয়ে নাস্তা-পানি সেরে দে ছুট অফিসের পানে। যানজটের বিড়ম্বনা শেষে একই কাজের রুটিন। দিনশেষে ঘরে ফিরে সংসারের সাতকাহনে জড়ানো।

চাকরিজীবীদের রোজনামচা এমনই। তাই তো কর্মক্ষেত্রে অনেকেই ভোগেন একঘেয়েমিতে। হাপিয়ে ওঠেন। হয়ে ওঠেন ত্যক্ত-বিরক্ত।

তবে কিছু অভ্যাস রপ্ত করতে পারলে এই একঘেয়েমি কাটিয়ে ওঠা অসম্ভব নয়। তাতে ফিরে পাবেন নতুন উদ্যম।

পড়তে পারেন বই: কাজ করতে করতে একঘেয়ে লাগলে কিছুক্ষণ মজার বই পড়ুন। অফিসে সঙ্গে করে নিয়ে আসতে পারেন পছন্দের বই অথবা অনলাইন থেকে পড়ে নিতে পারেন প্রিয় কোনো বইয়ের কিছু অংশ।

এটি আপনার কাজের বিরক্তি কাটাবে। সঙ্গে নতুন করে কাজে মনোযোগী করে তুলবে।

একটু ঘুরে আসুন: আপনার অফিসে অনেকগুলো বিভাগ আছে। নিজের কাজের বিভাগ থেকে বের হয়ে, ঘুরে আসুন অফিসের অন্য কোনো বিভাগ থেকে। চাইলে অন্য বিভাগে থাকা আপনার বন্ধুটিকেও কাজে সাহায্য করে আসতে পারেন কিছুক্ষণ৷

সুরের মাঝে হারিয়ে যান: কাজের ফাঁকে কিছুক্ষণ গান শুনুন। গান আপনার মনকে সতেজ করে তুলবে। যা আপনাকে কাজের প্রতি নতুন করে মনোযোগী হয়ে উঠতে সহায়তা করবে।

হাসুন: গান শুনে বা বই পড়ে কাজের প্রতি মনোযোগী হতে না পারলে কোনো মজার ভিডিও দেখুন। যা আপনাকে কিছুক্ষণ হাসাবে। আর এই হাসি আপনার কাজের ক্লান্তি দূর করে দেবে।

গোছগাছ করুন: কাজ করতে করতে ক্লান্ত লাগছে? কিছুক্ষণ নিজের ডেস্কটি গোছান। এবার একটি লিস্ট করে ফেলুন যা যা আপনি করতে চান।

নিজের লক্ষ্যটাকে আরেকবার মনে করে নিন। জীবনে কী করতে চেয়েছিলেন, কী করবেন তার একটি কর্ম পরিকল্পনা করে ফেলুন। এটি আপনাকে আপনার কাজের প্রতি আরও যত্নশীল করে তুলবে। আপনি কাজে উৎসাহ পাবেন৷

বন্ধু তৈরি করুন: আপনার কাজের জায়গায় আপনার কিছু বন্ধু আছে। তাদের বাইরে নতুন কিছু বন্ধু তৈরি করুন। যাদের সঙ্গে খুব কম কথা বলা হয় তাদের সঙ্গে কথা বলুন।

কাজের ফাঁকে ফাঁকে তাদের সঙ্গে কিছুক্ষণ আড্ডা দিন, দেখবেন কাজের একঘেয়েমি অনেকটা কমে গিয়েছে।

ছুটি নিন: প্রত্যেক অফিসেই ক্যাজুয়াল লিভ আছে। দু-তিন মাস অন্তর ৩ দিনের ছুটি নিন। প্রিয়জনকে নিয়ে ঘুরে আসুন কাছে-দূরের পছন্দের জায়গায়।

এভাবে সহজেই নিজেকে প্রাণবন্ত আর কর্মচঞ্চল রাখতে পারবেন। আজই শুরু করে দিন না!

campuslive24.com

13
আজকের এই প্রতিযোগিতার বাজারে ক্যারিয়ার ভাবনা ছাড়া যেন আর কিছুই নেই নাগরিক জীবনে।
 
ক্যারিয়ার বিল্ডআপ করার জন্য কত সংগ্রাম আর চেষ্টাই না করতে হয়। তার জন্য যেমন দরকার দক্ষতা বাড়ানো, তেমনি ডেস্কে দীর্ঘ সময় দেয়ার অভ্যাস।

আর এই গৎবাঁধা কাজ করতে করতে শরীরের দিকে নজর দেয়ার ফুরসত কই! কাজেই কর্পোরেট দুনিয়ায় নতুন কিছু শরীরিক সমস্যার কথাও চাউর হয়েছে।

পিঠ, কোমরের ব্যথা অনেকের নিত্যসঙ্গী। এক কথায় ব্যাকপেইনের বিড়ম্বনায় নাকাল হচ্ছেন অনেকেই।

অথচ একটু সতর্কতা আর কিছু অভ্যাস গড়ে তুলতে পারলে এ সমস্যা দূর করা মোটেও কঠিন নয়।

যেমন- কম্পিউটারের সামনে কাজ করার সময় কোন চেয়ারে বসছেন তা দেখে নিন। আপনার চেয়ার আর কম্পিউটারের কি-বোর্ডের মধ্যে যেন সামঞ্জস্য থাকে।

তারচেয়েও গুরুত্বপূর্ণ চেয়ারটি যেন হয় সোজা হয়ে বসার জন্য উপযোগী।

অনেকেই একনাগাড়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা কম্পিউটারের সামনে বসে থাকেন। এটি চলবে না। প্রতি ঘণ্টায় অন্তত পক্ষে ৫ মিনিট করে কাজ বন্ধ রাখুন। একটু ঘুরে আসুন।

একভাবে বসে থাকতে থাকতে যখন ক্লান্তি অনুভব করবেন তখন উঠে দাঁড়িয়ে কোমর এবং পিঠ টান টান করুন। এতে রক্ত চলাচল ভালো হবে এবং ক্লান্তি কেটে যাবে।

এমন চেয়ারে বসুন যেখানে পিঠে ঠেস দেওয়া যাবে এবং কখনও কখনও মাথাও রাখা যাবে।

যখন বসবেন তখন খেয়াল রাখবেন যাতে আপনার হাঁটু ৯০ ডিগ্রি কোণ করে থাকে। পা কখনই ক্সস করে রাখবেন না এবং পিঠ সোজা করে বসবেন।

আপনার চোখ যাতে কম্পিউটার স্ক্রিনের সোজাসুজি থাকে তার দিকে খেয়াল রাখবেন। যদি ঘাড় নিচের দিকে নেমে থাকে তাহলে ঘাড়ে ব্যাথা হবে। যা থেকে পিঠে ব্যথা অনিবার্য।

যখন চেয়ার থেকে উঠে দাঁড়াবেন তখন পায়ে শরীরের পুরো ভর দিয়ে দাঁড়াবেন। ফোনে কথা বলার সময় হেডফোন বা স্পিকার ব্যবহার করবেন।

ঘাড় নামিয়ে কথা বলবেন না। দীর্ঘক্ষণ ঘাড় নামিয়ে রাখলে ঘাড় থেকে পিঠে ব্যথা নামবে। যার থেকে ব্যথার সূত্রপাত হবে।

এমন কিছু বিষয় মাথায় রাখলে কর্মক্ষেত্রে সপ্রতিভ থাকবেন সব সময়। সেই সাথে ব্যাকপেইনের বিড়ম্বনাও বিদায় নেবে।

campuslive24.com

14
কর্মজীবী মানুষের দিনের বেশিরভাগ সময়ই কাটে অফিসে। আর এ কারণে কলিগদের মাঝে নিজেকে প্রিয় হিসেবে উপস্থাপন করা জরুরি।
 
কারণ এর সাথে জড়িয়ে আছে আপনার ব্যক্তিত্ব। ক্যারিয়ারেরও অনেক বিষয়। কিন্তু কীভাবে আপনি নিজেকে সবদিক থেকে ফিট রাখবেন?

আসুন তাহলে জেনে নেয়া যাক কিছু বিষয়। এগুলো অনুসরণ করতে পারলে আপনিও সহকর্মীদের কাছে হয়ে উঠতে পারবেন প্রিয়।

অফিসে যে কোনো সময় প্রয়োজনে-অপ্রয়োজনে আপনার কল, বা মেসেজ আসতে পারে। সেক্ষেত্রে আপনার ফোনের রিংটোন যদি হয় কোনো গান বা অন্যকিছু, তখন আপনার সহকর্মীরা বেশ বিরক্তই হবে আপনার ওপর।

আপনার পছন্দের রিংটোন যাই হোক না কেন অফিসে অবশ্যই ভলিউম কমিয়ে রাখুন। ভালো হয় রিংটোন অফ করে রাখলে। কেননা নিরিবিলি একটা পরিবেশে কাজ করার সময় হঠাৎ উচ্চস্বরে রিংটোন বেজে ওঠা নিশ্চয়ই কোনো কাজের কথা নয়।

অফিসে বস বা অন্য সহকর্মীদের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ মিটিং চলছে। তখন হঠাৎ আসা ম্যাসেজটি নিয়ে হামলে না পড়াই ভালো। যদি তা মিটিং রিলেটেড না হয়।

কেননা যে কোনো আলোচনার সময় মেসেজের দিকে মনোনিবেশ করলে অন্যরা আপনার দিকে অবশ্যই একটু বিরক্তিকর চোখে তাকাবে।

তাই ফোন বা ট্যাব যেখানেই মেসেজ আসুক না কেন মিটিং বা গুরুত্বপূর্ণ আলোচনার সময় এই কাজটি থেকে বিরত থাকাই ভালো।

প্রতিটি অফিসেরই একটি নির্দিষ্ট নিয়মকানুন ও এটিকেট থাকে। তা ভঙ্গ করা একজন কর্মী হিসেবে কখনই উচিত নয়। সময়মতো অফিস যাওয়া তারই একটি অংশ।

দেরি হতেই পারে, তবে তা যেন প্রতিদিনের তালিকায় যোগ হয়ে না যায়।

আমাদের দেশের প্রায় প্রতিটি অফিসে নারী-পুরুষ একসঙ্গে কাজ করে। পদমর্যাদার দিক থেকে কখনও নারী সহকর্মীরা উচ্চপদে আসীন থাকেন।

আর তখন পুরুষ কর্মীদের মধ্যে দেখা যায় হীনমন্যতা। নারী-পুরুষ যে যে পদেই থাকুক না কেন প্রত্যেককে তাদের সঠিক মর্যাদা দিতে হবে।

অফিসে কাউকে ছোট করে আঘাত দিয়ে কথা না বলাই ভালো। অনেকের মধ্যে সহকর্মীদের নিয়ে বাজে মন্তব্য করা বা ঝগড়া করার বিশেষ প্রবণতা থাকে।

সেইসঙ্গে দেখা যায় সহকর্মীদের হাঁড়ির খবর নিতেও তাদের বেশ আগ্রহ। এসব বিষয় একদম পরিহার করতে হবে।

অনেক সহকর্মীকে দেখা যায় অন্যদের খাবার সম্পর্কে জানা বা খাওয়া তাদের নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপারে পরিণত হয়েছে।

ভালো হয় নিজের খাবার নিজে খাওয়া। অন্য সহকর্মী কী খেল, তা নিয়ে গবেষণা করে নিচু মানসিকতার পরিচয় দেয়া থেকে বিরত থাকুন।

তবে সহকর্মী যখন আপনার জন্যও খাবার নিয়ে আসবেন তখন তা অবশ্যই গ্রহণ করা উচিত। তবে অনেক খাবারে অনেকের অ্যালার্জি থাকে। তখন আবার ভদ্রতার খাতিরে সেই খাবার খেয়ে নিজে অসুস্থ হতে যাবেন না।

আসলে প্রতিটি অফিসে দিনের বেশিরভাগ সময় কাটাতে হয় আমাদের। কাজের ফাঁকে ফাঁকে কথা বলা বা গল্প করা কাজেরই একটি অংশ।

তবে অনেকে এটিকে আবার বিরক্তির পর্যায়ে নিয়ে যান। একশ্রেণীর সহকর্মীদের কাজই হলো অফিসে ঢুকেই অন্যের সঙ্গে তার আসার পথের সুবিধা-অসুবিধার ফিরিস্তি দেয়া, পরিবারের সমস্যার কথা তুলে ধরা, বা অযথাই হাসাহাসি করা।

এ ব্যাপারগুলো একেবারেই অফিস এটিকেটের বাইরে। সমস্যা থাকতেই পারে। তাই বলে প্রয়োজন নেই তা প্রত্যেককে জানানো।

আমরা যে কেউ যে কোনো সময় অসুস্থ হতে পারি।অনেকে কোল্ড অ্যালার্জির কারণে শীত-গরম সব সময়ই সর্দিজ্বরে ভোগেন।

সর্দিজ্বর বা ভাইরাসজনিত রোগে আক্রান্ত হলে সহকর্মীদের সঙ্গ এড়িয়ে চলাই ভালো। কেননা ভাইরাসবাহিত রোগ যে কোনো সময় যে কাউকে আক্রান্ত করতে পারে।

অন্যকে অসুস্থ করার দায়িত্ব নিশ্চয়ই আপনার নয়।

অফিস সহকর্মীদের মধ্যে যেহেতু সুন্দর একটি সম্পর্ক তৈরি হয়ে যায়, তাই তাদের জন্মদিন বা নিউ ইয়ার বা বিশেষ দিনে উইশ করুন।

সম্পর্ক ভালো হলে গিফট দিন, দিনটিকে সেলিব্রেটও করতে পারেন।

সহকর্মীর পোশাক নিয়ে অন্যদের সঙ্গে আলোচনা-সমালোচনা না করাই ভালো। পোশাকটি যদি অফিস ডেকোরামকে ভঙ্গ করে, তবে সেই সহকর্মীটিকে ডেকে তাকেই বলা ভালো।

আড়ালে অন্যদের সঙ্গে তাকে নিয়ে কথা বলা মোটেই উচিত নয়। আর অফিসে উগ্র সাজগোজ এড়িয়ে চলতে হবে সব সময়—হন আপনি নারী বা পুরুষ কলিগ।

উপরোক্ত বিষয়গুলো মাথায় রেখে চললে অফিসে আপনার ব্যক্তিত্বের সুপ্রভাব পড়তে বাধ্য। এতে সহজেই আপনি হয়ে উঠতে পারবেন অনুকরণীয় একজন।

ক্যাম্পাসলাইভ২৪ডটকম

15
প্রশান্ত, সুখি জীবন কে না চায়। কিন্তু এই প্রতিযোগিতার দুনিয়ায় ঘরে-বাইরে নানা রকম মানসিক চাপ সব স্বস্তি কেড়ে নেয়।
 
এর আরেক নাম স্ট্রেস। যা নাগিরক জীবনে বহুল উচ্চারিত একটি শব্দ। আমদের জীবনে ছন্দপদন ঘটাতে এই স্ট্রেস অনেকাংশেই দায়ী।

যে কারণে অনেকেই চান এই মানসিক চাপ বা স্ট্রেসমুক্ত থাকতে। এটা সম্ভব কিছু বিষয় চর্চা করলে।

আসুন জেনে নেয়া যাক স্ট্রেসমুক্তির পন্থা

হাঁটুন। হাঁটা খুব ভালো ব্যায়াম। রোজ নিয়ম করে খানিকটা সময় হাঁটলে শরীরের পক্ষে তো ভালোই। পাশাপাশি আপনার মানসিক ব্যায়ামও হয়। হাঁটলে নিশ্চয়ই আপনার স্ট্রেস কমবে।

মেডিটেশন বা ধ্যান করুন। অবশ্যই এই দ্রুত গতির জীবন থেকে রোজ নিজের জন্য আধঘণ্টা সময় বের করে নিন। নিয়মিত মেডিটেশনে কাটিয়ে উঠতে পারবেন স্ট্রেস।

চাই লম্বা ঘুম। ঘুমনোটা খুব জরুরি। সারাদিন এত কাজে ব্যস্ত থাকেন যে, ঘুমের জন্য সময় নেই। একদম এমন করবেন না। সব কাজের পাশাপাশি নিয়ম করে অন্তত ৮ ঘণ্টা ঘুমের জন্য রাখুন। তাহলেই আপনি স্ট্রেস থেকে রেহাই পাবেন।

ইতিবাচক চিন্তাভাবনা করুন। নেতিবাচক চিন্তা আপনাকে আরও দুশ্চিন্তায় ফেলে দেবে। কিন্তু যদি আপনি পজিটিভ চিন্তা করেন, তাহলে অবশ্যই স্ট্রেসমুক্ত জীবনযাপন করতে পারবেন।

পুষ্টকর খাবার খান। শুধু পেট ভরালেই হবে না। ভালো খাবার খান। যে খাবারে ক্যালোরি বেশি থাকে, ডাক্তারের পরামর্শ মতো সেই ধরনের খাবার খান। তাহলে আপনার শরীর ভাল থাকবে, আর স্ট্রেস থেকে রেহাই পাবেন।

এভাবে দৈনন্দিন জীবন যাপনে কিছু বিষয় মেনে চললে অনেকটাই স্ট্রেসমু্ক্ত থাকা যায়। ফলে সবক্ষেত্রে সাফল্যও আসে সহজে।

Source: Campuslive24.com

Pages: [1] 2 3 4