Show Posts

This section allows you to view all posts made by this member. Note that you can only see posts made in areas you currently have access to.


Messages - Md. Neamat Ullah

Pages: 1 2 [3] 4 5 ... 12
31

গরমে দিনভর রোজা রাখার পর ক্লান্তি কাটাতে ইফতারে চাই এমন কিছু, যা ঝটপট শরীর ঠান্ডা করতে পারে। রোজার পর তৃষ্ণা মেটাতে শরবত খাওয়ার পরামর্শ দেন পুষ্টিবিদেরা। বেলের শরবত দারুণ কাজে আসতে পারে। বাজারে এখন বেল পাবেন। বেল ‘উড অ্যাপল’ নামেও পরিচিত।

পুষ্টিবিদেরা বলেন, শরীরের পানিস্বল্পতা দূর করতে বেলের শরবতের তুলনা হয় না। আবার পুষ্টিগুণের দিক থেকেও এটি অনন্য। এক গ্লাস ঠান্ডা শরবত সারা দিনের ক্লান্তি মুছে শরীরকে চাঙা করে তুলতে ভূমিকা রাখে। একই সঙ্গে অবসাদ ঘুচিয়ে দিতেও কিন্তু বেশ কার্যকর।

বেল আমাদের দেশের দারুণ জনপ্রিয় একটি ফল। বাংলাদেশ ছাড়াও এশিয়ার কয়েকটি দেশে বেল পাওয়া যায়। বেশি বেল পাওয়া যায় শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তান, নেপাল, মিয়ানমার, ভিয়েতনাম, থাইল্যান্ড, কম্বোডিয়া ও লাওসে। আয়ুর্বেদশাস্ত্রেও বেলের নানা গুণের কথা বলা হয়।

বেলের শক্ত খোলসের ভেতর থাকা নরম মজ্জা বা শাঁস সরাসরি খাওয়া যায় বা তা দিয়ে শরবত তৈরি করা যায়। বেলের শরবত খুব পুষ্টিকর। এটি নানা রোগের বিরুদ্ধে লড়ার পাশাপাশি ত্বক ভালো রাখে এবং চুল পড়া ঠেকায়। বেল পেটের নানা রোগ সারাতে জাদুর মতো কাজ করে, কাঁচা বেল ডায়রিয়া ও আমাশায় রোগের ওষুধ হিসেবও বিবেচিত। বেলে আছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি, ভিটামিন এ, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস ও পটাশিয়াম।

বেলের গুণাগুণ
* যাঁদের হজমে সমস্যা আছে, বেল তাঁদের জন্য বেশ উপকারী।
* কাঁচা বেল ডায়রিয়ার রোগীদের জন্য ভালো। এ জন্য ফালি ফালি করে কেটে রোদে শুকিয়ে গুঁড়া করে নিতে হবে। উষ্ণ গরম পানির সঙ্গে মিশিয়ে রোগীকে অল্প অল্প করে খাওয়াতে হবে।
* জন্ডিস, যক্ষ্মা, উচ্চ রক্তচাপের জন্যও বেল খুব উপকারী।

বাড়িতে কীভাবে বেলের শরবত তৈরি করবেন
* পাকা বেল নিয়ে পানি দিয়ে ভালো করে ধুয়ে ফেলুন।
* চামচ বা ছুরি ব্যবহার করে বেলের শক্ত খোসা ছাড়িয়ে এর শাঁস আলাদা করুন।
* এতে পরিমাণমতো পানি দিয়ে কিছুক্ষণ রেখে দিন।
* এরপর পানিতে ওই শাঁস গুলিয়ে নিন, যতক্ষণ না পরিপূর্ণ পানির সঙ্গে মেশে ততক্ষণ নাড়ুন।
* বেলের বীজগুলো আলাদা করে সরিয়ে ফেলুন।
* ছেঁকে নিয়ে বেলের শরবত আলাদা করে ফেলুন।
* এতে প্রয়োজনে কিছুটা চিনি ও লেবুর রস দিয়ে গুলিয়ে নিন।
* প্রয়োজন হলে বরফের টুকরো যুক্ত করে ঠান্ডা করে নিন, এরপর পরিবেশন করুন।

32
আমেরিকায় চাকরি বাজারে এখন বেশ চাঙাভাব। নিকট অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে এখন জনশক্তির বেশ চাহিদা সৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু ছোট বড় কোম্পানি কাজের জন্য জনশক্তি পাচ্ছে না। দক্ষ-অদক্ষ সব ক্ষেত্রেই কর্মীর অভাব। হোটেল-রেস্তোরাঁ, ট্যাক্সিক্যাবের চালক থেকে শুরু করে উচ্চ বেতনের চাকরিতে লোকবল সংকট দেখা দিয়েছে। কর্মী সংকটকে অর্থনৈতিক চাঞ্চল্যে বেশ বড় ধরনের সমস্যা হিসেবে দেখা হচ্ছে।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের অভিবাসন নীতির কারণে কম বেতনের কাজে যেমন কর্মী সংকট দেখা দিয়েছে, তেমনি দক্ষ কর্মীরও সংকট দেখা দিয়েছে। ট্রাম্পের অভিবাসনবিরোধী নীতির কারণে এইচ-ওয়ান ভিসার মাধ্যমে প্রযুক্তি খাতে বিভিন্ন দেশ থেকে আমেরিকায় আসা ক্রমেই কঠিন হয়ে উঠেছে। চাকরিদাতা প্রতিষ্ঠানগুলো শিগগিরই এই কর্মী সংকট মোকাবিলার তাগিদ অনুভব করছে।
এ মুহূর্তে আমেরিকায় সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ৬৬ লাখের বেশি খালি পদ পড়ে আছে। নিউইয়র্ক নগরে ট্যাক্সিক্যাব চালানোর লোক পাওয়া যাচ্ছে না। পেশাদার চালকের অভাবে হাজার হাজার বাণিজ্যিক ট্যাক্সি খালি পড়ে আছে। খুচরা বিক্রেতাসহ নির্মাণকাজ, পরিচ্ছন্ন কর্মীর সংকট দেখা দিয়েছে। লোকবলের অভিযোগ, চাকরিদাতারা মজুরি বৃদ্ধি করছে না। তাই চাকরি বাড়লেও মানুষের আয় বাড়ছে না।
আমেরিকায় বেকারত্বের সংখ্যা গত ১৮ বছরের মধ্যে এখন সর্বনিম্ন। সর্বশেষ ২০০০ সালে কর্মসংস্থান লোকের পরিমাণ যতটা ছিল, চলতি বছরের এপ্রিল মাসে কর্মবাজারে সেই রেকর্ডে ফিরে এসেছে। বেকারত্বের সংখ্যা এখন প্রতি ১০০ জনে মাত্র ৩ দশমিক ৯ জন। বিগত এপ্রিলে ১৬ হাজার ৪০০ নতুন চাকরির সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।

দুই লাখ মানুষ, চাকরির বাজার ছেড়েছে, বিপরীতে ঢুকেছে ১ লাখ ৬৪ হাজার। সে হিসেবে নতুন কাজের বাজারে ঢোকা মানুষের সংখ্যাই বেশি। এই হিসেবে টানা আট বছর ধরে আমেরিকার অর্থনীতি চাঙাভাব ধরে রেখেছে, যেটা আরও বেড়েছে ডোনাল্ড ট্রাম্পের শাসনামলে। এসব তথ্য দিয়েছে সিবিএস নিউজ।
এই পরিসংখ্যান দেখেও যাঁরা সন্তুষ্ট হতে পারছেন না, তারা একদিক দিয়ে ঠিকই আছেন। কেননা চাকরির সংখ্যা বাড়লেও প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রতিশ্রুত ধনীদের ট্যাক্স কর্তনের ফলে বলা চলে সার্বিক বেতন কারওর-ই বাড়েনি। বাজেটে আয়কর কর্তনের বিপরীতে বলা হয়েছিল, জনপ্রতি বার্ষিক আয় বাড়বে প্রায় ৪ হাজার ডলার। সেখানে, সর্ব সাকল্যে বছরে বেতন বেড়েছে ২৩১ ডলার। আর অর্থনীতির সাধারণ তত্ত্ব অনুযায়ী যখন অধিক মানুষ কর্মবাজারে প্রবেশ করে, তখন শ্রমিকের শ্রমের মূল্য স্বাভাবিকভাবেই বাড়ে। তবে আমেরিকায় চিত্রটি উল্টো। বছরে ২ দশমিক ৬ ভাগ হারে বেতন বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা কর্মসংস্থান সৃষ্টির বিপরীতে সন্তোষজনক নয় বলে বলছেন অর্থনীতির বিশ্লেষকেরা।
তাহলে ফারাকটি কোথায়? ফারাক হচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্রে সার্বিক চাকরি বাড়লেও, উচ্চ বেতনের চাকরি বাড়েনি। বুশের আমলে অর্থনৈতিক যে মন্দা শুরু হয়েছিল, সেটা কাটিয়ে উঠতে শুরু করে ২০১২ সাল থেকে। তখন, হাসপাতাল, কমিউনিটি সার্ভিসসহ অনন্য খাতে সরকারি নানা প্রণোদনায় স্বল্প বেতনে প্রচুর চাকরির সুযোগ সৃষ্টি করা হয়। সে ধরনের স্বল্প বেতনের চাকরির বাজার এখনো সম্প্রসারিত হচ্ছে। যেমন যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠান আমাজনের গড় বেতন এখনো বার্ষিক ২৮ হাজার ডলার, যার অর্থ কোনো রকমে খেয়ে-পরে জীবন ধারণ করছে মানুষ। আর চাকরির বাজার বেড়েছে বলা হলেও, আরেকটি হিসাব আছে। একেবারে চাকরির বাজারে নেই, আবার চাকরি খোঁজ করছেন না—এমন মানুষের সংখ্যা এখন ১৯৮০ সালের পর সর্বোচ্চ। তার অর্থ, ওই বিশাল কর্মক্ষম জনগোষ্ঠী মনে করছে, তাদের কাজের মূল্যায়ন হওয়ার মতো যোগ্য চাকরির বাজার এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে।
জোসেফ লা ভরগানা নামের একজন ব্যাংকার অর্থনীতিবিদ অবশ্য মনে করেন, শ্রম বাজারে দক্ষ মানুষের ঘাটতি আছে বলেই তাদের মজুরি বাড়ছে না। ‘প্রতিটি কোম্পানি বছরের চার ভাগের এক ভাগ সময়কে একেকটি উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে। সেই লক্ষ্যমাত্রার সাফল্যের ওপর নির্ভর করে তার বাকি বছরের পরিকল্পনা। সেখানে যদি কোনো উদ্যোক্তা দেখেন, কাজের পরিধি বাড়ছে, মান সম্মত উৎপাদন বা সেবা বিস্তার করা যাচ্ছে—তার ওপর নির্ভর করেই তিনি পরবর্তী ঝুঁকি নেন। সেখানে দক্ষ শ্রমিকেরাই বেশি বেতনের সুযোগ নিতে পারে। তিনি বলেন, ‘এই চিত্র নির্মাণ, উৎপাদন ও অ্যাভিয়েশন শিল্পে বেশি প্রযোজ্য। আশার কথা হলো, আমাদের উৎপাদন শিল্পে কাজের পরিমাণ কমছে না।’
অবশ্য বিশ্লেষকেরা এই শ্রমবাজার তত্ত্বের সরলীকরণ টানতে আরও সময় দরকার বলে মনে করেন। সেই সঙ্গে ট্রাম্পের ট্যাক্স কাটছাঁটের সুবিধা শ্রমিক পর্যন্ত যেতে আরও অন্তত ছয় মাস সময় দরকার বলেই মনে করেন তাঁরা। কেননা, অনেক প্রতিষ্ঠান আছে যারা পরবর্তী ছয় মাসের খরচ ও শ্রম মজুরি বিষয়ে নীতিমালা আগেই নির্ধারণ করে রাখেন। সে হিসেবে বাজেটের সুবিধা বাজারে আসতে আরও সময় লাগতে পারে। দেখা যাক, কাজ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শ্রমমূল্য বৃদ্ধির গতি আসতে কত সময় লাগে।

Source: www.prothomalo.com/northamerica/article/

33
পুষ্টিগুণে ভরপুর লিচু।

এখন লিচুর সময়। যাঁরা ওজন কমানোর মিশনে নামতে চান, তাঁদের জন্য লিচু একটি দারুণ কার্যকর ফল। প্রতিদিন শরীরের জন্য যে পরিমাণ ভিটামিন ‘সি’ প্রয়োজন, এক কাপের (২৪০ গ্রাম) সমপরিমাণ লিচু খেলে তার চেয়েও বেশি পরিমাণ ভিটামিন ‘সি’ পাওয়া যায়। ক্ষত নিরাময় এবং রক্তক্ষরণ প্রতিরোধের পাশাপাশি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবেও কাজ করে এই ভিটামিন।

বিশেষজ্ঞরা বলেন, লিচু থেকে মিলবে প্রচুর শক্তি। ক্যালরি মান ভালো থাকলেও ফ্যাট আর সোডিয়াম কম থাকায় লিচু বেশ স্বাস্থ্যকর। তাই মৌসুমের রসাল, সুস্বাদু ও পুষ্টিকর এই ফল আপনার খাদ্যতালিকায় রাখতে পারেন।

১০০ গ্রাম লিচু বলতে মাঝারি আকারের প্রায় ১০টি লিচুকে বোঝায়। মার্কিন ওষুধ প্রশাসন বিভাগ বলছে, প্রতি ১০০ গ্রাম লিচুতে ৬৬ কিলোক্যালরি শক্তি ও ১৬ গ্রাম শর্করা রয়েছে। চর্বি একেবারেই নেই। আরও আছে ৭১ মিলিগ্রাম ভিটামিন ‘সি’, ১৭০ মিলিগ্রাম পটাশিয়াম, ১৪ মাইক্রোগ্রাম ফলেট এবং সামান্য পরিমাণ (১ মিলিগ্রাম) সোডিয়াম।

লিচুতে আরও আছে বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন ‘বি’, যা প্রতিদিনের খাবার থেকে শরীরে শক্তি জোগাতে সহায়তা করে। এগুলোর মধ্যে ফোলেট নামের উপাদানটি শরীরে নতুন কোষ এবং লোহিত রক্তকণিকা তৈরিতে সাহায্য করে। ১৫ থেকে ৪৫ বছর বয়সী নারীর প্রতিদিন ৪০০ মাইক্রোগ্রাম ফোলেট প্রয়োজন, যার ২৭ মাইক্রোগ্রাম পরিমাণ পাওয়া যায় এক কাপ লিচু থেকে।

এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, লিচুতে আছে পটাশিয়ামও, যা আমাদের শরীরে পানির সমতা রক্ষা, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ ও মাংসপেশির সংকোচনে সহায়ক। এ ছাড়া ডায়াবেটিস, হৃদ্‌রোগ ও ক্যানসারের ঝুঁকি কমায় লিচু।

ওজন কমাতে লিচু খাওয়ার কৌশল: গ্রীষ্মে নানা রঙিন ফল পাওয়া যায়। আম, পেঁপে, তরমুজ, তাল, এমনকি লিচু। এ সময় গরমে ঘাম হয় প্রচুর। এ ছাড়া গরমের সময় সকালে ওঠা সহজ। যাঁরা ওজন কমাতে চান, তাঁরা এ সময়টাকে কাজে লাগাতে পারেন। তাঁদের জন্য তাই সকালের নাশতা গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষজ্ঞরা সকালের নাশতায় ভাজাপোড়ার বদলে ফল খাওয়ার পরামর্শ দেন। কারণ, এতে শরীরে অনেক পুষ্টি মেলে। নাশতার সময় তাই লিচু রাখতে পারেন। এ ছাড়া ডেজার্ট হিসেবে লিচু খাওয়া যেতে পারে। এর ভিটামিন, খনিজ, ফাইবার দারুণ কাজে দেবে। তবে লিচুর জুস করে বা অন্য কোনো উপায়ে খাওয়ার চেয়ে খোসা ছিলে খাওয়ায়ই ভালো।


লিচুর বিশেষ ৪ গুণ
১.
লিচু খেল ওজন কমে, সে তথ্য তো আপনার জানা। ওজন কমানোর কথা যাঁরা চিন্তা করছেন, তাঁদের মনে রাখতে হবে, শরীর থেকে যাতে বিষাক্ত উপাদান দূর হতে পারে, সে জন্য খাবার ও ফলের সমন্বয় রাখতে হবে। লিচু এ জন্য উপকারী। এ ছাড়া লিচুতে ক্যালরি খুব কম।

২.
লিচুর গুণ হিসেবে বলা যায় এর হজম সহায়ক উপাদানের কথা। এতে যে ফাইবার থাকে, তাতে সহজে হজম হয়। ওজন কমাতে গেলে অনেকেই কোষ্ঠকাঠিন্যে ভোগেন। এ সমস্যা কাটাতে তাই এ সময় খাবারে ফাইবার খুব গুরুত্বপূর্ণ। ফাইবারযুক্ত খাবার না খেলে হজমে সমস্যা হবে এবং সব সময় অস্বাভাবিক বোধ হবে। তাই ওজন কমানোর প্রক্রিয়াটি স্বাস্থ্যসম্মত হতে হবে।

৩.
লিচুতে পটাশিয়াম থাকায় তা রক্তচাপে ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের অনেক সময় ওজন বেশি থাকে। তাদের শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেশি থাকে। লিচু খেলে সমস্যা দূর হতে পারে।

৪.
যাঁদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম, তাঁরা দ্রুত মুটিয়ে যেতে পারেন। দুর্বল বোধ করলে অনেক সময় ওষুধ বা বেশি ক্যালরির খাবার খাওয়ার ফলে ওজন বাড়তে থাকে। লিচুর প্রয়োজনীয় ভিটামিন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে পারে।

সতর্কতা: যাঁদের ডায়াবেটিসের সমস্যা আছে, তাঁরা লিচু খাওয়ার আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন। মনে রাখতে হবে, অতিরিক্ত কোনো কিছু খাওয়া শরীরের জন্য ভালো নয়। তাই লিচুও পরিমিত খেতে হবে। যাঁরা নিয়ম মেনে খাবার খান এবং ব্যায়াম করার অভ্যাস আছে, তাঁরা দিনে ১০-১২টি লিচু খেলে সমস্যা হওয়ার কথা নয়।

34

গ্যাস্ট্রোএনটেরাইটিসের কারণে বছরে প্রায় ১৩ লাখ ৪০ হাজার শিশুর মৃত্যু হয়। গ্যাস্ট্রোএনটেরাইটিস হলো পাকস্থলী ও অন্ত্রের একধরনের প্রদাহ, যা ব্যাকটেরিয়া বা ভাইরাসের সংক্রমণে হয়। ইতালির একদল বিজ্ঞানী দাবি করেছেন, আদা এ ক্ষেত্রে বিশেষ উপকারী ভূমিকা পালন করতে পারে। এমনকি তা জীবনও বাঁচাতে পারে।

ইতালির নাপোলি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিশুরোগ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক রবার্তো বারনি কানানির নেতৃত্বে গবেষণাটি পরিচালিত হয়েছে। এতে প্রাপ্ত ফলাফল ইউরোপিয়ান সোসাইটি অব পেডিয়াট্রিক গ্যাস্ট্রোএনটেরোলজি, হেপাটোলজি অ্যান্ড নিউট্রিশনে (ইএসপিজিএইচএএন) উপস্থাপন করা হয়েছে। শিগগির এটি প্রকাশও হবে কোনো সাময়িকীতে।

গ্যাস্ট্রোএনটেরাইটিসের জন্য স্যালমোনেলা ও রোটাভাইরাসের মতো ব্যাকটেরিয়া এবং নরোভাইরাসের মতো ভাইরাস দায়ী। এ ছাড়া অন্য কোনো পরজীবী প্রজাতির সংক্রমণেও এই সমস্যা দেখা দিতে পারে। সাধারণত খাবার ও পানি থেকে গ্যাস্ট্রোএনটেরাইটিসের জীবাণু পেটে ঢোকে। এগুলোর সংক্রমণে বমি ও ডায়রিয়াও হয়, যা পরিস্থিতি আরও জটিল করে তোলে। শিশু ও বয়োবৃদ্ধদের জন্য এই সমস্যা অনেক সময়ই প্রাণসংহারী হয়ে ওঠে।

বিজ্ঞানীরা বলেছেন, গ্যাস্ট্রোএনটেরাইটিসের কারণে প্রতিবছর যে সংখ্যক শিশুর মৃত্যু হয়, তা মোট শিশুমৃত্যুর ১৫ শতাংশ। অধ্যাপক রবার্তো বারনি কানানি বলেন, উন্নয়নশীল দেশগুলোতে শিশুমৃত্যুর অন্যতম বড় কারণ তীব্র গ্যাস্ট্রোএনটেরাইটিস। এ ক্ষেত্রে আদা যথেষ্ট উপকারী। গবেষণায় দেখা গেছে, আদা বমির পরিমাণ কমিয়ে আনে। ১ থেকে ১০ বছর বয়সী শিশুদের ক্ষেত্রে আদা এতটাই উপকারী যে, গুরুতর গ্যাস্ট্রোএনটেরাইটিসের সমস্যায় বমির পরিমাণ ২০ শতাংশ পর্যন্ত কমিয়ে আনে এটি।

অধ্যাপক রবার্তো বারনি কানানি জানান, গবেষণায় তাঁরা দেখেছেন, আদায় প্রদাহ প্রতিরোধী উপাদান রয়েছে। একই সঙ্গে এটি বমিও প্রতিরোধ করতে পারে। তিনি জানান, নেপলসে একটি হাসপাতালে ১৪০টি শিশুর ওপর তাঁরা গবেষণা করেছেন। এ ক্ষেত্রে রোগী ও চিকিৎসক-উভয় পক্ষকেই অন্ধকারে রাখা হয়েছে। কোন শিশুকে ওষুধ, আর কোন শিশুকে আদার রস খাওয়ানো হচ্ছে, তা কেবল গবেষকেরাই জানতেন। ওই গবেষণা থেকে প্রাপ্ত ফলের পরই তাঁরা নিশ্চিত হতে পেরেছেন, গ্যাস্ট্রোএনটেরাইটিসের চিকিৎসায় আদার ব্যবহার বিশেষ সুফল আনতে পারে।

এর আগেও একটি গবেষণায় দেখা গেছে, গর্ভবতী নারী বা কেমোথেরাপি নেওয়া রোগীদের ক্ষেত্রে আদা বমির পরিমাণ কমাতে বিশেষভাবে সহায়ক।

35
 
তরমুজ থেকে একটু সাবধান

বাজারে এখন প্রচুর তরমুজ পাবেন। লাল টুকটুকে ফালি করা তরমুজ জিবে জল এনে দেবে। কেউ কেউ গরমে তৃষ্ণা মেটাতেও প্রচুর তরমুজ খেয়ে ফেলেন। কিন্তু তরমুজ বেশি খাওয়া কি ঠিক?

তরমুজকে ফল ও সবজি উভয় হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এতে পানির পরিমাণ ৯২ শতাংশ। তরমুজ কেবল খেতেই সুস্বাদু নয়, শরীর-স্বাস্থ্যের জন্যও ভালো। এতে চর্বি নেই। প্রচুর ভিটামিন এ, বি৬, সি, পটাশিয়াম, লাইকোপেন ও সিট্রুলিনের মতো উপাদান থাকে।
যাঁরা ওজন কমাতে চান, তাঁদের জন্য তরমুজ আদর্শ খাবার হিসেবে বিবেচিত হয়। তরমুজের এত গুণ থাকা সত্ত্বেও একবারে খুব বেশি তরমুজ খাওয়া ঠিক নয়। একবারে বেশি তরমুজ খেলে কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। কয়েকটি পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কথা জেনে নিন:

হজমে গন্ডগোল
তরমুজে প্রচুর পানি ও ডায়েটারি ফাইবার থাকে। বেশি পরিমাণে তরমুজ খেলে হজমে গোলযোগ দেখা দিতে পারে। বিশেষ করে ডায়রিয়া, খাবার হজম না হওয়া, গ্যাসের মতো নানা সমস্যা দেখা দেয়। এতে চিনির যৌগ হিসেবে পরিচিত সরবিটল থাকে, যাতে গ্যাসের সমস্যা ও পাতলা পায়খানা তৈরি করে।

গ্লুকোজের স্তর বাড়ায়
যাঁদের ডায়াবেটিসের সমস্যা আছে, তাঁদের বেশি তরমুজ খাওয়া ঠিক নয়। তাঁদের রক্তে চিনির মাত্রা বাড়িয়ে দেয় তরমুজ। এটিকে স্বাস্থ্যকর ফল হিসেবে বিবেচনা করা হলেও এর গ্লাইসেমিক ইনডেক্স ৭২। কোন খাবারে রক্তে শর্করা কতটা বাড়ে, তা নির্ভর করে তার গ্লাইসেমিক ইনডেক্স এবং গ্লাইসেমিক লোডের ওপর। গ্লাইসেমিক ইনডেক্স ৭০-এর বেশি হলে তা উচ্চ মাত্রা, ৫৫-এর নিচে হলে কম মাত্রার। গ্লাইসেমিক ইনডেক্স যত উচ্চ, তা রক্তে শর্করা তত বেশি বাড়ায়। আবার গ্লাইসেমিক লোড ২০-এর বেশি হলে তা উচ্চ, ১১-এর নিচে কম। নিয়মিত তরমুজ খাওয়ার আগে তাই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া ভালো।

যকৃতে প্রদাহ
যাঁরা অ্যালকোহল পান করেন, তাঁদের তরমুজ খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। বেশি পরিমাণে তরমুজ খেলে তাঁদের যকৃতে প্রদাহ হতে পটারে। এতে প্রচুর লাইকোপেন থাকায় অ্যালকোহলের সঙ্গে বিক্রিয়া করে প্রদাহ তৈরি করে। যকৃতে এ ধরনের প্রদাহ যথেষ্ট ক্ষতিকর।

শরীরে অতিরিক্ত পানি
বেশি তরমুজ খেলে শরীরে পানির পরিমাণ বেড়ে যায়। এতে শরীর থেকে সোডিয়ামের পরিমাণ কমে যায়। শরীর থেকে যদি এ পানি বেরোতে না পারে, তখন নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে। বিশেষ করে পা ফুলে যাওয়া, ক্লান্ত বোধ করা বা কিডনি দুর্বল হয়ে যাওয়ার মতো ঘটনা ঘটে।

হৃদ্‌রোগ
তরমুজে প্রচুর পটাশিয়াম থাকে, যা শরীর ভালো রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তরমুজ খেলে হৃদ্‌যন্ত্র সুস্থ থাকে। এ ছাড়া হাড় ও মাংসপেশি শক্তিশালী হয়। তবে অতিরিক্ত মাত্রায় পটাশিয়াম শরীরে গেলে হৃদ্‌যন্ত্রে নানা সমস্যা, যেমন: অনিয়মিত হৃৎস্পন্দন, নাড়ির গতি কমে যাওয়ার মতো নানা ঘটনা ঘটে।

গবেষক ও পুষ্টিবিদেরা বলেন, ১০০ গ্রাম তরমুজে ৩০ ক্যালরি থাকে। এ ছাড়া প্রতি ১০০ গ্রামে ৬ গ্রাম চিনি থাকে। তরমুজে যেহেতু পানির পরিমাণ বেশি, তাই ৫০০ গ্রাম পর্যন্ত তরমুজ খাওয়া অনেকের কাছে সহজ মনে হতে পারে। তথ্যসূত্র: এনডিটিভি।

36


ওজন কমাতে বা শরীরকে বিষমুক্ত করতে অনেকেই নানা পদ্ধতি অবলম্বন করেন। এর মধ্যে ‘ডেটক্স’ পদ্ধতি বেশ জনপ্রিয়। কোনো রকম ওষুধ না খেয়ে প্রাকৃতিক উপায়ে শরীরকে বিষমুক্ত করা যায় এ পদ্ধতিতে।

বিশেষজ্ঞরা বলেন, ফিট থাকতে বা স্বাস্থ্য ভালো রাখতে চান সবাই। এ জন্য সবার ডায়েট বা খাদ্যাভ্যাসে বিশেষ নজর দেওয়া জরুরি। প্রতিদিন যেমন স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে হবে, তেমনি শরীরকে বিষমুক্ত রাখার চেষ্টা করতে হবে। এতে নানা রকম রোগবালাই থেকে মুক্ত থাকা সম্ভব। শরীরকে বিষমুক্ত রাখতে নিয়মিত প্রচুর পানি পান করতে হবে। জি নিউজের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। শরীরকে বিষমুক্ত করার সুফলগুলো জেনে নিন:

শক্তিশালী রোগ প্রতিরোধব্যবস্থা
শরীর থেকে বিষাক্ত উপাদান দূর হলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেড়ে যায়। শরীরের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ পরিষ্কার থাকায় সেগুলো ঠিকমতো কাজ করতে পারে।

ওজন কমায়
শরীর বিষমুক্ত হলে দ্রুত ওজন কমে। অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া বাদ দিয়ে স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস গড়ে তোলাকে বিষমুক্ত খাবার পদ্ধতি বলা যেতে পারে।

ত্বকের জন্য ভালো
শরীর বিষমুক্ত মানে ত্বকের চেহারা বদলে যাওয়া। ত্বক আরও বেশি সতেজ হয়ে উঠবে। শরীরের ব্রণ বা খোসপাঁচড়া দূর হবে।

চুল
শরীর থেকে বিষ দূর হলে চুলের জন্য বিশেষ উপকার পাওয়া যায়। যাদের চুল ঝরে, তাদের খাদ্যাভ্যাসের পরিবর্তনের দিকে নজর দিতে হবে। বিষমুক্ত খাবার খেতে হবে।

শক্তি বাড়ে
শরীরকে বিষমুক্ত করা মানেই হচ্ছে আরও বেশি শক্তিশালী ও প্রাণবন্ত হয়ে ওঠা। এ উপকারগুলো পেতে ডেটক্স পানীয় জরুরি।

এবার কয়েকটি ডেটক্স ড্রিংক বা বিষমুক্ত করার উপায় সম্পর্কে জেনে নিন:

মধু-লেবুর মিশ্রণ: মধু, লেবু ও আদা একসঙ্গে করে জুস তৈরি করতে পারেন, যা ডেটক্স বা শরীরকে বিষমুক্ত করতে পারে। এটি ওজন কমাতেও সাহায্য করে।

কমলার জুস: যাঁরা শরীর ঝরঝরে করতে চান, তাঁরা কমলালেবুর রসের মধ্যে সাধারণ লেবুর রস মিশিয়ে খেতে পারেন। এটি শরীরের জন্য দারুণ উপকারী। বিশেষ করে যকৃতের জন্য এ জুস কাজে দেবে। এমনকি ওজন কমাতে সাহায্য করবে।

লেবুযুক্ত গ্রিন টি: গ্রিন টির গুণাগুণ সবার জানা। গ্রিন টি আমাদের শরীরকে সতেজ ও উৎফুল্ল রাখতে সাহায্য করে। এটি হৃদ্‌রোগ ও ক্যানসারের ঝুঁকিও কমায়। নিয়মিত গ্রিন টি পান করলে শরীরের মেদ কোষে বেশি শর্করা ঢুকতে পারে না। ফলে এই চা আমাদের শরীরের ওজন ও রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।

ফল ও সবজির জুস: সুস্থ থাকতে, ওজন কমাতে অনেকেই ফল ও সবজির রস খান। এতে প্রচুর ভিটামিন, খনিজ, ফাইবার ও প্রোটিন থাকে। জুস পুষ্টিগুণের কারণে ত্বকে ঔজ্জ্বল্য আনতে সাহায্য করে। এ ছাড়া রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে ও হজমে সহায়ক হয় ফল ও সবজিমিশ্রিত জুস।
http://www.prothomalo.com/life-style/article/1485126/

37
Effective information for Travels and Tourist habituated students who enjoy to travels attractive place in BD to Abroad.

38
Informative post which helpful for Travels lovers audience.

39
Job in Overseas / Re: Legal way a great opportunity to Europe
« on: April 25, 2018, 11:32:12 AM »
Informative post for our students who want to go Europe.

40


Join these three global leaders as they discuss the urgent and critical importance of investing more and more efficiently in people to prepare countries for the economy of the future. They will highlight the powerful link between these investments and economic growth, stability and security. Shining a spotlight on human capital as a project for the world, this panel discussion will explore ways to propel investments in people to the forefront of national and global agendas.

For Details: http://live.worldbank.org/building-human-capital?cid=ECR_FB_worldbank_EN_EXTP_SM2018-humancapitalproj_PIX#

41

বাংলাদেশিদের জন্য সুখবর। প্রতিবেশী ভারতের নাগাল্যান্ড, মিজোরাম বা মণিপুর বেড়ানোর সুযোগ চলে এল হাতের মুঠোয়। এই তিন রাজ্যে বেড়ানোর দরজা খুলে দিল ভারত সরকার।

উত্তর-পূর্ব ভারতের নাগাল্যান্ড, মিজোরাম, মণিপুর ছাড়াও সিকিম ও অরুণাচল প্রদেশে বিদেশিদের যাতায়াতের ওপর প্রচুর বিধিনিষেধ ছিল। কিন্তু ভারতীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ছয় দশকের পুরোনো নিষেধাজ্ঞা তুলে নিল তিনটি রাজ্য থেকে।

ভারতীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রের খবর, সিকিম ও অরুণাচল প্রদেশে বিদেশিদের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার বিষয়টিও বিবেচনা করা হচ্ছে।

ভিসা নিয়ে ভারতে এলেও বিদেশি কূটনীতিকেরাও এত দিন ভারতের সব রাজ্যে ভ্রমণের সুবিধা পেতেন না। ফলে পর্যটন মার খাচ্ছিল এত দিন। এবার পর্যটন বিকাশের স্বার্থে বিদেশিদের জন্য শিথিল করা হলো উত্তর-পূর্বাঞ্চলে বেড়ানোর বিধিনিষেধ।

তবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গিয়েছে, চীন, আফগানিস্তান ও পাকিস্তানের নাগরিকেরা এই সুবিধা পাবেন না। তাঁদের বিশেষ অনুমতি নিয়েই আসতে হবে।


বিদেশিদের জন্য এত দিন নিষেধাজ্ঞা থাকলেও ভুটানের নাগরিকেরা কিন্তু এই সুবিধা আগে থেকেই পেয়ে আসছেন।

রাতের ইম্ফল। ছবি: ডিআইপিআর
রাতের ইম্ফল। ছবি: ডিআইপিআর
মণিপুরে ভারতীয়রা নির্বিঘ্নেই প্রবেশ করতে পারলেও মিজোরাম ও নাগাল্যান্ডে প্রবেশ করতে হলে এ দেশের নাগরিকদেরও ইনার লাইন পারমিট বা বিশেষ অনুমতি নিতে হয়। পাসপোর্ট-ভিসার বাইরে বিদেশিদেরও সেই অনুমতি লাগবে কি না, সেটা জানা যায়নি।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, এই নির্দেশ ১ এপ্রিল থেকেই কার্যকর করা হচ্ছে।

ভারত সরকারের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন ত্রিপুরায় নিযুক্ত বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনার শাখাওয়াত হোসেন। তাঁর মতে, এর ফলে দুই দেশের বন্ধুত্ব আরও বাড়বে। বাংলাদেশ থেকে বহু পর্যটক আসবেন সীমান্তবর্তী মিজোরাম এবং নাগাল্যান্ড ও মণিপুরের মতো সুন্দর রাজ্যের পর্যটনকেন্দ্রগুলো দেখার জন্য।

42
প্রস্তাবিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ৩২ ধারাসহ কয়েকটি ধারা সংশোধনের দাবি জানিয়েছে সাংবাদিকদের সংগঠন বাংলাদেশে ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে)। সেসব ধারা নিয়ে বিএফইউজে উদ্বেগ প্রকাশ করে, তা সংশোধনে ১০টি পর্যবেক্ষণ ও একটি সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব দিয়েছে।

আজ সোমবার সচিবালয়ে আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে বিএফইউজের পক্ষ থেকে সংগঠনটির চারজন নেতা এসব দাবি ও প্রস্তাব তুলে ধরেন।

বৈঠক শেষে বিএফইউজের সভাপতি মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল সাংবাদিকদের বলেন, তাঁরা প্রস্তাবিত আইনটির বিভিন্ন ধারা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশের পাশাপাশি সেগুলো সংশোধনের দাবি জানিয়েছেন। একই সঙ্গে আইনটি সংসদে পাস করার পর তা প্রয়োগ করার ক্ষেত্রে সাংবাদিক ও গণমাধ্যমের জন্য একটি প্রাতিষ্ঠানিক সুরক্ষা চেয়েছেন।
বুলবুল জানান, বিএফইউজের প্রস্তাব হলো-আইনটি গণমাধ্যমের জন্য প্রয়োগ করতে হলে প্রাথমিকভাবে অভিযোগটি প্রেস কাউন্সিলে যাবে। প্রেস কাউন্সিলে ছোট কমিটি বা সেলের মাধ্যমে এটা প্রাথমিকভাবে যাচাই করে দেখা হবে। ওই সেল বা কমিটির অনুমোদন ছাড়া সাংবাদিক বা গণমাধ্যমের ক্ষেত্রে এই আইন প্রয়োগ করা যাবে না।

মন্ত্রীর কাছে লিখিতভাবে বিএফইউজে যেসব ধারা নিয়ে আপত্তি জানিয়েছে সেগুলোর মধ্যে রয়েছে—গুপ্তচর বৃত্তি বিষয়ক ৩২ ধারা, আইন শৃঙ্খলার অবনতি সংক্রান্ত ৩১ ধারা, মানহানি বিষয়ক ২৯ ধারা, ধর্মীয় বিশ্বাসে আঘাত সংক্রান্ত ২৮ ধারা, আক্রমণাত্মক তথ্য উপাত্ত সংক্রান্ত ২৫ ধারা, মুক্তিযুদ্ধ বা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বা জাতির পিতার বিরুদ্ধে প্রচারণা সংক্রান্ত ২১ ধারা ইত্যাদি।

বৈঠক শেষে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক সাংবাদিকদের বলেন, সম্পাদক পরিষদের মতো বিএফইউজের দাবিগুলোও যৌক্তিক বলে তিনি মনে করেন। প্রস্তাবিত ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন-২০১৮’ এর খসড়া সংসদীয় কমিটিতে আছে। তাই সেখানে আলোচনা হলে সিদ্ধান্ত নিতে সুবিধা হবে।
তিনি জানান, গতকাল রোববার সিদ্ধান্ত হয়েছে, মে মাসের শেষের দিকে সংশ্লিষ্ট সংসদীয় কমিটি, সম্পাদক পরিষদ, বিএফইউজে এবং টেলিভিশন মালিকদের সংগঠন অ্যাডকোর সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা করা হবে।
মন্ত্রী বলেন, ‘সংবিধানে বাক স্বাধীনতার বিষয়ে যে কথা বলা হয়েছে, এই আইনের মাধ্যমে সে বিষয়ে সন্দেহ থাকলে সেটা দূর করার জন্য যে প্রচেষ্টা নেওয়া দরকার সেটা তাঁরা নেবেন’।

বৈঠকে বিএফইউজের পক্ষে ছিলেন সংগঠনের মহাসচিব ওমর ফারুক, কোষাধ্যক্ষ মধুসূদন মণ্ডল ও কার্যকরী সদস্য সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা।
http://www.prothomalo.com/bangladesh/article/1475541/

43

সংযুক্ত আরব আমিরাত ১৯ ক্যাটাগরিতে বাংলাদেশ থেকে  কর্মী নেয়ার বিষয়ে চুক্তি করেছে। আজ বুধবার দুবাইয়ের স্থানীয় সময় দুপুর সোয়া ১২টায় বাংলাদেশ ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে।
বাংলাদেশের পক্ষে প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব নমিতা হালদার এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের পক্ষে মিনিস্ট্রি অব হিউম্যান রিসোর্সেস অ্যান্ড এমিরেটাইজেশনের আন্ডার সেক্রেটারি সাইফ আহমেদ আল সুআইদি নিজ নিজ দেশের পক্ষে সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন।সমঝোতা স্মারকটি স্বাক্ষরের সাথে সাথেই কার্যকর হয়েছে।
আজ ঢাকায় প্রাপ্ত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানা গেছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিগত কয়েক মাসের আলাপ আলোচনার চূড়ান্ত পর্যায়ে দুবাইয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতের মিনিস্ট্রি অব হিউম্যান রিসোর্সেস এন্ড এমিরেটাইজেশনের দপ্তরে উভয় দেশের মধ্যে শেষ পর্যায়ের আলাপ আলোচনার পর সমঝোতা স্মারকটি চূড়ান্ত করা হয়। পরে উভয় দেশের আগ্রহ ও সম্মতির ভিত্তিতে এটি স্বাক্ষরিত হয়।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের মিনিস্ট্রি অব হিউম্যান রিসোর্সেস এন্ড এমিরেটাইজেশনের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী নাসের আল হামলি এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
--------------------------------------------------------
আরও পড়ুন : আন্তঃকমনওয়েলথ বাণিজ্য প্রসারে প্রধানমন্ত্রীর ৭ দফা প্রস্তাব
--------------------------------------------------------
সমঝোতা স্মারক অনুযায়ী বাংলাদেশ থেকে ১৯টি ক্যাটাগরির কর্মী নিয়োগের বিধান, পদ্ধতি, রিক্রুটমেন্ট এজেন্সি ও উভয় দেশের সরকারের দায়িত্ব ও কর্তব্য, কর্মীদের অধিকার, সুযোগ সুবিধা, এমপ্লয়ারদের দায়িত্ব ও কর্তব্য, নিয়োগ চুক্তির বিধান ও পৃথক একটি বিরোধ নিষ্পত্তির ব্যবস্থা প্রভৃতির উল্লেখ রয়েছে।
সংযুক্ত আরব আমিরাতে এ সকল কর্মীগণের স্বার্থ রক্ষার্থে ২০১৭ সালে কার্যকর হওয়া আইনের আলোকে সমঝোতা স্মারকটিতে শ্রমিক, মালিক ও উভয় দেশের সরকারের দায়িত্ব বর্ণিত হয়েছে। নিরাপদ, সুশৃঙ্খল ও দায়িত্বশীল শ্রম অভিবাসনের লক্ষ্য অর্জনের বিষয় সমূহ বিবেচনায় রেখে সমঝোতা স্মারকটি স্বাক্ষর করা হয়।
যা বাস্তবায়নের জন্য উভয় দেশের কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে একটি জয়েন্ট কমিটি গঠনের বিধান রাখা হয়েছে। এ কমিটিকে কতিপয় সুনির্দিষ্ট দায়িত্ব প্রদান করা হয়েছে। এ সমঝোতা স্মারকের মাধ্যমে সংযুক্ত আরব আমিরাতে বাংলাদেশি কর্মী প্রেরণ প্রক্রিয়া পুনরায় শুরু হবে।
http://www.rtvonline.com/bangladesh/

44
Informative Status which helpful for our students to know the details.

45
বাদাম কেন খাবেন?

খাবারের সঙ্গে বাদাম যুক্ত করার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। এতে হৃদ্‌রোগের ঝুঁকি অনেক কমে যাবে। বাদাম হচ্ছে শক্তি, প্রোটিন ও ভালো চর্বির উৎস। তাই খাদ্যতালিকায় নিয়মিত বাদাম রাখা দরকার। অনেক ধরনের বাদাম পাওয়া যায়। এর মধ্যে চিনাবাদাম, আখরোট, কাজু ও পেস্তাবাদাম খেতে পারেন। সুস্থ থাকতে খাবারের সঙ্গে নানাভাবে বাদাম যুক্ত করতে পারেন।
যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভানিয়া স্টেট ইউনিভার্সিটির গবেষকেরা বাদাম নিয়ে সম্প্রতি একটি গবেষণা করেছেন। তাঁরা বলছেন, খাবারের সঙ্গে বাদাম মিশিয়ে খেলে হৃদ্‌রোগের ঝুঁকি এড়ানো যায়। হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোক থেকে দূরে থাকা যায়। খাবারের পরপর রক্তে লিপিড ও ট্রাইগ্লিসারাইডসের মতো একধরনের চর্বি রক্তে বেড়ে যায়, যা হৃদ্‌রোগের ঝুঁকি বাড়ায়।
গবেষণায় দেখা গেছে, বেশি চর্বিযুক্ত খাবার খেলেও যদি তিন আউন্স পরিমাণ বাদাম খাওয়া যায় রক্তে লিপিড বাড়ার হার কমে। খাবারের সঙ্গে চিনাবাদাম খেলে ৩২ শতাংশ পর্যন্ত ট্রাইগ্লিসারাইডস স্তর কমতে দেখা যায়।
‘নিউট্রিশন’ সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে এ-সংক্রান্ত নিবন্ধ।

গবেষক পেনি-ক্রিস এথারটন বলেন, খাবারের পর ধমনি কিছুটা দৃঢ় হয়ে যায়। কিন্তু খাবারের সঙ্গে বাদাম যুক্ত করলে এ থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।

বাদামের যত গুণ
কাঠবাদামে ভিটামিন ই, ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেশিয়াম থাকায় শরীরের হাড়গুলোকে শক্ত ও মজবুত করে। শরীরের কোলেস্টেরল কমাতেও সাহায্য করে কাঠবাদাম। এতে চর্বির পরিমাণ কম। এতে কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন আছে। হৃদ্‌রোগ যাঁদের আছে, তাঁরা এ থেকে উপকার পাবেন।

কাজুবাদামে ক্যালসিয়াম, আয়রন, ম্যাগনেশিয়াম ও জিংক আছে। কাজুবাদাম শরীরের কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে।

পেস্তাবাদামে প্রচুর পরিমাণে চর্বি আছে, এটি শক্তি জোগায়। এতে পটাশিয়াম, আয়রন, কপার, জিংক ইত্যাদি আছে। এ ছাড়া বেশি পরিমাণে প্রোটিন রয়েছে।

চিনাবাদামে প্রোটিন বেশি থাকায় এটি হৃদ্‌রোগীদের জন্য উপকারী। শরীরে রক্ত চলাচল সাহায্য করে।

আখরোটে ওমেগা-৩ ও ৬ বিদ্যমান আছে। কিন্তু কোলেস্টেরল নেই। তথ্যসূত্র: আইএএনএস।

Pages: 1 2 [3] 4 5 ... 12