এ বছরই সড়কে নামছে ‘আর্টিকুলেটেড বাস’
(http://www.bdnews24.com/nimage/2012-11-12-10-23-20-articulated-bus-tm.jpg)
গণপরিবহনে যাত্রীদের চাপ সামলাতে চলতি বছরই ঢাকার রাস্তায় নামছে ‘আর্টিকুলেটেড’ বাস।
দুটি কোচ জোড়া দিয়ে বানানো এই গাড়িগুলো সাধারণ বাসের চেয়ে প্রায় ১৫ ফুট দীর্ঘ; যাত্রী ধারণ ক্ষমতাও দ্বিগুণ।
অবশ্য আলাদা লেনের ব্যবস্থা না করলে অতিরিক্ত দৈর্ঘ্যরে এসব বাসের কারণে সড়কে বিপত্তি আরো বাড়তে পারে বলে সতর্ক করে দিয়েছেন নগর পরিকল্পনাবিদরা।
সড়ক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সচিব এম এ এন ছিদ্দিক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, আগামী ডিসেম্বরেই ২৫ থেকে ৩০টি আর্টিকুলেটেড বাস রাজধানীতে চলাচল শুরু করবে।
“৫০টি আর্টিকুলেডেট বাস তৈরির জন্য ভারতের অশোক লেল্যান্ড কোম্পানিকে অর্ডার দেয়া হয়েছে। জানুয়ারি মাসের মধ্যে সবগুলো বাস রাজধানীর রাস্তায় চলে আসবে।â€
ঢাকা মহানগরীতে যাত্রীদের চাপ সামলাতে ‘বিশেষভাবে তৈরি’ এসব বাস আনা হচ্ছে বলে জানান ভারপ্রাপ্ত সচিব।
তিনি বলেন, “এই বাসের বিশেষ সুবিধা হলো- আসনের বাইরে অনায়াসে অনেক মানুষ দাঁড়িয়ে যাতায়াত করতে পারবে। গণপরিবহন হিসাবে এটা ভাল কাজে আসবে।â€
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) চেয়ারম্যান আইয়ুবুর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, ঢাকায় যেসব আর্টিকুলেটেড বাস আসছে- সেগুলোতে আসন সংখ্যা হবে ৫৮টি।
তিনি বলেন, “এই গাড়িগুলো সাধারণ বাসের মতো দুটি বাস জোড়া দিয়ে তৈরি করা হয়। বিআরটিসির একটি সাধারণ বাস রাস্তার মোড় ঘুরতে যতটুকু জায়গা প্রয়োজন- আর্টিকুলেটেড বাসের ক্ষেত্রে তার চেয়ে মাত্র দশমিক ২৫ মিটার জায়গা বেশি লাগবে।â€
তবে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের দুর্ঘটনা গবেষণা প্রতিষ্ঠানের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক মো. শামসুল হক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, আর্টিকুলেটেড বাসের চালক দক্ষ না হলে এর পেছনের অংশের সঙ্গে অন্য বাসের সংঘর্ষ হতে পারে।
ঝুঁকিমুক্ত চলাফেরার জন্য এসব বাসের আলাদা লেন থাকা উচিৎ জানিয়ে তিনি বলেন, “ক্যারিয়ার ব্রড ব্যান্ডের হলে লাইনও ব্রড ব্যান্ডের হতে হবে। আর্টিকুলেটেড বাস সাধারণত এক্সক্লুসিভ লেনেই চলাচল করে।â€
উইকিপিডিয়ার তথ্যানুযায়ী, ১৯২০ সালে ইউরোপে প্রথম আর্টিকুলেটেড বাসের প্রচলন দেখা যায়। বিভিন্ন দেশে বেন্ডি বাস, ট্যান্ডেম বাস, ব্যানান বাস, ক্যাটারপিলার বাস বা অ্যাকর্ডিয়ন বাস নামে পরিচিত এই বাহন। এসব বাসের দৈর্ঘ্য ১৮ থেকে ২২ মিটার পর্যন্ত হয়ে থাকে।
সড়ক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সচিব জানান, ঢাকায় বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) অর্থাৎ নির্ধারিত বাসের জন্য নির্দিষ্ট লেনের ব্যবস্থা চালু হবে আগামী বছরের মাঝামাঝি সময় থেকে।
ঢাকার কয়েকটি রাস্তা চিহ্নিত করে বিআরটি চালুর জন্য সড়কের উভয় পাশে দুটি আলাদা লেন করা হবে। বিআরটির জন্য নির্ধারিত লেনে অন্য কোনো বাস আসতে পারবে না। এই লেনের গাড়িও লেনের বাইরে যেতে পারবে না।
আর বাংলাদেশে ‘নতুন ধাঁচের’ আর্টিকুলেটেড বাস চলাচল শুরু করলে সবার কাছে যদি তা আরামদায়ক ও সুবিধাজনক মনে হয়, তাহলে এ ধরনের আরো বাস আমদানি করা হবে।