Show Posts

This section allows you to view all posts made by this member. Note that you can only see posts made in areas you currently have access to.


Messages - arifsheikh

Pages: 1 2 3 [4]
46
Law of Bangladesh / শিশু তোমার বয়স কত?
« on: June 08, 2013, 04:14:46 PM »
শিশুরাই আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। একটি সুন্দর পৃথিবী গড়ার জন্য প্রয়োজন শিশুদের জন্য নিশ্চিত ভবিষ্যৎ। আর শিশুদের জন্য বাসযোগ্য পৃথিবী গড়ার দায়িত্ব আমাদের সকলের। কিন্তু পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের আইনে শিশুদের বিভিন্ন রকম বয়সের কথা উল্লেখ আছে। আইনের উদ্দেশ্যের কারণেই এমনটি হয়েছে। আমাদের দেশেও বিভিন্ন আইনে শিশুদের বিভিন্ন রকম বয়স ধরা হয়েছে।

আর্ন্তজাতিক শিশু অধিকার সনদ অনুযায়ি ১৮ বছরের নিচে সব মানব সন্তানই শিশু হিসেবে পরিগনিত। কিন্তু আমাদের দেশে বিভিন্ন আইনে শিশুদের বয়সের তারতম্য রয়েছে। শিশুদের বয়সের উল্লেখ করা হয়েছে এমন কয়েকটি আইনের মধ্যে রয়েছে বাল্য বিবাহ নিরোধ আইন, চুক্তি আইন, শিশু (শ্রম নিবন্ধক) আইন নিম্নতম মজুরি আইন, খ্রীস্টান ধর্মালম্বীদের জন্য আইন, খনি আইন, মোটর গাড়ি আইন ইত্যাদি। তবে এ আইনের অনেক গুলোই প্রচলিত নেই। তারপরও বিভিন্ন আইনে শিশুদের বয়স বয়স উল্লেখ করা হলো:

বাল্য বিবাহ নিরোধ আইনে ছেলের বয়স ২১ এবং মেয়ের বয়স ১৮ বছর না হওয়া পর্যন্ত তাকে শিশু হিসেবে বিবেচনা করার কথা বলা হয়েছে।

শিশু (শ্রম নিবন্ধক) আইনে কারো বয়স ১৫ না হলে তাকে শিশু হিসেবে বিবেচনা করার কথা বলা আছে। তবে পাশাপাশি তার বয়স ১৭ বছর না হলে কর্মে নিয়োগ করার ক্ষেত্রে কিছু শর্ত আরোপ করা হয়েছে। অর্থাৎ সাধারণভাবে এ আইনে শিশুর বয়স ১৫ ধরা হয়েছে।

চুক্তি আইন অনুযায়ী ১৮ বছরের কম হলে কেউ চুক্তি করতে পারে না অর্থাৎ ১৮ বছরের কম বয়সী সবাই শিশু হিসেবে বিবেচিত।

১৯৩৯ সালের মোটর গাড়ি আইন ১৮ বছরের কম বয়সের কাউকে গাড়ি ও ২০ বছরের কম বয়সী কাউকে বড় গাড়ি চালানোর অনুমতি প্রদান করে না। এক্ষেত্রেও ১৮ বছরের নিচে সকলেই শিশু হিসেবে পরিগণিত।

খ্রীস্টান ধর্মালম্বীদের তালাক আইন অনুযায়ী ছেলের বয়স ১৬ ও মেয়ের বয়স ১৩ না হলে তাদেরকে নাবালক হিসেবে বলা বিবেচনা করার কথা বলা হয়েছে।

খনি আইনে ১৫ বছর না হলে তাকে শিশু হিসেবে ধরা হয়ে থাকে এবং কোন খনিতে শিশুকে নিয়োগ প্রদান করা হয় না।
নিম্মতম মজুরী আইনে ১৮ বছর না হলে সে শিশু হিসেবে গণ্য হয়ে থাকে।

এছাড়া আরও বেশ কিছু আইন রয়েছে যেখানে শিশুদের বয়স উল্লেখ করা হয়েছে।

তবে সাধারণভাবে আমাদের দেশে আইনের দৃষ্টিতে ১৮ বছরের কম বয়সী কাউকে শিশু হিসেবে বিবেচনা করা হয়ে থাকে।

47
Law of Bangladesh / লিসপেনডেস নীতি
« on: June 06, 2013, 12:25:49 PM »
সম্পত্তি হস্তান্তর আইনের ৫২ ধারায় লিসপেনডেস নীতি বর্ণনা করা হয়েছে। এ নীতির মূল বক্তব্য হলো, আদালতে মামলা বিচারাধীন থাকলে উক্ত মামলার কোনো পক্ষই মামলার ফলাফলকে প্রভাবিত করার জন্য বিরোধীয় সম্পত্তিটি হস্তান্তর করতে পারবে না।

অর্থা‍ৎ এ নীতি অনুযায়ী মামলার বিরোধীয় সম্পত্তি কোনো পক্ষ হস্তান্তর করে থাকলে তার দ্বারা মামলার ফলাফল কোনোভাবেই প্রভাবিত হবে না।

সংক্ষেপে, মামলা আদালতে বিচারাধীন থাকাকালীন পক্ষগণ নতুন কোনো অবস্থা সৃষ্টি করতে পারবে না।

ব্রিটিশ কমন ল’ থেকে এ নীতিটির উৎপত্তি।

এ ধারায় মূলত মামলা চলাকালে মামলার বিষয়বস্তু স্থিতাবস্থায় রাখার নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।

সম্পত্তি হস্তান্তর আইনের ৫২ ধারায় বলা হয়েছে যে বাংলাদেশের ভেতরে বা বাইরে এখতিয়ারাধীন আদালতে স্থাবর সম্পত্তি সম্পর্কে মামলা অথবা কার্যক্রম চলার সময় মামলাটি ষড়য্ন্ত্রমূলক না হলে এবং তাতে সম্পত্তির কোন স্বত্ব সম্পর্কে প্রত্যক্ষ ও সুস্পষ্টভাবে প্রশ্ন উত্থাপিত হয়ে থাকলে আদালতের অনুমতি এবং কোন শর্ত আরোপ করলে সে মোতাবেক ব্যতিত আর কোনো পক্ষ এরূপভাবে উক্ত সম্পত্তি হস্তান্তর করতে পারবেনা যার ফলে আদালতের সম্ভাব্য ডিক্রি বা আদেশের ফলে অন্যপক্ষ যে অধিকার পেতে পারে তা কোনোভাবে ক্ষতিগ্রস্ত বা ব্যহত হতে পারে।

মামলা চলাকালীন বিষয় বলতে কি বোঝায় সে সম্পর্কে এ ধারার ব্যাখ্যায় বর্ণিত আছে। বলা হযেছে, এ ধারার উদ্দেশ্যে আরজি দাখিল বা কার্যক্রম রুজু হবার তারিখ হতে, আদালতের সৃষ্টি চুরান্ত ডিক্রি জারী হয়ে সম্পূর্ণ দায় পরিশোধ না হওয়া পর্যন্ত মামলা বা কার্যক্রম চলছে বলে গণ্য করতে হবে।

এ নীতিটি প্রয়োগ করতে হলে মামলাটি যথাযথ এখতিয়ার সম্পন্ন আদালতে দায়ের করতে হবে।

কোনো ষড়যন্তমূলক মামলার ক্ষেত্রে এ নীতিটি প্রযোজ্য হবে না ।

আর মামলার বিষয়বস্তু হস্তান্তর হলেও তাতে চলমান মামলার ফলাফলে কোনো প্রভাব পড়বে না।

লিসপেনডেস নীতির উপাদান:

১। স্থাবর সম্পত্তি সম্পর্কে কোনো মামলা বা কার্যক্রম আদালতে বিচারাধীন থাকতে হবে।

২। যে আদালতে মামলাটি বিচারাধীন থাকবে সে আদালতের উক্ত মামলাটি বিচার করার এখতিয়ার থাকতে হবে।

৩। অনুরূপ মামলা ষড়যন্ত্রমূলকভাবে দায়ের থাকতে হবে।

৪। আদালতের অনুমতিক্রমে বা আদালত প্রদত্ত শর্ত মোতাবেক সম্পত্তি হস্তান্তর স্বত্ব বা মালিকানা।

৫। আদালতের বিচারাধীন থাকার সময় মামলার বিষয়বস্তু অর্থা‍ৎ স্থাবর সম্পত্তি হস্তান্তর করতে পারবে না এবং করলেও তার দ্বারা মামলার কোনো পক্ষের অধিকার প্রভাবিত হবে না।

কাজেই, আইনের বিধান মেনে সবারই উচিৎ মামলা চলাকালীন সময়ে মামলার বিষয় বস্তুর কোনো রকম হস্তান্তর না করা। এতে অহেতুক জটিলতা বাড়ে। কিন্তু মামলার রায়ের কোনো পরিবর্তন হয় না।
[/b]

Pages: 1 2 3 [4]