Show Posts

This section allows you to view all posts made by this member. Note that you can only see posts made in areas you currently have access to.


Messages - Md. Rasel Hossen

Pages: 1 [2] 3 4 ... 20
16
২০১৬ সালটা বিরাট কোহলির কেমন কেটেছে? উইজডেন ক্রিকেটার্স অ্যালমানাকের সম্পাদক লরেন্স বুথের ভাষায়, ‘কোহলির স্বপ্নের বছর।’ উইজডেনের লিডিং ক্রিকেটার নির্বাচন করতে তাই খুব বেশি ভাবতে হয়নি তাঁকে। ক্রিকেটের তিন সংস্করণেই অবিশ্বাস্য ব্যাটিং করা কোহলিই হয়েছেন ২০১৬ সালের শীর্ষ ক্রিকেটার।
আসলেই স্বপ্নের একটা বছর কেটেছে কোহলির। টেস্টে ৭৫, ওয়ানডেতে ৯২ এবং টি-টোয়েন্টিতে ১০৬ গড়—এসবই তো বলে দিচ্ছে সবকিছু। সংস্করণ যত ছোট হয়েছে, ততই ফুলে ফেঁপে উঠেছে তাঁর গড়। আড়াই হাজারের বেশি রান নিয়েছেন, দলকেও টেস্টের শীর্ষস্থান এনে দিয়েছেন দুবার। প্রথমবার এক সপ্তাহের মধ্যেই সেটা হারিয়ে ফেললেও বছর শেষে ঠিকই ভারতকে পাওয়া গেছে শীর্ষে।
এবার যে অ্যালমানাকের সঙ্গে কোহলির জড়িয়ে যাবেন সেটা অবশ্য জানা ছিল। উইজডেনের প্রচ্ছদই যে বানানো হয়েছে কোহলিকে দিয়ে। ক্রিকেটের সবচেয়ে সম্ভ্রান্ত সংস্করণ টেস্টে কোহলি রিভার্স সুইপ খেলছেন—এমন একটা ছবি দিয়ে উইজডেন ক্রিকেটের বদলে যাওয়া ও সে সঙ্গে নিজেদের চিন্তাধারা পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিয়েছিল। আজ জানা গেল তৃতীয় কোনো ভারতীয় হিসেবে উইজডেনের লিডিং ক্রিকেটার হয়েছেন ভারত অধিনায়ক। ২০০৮ ও ২০০৯ সালে এ অর্জন ছিল বীরেন্দর শেবাগের। আর পরের বছরটা ছিল শচীন টেন্ডুলকারের।
বছরের শেষভাগে ইংল্যান্ডকে ৪-০ ব্যবধানে হারানোর পথে দলকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন কোহলি। ৮ ইনিংসে ১০৯.১৬ গড়ে নিয়েছেন ৬৫৫ রান। এর মাঝে মুম্বাইয়ে ২৩৫ রানের ইনিংসটি তো এত দ্রুত ভোলার কথা না কারও। উইজডেন সম্পাদকের ভাষায় যে ইনিংসটি জানিয়ে দিল, কোহলি হচ্ছেন ‘শচীন টেন্ডুলকারের প্রকৃত উত্তরসূরি।’

কোহলি ছাড়াও আরও দুই এশিয়ানের জায়গা হয়েছে এবারের অ্যালমানাকে। ইংল্যান্ডে দুটি ম্যাচ জেতানো ইনিংস খেলে পাঁচজন ক্রিকেটারের মাঝে আছেন মিসবাহ-উল-হক ও ইউনিস খান। বাকি তিনজন অবশ্য ইংল্যান্ডেরই। ২০১৬ সালে ইংলিশ পেস আক্রমণের ভরসায় রূপ নেওয়া ক্রিস ওকস তো আছেনই। তাঁর সঙ্গী হয়েছে বাংলাদেশের বিপক্ষে অভিষিক্ত বেন ডাকেটও। মৌসুমে ২৭০৬ রান করা ডাকেটের সঙ্গী হ্যাটট্রিক করে মিডলসেক্সকে কাউন্টি জেতানো পেসার টবি রোনাল্ড-জোনস। ক্রিকইনফো।

17
ঘরের মাঠে এভারটনের বিপক্ষে কোনোমতে হার বাঁচিয়েছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। এক গোলে পিছিয়ে হারতে বসা ম্যাচটি জ্লাতান ইব্রাহিমোভিচের পেনাল্টিতে ১-১ ড্র করার পর কোচ হোসে মরিনহো বলেছেন, ভিডিও প্রযুক্তি থাকলে ম্যাচটা তাঁর দলই জিতত! এই মৌসুমে ওল্ড ট্রাফোর্ডে এ নিয়ে নয়টি ম্যাচ ড্র করল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। এই ড্রয়ে ২৯ ম্যাচ শেষে ৫৪ পয়েন্ট নিয়ে লিগের টেবিলে পাঁচে ইউনাইটেড। শিরোপার আশা ক্ষীণ হলে চ্যাম্পিয়নস লিগে খেলার আশা এখনো ভালোমতোই আছে তাদের।

ম্যাচের ৭১ মিনিটের সময় ইব্রাহিমোভিচের গোল অফসাইডের কারণে বাতিল হয়ে যায়। টিভি রিপ্লেতে অবশ্য মনে হয়েছে সুইডিশ তারকার হেড এভারটন গোলকিপার জোয়েল রবেলসকে ফাঁকি দেওয়ার আগে অফসাইডে ছিলেন না। ফুটবলে এরই মধ্যে ভিডিও রেফারি চালু হয়েছে। মাঠের রেফারির এ ধরনের ভুল ভিডিও রেফারি শুধরে নিচ্ছেন এমনটা দেখা গেছে কদিন আগে ফ্রান্স-স্পেন ম্যাচে।
স্কোরশিটে শেষ পর্যন্ত ইব্রাহিমোভিচের নাম উঠেছে যোগ করা সময়ে—পেনাল্টি থেকে গোল করে। ম্যাচের ২২ মিনিটে ফিল জাগিয়েলকার গোলে এগিয়ে ছিল এভারটন। ভিডিও রেফারির প্রযুক্তির পক্ষে-বিপক্ষে নানা কথা যখন চলছে, সে সময় মরিনহো উচ্চকিত হলেন এর পক্ষেই। মরিনহোর দাবি, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে একটি যৌক্তিক জয় থেকে বঞ্চিত হয়েছে, ‘ভিএআর (ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারি) থাকলে আজ আমরা ২-১ গোলে জিততাম। ইব্রাহিমোভিচের গোলটি মোটেও অফসাইড ছিল না।’
মরিনহোর অবশ্য লাইন্সম্যানের প্রতি রাগ নেই, ‘ইব্রাহিমোভিচের গোলটি অফসাইড ছিল না, তবে এটা ধরা লাইন্সম্যানের জন্য খুবই কঠিন কাজ। আমি তাঁর বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ করছি না। আমি কেবল বলতে চাই ভিএআর প্রযুক্তি এলে সবার জন্যই ভালো হবে।’
লিগে টানা ২০ ম্যাচ অপরাজিত ইউনাইটেড। তবে এই ২০ ম্যাচে ১০টাতেই ড্র। মরিনহো খুশি হবেন নাকি বেজার, ঠিক যেন বুঝতে পারছেন না, ‘২০ ম্যাচে অপরাজিত থাকাটা দারুণ ব্যাপার। এ যুগের প্রিমিয়ার লিগে এটা খুবই কঠিন একটা ব্যাপার। তবে আমাদের গোল করার ক্ষমতার উন্নতি ঘটিয়ে আরও বেশি ম্যাচ জিততে হবে। নিজেদের মাঠে ড্রটা খুব বেশি হয়ে যাচ্ছে।’ সূত্র: এএফপি

18

টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট থেকে নিজের বিদায়ের সিদ্ধান্তের পেছনে যা-ই থাকুক, এ নিয়ে কোনো বিতর্ক হোক তা চান না মাশরাফি বিন মুর্তজা।

কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচের পর সংবাদ সম্মেলনে মাশরাফি বললেন, ‘আমার কাছে মনে হয় এই সময় বিতর্ক না তৈরি করে আমাদের ক্রিকেটের উন্নতির জন্য কাজ করা উচিত। আমাদের ক্রিকেট এগিয়ে যাক। আমার কাছে মনে হয় না এই সব নিয়ে আলোচনা করার কিছু আছে।’

অবসর ঘোষণার পর প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচটা জিতলে অন্যরকম তৃপ্তিই পেতেন। তবে মাশরাফি ব্যাপারটা দেখছেন খুব সাধারণভাবেই, ‘গতকাল রাতে যখন সিদ্ধান্ত নিই তখন জানতাম এমন একটা প্রশ্ন আসবে। বাংলাদেশের জন্য খেলছি। একটা ম্যাচ জিতলে সেটা বাংলাদেশই জিতবে। সেখানে মাশরাফির চেয়ে দেশ অনেক বড়। আমার কাছে মনে হয় এই ম্যাচ বাংলাদেশ হেরেছে। এটাই সবচেয়ে বড় কথা।’

টি-টোয়েন্টি সংস্করণে বাংলাদেশের উন্নতিই দেখেন তিনি, ‘টি-টোয়েন্টিতে এখন আমার বেশ ভালো জায়গাতে আছি। ছোটখাটো জায়গায় ভুল না করলে আমরা কিন্তু ভালো দল টিম হয়ে উঠছি। হয়তো বলতে পারেন অন্য দেশের মতো মেরে খেলার ব্যাটসম্যান নেই। তার পরও আমাদের টপ অর্ডার যদি ঠিকভাবে খেলে তাহলেই হয়। আরও কয়েকজন খেলোয়াড় আছে। মোস্তাফিজ আছে। কিছু তরুণ খেলোয়াড় যোগ হয়েছে। তাসকিন আছে, মিরাজ উঠে আসছে। আসলে পুরোটাই সেটআপের ব্যাপার। টি-টোয়েন্টি জিততে গেলে দুই থেকে তিনজন খুব ভালো ব্যাটসম্যান, ভালো বোলার দরকার। এখন যারা উঠে আসছে এরা যদি আরও একটু অভিজ্ঞ হয়, আমি নিশ্চিত এখন যতটা ভালো করছি, পরবর্তী বিশ্বকাপে আরও ভালো করব।’

19
ঢাকে কাঠির একটি বাড়ি পড়লেই নাচানাচি। ভুভুজেলা একটু সুর তুললেই নাচানাচি। আর সারাটা ক্ষণ চিৎকার-চেঁচামেচি। তাঁদের হাতের মোবাইল ফোনগুলো জ্বলল হাজার হাজার জোনাকি হয়ে। কাল শ্রীলঙ্কার দর্শকেরা রানাসিংহে প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে এসেছিলেন সার বেঁধে, কাতারে কাতারে। বাংলাদেশের ইনিংস শুরু হওয়ার খানিক পর ৪০ হাজার ধারণক্ষমতার স্টেডিয়ামে প্রায় ঠাসা ভিড়। এঁরা শ্রীলঙ্কার জয় দেখেই ফিরে গেছেন উচ্ছ্বাসের ঢেউ ছড়িয়ে।

প্রায় দুঃস্বপ্নে পরিণত হওয়া স্টেডিয়ামে কত যে প্রতীক্ষার এই জয়, কত যে স্বপ্ন রঙিন এই জয়! উল্টোদিকে বাংলাদেশকে টি-টোয়েন্টি যেন নিয়ে ফেলছে দুঃস্বপ্নের রুক্ষ জমিতে। কাল দুই ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে পরাজয় হলো ৬ উইকেটে। এই নিয়ে টানা আটটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ হারল বাংলাদেশ।
টেস্ট ও ওয়ানডে সিরিজ ড্রয়ের পর টি-টোয়েন্টি সিরিজে অন্তত জয় নিয়ে ফেরার আশা ছিল। সে আশা এখন কুহকিনী। শেষ টি-টোয়েন্টিতে প্রবলভাবে ঘুরে দাঁড়াতে পারলে বড়জোর এই সিরিজটাও ১-১ করা যাবে। তাহলে আগামীকাল আরেকটি ট্রফির দুই প্রান্তে ধরে দাঁড়াবেন দুই অধিনায়ক। একটু হাসি হাসি মুখ। কিন্তু ট্রফিটা কারও দিকে তাকিয়ে হাসবে না!
শ্রীলঙ্কাকে এই ম্যাচ সহজেই জিতিয়ে দিলেন দুজন। প্রথমে লাসিথ মালিঙ্গা দুটি মাত্র ইয়র্কারে ডানা মেলে উড়তে দিলেন না বাংলাদেশকে। তাতে বাংলাদেশ করতে পারল ৬ উইকেটে ১৫৫ রান। তারপর ব্যাটিংয়ে নেমে কুশল পেরেরা ৫৩ বলে করে গেলেন ৭৭ রান। প্রথম উইকেটেই উপুল থারাঙ্গার সঙ্গে তুলে ফেলেন ৬৫ রান। তাসকিনের বলে এই বাঁহাতি ওপেনার যখন মিডঅফে সৌম্যর হাতে ক্যাচ হলেন, জয় থেকে মাত্র ৯ রান দূরে শ্রীলঙ্কা। সেই কটা রান সেকুগে প্রসন্ন আর থিসারা পেরেরা মিলেই তুলে ফেললেন। বাংলাদেশের হয়ে অধিনায়ক মাশরাফিই সফলতম বোলার। সর্বোচ্চ ২ উইকেট তিনি পেয়েছেন তাঁর শেষের শুরুর টি-টোয়েন্টি ম্যাচটিতে। বাকি দুই উইকেটের একটি নিয়েছেন তাসকিন। চতুর্থটি রানআউটে।
অথচ এই ম্যাচ একটু অনিশ্চয়তা নিয়েই শুরু হয়েছিল। সে ফলের দিক দিয়ে সম্ভবত নয়। বৃষ্টি এসে খেয়ে নেয় কি না সেই ভয়। শ্রীলঙ্কার জাতীয় সংগীত তখন মাঝপথে। ঝিরঝির করে শুরু হলো বৃষ্টি। অনাহূত বৃষ্টি, তবে অপ্রত্যাশিত ছিল না। সন্ধ্যার মুখে বৃষ্টি হওয়ার পূর্বাভাস ছিল। এই বৃষ্টি ম্যাচের শুরুটা পিছিয়ে দেয় ১০ মিনিট। তবে শ্রীলঙ্কার উইকেট পেতে দেরি করায়নি একটুও। ম্যাচের দ্বিতীয় বলেই ভয়ংকর লাসিথ মালিঙ্গার ইনসুইঙ্গিং ইয়র্কারে বোল্ড তামিম ইকবাল। দলের প্রথম রান আসে ওয়াইড বলের বাউন্ডারি থেকে। শেষ বলেই ফিরে যেতে পারতেন আরেক ওপেনার সৌম্য সরকার। নিজের বলে সৌম্যর ফিরতি ক্যাচটি নিতে পারেননি মালিঙ্গা।
বাংলাদেশের ব্যাট হাসল মালিঙ্গা ফিরতেই। নুয়ান কুলাসেকারার করা দ্বিতীয় ওভারে মিড উইকেট দিয়ে চার মেরে সৌম্য বুঝিয়ে দিলেন, বাংলাদেশ ঘাবড়ে যায়নি। ওই ওভারে এল ১২ রান। মালিঙ্গার দ্বিতীয় ওভারে এল ১৭, ফ্লিক করে সৌম্য যে ছক্কাটি মারলেন ফাইন লেগের ওপর দিয়ে, সেটির মুগ্ধ দর্শক যেন মালিঙ্গাও। ৫ ওভারেই উঠে গেল ৫৭ রান, রান রেট ১১.৪। এই বাংলাদেশ তো পাল্টা আক্রমণে শ্রীলঙ্কাকেই চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছে!
বড় রানের আশা তখন পেখম মেলে নাচছে। কিন্তু দলটি যখন বাংলাদেশ, এই আশা তো পরক্ষণেই হতাশা। ভিকুম সঞ্জয়ের করা ষষ্ঠ ওভারেই ২ উইকেট নেই। প্রথম বলেই অলসভাবে দৌড়ে সিঙ্গেল নিতে গিয়ে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্ট থেকে সেকুগে প্রসন্নর সরাসরি থ্রোয়ে রানআউট সাব্বির (১৬)। ভাঙল ৪.৫ ওভারে গড়া সাব্বির-সৌম্যর ৫৭ রানের জুটি। ওভারের পঞ্চম বলে সৌম্য ফিরলেন লং অনে ক্যাচ তুলে দিয়ে। তিন চার ও এক ছয়ে ২০ বলে তাঁর ২৯ রান। সৌম্য টিকে থাকলে কী দারুণ জায়গাতেই না যেত বাংলাদেশের ইনিংস। টিকে থাকা জরুরি ছিল অভিজ্ঞ মুশফিকুর ও সাকিব আল হাসানেরও। তাঁরাও পরিস্থিতির ডাকে সাড়া না দিয়ে আউট। আসেলা গুনারত্নের অফকাটারে প্যাডল সুইপ করতে গিয়ে বোল্ড মুশফিক। প্রসন্নর লেগব্রেকে পয়েন্টে ক্যাচ হয়ে ফিরলেন সাকিব।
১১.১ ওভারে ৫ উইকেটে ৮২ রানে পরিণত বাংলাদেশকে উদ্ধার করে আরেকটি ৫৭ রানের জুটি। ৭ ওভারে যেটি গড়েছেন ময়মনসিংহের দুই ‘ম’ মাহমুদউল্লাহ ও মোসাদ্দেক। নিজের চতুর্থ ওভারে মালিঙ্গাই আরেকটি ইয়র্কারে বোল্ড করেছেন মাহমুদউল্লাহকে। আউট হওয়ার আগে ২৬ বলে করেছেন ৩১। দলের সর্বোচ্চ ৩৪ রান মোসাদ্দেকের। বিদায়ী টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে নামা অধিনায়ক মাশরাফিকে নিয়ে বাংলাদেশকে পৌঁছে দিয়েছেন ১৫৫ রানে। ইনিংস শেষে যে রানকে বড় কিছু মনে হয়নি। মালিঙ্গা-হুমকি সামলে সাব্বির-সৌম্য যেভাবে ব্যাট করছিলেন, তাতে স্কোরবোর্ডে আরও ২০টি রান জমা হতেই পারত।
বাংলাদেশ: ২০ ওভারে ১৫৫/৬
শ্রীলঙ্কা: ১৮.৫ ওভারে ১৫৮/৪

20
গুঞ্জন একটা ছিলই। তবে তা এখনই বাস্তব হয়ে উঠবে কি না, সেটাই ছিল প্রশ্ন। উত্তরটা কাল দিয়ে দিলেন মাশরাফি বিন মুর্তজা নিজেই। আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়ে দিলেন, চলতি শ্রীলঙ্কা সিরিজের পর আর খেলবেন না আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট।

কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে কাল শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচের টসের পরই ঘোষণাটা দেন বাংলাদেশ অধিনায়ক।

ধারাভাষ্যকার ডিন জোন্সকে মাশরাফি জানিয়ে দেন, ‘বাংলাদেশের হয়ে এটাই আমার শেষ টি-টোয়েন্টি সিরিজ। আমি ধন্যবাদ দিতে চাই বিসিবি, আমার পরিবার ও বন্ধুদের, সতীর্থ এবং কোচিং স্টাফদের। ১৫-১৬ বছর ধরে আমাকে সমর্থন জানিয়ে আসা ভক্তদেরও ধন্যবাদ।’

এর একটু আগে নিজের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজেও টি-টোয়েন্টিকে বিদায়ের কথা লিখেছেন মাশরাফি। তাঁর ওপর আস্থা রাখায় বিসিবিকে ধন্যবাদ দিয়েছেন। কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন ভক্ত, পরিবার ও বন্ধুদের প্রতি। ফেসবুকে মাশরাফি লিখেছেন, ‘এই সুদীর্ঘ ক্যারিয়ারে উত্থান এবং পতন ছিল। আমি সব সময় চেষ্টা করেছি আমার ফ্যানদের খুশি করার। আমি আমার প্রত্যেক ফ্যানের কাছে তাদের প্রতি ম্যাচে খুশি করতে না পারার জন্য ক্ষমা চাইছি।’

টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটকে বিদায় জানাতে এটাকেই উপযুক্ত সময় মনে করেছেন বাংলাদেশ দলের ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক। দল এবং টি-টোয়েন্টির নতুন অধিনায়ককে আগাম শুভেচ্ছাও জানিয়েছেন তিনি। গুঞ্জন আছে, দায়িত্বটা পেতে যাচ্ছেন সাকিব আল হাসান। তবে কাল কলম্বোতে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান জানিয়েছেন, এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে বোর্ড সভায়।

ফেসবুক স্ট্যাটাস এবং ডিন জোন্সকে বলা মাশরাফির কথা থেকে মনে হয়, টি-টোয়েন্টিকে বিদায় জানানোর সিদ্ধান্তটি তিনি স্বেচ্ছায়ই নিয়েছেন। তবে একটি সূত্রের তথ্য, বিসিবি থেকেই নাকি মাশরাফিকে বলা হয়েছে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট থেকে সরে দাঁড়াতে। সেটিরই ধারাবাহিকতায় কাল মাশরাফির ওই ঘোষণা।

21
কোলাহল থেমে গেছে। দারুণ তৃপ্তির এক জয়ের সাক্ষী হয়ে ঘরে ফিরে গেছেন শ্রীলঙ্কান সমর্থকেরা। কাল গভীর রাতে সাংবাদিকদের কাছে এসে ম্যাচের সেরা কুশল পেরেরা এসে জানিয়ে গেলেন, ম্যাচটি তিনি শেষ করেই আসতে চেয়েছিলেন। অল্পের জন্য পারেননি। তবে দুটি চোট থেকে ফিরে এসে দলের জয়ে অবদান রাখতে পেরে তিনি খুশি। পেরেরা যা-ই বলুন, বাংলাদেশের সাংবাদিকদের সেদিকে বিশেষ আগ্রহ ছিল না। সবার কৌতূহল ছিল কখন আসবেন মাশরাফি বিন মুর্তজা। মাশরাফি এলেন। আর কোথায় ম্যাচ? সব ছাপিয়ে বড় হয়ে উঠল একেবারেই আকস্মিকভাবে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিকে মাশরাফির বিদায় বলে দেওয়া।
মাশরাফির দাবি, খুব বড় কিছু ভেবেচিন্তে অবসরের সিদ্ধান্ত তিনি নেননি। তাঁর হুট করেই মনে হলো, অবসর নেব। ব্যস, টস হওয়ার সময় জানিয়ে দিলেন, এটাই তাঁর শেষ টি-টোয়েন্টি সিরিজ।
প্রথমে জানিয়েছেন মাকে। তারপর বাবাকে। অবসরের সিদ্ধান্ত জানা তৃতীয়জন হলেন তাঁর স্ত্রী। আর এরপর জেনেছেন তাঁর বন্ধুরা, যে বন্ধুদের দলে তাঁর ছোট ভাইও আছেন! মাঠে আসার আগে হোটেল থেকে জানিয়ে দিয়েছেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসানকে। তাঁকে একটু আগেই জানিয়েছেন; কেননা, বোর্ড তাঁকে এই সংস্করণের ক্রিকেটেরও অধিনায়ক করে দেখিয়েছে সম্মান।
অবসরের পেছনে মাশরাফির ক্রিকেটীয় কারণ, ‘তরুণদের জন্য জায়গা ছেড়ে দেওয়া। এই যে দেখেন আজ সাইফের অভিষেক হলো। সে ভালো বোলার। আমি না থাকলে সে অনেকটা নির্ভার হয়ে খেলতে পারবে।’ তবে অন্যদের সুযোগ করে দেওয়া প্রসঙ্গে প্রথমেই তাঁর দুঃখ ঝরেছে রুবেল হোসেনের জন্য, ‘দেখুন, শেষ দুটি (আসলে তিনটি) টি-টোয়েন্টি ম্যাচে রুবেল ৭ উইকেট নিয়েছে। অথচ তার জায়গা হলো না একাদশে। তাকে ফিরে যেতে হলো দেশে। এটা আমাকে একটু আহত করেছে। আমার জন্যই তার জায়গা হলো না।’

22
মাইকে যখন জাতীয় সংগীত বাজছিল বাংলাদেশের, ক্যামেরা বারবার ধরছিল মাশরাফি বিন মুর্তজার মুখ। এমনিতে এতে কোনো অস্বাভাবিকত্ব নেই। ক্যামেরার তো অধিনায়কের দিকে একটু বাড়তি মনোযোগ থাকবেই। কিন্তু কেন বারবার? কারণ, একটু আগে টসের সময় বাংলাদেশের সীমিত ওভারের ক্রিকেটের অধিনায়ক আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিকে বিদায় জানানোর সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিয়েছেন। শ্রীলঙ্কায় চলমান দুই ম্যাচের সিরিজটাই টি-টোয়েন্টিতে তাঁর শেষ। আগামীকাল কলম্বোতেই মাশরাফি খেলবেন ক্যারিয়ারের শেষ আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিটি।
মাশরাফি বিষয়টি এতই গোপন রেখেছিলেন, ফেসবুকে নিজের ওয়ালে এই ঘোষণা দেওয়ার পরই সবাই জানতে পারলেন। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) ক্রিকেট পরিচালনা কমিটির প্রধান আকরাম খান পর্যন্ত একটু বিস্মিত, ‘আমি তো ক্রিকইনফোর ধারাভাষ্য থেকে এটি জানলাম।’ আকরাম হোটেল থেকে গাড়িতে মাঠে আসার পথে ইএসপিএনক্রিকইনফো থেকে এটি জানতে পারেন। এটি মাশরাফির শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ না শেষ সিরিজ, সে ব্যাপারেও নিশ্চিত ছিলেন না আকরাম। পরে অবশ্য স্পষ্ট হয়েছে সবকিছুই।
টস জিতে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে ঘোষণা দিলেন বিদায়ের। প্রতিপক্ষ অধিনায়ক উপুল থারাঙ্গাকে ধারাভাষ্যকার ডিন জোন্সের কাছে সঁপে দিয়েই ছুটলেন ড্রেসিংরুমের দিকে। কিন্তু সীমানাদড়ির কাছে তাঁকে থামতেই হলো। তাঁর অপেক্ষায় ছিলেন কোচিং স্টাফের সদস্যরা। বুকে বুক মিলিয়ে বিদায়ী অভ্যর্থনা জানালেন কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে, ব্যাটিং পরামর্শক থিলান সামারাবীরা, ম্যানেজার খালেদ মাহমুদসহ অন্যরা।
আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে আর দেখা যাবে না মাশরাফিকে। ঘরোয়া টি-টোয়েন্টিতে খেলতেও পারেন আরও কিছুদিন। তবে এর মধ্য দিয়ে টি-টোয়েন্টিতে ‘মাশরাফি’ নামের এক গল্পের নটে গাছটা মুড়োল। খেলেছেন বাংলাদেশের প্রথম টি-টোয়েন্টিতেই। সেটি ছিল জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে খুলনায়, ২৮ নভেম্বর ২০০৬। ক্রিকেটের পৃথিবীতে টি-টোয়েন্টিই তখন সদ্য ভূমিষ্ঠ এক শিশু। ওটা ছিল সব মিলিয়ে নবম আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি।
তা প্রথম ম্যাচে খারাপ করেননি মাশরাফি। ব্যাটিংয়ে ২৬ বলে ৩৬ রান করার পর বোলিংয়ে ৪ ওভারে ২৯ রান খরচ করে নিয়েছিলেন ১ উইকেট। শাহরিয়ার নাফীসের অধিনায়কত্বে ম্যাচটি ৪৩ রানে জিতেছিল বাংলাদেশ। ম্যাচসেরা? মাশরাফি বিন মুর্তজা।
টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে ম্যাচসেরার স্বীকৃতি পেয়েছেন আর একবারই। ২০১২ সালে বেলফাস্টে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে। ওই ম্যাচে ১৯ রানে ৪ উইকেট তাঁর ক্যারিয়ার-সেরা বোলিং। ৪ উইকেট শিকার ওই একবারই। ব্যাটিংয়েও করেছিলেন ১৩ বলে ৩০ রান।
কেন টি-টোয়েন্টিকে আচমকা বিদায় বলে দিলেন মাশরাফি? এতে কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহের একটা ভূমিকা দেখছেন অনেকেই। পেছনের ঘটনা যা-ই হোক, এটিকে ধরে নিতে হচ্ছে শেষের শুরু। ২০০৯ ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে বোলিং করার সময় পড়ে গিয়ে সেই যে চোট পান, এরপর থেকেই টেস্ট তাঁর কাছে অতীত অধ্যায়। খেলছিলেন টি-টোয়েন্টি ও এক দিনের আন্তর্জাতিক। টি-টোয়েন্টি গেল, রইল শুধু ওয়ানডে। সেটিকেও হয়তো বিদায় বলে দেবেন আচমকাই।
বিদায়ের সঙ্গে কখনো কখনো আগমনী সংগীত শোনা যায়। একজনের শেষ হয়, শুরু হয় আরেকজনের। টি-টোয়েন্টিকে মাশরাফির বিদায় বলার দিনে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে অভিষেক হয়েছে সাইফউদ্দিনের। গত বছর অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে খেলা পেস বোলিং অলরাউন্ডারের মধ্যে একজন ‘থিসারা পেরেরাকে’ খুঁজতে চাইছে বাংলাদেশ। যে ক্রিকেটার পেস বোলিংয়ে উইকেট তুলতে পারবেন, আবার প্রয়োজনে শেষ দিকে ব্যাটিংয়ে নেমে তুলতে পারবেন ঝড়। দেখা যাক, সাইফ সেই আশা পূরণ করতে পারেন কি না।
তবে এটা নিশ্চিত, মাঠে নামার আগে ফেনীর ২০ বছর বয়সী তরুণের সঙ্গী হয়েছে অনুপ্রেরণাদায়ী অধিনায়ক মাশরাফির আশীর্বাদ।

23
৫৬
বাংলাদেশের ৫৬তম খেলোয়াড় হিসেবে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে অভিষেক হলো মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের।
৫৭
সৌম্য-সাব্বিরের ৫৭ রানের জুটি টি-টোয়েন্টিতে দ্বিতীয় উইকেটে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ।

টি-টোয়েন্টিতে টানা আট ম্যাচ হারল বাংলাদেশ। টানা হারের রেকর্ডে যা চতুর্থ সর্বোচ্চ। সর্বোচ্চ ১৬ ম্যাচ হেরেছে জিম্বাবুয়ে।
৫৭
মোসাদ্দেক-মাহমুদউল্লাহর ৫৭ রানের জুটি টি-টোয়েন্টিতে ষষ্ঠ উইকেটে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ। ২০১৬ সালের জানুয়ারিতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেও ষষ্ঠ উইকেটে নুরুল হাসানকে নিয়ে ৫৭ রান যোগ করেছিলেন মাহমুদউল্লাহ।

24
মাশরাফি বিন মুর্তজা প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান যেন একটু আবেগপ্রবণই হয়ে পড়লেন। তাঁর চোখে বাংলাদেশের ওয়ানডে অধিনায়ক ‘পারফরম্যান্সের ঊর্ধ্বে।’ তিনি সন্দিহান, বাংলাদেশের ক্রিকেটে আরও একজন মাশরাফি খুঁজে পাওয়া সম্ভব কি না! একই সঙ্গে নাজমুল ধারণা দিয়ে রাখলেন, নতুন টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক হিসেবে তাঁর পছন্দ সাকিব আল হাসান।
কলম্বোয় আজ সাংবাদিকদের সঙ্গে মুখোমুখি হয়েছিল বিসিবি সভাপতি। নাজমুলের কণ্ঠে ঝরল মাশরাফির একরাশ প্রশংসা, ‘ওর যে নেতৃত্ব গুণ, দল ও দেশের প্রতি ওর যে টান, ভালোবাসা, আত্মত্যাগ। এটা খুবই বিরল। সুতরাং, মাশরাফি এমন একজন খেলোয়াড়, যাকে বাংলাদেশের ক্রিকেট সব সময়ই মিস করবে। ও অধিনায়কত্ব না করলেও আমরা মিস করব। পুরোপুরি অবসর নিয়ে নিলেও আমরা তাকে মিস করব। আমরা ভালো খেলোয়াড় হয়তো আরও পাব। কিন্তু আরও একজন মাশরাফিকে পাওয়া খুবই কঠিন।’
টি-টোয়েন্টি থেকে মাশরাফি অবসর নেওয়ায় নতুন অধিনায়ক খুঁজে নেবে বিসিবি। ফর্ম অনুযায়ী সে পদটা যে সাকিব আল হাসানেরই হতে যাচ্ছে, সেটির একটা ইঙ্গিত দিয়েই দিয়েছেন বিসিবি প্রধান, ‘দেখুন অধিনায়ক হিসেবে আমাদের ভাবনা সব সময় মুশফিক, সাকিব, মাশরাফি, তামিম ও মাহমুদউল্লাহকে ঘিরেই। এখন মুশফিক, মাশরাফি বাদে থাকে তামিম, মাহমুদউল্লাহ ও সাকিব। সাকিব যেহেতু সহ-অধিনায়ক, তাই আমরা মনে করি টি-টোয়েন্টির অধিনায়ক সাকিবই হওয়া উচিত। ওর যে ফর্ম, মানসিকতা সব দিক দিয়েই সাকিবকে অনেক বেশি পরিণত মনে হচ্ছে। ওর সঙ্গে মাহমুদউল্লাহর আসাটা খুব কঠিন হবে।’
ওয়ানডেতে অধিনায়ক থাকছেন মাশরাফিই। এটি পরিবর্তিত হওয়ার কোনো সুযোগ নেই বলেই জানিয়েছেন নাজমুল, ‘ওয়ানডের অধিনায়কত্ব পরিবর্তন হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। এক বছর আগেও আমরা মনে করেছিলাম চ্যাম্পিয়নস ট্রফি খেলাটাই হয়তো ওর জন্য কঠিন। কিন্তু এখন মনে হচ্ছে মাশরাফি ওয়ানডে খেলবে আরও অনেক দিন।’


25
Science and Information / Re: Yahoo delays sale of core business
« on: March 12, 2017, 10:28:58 PM »
Informative post... Thanks for sharing....

27
Science and Information / Re: biggest blackhole
« on: March 12, 2017, 10:28:06 PM »
Informative post... Thanks for sharing....

28
Informative post... Thanks for sharing....

30
Informative post... Thanks for sharing....

Pages: 1 [2] 3 4 ... 20