Show Posts

This section allows you to view all posts made by this member. Note that you can only see posts made in areas you currently have access to.


Messages - Shakil Ahmad

Pages: 1 ... 20 21 [22] 23
316

ইংরেজি সাহিত্য
William Shakespeare নিয়ে যে কোন পরীক্ষাতে প্রশ্ন পেতে এই টুকু মনে রাখবেন , আশা করা যায় আপনি যে কোন পরীক্ষাতে প্রশ্ন কমন পাবেন।এ যাবত পর্যন্ত William Shakespeare নিয়ে যে প্রশ্ন গুলো এসেছে বিভিন্ন পরীক্ষাতে সব প্রশ্ন গুলো এই সব এর মাধে থেকেই এসেছে। তাই এই টুকু মনে রাখবেন আপনার যে কোন পরীক্ষাতে কাজে দিবে।
William Shakespeareঃ
* He is popularly known as the greatest dramatist of English literature.
* He was born on 23rd April, 1564.
* He died on 23rd April, 1616.
* He was born on Stanford on Avon in England.
* He is called the ‘Bard of Avon’.
* He wrote totally-37 plays, 154 sonnets and 3 narrative poems.
Plays- Comedy-16 + Tragedy-7 + Historical-14 = 37

works: এখানে শুধু গুরুত্ব পূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হলো ঃ
Famous Tragedies are- এই বিষয় টা বেশি গুরুত্ব পূর্ণ
* Hamlet
* Othello
* Macbeth   
* King Lear
* Romeo and Juliet
* Troilus and Cressida
* Titus Andronicus
Famous Comedies are-এই বিষয় টা বেশি গুরুত্ব পূর্ণ
 
* The Tempest
* As You Like It
* Twelfth Night
* All’s Well that Ends Well
* Love’s Labour’s Lost
* The Merchant of Venice
* The Comedy of Errors
* Much Ado about Nothing
* A Mid Summer Night’s Dream
* Merry Wives of Windsor
* Two Gentlemen of Verona
 
Famous historical plays are-
 
* Julius Caeser
* Antony and Cleopatra
* Cariolanus
* King John
* Henry VII
* Henry V
* Richard II
* Richard III
 
3 Narritive poems are-
 
* The Rape of Lucretia
* The Passionate Pilgrim
* Venus and Adonis
 
Famous Sonnets are- এই বিষয় টা বেশি গুরুত্ব পূর্ণ
 
* Sonnet-18
* The Phoenix and the Turtle
* A Lover’s Complaint.

William Shakespeare এর বিষয়ে গুরুত্ব পূর্ণ কিছু তথ্যঃ
* William Shakespeare lived during the reign of Elizabeth I
* William Shakespeare is mostly know for his plays/dramas
* William Shakespeare is call the “Bard of Avon”
*William Shakespeare is famous Sixteenth Century English playwright
*He lived during the reign of Eligabeth
* the Tempets is a romantic play
*The hamlet expresses the idea that there
is a divinity that shapes our ends
* the hamlet এর নায়িকারা নাম Ophelia
* The Tempest এর একটি চরিত্র Calliban
* The merchant of venice নাটকের দুটি চরিত্র Sjylock and antonio
*the comedy off errors অনুসারে ঈশরচন্দ্র বিড্যাসাগর “ভ্রান্তি বিলাস” রচনা করেন।

বিভিন্ন পরীক্ষাতে যে প্রশ্ন গুলো এসেছে তার কিছু প্রশ্ন এখানে দেওয়া হলোঃ
1. Who wrote the plays,
‘The Tempest’ and ‘The Mid Summer Night’s Dream’?
a. Ben Johnson b. Christopher Marlowe
c. John Dryden d. William Shakespeare
Ans: d
2. ‘Julius Caesar’ was the ruler of Rome about-
a. 1000 years ago b. 1500 years ago
c. 2000 years ago d. 3000 years ago
Ans: c
3. Shakespeare is known mostly for his-
a. Poetry b. novels
c. autobiography d. plays
Ans: d
4. ÒFrailty, the name is woman” – in which of the
following novels you find this?
a. Macbeth b. Romeo &Juliet
c. Hamlet d. Tempest
Ans: c
5. William Shakespeare is the author of —
a. Paradise Lost      b. Old Man &the sea
c. Daffodils                   d. King Lear
Ans: d
6. Who wrote ‘The Tempest’?
a. William Wordsworth b. Ben Jonson
c. William Shakespeare d. Tennyson
Ans: c
7. Which book is a Tragedy?
a. Hamlet b. Measure for Measure
c. As you like it d. She Stoops Conquer
Ans: a

318
Bangladesh Civil Service-BCS / Re: Know about all Cadre
« on: March 09, 2016, 11:55:15 PM »
Nice work

319
NB এর পূর্ণরূপ কী?
ক.Note Bank
খ.Note Book
গ.Nota Bene
ঘ.Notice Board

320
Cricket / Bangladesh won by 8 runs
« on: March 09, 2016, 11:45:48 PM »
Bangladesh 153/7
v Netherlands 145/7 (20/20 ov)
Bangladesh won by 8 runs

321
Career Opportunity / Diamond cuts diamonds
« on: March 09, 2016, 11:42:48 PM »
Diamond cuts diamonds এর অনুবাদ কোনটি?
a. মানিকে মানিক চিনে।
b. টাকায় টাকা আনে।
c. অল্প বিদ্যা ভয়ংকর।
d. তার অনেক ডায়মন্ড আছে।

322
Career Opportunity / Re: Advertisement for requirement (Teacher)
« on: March 09, 2016, 11:41:14 PM »
Thank u sir

323
Career Opportunity / Finance Assistant
« on: March 09, 2016, 11:40:11 PM »

Finance Assistant
   
 
Helen Keller International
   View all jobs of this company
Job Description / Responsibility

    Reporting to : Manager - Finance and Grants
    Visit this link to view job detail: http://hotjobs.bdjobs.com/jobs/hki/hki92.htm

Job Nature

    Full-time

Educational Requirements

    Bachelor degree in Accounting/Finance/BBA Major in Accounting/Finance is preferable

Experience Requirements

    1 to 2 year(s)

Additional Job Requirements

    1-2 years of relevant experience to work in finance department at development sector or INGOs;
    Proficiency in use of Microsoft Office (Word, Excel and PowerPoint) are essential;
    Sound knowledge on Excel will be considered an extra advantage.
    about financial software (Quick Book) will be considered an added advantage;
    Good communication skills;
    Knowledge Self-motivated, energetic and team player.

Job Location

    Dhaka

Job Source
Bdjobs.com Online Job Posting

324
কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে বিলুপ্ত প্রায় লাল কাকড়া

একসময় কক্সবাজারে বেড়াতে আসা পর্যটকরা সৈকতে নেমে দেখতে পেতো লাখ লাখ টকটকে লাল সেই কাকরা। মনে হতো সৈকত রাজ্যে বেড়াতে আসা অতিথিদের লাল গালিচা সংবর্ধনায় সম্মান ও আনন্দ দিচ্ছে সৌন্দর্য্যের প্রতিক প্রাকৃতিক জীব লাল কাকরার দল। সম্প্রতি অর্থলোভীদের ও পরিবেশ বিরোধী কিছু ব্যবসায়ীরা অর্থের বিনিময়ে সৈকতে ব্যবসার উদ্যোশ্যে ঘোড়া ও বীচ বাইকের বেপরোয়া গতিতে চলাচলের পাশাপাশি তাদের হত্যাসহ পরিবেশ বিধ্বংসী কর্মকান্ড শুরু করায় হারিয়ে গেছে অপূর্ব সুন্দর লাল কাকড়া।
সমুদ্র সৈকতের হিমছড়িস্থ সেনা ক্যাম্প, ইনানী ও ডায়াবেটিক পয়েন্টে অদুরে উত্তরের জনশূণ্য এলাকায় কিছু সংখ্যাক লাল কাকড়া দেখা যায়।
পরিবেশ অধিদপ্তর কক্সবাজারের সহকারী পরিচালক সরদার শরিফুল ইসলাম ভুঁইয়া জানিয়েছেন, পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় পরিবেশ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে ইতোমধ্যে প্রচার-প্রচারণাসহ বেশ কিছু পদক্ষেপ চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে। সৈকতে পর্যটকদের অবাধে বিচরণ এবং বীচ বাইক, ঘোড়াসহ মোটক সাইকেল ও বিভিন্ন যানবাহন চালানোর ফলে জীব বৈচিত্র হারিয়ে যাওয়ার পেছনে অন্যতম কারণ। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় পর্যটকদের দায়িত্ব অনেক বেশি। সৈকতের জীব বৈচিত্র রক্ষায় নানা রকম প্রচারণা মেনে চলে পর্যটকদের অবাধে বিচরণ বন্ধ করতে হবে। পাশাপাশি ওসব জীব প্রাণীর চারণ ভূমি রক্ষা নিশ্চিত করতে সকলকে এগিয়ে আসতে হবে।

325

গতকাল পঞ্চগড় থেকে হিমালয় দেখা সম্পর্কিত পোস্ট এ দেখলাম অনেকেই বিশ্বাস করতে পারেন নি যে পঞ্চগড় থেকে এভাবে হিমালয় দেখা যায় । জি এভাবেই দেখা যায় ।এই ছবি ২০১৩ সালে তুলেছি পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলা থেকে। বাস্তবে দেখলে মনে হবে যেন কয়েক কিলো হাঁটলেই উঠে পরবেন পৃথিবীর পৃথিবীর সর্বোচ্চ পর্বতমালায় ।

মুসলিম ,পুন্ড্র, গুপ্ত, পাল, সেন শাসনামলের হাজার বছরের ঐতিহ্যে সমৃদ্ধ সর্ব উত্তরের জেলা পঞ্চগড় । শীতপ্রবণ এই জেলা প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর । বাংলাদেশের একমাত্র পঞ্চগড় থেকে এভাবে দেখতে পাবেন হিমালয়ের দ্বিতীয় উচ্চ পর্বত শৃঙ্গ কাঞ্চনজঙ্ঘা । শরতের মাঝামাঝি জেলার যেকোন ফাকা মাঠে দাড়িয়ে দেখতে পাবেন হিমালয় এমনকি শহরের বিল্ডিং এর ফাকেও দেখা যায় হিমালয় । হিমালয় কন্যা বলে কথা । হিমালয় দেখার সবচেয়ে ভালো সময় অক্টোবর -নভেম্বর এর মাঝামাঝি । এ সময় সুর্য আনুভূমিক ভাবে দক্ষিনে বেশি হেলে পরে যা বছরের অন্য সময় হয় না ফলে সূর্যের আলো হিমালয়ের চুড়ায় প্রতিফলিত হয় ফলে দেখা যায় হিমালয় । আর বছরের অন্য সময়ে দেখা যায় না । তাই হিমালয় দর্শন করতে হলে আপনাকে আসতে হবে যথা সময়ে । যদিও তা অনেকটা ভাগ্যের উপর নির্ভর করে । গত বছর দেখা যায়নি বললেই চলে ।

হিমালয় ছাড়াও পঞ্চগড় এ দর্শনীয় স্থানের অভাব নেই আছে প্রায় ৪০০ বছর পুরনো মোঘল স্থাপত্য মির্জাপুর শাহী মসজিদ, ১৫০০ বছর আগে খনন করা মহারাজার দিঘী দেশের অন্যতম বৃহৎ প্রত্নতত্ত্ব নির্দশন ভিতরগর দূর্গনগরী ।

জেলার তেতুলিয়া উপজিলার উপর দিয়ে বয়ে গেছে মহানন্দা নদী । নদীর তীরে অবস্থিত তেতুলিয়া ডাকবাংলো , নদীর অপারেই ভারত সীমান্ত । ডাকবাংলোয় বসে উপভোগ করতে পারবেন মহানন্দার রূপ ! নদী থেকে পাথর তোলার দৃশ্য আর রাতে সীমান্তে লাইটে মহানন্দা হয়ে উঠে আরো মোহনীয় মায়াময় । এখানকার পানি এত স্বচ্ছ যে মিনারেল ওয়াটার কেও হার মানায় কারন ভূগর্ভে রয়েছে পাথর যা এই এলাকার অর্থনীতির চাকা সচল রেখেছে ।
এছাড়া রয়েছে প্রশস্ত এশিয়ান হাইওয়ে , রক মিউজিয়াম , করতোয়া সেতু , সমতল ভুমির চা বাগান ।

এত সব কিছুর ভিড়ে পঞ্চগড়ের সেরা আরেকটি আকর্ষণ হল একটি পাখি । মহাবিপন্ন শেখফরিদ !! বাংলাদেশের হাতে গোনা কয়েকটি শেখ ফরিদ বাস করে শুধু মাত্র তেতুলিয়ায় । বাংলাদেশে আর কোথাও দেখা যাবেনা শেখ ফরিদ । শুধু বাংলাদেশেই নয় পৃথিবী জুড়েই বিপন্ন এই পাখি । তেতুলিয়ার কাজীপারা মে-জুলাই তাদের প্রজনন মৌসুমে দেখা যায় শেখফরিদ । যদিও দেখা এত সহজ নয় । আমি ৫ দিন সেখানে অপেক্ষা করে দেখছিলাম ২ বার ছবি তুলতে পেরেছি একবার ।

ঢাকা থেকে পঞ্চগড় প্রায় ৪৭৫ কিলোমিটার যা বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় রুট । শ্যামলী / আসাদগেট / কল্যাণপুর থেকে সব ভালো গাড়ীই আসে পঞ্চগড় , হানিফ নাবিলের এসি সার্ভিস ও রয়েছে । পঞ্চগড় শহর রে রয়েছে একাধিক হোটেল ও রেস্ট হাউজ । তারমধ্যে সেন্ট্রাল গেস্ট হাউজ অনেক ভালো সার্ভিস দেয় । তেতুলিয়াতেও অবস্থান করতে পারেন রয়েছে ডাকবাংলো ও সীমান্তের পাড় আবাসিক হোটেল ।

326


কিভাবে যাবেন :-ঢাকা থেকে বান্দরবান বাসে ।বান্দরবান থেকে থানছি লোকাল বাস অথবা জীপ । থানছি থেকে ট্রলারে রেমাক্রীর পথে

327
Travel / Visit / Tour / ইনানী বীচ
« on: March 09, 2016, 11:10:04 PM »

যেভাবে যাবেন:ঢাকা থেকে কক্সবাজার এর গাড়ীতে কলাতলি মোড় এখন নন এসি বাসে যেমন হানিফ, শ্যামলি,ইউনিক ইত্যাদি বাসে ৮০০ নেবে, ঐখান থেকে সিনজি, জীপ অথবা ইজিবাইকে করে যেতে পারেন।জীপে ১০০০ /১২০০ নেবে সাথে আসার সময় হিমছরি ও যোরে আসবেন জীপ প্রথমে ২০০০ বা আরও বেশি চাইবে দামাদামি করে নিবেন ১০০০ বা ১২০০ এর বেশি দিয়ে নেবেন না, ইজিবাইক পুরোটা নিবে ৬০০ বা ৬৫০ সর্বোচ্চ নিবে আমি ইজিবাইকে করে গত শুক্রবার ঘুরে আসলাম লাবনী বীচ থেকে ইজিবাইক নিয়েছিলাম মাত্র ৫০০ টাকা দিয়ে হয়ত অনেকে বিশ্বাস করবেন না, ড্রাইভার আমাকে ইনানীতে ১ ঘন্টা সময় দিছিল আর হিমছরিতে ১ ঘন্টা, আর সিনজি ইজিবাইকের চাইতে বেশি নিবে চাইবে প্রথমে বেশি কিন্তু দামাদামি করে নিবেন তাহলে ৮০০ এর মত নিবে আমার মতে সিনজি না নিয়ে ইজিবাইকে যাওয়া ভাল আর লোক বেশি হলে জীপে যাবেন

328
Travel / Visit / Tour / সাজেক ভ্যালী
« on: March 09, 2016, 11:07:57 PM »
সাজেক ভ্যালী : প্রকৃতির অপার সৌন্দর্যের আঁধার আমাদের মাতৃভূমি রূপসী বাংলা । রূপের অপার সৌন্দর্যের সাঁজে সেজে আছে বাংলা মা । আমরা সৌন্দর্যের খোঁজে ছুটে বেড়াই বিশ্বের বিভিন্ন দেশে । কিন্তু একবারও কি ভেবে দেখেছি আমাদের দেশের সৌন্দর্য তাদের চেয়ে কোন অংশে কম নয় । আমরা বিভিন্ন দেশের গ্রীন ভ্যালী দেখতে যাই কিন্তু ঢাকা থেকে মাত্র ৭/৮ ঘণ্টা গাড়ি পথে পার্বত্য অঞ্চলের রাঙামাটি জেলার সাজেক ভ্যালী টা আমরা কজনই বা দেখেছি । হাতে দুই দিন সময় নিয়ে বেড়িয়ে পড়ুন এ সৌন্দর্য অবলোকন করার জন্য, যা আপনার সুন্দর একটি স্মৃতি হয়ে কল্পনায় গেঁথে থাকবে । সাজেক রাঙামাটি জেলার বাঘাইছড়ি উপজেলায় অবস্থিত । সাজেক হলো বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ইউনিয়ন । যার আয়তন ৭০২ বর্গমাইল । সাজেকের উত্তরে ভারতের ত্রিপুরা , দক্ষিনে রাঙামাটির লংগদু , পূর্বে ভারতের মিজোরাম , পশ্চিমে খাগড়াছড়ির দীঘিনালা । সাজেক রাঙামাটি জেলায় অবস্থিত হলেও এর যাতায়াত সুবিধা খাগড়াছড়ির দীঘিনালা থেকে । রাঙামাটি থেকে নৌপথে কাপ্তাই হয়ে এসে অনেক পথ হেঁটে সাজেক আসা যায় । খাগড়াছড়ি জেলা সদর থেকে এর দূরত্ব ৭০ কিলোমিটার । আর দীঘিনালা থেকে ৪৯ কিলোমিটার । বাঘাইহাট থেকে ৩৪ কিলোমিটার । খাগড়াছড়ি থেকে দীঘিনালা আর্মি ক্যাম্প হয়ে সাজেক যেতে হয় । পরে পরবে ১০ নং বাঘাইহাট পুলিশ ও আর্মি ক্যাম্প । যেখান থেকে আপনাকে সাজেক যাবার মূল অনুমতি নিতে হবে । তারপর কাসালং ব্রিজ, ২টি নদী মিলে কাসালং নদী হয়েছে । পরে টাইগার টিলা আর্মি পোস্ট ও মাসালং বাজার । বাজার পার হলে পরবে সাজেকের প্রথম গ্রাম রুইলুই পাড়া যার উচ্চতা ১৮০০ ফুট । এর প্রবীণ জনগোষ্ঠী লুসাই । এছাড়া পাংকুয়া ও ত্রিপুরারাও বাস করে । ১৮৮৫ সালে এই পাড়া প্রতিষ্ঠিত হয় । এর হেড ম্যান লাল থাংগা লুসাই । রুইলুই পাড়া থেকে অল্প সময়ে পৌঁছে যাবেন সাজেক । সাজেকের বিজিবি ক্যাম্প বাংলাদেশের সর্বোচ্চ বিজিবি ক্যাম্প । এখানে হেলিপ্যাড আছে । সাজেকের শেষ গ্রাম কংলক পাড়া । এটিও লুসাই জনগোষ্ঠী অধ্যুষিত পাড়া । এর হেড ম্যান চৌমিংথাই লুসাই । কংলক পাড়া থেকে ভারতের লুসাই পাহাড় দেখা যায় । যেখান থেকে কর্ণফুলী নদী উৎপন্ন হয়েছে ।সাজেক বিজিবি ক্যাম্প এর পর আর কোন ক্যাম্প না থাকায় নিরাপত্তা জনিত কারনে কংলক পাড়ায় মাঝে মাঝে যাওয়ার অনুমতি দেয় না । ফেরার সময় হাজাছড়া ঝর্ণা , দীঘিনালা ঝুলন্ত ব্রিজ ও দীঘিনালা বনবিহার দেখে আসতে পারেন । একদিনে এই সব গুলো দেখতে হলে যত তারাতারি সম্ভব বেড়িয়ে পড়বেন । খাগড়াছড়ির সিস্টেম রেস্তোরায় ঐতিহ্যবাহী খাবার খেতে ভুলবেন না ।খাগড়াছড়ি থেকে জীপগাড়ি (লোকাল নাম চাঁন্দের গাড়ি) রিজার্ভ নিয়ে একদিনে সাজেক ভ্যালী ঘুরে আসতে পারবেন । ভাড়া নিবে ৫০০০-৬০০০ টাকা । এক গাড়িতে ১৫ জন বসতে পারবেন । লোক কম হলে শহর থেকে সিএনজি নিয়েও যেতে পারবেন । ভাড়া ৩০০০ টাকার মতো নিবে । অথবা খাগড়াছড়ি শহর থেকে দীঘিনালা গিয়ে সাজেক যেতে পারবেন । বাসে দীঘিনালা জন প্রতি ৪৫ টাকা এবং মোটর সাইকেলে জন প্রতি ভাড়া ১০০ টাকা । দীঘিনালা থেকে ১০০০-১২০০ টাকায় মোটর সাইকেল রিজার্ভ নিয়েও সাজেক ঘুরে আসতে পারবেন । ফেরার সময় অবশ্যই সন্ধ্যার আগে আপনাকে বাঘাইহাট আর্মি ক্যাম্প পার হতে হবে । তা না হলে অনেক প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হবে । ক্যাম্পের ছবি তোলা নিষেধ এই বিষয়টি অবশ্যই মাথায় রাখবেন।

 

কমলক ঝর্নাঃ সাজেকে এর রুইলুই পাড়া থেকে দুই থেকে আড়াই ঘন্টার ট্রেকিং করে দেখে আসতে পারেন সুন্দর এই ঝর্নাটি, বুনো রাস্তা আর ৮০-৮৫ ডিগ্রি খাড়া পাহাড় বেয়ে নামতে আর উঠতে হবে অনেক খানি তারপর ঝিরিপথ পাবেন, ঝিরিপথ ধরে এগিয়ে আবার উঠতে হবে কিছুটা, এইভাবে আরো কিছুক্ষন ট্রেক করার পর পৌছে যাবেন ঝর্নার কাছে। ঝিরিপথ টিও অসম্ভব সুন্দর, এডভেঞ্চারটি ভালো লাগবে আশা করি। রাস্তাটি বর্ষার সময় খুব পিচ্ছিল থাকে তাই খেয়াল রাখবেন চলার সময়। গাইড রুইলুই পাড়া থেকে ঠিক করে নিবেন, ঝর্নার কথা বললেই হবে, ৩০০-৩৫০ টাকা নিবে।

 

 

 

সিস্টেম রেস্তোরাঃ খাগড়াছড়ি শহরের কাছেই পানখাই পাড়ায় এই ঐতিহ্যবাহী খাবারের রেস্তোরার অবস্থান । এখানে খাগড়াছড়ির ঐতিহ্যবাহী খাবার খেতে পারবেন । যোগাযোগঃ ০৩৭১-৬২৬৩৪ , ০১৫৫৬৭৭৩৪৯৩ , ০১৭৩২৯০৬৩২২ ।

 

 

কিভাবে যাবেনঃ ঢাকা থেকে শ্যামলী , এস আলম,ঈগল,ইকোনো,সৌদিয়া এবং শান্ত পরিবহনের বাসে খাগড়াছড়ি যেতে পারবেন । ভাড়া নিবে ৫২০ টাকা । শান্তি পরিবহনের বাস দীঘিনালা যায় । ভাড়া ৫৮০ টাকা । এছাড়া সেন্টমার্টিন্স পরিবহনের এসি বাস খাগড়াছড়ি যায় । যোগাযোগঃ সেন্টমার্টিন্স পরিবহন - আরামবাগঃ ০১৭৬২৬৯১৩৪১ , ০১৭৬২৬৯১৩৪০ । খাগড়াছড়িঃ ০১৭৬২৬৯১৩৫৮ ।শ্যামলী পরিবহন - আরামবাগঃ ০২-৭১৯৪২৯১ । কল্যাণপুরঃ ৯০০৩৩৩১ , ৮০৩৪২৭৫ । আসাদগেটঃ ৮১২৪৮৮১ , ৯১২৪৫৪ । দামপাড়া (চট্টগ্রাম)ঃ ০১৭১১৩৭১৪০৫ , ০১৭১১৩৭৭২৪৯ । শান্তি পরিবহন- ঢাকা থেকে খাগড়াছড়ির ভাড়া ৫২০ টাকা, দিঘিনালা ৫৮০ টাকা, পানছড়ি ৫৮০ টাকা, মেরুন ৬০০ টাকা, মাইনী ও মারিস্যা ৬৫০ টাকা। সায়দাবাদ থেকে সকাল ৮ টায় একটি গাড়ি খাগড়াছড়ির উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। রাত ১০ টা থেকে ১১.১৫ পর্যন্ত চারটি গাড়ি যায়। রাত ১০ টার গাড়ি পানছড়ি যায়। রাত ১০.৪৫ এর গাড়ি মাইনী। রাত ১১.১৫ গাড়ি মারিস্যা যায়। সব গুলো গাড়িই সায়দাবাদের সময়ের ১ ঘন্টা আগে গাবতলী থেকে ছেড়ে আসে। সায়দাবাদ (ঢাকা)- ০১১৯১২১৩৪৩৮।আরামবাগ ( ঢাকা ) – ০১১৯০৯৯৪০০৭ । অক্সিজেন(চট্টগ্রাম) ০১৮১৭৭১৫৫৫২ । চট্টগ্রাম থেকেও খাগড়াছড়ি যেতে পারবেন । BRTC এসি বাস কদমতলী(চট্টগ্রাম): ০১৬৮২৩৮৫১২৫ । খাগড়াছড়িঃ ০১৫৫৭৪০২৫০৭ ।

 

 

কোথায় থাকবেনঃ খাগড়াছড়িতে পর্যটন মোটেল সহ বিভিন্ন মানের থাকার হোটেল আছে । দীঘিনালায় কয়েকটি হোটেল থাকলেও দীঘিনালা গেস্ট হাউজের মান কিছুটা ভালো ।

 

 

খাগড়াছড়ি:

 

 

পর্যটন মোটেলঃ এটি শহরে ঢুকতেই চেঙ্গী নদী পার হলেই পরবে । মোটেলের সব কক্ষই ২ বিছানার । ভাড়াঃ এসি ২১০০ টাকা, নন এসি ১৩০০ টাকা । মোটেলের অভ্যন্তরে মাটিতে বাংলাদেশের মানচিত্র বানানো আছে । যোগাযোগঃ ০৩৭১-৬২০৮৪৮৫ ।

 

 

গিরি থেবার : এটি খাগড়াছড়ি শহরের কাছে খাগড়াছড়ি ক্যন্টনমেন্টের ভিতরে অবস্থিত। এখানে সিভিল ব্যক্তিরাও থাকতে পারে। সব রুমই শীতাতাপ নিয়ন্ত্রিত। যার মধ্যে ২ টি ভি আই পি রুম, প্রতিটির ভাড়া ৩০৫০ টাকা। ডাবল রুম ভাড়া ২০৫০ টাকা। একটি সিংগেল রুম যার ভাড়া ১২০০ টাকা। যোগাযোগ : কর্পোরেল রায়হান- ০১৮৫৯০২৫৬৯৪।

 

 

হোটেল ইকো ছড়ি ইনঃ খাগড়াপুর ক্যান্টর্মেন্ট এর পাশে পাহাড়ী পরিবেশে অবস্থিত । এটি রিসোর্ট টাইপের হোটেল । যোগাযোগঃ ০৩৭১-৬২৬২৫ , ৩৭৪৩২২৫ ।

 

 

হোটেল শৈল সুবর্নঃ ০৩৭১-৬১৪৩৬ , ০১১৯০৭৭৬৮১২ ।

 

হোটেল জেরিনঃ ০৩৭১-৬১০৭১ ।

 

হোটেল লবিয়তঃ ০৩৭১-৬১২২০ , ০১৫৫৬৫৭৫৭৪৬ , ০১১৯৯২৪৪৭৩০ ।

 

হোটেল শিল্পীঃ ০৩৭১-৬১৭৯৫ ।

 

 

রুইলুই পাড়া / সাজেক :

 

 

সাজেক রিসোর্ট : এটি বাংলাদেশ সেনাবাহিনী পরিচালিত রিসোর্ট। যা সাজেকে অবস্থিত। যার দ্বিতীয় তলায় চারটি কক্ষ আছে। ভি আই পি কক্ষ ১৫,০০০ টাকা। অন্যটি ১২,০০০ টাকা। অপর দুইটি ১০,০০০ টাকা করে প্রতিটি। খাবারের ব্যবস্থা আছে। যোগাযোগ : খাগড়াছড়ি সেনানিবাসের গিরি থেবার মাধ্যমে বুকিং দিতে হবে। যার নম্বর : ০১৮৫৯০২৫৬৯৪। আরেকটি নম্বর : ০১৮৪৭০৭০৩৯৫।

 

 

রুন্ময় : এটি সাজেকে অবস্থিত। এর নীচ তলায় তিনটি কক্ষ আছে। প্রতিটির ভাড়া ৪৪৫০ টাকা। প্রতিটি কক্ষে ২ জন থাকতে পারবেন। ৬০০ টাকা দিয়ে অতিরিক্ত বেড নিতে পারবেন। উপরের তলায় দুইটি কক্ষ আছে ভাড়া ৪৯৫০ টাকা। প্রতিটি কক্ষে দুই জন থাকতে পারবেন। এটাতেও ৬০০ টাকা দিয়ে অতিরিক্ত বেড নিতে পারবেন। চারটি তাবু আছে প্রতি তাবুতে ২৮৫০ টাকা দিয়ে চার জন থাকতে পারবেন। যোগাযোগ : ০১৮৬২০১১৮৫২।

 

আলো রিসোর্ট : এটি সাজেকের একটু আগে রুইলুই পাড়াতে অবস্থিত। এটিতে মোট ৬ টি রুম আছে। ডাবল রুম ৪ টি ( ২টি খাট করে) । যার প্রতিটির ভাড়া ১০০০ টাকা। সিংগেল রুম ২ টি । প্রতিটির ভাড়া ৭০০ টাকা । যোগাযোগ : পলাশ চাকমা - ০১৮৬৩৬০৬৯০৬।

 

 

 

ইমানুয়েল রিসোর্ট : এটিতে ৮ টি রুম আছে। সব গুলো কমন বাথ। রুম প্রতি ভাড়া ১৫০০ টাকা ও ৭০০ টাকা। ১৫০০ টাকার রুমে দুইটি ডাবল বেড আছে। ৬ জন থাকতে পারবেন। ৭০০ টাকার রুমে ২ টি বেড আছে। যোগাযোগ: ০১৮৬৫৩৪৯১৩০, ০১৮৬৯৪৯০৮৬৮( বিকাশ)

 

 

 

সারা রিসোর্ট: এটি রুইলুই পাড়ায় অবস্থিত। এর মালিক রুইলুই পাড়ার কারবারী মনা দাদা। এখাণে ৪ টি রুম আছে। তিনটি এটাচ বাথ। একটি কমন বাথ। প্রতি রুমের ভাড়া ১০০০ টাকা। ৪ টি নিলে ৩৬০০ টাকা। প্রতি রুমে একটি খাট আছে। ২ জন থাকা যাবে। রুম গুলো একটু ছোট। টিনের তৈরী। সোলার আছে। যোগাযোগ: ০১৫৫৪৫৩৪৫০৭।

 

 

 

 

রুইলুই পাড়া ক্লাব হাউজ : এটি সাজেকের একটু আগে রুইলুই পাড়াতে অবস্থিত। এখানে ১৫ জনের মত থাকতে পারবেন। ভাড়া জনপ্রতি ১৫০ টাকা করে দিতে হবে। নিজেরা রান্না করে খেতে পারবেন। এর কেয়ার টেকার মইয়া লুসাই দাদা সব ব্যবস্থা করে দিবে। লক্ষন নামেও একজন আছে, প্রয়োজনে আপনাদের সহযোগীতা করবে। এখানে দুইটি টয়লেট আছে। একটি ফ্রি ব্যবহার করতে পারবেন। অন্যটির জন্য ২০০ টাকা প্রদান করতে হবে। যোগাযোগ : মইয়া লুসাই - ০১৮৩৮৪৯৭৬১২, ০১৮৭২৪৬৮৯৪২। লক্ষন - ০১৮৬০১০৩৪০২।

 

 

দিঘীনালা:

 

 

দিঘীনালা গেস্টহাউজঃ এটি দীঘিনালা শহরের বাস স্ট্যান্ডের উল্টো পাশে অবস্থিত । এটি দিঘীনালার আবাসিক হোটেল গুলোর মধ্যে একটু মানসম্মত । এখানে ৩০০ থেকে ৫০০ টাকার মধ্যে রুম নিয়ে থাকা যাবে । ট্রাভেলার হিসেবে এই গেস্ট হাউজে প্রথম আমি ও আমার "বাংলার ট্রেকার" গ্রুপ থাকি এবং অনেককে পাঠানোর কারনে আমার রেফারেন্স দিলে কিছুটা সুবিধা পাবেন । যোগাযোগ- ০৩৭১- ৮১০৫৫ ।

 

 

শাহজাহান হোটেলঃ হোটেলটি দিঘীনালা বাজারেই । ০১৮২৫৯৮০৮৬৭ (ম্যানেজার ) ০১৭৩২৫৭৩৬১৫ (মালিক )

 

 

দীঘিনালার চাঁদের গাড়ির ড্রাইভার রাজ - ০১৮২০৭৪১৬৬২, ০১৮৪৯৮৭৮৬৪৯ । শিবু- ০১৮২০৭৪৬৭৪৪ । সাজেক যেতে গাইডের তেমন দরকার নেই । তবুও প্রয়োজনে যোগাযোগ করতে পারেন । আজম(গাইড , দীঘিনালা) - ০১৫৫৭৩৪৬৪৪২, ০১৭৩৭৪৪২২৭২ ।

329
Travel / Visit / Tour / চান্দামারী মসজিদ
« on: March 09, 2016, 11:05:37 PM »
নামঃ চান্দামারী মসজিদ
অবস্থানঃ কুড়িগ্রাম
তিন গমবুজ ও তিন মিহরাব বিশিষ্ট দৃষ্টিনন্দন মোগল আমলের এই মসজিদটির নির্মাণকাল আনুমানিক ১৫৮৪-১৬৮০ খ্রিটাব্দের মধ্যবর্তী সময়ে। সুলতানী আমলের শিল্প বৈশিষ্ট্য ও মোগল সহাপত্যকলার সমন্বয় ঘটেছে।
যেভাবে যাবেনঃ ঢাকা থেকে কুড়িগ্রাম
কুড়িগ্রাম থেকে রাজারহাট
ঐ খানে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ের কাছে গিয়ে জিজ্ঞাসা করলে যেকেউ দেখিয়ে দিবে মসজিদটি

330
ভারতের মেঘালয় রাজ্যের চেরাপুঞ্জিতে। এটুকু পর্যন্ত মোটামুটি সবার জানা। তবে অনেকেই জানেন না এই চেরাপুঞ্জি বাংলাদেশ থেকে কতদূর। ম্যাপ বের করে হিসাব-নিকাশ করে দেখবেন বাংলাদেশ সীমান্ত থেকে চেরাপুঞ্জি সোজাসুজি কুড়ি কিলোমিটারেরও কম। বাড়ির পাশেই বিশ্বের বৃষ্টিবহুল এই এলাকা, সেখানে আষাঢ় কিংবা শ্রাবণের বৃষ্টি উপভোগ এক অসাধারণ অভিজ্ঞতা।
তাই বৃষ্টির মৌসুমে ঘুরে আসুন চেরাপুঞ্জি। সঙ্গে রাখবেন মেঘালয়ের রাজধানী ভারতের অন্যতম পর্যটন শহর শিলং। কেউ কেউ বলেন, দার্জিলিং যদি হয় রূপের রানী তা হলে শিলং হচ্ছে রাজা।

ম্যাপ দেখে দূরত্ব কুড়ি কিলোমিটারের কম হলেও সীমান্তের যেখানে ইমিগ্রেশন অফিস আছে, সেই তামাবিল থেকে চেরাপুঞ্জি যেতে আপনাকে ঘুরতে হবে প্রায় ৬০ কিলোমিটার পাহাড়ি পথ।
আর এটুকু পথ পেরুতে সময় লাগবে অন্তত দুই ঘণ্টা। শিলংয়ের দূরত্ব এর চেয়ে সামান্য বেশি, সময়ও কিঞ্চিত্ বেশি লাগতে পারে। তবে সীমান্ত পার হয়ে যখন পাহাড়চূড়ার আঁকাবাঁকা পথে চলতে থাকবেন তখন মনে হবে এই দূরত্ব আরও বেশি হলেই বোধহয় ভালো ছিল। চলার পথে আপনাকে সঙ্গ দেবে চারপাশের অসাধারণ সুন্দর সব পাহাড়। কখনও আপনাকে চারপাশ থেকে ঢেকে দেবে মেঘ। প্রকৃতির মধ্যে নিজেকে মনে হবে বিশ্বভ্রমণে বেরিয়ে পড়া যাযাবর। কখনওবা পাহাড়ের ঢালে সরু রাস্তার আরেক পাশেই গভীর খাদ। এ এক ‘ভয়ঙ্কর সুন্দর’ দৃশ্য।

মেঘালয় ইংরেজী (Meghalaya) উত্তর-পূর্ব ভারতের একটি রাজ্য। এই রাজ্যের উত্তর ও পূর্ব দিকে অসম (আসাম) রাজ্য এবং দক্ষিণ ও পশ্চিম দিকে বাংলাদেশ রাষ্ট্র অবস্থিত। মেঘালয়ের রাজধানী শিলং।

মেঘালয় হচ্ছে মেঘেদের বাড়ি। কবিদের অনুপ্রেরনার ও চিত্রকরদের ক্যানভাস। বেড়ানোর জন্য অত্যন্ত আকর্ষণীয় জায়গা। ২১ জানুয়ারী ১৯৭২ সালে রাজ্য হিসাবে ঘোষনা হয়। মেঘালয় ছবির মত সুন্দর একটি রাজ্য। ক্যালচার ও ঐতিহ্যে সমৃদ্ধ, মেঘের সমাবেশ, জীবনের কিছু রঙ্গিন মুহুত্ব কাটানোর জন্য উপযুক্ত জায়গা। মেঘালয় সেভেন সিস্টার খ্যাত উত্তর পূর্ব অঞ্চলে অত্যতম একটি সুন্দর রাজ্য। মেঘালয় পাঁচটি প্রশাসনিক জেলায় ভাগ হয়েছে- জয়িন্তা পাহাড়, পূর্ব এবং পশ্চিম গারো পাহাড়, পূর্ব এবং পশ্চিম খাসি পাহাড়।

শিলং ইংরেজী (Shillong), উত্তর-পূর্ব ভারতের মেঘালয় রাজ্যেও পূর্ব খাসি পাহাড় জেলার একটি শহর ও পৌরসভা এলাকা। এটি মেঘালয় রাজ্যের রাজধানী। শিলং বাংলাদেশ -ভারত সীমান্ত থেকে প্রায় ৬৫ কিলোমিটার উত্তরে এবং ভূটান-ভারত সীমান্তের প্রায় ১০০ কিমি দক্ষিণে অবস্থিত। এটি খাসি পাহাড়ে প্রায় ১৫০০ মিটার উচ্চতায় অবস্থিত। এখানে প্রচুর বৃষ্টিপাত হয়।

এখানে রয়েছে পাইন অরণ্য, জলপ্রপাত এবং পার্বত্য জলধারার সমারোহ। এক সময় এটি ”প্রাচ্যেও স্কটল্যান্ড’’ নামে পরিচিত ছিল। ১৮৯৭ সালে এক ভূমিকম্পে শহরটি ধবংস হয়ে যায় এবং এরপর এটিকে পুনরায় গড়ে তোলা হয়।

ভারতের স্বাধীনতার আগে ব্রিটিশ পরিবারদের জন্য এটি একটি জনপ্রিয় পাহাড়ি রিজর্ট ছিল। এখানে এখনও প্রচুর ব্রিটিশ ধাঁচে নির্মিত কান্ট্রিহাউজ দেখতে পাওয়া যায়। শিলং-এ আশে পাশের এলাকায় উৎপাদিত কমলা, তুলা, আলু ইত্যাদি কেনাবেচা হয়।

এখানে মাইকা, জিপসাম এবং কয়লার মজুদ থাকার সম্ভাবনা আছে, তবে এগুলি এখনও তেমন করে উত্তোলিত হয়নি। এখানে তেমন কোন বড় শিল্পকারখানা নেই। বনাঞ্চল উজাড়ের প্রবণতা বাড়ছে।

ভারতের ২০০১ সালের আদম শুমারি অনুসারে শিলং শহরের জনসংখ্যা হল ১৩২,৮৭৬জন। এর মধ্যে পুরুষ ৫০%, এবং নারী ৫০%। এখানে সাক্ষরতার হার ৮০%।
পুরুষদের মধ্যে সাক্ষরতার হার ৮৩%, এবং নারীদের মধ্যে এই হার ৭৮%।
সারা ভারতের সাক্ষরতার হার ৫৯.৫%, তার চাইতে শিলং এর সাক্ষরতার হার বেশি। এই শহরের জনসংখ্যার ১১% হল ৬ বছর বা তার কম বয়সী।

কীভাবে যাবেন
ঢাকা থেকে সিলেট, সেখান থেকে বাসে কিংবা সিএনজি স্কুটারে তামাবিল। ভারতের পাহাড়গুলোর ঠিক পাদদেশে বাংলাদেশের এই প্রান্তে সমতলভূমিতে ইমিগ্রেশন-কাস্টম অফিস।
সীমান্ত পার হলেই জায়গাটার নাম ডাউকি। ইমিগ্রেশন-কাস্টমের আনুষ্ঠানিকতা সেরে ভাড়া করতে হবে ট্যাক্সি। শুরুতে শিলং যাওয়াই ভালো। শিলং শহর আর তার আশপাশের জায়গাগুলো ঘুরে বেড়িয়ে তারপর সেখান থেকেই এক দিনের জন্য চেরাপুঞ্জি ঘুরে আসা যাবে।
আর যারা শুধু চেরাপুঞ্জি যেতে চান, তারা ডাউকি থেকেই ট্যাক্সি ভাড়া করবেন চেরাপুঞ্জিতে। তবে সেখানে থাকার মতো বেশি হোটেল এখনও গড়ে ওঠেনি, ফলে আগে থেকে হোটেল বুকিং না থাকলে বিপাকে পড়ে শিলং চলে যেতে হতে পারে। শিলঙে ভালো মানের হোটেলের ভাড়া ১৫০০-২০০০ রুপি/দিন।

শিলং শহর থেকে বেশ খানিকটা দূরে বাংলাদেশ সীমান্তের কাছাকাছি থাকার জন্য চমত্কার একটি ব্যবস্থা আছে; নাম চেরাপুঞ্জি হলিডে রিসোর্ট। এটিও আগে থেকে বুকিং দিয়ে যেতে হবে।
পাহাড়ের নির্জনে এই রিসোর্টের আশপাশেও রয়েছে ভ্রমণের অনেকগুলো জায়গা। শিলংয়ে হোটেলে বসেই আশপাশের দর্শনীয় স্থানগুলোয় বেড়ানোর জন্য হরেকরকম প্যাকেজ পাবেন। এ ছাড়া চেরাপুঞ্জি বেড়ানোর প্যাকেজও পাবেন এখান থেকেই।

পরিবহন
ভাড়া করা ট্যাক্সিই শিলং ও চেরাপুঞ্জিতে বেড়ানোর সবচেয়ে ভালো বাহন। তবে বড় দল হলে শিলং থেকে বাস ভাড়া করেও চেরাপুঞ্জি বেড়িয়ে আসা যায়। যারা অহরহ কলকাতা বা পশ্চিমবঙ্গের অন্যান্য এলাকায় বেড়াতে যান তাদের জন্য বলে রাখি, শিলং বা চেরাপুঞ্জিতে থাকা, খাওয়া এবং গাড়িতে ঘুরে বেড়ানোর খরচটা পশ্চিমবঙ্গের চেয়ে কিছুটা বেশি। তামাবিল সীমান্তে ট্রাভেল ট্যাক্স দেওয়ার মতো ব্যাংক নেই, এ জন্য বেশ খানিকটা দূরে যেতে হতে পারে। তাই ঢাকা থেকেই ট্রাভেল ট্যাক্স পরিশোধ করে যাওয়া ভালো।

এ ছাড়া সীমান্ত পার হওয়ার পর বেনাপোল কিংবা চেংড়াবান্ধার মতো মুদ্রা বিনিময়ের সুযোগও খুব সীমিত। এমনকি শিলংয়ের মতো শহরেও ডলার ভাঙানো সহজ নয়, টাকা ভাঙানো প্রায় অসম্ভব। তাই প্রাথমিক ঘোরাফেরার জন্য যতদূর সম্ভব সীমান্ত এলাকাতেই বেশ কিছু ডলার ভাঙিয়ে নিন। এরপর শিলংয়ে স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়াতে ডলার ভাঙাতে হবে।

আবহাওয়া
শিলংয়ে সারাবছর মনোরম আবহাওয়া মেলে। তবে মার্চ ও জুন মাস বেড়াতে যাওয়ার আদর্শ মরসুম। গ্রীেষ্ম হাল্কা উলের পোশাক ও শীতে ভারি গরমজামার ব্যবস্থা রাখতে হবে। বৃষ্টিপাত এ অঞ্চলে যখন-তখনই হতে পারে। তাই, ছাতা আর বর্ষাতির বেন্দাবস্তও রাখা চাই।

মেলা-পার্বণ
এই অঞ্চলে বিভিন্ন উপজাতির বাস, তাই উৎসবেরও আধিক্য। খৃস্টান ধর্মাবলম্বীরা মহা সমারোহে পালন করেন বড়দিন, গুড ফ্রাইডে, ইস্টার, ইত্যাদি। ইংরেজি নব বর্ষেও আনন্দমুখর হয়ে ওঠেন পাহাড়িরা। খাসি উপজাতির মানুষ পালন করেন শাদ সুকমিনসিয়েম পরব। কা পমব্ল্যাং নংক্রেম অথবা নংক্রেম নৃত্যও অতি প্রসিদ্ধ খাসি উৎসব। জয়ন্তীয়া উপজাতীয়দের পার্বণ বেহদিয়েংখ্‌লাম পালিত হয় প্রতি বছর জুলাই মাসে। গারোরা পালন করেন ওয়াংগালা উৎসব যা আদতে সূর্যের উপাসনা।

টুকিটাকি
শিলংয়ে খাবার জায়গা দেদার। রকমফেরও অঢেল। বার্গার, পিৎজা, মিল্কশেক, স্যাণ্ডউইচের দোকান রাস্তার মোড়ে হামেশাই পাওয়া যায়। চীনে খাবার ও তিব্বতি মোমো-থুকপাও পাওয়া যায় বেশ কিছু রেস্তরায়। স্থানীয় খাবারের দোকান তেমন না থাকায় খোজ নিতে পারেন ট্যুরিস্ট লজের ক্যান্টিনে। মনে রাখা দরকার, ভারতের এই অংশে সাধারণত আমিষ খাদ্যের প্রচলন আছে। নিরামিষ খাবারের সন্ধান পাওয়া যাবে মারওয়াড়ি ভোজনালয়ে ও শিলংয়ের কিছু বাঙালি রেস্তরায়।

বেড়ানো শেষে কেনাকাটা করতে হলে শিলংয়ের পুলিশ বাজারের দোকানগুলোয় যাওয়া যায়। এখানে দরদাম করাটাই দস্তুর। এ ছাড়া শহরে আছে বেশ কিছু অত্যাধুনিক শপিং মল। স্থানীয় উপজাতির মানুষের হাতে তৈরি জিনিসপত্রের সম্ভার পাওয়া যায় এখানে।

নানা সরকারি ও বেসরকারি ব্যাঙ্কের শাখা আছে শিলংয়ে। শিলং ক্লাবের কাছে কাছারি রোড-এর ভারতীয় েস্টট ব্যাঙ্কে পাওয়া যাবে বিদেশি মুদ্রা সংক্রান্ত তথ্য। অনেক দোকান ও হোটেলেই ক্রেডিট কার্ডে পেনেন্ট করার সুবিধে পাওয়া যায়। শিলং শহরে পুলিশের সদর দফতরের ফোন নং: ৯১ ৩৬৪ ২২২৪৪০০/ ১০০।
আরও তথ্য পেতে হলে যোগাযোগ করতে হবে ‘মেঘালয় পর্যটন দফতরে, ফোন নং: ৯১ ৩৬৪ ২২৬২২০।
তথ্য পাওয়া যাবে ভারতীয় পর্যটন দফতরেও, ফোন নং: ৯১ ৩৬৪ ২২৫৬৩২।

চেরাপুঞ্জির টুকিটাকি

চেরাপুঞ্জি অঞ্চলে গ্রীেষ্ম তাপমাত্রা ১৫ থেকে ২৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং শীতকালে ৩.৯ থেকে ১৫.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস থাকে। উত্তর পূর্ব ভারতের এই প্রান্তে বৃষ্টিপাতের হার বেশি। বর্ষাকাল ছাড়াও বৃষ্টি হতে পারে যে কোনও সময়।
বেড়ানোর ভাল সময় ২টো- নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি মাস ট্রেকিং, প্রকৃতি বীক্ষণ, ইত্যাদির জন্য আদর্শ। বৃষ্টির পূর্ণ রূপ দেখতে চাইলে মে থেকে অক্টোবর মাসে আসা উচিত।

চেরাপুঞ্জি মানেই বৃষ্টি। ঘরের জানলা দিয়ে অবিশ্রান্ত ধারা দেখতে ভাল লাগলেও বাইরে বের হলে দরকার পড়তে পারে ছাতা, বর্ষাতি ও রবারের জুতো। রওনা হওয়ার আগে সঙ্গে নিতে ভুলবেন না।
সর্দি, কাশি, জ্বর, মাথাব্যাথা ও সাধারণ পেটের অসুখের ওষুধ সঙ্গে রাখা উচিত হবে। পানীয় জল পরিশ্রুত করতে জিওলিন জাতীয় পিউরিফায়ার হাতের কাছে রাখুন।

মেঘালয়ে সাধারণ মানুষের কথ্য ভাষা খাসিয়া। পরদেশিদের সঙ্গে অবশ্য হিন্দি-ইংরেজি মেশানো এক মিশ্র ভাষায় এরা কথা বলেন।

Pages: 1 ... 20 21 [22] 23