Show Posts

This section allows you to view all posts made by this member. Note that you can only see posts made in areas you currently have access to.


Messages - Shakil Ahmad

Pages: 1 ... 21 22 [23]
331
 মাত্র ৩৬৭২ টাকায় ৫ রাত ৪ দিনের এক ট্যূরে ঘুরে আসুন আমিয়া খুম,নাফা খুম, সাতভাই খুম ও রাইক্ষ্যং মুখ থেকে।

বুধবার রাতে ঢাকা থেকে ডলফিন বাসে রওয়ানা, বৃহস্পতিবার বান্দরবান নেমে ৬ য় জন মুরগি দিয়ে সকালের নাস্তা। ১০ টার লোকাল বাসে যাত্রা, ভাড়া:-২০০ টাকা। বাসে ২ বার ও বিকেলে ১ বার হালকা নাস্তা করার দরুন দুপুরবেলা ভাত খাইনি, বিকেল ৪ টায় ডিম পাথর দেখতে বের হয়ে সন্ধায় ফিরে গরুর গোশত দিয়ে ভাত খেয়ে, মায়া রেষ্ট হাউজে(হোটেলে) রাত্রি যাপন। ১ রুম ২ বেডে ৬ য় জন ছিলাম, ভাড়া:-৬৫০ টাকা, হোটেলটি এক কথায় চমৎকার।
রাতেই এলাকার এক লোকাল গাইড ঠিক করলাম দৈনিক ৫০০ টাকায় , ৩ দিনে ১৫ শত টাকা।
পরদিন শুক্রবার সকালে বিজিবির কাছে নাম না লিখিয়েই থুইসা পাড়ার উদ্দেশ্যে অভিযান শুরু।
ট্রেইলটা এরুপ ছিল:- বাংগালি পাড়া >সাদাক পাড়া>তংক্ষ্যং পাড়া > চোরং পাড়া > হেডম্যাম পাড়া> হরিচন্দ্র পাড়া>থুইসা পাড়া।
দুপুরবেলা হরিচন্দ্র পাড়ায় মুরগি না পাওয়ায় শুধু আলু দিয়ে খাওয়া।
তেল আলু মসলা আমাদের, তবুও খরচ ৪০০ টাকা!
চ্যাগায়া চ্যাগায়া হাইটা হাইটা ৬ টার মধ্যেই থুইসা পাড়ায় গমন।
রাতে ৩৫০ টাকা দরে অারাই কেজি মুরগি কিনে রাতে ও সকালে তা দিয়ে ভোজন। শনিবার সকাল ৮ টায় থুইসা পাড়া থেকে ওদের এলাকার একজন কে ৫০০ টাকা দিয়ে নিতে বাধ্য হলাম। কি আর করার, নিয়ম বলে কথা।
৯ টা ৫০ মিনিটে আমিয়া খুমকে চাক্ষুস দেখার সৈাভাগ্য। ওখানে ভেলা পাওয়া যায় প্রতি দলের জন্য ২০০ টাকায়। একসাথে অনায়েসে ৪ জন বসা যায়। বিকেল ৩ টায় থুইসা পাড়া থেকে ডিম ভাজি ও আলু ভরতা দিয়ে ভাত খেয়ে রাইডংক্ষ্যং পাড়ার উদ্দেশ্য যাত্রা।
৬ টা নাগাদ পৈাছে গেলাম চ্যাগায়া চ্যাগায়া হাটতে হাটতে।
রাতে এখানে মুরগি দিয়ে খেলাম ও থাকলাম। মুরগির কেজি ৩০০ টাকা।
রোববার সকালে নাফাখুমের উদ্দেশ্যে যাত্রা। রাইডংক্ষ্যং পাড়া থেকে ১৫ মিমিট লাগলো নাফাখুম পৈাছতে।
নাফাখুম থেকে রেমাক্রি পৈাছাতে লাগলো দের ঘনটা। রিজার্ভ বোডে থানচি। ভাড়া ':-৩০০০ টাকা। লোকাল নৈাকা পেলাম না। লোকাল নৈাকায় ভাড়া ৩০০ টাকা। রেমাক্রি থেকে থানচি ফেরার পথে মুরগির গোশত দিয়ে ভাত খেলাম দুপুর ১২ টায়, মাঝে নাস্তা খেয়েছিলাম।
থানচি ফিরে লোকাল বাসে বান্দরবান। তার পর ঢাকা।

থুইসা পাড়ায় প্রতি রাতে থাকার জন্য ১৫০ টাকা রাখে, সো দামাদামি করে রাখবেন।

এই ট্যূরটা সাক্সেস হয়েছে হাদি মুন ও হারন ভাই এর কারনে, হারুন যিনি থানচির গাইড। সো আপনারা হারুন কে নিয়ে যান, ও আসলেই ওনেক ভালো মনের মানুষ।

থানচির গাইডগুলো জল্লাদ ও ভয়ংকর অভদ্র, ওরা ভয় দেখালেও ভয় পাবেন না। এনট্রি না করেও আমরা ঘুরে এলাম সো আপনারাও পারবেন।


332
ঢাকা থেকে লঞ্চে হাতিয়া। হাতিয়া থেকে ট্রলারে নিঝুম দ্বীপ। অথবা বাসে করে নোয়াখালীর চেয়ারম্যান ঘাট। সেখান থেকে ট্রলারে হাতিয়া হয়ে নিঝুম দ্বীপ।

333
ফুকেট এবং ফি ফি আইল্যান্ড

ফুকেট কিভাবে যাবেনঃ

ব্যাংকক থেকে ফুকেট যেতে দুটি উপায় আছে, বাস এবং বিমান। বাসে যেতে প্রায় ১৩-১৪ ঘণ্টা লাগে। বাস ভাড়া ৬০০-৯০০ বাথ, মানে বাংলা টাকায় প্রায় ১৫০০-২২০০ টাকা। তার মানে যাওয়া আসা মিলে প্রায় ৩০০০-৪০০০ টাকা!! আর বিমানে গেলে ১ ঘণ্টা ১০ মিনিট। মাস খানেক আগে প্ল্যান করলে এয়ার এশিয়াতে রিটার্ন টিকেট পাবেন ৪০০০ টাকায়! আমরা ১৫ দিন আগে টিকেট করেছিলাম রিটার্ন ৭০০০ টাকা তাও বড়দিনের বন্ধের সময়টাতে। তুলনামূলক ভাবে বিচার করলে বিমানে যাওয়া উচিৎ।

ফুকেটে কোথায় থাকবেনঃ

ফুকেটে থাকার জন্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় জায়গা হল পাতং বিচ এরিয়া। ফুকেট এয়ারপোর্টে নেমে পাতং বিচ এরিয়ার জন্যে মাইক্রোবাস/কার ভাড়া করবেন। ১০জনের মাইক্রোবাস ভাড়া নিবে ১৪০০ বাথ। এয়ারপোর্ট থেকে পাতং আসতে প্রায় ৪০ মিনিট সময় লাগে। পাতং এরিয়াতে অনেক হোটেল আছে। আমাদের কক্সবাজারের মত। বুকিং.কম থেকে চাইলে আগেই রুম বুক করতে পারেন। পাতং স্টুডিউ এপার্টমেন্ট এ ছিলাম আমরা। খুবই ভালো থাকার ব্যবস্থা। একটা বেডরুম আর একটা লিভিং রুমের ফ্ল্যাটে ৬-৮ জন থাকা যায়। ভাড়া মাত্র ১৫০০ বাথ!!

ফি ফি আইল্যান্ডে কিভাবে যাবেনঃ

ফুকেট এয়ারপোর্ট থেকে পাতং আসার পথে আপনার মাইক্রোবাস/কার ড্রাইভার অবশ্যই মাঝ পথে কিছু ট্রাভেল এজেন্সির অফিসের সামনে দাঁড়াবে। এটা ওদের বিজনেস। ট্রাভেল এজেন্সি গুলো বিভিন্ন রকম প্যাকেজ দেয় ফি ফি, ক্রাবি, জেমস বন্ড আইল্যান্ডের জন্যে। তবে দরদাম করতে হয় অনেক। আমরা ১১ জন ফি ফি আইল্যান্ডের প্যাকেজ নিয়েছিলাম ১০,০০০ বাথ দিয়ে। এর মধ্যে হোটেল থেকে গাড়িতে করে পোর্ট এ নিয়ে যাওয়া, শিপে করে ফি ফি আইল্যান্ডে যাওয়া, ফি ফি তে দুপুরের খাবার, ১ ঘণ্টা স্নোরকেলিং করা, পরদিন শিপে করে ফুকেট ফিরে আসা ও পোর্ট থেকে এয়ারপোর্ট ড্রপ করা অন্তর্ভুক্ত ছিল। ১৫০০০ বাথ চেয়েছিল, সেখান থেকে দরদাম করে ১০০০০ এ আনা হয়েছিল।

মনে রাখবেন ট্রাভেল এজেন্সি গুলো আপনাকে চাপাচাপি করবে ওদের ডে প্যাকেজ গুলো নেয়ার জন্যে। এতে ওদের খরচ কম পরে। আমরা আগে থেকেই নিয়ত করে গিয়েছিলাম রাতে ফি ফি তে থাকবো তাই ওইভাবে দরদাম করেছিলাম।

ফি ফি আইল্যান্ডে কোথায় থাকবেনঃ

আগেই বলেছি ট্রাভেল এজেন্সি গুলো আপনাকে চাপাচাপি করবে ওদের ডে প্যাকেজ গুলো নেয়ার জন্যে। তাই দেখা যায় অনেকেই দিনে গিয়ে দিনে চলে আসে। ফি ফি তে থাকার অনেক হোটেল আছে এবং মোটামুটি খালিই থাকে। আগে থেকে ঠিক না করে গেলেও সমস্যা নাই। আমদেরও আগে থেকে ঠিক করা ছিলনা। ওইখানে গিয়ে ঠিক করেছিলাম। ৩ জন থাকা যায় এইরকম রুমের ভাড়া ছিল ১০০০ বাথ। ছোট দ্বীপ, হোটেল টাও ছিল বিচের একদম কাছে।

হাতে সময় থাকলে অবশ্যই ফি ফি তে থাকা উচিৎ। ফি ফি থেকে আপনি চাইলে ক্রাবি, কো সামুই, কো তাও ঘুরে আসতে পারেন। আর কাছাকাছি আছে মায়া বে, মাংকি আইল্যান্ড ইত্যাদি। রাতে বিচের পাড়ে বার গুলোতে ড্যান্স পার্টি হয়, সবার জন্যে ওপেন, মজা পাবেন বন্ধুরা সহ গেলে।

বিশেষ সতর্কতাঃ

১। এয়ার এশিয়ার বিমান গুলো যেহেতু বাজেট এয়ার তাই কেবিন ব্যাগেজ ছাড়া চেক ইন ব্যাগ নিতে হলে অতিরিক্ত চার্জ দিতে হয়।
২। এয়ার এশিয়ার বিমানে ফ্রি তে পানিও দিবেনা!! যা খাবেন কিনে খেতে হবে!

তবে খুশির খবর এটাই টয়লেটে যেতে টাকা দিতে হবেনা!
এয়ার হোস্টেসকে জিজ্ঞেশ করসিলাম

৩। পাতং বা ফি ফি তে গিয়ে ক্যামেরা সাবধান ভাই!! কি তুলতে গিয়ে কি তুলে ফেলেন ঠিক নাই, পরে নিজেই লজ্জা পেয়ে যাবেন
আর নতুন বিবাহিত ভাইরাতো একদম সাবধান!!


কিছুটা টাকা খরচ হলেও থাইল্যান্ড গেলে ফুকেট এবং ফি ফি তে ঘুরে আসুন। অনেক ভালো লাগার মতো জায়গা।

334
Travel / Visit / Tour / হিমালয়
« on: March 09, 2016, 10:38:06 PM »
হিমালয় হল একটা গোটা পর্বতশ্রেণীর নাম যা পৃথিবীর সর্বোচ্চ ১০ টা পর্বতশৃঙ্গের ৯ টাকেই ধারণ করে রেখেছে। এই হিমালয় পূর্ব-পশ্চিমে প্রায় ২৪০০ কি.মি লম্বা আর প্রস্থে প্রায় ১৫০-৪০০ কি.মি। গোটা পাঁচটা দেশে এই হিমালয় বিস্তৃত; ভারত, নেপাল, ভুটান, পাকিস্তান, চীন (তিব্বত) ।এর সর্বোচ্চ চূড়া ত সবারই জানা ; মাউন্ট এভারেস্ট (৮৮৪৮ মিটার বা ২৯০২৮ ফুট)।হিমালয়ের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ চূড়া হল কাঞ্চনজংঘা (৮৫৮৬ মিটার বা ২৮১৬৯ ফুট) যা কিনা পৃথিবীর তৃতীয় সর্বোচ্চ চূড়া (পৃথিবীর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ চূড়া হল কারাকোরাম রেঞ্জের গডউইন অস্টিন বা K2)। হিমালয় উত্তর পশ্চিমে কারাকোরাম আর হিন্দুকুশ রেঞ্জের সাথে মিশেছে এবং পূর্বে তিব্বতিয়ান ঢালে মিশেছে। এর সবচেয়ে পশ্চিমের চূড়া হল নাঙ্গা পর্বত (২৬৬৬০ ফুট, উচ্চতায় নবম) যেটা পাকিস্তান শাসিত কাশ্মীরের অংশে পড়ে, আর সবচেয়ে পূর্বের চূড়া হল 'নামচা বারোয়া'(২৫৫৩১ ফুট) যা তিব্বতে পড়ে। পুরো হিমালয় জুড়ে ২৪০০০ ফুটের বেশী উচ্চতার প্রায় ১১০ টি চূড়া আছে।
পৃথিবীর গুরুত্বপূর্ণ নদীগুলোর তিনটি এই হিমালয় থেকেই উৎপন্ন ; গঙ্গা, ব্রক্ষপুত্র, সিন্ধু।
হিমালয়ের খ্যাতনামা আরও কয়েকটি চূড়া হল অন্নপূর্ণা, মাকালু, লোটসে, ধাওলাগিরি ইত্যাদি ...

335
True!!!!!!!!!!!

Pages: 1 ... 21 22 [23]