Show Posts

This section allows you to view all posts made by this member. Note that you can only see posts made in areas you currently have access to.


Topics - protima.ns

Pages: 1 2 [3] 4 5 ... 17
31
বিশ্বের প্রথম প্রাণী দেখতে যেমন ছিল:
বিশ্বের সবচেয়ে পুরোনো প্রাণীর চেহারা সম্পর্কে নিশ্চিত হয়েছেন বিজ্ঞানীরা। রাশিয়ার এক পাহাড়ের ঢালে খুবই অদ্ভুত উপবৃত্তাকার যে জীবাশ্ম আবিষ্কৃত হয়েছে, সেটাই যে বিশ্বের প্রথম প্রাণী, এখন তাতে সন্দেহের অবকাশ সামান্যই।

ডিকিনসনিয়া নামের এই প্রাণীর জীবাশ্ম আবিষ্কারের পর থেকেই কয়েক দশক ধরে প্যালিঅন্টোলজিস্ট বা জীবাশ্মবিজ্ঞানীদের মধ্যে জোর বিতর্ক চলছে। প্রায় ৫৬ কোটি বছর আগে এই প্রাণী দাপটের সঙ্গে পৃথিবীতে ঘোরাফেরা করত। জীববিজ্ঞানের ভাষায় সেটি ছিল এডিকারান যুগ। মনে করা হয়, এই যুগেই পৃথিবীতে প্রথম বহুকোষী বৃহদাকৃতির প্রাণীর আগমন ঘটে। কিন্তু সেগুলো দেখতে এখনকার প্রাণীদের চেয়ে এতই ভিন্ন ধরনের ছিল যে সেগুলো সত্যিকার পরিচয় এত দিন এক রহস্য হয়ে ছিল।

এত দিন বিজ্ঞানীদের ধারণা ছিল, ডিকিনসনিয়া নামের এই জীব কোনো বহুকোষী প্রাণী নয়। মিটারখানেক দৈর্ঘ্যের হলেও এটি আসলে একটি এককোষী এমিবা বা ছত্রাক।

তবে এত দিনে বিবাদভঞ্জন হয়েছে। গবেষণাগারে বিজ্ঞানীরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালিয়ে নিশ্চিত হয়েছেন, এটি আসলে একটি পূর্ণাঙ্গ প্রাণীই। সে হিসেবে এগুলো বিশ্বের প্রথম প্রাণীগুলোর একটি।

প্রাণীটির জীবাশ্ম এত ভালোভাবে সংরক্ষিত যে বিজ্ঞানীরা এটির ভেতরে কোলেস্টেরলের উপস্থিতি পেয়েছেন। এটি এমন চর্বিজাতীয় উপাদান, যা একটি পূর্ণাঙ্গ প্রাণীর সাক্ষ্য বহন করে।

অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক জোকেন ব্রকস বলেন, ‘আমরা যে ধরনের চর্বি উপাদানের উপস্থিতি পেয়েছি, তা প্রমাণ করে পৃথিবীতে ৫৫ কোটি ৮০ লাখ বছর আগেও ও রকম বড় আকারের প্রাণীর অস্তিত্ব ছিল। আগে আমরা যা ভাবতাম, এটা তার চেয়েও কয়েক কোটি বছর আগেকার সময়।’
এত দিন পর্যন্ত মনে করে আসা হয়েছে, বড় আকারের প্রাণীরা পৃথিবী শাসন করতে শুরু করে ক্যামব্রিয়ান যুগে, আজ থেকে ৫৪ কোটি বছর আগে।

32
যে নামগুলো পাসওয়ার্ড হিসেবে ব্যবহার করবেন না:
অনেকেই অনলাইন অ্যাকাউন্ট পাসওয়ার্ড হিসেবে সহজ কিছু নাম ব্যবহার করেন। এতে ওই পাসওয়ার্ড মনে রাখতে সুবিধা হয়। বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন, সহজে অনুমান করা যায়—এমন নাম বা সংখ্যা পাসওয়ার্ড হিসেবে ব্যবহার করা বিপজ্জনক। এতে অ্যাকাউন্ট হ্যাক করতে পারে সাইবার দুর্বৃত্তরা।

পাসওয়ার্ড ব্যবস্থাপনা সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান স্প্ল্যাশডাটা বলছে, অনেকেই পাসওয়ার্ড হিসেবে নিজের নামের পরিবর্তে সহজে মনে রাখা যায়—এমন কিছু জনপ্রিয় নাম পাসওয়ার্ড হিসেবে ব্যবহার করেন। এ ধরনের নামগুলো পাসওয়ার্ড হিসেবে ব্যবহার করা হলে তা দ্রুত বদলে জটিল পাসওয়ার্ড ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটির বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের চোখে এগুলো বাজে পাসওয়ার্ড। দেখে নিন কয়েকটি বাজে পাসওয়ার্ডের তালিকা:
Jordon
Harley
Robert
Matthew
Daniel
Andrew
Andrea
Joshua
George
Maverick
Nicole
Merlin
Chelsea
Amanda
Ashley
Jessica
Jennifer
Michelle
William
Maggie
Charlie
Martin

পাসওয়ার্ড হিসেবে এ নামগুলো ব্যবহার বিপজ্জনক। এ ধরনের নামের পাসওয়ার্ডের তালিকা সাইবার দুর্বৃত্তদের হাতে থাকে। তারা নানা কৌশল খাটিয়ে এসব পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে অ্যাকাউন্টের সব তথ্য হাতিয়ে নেয়।

33
ই-কমার্স খাত দখল করতে আসছে ফেসবুক!
ফেসবুক একে একে সবকিছু যেন দখল করছে। সামাজিক যোগাযোগ, চ্যাটিং থেকে শুরু করে নানা সেবা আনছে প্রতিষ্ঠানটি। কদিন আগেই ঘোষণা দিল ডেটিং অ্যাপের। এবার শোনা যাচ্ছে, ই-কমার্সের ক্ষেত্রে আমাজনের প্রতিদ্বন্দ্বী হতে যাচ্ছে ফেসবুক। শিগগিরই আসছে ফেসবুকের শপিং অ্যাপ্লিকেশন। ফেসবুকের মালিকানাধীন ইনস্টাগ্রাম নিজস্ব শপিং অ্যাপ তৈরিতে কাজ করছে।

প্রযুক্তিবিষয়ক ওয়েবসাইট দ্য ভার্জের খবরে বলা হয়, ইনস্টাগ্রামের তৈরি ওই শপিং অ্যাপের নাম হতে পারে ‘আইজি শপিং’। এতে বিভিন্ন মার্চেন্ট বা ব্যবসায়ীর পণ্য সংগ্রহ দেখা যাবে। ব্যবসায়ীরা ওই অ্যাপে পণ্য রাখতে পারবেন এবং ব্যবহারকারীরা তা দেখতে ও ফরমাশ দিতে পারবেন।

অ্যাপটি কবে নাগাদ চালু হবে, সে বিষয়ে এখনো আনুষ্ঠানিক কোনো ঘোষণা আসেনি।

ভার্জ বলছে, অ্যাপটি এখনো তৈরির ধাপে।

বর্তমানে ইনস্টাগ্রামে আড়াই কোটি ব্যবসাভিত্তিক অ্যাকাউন্ট রয়েছে, যার মধ্যে ২০ লাখ বিজ্ঞাপনদাতাদের অ্যাকাউন্ট।

এর আগে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ বলেছিল, ইনস্টাগ্রামে প্রতি পাঁচজনের চারজন ব্যবহারকারী একপক্ষে একটি ব্যবসাভিত্তিক অ্যাকাউন্ট অনুসরণ করে। পৃথক একটি অ্যাপ তৈরি করে ইনস্টাগ্রামের একটি অংশকে ই-কমার্সে রূপ দিতে চাইছে প্রতিষ্ঠানটি।

এ ছাড়া ইনস্টাগ্রামে নতুন টুল বা সফটওয়্যার চালু করতে পারে ফেসবুক। এতে ব্যবসায়ীরা ওই প্ল্যাটফর্মে ব্যবসার জন্য সুবিধা পাবেন।

২০১৬ সালে ইনস্টাগ্রাম তাদের শপিং ফিচারটি পরীক্ষা চালিয়ে গত বছর তা চালু করে। ওই শপিং ফিচার ব্যবহার করে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন পোস্ট ট্যাগ করতে পারে। শপিং অ্যাপ চালু হলে ই-কমার্সের ক্ষেত্রে ইনস্টাগ্রাম আরও এক ধাপ এগিয়ে যাবে।

সম্প্রতি ইনস্টাগ্রাম ব্যবহারকারীদের অ্যাকাউন্ট ভেরিফায়েড বা যাচাই করে নেওয়ার সুযোগ দিয়েছে। ফটো আইডি দিয়ে সঠিক অ্যাকাউন্ট যাচাই করা যাবে। এতে ভুয়া অ্যাকাউন্ট কমবে।

34
শরীরে শর্করা কম থাকলে আরও বেশি ক্ষতি:
ওজন অনেকটাই বেড়ে গেছে বা বেড়ে যাচ্ছে? আয়নার সামনে দাঁড়ালে নিজেকে অনেকটা বেঢপ লাগছে? বিশেষ করে পেটের দিকে জামাটা আঁটো হয়ে বিষফোড়ার মতো উঁকি দিচ্ছে। পছন্দের জামাটা পরতে গিয়েও আবার আলমারিতে রেখে দিতে হচ্ছে। চোঁ করে চাঁদি গরম। কিড়বিড়ে রাগের সঙ্গে ধনুক-ভাঙা পণ—আজ থেকে কম খেতে হবে।

সবার আগে কাটছাঁটের কাঁচি চালানো হয় শর্করার (কার্বোহাইড্রেট) ওপর। অনেকে ভাত, রুটি, চিনি খাওয়া একেবারে বন্ধ করে দেন। অনেকে এর পরিমাণ একেবারে কমিয়ে দেন। অনেকে শর্করাবর্জিত শুধু প্রোটিন ও ফ্যাটজাতীয় খাবার খাওয়া শুরু করেন। হয়তো দু-চার দিন এ ধরনের খাবার গ্রহণ করা যায়, দিনের পর দিন নয়। ভাবুন তো ভাত, রুটি বা কার্বোহাইড্রেট খাবারের অভাবে আয়ু কমে যাচ্ছে।

পুষ্টিবিজ্ঞানের মতে, শর্করা হচ্ছে শরীরে শক্তির মূল জোগানদাতা। শর্করা ভেঙে গ্লুকোজ তৈরি হয়। এই গ্লুকোজ একাই স্নায়ুতন্ত্রের শক্তির উৎস হিসেবে কাজ করে। তাই মানুষের প্রতিদিনের খাবারে মোট ক্যালরির ৫০ থেকে ৬০ শতাংশ শর্করা থাকা উচিত। চাল ও আটাজাতীয় খাবার হলো শর্করা মূল উৎস।

35
ক্রোম ব্রাউজারে ইন্টারনেট ছাড়াই ব্রাউজিং সুবিধা:
অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইস ব্যবহারকারীদের জন্য নতুন একটি ফিচার উন্মুক্ত করেছে গুগল। নতুন ফিচারটির সুবিধা হচ্ছে, টানা ইন্টারনেট না থাকলেও ওয়েবপেজে ঢোকা যাবে। একে অফলাইন ক্রোম ফর অ্যান্ড্রয়েড বলা হচ্ছে।

ক্রোম ফর অ্যান্ড্রয়েড বিভাগটির পণ্য ব্যবস্থাপক অ্যামান্ডা বস বলেছেন, ‘যখন বিনা মূল্যের ভালো গতির কোনো ওয়াই–ফাই নেটওয়ার্কের সঙ্গে যুক্ত থাকবেন, তখন ক্রোম সংশ্লিষ্ট কিছু আর্টিকেল ডাউনলোড করে রাখবে। আপনার অবস্থানের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ এবং জনপ্রিয় পেজ গুগল সংরক্ষণ করে রাখবে। যখন ইন্টারনেট সংযোগ থাকবে না, তখন এসব কনটেন্ট পড়া যাবে।’
বস জানান, যদি ক্রোমে সাইন ইন করা থাকে, তবে ব্রাউজিং হিস্টোরি অনুসারে সংগতিপূর্ণ আর্টিকেল পাবেন ব্যবহারকারী। ক্রোম অন অ্যান্ড্রয়েড ফিচারটি ১০০টিরও বেশি দেশে পাওয়া যাবে। গুগল প্লে স্টোর থেকে ক্রোম অন অ্যান্ড্রয়েড হালনাগাদ করে নিলে এ সুবিধা পাওয়া যাবে।

36
কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করবেন প্রযুক্তি আসক্তি?
মানুষ দিনে গড়ে ১৫০ বার মুঠোফোন দেখেন। হয় কল করেন, ওয়েব ব্রাউজ করেন, ফেসবুকে কিছু পোস্ট করেন, কিংবা শুধুই অভ্যাসের বশে পকেট থেকে বের করে সময় দেখেন। ১৫০ সংখ্যাটি এত বেশি যে আঁতকে উঠতে হয়। আবার কাজের খাতিরেই মুঠোফোন সঙ্গে রাখতে হয়, ব্যবহার করতে হয়। তাহলে আসক্তি আর প্রয়োজনের মধ্যে ব্যালান্স করবেন কীভাবে? সংবাদনির্ভর ওয়েব পোর্টাল ‘ফাস্ট কোম্পানি’ এমন পাঁচজন মানুষের সঙ্গে কথা বলেছেন, যাঁরা একসময় মুঠোফোনে আসক্ত ছিলেন, তবে পকেটে মুঠোফোন রেখেই সে আসক্তি তাঁরা কাটিয়ে উঠেছেন। সেই পাঁচজনের অভিজ্ঞতা থাকছে এখানে।

চোখ-কান বন্ধ করে মুছে ফেলুন
২০১২ সালের দিকে গুগল ভেঞ্চারের সাবেক ডিজাইন পার্টনার জ্যাক ন্যাপের আইফোন ব্যবহার মাত্রা ছাড়িয়ে যায়। এতটাই বেশি যে শিশুসন্তানদের সময় দিতে পারছিলেন না। এদিকে মুঠোফোন ব্যবহার বন্ধ করাও সম্ভব ছিল না। তখন তিনি ভেবে দেখলেন টুইটার, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম ও ইউটিউবের মতো অ্যাপগুলোতেই বেশি সময় ব্যয় করছেন। দ্বিতীয়বার চিন্তা না করে অ্যাপগুলো মুছে ফেলেন। নিজেকে পরীক্ষার জন্য নেওয়া সে পদক্ষেপ ছয় বছর পর আজও দিব্যি বলবৎ আছে।

ব্যবহার কমানোর জন্য বড় ডিভাইস
নিজের স্মার্টফোন আসক্তি সম্পর্কে নিজেকে সতর্ক করতে ভিন্ন পথ বেছে নিয়েছিলেন এনভিশনিং টেকনোলজির প্রতিষ্ঠাতা মিশেল জাপ্পা। তিনি আইফোনের বদলে ব্যবহার শুরু করেন আইপ্যাড মিনি। এতে আইফোনের সব সুবিধা আছে, শুধু কল করা যায় না। তবে আকারে বড় হওয়ায় আইফোনের মতো স্বচ্ছন্দে ব্যবহার করতে পারতেন না। যখনই হাতে আইপ্যাড তুলে নিতেন, তাঁর মনে হতো যে সময় নষ্ট করছেন। খুব দরকার না পড়লে ট্যাব ব্যবহার করা বন্ধ করে দেন। পরে ট্যাব ছেড়ে আইফোনে ফিরে গিয়েছিলেন, তবে ব্যবহারে
কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করবেন প্রযুক্তি আসক্তি?
মানুষ দিনে গড়ে ১৫০ বার মুঠোফোন দেখেন। হয় কল করেন, ওয়েব ব্রাউজ করেন, ফেসবুকে কিছু পোস্ট করেন, কিংবা শুধুই অভ্যাসের বশে পকেট থেকে বের করে সময় দেখেন। ১৫০ সংখ্যাটি এত বেশি যে আঁতকে উঠতে হয়। আবার কাজের খাতিরেই মুঠোফোন সঙ্গে রাখতে হয়, ব্যবহার করতে হয়। তাহলে আসক্তি আর প্রয়োজনের মধ্যে ব্যালান্স করবেন কীভাবে? সংবাদনির্ভর ওয়েব পোর্টাল ‘ফাস্ট কোম্পানি’ এমন পাঁচজন মানুষের সঙ্গে কথা বলেছেন, যাঁরা একসময় মুঠোফোনে আসক্ত ছিলেন, তবে পকেটে মুঠোফোন রেখেই সে আসক্তি তাঁরা কাটিয়ে উঠেছেন। সেই পাঁচজনের অভিজ্ঞতা থাকছে এখানে।

চোখ-কান বন্ধ করে মুছে ফেলুন
২০১২ সালের দিকে গুগল ভেঞ্চারের সাবেক ডিজাইন পার্টনার জ্যাক ন্যাপের আইফোন ব্যবহার মাত্রা ছাড়িয়ে যায়। এতটাই বেশি যে শিশুসন্তানদের সময় দিতে পারছিলেন না। এদিকে মুঠোফোন ব্যবহার বন্ধ করাও সম্ভব ছিল না। তখন তিনি ভেবে দেখলেন টুইটার, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম ও ইউটিউবের মতো অ্যাপগুলোতেই বেশি সময় ব্যয় করছেন। দ্বিতীয়বার চিন্তা না করে অ্যাপগুলো মুছে ফেলেন। নিজেকে পরীক্ষার জন্য নেওয়া সে পদক্ষেপ ছয় বছর পর আজও দিব্যি বলবৎ আছে।

ব্যবহার কমানোর জন্য বড় ডিভাইস
নিজের স্মার্টফোন আসক্তি সম্পর্কে নিজেকে সতর্ক করতে ভিন্ন পথ বেছে নিয়েছিলেন এনভিশনিং টেকনোলজির প্রতিষ্ঠাতা মিশেল জাপ্পা। তিনি আইফোনের বদলে ব্যবহার শুরু করেন আইপ্যাড মিনি। এতে আইফোনের সব সুবিধা আছে, শুধু কল করা যায় না। তবে আকারে বড় হওয়ায় আইফোনের মতো স্বচ্ছন্দে ব্যবহার করতে পারতেন না। যখনই হাতে আইপ্যাড তুলে নিতেন, তাঁর মনে হতো যে সময় নষ্ট করছেন। খুব দরকার না পড়লে ট্যাব ব্যবহার করা বন্ধ করে দেন। পরে ট্যাব ছেড়ে আইফোনে ফিরে গিয়েছিলেন, তবে ব্যবহারে সচেতনতা বেড়েছিল অনেক।

37
অল্প বয়সেও হার্ট অ্যাটাক হয়!:
৩০ থেকে ৪০ বছর বয়সের মধ্যে হার্ট অ্যাটাকের ঘটনা বিশ্বব্যাপী দ্রুত বাড়ছে। তাই বয়স কম বলে নিশ্চিন্তে বসে থাকার অবকাশ নেই।

জন্মগত হৃদ্‌রোগ, রক্তনালির সংকোচন বা রক্তনালির রোগ, জিনগত ত্রুটি ইত্যাদি কম বয়সে হার্ট অ্যাটাকের কারণ হতে পারে। এ ছাড়া অল্প বয়সে মুটিয়ে যাওয়া, রক্তে চর্বির আধিক্য, কম বয়সে উচ্চ রক্তচাপ বা ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়া, ধূমপানের অভ্যাস, মানসিক চাপ অল্প বয়সে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়াচ্ছে। অস্বাস্থ্যকর খাবারে আসক্তি, কায়িক পরিশ্রম একেবারেই না করা, রাত জাগা, মাদকাসক্তি ইত্যাদি তরুণ প্রজন্মের হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়ায়।

মনে রাখবেন, আপনার বয়সেই অনেক নারী-পুরুষ হার্ট অ্যাটাকের কারণে আকস্মিক মৃত্যুর শিকার হয়েছেন। তাই গোড়া থেকেই সচেতন হোন, নিজের যত্ন নিতে শিখুন, সুশৃঙ্খল জীবনযাপনে সচেষ্ট হোন।

: আগে যা-ই করে থাকুন না কেন, ধূমপানকে চিরতরে না বলে ফেলুন।

: পেটের মেদ বাড়তে দেবেন না। এশীয় পুরুষদের জন্য সঠিক ভুঁড়ির মাপ হচ্ছে ৯০ সেন্টিমিটার, আর এশীয় নারীদের জন্য ৮০ সেন্টিমিটার। এর বেশি হলেই ঝুঁকি বাড়ে। উচ্চতা অনুযায়ী ওজন ঠিক রাখুন। বাড়তি মেদ ঝেড়ে ফেলতে সচেষ্ট হোন।

অল্প বয়সেও হার্ট অ্যাটাক হয়!
৩০ থেকে ৪০ বছর বয়সের মধ্যে হার্ট অ্যাটাকের ঘটনা বিশ্বব্যাপী দ্রুত বাড়ছে। তাই বয়স কম বলে নিশ্চিন্তে বসে থাকার অবকাশ নেই।

জন্মগত হৃদ্‌রোগ, রক্তনালির সংকোচন বা রক্তনালির রোগ, জিনগত ত্রুটি ইত্যাদি কম বয়সে হার্ট অ্যাটাকের কারণ হতে পারে। এ ছাড়া অল্প বয়সে মুটিয়ে যাওয়া, রক্তে চর্বির আধিক্য, কম বয়সে উচ্চ রক্তচাপ বা ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়া, ধূমপানের অভ্যাস, মানসিক চাপ অল্প বয়সে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়াচ্ছে। অস্বাস্থ্যকর খাবারে আসক্তি, কায়িক পরিশ্রম একেবারেই না করা, রাত জাগা, মাদকাসক্তি ইত্যাদি তরুণ প্রজন্মের হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়ায়।

মনে রাখবেন, আপনার বয়সেই অনেক নারী-পুরুষ হার্ট অ্যাটাকের কারণে আকস্মিক মৃত্যুর শিকার হয়েছেন। তাই গোড়া থেকেই সচেতন হোন, নিজের যত্ন নিতে শিখুন, সুশৃঙ্খল জীবনযাপনে সচেষ্ট হোন।

: আগে যা-ই করে থাকুন না কেন, ধূমপানকে চিরতরে না বলে ফেলুন।

: পেটের মেদ বাড়তে দেবেন না। এশীয় পুরুষদের জন্য সঠিক ভুঁড়ির মাপ হচ্ছে ৯০ সেন্টিমিটার, আর এশীয় নারীদের জন্য ৮০ সেন্টিমিটার। এর বেশি হলেই ঝুঁকি বাড়ে। উচ্চতা অনুযায়ী ওজন ঠিক রাখুন। বাড়তি মেদ ঝেড়ে ফেলতে সচেষ্ট হোন।

: যত ব্যস্ততাই থাকুক, প্রতিদিন ২৫ থেকে ৩০ মিনিট হাঁটা, ব্যায়াম, সাঁতার, জগিং, সাইকেল চালানো বা খেলাধুলা করার অভ্যাস গড়ে তুলুন। এর বাইরেও যথাসম্ভব কায়িক শ্রমের জন্য বাগান করুন, নিকট দূরত্বে হেঁটে যাওয়া-আসা করুন, লিফট ব্যবহার না করে সিঁড়ি ব্যবহার করুন, সন্তানদের সঙ্গে খেলাধুলা করুন, বাড়ির বিভিন্ন কাজে সাহায্য করুন। অফিস থেকে ফিরেই টেলিভিশন বা কম্পিউটার নিয়ে বসবেন না।

: বাড়তি লবণ বাদ দিন। সঙ্গে বাদ দিন অতিরিক্ত তেল-চর্বিসমৃদ্ধ খাবার, ফাস্টফুড, গরু-খাসির মাংস, কোমল পানীয় ইত্যাদি। প্রচুর সবজি, ফলমূল, মাছ, দুধ খান।

: নিয়মিত রক্তচাপ মাপুন। বছরে একবার রক্তের শর্করা ও চর্বি মেপে দেখুন। প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

: রাত জেগে কাজ করবেন না। সুস্থ হার্টের জন্য প্রতিদিন অন্তত সাত ঘণ্টার নিরবচ্ছিন্ন ঘুম চাই। অতিরিক্ত কাজের চাপ নেবেন না। মাঝে মাঝে কাজ থেকে ছুটি নিয়ে পরিবার ও বন্ধুদের সময় দিন।

38
লটকন নাকি ডাবের শাঁস?কোনটি খাবেন?
রসাল লটকন আর সুস্বাদু ডাবের শাঁস আমাদের অনেকেরই প্রিয়। একটু টক স্বাদের লটকন খাওয়ার লোভ সামলানো কঠিন, আবার মিষ্টি স্বাদের ডাবের শাঁস তো অসাধারণ। নিত্যদিনের পুষ্টির চাহিদা পূরণে দুটি ফলই শরীর সুস্থ ও চাঙা রাখতে সহায়তা করে।
রসাল লটকন

লটকন দারুণ পুষ্টিকর ফল। এতে প্রোটিন (৩.০৮ গ্রাম), ক্যালসিয়াম (৪৪ মিলিগ্রাম), আয়রন (০.৯৯ মিলিগ্রাম), ফসফরাস (৪৪ মিলিগ্রাম), ভিটামিন বি১ (০.০১৪ মিলিগ্রাম), ভিটামিন সি (২৪.৭৫ মিলিগ্রাম), ভিটামিন এ (৩০ মাইক্রোগ্রাম) এবং সামান্য পরিমাণে ম্যাগনেশিয়াম আছে।

■ লটকনে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে। দিনে দু-তিনটি লটকন খেলে শরীরের ভিটামিন সির চাহিদা পূরণ হয়। রুচি বাড়াতে লটকন বেশ উপকারী।

■ যেহেতু লটকনে ভিটামিন সি আছে তাই লটকন ত্বক, দাঁত ও হাড় সুস্থ রাখতে বেশ কার্যকর। লটকন অ্যান্টিঅ্যাক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ।

■ রক্তশূন্যতা রোধে লটকন বেশ সহায়তা করে। যেহেতু লোহা আছে সেহেতু লটকন হাড়ের জন্য বিশেষ উপকারী।

■ লটকনে ভিটামিন বি পাওয়া যায় বলে স্কার্ভি রোগ ও মুখের ঘা সারাতে ও প্রতিরোধে সহায়ক।

■ খাদ্যশক্তির ভালো উৎস লটকন। লটকনে ৯২ কিলোক্যালরি/গ্রাম খাদ্যশক্তি পাওয়া যায় বলে শরীরে শক্তি জোগায়, পাশাপাশি মানসিক অবসাদ দূর করতেও সাহায্য করে।

■ লটকনের অ্যামাইনো অ্যাসিড ও এনজাইম দেহ গঠন ও কোষকলা সুস্থ রাখে। তবে যাঁদের ডায়াবেটিস আছে তাঁদের পরিমাণমতো খেতে হবে।
সুস্বাদু ডাবের শাঁস

সুস্বাদু ডাবের শাঁসে কার্বোহাইড্রেটস (১৫.২৩ গ্রাম), প্রোটিন (৩.৩ গ্রাম), বি৯ বা ফোলটেস (২৬ মাইক্রোগ্রাম), বি৩ বা নিয়াসিন (০.৫৪০ মিলিগ্রাম), ভিটামিন বি৫ বা প্যান্টোথেনিক অ্যাসিড (০.৩০০ মিলিগ্রাম), পাইরিডোক্সিন (০.০৫৪ মিলিগ্রাম), বি২ বা রিবোফ্ল্যাভিন (০.০২ মিলিগ্রাম), বি১ বা থিয়ামিন (০.০৬৬ মিলিগ্রাম), ভিটামিন সি (৩.৩ মিলিগ্রাম), ভিটামিন ই (০.২৪ মিলিগ্রাম), ভিটামিন কে (০.২ মাইক্রোগ্রাম), সোডিয়াম (২০ মিলিগ্রাম), পটাশিয়াম (৩৫৬ মিলিগ্রাম), ক্যালসিয়াম (১৪ মিলিগ্রাম), কপার (০.৪৩৫ মিলিগ্রাম), লোহা (২.৪৩ মিলিগ্রাম), ম্যাগনেশিয়াম (৩২ মিলিগ্রাম), ম্যাঙ্গানিজ (১.৫০০ মিলিগ্রাম), সেলেনিয়াম (১০.১ মাইক্রোগ্রাম), জিঙ্ক (১.১০ মিলিগ্রাম), বিটা ক্যারোটিনও ফাইটোস্টেরলস আছে।

■ শাঁসের পুষ্টি ও অাঁশ দ্রুত হজম করতে সাহায্য করে। শাঁসে আছে মিডিয়াম চেইন ফ্যাটি অ্যাসিড, যা দ্রুত শরীরে মিশে যায়। উচ্চমাত্রায় ফাইবার আছে বলে খাবার হজমে বেশ উপকারী।

রসাল লটকন আর সুস্বাদু ডাবের শাঁস আমাদের অনেকেরই প্রিয়। একটু টক স্বাদের লটকন খাওয়ার লোভ সামলানো কঠিন, আবার মিষ্টি স্বাদের ডাবের শাঁস তো অসাধারণ। নিত্যদিনের পুষ্টির চাহিদা পূরণে দুটি ফলই শরীর সুস্থ ও চাঙা রাখতে সহায়তা করে। লটকন ও ডাবের শাঁসের পুষ্টিগুণ সম্পর্কে বিস্তারিত জানিয়েছেন ঢাকার বারডেম জেনারেল হাসপাতালের খাদ্য ও পুষ্টি বিভাগের প্রধান পুষ্টিবিদ শামসুন্নাহার নাহিদ।


রসাল লটকন

লটকন দারুণ পুষ্টিকর ফল। এতে প্রোটিন (৩.০৮ গ্রাম), ক্যালসিয়াম (৪৪ মিলিগ্রাম), আয়রন (০.৯৯ মিলিগ্রাম), ফসফরাস (৪৪ মিলিগ্রাম), ভিটামিন বি১ (০.০১৪ মিলিগ্রাম), ভিটামিন সি (২৪.৭৫ মিলিগ্রাম), ভিটামিন এ (৩০ মাইক্রোগ্রাম) এবং সামান্য পরিমাণে ম্যাগনেশিয়াম আছে।

■ লটকনে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে। দিনে দু-তিনটি লটকন খেলে শরীরের ভিটামিন সির চাহিদা পূরণ হয়। রুচি বাড়াতে লটকন বেশ উপকারী।

■ যেহেতু লটকনে ভিটামিন সি আছে তাই লটকন ত্বক, দাঁত ও হাড় সুস্থ রাখতে বেশ কার্যকর। লটকন অ্যান্টিঅ্যাক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ।

■ রক্তশূন্যতা রোধে লটকন বেশ সহায়তা করে। যেহেতু লোহা আছে সেহেতু লটকন হাড়ের জন্য বিশেষ উপকারী।

■ লটকনে ভিটামিন বি পাওয়া যায় বলে স্কার্ভি রোগ ও মুখের ঘা সারাতে ও প্রতিরোধে সহায়ক।

■ খাদ্যশক্তির ভালো উৎস লটকন। লটকনে ৯২ কিলোক্যালরি/গ্রাম খাদ্যশক্তি পাওয়া যায় বলে শরীরে শক্তি জোগায়, পাশাপাশি মানসিক অবসাদ দূর করতেও সাহায্য করে।

■ লটকনের অ্যামাইনো অ্যাসিড ও এনজাইম দেহ গঠন ও কোষকলা সুস্থ রাখে। তবে যাঁদের ডায়াবেটিস আছে তাঁদের পরিমাণমতো খেতে হবে।


সুস্বাদু ডাবের শাঁস

সুস্বাদু ডাবের শাঁসে কার্বোহাইড্রেটস (১৫.২৩ গ্রাম), প্রোটিন (৩.৩ গ্রাম), বি৯ বা ফোলটেস (২৬ মাইক্রোগ্রাম), বি৩ বা নিয়াসিন (০.৫৪০ মিলিগ্রাম), ভিটামিন বি৫ বা প্যান্টোথেনিক অ্যাসিড (০.৩০০ মিলিগ্রাম), পাইরিডোক্সিন (০.০৫৪ মিলিগ্রাম), বি২ বা রিবোফ্ল্যাভিন (০.০২ মিলিগ্রাম), বি১ বা থিয়ামিন (০.০৬৬ মিলিগ্রাম), ভিটামিন সি (৩.৩ মিলিগ্রাম), ভিটামিন ই (০.২৪ মিলিগ্রাম), ভিটামিন কে (০.২ মাইক্রোগ্রাম), সোডিয়াম (২০ মিলিগ্রাম), পটাশিয়াম (৩৫৬ মিলিগ্রাম), ক্যালসিয়াম (১৪ মিলিগ্রাম), কপার (০.৪৩৫ মিলিগ্রাম), লোহা (২.৪৩ মিলিগ্রাম), ম্যাগনেশিয়াম (৩২ মিলিগ্রাম), ম্যাঙ্গানিজ (১.৫০০ মিলিগ্রাম), সেলেনিয়াম (১০.১ মাইক্রোগ্রাম), জিঙ্ক (১.১০ মিলিগ্রাম), বিটা ক্যারোটিনও ফাইটোস্টেরলস আছে।

■ শাঁসের পুষ্টি ও অাঁশ দ্রুত হজম করতে সাহায্য করে। শাঁসে আছে মিডিয়াম চেইন ফ্যাটি অ্যাসিড, যা দ্রুত শরীরে মিশে যায়। উচ্চমাত্রায় ফাইবার আছে বলে খাবার হজমে বেশ উপকারী।

■ শাঁসে অধিক পরিমাণে ম্যাঙ্গানিজ আছে, যা ফ্যাট ও প্রোটিন মেটাবোলাইজ করতে বেশ কার্যকর।

■ দেহের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে শাঁস দারুণ উপকারী।

■ শাঁস রক্তের শর্করার মাত্রা ঠিক রাখে। এ ছাড়া শরীরের ভিটামিন ই, থায়ামিন ও আয়রনের মাত্রা ঠিক রাখে। আয়রন শরীরের রক্ত চলাচলে সহায়তা করে।

■ শাঁসের পটাশিয়াম শরীরে ইলেকট্রোলাইটের ভারসাম্য বজায় রাখতে কার্যকর। এ ছাড়া হৃদ্‌যন্ত্রের সক্রিয়তা ও মাংসপেশি গঠনে বেশ উপকারী। ডাবের শাঁস শরীরের হাড় পাতলা ও ভঙ্গুরতা, অস্টিওপোরোসিসকে প্রতিরোধ করে।

39
ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ জেনে নিন:
বর্ষা মৌসুমের শুরু থেকে হাসপাতালে ও চিকিৎসকদের কাছে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত রোগীরা ভিড় করছেন। গত বছর চিকুনগুনিয়ার প্রাদুর্ভাব দেখা দিলেও এ বছর তেমনটা নেই বললেই চলে।

বিগত বছরগুলোর মতো এবারও গলাব্যথা বা ডায়রিয়ার মতো পরিচিত কিছু ভিন্নধর্মী লক্ষণ নিয়ে ডেঙ্গু জ্বর দেখা দিচ্ছে। লক্ষণগুলোর মধ্যে রয়েছে প্রথম দিন থেকে প্রচণ্ড জ্বর, প্রচণ্ড মাথাব্যথা, চোখের পেছনে ব্যথা, শরীরে ব্যথা, ত্বক লাল হয়ে যাওয়া এবং কিছু ক্ষেত্রে ত্বকে র‍্যাশ বা দানা দেখা দেওয়া। কারও কারও বমি হতে দেখা যাচ্ছে।

তবে মনে রাখা উচিত, এ সময়ের জ্বর মানেই কেবল ডেঙ্গু নয়। কাছাকাছি ধরনের লক্ষণ নিয়ে অন্যান্য জ্বরও দেখা দিচ্ছে। অন্যান্য ভাইরাস জ্বর ছাড়াও পানিবাহিত টাইফয়েড জ্বরও হচ্ছে। তাই জ্বর হলে লক্ষণ-উপসর্গ মিলিয়ে ও প্রয়োজনে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে নিশ্চিত হয়েই চিকিৎসা নেওয়া ভালো।

এ সময় জ্বর এলেই ভয় পাবেন না। ফ্লু বা ডেঙ্গু—যেকোনো ভাইরাসজনিত রোগ আপনা থেকেই সেরে যাবে। জ্বর এলে পর্যাপ্ত পানি পান করুন, শরীর স্পঞ্জ করুন, বিশ্রাম নিন এবং মাথায় পানি দিন। জ্বর কমাতে প্যারাসিটামল সেবন করতে পারেন। আর কোনো ওষুধের দরকার নেই।

জ্বর প্রথম দিন থেকেই জটিল আকার মনে হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। নয়তো বাড়িতে তিন দিন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে পারেন। তিন দিনে জ্বর না কমলে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হোন। নিজে দোকান থেকে কিনে কোনো অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ খাবেন না, হিতে বিপরীত হতে পারে।

ডেঙ্গু জ্বরে রক্তের অনুচক্রিকার মাত্রা বিপজ্জনক হারে কমে যেতে দেখা যাচ্ছে এবার। এটি ডেঙ্গু জ্বরের একটি জটিলতা। অনুচক্রিকা কমে গেলে দাঁত, ত্বকের নিচ, নাক ইত্যাদি স্থানে রক্তক্ষরণের ঝুঁকি বাড়ে। কখনো আরও মারাত্মক রক্তপাতও হতে পারে। কিন্তু ডেঙ্গু জ্বর হলেই বা অনুচক্রিকা কমে গেলেই রোগীকে রক্ত বা প্লাটিলেট দেওয়ার প্রয়োজন হয়—এমন ধারণার ভিত্তি নেই। ডেঙ্গু হলে হাসপাতালে ভর্তি করে শিরায় স্যালাইন দিতেই হবে—এ ধারণাও ভুল। রোগীর অবস্থা অনুযায়ী চিকিৎসক সিদ্ধান্ত নেবেন। একেকজনের জন্য চিকিৎসা পদ্ধতি ভিন্ন হতে পারে।

40
Faculty Sections / মাছে-ভাতে বর্ষায়
« on: July 14, 2018, 11:29:11 AM »
মাছে-ভাতে বর্ষায়:
এসে গেল ইলিশের দিন। বৃষ্টিতে গরম খিচুড়ি বা ভাতের সঙ্গে ইলিশই যেন মানায়। নতুন নতুন রেসিপি তো আছেই, পুরোনো দিনের ইলিশ রান্নার রেসিপিগুলোও কিন্তু কম যায় না। সেগুলোর কথা মনে করিয়ে দিতেই এই আয়োজন।ইলিশ ভাতে
উপকরণ
পোস্তদানা ১ টেবিল চামচ, কালো সরষে ২ টেবিল চামচ, কাঁচা মরিচ ৭-৮টি, সরষে তেল ৩ টেবিল চামচ, পেঁয়াজ মাঝারি ২টি, লবণ পরিমাণমতো, সব উপকরণ একসঙ্গে বেঁটে নিতে হবে, তেল ৩ টেবিল চামচ, হলুদ গুঁড়া আধা চা-চামচ, লবণ পরিমাণমতো, কাঁচা মরিচ ৭-৮টি, নারকেলের দুধ ১ কাপ, লেবুর রস ১ টেবিল চামচ, চাল ২ কাপ।
প্রণালি
মাছের সঙ্গে লেবুর রস ও সব মসলা মাখিয়ে রাখতে হবে। চাল ধুয়ে ৪ কাপ পানি দিয়ে লবণ দিয়ে ভাত রান্না করতে হবে। ভাতের অল্প পানি থাকতে কিছুটা ভাত উঠিয়ে ভাতের ওপর মাছগুলো সাজিয়ে কাঁচা মরিচ দিয়ে মাঠের ওপর থেকে উঠিয়ে রাখা ভাত দিয়ে চাপা দিয়ে নারকেলের দুধ দিয়ে টিমে আঁচে ২৫-৩০ মিনিট রান্না করতে হবে।
সরষে ইলিশ
উপকরণ
সাদা সরষে ২ টেবিল চামচ, কালো সরষে ১ টেবিল চামচ, কাঁচা মরিচ ৪টি, শুকনা মরিচ ৪টি (একসঙ্গে ১ চা-চামচ লবণ দিয়ে বেটে নিতে হবে), শুকনা মরিচ ২টি, লবণ পরিমাণমতো, কালোজিরা আধা চা-চামচ, সরষের তেল ৩ টেবিল চামচ, হলুদ গুঁড়া ১ চা-চামচ, কাঁচা মরিচ ফালি ৭-টি, ইলিশ মাছ বড় করে কাটা ৮ টুকরা।
প্রণালি
কড়াইয়ে তেল গরম করে কালোজিরা ও শুকনা মরিচের ফোড়ন দিয়ে সব মসলা ভুনে মাছ দিয়ে কিছুক্ষণ নাড়াচাড়া করে ১ কাপ পানি দিয়ে ঢেকে দিতে হবে। ঝোল কমে গেলে কাঁচা মরিচ দিয়ে কিছুক্ষণ চুলায় রেখে নামাতে হবে। সরষে ইলিশ গরম ভাত বা খিচুড়ির সঙ্গে পরিবেশন করা যায়।

এসে গেল ইলিশের দিন। বৃষ্টিতে গরম খিচুড়ি বা ভাতের সঙ্গে ইলিশই যেন মানায়। নতুন নতুন রেসিপি তো আছেই, পুরোনো দিনের ইলিশ রান্নার রেসিপিগুলোও কিন্তু কম যায় না। সেগুলোর কথা মনে করিয়ে দিতেই এই আয়োজন। রেসিপি দিয়েছেন সিতারা ফিরদৌস
ইলিশ ভাতে
ইলিশ ভাতে
ইলিশ ভাতে
উপকরণ
পোস্তদানা ১ টেবিল চামচ, কালো সরষে ২ টেবিল চামচ, কাঁচা মরিচ ৭-৮টি, সরষে তেল ৩ টেবিল চামচ, পেঁয়াজ মাঝারি ২টি, লবণ পরিমাণমতো, সব উপকরণ একসঙ্গে বেঁটে নিতে হবে, তেল ৩ টেবিল চামচ, হলুদ গুঁড়া আধা চা-চামচ, লবণ পরিমাণমতো, কাঁচা মরিচ ৭-৮টি, নারকেলের দুধ ১ কাপ, লেবুর রস ১ টেবিল চামচ, চাল ২ কাপ।
প্রণালি
মাছের সঙ্গে লেবুর রস ও সব মসলা মাখিয়ে রাখতে হবে। চাল ধুয়ে ৪ কাপ পানি দিয়ে লবণ দিয়ে ভাত রান্না করতে হবে। ভাতের অল্প পানি থাকতে কিছুটা ভাত উঠিয়ে ভাতের ওপর মাছগুলো সাজিয়ে কাঁচা মরিচ দিয়ে মাঠের ওপর থেকে উঠিয়ে রাখা ভাত দিয়ে চাপা দিয়ে নারকেলের দুধ দিয়ে টিমে আঁচে ২৫-৩০ মিনিট রান্না করতে হবে।

সরষে ইলিশ
সরষে ইলিশ
সরষে ইলিশ
উপকরণ
সাদা সরষে ২ টেবিল চামচ, কালো সরষে ১ টেবিল চামচ, কাঁচা মরিচ ৪টি, শুকনা মরিচ ৪টি (একসঙ্গে ১ চা-চামচ লবণ দিয়ে বেটে নিতে হবে), শুকনা মরিচ ২টি, লবণ পরিমাণমতো, কালোজিরা আধা চা-চামচ, সরষের তেল ৩ টেবিল চামচ, হলুদ গুঁড়া ১ চা-চামচ, কাঁচা মরিচ ফালি ৭-টি, ইলিশ মাছ বড় করে কাটা ৮ টুকরা।
প্রণালি
কড়াইয়ে তেল গরম করে কালোজিরা ও শুকনা মরিচের ফোড়ন দিয়ে সব মসলা ভুনে মাছ দিয়ে কিছুক্ষণ নাড়াচাড়া করে ১ কাপ পানি দিয়ে ঢেকে দিতে হবে। ঝোল কমে গেলে কাঁচা মরিচ দিয়ে কিছুক্ষণ চুলায় রেখে নামাতে হবে। সরষে ইলিশ গরম ভাত বা খিচুড়ির সঙ্গে পরিবেশন করা যায়।

আনারস ইলিশ
আনারস ইলিশ
আনারস ইলিশ
উপকরণ
ইলিশ মাছ বড় করে কাটা ৮ টুকরা, আনারস মাঝারি আকারের ১টি, পেঁয়াজ কিমা ৩ টেবিল চামচ, হলুদ গুঁড়া আধা চা-চামচ, মরিচ গুঁড়া ১ চা-চামচ, কাঁচামরিচ ৫-৬টি, তেল আধা কাপ, লবণ পরিমাণমতো।
প্রণালি
আনারস লম্বায় দুফালি করে মাঝের অংশ বাদ দিয়ে কুরিয়ে নিতে হবে। তেল গরম করে পেঁয়াজ অল্প ভেজে পেঁয়াজ নরম হলে মরিচ, হলুদ, লবণ দিয়ে কিছুক্ষণ ভুনে আনারস দিয়ে আরেও কিছুক্ষণ ভুনে ১ কাপ পানি দিতে হবে। আনারস টক হলে চিনি দিন। ফুটে উঠলে মাছ বিছিয়ে দিয়ে কাঁচা মরিচ দিয়ে ঢেকে রান্না করতে হবে। তেল ওপরে এলে নামিয়ে নিন।
ইলিশ পাতুরি
উপকরণ
ইলিশ মাছ বড় করে কাটা ৬ টুকরা, নারকেল বাটা আধা কাপ, হলুদ গুঁড়া আধা চা-চামচ, লবণ পরিমাণমতো, সরষে তেল ২ টেবিল চামচ, (কালো সরষে ১ টেবিল চামচ, সাদা সরষে ১ টেবিল চামচ, কাঁচা মরিচ ৪টি, শুকনা মরিচ ২টি, একসঙ্গে বেটে নিতে হবে) কলাপাতা প্রয়োজনমতো।
প্রণালি
নারকেল বাটা মিশ্রিত সরষে বাটা, হলুদ গুঁড়া, টকদই, লবণ, তেল একসঙ্গে ভালো করে মাখিয়ে মাছের গায়ে লাগিয়ে ৩০ মিনিট রেখে দিন। কলাপাতা টুকরা করে আগুনে সেঁকে নরম হলে মসলাসহ ১ টুকরা করে মাছ কলাপাতায় রেখে দিন। মাছের ওপর ২-১ টি মরিচ দিয়ে মুড়িয়ে সুতা দিয়ে বেঁধে নিতে হবে। এই ভাবে সবগুলো মাটির খোলা, তাওয়া বা ফ্রাইপ্যানের মাপে কলাপাতা কেটে নিতে পারেন। কলাপাতার ওপর সামান্য তেল লাগিয়ে কলাপাতায় মুড়ানো মাছ রেখে ভালো করে ঢাকনা দিয়ে ঢেকে অল্প জালে ৩০ মিনিট রান্না করুন। মাঝে ১ বার উল্টিয়ে দিতে হবে। ইলিশ পাতুরি গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করা যায়।
ভাপে ইলিশ
উপকরণ
ইলিশ মাছ বড় করে কাটা ৪ টুকরা, কালো সরষে ১ টেবিল চামচ, পোস্তদানা বাটা ২ চা-চামচ, কাঁচা মরিচ ৬-৭টি, লবণ সামান্য (সব উপকরণ একসঙ্গে বেটে নিতে হবে) সরষে তেল ১ টেবিল চামচ, হলুদ গুঁড়া আধা চা-চামচ, লবণ পরিমাণমতো, কাঁচা মরিচ ৬-৭টি।
প্রণালি
সব উপকরণ একসঙ্গে মেখে মাছের গায়ে লাগিয়ে নিন। ঢাকনা বন্ধ করা বাটিতে এবার মাছ বসিয়ে নিতে হবে। কড়াইয়ে অল্প পানি দিয়ে পানির ওপর মাছের বাটি বসিয়ে ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিন। অল্প জালে ১০-১২ মিনিট রান্না করতে হবে। ভাপে ইলিশ গরম ভাত বা খিচুড়ির সঙ্গে পরিবেশন করা যায়।

41
চাপ যত বাড়ে, খেলা তত সহজ হয়:


ব্রাজিলের সাবেক ফুটবলার রোনালদো অনেকের চোখেই সর্বকালের অন্যতম সেরা খেলোয়াড়। দুর্দান্ত গতি, অসাধারণ ড্রিবলিং আর নিখুঁত ফিনিশিংয়ের জন্য তাঁর সময়ে তিনি সেরা ছিলেন। যাঁর কাছে ফুটবল মাঠটাই জীবন, ইনজুরির জন্য তাঁকে দীর্ঘদিন খেলার বাইরে থাকতে হয়েছে। ফিরে এসে ব্রাজিলের হয়ে বিশ্বকাপ জিতেছেন ঠিকই। কোন ঘটনা তাঁকে অনুপ্রাণিত করল? পড়ুন দ্য প্লেয়ারস ট্রিবিউনে প্রকাশিত রোনালদোর লেখায়
বিশ্বকাপের কথা ভাবলে আমার মাথায় প্রথমেই যা আসে, তা হলো রং। ছোট ছোট রঙের কৌটা...নীল, সবুজ, হলুদ। কল্পনায় যত উজ্জ্বল রং ভাবা যায়, সব।

বিশ্বকাপ ফুটবল শুরু হওয়ার আগে ব্রাজিলের শহরগুলো রঙিন হয়ে ওঠে। নিজ নিজ এলাকায় দেয়ালচিত্র ও আলপনা আঁকার একটা প্রতিযোগিতা শুরু হয়। ১৯৮২ সালের বিশ্বকাপে আমার এলাকার অন্য শিশুদের মতো আমিও রাস্তায় রং করতে নেমেছিলাম। ছোট-বড় সবাই মিলে দেয়ালচিত্র এঁকেছি। কত রং, কত ছবি—পাখি, ব্রাজিলের পতাকা, জাতীয় দলের খেলোয়াড়।

আমাদের পাড়ায় রেনাটো নামে এক বৃদ্ধ লোক থাকতেন। তাঁর কথা এখন আর খুব ভালো মনে নেই। শুধু মনে আছে, ছোটবেলায় তাঁকে অনেক বড় দেখাত। তিনি সম্ভবত বিমানবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ছিলেন। আঁকাআঁকি শেষ হলে তিনি ফ্রেঞ্চ ফ্রাই আর সোডা কিনে দিতেন। সে সময় এটা ছিল বিরাট ব্যাপার। এ রকম খাবার আমাদের খুব বেশি খাওয়ার সুযোগ হতো না। বন্ধুদের সঙ্গে ফ্রেঞ্চ ফ্রাই আর সোডা খেতে খেতে ফুটবল ম্যাচ দেখা, আর মনে মনে ভাবা, একদিন আমিও বড় ফুটবলার হব...সে এক অদ্ভুত সময়! এমন একটা দিনও বোধ হয় কাটেনি, যেদিন ফুটবল নিয়ে কোনো কথা হয়নি।

সত্যি বলছি, পাঁচ বছর বয়স হওয়ার আগেই দেখেছি, আমার পৃথিবীটা ফুটবলময়। এটা আমি ঠিক বোঝাতে পারব না। ফুটবল আমার হৃদয়ে শুরু থেকেই ছিল। আমি ফুটবলার হতে চাই—ছেলেবেলায় এই কথা বলা খুব সহজ। কিন্তু এ কথাটার মানে তখন খুব ভালো জানতাম না। বুঝতাম না, এটা কত বড় একটা ব্যাপার। আমি শুধু নিশ্চিন্ত মনে রঙের কৌটায় তুলি ডোবাতাম। হাত দুটো রঙে মাখামাখি করতাম। আর দেয়ালে আঁকা জিকোর ছবিটা আমার দিকে তাকিয়ে থাকত।

তখন জানতাম না, সময় কত দ্রুত কেটে যায়। কীভাবে একটা স্বপ্নই জীবন হয়ে ওঠে।

পাড়ার অন্য ছেলেদের মতো আমি কেবল ফুটবল খেলতাম। সারা দিন...সারা দিন খেলতাম। পেছনে তাকালে মনে হয়, অন্য ছেলেদের তুলনায় আমি ব্যতিক্রম ছিলাম স্রেফ একটা কারণে। সবাই মনে মনে বিশ্বসেরা ফুটবলার হতে চাইত, আর আমি সত্যিই মন থেকে সেটা বিশ্বাস করতাম—একদিন আমি পৃথিবীর অন্যতম সেরা খেলোয়াড় হব! জীবনের প্রথম ফুটবলে লাথি মারার সময় থেকে শুরু করে এটাই ছিল আমার লক্ষ্য।

ছোটবেলায় দুই ভাইয়ের সঙ্গে খেলার সময় আমি গোল করলেই ওরা চিৎকার করে উঠত, ‘দাদাদোওওওও!’ সে সময় রোনালদো শব্দটা উচ্চারণ করতে আমার সমস্যা হতো। এটা শোনাত অনেকটা ‘দাদাদো’র মতো। সেই থেকে আমার ডাকনাম হয়ে গিয়েছিল দাদাদো।

খেলা শেষে ভাইয়েরা যখন ঘরে ঢুকে পড়ত, তখন আমি একাই খেলতাম। ফুটবলে লাথি মারতাম। একবার ডান পায়ে, এরপর বাঁ পা, ডান পায়ে, বাঁ পায়ে...। বাড়িতে একটা উঠান ছিল। আর আমার চাওয়া ছিল শুধু এটুকুই—ফুটবল খেলার একটা জায়গা। পেয়ারা, আম...আরও নানা ফলের গাছ ছিল। ভাইয়েরা চলে গেলে আমি গাছগুলোর সঙ্গে ড্রিবলিং করতাম।

১৯৯৪ সাল। ব্রাজিল দলের সঙ্গে প্রথম বিশ্বকাপে গেলাম। আগেই বলেছি, সময় কেটে গেছে খুব দ্রুত। পেশাগত ফুটবলার হতে কী কী করতে হয়, আমি কিছুই জানতাম না। কোনো পরিকল্পনা ছিল না, হ্যান্ডবুক ছিল না। যেন আমার উঠানে কিংবা স্কুলের মাঠে খেলতে খেলতে হঠাৎ এক দিন আবিষ্কার করলাম, আমি বেবেতোর সঙ্গে অনুশীলন করছি!

সেই বিশ্বকাপে আমি মাঠে এক মিনিটের জন্যও খেলার সুযোগ পাইনি। কিন্তু নোট নিয়েছি, তথ্য সংগ্রহ করেছি। জানতাম, বিশ্বকাপের মাঠে আমি আবার ফিরে আসব।

১৯৯৮-এর বিশ্বকাপের সময় আমার বয়স মাত্র ২১। তখনো স্রেফ মজা করে ফুটবল খেলতাম। ফাইনালে পৌঁছানোর আগে আমি সেবার ৪ গোল করেছিলাম। কিন্তু ফাইনালের দিন আমার কী যেন কী হলো, ঠিক বর্ণনা করতে পারব না। ভীষণ অসুস্থ হয়ে বিছানায় পড়ে রইলাম। খুব ভালো মনে নেই। শেষ পর্যন্ত কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে চিকিৎসকেরা আমাকে খেলার অনুমতি দিলেন।

অবশ্যই ভালো খেলতে পারিনি। দিন শেষে ফ্রান্সের সঙ্গে আমরা ৩-০ গোলে হেরেছি।

সময়টা খুব খারাপ ছিল। কিন্তু আমার ভেতর তখন তারুণ্যের জয়গান। মনে মনে বলছিলাম, আরও কত বিশ্বকাপ আসবে, কত সুযোগ সামনে পড়ে আছে! জীবনটা তো এমনই, তাই নয় কি?

সে বছরই আমার হাঁটুতে খুব খারাপভাবে আঘাত পেলাম। কেউ কেউ বলেছিল, আমি আর কোনো দিন ফুটবল খেলতে পারব না। আমি আর কোনো দিন হাঁটতে পারব না, এমনটাও বলেছিল কেউ কেউ।

শুরু হলো কঠিন পরীক্ষা।

ফুটবল খেলতে গিয়ে অনেক কিছুই আমাকে বিরক্ত করেছে। একের পর এক ভ্রমণ, দীর্ঘ অপেক্ষা...কিন্তু মাঠের সময়টুকু আমি সব সময় উপভোগ করেছি। হোক সেটা ক্লাবের খেলা, জাতীয় দলে খেলা, আমি সব সময় সেই ছেলেমানুষি আনন্দটাই পেয়েছি। আমার মনে হতো জীবনের শুরু হয়েছে ফুটবল মাঠে, শেষও এখানেই। তাই যখন হাঁটুটা গুঁড়িয়ে গেল, মনে হলো আমার জীবনটাও যেন এখানেই শেষ।

অতএব জীবন ফিরে পেতে যা কিছু করার, আমি সব করলাম। যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে চিকিৎসকদের সঙ্গে দেখা করলাম। পৃথিবীর নানা প্রান্তে গেলাম। নিজেকে ফিরে পেতে পেতেই কেটে গেল প্রায় তিন বছর। আমি জানতাম, ২০০২ সালের বিশ্বকাপ আসছে সামনে। কিন্তু শিরোপা, গোল...এসব কিছুই আমাকে অনুপ্রাণিত করেনি। আমি শুধু পায়ে ফুটবল পাওয়ার অনুভূতিটা মনেপ্রাণে ফিরে পেতে চেয়েছি। অবশেষে ১৯৯৮ সালের বিশ্বকাপের চার বছর পর, এবং আমার ইনজুরির তিন বছর পর আবার মাঠে ফিরলাম।

জার্মানির সঙ্গে ফাইনালের আগে একটা বিস্ময়কর ঘটনা ঘটল। আমরা যখন চেঞ্জিং রুমে ঢুকেছি, ম্যানেজার লুই ফিলিপ স্কলারি বললেন, টিভিতে তিনি আমাদের একটা কিছু দেখাতে চান। আমরা পরস্পর মুখ চাওয়া-চাওয়ি করলাম। বুঝলাম না কী হচ্ছে। চেঞ্জিং রুমে টিভি—ব্যাপারটা খুব স্বাভাবিক নয়।

‘বসো।’ লুই বললেন, ‘আমি তোমাদের কিছু দেখাতে চাই।’

তিনি টিভি অন করলেন। দেখলাম ব্রাজিলের টিভি চ্যানেল গ্লোবো থেকে নেওয়া একটা ভিডিও ক্লিপ। আমরা যেহেতু জাপানে খেলছিলাম, অনেক দিন নিজ দেশের টিভি চ্যানেল দেখা হয়নি।

টিভির অনুষ্ঠানটিতে একে একে আমাদের প্রত্যেকের গ্রামের বাড়ি দেখানো হচ্ছিল। আমরা সবাই টিভিতে দেখলাম, কীভাবে আমাদের প্রতিবেশীরা বিশ্বকাপটা উদ্‌যাপন করছে। একসময় ওরা আমার গ্রাম বেনতো রিবেরিওতে পৌঁছাল। যে রাস্তায় আমি ফুটবল খেলতাম, যে দেয়ালকে গোলপোস্ট বানিয়ে আমি ফুটবলে লাথি মারতাম, সব চলে এল আমার চোখের সামনে।

আমি দেখলাম, ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা দেয়ালে আমার ছবি এঁকেছে, ঠিক যেমনটা একসময় আমি আঁকতাম।

মাঠে নামার আগে এটাই ছিল আমাদের শেষ প্রস্তুতি।

হাফ টাইমের পর স্কোরবোর্ডে তখন ০-০। অথচ আমাদের মধ্যে কোনো দুশ্চিন্তা কাজ করছিল না। সত্যি বলছি, আমরা নিজেদের মধ্যে খুব বেশি কথা বলিনি। তেমন কোনো পরিকল্পনাও ছিল না। কী করতে হবে, আমরা জানতাম। জানতাম, আমরা গোল করব এবং জিতব। কেবল এই বিশ্বাসটা আমাদের মধ্যে ছিল।

টুর্নামেন্টজুড়েই আমরা ভেবেছি: প্রতিটা ম্যাচ আমাদের। আমরা যে সেরা, এটা কাউকে বলতে হয়নি; দলের সবাই অনুভব করেছে। আমার জীবনের সেরা দল সম্ভবত এটাই। অন্যদের জন্য ব্যাপারটা কেমন আমি জানি না। কিন্তু আমার কাছে মনে হয়, চাপ যত বাড়ে, খেলা তত সহজ হয়। আমি আশপাশটা আরও পরিষ্কার দেখতে পাই।

আমি শুধু মনকে শান্ত রেখেছি। আর বুক ভরে দম নিয়েছি। আমার মনে হয় ভালো স্ট্রাইকারের গুণ এটাই: আবেগে টইটম্বুর থাকো, কিন্তু সেটা নিয়ন্ত্রণ করার কৌশলটাও জানো।

২০১১ সালে আমাকে একটা কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হলো। জানতাম, একদিন ফুটবলকে বিদায় জানাতেই হবে। অন্তত মাঠে আমার সময় ফুরাবে। কিন্তু ফুটবল একটা নেশা। খেলোয়াড়দের জন্য, ভক্তদের জন্য, সবার জন্য। সে জন্যই এটা পৃথিবীর এত মানুষের মনোযোগ ধরে রাখে।

আমার সবচেয়ে ভালো লাগে তখন, যখন শুনি মেসি, নেইমার, ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর মতো খেলোয়াড়েরা বলে, তাঁদের জীবনে আমার যথেষ্ট প্রভাব আছে। ছোটবেলায় ওরা আমার মতো হতে চেয়েছে। ঠিক যেমন আমি ছেলেবেলায় জিকোর মতো হতে চাইতাম। ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা, পর্তুগাল, সুইডেনের ছেলেমেয়েরা আমার মতো খেলোয়াড় হতে চায়, এই আবেগটা আমি খুব ভালো বুঝতে পারি।

আমার কাছে এটাই সবচেয়ে সুন্দর। এটাই ফুটবল।

শেষ করব একটা কথা বলে: আমি আমার স্বপ্নে বেঁচেছি। পৃথিবীতে কয়টা মানুষই বা এ কথা বলার সুযোগ পায়? এত রং দেখার, এত রঙের মধ্যে বাঁচার সুযোগ কজনেরই বা হয়!

42
মোবাইল অ্যাপে ১০ শতাংশ ছাড় ঘোষণা নভোএয়ারের:
ঈদ উপলক্ষে টিকেটের মূল্যে ১০% ছাড়ের ঘোষণা দিয়েছে দেশের বেসরকারি বিমান সংস্থা নভোএয়ার। এই অফারটি পেতে যাত্রীদের নভোএয়ার এর মোবাইল অ্যাপে প্রমো কোড অপশনে NOVOAIRAPP লিখে টিকেট ক্রয় করতে হবে।
 
অ্যাপল এবং অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোন ব্যবহারকারীরা অ্যাপ স্টোর এবং প্লে-স্টোর থেকে নভোএয়ার লিখে সার্চ দিয়ে এই অ্যাপটি ডাউনলোড করতে পারবেন। যাত্রীদের টিকেট প্রাপ্তিকে আরও সহজ ও স্বাচ্ছন্দময় করার উদ্দেশ্যে নভোএয়ার মোবাইল এপ্লিকেশন সেবা চালু করেছে।
 
নভোএয়ার এর মোবাইল অ্যাপ এর মাধ্যমে যাত্রীরা তাদের টিকেট বুকিং ও ক্রয়, ফ্লাইট সম্পর্কিত তথ্য, ফ্রিকোয়েন্ট ফ্লাইয়ার প্রোগ্রাম-স্মাইলস সম্পর্কিত যাবতীয় তথ্য ও সেবা নিতে পারবেন। এ ছাড়া  নভোএয়ার এর রিজার্ভেশন ও টিকেটিং বিভাগে সরাসরি যোগাযোগের মাধ্যমে সকল তথ্য জানতে পারবেন। অ্যাপ ডাউনলোডের জন্য http://bit.ly/NOVOAIR. বিজ্ঞপ্তি

43
বিনামূল্যে নাগরিক সমস্যার সমাধান দেবে ডিজিটাল মানুষ:
নাগরিক এই কর্মব্যস্ত জীবনে প্রতিনিয়ত সম্মুখীন হতে হচ্ছে নানান সমস্যার। আপনি হয়তো অফিসে ব্যস্ত সময় পার করছেন, এইদিকে আপনার বাসার ফ্রিজটি কাজ করছে না, ওভেনটিতে সমস্যা, বৈদ্যুতিক লাইনে ত্রুটি বা আাপনার টয়লেটের ফ্লাশটি কাজ করছে না, আবার আশপাশেও পরিচিত কেউ নেই।
 
এসব জটিল সমস্যার সমাধান এখন আপনার হাতের মুঠোয়। শুধু আপনার ফোনে কয়েকটি বাটন চেপে নিমিষে আপনার সমস্যার সমাধান করে দেওয়ার মতো মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ করে নিতে পারবেন।
 
এসব সমস্যার সামধান দিতে রয়েছে এক ঝাঁক ডিজিটাল মানুষ। ডিজিটাল মানুষ বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় অ্যাপভিত্তিক সার্ভিস প্ল্যাটফর্ম।
 
ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ছাত্র মো. খন্দকার আলিফ ডিজিটাল মানুষ অ্যাপভিত্তিক এই প্লাটফর্মের সিইও এবং প্রতিষ্ঠাতা। তিনি জানান, আমরা সত্যিই আনন্দিত যে, রাজধানী ঢাকা শহরের ৯০ ভাগের বেশি এলাকায় ডিজিটাল মানুষ অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করে তাদের স্বাচ্ছন্দ জীবন উপভোগ করছে। সার্ভিসটি সম্পূর্ণ বিনামূল্যে দিতে কাজ করছেন ৬০০০ এর বেশি  দক্ষ ও অভিজ্ঞ মানুষ। আমরা চট্টগ্রাম, সিলেট, নারায়ণগঞ্জ, খুলনা ময়মনসিংহেও কাজ করছি। আমরা ২০১৯ সালের মধ্যে সমগ্র বাংলাদেশে ছড়িয়ে যাব আশা করছি।
 
মো. খন্দকার আলিফ আরও জানান, ডিজিটাল মানুষ তার ব্যক্তিগত অর্থায়নে পরিচালিত। সম্প্রতি বাংলাদেশ ভেঞ্চার ক্যাপিটাল লিমিটেড (বিবিসিএল) এবং ডিজিটাল মানুষ সিড ফান্ড গঠনের জন্য একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে।
 
ডিজিটাল মানুষ হল এমন একটি অ্যাপসভিত্তিক সার্ভিস প্ল্যাটফর্ম যেখানে সার্ভিস প্রোভাইডার এবং ক্লায়েন্টরা তাদের প্রয়োজনীয় সার্ভিসটি আদান-প্রদানের জন্য যোগাযোগ করে থাকেন।দৈনিক বাসা বাড়ি বা অফিসের প্রয়োজনে ডিজিটাল মানুষ প্লাটফর্মে বিভিন্ন ক্যাটাগরির সার্ভিস রয়েছে।
 
এগুলো হলো- ইলেকট্রিশিয়ান, প্লাম্বার, এসি সার্ভিসিং, গ্যাস টেকনিশিয়ান, ওয়াটার ট্যাপ, ট্যাঙ্ক সার্ভিসং, বাড়ি বা অফিস স্থানান্তর, আইটি সার্ভিস, ওয়েব ডিজাইন ও ডেভলপমেন্ট, ইন্টিরিওর ডিজাইনসহ ৮০টা ক্যাটাগরির সার্ভিস।

44
টেলিভিশনে বিজ্ঞাপন দিয়ে গুপ্তচর হওয়ার আহবান :
প্রথমবারের মতো গোয়েন্দা নিয়োগে টেলিভিশনে বিজ্ঞাপন দিয়েছে ব্রিটিশ গোয়েন্দা সংস্থা এমআইসিক্স। বৃহস্পতিবার থেকে এই বিজ্ঞাপন ব্রিটেনের টিভি চ্যানেলগুলোতে প্রচার শুরু হয়েছে। মূলত সংস্থাটিতে বিভিন্ন গোষ্ঠীর কর্মীদের সংখ্যা বাড়িয়ে তুলতেই এই অভিনব উপায় অবলম্বন করেছে বিশ্বখ্যাত গোয়েন্দা সংস্থাটি। কারণ সর্বশেষ ২০১৬ সালের তথ্য মতে, সংস্থাটিতে কৃষ্ণাঙ্গ, এশিয়ান বংশোদ্ভূত মানুষজন এবং নারীদের সংখ্যা খুব কম। এ খবর দিয়েছে দ্য জাকার্তা পোস্ট ও বিবিসি।
 
বিবিসির খবরে বলা হয়, এমআইসিক্স’র ১১০ বছরের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো গুপ্তচর হওয়ার আহবান জানিয়ে টিভিতে প্রচারিত বিজ্ঞাপনটির সময়সীমা ৩৬ সেকেন্ড। বিজ্ঞাপনটির  শুরুটা দেখে মনে হবে যেন জেমস বন্ড সিনেমার কোন উত্তেজনাকর দৃশ্যের অবতারণা হতে যাচ্ছে। বিশাল আকৃতির হাঙর সাতরে বেড়াচ্ছে নীল রঙের পানিতে। রহস্যময় আবহসঙ্গীত শোনা যাচ্ছে। কিন্তু তারপর দেখা গেলো একজন নারী তার শিশুকে নিয়ে গেছেন লন্ডনের একটি অ্যাকুরিয়ামে।
 
বিজ্ঞাপনে এটাই বলার চেষ্টা করা হয় যে, গুপ্তচর মানেই হাঙরের সামনে বাহাদুরি দেখানো নয়। আমরা গুপ্তচর, কিন্তু আমরা আপনাদের মতোই সাধারণ মানুষ।
 
বিজ্ঞাপনে আরো বোঝানোর চেষ্টা করা হয় যে, গোয়েন্দা হওয়ার মানে হচ্ছে, অন্যকে বোঝা। তাদেরকে ভিন্নভাবে দেখতে শেখানো। এটা হচ্ছে আপনার পরিচিত দুনিয়ার বাইরের জগত অনুসন্ধান করা। আর এমনটা করা যদি আপনার কাছে পরিচিত মনে হয় তাহলে তার কারণ হচ্ছে, আপনি তা প্রতিদিনই করে থাকেন।
 
সংস্থাটির প্রধান অ্যালেক্স ইয়ঙ্গার বলছেন, আমরা এমন মানুষজনকে গোয়েন্দা হিসেবে যাই যারা জীবনে কখনো এমন পেশায় যাওয়ার কথা চিন্তাও করেননি।
 
জেমস বন্ড সিনেমার কারণে গোয়েন্দা শব্দটির সাথে যে রোমাঞ্চকর অনুভূতি জড়িয়ে রয়েছে সেজন্য হয়ত বহু মানুষ এই পেশায় যোগ দিতে চান।
 
কর্মকর্তারা বলছেন, সম্প্রতি ব্রিটেনের একটি সলসবেরি শহরে রাশিয়ান একজন সাবেক গুপ্তচর ও তার মেয়েকে নার্ভ গ্যাস দিয়ে হত্যা চেষ্টার খবর সংবাদমাধ্যমে প্রকাশের পর থেকে সেখানে এমআইসিক্সে চাকরিতে আবেদনের পরিমাণ ব্যাপক বেড়ে গেছে।
 
তবে তারা বলছেন, জেমস বন্ড হয়ে উঠতে চাইলে হবে না। তারা একজন সফল গুপ্তচরের খোঁজ আরো বিস্তৃত করবেন।
 

বিজ্ঞাপনের শুরুর দিকের একটি দৃশ্য
 
সিনেমায় যা দেখা যায় বাস্তব তার ভিন্ন। গুপ্তচরেরা সমাজেরই মানুষ। বিশেষ করে নারী ও সংখ্যালঘুদের আকৃষ্ট করতে চাইছে এমআইসিক্স।
 
ব্রিটেনে একজন ইন্টেলিজেন্স অফিসারের বেতন শুরুর দিকে বছরে ৩৫ থেকে ৩৭ হাজার পাউন্ড। তবে তাকে নিয়োগের আগে ব্যাপক পরিমাণে যাচাই বাছাই প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে যেতে হবে। কেননা, রাষ্ট্রের নিরাপত্তার গুরুত্বপূর্ণ সব তথ্য নিয়ে তাকে কাজ করতে হবে। অথবা এমন অনেক তথ্য থাকবে তার হাতের নাগালে।
 
আগে ব্রিটেনে গোয়েন্দা হতে হলে প্রার্থী খাঁটি ব্রিটিশ কিনা এমন প্রমাণ করতে হতো। আবেদনকারীর বাবা মায়ের সেখানে জন্ম বাধ্যতামূলক ছিল। তবে এই ধারায় পরিবর্তন আসছে। অ্যালেক্স ইয়ঙ্গার বলছেন, সংস্থায় কর্মীদের মধ্যে বৈচিত্র্য আনতে জাতীয়তা বিষয়ক ধারা শিথিল করা হচ্ছে।
 
টিভিতে যে বিজ্ঞাপনটি প্রচারিত হয়েছে এমন আরো অনেক বিজ্ঞাপন ব্রিটেনের টিভি ও সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে প্রচারের পরিকল্পনা নিয়ে এগুচ্ছে এমআইসিক্স। জেমস বন্ড চরিত্রটি সংস্থাটির ইমেজ সারা বিশ্বে পৌঁছে দিলেও সমাজের সাধারণ মানুষজনকেই তারা গোয়েন্দা হিসেবে চান। যে সহজেই মিশে যাবে সমাজে অন্য সবার সাথে। যাকে দেখে হয়ত আপনার মনেই হবে না ঘটনার আড়ালে তার ভূমিকা কীভাবে আপনার জীবনে প্রভাব রাখছে।

45
পুষ্টি-ভিটামিনে ভরপুর যেসব শুকনো ফল:
প্রোটিন, ভিটামিন, খনিজ এবং ভক্ষণযোগ্য ফাইবারে পূর্ণ খাবার শুকনো ফল। মজাও অনেক। স্বাস্থ্যবিদরা শুকনো খাবার যেমন অ্যাপ্রিকট, ওয়ালনাট, পেস্তা, কাজু কিংবা আলমন্ড বাদামের জাদুকরী গুণের কথা বলেন। বলা হয়, এসব শুকনো ফল খেলেই আপনার দেহের পুষ্টির চাহিদার সবটুকু মিটে যাবে। এখানে বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন তেমনই কয়েকটি শুকনো এবং দারুণ স্বাস্থ্যকর খাবারের কথা।

আলমন্ড
অতি পরিচিত এক বাদাম। মিষ্টি এই বাদাম যেকোনো সময় খাওয়া যায়। অ্যান্টি-অক্সিডেন্টে ভরপুর। আবার কোলেস্টেরল শূন্য। কোষ্ঠকাঠিন্য, শ্বাসযন্ত্রে অসুবিধা এবং হার্টের যেকোনো সমস্যার জন্যে আলমন্ড খুবই উপকারী। আবার চুল, ত্বক এবং দাঁতের জন্যে এর প্রয়োজনের কথা বলাই বাহুল্য।

কাজু
আরেকটি পরিচিত বাদাম। ভিটামিন 'ই' এবং 'বি৬' এর অন্যতম উৎস। অন্যান্য স্বাস্থ্যগুণের কোনো কমতি নেই। বিভিন্ন ধরনের খাবারে অনায়াসে ব্যবহার করা যায়।

রাইজিন
এগুলো আসলে শুকনো আঙ্গুর ফল। মিষ্টিজাতীয় যেকোনো খাবারে তা ব্যবহার করা যায়। পুষ্টিকর ও মুখরোচক অন্যান্য খাবারের বেশ জনপ্রিয় উপকরণ। দেহের এসিডিটি কমাতে এবং হজমে সমস্যা মেটাতে বেশ কার্যকর এই মজার খাবার।

ওয়ালনাট
শক্ত খোলসে মোড়ানো এই বাদাম খুবই পুষ্টিকর। দেহের কার্যক্রম পরিচালনার অতি জরুরি ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড, ভক্ষণযোগ্য ফাইবার, প্রোটিন, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, ভিটামিন এবং খনিজ- কী নেই এতে?

পেস্তা
হৃদযন্ত্রের সুস্থতা রক্ষায় বেশ কার্যকর। দেহের ক্ষতিকর কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। ডায়াবেটিস প্রতিরোধ এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে এর গুণ সর্বজন স্বীকৃত।

খেজুর
যেকোনো ফলের দোকানে সারাবছর পাওয়া যায়। বিভিন্ন মিষ্টি খাবারের রেসিপিতে দরকার হয়। এই শুকনো ও জনপ্রিয় ফলে আছে ভিটামিন, প্রোটন, খনিজ এবং প্রাকৃতিক চিনি। বলা হয়, রক্তস্বল্পতা এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে খেজুর অনন্য।

Pages: 1 2 [3] 4 5 ... 17