Show Posts

This section allows you to view all posts made by this member. Note that you can only see posts made in areas you currently have access to.


Topics - khairulsagir

Pages: [1] 2 3 ... 10
1
সূরা আ'রাফঃ আর ক্ষমা করার অভ্যাস গড়ে তোল, সৎকাজের নির্দেশ দাও এবং মূর্খ জাহেলদের থেকে দূরে সরে থাক। (199) আর যদি শয়তানের প্ররোচনা তোমাকে প্ররোচিত করে, তাহলে আল্লাহর শরণাপন্ন হও তিনিই শ্রবণকারী, মহাজ্ঞানী। (200)

সূরা মু'মিনুনঃ মন্দের জওয়াবে তাই বলুন, যা উত্তম। তারা যা বলে, আমি সে বিষয়ে সবিশেষ অবগত। (96) বলুনঃ হে আমার পালনকর্তা! আমি শয়তানের প্ররোচনা থেকে আপনার আশ্রয় প্রার্থনা করি, (97)

সূরা হা-মীম সাজদাহ ঃ সমান নয় ভাল ও মন্দ। জওয়াবে তাই বলুন যা উৎকৃষ্ট। তখন দেখবেন আপনার সাথে যে ব্যক্তির শুত্রুতা রয়েছে, সে যেন অন্তরঙ্গ বন্ধু। (34) এ চরিত্র তারাই লাভ করে, যারা সবর করে এবং এ চরিত্রের অধিকারী তারাই হয়, যারা অত্যন্ত ভাগ্যবান। (35) যদি শয়তানের পক্ষ থেকে আপনি কিছু কুমন্ত্রণা অনুভব করেন, তবে আল্লাহর শরণাপন্ন হোন। নিশ্চয় তিনি সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞ। (36)


2
দ্য ওয়ার্ল্ড সোশ্যাল ওয়েবসাইট গত নভেম্বরে একটি চাঞ্চল্যকর প্রবন্ধ ছাপিয়েছে। পাবলিক লাইব্রেরি অব সায়েন্সের বরাত দিয়ে ওয়েবসাইটটি লিখেছে যে সুগার ইন্ডাস্ট্রিগুলো তাদের বাণিজ্যিক স্বার্থে বিজ্ঞানকে নোংরাভাবে ম্যানিপুলেট বা ব্যবহার করেছে। ১৯৫০ ও ১৯৬০-এর দশকে পরিচালিত বৈজ্ঞানিক গবেষণায় প্রমাণিত হয় যে চিনি হলো করোনারি হার্ট ডিজিজ, স্ট্রোক ও ব্লাডার ক্যান্সারের প্রধান কারণ। ১৯৬৫ সালে গোপনীয় তথ্য পর্যালোচনা করতে গিয়ে ক্রিস্টিন ই কের্নস, ডরি অ্যাপোলোনিও এবং স্ট্যান্টন এ গ্ল্যাল্টস প্রকাশ করেন যে সুগার রিসার্চ ফাউন্ডেশন যুক্তরাজ্যে গোপনে একটি গবেষণা প্রকল্পে অর্থায়ন করে। সেই গবেষণা প্রকল্পের ফলাফলে দেখা যায়, চিনি শরীরের ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রা মাত্রাতিরিক্তভাবে বাড়িয়ে দেয়, যা হৃদেরাগ ও হার্ট অ্যাটাকের জন্য মুখ্য ভূমিকা পালন করে থাকে। গবেষণায় আরো প্রমাণিত হয় যে মাত্রাতিরিক্ত চিনি গ্রহণের ফলে প্রস্রাবে বিটাগ্লুকোরোনাইডেজ এনজাইমের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়, যার সঙ্গে ব্লাডার ক্যান্সারের গভীর সম্পর্ক রয়েছে। প্রাথমিক ফলাফল পর্যালোচনার পর সুগার রিসার্চ ফাউন্ডেশন দেখল, হার্ট অ্যাটাক ও ব্লাডার ক্যান্সারের জন্য চিনিকে দায়ী করা হলে তাদের চিনি ব্যবসার ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে এবং মুনাফায় ধস নামবে। তাই তারা বার্মিংহাম বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিচালিত গবেষণা প্রকল্পে অর্থায়ন বন্ধ করে দেয়, ফলে গবেষণা আর সামনে এগোয়নি এবং ফলাফলও প্রকাশ না করে গবেষণা প্রকল্পকে কবর দিয়ে দেওয়া হলো।

কিন্তু শেষ রক্ষা হলো না। ২০১৬ সালে সেই গোমর ফাঁস হয়ে গেল। কারণ ওই বছর দ্য জার্নাল অব দ্য আমেরিকান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের ইন্টারনাল মেডিসিন বিভাগ ‘সুগার ইন্ডাস্ট্রি অ্যান্ড করোনারি হার্ট ডিজিজ রিসার্চ : আ হিস্টোরিক্যাল অ্যানালিসিস অব ইন্টারনাল ইন্ডাস্ট্রি ডকুমেন্টস’ শীর্ষক একটি চাঞ্চল্যকর প্রবন্ধ প্রকাশ করে। এই প্রবন্ধের লেখকরা ছিলেন কের্নস, লরা এ স্মিডট এবং গ্ল্যাস্টস। অতীতে ড. গ্ল্যাস্টস যুগ যুগ ধরে তামাক কম্পানিগুলোর ধূমপানের কারণে ক্যান্সার ও হৃদেরাগের কারণগুলো ধামাচাপা দেওয়ার অপচেষ্টাকে প্রকাশ করে দিয়েছিলেন।

ওয়ার্ল্ড ক্যাট (World CAT) নামের একটি গ্লোবাল ক্যাটালগ বিভিন্ন লাইব্রেরির সংগ্রহ থেকে পরিশোধিত চিনি ব্যবসায়ী গ্রুপের, যা পরবর্তী সময়ে সুগার অ্যাসোসিয়েশন হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে, কর্মকাণ্ডের দলিল খুঁজে বের করে। এ ছাড়া দ্য ন্যাশনাল একাডেমি অব সায়েন্সেস, দ্য ন্যাশনাল রিসার্চ কাউন্সিল, দ্য ইউএস পাবলিক হেলথ সার্ভিসেস, আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশন এবং দ্য আমেরিকান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন থেকেও গবেষকরা পর্যাপ্ত দলিলপত্র খুঁজে পেতে সমর্থ হন।

দ্য জার্নাল অব আমেরিকান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের ইন্টারনাল মেডিসিন বিভাগের গবেষকরা ১৯৫০ এবং ১৯৬০-এর দশকে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়, ইলিনয় বিশ্ববিদ্যালয়সহ অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের আর্কাইভ থেকে এমন সব গুরুত্বপূর্ণ  দলিলপত্র আবিষ্কার করেন, যার মধ্যে সুগার ইন্ডাস্ট্রি ও সুগার অ্যাসোসিয়েশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং কিছু গবেষণা প্রতিষ্ঠানের গবেষকদের অশুভ যোগাযোগের তথ্য-প্রমাণ লিপিবদ্ধ ছিল। এসব দলিলপত্র থেকে সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয় যে চিনি গ্রহণের সঙ্গে করোনারি হার্ট ডিজিজ বা হৃদেরাগ ও হার্ট অ্যাটাকের সরাসরি সম্পর্ক রয়েছে।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের আগে এবং এর পরে অর্থাৎ ১৯৫০-এর দশক থেকেই স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ এবং পুষ্টিবিদরা জোর দিয়ে বলে এসেছেন যে মাত্রাতিরিক্ত পরিশোধিত চিনি, শর্করা, আলু, ভাত, রুটির মতো পরিশোধিত শর্করা খাওয়ার কারণে মানুষের ওজন বাড়াসহ স্থূলতার হার বেড়ে যায়। সঙ্গে সঙ্গে ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রের গবেষকরা গুরুত্ব দিয়ে বলা শুরু করেন যে অতিমাত্রায় চিনি গ্রহণ করার কারণে হার্ট ডিজিজ, ডায়াবেটিস, হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের মতো প্রাণঘাতী রোগের সৃষ্টি করে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর চিনি ও চিনিসমৃদ্ধ খাবার ও কোমলপানীয় সেবনের সঙ্গে সঙ্গে হৃদেরাগ, স্ট্রোক ও হার্ট অ্যাটাকের হারও ভয়ংকরভাবে বাড়তে থাকে।

হৃদেরাগ, স্ট্রোক ও হার্ট অ্যাটাকের মূল কারণ প্রকাশ হতে শুরু করার সঙ্গে সঙ্গে গবেষকদের সঙ্গে সুগার ইন্ডাস্ট্রি, সুগার অ্যাসোসিয়েশনের কর্মকর্তাদের বিপরীতধর্মী যুদ্ধ শুরু হয়ে গেল। চিনির ভবিষ্যৎ সংকটাপন্ন দেখে এর স্বার্থ সংরক্ষণে সুগার অ্যাসোসিয়েশন ১৯৫৪ সালে বৈজ্ঞানিক গবেষণা ও এর ফলাফলের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করে প্রচারণা শুরু করে।

সুগার অ্যাসোসিয়েশনের বিষোদগারের মূল টার্গেট ছিল—জন ইউদগিন। জন ইউদগিন ছিলেন লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ের কুইন এলিজাবেথ কলেজের পুষ্টিবিদ্যার অধ্যাপক। তিনি ১৯৭২ সালে তাঁর গ্রুপের গবেষক কর্তৃক পরিচালিত গবেষণার ফলাফল নিয়ে ‘Pure, White and Deadly, How sugar is killing us and what we can do to stop it’ (পরিশুদ্ধ, সাদা, প্রাণঘাতী চিনি আমাদের কিভাবে হত্যা করেছে এবং তা প্রতিরোধ করার জন্য আমরা কী করতে পারি) শীর্ষক একটি বৈজ্ঞানিক প্রবন্ধ প্রকাশ করেন।

গবেষণার ফলাফলে ইউদগিন দেখান যে বিশ্বব্যাপী হৃদেরাগের হার বৃদ্ধির সঙ্গে পরিশোধিত চিনি গ্রহণের গভীর সম্পর্ক রয়েছে। একইভাবে সুক্রোজ (গ্লুকোজ ফ্রুুুকটোজের সমন্বয়ে গঠিত ডাইস্যাকারাইড) খাওয়ার সঙ্গে হার্ট অ্যাটাকের সম্পর্কের কথা প্রকাশ করেন ইউএস আইওয়া গ্রুপের গবেষক আলফ্রেডো লোপেজ, রবার্ট হোজেজ এবং উইলার্ড ক্রেল।

১৯৬৫ সালের ১১ জুলাই নিউ ইয়র্ক হেরাল্ড ট্রিবিউন অ্যানালস অব ইন্টারনাল মেডিসিন কর্তৃক প্রকাশিত ফলাফল নিয়ে একটি পুরো পৃষ্ঠার প্রবন্ধ ছাপায়। প্রবন্ধে তারা উপসংহারে আসে যে নতুন গবেষণা সুক্রোজ ও হার্ট অ্যাটাকের সম্পর্ককে গভীরভাবে শক্তিশালী করেছে।

আর্কাইভের দলিলপত্র পরীক্ষা করতে গিয়ে গবেষকরা দেখতে পান যে সুগার ইন্ডাস্ট্রি হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের পাবলিক হেলথ নিউট্রিশন বিভাগের প্রধান ফ্রেড্রিক স্ট্যারকে সুগার অ্যাডভাইজারি বোর্ডে যোগ দেওয়ার জন্য ভাড়া করেন। ১৯৪৩ সালে ফ্রেড্রিক স্ট্যার সুগার অ্যাডভাইজার বোর্ডে যোগদান করেন এবং ১৯৪৩ সাল থেকেই ফ্রেড্রিক স্ট্যার তাঁর বিভাগের জন্য খাদ্য কম্পানিগুলো থেকে নিয়মিত আর্থিক অনুদান পেয়ে আসছিলেন এবং দ্য ন্যাশনাল একাডেমি অব সায়েন্সেস, দ্য ন্যাশনাল হার্ট ইনস্টিটিউট এবং আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশনের পরামর্শক হিসেবে কাজ করে আসছিলেন। সুগার অ্যাসোসিয়েশন এবং তাঁর ভাইস প্রেসিডেন্ট জন হিকসন সুগার প্রজেক্ট-২২৬ নামের একটি প্রজেক্ট শুরু করেন এবং ফ্রেড্রিক স্ট্যারসহ ডি. মার্ক হেগস্টেড ও রবার্ট ম্যাকগেন্ডি নামের হার্ভার্ডেও আরো দুজন গবেষককে ভাড়া করেন। তাঁরা পরবর্তী সময়ে চিনির গুণাগুণ গেয়ে অনেক বৈজ্ঞানিক প্রবন্ধ বিভিন্ন জার্নালে প্রকাশ করেন।

সুগার অ্যাসোসিয়েশন এই ভাড়া করা গবেষকদের চিনির পক্ষে সাফাই গাওয়ার জন্য এবং চিনির দোষ চর্বি ও কোলেস্টেরলের ঘাড়ে চাপানোর জন্য ছয় হাজার ৫০০ মার্কিন ডলার (২০১৬ সালের হিসাবে ৪৮ হাজার ৯০০ মার্কিন ডলার) ঘুষ দেন।

২০১৬ সালের ১২ সেপ্টেম্বর ‘দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস’ পত্রিকা আনাহাদ ও’কোনোর How the Sugar Industry Shifted Blame to Fat (কিভাবে চিনি কম্পানি চর্বির ওপর দোষ চাপাল) শীর্ষক এক প্রবন্ধ লিখেছিলেন। সমসাময়িককালে আমেরিকার ‘জার্নাল অব আমেরিকান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন ইন্টারনাল মেডিসিনে’ চিনিসংক্রান্ত এই অবিশ্বাস্য কেলেঙ্কারি উদ্ঘাটিত হয়। এই খ্যাতনামা জার্নালটি ফাঁস করে দেয় যে ১৯৬৭ সালে ‘দ্য নিউ ইংল্যান্ড জার্নাল অব মেডিসিনে’ প্রকাশিত হার্ভার্ডের গবেষণা প্রবন্ধে চিনিকে বাদ দিয়ে হার্ট অ্যাটাকের জন্য একতরফাভাবে চর্বি ও কোলেস্টেরলকে দায়ী করার ঘটনাটি ছিল দুরভিসন্ধিমূলক।

পরিমিত চর্বি, কোলেস্টেরল হার্ট অ্যাটাকের মূল কারণ নয়। অতিমাত্রায় চিনি খাওয়ার ফলে মানুষ অসুস্থ হয় অথবা কার্ডিয়াক ফেইলিওরের কারণে মারা যায়। ডায়াবেটিকের রোগীদের হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকে বেশি মারা যাওয়ার সঙ্গে চিনির সম্পর্ক গভীর। কোলেস্টেরল ছাড়া একদণ্ডও আমাদের শরীর চলে না। অথচ এই মহা উপকারী কোলেস্টেরলকে মহা কালপ্রিট বানিয়ে ছাড়ল ঘুষখোর দুই গবেষক। হৃদেরাগ, হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক, ডায়াবেটিস, স্থূলতা, শরীরের প্রতিরোধক্ষমতা হ্রাস, কিডনি ফেইলিওরসহ অসংখ্য রোগের উৎপত্তির কারণ চিনি। চিনি হৃৎপিণ্ডের রক্তনালির অভ্যন্তরীণ দেয়ালে প্রদাহ সৃষ্টি করার মাধ্যমে ক্ষত সৃষ্টি করে। এই ক্ষতে আঁশ, প্লেটিলেট, লাইপোফেইজ, চর্বি ও ক্ষতিকর কোলেস্টেরল ও ট্রান্স ফ্যাট জমে গিয়ে ইশকিমিয়া ও মাইওকার্ডিয়াল ইনফার্কশন সৃষ্টি করে। ক্ষতিকর কোলেস্টেরল বলতে ‘ব্যাড কোলেস্টেরল’ বা এলডিএলকে বোঝায় না। ক্ষতিকর কোলেস্টেরল হলো ওসব পরিবর্তিত রাসায়নিক কোলেস্টেরল যৌগ, যা কোলেস্টেরলসমৃদ্ধ খাবারকে ১২০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রায় অনেকক্ষণ রান্না করলে বা পোড়ালে অক্সিডেশনের মাধ্যমে প্রস্তুত হয়।

চিকিৎসাবিজ্ঞানী ও চিকিৎসকরা যুগ যুগ ধরে বলে এসেছেন এবং এখনো অনেকেই বলছেন, কোলেস্টেরলের কারণে হার্ট অ্যাটাক হয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে চিকিৎসকরা অনন্তকাল থেকে রোগীদের কোলেস্টেরলের মাত্রা কমানো এবং চর্বিজাতীয় খাবার না খেতে পরামর্শ দিয়ে আসছেন। চিকিৎসকদের ধারণা, চর্বিজাতীয় খাবার কম খেলে এমনিতেই রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমে আসবে। কিন্তু এই ধারণা সত্যি নয়। কারণ শরীরে কোলেস্টেরল বৃদ্ধির মূল কারণ চর্বিজাতীয় খাবার নয়, বরং অত্যধিক পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট বা শর্করাজাতীয় খাবার খাওয়া। এ প্রসঙ্গে আমার বক্তব্য হলো, শরীরে অতিমাত্রায় কোলেস্টেরল বা এলডিএল তৈরি হতে পারে না যদি কেউ সব কিছু পরিমিত খায় বা গ্রহণ করে। আর  কোলেস্টেরলই হার্ট অ্যাটাকের একমাত্র কারণ নয়। মাত্র কয়েক বছর আগে আবিষ্কৃত হলো, হৃৎপিণ্ডের শিরা-উপশিরার দেয়ালে প্রদাহ সৃষ্টিই হৃদেরাগের মূল কারণ। মস্তিষ্কের শিরা-উপশিরার দেয়ালে অনুরূপ প্রদাহ সৃষ্টি স্ট্রোকের কারণ।

শরীর, মস্তিষ্ক ও হৃৎপিণ্ডকে সুস্থ রাখার জন্য পরিশোধিত চিনি, পরিশোধিত আটা, ময়দা এবং এসব শর্করা থেকে প্রস্তুত যাবতীয় প্রক্রিয়াজাত খাবার কম খেতে হবে বা পরিহার করতে হবে। শিরা-উপশিরার প্রদাহ সৃষ্টির ক্ষেত্রে চিনি বা বিভিন্ন শর্করা বা চিনিসমৃদ্ধ খাবার এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। পরিশোধিত চিনি বেশি খাওয়া হলে তা অতি দ্রুত রক্তপ্রবাহে পৌঁছে যায়।

রক্তে ভেসে বেড়ানো কোটি কোটি গ্লকোজ অণু শিরা-উপশিরার দেয়ালে অনবরত আঘাত হানে, আহত করে এবং পরিণতিতে প্রদাহ ও ক্ষতের সৃষ্টি হয়। এ কারণেই ডায়াবেটিকের রোগীরা অত্যধিকভাবে স্ট্রোক ও হার্ট অ্যাটাকের শিকার হয়।

অবজ্ঞা, অবহেলা, সময়মতো পরীক্ষা-নিরীক্ষা না করা, পরিমিত পুষ্টিকর সুষম খাবার না খাওয়া, ধূমপান পরিহার না করা, ব্যায়াম না করা, পর্যাপ্ত ঘুম না হওয়া, পর্যাপ্ত পানি পান না করা, লাইফস্টাইল পরিবর্তন না করা, দুশ্চিন্তামুক্ত জীবন যাপন না করা ও সৃষ্টিকর্তার প্রতি অগাধ বিশ্বাস না রাখার কারণে আমরা স্ট্রোক ও হৃদেরাগের মতো জটিল রোগে আক্রান্ত হই। সুস্থ থাকা আল্লাহর এক অশেষ নিয়ামত। তাই নিয়মতান্ত্রিক জীবন যাপন ও লাইফস্টাইল পরিবর্তন করে সবাই সুস্থ থাকার ব্রত গ্রহণ করবেন—এটাই প্রত্যাশা করি।




Source: https://www.kalerkantho.com/print-edition/muktadhara/2019/02/06/734122?fbclid=IwAR0qdboVKvEvcezgcVsDVezYKJNUs4OJfYpzOVPodbSaB8LXW33obHsIP0o

3
নতুন আরেকটি ভাষা শিখতে চান? ভাবছেন বয়সটা একটু বেশি হয়ে গেল? তাহলে আপনার জন্য সুখবর নিয়ে এসেছেন ইসরায়েলের একদল গবেষক। শিশু বয়সই ভাষা শেখার জন্য উপযুক্ত সময়, এমন চিরাচরিত ধারণা ভেঙে দিয়েছে ওই গবেষক দল।

প্রায় দুই হাজার শিক্ষার্থীর ওপর করা গবেষণায় তাঁরা দেখেছেন, বিদেশি ভাষা শেখার জন্য উপযুক্ত সময় হলো প্রাপ্ত বয়স।

তিনটি দলে ভাগ করে—প্রথম দলে ৮, দ্বিতীয় দলে ১২ বছর এবং তৃতীয় দলে তরুণ প্রাপ্তবয়স্কদের রেখে বিভিন্নভাবে পরীক্ষা চালান তাঁরা। গবেষকেরা দেখেন, দ্বিতীয় ভাষা শেখায় প্রথম ও দ্বিতীয় দল অপেক্ষা ভালো করেছে তৃতীয় দল, একই সঙ্গে দ্বিতীয় দলও প্রথম দলের থেকে ভালো করেছে।

এ বিষয়ে এডিনবরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষাবিজ্ঞানের অধ্যাপক আন্তোনিলা সোরেস বলেন, বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সবকিছু শেষ হয়ে যায় এমন ধারণা ঠিক নয়। আন্তোনিলা সোরেস বলেন, ‘নিয়ম বুঝে ভাষা শেখার ক্ষেত্রে শিশুরা খুব খারাপ করে। কারণ, এ সময় তাদের মনোযোগ ও স্মরণশক্তির ওপর নিজেদের কোনো নিয়ন্ত্রণ থাকে না। এ জন্য তরুণেরা ভালো করেন। তাই বয়স বাড়লেও অনেক কাজে ভালো করার সুযোগ থাকে।’

ইসরায়েলের ওই গবেষকেরা বলেন, বয়স বাড়ার সঙ্গে মানুষের সমস্যা সমাধানের কৌশলও উন্নত হয়, নিজের ও বিশ্ব সম্পর্কে অভিজ্ঞতা তৈরি হয়। ফলে, নতুন তথ্য ধারণের ক্ষমতাও বেড়ে যায়।

ভাষা শেখার ক্ষেত্রে শিশুদের প্রধান সুবিধা অনুকরণ করা। এ পদ্ধতিতে শিশুরা তাদের শিক্ষককে অনুকরণ করে, যেটা নাকি শেখার ক্ষেত্রে দীর্ঘমেয়াদি প্রক্রিয়া। আবার, এ পদ্ধতিতে স্থানীয় শিক্ষকের চেয়ে যে ভাষা শেখানো হবে, সে ভাষার নাগরিক হলে ভালো ফল পাওয়া যায়। ২০১৬ সালে স্কটিস সরকারের এক গবেষণায় উঠে এসেছে এসব চিত্র।

ইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোভাষাবিজ্ঞানের অধ্যাপক ড্যানিয়েলা ট্রেনকিক বলেন, ‘শিশু ও প্রাপ্তবয়স্করা সম্পূর্ণ ভিন্ন সময়ে বাস করে। তাই শেখার ক্ষেত্রে আমরা যখন তুলনা করি, সেটা কখনোই সঠিক পদ্ধতি নয়।’ এ বিষয়ে তিনি একটি উদাহরণ টানেন, কোনো পরিবার যখন এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যায়, স্বাভাবিকভাবে সে এলাকার ভাষা শিশুরা আগে রপ্ত করে।

কারণ হিসেবে ট্রেনকিক বলেন, শিশুরা স্কুলে যায়, অনেক মানুষের সঙ্গে মেশে কিন্তু দেখা যায় ওই সময় পিতামাতা অফিসে একাকী বসে কাজ করছেন। কারও সঙ্গে সঙ্গ দিলেও সেটা হাতে গোনা। শিশুরা চারপাশে মিশে গিয়ে টিকে থাকার প্রয়োজনীয়তা বড়দের থেকে বেশি অনুভব করে।

ট্রেনকিক নিজেও কুড়ি বছর বয়সে দ্বিতীয় ভাষা হিসেবে ইংরেজি শিখেছেন। এ ভাষাতেই তিনি বিভিন্ন লেখা প্রকাশ করেন। বলেন, মানুষ প্রতিদিন কমপক্ষে একটি নতুন শব্দ শেখে। এমনকি তার নিজের ভাষাতেও। এ পদ্ধতি চলতে থাকে মধ্য বয়স পর্যন্ত। তারপর শেখার হার কমতে থাকে।

তবে এমআইটি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণায় দেখা গেছে, কোনো ভাষায় পণ্ডিত হতে হলে শেখা শুরু করতে হয় দশ বছর থেকে। তবে তা সবার জন্য প্রযোজ্য নয়।

তাই ভাষা শেখাটা শুরু করা যায় যেকোনো বয়সেই। তবে আর দেরি কেন? মনের সুপ্ত ইচ্ছাটা বাস্তব রূপ দিতে লেগে যান এখনই।



Source: https://www.prothomalo.com/life-style/article/1585990/%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B6%E0%A6%BF-%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%B7%E0%A6%BE-%E0%A6%B6%E0%A6%BF%E0%A6%96%E0%A6%AC%E0%A7%87%E0%A6%A8-%E0%A6%95%E0%A7%8B%E0%A6%A8-%E0%A6%AC%E0%A7%9F%E0%A6%B8%E0%A7%87

4
অনেকেই এখন গুগলের মেইল সেবা জিমেইল ব্যবহার করেন। অনেকে দীর্ঘদিন ই–মেইলে ঢোকা না হলে এর পাসওয়ার্ড ভুলে যান। অনেকে কিছুতেই পাসওয়ার্ড মনে করতে পারেন না। তখন মেইলে ঢোকা কঠিন। অনেকের অ্যাকাউন্ট হ্যাক হয়ে যেতে পারে বা থার্ড পার্টি অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহারের কারণে জিমেইল অ্যাকাউন্ট ঝুঁকিতে পড়তে পারে।

অ্যাকাউন্টে ঢুকতে যাঁরা সমস্যায় পড়েন, তাঁরা সহজেই জিমেইলের অ্যাকাউন্ট উদ্ধার করতে পারবেন। নিয়মগুলো জেনে নিন:

১. জিমেইলের লগ ইন পেজে গিয়ে ‘Forgot password?’ অপশনে ক্লিক করুন।

২. আপনার যদি জিমেইলে বর্তমানে ব্যবহৃত পাসওয়ার্ড মনে না থাকে, তবে আগে ব্যবহার করা পাসওয়ার্ড দিন। যদি তাও মনে না থাকে, তবে ‘Try another way’ অপশনে যান।

৩. গুগল এ সময় আপনার জিমেইলের অ্যাকাউন্টের সঙ্গে যুক্ত মোবাইল ফোন নম্বরে ভেরিফিকেশন কোড পাঠানোর কথা বলবে।

৪. যদি আপনার ফোন কাছে না থাকে, তবে জিমেইল খোলার সময় যে বদলি মেইল অ্যাড্রেস দিয়েছিলেন, গুগল সেখানে ভেরিফিকেশন কোড পাঠাবে। আপনার জিমেইলের সঙ্গে যদি বদলি কোনো মেইল অ্যাকাউন্ট যুক্ত করা না থাকে, তবে আবার ‘Try another way’ অপশনে যান।

৫. গুগল এখন আপনি ঢুকতে পারবেন এমন যেকোনো মেইল আইডি (ANY email ID) চাইবে। এ মেইল আইডি দেওয়া হলে গুগল তাতে কোড পাঠাবে।

৬. গুগলের ওই কোড পেলে তা নিয়ে তা নিয়ে গুগলের ডায়ালগ বক্সে দিয়ে দিন।

৭. এ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আপনি আপনার জিমেইল অ্যাকাউন্ট উদ্ধার করতে পারবেন। একবার ঢুকতে পারলে নতুন পাসওয়ার্ডযুক্ত অ্যাকাউন্ট হালনাগাদ করুন। তাতে মোবাইল নম্বর ও বদলি ই–মেইল যুক্ত করুন। আপনার পাসওয়ার্ড সহজে খুঁজে পাবেন—এমন কোনো নিরাপদ জায়গায় সংরক্ষণ করতে পারেন।

যদি পাসওয়ার্ড মনে রাখতে সমস্যা , তবে লাস্টপাসের মতো থার্ড পার্টি অ্যাপ ব্যবহার করতে পারে। গুগল তাদের ক্রোম ব্রাউজারেও পাসওয়ার্ড সংরক্ষণ করে রাখার সুবিধা দেয়। অ্যাপলের ‘আইক্লাউড কিচেইন (iCloud Keychain) নামে এ ধরনের সুবিধা আছে।

বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ হচ্ছে, জিমেইলের নিরাপত্তার জন্য জটিল পাসওয়ার্ডের পাশাপাশি এতে টু ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন যুক্ত করে রাখতে পারেন। পাসওয়ার্ডের ক্ষেত্রে অক্ষর, সংখ্যা ও চিহ্ন মিলিয়ে সহজে অনুমান করা যায় না—এমন পাসওয়ার্ড ব্যবহার করুন।




Source: https://www.prothomalo.com/technology/article/1568221/%E0%A6%9C%E0%A6%BF%E0%A6%AE%E0%A7%87%E0%A6%87%E0%A6%B2-%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A6%B8%E0%A6%93%E0%A7%9F%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%A1-%E0%A6%AD%E0%A7%81%E0%A6%B2%E0%A7%87-%E0%A6%97%E0%A7%87%E0%A6%B2%E0%A7%87

5
বাজারে এখন চোখে পড়বে নানা আকারের জাম্বুরা। এটি বাতাবি লেবু নামেও পরিচিত। ভিটামিন সি, বিটা ক্যারোটিন আর ভিটামিন বি-তে ভরপুর এ জাম্বুরা। এর রস শরীরের বাড়তি আমিষ ও চর্বিকে ভেঙে ওজন কমাতে সাহায্য করে। শিরা-উপশিরার দেয়ালে চর্বি জমতে বাধা দেয়।

বার্ধক্য দূরে ঠেলতে ও ইনফেকশনের সমস্যা (প্রধানত ত্বক, মুখ, জিব) দূর করতে এই ফল রাখে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। খাবার হজমের সাহায্যকারী এনজাইম হিসেবে কাজ করে এই লেবুর রস। অতিরিক্ত গরমে আমাদের শরীরে ফোড়া হয়। যেকোনো চর্মরোগ, ফোড়া ও ঘায়ের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে এই ফল।

পুষ্টিবিদ আলেয়া মাওলার তথ্য অনুযায়ী, প্রচুর ভিটামিন সি, বিটা ক্যারোটিন, ভিটামিন বি, ফলিক অ্যাসিড, পটাশিয়ামসহ শরীরের প্রয়োজনীয় বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান আছে এতে। তাই কখনো রোগ নিরাময়ে, কখনো রোগ প্রতিরোধে এবং শরীরের ঘাটতি পূরণের জন্য জাম্বুরা খুব কার্যকর।

জাম্বুরার কিছু বিশেষ গুণ

রুচি বাড়ায়
জাম্বুরা মূলত লো ক্যালরিসমৃদ্ধ ফল। খাবারের রুচি বাড়াতে জাম্বুরা বেশ কার্যকর। মাল্টার চেয়ে জাম্বুরায় পানির পরিমাণ বেশি হওয়ায় ত্বকের জন্য এটি বেশ ভালো কাজ করে।

পেটের জন্য ভালো
যাঁরা পাকস্থলীর সমস্যায় ভুগছেন, তাঁদের জন্যও জাম্বুরা বেশ ভালো। এমনকি উচ্চ রক্তচাপের রোগীর জন্যও লবণ ছাড়া জাম্বুরা ভালো। তবে যাঁদের ক্রিয়েটিনিন বেশি এবং কিডনির সমস্যায় ভুগছেন, তাঁদের জন্য এই ফল এড়িয়ে যাওয়া ভালো।

ওজন কমাতে
ওজন কমাতে বিশেষভাবে সাহায্য করে। যাঁরা ওজন কমাতে চান, তাঁরা জাম্বুরা খেতে পারেন।

জ্বরের পথ্য
গরম, ঠান্ডাজনিত সমস্যা বা ঘাম জমে যে জ্বর হয়, জাম্বুরা তাঁদের জন্য দরকারি পথ্য।

ত্বক ভালো রাখে
জাম্বুরায় আছে প্রচুর ভিটামিন সি। তাই রক্তনালির সংকোচন-প্রসারণের ক্ষমতা বৃদ্ধিতে এটি সহায়ক। মুখের ভেতরে ঘা, জ্বর, পাকস্থলী ও অগ্ন্যাশয়ের বিভিন্ন রোগের উপশমকারী।




Source: https://www.prothomalo.com/life-style/article/1556124/%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A7%81%E0%A6%B0%E0%A6%BE-%E0%A6%96%E0%A7%87%E0%A6%B2%E0%A7%87-%E0%A6%97%E0%A6%B0%E0%A6%AE%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%B0%E0%A7%8B%E0%A6%97%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%87-%E0%A6%A6%E0%A7%82%E0%A6%B0%E0%A7%87-%E0%A6%A5%E0%A6%BE%E0%A6%95%E0%A7%87

6
Food Habit / আম খেলে ওজন বাড়ে?
« on: July 21, 2018, 01:21:22 PM »
বাজারে এখন নানা জাতের সুমিষ্ট আম। আমে উপকার অনেক। কিন্তু ডায়াবেটিসের বা কিডনি রোগীরা আম কতটা খেতে পারবেন তা নিয়ে সংশয়ে ভোগেন। যাঁরা ওজন কমাতে চান, তাঁরাও দুশ্চিন্তায় ভোগেন আম বেশি খেলে ওজন বাড়বে কি না।

আমে পর্যাপ্ত ভিটামিন এ ও সি আছে। এর বিটা ক্যারোটিন অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে। এতে প্রচুর আঁশও আছে। তাই পরিপাকতন্ত্রের জন্য ভালো।

একটি সাধারণ হিমসাগর বা ল্যাংড়া আমের খোসা ও আঁটি ছাড়িয়ে নিলে প্রায় ২০০ গ্রাম অবশিষ্ট থাকে। এতে ক্যালরির পরিমাণ প্রায় ১৫০। শর্করা ৩৩.৮ গ্রাম, ক্যালসিয়াম ২৮ মিলিগ্রাম, লৌহ ২.৬ মিলিগ্রাম, ভিটামিন এ ৫০০০ মাইক্রোগ্রামের ওপর। আঁশ আছে প্রচুর, ৭ গ্রামের বেশি। পটাশিয়াম ১৯৬ মিলিগ্রাম, ম্যাগনেসিয়াম ৩০২ মিলিগ্রাম, লাইকোপেন ২২.৩ মিলিগ্রাম।

আম খেলে কি শর্করা বাড়ে?

আমে যথেষ্ট শর্করা আছে। ডায়াবেটিস রোগীদের শর্করা পরিমাপ করে খাওয়া উচিত। আমের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স মাঝারি মাত্রার, ৬০ থেকে ৮৫। বেশি আম খেলে তাই রক্তে শর্করা বেড়ে যেতে পারে। পাকা মিষ্টি আম একজন ডায়াবেটিস রোগী দৈনিক ৩০ থেকে ৪০ গ্রাম খেতে পারেন। মানে প্রতিদিন একটি ছোট আম বা অর্ধেক মাঝারি আম খাওয়া যাবে। অন্যান্য শর্করা (যেমন-ভাত) কমিয়ে দিয়ে এ সময় খাদ্যতালিকায় আম যুক্ত করা যায়।

কিডনি রোগীর কি আম খাওয়া নিষেধ?

কিডনি রোগীদের রক্তে পটাশিয়াম বাড়তি থাকে। তাই অতিরিক্ত পটাশিয়ামযুক্ত ফল খাওয়া বারণ। যদি রক্তে পটাশিয়ামের মাত্রা বেশি থাকে তবে আম না খাওয়াই ভালো। কিডনি রোগীরা ফল খাওয়ার বেলায় চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে খাবেন।

আম খেলে ওজন বাড়ে?

আমে ক্যালরির পরিমাণ ভালোই। তাই যাঁরা ক্যালরি মেপে খান বা ডায়েট করেন, তাঁরা দৈনিক খাদ্যতালিকা থেকে আমের ক্যালরি পরিমাণ খাবার বাদ দিতে পারেন। এতে ওজন বাড়ার আশঙ্কা থাকে না। আম খেলে দ্রুত পেট ভরে ঠিকই, কিন্তু এটি দ্রুত হজম ও শোষণও হয়ে যায়। যাঁরা ডায়েট করছেন, তাঁদের আম সীমিত পরিমাণে খেতে হবে।

হৃদ্‌রোগীরা আম খেতে পারবেন?

পটাশিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম হৃদ্‌রোগীদের জন্য উপকারি। তাই ডায়াবেটিস বা কিডনি রোগ না থাকলে হৃৎপিণ্ড সুস্থ রাখতে আম খাওয়া ভালো।





Source: http://www.prothomalo.com/life-style/article/1537161/%E0%A6%86%E0%A6%AE-%E0%A6%96%E0%A7%87%E0%A6%B2%E0%A7%87-%E0%A6%93%E0%A6%9C%E0%A6%A8-%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A7%9C%E0%A7%87

7
২০১৬ সালে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে প্রতি সাতজনের একজন আক্রান্ত হয়েছেন বায়ুদূষণের কারণে। সেন্ট লুইসের ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি স্কুল অব মেডিসিন পরিচালিত এক গবেষণায় এ তথ্য বেরিয়ে আসে।

প্রাথমিকভাবে বলা হয়, মানুষের খাদ্যাভ্যাস ও বসে বসে কাজ করার কারণে ডায়াবেটিস হয়। কিন্তু নতুন গবেষণায় দেখা গেছে, বায়ুদূষণ এ রোগের অন্যতম নিয়ামক। বায়ুদূষণ শরীরের ইনসুলিন উৎপাদন কমিয়ে দেয়। রক্তের শর্করাকে শক্তিতে পরিণত করতে শরীরকে বাধা দেয়।

গবেষক দলের অন্যতম সদস্য জিয়াদ আল-আলী বলেন, ‘আমাদের গবেষণায় আমরা বিশ্বব্যাপী বায়ুদূষণ ও ডায়াবেটিসের মধ্যে সুস্পষ্ট যোগসূত্র দেখতে পেয়েছি।’

চিকিৎসাবিষয়ক সাময়িকী লেনসেট প্ল্যানেটরি হেলথে এই গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। সেখানে বলা হয়, ইউএন এনভায়রনমেন্টাল প্রোটেকশন এজেন্সি (ইপিএ) ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) বায়ুদূষণের যে মাত্রাকে স্বাস্থ্যের জন্য নিরাপদ মনে করছে, তা আসলে নিরাপদ নয়। বায়ুদূষণের সেই পর্যায়ও ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়িয়ে দিচ্ছে।

আল-আলী বলেন, এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ যে ব্যবসাসংক্রান্ত লবি গ্রুপগুলো দাবি করছে, বর্তমান বায়ুদূষণের গাইডলাইনগুলো খুবই কঠোর। তা শিথিল করা উচিত। কিন্তু তথ্য প্রমাণে দেখা গেছে, এটি মোটেই যথেষ্ট নয়। আরও কঠোর হওয়া উচিত।

গবেষক দলটি ভেটেরানস অ্যাফেয়ার্স ক্লিনিক এপিডেমোলজি সেন্টারের বিজ্ঞানীদের সঙ্গে মিলে কাজটি করেছে। সেখানে ডায়াবেটিসের অতীত ইতিহাস নেই এমন ১৭ লাখ মার্কিন প্রবীণ ব্যক্তির তথ্য গবেষণা করে দেখা হয়।

গবেষণায় বায়ুদূষণের সঙ্গে ডায়াবেটিসের ঝুঁকির বিষয়টি পরীক্ষা করে দেখা হয়েছে। বিজ্ঞানীরা দেখেছেন, বায়ুদূষণের কারণে ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকি অনেক বেশি।

বিশ্বজুড়ে ৪২ কোটি মানুষ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত। বিশ্বে দ্রুত ক্রমবর্ধমান রোগের একটি।



Source: http://www.prothomalo.com/life-style/article/1521631/%E0%A6%A1%E0%A6%BE%E0%A7%9F%E0%A6%AC%E0%A7%87%E0%A6%9F%E0%A6%BF%E0%A6%B8%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%85%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%A4%E0%A6%AE-%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%A3-%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A7%9F%E0%A7%81%E0%A6%A6%E0%A7%82%E0%A6%B7%E0%A6%A3

8
অনেকেই রাতে ঠিকমতো ঘুমাতে পারেন না। ঘুম না হওয়ার নানা কারণ থাকতে পারে। কিন্তু সুস্বাস্থ্যের জন্য ভালো ঘুম খুব জরুরি। বিশেষজ্ঞরা বলেন, খাদ্যাভ্যাস ঘুমের ওপর অনেক প্রতিক্রিয়া ফেলে। ইনসমনিয়ার সমস্যায় আজকাল ওষুধ নয়, আচরণগত পরিবর্তন ও কগনিটিভি বিহেভিয়র থেরাপির কথা বেশি বলা হচ্ছে।

এই আচরণগত পরিবর্তনের মধ্যে খাদ্যাভ্যাসের কিছু পরিবর্তনও জরুরি। অর্থাৎ, কিছু কিছু খাবার আছে, যেগুলো খেলে ঘুম ভালো হয়। এনডিটিভি অনলাইনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

বিশেষজ্ঞদের মতে, ক্যালসিয়াম, ট্রিপটোফ্যান, ম্যাগনেশিয়ামযুক্ত খাবার ঘুমের জন্য ভালো। তাই দুধ, দুগ্ধজাত খাবার, ডাল, বাদাম, পনির, ডিম, সূর্যমুখীর বীজ, ডুমুর, খেজুর, কিশমিশ ইত্যাদি নিয়মিত খান। ভিটামিন বি কমপ্লেক্স, ভিটামিন ডি যেন পর্যাপ্ত থাকে। তবে পেটে গ্যাস বা বদহজম হলেও ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে। তাই রাতের খাবার বেশি ভারী না হওয়াই ভালো। জেনে নিন ভালো ঘুমের জন্য পাঁচটি খাবারের কথা:

হালকা গরম দুধ: আয়ুর্বেদ শাস্ত্রমতে, ভালো ঘুমের জন্য হালকা গরম দুধ খুবই কার্যকর। বিষয়টি বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত। দুধের মধ্যে এমাইনো অ্যাসিড ও ট্রিপটোফ্যান থাকে, যা সেরাটোনিন উৎপাদনে সাহায্য করে। সেরাটোনিন মস্তিষ্কে শীতল প্রভাব তৈরি করে, যা ভালো ঘুম এনে দেয়। এ ছাড়া দুধে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম থাকে, যা দেহে ঘুম আনতে সাহায্য করে। ‘দ্য কমপ্লিট বুক অব আয়ুর্বেদিক হোম রেমিডিস’ বইয়ের তথ্য অনুযায়ী, হালকা গরম দুধের মধ্যে একটু জায়ফল, এলাচি আর কাজু বাদামের গুঁড়ো মিশিয়ে নিলে দুধের স্বাদও বাড়ে আর ঘুমও ভালো হয়। দুধের সঙ্গে রসুন মিশিয়ে খেলেও ঘুম ভালো হয়।

চেরি: মানসিক প্রশান্তি আনতে পারে চেরি। এতে আছে মেলাটোনিন। মেলাটোনিন পিনেয়াল গ্রন্থির হরমোন তৈরি করে, যা ঘুমের চক্র নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। আয়ুর্বেদ শাস্ত্রমতে, চেরিতে যেসব উপাদান আছে, তা মনকে প্রশান্তি এনে দেয় বলে ঘুম ভালো হয়। দৈনিক ১০-১২টি চেরি ফল খেতে হবে।

কাজু বাদাম: কাজু বাদামের অনেক গুণ। এটি মস্তিষ্কের শক্তি বাড়ায়, এমনকি ভালো ঘুম এনে দিতে পারে। দুধের মতোই এতে ট্রিপটোফ্যান থাকে, যা মস্তিষ্ক ও স্নায়ুর উত্তেজনা প্রশমিত করে। অন্যদিকে, এতে থাকা ম্যাগনেশিয়াম হৃৎস্পন্দন নিয়ন্ত্রণে রাখে। প্রতিদিন একমুঠো কাজু বাদাম খেলে ভালো ঘুম হবে।

কলা: কলায় আছে প্রচুর পরিমাণ ম্যাগনেশিয়াম। ম্যাগনেশিয়াম ঘুমের জন্য খুব প্রয়োজন। এ ছাড়া কলায় যথেষ্ট পটাশিয়াম থাকে। কলা খেলে প্রাকৃতিক উপায়ে ভালো ঘুম হয়।

ওটস: ভালো ঘুমের জন্য ওটস দারুণ কার্যকর। এটি পেট ভরা রাখে বলে যাঁরা ওজন কমাতে চান, তাঁদের জন্য উপযোগী। এর বাইরে ভালো ঘুমের জন্যও ওটস খাওয়া যায়। এতে মেলাটোনিন আছে, যা দ্রুত ঘুম আনতে পারে। ওটসের ভেতর কিছু বেরি-জাতীয় ফল ও একটু মধু মিশিয়ে খেলে দ্রুত ঘুম আসবে।

9
অনেকেই নখের গুরুত্ব দেন না, এমনকি এর যত্ন নিয়ে ভাবেন না। টাইপ করা থেকে শুরু করে বোতল খোলা পর্যন্ত নানা কাজেই নখ লাগান অনেকেই। কিন্তু অনেকের নখ এতটাই নরম থাকে যে অল্প একটু চাপেই ভেঙে যায়। নখ নরম হওয়া অসুস্থতার লক্ষণ বলেই মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। অনেকেই নখের স্বাস্থ্য নিয়ে চিন্তা করেন না। কিন্তু কিছু খাবার আছে, যা নিয়মিত খেলে নখ বাড়ে এবং শক্তিশালী হয়। জেনে নিন এ ধরনের কয়েকটি খাবার সম্পর্কে:

ফল
কলা ও স্ট্রবেরির মতো ফল নখের জন্য খুব উপকারী। নখের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফল খেতে হবে। স্ট্রবেরি, ব্লুবেরির মতো ফলে যে ভিটামিন সি থাকে, তা কোলাজেন উৎপন্ন করে। এতে নখ প্রাকৃতিকভাবে শক্তিশালী হয়ে ওঠে।

সবুজ সবজি
পালং, ব্রোকলি ও বাঁধাকপি খেতে হবে প্রচুর। এতে থাকে আয়রন, ফোলেট ও ক্যালসিয়াম, যা নখের বৃদ্ধি বাড়ায় এবং নখ শক্ত করে।

দুধ
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলেন, দুধে থাকা ক্যালসিয়াম আর ভিটামিন ডি নখের বৃদ্ধির জন্য খুবই উপকারী। নখ শক্ত করতে এর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে।

ডিম
যাঁরা নিয়মিত ডিম খান, তাঁদের নখের সমস্যা কম হয়। ডিমে থাকা বায়োটিন নখের বৃদ্ধির জন্য কার্যকর উপাদান। এটি নখের পুরুত্ব বাড়ায় এবং নখ ভাঙা কমায়।

শিম
যাঁরা শাকসবজি পছন্দ করেন তাঁদের জন্য শিম ও ডাল খাওয়ার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। এতে বায়োটিন আছে, যা নখের স্বাস্থ্যের পাওয়ার হাউস বলা চলে।

মিষ্টি আলু ও টমেটো
মিষ্টি আলুতে আছে ভিটামিন এ আর টমেটোতে আছে ভিটামিন সি। তাই আলু ও টমেটো খেলে প্রয়োজনীয় অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট পাওয়া যাবে, যা নখের সুরক্ষায় অতি প্রয়োজনীয়।

বাদাম
নখ ভেঙে যাওয়ার আরেকটি কারণ হতে পারে শরীরে অপর্যাপ্ত ম্যাগনেশিয়াম। পুষ্টিবিদেরা তাই নিয়মিত বাদাম খাওয়ার পরামর্শ দেন। এতে প্রোটিন, কপার ও ম্যাগনেশিয়াম থাকে, যা নখ ও হাড় মজবুত করে।

তথ্যসূত্র: এনডিটিভি অনলাইন।

10
নানা কারণে মানুষের মন খারাপ হয়। তখন মন খারাপের প্রভাব সবকিছুতে পড়ে। অশান্তিময় হয়ে যায় চারদিক। অনেক সময় এই খারাপ লাগা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। তাই নিজের জন্য ভালো থাকুন। কীভাবে শান্ত থাকবেন এবং নিজে ভালো থাকার ১০টি কারণ তুলে ধরা হলো।

শান্ত থাকুন
অনেকেই আছেন মুহূর্তে অশান্ত হয়ে যান। অল্পতেই পরিস্থিতি খারাপ করে ফেলেন। সামান্য বিষয় নিয়েই অস্থির হয়ে যান। যেকোনো পরিস্থিতিতে শান্ত হওয়ার উপায় হলো কিছু সময় আপনায় ইন্দ্রিয়গুলো বন্ধ করে রাখুন। এরপর নতুনভাবে শুরু করুন। এর ফলে আপনার মস্তিষ্ক স্বয়ংক্রিয় হয়ে নতুনভাবে কাজ করবে।

গান শুনুন
নিজের মনকে শান্ত রাখার জন্য গান হলো সবচেয়ে বড় উপকরণ। গান শুনে নিজের মনকে ভালো রাখতে পারেন। গান মানুষের মনের ওপর অনেক বড় প্রভাব ফেলে। আপনি যখন অশান্ত থাকেন, তখন একটুখানি সময় বের করে আপনার প্রিয় শিল্পীর গান শুনতে পারেন। দেখবেন জাদুর মতো কাজ করবে।

দীর্ঘভাবে শ্বাস ফেলুন
যখন আপনি চাপ অনুভব করেন বা কোনো কিছু নিয়ে উদ্বিগ্ন হন, তখন আপনার শ্বাসপ্রশ্বাস বেড়ে যায়। সে সময় আপনি কয়েকটি দীর্ঘশ্বাস নিলে খুব তাড়াতাড়ি শান্ত বোধ করবেন। দীর্ঘশ্বাস নেওয়ার জন্য আপনার বুকের ওপর এক হাত রাখুন এবং অপরটি আপনার পেটের নিচে রাখুন। বড় শ্বাস ফেলার জন্য আপনার শরীরকে ব্যবহার করুন। ধীরে ধীরে আপনার নাকের মাধ্যমে শ্বাস নিন।

ব্যায়াম করুন
নিজেকে শান্ত রাখার জন্য ব্যায়াম করতে পারেন। যখন আপনি কোনো কাজ বা বিষয় নিয়ে ঝামেলায় থাকেন, তখন ব্যায়াম করতে পারেন। এর ফলে আপনার পেশিগুলো আরও ভালোভাবে কাজ করবে। ব্যায়াম করার জন্য আপনি একটা শান্ত জায়গা খুঁজে বের করুন। সেটা কাজের জায়গার আশপাশেও হতে পারে। অল্প সময়ের শারীরিক এ কসরতটুকু আপনাকে আরও বেশি শান্ত রাখতে সাহায্য করবে।

অ্যারোমাথেরাপির সাহায্য নিন
অ্যারোমাথেরাপি আপনাকে শান্ত করতে সাহায্য করতে পারে। চাপের জন্য চন্দন তেল বা এ ধরনের তেল ব্যবহার করতে পারেন। আপনি এই তেল ব্যবহার করে ম্যাসেজ বা পা ঘষতে পারেন। চাইলে আপনি গরম পানিতে গোসল করতে পারেন।

কথা বলুন
কেউ যদি আপনার সঙ্গে কোনো একটি বিষয় নিয়ে কথা বলতে চান, তখন আপনি তাঁর সঙ্গে কথা বলুন। কথাগুলো সময় নিয়ে শুনুন। আপনি যে বিষয় নিয়ে ঝামেলার মধ্যে আছেন, সে বিষয়গুলো তিনি অনেক সুন্দরভাবে সমাধান করেছেন।
পরিকল্পনা করে কাজ করুন
যেকোনো কাজে আগে থেকে পরিকল্পনা করে করলে সেই কাজের সমাপ্তি খুব ভালো হয়। সুন্দরভাবে কাজটি শেষ করলে নিজেও শান্তি অনুভব করবেন।

নির্দিষ্ট একটা লক্ষ্য ঠিক করুন
বেশির ভাগ মানুষের অনেক লক্ষ্য থাকে এবং সেগুলো ঠিক করে কাজ করা শুরু করেন। আপনি একটি নির্দিষ্ট লক্ষ্য ঠিক করুন। এরপর সে অনুযায়ী কাজটি সম্পন্ন করুন। ওই কাজ শেষ হওয়ার পর নতুন আরেকটি লক্ষ্য ঠিক করুন এবং সফলতার দিকে এগিয়ে যান।

নমনীয় হোন
আমরা যতটা যত্নসহকারে পরিকল্পনা করি, সে অনুযায়ী কাজ করি না। সব সময় নিজের ইচ্ছাকে সবকিছুর ওপর রাখার চেষ্টা করি। সবাইকে নিয়ে কাজ করার মানসিকতা আমাদের মধ্যে থাকে না। এর ফলে অন্যের কোনো কিছু আমরা সহজে মেনে নিতে পারি না। যেকোনো কিছুতেই ভালো করার জন্য নমনীয় হোন। অন্যের কথা মন দিয়ে শুনুন এবং নিজেকে শান্ত রাখুন।

ইতিবাচক চিন্তা করুন
সব সময় ইতিবাচক থাকুন। ইতিবাচক চিন্তা করুন। দেখবেন আপনি আগের চেয়ে অনেক বেশি ভালো থাকবেন।



সূত্র: উইকি হাউ ও ফাস্ট কোম্পানি

11
মজাদার কোনো ফ্রাই খাচ্ছেন? সঙ্গে এক চামচ টমেটো সস বা টাটকা টমেটোর খানিকটা সালাদ? তোফা! স্বাদটা তখন বেড়ে যায় বহুগুণ। একই সঙ্গে শরীরে কিছু ভিটামিন আর পুষ্টিও যোগ হয়। সবজি বা ঝালঝোলেও মুখরোচক সবজি টমেটোর কদর কম নয়। কিন্তু টমেটো খেতে হবে পরিমাণমতো। এর অন্যথা হলেই শরীর-স্বাস্থ্য একটু গড়বড় হয়ে যাবে। বিশেষজ্ঞরা তা-ই বলছেন।

অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর টমেটোর আছে নানা গুণ। টমেটো হচ্ছে একমাত্র সবজি, যাতে চার রকমের ক্যারোটিনয়েড বা ভিটামিন ‘এ’ আছে বিপুল পরিমাণে। এই ক্যারোটিনয়েড বা ভিটামিন ‘এ’ ত্বক ও চোখের সুস্থতা এবং দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এটিকে ফল হিসেবেও বিবেচনা করা যায়। বিশ্বজুড়ে টমেটোর নানা রকম ব্যবহার রয়েছে। এটি ত্বকের যত্নেও ব্যবহার হতে দেখা যায়। সূর্যের অতি বেগুনি রশ্মির ক্ষতিকর প্রভাব থেকে এটি মানুষকে রক্ষা করে বলে ধারণা করা হয়। খাবারে স্বাদ আনতেও অনেকে টমেটো ব্যবহার করেন। কিন্তু জানেন কি, টমেটোর কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আছে, যা এড়িয়ে যাওয়া ঠিক নয়।

অতিরিক্ত টমেটো খেলে হজমে গন্ডগোল থেকে শুরু করে কিডনির সমস্যা, চুলকানির মতো শরীরে নানা সমস্যা হতে পারে। বেশি টমেটো খাওয়ার কয়েকটি পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সম্পর্কে জেনে নিন:

অম্লের প্রবাহ: টমেটোতে ম্যালিক অ্যাসিড ও সাইট্রিক অ্যাসিড আছে, যা পাকস্থলীতে অতিরিক্ত অ্যাসিড বা অম্লের প্রবাহ তৈরি করতে পারে। তাই বেশি টমেটো খেলে বুক জ্বালা করতে পারে। এমনকি পেটে গ্যাস্ট্রিক অ্যাসিড বেশি হয়ে হজমে গন্ডগোল হয়। যাঁরা প্রায়ই পেটের সমস্যায় ভোগেন বা যাঁদের গ্যাস্ট্রোওফাজাল রিপ্লেক্স রোগ (জিইআরডি) আছে, তাঁদের অতিরিক্ত টমেটো খাওয়া থেকে দূরে থাকা উচিত।

অ্যালার্জি: টমেটোতে হিস্টামিন নামের একধরনের যৌগ আছে, যা থেকে ত্বকে ছোপ ছোপ দাগ বা র‍্যাশ দেখা দিতে পারে। এ ছাড়া নানা রকম অ্যালার্জি হতে পারে। যাঁদের টমেটো খেলে অ্যালার্জি হয়, তাঁরা টমেটোর ধারেকাছেও যাবেন না। কারণ, টমেটো মুখে দিলেই মুখের ভেতর চুলকানি, জিব ও গাল ফুলে যাওয়া, সর্দি ও গলা চুলকানোর মতো মারাত্মক সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে।

কিডনিতে পাথর: শুনতে আশ্চর্য লাগলেও অতিরিক্ত টমেটো খেলে কিডনিতে পাথর দেখা দিতে পারে। কারণ, টমেটোতে আছে ক্যালসিয়াম ও অক্সালেট। শরীরে এর মাত্রা বেড়ে গেলে তা শরীর থেকে সহজে দূর হয় না। এ উপাদান শরীরে জমে কিডনির পাথর তৈরি করতে শুরু করে।

গিঁটে বাত: অতিরিক্ত টমেটো খেলে গিঁটে বাত দেখা দিতে পারে। এমনকি অস্থিসন্ধিগুলো ফুলে উঠতে পারে। কারণ, এতে সোলানিন নামে বিশেষ অ্যালকালয়েড থাকে। এ যৌগ বিভিন্ন কোষে ক্যালসিয়াম তৈরির জন্য দায়ী। এ যৌগের পরিমাণ বেড়ে গেলে তা প্রদাহ তৈরি শুরু করে।

লাইকোপিনোডার্মিয়া: টমেটোতে লাইকোপেন আছে, এটা সবার জানা। টমেটোর লাইকোপেন প্রোস্টেট ও অগ্ন্যাশয়ের ক্যানসার রোধে সাহায্য করে। এটি অগ্ন্যাশয়ের ক্যানসারের ঝুঁকি প্রায় ৩১ শতাংশ কমাতে পারে। তবে অতিরিক্ত লাইকোপেন থেকে লাইকোপিনোডার্মিয়া নামের একধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। রক্তে লাইকোপেন বেড়ে গেলে ত্বকের রং বদলাতে শুরু করে। চিকিৎসকেরা বলেন, শরীরের জন্য লাইকোপেন ভালো হলেও দৈনিক ৭৫ মিলিগ্রামের বেশি গ্রহণ করা হলে তা লাইকোপিনোডার্মিয়ার দিকে চলে যেতে পারে।

ডায়রিয়া: টমেটোতে সালমোনেলা নামের একধরনের ব্যাকটেরিয়া থাকতে পারে। এটি ডায়রিয়ার জন্য দায়ী। তবে যাঁরা টমেটো সহ্য করতে পারেন না, তাঁদের ক্ষেত্রে ছাড়া টমেটো খেলে ডায়রিয়া কম দেখা যায়।

পরামর্শ: স্বাস্থ্যগুণে ভরপুর হলেও টমেটো পরিমিত খাওয়ার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা।

তথ্যসূত্র: এনডিটিভি।

12
যোগাযোগের তো হাজারো মাধ্যম এখন। মুঠোফোন, খুদেবার্তা, ই-মেইল থেকে শুরু করে শারীরিক ভাষাও যোগাযোগে সম্পৃক্ত। পেশাজীবনে সাফল্যের জন্য যোগাযোগে দক্ষতার বিকল্প নেই। সফল নির্বাহী যাঁরা, তাঁরা যোগাযোগে দারুণ হন।

আপনার যোগাযোগ-দক্ষতায় দুর্বলতা থাকলে তা চর্চার মাধ্যমে কাটিয়ে নিজেকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায়। আপনি কী বলছেন, কী ভাবছেন, কীভাবে বলছেন, কাকে বলছেন, শ্রোতা কীভাবে শুনছেন তার ওপর নির্ভর করছে আপনি যোগাযোগে সফল না ব্যর্থ। যোগাযোগ-দক্ষতা ঠিক আছে কি না তা নির্ধারণের জন্য মাইন্ডটুলস নামে যুক্তরাজ্যের একটি ব্যবস্থাপনা প্রশিক্ষণকেন্দ্র অনলাইন মূল্যায়ন (অ্যাসেসমেন্ট) করে থাকে। আপনি নিচের প্রশ্নের উত্তর দিয়ে জেনে নিতে পারেন আপনার যোগাযোগ-দক্ষতার জোর।

নির্দেশনা

কীভাবে যোগাযোগ স্থাপন করছেন, কতটুকু পরিষ্কার ও প্রাঞ্জল উপায়ে বার্তা তৈরি করছেন বা কথা বলছেন, কী উপায়ে বার্তা পাঠাচ্ছেন, কীভাবে আপনার বার্তা শ্রোতা বা প্রাপক পাচ্ছেন ও বুঝছেন, তার ওপর নির্ভর করে প্রশ্নগুলো তৈরি করা হয়েছে। প্রতিটি প্রশ্নের পাঁচটি করে বিকল্প উত্তর আছে। হিসাবে সুবিধার জন্য উত্তরগুলোর মান ১ থেকে ৫ নম্বর নির্ধারণ করা হয়েছে।

আপনি যেকোনো একটি উত্তরে টিক চিহ্ন দিয়ে সবশেষে প্রশ্নমান অনুসারে নম্বর যোগ করে নিন। উত্তর দেওয়ার ক্ষেত্রে আপনি আপনাকে নিয়ে যা ভাবছেন, তার ওপর ভিত্তি করে উত্তর দিন।

প্রশ্নগুলো সংযুক্তি-তে দেওয়া হলঃ
 

উত্তরের মানগুলো খেয়াল রাখুন

কখনোই না = ১

কখনো কখনো = ২

মাঝেমধ্যে = ৩

প্রায়ই = ৪

নিয়মিত = ৫

মোট নম্বর: ............

কত পেলেন আর কী করবেন?

১৫-৪০

আপনি নিজের কথা বুঝিয়ে বলতে পারেন না, যা ভাবেন তা বলতে পারেন না। আপনি অন্যদের কথা অনেক ক্ষেত্রেই বুঝতে পারেন না। যোগাযোগ-দক্ষতা বিকাশে আপনার মনোযোগ দিতে হবে। সুখবর হলো, শূন্য থেকে শুরু করলে আপনি নিজেকে খুব দ্রুত বদলে ফেলতে পারবেন।

৪১-৬০

আপনি দক্ষ যোগাযোগকারী। কিন্তু হুটহাট আপনার অজান্তেই যোগাযোগে বিভ্রম দেখা দেয়। সময় নিয়ে আপনার ভুলগুলো কোথায় তা খুঁজে বের করুন। দক্ষ যোগাযোগকারীদের সঙ্গে কথা বলে নিজের দক্ষতা বিকাশ করতে পারেন।

৬১-৭৫

দারুণ। আপনার যোগাযোগ-দক্ষতা আপনার পেশাজীবনে সাফল্যের অন্যতম জোর। যাঁরা যোগাযোগে দুর্বল, আপনি তাঁদের পরামর্শ প্রদানের মাধ্যমে নিজের দক্ষতায় শাণ দিতে পারেন।

13
ছাত্রজীবনে নিজ স্বপ্নের চারাগাছে যত্নের সময়টুকু নামমাত্র মূল্যের বিনিময়ে অন্যের স্বপ্নবীজ বোনার নামই টিউশনি। এই টিউশনি ঢাকা কিংবা মফস্বল শহরে লাখো ছাত্রছাত্রীর টিকে থাকার চাবিকাঠি। অনেকে একের অধিক টিউশনি করে সংসারও চালান। পাশাপাশি থাকে পড়াশোনার হ্যাপা। এ দুইয়ের মাঝে পড়ে শিক্ষার্থীদের জীবন চিড়ে-চ্যাপটা।

অথচ টিউশনির বিকল্প কর্মসংস্থানও রয়েছে, যার মাধ্যমে একজন শিক্ষার্থী লেখাপড়ার পাশাপাশি একই সময়ে নিজস্ব ক্যারিয়ারও দাঁড় করাতে পারেন। যদিও এটা সত্য যে শিক্ষাজীবনে টিউশনি এখনো সবচেয়ে ভালো বিকল্প শিক্ষার্থীদের জন্য। তবে শিক্ষার্থীদের মধ্যে ইদানীং অন্যান্য বিকল্পও জনপ্রিয়তা হতে শুরু করেছে। নতুন সম্ভাবনা হিসেবে তৈরি হচ্ছে আরও কিছু কর্মক্ষেত্র।

এসব কাজে যুক্ত হওয়ার সুবিধা হলো, এটি আপনার জন্য ক্যারিয়ারের প্রস্তুতিও হয়ে উঠতে পারে। এই অভিজ্ঞতা কর্মজীবনে কাজে লাগবে। পূর্ব অভিজ্ঞতা হিসেবে আপনি সিভিতে এর উল্লেখ করতে পারবেন; টিউশনির ক্ষেত্রে যেটা সম্ভব নয়।

ফ্রিল্যান্সিং
দেশের ৬৫ শতাংশই তরুণ। এর মধ্যে প্রায় ৪৭ শতাংশ শিক্ষিত জনগোষ্ঠী বেকার। যেহেতু পর্যাপ্ত চাকরির ক্ষেত্র তৈরি হচ্ছে না, সেহেতু বর্তমান সময়ে বিকল্প ক্যারিয়ার হিসেবে ফ্রিল্যান্সিং ভীষণ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে শিক্ষার্থীদের মধ্যে। অনলাইনের এ পেশা সম্মানজনক এবং মুক্ত। এক জরিপমতে, বাংলাদেশে এখনই ফ্রিল্যান্সারের সংখ্যা পাঁচ লক্ষাধিক। সংখ্যাটা প্রতিনিয়তই বাড়ছে। ফ্রিল্যান্সিংয়ে নির্দিষ্ট কোনো বিভাগ নেই। ধরে নেওয়া যাক, আপনি আঁকতে ভালোবাসেন, তাহলে গ্রাফিকস ডিজাইন শিখুন। গণিতে ভালো হলে শিখতে পারেন প্রোগ্রামিং কিংবা ওয়েব ডিজাইনিং। কিংবা ফটোগ্রাফিও শিখতে পারেন। তবে কোনো কিছুই বেসিক লেভেলে শিখবেন না। কেননা, বেসিক লেভেলের কোনো কাজ পাওয়া যায় না। যেকোনো কিছুই শিখুন না কেন, শিখতে হবে পেশাদার পর্যায়ে।

এ ব্যাপারে যাঁরা অভিজ্ঞ, তাঁদের পরামর্শ নিন কীভাবে শুরু করবেন, কী করবেন আর কী করবেন না।

অনুবাদ
বিদেশি ভাষার দক্ষতা কাজে লাগিয়ে আপনি ঘরে বসেই আয় করতে পারেন। ইন্টারনেটে অনেকেই পারিশ্রমিকের বিনিময়ে ভালো অনুবাদ খুঁজে থাকেন। এ ছাড়া ঢাকায় অনেক অনুবাদ কেন্দ্র রয়েছে, যেখানে বেশির ভাগ মানুষই আসেন দুই-এক পৃষ্ঠা অনুবাদ করতে। প্রতি পৃষ্ঠায় ৫০ থেকে ১০০ টাকা সম্মানী পাওয়া সম্ভব। এ ছাড়া নানা রকম প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানে রয়েছে খণ্ডকালীন অনুবাদের সুযোগ। এখানে আট থেকে কুড়ি হাজার টাকা পর্যন্ত আয় করা সম্ভব। এ জন্য স্নাতক সম্পন্ন করার দরকার নেই, প্রয়োজন শুধু ভাষার সঠিক ব্যবহার।

প্রোডাক্ট রিভিউয়ার
পড়াশোনার পাশাপাশি আয়ের একটি বড় উৎস হতে পারে প্রোডাক্ট রিভিউয়ারের কাজ। এটা অ্যাফিলিয়েটেড মার্কেটিংয়ের অন্তর্ভুক্ত। অনলাইন শপিং দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে ওঠায় প্রোডাক্ট রিভিউ সাইটগুলোর জনপ্রিয়তাও হু হু করে বাড়ছে। অ্যামাজন কিংবা ই-বের কোনো পণ্য কেনার আগে মানুষ সাধারণত অনলাইনে সেসব পণ্যের রিভিউ পড়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে চায়। আপনি এসব খ্যাতনামা অনলাইন শপিং জায়ান্টের পণ্যের রিভিউ লিখে মোটা অঙ্কের অর্থ আয় করতে পারেন। এ জন্য অবশ্য ইংরেজিতে ভালো হওয়া জরুরি। আপনার পর্যালোচনা পড়ে কোনো ক্রেতা অ্যামাজনের পণ্য কিনলে প্রতিষ্ঠানটির কাছ থেকে কমিশন পাবেন। প্রোডাক্ট রিভিউ অ্যাফিলিয়েটেড মার্কেটিংয়ের অন্যতম মাধ্যম। এক জরিপে দেখা গেছে, শতকরা ৮০ শতাংশ ভোক্তার মত, প্রোডাক্ট রিভিউ তাদের কেনাকাটার সিদ্ধান্তকে প্রভাবিত করে।

ইউটিউব থেকে আয়
অনলাইনে আয়ের হাজারো পদ্ধতির মধ্যে ইউটিউব ভীষণ জনপ্রিয়। ইউটিউবে নিজের একটি চ্যানেল খুলে মজাদার ও শিক্ষণীয় ভিডিও আপলোড করে আয় করতে পারেন। চ্যানেল জনপ্রিয় হলে ইউটিউবের অ্যাডসেন্স পার্টনারশিপ থেকে অফার পেতে পারেন। ওদের অংশীদার হতে পারলে প্রতি মাসে মোটা অঙ্কের অর্থ উপার্জন সম্ভব। তবে এক ভিডিওর নামে অন্য ভিডিও দিয়ে প্রতারণা করলে আয় তো হবেই না, উল্টো চ্যানেল বন্ধ হয়ে যেতে পারে। কয়েক মাস আগে গুগল সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যেসব চ্যানেলে ১০ হাজারের কম ভিউ রয়েছে, সেসব চ্যানেলে বিজ্ঞাপন দেওয়া হবে না। তবে ইউটিউবের নিয়ম মেনে ঠিকমতো চ্যানেল চালাতে পারলে ভালো অঙ্কের অর্থ আসবে।

লেখালেখি
ভালো লেখার হাত এবং ভালো জানাশোনা থাকলে এটা ছাত্রজীবনে টিউশনির দারুণ বিকল্প হতে পারে। ইন্টারনেটে সবকিছুই আসলে কনটেন্টনির্ভর। আপনি ইন্টারনেটে যা কিছু পড়ছেন, তা আপনার মতোই কেউ লিখেছে। অর্থাৎ, বিভিন্ন ওয়েবসাইটে পার্টটাইম কিংবা ফুলটাইম কনটেন্ট রাইটার রয়েছে। এ খাতে বেশ ভালো অঙ্কের অর্থ আয়ের সুযোগ আছে। ধরে নেওয়া যাক, আপনি অটোমোবাইল ইঞ্জিনিয়ার, মানে এ শাখায় আপনার ভালো জ্ঞান আছে। আপনি বিভিন্ন ওয়েবসাইটে এ বিষয়ে লিখতে পারেন পারিশ্রমিকের বিনিময়ে। লেখালেখির বিষয় আসলে যেকোনো কিছুই হতে পারে।

অনলাইন ছাড়াও নানা পত্রপত্রিকা কিংবা ম্যাগাজিনে লিখতে পারেন। দৈনিক পত্রিকায় পেশাদার কলাম লেখকদের বেশ কদর। বাংলাদেশের বাইরেও নানা পত্রিকায় লিখতে পারেন। সে জন্য অবশ্য ভাষার দক্ষতা জরুরি। পত্রিকাগুলো নিয়মিত সাংবাদিকের বাইরে প্রচুর প্রদায়ক নিয়ে থাকে। প্রদায়ক হিসেবে কাজ করলে লেখার বিনিয়মে আয় করার পাশাপাশি এখানে আপনার ক্যারিয়ারও তৈরি হতে পারে।

খণ্ডকালীন চাকরি
বিভিন্ন নামকরা রেস্টুরেন্ট, ফ্যাশন হাউস নিয়মিত কর্মীর চেয়ে খণ্ডকালীন কর্মীর প্রতি বেশি আগ্রহ দেখায়। এসব প্রতিষ্ঠানে নিজের সুবিধামতো সময় বেছে নেওয়ারও সুযোগ থাকে। পারিশ্রমিকও মন্দ নয়।

ছোটখাটো ব্যবসা
আগামী উদ্যোক্তা হতে চাইলে ছাত্রজীবন থেকেই ছোটখাটো ব্যবসা শুরু করতে পারেন। তবে খেয়াল রাখবেন, পড়াশোনার কোনো ক্ষতি যেন না হয়। বাসায় বসে স্বল্প পুঁজিতে যেসব ব্যবসা করা যায়, সেসব নিয়ে কাজ করা ভালো। যেমন টি-শার্টের ডিজাইনিং ও বিক্রি, ইলেকট্রনিকস পণ্য মেরামত করে বিক্রি, অ্যাকুরিয়াম বানানো, বই বাঁধানো, এমনকি ছোটখাটো খামারও করতে পারেন। তবে গ্রামের ছাত্ররা ছোট পরিসরে খামার করার কার্যক্রম হাতে নিতে পারেন।

ঘরের বাইরেও এমন কিছু ব্যবসা রয়েছে, যেখানে স্বল্প পুঁজিতে টিকে থাকা যায়। ঢাকার রাস্তাঘাটে চায়ের দোকানের অভাব নেই। কিংবা ছোটখাটো খুপরি রেস্টুরেন্টও প্রচুর। দু-তিনটি চায়ের টং দোকান কিংবা একটি খুপরি রেস্টুরেন্ট নিশ্চিত করতে পারে আপনার টিকে থাকার ভিত্তি। মনে রাখবেন, লাভ-ক্ষতি ব্যবসারই অংশ। ছাত্রজীবনে সৃজনশীল ব্যবসায় মেধা খাটালে ক্ষতির ঝুঁকি কম।

তবে মনে রাখবেন
যা-ই করুন না কেন, মনে রাখবেন, পড়াশোনা যেন সব সময় আপনার অগ্রাধিকার তালিকার শীর্ষে থাকে। নিজের পড়াশোনার ক্ষতি হয়—এমন কাজ থেকে বিরত থাকবেন। আরও বেশি আয়ের লোভে কাজে আরও বেশি ঝুঁকে পড়ে পড়াশোনাকে ক্ষতিগ্রস্ত করবেন না।





Source: http://www.prothom-alo.com/life-style/article/1287516/%E0%A6%9B%E0%A6%BE%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%9C%E0%A7%80%E0%A6%AC%E0%A6%A8%E0%A7%87-%E0%A6%9F%E0%A6%BF%E0%A6%89%E0%A6%B6%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A6%B0-%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A6%B2%E0%A7%8D%E0%A6%AA-%E0%A6%95%E0%A7%80

14
Public Health / চিনি খেলে কৃমি হয়?
« on: August 11, 2016, 10:34:19 AM »
শিশুর পেটে কৃমি সংক্রমণ নিয়ে রয়েছে অনেক বিভ্রান্তি। যেমন বাচ্চার দাঁত কটমট করলে বা অতিরিক্ত লালা ঝরলে অনেকে মনে করেন কৃমি হয়েছে। পাঁচ থেকে সাত মাস বয়সে কিন্তু বাচ্চাদের একটু বেশিই লালা ঝরতে থাকে। এর সঙ্গে কৃমির সম্পর্ক নেই। অনেকের ধারণা, বেশি মিষ্টি খেলে কৃমি হয়। এ ধারণাও ভুল। মিষ্টি বা চিনি নয়, কৃমি সংক্রমণের সঙ্গে সম্পর্ক আছে যেকোনো দূষিত খাবারের। গরমে যে কৃমির ওষুধ খাওয়ানো যাবে না, এটাও ঠিক নয়।
তবে বিভ্রান্তি যা-ই থাকুক, বাংলাদেশে শিশুদের একটা বড় অংশ কৃমি সংক্রমণের শিকার। কৃমি বাচ্চাদের তীব্র স্বাস্থ্যহানি ঘটায়। তাই শিশুদের কৃমিমুক্ত রাখতে মা-বাবার সব সময়ই সচেতন থাকা উচিত।

 খাবার তৈরি ও পরিবেশনের আগে, খাবার আগে ও মলমূত্র ত্যাগের পর সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবে। খুব ছোটবেলা থেকেই শিশুদের মধ্যে এই অভ্যাস গড়ে তুলুন। প্রতিবার খাবার ধরার আগে হাত ধুতে হবে, এটা শেখান।

 হাত ও পায়ের নখ ছোট রাখতে হবে।

 শিশুদের মলমূত্র পরিষ্কারের পর সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবে।

 রান্নার পাতিল, থালাবাসন নিয়মিত পরিষ্কার করতে হবে।

 মাংস, বিশেষ করে গরুর মাংস পুরোপুরি সেদ্ধ করতে হবে

 টয়লেটে যাওয়ার সময় এবং বাড়ির বাইরে পায়ে স্যান্ডেল পরার অভ্যাস করাতে হবে

 রাস্তার অপরিচ্ছন্ন ও দূষিত খোলা খাবার খেতে শিশুকে সব সময়ই নিরুৎসাহিত করবেন।

 গৃহপালিত কুকুর ও বিড়ালকে নিয়মিত কৃমিনাশক ওষুধ দিতে হবে।

বাড়ির সবার একসঙ্গে কৃমির ওষুধ খাওয়া উচিত। বেশির ভাগ কৃমির ওষুধ দুই বছরের বেশি বাচ্চাদের জন্য হয়। তবে আজকাল এক বছর বা তারও কম বয়সের শিশুদের খাওয়ানো যায়, এমন ওষুধ পাওয়া যাচ্ছে। অবশ্য খুব ছোট শিশুকে কৃমির ওষুধ খাওয়ানোর আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।







Source: http://www.prothom-alo.com/life-style/article/942388/%E0%A6%9A%E0%A6%BF%E0%A6%A8%E0%A6%BF-%E0%A6%96%E0%A7%87%E0%A6%B2%E0%A7%87-%E0%A6%95%E0%A7%83%E0%A6%AE%E0%A6%BF-%E0%A6%B9%E0%A7%9F

15
Food / শজনে ডাঁটার মেলা গুণ
« on: April 19, 2016, 11:16:28 AM »
১. হাড় শক্ত করে
শজনে ডাঁটায় আছে ক্যালসিয়াম, লৌহ ও অন্যান্য ভিটামিন। হাড়ের গঠনে শজনে সহায়ক। দুধের সঙ্গে মিশিয়ে বা জুস আকারে শজনে খাওয়া যায়। শিশুদের হাড়ের গঠনে শজনে তাই কার্যকরী।

২. রক্ত পরিষ্কার করে
শজনের পাতা ও সবুজ ডাঁটায় রক্ত শোধনের উপাদান রয়েছে। রয়েছে জীবাণুরোধী উপাদান। নিয়মিত শজনের ডাঁটা ঝোল বা জুস আকারে খেলে ত্বকের সমস্যা দূর হয়।

৩. রক্তে চিনির পরিমাণ কমায়
শজনের পাতা রক্তে চিনির পরিমাণ কমিয়ে ফেলতে পারে এবং ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখতে পারে। পিত্তথলির কার্যকারিতা বাড়িয়ে স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনে সাহায্য করতে পারে শজনে।

৪. শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যা দূর করে
কফ, কাশি, গলাব্যথার সমস্যা দূর করতে এক কাপ শজনের স্যুপ খেতে পারেন। শজনেতে থাকা প্রদাহনাশী উপাদান শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যা দূর করতে। হাঁপানি, ব্রঙ্কাইটিস ও যক্ষ্মার মতো ফুসফুসের রোগের বিরুদ্ধে প্রাকৃতিক প্রতিষেধক শজনে।

৫. গর্ভবতী নারীর জন্য উপকারী
গর্ভবতী নারীদের নিয়মিত শজনে খাওয়া উচিত। কারণ, সন্তান জন্ম ও জন্মের আগে ও পরের জটিলতা দূর করতে সাহায্য করতে পারে শজনে। দরকারি ভিটামিন ও খনিজ মাতৃদুগ্ধ উৎপাদনে সাহায্য করে।

৬. সংক্রমণ প্রতিরোধ করে
শজনের পাতা ও ফুলে ব্যাকটেরিয়ারোধী উপাদান থাকে, যা গলা ও ত্বকের নানা সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়তে পারে। এতে প্রচুর ভিটামিন সি থাকে, যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।

৭. হজমে সাহায্য করে
শজনে ডাঁটা ও পাতায় ভিটামিন বি কমপ্লেক্স থাকে, যা হজম-প্রক্রিয়ায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। হজম-প্রক্রিয়ায় জটিল কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন ও চর্বিকে সহজই ভেঙে ফেলে শজনের এই উপাদান।

৮. যৌনস্বাস্থ্যের জন্য উপকারী
শজনেতে প্রচুর পরিমাণ জিংক থাকে, যা শুক্রাণু উৎপাদন-প্রক্রিয়ায় কার্যকর ভূমিকা রাখে। শজনেতে যে দরকারি যৌগ থাকে, যা পুরুষের অক্ষমতা দূর করতে পারে।






Source: http://www.prothom-alo.com/life-style/article/834199/%E0%A6%B6%E0%A6%9C%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%AE%E0%A7%87%E0%A6%B2%E0%A6%BE-%E0%A6%97%E0%A7%81%E0%A6%A3

Pages: [1] 2 3 ... 10