Show Posts

This section allows you to view all posts made by this member. Note that you can only see posts made in areas you currently have access to.


Messages - Md. Zakaria Khan

Pages: [1] 2 3 ... 26
1
মুমিনগণ, কেউ যেন অপর কাউকে উপহাস না করে। কেননা, সে উপহাসকারী অপেক্ষা উত্তম হতে পারে এবং কোন নারী অপর নারীকেও যেন উপহাস না করে। কেননা, সে উপহাসকারিণী অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ হতে পারে। তোমরা একে অপরের প্রতি দোষারোপ করো না এবং একে অপরকে মন্দ নামে ডেকো না। কেউ বিশ্বাস স্থাপন করলে তাদের মন্দ নামে ডাকা গোনাহ। যারা এহেন কাজ থেকে তওবা না করে তারাই যালেম। [সূরা হুজরাত: 11]
হে মু’মিনগণ! তোমরা অধিক ধারণা হতে বিরত থাক। কতক ধারণা পাপের অন্তর্ভুক্ত। তোমরা অন্যের দোষ খোঁজাখুঁজি করো না, একে অন্যের অনুপস্থিতিতে দোষ-ত্রুটি বর্ণনা করো না। তোমাদের কেউ কি তার মৃত ভাইয়ের গোশত খেতে পছন্দ করবে? তোমরা তো সেটাকে ঘৃণাই করে থাক। আল্লাহকে ভয় কর, আল্লাহ খুব বেশি তাওবাহ ক্ববূলকারী, অতি দয়ালু। (আল হুজরাত, আয়াত ১২)

2
মুমিনের পুরোটা জীবনই কল্যাণময় :
 সাহাবি সুহাইব (রা.) বলেন, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘মুমিনের বিষয় বড়ই আশ্চর্যজনক। তার সবকিছুই তার জন্য কল্যাণবহ; মুমিন ছাড়া আর কারও এ বৈশিষ্ট্য নেই। মুমিন যখন আনন্দদায়ক কিছুর মুখোমুখি হয়, তখন সে শোকর করে আর শোকর তার জন্য কল্যাণ বয়ে আনে। যখন কষ্টদায়ক কিছুর সম্মুখীন হয়, তখন সে সবর করে আর সবরও তার জন্য কল্যাণ বয়ে আনে।’ (মুসলিম, হাদিস : ২৯৯৯)। অর্থাৎ মুমিন যখন আনন্দে আল্লাহর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে, তখন সে এর বিনিময়ে পুণ্য অর্জন করে। একইভাবে যখন সে কষ্টে আল্লাহর জন্য ধৈর্যধারণ করে, তখন সে এর বিনিময়ে পুণ্য অর্জন করে। মুমিনের শোকর ও সবর, কৃতজ্ঞতা ও ধৈর্যধারণ উভয়টির মাধ্যমেই সে অর্জন করে পুণ্য এবং রবের নৈকট্য। ফলে মুমিনের জীবনে ইতিবাচক-নেতিবাচক যা-ই আসে, এর বিনিমসে সে সমৃদ্ধ হয়।
রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘আল্লাহ তার দেওয়া নেয়ামতের ব্যাপারে বান্দাকে পরীক্ষা করেন, যে ব্যক্তি আল্লাহর বণ্টনে সন্তুষ্ট হয়, আল্লাহ তার নেয়ামতে আরও বরকত ও প্রশস্ততা দান করেন। আর যে অসন্তুষ্ট হয়, আল্লাহ তার নেয়ামতে বরকত দেন না।’ (তিরমিজি : ২৩৬৯)।
পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ বলেন, ‘আর আমি অবশ্যই তোমাদের পরীক্ষা করব কিছু ভয়, ক্ষুধা এবং জানমাল ও ফলফলাদির স্বল্পতার মাধ্যমে। আর তুমি ধৈর্যশীলদের সুসংবাদ দাও।’ (সুরা বাকারা, আয়াত : ১৫৫)
আবু সাঈদ খুদরি (রা.) ও আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, নবীজি (সা.) বলেছেন, ‘মুসলিম ব্যক্তির ওপর যে কষ্ট-ক্লেশ, রোগব্যাধি, উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা, দুশ্চিন্তা, কষ্ট ও পেরেশানি আসে, এমনকি যে কাঁটা তার দেহে ফোটে, এসবের মাধ্যমে আল্লাহ তার গুনাহ ক্ষমা করে দেন।’ (বুখারি, হাদিস : ৫৬৪২)।
 ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ তাদের ভালোবাসেন যারা আল্লাহর ওপর ভরসা রাখে।’ (সুরা আলে ইমরান, আয়াত : ১৫৯)।

3
History / Re: History of Muslim'S
« on: October 08, 2024, 03:50:13 PM »
দুশ্চরিত্রা নারীকূল দুশ্চরিত্র পুরুষকুলের জন্যে এবং দুশ্চরিত্র পুরুষকুল দুশ্চরিত্রা নারীকুলের জন্যে। সচ্চরিত্রা নারীকুল সচ্চরিত্র পুরুষকুলের জন্যে এবং সচ্চরিত্র পুরুষকুল সচ্চরিত্রা নারীকুলের জন্যে। তাদের সম্পর্কে লোকে যা বলে, তার সাথে তারা সম্পর্কহীন। তাদের জন্যে আছে ক্ষমা ও সম্মানজনক জীবিকা। [সূরা নূর: 26]

Tafsir Bangla
২৬. প্রত্যেক নিকৃষ্ট পুরুষ ও মহিলাকে প্রত্যেক নিকৃষ্ট কথা ও কাজের সাথেই মানায়। তেমনিভাবে সকল পবিত্রতাই অনুরূপ পবিত্র ব্যক্তির সাথেই মানায়। এ সকল পবিত্র পুরুষ ও মহিলা সম্পর্কে নিকৃষ্ট পুরুষ ও মহিলারা যা বলে তা থেকে তারা মুক্ত ও পবিত্র। তাদের জন্য রয়েছে আল্লাহর পক্ষ থেকে ক্ষমা যার ভিত্তিতে তিনি তাদেরকে ক্ষমা করবেন এবং তাদের জন্য রয়েছে সম্মানিত রিযিক তথা জান্নাত।

4
History / Re: History of Muslim'S
« on: June 25, 2024, 03:08:52 PM »
আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
এক লোক নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) - এর খেদমতে এল। তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর স্ত্রীদের কাছে লোক পাঠালেন। তাঁরা জানালেন, আমাদের নিকট পানি ছাড়া কিছুই নেই। তখন রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, কে আছ যে এই ব্যক্তিকে মেহমান হিসেবে নিয়ে নিজের সাথে খাওয়াতে পার? তখন এক আনসারী সাহাবী [আবূ ত্বলহা (রাঃ)] বললেন, আমি। এ বলে তিনি মেহমানকে নিয়ে গেলেন এবং স্ত্রীকে বললেন, রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) - এর মেহমানকে সম্মান কর। স্ত্রী বললেন, বাচ্চাদের খাবার ছাড়া আমাদের ঘরে অন্য কিছুই নেই। আনসারী বললেন, তুমি আহার প্রস্তুত কর এবং বাতি জ্বালাও এবং বাচ্চারা খাবার চাইলে তাদেরকে ঘুম পাড়িয়ে দাও। সে বাতি জ্বালাল, বাচ্চাদেরকে ঘুম পাড়াল এবং সামান্য খাবার যা তৈরী ছিল তা উপস্থিত করল। বাতি ঠিক করার বাহানা করে স্ত্রী উঠে গিয়ে বাতিটি নিভিয়ে দিলেন। তারপর তারা স্বামী-স্ত্রী দু’জনই অন্ধকারের মধ্যে আহার করার মত শব্দ করতে লাগলেন এবং মেহমানকে বুঝাতে লাগলেন যে, তারাও সঙ্গে খাচ্ছেন। তাঁরা উভয়েই সারা রাত অভুক্ত অবস্থায় কাটালেন। ভোরে যখন তিনি রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) - এর নিকট গেলেন, তখন তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, আল্লাহ্‌ তোমাদের গত রাতের কান্ড দেখে হেসে দিয়েছেন অথবা বলেছেন খুশী হয়েছেন এবং এ আয়াত নাযিল করেছেন। “তারা অভাবগ্রস্ত সত্ত্বেও নিজেদের উপর অন্যদেরকে অগ্রগণ্য করে থাকে। আর যাদেরকে অন্তরের কৃপণতা হতে মুক্ত রাখা হয়েছে, তারাই সফলতাপ্রাপ্ত।”❤️
সহিহ বুখারী, হাদিস নং ৩৭৯৮

5
আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
এক লোক নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) - এর খেদমতে এল। তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর স্ত্রীদের কাছে লোক পাঠালেন। তাঁরা জানালেন, আমাদের নিকট পানি ছাড়া কিছুই নেই। তখন রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, কে আছ যে এই ব্যক্তিকে মেহমান হিসেবে নিয়ে নিজের সাথে খাওয়াতে পার? তখন এক আনসারী সাহাবী [আবূ ত্বলহা (রাঃ)] বললেন, আমি। এ বলে তিনি মেহমানকে নিয়ে গেলেন এবং স্ত্রীকে বললেন, রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) - এর মেহমানকে সম্মান কর। স্ত্রী বললেন, বাচ্চাদের খাবার ছাড়া আমাদের ঘরে অন্য কিছুই নেই। আনসারী বললেন, তুমি আহার প্রস্তুত কর এবং বাতি জ্বালাও এবং বাচ্চারা খাবার চাইলে তাদেরকে ঘুম পাড়িয়ে দাও। সে বাতি জ্বালাল, বাচ্চাদেরকে ঘুম পাড়াল এবং সামান্য খাবার যা তৈরী ছিল তা উপস্থিত করল। বাতি ঠিক করার বাহানা করে স্ত্রী উঠে গিয়ে বাতিটি নিভিয়ে দিলেন। তারপর তারা স্বামী-স্ত্রী দু’জনই অন্ধকারের মধ্যে আহার করার মত শব্দ করতে লাগলেন এবং মেহমানকে বুঝাতে লাগলেন যে, তারাও সঙ্গে খাচ্ছেন। তাঁরা উভয়েই সারা রাত অভুক্ত অবস্থায় কাটালেন। ভোরে যখন তিনি রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) - এর নিকট গেলেন, তখন তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, আল্লাহ্‌ তোমাদের গত রাতের কান্ড দেখে হেসে দিয়েছেন অথবা বলেছেন খুশী হয়েছেন এবং এ আয়াত নাযিল করেছেন। “তারা অভাবগ্রস্ত সত্ত্বেও নিজেদের উপর অন্যদেরকে অগ্রগণ্য করে থাকে। আর যাদেরকে অন্তরের কৃপণতা হতে মুক্ত রাখা হয়েছে, তারাই সফলতাপ্রাপ্ত।”❤️
সহিহ বুখারী, হাদিস নং ৩৭৯৮

6
ভাগ্যিস বিজ্ঞান এসব আবিষ্কার করেছিল; নইলে জানাই যেত না যে কোরানে আগেভাগেই এতকিছু বলা আছে!!!
১ – বিজ্ঞান কিছুদিন আগে জেনেছে চাঁদের নিজস্ব কোন আলো নেই। সূরা ফুরক্বানের ৬১ নং আয়াতে কুরআনে এই কথা বলা হয়েছে প্রায় ১৪০০ বছর আগে।
২ – বিজ্ঞান মাত্র দুশো বছর আগে জেনেছে
চন্দ্র এবং সূর্য কক্ষ পথে ভেসে চলে... সূরা
আম্বিয়া ৩৩ নং আয়াতে কুরআনে এই কথা বলা হয়েছে প্রায় ১৪০০ বছর আগে।
৩ – সূরা কিয়ামাহ’র ৩ ও ৪ নং আয়াতে ১৪০০ বছর আগেই জানানো হয়েছে; মানুষের আঙ্গুলের ছাপ দিয়ে মানুষকে আলাদা ভাবে সনাক্ত করা সম্ভব। যা আজ প্রমাণিত।
৪ - ‘ বিগ ব্যাং’ থিওরি আবিষ্কার হয় মাত্র
চল্লিশ বছর আগে। সূরা আম্বিয়া ৩০ নং আয়াতে কুরআনে এই কথা বলা হয়েছে প্রায় ১৪০০ বছর আগে।
৫ – পানি চক্রের কথা বিজ্ঞান জেনেছে বেশি দিন হয় নি... সূরা যুমার ২১ নং আয়াতে কুরআন এই কথা বলেছে প্রায় ১৪০০ বছর আগে।
৬ – বিজ্ঞান এই সেদিন জেনেছে লবণাক্ত পানি ও মিষ্ঠি পানি একসাথে মিশ্রিত হয় না। সূরা ফুরকানের ২৫ নং আয়াতে কুরআন এই কথা বলেছে প্রায় ১৪০০ বছর আগে।
৭ – ইসলাম আমাদেরকে ডান দিকে ফিরে ঘুমাতে উৎসাহিত করেছে; বিজ্ঞান এখন বলছে ডান দিকে ফিরে ঘুমালে হার্ট সব থেকে ভাল থাকে।
৮ – বিজ্ঞান এখন আমাদের জানাচ্ছে পিপীলিকা মৃত দেহ কবর দেয়, এদের বাজার পদ্ধতি আছে। কুরআনের সূরা নামল এর ১৭ ও ১৮ নং আয়াতে এই বিষয়ে ধারণা দেয়।
৯ – ইসলাম মদ পানকে হারাম করেছে , চিকিৎসা বিজ্ঞান বলছে মদ পান লিভারের জন্য ক্ষতিকর।
১০ – ইসলাম শুকরের মাংসকে হারাম করেছে। বিজ্ঞান আজ বলছে শুকরের মাংস লিভার, হার্টের জন্য খুবই ক্ষতিকর।
১১- রক্ত পরিসঞ্চালন এবং দুগ্ধ উৎপাদন এর ব্যাপারে আমাদের চিকিৎসা বিজ্ঞান জেনেছে মাত্র কয়েক বছর আগে। সূরা মুমিনূনের ২১ নং আয়াতে কুরআন এই বিষয়ে বর্ণনা করে গেছে।
১২ - মানুষের জন্ম তত্ব ভ্রুন তত্ব সম্পর্কে
বিজ্ঞান জেনেছে এই কদিন আগে। সূরা আলাকে কুরআন এই বিষয়ে জানিয়ে গেছে ১৪০০ বছর আগে।
১৩ - ভ্রন তত্ব নিয়ে বিজ্ঞান আজ জেনেছে
পুরুষই ( শিশু ছেলে হবে কিনা মেয়ে হবে) তা নির্ধারণ করে। ভাবা জায়... কুরআন এই কথা জানিয়েছে ১৪০০ বছর আগে।
( সূরা নজমের ৪৫, ৪৬ নং আয়াত, সূরা
কিয়ামাহ’র ৩৭- ৩৯ নং আয়াত)
১৪ - একটি শিশু যখন গর্ভে থাকে তখন সে আগে কানে শোনার যোগ্যতা পায় তারপর পায় চোখে দেখার। ভাবা যায়?
১৪০০ বছর আগের এক পৃথিবীতে ভ্রুনের বেড়ে ওঠার স্তর গুলো নিয়ে কুরআন বিস্তর আলোচনা করে। যা আজ প্রমাণিত !
( সূরা সাজদাহ আয়াত নং ৯ , ৭৬ এবং সূরা ইনসান আয়াত নং ২ )
১৫ – পৃথিবী দেখতে কেমন? এক সময় মানুষ মনে করত পৃথিবী লম্বাটে, কেউ ভাবত পৃথিবী চ্যাপ্টা, সমান্তরাল... কোরআন ১৪০০ বছর আগে জানিয়ে
গেছে পৃথিবী দেখতে অনেকটা উট পাখির ডিমের মত গোলাকার।
১৬ – পৃথিবীতে রাত এবং দিন বাড়া এবং কমার রহস্য মানুষ জেনেছে দুশ বছর আগে। সূরা লুকমানের ২৯ নং আয়াতে কুরআন এই কথা জানিয়ে গেছে প্রায় দেড় হাজার বছর আগে !!
......আমাদের সমস্যা হল আমরা সব কিছুই জানি... যারা নাস্তিক তারাও জানে... পার্থক্য টা হল ' বোধ' যেমন ধরুন একজন নেশাকর জানে যে নেশা করলেই তার জীবন নষ্ট হয়ে যাবে, যে ছেলে বাবা কে খুন
করেছে সে জানে যে এই মানুষটি তাকে জন্ম
দিয়েছে... সব জেনে শুনেই আমরা সব থেকে খারাপ কাজ গুলো করি... ব্যাপারটা অজ্ঞানতার না ব্যাপারটা ' বোধ' এর। আল্লাহ্ বলেন.. ঐ ব্যাক্তির কথার চেয়ে কার কথা উওম যে নিজে সৎকর্ম করে এবং অন্যকে সৎকর্মের জন্য আহবান করে।____ সূরা হা-মিম সিজদাহ্--(৩৩)......। নবী সা.বলেন. আমার পরে সবচেয়ে বড় দানশীল ব্যাক্তি তিনি,যে কোন বিষয়ে জানলো এবং অন্যকে তা জানালো.....( বায়হাকী)(সংগৃহীত)

7
Islam / Islamic Discussion
« on: January 04, 2024, 08:05:24 AM »
মানুষের অধিকার :
হাদীসে আরো এসেছে: আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,
“তোমরা কি জান দরিদ্র অসহায় ব্যক্তি কে? সাহাবায়ে কেরাম বললেন, আমাদের মধ্যে দরিদ্র অসহায় ব্যক্তিতো সে যার কোনো টাকা পয়সা বা সম্পদ নেই। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন: আমার উম্মতের মধ্যে সত্যিকার দরিদ্র অসহায় হলো সেই ব্যক্তি যে কিয়ামতের দিন সালাত, সিয়াম ও যাকাতসহ অনেক ভালো কাজ নিয়ে উপস্থিত হবে, অথচ দুনিয়াতে বসে সে কাউকে গালি দিয়েছিল, কারো প্রতি অপবাদ দিয়েছিল, করো সম্পদ আত্নসাত করেছিল, কারো রক্তপাত ঘটিয়েছিল, কাউকে মারধোর করেছিল ফলে তার নেক আমলগুলো থেকে নিয়ে তার দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের পাওনা আদায় করা হবে। এভাবে যখন তার নেক আমলগুলো শেষ হয়ে যাবে ক্ষতিগ্রস্তদের দেওয়ার জন্য আর কিছু থাকবে না তখন তাদের পাপগুলো তাকে দেওয়া হবে ফলে জাহান্নামে নিক্ষিপ্ত হবে”।[2]
এ হাদীস দুটো থেকে আমরা যা শিখতে পারলাম:
এক. গুনাহ, পাপ বা অপরাধ দু প্রকার। প্রথম প্রকার হলো যা দ্বারা আল্লাহ তা‘আলার অধিকার বা হক ক্ষুন্ন হয়। যেমন শির্ক করা, সালাত পরিত্যাগ করা, হজ আদায় না করা ইত্যাদি। আর দ্বিতীয় প্রকার হলো যা দ্বারা মানবাধিকার বা হুকুকুল ইবাদ ক্ষুন্ন হয়। যেমন, করো সম্পদ দখল করা, গালি দেওয়া, মারধোর করা ইত্যাদি। প্রথম প্রকারের পাপগুলো ক্ষমা করা আল্লাহর দায়িত্বে থাকে। আল্লাহ তা‘আলা ইচ্ছা করলে এগুলো ক্ষমা করে দিতে পারেন। আর দ্বিতীয় প্রকার পাপগুলো আল্লাহ তা‘আলা ক্ষমা করবেন না। যতক্ষণ না ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি ক্ষমা না করে।
দুই. দুনিয়াতে বসে মৃত্যুর পূর্বেই ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের ক্ষতিপূরণ আদায় করতে হবে। বা তার কাছ থেকে দাবী ছাড়িয়ে নিতে হবে।
তিন. যার মাধ্যমে ব্যক্তি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তার নেক আমল বা সৎকর্ম থেকে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের পাওনা পরিশোধ করা হবে। এমনি পাওনা পরিশোধ করতে করতে যদি নেক আমলগুলো শেষ হয়ে যায় তাহলে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তির পাপগুলো তার উপর চাপিয়ে দিয়ে তার পাওনা পরিশোধ করা হবে।
চার. আলোচিত ব্যক্তি আসলে ধনীই ছিল। তার অনেক নেক আমল ছিল। কিন্তু এগুলো এমনভাবে আর এমন সময়ে নিঃশেষ হয়ে গেল যে, তা অর্জন করার আর কোনো পথই থাকলো না। এ জন্য রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ ব্যক্তিকে সত্যিকার অসহায় বলেছেন। কারণ দুনিয়াতে কেউ নিঃস্ব হয়ে গেলে সে আবার পরিশ্রম করে সম্পদ অর্জন করতে পারে। কিন্তু বিচার দিবসে কেউ নিঃস্ব হয়ে গেলে তার সামনে আর সম্পদ অর্জনের সুযোগ থাকে না।
পাঁচ. রাসূলুল্লা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের এ হাদীস আমাদেরকে মানুষের অধিকার রক্ষার ব্যাপারে যত্নবান হতে নির্দেশ দেয়। মানুষের সম্মান, সম্পদ, শরীর সবকিছু আমাদের জন্য হারাম করা হয়েছে। এগুলোর কোনটি ক্ষতিগ্রস্ত করলে মানবাধিকার লংঘিত হয়।
[1] সহীহ বুখারী, হাদীস নং ২৪৪৯।
[2] সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ২৫৮১।

8
History / Re: History of Muslim'S
« on: December 07, 2023, 03:31:55 PM »
মানুষের হতাশায় আল্লাহ যেভাবে সাহায্য করেন
@মানুষ বলে, আমি ব্যর্থ !
> আল্লাহ বলেন, 'অবশ্যই ঈমানদার সফল হয়' (সুরা মুমিনুন : আয়াত ১)
@ মানুষ বলে, আমার জীবনে অনেক কষ্ট !
> আল্লাহ বলেন, 'নিশ্চয় কষ্টের সঙ্গেই রয়েছে স্বস্তি।' (সুরা নাশরাহ : আয়াত ৬)
@মানুষ বলে, আমাকে কেউ সাহায্য করে না !
> আল্লাহ বলেন, 'মুমিনদের সাহায্য করা আমার দায়িত্ব' (সুরা রূম : আয়াত ৪৭)
@মানুষ বলে, আমি দেখতে খুবই কুৎসিত !
> আল্লাহ বলেন, 'আমি সৃষ্টি করেছি মানুষকে সুন্দরতর অবয়বে।' (সুরা ত্বীন : আয়াত ৪)
@মানুষ বলে, আমার সঙ্গে কেউ নেই !
> আল্লাহ বলেন, তোমরা ভয় করো না, আমি তোমাদের সঙ্গে আছি, আমি শুনি এবং দেখি।' (সুরা ত্বহা : আয়াত ৪৬)
@ মানুষ বলে, আমার গোনাহ অনেক বেশি !
> আল্লাহ বলেন, 'নিশ্চয়ই আল্লাহ তওবাকারীদের ভালোবাসেন।' (সুরা বাকারা : আয়াত ২২২)
@মানুষ বলে, আমার জীবনে আনন্দ নেই !
> আল্লাহ বলেন, আপনার পালনকর্তা শিগগিরই আপনাকে এতা দান করবেন, অতপর আপনি সন্তুষ্ট হবেন।' (সুরা দোহা : আয়াত ৫)
@মানুষ বলে, আমার কোনো পরিকল্পনাই সফল হচ্ছে না !
> আল্লাহ বলেন, আমিও কৌশল অবলম্বন করেন। মূলতঃ আল্লাহই হচ্ছেন সর্বোত্তম পরিকল্পনাকারী' (সুরা ইমরান : আয়াত ৫৪)
@মানুষ বলে, আমার কেউ নেই!
> আল্লাহ বলেন, 'যে ব্যক্তি আল্লাহর উপর ভরসা করে তার জন্যে তিনিই যথেষ্ট। আল্লাহ তার কাজ পূর্ণ করবেন।' (সুরা তালাক : আয়াত ৩)

9
History / Re: History of Muslim'S
« on: November 12, 2023, 03:07:42 PM »
আবু হুরাইরা (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, আল্লাহ তাআলা সাত ব্যক্তিকে সেই দিনে তাঁর (আরশের) ছায়া দান করবেন যেদিন তাঁর ছায়া ব্যতীত আর কোন ছায়া থাকবে না; (তারা হল,) ন্যায়পরায়ণ বাদশাহ (রাষ্ট্রনেতা), সেই যুবক যার যৌবন আল্লাহ আযযা অজাল্লার ইবাদতে অতিবাহিত হয়, সেই ব্যক্তি যার অন্তর মসজিদসমূহের সাথে লটকে থাকে (মসজিদের প্রতি তার মন সদা আকৃষ্ট থাকে।) সেই দুই ব্যক্তি যারা আল্লাহর সন্তুষ্টিলাভের উদ্দেশ্যে বন্ধুত্ব ও ভালোবাসা স্থাপন করে; যারা এই ভালোবাসার উপর মিলিত হয় এবং এই ভালোবাসার উপরেই চিরবিচ্ছিন্ন (তাদের মৃত্যু) হয়। সেই ব্যক্তি যাকে কোন কুলকামিনী সুন্দরী (অবৈধ যৌন-মিলনের উদ্দেশ্যে) আহবান করে, কিন্তু সে বলে, ’আমি আল্লাহকে ভয় করি।’ সেই ব্যক্তি যে দান ক’রে গোপন করে; এমনকি তার ডান হাত যা প্রদান করে, তা তার বাম হাত পর্যন্তও জানতে পারে না। আর সেই ব্যক্তি যে নির্জনে আল্লাহকে স্মরণ করে; ফলে তার উভয় চোখে পানি বয়ে যায়।
(বুখারী ৬৬০, ১৪২৩, ৬৮০৬, মুসলিম ২৪২৭)

10
History / Re: History of Muslim'S
« on: November 02, 2023, 03:47:14 PM »


মৃত্যু আসবেই। এটা এক অবধারিত বিষয়। কেউ তা থেকে পলায়ন করতে পারবে না। এমনকি কার মৃত্যু কখন হবে, কোথায় হবে এ কথাও কেউ জানে না। মৃত্যুর বিষয়টি শুধু আল্লাহই জানেন। তাইতো তিনি বলেন-
وَمَا تَدْرِي نَفْسٌ مَّاذَا تَكْسِبُ غَدًا ۖ وَمَا تَدْرِي نَفْسٌ بِأَيِّ أَرْضٍ تَمُوتُ ۚ إِنَّ اللَّـهَ عَلِيمٌ خَبِيرٌ
কেউ জানে না আগামীকাল সে কী উপার্জন করবে এবং কেউ জানে না কোন স্থানে সে মৃত্যুবরণ করবে। আল্লাহ সর্বজ্ঞ, সর্ববিষয়ে সম্যক জ্ঞাত।' (সুরা লোকমান: আয়াত ৩৪)

11
History / Re: History of Muslim'S
« on: October 23, 2023, 03:36:52 PM »
আলা কুল্লি শাইয়িন কাদির মানে কী ?
একজন বিচক্ষণ মানুষ যাচ্ছিলেন একটি শহরের পাশ দিয়ে। তিনি স্রষ্টাকে লক্ষ্য করে বলে উঠলেন কিভাবে আবার শহরটি প্রাণ ফিরে পাবে। পবিত্র কুরআনের সূরা বাকারায় ২৫৯ আয়াতে বহু আগের ঘটনাটি আল্লাহ উল্লেখ করেছেন। সেটি ছিল একটি বিরান জনশূন্য উল্টে পড়ে থাকা শহর। সেখানে আবার জনবসতি গড়ে ওঠা ওই ব্যক্তির কাছে একটি অসম্ভব ব্যাপার মনে হয়েছিল। আল্লাহ তাকে তাৎক্ষণিক মৃত্যু দিলেন, এক শ’ বছর পর আবার জীবিত করলেন। তাকে জিজ্ঞেস করা হলো, তুমি কতক্ষণ ঘুমিয়েছ? তিনি জানালেন এক দিন বা তার কিছু অংশ। মহান স্রষ্টা তাকে জানালেন, না, তুমি এভাবে এক শ’ বছর ঘুমিয়ে কাটিয়েছ। তাকে লক্ষ করতে বলা হলো, তুমি যে খাদ্য ও পানীয় নিয়ে এসেছিলে, তা পচেনি এমনকি স্বাদ সামান্যও বদলেনি।
বলা হলো, ‘তাকিয়ে দেখো, তোমার গাধাটির দিকে। সেটির আর কোনো অস্তিত্ব এখন অবশিষ্ট নেই, ধূলিসাৎ হয়ে গেছে। তবে এখন আমরা এটিকে আবার কিভাবে পূর্ণরূপে ফিরিয়ে আনি সেটি দেখো।’ তিনি সামনেই দেখতে পেলেন, মাটির সাথে মিশে যাওয়া হাড়গোড় অস্তিত্ব পাওয়া শুরু করেছে। একটার সাথে আরেকটা হাড় জোড়া লাগছে। সেগুলোর ওপর পরানো হলো গোশতের পোশাক। তার ওপর মোড়ানো হলো চামড়া। তাতে লেগে গেল চুল পশম ও লোম। তার সামনে এক শ’ বছর আগের গাধাটি হুবহু আগের রূপে হাজির হয়ে গেল। এসব দেখে বিচক্ষণ ব্যক্তি মন্তব্য করেছিল, ‘ইন্নাল্লাহা আলা কুল্লি শাইয়িন কাদির’। আয়াতের শেষে তার মন্তব্যটি সংযুক্ত রয়েছে।
তিনি আসলে কোনোভাবে বিশ্বাস করতে পারছিলেন না, শহরটিতে আবার জনবসতি গড়ে উঠতে পারে। অথচ এ শহরটি আগে একবার শূন্য থেকে গড়ে উঠেছিল, যেখানে এর কোনো অস্তিত্ব ছিল না। এই পুরো মহাবিশ্ব এমনকি চিন্তা করা মানুষটিরও একসময় কোনো অস্তিত্ব ছিল না। আজ তার কাছেই অনেক কিছু অসম্ভব আর অবাস্তব মনে হচ্ছে। তাই তাকে দেখিয়ে দেয়া হলো সব কিছু সম্ভব। আমরা যদি খুঁটিয়ে লক্ষ করি তা হলে দেখতে পাবো, এই পথিকের কাছে থাকা খাদ্য ও পানীয়ের ওপর দিয়ে সময় প্রবাহিত হয়নি। তাই তার খাদ্য পচেনি, পানির রঙ ও গন্ধ পরিবর্তন হয়নি। অন্য দিকে গাধাটির ওপর দিয়ে এক শ’ বছর অতিবাহিত হয়েছে। সে কারণে সেটির অস্তিত্ব বিলীন হয়ে মাটির সাথে মিশে গেছে। আবার সেটিকে এক শহর পুনরুজ্জীবিত করার মতোই ফিরিয়ে আনা হয়েছে। গাধাটির বয়স ও শক্তিতেও কোনো হেরফের হয়নি। চোখের সামনে এটি পূর্ণ অস্তিত্ব ধারণ করার কারণে তিনি মন্তব্যটি করেছিলেন, ‘ইন্নাল্লাহা আলা কুল্লি শাইয়িন কাদির’।
আরবি বাক্যাংশটির অর্থ হচ্ছে, নিশ্চয়ই আল্লাহ প্রত্যেক বিষয়ের ওপর ক্ষমতাবান। আরো সহজ করে বলা যায়, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ প্রতিটি ব্যাপারে তার ক্ষমতা প্রয়োগে সক্ষম।’

12
History / Re: History of Muslim'S
« on: October 12, 2023, 03:21:58 PM »
ইসলামে পুরুষদের বিয়ে একটাই।

কুরআনে পুরুষের একটি বিয়ের কথাই বলা হয়েছে।

এ কথায় অনেকেই হয়তো চমকে যাবেন। সেটাই স্বাভাবিক। অনেকেই ভাবেন চারটি পর্যন্ত বিয়ে করা জায়েজ। কেউ বলেন ফরজ।

অনেক অমুসলিমেরও ধারণা আল্লাহর নির্দেশেই মুসলিম পুরুষ চারটি বিয়ে করেন।

একথা ঠিক, কুরআনে চারটি পর্যন্ত বিয়ের "অনুমতি" দেওয়া হয়েছে। তবে সে বিয়ে চঞ্চলা চপলা যুবতী নারীর রূপ যৌবনে মুগ্ধ হয়ে বিয়ে নয়,

তিনটি বিশেষ শ্রেণীর নারীকে বিয়ের জন্য ই সে অনুমতি।

১, সমাজের অসহায় যুবতী।

২. অসহায় বা ল বিধবা, বা বিধবা।

৩. স্বামী পরিত্যক্তা মহিলা।

অর্থাৎ এই অনুমতি বঞ্চিত অসহায় নারী জাতিকে রক্ষার জন্য, মোটেই সম্ভোগের জন্য নয়।

তবে এ ক্ষেত্রেও কঠিন শর্ত আরোপ করা হয়েছে। তা হল, সকল স্ত্রীর প্রতি সমান ব্যাবহার।

" - কিন্তু যদি আশঙ্কা করো যে, সকলের প্রতি সমান ব্যবহার করতে পারবে না, তবে একটি মাত্র বিয়ে করো।" (সূরা নিসা: ৪:৩)।

এই অনুমতি কেই হাতিয়ার করে কিছু সম্ভোগ বিলাসী পুরুষ একাধিক বিবাহে উৎসাহী হন। অনেক অমুসলিম সুযোগ সন্ধানী পুরুষও একাধিক অবৈধ স্ত্রীকে আইনি স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য সাময়িকভাবে মুসলিম হয়ে যান। আল্লাহর দেওয়া কঠিন শর্তটা উপেক্ষিতই থেকে যায়।

একাধিক স্ত্রীকে সমান চোখে দেখা, বা সমান মর্যাদা দেওয়া রক্ত মাংসের কোনো পুরুষের পক্ষেই সম্ভব নয়। মহান আল্লাহ সেটা ভালই জানেন। তাই তিনি সূরা নিসা'য় ১২৯ আয়াতে বলেই দিয়েছেন;

"যতো ইচ্ছাই করো না কেন, তোমরা স্ত্রীদের প্রতি সমান ব্যবহার করতে পারবে না।" (৪:১২৯)।

তাহলে কুরআনের শেষ কথা দাঁড়ালো, একের বেশি বিয়ে করো না।

কুরআনের এই আয়াতটা সমাজে অপ্রচলিত, উপেক্ষিত।

আলেম সমাজ ও ১২৯ নম্বর আয়াতটির উল্লেখ সেভাবে করেন না, এবং সেটা নিজেদের স্বার্থেই। কারণ নিজেরাই তো সমস্ত শর্ত জলাঞ্জলি দিয়ে তিন চারটি বিয়ে করে বসে আছেন!

কেউ থাকেন গাছ তলায়, কেউ থাকেন হাট খোলায়,
তবুও নাকি সব স্ত্রী আছেন সমান মর্যাদায়!

সংগৃহীত।

13
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
قُلۡ یٰعِبَادِیَ الَّذِیۡنَ اَسۡرَفُوۡا عَلٰۤی اَنۡفُسِهِمۡ لَا تَقۡنَطُوۡا مِنۡ رَّحۡمَۃِ اللّٰهِ ؕ اِنَّ اللّٰهَ یَغۡفِرُ الذُّنُوۡبَ جَمِیۡعًا ؕ اِنَّهٗ هُوَ الۡغَفُوۡرُ
বলুন, হে আমার বান্দাগণ! তোমরা যারা নিজেদের প্রতি অবিচার করেছ; আল্লাহ্‌র অনুগ্রহ থেকে হতাশ হয়ো না, নিশ্চয় আল্লাহ সমস্ত গোনাহ ক্ষমা করে দেবেন। নিশ্চয় তিনি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু
SAY, "O MY SERVANTS WHO HAVE TRANSGRESSED AGAINST THEMSELVES [BY SINNING], DO NOT DESPAIR OF THE MERCY OF ALLAH. INDEED, ALLAH FORGIVES ALL SINS. INDEED, IT IS HE WHO IS THE FORGIVING, THE MERCIFUL.
সূরাঃ আয-যুমার- আয়াত নং - ৫৩
তাফসীর :
ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুমা বলেন, কিছু লোক ছিল, যারা অন্যায় হত্যা করেছিল এবং অনেক করেছিল। আরও কিছু লোক ছিল, যারা ব্যভিচার করেছিল এবং অনেক করেছিল। তারা এসে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর কাছে আরজ করল: আপনি যে ধর্মের দাওয়াত দেন, তা তো খুবই উত্তম, কিন্তু চিন্তার বিষয় হল এই যে, আমরা অনেক জঘন্য গোনাহ করে ফেলেছি। আমরা যদি ইসলাম গ্রহণ করি, তবে আমাদের তওবা কবুল হবে কি? এর পরিপ্রেক্ষিতেই আলোচ্য আয়াত অবতীর্ণ হয় ৷ [বুখারী: ৪৮১০, মুসলিম: ১২২]

14
History / Re: History of Muslim'S
« on: October 02, 2023, 03:26:32 PM »
رَبِّ إِنِّي لِمَا أَنزَلْتَ إِلَيَّ مِنْ خَيْرٍ فَقِير
উচ্চারণ : ‘রাব্বি ইন্নি লিমা আনজালতা ইলাইয়্যা মিন খাইরিন ফাকির।
অর্থ : ‘হে আমার প্রভু! তুমি আমার প্রতি যে অনুগ্রহ নাজিল করবে, নিশ্চয় আমি তার মুখাপেক্ষী।’ (সুরা কাসাস : আয়াত ২৪)

এটি ছিলো হজরত মুসা আলাইহিস সালামের একটি আকুতি। আল্লাহর কাছে আশ্রয় লাভ ও কাজ অনুসন্ধানের আহ্বান উঠে এসেছে এ দোয়ায়। কুরআনুল কারিমে ঘটনাটি এভাবে এসেছে-
হজরত মুসা আলাইহিস সালাম যখন ফেরাউনের ঘর থেকে বেরিয়ে আসেন। তখন তার কোথাও যাওয়ার, আশ্রয়ের কিংবা জীবিকার কোনো সংস্থান ছিল না। ফেরাউনের ঘর থেকে বেরিয়ে সে সময় তিনি অনেক দূরে চলে গিয়েছিলেন। আল্লাহ বলেন-
‘যখন সে মাদইয়ানের কূপের কাছে পৌঁছল। সেখানে দেখল একদল লোক তাদের পশুগুলোকে পানি পান করাচ্ছে এবং তাদের পিছনে দু’জন নারী তাদের পশুগুলোকে আগলে আছে। মুসা আলাইহিস সালাম বললেন, তোমাদের কি হলো? (দাঁড়িয়ে আছ কেন?) ওরা (নারী) বলল, রাখালরা ওদের পশুগুলোকে নিয়ে সরে না গেলে আমরা আমাদের পশুগুলোকে পানি পান করাতে পারি না। আর আমাদের বাবা অতি বয়স্ক মানুষ।’ (সুরা কাসাস : আয়াত ২৩)
পরের আয়াতেই মুসা আলাইহিস সালামের কাজ চেয়ে আল্লাহর মুখাপেক্ষী হওয়ার আবেদন এসেছে। আল্লাহ তাআলা মুসা আলাইহিস সালামের সে আহ্বান তথা দোয়া এভাবে তুলে ধরেন-
‘মুসা (আলাইহিস সালাম) তখন ওদের (দুই নারীর) পশুগুলোকে পানি পান করালো। তারপর সে ছায়ার নিচে আশ্রয় গ্রহণ করে বলল- ‘হে আমার প্রভু! তুমি আমার জন্য যে অনুগ্রহ নাজিল করবে, নিশ্চয় আমি তার মুখাপেক্ষী।’ (সুরা কাসাস : আয়াত ২৪)
অর্থাৎ আমার জীবিকা নির্বাহের জন্য কাজ বা চাকরি দরকার। তুমি আমার জন্য যে কাজ বা জীবিকার ব্যবস্থা করবে। আমি তোমার ব্যবস্থা করা সে কাজের বা জীবিকার মুখাপেক্ষী।
পরের আয়াতে মুসা আলাইহিস সালামের প্রতি অনুগ্রহ নাজিলের সুসংবাদ রয়েছে। আল্লাহ তাআলা তা উল্লেখ করেন এভাবে-
‘তখন (ওই) দুই নারীর একজন জড়োসড়ো পায়ে তার কাছে এসে বলল- আপনি যে আমাদের পশুগুলোকে পানি পান করিয়েছেন, তার পারিশ্রমিক দেয়ার জন্য আমার বাবা আপনাকে ডাকছেন। তারপর মুসা আলাইহিস সালাম তার কাছে এসে সব ঘটনা বর্ণনা করলেন। সে বলল, ‘ভয় করো না। তুমি জালিম সম্প্রদায়ের কবল থেকে বেঁচে গেছ। ওদের (দুই নারীর) একজন বলল- হে আব্বা! আপনি একে মজুর হিসেবে নিযুক্ত করুন। কারণ আপনার মজুর হিসেবে নিশ্চয় সে (মুসা) উত্তম হবে, যে শক্তিশালী ও বিশ্বস্ত।’ (সুরা কাসাস : আয়াত ২৫-২৬)
আর এভাবেই হজরত মুসা আলাইহিস সালামের চাকরির অনুগ্রহ প্রার্থনার দোয়া কবুল হয়েছিল। সেখানে তার থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা হয়েছিল।
চাকরি কিংবা কাজ, কোনোটিই মহান আল্লাহর ইশারা ছাড়া হয় না। তাই আল্লাহর অনুগ্রহ লাভে চাকরির জন্য হজরত মুসা আলাইহিস সালামের সে আবেদন মুমিন মুসলমানের জন্য অনুকরণীয় ও অনুসরণীয়।

15
নবী (সাঃ)আরও ইরশাদ করেন – “ঐ ব্যক্তি কিয়ামতের দিন আমার সবচেয়ে নিকটে থাকবে, যে আমার উপর বেশি বেশি দুরূদ শরীফ পাঠ করে।” (তিরমিজী শরিফ)
তিনি মহানবী (সাঃ) আরও বলেন, “যে ব্যক্তি আমার উপর একবার দুরূদ শরীফ পাঠ করবে আল্লাহ তা‘আলা তার উপর দশটি রহমত নাযিল করবেন, তার দশটি গুনাহ মাফ করবেন এবং দশটি মর্যাদা বৃদ্ধি করবেন। (মুসতাদরাকে হাকেম হাদীস নং-২০৫৬)

اللَّهُمَّ صَلِّ وَسَلِّمْ عَلَى نَبَيِّنَا مُحَمَّدٍ
বাংলা উচ্চারণঃ আল্লা-হুম্মা সল্লি ওয়া সাল্লিম আ’লা নাবিয়্যিনা মুহা’ম্মাদ।
বাংলা অর্থঃ হে আল্লাহ! আপনি আমাদের নবী মুহাম্মাদের উপর সালাত ও সালাম বর্ষণ করুন।

Pages: [1] 2 3 ... 26