Daffodil International University
Entertainment & Discussions => Sports Zone => Cricket => Topic started by: Anuz on July 15, 2019, 12:14:21 PM
-
মার্টিন গাপটিল ঝাঁপ দিলেন। ওদিকে জস বাটলারও ঝাঁপ দিলেন বল ধরে স্টাম্প ভাঙার জন্য। অনেক পিছিয়ে থাকা গাপটিলের পক্ষে সম্ভব হলো না বাটলারকে পেছনে ফেলা। ভাঙল স্টাম্প, সুপার ওভারেও হলো টাই। ইংল্যান্ড ও নিউজিল্যান্ড দুই দলই ১৫ রান নিয়েছে। বিশ্বকাপ ক্রিকেটের প্রথম সুপার ওভারও শেষ হলো টাইয়ে!
টাই হলেও বাটলার কেন অত আনন্দ নিয়ে ছুটতে লাগলেন? জো রুট কেন বেয়ারস্টোকে জড়িয়ে ধরে ওভাবে চিৎকার করতে লাগলেন? বোলার জফরা আর্চারই–বা কেন ওভাবে কী করবেন বুঝতে না পেরে একা একাই উদ্যাপন করতে লেগে গেলেন! লর্ডসের বিখ্যাত গ্যালারিও কেন নিজেদের সেই ঐতিহ্যের গাম্ভীর্য ভুলে ওভাবে আনন্দের আতিশয্যে ভাসতে লাগল?কারণ, সুপার ওভারের নিয়ম।
সুপার ওভারে যদি দুই দল সমান রান করে তখন বাউন্ডারির হিসাব চলে আসে। মূল ম্যাচ ও সুপার ওভার মিলিয়ে যে দল সবচেয়ে বেশি বাউন্ডারি মারবে, তারাই জিতবে সুপার ওভার। সেখানে যদি দুই দলে সমতা থাকে, তখন দেখা হবে সুপার ওভারে কারা বাউন্ডারি বেশি মেরেছে তার। সুপার ওভারে জিমি নিশাম নিউজিল্যান্ডের পক্ষে একটি ছক্কা মেরেছেন, ওদিকে বাটলার ও স্টোকস মেরেছেন দুটি চার।
কিন্তু সমতা হলে ইংল্যান্ড জিতবে সেটা আগেই জানা ছিল। নিউজিল্যান্ড মূল ইনিংসে ১৬টি বাউন্ডারি মেরেছিল। আর ইংল্যান্ড মেরেছিল ২৪টি। ফলে সুপার ওভারে নিউজিল্যান্ড যত বাউন্ডারিই মারুক না কেন ইংল্যান্ডকে টপকাতে পারত না তারা। আর এ কারণেই সুপার ওভারে টাই হওয়ার পরও কোনো চিন্তা ছাড়া পাগলাটে আনন্দে মাতল ইংল্যান্ড। তিনটি ফাইনাল হারার দুঃখ ভুলে লর্ডসেই ট্রফি নিয়ে উদ্যাপন করল ইংল্যান্ড।