Show Posts

This section allows you to view all posts made by this member. Note that you can only see posts made in areas you currently have access to.


Messages - taslima

Pages: 1 2 [3] 4 5 ... 33
31
থাইরয়েড গ্রন্থি থেকে যে হরমোন নিঃসৃত হয় তা শরীরের নানা মেটাবলিজম প্রক্রিয়াকে সচল রাখে। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, ছেলেদের চেয়ে মেয়েদের থাইরয়েডের সমস্যায় আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা অনেক বেশি থাকে। [থাইরয়েড ক্যানসার সম্পর্কে জেনে নিন একঝলকে] কেন মহিলারাই এতে বেশি আক্রান্ত হন এর সঠিক কারণ বের না করা গেলেও দেখা গিয়েছে, যৌবনের শুরুতে ও শেষের দিকে থাইরয়েডে আক্রান্ত হন মহিলারা। [অ্যালজেইমার রোগ আটকাবে এই খাবার] একবার থাইরয়েডের সমস্যায় আক্রান্ত হলে সারাজীবন ওষুধের ভরসায় চলতে হয়। নিয়ম মেনে খাওয়া ও ওষুধ খাওয়া, এটাই হয় একমাত্র কর্তব্য। [পেটের রোগ সারানোর সহজ উপায়] হাইপার থাইরয়েডিজমে আক্রান্তদের ক্ষেত্রে উদ্বেগ, অনিয়মিত হৃদস্পন্দন, ঘুমের ব্যাঘাত, ওজন কমে যাওয়া, অনিয়মিত ঋতুস্রাব ইত্যাদির সমস্যা হয়। [কোলেস্টেরল কমানোর সবচেয়ে সহজ উপায়] তবে কিছু খাবার এমন রয়েছে যা বর্জন করলে থাইরয়েডের সমস্যা থেকে খানিক রেহাই পেতে পারেন আপনি। নিচের স্লাইডে বিশদে সেগুলি সম্পর্কে আলোচনা করা হল।
 আয়োডিন সমৃদ্ধ খাবার বর্জন থাইরয়েড গ্রন্থির কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি করে আয়োডিন সমৃদ্ধ খাবার। তাই আয়োডিন সমৃদ্ধ খাবার বর্জন করাই ভালো। লবণ, সামুদ্রিক মাছ ইত্যাদি কম খান।
 ক্যাফেইন হাইপারথাইরয়েডিজমের প্রবণতা বাড়িয়ে তোলে ক্যাফেইন জাত খাবার। ফলে কফির বদলে বিভিন্ন ধরনের জুসে ভরসা করতে পারেন।
 দুধ থাইরয়েডের সমস্যা থাকলে দুধ খাওয়া খুব একটা উপকারী নয়। তবে স্কিমড দুধ খাওয়া যেতে পারে।
 অতিরিক্ত চিনি বিভিন্ন বাজারজাত খাবারে ফ্রুকটোস, স্যাকারিন ইত্যাদি মেশানো থাকে। এগুলি রক্তে শর্করার মাত্রাকে বাড়িয়ে দেয়। যা আদতে শরীরের ক্ষতি করে।
দুগ্ধজাত পণ্য দুধের পাশাপাশি সব ধরনের দুগ্ধজাত পণ্যও থাইরয়েডে আক্রান্তদের জন্য খুব একটা ভালো নয়। দুগ্ধজাত খাবার যেমন পনির, চিজ, আইসক্রিম, দই খেয়ে যদি বদহজম, পেট ফাঁপা, ক্লান্তি ইত্যাদি হয় তাহলে তা এড়িয়ে চলুন।

Read more at: https://bengali.boldsky.com/health/foods-to-avoid-with-hyperthyroidism/articlecontent-pf5534-007957.html

32
থাইরয়েড কি?
থাইরয়েড আমাদের শরীরের একটি গ্রন্থির নাম। এটি থাকে আমাদের গলার স্বরযন্ত্রের দুই পাশে। দেখতে প্রজাপতির ডানার মত। আর এর রঙ টা হল বাদামী। এই গ্রন্থির কাজ হল আমাদের শরীরের কিছু অত্যাবশ্যকীয় হরমোন উৎপাদন করা। যদি কোন কারনে এই গ্রন্থির হরমোন নিঃসরণে কোন প্রকার ব্যতিক্রম হয় তখন এটি বিভিন্ন রোগ ঘটাতে সক্ষম।

থাইরয়েড গ্রন্থি
থাইরয়েড গ্রন্থি
থাইরয়েড বলতে সাধারনত  Hypothyroidism কে বোঝানো হয়। তবে hyperthyroidism কিংবা goiter ও হতে পারে। থাইরয়েড গ্রন্থি তে টিউমার ও হতে পারে। একে নডিউল বলে। এক কিংবা একাধিক হতে পারে এই টিউমার সংখ্যায়। এমনকি খুব খারাপ অবস্থা হলে এটি আপনাকে ক্যান্সার পর্যন্ত নিয়ে যেতে পারে।

আবার এ রোগটি কিন্তু অন্যসব সাধারন রোগের মতও নয়। কারন এর লক্ষণগুলো খুব ধীরে ধীরে প্রকাশ পায়। কিন্তু এর ফল অনেক বেশী ক্ষতিকর। আর এই রোগ  খুব ধীরে ধীরে প্রকাশ পায় বলে বেশির ভাগ রোগী তা  জানেই না যে সে এই রোগটা বহন করছে। আমেরিকার মত উন্নত দেশে ২৭ মিলিয়ন থাইরয়েড রোগী আছে আর তার ৫০ ভাগের বেশী লোকই তা  জানে না যে তার এই রোগ আছে। যেহেতু এর ফলাফল কিছু ক্ষেত্রে খুব মারাত্মক তাই আসুন জেনে নিই কিভাবে বুঝব আমরা ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছি কি না।

থাইরয়েড এর লক্ষণঃ
উপরের আলোচনা যদি আপনার কাছে খুব কঠিন মনে হয় তাহলে আপনার জন্য নিচের প্রশ্নগুলো। নিচে কিছু প্রশ্ন আছে।

এখন নিচের প্রশ্নগুলোর সাথে আপনার উত্তর মিলিয়ে নিন। এর মধ্যে ২ টির কম প্রশ্নের জবাব যদি হ্যাঁ হয় তাহলে আপনি বেশ সুস্থ আছেন। ২-৪ টি প্রশ্নের জবাব যদি হ্যাঁ হয় তাহলে আপনার উক্ত রোগ আছে কিন্তু তা কম মাত্রায়। ৪ এর অধিক প্রশ্নের জবাব যদি হা হয় তাহলে ধরে নিতে হবে আপনার থাইরয়েড এর অবস্থা খুব খারাপ।

আপনার আঙ্গুলের নখগুলো কি পুরু ও ভঙ্গুর?
ত্বক কি শুষ্ক ও চোখগুলো কি প্রায়ই জ্বালা করে?
হাত পা কি ঠাণ্ডা?
গলার স্বর কি ভাঙ্গা?
চুল কি মোটা, চুল পাতলা হয়ে যাচ্ছে বা পরে যাচ্ছে?
আই ভ্রুর বাইরের দিক কি পাতলা হয়ে যাচ্ছে?
ঘাম কি বেশী হয়?
অল্পতেই কি খুব ক্লান্ত  হয়ে যান?
রজঃচক্র কি অনিয়মিত?
যৌন বাসনা কি কমে গেছে?
রজঃনিবৃত্তি পরবর্তী অথবা  PMS কি সাংঘাতিক?
হাত পা কি ঘন ঘন ফুলে যায়?
রক্তচাপ ও হৃদস্পন্দন কি ভাল না?
কোলেস্টেরল এর মাত্রা কি বেশি?
কোন কিছু স্মরণ করতে বা মনঃসংযোগ করতে কি আপনার সমস্যা হয়?
আপাত কোন কারণ ছাড়াই কি আপনার ওজন বাড়ে অথবা কমে?
অবসাদ, খাম-খেয়ালীপনা, উদ্বেগ, খিটখিটে ভাব কি আছে?
পেশীর ক্লান্তি, ব্যথা অথবা দুর্বলতা কি আছে?
বিকিরন চিকিৎসার ঘটনা আছে কি?
বিষের সংস্পর্শে আসার ইতিহাস আছে কি?
পরিবারে আরও যেমন মা- এদের কারো কি থাইরয়েড সমস্যা  আছে কি?
যদি ৪ এর অধিক প্রশ্নের উত্তর হ্যাঁ হয় তবে আর একদিন ও দেরি না করে আজই ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী থাইরয়েড এর চিকিৎসা শুরু করুন।


https://www.bigganbangla.com/%E0%A6%A5%E0%A6%BE%E0%A6%87%E0%A6%B0%E0%A7%9F%E0%A7%87%E0%A6%A1/

33
সকালের নাশতা বা ব্রেকফাস্ট সারা দিনের সুস্থতার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। সকালে আমাদের মেটাবলিজম বা বিপাকক্রিয়ার শুরু, এ সময় সব ধরনের হরমোনও থাকে সক্রিয়।

সকালের স্বাস্থ্যকর খাবার দিয়ে শুরু হবে দিনটা। সকালের নাশতা বাদ দিলে বা সময়মতো না খেলে সারা দিন ক্লান্ত লাগতে পারে। স্ট্যামিনা কমে যেতে পারে কাজের। কিন্তু ওদিকে আপনি হয়তো ডায়েট কন্ট্রোল করছেন, ক্যালরি মেপে খাচ্ছেন। তাহলে কেমন হওয়া উচিত আপনার স্বাস্থ্যকর নাশতা?

: যাঁরা ডায়েট করতে চান, তাঁদের উচিত হবে সকালের নাশতায় ২০০ থেকে ৩০০ ক্যালরি পরিমাণ খাবার গ্রহণ করা। এই খাবারে জটিল শর্করা ও আমিষ থাকতেই হবে। চর্বি বা তেল খুব কম পরিমাণে। সঙ্গে একটি তাজা ফল থাকা ভালো।

: বাড়িতে তৈরি রুটি এবং বাজারের গোটা শস্যের তৈরি ব্রাউন ব্রেড বা সিরিয়ালের চেয়ে পরোটা, নানরুটি বা সাদা পাউরুটিতে ক্যালরি ও চর্বির মাত্রা অনেক বেশি।

: সকালের নাশতায় খানিকটা আঁশ বা ফাইবার থাকলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করা সহজ হবে। সকালের দিকেই কোষ্ঠ পরিষ্কার হবে।

স্বাস্থ্যকর নাশতা কেমন হতে পারে তার উদাহরণ



দুটি হাতে বেলা ছোট রুটি বা চাপাতি (প্রতিটি ৮০ ক্যালরি = ১৬০ ক্যালরি)

এক বাটি সবজি (১৫০ গ্রাম = ৮০ ক্যালরি)

অর্ধেক কলা (৬০ ক্যালরি)



১টা রুটি বা চাপাতি (৮০ ক্যালরি)

১টা ডিম (১৬০ ক্যালরি)

আধা বাটি ডাল (৮০ ক্যালরি)



এক বোল পরিজ দুধ: ২১৭ ক্যালরি



১ কাপ দুধ (১৫০ ক্যালরি)

২ স্লাইস ব্রাউন ব্রেড (১৫৫ ক্যালরি)

https://www.prothomalo.com/life-style/article/1557836/%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A6%B0%E0%A6%BF-%E0%A6%AE%E0%A7%87%E0%A6%AA%E0%A7%87-%E0%A6%B8%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%B6%E0%A6%A4%E0%A6%BE

34
আধুনিক জীবনের গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে রেফ্রিজারেটর। আজকাল দুধ, ফল, সবজি—এসব ফ্রিজ না থাকলে বেশিক্ষণ রাখা যায় না। যেসব খাবারে তীব্র গন্ধ থাকে, তা ফ্রিজে রাখলে দুর্গন্ধ হতে পারে। এ গন্ধ ফ্রিজে রাখা অন্য খাবারকে যেমন নষ্ট করে, তেমনি বিরক্তির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। যাঁরা ফ্রিজের দুর্গন্ধ থেকে মুক্তি চান, তাঁরা পাঁচটি উপায় মেনে দেখতে পারেন। উপায়গুলো জেনে নিন:

ভালোভাবে পরিষ্কার করুন

ফ্রিজ থেকে দুর্গন্ধ দূর করতে প্রথমেই আপনাকে ফ্রিজ পরিষ্কারের কথাটি মাথায় নিতে হতে পারে। ফ্রিজে যা কিছু আছে, আগে সব নামিয়ে রাখুন এবং তা ফ্রিজ খালি করুন। এরপর ফ্রিজ বন্ধ করে এটি পরিষ্কার শুরু করুন। একটি ভেজা কাপড় নিয়ে ফ্রিজের দরজা থেকে শুরু করুন। এরপর ফ্রিজের ওপর দিক থেকে শুরু করে অন্যান্য অংশ ভালো করে মুছে ফেলুন। যেসব খাবার বা সবজি পচে যেতে পারে বলে মনে হয়, তা সরিয়ে ফেলুন। ফ্রিজ মোছার পর ভেজা থাকা অবস্থায় কোনো কিছু রাখবেন না।

বায়ুরোধী কনটেইনার ব্যবহার করুন
মনে রাখবেন, খাবার যদি বায়ুরোধী প্যাকেটে না রাখেন, তবে এক খাবারের গন্ধ আরেক খাবার নষ্ট করতে পারে। ফ্রিজে খাবার বা অন্যান্য জিনিস রাখার জন্য বিভিন্ন আকার আকৃতির বায়ুরোধী পাত্র কিনতে পারেন। এগুলো ব্যবহার করে অনেক খাবার বেশ কিছুদিন ভালো রাখতে পারবেন।

বেকিং সোডা
ফ্রিজ থেকে দুর্গন্ধ দূর করতে বেকিং সোডা দারুণ কাজে দেয়। এতে আছে দুর্গন্ধ প্রতিরোধী উপাদান। একটি ছোট বাটিতে বেকিং সোডা নিয়ে তা ফ্রিজে রাখুন এবং তা কয়েক ঘণ্টা পর্যন্ত রেখে দিন।

ফ্রিজে লেবু রাখুন
ফ্রিজে দুর্গন্ধ দূর করার আরেকটি কার্যকর উপায় হচ্ছে লেবুর ব্যবহার। এতে আছে সাইট্রিক অ্যাসিড। এটি ফ্রিজের ভেতরের দুর্গন্ধ দূর করতে পারে। লেবুর রস বের করে তার মধ্যে তুলা দিয়ে ভিজিয়ে নিন। ওই তুলা দিয়ে ফ্রিজের ভেতরটা পরিষ্কার করতে পারেন। এতে বিরক্তিকর গন্ধ ফ্রিজ থেকে দূর হবে।

সঠিক তাপমাত্রায় রাখুন
ফ্রিজে যখন গন্ধ হয় তখন এর সঙ্গে তাপমাত্রা ঠিক রাখা গুরুত্বপূর্ণ। অস্বাভাবিক তাপমাত্রা ব্যাকটেরিয়া তৈরি করে এবং তা ফ্রিজের ভেতরের খাবার নষ্ট করে। ফ্রিজের মধ্যেকার আদর্শ তাপমাত্রা ৩৭ ডিগ্রি ফারেনহাইটের মধ্যে রাখা ভালো। তথ্যসূত্র: এনডিটিভি।

আরও সংবাদ
বিষয়:
জেনে নিন
http://www.prothomalo.com/life-style/article/1488481/%E0%A6%B0%E0%A7%87%E0%A6%AB%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%87%E0%A6%9F%E0%A6%B0%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%A6%E0%A7%81%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%97%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A7-%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A7%9C%E0%A6%BE%E0%A6%AC%E0%A7%87%E0%A6%A8-%E0%A6%AF%E0%A7%87%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%AC%E0%A7%87

35
প্রয়োজনের অতিরিক্ত জিনিসপত্র না দেওয়া

প্রত্যেক শিশুরই চাহিদা রয়েছে এবং বয়সভেদে চাহিদার পরিবর্তন ঘটে। কিন্তু এই চাহিদা পূরণ করারও সীমা থাকতে হবে। কোনো শিশুকেই বাড়তি খেলনা, পোশাক ইত্যাদি কিনে দিতে হয় না। কারণ তাতে শিশু বেশি বেশি জিনিসে অভ্যস্ত হয়ে ওঠে এবং কোনো কিছুই তাকে বেশি তৃপ্তি বা আনন্দ দিতে পারে না।

সব চাহিদাই না মেটানো

শিশুরা ছোটবেলা থেকে নানা কিছু পেতে চায়। কিন্তু মা-বাবা বা অন্যাদের সব চাহিদা পূরণ করা উচিত নয়। বড়রা যদি শিশুর সব চাহিদা পূরণ করেন, তবে শিশুর চাহিদা দিন দিন বাড়তেই থাকে। একসময় তা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। দ্বীপের মা-বাবা ছোটবেলা থেকে কমবেশি তার সব আবদারই পূরণ করতেন। ফলে দ্বীপ অতিরিক্ত চাহিদাসম্পন্ন হয়ে উঠেছে।
বইয়ের মতো উপহার যেকোনো সময়ই দেওয়া যায়। মডেল: জাকির হোসেন ও শাহরিয়ার। স্থান: বাতিঘর, ঢাকা, ছবি: সুমন ইউসুফ
বইয়ের মতো উপহার যেকোনো সময়ই দেওয়া যায়। মডেল: জাকির হোসেন ও শাহরিয়ার। স্থান: বাতিঘর, ঢাকা, ছবি: সুমন ইউসুফ

বেশি দামি জিনিসপত্র দেবেন না

শিশুর জন্য খেলনা, পোশাক, জুতা বা যেকোনো কিছু কেনার সময় লক্ষ্য রাখতে হবে যাতে সেগুলো বেশি দাম দিয়ে না কেনা হয়। ছোটবেলা থেকে বেশি দামি জিনিস পেতে থাকলে দামি জিনিসে সে অভ্যস্ত হয়ে পড়বে। ফলে কেউ দামি জিনিস উপহার না দিলে শিশু তা পছন্দ করবে না। বড় হয়ে দামি কিছু ছাড়া ব্যবহার করতে চাইবে না। মা-বাবার যদি কোনো সময়ে কোনো কারণে দামি জিনিস কিনে দেওয়ার ক্ষমতা না থাকে, তবে শিশুর এই অভ্যাস বড় সমস্যা তৈরি করে।

সীমিত কেনাকাটা

সন্তানসহ পরিবারের সবার কেনাকাটার চাহিদাও সীমিত রাখতে হবে। শিশুদের কম দিয়ে বড়রা যদি অতিরিক্ত খরচ করেন তবে সে এ ব্যাপারটিকে সহজভাবে নেয় না এবং জিনিসপত্র পাওয়ার জন্য জেদ করা শুরু করে। তাই কারও জন্যই অতিরিক্ত কেনাকাটা করা ঠিক নয়।

ছোটবেলা থেকেই বুঝিয়ে দেওয়া ও বুঝিয়ে বলা

কেন সব চাহিদাই পূরণ করা হবে না, তা শিশুদের ছোটবেলা থেকে বুঝিয়ে বলতে হবে। রাগ করে, ধমক দিয়ে, মেরে বা চিৎকার করে বোঝানো যায় না। ঠান্ডা মাথায় সুন্দর করে কারণগুলো বুঝিয়ে বলতে হবে। মা-বাবার অর্থনৈতিক অবস্থার কথাও সন্তানের উপযোগী করে তাকে বোঝাতে হবে।

ছেলে ও মেয়ে সন্তানের মধ্যে কোনো পার্থক্য নয়

অনেক পরিবারে ছেলে সন্তানের সব চাহিদা পূরণ করা হয়, সে তুলনায় মেয়ের চাহিদা পূরণ করা হয় না। এ ধরনের বৈষম্যমূলক আচরণে ছেলেরা অতিরিক্ত চাহিদাসম্পন্ন হয়ে উঠতে পারে। অপরদিকে মেয়ে অভিমানী হয়ে উঠতে পারে এবং দুঃখ পেতে পারে। এ ধরনের বৈষম্যের কারণে ভাইবোনের মধ্যে হিংসার সম্পর্ক গড়ে উঠতে পারে।

সন্তানকে সময় দেওয়ার বদলে অতিরিক্ত জিনিস না দেওয়া

আজকাল প্রায়ই দেখা যায় চাকরি বা ব্যবসার কাজে মা বা বাবাকে ঘন ঘন দেশের বাইরে যেতে হয়। তাঁরা সন্তানের জন্য বিদেশ থেকে বেশি বেশি জিনিসপত্র কিনে আনেন। তাঁরা হয়তো ভাবেন, দামি জিনিসপত্র দিলেই সন্তান খুশি হয়ে যাবে এবং তাদের অনুপস্থিতি সহজভাবে নেবে। আসলে মা-বাবার সন্তানের কাছে থাকা, তার যত্ন নেওয়া, তার সঙ্গে গল্প করা ইত্যাদির কোনো বিকল্প নেই। সন্তানের জন্য এটাই মঙ্গলের।

সব আবদার মেটানো হয় এমন বিষয়ে আলাপ না করা

আমাদের অনেকেরই শিশুর চাহিদা নিয়ে কথা বলার অভ্যাস রয়েছে। যেমন অন্যের সঙ্গে কথা বলার সময় আমরা বলে থাকি, ‘আমি আমার বাচ্চার সব চাহিদা পূরণ করি, ও কিছু চাইবে আর আমি দেব না এমন হতেই পারে না।’ এ ধরনের কথা শিশুর সামনে বললে সে আরও বেশি করে চাইতে থাকবে। তার বায়না না রাখলে প্রচণ্ড জেদ করবে রাগ প্রকাশ করবে।

লেখক: মনোবিজ্ঞানী
http://www.prothomalo.com/life-style/article/1463301/%E0%A6%B8%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%95%E0%A7%8B%E0%A6%A8-%E0%A6%86%E0%A6%AC%E0%A6%A6%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%AE%E0%A7%87%E0%A6%9F%E0%A6%BE%E0%A6%AC-%E0%A6%95%E0%A7%8B%E0%A6%A8%E0%A6%9F%E0%A6%BE-%E0%A6%A8%E0%A6%BE

36
গরমে কাঁচা আমের এক গ্লাস শরবত সারা শরীরে এনে দিতে পারে প্রশান্তি। বাজারে এখন কাঁচা আম পাবেন। পুষ্টিবিদেরা বলেন, কাঁচা আমের জুস শরীরের জন্য ভালো। কাঁচা আম বা আমের রসে পটাশিয়াম থাকায় প্রচণ্ড গরমে তা শরীর ঠান্ডা রাখতে সহায়তা করে। কাঁচা আমের জুসের কয়েকটি গুণের কথা জেনে নিন:

শরীরে লবণের ঘাটতি দূর করে
গরমে অতিরিক্ত ঘামে শরীর থেকে সোডিয়াম ক্লোরাইড ও লৌহ বের হয়ে যায়। কাঁচা আমের জুস শরীরের এই ঘাটতি দূর করে। যাঁরা ওজন কমাতে বা শরীরের বাড়তি ক্যালরি খরচ করতে চান, তাঁদের জন্য এখন আদর্শ ফল কাঁচা আম।

পেট ভালো রাখে
গরমে পেটের গোলমাল? এক গ্লাস আমের জুস দারুণ কাজে লাগতে পারে। খাদ্য হজমে সহায়তা করে কাঁচা আম। অন্ত্রকে পরিষ্কার করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি দেয় কাঁচা আম।

শরীর ঠান্ডা থাকে
কাঁচা আমে পটাশিয়াম থাকার কারণে তা শরীরকে ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে৷ এ কারণে শরীরে ঘাম কম হয়। গরমে ক্লান্তিও দূর হয়৷ দুপুরে খাওয়ার পর এই গরমে কিছুটা ঝিমুনি ভাব দেখা দিতে পারে। কাঁচা আমে আছে প্রচুর শক্তি। দুপুরের খাওয়ার পরে কয়েক টুকরা কাঁচা আম খেলে ঝিমুনি দূর হয়।

হৃদ্‌যন্ত্রের জন্য ভালো
কাঁচা আমকে হৃদ্‌যন্ত্রবান্ধব বলা যেতে পারে। এতে আছে নিয়াসিন নামের বিশেষ উপাদান। এটি হৃদ্‌রোগের ঝুঁকি কমায় এবং বাজে কোলস্টেরল স্তরকে কমাতে সাহায্য করে। যকৃতের রোগ নিরাময়ের প্রাকৃতিক বন্ধু হতে পারে কাঁচা আম।

স্কার্ভি ও মাড়ির রক্ত পড়া রোধ করে
কাঁচা আম শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় ভিটামিন ‘সি’ জোগাতে পারে। স্কার্ভি ও মাড়ির রক্ত পড়া কমায় কাঁচা আম। আমচুর স্কার্ভি নিরাময়ে অত্যন্ত কার্যকর। নিশ্বাসের দুর্গন্ধ ও দাঁতের ক্ষয় রোধেও সহায়তা করে কাঁচা আম। তথ্যসূত্র: এনডিটিভি।
http://www.prothomalo.com/life-style/article/1457806/%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%81%E0%A6%9A%E0%A6%BE-%E0%A6%86%E0%A6%AE%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%9C%E0%A7%81%E0%A6%B8%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A7%AB-%E0%A6%97%E0%A7%81%E0%A6%A3

37


নীম পাতা চিবানো
নীম পাতার বহুবিধ ব্যবহার সম্পর্কে জানা থাকলেও, মাড়ির রক্তক্ষরণ বন্ধে এই পাতার উপকারিতা নিয়ে জানেন না অনেকেই। নীম পাতা ঔষধি গুণের জন্য বিশেষভাবে পরিচিত। অন্যান্য ব্যবহারের পাশাপাশি দুই-তিনটি পরিষ্কার নীম পাতা চিবালেও দাঁতের মাড়ির রক্ত পড়া বন্ধ হয়। কারণ এই পাতায় আছে অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল উপাদান। তা রক্তক্ষরণ জন্য দায়ী দাঁতের মাড়ির ইনফেকশন (সংক্রমণ) সারাতে কাজ করে থাকে।

লবঙ্গ

ঝাঁঝযুক্ত এই প্রাকৃতিক উপাদানটি দাঁত ও মাড়ির জন্য খুবই উপকারী। লবঙ্গের অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান তাৎক্ষনিকভাবে দাঁতের গোঁড়ার রক্তক্ষরণ বন্ধ করতে কাজ করে। মাড়ি থেকে রক্তক্ষরণ হলে তিন-চারটি শুকনো লবঙ্গ সময় নিয়ে চিবোতে হবে। ঝাঁজ সহ্য না হলে এক কাপ পানিতে ৫-৬টি লবঙ্গ নিয়ে পানিটি ফুটিয়ে সেই পানি দিয়ে কুলি করতে হবে।

লবণ-পানি দিয়ে কুলি করা

দাঁতের মাড়ির রক্তক্ষরণের ক্ষেত্রে লবণ-পানি দিয়ে কুলি করা সবচাইতে প্রাচীন, সহজ ও উপকারী একটি উপায়। কারণ লবণ হলো প্রদাহ-বিরোধী। এটি জীবণুনাশক উপাদান, যা দাঁতের মাড়ির প্রদাহ, ফুলে যাওয়া, ব্যথাভাব, সংক্রমণ দ্রুত কমাতে কাজ করে। মাড়ির রক্তক্ষরণ দেখা দিলে এক গ্লাস কুসুম গরম পানিতে আধা চা চামচ লবণ মিশিয়ে কুলি করতে হবে। দিনে দুই থেকে তিনবার কুলি করলে দ্রুত উপকার পাওয়া যাবে।

ফ্লোরাইড সমৃদ্ধ টুথপেস্ট

দাঁতের ও মুখের ভেতরের সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে রক্তক্ষরণ বন্ধ করা খুবই জরুরি। ফ্লোরাইড সমৃদ্ধ টুথপেস্ট দাঁত ও মাড়ির সুরক্ষায় ভালো কাজ করে থাকে। প্রতিদিন অবশ্যই দুবার দাঁত ব্রাশ করতে হবে। বিশেষ করে খাবার গ্রহণের পরে। ফ্লোরাইডযুক্ত টুথপেস্ট দাঁতের মাড়িতে থাকা ক্ষতিকর ব্যকটেরিয়া ধ্বংস করে এবং দাঁতের আশেপাশের অংশ ভালোভাবে পরিষ্কার করতে সাহায্য করে। তাই যেকোনো টুথপেস্ট ব্যবহার না করে ফ্লোরাইড সমৃদ্ধ টুথপেস্ট কেনার ব্যাপারে সচেতন হতে হবে।

ভিটামিনযুক্ত খাদ্য গ্রহণ

দাঁতের মাড়ির রক্তক্ষরণ বন্ধে ভিটামিনযুক্ত খাদ্য গ্রহণ করা জরুরি। বিশেষ করে ভিটামিন-সি ও ভিটামিন-কে থাকা খাবার মাড়ির স্বাস্থ্য রক্ষায় খুবই কার্যকর।  বিভিন্ন ধরণের টকজাতীয় ফল (লেবু, কমলালেবু, জাম্বুরা, আঙ্গুর), শাক, তেলযুক্ত মাছ ও ডিমে এ দুটি ভিটামিন আছে। এসব খাবার গ্রহণের পাশাপাশি মাড়ির রক্তক্ষরণ দেখা দিলে দন্ত বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে পরামর্শ করতে হবে।

স্কেলিং

দাঁতের গোঁড়া অথবা মাড়ি থেকে রক্ত পড়ার সমস্যাটি বেশির ভাগ ক্ষেত্রে দাঁতের গোঁড়ায় তৈরি হওয়া প্লাক ক্যালকুলাসের (দাঁতের চারপাশে জমে থাকা পাথর) জন্য দেখা দেয়। দীর্ঘদিন দাঁতের গোঁড়ায় প্লাক জমে থাকলে মাড়ি নরম হয়ে যায় ও রক্তক্ষরণ দেখা দেয়। এ কারণে প্রতি ছয় মাস পর স্কেলিং করা মাড়ির সুরক্ষায় বড় ভূমিকা রাখতে পারে।

মাড়ির রক্তক্ষরণ রোধের পাশাপাশি মুখের দুর্গন্ধ দূর করার জন্য কী করণীয় সেটা সম্পর্কেও বেশ কিছু টিপস দিয়েছেন ডা. জিনিয়া।

মুখের দুর্গন্ধ দূর করতে করণীয়

১. পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করতে হবে। বিশেষ করে কুসুম গরম পানি দিয়ে প্রতিদিন অন্তত একবার কুলি করার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে।

২. প্রতি দুই মাস পর ব্যবহৃত দাঁত মাজার ব্রাশ বদলাতে হবে। কারণ এক ব্রাশ বেশি দিন ব্যবহার করলে ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ হতে পারে।

৩. মুখের দুর্গন্ধ তাৎক্ষণিকভাবে দূর করতে চাইলে অল্প পরিমাণে লেবু অথবা কমলালেবুর খোসা চিবালে উপকার পাওয়া যাবে।

৪. প্রতিদিন চার-পাঁচটি পুদিনা অথবা ধনিয়া পাতা চিবানোর অভ্যাস গড়ে তোলা যায়।

৫. শুধু দাঁত মাজা কখনোই যথেষ্ট নয়। ভালোমতো ফ্লসিংও করতে হবে। কারণ, দাঁত মাজার পরও দুই দাঁতের মাঝে ক্ষুদ্র খাদ্যকণা থেকে যায়, যেটা পচে দুর্গন্ধ তৈরি হয়। তাই প্রতিবার খাবারের পর ফ্লসিং করা জরুরি।

প্রিয় লাইফ/কে এন দেয়া

বিভাগ: লাইফ স্বাস্থ্য জীবন চর্চা টিপস
ট্যাগ: দাঁতের যত্ন টিপস দন্ত চিকিৎসক চিকিৎসকের পরামর্শ

38
দুই থেকে পাঁচ বছর বয়সটা বাচ্চাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বয়স। বাচ্চাদের চরিত্র গঠনের উপযুক্ত সময় থাকে এটি। পাঁচ বছর হওয়ার আগেই কিছু বিষয়ে অভ্যস্ত করে তোলুন আপনার বাচ্চাটিকে। অনেক বাবা মা মনে করেন এটি খুব অল্প বয়স বাচ্চাদেরকে নৈতিকতা শিখানোর। কিন্তু এটি ভুল ধারণা। সাধারণত ছোট বয়সে বাচ্চাদের যা শিখানো সেটি তারা সারাজীবন মনে রাখে। কিছু বিষয় আছে যা পাঁচ বছর বয়সের মধ্যে প্রতিটি বাচ্চার শেখা উচিত।

১। সততা

আপনার বাচ্চাটির বয়স পাঁচ বছরে পৌঁছানোর আগে সততার বিষয়টির সম্পর্কে জানান। সে যেন সবসময় সত্য কথা বলে। ছোটখাটো মিথ্যাকেও প্রশ্রয় দিবেন না। এটি তার মিথ্যা বলার প্রবণতা বাড়িয়ে দিবে। মিথ্যা বলা, ঠকানো বা চুরি করা কোন বিষয়কে অবহেলা করবেন না। সত্য কথা বলা শিখান। যদি সে মিথ্যা বলে সেটি নিয়ে খুব বেশি রাগারাগি করবেন না। বরং কিভাবে সে সত্য কথা বলবে সেটি তাকে শিখান।

২। দায়িত্ববোধ

শুনতে অদ্ভুত শোনালেও এটি সত্য। ছোট বয়সে যদি বাচ্চারা দায়িত্ব নেওয়া শিখে যায় তবে তারা একজন দায়িত্ববান মানুষ হয়ে গড়ে উঠে। খুব বেশি কাজের দায়িত্ব তাদের উপর চাপাবেন না। ছোট ছোট কাজ যেমন নিজের খেলনাটা ঠিকমত দেখে রাখা, ঠিক জায়গায় গুছিয়ে রাখা, ময়লা কাপড়টি লন্ড্রি বাস্কেটে রাখা, অথবা ছোট ভাই বা বোনটির যত্ন নেওয়া। এই ছোট ছোট বিষয়গুলো তার মধ্যে দায়িত্ববোধ তৈরি করে থাকে।

৩। সংকল্প

সংকল্প ছাড়া কোন বাচ্চা তার কাজে সাফল্য অর্জন করতে পারে না। এটি শুধু বাচ্চার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়। সংকল্প ছাড়া কেউ কোনদিন জীবনে সাফল্য অর্জন করতে পারে নি। তাই এই বিষয়টির সাথে ছোট থেকে বাচ্চাদের পরিচয় করে দিন।

৪। সমবেদনা

যখন অন্য কোন বাচ্চা পিছলে পড়ে যাবে, তখন আপনার বাচ্চাটি যেন না হেসে পড়ে যাওয়া বাচ্চাটিকে উঠতে সাহায্য করে। অন্যের কষ্টে সে যেন খুশি না হয়। এটি তাকে হিংসা থেকে দূরে রাখবে। অন্যের কষ্টে খুশি হওয়ার কিছু নেই, এই ঘটনাটি তার সাথেও হতে পারত- এই বিষয়টি তাকে বুঝিয়ে বলুন।

৫। সম্মান

এটি খুব জরুরি একটি বিষয়। বড়দের সম্মান করার পাশাপাশি ঘরের গৃহকর্মীকেও সম্মান করা শিখান। অনেক সময় বড়দের দেখাদেখি বাচ্চারা ঘরের গৃহকর্মীর সাথে খারাপ ব্যবহার করে থাকেন। তাই গৃহকর্মীর সাথে খারাপ ব্যবহার করার আগে একবার ভাবুন আপনার বাচ্চাটিও কিন্তু এটি শিক্ষা পাচ্ছে।

এক থেকে পাঁচ বছর বয়সটি অনেক নাজুক একটি সময়। এই সময়ে বাচ্চাদের যা শেখাবেন তারা তাই শিখবে। তা ভাল হোক বা খারাপ।

http://bdrannaghor.com/archives/17579

39
রীরের যে কোন স্থানে সিস্ট Cysts হতে পারে। সিস্ট ত্বকের নীচে মসৃণ, গোলাকার এবং শক্ত গঠনের হয়। সিস্ট Cysts সাধারণত হয়ে থাকে ইনফেকশনের জন্য, সিবাসিয়াস গ্ল্যান্ড ব্লক হয়ে গেলে, বাহ্যিক কোন উপাদান প্রবেশ করলে এবং টক্সিনের কারণে। শরীরের টিস্যুর ভেতরে হয় সিস্ট Cysts এবং এর মধ্যে তরল বা আধা তরল পদার্থ থাকে।

কখনো কখনো এরা ব্যথামুক্ত হয় এবং খুব ধীরে বৃদ্ধি পায়। কিন্তু এই সিস্ট যদি সংক্রমিত হয় তাহলে Cysts pain সিস্টে ব্যথা, চুলকানি বা জ্বলুনি হতে পারে। কখনো কখনো সিস্ট ফেটেও যেতে পারে। সিস্ট যদি আভ্যন্তরীণ অঙ্গ যেমন- কিডনি, লিভার এবং অগ্নাশয়ে হয় তাহলে তা ছোট হয় এবং কোন লক্ষণ প্রকাশ করেনা বলে বোঝাও যায় না।

কিন্তু যদি ত্বকের নীচে হয় তাহলে তা চামড়ার নীচে বিশ্রী লাল ফোলা দেখায় যা স্পর্শ করলে নরম অনুভূত হয় এবং ব্যথা করে। ত্বকের এই সিস্ট Cysts ঘরোয়া কিছু উপাদানের মাধ্যমে নিরাময় করা যায়। সিস্ট Cysts ভালো করার ঘরোয়া প্রতিকারের বিষয়ে জানবো এই ফিচারে।

১। অ্যালোভেরা –

দিনে কয়েকবার অ্যালোভেরা জেল সিস্টের Cysts উপরে ঘষুন। এছাড়াও শরীর থেকে অপদ্রব্য বের হয়ে যাওয়ার জন্য এবং সিস্টকে সংকুচিত করার জন্য ১ কাপ অ্যালোভেরার জুস পান করুন।

২। অ্যাপেল সাইডার ভিনেগার –

সিস্ট Cysts থেকে মুক্ত হওয়ার জন্য অ্যাপেল সাইডার ভিনেগার অত্যন্ত কার্যকরী। ত্বকের pH এর ভারসাম্য পুনরুদ্ধার করতে, যে কোন ইনফেকশন দূর করতে এবং চুলকানি ও জ্বালা-পোড়ার সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে অ্যাপেল সাইডার ভিনেগার। একটি তুলার বল অ্যাপেল সাইডার ভিনেগারে ভিজিয়ে নিয়ে সিস্টটি মুছে নিন। দিনে কয়েকবার এটা করুন। এছাড়াও ১ গ্লাস পানিতে ২ টেবিল চামচ অ্যাপেল সাইডার ভিনেগার মিশিয়ে দিনে ২ বার পান করুন।

৩। হলুদ –

সিস্ট Cysts দূর করতে চমৎকারভাবে কাজ করে হলুদ। ১ কাপ উষ্ণ দুধে আধা চা চামচ হলুদ মিশিয়ে পান করুন। এটি রক্তকে বিশুদ্ধ করে এবং পরিপাকের উন্নতি ঘটায়। ভালো ফল পাওয়ার জন্য ১০ দিন হলুদ মেশানো দুধ পান করুন।

৪। মধু –

সাময়িক ভাবে ক্ষত ভালো করতে পারে মধু। ত্বকের নীচের সিস্ট ভালো করার জন্য মধুর প্রলেপ অত্যন্ত কার্যকরী। গম ঘাস ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে নিন। এর সাথে মধু মিশিয়ে সিস্টের Cysts উপর প্রলেপ দিন এবং একটি পরিষ্কার কাপড় দিয়ে ঢেকে দিন। সারারাত এভাবে রেখে দিন। অবশ্যই ইতিবাচক ফল দেখতে পাবেন।

Source  http://bdrannaghor.com/archives/15822

40
Health Tips / গেঁটে বাত হলে কী করবেন?
« on: October 04, 2017, 04:53:01 PM »
বাতের ব্যথায় শয্যাশায়ী ও কর্মক্ষমতাহীন হয়ে পড়া লোকের সংখ্যা কম নয়। পেশি ও অস্থিসন্ধিতে যন্ত্রণাদায়ক ব্যথা হওয়াকে বাত বলে। গাউট বা গেঁটে বাত এমন একধরনের রোগ, যার উদ্ভব হয় মেটাবলিজমের বিশৃঙ্খলা থেকে।

এ বিষয়ে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক গোবিন্দ চন্দ্র রায় বলেন, এই ব্যথা হঠাৎ তীব্র অসহনীয় রকমের হয়ে থাকলেও সাধারণত পাঁচ-সাত দিনের মধ্যেই ভালো হয়ে যায়। চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া ভালো।

কেন হয়?
গেঁটে বাত একপ্রকার সিনড্রোম, যা ইউরেট নামের একধরনের লবণদানা জমে জোড়া বা সঞ্চিত সৃষ্ট প্রদাহ, যা শরীরের রক্তের প্লাজমায় অতিরিক্ত ইউরিক অ্যাসিডের উপস্থিতির ফলে ঘটে থাকে। গেঁটে বাত স্বল্পকালীন তীব্র প্রদাহ বা দীর্ঘমেয়াদি প্রদাহ—এই দুই প্রকারের হতে পারে। আবার যে কারণে রক্তের ইউরেট লবণ বেড়ে যায়, তা বিভিন্ন কারণে হতে পারে, যেমন পারিপার্শ্বিক বা পরিবেশগত কারণ, ব্যক্তির খাদ্যাভ্যাসের কারণে বা ব্যক্তির জন্মগত ত্রুটির কারণে, যাকে জেনেটিক কারণও বলা যায়।
অতিরিক্ত ইউরিক অ্যাসিড দেহে দুইভাবে জমতে পারে। যেমন অতিরিক্ত ইউরিক অ্যাসিড উৎপাদন ও ইউরিক অ্যাসিড দেহ থেকে নির্গত হতে বাধাপ্রাপ্ত হওয়া। ইউরিক অ্যাসিড দেহ থেকে সাধারণত কিডনির সাহায্যে বের হয়। কোনো কারণে, বিশেষ করে কিডনির রোগের কারণে কিডনির কর্মক্ষমতা হ্রাসে অসুবিধা হতে পারে।

কাদের বেশি হয়?
পুরুষদের এ রোগ হওয়ার প্রবণতা বেশি। নারীদের তুলনায় পুরুষদের এই রোগ পাঁচ গুণ বেশি। গেঁটে বাত সাধারণত কম বয়সী পুরুষ ও বেশি বয়সী নারীদের হয়ে থাকে। মেনোপোজ হওয়ার পর নারীদের মধ্যে এ রোগ দেখা দিতে পারে। যাঁরা প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার, যেমন মাছ, মাংস, ডিম ইত্যাদি বেশি খান, তাঁদের এই রোগ বেশি হয়।

গেঁটে বাতের লক্ষণ
এই রোগের প্রধান প্রধান উপসর্গের মধ্যে পায়ের বুড়ো আঙুলের অসহনীয় ব্যথাসহ হাঁটু, গোড়ালি বা কাঁধে ব্যথা হতে পারে। এই ব্যথা সাধারণত প্রোটিনজাতীয় খাবার খেলে বেড়ে যেতে পারে।
হঠাৎ তীব্র ব্যথা, এমনকি ব্যথার কারণে ঘুম ভেঙে যাওয়া। পায়ের বুড়ো আঙুলের গোড়া ফুলে লাল হয়ে যাওয়া। হাঁটু, কনুই বা অন্য যেকোনো জোড়া ফুলে যাওয়া। ক্রমান্বয়ে হাড় ও তরুণাস্থি ক্ষয় হতে থাকে। ইউরেট লবণের দানা জমাট বেঁধে টফি তৈরি করতে পারে। ক্রমান্বয়ে জোড়া স্বাভাবিক কর্মক্ষমতা হারাতে পারে।
গিঁটের ব্যথা ও অন্যান্য বাতের ব্যথা আলাদা করার উপায় কী?
সহজেই আলাদা করা যায়। এটি মধ্যবয়স্ক পুরুষদের বেশি হয়। আরও কিছু বৈশিষ্ট্য, যেমন পায়ের গোড়ালির জয়েন্ট ফুলে যাওয়া, তীব্র ব্যথা হওয়া ইত্যাদি। মজার বিষয় হলো, যদি গিঁটের বাতের রোগীকে চিকিৎসা না দেওয়া হয়, তাহলে দেখা যাবে প্রথম প্রথম তিন থেকে সাত দিন বা দশ দিনের মধ্যে ব্যথাটি চলে যাবে। ফোলাটাও কমে আসবে। এত তীব্র ব্যথা হয় যে ব্যথানাশক ওষুধ দিতেই হবে। আর বাতজ্বর যেমন ছোট বয়সে হয়, ৫ থেকে ১৫ বছরে হয়, ক্ষেত্রবিশেষে একটু বড়দেরও হতে পারে। কিন্তু সেটার আশঙ্কা কম। বাচ্চাদের জন্য সেটা প্রযোজ্য। সেই বাতজ্বরের আরেকটি বৈশিষ্ট্য হচ্ছে অল্প দিনের মধ্যে জয়েন্টের ব্যথাগুলো চলে যাবে, থাকবে না। আর অন্য যে বাতগুলো যে জয়েন্টগুলোকে আক্রমণ করবে এবং সেখানেই থাকতে চাইবে।

নো কার্ব ডায়েট থেকে কি গিঁটে ব্যথা হয়?
হ্যাঁ হতে পারে। যাঁরা ডায়েটে একেবারে শর্করা বাদ দিয়ে প্রোটিন বেশি করে খেয়ে থাকেন, তাঁদের শরীরে ইউরিক অ্যাসিড বেশি বেশি তৈরি হয়।

চিকিৎসা ও এর প্রতিকার
প্রাথমিক চিকিৎসা—আক্রান্ত জয়েন্টে বরফ লাগাতে হবে এবং বিশ্রামে রাখতে হবে। বেদনানাশক ওষুধ বেশ কার্যকর। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ সেবন করা যেতে পারে।
দীর্ঘমেয়াদি চিকিৎসা—ওজন বেশি থাকলে কমাতে হবে। মদ্যপানের অভ্যাস থাকলে বাদ দিতে হবে। প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার, যেমন মাছ, মাংস (হাঁস, ভেড়া, কবুতর, খাসি ইত্যাদি), ডিম, শিমের বিচি, কলিজা ইত্যাদি খাওয়া যথাসম্ভব কমিয়ে আনতে হবে। যেসব রোগের কারণে গিঁটে ব্যথা হয়, সেসব রোগের যথাযথ চিকিৎসা করাতে হবে। কিছু ওষুধ দীর্ঘমেয়াদি চিকিৎসার জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে।
রিহ্যাবিলিটেশন ও ফিজিক্যাল থেরাপি লাগতে পারে।

সতর্কতা
গেঁটে বাত হলে হাত বা পায়ের দিকে বেশি নজর দিতে হবে, যাতে হাত বা পায়ে কোনো আঘাত না লাগে। কারণ, আঘাত লাগলে এ রোগের তীব্রতা বেড়ে যায়।

লেখক: চিকিৎসক।

Source  http://www.prothom-alo.com/life-style/article/1332616/%E0%A6%97%E0%A7%87%E0%A6%81%E0%A6%9F%E0%A7%87-%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%A4-%E0%A6%B9%E0%A6%B2%E0%A7%87-%E0%A6%95%E0%A7%80-%E0%A6%95%E0%A6%B0%E0%A6%AC%E0%A7%87%E0%A6%A8

41
Health Tips / জন্ডিস হলে কী করবেন?
« on: October 04, 2017, 04:49:16 PM »
জন্ডিস নিজে কোনো রোগ নয়, বরং এটি রোগের লক্ষণ। জন্ডিস হতে পারে নানা কারণে। জন্ডিস বলতে সাধারণত লিভারের প্রদাহজনিত জন্ডিসকেই বোঝানো হয়। ভাইরাস থেকে শুরু করে নানা ধরনের ওষুধ, অ্যালকোহল ইত্যাদি কারণে লিভারে প্রদাহ হতে পারে। আমাদের দেশে লিভার প্রদাহের প্রধান কারণ হেপাটাইটিস ই, এ এবং বি ভাইরাস। এর মধ্যে প্রথম দুটি পানি ও খাদ্যবাহিত আর তৃতীয়টি ছড়ায় মূলত রক্তের মাধ্যমে। হেপাটাইটিস এ ভাইরাস প্রধানত শিশুদের জন্ডিসের কারণ, তবে যেকোনো বয়সের মানুষই হেপাটাইটিস ই ও বি ভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারে।

এ বিষয়ে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সাঈদা রহিম বলেন, প্রস্রাবের রং, চোখ ও ত্বক হলদে দেখালে জন্ডিস হয়েছে বলে সন্দেহ করা হয়। অনেক কারণেই জন্ডিস হতে পারে। তাই চিকিৎসকের শরণাপন্ন হয়ে জন্ডিসের কারণ, মাত্রা, জটিলতা ইত্যাদি জেনে নেওয়া উচিত। আর জন্ডিসের রোগীরা তাদের খাওয়া-দাওয়ার ব্যাপারে খুবই বিভ্রান্তিতে থাকে। কী খেতে হবে আর কী খাওয়া যাবে না, এই নিয়ে পরামর্শের যেন শেষ থাকে না। কারণ, জন্ডিস রোগীর পথ্যের ব্যাপারে প্রচলিত বিশ্বাস অনেক ক্ষেত্রেই আধুনিক চিকিত্সাবিজ্ঞানের সঙ্গে খাপ খায় না।

কীভাবে প্রতিরোধ করা যায়?

সব সময় বিশুদ্ধ খাদ্য ও পানি খেতে হবে। শরীরে রক্ত নেওয়ার দরকার হলে অবশ্যই প্রয়োজনীয় স্ক্রিনিং করে নিতে হবে। ডিসপোজিবল সিরিঞ্জ ব্যবহার করাটাও খুবই জরুরি। বিশেষ করে হেপাটাইটিস বি-এর টিকা প্রত্যেকেরই নেওয়া উচিত। যাঁরা সেলুনে শেভ করেন, তাঁদের খেয়াল রাখতে হবে যেন আগে ব্যবহার করা ব্লেড বা ক্ষুর পুনরায় ব্যবহার করা না হয়। জন্ডিস হলে টিকা নিয়ে কোনো লাভ হয় না। তাই সুস্থ থাকতে আগেই টিকা নিতে হবে। হেপাটাইটিস বি-এর ক্ষেত্রে প্রথম মাসে একটি, দ্বিতীয় মাসে একটি বা ছয় মাসের মধ্যে একটি ডোজ দেওয়া হয়। হেপাটাইটিস এ-এর ক্ষেত্রে একটি ডোজই যথেষ্ট। আর দুই ক্ষেত্রেই পাঁচ বছর পর পর বুস্টার টিকা দেওয়া হয়।

চিকিৎসা

যেহেতু জন্ডিস কোনো রোগ নয়, তাই এর কোনো ওষুধ নেই। ৭ থেকে ২৮ দিনের মধ্যে রক্তে বিলিরুবিনের পরিমাণ স্বাভাবিক হয়ে গেলে জন্ডিস এমনিতেই সেরে যায়। এই সময়ে পর্যাপ্ত বিশ্রামই চিকিৎসা। এ সময় ব্যথার ওষুধ যেমন: প্যারাসিটামল, অ্যাসপিরিন, ঘুমের ওষুধসহ অন্য কোনো অপ্রয়োজনীয় ও কবিরাজি ওষুধ খাওয়া উচিত নয়। এককথায় বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কোনো ওষুধই বাস্তবে সেবন করা ঠিক না। এতে হিতে বিপরীত হওয়ার ঝুঁকিটাই বেশি থাকে।

সাবধানতা

রোগীকে বাইরের খাবার সব সময় পরিহার করতে হবে। বিশেষ করে খুব সাবধান থাকতে হবে পানির ক্ষেত্রে। জন্ডিস থাক বা না থাক, না ফুটিয়ে পানি পান করা যাবে না। বিশেষ সতর্ক থাকতে হবে ফুচকা, চটপটি, বোরহানি আর সালাদের ব্যাপারে। কারণ, হেপাটাইটিস এ বা ই-এর মতো পানিবাহিত ভাইরাসগুলো এসবের মাধ্যমেই ছড়িয়ে থাকে। বিশেষ করে গর্ভবতী নারীদের খুব সাবধান থাকা উচিত। এ সময় মায়েরা প্রায়ই বাইরের খাবার খেয়ে থাকেন। আর গর্ভাবস্থায় শেষ তিন মাসে যদি হেপাটাইটিস ই হয়, তবে তা থেকে মা ও গর্ভের শিশুর মৃত্যুর আশঙ্কা শতকরা ৫০ ভাগেরও বেশি।

খাবার কেমন হবে?

খাবারের ব্যাপারে তেমন কোনো বিধিনিষেধ নেই। তবে ভাইরাল হেপাটাইটিসে যকৃতের কার্যকারিতা কিছুটা হলেও ব্যাহত হয়। তাই যকৃৎ ও পিত্তথলির ওপর অতিরিক্ত কাজের চাপ সৃষ্টি না হয় এমন কিছু খাবার এড়িয়ে চলাই উচিত। যেমন চর্বিজাতীয় খাবার (ঘি, মাখন, যেকোনো ভাজা খাবার বা ফাস্টফুড, গরু-খাসির মাংস ইত্যাদি)। জন্ডিসের রোগীদের ক্যালরির উৎস হিসেবে তাই সহজে হজমযোগ্য সরল শর্করা, যেমন: শরবত, ভাত, জাউভাত, সুজি, রুটি ইত্যাদি বেশি খাওয়া উচিত।

বিশ্রাম কেমন হবে?

পূর্ণ বিশ্রাম মানে এই সময়ে ভারী কোনো কাজ বা পরিশ্রমের কোনো কাজ না করা। কারণ, ভাইরাল হেপাটাইটিস লিভারে প্রদাহ সৃষ্টি করে। ফলে পূর্ণ বিশ্রাম না নিলে বা অতিরিক্ত শারীরিক পরিশ্রমের ফলে জন্ডিসের মাত্রা বেড়ে গিয়ে জটিল আকার ধারণ করতে পারে।

কিছু ভ্রান্ত ধারণা

অনেকে মনে করে, জন্ডিস হলে বেশি বেশি পানি পান করতে হবে। খেতে হবে বেশি করে আখের রস, ডাবের পানি, গ্লুকোজের শরবত ইত্যাদি। আসলে ব্যাপারটি এ রকম নয়। জন্ডিস রোগীকে সাধারণ মানুষের মতোই পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি খেতে হবে। সমস্যা হতে পারে স্বাভাবিকের চেয়ে কম পানি পান করলে। বেশি বেশি পানি খেলে ঘন ঘন প্রস্রাব হয় বলে তা কিছুটা হালকা হয়ে এলেও রক্তে বিলিরুবিনের পরিমাণ এতে বিন্দুমাত্র কমে না। বরং ঘন ঘন প্রস্রাব করার জন্য রোগীকে বারবার টয়লেটে যেতে হলে রোগীর বিশ্রামে ব্যাঘাত ঘটে।

আখের রস আমাদের দেশে জন্ডিসের একটি বহুল প্রচলিত ওষুধ। রাস্তার পাশের যে দূষিত পানিতে আখ ভিজিয়ে রাখা হয় সেই পানি মিশ্রিত আখের রস খাওয়া থেকে হেপাটাইটিস এ বা ই ভাইরাস মানুষের শরীরে ছড়াতে পারে।

আরেকটি প্রচলিত বিশ্বাস হচ্ছে জন্ডিসের রোগীকে হলুদ দিয়ে রান্না করা তরকারি খেতে দিলে নাকি জন্ডিস বাড়তে পারে। কথা হলো, রক্তে বিলিরুবিন নামক একটি হলুদ পিগমেন্টের পরিমাণ বেড়ে যাওয়ার কারণেই জন্ডিস দেখা দেয়। এর সঙ্গে খাবারের হলুদের কোনো ধরনের যোগাযোগ নেই।

জন্ডিসে আক্রান্ত মায়ের দুগ্ধদানে মানা নেই

জন্ডিস রোগে আক্রান্ত মা নিশ্চিন্তে তাঁর সন্তানকে দুধপান করাতে পারেন। তবে মায়ের যদি হেপাটাইটিস বি ভাইরাসজনিত জন্ডিস হয়ে থাকে তবে শিশুর জন্মের সঙ্গে সঙ্গেই হেপাটাইটিস বি ভাইরাসের টিকা এবং ইমিউনোগ্লোবুলিন ইনজেকশন দেওয়া অত্যন্ত জরুরি। কারণ, মায়ের দুধের মাধ্যমে না ছড়ালেও, মায়ের ঘনিষ্ঠ সাহচর্যে শিশুর হেপাটাইটিস বি ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে।

নবজাতকের জন্ডিস

সব ঠিকঠাক থাকলেও জন্মের পর শতকরা ৭০ থেকে ৮০ ভাগ নবজাতকের জন্ডিস হতে পারে। জন্ডিস আক্রান্ত শিশুর প্রায় ৫০ শতাংশের বেলায় একে বলে স্বাভাবিক জন্ডিস। শিশুর যকৃৎ পুরোপুরি কর্মক্ষম হয়ে উঠতে একটু দেরি হলে রক্তে বিলিরুবিনের মাত্রা  বেড়ে গিয়ে এই জন্ডিস হয়। এ সময়ে কোনো  অবস্থায়ই নবজাতককে বুকের দুধ খাওয়ানো থেকে বিরত রাখা যাবে না। স্বাভাবিক জন্ডিস সাত দিনের মধ্যেই সেরে ওঠার কথা। তবে জন্মের ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই জন্ডিস দেখা দিলে, সাত বা দশ দিনের পরও না সারলে, শিশু খাওয়া বন্ধ করে দিলে বা কমিয়ে দিলে, জ্বর বা সংক্রমণের লক্ষণ থাকলে, বিলিরুবিনের মাত্রা দ্রুত বাড়তে থাকলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করতে হবে।

লেখক: চিকিৎসক

42
থাইরয়েড হচ্ছে হরমোন উৎপাদনকারী প্রজাপতির আকৃতির ছোট গ্রন্থি যা শরীরের বিপাক এবং প্রতিটা কোষ, কলা এবং অঙ্গের কাজের উপর প্রভাব বিস্তার করে। এটি ঘাড়ের নীচের ও মধ্যবর্তী স্থানে থাকে। পুরুষের চেয়ে নারীরাই থাইরয়েডের সমস্যায় ভোগেন বেশি। থাইরয়েডের সাধারণ সমস্যাগুলো হচ্ছে – হাইপারথাইরয়ডিজম, হাইপোথাইরয়ডিজম, থাইরয়ডিটিস, থাইরয়েড নডিউল ইত্যাদি। অনেক থাইরয়েডের সমস্যাই জেনেটিক কারণে হয়ে থাকে। যদি চিকিৎসা করা না হয় তাহলে থাইরয়েডের সমস্যা আপনার বিপাককে প্রভাবিত করবে এবং আপনার কার্ডিওভাস্কুলার ডিজিজ, অষ্টিওপোরোসিস এবং বন্ধ্যাত্ব এর সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। বেশীরভাগ থাইরয়েডের সমস্যাই সারা জীবন থাকে, যা আপনি খুব সহজেই নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেন চিকিৎসা গ্রহণ, খাবার এবং জীবনযাত্রার পরিবর্তনের মাধ্যমে। থাইরয়েডের সমস্যা আছে যাদের তাদের যে কাজগুলো করা ঠিক নয় সেগুলো জেনে নিই চলুন।

১। স্ট্রেস

থাইরয়েডের রোগীদের জন্য স্ট্রেস বা মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা জরুরী। বস্তুত অতিরিক্ত স্ট্রেসের কারণে থাইরয়েডের সমস্যা বৃদ্ধি বা প্রকাশিত হতে পারে। স্ট্রেসে ভুগলে শরীরে কর্টিসল হরমোন নিঃসৃত হয় যা থাইরয়েড হরমোন উৎপাদনে হস্তক্ষেপ করে।

২। ধূমপান

থাইরয়েডের রোগীদের জন্য ধূমপান করা এবং পরোক্ষ ধূমপানের সংস্পর্শ ক্ষতিকর। সিগারেটের ধোঁয়ায় সায়ানাইড থাকে যা অ্যান্টিথাইরয়েড এজেন্ট রূপে কাজ করে। এই যৌগটি সরাসরি আয়োডিন গ্রহণ এবং হরমোনের সংশ্লেষণে বাধা দেয়। এছাড়াও ধোঁয়ার অন্যান্য উপাদানও থাইরয়েডের কাজের উপর মারাত্মক প্রভাব ফেলতে পারে। থাইরয়েডের সমস্যায় আক্রান্তদের টোব্যাকো থেকে দূরে থাকা উচিত থাইরয়েডের লক্ষণের বৃদ্ধি প্রতিরোধের জন্য।

৩। ঔষধ গ্রহণে অবহেলা এবং নিয়মিত চেকআপ না করা

থাইরয়েডের সমস্যা নিরাময়ের জন্য নিয়মিত ঔষধ সেবন করা জরুরী। ভালো অনুভব করলেও নিজে নিজে ঔষধ গ্রহণ করা বন্ধ করে দেয়া ঠিক নয়। নিজে নিজে ভুল মাত্রার ঔষধ গ্রহণ করাও থাইরয়েডের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। থাইরয়েড স্টিমুলেটিং হরমোন (TSH) ব্লাড টেস্ট নামক রক্ত পরীক্ষাটি বছরে ১/২ বার করানো উচিত।

৪। সকালে কফির সাথে থাইরক্সিন ট্যাবলেট গ্রহণ করা

থাইরক্সিন ট্যাবলেট সকালে খালি পেটে গ্রহণ করলে ভালোভাবে শোষিত হয়। নাস্তা গ্রহণের ৩০-৬০ মিনিট আগে থাইরক্সিন ট্যাবলেট সেবন করুন। এছাড়াও রাতে ঘুমানোর ২-৩ ঘন্টা আগে গ্রহণ করতে পারেন এই ঔষধ। মনে রাখবেন ফাইবারযুক্ত ও দুধের তৈরি খাবারের সাথে, প্রোবায়োটিকের সাথে, ক্যালসিয়াম ফরটিফায়েড ফ্রুট জুস, ক্যালসিয়াম, আয়রন বা অন্য কোন খনিজের সাপ্লিমেন্ট এবং কফির মত পানীয়ের সাথে থাইরেডের ঔষধ গ্রহণ করা ঠিক নয়। সবচেয়ে ভালো উপায়টি হচ্ছে ১ গ্লাস পানির সাথে এই ঔষধ গ্রহণ করা। একটি নির্দিষ্ট সময়ে বা চিকিৎসকের নির্দেশনা অনুযায়ী এই ঔষধ গ্রহণ করা উচিত।

৫। কাঁচা ক্রুসিফেরি সবজি খাওয়া

অতিরিক্ত কাঁচা ক্রুসিফেরি সবজি খাওয়া থাইরয়েডের রোগীদের জন্য খারাপ, বিশেষ করে যাদের আয়োডিনের ঘাটতি আছে তাদের ক্ষেত্রে। এ ধরণের সবজিগুলোতে গ্লুকোসায়ানোলেডস নামক যৌগ থাকে যা থাইরয়েড হরমোন সংশ্লেষণে হস্তক্ষেপ করে। ফুলকপি, বাঁধাকপি, ব্রোকলি, পালংশাক, এবং মিষ্টি আলু এ ধরণের কয়েকটি সবজি যা কাঁচা খাওয়ার ক্ষেত্রে সাবধান হওয়া জরুরী থাইরয়েডের রোগীদের।

৬। সয়া খাদ্য

যদি আপনার থাইরয়েডের সমস্যা থাকে তাহলে ক্রুসিফেরি পরিবারের সবজির মত সয়া খাদ্য খাওয়ার বিষয়েও সতর্ক হওয়া প্রয়োজন। সয়া পণ্যে ফাইটোইস্ট্রোজেন এবং গয়ট্রোজেনিক উপাদান থাকে যা থাইরয়েডের কাজে এবং থাইরয়েড নিঃসৃত হরমোনের শোষণে হস্তক্ষেপ করে। তাই থাইরয়েডের সমস্যা আছে যাদের তাদের সয়া সাপ্লিমেন্ট, জেনেটিকালি ইঞ্জিনিয়ারড সয়া খাদ্য, সয়া চিজ, সয়াবিন তেল, সয়া আইসক্রিম এবং সয়া বার্গার খাওয়া উচিত নয়।

সূত্র: টপ টেন হোম রেমেডিস

সম্পাদনা: কে এন দেয়া

বিভাগ: লাইফ স্বাস্থ্য
ট্যাগ: থাইরয়েডের সমস্যা জীবনযাত্রা সুস্থ থাকুন

43
• নিরীক্ষা করুন প্রখর ভাবে
কোন পরিস্থিতিতে, কোন বিষয়ে, কী অবস্থায়, কাদের উপস্থিতিতে শিশু ভয় পায় তা সম্পর্কে অবগত হওয়া আবশ্যক। তার সাথে থাকুন, সে যা ভয় পাচ্ছে তার মুখোমুখি হতে সাহায্য করুন। ধরুন সে বিজ্ঞান ভয় পাচ্ছে। তাকে চারপাশের প্রকৃতির মাঝে বিজ্ঞানের উপস্থিতি দেখান। বোঝান বিজ্ঞান আলাদা কিছু নয়, এটি আমাদের জগতেরই অংশ। প্রয়োজনে বিজ্ঞানবাক্সের সহজ এক্সপেরিমেন্ট দেখাতে পারেন। বাস্তবের সাথে এর সম্পর্কটাও দেখিয়ে দিন।
• ভয় পাওয়া স্বাভাবিক ব্যাপার-
এ বিষয়টি বোঝান শিশুকে। সবাই ভয় পায়, সুতরাং সে আলাদা কিছু না। এই বলে সাহস যোগান যে ভয়ের মুহূর্তে সবসময় তার পাশে থাকবেন। দুজন একসাথে থাকলে কেউ কিচ্ছু করতে পারবে না।
• অভিনয়ের মাধ্যমে-
এর সাহায্যে শিশুকে ভয়ের জিনিসগুলো সম্পর্কে স্বাভাবিক ধারণা দিতে চেষ্টা করুন। খেলাচ্ছলে শিশুকে বুঝিয়ে দিন। যেমন অনেক শিশু ডাক্তারের কাছে যেতে ভয় পায়। এক্ষেত্রে আপনি খেলাচ্ছলে বোঝাতে পারেন যে চিকিৎসক আমাদের বন্ধু, আমাদের অসুখ হলে ডাক্তার আমাদের সাহায্য করে। তবে শিশুর ভয় আস্তে আস্তে কেটে যাবে।
• নিজের ভীতি শেয়ার করুন -
নিজের ভীতিগুলো শিশুর সাথে শেয়ার করতে যাবেন না, এতে শিশু নিজের ভয়ের ব্যাপারগুলোর পাশাপাশি আপনার ভীতি নিয়েও ভয় পাবে। তাই তাদের সামনে নিজের ভয়কে প্রশ্রয় দেওয়াটা উচিত হবে না।
OnnoRokom BigganBaksho : অন্যরকম বিজ্ঞানবাক্স

45
১। নির্দিষ্ট কোন রুটিনে আবদ্ধ না করা
আমাদের সমাজটা খুব সৃজনবান্ধব না। স্কুল, কোচিং সবখানেই সেই চেনা গৎ। এসো, শেখো, মুখস্থ করে পরীক্ষার খাতায় উগরে দাও। শিশুর মানসিক বিকাশের জন্যে এটা মোটেও সহায়ক নয়। এমনিতেই দিনদিন সংকুচিত হয়ে আসছে তাদের বিনোদনের স্থানগুলো। ভরাট হয়ে যাচ্ছে মাঠ, উঠছে হাইরাইজ বিল্ডিং। এমন নিগড়বদ্ধ জীবনে তাকে একটু খোলা বাতাস, একটু নিঃশ্বাস ফেলার সুযোগ দিন। মুক্তি দিন কঠিন রুটিন থেকে। কিছু সময় সে নিজের মত কাটাক না!
২। তিরষ্কার কম পুরষ্কার বেশি
সে কোন ভালো কাজ করলে তাকে বাহবা দিন, অনুপ্রেরণা যোগান, সম্ভব হলে পুরষ্কৃত করুন। এতে সে উৎসাহী হবে। তবে এই উৎসাহটাও দিতে হবে মাত্রা মেপে। একই কাজের জন্যে বারবার পুরষ্কৃত করলে তার কর্মবৈচিত্র কমে যাবে। বিচিত্র এবং বিভিন্নরকম কাজ করতে উদ্বুদ্ধ করুন। সে কোন অপরাধ করলে রেগে না গিয়ে তাকে বোঝান।
৩। বয়স বুঝে সমালোচনা
ভালো কাজের জন্য অতি প্রশংসা করা যেমন ভালো না, তেমনি শিশু কোনো ভুল করে ফেললে অতিরিক্ত সমালোচনা করাও উচিত না। এতে শিশুর মন ভেঙে যাবে, আত্মবিশ্বাস কমে যাবে। সন্তানের ধারণ ক্ষমতা ও বয়সের চাহিদা বুঝে সমালোচনা করা উচিত।
৪। শাস্তির ভয় না দেখানো
“পরীক্ষায় ভালো না করলে তোমাকে গ্রামে রেখে আসবো” অথবা “ঠিকমত পড়াশোনা না করলে তুমি বড় হলে রিকশা চালাবে” এই জাতীয় হুমকি দেখানো থেকে বিরত থাকুন। এতে শিশুমনে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। এতে তার নিজের কাজ সম্পর্কে ভীতি তৈরি হবে। সে কাজকে ভালোবাসতে পারবে না।
৫। প্রতিযোগিতা চাপিয়ে দেবেন না
বর্তমান সময়টাই প্রতিযোগিতার। ঘাটে, মাঠে, অফিসে, আদালতে, সবখানেই প্রতিযোগিতা। এমন কী শিশুরাও এর থেকে রেহাই পাচ্ছে না। ভালো স্কুলে ভর্তি হতে হবে, ভালো রেজাল্ট করতে হবে, এমন নানারকম বাধ্যবাধকতা । এসব শিশুমনে চাপ সৃষ্টি করতে পারে, যার ফলাফল কখনই ভালো না।
৬। অতি নজরদারি না করা
শিশুকে অবশ্যই নজরদারিতে রাখা উচিত। কিন্তু সেটা হবে এমন, যেন সে বুঝতে না পারে। শিশু যদি মনে করে যে, সবসময় তাকে অনুসরণ করা হচ্ছে, তাহলে তার উপর মানসিক চাপের সৃষ্টি হবে, যা তার স্বাভাবিক সৃজনশীলতা ব্যাহত হতে পারে।
৭। প্রযুক্তি নির্ভরতা কমান
প্রযুক্তির প্রতি অতি নির্ভরতা শিশুর বিকাশে ক্ষেত্রে বাধা। এর ফলে২+২=? অংক করতেও তার ক্যালকুলেটর লাগে। নিজের ক্ষমতা এবং দক্ষতার প্রতি সংশয় জন্ম নেয়, এবং তার চিন্তা ভাবনায় কোন স্বকীয়তা থাকে না। সে হয়ে ওঠে যন্ত্রনির্ভর।
শিশুদের সৃজনিশক্তি বিকশিত করতে অন্যরকম বিজ্ঞানবাক্স কাজ করে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত। আপনার শিশুর জন্যে বিজ্ঞানবাক্স হতে পারে সেরা উপহার।

OnnoRokom BigganBaksho : অন্যরকম বিজ্ঞানবাক্স

Pages: 1 2 [3] 4 5 ... 33