Show Posts

This section allows you to view all posts made by this member. Note that you can only see posts made in areas you currently have access to.


Messages - Md. Azizul Hakim

Pages: [1] 2 3 4
1
Faculty Sections / চন্দ্রধনু
« on: December 09, 2020, 12:23:25 AM »
অন্ধকার আকাশের দিগন্তজুড়ে সাদাটে ধনু। লোকে তাকে বলে চন্দ্রধনু। হ্যাঁ, গ্রীক দেবী আইরিস যে চন্দ্রধনুর পথ ধরে হেঁটে যেতেন, সে ধনুর কথাই বলছি।

চন্দ্রধনু কি শুধু লোককথা কিংবা পুরাণের পাতায়ই পড়ে আছে? বাস্তবে কি কখনো এর দেখা মেলে? এর উত্তর হচ্ছে হ্যাঁ, চন্দ্রধনু রংধনুর মতই একটি স্বাভাবিক আলোকীয় ঘটনা। চন্দ্রধনু আমাদের জন্য খুব পরিচিত না হলেও, ক্যালিফোর্নিয়ার ইয়োসেমিটি ন্যাশনাল পার্ক, ভিক্টোরিয়া ফলস, কিংবা কাম্বারল্যান্ড ফলস স্টেট রিসোর্ট পার্কে প্রায়ই এটি দেখা যায়।

সূর্যের আলোয় আমরা যেমন রংধনু দেখি, সেই একই প্রক্রিয়ায় রাতে চাঁদের আলোয় চন্দ্রধনু তৈরি হয়। রংধনুর মত চন্দ্রধনু সচরাচর চোখে পড়ে না। রাতের আকাশ ও আবহাওয়ার বেশকিছু শর্ত ঐকতানে এলেই কেবল দেখা মেলে এই চন্দ্রধনুর।

বৃষ্টি হলে বাতাসে পানির কণা ভেসে বেড়ায়। বাতাসে ভাসমান পানির কণায় যখন ভরা পূর্ণিমার চাঁদের আলো এসে পড়ে, তখন প্রতিফলন, প্রতিসরণ এবং বিচ্ছুরণের মাধ্যমে তৈরি হয় চন্দ্রধনু বা মুনবো। এই ধনু দেখতে হলে আকাশ হতে হবে কুচকুচে কালো, আর চাঁদ থাকবে একদম দিগন্তরেখার কাছাকাছি। তবেই চাঁদের বিপরীত প্রান্ত সাদাটে রঙ এর চন্দ্রধনু আমাদের চোখে পড়বে। উজ্জ্বল আকাশে চন্দ্রধনু তৈরি হলেও তা চোখে ধরা পড়বে না। কারণ যেকোনো ধরণের ঔজ্বল্য ম্লান চন্দ্রধনুকে আরও অনেক বেশি ম্লান আর ঝাপসা করে দিতে পারে।

প্রশ্ন জাগতে পারে যে, আলোর বিচ্ছুরন যেখানে হচ্ছে, সেখানে কেন আমরা সাদাটে ধনু দেখতে পাচ্ছি? কেন রঙধনুর মত বর্ণিল সাতরঙ্গা ধনু দেখা যায় না? এর কারণ চাঁদের গা থেকে প্রতিফলিত আলো স–র্যের আলোর তুলনায় অনেক বেশি ম্লান। এই ম্লান আলোতে যে রংধনু তৈরি হচ্ছে তা আমাদের খালি চোখে মলিন, ধূসর-সাদাটে লাগে। তবে লং এক্সপোজার ছবিতে চন্দ্রধনুর সাতরং সহজেই ধরা পড়ে। তাই খালি চোখে চন্দ্রধনুর আসল সৌন্দর্য অবলোকনের চাইতে লং এক্সপোজার ক্যামেরা অনেক বেশি কার্যকর।

সাধারণত এক পশলা বৃষ্টির পর আমরা সূর্যের আলোয় রংধনু দেখতে পাই। চন্দ্রধনু দেখতে পেতে যেসব শর্ত পূরণ করতে হয়, সেসব শর্তের অনেককিছুই বৃষ্টিস্নাত আকাশ না-ও পূরণ করতে পারে। এজন্য চন্দ্রধনু দেখার সবচেয়ে উপযুক্ত স্থান হল সেসব এলাকা, যেখানে জলপ্রপাত আছে।

জলপ্রপাতের জলধারা সবসময় বাতাসে পানি কণার স্তর তৈরি করে। এই স্তরে যখন দিগন্তর কাছে অবস্থানরত চাঁদের স্নিগ্ধ আলো এসে পড়ে, তখনই তৈরি হয় চন্দ্রধনু। জলপ্রপাতের ধারে চাঁদের বিপরীত দিকে মুখ করে দাঁড়ালে তখন চন্দ্রধনু দেখা যায়।

2
আন্তর্জাতিক বাজারে এবারই প্রথম ‘মেইড ইন বাংলাদেশ’ ট্যাগযুক্ত স্মার্টফোন রফতানি করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। আমেরিকার একটি আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ড ওয়ালটনের কাছ থেকে স্মার্টফোন নিচ্ছে। ওরিজিনাল ইক্যুপমেন্ট ম্যানুফ্যাকচারার (ওইএম) হিসেবে ওই ব্র্যান্ডটিকে স্মার্টফোন তৈরি করে দিচ্ছে দেশের শীর্ষ এ ব্র্যান্ড।
আমেরিকায় স্মার্টফোন রফতানির কার্যক্রম আগামী ১ মার্চ উদ্বোধন করবেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। গাজীপুরের চন্দ্রায় ওয়ালটন ডিজি-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডে এ সময় আরো উপস্থিত থাকবেন ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।

ওয়ালটন ডিজি-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এস এম মঞ্জুরুল আলম বলেন, দেশের বাজারে আমাদের অবস্থান নম্বর ওয়ান। আমরা এবার আন্তর্জাতিক বাজারে অবস্থান পাকাপোক্ত করতে চাই। আমেরিকার পর পর্যায়ক্রমে ইউরোপ, অস্ট্রেলিয়াসহ বিশ্বের অন্যান্য দেশেও রপ্তানি হবে স্মার্টফোনসহ ওয়ালটনের তৈরি বিভিন্ন প্রযুক্তিপণ্য।

ইলেকট্রনিক্স, ইলেকট্রিক্যাল ও আইসিটি পণ্য উৎপাদনে বাংলাদেশের শীর্ষ প্রতিষ্ঠান ওয়ালটন। ২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ ব্র্যান্ডে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে বাংলাদেশি এ ব্র্যান্ড।

ডেইলি বাংলাদেশ/এনকে

3
আলোকচিত্র সম্পাদনা মানেই দরকার উন্নতমানের ডেস্কটপ কম্পিউটার—ব্যাপারটা এখন আর এমন নেই। ভালো ছবি তোলার পাশাপাশি স্মার্টফোনেই এখন সম্পাদনার কাজ বেশ ভালোভাবেই সেরে নেওয়া যায়। এ জন্য অ্যাপ স্টোরে বেশ কিছু অ্যাপ রয়েছে। স্মার্টফোনের অপারেটিং সিস্টেম ভেদে জনপ্রিয় ৭ ছবি সম্পাদনার অ্যাপ সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

অ্যাডোবি লাইটরুম
অ্যাডোবির সফটওয়্যারগুলো উন্নতমানের পেশাদার কাজের জন্য বেশ জনপ্রিয়। জটিল সব কাজ করা যায় ফটোশপের মতো সফটওয়্যার দিয়ে। কিন্তু স্মার্টফোনের জন্য লাইটরুমে সেই জটিল বিষয়গুলো সহজ চেহারায় উপস্থাপন করেছে। তা ছাড়া অ্যাডোবির মূল প্ল্যাটফর্মের সঙ্গে সিঙ্ক করার সুযোগ রয়েছে। সম্পাদনার মৌলিক কাজগুলো বিনা মূল্যেই করা যায়। তবে একাধিক যন্ত্রে সিঙ্কসহ প্রিমিয়াম সুবিধা পেতে প্রতি মাসে খরচ করতে হবে ১০ মার্কিন ডলার। অ্যাপলের অ্যাপ স্টোর (apple.co/38ID4h1) এবং গুগলের প্লে স্টোর (bit.ly/2P9krLr) থেকে নামিয়ে ব্যবহার করা যাবে।


আফটার লাইট
অ্যাপটিতে স্থিরচিত্র সম্পাদনার সব মৌলিক সুবিধা রয়েছে। আগে থেকেই ঠিক করে দেওয়া ফ্রেম ও ফিল্টার সুবিধাও পাওয়া যাবে। ছবিতে স্বতন্ত্র ভাব দেওয়ার জন্য নিজে থেকেই তৈরি করে নেওয়া যাবে ফিল্টার। ওভারলে, ডাবল এক্সপোজার সুবিধাও থাকছে অ্যাপটিতে। বিনা মূল্যে অ্যাপটি নামানো গেলেও বাড়তি সুবিধার জন্য অর্থ গুনতে হবে। অ্যাপ স্টোর থেকে নামানোর ঠিকানা: apple.co/38J3dfo।

স্ন্যাপসিড
সম্পূর্ণ বিনা মূল্যে পাওয়া গেলেও গুগলের এই অ্যাপ দিয়ে পেশাদার সম্পাদনা করা যায়। সম্পাদনার বিষয়গুলো নিজের পছন্দমতো ঠিক করা যায়। অ্যাপটির আরেকটি আকর্ষণীয় সুবিধা হলো সেলেকটিভ অ্যাডজাস্ট। অর্থাৎ ছবির কোনো নির্দিষ্ট জায়গা নির্বাচন করে পরিবর্তন করা যাবে উজ্জ্বলতা, কন্ট্রাস্ট, স্যাচুরেশন ইত্যাদি। তা ছাড়া ফটোশপের মতো একটি ছবির ওপর আরেকটি ছবি বসিয়ে লেয়ার তৈরি করেও সম্পাদনা করা যাবে। নামানোর ঠিকানা: snapseed.online।

ভিএসসিও
অ্যাপটির সাহায্যে ছবি ধারণ করা যায় এবং সঙ্গে সঙ্গেই ফিল্টার যুক্ত করে সম্পাদনা করা যায়। বিনা মূল্যে বেশ কিছু ফিল্টারের পাশাপাশি মৌলিক সম্পাদনার টুল রয়েছে। অ্যাপটিতে প্রিসেট কেনার সুযোগও রয়েছে। যার সাহায্যে ছবিকে নতুন মাত্রা দেওয়া সম্ভব। ভিএসসিওতে রয়েছে কমিউনিটি সুবিধা। যেখানে পেশাদার ও নতুন শিল্পীদের মেলবন্ধন ঘটে। ভিএসসিও মেম্বারশিপের জন্য প্রতিবছর খরচ করতে হবে প্রায় ২০ ডলার। নামানোর ঠিকানা: vsco.co।

পিকসআর্ট
অ্যাপটিতে নানা ধরনের ফিল্টারের পাশাপাশি ব্রাশ টুল রয়েছে, রয়েছে ছবিতে লেখা যুক্ত করার সুবিধা। অ্যাপটির সাহায্যে কোনো একটি ছবির কোনো অংশ কেটে তা অন্য ছবিতে যুক্ত করা যাবে। বিনা মূল্যে অ্যাপটি নামানো গেলেও সব সুবিধা পেতে বছরে গুনতে হবে ৪৭ দশমিক ৮৮ ডলার। নামানোর ঠিকানা: bit.ly/39LheJD।

ওভার
আলোকচিত্র সম্পাদনার পাশাপাশি অ্যাপটির সাহায্যে গ্রাফিকস ডিজাইনের মৌলিক কিছু কাজ করা যায়। অ্যাপটিতে আগে থেকেই সীমিত পরিসরে ছবি, গ্রাফিকস ও ফন্ট আছে। তবে সব সুবিধার জন্য প্রতিবছরে লাগবে প্রায় ৫০ ডলার। নামানোর ঠিকানা: madewithover.com।

প্রিভিউ
যাঁরা ইনস্টাগ্রাম নিয়মিত ব্যবহার করেন, তাঁদের এই অ্যাপটি বাড়তি সুবিধা দেবে। কারণ, ইনস্টাগ্রামের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নকশা এতে রয়েছে। তা ছাড়া ব্লেমিশ স্মুদার, কালার ইনহ্যান্সার, ওভারলে, ফিল্টারসহ নানা সুবিধা রয়েছে। সম্পাদনা শেষ হলে অ্যাপটি থেকে ইনস্টাগ্রামের জন্য ছবিগুলোর ক্রম ঠিক করে সরাসরি আপলোড করা যাবে। তা ছাড়া ক্যাপশন লেখার সুবিধাও রয়েছে। প্রিমিয়াম সুবিধার জন্য প্রতি মাসে সাড়ে ১২ ডলার খরচ করতে হবে।
 নামানোর ঠিকানা: apple.co/2P6aTkk


4
 :)

5
Science and Information / Re: EU to urge rethink on facial recognition
« on: February 19, 2020, 05:36:49 PM »
Very Helpful.

6
Science and Information / Re: Can an AI keep you happy at work?
« on: February 19, 2020, 05:36:23 PM »
Very Informative.  :)

8
Science and Information / The system of knowledge relay
« on: February 19, 2020, 05:35:39 PM »
Translating climate research into policy


The issue of climate change, is widely recognized as a global threat, and is still continuing to reveal all of its facets. In order to better understand the impacts and uncertainties associated with a changing climate, there is a growing research agenda surrounding the topic that is constantly being updated. Climate change is already impacting on many countries. It is therefore important that national plans and policies for strengthening climate resilience are continually informed by ongoing science and research.

The process of knowledge exchange between producers and users is crucial for successful facilitation of climate governance but is never straightforward. Relationships between academic researchers and policymakers are anything but simple.

Moving beyond the ‘mind the gap’ approach?

This complexity has led us to the idea of the ‘science-policy gap’, where universities are perceived to be isolated in their intellectual ‘ivory towers’, while the policymakers work within their ‘real world’ networks. However, it is perhaps unhelpful to continue with this outdated notion because it suggests these groups operate in distinct silos rather than appreciating that they also have shared values and interdependencies.

This brings the need for ’knowledge brokers’ that specifically focus on linking knowledge, power and action around issues related to climate change. The task of the climate knowledge broker is, therefore, to highlight and circulate climate relevant information amongst those concerned with policy, and to help establish systems that allow scientific knowledge to be discussed, contested and used in the development of local, national and international policies.

Considering that universities act as repositories of potentially useful research, they are in a unique position to also act as climate knowledge brokers who can convey research findings to policymakers. As part of efforts to maintain and strengthen the relevance of universities to the wider society, there is an increasing focus on the need to strengthen the relationship between university-based researchers and policymakers.

Talking it out at COP 25

In view of the above, a session was hosted at the Bangladesh Pavilion of the Conference of Parties (COP 25) in Madrid, highlighting the findings of an ongoing study funded by the Rockefeller Foundation and the LSE’s Institute for Global Affairs (IGA) that aims to shed more light on how university-based researchers in the general field of climate change are currently engaging with worlds of policy in order to bring their research findings to the attention of policymakers.

The study was conducted in 4 countries, 2 in the global south and 2 in the global north, and aimed to map the networks of university-based researchers, and to learn from their specific experiences. For the purpose of the session, the definition of the ‘policy world’ goes beyond government officials and includes civil society, public sector, and private sector entities, thereby acknowledging interaction with all parties that have any influence in the process of policymaking. Policy is influenced by many interests, not just by government.

Some of the key points of concern that were raised during the discussion that inhibit engagement by researchers included the heavy teaching hours and lack of research grants available to younger faculty members, especially in the context of universities in the ‘global south’. There is also the issue of academics and policymakers not occupying shared spaces, as a result of which when academic research findings are disseminated it still remains within the same circle of academics. In addition, it is also important to acknowledge that even within university faculty members there will be differences in disciplines, preferences and personalities; while some academics want to contribute to policies but struggle to form connections others are genuinely indifferent and are primarily interested in staying within the academic world.

Establishing a new common language?

Despite the differences between researcher and policymaker positions and the enormous challenges of the process, it is vitally important to do more to ensure that climate research is now made more available both to those being impacted by climate change as well as to those that are in charge of the governance of climate action.

The session ended with a discussion on an array of approaches that could be employed to make the process of knowledge relay between the different agencies more fluid. Some of the possible strategies that came out of the study include, hosting multi-stakeholder events within universities and creating more spaces for networking opportunities, as well as putting more effort into engaging external agents (such as research centres, think tanks etc.) as brokers between universities and policy worlds. The discussion concluded with the idea that the language used by both academic researchers and policymakers should be made more understandable for all, and so there is a need to instil more creativity when it comes to communicating climate science to a wider audience.

Shababa Haque is an Environmental Researcher working as a project coordinator at the International Centre for Climate Change and Development (ICCCAD).

David Lewis is a professor of social policy and development at the London School of Economics and Political Science.

9
আমাদের পৃথিবীর বাইরে প্রাণীর অস্তিত্ব আছে কিনা বা সত্যিই এলিয়েনের অস্তিত্ব আছে কিনা, তা নিয়ে তর্ক-বিতর্ক কখনই শেষ হবার নয়। বিজ্ঞানের অগ্রগতির সাথে সাথে এ বিষয়ে মানুষের কৌতুহল শুধু বেড়েছেই। খবর: বিবিসি বাংলা।

চলতি মাসের শুরুতেই বৈজ্ঞানিক মনিকা গ্রেডি মন্তব্য করেছিলেন যে, তিনি ‘প্রায় নিশ্চিত’ যে জুপিটারের একটি চাঁদ ‘ইউরোপা’য় প্রাণের অস্তিত্ব আছে। তবে সেটি হাঁটাচলা করতে পারার বা কথা বলতে পারা কোনও এলিয়েন না হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।
লিভারপুল হোপ ইউনিভার্সিটির গ্রহ ও মহাকাশ বিষয়ক বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মনিকা গ্রেডি বলেন, সেখানে যে ধরণের প্রাণের অস্তিত্ব পাওয়া যাবে, তা ‘অক্টোপাসের বুদ্ধিমত্তার কাছাকাছি প্রাণী’ হতে পারে।

তিনি মনে করেন, ঐ প্রাণীটি ইউরোপার বরফের নিচে থাকতে পারে।
বৃহস্পতি গ্রহের যে ৭৯টি চাঁদের সম্পর্কে জানা গেছে, ইউরোপা তার মধ্যে একটি। এটি ১৫ মাইল পুরু বরফের আস্তরণে ঢাকা।

চলতি বছরের শুরুতে মার্কিন মহাকাশ বিজ্ঞানীদের একটি দল ধারণা প্রকাশ করেন যে তারা যদি মহাকাশে অক্সিজেনের অস্তিত্ব খুঁজে বের করতে পারেন তাহলে প্রাণের অস্তিত্ব খুঁজে পেতেও সক্ষম হবেন।

যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা পৃথিবীর বাইরে অন্যান্য গ্রহে অক্সিজেন গ্যাস খোঁজার একটি পদ্ধতিও আবিষ্কার করেছেন বলে জানিয়েছেন।

প্রাণের সন্ধান পাওয়া যেতে পারে মঙ্গলগ্রহে!

অধ্যাপক গ্রেডি মনে করেন, মঙ্গলগ্রহে প্রাণের সন্ধান পাওয়া গেলেও সেখানে খুব উন্নত বুদ্ধির কোনও প্রাণী পাওয়া যাওয়ার সম্ভাবনা কম।

তিনি বলেন, মঙ্গলগ্রহে যদি প্রাণের সন্ধান পাওয়াও যায়, সেটি খুবই ক্ষুদ্র আকৃতির হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। যেমন ধরুন, ব্যাকটেরিয়ার মত।

মহাকাশের বার্তা!

গত সপ্তাহে জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা মহাকাশ থেকে প্রতি ১৬ দিন অন্তর পাঠানো বার্তা শনাক্ত করতে সক্ষম হন।

এ ধরণের সিগন্যাল বা বার্তা পাওয়া খুব একটা অস্বাভাবিক নয়, তবে এর আগে আসা এরকম বার্তা একেবারেই এলোমেলোভাবে এসেছে। এরকম ধারাবাহিক বিরতিতে এর আগে সিগন্যাল পাওয়া যায়নি।

বার্তাগুলো কোথা থেকে আসছে সে বিষয়ে এই মুহূর্তে তারা নিশ্চিত না হলেও এগুলো ব্ল্যাক হোল বা বড় কোনও নক্ষত্র থেকে আসতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

ধারণা করা হচ্ছে, সিগন্যালটি মাঝারি আকারের কোনও ছায়াপথ থেকে আসছে যেটি ৫০ কোটি আলোকবর্ষ দূরে অবস্থিত হতে পারে।

11
নখগুলো কাস্তের মতো বাঁকানো। বন্ধ দরজার ও পারে দাঁড়িয়ে সেই নখ মাটিতে ঠুকে চলেছে সে। শিকারের জন্য অপেক্ষা। ‘জুরাসিক পার্ক’ ছবির সেই দৃশ্য মনে আছে নিশ্চয়ই? ব্যস্‌! বিশ্ববাসীর কল্পনায় ডাইনোসর হয়ে উঠল শীতল রক্তের, খসখসে চামড়ার ভয়ঙ্কর সরীসৃপ। তবে সম্প্রতি ডাইনো-ডিমের জীবাশ্ম পরীক্ষা করে ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষকদল জানিয়েছে, বিলুপ্ত এই প্রাণী সম্পর্কে জনমানসে চলে আসা ধারণাগুলি অনেকাংশে ভুল। তাঁদের মতে, ঠান্ডা রক্ত নয়, রীতিমতো উষ্ণ রক্ত বইত ডাইনোসরদের শরীরে।

তাঁদের এই গবেষণাপত্রটি সম্প্রতি ‘জার্নাল অফ সায়েন্স অ্যাডভান্সেস’-এ প্রকাশিত হয়েছে। প্রধান গবেষক রবিন ডসনের মতে, ‘আমরা জানতে পেরেছি যে মেটাবলিজমের মাধ্যমে পরিবেশের নিরিখে দেহের উষ্ণতা বাড়ানোর বৈশিষ্ট্যটি ডাইনোসরদের এগিয়ে রেখেছিল।’

ডাইনোসরেরা শীতল রক্তের না উষ্ণ রক্তের, তা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই বিতর্ক চলছে। ১৯৬০-র দশকে জীবাশ্মবিদেরা প্রথম প্রশ্ন তোলেন, এদের অনেকেই তো দৈত্যাকৃতি হওয়া সত্ত্বেও বেশ তৎপর ছিল। কোনও ঠান্ডা রক্তের প্রাণীর পক্ষে এই সক্রিয়তা কি সম্ভব? এই বিতর্কে জল না পড়লেও, ২০১৪ সালের এক গবেষণায় দাবি ওঠে, এরা শীতল বা উষ্ণ রক্তের মাঝামাঝি গোত্রের প্রাণী ছিল। এ বার ডসনদের গবেষণা ভবিষ্যতে সিলমোহর পেলে তা বড়সড় পরিবর্তন আনতে পারে বিজ্ঞানীদের ধারণায়।

এই গবেষণার জন্য তিন গোত্রের ডাইনোসরের ডিমের খোলসের জীবাশ্ম পরীক্ষা করেছেন ডসনরা। মাংসাশী ট্রুডন (টি-রেক্সের ছোট জ্ঞাতি ভাই) এবং দুই নিরামিশাষী মাইয়াসরাস ও দৈত্যাকার মেগালুলিথাস। তাদের ডিমের খোলসের জীবাশ্ম বিশ্লেষণ করে ওই গবেষকদল এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন, ঠান্ডা রক্তের তত্ত্বকে ধ্রুব সত্য ধরে নেওয়ার কোনও কারণ নেই। ডসনের মতে, ‘বিবর্তনের দিক থেকে দেখলে উষ্ণ রক্তের পক্ষীকুল ও শীতল রক্তের সরীসৃপের মাঝামাঝি রয়েছে ডাইনোসররা। আমাদের গবেষণা অনুযায়ী, তাদের প্রধান গোষ্ঠীগুলির সকলেরই শরীরের তাপমাত্রা পারিপার্শ্বিকের তুলনায় উষ্ণতর ছিল।’


ওই খোলসের জীবাশ্মে অক্সিজেন ও কার্বন পরমাণু কী ভাবে সাজানো রয়েছে, সেটা দেখার চেষ্টা করেছিলেন গবেষকরা। লক্ষ্য ছিল, তার ভিত্তিতে জন্মদাত্রী ডাইনোসর মায়ের দেহের তাপমাত্রা হিসেব করা। বৈজ্ঞানিক পরিভাষায় এর নাম, ‘ক্লাম্পড আইসোটোপ প্যালিয়োথার্মোমেট্রি।’ ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব ও ভূপদার্থবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক পিনসেলি হালের কথায়, ‘যেহেতু ডিমগুলি দেহের ভিতর তৈরি হত, তাই এগুলিকে থার্মোমিটারের আদিম সংস্করণ বলা চলে।’ কিন্তু শুধু ওই খোলসের জীবাশ্ম পরীক্ষা করে কোনও স্থির সিদ্ধান্তে আসা সম্ভব নয়। তাই অন্যান্য শীতল রক্তের অমেরুদণ্ডী প্রাণীর ডিমের খোলসের জীবাশ্মের উপরও এক পরীক্ষা করেন তাঁরা। তখনই দেখা যায়, ডাইনোসরদের দেহের তাপমাত্রা পারিপার্শ্বিকের তাপমাত্রার তুলনায় বেশি। সহজ করে বললে, অন্যান্য সরীসৃপরা যেখানে উষ্ণতার জন্য পারিপার্শ্বিকের উপর নির্ভরশীল, সেখানে ডাইনোসররা নিজেরাই দেহের অন্দর থেকে তাপ উৎপাদন করতে সক্ষম ছিল। তবে বিভিন্ন প্রজাতির মধ্যে এই উষ্ণতার মাত্রায় তারতম্য ছিল। ওই গবেষকদলের হিসেব, ট্রুডনের নমুনা যেখানে তার আশপাশ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি উষ্ণ ছিল, সেখানে মাইয়াসরাস ও মেগালুলিথাসের ক্ষেত্রে ওই মাত্রা ছিল যথাক্রমে ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস ও ৩ থেকে ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে।

জুরাসিক পার্ক ফ্র্যাঞ্চাইজির ছবিগুলিতে দর্শকরা এমন কিছু প্রজাতিকেও ‘দেখতে’ পেয়েছিলেন যাদের দেহে পালক রয়েছে, যাদের শরীর জোড়া হরেক কিসিমের রং। ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই গবেষকদলের ধারণা, অনেক ডাইনোসরকে শুধু দেখতেই সুন্দর ছিল বা পাখির মতো উড়তে পারত এমন নয়। সম্ভবত ঘুঘুর মতো ডাকও ছিল তাদের। অর্থাৎ ডাইনোসর মানেই কানফাটানো গর্জন, এ ধারণাও অনেকাংশে ‘হলিউডি মিথ’ বলে মনে করছেন তাঁরা।

13
একটি স্মার্টফোন পুরোপুরি চার্জ হতে লাগবে মাত্র দুই মিনিট বা ১২০ সেকেন্ড। আর সেই চার্জেই চলবে সারাদিন! শুধু তাই নয় একটি বৈদ্যুতিক গাড়ি চার্জ হতে সময় লাগবে মাত্র ১০ মিনিট।
আইএএনএসের এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, যুক্তরাজ্যের গবেষকেরা পরবর্তী প্রজন্মের উপযোগী শক্তি সংরক্ষণ (এনার্জি স্টোরেজ) করতে সম্প্রতি এমন প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছেন। এর মাধ্যমে দ্রুত চার্জ দিয়ে তা দীর্ঘ সময় ব্যবহার করা যাবে।

‘নেচার এনার্জি’ শীর্ষক সাময়িকীতে গবেষকদের উদ্ভাবিত এ প্রযুক্তি সংক্রান্ত একটি নিবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে। যাতে বলা হয়েছে বৈদ্যুতিক যানবাহন, ফোন, পরিধানযোগ্য প্রযুক্তিসহ বেশ কয়েকটি ব্যবহারিক ক্ষেত্রে এটি প্রয়োগের সম্ভাবনা আছে। শুধু তাই নয় উচ্চশক্তির ও দ্রুতগতির সুপার ক্যাপাসিটরের যে সমস্যা থাকে, নতুন প্রযুক্তিতে তা সমাধান করা গেছে।

গবেষণা প্রবন্ধের লেখক ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনের গবেষক ঝুয়াংনান লি বলেছেন, আমাদের নতুন সুপার ক্যাপাসিটর পরবর্তী প্রজন্মের শক্তি সংরক্ষণ প্রযুক্তির হিসেবে বর্তমান ব্যাটারি প্রযুক্তির প্রতিস্থাপন বা এর পাশাপাশি ব্যবহার করা হতে পারে।

লি আরো বলেন, তারা এমন উপকরণ নকশা করেছেন, যা তাদের সুপার ক্যাপাসিটরকে একটি উচ্চ শক্তি ঘনত্ব দেয়। এটি দ্রুত চার্জ হওয়া ও চার্জ ছেড়ে দেয়ার ক্ষেত্রে কার্যকর হবে। এ ছাড়া দীর্ঘ সময় চার্জ ধরে রাখতেও পারবে। সাধারণত, এখনকার ব্যাটারি এসব বৈশিষ্ট্যের কোনো একটি পাওয়া যায়। কিন্তু নতুন সুপার ক্যাপাসিটরে উভয় সুবিধাই পাওয়া যায় বলে এটি গুরুত্বপূর্ণ একটি উদ্ভাবন। এ ছাড়া পারফরমেন্সের কোনো তারতম্য না করেই ওই সুপার ক্যাপাসিটর ১৮০ ডিগ্রি বাঁকানো যায়। এতে কোনো তরল ইলেকট্রোলাইট ব্যবহার করা হয়নি বলে বিস্ফোরণের ঝুঁকিও কম। তাই পরিধানযোগ্য প্রযুক্তিপণ্য ও ভাঁজ করা ডিভাইসে এটি ব্যবহার করা যাবে।\

নতুন সুপার ক্যাপাসিটর তৈরিতে একদল রসায়নবিদ, প্রকৌশলী ও পদার্থবিদ একসঙ্গে কাজ করেছেন। এতে উদ্ভাবনী গ্রাফিন ইলেকট্রোড উপকরণ ব্যবহার করা হয়েছে।

সুপার ক্যাপাসিটরের প্রশংসা করে ইউসিএল ম্যাথামেটিক্যাল অ্যান্ড ফিজিক্যাল সায়েন্সের অধ্যাপক ইভান পারকিন বলেন, বিশাল শক্তি সফলভাবে কমপ্যাক্ট সিস্টেমে সংরক্ষণ করার বিষয়টি নতুন স্টোরেজ প্রযুক্তির ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। এতে ক্ষুদ্র ইলেকট্রনিকস ও বৈদ্যুতিক গাড়িতে কাজে লাগানো যাবে।

15
অ্যান্ড্রয়েড ফোন ব্যবহারকারীদের জন্য মাইক্রোসফট তাদের ওয়ার্ড, পাওয়ারপয়েন্ট ও এক্সেল অ্যাপকে আরও সহজভাবে আনছে। এখন একক একটি অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে মাইক্রোসফটের সব কটি অ্যাপ ব্যবহারের সুযোগ থাকবে। এতে একাধিক নথিতে কাজ করার সময় ব্যবহারকারীর সময় বাঁচবে। ইউনিফায়েড অফিস অ্যাপ হিসেবে মাইক্রোসফট কয়েক মাস ধরে সেবাটি পরীক্ষামূলকভাবে চালাচ্ছিল।

অ্যান্ড্রয়েডচালিত স্মার্টফোনের জন্য অল-ইন-ওয়ান অ্যাপটি উন্মুক্ত করা হলেও অ্যান্ড্রয়েড ট্যাব, ক্রোমবুকে পুরোপুরি সমর্থন করবে না এটি। আইওএস প্ল্যাটফর্মেও এখনো এটি ছাড়া হয়নি।

মাইক্রোসফট কর্তৃপক্ষ বলছে, নতুন অ্যাপটি ব্যবহারের ফলে অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীকে আলাদা করে ওয়ার্ড, পাওয়ারপয়েন্ট ও এক্সেল অ্যাপ ডাউনলোড করা লাগবে না। এতে বাড়তি ফিচার হিসেবে ওয়ানড্রাইভ ইন্টিগ্রেশন ও অফিস লেন্স ব্যবহার করে ডকুমেন্ট স্ক্যানিং সুবিধা থাকবে।

২০১৯ সালের শুরুর দিকে মাইক্রোসফট এ অ্যাপ পরীক্ষা শুরু করে। এরপর পাবলিক রিভিউ উন্মুক্ত করে। এবারে পরীক্ষামূলক পর্যায় শেষ করছে মাইক্রোসফট।

মোবাইল ফোনে মাইক্রোসফট অফিস সফটওয়্যারটি প্রোডাকটিভিটি সফটওয়্যার হিসেবে চলতি পথে দারুণ সমাধান। এর অধিকাংশ ফিচারই বিনা মূল্যে। গুগল ও মাইক্রোসফট পৃথক পৃথকভাবে বিভিন্ন প্রোডাকটিভিটি অ্যাপের সেবা দিচ্ছে। এর মধ্যে মাইক্রোসফটের একত্রে সেবা দেওয়ার বিষয়টি অনেক কাজ সহজে সমাধান করার সুবিধা হিসেবেই দেখবেন গ্রাহকেরা।

Pages: [1] 2 3 4