Daffodil International University

Faculties and Departments => Allied Health Science => Topic started by: saima rhemu on March 23, 2019, 06:04:43 PM

Title: শিশুর পেটে গ্যাস । কারণ, লক্ষন ও করণীয়
Post by: saima rhemu on March 23, 2019, 06:04:43 PM
শিশুর পেটে গ্যাস হলে মা-বাবা চিন্তায় পড়ে যান কী করলে ভালো লাগবে, কান্নাকাটি একটু থামবে কিংবা কোন ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাবেন ইত্যাদি। কেউ কেউ বলেন, বাচ্চার পেটে বাতাস লেগেছে, দুধে বাতাস লেগেছে, যার কারণে বমি করে দিচ্ছে।আসল কথা হলো, পেটে গ্যাস বাচ্চাদেরও হয় আবার বড়দেরও হয়। বাচ্চারা বলতে পারে না যে তাদের কেমন লাগছে আর তাই আমরা বুঝতেও পারি না।

শিশুর পেটে গ্যাস কেন হয়?

বাচ্চার পেটে গ্যাস হওয়ার বেশ কিছু কারণ থাকতে পারে। জন্মের তিন মাস পর্যন্ত নবজাতকের গ্যাসের সমস্যা খুবই স্বাভাবিক কারণ এ সময় বাচ্চার পরিপাক্তন্ত্র ধীরে ধীরে সুগঠিত হয়। ৬-১২ মাস পর্যন্তও এটা স্বাভাবিক কারণ এ সময় বাচ্চা বিভিন্ন ধরনের খাবার প্রথম বারের মত খাওয়া শুরু করে।

বাচ্চার পেটে যখন গ্যাস হয় তখন তার পাকস্থলী বাতাসের কারণে ফুলে যায় যা বাচ্চার হজমের প্রক্রিয়ার কারণে হতে পারে বা খাওয়ার সময় বাচ্চার পেটে বাতাস ঢুকে যাওয়ার কারনেও হতে পারে। শিশুর পেটে গ্যাস হওয়ার কিছু সাধারণ কারণ হলো-

খুব দ্রুত খাওয়াঃ

যদি বাচ্চার মায়ের বুকের দুধ বেশী থাকে বা বোতলে খাওয়ানো বাচ্চার বোতলের নিপলের ছিদ্র যদি বড় থাকে তবে বাচ্চা খুব দ্রুত দুধ গিলতে থাকে এবন সেই সাথে বাতাসও বাচ্চার পেটে চলে যায়, যার কারণে গ্যাস হতে পারে।

খুব আস্তে খাওয়াঃ

একইভাবে মায়ের বুকে দুধ কম আসলে বা বোতলের ছিদ্র বেশী ছোট হলে বাচ্চার দুধ খাওয়ার সময় অতিরিক্ত বাতাস বাচ্চার পেটে চলে যায় এবং গ্যাস তৈরি করে।

বোতলের দুধে ফেনা থাকলেঃ

বাচ্চাকে ফর্মুলা খাওয়ানো হলে ফর্মুলা তৈরি করার সময় বোতল যত বেশী ঝাঁকানো হয় তত বেশী তাতে ফেনা হয়। এতে বাচ্চার পেটে গ্যাস হতে পারে। তাই দুধ তৈরি করার পর কিছুক্ষণ রেখে দিন যাতে ফেনা কমে যায়। এরপর বাচ্চাকে খেতে দিন।

দুধের কোন নির্দিষ্ট প্রোটিন এর কারণেঃ

 বাচ্চার যদি বুকের দুধ খায় তবে মায়ের ডায়েটের কোন প্রোটিনের কারণে বাচ্চার পেটে গ্যাস হতে পারে। মা ডেইরি প্রোডাক্ট খেলে এ সমস্যা বেশী দেখা যায়। কিসের কারণে হচ্ছে তা নিশ্চিত করা গেলে তা মায়ের ডায়েট থেকে বাদ দিন। যদি বাচ্চা ফর্মুলা খায় তবে ফরমুলার কোন প্রোটিন হয়ত বাচ্চার সহ্য হচ্ছেনা তাই গ্যাস হচ্ছে। এমন হলে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে ফর্মুলা পরিবর্তন করে দেখতে পারেন। মায়ের ডায়েটের কারণে হচ্ছে মনে হলে মায়ের ডায়েট থেকে একবারে একধরনের খাবার বাদ দিয়ে দেখুন বাচ্চার সমস্যা কম হচ্ছে কিনা।

কিছু কিছু খাবারের কারণেঃ

বড়দের মত বাচ্চাদের কিছু কিছু সবজিতে পেটে গ্যাস হতে পারে। যেমন- ব্রকলি এবং বাঁধাকপি। এগুলো যদি খুবই স্বাস্থ্যকর এবং খাওয়া উচিত তারপরও চেষ্টা করুন যাতে খুব বেশী পরিমাণে খাওয়ানো না হয়। ছয় মাস বয়সের পর বুকের দুধের পাশাপাশি একটু বাড়তি খাবার দেওয়া হয়। এতেও অনেক সময় পেটে গ্যাস হতে পারে। এসব শিশুর বাড়তি খাবারে বিভিন্ন প্রকার ফল বা শাকসবজি দিয়ে খিচুড়ি এবং মাছ-মাংস ও ডিম থাকে।

অনেক সময় খিচুড়িতে শাকের পরিমাণ বেশি হলে গ্যাস হওয়ার ঝুঁকি থাকে আবার ডালেও গ্যাস হতে পারে, এমনকি সিদ্ধ ডিমেও গ্যাস হতে পারে। তাই উচিত বাড়তি খাবার দেওয়ার সময় খাবারের দিকে নজর রাখা। যেমন- খিচুড়িতে শাক ও ডালের পরিমাণ কম দিয়ে কাঁচা কলা বা কাঁচা পেঁপের পরিমাণ বাড়িয়ে দেওয়া।

জুস খাওয়ার কারণেঃ

 বাচ্চাদের মায়ের দুধ এবং ফর্মুলা ছাড়া অন্য কোন পানীয় খাওয়া উচিত নয়। যদি ৬ মাস হয় তবে পানি খেতে পারে। জুসে যে ফ্রুক্টোস ও সুক্রোস থাকে তা বাচ্চা ঠিকমত হজম করতে পারেনা। এর ফলে বাচ্চার পেটে গ্যাস এমনকি ডায়রিয়াও হতে পারে।

পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি না খাওয়াঃ

বাচ্চা ৬ মাস হওয়ার পর পর্যাপ্ত পানি খেলে তার কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা কমতে পারে। কোষ্ঠকাঠিন্যের কারণে অনেক সময় পেটে গ্যাস ও ব্যাথা হয়। ৬ মাস বয়সী বাচ্চাকে দৈনিক বুকের দুধ বা ফর্মুলার পাশাপাশি ২-৪ আউন্স পানি খাওয়াতে হবে। বাচ্চার বয়স ১২ মাস হলে তা বাড়িয়ে ৪-৬ আউন্স করুন।

বাচ্চার অতিরিক্ত কান্নার কারণেঃ  বাচ্চা অনেক্ষন ধরে কান্না করতে থাকলে তার পেটে বাতাস ঢুকে যেতে পারে। তাই বাচ্চার কান্না যত দ্রুত সম্ভব থামানো উচিত।

কিভাবে বুঝবেন বাচ্চার পেটে গ্যাস হয়েছে?

বাচ্চার পেটে গ্যাস হচ্ছে কিনা সেটা বোঝাটা কষ্টকর কারণ বাচ্চা নিজ থেকে তার অসুবিধাগুলো বলতে পারেনা। তবে কিছু কিছু লক্ষন তার মধ্যে দেখা যেতে পারে-

চেহারা লাল হয়ে যাওয়া
কান্নাকাটি করা
খাওয়ার পর মোচড়ানো
হাত মুষ্টিবদ্ধ করে রাখা
পা ভাজ করে পেটের কাছে নিয়ে আসা ইত্যাদি।
তাছারা বাচ্চা যদি ঢেঁকুর তুলে বা বায়ু ত্যাগ করে তাহলে নিশ্চিতভাবে বুঝতে পারবেন যে তার গ্যাসের সমস্যা হচ্ছে।

তবে মাঝে মাঝে গ্যাসের সমস্যার এ লক্ষনগুলো অন্য কোন সমস্যারও ইঙ্গিত করতে পারে। বাচ্চা যদি ঢেঁকুর তোলার পর বা বায়ু ত্যাগ করার পরও কান্নাকাটি করতে থাকে তবে ধরে নিতে পারেন তার অন্য কোন সমস্যা হচ্ছে, যেমন- রিফ্লাক্স, কোষ্ঠকাঠিন্য বা কলিক।
Title: Re: শিশুর পেটে গ্যাস । কারণ, লক্ষন ও করণীয়
Post by: afrin.ns on March 24, 2019, 05:52:59 PM
Thanks for this informative post
Title: Re: শিশুর পেটে গ্যাস । কারণ, লক্ষন ও করণীয়
Post by: saima rhemu on March 24, 2019, 06:00:26 PM
Welcome  :)
Title: Re: শিশুর পেটে গ্যাস । কারণ, লক্ষন ও করণীয়
Post by: Masuma Parvin on March 31, 2019, 02:56:31 PM
Very informative post.Thanks for sharing the post.
Title: Re: শিশুর পেটে গ্যাস । কারণ, লক্ষন ও করণীয়
Post by: saima rhemu on April 01, 2019, 11:43:20 AM
Welcome  :)
Title: Re: শিশুর পেটে গ্যাস । কারণ, লক্ষন ও করণীয়
Post by: nusrat.eee on July 14, 2019, 09:02:19 PM
Nice post.
Title: Re: শিশুর পেটে গ্যাস । কারণ, লক্ষন ও করণীয়
Post by: effatara on July 21, 2019, 08:49:23 PM
 informative post...
Title: Re: শিশুর পেটে গ্যাস । কারণ, লক্ষন ও করণীয়
Post by: shirin.ns on July 31, 2019, 09:53:27 PM
very informative post...