Daffodil International University

Entertainment & Discussions => Life Style => Topic started by: Md. Siddiqul Alam (Reza) on March 22, 2020, 03:36:11 PM

Title: জেনে নিন সাধারণ ফ্লুর সঙ্গে করোনার মিল-অমিল :
Post by: Md. Siddiqul Alam (Reza) on March 22, 2020, 03:36:11 PM

মৌসুম বদলের এ সময়টায় দেশে সাধারণ ফ্লু বা ইনফ্লুয়েঞ্জার প্রকোপ দেখা দেওয়ার আশঙ্কা থাকে। এর সঙ্গে এ বছর যোগ হয়েছে করোনাভাইরাসের সংক্রমণে হওয়া কোভিড-১৯ রোগ। কাজেই সাধারণ সর্দি-কাশি বা ফ্লুতেও উৎকণ্ঠা রয়েছে অনেকের। সত্যি বলতে কি, করোনার সংক্রমণের সঙ্গে সাধারণ ফ্লু বা ইনফ্লুয়েঞ্জার অনেক মিল আছে। আবার অমিলও আছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা গত মঙ্গলবার করোনা ও সাধারণ ফ্লুর মিল-অমিল নিয়ে তথ্য প্রকাশ করেছে।

  মিল কোথায় :


করোনা ও ইনফ্লুয়েঞ্জা—দুটোই শ্বাসতন্ত্রের রোগ। দুটোর সংক্রমণ ছড়ায়ও একইভাবে—ড্রপলেট (মুখ বা নাকনিঃসৃত তরল কণা), বিভিন্ন বস্তু আর সংস্পর্শের মাধ্যমে। তাই দুটোকেই প্রতিরোধ করার উপায়ও এক। হাঁচি-কাশির শিষ্টাচার মেনে চলা, বারবার হাত ধোয়া এবং সংক্রমিত ব্যক্তির সংস্পর্শ এড়িয়ে চলার মাধ্যমেই কেবল রোগ প্রতিরোধ সম্ভব। দুটো সংক্রমণের উপসর্গেও মিল আছে—সাধারণ মৃদু সর্দি-কাশি-জ্বর থেকে শুরু করে তীব্র সংক্রমণ, নিউমোনিয়া বা শ্বাসতন্ত্রের প্রদাহ হয়ে রেসপিরেটরি ফেইলিউর, একাধিক অঙ্গ বিকল বা মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।

    অমিল :

ইনফ্লুয়েঞ্জার ইনকিউবেশন পিরিয়ড (ভাইরাসের সংস্পর্শে আসা থেকে রোগ উপসর্গ প্রকাশ হওয়ার) এবং মিডিয়ান সিরিয়াল ইন্টারভেল (এক ব্যক্তি থেকে আরেক ব্যক্তিতে ছড়ানোর সময়) কোভিড-১৯-এর চেয়ে কম। কোভিড-১৯-এর সিরিয়াল ইন্টারভেল পাঁচ-ছয় দিন, ইনফ্লুয়েঞ্জার তিন দিন। এর অর্থ, কোভিড-১৯-এর চেয়েও দ্রুত ছড়ায় ইনফ্লুয়েঞ্জা। তবে করোনাভাইরাস অপেক্ষাকৃত অনেক বেশি মানুষের মধ্যে সংক্রমণ ঘটাতে পারে।


ইনফ্লুয়েঞ্জার মূল শিকার শিশুরা। তবে প্রাথমিক তথ্য-উপাত্ত অনুযায়ী, বয়স্ক ও ঝুঁকিতে থাকা ব্যক্তিদের তুলনায় শূন্য থেকে ৯ বছর বয়সী শিশুদের মধ্যে করোনার সংক্রমণ প্রায় হয় না বললেই চলে। রোগের তীব্রতায়ও বড় ধরনের পার্থক্য আছে। কোভিড-১৯ সংক্রমণের ৮০ শতাংশ ক্ষেত্রে মৃদু উপসর্গ দেখা দেয়, যা এমনিতেই সেরে যায়। ১৫ শতাংশ ক্ষেত্রে উপসর্গ তীব্র মাত্রার। এমন ক্ষেত্রে রোগীকে অক্সিজেন দেওয়া লাগে। মাত্র ৫ শতাংশ ক্ষেত্রে মারাত্মক জটিলতা দেখা দেয়। এ ক্ষেত্রে রোগীর ভেন্টিলেটর দরকার হয়। তবে করোনাভাইরাসের সংক্রমণের বৈশ্বিক মহামারি শেষ না হওয়া পর্যন্ত এই হার নিশ্চিত করে বলা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।

ইনফ্লুয়েঞ্জায় শুধু শিশুরাই নয়, অন্তঃসত্ত্বা নারী, বয়স্ক ও রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কম, এমন ব্যক্তিরা ঝুঁকিতে থাকে। কোভিড-১৯-এ এখন পর্যন্ত সবচেয়ে ঝুঁকিতে দেখা গেছে ৬০ বছরের বেশি বয়সীদের। এ ছাড়া ডায়াবেটিস, হৃদ্‌রোগ, কিডনি জটিলতাসহ অন্যান্য দীর্ঘমেয়াদি সমস্যায় আক্রান্ত এবং যাদের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কম, তারাও ঝুঁকিতে রয়েছে। কোভিড-১৯-এ মৃত্যুহার এ পর্যন্ত ৩-৪ শতাংশ। ইনফ্লুয়েঞ্জায় মৃত্যুহার শূন্য দশমিক ১ শতাংশ। করোনার কার্যকর ওষুধ বা প্রতিষেধক এখন পর্যন্ত উদ্ভাবিত হয়নি। তবে ইনফ্লুয়েঞ্জার কার্যকর টিকা আছে।

  যা করবেন :

যদি সর্দি-কাশি-জ্বর দেখা দেয়, আপনার করোনা সংক্রমিত ব্যক্তির সংস্পর্শে আসার কোনো ইতিহাস বা ঝুঁকি না থাকে এবং আপনি যদি ঝুঁকিপূর্ণ ব্যক্তিদের তালিকায় না থাকেন, তাহলে উদ্বিগ্ন হবেন না। জ্বরের জন্য প্যারাসিটামল, প্রচুর পানি ও তরল পান, পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ আর বিশ্রামই আপনার চিকিৎসা। তবে যদি জ্বর পাঁচ-সাত দিনেও না সারে, শ্বাসকষ্ট দেখা দেয় বা রোগীর দ্রুত অবস্থার অবনতি ঘটে, তাহলে চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। আর যদি আপনি ঝুঁকিপূর্ণ ব্যক্তি হন, সম্প্রতি বিদেশফেরত বা আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে গিয়ে থাকেন, তবে উপসর্গ দেখা দেওয়ামাত্র সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা সংস্থা আইইডিসিআরের হটলাইনে যোগাযোগ করুন।

মেডিসিন বিশেষজ্ঞ
Title: Re: জেনে নিন সাধারণ ফ্লুর সঙ্গে করোনার মিল-অমিল :
Post by: Al Mahmud Rumman on November 23, 2020, 02:51:34 AM
ভ্যাকসিনের অপেক্ষায় পৃথিবী