Show Posts

This section allows you to view all posts made by this member. Note that you can only see posts made in areas you currently have access to.


Messages - Faruq Hushain

Pages: [1] 2 3 ... 6
1
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাংলাদেশে ‘হেড অ্যান্ড নেক’ অর্থাৎ ‘মাথা ও ঘাড়’ ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক শিশুও রয়েছে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, বাংলাদেশের শিশুরা যত ধরনের ক্যান্সারে ভোগে তার আট থেকে ১০ শতাংশই হেড অ্যান্ড নেক ক্যান্সারে আক্রান্ত।

শিশুদের মধ্যে এই ক্যানসার জিনগত কারণে হয় বলে এটি প্রতিরোধের কোনো উপায় নেই। তবে প্রাপ্তবয়স্কদের এই ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার পেছনে বেশ কয়েকটি কারণ রয়েছে যা প্রতিরোধ করা যেতে পারে।

প্রাথমিক অবস্থায় রোগটি নির্ণয় হলে এবং সঠিক সময় চিকিৎসা নিলে সব বয়সী রোগীর শতভাগ সেরে ওঠা সম্ভব।
কিন্তু দেরিতে শনাক্ত হলে এর ফল মারাত্মক হতে পারে।

এই প্রতিবেদনে হেড অ্যান্ড নেক ক্যান্সারের বিষয়ে বিস্তারিত জানবো, যার সব তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে ব্রিটেনের জাতীয় স্বাস্থ্য সংস্থা, যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল ও নাক কান গলা বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে।

হেড অ্যান্ড নেক ক্যান্সার কী
হেড অ্যান্ড নেক ক্যান্সার বলতে মানুষের মাথা থেকে ঘাড় পর্যন্ত অন্তত ৩০টি অংশের ক্যান্সারকে বুঝিয়ে থাকে।

এর মধ্যে রয়েছে মানুষের নাক, নাকের গহ্বর, সাইনাস, ঠোঁট, জিহ্বা, মাড়ি, গালের ভেতরের অংশ, মুখের তালু, গলা, কণ্ঠনালী, শ্বাসনালী, খাদ্যনালী, টনসিল, লালাগ্রন্থি, হেড নেকের ত্বক, ইত্যাদি।

ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ক্যানসার রিসার্চ অ্যান্ড হসপিটালের সর্বশেষ প্রকাশিত ২০১৫ সাল থেকে ২০১৭ সালের রিপোর্ট অনুযায়ী, পুরুষের প্রথম ১০টি ক্যানসারের মধ্যে অন্তত চারটি এই হেড অ্যান্ড নেক ক্যানসারের সাথে সম্পৃক্ত।

অন্যদিকে, নারীদের প্রথম ১০টি ক্যানসারের মধ্যে তিনটি হেড অ্যান্ড নেক ক্যানসারের সাথে সম্পৃক্ত। অর্থাৎ সব ক্যান্সারের মধ্যে হেড অ্যান্ড নেক ক্যান্সারে আক্রান্তের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি।
লক্ষণ
মাথা ও ঘাড়ের একেকটি অংশের ক্যান্সারের ক্ষেত্রে একেক ধরণের লক্ষণ দেখা দেয়। তাই নীচের লক্ষণের কোনো একটি বা একাধিক দেখা দিলে এবং ১৫ দিনেও না সারলে দেরী না করে একজন নাক কান গলা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে বলেছেন চিকিৎসকরা।

*গলায় দীর্ঘসময় ধরে ব্যথা, খাবার চিবিয়ে খেতে বা গিলতে কষ্ট
*শ্বাস নিতে কষ্ট, নাক বন্ধ হয়ে যাওয়া, শ্বাস নিতে গেলে শব্দ হওয়া, গন্ধের অনুভূতি কমে যাওয়া
*অবিরাম কাশি
*গালে, জিহ্বায় বা মুখ গহ্বরে কোথাও কোনো সাদা বা লাল ক্ষত হওয়া, যা দুই সপ্তাহ পরেও সারছে না
*দীর্ঘদিন সর্দি, নাক থেকে রক্তক্ষরণ
*গলার স্বর পরিবর্তন হয়ে যাওয়া, কথা বলতে কষ্ট হওয়া
*মুখের কোনো অংশ যেমন চোখের ওপরে, ঘাড়ে, গলায়,নাকের চারপাশ, কানের আশপাশ বা চোয়াল ফুলে যাওয়া বা মুখের এক পাশ ফুলে যাওয়া, যা দীর্ঘদিনেও সারছে না
*মুখে ব্যথা, মুখ খুলতে সমস্যা, মুখে অসারতা বা মুখ ঝুলে যাওয়া
*কানে ব্যথা, এক কানে শুনতে সমস্যা
*দাঁতে ব্যথা
*থেমে থেমে জ্বর ও দীর্ঘদিন মাথাব্যথা
কেন হয় এবং কাদের হয়
এই ক্যান্সার হওয়ার মূল কারণ তামাক ও মদ।

*প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ধূমপান
*ধূমপান ও মদ্যপান একসাথে করা
*পান, জর্দা, সাদা পাতা, চুন, গুল, খৈনি ইত্যাদি খাওয়ার অভ্যাস
*মুখ অপরিস্কার রাখা ও দাঁত ব্রাশ না করা
দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা
*বংশে কারো ক্যান্সারের ইতিহাস এই ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়
*সূর্যের অতিবেগুনী রশ্মির অতিরিক্ত সংস্পর্শ, গায়ের রং পুড়িয়ে কালো করার প্রবণতা বেশি থাকলে ঠোঁটের ক্যান্সারের ঝুঁকি বেশি থাকে
মাথা ও ঘাড়ে অতিরিক্ত রেডিয়েশন ট্রিটমেন্ট নেয়া
*নির্মাণ, টেক্সটাইল, সিরামিক ও খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্পে কাজ করা, যা মানুষকে প্রতিনিয়ত কাঠের ধুলো, ফর্মালডিহাইড, অ্যাসবেস্টস, নিকেলসহ অন্যান্য রাসায়নিক পদার্থের সংস্পর্শে আনে, এতে এই ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ে
*এপস্টাইন-বার ভাইরাসের সংক্রমণে মনোনিউক্লিওসিস কিংবা অন্যান্য অসুস্থতায় আক্রান্ত হলে অথবা হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাসে আক্রান্ত হলে এই ক্যান্সারের ঝুঁকি বেশি থাকে
*শিশু থেকে শুরু করে যেকোনো বয়সীরা এতে আক্রান্ত হতে পারেন, তবে ৫০ বছরের বেশি বয়সীদের মধ্যে এই ক্যান্সারের ঝুঁকি বেড়ে যায়, নারীদের তুলনায় পুরুষদের এই ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি দ্বিগুন বেশি
দেখা গেছে, প্রতি ১০০ জন ক্যান্সার আক্রান্ত পুরুষের মধ্যে ৩৩ জন এবং ১০০ জন ক্যান্সার আক্রান্ত নারীদের মধ্যে ১১-১৩ জন হেড ও নেক ক্যান্সারে আক্রান্ত।
ঝুঁকি কমাতে করণীয় :
এ ধরণের ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে কয়েকটি বিষয়ে সচেতন হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা-

*ধূমপান, মদপান ও যেকোনো ধরণের তামাক গ্রহণ বন্ধ করা
*মুখের ভেতর পরিস্কার রাখতে প্রতিদিন ব্রাশ করা
*নিয়মিত ডেন্টিস্টের কাছে চেকআপ করানো কারণ প্রায়শই মাথা ও ঘাড়ের ক্যান্সারের লক্ষণ দাঁতের পরীক্ষা করাতে গিয়ে বেরিয়ে আসে
*চিকিৎসকের পরামর্শে হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস-এইচপিভি টিকা গ্রহণ
*সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি থেকে নিজেকে রক্ষা করতে ছাতা ও টুপি ব্যবহার, ত্বকে সানস্ক্রিন ও ঠোঁটে সানস্ক্রিনযুক্ত লিপবাম ব্যবহার করা

চিকিৎসা
চিকিৎসা দেয়ার আগে চিকিৎসকরা মূলত রোগীর ইতিহাস জেনে নিয়ে থাকেন যে, কবে থেকে এসব লক্ষণ প্রকাশ পেয়েছে।

এরপর কোন অংশে ক্যান্সার সেই তথ্যের ভিত্তিতে শারীরিক পরীক্ষা করানো হয়। সিটি স্ক্যান, এমআরআই, পিটিই, ন্যাজো অ্যান্ডোস্কোপি, সেইসাথে রক্ত ও প্রস্রাবের বিভিন্ন পরীক্ষা করানো হয়।

পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে চিকিৎসকরা অস্ত্রপচার করতে পারেন এবং বায়োপসি করানো হতে পারে।

প্রয়োজন হলে কেমোথেরাপি, রেডিওথেরাপি, ইমিউনোথেরাপি চলে।

তবে ক্যান্সার একবার সেরে উঠলেও পুনরায় ফিরে আসতে পারে। এজন্য চিকিৎসকরা ক্যান্সার থেকে সেরে ওঠার পর পরবর্তী চেক আপ অব্যাহত রাখার পরামর্শ দিয়েছেন।

2
এমন অনেকেই আছেন যাদের এখন আর বাইরে যেতে ভালো লাগে না। নিজের অন্ধকার ঘরে শুয়ে বসে থেকে কিংবা হেডফোনে জোরে গান শুনে সময় কাটাতে ভালো লাগে।

কিন্তু এভাবে আপনি যে আপনার ব্রেনের ১২টা বাজাচ্ছেন সেটা কী জানেন? মস্তিষ্কের ক্ষতিকারক এমন ১১টি অভ্যাস এবং এই ক্ষতি কীভাবে কাটিয়ে উঠবেন সেই বিষয়ে ব্যাখ্যা থাকছে এই নিবন্ধে।

এখানে দেয়া বেশিরভাগ তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ড মেডিকেল স্কুল, ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অফ নিউরোলজিক্যাল ডিজঅর্ডার্স অ্যান্ড স্ট্রোকসহ বিভিন্ন গবেষণা প্রতিবেদন থেকে।
১. অপর্যাপ্ত ঘুম
যুক্তরাষ্ট্রের প্রিমিয়ার নিউরোলজি অ্যান্ড ওয়েলনেস সেন্টারের তথ্য অনুযায়ী, আমাদের মস্তিষ্কের সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয় অপর্যাপ্ত ঘুমের কারণে।
প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে পর্যাপ্ত ঘুম বলতে ২৪ ঘণ্টায় ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা ঘুমকে বোঝানো হয়। এক্ষেত্রে রাতে নিরবচ্ছিন্ন ঘুম সবচেয়ে বেশি কার্যকর।

ঘুমানোর সময় মস্তিষ্ক বিশ্রাম নেয়ার পাশাপাশি, বিষাক্ত পদার্থ পরিষ্কার করে এবং নতুন কোষ তৈরি করে। কিন্তু ৭ ঘণ্টার কম ঘুমালে নতুন কোষ গঠন হয় না।

এর ফলে আপনি কিছু মনে রাখতে পারেন না, মনোযোগ দিতে কষ্ট হয়, মেজাজ খিটখিটে হয়ে যায়, সিদ্ধান্ত নিতে সমস্যা হয়। ঘুমের অভাবে ডিমেনশিয়া অ্যালঝেইমার্সের ঝুঁকিও বেড়ে যায়।

যদি আপনি আপনার মস্তিষ্ককে রক্ষা করতে চান তাহলে সমাধান একটাই- প্রতি রাতে কমপক্ষে সাত ঘণ্টা ঘুমানো। আট ঘণ্টা হলে বেশি ভালো।

এজন্য যেটা করতে পারেন ঘুমের সময়ের অন্তত এক ঘণ্টা আগে বিছানায় যান, এসময় কোনো ডিভাইস ব্যবহার করবেন না।

আর ঘুমের পরিবেশ তৈরি করতে আগেই শোবার ঘর পরিষ্কার করে নিন, ঘরের আলো কমিয়ে দিন, আপনার বিছানা, পোশাক, ঘরের তাপমাত্রা সবকিছু যেন আরামদায়ক হয়।

আরেকটা বিষয়- কখনও মাথা ঢেকে ঘুমাবেন না। কারণ মাথা ঢাকলে আপনার মাথার চারপাশে অক্সিজেনের পাশাপাশি প্রশ্বাসের সাথে বেরিয়ে আসা কার্বন ডাই অক্সাইড গ্যাস জমে থাকে।

এই গ্যাসের মিশ্রণ নিশ্বাসের সাথে গ্রহণ করলে মস্তিষ্কে অক্সিজেনের ঘাটতি দেখা দেয়
২. সকালের নাস্তা এড়িয়ে যাওয়া
সারা রাত না খেয়ে থাকার পর, দিনে কাজ করার শক্তি আসে সকালের নাস্তা থেকে। কিন্তু আমরা অনেকেই সকালে তাড়াহুড়ো করতে গিয়ে নাস্তার মতো গুরুত্বপূর্ণ কাজটি এড়িয়ে যাই।

এতে যেটা হয় রক্তে শর্করার মাত্রা কমে যায় যার প্রভাব গিয়ে পড়ে মস্তিষ্কে।

দিনের পর দিন নাস্তা না খাওয়ার ফলে মস্তিষ্কের ক্ষয় হতে থাকে, কোষগুলো কার্যকারিতা হারায়।

এতে পুষ্টির অভাবে স্বাভাবিক কাজগুলো করা কঠিন হয়ে যায়।
৩. পর্যাপ্ত পানি পান না করা
আমাদের মস্তিষ্কের ৭৫% পানি। তাই মস্তিষ্কের সবচেয়ে ভালো কাজ করার জন্য একে আর্দ্র রাখা বেশ জরুরি।

পানির অভাবে মস্তিষ্কের টিস্যু সঙ্কুচিত হয়ে যায় ও কোষগুলো কার্যক্ষমতা হারায়। এতে যৌক্তিক চিন্তা বা সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষমতা কমে যেতে পারে।

তাই মস্তিষ্ক সুস্থ রাখতে একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষকে দিনে কমপক্ষে দুই লিটার পানি খেতেই হবে।

তবে ওজন, স্বাস্থ্য, বয়স, জীবনযাত্রা এবং আবহাওয়ার ওপর ভিত্তি করে পানির পরিমাণ আরও বাড়তে পারে।
৪. অতিরিক্ত চাপ এবং শুয়ে বসে থাকা
দীর্ঘসময় খুব চাপের মধ্যে কাজ করলে মস্তিষ্কের কোষ মারা যায় এবং মস্তিষ্কের সামনে থাকা ফ্রন্টাল কর্টেক্স সঙ্কুচিত হয়ে পড়ে। এতে আমাদের স্মৃতি ও চিন্তাশক্তি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

গবেষকদের মতে, যারা কাজের ব্যাপারে ভীষণ খুঁতখুঁতে, অন্যের সাহায্য নিতে ভরসা পাননা, আবার যারা ‘না’ বলতে পারেন না তারা সবচেয়ে বেশি মানসিক চাপে ভোগেন।

তাই যেকোনো উপায়ে অতিরিক্ত চাপ নেয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।

অনেকেই আছেন যারা অসুস্থ অবস্থাতেও মস্তিষ্কে জোর দিয়ে কাজ করেন।

কিন্তু মনে রাখতে হবে শরীর অসুস্থ থাকলে মস্তিষ্ক রোগ প্রতিরোধে ব্যস্ত থাকে তাই এই সময় বাড়তি চাপ না দিয়ে মস্তিষ্ককে বিশ্রাম দিন। ছুটি নিন।

না হলে মস্তিষ্কে এর দীর্ঘমেয়াদী বিরূপ প্রভাব পড়বে।

অতিরিক্ত চাপ নেয়া যেমন খারাপ তেমনি দীর্ঘ সময় শুয়ে বসে থাকাও ক্ষতিকর।

অনেকে আছেন এমন কাজ করেন যেখানে সারাদিন বসে থাকতে হয়। আবার ছুটির দিন এলে শুয়ে বসে সময় কাটিয়ে দেন। পর্যাপ্ত নড়াচড়া, চলাফেরা বা কায়িক শ্রম করেন না।

এতে স্থূলতা, হৃদরোগ এবং ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়ে। যার প্রভাবে ডিমেনশিয়া হতে পারে।

তাই মস্তিষ্ককে সুস্থ রাখতে নিয়মিত ব্যায়াম করুন, প্রতি আধাঘণ্টা পর পর চেয়ার থেকে উঠে চলাফেরা করুন, এজন্য টাইমার সেট করে রাখতে পারেন।

চেষ্টা করুন সপ্তাহে অন্তত তিন দিন আধা ঘণ্টা করে হাঁটতে।
৫. গুগল সার্চ
খেয়াল করে দেখবেন আমাদের আগের প্রজন্মের অনেকেই ক্যালকুলেটর ছাড়াই ছোটখাটো হিসাব কষে ফেলেন। তাদের ফোন নম্বর মুখস্থ থাকে। প্রচুর বই পড়ার কারণে তাদের সাধারণ জ্ঞানও সমৃদ্ধ।

তাদের এই অভ্যাসগুলো মস্তিষ্কের ব্যায়ামের মতো যা তাদের চিন্তাশক্তি ও স্মরণশক্তিকে দীর্ঘসময় শানিত রেখেছে।

কিন্তু এই যুগে আমাদের এতকিছু মনে রাখার প্রয়োজন হয় না। প্রযুক্তির উপর এই অতিরিক্ত নির্ভরশীলতার কারণে আমাদের ব্রেইনের নিজস্ব ক্ষমতা কমে গিয়েছে। স্মৃতি ও চিন্তাশক্তি দুর্বল হয়ে পড়েছে।

মস্তিষ্ক শাণিত করতে সবকিছু গুগল সার্চ না করে মনে রাখতে চেষ্টা করার পরামর্শ দিয়েছেন গবেষকরা।

সেইসাথে শব্দ-জট খেলা বিভিন্ন ধরনের পাজল মেলানো, সুডোকু ইত্যাদি ব্রেইন অ্যাকটিভিটির খেলা খেলতে পারেন।
৬. হেডফোন ব্যবহার, উচ্চ শব্দে জোরে গান শোনা
আপনি যে হেডফোন বা এয়ারপড ব্যবহার করছেন সেটা ৩০ মিনিটেরও কম সময়ে শ্রবণশক্তির ক্ষতি করতে পারে।

সেইসাথে জোরে জোরে গান শুনলে কিংবা উচ্চ শব্দের মধ্যে থাকলে শ্রবণের মারাত্মক ক্ষতি হয়।

এবং ভয়ের বিষয় হল শ্রবণশক্তিকে একবার যে ক্ষতি হয় সেটা আর ঠিক করা যায় না। আর শ্রবণশক্তি কমে গেলে এর সরাসরি প্রভাব মস্তিষ্কে গিয়ে পড়ে।

মার্কিন গবেষকদের মতে, শ্রবণশক্তি হ্রাস পাওয়া ব্যক্তিদের মস্তিষ্কের টিস্যুর ক্ষতিগ্রস্ত হয় এতে তাদের আলঝেইমার্স হওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়।

ফলে পড়ালেখা করতে এবং মনোযোগ দিতেও কষ্ট হয়।

তাই হেডফোন ব্যবহারের আগে বা প্রিয় গানটি জোরে ভলিউমে শোনার আগে দুবার ভাববেন।

যদি শুনতেই হয় ভলিউম ৬০ শতাংশের চেয়ে বাড়াবেন না। হেডফোন টানা ব্যবহার না করে, এক ঘণ্টা বিরতি দিয়ে করুন।

আরেকটি বিষয় অনেকেই গান শুনে জোরে জোরে মাথা ঝাঁকান বা হেড ব্যাঙ করেন। ব্রিটিশ মেডিক্যাল জার্নাল বলেছে এতে মস্তিষ্কের কোষ মারা গিয়ে মারাত্মক ক্ষতি হয়।

3
১ বাধাকপিঃ এতে আছে ফাইটোকেমিক্যালস, ভিটামিন বি৬, ভিটামিন সি, এবং ভিটামিন কে এবং আঁশ ও ফলিস এসিড। এই সবগুলো উপাদান ক্ষতিগ্রস্ত কিডনির মেরামত এবং কিডনিকে সচল রাখতে সহায়তা করে।

২ মাছঃ এতে থাকা ওমেগা ৩ ফ্যাটি এসিড দেহের প্রদাহ কমায় এবং কিডনিকে সুরক্ষা দেয়। যাদের কিডনিতে সমস্যা হচ্ছে তাদের বেশি বেশি মাছ খাওয়া উচিত।

৩ রসুনঃ রসুনে আছে পঁচনরোধী এবং জমাটরোধী উপাদান যা কার্যকরভাবে কিডনি রোগ প্রতিরোধ করে। রসুন কিডনিকে ক্ষতিকর ধাতব পদার্থের সম্ভাব্য ক্ষতি থেকে রক্ষা করে।

৪ ডিমের সাদা অংশঃ কিডনি রোগে আক্রান্তদেরকে ডিমের অংশ খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। কারণ ডিমের সাদা অংশে ফসফরাসের পরিমাণ কম থাকে এবং ভালো মানের প্রোটিন বেশি থাকে। এছাড়া এতে আছে অ্যামাইনো এসিড যা কিডনির কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখার জন্য জরুরি। তবে কিডনির রোগ হলে ডিমের কুসুম না খাওয়াই ভালো।

৫ আপেলঃ কোষ্ঠ্য কাঠিন্য দূর করে, হৃদরোগ প্রতিরোধ করে এবং দৃষ্টিশক্তি বাড়ায়। এছাড়া অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বা পঁচনরোধী উপাদান এবং ভিটামিন থাকায় আপেল কিডনির স্বাস্থ্যও ভালো রাখে। এছাড়া রক্তে কোলোস্টেরলের মাত্রা ঠিক রাখতে এবং পেশাব পরিষ্কার রাখতেও বেশ কার্যকর আপেল।

৬ লাল ক্যাপসিকামঃ এতে পটাশিয়াম কম, কিন্তু উচ্চমাত্রায় ভিটামিন এ, বি, সি এবং বি৬ আছে। এটি ফলিক এসিড এবং খাদ্য আঁশেরও ভালো উৎস। যেগুলো কিডনিকে সচল রাখার জন্য জরুরি।

৭ পেঁয়াজঃ পেঁয়াজে আছে প্রচুর পরিমাণে শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বা পঁচনরোধী উপাদান। যা কিডনিকে বিষমুক্তকরন এবং পরিষ্কার করতে সহায়তা করে। এতে পটাশিয়াম, ক্রোমিয়াম ইত্যাদি কম থাকে। ফলে পেঁয়াজ চর্বি, প্রোটিন এবং কার্বোহাইড্রেটস হজমে সহায়তা করে।

৮ বেরিঃ বেরিতে আছে প্রচুর পরিমাণে ম্যাগনেশিয়াম, ভিটামিন সি, খাদ্য আঁশ এবং ফোলেট। স্ট্রবেরি, ক্র্যানবেরি, র‌্যাস্পবেরি এবং ব্লুবেরি কিডনির জন্য বেশ উপকারী বলে বিবেচিত হয়। বেরিতে আছে প্রদাহরোধী এবং পঁচনরোধী উপাদান এবং মূত্রাশয়ের কার্যক্রমেরও উন্নতি ঘটায়।

৯ অলিভ অয়েলঃ সকলেই জানেন অলিভ অয়েল হার্টের জন্য ভালো। কিন্তু সেটি যে কিডনির জন্যও উপকারী তা জানেন কি? এতে আছে প্রচুর পরিমাণে প্রদাহরোধী ফ্যাটি এসিড যা জারণ কমিয়ে কিডনিকে সুরক্ষিত রাখে। সালাদে বা রান্নায় এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল ব্যবহার করতে পারেন।

১০ বাধাকপিঃ এতে আছে ফাইটোকেমিক্যালস, ভিটামিন বি৬, ভিটামিন সি, এবং ভিটামিন কে এবং আঁশ ও ফলিস এসিড। এই সবগুলো উপাদান ক্ষতিগ্রস্ত কিডনির মেরামত এবং কিডনিকে সচল রাখতে সহায়তা করে।

4
হার্ট অ্যাটাক কথাটি শুনলেই ভয়ে আঁতকে ওঠে মনটা। এর ব্যথার তীব্রতা সঙ্গে প্রচুর ঘাম, বমিভাব আর তখন তীব্র শ্বাসকষ্ট সব মিলিয়ে প্রাণঘাতী এক সর্বগ্রাসী রূপে আতঙ্কিত করে তোলে রোগীকে। হার্ট অ্যাটাকের রোগীটি মনে করতে থাকেন এখনই তার মৃতু্য হবে। এ ভীতির বাস্তব কারণও আছে, কেননা, হার্ট অ্যাটাকে আক্রান্ত প্রায় ২৫ শতাংশ রোগী কোনো চিকিৎসা দেয়ার আগেই মৃতু্যবরণ করেন। উন্নত বিশ্বেও তাৎক্ষণিক এ মৃতু্যর হার প্রায় একই রকম। তবে আপনি জানেন কি? হার্ট অ্যাটাক কখনো নীরব ঘাতকের ভূমিকায় আসতে পারে। অর্থাৎ ব্যথাহীন হার্ট অ্যাটাক।  ১৯১২ সালে জেবি হেরিক প্রথমে এই ব্যথাহীন হার্ট অ্যাটাকের কথা বলেন এবং  একটি আর্টিকেল লেখেন। এরপর অজানা কারণে হঠাৎ মৃতু্যর কারণ খুঁজতে গিয়ে  রিপোর্টে বেরিয়ে আসে নীরব হার্ট অ্যাটাকের রহস্য। এ ধরনের রোগীর সংখ্যা একেবারে কম নয়,  শতকরা পাঁচজন এ রোগে আক্রান্ত হতে পারেন।

কাদের হয় : বৃদ্ধ বয়সে, ডায়াবেটিসের রোগী, যারা নিউরোপ্যাথিতে ভোগেন এমনকি যারা আগে হার্ট অ্যাটাকে আক্রান্ত হয়েছেন সাধারণত এরাই নীরব হার্ট অ্যাটাকে আক্রান্ত হতে পারে।

কখন হয় : বিশ্রামে থাকার সময় বা পরিশ্রম করাকালীন, ঘুমের ভেতর বা অজ্ঞান অবস্থায় বোঝার উপায় আছে কি? সাধারণত যাদের বয়স ৪০-এর উপরে, যারা ধূমপায়ী, ডায়াবেটিস বা উচ্চ রক্তচাপে ভোগেন এসব লোক যদি অল্প পরিশ্রমে অস্বাভাবিক ক্লান্তি বোধ করেন বা শ্বাসকষ্ট অনুভব করেন বা বুকটা যদি ভারী হয়ে আসে তবে তাদের চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা উচিত।

প্রতিরোধের উপায় কী:
ব্যথাযুক্ত হার্ট অ্যাটাকের মতোই যেমন ধূমপান পরিহার করা, উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা, চর্বিযুক্ত খাবার পরিহার করা, প্রচুর শাকসবজি ও ফল খাওয়া।

http://banglanewspapersonline.blogspot.com

5

করোনার প্রভাবে ফেসবুক সার্ভারে চাপ বাড়ছে
করোনাভাইরাসের প্রভাবে যেসব দেশে দৈনন্দিন জীবন ব্যাহত হচ্ছে, সেখানে বেশ বেড়েছে ডিজিটাল মাধ্যমে যোগাযোগের হার। আর এ তথ্য জানিয়েছেন ফেসবুকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মার্ক জাকারবার্গ। গত বুধবার কোভিড-১৯ নিয়ে ফেসবুকের প্রতিক্রিয়া জানাতে এ কথা বলেন তিনি। তিনি বলেন, ইতালি এবং করোনাভাইরাসে গুরুতর আক্রান্ত অন্য দেশগুলোয় হোয়াটসঅ্যাপ এবং মেসেঞ্জারের ভয়েস কলের পরিমাণ স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে দ্বিগুণের বেশি হয়েছে।

কোয়ারেন্টিনে থাকার সময়টাতে মানুষ ভার্চ্যুয়াল যোগাযোগের ওপর নির্ভর করছে বেশি। এতে বেড়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ব্যবহার। ফলে ফেসবুকের সার্ভারগুলোতেও ডেটা আদান-প্রদানের পরিমাণ উল্লেখযোগ্য হারে বেড়ে গেছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে সার্ভারগুলোর অবকাঠামো এবং কর্মক্ষমতা বাড়াতে কাজ করছে ফেসবুক। হোয়াটসঅ্যাপের জন্য ইতিমধ্যে সার্ভারের ক্ষমতা দ্বিগুণ করা হয়েছে। মার্ক জাকারবার্গ জানান, করোনাভাইরাসের ফলে বিশ্বজুড়ে যেসব দেশের নাগরিকেরা তাদের যোগাযোগের প্রাথমিক মাধ্যম হিসেবে হোয়াটসঅ্যাপ, ফেসবুক কিংবা ইনস্টাগ্রামের ওপর নির্ভর করছে, তাদের ক্ষেত্রে ফেসবুককে অবশ্যই তার অবকাঠামোগত ক্ষমতা আরও বাড়াতে হবে।

এটি অবশ্য ফেসবুককর্মীদের, বিশেষ করে যাঁরা অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে রয়েছেন, তাঁদের জন্য একটি নতুন চ্যালেঞ্জ হিসেবে দাঁড়িয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির বাড়ি থেকে কাজ করার নীতিমালাটি বৃহস্পতিবার থেকে কার্যকর হচ্ছে। জাকারবার্গ বলেন, তাঁদের শুধু সার্ভার পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে নিয়োজিত কর্মীরাই প্রয়োজনীয় ভূমিকা পালনের জন্য কর্মক্ষেত্রে থাকবেন।

 সূত্র: https://www.prothomalo.com/technology/article

6
করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী লড়াইয়ের সমর্থনে দুটি উদ্যোগের কথা ঘোষণা করেছে হোয়াটসঅ্যাপ। একটি হলো ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন এবং ইউএনডিপির সঙ্গে অংশীদারত্বে হোয়াটসঅ্যাপ করোনাভাইরাস ইনফরমেশন হাবের উদ্বোধন এবং আরেকটি হলো পোয়েন্টার ইনস্টিটিউটের আন্তর্জাতিক ফ্যাক্ট-চেকিং নেটওয়ার্ককে (আইএফসিএন) ১০ লাখ ডলার অনুদান প্রদান।

হোয়াটসঅ্যাপের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গতকাল বুধবার হোয়াটসঅ্যাপের পক্ষ থেকে করোনাভাইরাস ইনফরমেশন হাব চালু হয়েছে। এখান থেকে হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে যোগাযোগকারী স্বাস্থ্যকর্মী, শিক্ষাবিদ, কমিউনিটি লিডার, এনজিও, স্থানীয় সরকার এবং স্থানীয় ব্যবসায়ীদের জন্য সহজ ও কার্যকর দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া সাইটটি বিশ্বব্যাপী হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীদের সাধারণ টিপস এবং তথ্য দেবে। এতে গুজব ছড়ানো কমবে বলে মনে করছে হোয়াটসঅ্যাপ কর্তৃপক্ষ।

হোয়াটসঅ্যাপের পক্ষ থেকে জানানো হয়, তারা বিশ্বজুড়ে সরাসরি ব্যবহারের জন্য মেসেজিং হটলাইন সেবা দিতে ইউনিসেফ ও ডব্লিউএইচওর সঙ্গে কাজ করছে। হটলাইনগুলো হোয়াটসঅ্যাপ করোনাভাইরাস ইনফরমেশন হাবে তালিকাভুক্ত করা হবে। এ পর্যন্ত হোয়াটসঅ্যাপ সিঙ্গাপুর, ইসরায়েল, দক্ষিণ আফ্রিকা, ব্রাজিল, ইন্দোনেশিয়াসহ বিভিন্ন দেশে মেসেজের মাধ্যমে ব্যবহারকারীদের কাছে সঠিক তথ্য প্রদান করতে বেশ কয়েকটি জাতীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এবং এনজিওর সঙ্গে কাজ করেছে। 
হোয়াটসঅ্যাপ
হোয়াটসঅ্যাপ
করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী লড়াইয়ের সমর্থনে দুটি উদ্যোগের কথা ঘোষণা করেছে হোয়াটসঅ্যাপ। একটি হলো ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন এবং ইউএনডিপির সঙ্গে অংশীদারত্বে হোয়াটসঅ্যাপ করোনাভাইরাস ইনফরমেশন হাবের উদ্বোধন এবং আরেকটি হলো পোয়েন্টার ইনস্টিটিউটের আন্তর্জাতিক ফ্যাক্ট-চেকিং নেটওয়ার্ককে (আইএফসিএন) ১০ লাখ ডলার অনুদান প্রদান।

হোয়াটসঅ্যাপের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গতকাল বুধবার হোয়াটসঅ্যাপের পক্ষ থেকে করোনাভাইরাস ইনফরমেশন হাব চালু হয়েছে। এখান থেকে হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে যোগাযোগকারী স্বাস্থ্যকর্মী, শিক্ষাবিদ, কমিউনিটি লিডার, এনজিও, স্থানীয় সরকার এবং স্থানীয় ব্যবসায়ীদের জন্য সহজ ও কার্যকর দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া সাইটটি বিশ্বব্যাপী হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীদের সাধারণ টিপস এবং তথ্য দেবে। এতে গুজব ছড়ানো কমবে বলে মনে করছে হোয়াটসঅ্যাপ কর্তৃপক্ষ।

হোয়াটসঅ্যাপের পক্ষ থেকে জানানো হয়, তারা বিশ্বজুড়ে সরাসরি ব্যবহারের জন্য মেসেজিং হটলাইন সেবা দিতে ইউনিসেফ ও ডব্লিউএইচওর সঙ্গে কাজ করছে। হটলাইনগুলো হোয়াটসঅ্যাপ করোনাভাইরাস ইনফরমেশন হাবে তালিকাভুক্ত করা হবে। এ পর্যন্ত হোয়াটসঅ্যাপ সিঙ্গাপুর, ইসরায়েল, দক্ষিণ আফ্রিকা, ব্রাজিল, ইন্দোনেশিয়াসহ বিভিন্ন দেশে মেসেজের মাধ্যমে ব্যবহারকারীদের কাছে সঠিক তথ্য প্রদান করতে বেশ কয়েকটি জাতীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এবং এনজিওর সঙ্গে কাজ করেছে।


আইএফসিএনকে দেওয়া অনুদানের মাধ্যমে করোনাভাইরাস ফ্যাক্টস অ্যালায়েন্সের ফ্যাক্ট-চেকিংয়ের কাজ করবে। এটি ৪৫টি দেশের ১০০টিরও বেশি স্থানীয় সংস্থার মাধ্যমে এ কাজ চালিয়ে যাবে।

হোয়াটসঅ্যাপের প্রধান উইল ক্যাথকার্ট বলেন, ‘বিপর্যয়ের সময় মানুষ আরও বেশি করে হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করছেন। আমরা একটি সহজ রিসোর্স নিয়ে এসেছি, যা তাদের পরস্পরের সঙ্গে যুক্ত থাকতে সহায়তা করবে।

https://www.prothomalo.com/technology/article

7
Fruit / সৌদি খেজুরের মাহাত্ম্য
« on: March 22, 2020, 04:39:14 PM »
খেজুরকে আরবিতে ‘তুমুর’ বলে। সৌদি আরবের পবিত্র মক্কা নগরের কাকিয়ায় খেজুরের বড় মার্কেট। অনেক দোকান। দোকানে হরেক পদের খেজুর। নামগুলো শ্রুতিমধুর। খেতেও দারুণ।
কাকিয়ায় বেশ কিছু দোকানে বাংলাদেশিরা কাজ করেন। কথায় বলে ‘মামা-ভাগনে যেখানে, আপদ নেই সেখানে’। কাকিয়ায় এমনই মামা-ভাগনের সন্ধান পাওয়া যায়।
কথা বলে জানা গেল, এক মালিকের দোকানে কাজ শুরু করেন মামা। একপর্যায়ে ওই মালিকের দোকান বাড়ে। এই সুবাদে মামা দেশ থেকে তাঁর ভাগনেকে নিয়ে আসেন। মামার সঙ্গে ভাগনেও খেজুরের দোকানে কাজে লেগে পড়েন।
ভাগনে আল আমিন জানালেন, তাঁদের বাড়ি ময়মনসিংহে। সৌদি খেজুরের মাহাত্ম্য নিয়ে কথা হয় আল আমিনের সঙ্গে। তিনি বলেন, বিশ্বের অর্ধেকের বেশি খেজুর হয় সৌদি আরবে। জনপ্রিয় খেজুরগুলো হলো আজুয়া, আনবারা, সাগি, সাফাওয়ি, মুসকানি, খালাস, ওয়াসালি, বেরহি, শালাবি, ডেইরি, মাবরুম, ওয়ান্নাহ, সেফরি, সুক্কারি, খুদরি ইত্যাদি।
নানাভাবে খেজুর সংরক্ষণ করা হয়। এর মধ্যে একটি পদ্ধতি হলো খেজুর রোদে না শুকিয়ে গাছ থেকে কাটার পরই ফ্রিজে রাখা। আরবিতে এর নাম রাতাব। এই খেজুর খেতে বেশ সুস্বাদু।
আল আমিনের ভাষ্য, ময়মনসিংহের ভালুকায় মোতালেব হোসেন দেশে সৌদির খেজুরের আবাদ করেছেন। একসময় সৌদিতে খেজুরবাগানে কাজ করতেন তিনি।

8
রাসূল (সা.) ও খাদিজা (রা.) ঘরে বসে কথা বলছিলেন। ওই সময় দরজার কাছে উপস্থিত হলেন জিবরাইল (আ.)। নবীজিকে সালাম দিলেন। রাসূল (সা.) যথারীতি তার উত্তর দিলেন। খাদিজা (রা.) তো অবাক। কাকে সালাম দিলেন আপনি, রাসূল (সা.) বললেন কেন, এ যে জিবরাইল (আ.) দাঁড়িয়ে আছেন। উনি আমাকে সালাম জানিয়েছেন তারই উত্তর দিলাম। খাদিজা (রা.) কাউকে দেখতে না পেয়ে বিস্ময়ের সঙ্গে বললেন, কই আমি তো কাউকে দেখতে পাচ্ছি না! মহানবী (সা.) বললেন, আমি দেখতে পাচ্ছি। এবার খাদিজা (রা.) ব্যাপারটা পরখ করে দেখতে চাইলেন। নিজের মাথার ওড়না ফেলে দিয়ে মাথা ও মুখমণ্ডল অনাবৃত করলেন। রাসূল (সা.)কে জিজ্ঞেস করলেন, এবার কি তাকে দেখতে পাচ্ছেন? রাসূল (সা.) বিস্মিত হলেন, চোখের পলক পড়তে না পড়তেই অন্তর্হিত হলেন জিবরাইল (আ.)। খাদিজা (রা.)কে সবিনয়ে জানালেন- না, জিবরাইল (আ.)কে এখন আর দেখতে পাচ্ছি না। এরপর সবকিছু স্পষ্ট হয়ে উঠল খাদিজা (রা.)-এর কাছে। তিনি বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ (সা.)। এবার আমি নিশ্চিত যে আপনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে যিনি আসেন তিনি আসলেই জিবরাইল ফেরেশতা। রাসূল (সা.) জানতে চাইলেন কীভাবে তা বুঝলে? খাদিজা (রা.) বললেন, তাওরাত ও ইঞ্জিল কিতাবে এ রকম পরীক্ষার কথা বলা হয়েছে। রাসূল (সা.) জানতে চাইলেন, পরীক্ষাটা কি শোনা যাবে? হ্যাঁ, অবশ্যই শোনা যাবে- আপনার কাছে আগন্তুক একজন ফেরেশতা আমি তা নিশ্চিত হয়েছি এ কারণে যে, উনি ফেরেশতা না হয়ে জিন-পরী বা অন্য কিছু হলে আমার ওড়না ছাড়া অনাবৃত মাথা ও মুখমণ্ডল দর্শনে চলে যেতেন না। এখন চিন্তা করে দেখুন। আমাদের হাটবাজার, স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে যেভাবে মা-বোনেরা খোলা মাথায় বেপর্দায় চলছেন, শয়তান ছাড়া রহমতের ফেরেশতা তাদের সঙ্গে থাকতে পারে কি না? এ বিষয়ে পবিত্র কোরআনের সূরা নুর ও আহজাবের অর্থ পড়লেই সব জানা যাবে। আল্লাহ আমাদের পর্দা ও পরহেজগারি দান করুন।

লেখক : সাবেক কলেজ পরিদর্শক, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়

9
করোনাভাইরাস দ্রুতবেগে ছড়িয়ে পড়ছে। ইতিমধ্যে আমাদের প্রিয় ভূমি বাংলাদেশেও করোনা শনাক্ত হয়েছে। ফলে সবার মাঝে এক অজানা আতঙ্ক বিরাজ করছে। ওলামা-মাশায়েখ ও ইসলামী চিন্তাবিদরা কোরআন ও সুন্নাহর আলোকে এ ভাইরাস থেকে বাঁচতে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ দিয়েছেন।

১. রোগ-মহামারী কিংবা দুর্যোগ- বান্দাদের পরীক্ষা করতে বিভিন্ন সময় আল্লাহতায়ালার পক্ষ থেকে আসে (সূরা বাকারা : ১৫৫)। তাই এ সময় সবার উচিত ধৈর্যধারণ করা, আল্লাহতায়ালার ওপর বিশ্বাস আরও সুদৃঢ় করা এবং তাঁর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করা।

২. বিভিন্ন শতাব্দীতে বিশ্বব্যাপী এমন ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছিল। মহানবী (সা.)-এর সময়েও মহামারী রোগ ছড়িয়েছিল। এ প্রসঙ্গে তিনি ইরশাদ করেছেন, যদি তোমরা মহামারীর কোনো সংবাদ শোন তাহলে সেখানে প্রবেশ থেকে বিরত থাক। আর যদি কোনো শহরে বা নগরে কেউ সেই মহামারীতে আক্রান্ত হয় তাহলে সেখান থেকে তোমরা বের হয়ো না (বুখারি, হাদিস নং ৫৩৯৬)।

৩. পৃথিবীতে যা কিছু ঘটে সবকিছু আল্লাহতায়ালার ইচ্ছাতেই ঘটে। সবকিছুর কারণ ও প্রতিকার বুঝতে আমরা সামর্থ্য রাখি না। তাই এ মুহূর্তে আমাদের উচিত, মসজিদে ও ঘরে সম্মিলিত কিংবা একাকীভাবে দোয়ার আমল করা। করোনাভাইরাসসহ সব ধরনের রোগ থেকে পরিত্রাণ চাওয়া।

৪. প্রত্যেক মসজিদে ফজর নামাজে ‘কুনুতে নাজেলা’ পড়া। হজরত আবু হোরায়রা (রা.) বলেন, রাসূল (সা.) ফজরের নামাজের সময় কোনো জাতির জন্য দোয়া করতে কুনুতে নাজেলা পড়তেন (তিরমিজি, হাদিস নং ৪০১)।

৫. সর্বদা পরিচ্ছন্ন থাকুন। জীবাণুমুক্ত থাকুন। দু’হাত ধুয়ে নিন। সব সময় অজু অবস্থায় থাকতে চেষ্টা করুন। ময়লা-আবর্জনার মাধ্যমে কোনো ব্যাধি যেন না ছড়ায় সেদিকে খেয়াল রাখুন। কারণ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা রোগ নিরাময়ে সহযোগী- একটি সুন্নাহসম্মত কাজ।

করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত না হয়ে আমাদের ব্যক্তিগত হাইপিংটা কন্ট্রোল করতে হবে। কারণ সব হাঁচি-কাশিই করোনাভাইরাস নয়। তবে একটু নিয়ম মেনে চলতে হবে। কাশি দেয়ার সময় হাতটা মুখ থেকে দূরে রাখতে হবে। সব সময় কাছে টিস্যু পেপার রাখতে হবে।

যখন হাঁচি-কাশি দেবেন তখন টিস্যু ব্যবহার করবেন এবং তা ফেলে দেবেন। একই টিস্যু দ্বিতীয়বার ব্যবহার করা যাবে না। সাবান দিয়ে পাঁচ থেকে দশ মিনিট ফেনা করে ভালোভাবে হাতটা পরিষ্কার করতে হবে। যেখানে সেখানে থুথু ফেলা থেকেও বিরত থাকতে হবে।

আবাসিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যেহেতু সবাই একসঙ্গে থাকে, মেঝেতে সবাই একসঙ্গে ঘুমায়- এ ক্ষেত্রে কারও জ্বর-কাশি হলে তাকে আলাদা কোনো রুমে রাখা উচিত। একটু সচেতনতার মাধ্যমে অসুস্থদের জন্য আলাদা রুমের ব্যবস্থা করতে হবে। যখনই সন্দেহ হবে কোনো ব্যক্তি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারে, তখনই স্বাস্থ্য বিভাগের দেয়া নির্দেশনা অনুসরণ করতে হবে।

করোনাভাইরাস প্রতিরোধে মসজিদুল হারামের খতিব আবদুর রহমান সুদাইসী গত ৮ মার্চ এশার নামাজের পর কাবা চত্বরে বয়ান করেছেন। তিনি উপস্থিত লোকদের উদ্দেশে বলেন, হে আমার মুসলমান ভাইয়েরা! এতে কোনো সন্দেহ নেই, এ ভাইরাস আল্লাহর হেকমতেই কার্যকর হয় এবং তাঁর কুদরতেই হয়। এটি আল্লাহর পক্ষ থেকে এক পরীক্ষা।

যাতে বান্দা আল্লাহর দিকে প্রত্যাবর্তন করে। তিনি বলেন, কোনোভাবেই আল্লাহর প্রতি আস্থাহীন হওয়া মানুষের উচিত নয়। বরং প্রয়োজন তাঁরই দিকে প্রত্যাবর্তন করা। তাঁর ওপর ভরসা রাখা ও দোয়া করা। যাতে আল্লাহ এ ভাইরাস ও মহামারী থেকে মানবতাকে হেফাজত করেন।

https://www.jugantor.com/todays-paper/features/islam-and-life

10
হজরত আরকাম (রা.):

হজরত আরকাম (রা.)-এর উপনাম আবু আবদুল্লাহ। পিতা আবদে মুনাফ ওরফে আবুল আরকাম ইবনে আসাদ। মা উমাইমা বিনতে হারিস। আরকাম (রা.) প্রবীণ মুসলমান এবং প্রথম সারির মুহাজির। ইসলাম গ্রহণের দিক থেকে তিনি সপ্তম, মতান্তরে একাদশ। (আল-ইসতিআব ১/১৩১; আত তাবকাতুল কুবরা ৩/১৮৩)।

ইসলামের প্রাথমিক যুগে রাসুল (সা.) প্রকাশ্যে দাওয়াতি কাজ করার জন্য আল্লাহর পক্ষ থেকে আদিষ্ট ছিলেন না। তাই তিন বছর পর্যন্ত গোপনীয়তা বজায় রেখে দ্বিনের দাওয়াত দিয়েছেন। যাঁদের প্রতি ভালো ধারণা হতো শুধু তাঁদেরই দাওয়াত দিতেন। একপর্যায়ে রাসুল (সা.) এই ভাগ্যবান সাহাবি আরকাম ইবনে আবুল আরকাম (রা.)-এর বাড়িকে দ্বিনি দাওয়াত ও নওমুসলিমদের কোরআন শিক্ষা ও তালিমের জন্য নির্বাচন করেন। ‘সাফা’ পাহাড়ের কাছেই ছিল তাঁর বাড়িটি। এই বাড়িতে বহুসংখ্যক সাহাবি ইসলাম গ্রহণ করেন। ওমর (রা.)ও এই বাড়িতে ইসলাম গ্রহণ করেন। তখন মুসলমানের সংখ্যা দাঁড়ায় ৪০-এ। এরপর রাসুল (সা.) মহান আল্লাহর নির্দেশে গোপনীয়তা বর্জন করে প্রকাশ্যে দ্বিনের দাওয়াত দেওয়ার জন্য আদিষ্ট হন। অন্যদিকে ওমর (রা.)ও ইসলাম গ্রহণের পর প্রিয় নবীকে গোপনীয়তা বর্জন করে প্রকাশ্যে দাওয়াতি কাজ পরিচালনা করার পরামর্শ দেন। তখন রাসুল (সা.) আরকাম (রা.)-এর বাড়ি থেকে বেরিয়ে সাহাবায়ে কেরামকে সঙ্গে নিয়ে সর্বপ্রথম প্রকাশ্যে বাইতুল্লাহ তাওয়াফ করেন। এর পর থেকে প্রকাশ্যে দ্বিনি দাওয়াতে আত্মনিয়োগ করেন। (আল-ইসতিআব ১/১৩১-১৩২; সিরাতে খাতামুল আম্বিয়া : ৩৮-৩৯)

হিজরত ও যুদ্ধ

হিজরতের সময় হলে আরকাম ইবনে আবুল আরকাম (রা.) মক্কা ছেড়ে চলে যান মদিনায়। রাসুল (সা.) তাঁর ভ্রাতৃত্ব সম্পর্ক করে দেন আবু তালহা জায়েদ ইবনে সাহল (রা.)-এর সঙ্গে। মদিনার জীবনে তিনি রাসুল (সা.)-এর সঙ্গে বদর যুদ্ধ থেকে শুরু করে সব যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন।

ইন্তেকাল

আরকাম ইবনে আবুল আরকাম (রা.) ৫৫ হিজরি সনে মদিনায় ইন্তেকাল করেন। তখন তাঁর বয়স ছিল ৮০ বছরের বেশি। তাঁর অসিয়ত ছিল প্রসিদ্ধ সাহাবি সাআদ ইবনে আবুওয়াক্কাস (রা.) তাঁর জানাজা পড়াবেন। অসিয়ত অনুযায়ী সাআদ (রা.) জানাজা পড়ান। (আল-ইসতিআব ১/১৩২)

11
আক্রান্ত ব্যক্তিদের সংস্পর্শে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে করোনাভাইরাস। তাই ভয়ংকর এ ভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তির সন্ধান পাওয়ার পাশাপাশি তাদের সংস্পর্শে আগে কারা এসেছিল তা জানতে অ্যাপ চালু করেছে সিঙ্গাপুর সরকার।

‘দ্য ট্রেস টুগেদার’ অ্যাপটি ডাউনলোড করলেই ব্লু-টুথের মাধ্যমে দুই মিটার পর্যন্ত দূরে থাকা সব ব্যক্তির মোবাইল ফোনের সঙ্গে সংকেত বিনিময় করে। ফলে কোনো ব্যক্তির শরীরে করোনা সংক্রমণ দেখা দিলেই সাম্প্রতিক সময়ে তাঁর সংস্পর্শে থাকা অন্য ব্যক্তিদের পরিচয় মোবাইল ফোনের মাধ্যমে জানা যাবে। ফলে সংক্রমণের আশঙ্কায় থাকা ব্যক্তিদের ওপর নজরদারি করা সম্ভব হবে।

ডাউনলোডে বাধ্য না করলেও সবাইকে অ্যাপটি ব্যবহারে উৎসাহিত করছে সিঙ্গাপুর সরকার। তাদের দাবি, অ্যাপটির মাধ্যমে সংগ্রহ করা তথ্য মোবাইল ফোনেই এনক্রিপশন আকারে জমা থাকে, যা প্রয়োজন ছাড়া ব্যবহার করা হয় না। ফলে অ্যাপটির মাধ্যমে তথ্য পাচারের সম্ভাবনা নেই।

সূত্র : ইন্টারনেট

12
অতিথিপরায়ণতার আদর্শ ছিলেন প্রিয় নবী মুহাম্মদ (সা.)। অতিথিদের সামনে তিনি ছিলেন সদা হাস্যোজ্জ্বল। যেকোনো মেহমানকেই জানাতেন তিনি সাদর আমন্ত্রণ ও উষ্ণ অভ্যর্থনা। ধর্ম-বর্ণ ও শত্রু-মিত্রের ফারাক তিনি করতেন না। অতিথিদের কাছ থেকে কোনো অসৌজন্যতা প্রকাশ পেলেও ধৈর্য ধরতেন। আদর-আপ্যায়নের যেন কোনো ত্রুটি না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতেন। বিদায়বেলায় মেহমানের হাতে তুলে দিতেন উপহার-উপঢৌকন। তার আন্তরিক আতিথেয়তায় অতিথিরা মুগ্ধ-বিস্মিত হতো। সেই মুগ্ধতা অনেক মেহমানকে ইসলাম গ্রহণে বাধ্য করেছে।
আতিথেয়তার ফজিলত
আতিথেয়তার ফজিলত বর্ণনা করে রাসুল (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি আল্লাহ ও পরকালে বিশ্বাস রাখে সে যেন তার মেহমানের সমাদর করে।’ (মুসলিম, হাদিস : ৭৯)

সালমান ফারসি (রা.) বলেন, ‘একবার আমি রাসুল (সা.)-এর কাছে এলাম। একটি বালিশে হেলান দিয়ে তিনি বসা ছিলেন। আমাকে দেখে তিনি বালিশটি আমার দিকে এগিয়ে দিলেন।’ বললেন, ‘সালমান, যখন কোনো মুসলমান তার ভাইয়ের কাছে আসে তখন তার সম্মানে যদি একটি বালিশও সে এগিয়ে দেয়, আল্লাহ তাকে ক্ষমা করে দেন।’ (হায়াতুস সাহাবা, পৃষ্ঠা : ৪৪৬)

সর্বজনীন আতিথেয়তা
রাসুল (সা.)-এর আতিথেয়তায় শর্তের কোনো বেড়াজাল ছিল না। ধনী-দরিদ্রের তফাত ছিল না। মুসলিম-অমুসলিমের তারতম্য ছিল না। শত্রু-মিত্রের কোনো ফারাক ছিল না। রাসুল (সা.) বলেন, ‘যে অলিমায় শুধু ধনীদের আমন্ত্রণ জানানো হয় এবং গরিবদের বাদ দেওয়া হয়, তা সবচেয়ে নিকৃষ্ট খাবার।’ (বুখারি, হাদিস : ৪৭৯৯)

সাহাবি রুশদ ইবনে আবদুর রহমান বলেন, ‘ইসলাম গ্রহণের আগে আমি রাসুল (সা.)-এর মেহমান হয়েছিলাম। তিনি আমার খোঁজখবর নিলেন। তার কাছে আমাকে বসালেন। যতক্ষণ আমি তার কাছে ছিলাম ততক্ষণ তার আতিথেয়তায় মুগ্ধ হলাম। তার এই অসাধারণ আতিথেয়তায় সন্তুষ্ট হয়ে আমি ইসলাম গ্রহণ করলাম।’ (হায়াতুস সাহাবা, পৃষ্ঠা : ৪৪৭)

শত্রু যখন অতিথি
আরবের মুহারিব গোত্র খুবই উগ্র ছিল। কট্টর ইসলামবিরোধী ছিল। ইসলামের মাধুর্যে মুগ্ধ হয়ে যখন মানুষ দলে দলে মদিনায় আসতে লাগল তখন মুহারিব গোত্রেরও ১০ জন লোক মদিনায় এলো। রাসুল (সা.) তাদের অভ্যর্থনা-আপ্যায়নের জন্য বেলাল (রা.)-কে দায়িত্ব দেন। সকাল-বিকাল তাদের আহারের সুব্যবস্থা করেন। এতে তারা মুগ্ধ-বিস্মিত হলো এবং ইসলাম গ্রহণ করে নিজ দেশে ফিরে গেল। (আসাহহুস সিয়ার, পৃষ্ঠা : ৪৪৪)

অতিথির অসৌজন্যতায় ধৈর্যধারণ
অতিথিদের নানা দুর্ব্যবহারে তিনি সহনশীলতার পরিচয় দিতেন। তাদের অসৌজন্যতা নীরবে সয়ে যেতেন। ক্ষমার চাদরে ঢেকে দিতেন তাদের। একটু কটুবাক্যও তিনি কখনো বলতেন না। অন্যদেরও কঠোরভাবে নিষেধ করতেন। এক গ্রাম্য লোক নবী (সা.)-এর কাছে এলো। হঠাৎ সে মসজিদ-ই-নববীর ভেতরেই প্রস্রাব করতে লাগল। সাহাবায়ে কেরাম তাকে বাধা দিতে গেলে রাসুল (সা.) বললেন, ‘তাকে ছেড়ে দাও এবং তার প্রস্রাবের ওপর এক বালতি পানি ঢেলে দাও। তোমরা কঠোর হওয়ার জন্য নয়, বরং নম্র ব্যবহারের জন্য প্রেরিত হয়েছ।’ (বুখারি, হাদিস : ২২০)

মেহমানের খাতির-যত্ন ও আদর-আপ্যায়ন
অতিথির আদর-আপ্যায়ন ও খাতির-যত্নে রাসুলের কোনো সংকোচবোধ ছিল না। তিনি মেহমানের সঙ্গে একই পাত্রে বসে খেতেন। মেহমান তৃপ্তিসহকারে খেয়ে না ওঠা পর্যন্ত তিনি উঠতেন না। বসে থাকতেন। ভালো খাবারগুলো মেহমানের দিকে এগিয়ে দিতেন। নিজের পরিবারকে অভুক্ত রেখে তিনি মেহমানদের খাওয়াতেন।

আসহাবুস সুফফা ছিলেন রাসুল (সা.)-এর নিত্য মেহমান। তিনি তাদের খাতির-যত্নের কোনো কমতি রাখেননি। অন্য মেহমানদের তিনি আসহাবুস সুফফার সঙ্গে মসজিদ-ই-নববীতে থাকার ব্যবস্থা করতেন। তা ছাড়া দুই নারী সাহাবি রামলা ও উম্মে শরিক (রা.)-এর ঘরেও মেহমানদের থাকার বিশেষ ব্যবস্থা ছিল। (শারহুল মাওয়াহিবিল লাদুন্নিয়্যাহ, খণ্ড : ৪, পৃষ্ঠা : ৮০)

এতেও সংকুলান না হলে তিনি সাহাবাদের মধ্যে মেহমানদের বণ্টন করে দিতেন। তাদের খাতির-যত্নের তাগিদ দিতেন। সাহাবারাও তাদের সমাদর করতেন।

মক্কা বিজয়ের পর মদিনায় অতিথির কোনো অভাব ছিল না। রাসুল (সা.) নিজেই তাদের খেদমত আঞ্জাম দিতেন। আর সাহাবি বিলাল (রা.)-কে রাষ্ট্রীয় মেহমানদের বিশেষ তত্ত্বাবধায়ক হিসেবে নিযুক্ত করেন। (সীরাতুন নবী, খণ্ড : ২, পৃষ্ঠা : ৫০৪)

বিদায়কালে উপহার দেওয়া
বিদায়কালে রাসুল (সা.) মেহমানদের পথখরচ ও উপহার দিতেন। কখনো পর্যাপ্ত উপহার দিতে না পারলে অল্প হলেও দিতেন এবং মেহমানের কাছে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টি কামনা করতেন। কখনো বিশেষ সাহাবিকে বলে দিতেন, যাতে তিনি তাদের পথখরচ দিয়ে দেন। অন্যান্য উপহার তো থাকতই। বিশেষত যখন কেউ তাঁর কাছে উপহার নিয়ে আসত তখন তিনি তা গ্রহণ করতেন এবং তাকে বিদায়কালে নিজের পক্ষ থেকে অবশ্যই উপহার দিতেন। হারিস ইবনে আউফের নেতৃত্বে এক প্রতিনিধিদল রাসুলের মেহমান হলো। বিদায়কালে রাসুল (সা.) তাদের প্রত্যেককে ১০ উকিয়া পরিমাণ রুপা দিলেন। সাহাবি হারিসকে দিলেন ১২ উকিয়া পরিমাণ। (আসাহহুস সিয়ার, পৃষ্ঠা : ৪৪৩)

প্রিয় নবী (সা.)-এর আতিথেয়তা মুসলমানদের অনুপম আদর্শ। আধুনিক যুগেও এসব সুন্নাহই আভিজাত্যের নিদর্শন। এসব সুন্নাহ থেকে মুসলমানরা নিত্য দূরে সরে যাচ্ছে। তাই আসুন, মেহমানের সমাদর করি। তাদের খাতির-যত্ন ও আদর-আপ্যায়নে সুন্নতের অনুসরণ করি। ইসলামের সৌন্দর্য ছড়িয়ে দিই পৃথিবীময়।

https://www.banglanews24.com/islam

13
প্লেগ:
মহামারির কথা এলেই আসে প্লেগের কথা। পৃথিবীতে এই প্লেগ কয়েকবার এসেছে মহামারি আকারে। ইতিহাসে প্রথমবারের মতো প্লেগ প্রসঙ্গটি খুঁজে পাওয়া যায় রোমান সাম্রাজ্যে। জানা যায়, রোমান সম্রাট প্রথম জাস্টিয়ানের প্লেগ হয়েছিল। তবে ব্যাপক চিকিৎসায় তিনি বেঁচে যান। প্রথম জাস্টিয়ানের নামানুসারে এই প্লেগের নামকরণ করা হয় ‘জাস্টিয়ান প্লেগ’। এই মহামারিতে আড়াই থেকে পাঁচ কোটি লোক প্রাণ হারায়। প্লেগের দ্বিতীয় মহামারি হয় ১৩৪৭ সালে। এটা ছিল কুখ্যাত বিউবনিক প্লেগের মহামারি এবং এতে প্রায় এক–তৃতীয়াংশ লোকের প্রাণহানি ঘটে। ইতিহাসে এটি ‘ব্ল্যাক ডেথ’ নামে পরিচিত। প্লেগের তৃতীয় মহামারিটা হয় ঊনবিংশ শতকের মধ্যভাগে। এ সময় প্লেগ আবার মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। ১৮৯৪ সালের জানুয়ারি মাসে শুরু হয়ে জুন পর্যন্ত প্রায় ৮০ হাজার লোকের মৃত্যু হয় চীনের ক্যান্টন শহরে। ১৯০০-১৯০৪ সালের দিকে সান ফ্রান্সিসকোর চায়না টাউনে প্লেগের আক্রমণ হয়েছিল। পরে ১৯০৭-১৯০৯ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের অকল্যান্ড ও ইস্ট বে এলাকায় এটা ছড়িয়ে পড়ে। যুক্তরাষ্ট্রের সর্বশেষ এর প্রাদুর্ভাবটি ঘটেছিল ১৯২৪ সালে, লস অ্যাঞ্জেলেস শহরে। বন্য ইঁদুরের মধ্যে রোগটি এখনো বিদ্যমান থাকায় তাদের সংস্পর্শে এলে মানুষের এই রোগ ছড়াতে পারে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, প্লেগ মহামারি ১৯৫৯ সাল পর্যন্ত সক্রিয় ছিল। তবে এই ১৯৯৪ সালেও ভারতের ৫টি প্রদেশে প্রায় ৭০০ জন (৫২ জন মৃতসহ) প্লেগে আক্রান্ত হয়।

বিভিন্ন মহামারি বারবার কাঁপিয়ে দিয়েছে পৃথিবীর মানচিত্র। এমনই কয়েকটি মহামারির কথা থাকছে এই আয়োজনে।
5.17প্লেগ
মহামারির কথা এলেই আসে প্লেগের কথা। পৃথিবীতে এই প্লেগ কয়েকবার এসেছে মহামারি আকারে। ইতিহাসে প্রথমবারের মতো প্লেগ প্রসঙ্গটি খুঁজে পাওয়া যায় রোমান সাম্রাজ্যে। জানা যায়, রোমান সম্রাট প্রথম জাস্টিয়ানের প্লেগ হয়েছিল। তবে ব্যাপক চিকিৎসায় তিনি বেঁচে যান। প্রথম জাস্টিয়ানের নামানুসারে এই প্লেগের নামকরণ করা হয় ‘জাস্টিয়ান প্লেগ’। এই মহামারিতে আড়াই থেকে পাঁচ কোটি লোক প্রাণ হারায়। প্লেগের দ্বিতীয় মহামারি হয় ১৩৪৭ সালে। এটা ছিল কুখ্যাত বিউবনিক প্লেগের মহামারি এবং এতে প্রায় এক–তৃতীয়াংশ লোকের প্রাণহানি ঘটে। ইতিহাসে এটি ‘ব্ল্যাক ডেথ’ নামে পরিচিত। প্লেগের তৃতীয় মহামারিটা হয় ঊনবিংশ শতকের মধ্যভাগে। এ সময় প্লেগ আবার মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। ১৮৯৪ সালের জানুয়ারি মাসে শুরু হয়ে জুন পর্যন্ত প্রায় ৮০ হাজার লোকের মৃত্যু হয় চীনের ক্যান্টন শহরে। ১৯০০-১৯০৪ সালের দিকে সান ফ্রান্সিসকোর চায়না টাউনে প্লেগের আক্রমণ হয়েছিল। পরে ১৯০৭-১৯০৯ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের অকল্যান্ড ও ইস্ট বে এলাকায় এটা ছড়িয়ে পড়ে। যুক্তরাষ্ট্রের সর্বশেষ এর প্রাদুর্ভাবটি ঘটেছিল ১৯২৪ সালে, লস অ্যাঞ্জেলেস শহরে। বন্য ইঁদুরের মধ্যে রোগটি এখনো বিদ্যমান থাকায় তাদের সংস্পর্শে এলে মানুষের এই রোগ ছড়াতে পারে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, প্লেগ মহামারি ১৯৫৯ সাল পর্যন্ত সক্রিয় ছিল। তবে এই ১৯৯৪ সালেও ভারতের ৫টি প্রদেশে প্রায় ৭০০ জন (৫২ জন মৃতসহ) প্লেগে আক্রান্ত হয়।


কলেরা:
১৮০০ সাল থেকে সারা বিশ্বে মহামারি আকারে কলেরা শুরু হয়। বলার কথা হলো, কলেরা মহামারিটি প্রথম শুরু হয়েছিল আমাদের বাংলা অঞ্চলে। এ অঞ্চলে এ রোগকে ‘ওলা ওঠা’ নামে ডাকা হতো। কলেরায় এখন পর্যন্ত কয়েক লাখ মানুষ আক্রান্ত হয়েছে। এখনো প্রতিবছর কয়েক হাজার মানুষ এই রোগে প্রাণ হারায়। চীন, রাশিয়া ও ভারতে কলেরায় আক্রান্ত হয়ে ৪ কোটি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। ২০১৭ সালে ইয়েমেনে এক সপ্তাহে কলেরায় অন্তত ১১৫ জনের মৃত্যু হয়।
গুটিবসন্ত:
ষোড়শ শতাব্দীর প্রথম থেকে এ রোগের প্রাদুর্ভাব শুরু। বিংশ শতাব্দীতে গুটিবসন্তে প্রায় ৫০ কোটি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। আগে গুটিবসন্তে মৃত্যুহার ছিল ৩০ শতাংশ, যদিও এর অধিকাংশ উপাদান ছিল প্রাণঘাতী। তবে এ রোগ আয়ত্তে আসায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ১৯৭৯ সালে গুটিবসন্ত নির্মূলের ঘোষণা দেয়। তবে গুটিবসন্ত নির্মূল হলেও আমাদের লেখকদের কলমে এই মহামারির সময়গুলো ধরা আছে।
যক্ষ্মা:
গবেষণা বলছে, গত দুই শতাব্দীতে ১০০ কোটি মানুষ যক্ষ্মায় আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারিয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ধারণা, ২০২০ সালের মধ্যে ৬ থেকে ৯ লাখ মানুষ যক্ষ্মায় আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারাবে।
ইনফ্লুয়েঞ্জা
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ধারণামতে, ১৯১৮ সাল থেকে এ পর্যন্ত বিশ্বের প্রায় ৫ কোটি মানুষ ইনফ্লুয়েঞ্জায় আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারিয়েছে। তবে বিশেষজ্ঞদের ধারণা, এর পরিমাণ ১০ কোটির বেশি হতে পারে।
ইবোলা
ইবোলা ভাইরাস প্রথম বিজ্ঞানীদের নজরে আসে ১৯৭৬ সালে, যখন আফ্রিকার বর্তমান দক্ষিণ সুদান এবং গণপ্রজাতন্ত্রী কঙ্গোর (তৎকালীন জায়ারে) ইয়ামবুকু গ্রামের মানুষ এতে আক্রান্ত হয়। শেষোক্ত গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে চলা ইবোলা নদীর নাম থেকে এর নামকরণ করা হয়। ১৯৭৬ সালে ইবোলা ভাইরাসের সেই আঘাতে (বর্তমানের) দক্ষিণ সুদানে রোগাক্রান্ত মানুষের অর্ধেকের বেশিই মারা গিয়েছিল। ইয়ামবুকু গ্রামে মৃত্যুর হার ছিল আরও ভয়াবহ। সেখানে আক্রান্ত ১০০ জনের ভেতর ৮৮ জনই মৃত্যুর কাছে হার মেনেছিল।

 সূত্র: উইকিপিডিয়া

14
 

মৌসুম বদলের এ সময়টায় দেশে সাধারণ ফ্লু বা ইনফ্লুয়েঞ্জার প্রকোপ দেখা দেওয়ার আশঙ্কা থাকে। এর সঙ্গে এ বছর যোগ হয়েছে করোনাভাইরাসের সংক্রমণে হওয়া কোভিড-১৯ রোগ। কাজেই সাধারণ সর্দি-কাশি বা ফ্লুতেও উৎকণ্ঠা রয়েছে অনেকের। সত্যি বলতে কি, করোনার সংক্রমণের সঙ্গে সাধারণ ফ্লু বা ইনফ্লুয়েঞ্জার অনেক মিল আছে। আবার অমিলও আছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা গত মঙ্গলবার করোনা ও সাধারণ ফ্লুর মিল-অমিল নিয়ে তথ্য প্রকাশ করেছে।

মিল কোথায়:  করোনা ও ইনফ্লুয়েঞ্জা—দুটোই শ্বাসতন্ত্রের রোগ। দুটোর সংক্রমণ ছড়ায়ও একইভাবে—ড্রপলেট (মুখ বা নাকনিঃসৃত তরল কণা), বিভিন্ন বস্তু আর সংস্পর্শের মাধ্যমে। তাই দুটোকেই প্রতিরোধ করার উপায়ও এক। হাঁচি-কাশির শিষ্টাচার মেনে চলা, বারবার হাত ধোয়া এবং সংক্রমিত ব্যক্তির সংস্পর্শ এড়িয়ে চলার মাধ্যমেই কেবল রোগ প্রতিরোধ সম্ভব। দুটো সংক্রমণের উপসর্গেও মিল আছে—সাধারণ মৃদু সর্দি-কাশি-জ্বর থেকে শুরু করে তীব্র সংক্রমণ, নিউমোনিয়া বা শ্বাসতন্ত্রের প্রদাহ হয়ে রেসপিরেটরি ফেইলিউর, একাধিক অঙ্গ বিকল বা মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।
 

মৌসুম বদলের এ সময়টায় দেশে সাধারণ ফ্লু বা ইনফ্লুয়েঞ্জার প্রকোপ দেখা দেওয়ার আশঙ্কা থাকে। এর সঙ্গে এ বছর যোগ হয়েছে করোনাভাইরাসের সংক্রমণে হওয়া কোভিড-১৯ রোগ। কাজেই সাধারণ সর্দি-কাশি বা ফ্লুতেও উৎকণ্ঠা রয়েছে অনেকের। সত্যি বলতে কি, করোনার সংক্রমণের সঙ্গে সাধারণ ফ্লু বা ইনফ্লুয়েঞ্জার অনেক মিল আছে। আবার অমিলও আছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা গত মঙ্গলবার করোনা ও সাধারণ ফ্লুর মিল-অমিল নিয়ে তথ্য প্রকাশ করেছে।

মিল কোথায়:
করোনা ও ইনফ্লুয়েঞ্জা—দুটোই শ্বাসতন্ত্রের রোগ। দুটোর সংক্রমণ ছড়ায়ও একইভাবে—ড্রপলেট (মুখ বা নাকনিঃসৃত তরল কণা), বিভিন্ন বস্তু আর সংস্পর্শের মাধ্যমে। তাই দুটোকেই প্রতিরোধ করার উপায়ও এক। হাঁচি-কাশির শিষ্টাচার মেনে চলা, বারবার হাত ধোয়া এবং সংক্রমিত ব্যক্তির সংস্পর্শ এড়িয়ে চলার মাধ্যমেই কেবল রোগ প্রতিরোধ সম্ভব। দুটো সংক্রমণের উপসর্গেও মিল আছে—সাধারণ মৃদু সর্দি-কাশি-জ্বর থেকে শুরু করে তীব্র সংক্রমণ, নিউমোনিয়া বা শ্বাসতন্ত্রের প্রদাহ হয়ে রেসপিরেটরি ফেইলিউর, একাধিক অঙ্গ বিকল বা মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।

অমিল:
ইনফ্লুয়েঞ্জার ইনকিউবেশন পিরিয়ড (ভাইরাসের সংস্পর্শে আসা থেকে রোগ উপসর্গ প্রকাশ হওয়ার) এবং মিডিয়ান সিরিয়াল ইন্টারভেল (এক ব্যক্তি থেকে আরেক ব্যক্তিতে ছড়ানোর সময়) কোভিড-১৯-এর চেয়ে কম। কোভিড-১৯-এর সিরিয়াল ইন্টারভেল পাঁচ-ছয় দিন, ইনফ্লুয়েঞ্জার তিন দিন। এর অর্থ, কোভিড-১৯-এর চেয়েও দ্রুত ছড়ায় ইনফ্লুয়েঞ্জা। তবে করোনাভাইরাস অপেক্ষাকৃত অনেক বেশি মানুষের মধ্যে সংক্রমণ ঘটাতে পারে।
 

মৌসুম বদলের এ সময়টায় দেশে সাধারণ ফ্লু বা ইনফ্লুয়েঞ্জার প্রকোপ দেখা দেওয়ার আশঙ্কা থাকে। এর সঙ্গে এ বছর যোগ হয়েছে করোনাভাইরাসের সংক্রমণে হওয়া কোভিড-১৯ রোগ। কাজেই সাধারণ সর্দি-কাশি বা ফ্লুতেও উৎকণ্ঠা রয়েছে অনেকের। সত্যি বলতে কি, করোনার সংক্রমণের সঙ্গে সাধারণ ফ্লু বা ইনফ্লুয়েঞ্জার অনেক মিল আছে। আবার অমিলও আছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা গত মঙ্গলবার করোনা ও সাধারণ ফ্লুর মিল-অমিল নিয়ে তথ্য প্রকাশ করেছে।

মিল কোথায়


করোনা ও ইনফ্লুয়েঞ্জা—দুটোই শ্বাসতন্ত্রের রোগ। দুটোর সংক্রমণ ছড়ায়ও একইভাবে—ড্রপলেট (মুখ বা নাকনিঃসৃত তরল কণা), বিভিন্ন বস্তু আর সংস্পর্শের মাধ্যমে। তাই দুটোকেই প্রতিরোধ করার উপায়ও এক। হাঁচি-কাশির শিষ্টাচার মেনে চলা, বারবার হাত ধোয়া এবং সংক্রমিত ব্যক্তির সংস্পর্শ এড়িয়ে চলার মাধ্যমেই কেবল রোগ প্রতিরোধ সম্ভব। দুটো সংক্রমণের উপসর্গেও মিল আছে—সাধারণ মৃদু সর্দি-কাশি-জ্বর থেকে শুরু করে তীব্র সংক্রমণ, নিউমোনিয়া বা শ্বাসতন্ত্রের প্রদাহ হয়ে রেসপিরেটরি ফেইলিউর, একাধিক অঙ্গ বিকল বা মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।

অমিল

ইনফ্লুয়েঞ্জার ইনকিউবেশন পিরিয়ড (ভাইরাসের সংস্পর্শে আসা থেকে রোগ উপসর্গ প্রকাশ হওয়ার) এবং মিডিয়ান সিরিয়াল ইন্টারভেল (এক ব্যক্তি থেকে আরেক ব্যক্তিতে ছড়ানোর সময়) কোভিড-১৯-এর চেয়ে কম। কোভিড-১৯-এর সিরিয়াল ইন্টারভেল পাঁচ-ছয় দিন, ইনফ্লুয়েঞ্জার তিন দিন। এর অর্থ, কোভিড-১৯-এর চেয়েও দ্রুত ছড়ায় ইনফ্লুয়েঞ্জা। তবে করোনাভাইরাস অপেক্ষাকৃত অনেক বেশি মানুষের মধ্যে সংক্রমণ ঘটাতে পারে।


ইনফ্লুয়েঞ্জার মূল শিকার শিশুরা। তবে প্রাথমিক তথ্য-উপাত্ত অনুযায়ী, বয়স্ক ও ঝুঁকিতে থাকা ব্যক্তিদের তুলনায় শূন্য থেকে ৯ বছর বয়সী শিশুদের মধ্যে করোনার সংক্রমণ প্রায় হয় না বললেই চলে। রোগের তীব্রতায়ও বড় ধরনের পার্থক্য আছে। কোভিড-১৯ সংক্রমণের ৮০ শতাংশ ক্ষেত্রে মৃদু উপসর্গ দেখা দেয়, যা এমনিতেই সেরে যায়। ১৫ শতাংশ ক্ষেত্রে উপসর্গ তীব্র মাত্রার। এমন ক্ষেত্রে রোগীকে অক্সিজেন দেওয়া লাগে। মাত্র ৫ শতাংশ ক্ষেত্রে মারাত্মক জটিলতা দেখা দেয়। এ ক্ষেত্রে রোগীর ভেন্টিলেটর দরকার হয়। তবে করোনাভাইরাসের সংক্রমণের বৈশ্বিক মহামারি শেষ না হওয়া পর্যন্ত এই হার নিশ্চিত করে বলা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।

ইনফ্লুয়েঞ্জায় শুধু শিশুরাই নয়, অন্তঃসত্ত্বা নারী, বয়স্ক ও রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কম, এমন ব্যক্তিরা ঝুঁকিতে থাকে। কোভিড-১৯-এ এখন পর্যন্ত সবচেয়ে ঝুঁকিতে দেখা গেছে ৬০ বছরের বেশি বয়সীদের। এ ছাড়া ডায়াবেটিস, হৃদ্‌রোগ, কিডনি জটিলতাসহ অন্যান্য দীর্ঘমেয়াদি সমস্যায় আক্রান্ত এবং যাদের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কম, তারাও ঝুঁকিতে রয়েছে। কোভিড-১৯-এ মৃত্যুহার এ পর্যন্ত ৩-৪ শতাংশ। ইনফ্লুয়েঞ্জায় মৃত্যুহার শূন্য দশমিক ১ শতাংশ। করোনার কার্যকর ওষুধ বা প্রতিষেধক এখন পর্যন্ত উদ্ভাবিত হয়নি। তবে ইনফ্লুয়েঞ্জার কার্যকর টিকা আছে।

https://www.prothomalo.com/life-style/article

15
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও যুক্তরাষ্ট্রের রোগ নিয়ন্ত্রণ সংস্থা সিডিসি করোনা বিষয়ে কী করবেন, কী করবেন না, তা তুলে ধরেছে।

১. একটু পরপর পানি, লবণ বা ভিনেগার মিশ্রিত পানি বা গরম পানি পান করলে কিংবা গলা ভেজালে অথবা রসুন মুখে রাখলে করোনা গলা থেকে ফুসফুসে যায় না। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ ধরনের একটি তথ্য ঘুরছে। এই তথ্যের কোনো বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই।


করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে। এই সুযোগে অনেক ভুল তথ্যও ছড়াচ্ছে। মনে রাখতে হবে, করোনা প্রতিরোধে সচেতনতাই সবচেয়ে জরুরি। করোনা নিয়ে ছড়ানো ভুল তথ্যগুলোর ক্ষেত্রেও এই কথা প্রযোজ্য। ভাইরাসটি নতুন। এ নিয়ে এখন গবেষণা চলছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও যুক্তরাষ্ট্রের রোগ নিয়ন্ত্রণ সংস্থা সিডিসি করোনা বিষয়ে কী করবেন, কী করবেন না, তা তুলে ধরেছে।

১. একটু পরপর পানি, লবণ বা ভিনেগার মিশ্রিত পানি বা গরম পানি পান করলে কিংবা গলা ভেজালে অথবা রসুন মুখে রাখলে করোনা গলা থেকে ফুসফুসে যায় না। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ ধরনের একটি তথ্য ঘুরছে। এই তথ্যের কোনো বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই।


২. গরমে করোনার সংক্রমণ হবে না, এই ধারণাও ভুল। আবহাওয়া ও পরিবেশের তাপমাত্রার সঙ্গে সংক্রমণের কোনো সম্পর্ক নেই। করোনা যেকোনো তাপমাত্রায় সংক্রমণ ঘটাতে পারে।

৩. থার্মাল স্ক্যানার কেবল শরীরের তাপমাত্রা নির্ণয় করে। এর মাধ্যমে করোনার সংক্রমণ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায় না। কাজেই থার্মাল স্ক্যানারে ধরা না পড়লে করোনা হয়নি, এমন মনে করা ঠিক নয়। সাধারণত উপসর্গ দেখা দিতে ২ থেকে ১০ দিন সময় লাগে। তাই ঝুঁকিপূর্ণ ব্যক্তিদের অন্তত ১৪ দিন কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে।

৪. করোনার প্রতিষেধক: মানুষের ব্যবহারের জন্য স্বীকৃত ভ্যাকসিন বা প্রতিষেধক তৈরি হতে বেশ সময় লাগে। ২০০৩ সালে ছড়ানো সার্সের প্রতিষেধক তৈরি করতে ২০ মাস এবং আফ্রিকার দেশগুলোয় ছড়ানো ইবোলার প্রতিষেধক তৈরি করতে ৭ বছরের বেশি সময় লেগেছে। করোনার প্রতিষেধক তৈরির জোর চেষ্টা চলছে। তবে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত প্রতিষেধক তৈরি হতে কিছুটা সময় লাগবে অবশ্যই।

৫. ফেস মাস্কে করোনা প্রতিরোধ করা যায়, এটিও একটি ভুল ধারণা। সাধারণ সার্জিক্যাল মাস্ক পরার পর মুখ ও মাস্কের মধ্যে বেশ খানিকটা ফাঁকা থাকে, যা ড্রপলেট (মুখ নিঃসৃত ক্ষুদ্র তরল কণা) প্রবেশের জন্য যথেষ্ট। এন-৯৫ মাস্ক বাতাসের ৯৫ শতাংশ শূন্য দশমিক ৩ মাইক্রন বা তার চেয়ে বড় কণা আটকাতে পারে। তার মানে এই নয় যে এটি পরলে করোনা প্রতিরোধ করা যাবে। কোভিড-১৯ রোগী এবং রোগীর পরিচর্যাকারী, সেবাদানকারী, হাসপাতালের চিকিৎসক-নার্সদের মাস্ক পরা জরুরি।

বারবার হাত ধোয়া ও হাত নাকে-মুখে-চোখে না লাগানোই সবচেয়ে ভালো প্রতিরোধ। হাত ধোয়ার ক্ষেত্রে সাবান-পানি সবচেয়ে কার্যকর। করোনাভাইরাসের বাইরের আবরণটি চর্বির। কাজেই ক্ষারযুক্ত যেকোনো সাধারণ সাবান এ ক্ষেত্রে কার্যকর। কারণ, ক্ষারে চর্বির আবরণটি ভেঙে যায়, হাত ভাইরাসমুক্ত হয়। সাবান-পানি না থাকলে অ্যান্টিসেপটিক হ্যান্ডওয়াশ বা অ্যালকোহলযুক্ত স্যানিটাইজার দিয়ে হাত পরিষ্কার করতে পারেন।

করোনা ছড়ায় যেভাবে: সংক্রমিত ব্যক্তির শ্বাসপ্রশ্বাস, হাঁচি-কাশি কিংবা কথা বলার সময় মুখ থেকে নিঃসৃত তরল কণা বা ড্রপলেটের মাধ্যমে বেরিয়ে এসে যেকোনো বস্তু বা তলে লেগে যায় করোনাভাইরাস। সে জায়গা স্পর্শ করলে হাত থেকে ভাইরাসটি নাক-চোখ-মুখ দিয়ে সুস্থ ব্যক্তিও আক্রান্ত হতে পারে। তাই পারস্পরিক দূরত্ব বজায় রাখা জরুরি। অন্তত তিন ফুট দূরে থাকতে হবে।

সহযোগী অধ্যাপক, এন্ডোক্রাইনোলজি অ্যান্ড মেটাবলিজম, গ্রিন লাইফ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল

Pages: [1] 2 3 ... 6