Show Posts

This section allows you to view all posts made by this member. Note that you can only see posts made in areas you currently have access to.


Topics - tasnim.eee

Pages: 1 [2]
17
Career Opportunity / job opening
« on: June 19, 2019, 06:56:59 PM »
Job title: Front Desk Executive
Company name: American & Efird Bangladesh
Job location: Dhaka
Salary: Negotiable
Number of Vacancies: 01
Only females are allowed to apply
Interested candidates are requested to email their resume to
career@amefird.com.bd by 25 June,2019 (Tuesday)
Please mention the name of the position,you're applying for in email subject

19
মৌলিক গবেষণা বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম কাজ হলেও পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো এ খাতে ক্রমেই পিছিয়ে যাচ্ছে। এমনকি এক-চতুর্থাংশ বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো গবেষণাই হচ্ছে না। যেটুকু হচ্ছে তা মানসম্মত না হওয়ায় এর ৯০ ভাগের বেশি ছাপার সুযোগ পাচ্ছে না আন্তর্জাতিক জার্নালে। এ জন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বরাবরই বরাদ্দ কম থাকার অভিযোগ করলেও যেটুকু বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে সেটাও খরচ করতে পারছে না অনেক বিশ্ববিদ্যালয়। মৌলিক গবেষণা ও আন্তর্জাতিক জার্নালে প্রকাশনা কমে যাওয়ায় প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে দেশের উচ্চশিক্ষা। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, গবেষণা প্রকল্প প্রদানে স্বজনপ্রীতি, ভালো ল্যাব না থাকা, গবেষণায় বরাদ্দে অপ্রতুলতা, ভালো গবেষণার স্বীকৃতি না পাওয়া, পদোন্নতিতে গবেষণার চেয়ে রাজনৈতিক মতাদর্শকে প্রাধান্য দেওয়ায় মেধাবী শিক্ষকরা গবেষণাবিমুখ হচ্ছে। ফলে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো এখন শুধু ডিগ্রি প্রদান প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থা আরও করুণ। অর্ধেকের বেশি বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো গবেষণাই হচ্ছে না। বাকিগুলো নামমাত্র বরাদ্দ রেখে দায় সারছে। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) তথ্যমতে, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর জন্য অনুন্নয়ন বরাদ্দ দেওয়া হয় ৪ হাজার ১৫১ কোটি টাকা। ৩৭টি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা বাবদ বরাদ্দ রাখা হয় ৬১ কোটি ৫৫ লাখ টাকা (১.৪৮%)। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ৪৫ বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুন্নয়ন বাজেট অনুমোদন করা হয় ৪ হাজার ৮৩৪ কোটি ৬৩ লাখ টাকা। ৩৪টি বিশ্ববিদ্যালয়কে ৬২ কোটি ৩৬ লাখ টাকা গবেষণা বরাদ্দ দেওয়া হয় যা অনুন্নয়ন বাজেটের ১.২৯ শতাংশ। ২০১৯-২০ অর্থবছরে ৪৫ বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য বাজেট অনুমোদন করা হয় ৮ হাজার ৮৮ কোটি ৪৯ লাখ টাকা। এর মধ্যে অনুন্নয়ন বাজেট ৫ হাজার ৮৯ কোটি ৪৬ লাখ টাকা। ৩৭টি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য গবেষণা বরাদ্দ দেওয়া হয় ৬৪ কোটি ৪০ লাখ টাকা যা অনুন্নয়ন বাজেটের ১.২৬ শতাংশ। প্রতি বছরই কমেছে গবেষণায় বরাদ্দের হার। এই বরাদ্দও খরচ করতে পারছে না অনেক বিশ্ববিদ্যালয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৭-১৮ অর্থবছরের বাজেটে গবেষণা খাতে বরাদ্দ দেওয়া হয় ১৪ কোটি টাকা। বছর শেষে দেখা যায়, খাতটিতে ব্যয় হয়েছে ৮ কোটি ৪২ টাকা। বরাদ্দের ৪০ শতাংশই ব্যয় করতে পারেনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। পরের বছর থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা বরাদ্দ কমিয়ে ৯ কোটি করা হয়। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য গবেষণা বরাদ্দ ছিল এক কোটি টাকা। টাকাটা অব্যয়িত থেকে যায়। প্রতিটা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের চিত্রই এক। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সাবেক চেয়ারম্যান ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক এ কে আজাদ চৌধুরী বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, গবেষণা করতে না পারলে স্কুল আর বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে কোনো পার্থক্য থাকে না। বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজ তিনটি। গবেষণার মাধ্যমে নতুন জ্ঞান উৎপাদন, বিভিন্ন প্রকাশনার মাধ্যমে সেই জ্ঞান সংরক্ষণ ও পাঠদানের মাধ্যমে জ্ঞান বিতরণ। বাংলাদেশে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে শুধু পুরনো জ্ঞান বিতরণ হচ্ছে, নতুন জ্ঞানের আবিষ্কার হচ্ছে না। সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর জন্য যে বরাদ্দ দেওয়া হয় তার বেশিরভাগই খরচ হয় বেতন-ভাতা ও অবকাঠামো নির্মাণে। গবেষণায় বরাদ্দ নামমাত্র। পর্যাপ্ত সরঞ্জামসহ গবেষণা ল্যাব নেই। ভালো গবেষণার জন্য পুরস্কৃত করার ব্যবস্থা নেই। পদোন্নতি বা নিয়োগের ক্ষেত্রে গবেষণা মূল্যায়ন করা হয় না। রাজনৈতিক বিবেচনায় অনেকে পদোন্নতি পাচ্ছেন। এ কারণে মেধাবীদের কেউ কেউ অর্থের জন্য বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পার্টটাইম শিক্ষকতায় যুক্ত হচ্ছেন, কেউ পদোন্নতি ও সুযোগ-সুবিধার জন্য রাজনীতিতে সময় দিচ্ছেন। ফলে মেধাবী গবেষক পাওয়া যাচ্ছে না। তিনি বলেন, কম বরাদ্দের মধ্যেও কিছু বিশ্ববিদ্যালয় সম্পূর্ণ অর্থ খরচ করতে পারছে না। এটা দুঃখজনক। বিশ্ববিদ্যালয়ের নামের ওপর বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে। কেউ পাচ্ছে, কেউ পাচ্ছে না। আবার যারা গবেষণা করছেন, সঠিক মান বজায় না রাখায় আন্তর্জাতিক জার্নালে প্রকাশ করতে পারছেন না। যেহেতু কোনোরকমে গবেষণা একটা করে অনলাইনে বা ফ্যাকাল্টি জার্নালে প্রকাশ হলেই পদোন্নতি হচ্ছে, তাই মৌলিক গবেষণা ও আন্তর্জাতিক জার্নালে তা প্রকাশের চেষ্টাও করা হচ্ছে না। এসব কারণে গবেষণার সংস্কৃতিই গড়ে উঠছে না।

ইউজিসির ২০১৬ সালের বার্ষিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশে সরকারি ও বেসরকারি ১৩১টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ৪১টি বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণার জন্য কোনো বরাদ্দ রাখা হয়নি। এর মধ্যে সরকারি ১০টি আর বেসরকারি ৩১টি। ২০১৭ সালের (সর্বশেষ) বার্ষিক প্রতিবেদনে দেখা গেছে, ওই বছর সরকারি- বেসরকারি ১৩৮টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে শিক্ষা কার্যক্রম ছিল ১২৭টিতে। এর মধ্যে ৩৭টি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮টিতে এবং ৯০টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৭টিতে কোনো গবেষণা প্রকল্পই ছিল না। পিএইচডি ও এমফিল ফেলোশিপ গ্রহণেও দেখা গেছে অনাগ্রহ। ইউজিসির ১০০টি পিএইচডি ফেলোশিপ থাকলেও ২০১৭ সালে মাত্র ৫৮ জন শিক্ষক তা গ্রহণ করেন। এর মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক ২৫ জন ও কলেজ শিক্ষক ৩৩ জন। সমাপ্ত করেন ৩৪ জন। ৫০টি এমফিল ফেলোশিপ থাকলেও গ্রহণ করেন ৬ জন। সবাই কলেজ শিক্ষক। সমাপ্ত করেন ৫ জন।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের তথ্যানুযায়ী, ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষে এমফিলে ১১৬ ও পিএইচডি প্রোগ্রামে ৫১ জন গবেষক ভর্তি হন। ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষে এমফিলে ভর্তিকৃত গবেষকের সংখ্যা কমে দাঁড়ায় ৪৯ ও পিএইচডিতে ২২। এক বছরের ব্যবধানে বিশ্ববিদ্যালয়টিতে গবেষণায় অংশগ্রহণের হার কমেছে ৫৮ শতাংশ।
এ ব্যাপারে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ও যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির সদ্য-সাবেক ভিজিটিং রিসার্চ ফেলো ড. রাহমান নাসির উদ্দিন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় যে একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠানও সেটা আমরা শিক্ষা-দর্শনে কখনোই বিবেচনায় নেই না। বিশ্বের খ্যাতনামা বিশ্ববিদ্যালয়গুলো গবেষণাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে, সেখানে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে গবেষণা খাতে সরকারি বরাদ্দ খুবই অপ্রতুল। বেসরকারিভাবে গবেষণার কোনো প্রাতিষ্ঠানিক প্রণোদনা নেই। অথচ, বিশ্বের অনেক দেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা বাজেটের বড় অংশ আসে বেসরকারি খাত থেকে। ফলে, বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে মৌলিক গবেষণা তেমন একটা হচ্ছে না। বাংলাদেশের প্রধান পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো গবেষণায় কিছু বরাদ্দ রাখে যা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই সামান্য। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক শিক্ষক তাই গবেষণার চেয়ে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়িয়ে অধিক অর্থ উপার্জনে আগ্রহী। আবার গবেষণা বরাদ্দ অনেক ক্ষেত্রে গবেষণা প্রকল্পের গুণগত মানের চেয়ে রাজনৈতিক পরিচয় এবং ব্যক্তিগত সম্পর্কের ভিত্তিতে দেওয়া হয়। ফলে, অনেক মেধাবী শিক্ষক হয়তো গবেষণা করতে চেয়েও প্রকল্প পাচ্ছেন না। এভাবে সরকারি বরাদ্দের অপ্রতুলতা, বেসরকারি পৃষ্ঠপোষকতার অভাব, বরাদ্দ অর্থের যথাযথ বণ্টন-মনিটরিং-মূল্যায়নের অভাব এবং সর্বোপরি শিক্ষকদেরও গবেষণায় ক্রমবর্ধমান অনাগ্রহের কারণে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে যতটা এবং যে মানের গবেষণা হওয়া উচিত সেটা হচ্ছে না। ফলে, উচ্চশিক্ষার মানও ক্রমান্বয়ে নিম্নমুখী। কিন্তু, জ্ঞান উৎপাদন না করে জ্ঞান বিতরণের চিন্তা বাস্তবসম্মত নয়।

 Source: https://www.bd-pratidin.com/first-page/2019/06/19/432688?fbclid=IwAR3vxanSR_4rEzGzuzjRDYQFoZAn16056Iczljt3fqFQQOZlrjKUXNsvi4Q

20
১৯৯২ সালে বাংলাদেশে প্রথম অটোমেটেড টেলার মেশিন যা সংক্ষেপে এটিএম মেশিন নামে পরিচিত তা চালু করা হয়েছিল। এরপর দুই হাজার সালের পর দ্রুত সেই সংখ্যা বাড়তে থাকে। এই মুহূর্তে সারা দেশে দশ হাজারের বেশি এটিএম বুথ রয়েছে, যার অর্ধেকের বেশি বুথ ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের। বাংলাদেশে ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ডের ব্যবহার প্রতিবছর বাড়ছে। সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে জালিয়াতির পরিমাণও।এটিএম বুথ বা কার্ড হ্যাক হলে যেভাবে বুঝবেন

প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ তানভীর জোহা জানিয়েছেন, বেশ কয়েকটি উপায়ে একটি এটিএম বুথ হ্যাক হতে পারে।

‘জ্যাকপট’ ম্যালওয়্যার দিয়ে চুরি

তানভীর জোহা জানিয়েছেন, যে পদ্ধতিতে এটিএম বুথে সর্বশেষ হ্যাকিং-এর ঘটনা ঘটেছে, সেটা একেবারেই নতুন একটি ব্যবস্থা।এ পদ্ধতিতে যে কার্ড দিয়ে জালিয়াতরা টাকা তুলে নেয়, সেটার মধ্যে জ্যাকপট নামে একটি বিশেষায়িত ম্যালওয়্যার স্থাপন করে একটি নির্দিষ্ট এটিএম বুথকে তার ব্যাংকের নেটওয়ার্ক থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলা যায়। এরপর ঐ মেশিন থেকে অগণিত পরিমাণ অর্থ তুলে নেওয়া সম্ভব।

কার্ড স্কিমিং

বাংলাদেশে গত কয়েক বছর ধরে ক্যাশ মেশিনের সঙ্গে স্কিমিং যন্ত্র বসিয়ে কার্ড জালিয়াতি, পিন ও পাসওয়ার্ড জালিয়াতির অভিযোগ শোনা গেছে। এ ব্যবস্থায় এটিএম মেশিনের সঙ্গে ছোট্ট একটি যন্ত্র জুড়ে দেওয়া থাকে, যার মাধ্যমে ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ডের সব তথ্য কপি হয়ে যায়, পরে যা ব্যবহার করে নির্দিষ্ট কোনো অ্যাকাউন্টের অর্থ হাতিয়ে নেওয়া যায়। এ ধরনের কয়েকটি ঘটনা পরপর ঘটার পর ২০১৬ সালে গ্রাহকের কার্ডের সুরক্ষা দিতে প্রতিটি এটিএম বুথে এন্টি স্কিমিং ও পিন শিল্ড ডিভাইস বসানো বাধ্যতামূলক করে বাংলাদেশ ব্যাংক। প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ মি. জোহা বলছেন, ঐ ঘটনার পর সব ব্যাংক সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিলেও জালিয়াত চক্রও বসে নেই।

কার্ড ক্লোনিং

এ ব্যবস্থায় কোনো ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ডের যাবতীয় তথ্য কপি করে নেবার পর নতুন একটি কার্ডে মোবাইল ফোনের সিমের মতো একটি চিপ স্থাপন করে ক্লোনিং করা সম্ভব। মানে হুবহু আরেকটি কার্ড তৈরি করা যাবে এবং এ ব্যবস্থাতেও নির্দিষ্ট একটি অ্যাকাউন্টের পুরো নিয়ন্ত্রণ চলে যায় আরেকজনের কাছে।

শপিং মলের মেশিনে কার্ড রিডার থাকতে পারে

প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ মি. জোহা বলছেন, অনেক সময় শপিং মলের মেশিনে ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে বিল দেন অনেকে। কিন্তু সেখানে থাকতে পারে কার্ডে তথ্য হাতিয়ে নেওয়ার শঙ্কা। যে মেশিনে কার্ড সুইপ করে আমরা বিল দিই, সেখানে থাকতে পারে কার্ড রিডার যার মাধ্যমে ঐ কার্ডের তথ্য কপি হয়ে যাবে, যার মাধ্যমে একটি ক্লোন কার্ড বানানো সম্ভব। এমনকি সেটা দিয়ে ‘অনলাইনে আনলিমিটেড’ কেনাকাটা করা সম্ভব। কার্ড রিডার নানা আকারের হতে পারে, অত্যাধুনিক কার্ড হতে পারে এমনকি পাতলা পলিথিনের মতো একটি পরত দেওয়া। মানে বিল দেওয়ার যে মেশিন, তাতে একটা পলিথিনের মতো পাতলা স্তরও হাতিয়ে নিতে পারে আপনার কার্ডের সব তথ্য। এজন্য গ্রাহককে খেয়াল রাখতে হবে বিল দেওয়ার যে মেশিন যেন স্বাভাবিক থাকে, কোনো আলগা কিছু না থাকে।

প্রতিকার

জ্যাকপট ম্যালওয়্যার দিয়ে যখন চুরি হয়, তখন যেহেতু কোনো গ্রাহকের অ্যাকাউন্ট নম্বর ব্যবহার করতে হয় না, ফলে তিনি ব্যক্তিগতভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হন না। যে কারণে এখানে একজন ব্যক্তির চেয়ে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের সচেতন হবার প্রয়োজন বেশি। তবে ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ডের সাধারণ নিরাপত্তার জন্য তানভীর জোহা বলছেন, ‘এখনো বাংলাদেশে এটিএম মেশিন থেকে টাকা উত্তোলনের ক্ষেত্রে ‘এক স্তর’ নিরাপত্তা অর্থাত্ কেবল পাসওয়ার্ড দিয়ে টাকা তোলা যায়। এর বদলে যদি ‘টু ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন’ মানে পাসওয়ার্ড দেবার পর মোবাইল বা অন্য কোনো যন্ত্রে ব্যাংক থেকে পাঠানো আরেকটি কোড সরবরাহ করা হয় এবং সেটি ব্যবহার করে গ্রাহক টাকা তুলতে পারবেন, এমন ব্যবস্থা চালু করা যায়, তাহলে নিরাপত্তা জোরদার হবে। এছাড়া পাসওয়ার্ড গোপন রাখতে হবে। কখনোই অন্যের সঙ্গে শেয়ার করা যাবে না।
Source: https://www.ittefaq.com.bd/scienceandtechnology/61405/%E0%A6%8F%E0%A6%9F%E0%A6%BF%E0%A6%8F%E0%A6%AE-%E0%A6%AC%E0%A7%81%E0%A6%A5-%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A6%BF%E0%A7%9F%E0%A6%BE%E0%A6%A4%E0%A6%BF-%E0%A6%93-%E0%A6%97%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%B9%E0%A6%95-%E0%A6%B8%E0%A6%9A%E0%A7%87%E0%A6%A4%E0%A6%A8%E0%A6%A4%E0%A6%BE

21
লনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) এর প্রাক্তন উপাচার্য প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আলমগীর আজ (১৬ জুন ২০১৯) বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনে পূর্ণকালীন সদস্য হিসেবে যোগদান করেছেন।এ সময় নবনিযুক্ত সদস্য প্রফেসর আলমগীর বলেন, মানসম্মত উচ্চশিক্ষা নিশ্চিতকরণের মাধ্যমে তরুণ প্রজন্ম তৈরি করাই হবে ইউজিসিতে তার যোগদানের মূল উদ্দেশ্য। গত ১২ জুন ২০১৯ তারিখে প্রফেসর ড. দিল আফরোজা বেগম, প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আলমগীর ও প্রফেসর ড. সাজ্জাদ হোসেনকে ইউজিসি’র পূর্ণকালীন সদস্য হিসেবে নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। একই দিন প্রফেসর দিল আফরোজা বেগম ও প্রফেসর সাজ্জাদ হোসেন যোগদান করেন।

সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষক প্রফেসর আলমগীর দুই মেয়াদে কুয়েটের উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়টির সিন্ডিকেট সদস্য, অনুষদের ডিন, বিভাগীয় প্রধান এবং হল প্রভোস্টের দায়িত্ব পালন করেন।
Source: https://www.ittefaq.com.bd/education

22
আমেরিকায় মাস্টার্স বা পিএইচডি করতে যাঁরা চান, তাঁদের জন্য ডঃ রাগিব হাসানের একটি লেখা:
© রাগিব হাসান
উচ্চ শিক্ষার খরচ যুক্তরাষ্ট্রে বেশ বেশি, কাজেই নিতান্ত উচ্চবিত্ত ছাড়া নিজের পয়সায় পড়াটা কঠিন। রাজ্য সরকারের বিশ্ববিদ্যালয়ে খরচ কম। তবে রাজ্যের বাসিন্দাদের জন্য যে সুযোগ সুবিধা ও ফি-মাফ রয়েছে, সেটা বিদেশী ছাত্ররা পায় না। কাজেই বিদেশে পড়তে আসার আগে ভর্তির পাশাপাশি ফান্ডিং জোগাড় করাটা খুব দরকার।


~~ কী রকম খরচ হবে? ~~

দেখা যাক টিউশন ফি-র ব্যাপারটা। অধিকাংশ সরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ে মাস্টার্স বা পিএইচডি পর্যায়ে প্রতি সেমিস্টারে টিউশন ফি দেয়া লাগে কয়েক হাজার ডলার। যেমন, ফুল কোর্স লোড নিলে ইউনিভার্সিটি অফ টেক্সাসে গ্রাজুয়েট পর্যায়ে ইঞ্জিনিয়ারিং এ লাগে প্রতি সেমিস্টারে প্রায় ১২ হাজার ডলার, ইউনিভার্সিটি অফ ইলিনয়েও তাই লাগে। কিন্তু বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফি-টা এর প্রায় ২ গুণ -- যেমন জন্স হপকিন্স মাস্টার্সেই লাগে ২১ হাজার। আমি এখন ইউনিভার্সিটি অফ অ্যালাবামা অ্যাট বার্মিংহাম এর সহযোগী অধ্যাপক হিসাবে কর্মরত, এটি স্টেইট ইউনিভার্সিটি হওয়ায় এখানে খরচ প্রতি সেমিস্টারে ৬-৮ হাজার ডলার, কিন্তু সেটাও বাংলাদেশের হিসাবে অনেক।

এতো গেলো কেবল টিউশন। থাকা-খাবার জন্য খরচটা জায়গা ভেদে নানা রকম। বড় বড় অনেক শহরে খরচ ব্যাপক। কারো সাথে রুম শেয়ার করে থাকলেও হয়তো বাড়িভাড়া বাবদ মাসে ৪০০/৫০০ ডলার চলে যাবে। মিডওয়েস্টের ছোট শহর গুলোতে খরচ কম। সেখানে ৩০০/৪০০ ডলারে আস্ত ১ রুমের অ্যাপার্টমেন্ট নিয়ে থাকা চলে। দক্ষিণের দিকে খরচ অনেক কম। খাবার খরচ একা মানুষের ২০০-২৫০ ডলারে হয়ে যাবার কথা, চেষ্টা করলে আরো কমানো যায়। আর দূরে কোথাও না গেলে এবং শহরে বাস সার্ভিস ভালো থাকলে গাড়ির দরকার নেই। সব মিলে একা কারো জন্য জায়গাভেদে ৭০০-১২০০ ডলার থাকা-খাবার খরচে যাবে। বিশ্ববিদ্যালয় বেছে নেয়ার সময়ে তাই টিউশন ছাড়াও লিভিং কস্ট খেয়াল করে নিতে হবে।


~~ খরচ যোগাবেন কীভাবে? ~~

পিএইচডি পর্যায়ে প্রায় সবাই কোনো না কোনো উপায়ে ফান্ডিং পায়। ভর্তির সময়েই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফান্ডের গ্যারান্টি দেয়। আগের লেখাতেই বলেছিলাম, মাস্টার্স পর্যায়ে ফান্ডিং শুরুতে কমই পাওয়া যায়। তবে একবার এসে যাবার পরে ২য় সেমিস্টার নাগাদ চেষ্টা করে ফান্ড জোগাড় করা সম্ভব।

টিউশন ফি মাফ করার বেশ কিছু উপায় আছে। অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে মেধার ভিত্তিতে টিউশন ওয়েইভার বা ফি-মাফ দেয়া হয়। মাস্টার্স বা পিএইচডি পর্যায়ে টিচিং অ্যাসিস্টান্ট বা রিসার্চ অ্যাসিস্টান্ট হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ে কাজ পেলে বেতন পাওয়ার সাথে সাথে টিউশন মাফ হতে পারে, বা কম দিতে হতে পারে। আবার মেধাবী ছাত্রদের ভর্তির সময়ে ফেলোশীপ বা স্কলারশীপ দেয়ারও ব্যবস্থা আছে। কিছু নির্দিষ্ট বৃত্তিতে বাংলাদেশের ছাত্ররা বেশ ভালো সুযোগ পায়। যেমন, "আব্বাসী ফেলোশীপ" নামে একটা বৃত্তি ইউনিভার্সিটি অফ ইলিনয়ের ভারত, পাকিস্তান, ও বাংলাদেশের ছাত্র/ছাত্রীরা পায়। আবার দেশ থেকে ফুলব্রাইট নিয়েও অনেকে ইদানিং আসছেন।

অ্যাসিস্টান্টশীপ পেলে সপ্তাহে ১০ থেকে ২০ ঘণ্টা শিক্ষকতায় সহায়তা (যেমন, স্নাতক পর্যায়ে ক্লাস নেয়া, খাতা দেখা) অথবা প্রফেসরের গবেষণায় সহায়তা করতে হবে। টিচিং অ্যাসিস্টান্টশিপ বা টি এ পেতে হলে ডিপার্টমেন্টের অফিসে খোজ নিতে হবে সে ব্যাপারে। অনেক জায়গায় এজন্য টোফেল এর স্পিকিং অংশে ভালো স্কোর চায়। রিসার্চ অ্যাসিস্টান্টশীপ বা আর এ নির্ভর করে প্রফেসরের উপরে। ভর্তির আবেদন করার আগে থেকে প্রফেসরের সাথে যোগাযোগ করে সেটার ব্যবস্থা করা সম্ভব, অথবা ১ম সেমিস্টারে কারো সাথে ফ্রি কাজ করে ভালো কাজ দেখিয়ে পরে তার কাছ থেকে আরএ পাওয়া যেতে পারে। খেয়াল রাখতে হবে, আরএ দের বেতন প্রফেসরের নিজের রিসার্চ ফান্ড থেকে আসে, আর সেটা পাওয়া না পাওয়া প্রফেসরের মর্জির উপরে নির্ভর করে। কাজেই ভালো কাজ দেখানো, গবেষণা ঠিকমতো করা, এগুলো ভালোভাবে করতে হবে। প্রফেসরদের সাথে ইমেইলে যোগাযোগ করা নিয়ে আরেকদিন লিখবো।

এছাড়াও উপার্জনের আরেকটা উপায় হলো ক্যাম্পাসের নানা জায়গা, যেমন লাইব্রেরিতে ঘণ্টা হিসাবে কাজ করা।

অফ ক্যাম্পাস কাজ করাটা শুরুতে যায় কি না, আমার এখন মনে পড়ছে না, তবে যতদূর জানি, প্রথম ৯ মাসে সেটার অনুমতি বের করা কঠিন। সেমিস্টার চলা কালে অন বা অফ ক্যাম্পাসে সপ্তাহে মোট ২০ ঘণ্টার বেশি কাজ করা যায় না। তবে গ্রীষ্মকাল বা দুই সেমিস্টারের মাঝের বন্ধে ৪০ ঘন্টা কাজ করা চলে।

উপরের সব পদ্ধতিতেও ফান্ড জোগাড় না হলে সর্বশেষ তরিকা হলো শিক্ষা ঋণ নেয়া। মার্কিনীদের জন্য সেটা ডাল ভাত, কিন্তু বিদেশী ছাত্রদের জন্য সেটা বেশ কঠিন। পরিচিত কেউ মার্কিন নাগরিক হলে এবং ঋণে কো-সাইন করলে (মানে ঋণের অংশীদার/জামিনদার হলে) তবেই ঋণ মিলতে পারে। তবে অনেক ক্ষেত্রে সেটা ছাড়া হয়তো উপায় থাকে না, যেমন কেবল কাজ করে দামি প্রাইভেট ইউনিভার্সিটির বছরে ৪০ হাজার ডলার টিউশন দেয়াটা প্রায় অসম্ভব -- সেক্ষেত্রে টিউশন ওয়েইভার বা ঋণ ছাড়া উপায় নেই।

তবে একটা ব্যাপার খেয়াল করেছি কিছুদিন ধরে। ভারত থেকে প্রচুর ছাত্র নিজের খরচে মাস্টার্সে আসে। তাদের জিজ্ঞেস করে জানলাম, তারা ভারত বা আমেরিকা থেকে শিক্ষাঋণ নিয়ে আসছে, মাস্টার্স শেষ করে চাকুরি পাবার পর সেটা শোধ করবে। জানিনা বাংলাদেশের কোনো ব্যাংক এটা দেয় কিনা, কিন্তু যদি দেয়, তাহলে এটা ফান্ড যোগাড়ের একটা পদ্ধতি হতে পারে।


যাহোক, এত কথা বলছি একটা বিশেষ কারণে। বাংলাদেশ থেকে যে পরিমাণ ছাত্র ছাত্রী আমেরিকায় উচ্চশিক্ষাতে আসে, বাংলাদেশের চাইতে ছোট অনেক দেশ এমনকি নেপাল থেকেও তুলনামূলক ভাবে তার চাইতে বেশি ছাত্রছাত্রী আসে। এরা সবাই কিন্তু রাজাবাদশার সন্তান নয়। কোন না কোন ভাবে ফান্ডের ব্যবস্থা হয়ে যায় উপরের কোন একটা পদ্ধতিতে। কিন্তু দুঃখজনক হল বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা রিস্ক নিতে বা একটু কষ্ট করে নানা পদ্ধতির পিছনে সময় দিয়ে দেখতে অতটা উদ্যোগী নয়। ফলে আমেরিকায় উচ্চশিক্ষার পর্যায়ে আমাদের দেশের শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি যতটা হতে পারত, ততটা নয়। আশা করি এই লেখা পড়ার পরে আরো অনেকে আগ্রহ করে এই ব্যাপারে খোঁজ নিয়ে দেখবেন এবং সফল হবে।
collected from facebook wall of :
Ragib Hasan(https://www.facebook.com/ragib.hasan.page/)

23
ভারতের বিহার প্রদেশে রহস্যজনক মস্তিষ্কজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে শতাধিক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এনিয়ে সেখানে বিক্ষোভ দেখা দিয়েছে। মস্তিষ্কজনিত এ রোগের সঙ্গে গ্রীষ্মকালীন ফল লিচুর সম্পর্ক রয়েছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। খবর এএফপি’র।
খবরে বলা হয়েছে, চলতি বছর পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশ বিহারের মোজাফফরপুরে ১০ এবং তার চেয়ে কম বয়সী ১০৩ শিশু একিউট এনসেফালিটিস সিনড্রোম (এইস)-এ আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছে।

মৃতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। সেখানের বিভিন্ন হাসপাতালে আরো অনেক শিশুই চিকিৎসাধীন রয়েছে।

দেশটিতে ১৯৯৫ সাল থেকে প্রতি বছর গ্রীস্মকালে এবং সাধারণভাবে লিচুর সময়ে সব সময় এ রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়। ২০১৪ সালে এই রোগে সেখানে শিশু মৃত্যুর রেকর্ড সংখ্যা ১৫০ জন। অন্যান্য বছরে মৃত্যুর সংখ্যা সেই তুলনায় কম।

বেশ কয়েক বছর আগে যুক্তরাষ্ট্রের গবেষকগণ জানিয়েছেন, গ্রীস্মকালিন লিচুর ভেতরের এক ধরণের বিষাক্ততা এ মস্তিস্ক রোগের সঙ্গে সম্পর্কিত।

গবেষকগণ বলেন, এ অসুস্থতার কারণ নির্ণয়ে আরো বেশি গবেষণা চালিয়ে যেতে হবে বলে মতামত দেন। স্থানীয়ভাবে ‘চামকি বুখার’ নামে পরিচিত এ রোগ তৃতীয় ধরণের মারাত্মক।

মঙ্গলবার ওই রাজ্যের বেশ কিছু সংখ্যক লোককে কর্তৃপক্ষের স্থবিরতা ও অযত্নের অভিযোগ নিয়ে মোজাফ্ফরপুরের প্রধান হাসপাতালের বাইরে ভীড় করতে দেখা গেছে।

গত রবিবার এ বিষয়ে এক সংবাদ সম্মেলণ চলাকালে ভারত-পাকিস্তানের ক্রিকেট প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের কাছে জানতে চাওয়ায় এ বিষয়টি নিয়ে সমালোচিত হয়েছেন প্রাদেশিক স্বাস্থ্যমন্ত্রী ।

বিরোধী দলীয় কংগ্রেস নেতা রণদীপ সূর্যবালা টুইটারে মন্তব্য করেছেন, ‘বিহারের স্বাস্থ্যমন্ত্রী শিশু মৃত্যুর চেয়ে ক্রিকেট স্কোর নিয়ে অধিক উদ্বিগ্ন।’

অপর বিরোধী দলীয় ব্যক্তিত্ব রাবরি দেবী শিশু মৃত্যুকে, ‘ঠান্ডা মাথার খুন’’বলে মন্তব্য করেছেন। তিনি টুইট করেছেন, ‘ ওষুধ ও চিকিৎসার অভাবে শিশুরা মারা যাচ্ছে।’

বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমার মঙ্গলবার বিহারের সরকারি হাসপাতাল শ্রীকৃষ্ণ মেডিকেল কলেজ পরিদর্শন করেন, যেখানে বেশিরভাগ শিশুই মারা গেছে।

গণমাধ্যমকে ভেতরে প্রবেশের ও অসুস্থ শিশুদের পরিবারের সদস্যদের বহিরাঙ্গণে গোলোযোগ সৃষ্টির ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।

জাতীয় মানবাধিকার কমিশন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সরকার ও প্রাদেশিক কর্তৃপক্ষকে এ রোগ মোকাবিলায় ভ্যাকসিন ও সচেতনতা কর্মসূচির আহ্বান জানিয়েছে।

মঙ্গলবার হিন্দু পত্রিকায় এক সম্পাদকীয় বলা হয়েছে, কিছু দূরদর্শীতা ও প্রারম্ভিক যত্নে অতি সহজেই মৃত্যু কমিয়ে আনতে পারে।

এতে তুলে ধরা হয়, ২০১৪ সালে ভারত-যুক্তরাষ্ট্রের একটি বিশেষজ্ঞ দলের হস্তক্ষেপে শতকরা ৭৪ ভাগ শিশুর জীবন রক্ষা করতে সক্ষম হয়েছিল।

এতে আরো বলা হয়, চলতি বছর সরকার এ ব্যাপারে সচেতনতা সৃষ্টিতে ব্যর্থ হয়েছে।

প্রায় ১০ কোটি লোক অধ্যুষিত বিহার ভারতের দরিদ্রতম প্রদেশগুলোর অন্যতম। সম্প্রতি সেখানে ৪৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রার বয়ে গেছে।

আরও পড়ুন: মুরসির মৃত্যুর জন্য দায়ীদের ইতিহাস ক্ষমা করবে না: এরদোগান

সেখানে দরিদ্র পরিবারের শিশুরা যারা এমন কি পেটপুরে খেতে পায় না তারা খালি পেটে লিচু খেয়ে মস্তিস্ক রোগের শিকার হয়।
Source: https://www.ittefaq.com.bd/worldnews/63259/%E0%A6%96%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A6%BF-%E0%A6%AA%E0%A7%87%E0%A6%9F%E0%A7%87-%E0%A6%B2%E0%A6%BF%E0%A6%9A%E0%A7%81-%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%A4%E0%A7%87-%E0%A7%A7%E0%A7%A6%E0%A7%A9-%E0%A6%B6%E0%A6%BF%E0%A6%B6%E0%A7%81%E0%A6%B0-%E0%A6%AE%E0%A7%83%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A7%81

24
মরুকরণের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। এই সুজলা সুফলা শস্য শ্যামল দেশটি হয়তো একদিন হারিয়ে যেতে পারে মরুভূমির ধূসর বালির গহ্বরে। বাংলাদেশের সামগ্রিক অবস্থা বিশ্লেষণ করে বিশেষজ্ঞরা এমনটাই আশঙ্কা করছেন।
তারা বলছেন, মরুকরণের প্রধান দুটি বিষয় হচ্ছে একটি বিস্তৃত এলাকা জুড়ে যদি সেখানকার মাটি অনুর্বর হতে থাকে এবং যদি নদী-নালা, খাল-বিল শুকিয়ে যেতে থাকে এবং বৃষ্টির অভাব ঘটে। বিগত কয়েক দশক ধরে এ লক্ষণগুলো খুব বেশিভাবে পরিলক্ষিত হচ্ছে বাংলাদেশে।

এ পরিস্থিতিতে কৃষিজমি সংরক্ষণ, কৃষিকাজে জৈব সার ব্যবহারে কৃষকদের উত্সাহিতকরণে দেশব্যাপী ব্যাপক প্রচারণা, অপরিকল্পিত নগরায়ণ কঠোরভাবে নিষিদ্ধ করা, নদীর পানি প্রবাহে যথাযথ উদ্যোগ, খাল-বিল ও জলাভূমিসমূহ সংরক্ষণে গুরুত্ব দেওয়ার প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করেন তারা।

এ পরিস্থিতিতে আজ বিশ্বজুড়ে পালিত হচ্ছে বিশ্ব খরা ও মরুকরণ প্রতিরোধ দিবস। এবারের প্রতিপাদ্য ‘চলো সবাই মিলে বিশ্ব গড়ি’। বিশ্বের অনেক দেশ জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকিতে রয়েছে। মানুষের জীবনের সঙ্গে প্রকৃতির নিবিড় যোগ রয়েছে। প্রকৃতিকে অনিয়ন্ত্রিতভাবে ব্যবহার করলে তা ধ্বংস হয়ে যাবে। বর্তমানে অধিক রাসায়নিক সার ব্যবহার, মাটির গুণাগুণ নষ্ট করছে। তাই মাটির গুণাগুণ রক্ষা, স্বাস্থ্যসম্মত কৃষিকাজকে উত্সাহিত করতে ইউনাইটেড নেশনস কনভেনশন টু কমব্যাট ডেজার্টিফিকেশন (ইউএনসিসিডি) ১৯৯৫ সাল থেকে ১৭ জুন দিবসটি পালন করে আসছে। মানুষকে সচেতন করে তোলাই এ দিবস পালনের লক্ষ্য।

অতিরিক্ত রাসায়নিক সার ব্যবহারের ফলে দেশের কৃষিজমির ঊর্বরতা শক্তি হ্রাস পাচ্ছে। সাধারণ হিসাবে মাটিতে জৈব পদার্থের পরিমাণ যদি পাঁচ ভাগ থাকে তাহলে তা ঊর্বর মাটি। দেশের কৃষিজমিতে জৈব পদার্থের পরিমাণ বর্তমানে ১ শতাংশ। রাসায়নিক সার ব্যবহার ও শাক-সবজির বদলে ধান চাষ বেশি হওয়ায় মাটি গুণাগুণ হারিয়ে অনুর্বর হয়ে পড়ছে।

সেইসঙ্গে বর্ষা বা শীত মৌসুমে ধঞ্চে, কলাই প্রভৃতি চাষ করলে কৃষিজমির ঊর্বরতা বাড়তো। কিন্তু এখন দীর্ঘদিনের সেই প্রথাগত চাষ বন্ধ। জমির অনুর্বরতা ঠেকাতে জৈব চাষের প্রতি কৃষকদের উত্সাহিত করা উচিত। কিন্তু তা সময়সাপেক্ষ হওয়ায় সবাই ঝুঁকছে রাসায়নিক সারের দিকে। এভাবে চলতে থাকলে একদিন দেশের কৃষিজমি পুরোপুরি অনুর্বর হয়ে পড়বে। যা মরুকরণ ঝুঁকির একটি প্রধান দিক।

অপর ঝুঁকিটি হচ্ছে বৃষ্টিপাতের পানি ধরে রাখে যে জলাধার তা বিপন্ন। বাংলাদেশে বৃষ্টির অভাব না ঘটলেও যে চারমাস বৃষ্টি হয় সে পানি নদীসহ খাল-বিল ও দেশের বিস্তীর্ণ জলাভূমিতে আটকে থাকে। যা পরবর্তী দিনগুলোতে কৃষি ও পানির অভাব দূর করে। কিন্তু অপরিকল্পিত নগরায়ণ, জলাভূমিতে যথেচ্ছভাবে কৃষিকাজ করে এসব জলাভূমি শুকিয়ে যাচ্ছে। এই জলাভূমি শুকিয়ে যাওয়ায় নদীগুলো বিগত কয়েক দশক ধরে বেশিরভাগ স্থানে পুরোপুরি শুকিয়ে যায়।

পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় পরিচালিত জরিপ অনুযায়ী দেশে মোট নদীর সংখ্যা ৩১০টি। এরমধ্যে মৃত ও মৃতপ্রায় নদীর সংখ্যা ১১৭টি। এদিকে সেন্টার ফর এনভায়রনমেন্টাল অ্যান্ড জিওগ্রাফিক ইনফরমেশন সার্ভিসেস (সিইজিআইএস) থেকে প্রাপ্ত তথ্যমতে, সাধারণ হিসাবে গত ৪০ বছরে শুধুমাত্র তিনটি প্রধান নদী পদ্মা, মেঘনা, যমুনা— এই তিনটি নদীতেই এ পর্যন্ত বিলীন হয়েছে ১ লাখ ৫০ হাজার হেক্টর জমি। আর তার বিপরীতে নতুন ভূমি জেগেছে মাত্র ৩০ হাজার হেক্টর। প্রতিবছর কোনো না কোনো নদীর শাখা ধীরে ধীরে পলি পড়ে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। কোনো কোনো নদী দখল হয়ে যাচ্ছে ভূমিদস্যুদের হাতে। পরিকল্পনার অভাবেই নদীমাতৃক বাংলাদেশ থেকে এভাবে নদী হারিয়ে যাচ্ছে।

এ প্রসঙ্গে ওয়ারপো’র প্রাক্তন মহাপরিচালক ও জল-পরিবেশ ইন্সটিটিউটের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী ম. ইনামুল হক দৈনিক ইত্তেফাককে বলেন, ফারাক্কা বাঁধ, তিস্তাসহ ভারত-বাংলাদেশের আন্তঃনদীসমূহের পানি প্রবাহ দেশের নদীগুলো শুকিয়ে যাওয়ার পেছনে একটি বড় কারণ। তবে সেটা দুদেশের আলোচনার ভিত্তিতে নিষ্পত্তি হবে। কিন্তু জলাভূমি সংরক্ষণ আমাদের নিজেদের হাতে। কিন্তু সেসব সংরক্ষণে রাষ্ট্রের কোনো নিয়ন্ত্রণ ও নজরদারি এবং পরিকল্পনা না থাকায় দেশের জলাভূমিগুলো থেকে কষিকাজে অধিকহারে জল নিষ্কাশন করে জলাভূমিগুলো শুকিয়ে ফেলা হচ্ছে। ফলে জলাভূমিগুলো কৃষিজমিতে পরিণত হচ্ছে। যার ফলে গ্রীষ্মকালে নদীগুলো পানিশূন্য হয়ে পড়ছে। কারণ গ্রীষ্মকালে দেশের নদীগুলোর পানি প্রবাহের প্রধান উত্স ছিল এই জলাভূমির পানি। সেটা পুরোপুরি হারিয়ে গেছে।

মানুষের অপরিকল্পিত কর্মকাণ্ড এবং রাষ্ট্রের উদাসীনতার কারণেই এসব প্রতিটি পদক্ষেপে বাংলাদেশ মরুকরণের দিকে ধাবিত হচ্ছে। তিনি বলেন, আমাদের এখানেও ধীরে ধীরে কৃষিজমিসহ সকল ভূমির ওপরের স্তরে বালির পরিমাণ বাড়ছে। নদীর বালি তুলে বাড়ি নির্মাণ, জলাভূমি শুকিয়ে শস্য আবাদ হচ্ছে। এতে প্রকৃতির স্বাভাবিক গতি নষ্ট হচ্ছে। এছাড়া বন্যা বাংলাদেশের জন্য একটি আশীর্বাদও। এটা দেশের বিস্তীর্ণ কৃষিজমিতে পলির স্তর ছড়িয়ে যায়। কিন্তু অপরিকল্পিত বাঁধ নির্মাণ করে আমরা জমির সেই পুনরুজ্জীবনের পথও রুদ্ধ করছি।

এ প্রসঙ্গে গবেষক ম. এনামুল হক সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব তুলে ধরে বলেন, হাউজিং ব্যবসায়ীদের হাত থেকে জলাভূমি রক্ষা, জলাভূমি থেকে অতিরিক্ত পানি নিষ্কাশন ও চাষাবাদ বন্ধ, নদীর প্রবাহ ঠিক রাখতে অপরিকল্পিত বাঁধ নিয়ন্ত্রণ বন্ধ করা এবং বাংলাদেশের উপযোগী কৃষিকাজ ও সার ব্যবহারে সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা গ্রহণ।

Source: https://www.ittefaq.com.bd/national/62574/%E0%A6%AE%E0%A6%B0%E0%A7%81%E0%A6%95%E0%A6%B0%E0%A6%A3%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%9D%E0%A7%81%E0%A6%81%E0%A6%95%E0%A6%BF%E0%A6%A4%E0%A7%87-%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%82%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B6

25
Bangladesh and Rwanda have the highest level of trust in vaccines globally while France has the lowest of confidence in them, according to the world's biggest survey on public attitudes toward health and science.

Bangladesh and Rwanda both agreed vaccines were safe, effective and important for children to have.

The lowest confidence levels in relation to vaccines were in Western Europe where more than a fifth (22 percent) of people disagree that vaccines are safe, and in Eastern Europe where 17 percent disagreed that vaccines are effective.

"I guess you could call it the 'complacency effect,'" Imran Khan, Wellcome's head of public engagement, who led the study, told AFP

"If you look at those countries in our survey which have very high rates of confidence in vaccines, places like Bangladesh and Egypt, these are areas where you do have more infectious disease.
"Perhaps what you see is the people in those countries can see what happens if you don't vaccinate."

A third (33 percent) of French people do not agree that immunization is safe, and it is also the only country where a majority (55 percent) believe science and technology will reduce the total number of jobs available, according to the poll of more than 140,000 people across 144 countries.

The survey of people aged 15 and older was devised by Wellcome, a British medical charity, and conducted by Gallup World Poll between April and December 2018.

It found that people living in high-income countries have the lowest confidence in vaccines, a result that ties in to the rise of the anti-vaccination movement, in which people refuse to believe in the benefits of vaccinations or claim that the treatment is dangerous.

An estimated 169 million children missed out on the vital first dose of the measles vaccine between 2010 and 2017, according to a UN report issued in April.

In the US alone, the number of cases of the disease this year has exceeded a thousand, according to the latest official figures.

"I think we expected that general trend, because where we have seen that skepticism and concern about vaccines, that tends to be in more developed countries," Khan said.

"But I think the extent of the difference is surprising and some of those numbers were really startling."

Globally, 79 percent of people agreed that vaccines are safe and 84 percent said they were effective.

He added this contrasts with more developed countries where, "if you don't get vaccinated, you're still less likely to catch that infection, and if you do get infected, you might not become as unwell or might not die, because we've got quite good healthcare systems in place."

France was also the only country in the survey where most people believed science and technology would reduce jobs.

"Although much more research is needed to understand why this might be the case, the sluggish performance of the French economy over the last few years may be one factor that contributes to this sentiment," the report said.

Gender gap

The report also found a global gender divide in self-reported levels of knowledge of science.

Globally, 49 percent of men worldwide say they know "some" or "a lot" about science, compared to 38 percent of women.

The gender gap existed even when men and women reported equal levels of science attainment, and was widest in the Northern European region.

"What's likely to be going on there is men are more confident or overconfident for the same level of knowledge, or equally we can say that women are under confident," said Khan.

Wellcome said it hoped its findings would provide governments a baseline to monitor how attitudes change over time and help inform policy, particularly in regards to immunization, with recent measles outbreaks demonstrating herd immunity can no longer be taken for granted.

Source: https://www.thedailystar.net/country/news/bangladesh-rwanda-have-highest-levels-trust-vaccines-survey-1759312

Pages: 1 [2]