Show Posts

This section allows you to view all posts made by this member. Note that you can only see posts made in areas you currently have access to.


Topics - milan

Pages: [1] 2
1

ঢাকার কমলাপুরে আশি টাকা ভাড়ায় উঠেছিলেন
মাসুম আলী
২৩ আগস্ট ২০১৭, ১৪:১৯



তাঁর নিজের জীবনের গল্পই তো আরেক সিনেমা!

এক জীবনে কোনো কিছুর অভাব ছিল না রাজ্জাকের। খ্যাতি, যশ, অর্থ—কোনো কিছুর না। ‘ছুটির ঘণ্টা’, ‘রংবাজ’, ‘বাবা কেন চাকর’, ‘নীল আকাশের নিচে’, অবুঝ মন’, ‘জীবন থেকে নেয়া’, ‘পিচ ঢালা পথ’, ‘কি যে করি’, ‘অশিক্ষিত’, ‘বড় ভালো লোক ছিল’, ‘আলোর মিছিল’, ‘স্বরলিপি’সহ অসংখ্য ছবির অভিনেতা উত্তরায় অভিজাত সুবিশাল ‘রাজলক্ষ্মী কমপ্লেক্স’ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। গুলশানে নিজের বাড়িতে স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে বেশ ছিলেন এই কিংবদন্তি নায়ক। সাফল্য আর পরিপূর্ণ জীবনের এই রাজ্জাককে ধীরে ধীরে নির্মাণ করেছে তাঁর সংগ্রাম, ধৈর্য, কর্মনিষ্ঠা, আত্মত্যাগ, আর বড় স্বপ্ন দেখার সাহস।

অথচ প্রথম জীবনটা মোটেও মসৃণ ছিল না রাজ্জাকের। কলকাতার জন্মগ্রহণ করেছিলেন রাজ্জাক। কৈশোরে হঠাৎ মারা গেলেন তাঁর বাবা আকবর হোসেন। বাবার মৃত্যুর আট মাস পর মাকেও হারান। তবে সব শোক, সংকট কাটিয়ে ভালোভাবেই বেড়ে উঠছিলেন রাজ্জাকরা। কলকাতায় মঞ্চ ও চলচ্চিত্রে টুকটাক কাজ করতে থাকেন। নাট্যকার পীযূষ বসু কিশোর রাজ্জাককে উৎসাহ দেন নানাভাবে। যদিও খুব একটা সুবিধা করতে পারছিলেন না। ঢাকায় ইতিমধ্যেই চলচ্চিত্রশিল্প প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। অনেকেই রাজ্জাককে উপদেশ দিলেন ঢাকায় আসার জন্য। পীযূষ বসু রাজ্জাক সম্পর্কে একটি প্রশংসাপত্র লিখে দেন। রাজ্জাক ওই প্রশংসাপত্র নিয়ে জন্মস্থান কলকাতা ছেড়ে ঢাকায় যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।


ওই সময় উপমহাদেশের বিভিন্ন স্থানে চলছে হিন্দু-মুসলিম দাঙ্গা। পশ্চিমবঙ্গ, বিহার, আসাম ও ত্রিপুরা থেকে দলে দলে মুসলমানরা পাড়ি দিচ্ছে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে। রাজ্জাকও স্ত্রী লক্ষ্মী এবং শিশুপুত্র বাপ্পাকে নিয়ে ওই দাঙ্গার সময় ঢাকায় চলে আসেন। ১৯৬৪ সালের ২৬ এপ্রিল ঢাকা পৌঁছান। কপর্দকহীন অবস্থায়। ঢাকায় তাঁর চেনাজানাও কেউ নেই। শুধু সঙ্গে নিয়ে এসেছেন পীযূষ বসুর চিঠি এবং পরিচালক আবদুল জব্বার খান ও শব্দযন্ত্রী মনি বোসের ঠিকানা।

স্ত্রী ও শিশুপুত্রকে স্টেডিয়ামে শত শত উদ্বাস্তুর ভিড়ে রেখে রাজ্জাক গিয়ে দেখা করেন পরিচালক আবদুল জব্বার খানের সঙ্গে। তিনি রাজ্জাককে আশ্বাস দেন। রাজ্জাক পরে কমলাপুর এলাকায় মাসিক ৮০ টাকা ভাড়ায় বাসা ঠিক করে স্ত্রী-পুত্র নিয়ে ওঠেন। উদ্বাস্তু রাজ্জাকের আশ্রয় মিলল ঠিকই, কিন্তু জীবিকা অর্জনের কোনো পথ নেই। ঘুরে বেড়ান ছবিপাড়ায়। দেখা করেন সুভাষ দত্ত, সৈয়দ আওয়াল, এহতেশাম প্রমুখের সঙ্গে। কিন্তু কিছুতেই কিছু হয়ে ওঠে না।

জীবন থেমে থাকে না। পরিচালক আবদুল জব্বার খান তাঁকে কাজের সুযোগ করে দেন ‘ইকবাল ফিল্মস’ প্রতিষ্ঠানে। এ প্রতিষ্ঠানের ছবি ‘উজালা’য় পরিচালক কামাল আহমেদের সহকারী হিসেবে কাজ করেন। সহকারী হিসেবে দ্বিতীয় ছবি ছিল ‘পরওয়ানা’। কিন্তু ছবির কাজ শতকরা ৮০ ভাগ হওয়ার পরই সহকারীর কাজ ছেড়ে দেন। কারণ, রাজ্জাক নায়ক হতে এসেছিলেন। ক্যামেরার সামনেই দাঁড়াতে চেয়েছিলেন। পর্দায় নাম ভেসে ওঠার শুরুতেই নিজের নাম খুঁজে পেতে চেয়েছিলেন।

এক সাক্ষাৎকারে রাজ্জাক বলেছিলেন, ‘আমি আমার জীবনের অতীত ভুলি না। আমি এই শহরে শরণার্থী হয়ে এসেছি। জীবনসংগ্রাম করেছি। না খেয়ে থেকেছি। যার জন্য পয়সার প্রতি আমার লোভ কোনো দিন আসেনি। ওটা আসেনি বলেই এত দূর শান্তিতে এসেছি।’

উচ্চাশা তাঁর সব সময়ই ছিল। রুপালি পর্দার জগতেও ছিল টাকার ঝনঝনানি। কিন্তু টাকার মোহে অন্ধ হয়ে যাননি কখনো। এ কারণেই রাজ্জাক থেকে নায়করাজ হয়ে উঠতে পেরেছিলেন। রাজ্জাকের রুপালি পর্দার বাইরের জীবনটাও হয়ে থাকবে অনুপ্রেরণার।

2

পানি ফুটাতেই পোড়ে দিনে ৫৮ কোটি টাকার গ্যাস!
অনলাইন ডেস্ক
০৮ জুলাই ২০১৭, ১৪:০২
১২


ঢাকা ওয়াসার পানিতে জীবাণু থাকে, তাই সরাসরি পান করা যায় না—রাজধানীবাসীর এ অভিযোগ দীর্ঘদিনের। এ কারণে নগরবাসী পানি ফুটিয়ে পান করে। আর পানি ফুটানোর কারণে প্রতিদিন গ্যাস পোড়ে ৫৮ কোটি টাকার মতো।

তবে পানিতে কিছু সমস্যার কথা স্বীকার করলেও পানি স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর নয় বলে দাবি ওয়াসার। এ নিয়ে সংবাদ সংস্থা ইউএনবির প্রতিবেদন পাঠকের জন্য তুলে ধরা হলো।

সুরাইয়া আখতার চিতশি রিমা আট সদস্যর পরিবার নিয়ে থাকেন রাজধানীর পুরান ঢাকায়। প্রতিদিন পরিবারের সবার সকালের নাশতা শেষেই তিনি গ্যাসের চুলায় পানি ফোটাতে শুরু করেন। পানি ফুটিয়েই পান করে এই পরিবার। এই পরিবারের মতো রাজধানীতে অনেকেই পানি ফুটিয়ে পান করে।

সুরাইয়া বলেন, ‘ওয়াসার পানি সরাসরি পান করার মতো নিরাপদ নয়। আমি প্রতিদিন পরিবারের খাওয়ার পানির চাহিদা মেটাতে দুই দফায় প্রায় ৩০ মিনিট করে পানি ফুটাই।’ ফুটানো পানি পান করার আগে আবার তা পানি বিশুদ্ধকরণ যন্ত্রে দেওয়ার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, এই পানি পরিশোধন প্রক্রিয়ার কারণে তাঁর পরিবারের খরচ বেড়েছে।

সুরাইয়া বলেন, ‘পানি সরবরাহের জন্য ঢাকা ওয়াসাকে টাকা দিচ্ছি। তাদের উচিত রাজধানীবাসীকে নিরাপদ পানি সরবরাহ করা। কিন্তু এটি করতে তারা সম্পূর্ণ ব্যর্থ।’ তিনি বলেন, ‘এখনো রাজধানীর অনেক মানুষ সরাসরি ওয়াসার পানি পান করছে। আর এ কারণে তারা বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।’

শুধু সুরাইয়াই নন, ঢাকাবাসী অনেকে তাদের সুপেয় পানির চাহিদা মেটানোর জন্য সরকারের সরবরাহ করা বিপুল পরিমাণ গ্যাস পোড়ায়। আর তা করতে গিয়েই বিপুল অর্থ হারাচ্ছে জনসাধারণ।

ওয়াসা কর্মকর্তাদের দাবি, এ সংস্থা যে পানি সরবরাহ করে তা পান করার জন্য নিরাপদ। কিন্তু পাইপলাইনে ফুটো হওয়ার কারণে শহরবাসীর কাছে সরবরাহের সময় পানি দূষিত হয়ে যায়।

তিতাস গ্যাসের তথ্য অনুযায়ী, রাজধানীতে প্রায় ১৭ লাখ ৬৯ হাজার বাড়িতে গ্যাসের (এক ও দুই চুলা) সংযোগ দেওয়া আছে। তিতাস গ্যাসের প্রকৌশলী মো. সাজ্জাদ হোসেইন বলেন, এক চুলায় প্রতি ঘণ্টায় ১২ কিউবিক ঘনমিটার গ্যাস পোড়ে। দুই চুলায় প্রতি ঘণ্টায় পোড়ে ২১ কিউবিক ঘনমিটার। বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন সম্প্রতি প্রতি ঘনমিটার গ্যাসের দাম নির্ধারণ করেছে ৩২ টাকায়।

সমস্ত তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, রাজধানীবাসী গড়ে প্রতিদিন যদি আধা ঘণ্টা করে পানি ফুটায়, তবে গড়ে দিনে তারা প্রায় ১ কোটি ৮ লাখ ঘনমিটার গ্যাস পোড়ায়। আর এ গ্যাসের আর্থিক মূল্য ৫৮ কোটি টাকা।

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক মো. মুজিবুর রহমান বলেন, ঢাকা ওয়াসার পানি সরবরাহব্যবস্থার ত্রুটির থাকায় দূষিত পানি ওয়াসা পানিতে মিশে যায়। আর এতে করেই দূষিত হয় পানি।

রাজধানীবাসীর অভিযোগ, ঢাকার ওয়াসার অবহেলার কারণেই নগরবাসী ময়লা ও দূষিত পানি পায়। আর মাঝে মাঝে বাজে গন্ধের কারণে পানি ব্যবহারের অনুপযুক্ত হয়। শান্তিনগরের বাসিন্দা মশিউর রহমান বলেন, ‘পানির জন্য যখন ট্যাপ ছাড়ি, তখন প্রায়ই পানিতে কালো কিছু একটা পাই। ট্যাপের ওই পানিতে কটু গন্ধ পাওয়া যায়। তাই ওই পানি ব্যবহারে আমি নিরুৎসাহিত হই। কিন্তু নোংরা পানি ব্যবহার ছাড়া উপায়ও নেই।’

এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে ঢাকা ওয়াসার নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আবদুর রাজ্জাক বলেন, সায়েদাবাদ পানি সরবরাহ প্ল্যান্ট থেকে সরবরাহ করা পানিতে কিছুটা খারাপ গন্ধ রয়েছে। তবে এ পানি স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর নয়।
Link: http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1242681

3
প্রথম ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ইসরায়েল সফরে মোদি
অনলাইন ডেস্ক
Currently 0/512345
গড় রেটিং: 0/5 (0 টি ভোট গৃহিত হয়েছে)

প্রথম ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ইসরায়েল সফরে মোদি
 
প্রথম ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ইহুদি রাষ্ট্র ইসরায়েল সফর করবেন নরেন্দ্র মোদি। আজ মঙ্গলবার মোদির ইসরায়েল পৌঁছার কথা। খবর বিবিসির। 

পর্যবেক্ষকরা বলছেন, মোদি ইসরায়েলের পাশ্ববর্তী দেশ ফিলিস্তিন সফর করবেন না। এমনকি ফিলিস্তিনি নেতাদের সঙ্গেও মোদির বৈঠকের কোনো সম্ভাবনা নেই। 

সম্প্রতি মোদি ভারত-ইসরায়েলের মধ্যে 'গভীর ও শতাব্দী পুরোনো' সম্পর্ক আছে বলে দাবি করেন। ইসরায়েল সফর নিয়ে গতকাল সোমবার টুইটারে মোদি লিখেছেন, আমার বন্ধু ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর সঙ্গে আলোচনায় বিষয়ে আমি মুখিয়ে আছি। নেতানিয়াহু ভারত-ইসরায়েলের মধ্যকার দৃঢ় সম্পর্কের বিষয়ে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।
Link: http://www.allbanglanewspaperlist24.com/newspapers.php?q=bd-pratidin.com

4
সকালে গুড় আর ছোলা খাওয়ার উপকারিতা
অনলাইন ডেস্ক
Currently 3.50/512345
গড় রেটিং: 3.5/5 (2 টি ভোট গৃহিত হয়েছে)

সকালে গুড় আর ছোলা খাওয়ার উপকারিতা
 
শহরে ব্রেকফাস্টে এই সব খাওয়ার প্রচলন না থাকলেও, গ্রামের দিকে অনেক মানুষই ছোলা ও গুড় খান সকালবেলা। এখন চিকিৎসকরা বলছেন, ছোলার সঙ্গে গুড় খাওয়া নাকি খুবই উপকারি। বিশেষ করে নারীদের! নিচে রইল কিছু তথ্য-

১। ত্বকের জন্য খুবই উপকারি গুড় ও ছোলা। ঝকঝকে মসৃণ ত্বক পাওয়ার জন্য নিয়মিত ছোলা-গুড় খেতে পারেন। যারা খুব রোদে রোদে কাজ করেন, তাঁদের ত্বকের পক্ষে খুবই উপকারি ছোলা ও গুর।

২। স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করতে ছোলা ও গুড় খুব উপকারি। গুড় ও ছোলার মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকে। তাই বাচ্চাদের নিয়মিত ছোলা গুড় খাওয়ালে তাঁদের স্মৃতিশক্তি উন্নত হবে।

৩। দাঁতের জন্যও খুব ভালো গুড় ও ছোলা। গুর ও ছোলার মধ্যে ফসফরাস থাকায় দাঁতের ক্ষয়-ক্ষতি রোধ করে। দাঁত মজবুত করে।
Link: http://www.allbanglanewspaperlist24.com/newspapers.php?q=bd-pratidin.com

5
কৃষকের ঈদ আনন্দ
২২ জুন, ২০১৭ ইং
কৃষকের ঈদ আনন্দ
প্রতিবারের মতো এবারও বাংলাদেশের দর্শকপ্রিয় ঈদ অনুষ্ঠান ‘কৃষকের ঈদ আনন্দ’ প্রচার হবে চ্যানেল আইয়ের পর্দায়। এবারের অনুষ্ঠানটি ধারণ করা হয়েছে মুন্সিগঞ্জের লৌহজং উপজেলার দক্ষিণ হলদিয়ায় পদ্মার পাড়ে। এই স্থান নির্ধারণের একটি বিশেষ কারণ রয়েছে। অদূরেই নির্মাণ চলছে গর্বের পদ্মাসেতু। যা বাংলাদেশের সক্ষমতার এক প্রতীক। এই সেতুর নির্মাণ পাল্টে দিচ্ছে পদ্মার পাড়ের কৃষি, অর্থনীতি, সমাজ, প্রতিবেশ। সেখানকার মানুষের চোখে মুখে পরিবর্তনের রঙ, নতুন স্বপ্ন। শাইখ সিরাজের পরিকল্পনা, পরিচালনা ও উপস্থাপনায় ‘কৃষকের ঈদ আনন্দ’ প্রচার হবে ঈদের পরদিন বিকেল সাড়ে ৪টায়।
Link: http://www.ittefaq.com.bd/print-edition/entertainment/2017/06/22/204159.html

6
দোহাজারী-কক্সবাজার রেল প্রকল্পে অর্থায়ন করবে এডিবি
২২ জুন, ২০১৭ ইং
g ইত্তেফাক রিপোর্ট

দোহাজারী হতে কক্সবাজার পর্যন্ত সিঙ্গেল লাইন ডুয়েলগেজ ট্র্যাক নির্মাণ প্রকল্পে ৩০ কোটি ডলার অর্থায়ন করবে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। দীর্ঘদিন অর্থায়ন জটিলতায় আটকে থাকা প্রকল্পটি এখন গতি পাবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা। গতকাল রাজধানীর শেরেবাংলা নগরস্থ ইআরডি সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের পক্ষে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) ভারপ্রাপ্ত সচিব কাজী শফিকুল আযম এবং এডিবির পক্ষে কান্ট্রি ডিরেক্টর কাজুহিগো হিগুচি দুটি চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করেন। প্রকল্পের প্রথম পর্বের ফেজ-১ বাস্তবায়নে ২১ কোটি ডলার ওসিআর এবং ৯ কোটি ডলার সহজ শর্তে সিওএল ঋণ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।

চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে কাজী শফিকুল আযম বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে জানান, ২০১০ সালে প্রকল্পটি জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটিতে (একনেক) অনুমোদন দেওয়া হলেও এর অর্থায়ন নিশ্চিত না হওয়ায় এই প্রকল্প পিছিয়ে যায়। প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানান, প্রকল্পটির কিছু বিষয় সংযোজন করে সংশোধনী অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। রেললাইনটি আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করাসহ ভূমির অধিগ্রহণের ব্যয় বৃদ্ধি পাওয়ায় প্রকল্পের মেয়াদ ও ব্যয় বেড়েছে। ২০২২ সালের মধ্যে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের লক্ষ্য রয়েছে।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, প্রকল্পটিতে সবমিলিয়ে ৪টি কিস্তিতে ১৫০ কোটি ডলার ঋণ দেবে এডিবি। এর প্রথম কিস্তির অর্থায়নের জন্য গতকাল চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠিত হয়েছে। ঋণের এ অর্থায়নে দোহাজারী হতে রামু হয়ে কক্সবাজার পর্যন্ত ১০২ কি.মি. সিঙ্গেল লাইন ডুয়েলগেজ নতুন ট্রাক নির্মাণ করা হবে। এর ফলে পর্যটন শহর কক্সবাজারের সাথে রেলওয়ে সংযোগ স্থাপন হবে। একইসাথে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার করিডোরের সাথে ট্রান্স এশিয়ান রেলওয়ে করিডোর যুক্ত হবে। এডিবির ওসিআর ঋণ ৫ বছর রেয়াতকালসহ ২৫ বছরে পরিশোধ করতে হবে। সুদের হার লাইবর (লন্ডন আন্তঃব্যাংক সুদ হার) প্লাস শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ ও ম্যাচুরিটি প্রিমিয়াম শূন্য দশমিক ১ শতাংশ। সিওএল ঋণের সুদ হার ২ শতাংশ।
Link: http://www.ittefaq.com.bd/print-edition/trade/2017/06/22/204150.html

7
প্রাণ হাতে নিয়ে সড়কপথে লাখো ঈদযাত্রী
আব্দুল্লাহ আল মাছুম২২ জুন, ২০১৭ ইং
প্রাণ হাতে নিয়ে সড়কপথে লাখো ঈদযাত্রী
য খন এ লেখার প্রস্তুতি নিচ্ছি তখনো পত্রিকাগুলোর অনলাইন সংস্করণে ভাসছে ‘মাতুয়াইলে বাস উল্টে নিহত ২। তাদের একজন ৫ বছরের শিশু, অপরজন ২৭ বছরের যুবক। সংবাদটি হয়ত আপনাদের হূদয়ে সমবেদনার ঝড় তুলে দিয়েছে, কিন্তু আমার মধ্যে সামান্য ভাবাবেগও জন্মায়নি। ক্রোধ-হতাশায় ভরে থাকা হূদয়ে এখন সমবেদনা জায়গা করে নিতে পারে না। কারণ আমি জানি এ এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনা কোনো দুর্ঘটনার কাতারে পড়তে পারে না। নিয়মিত প্রায় প্রতিদিন যদি একই সড়কে দুর্ঘটনা ঘটে তবে তাকে আমি হত্যাই বলব।

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের যাত্রাবাড়ী থেকে নারায়ণগঞ্জের কাঁচপুর ব্রিজ পর্যন্ত আট কিলোমিটার সড়ক আট লেনের। আট লেন করা হয়েছিল যানজট থেকে মুক্ত হয়ে নিরাপদ সড়কের প্রত্যাশায় কিন্তু এখন আট লেনের মহাসড়ক যেন মৃত্যুকেই প্রশস্ত করছে। এ সড়কে আমি নিজেও গত বছরের অক্টোবরের ১৯ তারিখে দুমড়ে-মুচড়ে যাওয়া বাসের ভিতর থেকে আমার শরীরের ওপর পড়ে থাকা রক্তাক্ত দেহ সরিয়ে পৃথিবীতে ফিরেছিলাম। মহান আল্লাহর রহমতে সেদিন আমি বড় ধরনের আঘাত ছাড়া অলৌকিকভাবে বেঁচে গিয়েছিলাম। কিন্তু কয়বার এভাবে রক্ষা পাবো— যদি একই অভিশাপে পা দেই বারবার বাধ্য হয়েই।

এ আট লেনের মহাসড়কে মানুষ হত্যার সফল পসরা সাজানো হয়েছে। এ মহাসড়কে চলাচলকারী গুলিস্তান থেকে নারায়ণগঞ্জ/কাঁচপুরগামী বেপরোয়া ফিটনেসবিহীন (কতটা ভাঙাচোরা তা হয়তো কল্পনাও করতে পারছেন না) বাসগুলোতে কেউ তার শত্রুকেও স্বেচ্ছায় উঠিয়ে দিতে ভয় পাবেন। ঢাকা থেকে এ আট লেন ব্যবহারকারী গলাকাটা ভাড়ার লেগুনা, মিনিবাস, বাস চালাচ্ছে মাতাল কিশোররা। যাত্রী বোঝাই লেগুনা, বাস থামিয়ে প্রকাশ্যেই মাদক কেনা-বেচা করে তারা। অসহায় যাত্রীদের হাত-পা বাঁধা। বাড়িতে তো ফিরতে হবে, তাই নিশ্চিত কোনো না কোনো দুর্ঘটনা হবে জেনেই কলিজা হাতের মুঠোয় ভরে আল্লাহ আল্লাহ জপতে জপতে প্রতিদিন এ আট লেন পার করেন তারা। গণমাধ্যমে মাঝেমধ্যে শুধু ঘটনাস্থলে নিহত হলেই সংবাদ আসে। প্রতিদিনের দুর্ঘটনায় মৃত্যুর চেয়ে কষ্টে থাকা অসংখ্য আহত এবং হাসপাতালের বিছানায় পচতে পচতে পৃথিবী থেকে নিঃশেষ হওয়াদের হিসাব কেউ রাখে না।

প্রত্যাশার এ আট লেনের চার লেনই থাকে ওই ফিটনেসবিহীন ভাঙাচোরা মৃত্যুযানগুলোর পার্কিং, ময়লা আর হকারের দখলে। যার ফলে ঈদের সময়ের বাড়তি চাপে সাইনবোর্ড থেকে কাঁচপুর পর্যন্ত লেগে আছে তীব্র যানজট।

মহাসড়কের এ অবস্থা ঢাকা ছাড়ার সব রুটে একই রকম। টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার জামুর্কী থেকে গাজীপুরের চন্দ্রা, আব্দুল্লাহপুর থেকে ঢাকা-সিলেট সড়ক, সাইনবোর্ড থেকে কাঁচপুর অবরুদ্ধ হয়ে আছে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা সড়কে আটকে আছেন ঈদে ঘরমুখো যাত্রীরা। আমি বলব, আটকে থাকাই ভালো। ত্রুটিপূর্ণ সড়কে ফিটনেসবিহীন গাড়ির চাকা যখন ঘুরবে মাতাল, অদক্ষ, বিশ্রামহীন (জেলা সড়কগুলোতে অপ্রাপ্ত বয়স্ক ) চালকের ইশারায় তখন হয়তো আপনি বাড়ি ফিরবেন কিন্তু নিষ্প্রাণ হয়ে।

সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের মার্চের হিসাব অনুযায়ী সড়ক ও মহাসড়কের ১৬ হাজার ৬২১ কিলোমিটারের ৬ হাজার ২০৬ কিলোমিটার রাস্তার অবস্থা নাজুক। তার মধ্যে ২৫ দশমিক ৭৮ শতাংশ মহাসড়ক বেহাল এবং জেলা সড়কসহ ৩৭ দশমিক ৩৪ শতাংশ সড়ক ভাঙাচোরা। এ ভাঙাচোরা সড়কেই নামছে ঈদ উপলক্ষে স্বাভাবিকের চেয়ে কয়েকগুণ বেশি গাড়ি। গাড়ির চাপ সামাল দিতে অসহায় সরকার ঈদের আগে ও পরে তিন দিন করে মোট ৬ দিন মহাসড়কে পণ্যবাহী যান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করলেও সংশ্লিষ্টরা বুড়ো আঙুল দেখিয়েছেন চিরকাল।

মহাসড়কের এ পঙ্গপালের কোনো এক বাসে অসহায় অন্তরের বিষ নিয়েই নাড়ির টানে ছুটে চলা রাজধানীবাসী নির্ধারিত ভাড়ার অতিরিক্ত গুনেই টিকিট কিনে চড়ে বসবেন গন্তব্যে ফেরার তাগিদে। যানজট সৃষ্টিকারী সড়কের সকল অব্যবস্থার পাশাপাশি বাসটি আটকে থাকবে বছরের অন্য দিনগুলোর মতো টোল প্লাজাগুলোতে গাড়ি থামিয়ে রেখে টোল আদায় করার দীর্ঘ জটে।

যানজটের যত ভয়ঙ্কর মূর্তিই আপনি দেখেন না কেন আপনি হাসতে পারবেন অনিচ্ছায় হলেও। কিন্তু আপনার কলিজার রক্তপ্রবাহ থেমে যাবে যদি গত বছরের ঈদুল ফিতরের সড়ক দুর্ঘটনার পরিসংখ্যানের খোঁজ নেন। গত বছরের ঈদুল ফিতরে সড়ক দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান ১৯৬ জন। হাসপাতালের বিছানায় নিঃশেষ হওয়া এবং আহতদের কথা নাই-বা বললাম। হাজার কোটি টাকার পদ্মা সেতু দিয়ে কী হবে যদি রাজপথে রক্তাক্ত হয়ে পড়ে থাকতে হয়?

সকল দুশ্চিন্তা, হতাশা, ভয়, অনিশ্চয়তা, ভোগান্তি, হয়রানি মাথায় নিয়ে শিকড়ে ঈদ করার প্রত্যাশায় কর্মস্থল ঢাকা ছাড়বেন হাজারো ঈদযাত্রী। জাবির রানা-আরাফাতকে যদি ঘাতক এ মহাসড়ক এক মাস আগে আসল শিকড় মাটিতে পৌঁছে না দিত হয়তো তারাও আজ এ ঝামেলা মাথায় নিয়ে বাড়ি ফেরার প্রস্তুতি নিতেন। রানা-আরাফাতের পরিবার-পরিজন যেমনি অনিশ্চিত মৃত্যুর ভয় থেকে কোনো দিন মুক্তি পাবে না, তেমনি এবারের ঈদেও ঘরমুখো হাজারো নিষ্পাপ যাত্রী ঘাতকের চোয়ালে বসে বাড়ির পানে ছুটবেন। ভাগ্য সুপ্রসন্ন হলে হয়তো হাসতে হাসতে বাড়ির উঠানে দাঁড়াবেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, এ হাসিগুলো থেমে যাওয়ার আগে আমাদের দিকে কি একটু তাকাবেন না? আপনার কঠোরতাই পারে কিছু অসহায়ের জীবন প্রদীপ জ্বালিয়ে রাখতে।

n লেখক :শিক্ষার্থী, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
http://www.ittefaq.com.bd/print-edition/drishtikon/2017/06/22/204211.html

8
দেশে মোবাইলফোন ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১৩ কোটি
২২ জুন, ২০১৭ ইং
দেশে মোবাইলফোন ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১৩ কোটি
দেশে বর্তমানে মোবাইলফোন ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১৩ কোটি ৩১ লাখ ১৪ হাজার ২শ’৬ জন। জানালেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম। গতকাল জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত আসনের সাংসদ দিলারা বেগমের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান। তারানা হালিম বলেন, দেশে মোবাইলফোন ব্যবহারকারীর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ইন্টারনেটের গ্রাহকও। বর্তমানে দেশে ৭ কোটি ৭৭ হাজার ৯শ’৬৯ জন ইন্টারনেট ব্যবহরার করেন। তিনি আরো বলেন, মোবাইলে ফোনের কলরেটের সর্বনিম্ন অবস্থানের দিকেও দ্বিতীয় অবস্থানে আছে বাংলাদেশ। বর্তমানে সর্বনিম্ন ২৫ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ দুই টাকা কলরেট নির্ধারিত রয়েছে। প্রয়োজনে মোবাইল ফোনের কলরেট আরো কমানো যেতে পারে। অন্যদিকে সরকারি দলের সাংসদ সুকুমার রঞ্জনে ঘোষের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, চলতি অর্থবছরের ১ জুলাই থেকে ১০ জুন পর্যন্ত সময়ে মোবাইলফোন কোম্পানিগুলো মোট ৮শ’৫৫ কোটি ১ লাখ টাকা রাজস্ব দিয়েছে। এরমধ্যে গ্রামীণফোন সর্বোচ্চ ৪শ’ ৩০ কোটি ৯৯ লাখ টাকা দিয়েছে। গেলো অর্থবছরে (২০১৫-২০১৬) তারা রাজস্ব দিয়েছিল ৫শ’২৮ কোটি ৮৪ লাখ টাকা। রাজস্ব দেয়ার তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে আছে রবি আজিয়াটা লিমিটেড। প্রতিষ্ঠানটি ২শ’২১ কোটি ৭০ লাখ রাজস্ব দিয়েছে। এর পরের অবস্থানে যথাক্রমে আছে বাংলালিংক ডিজিটাল কমিউনিকেশন্স লিমিটেড ১শ’৬১ কোটি ৩৬ লাখ টাকা, এয়ারটেল বাংলাদেশ লিমিটেড ১৪ কোটি ৮৬ লাখ টাকা, প্যাসিফিক বাংলাদেশ টেলিকম লিমিটেড ১১ কোটি চার লাখ টাকা এবং টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেড ১৫ কোটি ৬ লাখ টাকা।                                                                        n তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক                                                       
http://www.ittefaq.com.bd/print-edition/it-corner/2017/06/22/204138.html

9
লাইলাতুল কদর ও জুমাতুল বিদা
২২ জুন, ২০১৭ ইং
আজ ২৬ রমজান দিবাগত রাত্রিটি সারা মুসলিম বিশ্বে লাইলাতুল কদর হিসাবে উদযাপিত হয়। এই রাত্রি মুসলিম উম্মাহর শ্রেষ্ঠত্বের পরিচায়ক। কেননা অন্যান্য নবী-রাসূলের উম্মতরা দীর্ঘ জীবনে যত পুণ্য অর্জন করিতেন, উম্মতে মুহাম্মদী এই ক্ষেত্রে এক রাত্রির ইবাদতেই তাহাদের চাইতে অধিক সওয়াবের অধিকারী হইয়া থাকেন। এখানে লাইলাতুন অর্থ রাত্রি আর কদর অর্থ মর্যাদা বা সম্মান। অর্থাত্ লাইলাতুল কদর মানে মর্যাদাবান বা মহিমান্বিত রাত্রি। এই রাত্রি মহিমান্বিত হইবার প্রধান কারণ হইল এই রাত্রে নাজিল করা হইয়াছে সর্বশেষ আসমানি কিতাব কোরআনুল কারীম। এই রাত্রে সম্পূর্ণ কোরআন আল্লাহতাআলা ‘লাওহে মাহফুজ’ হইতে বাইতুল-ইজ্জাতে (মহামহিম ভবনে) অবতীর্ণ করেন। ইহার অবস্থান পৃথিবীর নিকটবর্তী আকাশে। অতঃপর বিভিন্ন পরিস্থিতির ভিত্তিতে আল-কোরআনের বিভিন্ন অংশ ২৩ বছর ধরিয়া আল্লাহতাআলা নাজিল করেন। দ্বিতীয়ত পবিত্র কোরআনে ‘কদর’ নামে একটি স্বতন্ত্র সূরাই নাজিল করা হইয়াছে যেখানে এই রাত্রির বিস্তারিত বিবরণ রহিয়াছে। বলা হইয়াছে, লাইলাতুল কদরি খয়রুম মিন আলফি শাহর। অর্থাত্ লাইলাতুল কদর সহস্র মাস হইতে উত্তম। অন্য কোনো রাত্রি সম্পর্কে এমন গৌরবজনক কোনো কথা বলা হয় নাই।

লাইলাতুল কদরে ইবাদত-বন্দেগীর কল্যাণে একজন নগণ্য মানুষও আল্লাহর দৃষ্টিতে মর্যাদাসম্পন্ন ব্যক্তি হইতে পারেন। এখানে বিস্ময়কর ব্যাপার হইল, এই রাত্রির ইবাদত কত হাজার মাস অপেক্ষা উত্তম তাহা স্পষ্ট করিয়া বলা হয় নাই। তাহার পরও যদি কমপক্ষে এক হাজার মাস ধরা হয়, তাহা হইলে হিসাবে তাহা হয় ৮৩ বত্সর চার মাস। একজন সাধারণ মুসলমান গড়ে দৈনিক সোয়া একঘণ্টা ইবাদতে কাটাইলে আশি বত্সরের জীবদ্দশায় সর্বসাকুল্যে তিনি এক হইতে দেড় বত্সর কাল ইবাদতে কাটাইতে পারেন। কিন্তু এই রাত্রির ইবাদতের দ্বারা নিরবচ্ছিন্নভাবে ৮৩ বত্সর চার মাসের ইবাদতের সওয়াব লাভ করা যাইবে যাহা একটি সুবর্ণ সুযোগ ও আল্লাহর রহমতই বটে। এইজন্য বুখারি ও মুসলিম শরীফের একটি হাদিস অনুযায়ী যে ব্যক্তি সওয়াবের নিয়তে লাইলাতুল কদরে দণ্ডায়মান থাকে তথা ইবাদত করে, আল্লাহ তাহার অতীতের সমস্ত গুনাহ-খাতা মাফ করিয়া দেন। তাহা ছাড়া হযরত ইবনে আব্বাসের (রা) বর্ণনা মতে, শবে বরাতে আল্লাহ এক বত্সরের জন্য বান্দার রুজি-রিজিক, হায়াত-মাউত ও অন্যান্য তকদীরী ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন, আর লাইলাতুল কদরে সেই সকল সিদ্ধান্তের প্রয়োগ ও রুজি-রিজিক প্রভৃতি সরবরাহের দায়িত্ব আল্লাহ সংশ্লিষ্ট ফিরিশতাদের হাতে তুলিয়া দেন (কুরতুবি)। তাই নফল নামাজ আদায়, কোরআন তিলাওয়াত, জিকির-আজকার, তাসবিহ-তাহলিল, দরূদ শরীফ পাঠ, দান-সদকা ইত্যাদির মাধ্যমে ধর্মপ্রাণ মুসলমানগণ এই রাত্রিটি উদযাপন করিয়া থাকেন।

অন্যদিকে কয়েক বত্সর ধরিয়া লাইলাতুল কদর ও জুমাতুল বিদা বলিতে গেলে হাত ধরাধরি করিয়া আসিতেছে। এই বত্সর আগামীকাল শুক্রবারই পালিত হইবে এই দিবসটি। জুমাতুল বিদা অর্থ মাহে রমজানের শেষ জুমা বা শুক্রবার। জুমার দিন দোয়া কবুলের দিন। আর জুমাতুল বিদা হইতেছে সকল জুমার শ্রেষ্ঠ জুমা। তাহা ছাড়া যেহেতু রহমত, মাগফিরাত ও নাজাতের মাস মাহে রমজানের বিদায় অত্যাসন্ন, তাই এই দিনে নিজের পাপরাশি মাফ করিয়া নেওয়ার একটি সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা থাকে। এই দিনটি আবার মুসলিম জাহানে কুদস দিবস হিসাবেও পালিত হয়। সব মিলাইয়া লাইলাতুল কদর ও জুমাতুল বিদা আমাদের সম্মুখে পুণ্যের এক মহা সমারোহ ও গুনাহ মাফের অফুরন্ত সুযোগ আনয়ন করিয়া থাকে। তাই এই অপূর্ব সুযোগের সদ্ব্যবহার করাটাকেই মুমিন-মুসলমানগণ তাহাদের দায়িত্ব জ্ঞান করিয়া থাকেন।
Link: http://www.ittefaq.com.bd/print-edition/editorial/2017/06/22/204202.html

10
কাতার নিয়ে অস্থির রাজনীতি
মধ্যপ্রাচ্য
শিল্পী রহমান
গত ৫ জুন সকালবেলা সৌদি আরব, ইউনাইটেড আরব এমিরেটস, বাহরাইন এবং ইজিপ্ট মিলে কাতারের সঙ্গে সব কূটনৈতিক বন্ধন ছিন্ন করে দিল। কারণ তারা বিশ্বাস করে, কাতার বিভিন্ন সন্ত্রাসীকে টাকা দিয়ে পুষছে, তাদের আশ্রয় দিয়েছে। কাতার এর বিরুদ্ধে সৌদি দলের সঙ্গে আরও যোগ দিল ইয়েমেন, মালদ্বীপ এবং লিবিয়া। আর এদের সবাইকে ইন্ধন জোগাচ্ছে আমেরিকা। ২২ মে ট্রাম্প সৌদি রাজার সঙ্গে মোলাকাত করে ফিরেছেন। আর ৫ জুন কাতারের ওপরে এই অত্যাচার শুরু।
নির্দেশ দেওয়া হলো- এই কয়টা দেশের যেসব মানুষ কাতারে কাজ করত তাদের সবাইকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে কাতার ছেড়ে নিজের দেশে ফিরতে হবে। আবার কাতারিদের মধ্যে যারা ওইসব দেশে আছে তাদেরকেও ১৪ দিনের মধ্যে ওদের দেশ ছেড়ে কাতারে ফেরত আসতে হবে। আমার পরিচিত এক বন্ধুর অফিসে ৫ জন বাহরাইনি কাজ করত। তারা সঙ্গে সঙ্গে কাতার ছেড়ে ফিরে গেছে তাদের দেশে। আমার স্বামীর অফিসে প্রচুর ইজিপশিয়ান কাজ করে; কিন্তু তারা কেউ ফেরত যায়নি এখনও। অপেক্ষা করছে ব্যাপারটা আসলে কতদূর গড়ায় সেটা বোঝার জন্য। কারণ আমি যত ইজিপশিয়ানকে এখানে দেখেছি, এরা কেউই নিজের দেশে ফিরে যেতে চায় না ওদের দেশে দুর্নীতির কারণে। আমাদের খুব কাছের এক ইজিপশিয়ান বন্ধু তার ছোট ভাইয়ের বিয়েতে দেশে যাবে; সারা বছর আমাকে সেই আনন্দের গল্প বলেছে। কিন্তু এই ঝামেলায় ও দেশে যেতে পারছে না- এ কথা বলার সময় ওর চোখ ছলছল করে উঠল।
খবর এলো, সব রকমের খাবার সরবরাহ বন্ধ হয়ে যাবে। কারণ কাতারে আমরা যেসব খাবার কিনি তার বেশিরভাগই আসে এই পার্শ্বর্বর্তী দেশগুলো থেকে। কিছু আসে ভারত, বাংলাদেশ, পাকিস্তান থেকে। কিন্তু বেশিরভাগ দ্রব্যই আসে প্রতিবেশী দেশগুলো থেকে। ওরা যদি না দেয় তাহলে তো খাবারের কমতি পড়বেই। সবাই বলাবলি করতে লাগল, আমাদের খাবার কিনে রাখা উচিত। প্রথমে কেনাকাটা করার কথা ভাবতেই পারছিলাম না। সত্যি সত্যিই কি এমন একটা অবস্থায় এসে পড়েছি আমরা? আমার বাসার কাছেই শপিং সেন্টার, হেঁটেই যাওয়া যায়। শপিং সেন্টারে গিয়ে ভাবছি, কী কেনা যায়? টুকটাক কিছু কিনে বাড়ি ফিরলাম। ততক্ষণে পুরো কাতারে সব দোকানপাটে মানুষের ভিড়। বাজারে মুরগি শেষ হয়ে গেল কয়েক ঘণ্টার মধ্যে। দুধ শেষ হয়ে গেল। কেমন একটা যুদ্ধ যুদ্ধ ভাব!
এটা গেল প্রথম দিনের ঘটনা। ঘণ্টায় ঘণ্টায় পরিস্থিতি পরিবর্তন হচ্ছে। এই টেকনোলজির যুগে খবর পাওয়া কোনো ব্যাপার না। কিন্তু এর পরই ইউনাইটেড আরব এমিরেটসের নিষেধাজ্ঞা এলো- তার দেশের কেউ যদি কাতারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে কিছু বলে, তাহলে তাদের ৫০০,০০০ দিরহাম (ইউএই মুদ্রা) জরিমানা করা হবে; সেই সঙ্গে ১৫ বছরের জেল।
প্রতিদিন শত শত প্লেন আসত ফ্লাই দুবাই, এমিরেটস, ইতিহাদ এবং ইজিপ্ট এয়ারলাইন্স থেকে। সব বন্ধ করে দিল। যাত্রীদের দুর্ভোগের আর সীমা রইল না। আকাশপথ অবরুদ্ধ করে দেওয়ায় কাতার এয়ারওয়েজের অনেক সমস্যা হচ্ছে। তবু তারা প্লেন বন্ধ করেনি। কাতারের চারপাশ ঘিরেই এ দেশগুলোর অবস্থান। আকাশপথ বন্ধ করে দেওয়ায় এ দেশ থেকে বের হওয়ার পথগুলো সীমিত হয়ে গেছে। কাতার থেকে উড়ে সরু পথে ইরানের আকাশপথে ঢুকে, অনেকটা পথ ঘুরে এই প্লেনগুলোকে বের হতে হচ্ছে।
এর মধ্যে ইরানে গোলাগুলি হলো, মানুষ মারা গেল, ওদিক থেকে তুরস্ক তাদের ট্যাংক পাঠিয়ে দিল কাতারের দিকে বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দিয়ে। তখন উত্তেজনা আরও বেড়ে গেল। এত ছোট একটা দেশ, মনে হলো যে কোনো সময় কাতারের ওপরে একটা বম্ব ছেড়ে দিলেই কাতার শেষ হয়ে যাবে।
আমাদের বন্ধুদের মধ্যে কথা চলছে। একেকজন একেক রকম বুদ্ধি বের করছে। আমি এবং আমার স্বামী সিদ্ধান্ত নিলাম, বের হওয়ার অনুমতিটা নিয়ে রাখি। যদি বের হওয়ার সুযোগ পাই তখন যেন সেই অনুমতি নিয়ে দুশ্চিন্তা না হয়। তখনই ভাবনাটা এসেছিল- কী নেব সঙ্গে? আমার মনে হয়েছিল, আমি আমার ল্যাপটপটা সঙ্গে নেব। ওটা ভর্তি আমার সব লেখা। এই ব্যাগ গোছানোর কথা ভাবার সঙ্গে সঙ্গে মনে হলো, এই দেশটার প্রতি একটা মায়া জন্মে গেছে। এদের বিপদে এমন করে নিজে পালিয়ে বাঁচব? আমি মাত্র কয়েক বছর ধরে কাতারের সঙ্গে বন্ধন স্থাপন করেছি, তাতেই এই মায়া। কিন্তু এখানে যাদের জন্ম হয়েছে এটা তো তাদের জন্মভূমি। যারা ৫০-৬০ বছর ধরে এখানেই বসবাস করছে, এটা তো তাদেরও দেশ হয়ে গেছে এখন। তারা কি পারবে ছেড়ে যেতে?
কেন এমন একটা পরিস্থিতিতে পড়ল কাতার? কাতারের প্রতি নজর অনেকেরই। কারণ এই ছোট দেশটি তরতর করে ওপরে উঠে যাচ্ছে- এটা কারও সহ্য হচ্ছে না। সৌদির দাসত্ব মেনে নিলে, ওদের কথামতো চললে আর এসব ঝামেলা হতো না। কিন্তু কাতার কেন সেটা করবে? এরা কারও সাতে-পাঁচে নেই। কারও কোনো কিছুতে নাক গলায় না; নিজেই বেড়ে উঠছে, যেটা কিনা অন্যের ঈর্ষার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সেই ১৯৯১ থেকে ২০১৭ পর্যন্ত বিভিন্নভাবে কাতারকে কোণঠাসা করার চেষ্টা চলছে। ১৯৬৫ সালে কাতার ও সৌদির মধ্যে একটা বর্ডার এগ্রিমেন্ট হয়। কিন্তু ১৯৯২তে সৌদি সেই বর্ডার ঠেলে ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করে। ফলত বেশ কিছুটা কাতারের অংশ সৌদি নিয়ে নেয়। সৌদির এই আগ্রাসনের আগে কাতারে আরব আমিরাত ও সৌদির বর্ডার ছিল। কাতারের বেশ কিছুটা তখন সৌদি দখল করে নেওয়াতে আরব আমিরাতের অংশটা বাদ পড়ে যায়। সে কারণে এখন স্থলপথে শুধু সৌদির সঙ্গেই কাতারের বর্ডার বিদ্যমান।
কাতারকে ছোট মনে করা ভুল হবে ওদের। আকারে ছোট হলেও এরা খুবই শক্ত। একা একাই অনেক কিছু অর্জন করেছে এরা। কাতারের প্রাক্তন আমিরের স্ত্রী, শেখা মউজার বদৌলতে পুরো মধ্যপ্রাচ্যের মধ্যে শ্রেষ্ঠ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে এখানে। গত ৮ বছরে আমি নিজের চোখে কাতারের উন্নতি দেখেছি, সত্যিই প্রশংসার যোগ্য। কিন্তু সেটা আমার চোখে, অন্যের সেটা গাত্রদাহের কারণ। আলজাজিরার পেছনেও লেগেছে। কারণ একমাত্র আলজাজিরাই বোধহয় সত্য কথা বলার সাহস রাখে। বিভিন্ন দেশে আলজাজিরার সমর্থক এতই বেড়ে চলেছে যে, সিএনএন, বিবিসির মতো বাঘা বাঘা টিভি চ্যানেল ও আলজাজিরার কাছে হার মানছে। তাই এটাও বন্ধ করে দিলে ওদের সুবিধা হয়। এটাও কাতার মেনে নেয়নি।
রাজনৈতিক আশ্রয় তো পৃথিবীর সব দেশেই হয়। বিভিন্ন দেশের রাজনৈতিক নেতারা এই অনুমতির জন্য দরখাস্ত করে এবং সেই দরখাস্ত একটি সুনির্দিষ্ট প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নির্বাচন করা হয়। কাতার ইজিপ্ট থেকে বিতাড়িত 'মুসলিম ব্রাদারহুড' এবং গাজা থেকে বিতাড়িত 'হামাস'কে রাজনৈতিক আশ্রয় দিয়েছে। এরা কেউই সন্ত্রাসী নয়। এরা এসব দেশে ভোটে নির্বাচিত রাজনৈতিক দল ছিল। যেহেতু কাতার ফিলিস্তিনিদের মধ্যে কিছু নেতৃস্থানীয় মানুষকে আশ্রয় দিয়েছে, এটাতে ইসরায়েল অসন্তুষ্ট। এই এটার সঙ্গে আরেকটা সূত্র ধরে কাতারের সঙ্গে শত্রুতা শুরু করেছে এরা। কিন্তু সত্যি এটাই কি মূল কারণ?
২২ মে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এসে ইরানের বিরুদ্ধে ছয়টি (জিসিসি) দেশ নিয়ে একটি সম্মিলিত শক্তি গঠন করতে চেয়েছিলেন। কারণ ট্রাম্প মনে করেন, ইরান পৃথিবীর সব সন্ত্রাসীকে সমর্থন করে, যেটাতে কাতার সহমত প্রকাশ করেনি। ইরানের সঙ্গে কাতারের কোনো শত্রুতাও নেই। অকারণে সহমত হবেই-বা কেন? সেই থেকে কাতার হয়ে গেল আমেরিকারও শত্রু। এখন সবাই মিলে লেগেছে কী করে কাতারের বর্তমান আমিরকে সরিয়ে তাদের পছন্দমতো একজন আমিরকে বসাবে, যাতে তাকে ইচ্ছামতো চালাতে পারে।
আরও কিছু ঈর্ষার কারণ হলো- কাতারে মানুষের গড়প্রতি আয় পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি। এখানকার হামাদ এয়ারপোর্ট ঞযব ভরহবংঃ ধরৎঢ়ড়ৎঃ রহ ঃযব ড়িৎষফ টাইটেল পেয়েছে। কাতার দ্বিতীয় বৃহত্তর গ্যাস সরবরাহকারী। ৪৫ শতাংশ গ্যাস যায় কাতার থেকে। ১৫ বিলিয়ন ব্যারেল তেল আছে, যা ৪০ বছর চলবে। ৯০০ ট্রিলিয়ন কিউবিক মিটার গ্যাস আছে, যা ১৪০ বছর চলবে। ২০২২ সালে ওয়ার্ল্ড কাপ অনুষ্ঠিত হবে। মানবিক উন্নতি, উন্নত ইন্টারনেট, খাবারের নিরাপত্তা- এসবই অন্যের ঈর্ষার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে এখন।
সারাজীবনের সঞ্চয় দিয়ে যে দেশে পৃথিবীর মুসলমানরা হজ করতে যায়, সেই দেশ থেকে হুলিয়া জারি হলো_ ওরা কাতারের কাউকে হজ করতে ভিসা দেবে না। এই অন্যায়ের কী জবাব? কোথায় ধর্ম, কোথায় মনুষ্যত্ব? মন ভেঙে যায় সত্যি! কবে থামবে এই পৃথিবী? সেই ছোটবেলায় ফিরে যেতে মন চায়, যখন সবাই মিলেমিশে ছিলাম, ভালোবেসে ছিলাম। কোনো রক্তপাত ছিল না, ধর্ম নিয়ে রাজনীতি ছিল না। আমার প্রতি ওয়াক্তের নামাজে একটাই প্রার্থনা- পৃথিবীতে শান্তি ফিরিয়ে দাও; শান্তি চাই আবার।
অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী
http://bangla.samakal.net/2017/06/22/302842#sthash.f1i1qHa9.dpuf

11
ব্রিটিশ 'শাসন' ব্রিটেন 'শাসন'
মাহফুজুর রহমান মানিক
ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ১৬১২ সালে ভারতে প্রথম বাণিজ্য কুঠি স্থাপনের মধ্য দিয়ে ভারতীয় উপমহাদেশে ইংরেজদের আগমন। ১৭৫৭ সালে পলাশীর যুদ্ধ ও ১৭৬৪ সালে বক্সারের যুদ্ধের মাধ্যমে এখানে তাদের কলোনি শাসন কায়েম হয়। ১৯৪৭ সালে পাকিস্তান-ভারত প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে এখানে সে শাসনের অবসান হয়। কেবল ভারতীয় উপমহাদেশই নয়, ষোড়শ থেকে আঠারশ শতকে বিশ্বের সবচেয়ে বড় কলোনি ব্রিটিশ উপনিবেশ। বর্তমানে বিশ্বে ৫২টি দেশ কমনওয়েলথভুক্ত। এ দেশগুলোর অধিকাংশই ছিল ব্রিটিশ শাসনের অধীনে। ১৯৪৫ সাল থেকে ধীরে ধীরে ব্রিটেন কলোনি শাসন থেকে বের হতে থাকে। এর ফলেই ১৯৪৭ সালে পাকিস্তান-ভারত স্বাধীনতা লাভ করে। আর দক্ষিণ রোডেশিয়া ছিল ব্রিটেনের সর্বশেষ উপনিবেশ, যা ১৯৮০ সালে জিম্বাবুয়ে হিসেবে স্বাধীন হয়।
৮ জুন অনুষ্ঠিত হয় ব্রিটেনের মধ্যবর্তী নির্বাচন। এ নির্বাচনে ভারতীয় উপমহাদেশ তথা বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানের বংশোদ্ভূত ২৭ জন সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। বাংলাদেশের তিনজন আর পাকিস্তান ও ভারতের নির্বাচিত হয় ১২ জন করে। ব্রিটিশ হাউস অব কমন্সের ৬৫০ জন সংসদ সদস্যের মধ্যে এ সংখ্যাটি একেবারে মামুলি নয়। তবে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, এক সময় ব্রিটিশরা আমাদের শাসন করত আর এখন আমরা সেখানে গিয়ে তাদের শাসনকার্যের অংশ হয়ে উঠেছি। এটা অবশ্য একদিনে হয়ে ওঠেনি। হয়তো ব্রিটেনের সঙ্গে 'ঐতিহাসিক' সম্পর্কের কারণে সেখানে যাতায়াত সহজ হয়েছে। এ উপমহাদেশ থেকে অনেকে গিয়ে ব্রিটেনে স্থায়ীভাবে বসবাস করেছে। অনেকে তাদের রাজনীতিতে সম্পৃক্ত ও সক্রিয় হয়েছে। সেখানকার সমাজ ও মানুষের আস্থা অর্জন করেছে। মানুষ তাদের ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছেন।
বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত টিউলিপ সিদ্দিক, রুশনারা আলী ও রুপা হক কেবল এবারই ব্রিটেনের সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হননি, ২০১৫ সালেও এ 'তিন কন্যা' ব্রিটেনের মানুষের মন জয় করে হাউস অব কমন্সে জায়গা করে নিয়েছিলেন। তাদের সাফল্যের ধারা অব্যাহত রয়েছে। লন্ডনের হ্যাম্পসেটড অ্যান্ড কিলবার্ন আসন থেকে টানা দ্বিতীয়বারের মতো নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাতনি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বোন শেখ রেহানার বড় মেয়ে টিউলিপ। লন্ডনের ইলিং সেন্ট্রাল অ্যান্ড অ্যাকটন আসন থেকে দ্বিতীয়বারের মতো জয় পেয়েছেন পাবনার মেয়ে ও যুক্তরাজ্যের কিংসটন ইউনিভার্সিটির শিক্ষক রুপা হক। এ ছাড়া লন্ডনের বাঙালি অধ্যুষিত টাওয়ার হ্যামলেটসের বেথনাল গ্রিন অ্যান্ড বো আসনে তৃতীয়বারের মতো নির্বাচিত হয়েছেন সিলেটের মেয়ে রুশনারা আলী।
এটা অবশ্য ঠিক- বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান বা এ উপমহাদেশেরই নয় হয়তো অন্যান্য দেশের বংশোদ্ভূতরাও ব্রিটেনের সংসদ সদস্য হয়েছেন, যারা এক সময় ব্রিটেনেরই উপনিবেশ ছিল। তবে তাদের চিন্তা-চেতনায় নিশ্চয়ই ব্রিটেনের উন্নয়ন, সেখানকার মানুষের সেবাই প্রধান। এক সময় ব্রিটেনের অধীনে ছিল বলে সে আক্রোশ তাদের থাকার কথা নয়। ব্রিটেনের পরিবেশও উন্মুক্ত হয়েছে। অন্যান্য দেশের মানুষ তাদের যোগ্যতাবলে সেখানে থাকতে পারছে, কাজ করতে পারছে। সর্বোপরি রাজনীতিও করতে পারছে। যদিও আমাদের দেশে সে সুযোগ নেই। অন্য দেশের কোনো নাগরিক ৩০-৪০ বছর বাংলাদেশে বসবাস করলেও তার ভোটে দাঁড়ানোর অধিকার নেই।
যা হোক, ব্রিটিশদের সময়ে স্বাভাবিকভাবেই ঔপনিবেশিক শাসনের বিরুদ্ধে মানুষ আন্দোলন করেছে। ব্রিটিশদের শাসন-শোষণের বিরুদ্ধে এখানে হয়েছে ব্রিটিশ খেদাও আন্দোলন ও সশস্ত্র সংগ্রাম। এখন সেই ব্রিটিশ সংসদেই ব্রিটেন শাসনের অংশ হয়ে উঠছি আমরা! সে সময় আর এ সময়। ইতিহাস তার নিজ গতিতেই পাল্টায়।
mahfuz.manik@gmail.com
 http://bangla.samakal.net/2017/06/22/302843#sthash.judnN8lf.dpuf

12
স্বাস্থ্যই সুখের চাবিকাঠি ফিটনেস Published : 2017-06-13 17:03:00, Count : 308 ফিটনসে ডেস্ক: আপনার জীবন কতটা আনন্দময় হবে তা নির্ভর করে আপনার শারীরিক সুস্থতার ওপর। সুস্থতা শব্দটি আপনার জন্য তখনই সহজ হবে যখন আপনি নিয়মিত জীবনযাপন করবেন। বাংলায় একটি প্রবাদ আছে, সু-স্বাস্থ্যই সকল সুখের মূল।  এই কথাটি আমরা কমবেশি সবাই জানি, কিন্তু কয়জন পারেন নিজেকে সুস্থ রাখতে? আদিকাল থেকে মানুষ সুস্থ থাকার জন্য কত কিছু করে আসছেন। কিন্তু কিছু কিছু মূল বিষয় আছে, যা মেনে চললে আমরা সহজেই সুস্থ থাকতে পারি। চলুন এমন কিছু সু-স্বাস্থ্য বটিকা নিয়ে আলোচনা করা যাক। ঘুম : প্রতিদিন আমাদের ন্যূনতম ছয় ঘণ্টা ঘুমানোর অভ্যাস করার প্রয়োজন। কারণ ছয় ঘণ্টা ঘুমানো একজন সাধারণ মানুষের শরীরকে সুস্থ রাখার জন্য জরুরি। বেশি রাত করে না ঘুমিয়ে রাতের খাবারের দুই ঘণ্টা পর ঘুমিয়ে পড়ুন এবং ভোরে ঘুম থেকে ওঠার চেষ্টা করুন।  প্রথমে একটু কষ্ট হলেও পরে এটাকে ধীরে ধীরে অভ্যাসে পরিণত করার চেষ্টা করুন। শারীরিক ব্যায়াম : প্রতিদিন কমপক্ষে আধাঘণ্টা শারীরিক ব্যায়াম করুন। আর ব্যায়াম করার সবচেয়ে উপযুক্ত সময় হচ্ছে সকাল বেলা। তবে বিশেষ কারণে প্রতিদিন সকালে শরীরচর্চা সম্ভব না হলে প্রতিদিন বিকেলে হাঁটার অভ্যাস করতে পারেন। আজকাল স্বাস্থ্যসচেতন অনেক নারী-পুরুষকে জিমে যেতে দেখা যায়।  তবে জিমের যন্ত্রপাতি ব্যবহারে প্রশিক্ষকের পরামর্শ মেনে চলা উচিত। শারীরিক ব্যায়াম আপনাকে নিচের বিষয়গুলোর ক্ষেত্রে সাহায্য করবে : ১। ভালোভাবে ঘুমাতে পারবেন। ২। সচল থাকবেন। ৩। মজবুত হাড় এবং শক্তিশালী পেশি গড়ে তুলতে পারবেন। ৪। ওজন ঠিক রাখতে অথবা ওজন সঠিক মাত্রায় নিয়ে আসতে পারবেন। ৫। বিষণ্নতা রোগের ঝুঁকি কমাতে পারবেন। ৬। অকাল মৃত্যুর ঝুঁকি কমাতে পারবেন। খাবার : সকালের খাবারের তালিকায় রাখুন রুটি এবং সবজি। তবে সঙ্গে ফল থাকলেও সমস্যা নেই। শাক-সবজি ও ফলমূল বেশি পরিমাণে খাবেন। সব ধরনের ফাস্টফুড ও তৈলাক্ত খাবার থেকে বিরত থাকতে চেষ্টা করুন। কারণ এগুলো আপনার স্বাস্থ্য ঝুঁকি বাড়াবে। শর্করা জাতীয় খাবার কখনও বেশি পরিমাণে না খাওয়া ভালো। সপ্তাহে দুই দিনের বেশি মাংস না খাওয়াটাই স্বাস্থ্যসম্মত। অনেকে কোমল পানীয় পান করতে খুব পছন্দ করেন। এতে প্রচুর ফ্যাট থাকে। তাই কোমল পানীয় বেশি খাওয়া উচিত নয়। খাবার পানি : পানির অপর নাম জীবন। আর তাই এ ব্যাপারে সচেতন হওয়া আমাদের একান্ত প্রয়োজন। লক্ষ রাখুন যাতে পানীয় জল ও খাবার বাসনপত্র ধোয়ার অথবা রান্না করার পানি নিরাপদ উত্স থেকে আসে। কোনো কারণে যদি জল দূষিত হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে, তবে সেই পানি ব্যবহার করার আগে ফুটিয়ে নিন কিংবা ফিল্টার পদ্ধতির মাধ্যমে পানি পরিশোধন করে নিন। পানির ফিল্টারের ক্ষেত্রে গুণগত ও মানসম্পন্ন পানির ফিল্টার ব্যবহার করুন। ধূমপান পরিহার : উচ্চ রক্তচাপের সঙ্গে সরাসরি সম্পর্কিত না হলেও ধূমপান হূদরোগের জন্য একটি বড় ঝুঁকি। ধূমপান বিভিন্ন ধরনের জটিল রোগের কারণ। এর মধ্যে ফুসফুসজনিত রোগ, মস্তিষ্কজনিত রোগ অন্যতম। তাই ধূমপান করা থেকে বিরত থাকুন। মনে রাখবেন, স্বাস্থ্যই সকল সুখের মূল। আর সেই সুখটাকে ধরে রাখতে হলে অবশ্যই আপনার নিজের স্বাস্থ্যের যত্নের ব্যাপারে সচেতন হতে হবে। আপনার স্বাস্থ্যের যত্ন আপনাকেই নিতে হবে। আপনার স্বাস্থ্য এমন বিষয়গুলো দ্বারা প্রভাবিত হতে পারে যার ওপর আপনার হাত নেই। কিন্তু পরিস্থিতি যেমনই হোক না কেন উপরিউক্ত পরার্মশগুলোর মধ্যে কিছু পরামর্শ আপনি কাজে লাগিয়ে আপনি নিজেকে অনেকটাই সুস্থ রাখতে পারেন।###
See More at: http://www.shokalerkhobor24.com/news

13
Essential Employability Skills

1. Make habit to use Note Book regularly.
2. Set your career goal/plan.
3. Response in email or phone timely and rightly.
4. To be regular in Job Tracking and posting in diu Forum.
5. Active positively in Social Media.
6. Reporting System:Daily, weekly and Monthly
7. Proper Utilization of University Resources
8. Duty on 24/7
9. Keep google backup of all important documents.
10. To be a fully professional.

14
স্টার্টআপদের জন্য ফান্ডিংয়ে পলিসি হচ্ছে
প্রযুক্তি স্টার্টআপদের বড় প্রতিষ্ঠানে পরিণত করতে এবং তাদের ব্যবসায়িকভাবে রূপান্তর করতে যে ফান্ডিং করা হয় সে জন্য পলিসি তৈরি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। তিনি বলেন, আমরা ইতিমধ্যে ফান্ডিং পলিসি তৈরি করছি। হয়তো সময় লাগছে। কারণ একটা টেকসই পলিসি করতে সময় নিতে হয়েছে। পলক বলেন, তবে এটা ঠিক, সারা বিশ্বের কোথাও কিন্তু ভেঞ্চার ক্যাপিটালে সরকার কোনো রোল প্লে করে না। আমরা সেটি করছি, ভেঞ্চার ক্যাপিটালের মতো রোল প্লে করতে যাচ্ছি। যেহেতু আমাদের দেশে ভেঞ্চার ক্যাপিটাল প্রতিষ্ঠান সেভাবে গড়ে উঠেনি। বুধবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ের আইসিটি টাওয়ারে ‘ন্যাশনাল এক্সিবিশন ফর স্টার্টআপ বাংলাদেশ’ প্রতিযোগিতার মাধ্যমে স্টার্টআপদের বাছাই অনুষ্ঠানে ফান্ডিং নিয়ে পলিসি তৈরির কথা বলেন পলক। পলক বলেন, স্টার্টআপ একটি প্রতিষ্ঠানের জন্য কিন্তু শুধু দশ লাখ, ২০ লাখ বা এক কোটি টাকায় যথেষ্ট নয়। শুধু ফান্ডিং দিয়ে একটি স্টার্টআপকে ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে রূপান্তর করা যায় না। শুধু টাকা হলে দেশে এমন প্রতিষ্ঠানের অভাব থাকত না জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, শুধু টাকা হলে দেশে অসংখ্য স্টার্টআপ তৈরি হতো। কিন্তু স্টার্টআপ তো সেটি নয়। পলিসিতে ফান্ডিংয়ের বাইরেও মেন্টরিং, কোচিং, কো-ওয়ার্কিং স্পেস, এনভায়রনমেন্ট, নেটওয়ার্কিং, দেশি-বিদেশি বিভিন্ন প্রশিক্ষণের বিষয়গুলো, একজন মেন্টরের সঙ্গে ১০ জন নেটিভ কীভাবে কাজ করবে, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে কোলাবোরেশন কী হবে, কীভাবে ইন্টারন্যাশনাল কোলাবোরেশন হবে, নলেজ এক্সচেঞ্জ কীভাবে দরকার এসব পলিসিতে রয়েছে বলে জানান তিনি। পলক বলেন, এই কানেকশনগুলোর জন্য ওই পলিসিতে বিস্তারিত বিষয় রয়েছে। এমনকি স্টার্টআপদের কোন স্টেজে কী দরকার এমন সব নিয়ে এ পলিসি তৈরি করা হয়েছে। এটি এখন প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদনের জন্য পাঠানো হবে। ইনোভেশন এক্সিবিশনে মোট ১৭৮ স্টার্টআপ আবেদন করে। সেখান থেকে প্রাথমিকভাবে ৭৬ জনকে নির্বাচন করা হয়। যাদের মধ্যে ৬৩ জন ঢাকায় এবং ১৩ জন যশোরে।

সেখান থেকে চূড়ান্ত নির্বাচিত হয়েছে ২০ স্টার্টআপ। যারা গাজীপুরের কালিয়াকৈর হাইটেক সিটি এবং যশোরে শেখ হাসিনা সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্কে নিজেদের উদ্যোগ এগিয়ে নিতে বিনা মূল্যে ফ্লোর পাবে। এ ছাড়া বিজয়ীরা আইডিয়া প্রকল্পের পরবর্তী ধাপের জন্য নির্বাচিত হয়েছে। অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল, সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশ ওপেন সোর্স নেটওয়ার্কের সাধারণ সম্পাদক মুনির হাসান। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের নির্বাহী পরিচালক স্বপন কুমার সরকার। টেকশহর।
Link: http://www.allbanglanewspaperlist24.com/newspapers.php

15
টাকা-চাকরি পেলেন জাবির নিহত ২ শিক্ষার্থী পরিবার
টাকা-চাকরি পেলেন জাবির নিহত ২ শিক্ষার্থী পরিবারঅনুদানের টাকা ও চাকরির নিয়োগপত্র হস্তান্তর করছেন ভিসি অধ্যাপক ড. ফারজানা ইসলাম
সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত জাহাঙ্গীনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নাজমুল হোসেন রানা ও মেহেদী হাসান আরাফাতের পরিবারকে ৫ লাখ টাকা করে অনুদান দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও পুলিশ।

এছাড়া রানার বোন কামরুন নাহার কনা ও আরাফাতের বোন সোনিয়া আক্তারকে বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরি দেয়া হয়েছে।

বুধবার বেলা ১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট হলে ভিসি অধ্যাপক ড. ফারজানা ইসলাম উভয় পরিবারের কাছে টাকা ও চাকরির নিয়োগপত্র হস্তান্তর করেন।

রানার পিতা আবদুল কুদ্দুস এবং আরাফাতের পিতা জসীম উদ্দিন সরকার টাকা ও চাকরির নিয়োগপত্র গ্রহণ করেন।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও ঢাকা জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে এ টাকা প্রদান করা হয়।

গত ২৬ মে শুক্রবার ভোরে বিশ্ববিদ্যালয়ের মীর মশাররফ হোসেন হলের পার্শ্ববর্তী সিএন্ডবি এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হন রানা ও আরাফাত।
Link:http://www.allbanglanewspaperlist24.com/newspapers.php?q=jugantor.com

Pages: [1] 2