Daffodil International University

Faculties and Departments => Institutional Quality Assurance Cell (IQAC) => Topic started by: nafees_research on April 01, 2021, 12:33:59 PM

Title: স্টেম এডুকেশন: স্টেম শিক্ষা কী এবং চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের জন্য তা কেন এতো গুরুত্ব
Post by: nafees_research on April 01, 2021, 12:33:59 PM
স্টেম এডুকেশন: স্টেম শিক্ষা কী এবং চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের জন্য তা কেন এতো গুরুত্বপূর্ণ?

বিশ্বজুড়ে বর্তমানে শিক্ষার যে ধরণটি নিয়ে সবচেয়ে বেশি আলোচনা হচ্ছে, সেটি হলো স্টেম এডুকেশন। সায়েন্স, টেকনোলজি, ইঞ্জিনিয়ারিং এবং ম্যাথেম্যাটিকস - এই চারটি বিষয়ের আদ্যক্ষর মিলিয়ে সংক্ষেপে বলা হচ্ছে স্টেম এডুকেশন। উন্নত দেশগুলো মনে করছে, ভবিষ্যতে তাদের দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি ধরে রাখতে হলে হলে স্টেম এডুকেশন অতি প্রয়োজনীয় বিষয়। যেসব দেশ স্টেম এডুকেশনের উপর জোর দেবে তারাই ভবিষ্যতে এগিয়ে যাবে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।

স্টেম এডুকেশনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মাঝে জটিল সমস্যা সমাধানের মনোভাব ও দক্ষতা তৈরি হয়। বিজ্ঞান সম্পর্কে তাদের জানাশুনা তৈরি হয় এবং শিক্ষার্থীরা আবিষ্কারক ও উদ্ভাবক হয়ে উঠতে পারে। তবে শুধু পশ্চিমা দেশগুলোতেই নয়, ভারত এবং চীনের মতো দেশও তাদের শিক্ষা ব্যবস্থায় স্টেমকে গুরুত্ব দেওয়ার নানা উদ্যোগ নিয়েছে। স্টেম এডুকেশনের মূল লক্ষ্য হচ্ছে, চতুর্থ শিল্প বিপ্লব এবং একুশ শতকের জন্য জনবল গড়ে তোলা।

মানুষের জীবনে সব জায়গায় রয়েছে স্টেম শিক্ষার প্রভাব। যেমন, বিজ্ঞান ছাড়া সভ্যতা অচল। জীবনের প্রতিটি জায়গায় রয়েছে বিজ্ঞানের প্রভাব। পাশাপাশি মানব সভ্যতায় প্রযুক্তি ক্রম বিকাশমান। জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে রয়েছে প্রযুক্তির ছোঁয়া। একইভাবে প্রকৌশল এবং গণিতও একইভাবে গুরুত্বপূর্ণ। এই চারটি বিষয়কে সমন্বিতভাবে শেখার নামই হচ্ছে স্টেম শিক্ষা। এই শিক্ষার মূল বিষয়গুলো হচ্ছে:

* সৃজনশীলতা

* কোন কিছু খুঁজে বের করার দক্ষতা

* বিশ্লেষণ করা

* টিম-ওয়ার্ক

* যোগাযোগ

* ডিজিটাল জ্ঞান

* সমস্যার সমাধান করা

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় বা বুয়েটের ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. ফারসীম মান্নান মোহাম্মদী বলেন, বিজ্ঞান, প্রকৌশল, প্রযুক্তি এবং গণিতের ধারণাগুলোকে সমন্বিতভাবে শিখতে হবে। তিনি বলেন, যে কোন সমস্যার সমাধান, সেগুলোর বিশ্লেষণ এবং এক্ষেত্রে দক্ষতা বাড়ানোর জন্য স্টেম শিক্ষা জরুরী।

ড. মোহাম্মদী বলেন, স্টেম শিক্ষা মুখস্থ বিদ্যাকে নিরুৎসাহিত করে। বাংলাদেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে, বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলে, পাঠ্যবই না বুঝে মুখস্থ করার প্রবণতা তৈরি হয়। ফলে বিজ্ঞান এবং গণিতের মতো বিষয়গুলো শিক্ষার্থীদের মনে এক ধরনের ভীতি কাজ করে।

"পাঠ্য পুস্তকের বর্ণনাগুলো সহজবোধ্য হতে হবে। সেখানে দৈনন্দিন জীবন থেকে উদাহরণ তুলে ধরতে হবে। আমাদের পাঠ্যপুস্তকে এই বিষয়গুলো সবসময় অনুপস্থিত থাকে," বিবিসি বাংলাকে বলেন তিনি।

(https://ichef.bbci.co.uk/news/800/cpsprodpb/125E7/production/_117793257_gettyimages-1263004915.jpg)

যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বা ডিপার্টমেন্ট অব কমার্স-এর একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে স্টেম শিক্ষায় যারা শিক্ষিত তাদের জন্য প্রতিবছর ১৭ শতাংশ হারে কাজের সুযোগ বাড়ছে। আর অন্য ডিগ্রিধারীদের জন্য কর্মসংস্থান বাড়ছে প্রায় ১০ শতাংশ হারে।

স্টেম শিক্ষা নতুন জিনিস উদ্ভাবন করতে শেখায়। ফলে বাজারে নতুন-নতুন পণ্য ও সেবা আসে এবং এর ফলে ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারিত হয়। শেষ বিচারে দেশের অর্থনীতিতে সেটি অবদান রাখে।

স্টেম শিক্ষা শুরুর বয়স
স্টেম শিক্ষার ক্ষেত্রে যেসব দেশ এরই মধ্যে অনেকটা এগিয়েছে তার মধ্যে ব্রিটেন অন্যতম।

দেশটির শিক্ষা ব্যবস্থা স্টেম এডুকেশনকে উৎসাহিত করার মতো। নিয়মিত শিক্ষার পাশাপাশি দেশটিতে স্টেম বিষয়ক বিষয়াবলী শেখার বিভিন্ন আয়োজন করা হয়।

এসব আয়োজন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান-ভিত্তিক এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বাইরেও হয়ে থাকে।

লন্ডন ইন্টারন্যাশনাল ইয়ুথ সায়েন্স ফোরামের ২০২১-এর ওয়েবসাইটে দেখা যাচ্ছে, এসব আয়োজনে দেশের বিজ্ঞানীরা অংশ নেন এবং তারা বিভিন্ন বিষয়ে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখেন। এছাড়া, দেশের বিভিন্ন ল্যাবরেটরি এবং গবেষণাগার দেখানোর জন্য শিক্ষার্থীদের নিয়ে যাওয়া হয়, যাতে তাদের অনুসন্ধিৎসু মন তৈরি হয়। লন্ডন ইন্টারন্যাশনাল ইয়ুথ সায়েন্স ফোরাম মনে করে, মানুষের মনে নানা ধরণের জিজ্ঞাসা, কৌতূহল এবং অনুসন্ধান শুরু হয় ছোটকাল থেকেই।

এ সময় তারা পড়াশুনা এবং নানা ধরণের খেলাধুলার সাথে পরিচিত হয়। সুতরাং বয়স কম থাকতেই তাদের মনে এসব বিষয় নিয়ে আগ্রহ তৈরি করতে পারলে সেটি ভালো ফল দেয় বলে বিশেষজ্ঞরা বলছেন। এক্ষেত্রে, স্কুলের শিক্ষকদের একটি বড় ভূমিকা আছে বলে মনে করে লন্ডন ইন্টারন্যাশনাল ইয়ুথ ফোরাম। স্টেম শিক্ষা নিয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের মনে কৌতূহল তৈরি করা এবং স্কুলে সে পরিবেশে পড়ে তোলার ক্ষেত্রে শিক্ষকদের ভূমিকা অনস্বীকার্য বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।

সুত্রঃ https://www.bbc.com/bengali/news-56596290?at_custom4=52011FF4-92AF-11EB-9B38-4D6A4D484DA4&at_medium=custom7&at_custom2=facebook_page&at_campaign=64&at_custom1=%5Bpost+type%5D&at_custom3=BBC+Bangla&fbclid=IwAR24MsL_GW4YozGY_tbsp193_S4vh1YvYFelslIkaYUS_22R2WJVzvHZlJE