Show Posts

This section allows you to view all posts made by this member. Note that you can only see posts made in areas you currently have access to.


Messages - Alamgir240

Pages: 1 2 [3] 4 5
31
dear madam,
many many thanks for ur information .


Thanks
Alamgir Hossain

32
চুল পরা তথা টাঁক পরা কীভাবে প্রতিরোধ করা যায় আজ আমরা জানব

চুল পড়া সমস্যার সাথে আমরা সবাই কম বেশি পরিচিত। হালকা কিছু চুল পড়লেই আমরা অনেকে আতঙ্কিত হয়ে পড়ি এই ভেবে যে, এই বুঝি মাথায় ‘টাঁক’টা পড়ল! আচ্ছা বলুন তো দিনে একজন সুস্থ মানুষের গড়ে কতটি চুল পড়ে? উত্তর ১০০ টি! কি বিশ্বাস হচ্ছে না? এটি কিন্তু আমার কথা না। আমেরিকার হেয়ার লস হেলথ সেন্টারের এক গবেষণায় এই তথ্য বেরিয়ে এসেছে। অবশ্য তারা আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় উল্লেখ করেছেন যে, যদি চুল পরা এবং ক্রমান্বয়ে টাঁক পরা যদি পারিবারিক সূত্রে চলে আসে তবে আপনার টাঁক পরার সম্ভাবনা অনেকাংশেই বেঁড়ে যায়। আর যদি এই টাঁক পরা বংশানুক্রমিক না হয়ে থাকে তবে আপনার জন্য রয়েছে সুখবর। হ্যাঁ, চুল পরা তথা টাঁক পরা কীভাবে প্রতিরোধ করা যায় আজ আমরা জানব তারই ইতিবৃত্ত। তো চলুন জেনে আসি।
১। চুলের জন্যে শরীরের সঠিক ভিটামিন সরবরাহ করা নিতান্তই প্রয়োজনীয়। দরকারি ভিটামিনের অভাবে চুল পড়তে পারে। সেক্ষেত্রে ভিটামিন ট্যাবলেট গুলো খেয়ে সেই ভিটামিনের চাহিদা পূরণ করতে পারেন। ভিটামিন ই মাথার ত্বকে রক্ত সঞ্চালন বাড়িয়ে ত্বকের কোষগুলোকে উৎপাদনক্ষম রাখে। ভিটামিন এ হচ্ছে অ্যাণ্টি-অক্সিডেন্ট। এই অ্যান্টি অক্সিডেন্ট মাথার ত্বকে সেবাম (তৈলাক্ত অংশ) উৎপাদন অনেকাংশেই বাড়িয়ে দেয়। আর ভিটামিন বি আমাদের শরীরে মেলানিন তৈরিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। আমাদের গায়ের রঙ এই মেলানিনের কারণেই হয়ে থাকে, আর চুলের রঙও। তাই যদি শরীরে মেলানিনের উৎপাদন বাড়ে তাহলে তার প্রভাব আমাদের চুলের রঙের ক্ষেত্রেও পরবে। আর তাছাড়া মেলানিন আমাদের রক্ত সঞ্চালন ক্ষমতাও বাড়িয়ে দেয়।
২। নারিকেল তেল, সরিষার তেল ইত্যাদি যেকোনো প্রাকৃতিক তেলকে কোন পাত্রে নিয়া হালকা করে গরম করে নিন। এরপর হাল্কা গরম তেলকে মাথার ত্বকে ভালো করে মেসেজ করে নিন। এক ঘণ্টা থেকে দেড় ঘণ্টা অপেক্ষা করুন। এরপর ভালো শ্যাম্পু দিয়ে মাথা ঢুয়ে ফেলুন। এটি ‘হট অয়েল ট্রিটমেন্ট’ নামে পরিচিত। চুলের জন্যে হট অয়েল ট্রিটমেন্ট বেশ উপকারি।
৩। বাজারে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের গ্রিন টি পাওয়া যায়। সেখান থেকে আপনার পছন্দ মতো ব্র্যান্ডেরটা কিনে নিন। এবার হাল্কা গরম পানি একটা কাপে নিয়ে সেটাতে দুইটা টি ব্যাগ ব্যবহার করুন। পানি ঠাণ্ডা হয়ে গেলে সারা মাথায় সেটাকে ব্যবহার করুন। প্রায় এক ঘণ্টা পরে মাথা ধুয়ে ফেলুন। গ্রিন টিতে অ্যাণ্টি অক্সিডেন্ট আছে, যা মাথার ত্বকে সেবামের উৎপাদন বাড়িয়ে দেয় বহুগুণে।
৪। বাজারে দেশি পেয়াজ ভালো দেখে কিনে এনে সেটাকে ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে সেই রসটুকু মাথার ত্বকে মাখুন।চুল পড়া বন্ধে নিয়মিত পেয়াজের রস ব্যবহার করা বেশ উপকারি। তাছাড়া আদার রসও মাথার ত্বকে ব্যবহার করা যাবে।

তথ্যসুত্রঃ আমেরিকান হেয়ার লস সেন্টার

33
Health Tips / “পানি সমাচার”
« on: December 07, 2014, 01:31:05 PM »
“পানি সমাচার”
>সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে পানি পান করুন। এটি শরীর থেকে দূষিত পদার্থ বের করে দেয়।
>দিনে কমপক্ষে ২ লিটার বা ৮ গ্লাস পানি পান করুন।
>আপনার ওজন স্বাভাবিকের চাইতে বেশী হলে ৮ গ্লাসের বেশী পান করতে হবে। ৫৫ কেজির একজন মানুষের পানির চাহিদা ৮ গ্লাস কিন্তু ৮৫ কেজির জন্য এর পরিমাণ ১২ গ্লাস।
>গ্লাসে গ্লাসে পানি পান না করে চুমুকে চুমুকে পান করুন। অর্থাৎ একেবারে বেশী পানি পান না করে বারে বারে পান করুন। এই অভ্যাস শরীরের সার্বিক কর্মকান্ডের জন্যই উপকারী।
>তৃষ্ণা লাগার আগেই পানি পান করুন। যতক্ষনে আপনি তৃষ্ণা অনুভব করবেন, ততক্ষনে হয়তো আপনার শরীর চাহিদার তুলনায় গ্লাস খানেক পানি ঘাটতি তে আছে।
>সফট ড্রিঙ্কস, হার্ড ড্রিঙ্কস, চা, কফি কোনোটিই পানির বিকল্প নয়। তাই পানির পরিবর্তে এগুলো গ্রহণ করবেন না। বরং এসবে থাকা সুগার আপনাকে আরো বেশী ডিহাইড্রেটেড করে ফেলবে।
>বাচ্চাদের পানি পানের অভ্যাস করানো অত্যন্ত জরুরী একটা ব্যাপার যা আমরা গুরত্ব দেইনা। “আসো আমরা একসঙ্গে পানি খাই”, অথবা “তোমাকে দিনে ৮ গ্লাস পানি খেতে হবে। আজ এই পর্যন্ত কয় গ্লাস খেয়েছ?”- তাদের সাথে এই ধরণের বাক্য বিনিময় নিয়মিত করুন। তাহলে ছোট থেকেই পানি পানের ব্যাপারটা তাদের মাথায় ঢুকে যাবে।
>গরম আবহাওয়ায় ঘামের মাধ্যমে আমরা পানি হারাই। তাই গরমের তীব্রতা অনুযায়ী ৮ গ্লাসের চেয়ে বেশী পানি পান করতে হবে।
>ব্যায়াম করলেও আমরা ঘামের মাধ্যমে পানি হারাই। প্রতি ৩০ মিনিট থেকে ১ ঘন্টা ব্যায়ামের জন্য অতিরিক্ত ৫০০ মিঃলিঃ পানি পান করুন।
>গর্ভধারণ ও স্তন্যদানের সময় শরীরে পানির চাহিদা বেশী থাকে। গর্ভবতী মায়েরা ১০ গ্লাস ও স্তন্যদানকারী মায়েরা দিনে ১৩ গ্লাস পানি পান করুন।
>অনেকেই বলেন খাওয়ার মাঝে পানি পান করলে পাকস্থলিতে থাকা পাচকরস পাতলা হয়ে যায় ফলে হজমে সমস্যা হয়। কিন্তু বাস্তব কথা হলো, এর স্বপক্ষে তেমন কোন গবেষনার প্রমাণ মেলেনা। বরং শরীরের সমস্ত রাসায়নিক বিক্রিয়ার জন্য পানি প্রয়োজন। তাই গবেষকরা পরামর্শ দিয়েছেন খাবারের সময় যথাযথ পরিমাণ পানি খেতে।
>পানির অনেক উপকারীতা তার মানে এই নয় যে একসঙ্গে আপনি গ্যালন গ্যালন পানি পান করতে পারবেন। অতিরিক্ত পানি একসঙ্গে গ্রহনে অসুস্থতা এমনকি মৃত্যু ও হতে পারে। অতিরিক্ত পানি একসঙ্গে গ্রহণ করলে কিডনী অত তারাতারি তা নিষ্কাশিত করতে পারেনা। অতিরিক্ত পানির ফলে শরীরে লবনের ঘনত্ব কমে গিয়ে আপনি মারাত্মক অসুস্থ হয়ে পরতে পারেন। এক বলা হয় হাইপোনেট্রেমিয়া।

34
Food / “চিরতা” গুণ ও দোষঃ
« on: December 07, 2014, 01:16:26 PM »
“চিরতা” গুণঃ

ইউনানী ও কবিরাজি চিকিৎসা জগতে চিরতা বহুকাল ধরে একটি সুপরিচিত ঔষধ। আধুনিক যুগের সচেতন মানুষ এখন যে কোন কিছু গ্রহণ করার ব্যাপারে বিজ্ঞান কি বলে জানতে চায়। মজার ব্যাপার হলো যে চিরতা নিয়ে খুব বেশী কোন আধুনিক গবেষনা পত্র প্রকাশ হয়েনি। যাই হোক, আজকের পোস্টের বিষয়বস্তু হলো- আধুনিক বিজ্ঞানের দৃষ্টিতে চিরতার যেসব দোষ-গুণ জানা গিয়েছে তা আপনাদের অবহিত করা। পোস্টের উদ্দেশ্য দুইটি- ১) বিজ্ঞান সচেতন মানুষের কৌতুহল মেটানো ২) যেসব দেশী বিজ্ঞানীরা বিভিন্ন ভেষজের গুণাগুণ নিয়ে গবেষনা করছেন তাদের কে এই বিষয়ে গবেষনা করতে উৎসাহিত করা।
গুণঃ
১) চিরতায় থাকা chirantin, কালাজ্বর প্রতিরোধক।
২) চিরতায় থাকা Amaroswerin, পেটের নানা রোগ যেমন বদহজম, পেট ফাপা, ডায়রিয়া, কোষ্টকাঠিন্য ইত্যাদিতে উপকারী।
৩) চিরতা এন্টিসেপটিক এবং এটি ফাঙ্গাল ইনফেকশন রোধেও কার্যকর।
৪) চিরতায় থাকা Swerchirin , ম্যালেরিয়ার চিকিৎসায় কার্যকর।
৫) এতে থাকা Swertiamarin , উচ্চ জ্বর নিয়ন্ত্রন করে।
৬) চিরতা কার্যকর ভাবে ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রন করে ডায়বেটিস নিয়ন্ত্রনে রাখে।
৭) চিরতায় থাকা xanthones, যক্ষার বিরুদ্ধে কার্যকর।
৮) সার্বিক ভাবে এটি লিভারের জন্যও উপকারী

দোষঃ
১) গর্ভবতী অবস্থায় চিরতার কোন সাইড এফেক্ট আছে কিনা এই বিষয়ে ব্যাপক কোন গবেষনা না থাকায়, ডাক্তার রা এই সময় চিরতা গ্রহণ করতে নিষেধ করেন।
২) যাদের অন্ত্রে আলসার আছে, তাদের চিরতা গ্রহণ করা উচিত নয়।

ডোজঃ
কতটুকু মাত্রায় চিরতা গ্রহণ করা উচিত সেই বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোন ব্যপক কোন গবেষনা হয়নি।

35
Food / "দুধ চা খাবেন নাকি রঙ চা?"
« on: December 07, 2014, 01:07:53 PM »
"দুধ চা খাবেন নাকি রঙ চা?"
> জার্মানির বারলিন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা ১৬ জন মহিলাকে একবার রঙ চা, একবার দুধ চা এবং একবার শুধু গরম পানি পান করতে দেন। প্রতিবার-ই আল্ট্রাসাউন্ড পদ্ধতিতে তাদের রক্তনালীর প্রসারন মাপা হয়। দেখা যায় যে, রঙ চা রক্তনালীর প্রসারন ঘটায় যা উচ্চরক্তচাপ ও হৃদরোগ নিয়ন্ত্রনের জন্য অত্যন্ত জরুরী। চায়ের মধ্যে থাকা ক্যাটেচিন রক্তনালীর প্রসারনের জন্য দায়ী। দুধের মধ্যে থাকে ক্যাসেইন নামক একটি পদার্থ চায়ের মধ্যে থাকা ক্যাটেচিন কে বাধাগ্রস্থ করে ফেলে। ফলে চায়ে দুধ মেশালে চায়ের রক্তনালী প্রসারনের ক্ষমতা একবারেই চলে যায়।
>U.S. Department of Agriculture এর গবেষকেরা ইদুরের কোষ এর উপর পরীক্ষা করে দেখেন যে, চায়ের প্রভাবে কোষ গুলো থেকে সাধারণের তুলনায় ১৫ গুণ বেশি ইনসুলিন নির্গত হয়, যা ডায়াবেটিস রোগ নিয়ন্ত্রনে অত্যন্ত জরুরী। কিন্তু চায়ে দুধ মেশালে এই ইনসুলিন নির্গমনের হার কমতে থাকে। যদি ৫০ গ্রাম দুধ মেশানো হয়ে, তাহলে ইনসুলিন এর নির্গমন শতকরা ৯০% কমে যায়।
>এবার যারা ওজন নিয়ন্ত্রন করতে চান তারা দেখে নিন কোন চায়ে কত ক্যালরি।
দুধ চিনি ছাড়া রঙ চা=২ ক্যালরি
১ চামচ চিনি সহ রঙ চা=১৬ ক্যালরি
১ চামচ চিনি ও দুধ সহ চা= ২৬ ক্যালরি
>>>>সুতরাং, রঙ চা উচ্চরক্তচাপ, হৃদরোগ, ডায়াবেটিস ও ওজন নিয়ন্ত্রনে অত্যন্ত কার্যকরী কিন্তু দুধ চা নয়।

36
Food / “পান হতে সাবধান”
« on: December 07, 2014, 01:03:58 PM »
“পান হতে সাবধান”

২০০৪ সালে, বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার করা গবেষনা অনুযায়ী এশিয়ার দেশগুলোতে মুখগহবরের ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগীদের সংখ্যা পশ্চিমা দেশগুলোর তুলনায় অনেক বেশী। আক্রান্ত রোগীদের ইতিহাস নিয়ে দেখা গিয়েছে যে তাদের একটা বড় অংশ পান পাতা চিবানোতে অভ্যস্ত। (১)
>ক্যান্সারের সঙ্গে চুনের সম্পৃক্ততা পাওয়া গিয়েছিলো অবশ্য অনেক আগেই-সেই ১৯৯২ সালে, পাপুয়া নিউগিনিতে করা একটি গবেষনায় (২)।
>পরবর্তীতে ২০০২ এবং ২০০৮ সালে করা দুটো পৃথক গবেষনায় প্রমাণিত হয় যে শুধুমাত্র জর্দা ও সুপারীও ক্যান্সার তৈরীতে সরাসরি অবদান রাখে (৩, ৪)।
>মোটামোটি সাম্প্রতিক, ২০০৯ সালে তাইওয়ানে করা একটি গবেষনায় প্রমাণ হয় যে শুধু ক্যন্সার নয়, হৃদরোগের সঙ্গেও আছে পান চিবানোর সরাসরি সংযোগ (৫)।
>এরপর ২০১০ সালে বিজ্ঞানীদের চমকে দিয়ে প্রমাণিত হয় যে, পান খাওয়া লোকদের ক্যান্সার হওয়া শুধু মুখগহবরেই সীমাবদ্ধ নেই, পান এমনকি গলবিল, শ্বাসনালী, যকৃৎ, অগ্নাশয় ও ফুসফুসের ক্যান্সার হওয়ার পিছনেও ভূমিকা রাখে (৬)।
> পান কিভাবে ক্যান্সার ঘটায় তা নিয়ে নানা মত আছে। কেউ বলেন পানে থাকা ট্যানিন ই এর জন্য দায়ী, যদিও কি উপায়ে তা এখনো অজানা (৭).. আরেকদলের মতে, পানের উপাদান সরাসরি কোষের ডিএনএর উপরে কাজ করে ক্যান্সার তৈরীতে ভূমিকা রাখে (৮)... আবার কেউ বলেন, পানে থাকা চুন মুখের অভ্যন্তর কে ক্ষারীয় করে ফ্রি র‍্যাডিকেল তৈরীতে সহায়তা করে যা ক্যান্সার কোষ সৃষ্টির জন্য দায়ী।
>অন্তত প্রায় ১০ বছর ধরে যাদের নিয়মিত ভাবে সুপারী চিবানোর অভ্যাস আছে তাদের চেহারাতেও আসে পরিবর্তন। গালের চর্বি ঝরে মুখ লম্বাটে হয় যায়, ফিবরোসিস তৈরী হওয়ার কারণে মুখের মাংসপেশি শক্ত হয়ে মুখ অনেকটা কাঠের মূর্তির আদল পায়, চোখ কিছুটা বাইরের দিকে বেড়িয়ে আসে, এমনকি মুখের উচ্চারনেও পরিবর্তন আসে। চেহারার এই ধরণের পরিবর্তনকে বলা হয় “গুটকা সিন্ড্রোম”। (৯)
Collected.

37
যে খাবারগুলো দাঁতকে সাদা করে

ব্ল্যাক কফি,
রেড ওয়াইন এগুলো আপনার দাঁতের উজ্জ্বলতা কমিয়ে দেয়। রেডবুক ম্যাগাজিন এমন ১০টি খাবারের কথা জানিয়েছে যা আপনার দাঁতকে করবে ঝকঝকে উজ্জ্বল।
পেঁয়াজ
অনেকেই জানেন না পেঁয়াজ দাঁতের জন্য ভীষণ উপকারী। এর মধ্যে আছে অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল এবং অ্যান্টিসেপটিক। আর একটি বিষয় হলো পেঁয়াজ স্বচ্ছ। তাই এটি খেলে দাঁতে কোন দাগ হয় না। চিকিৎসকরা ঠাট্টা করে বলে থাকেন কাঁচা পেঁয়াজ খাওয়ার পর মুখের গন্ধ দূর করতে বেশিরভাগ মানুষ দাঁত মাজেন। ফলে দাঁত ঝকঝকে না হয়ে পারে না।
গাজর
আপেলের মতই কাঁচা গাজর দাঁতের জন্য ভীষণ উপকারী। গাজর খেলে দাঁতের ফাঁকে ঢুকে থাকা খাদ্যকণা বেরিয়ে আসে। এছাড়া তা দাঁত ও মাড়ির স্বাস্থ্যের জন্য ভালো।
বাদাম
শক্ত খাবার চিবিয়ে খেলে আপনার দাঁতের ক্ষয় পূরণ হয় এবং দাঁতকে শক্ত করে। বিকেলের নাস্তায় আপনি যদি কয়েকটি বাদাম খান, তবে তা আপনার দাঁতকে ঝকঝকে করতে সাহায্য করে।
আপেল
আপেলে কামড় দেয়ার সাথে সাথে একটা বড় ধরনের আওয়াজ হয়। এটা কারো জন্য বিরক্তির কারণ হলেও দাঁতের জন্য কিন্তু দারুণ উপকারী। এভাবে কামড়ে যেসব খাবার খাওয়া যায় তা মাড়ির জন্য ভীষণ উপকারী। এছাড়া আপেল খাওয়ার সময় যে পরিমাণ লালা নিঃসরণ হয় তাতে মুখের মধ্যকার অনেক ব্যাকটিরিয়া ধ্বংস হয়।
ব্রকোলি
কেউ যদি দিনের বেলা ব্রকোলি খায় তাহলে তা দাঁতের গায়ে লেগে থাকে। ফলে ব্রাশ করলে খুব ভালোভাবে দাঁত পরিষ্কার হয়।
পনির
শক্ত পনিরে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম রয়েছে। এটি দাঁত ও মাড়িকে শক্তিশালী করে। তবে সাদা পনির খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন ডাক্তাররা। ফলে দাঁতে কোন দাগ হবে না।
পানি
বেশি পরিমাণ পানি পান করলে আপনার মুখ পরিষ্কার থাকবে। তবে রেড ওয়াইন বা ব্ল্যাক কফি কিন্তু আপনার দাঁতে দাগ তৈরি করবে। তাই এগুলো খাবার পর প্রতিবার একবার পানি পান করার পরামর্শ দিয়েছেন ডাক্তাররা। আর সোডা মেশানো পানি খুব বেশি না খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন, কারণ এতে এনামেল ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
দুধ
দুধ দাঁতের স্বাস্থ্যের জন্য খুব উপকারী। কারণ এতে থাকা ক্যালসিয়াম দাঁতকে শক্তিশালী করে। এনামেলে শক্তি বৃদ্ধি করে দাঁতকে সাদা ও উজ্জ্বল করে।
কমলালেবু
এই ফলে প্রচুর পরিমাণে অ্যাসিড রয়েছে, যা দাঁতের দাগ পরিষ্কার করে। এটি দাঁতকে উজ্জ্বল করে। তবে এই অ্যাসিডের পরিমাণ বেশি হলে তা দাঁতের উপরিভাগে ক্ষত সৃষ্টি করতে পারে। তাই পরিমাণ মত কমলা খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন ডাক্তাররা। এদের প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে যা দাঁতের জন্য উপকারী।
স্ট্রবেরি
মনে হতে পারে লাল রঙের ফলটি কি করে দাঁত সাদা করতে পারে! পারে, কারণ স্ট্রবেরির মধ্যে আছে ম্যালিক অ্যাসিড। এই অ্যাসিড আপনার দাঁতকে সাদা করে বলে জানিয়েছেন দন্ত চিকিৎসকরা। Collected.

38
Food / Benefits of Black Cumin
« on: December 07, 2014, 10:38:41 AM »
Benefits of Black Cumin

    1. High blood pressure – Published in the journal Fundamentals of Clinical Pharmacology,researchers found extract from black seed to cause a significant decrease in LDL cholesterol and blood pressure, offering a natural treatment for mild forms of hypertension.
    2. Asthma – Multiple studies, including this onepublished in the journal Phytomedicine, has found Nigella sativa to possess anti-asthmatic effects. One even found it superior to conventional drug treatment.
    3. Sore throat - Research indicatesthat Black seed is an effective treatment for acute tonsillopharyngitis with tonsil or throat tissue inflammation. Basically, it can relieve viral sore throats.
   4.  Radiation Damage Control – The active compound thymoquinone has been found to protect brain tissue from radiation-induced damage. Researchers saythe substance is able to “clearly protect brain tissue from radiation-induced nitrosative stress.”
    5. Morphine Addiction and Toxicity Prevention – A study published in Ancient Science of Lifefound Nigella sativa to reduce the indications of morphine intoxication, tolerance, and addiction. Could this seed be the answer to opiate dependence?
    6. Protection Against Chemical Weapons – Researchers from Mashhad University of Medical Sciencesin Iran found a tincture of Black seed able to reduce the symptoms of chemical weapons exposure including wheezing, respiratory symptoms, and even the need for drug treatment.
   7.  Post-Surgical Scar Prevention – Tested on areas of post-operative trauma, Nigella sativa was found to protect peritoneal surfaces from scarring or adhesion formation.
   8.  Psoriasis – Applied topicallyto psoriasis inflammation, black seed was able to increase epidermal thickness and soothe eruptions.
    9. Parkinson’s Disease – An extract of thymoquinone, from black seed, was shown to protect neurons from toxicity associated with Parkinson’s disease and dementia in a study published in Neuroscience Letters.
    10.Cervical Cancer – In a cervical cancer cell line, extracts of thymoquinone were able to trigger apoptosis or cell death, slow cancer progression, and stop the spread of the cancer. Collected.

39
গিরা বাত থেকে রক্ষার উপায়
গিরায় বাত শুধু গিরা নয়, দেহের অন্যান্য অঙ্গকেও আক্রমণ করে। এ রোগে ব্যথা লঘু থেকে তীব্র হতে পারে। তীব্রমাত্রার ব্যথা অঙ্গবৈকল্য বা বিকলাঙ্গতা পর্যন্ত গড়াতে পারে। এ বাত রোগের সম্পূর্ণ আরোগ্য হয় না, তবে আধুনিক ও যথার্থ বা উপযুক্ত চিকিৎসায় ব্যথার উপশমসহ শারীরিক বিকলাঙ্গতা ঠেকানো যেতে পারে।
কাদের হয় : সাধারণত ২৫ থেকে ৫০ বছর বয়সের লোকদের মাঝে এর প্রকোপ বেশি, তবে বৃদ্ধ বয়সেও হতে পারে। এ বাত শিশুদেরও আক্রান্ত করে। পুরুষের তুলনায় মহিলাদের ক্ষেত্রে তিনগুণ বেশি এবং ২০ থেকে ৩০ বছর বয়সের মহিলাদের ক্ষেত্রে বেশি পরিলক্ষিত হয়। এমন বয়সে এটা হয় যখন পরিবার তথা কর্মক্ষেত্রের দায়িত্ব পালনে ব্যাঘাত ঘটে।
কারণ : সঠিক কারণ আজও জানা যায়নি। জীবাণুজনিত কারণ নির্ণয়ের অনুসন্ধান আজও সফলতার মুখ দেখেনি। জন্মগতভাবে কেউ এ রোগ হওয়ার কারণ বহন করলে এবং শরীরের নিজস্ব প্রতিরোধ ব্যবস্থা প্রাকৃতিক কোনো কারণ অনিয়মতান্ত্রিকভাবে উসকে দিলে এ রোগের সূত্রপাত হতে পারে।
বাতে শরীরে কী হয় : শরীরের নিজস্ব প্রতিরোধ ব্যবস্থা যখন নিয়ন্ত্রণের বাইরে প্রয়োজনাতিরিক্তভাবে কাজ করা শুরু করে তখনই এ রোগের সূত্রপাত হয়। এ রোগে ইমিউন সিস্টেম বা প্রতিরোধ ব্যবস্থা নিজের শরীরের অঙ্গ তথা গিরা বা জয়েন্ট এবং গিরার আশপাশের কোষ বা কলাকে আক্রমণ করে। এর আক্রমণের ফলে গিরা বা জয়েন্টের পাতলা আবরণী বা সাইনোভিয়াল মেমব্রেন বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। প্রদাহ জয়েন্টে অতিরিক্ত রস নিঃসরণ করে, ফলে জয়েন্ট ফুলে যায়। ফুলা ও প্রদাহ দুই-ই ব্যথার জন্য দায়ী এবং চলমান প্রদাহ সময়ে অস্থি বা কার্টিলেজ ধ্বংস করে, যা গিরা বা জয়েন্ট বিকলাঙ্গ করতে পারে।
উপসর্গ :* হাত-পায়ের গিরাগুলো, হাঁটু, কাঁধ, কনুই ও হিপ জয়েন্টসহ আশপাশে ব্যথা হয়। শরীরের ডান ও বামপাশ সমভাবে আক্রান্ত হয়, যা এ রোগের একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য।
* সকালবেলা বা বিশ্রামের পর গিরা বা জয়েন্ট জাম হয়ে থাকে।
* গিরা বা জয়েন্ট ফুলে যাওয়া। বিশেষভাবে হাত-পায়ের গিরা ও হাঁটু।
* সব সময় ক্লান্তি বা অবসাদ ভাব হওয়া।
* পেশিতে কম বল পাওয়া এবং গিরায় জাম ধরে থাকায় শারীরিক কার্যক্ষমতার অবনতি।
* ব্যথার জন্য রাতে ঘুমাতে না পারা।
এ রোগের সূত্রপাত ক্রমান্বয়ে হতে পারে, আবার হঠাৎ তীব্রমাত্রায়ও হতে পারে। কিছু ক্ষেত্রে সারাজীবন ভুগতে হতে পারে। অল্পদিন থেকে কয়েক বছর পর্যন্ত উপশমমুক্ত রাখতে পারে। কিছু ক্ষেত্রে একবার আক্রান্ত হওয়ার পর আর না-ও হতে পারে।
শুধু গিরা বা জয়েন্টই কি আক্রান্ত হয় : জয়েন্ট ছাড়াও ত্বক, ফুসফুস, হার্ট, রক্ত, স্নায়ুতন্ত্র, চোখ, পরিপাকতন্ত্রসহ অন্য অঙ্গ-প্রত্যঙ্গকেও আক্রান্ত হয়। তীব্রমাত্রায় ও দীর্ঘস্থায়ী ক্ষেত্রে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ আক্রান্ত হওয়ার আশংকা বেশি।
রোগ নির্ণয় : প্রথমত দরকার যথোপযুক্ত শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা। একজন জেনারেল প্র্যাকটিশনারকে দিয়ে পরীক্ষা করাতে পারেন। তবে রিউমাটোলজিস্ট হলেন উপযুক্ত চিকিৎসক, কেননা যথার্থ শরীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা অন্য বাত বা আর্থ্রাইটিস রোগ হতে এ রোগকে আলাদাভাবে চিনতে সাহায্য করে।
কিছু ক্ষেত্রে এ রোগ নির্ণয় বা ডায়াগনসিস সহজ নয়। তাই রক্ত পরীক্ষা করতে হতে পারে। এ রোগে রক্তের ইএসআর এবং সিআরপি বেশি হয়। প্রায় ৮০ ভাগ রোগীর ক্ষেত্রে রিউমাটয়েড ফ্যাক্টর পজিটিভ বা বেশি পাওয়া যায়।
এক্স-রে এ রোগ নির্ণয়ের জন্য আবশ্যকতা নয়, তবে এটা যেমন রোগ নির্ণয়ে সহায়তা করে তেমনি কার্টিলেজ বা অস্থিসন্ধির ক্ষতি হয়েছে কি না বা গিরা বিকল হচ্ছে কি না তা নির্ণয় করতে সাহায্য করে।
চিকিৎসা ব্যবস্থা : এ রোগ সম্পর্কে শিক্ষা, সঠিক ওষুধ প্রয়োগ, ব্যায়াম, পরিমিত বিশ্রাম ও কীভাবে জয়েন্ট বা গিরাকে রক্ষা করা যায় তার শিক্ষাই কেবল যথার্থ চিকিৎসা ব্যবস্থা দিতে পারে। এটি একটি সমন্বিত কার্যক্রম, ঔষধি চিকিৎসার সঙ্গে জড়িত রিউমাটোলজিস্ট বা বাত ব্যথা রোগ বিশেষজ্ঞ ফিজিওথেরাপিস্ট, প্রশিক্ষিত সেবিকা, রিহেবিলিটেশন বিভাগ এবং কিছু ক্ষেত্রে অপারেশন এ রোগের সামগ্রিক চিকিৎসা ব্যবস্থা।
নিজেকে সাহায্য করা এবং শিক্ষা : এ রোগের চিকিৎসা ব্যবস্থা একটি দৈনন্দিন কার্যক্রম। জীবন ও শরীরের চাহিদানুযায়ী সর্বদা পুনর্বিন্যাস জরুরি। অনুসন্ধান বা রিসার্চে দেখা গেছে, রোগীর রোগের প্রতি সচেতনতা ও চিকিৎসায় জড়িতদের
সঙ্গে যোগাযোগ রাখা জরুরি। এ রোগের রোগীদের অবশ্যই এ রোগ ও চিকিৎসা সম্পর্কে সার্বিক ধারণা থাকা জরুরি। কীভাবে নিজেকে এ রোগে সাহায্য
করা যায় তাও জানা দরকার। নিজেকে সাহায্য করা বলতে বোঝায় এ রোগের দৈনন্দিন যত্ন-আত্তি করার দায়িত্ব গ্রহণের শিক্ষা এবং দায়িত্ব পালনে নিজেকে আগ্রহী করে তোলা।
শিক্ষার মূল বিষয় : * ব্যথার উপশম কীভাবে করা যায়, তথা গরম ও ঠাণ্ডা প্যাকের ব্যবহার।
* অশান্তি উপশম, বিবেচনা বোধ ও দৃঢ় প্রত্যয়ী হওয়ার শিক্ষা।
* নিজেকে নিরুদ্বেগ করা বা বিনোদন শিক্ষাসহ গভীর শ্বাস ও বিশেষ ব্যায়াম সম্পর্কে জানা।
ওষুধ বা মেডিকেশন : প্রথম সারির ওষুধ, যেমন- ননস্টেরয়ডাল অ্যান্টিইনফ্লামেটরি মেডিকেশন যা ব্যথা, ফোলা ও গিরার জাম কমাতে সাহায্য করে।
প্রচলিত ওষুধ :* ন্যাপ্রোক্সেন ৫০০ মিলিগ্রাম থেকে ১০০০ মিলিগ্রাম প্রতিদিন।
* ডাইক্লোফেনাক সোডিয়াম ৫০-১০০ মিলিগ্রাম দু-তিনবার প্রতিদিন।
* ইনডোমেথাসিন ২৫ মিলিগ্রাম দু-তিনবার প্রতিদিন।
* পাইরোক্সিকাম ১০ থেকে ২০ মিলিগ্রাম প্রতিদিন।
ওই ওষুধ জ্বালাপোড়া, বুকজ্বলা, পাতলা পায়খানা বা পায়ে পানি নামার মতো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া করতে পারে। আহারের মাঝে বা আহারের পরপরই খেলে আন্ত্রিক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কম হয়। তবে কারও হলে ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করা উচিত।
গ্যাস্ট্রিক বা আলসার আছে, এমন রোগীদের বেলায় অতিরিক্ত সাবধানতা অবলম্বন করা প্রয়োজন। এ সমস্যা এক্ষেত্রে অন্ত্রে ফুটা হতে পারে। এক্ষেত্রে স্বাভাবিকমাত্রার চেয়ে দ্বিগুণমাত্রায় প্যানটোপ্রাজল ব্যবহার করা যেতে পারে।
এ রোগের তীব্রতা ও জটিলতা কমাতে এখন অনেক ওষুধ আছে। রোগের তীব্রতা ও অবস্থা অনুযায়ী সেসব ওষুধ ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
বিশ্রাম ও ব্যায়াম : ওষুধের পর বিশ্রাম ও ব্যায়াম জরুরি। ফিজিক্যাল মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ও ফিজিওথেরাপিস্টরা এ বিষয়ে সাহায্য করেন। বিশ্রাম, ফোলা, ব্যথা, ও অবসাদ দূর করতে সাহায্য করে।
কাজের মাঝে মাঝে বিশ্রাম নেয়া খুবই জরুরি। কতটুকু বিশ্রাম প্রয়োজন তা রোগের তীব্রতার সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত। প্রয়োজনাতিরিক্ত বিশ্রাম ভালোর চেয়ে মন্দ করতে পারে। প্রতিদিন নিয়মিত শেখানো বিশেষ ব্যায়াম করা প্রয়োজন, যা পেশি শক্তকরণসহ অস্থিসন্ধি বা জয়েন্টের বিকলাঙ্গতা প্রতিরোধে সাহায্য করে। গরম পানিতে ব্যায়াম বিশেষ উপকারী।
গিরা বা জয়েন্ট রক্ষার উপায় : অসুস্থ গিরার ওপর অযাচিত চাপ ওই গিরার আরও ক্ষতি করে। তাই এ গিরার ওপর চাপ বা ভর কমাতে হবে। বিশ্রাম বা হাঁটার সময় লাঠি বা ক্র্যাচ ব্যবহার করা যেতে পারে। বর্তমানে গিরা রক্ষার জন্য বিভিন্ন সহায়ক ডিভাইস ব্যবহার করা হয়।
অপারেশন : রিউমাটোলজিস্টের পরামর্শক্রমে গিরার ব্যথা, বিকলাঙ্গতা বা গিরার কাজের ক্ষমতা ও দৈনন্দিন জীবনযাপনের উন্নয়নের জন্য কিছু অপারেশন করা যেতে পারে।
খাদ্য : সুষম খাদ্য খাওয়া জরুরি। কেননা তা শরীর রক্ষা ও অবসাদ দূর করতে সাহায্য করে। যদিও কদাচিৎ কিছু খাদ্যে কোনো কোনো বাত রোগের প্রকোপ বাড়তে পারে, অনেক রোগীর ক্ষেত্রেই বাতের ওপর খাদ্যের কোনো বিরূপ প্রভাব চোখে পড়েনি। তাই বেছে খাওয়ার কোনো যৌক্তিকতা নেই। Collected.

40
হৃদরোগ ছাড়া বুকে ব্যথা, জেনে নিন কি করবেন !
বুকে ব্যথা উঠলেই অনেকে ভয় পেয়ে যান। মনে করেন হৃদরোগ বা হার্ট অ্যাটাক হয়েছে। এই ভয় অমূলক সে কথা বলব না । হৃদরোগ হলে বুকে ব্যথা হতে পারে । হৃদরোগ ছাড়াও বুকে ব্যথা এবং প্রচন্ড ব্যথা হতে পারে। বুকে ব্যথা নিয়ে চিকিৎসকের কাছে গেলে তিনি প্রথমেই নিশ্চিত হয়ে নেন হৃদরোগের কারণে ব্যথা হচ্ছে কিনা। হৃদরোগের আশংকা বাতিল করে দেয়ার পর চিকিৎসক বক্ষ ব্যথার কারণ খুঁজে বের করে চিকিৎসার পদক্ষেপ গ্রহণ করেন।
হৃদরোগ ছাড়া বক্ষ ব্যথা সব বয়সের মানুষের হতে পারে । নারী বা পুরুষের এ ধরনের ব্যথার উপসর্গ কোনো পার্থক্য থাকে না। যে কোনো সময় এই ব্যথা হতে পারে । দেখা গেছে কার্ডিয়াক(হৃদরোগ) ব্যথা নিয়ে যত রোগী আসে তার চেয়ে চারগুণ বেশি রোগী আসে হৃদরোগ বর্হিভূত বুকে ব্যথা নিয়ে । এ ধরনের ব্যথার উপসর্গ হচ্ছে মাঝে মাঝে ব্যথা হয়, বুকে কোথায় ব্যথা হচ্ছে তা রোগী সঠিক ভাবে বলতে পারেন । এ ব্যথা ছড়িয়ে পারে না। রোগী সাধারণ কাজ কর্ম করতে পারেন। বুকে ব্যথা থাকা সত্বেও রোগী সাধারণ কাজ কর্ম করতে কোনো অসুবিধা বোধ করেন না। এ রোগীরা ব্যথা নিয়ে প্রথমেই হার্ট স্পেশালিস্ট বা হৃদরোগ বিশেষজ্ঞের কাছে যান বা তাদেরকে এ ধরনের চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার পরামর্শ দেয়া হয়ে থাকে।
যে কারণে বুকে ব্যথা হচ্ছে তা হৃদপিন্ড ঘটিত নাকি হৃদরোগ বর্হিভূত তা রোগীর পক্ষে কখনোই বোঝা সম্ভব নয়। তাই নিরাপত্তার কথা ভেবে রোগীকে হৃদরোগ বিশেষজ্ঞের কাছে বা হাসপাতালে পাঠানো হয়। নানা কারণে বুকে এই ব্যথা হতে পারে। বুকে মাংস পেশীর সংকটের কারণে ব্যথা হতে পারে । হাড়ের কারণে ব্যথা হতে পারে। বুকে আঘাত পাওয়ার কারণে হতে পারে। পুরাতন ব্যথায় নতুন করে আঘাত পাওয়ার কারণে বক্ষ ব্যথা হতে পারে। কিছু ওষুধ খাওয়ার জন্য এমনকি ফুসফুসের সমস্যার জন্য বুকে ব্যথা হতে পারে । খাদ্য নালীর নানা সমস্যার কারণেও বুকে ব্যথা দেখা দিতে পারে।আমাদের পাকস্থলীতে খাদ্য হজম করার জন্য এসিড থাকে – এ কথা আমরা সবাই জানি। কখনো কখনো এই এসিড খাদ্যনালীতে চলে আসে। ফলে বুক বা গলা জ্বালা করতে পারে। বুকের হাড়ের নিচে এ ব্যথা অনূভুত হতে পারে।
বুক জ্বালা থেকে যে ধরণের বক্ষ ব্যথা দেখা দেয় তা সাধারণ ভাবে খাওয়ার পরে হয়। এ ধরণের ব্যথা বেশ কয়েক ঘন্টা স্থায়ী হতে পারে। ভয় বা আতংক থেকেও অনেকের বুক ব্যথা করতে পারে । এ বুকের ব্যথার ঘন ঘন নিঃশ্বাস নেয়ার উপসর্গ দেখা দিতে পারে। প্রচন্ড ঘাম হতে পারে। বুক ধড়পড় করতে পারে অর্থাৎ হৃদপিন্ডের কাজ বেড়ে যেতে পারে।
খাদ্যনালীতে বেশ কয়েক ধরণের সমস্যার কারণে কখনো কখনো খাদ্য গিলতে অসুবিধা হয় এবং একই সাথে প্রচন্ড ব্যথা দেখা দেয়। খাদ্য গেলার পর খাদ্যনালীর মাংসপেশী খাদ্যকে নিচের দিকে নিয়ে যেতে থাকে। কোনো কোনো মানুষের ক্ষেত্রে খাদ্য নালী এই সমন্বয় হারিয়ে ফেলে । এর ফলে বুকে প্রচন্ড ব্যথা হতে পারে । এই ব্যথায় নাইট্রোগ্লিসারিন নামের একটি ওষুধ মুখে দিলে ভালো হয়ে যায়। হৃদরোগ সংক্রান্ত ব্যথা কমাতেও একই ওষুধ ব্যবহার করা হয় বলে এ ধরণের ব্যথা কখনো কখনো মারাত্মক বিভ্রান্তির সৃষ্টি করে । হৃদরোগ বর্হিভূত বক্ষব্যথা শিশুদেরও হতে পারে। দুগ্ধপোষ্য শিশুদেরও ব্যথা হতে পারে, আর তা হতে পারে নানা কারণে। হৃদযন্ত্রের আশপাশে যে সব অঙ্গ প্রত্যঙ্গ রয়েছে সেগুলোর কোনটায় কোনো ধরণের সমস্যা দেখা দিলে তার ফলে এ জাতীয় বক্ষ ব্যথা হতে পারে। জন্মগতভাবে অনেক শিশুর খাদ্যনালী প্রয়োজনের তুলনায় ছোট থাকে এবং এ সব শিশুর বুকে ব্যথা হতে পারে ।
রুজ্জুকে সর্প ভ্রমের বা রশিকে সাপ হিসেবে ভুল করার একটা কথা বাংলা প্রবাদে বলা হয়। এ ধরণের ভুল হলে তা কোনো ক্ষতির কারণ হবে না। কিন্তু উল্টোটা যদি হয় অর্থাৎ সাপকে যদি দড়ি বা রশি হিসেবে ভুল করা হয় তা হলে তা বিপদের কারণ হয়ে দেখা দিতে পারে। একই ভাবে যে কোনো বক্ষ ব্যথাকে হৃদরোগ থেকে সৃষ্ট ব্যথা বলে ধরে নিয়ে চিকিৎসকের কাছে কিংবা হাসপাতালে ছুটে গেলে দোষের কিছু নেই। হৃদরোগ থেকে ব্যথা হচ্ছে অথচ ডাক্তারের কাছে কিংবা হাসপাতালে গেলেন না তাতে মহা বিপদ হতে পারে। ব্যথা হৃদরোগ ঘটিত বা হৃদরোগ ঘটিত নয় তা বোঝার অন্যতম উপায় হলো, হৃদরোগ বর্হিভূত ব্যথা বুকের এক জায়গায় থাকে। আঙ্গুল দিয়ে রোগী বলতে পারে ঠিক কোন স্থানে ব্যথা হচ্ছে।
এই ধরণের ব্যথা সমস্ত বুক, ঘাড় বা বাম হাত বা দেহের বাম পাশে ছড়িয়ে পড়ে না। নন কার্ডিয়াক চেষ্ট পেইন বা হৃদরোগ বর্হিভূত বক্ষ ব্যথা সাধারণ ভাবে কোনো ধরণের বিপদের কারণ হয়ে দেখা দেয় না।Collected.


41
হার্টের সুস্থতায় ৫ টি টিপস

হৃদপিণ্ড বা হার্ট আমাদের দেহের অনেক গুরুত্বপূর্ণ ও পরিশ্রমী একটি অঙ্গ। তাই হার্টের সুস্থতা সকলেই কামনা করে থাকি। কিন্তু আজকাল আমাদের লাইফস্টাইল এমন যে নিজের শরীরের সুস্থতার দিকে আমরা মোটেও নজর দেইনা। কিংবা বলা ভালো সময় পাই না। তাই নানা রকম শারীরিক সমস্যার সাথে সাথে হার্টেও সমস্যা দেখা দেয়। কিন্তু হার্ট-এর সুস্থতায় প্রথমেই কিছু বাজে অভ্যাস ত্যাগ করতে হবে এবং পুষ্টিযুক্ত খাবার খেতে হবে। চলুন জেনে নিই হার্টকে সুস্থ রাখার ৫ টি টিপস।
১। আপনি যদি ধূমপায়ী হয়ে থাকেন সর্বপ্রথম ধূমপান করার এই বাজে অভ্যাসটি ত্যাগ করুন।
২। প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় এমন কিছু খাবার রাখুন যেগুলোতে আছে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট।
৩। সুস্থ হার্টের জন্য প্রতিদিন খাদ্য তালিকায় রাখুন মাছ, কারন মাছের তেল হার্টের জন্য খুবই ভালো। তাছাড়া ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিডও হার্টের জন্য অনেক উপকারী।
৪। কিছু ভালো অভ্যাস গড়ে তুলুন যেগুলো আপনার হার্টকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করবে। যেমনঃ ইয়োগা, বাইকিং, জগিং।
৫। সোডিয়াম সমৃদ্ধ খাবার খান এবং অনেক বেশি তেল, মশলা দিয়ে রান্না করা খাবার থেকে দূরে থাকুন। তেল, মশলা জাতীয় খাবারে আছে অনেক উপাদান যা আমাদের দেহ ও হার্টের জন্য ক্ষতিকর। Collected.

42
লিভারকে সুস্থ রাখবে ৭টি সহজলভ্য খাবার

আমাদের শরীরের দ্বিতীয় বৃহত্তম অঙ্গ হচ্ছে এই লিভার বা যকৃত। এবং বলাই বাহুল্য যে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই লিভারের ওপরেই আমাদের সুস্থ থাকা অনেকাংশে নির্ভরশীল। অথচ প্রতিনিয়ত ভুল খাদ্যাভ্যাসের কারণে এই গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গটির যারপরনাই ক্ষতি সাধন করে চলেছি আমরা। হ্যাঁ, বাজে খাদ্যাভ্যাস লিভারের যতটা ক্ষতি করে, আর কিছুই সেটা করতে পারে না। তাই লিভারের সুস্থতার জন্য চিনে নিন ৭টি সহজলভ্য ও সস্তা খাবারকে। মনে রাখবেন যে আপনার হজম ক্ষমতা, শরীরে প্রয়োজনীয় পুষ্টির মজুত ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা এই লিভারের ওপরেই নির্ভর করে।
১) রসুন
রসুনে আছে যা লিভারকে সুস্থ থাকতে সহায়তা করে। এছাড়াও রসুন এমন সব এনজাইমকে প্রভাবিত করে যা দূষিত উপাদান বের করে দেয়।
২) বীট
বীটে আছে উচ্চমাত্রায় যা লিভারের সামগ্রিক উন্নতির জন্য অত্যন্ত সহায়ক।
৩) সবুজ শাকসবজি
লেটুস পাতা কিংবা পালং শাকের মত সবজিগুলো এমন সব ক্ষতিকর উপাদানকে প্রতিহত করতে পারে, যা হয়তো আমাদের খাদ্যে উপস্থিত (যেমন, রাসায়নিক কীটনাশক)। এসব দূষিত পদার্থ শরীরে প্রভাব ফেলতে না পারলে লিভার রক্ষা পায়।
৪) গ্রিন টি
এখন আর গ্রিন টি আমাদের দেশে কোন দামী খাদ্য উপাদান নয়। ১০০ টাকাতেই ৫০টি টি ব্যাগ মেলে। এই গ্রিন টি-তে আছে নানান উপাদান সমূহ, যা অত্যন্ত উপকারী লিভারের স্বাস্থ্যে।
৫) লেবু
ভাতের পাতে লেবু ছাড়া চলেই না? জেনে রাখুন, লিভারের সুরক্ষায় লেবু দারুণ কার্যকরী। লেবু শরীর থেকে দূষিত পদার্থ বের করতে ও বিপাক ক্রিয়া উন্নত করতে ভূমিকা রাখে।
৬) হলুদ
প্রতিদিনের রান্নায় ব্যবহার করা এই হলুদে আছে উচ্চ মাত্রায় নানান রকম উপাদান, যা লিভারের স্বাস্থ্য রক্ষায় অত্যন্ত জরুরী। এই হলুদ ফ্যাট হজমে সাহায্য করে এবং এর অ্যান্টি ভাইরাল উপাদান লিভারের নানান রকম অসুখ প্রতিহিত করে।
৭) আমলকী
লিভারের সুরক্ষায় আরেকটি চমৎকার খাবার হচ্ছে আমলকী। আর ফলটি কাঁচা খেলেই লিভারের জন্য সবচাইতে উপকারী। Collected.

43
যে পাঁচটি খাবার চুলপড়া সমস্যার সমাধান দেবে

৩০-৪০-৫০-না, প্রতিদিন আর গুণে পারা যাচ্ছে না! যে হারে রোজ চুল উঠছে তাতে মনে হচ্ছে কোনদিন মাথাটাই না এক্কেবারে খালি হয়ে যায়৷
কিন্তু বেশি ভেবে কাজ নেই৷ ডায়েটচার্টের একটু নজর দিলেই এড়ানো যায় প্রতিদিন এই চুলপড়ার টেনশনকে৷ মাত্র পাঁচটি খাবার সামিল করুন ডায়েটে আর শীতের মরসুমে আয়ত্তে আনুন সমস্যাকে৷
ডিম- বায়োটিন আর ভিটামিন সি-এ সমৃদ্ধ ডিম, চুলের বিকাশের ক্ষেত্রে যার জুড়ি মেলা ভার৷ আর যদি একান্তই খেতে না চান, তাহলে অলিভ অয়েলের সঙ্গে মিশিয়ে মাথায় লাগালেও উপকার পাবেন৷ মাত্র চার চামচ অলিভ অয়েল ডিমের কুসুমের সঙ্গে মিশিয়ে মাথায় লাগালে চুল উজ্জ্বল ও ফুরফুরে হবে৷
পালংশাক- আয়রন আর ফোলেটে ভরপুর পালংশাক চুলের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে ভীষণ উপকারি৷ যা চুলে প্রয়োজনীয় অক্সিজেন সরবারহ করে৷ রোজ যদি পালংশাক খেতে ইচ্ছে না করে, তবে কুছ পরোয়া নেহি৷ মাঝেমধ্যে পালং-এর স্যালাড বানিয়ে তো খেতেই পারেন৷
ক্যাপসিকাম- লাল, হলুদ বা সবুজ-রঙ যেরকমই হোক ন াকেন ভিটামিনে সি তে ভরপুর ক্যাপসিকাম ডায়েটে রাখলে ধীরে ধীরে চুলের জেল্লা ফিরবে বই কী! শরীরে ভিটামিন সী-এর অভাবে চুল শুধু শুশ্কই হয়ে যায় না, প্রতিদিন প্রচণ্ড পরিমাণে ঝরতে থাকে৷
প্রোটিন- নিরামিষাশীরা চুলের স্বাস্থ্য ফেরাতে ডায়েটে রাখতে পারেন দানাশস্য৷ ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে চলতে পারে মুসুর ডাল, সোয়াবিন, রাজমা, স্টার্চযুক্ত বিনস৷ আয়রনে ভরপুর এই খাবারগুলি চুলে আবার আগের সৌন্দর্য ফিরিয়ে আনবে৷
গাজর- ভিটামিন আর বিটা ক্যারোটিন সমৃদ্ধ গাজর যদি প্রতিদিনের ডায়েটে এসময় রাখা যায়, তাহলে শীতের রুক্ষ্ম মরসুমেও আপনার চুল সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করবে৷ Collected.

44
এইডসে আক্রান্তের প্রধান লক্ষণগুলো

ইডস একটি সংক্রামক রোগ যা এইচআইভি (Human Immunodeficiency Virus) ভাইরাসের সংক্রমণের মাধ্যমে হয়ে থাকে। এই রোগটি মানুষের দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা নষ্ট করে দেয় ধীরে ধীরে। এরফলে দেহে বাসা বাঁধে নিউমোনিয়া, মেনিনজাইটিস সহ মারাত্মক নানা রোগ, এমনকি ক্যান্সারে আক্রান্ত হতে দেখা যায় অনেককেই।
দুর্ভাগ্য হলেও সত্যি যে এখন পর্যন্ত এইচআইভি/এইডসের কোন কার্যকর চিকিৎসা পদ্ধতি আবিস্কার হয়নি। এবং সেকারণে এই রোগে আক্রান্তের অর্থ শুধুমাত্র মৃত্যু। তাই এইডস প্রতিরোধের সবচাইতে ভালো উপায় হচ্ছে সচেতনতা এবং এই বিষয়ে সতর্ক থাকা। আমাদের কিছু ভুলের কারণে আমাদের দেহ আক্রান্ত হতে পারে এই মরণব্যাধিতে। তাই সচেতন থাকুন সবসময়।
এইডসে আক্রান্তের প্রতিটি ধাপে এই রোগের লক্ষণ একেকভাবে প্রকাশ পেয়ে থাকে। এইদসের লক্ষণকে চিকিৎসকগণ সংক্রমণের ৩ টি পর্যায়ে বিভক্ত করেন। এবং প্রতিটি পর্যায়ের লক্ষণই ভিন্ন ধরণের। চলুন দেখে নিই প্রাথমিক পর্যায়, সংক্রমণ পরবর্তী পর্যায় এবং শেষ পর্যায়ের লক্ষণগুলো।
সংক্রমণের প্রাথমিক পর্যায়ের লক্ষণগুলো : ১) দেহে লালচে দানা উঠা, ২) প্রচণ্ড মাথা ব্যথা,৩) জ্বর,৪) গলা ভাঙ্গা, ৫) লিম্ফগ্রন্থি ফুলে উঠা
সংক্রমণ পরবর্তী পর্যায়ের লক্ষণগুলো
১) কোনো কারণ ছাড়া দ্রুত দেহের ওজন কমতে থাকা
২) জ্বরের মাত্রা বৃদ্ধি পাওয়া
৩) কাশি এবং শ্বাসকষ্টের সমস্যা শুরু হওয়া
৪) হাড়ের জয়েন্টগুলো ফুলে উঠা
৫) ডায়রিয়ায় আক্তান্ত হওয়া
সংক্রমণের শেষ পর্যায়ের লক্ষণগুলো
১) ৩ মাসের বেশি সময় ধরে হাড়ের জয়েন্টগুলো ফুলে থাকা
২) মুখ কিংবা জিহ্বা বাঁকা হয়ে যাওয়া। মাঝে মাঝে সাদা সাদা দাগ পরতে দেখা যায়।
৩) দৃষ্টিশক্তিতে সমস্যা শুরু হয়। সবকিছু অস্পষ্ট এবং বিকৃত দেখতে পাওয়া
৪) দীর্ঘদিন ধরে ডায়রিয়ার সমস্যা থেকে যাওয়া
৫) টানা ২-৩ সপ্তাহ বা এরচাইতে বেশি সময় ধরে অনেক বেশি জ্বর থাকা
৬) মাথা ব্যথা তীব্র থেকে তীব্রতর হওয়া
৭) শুকনো কাশি এবং শ্বাসকষ্ট বেড়ে যাওয়া
৮) রাতের বেলা অনেক বেশি ঘাম হওয়া
৯) প্রচণ্ড দুর্বলতা বোধ করা
বড়দের ক্ষেত্রে যেসকল লক্ষণগুলো দেখা দেয় শিশুদের ক্ষেত্রে তা ভিন্ন হয়ে থাকে।
১) দৈহিক বৃদ্ধি স্বাভাবিক হারে না হওয়া
২) ওজন বৃদ্ধি না পাওয়া
৩) কানের সংক্রমণ, নিউমোনিয়া, টনসিল ইত্যাদিসহ নানা ছোটোখাটো সমস্যা মারাত্মক আকার ধারণ করা
৪) হাঁটতে সমস্যা হওয়া
৫) বুদ্ধি ও মেধা বিকাশে দেরি হওয়া। Collected.

45
মেদ কমানোর সহজ উপায়

 পেটে মেদ জমতে সময় না নিলেও মেদ থেকে রেহাই পেতে পোড়াতে হয় অনেক কাঠখড়। যদি শহুরে কর্মজীবনে আপনার সময় বেশি কাটে তবে উদরের বাড়তি মেদ কমানো বেশ কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ে। স্বাস্থ্য বিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে পেটের মেদ কমানোর জন্য সাধারণ কিছু অভ্যাস গড়ে তোলার পরামর্শ দেয়া হয়েছে :
১. মেদ কমাতে লেবু দারুণ কার্যকর। পেটের চর্বি কমাতে চাইলে লেবুর রস খেয়ে সকাল শুরু করুন। এক গ্লাস কুসুম-কুসুম গরম পানিতে খানিকটা লেবুর রস নিয়ে সঙ্গে সামান্য লবণ মিশিয়ে সকালে খেতে হবে। প্রতিদিন সকালে এই শরবত খাওয়ার অভ্যাস হজম প্রক্রিয়ায় ও পেটের মেদ কমাতে সাহায্য করে।
২. বাঙালি হয়ে ভাত খাওয়া চলবে না, এ কথা শুনলে অনেকেই আঁতকে ওঠেন। ধবধবে শাদা ভাতের প্রতি আকর্ষণই অন্যরকম। তবে পেটের চর্বি কমাতে চাইলে ভাত এড়িয়ে চলতে হবে। এর বদলে হোল গ্রেইন খাবার, যেমন- লাল চালের ভাত, লাল আটার রুটি, ওটস ইত্যাদি খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে।
৩. পেটের মেদ থেকে মুক্তি পেতে চাইলে মিষ্টিজাতীয় খাবার, চিনিসমৃদ্ধ কোমল পানীয় এবং অতিরিক্ত চর্বি ও তেলজাতীয় খাবার এড়িয়ে চলতে হবে। কারণ এসব খাবার শরীরের মেদ বাড়িয়ে দেয়।
৪. প্রতিদিন প্রচুর পানি খেতে হবে। কারণ পানি হজম প্রক্রিয়ায় সাহায্য করে এবং শরীরে ক্ষতিকর বিষাক্ত পদার্থ দূর করে। পেটের মেদ কমানোর জন্য পানি পান করা খুবই কার্যকর।
৫. প্রতিদিন সকালে দুই থেকে তিন কোয়া কাঁচারসুন খেয়ে তারপর এক গ্লাস লেবুর রস মেশানো পানি খেলে শরীরে রক্ত সঞ্চালন প্রক্রিয়া ভালো হয় এবং বাড়তি ওজন তাড়াতাড়ি কমে।
৬. পেটে যদি চর্বিও পরিমাণ বেশি হলে আমিষজাতীয় খাবার এড়িয়ে চলাই ভালো। পেটের মেদ ঝরাতে শাকসবজি ও ফল বেশি খেতে হবে। প্রতিদিন সকালে ও সন্ধ্যায় প্রচুর ফল খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে। এতে শরীরে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সরবরাহ করার পাশাপাশি বিভিন্ন ভিটামিন এবং মিনারেলের ঘাটতিও পূরণ হবে। Collected.

Pages: 1 2 [3] 4 5