Show Posts

This section allows you to view all posts made by this member. Note that you can only see posts made in areas you currently have access to.


Messages - Tofazzal.ns

Pages: 1 [2] 3 4 ... 21
16
পাকিস্তান গন পরিষদে বাংলা ভাষা সংক্রান্ত সংশোধনী প্রস্তাব আনেন?    উঃ গন পরিষদ সদস্য ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত।       
   
উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা করার প্রস্তাব প্রথম কবে, কোথায় গৃহীত হয় ?    উঃ ডিসেম্বর, ১৯৪৭ সালে করাচিতে শিক্ষা সম্মেলনে।    
      
তমুদ্দিন মজলিস কি ? এটি কবে গঠিত হয় ?    উঃ একটি সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান, ২ সেপ্টেম্বর ১৯৪৭ ।       
   
উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা করার বিরুদ্ধে কবে সর্বদলীয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ গঠিত হয় ?    উঃ ০২ ই ১৯৪৮ মার্চ।    
      
১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের সময় পূর্ব বাংলার মূখ্যমন্ত্রী কে ছিলেন ?    উঃ নুরুল আমিন।          

১৯৫২ র ভাষা আন্দোলনের সময় পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রি কে ছিলেন ?    উঃ খাজা নাজিমউদ্দিন।       
   
প্রথম তৈরী শহীদ মিনার কে উম্মোচন করেন ?    উঃ শহীদ শফিউরের পিতা।          

১৯৫২ র ভাষা আন্দোলনের শহীদের স্মরণে কবে প্রথম শহীদ মিনার নির্মান করা হয় ?    উঃ ১৯৫২ সালের ২৩ শে ফেব্রুয়ারী।
         
উর্দু - উর্দুই হবে পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা এ কথাটি কে বলেছিলেন ?    উঃ মুহম্মদ আলী জিন্নাহ।       
   
কত সালে বাংলা ভাষাকে রাষ্ট্রভাষা হিসাবে স্বীকৃতি দেয়া হয় ?    উঃ ১৯৫৬ সালে।

17
১০ জানুয়ারী      বঙ্গবন্ধু প্রত্যাবর্তন দিবস    
   
   
২৮ জানুয়ারী      সলঙ্গা দিবস।    
   
   
০২ ফেব্রুয়ারী    জনসংখ্যা দিবস    
   
   
২২ ফেব্রুয়ারী    আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা প্রত্যাহার দিবস    
   
   
২৮ ফেব্রুয়ারী    ডায়াবেটিক দিবস       
   
১৫ মার্চ    রাষ্ট্রভাষা দিবস    
   
   
২৫ মার্চ    কালো রাত দিবস    
   
   
২৪ এপ্রিল    খাপড়া ওয়ার্ড দিবস    
   
   
২৮ মে    নিরাপদ মাতৃত্ব দিবস    
   
   
৩০ মে    জিয়াউর রহমানের সাহাদত দিবস    
   
   
০৭ জুন    ছয়দফা দিবস    
   
   
২৩ জুন    পলাশী দিবস    
   
   
০৭ নভেম্বর*      জাতীয় দিবস ও সংহতি দিবস    
   
   
১৬ অক্টোবর      বঙ্গভঙ্গ দিবস    
   
   
০৬ ডিসেম্বর      স্বৈরচার পতন দিবস    
   
   
২২ অক্টোবর      নিরাপদ সড়ক দিবস

18
২১ শে ফেব্রুয়ারী    শহীদ দিবস    
   
   
২৬ শে মার্চ    স্বাধীনতা দিবস    
      
১৫ আগষ্ট    জাতীয় শোক দিবস    
   
   
২১ নভেম্বর    সশস্র বাহিনী দিবস    
   
   
১৪ ডিসেম্বর    শহীদ বুদ্ধিজীবি দিবস    
   
   
১৬ ডিসেম্বর    বিজয় দিবস

19
বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি?    উঃ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।    
      
বাংলাদেশের প্রথম অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি ?    উঃ সৈয়দ নজরুল ইসলাম।    
      
বাংলাদেশের প্রথম উপ-রাষ্ট্রপতি ?    উঃ সৈয়দ নজরুল ইসলাম।       
   
বাংলাদেশের প্রথম স্পীকার (গণ পরিষদ) ?    উঃ শাহ আব্দুল হামিদ।    
   
   
বাংলাদেশের প্রথম স্পীকার (জাতীয় সংসদ) ?    উঃ মোহাম্মদ উল্ল্যাহ।    
      
বাংলাদেশের প্রথম সি.ইন.সি. ?    উঃ জেনারেল এম. এ. জি. ওসমানী       
   
বাংলাদেশের প্রথম প্রধান বিচারপতি ?    উঃ এ. এস. এম. সায়েম       
   
বাংলাদেশের প্রথম এটর্নী জেনারেল ?    উঃ এম. এইচ. খোন্দকার।       
   
বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী ?    উঃ তাজউদ্দিন আহমেদ।       
   
বাংলাদেশের প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রী ?    উঃ বেগম খালেদা জিয়া       
   
বাংলাদেশের প্রথম মহিলা বিরোধী দলীয় নেত্রী ?    উঃ শেখ হাসিনা       
   
বাংলাদেশের প্রথম নির্বাচন কমিশন ?    উঃ বিচারপতি মোহাম্মদ ইদ্রিস।    
      
বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠিত প্রথম বিশ্ববিদ্যালয় ?    উঃ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়       
   
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম ভাইস-চ্যান্সেলর ?    উঃ স্যার পি. জে. হাটর্স।       
   
ঢাকা পৌরসভার প্রথম চেয়ারম্যান ?    উঃ মিঃ স্কিনার।          

ঢাকা পৌরসভার নির্বাচিত প্রথম চেয়ারম্যান ?    উঃ আনন্দ চন্দ্র রায়।          

ঢাকা পৌর কর্পোরেশনের প্রথম মেয়র ?    উঃ ব্যারিস্টার আবুল হাসনাত।       
   
ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচিত প্রথম মেয়র ?    উঃ মোহাম্মদ হানিফ       
   
প্রথম জাতীয় পতাকা উত্তোলনকারী ?    উঃ আ. স. ম. আব্দুর রব।       
   
বাংলদেশ ব্যাংকের প্রথম গর্ভনর ?    উঃ এ. এন. হামিদুল্লাহ          

বাংলাদেশে প্রথম মুদ্রা প্রচলনের তারিখ ?    উঃ ০৪ মার্চ, ১৯৭২       
   
বাংলাদেশকে প্রথম স্বীকৃতি প্রদানকারী দেশ ?    উঃ ভারত          

বাংলাদেশের প্রথম মহিলা নোটারী পাবলিক ?    উঃ মিসেস কামরুন্নাহার লাইলী    
      
বাংলাদেশের প্রথম মহিলা পাইলট ?    উঃ কানিজ ফাতেমা রোকশানা।    
      
বাংলাদেশের প্রথম মহিলা রাষ্ট্রদূত ?    উঃ মাহমুদা হক চৌধূরী       
   
বাংলাদেশ পলিশ একাডেমীর প্রথম মহিলা প্যারেড কমান্ডার ?    উঃ এলিজা শারমিন (০২ সেপ্টেম্বর, ২০০৭)।    
      
বাংলাদেশের প্রথম মডেল থানা কোনটি?    উঃ ভালুকা, ময়মনসিংহ।          

বাংলাদেশের প্রথম এভারেষ্ট বিজয়ী কে?    উঃ মুসা ইব্রাহিম (২৩ মে, ২০১০)       
   
বাংলাদেশের প্রথম মহিলা কুটনীতিবিদ?    উঃ তাহমিনা হক ডলি       
   
বাংলাদেশের প্রথম মহিলা সচিব ?    উঃ জাকিয়া আখতার          

বাংলাদেশের প্রথম মহিলা এস.পি ?    উঃ বেগম রওশন আরা          

বাংলাদেশের প্রথম মহিলা কাস্টমস কমিশনার ?    উঃ হাসিনা খাতুন       
   
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রথম মহিলা ব্যবস্থাপক ?    উঃ নাজনিন সুলতানা       
   
বাংলাদেশের ব্যাংকিং জগতের প্রথম এম.ডি. ?    উঃ আনিসা হামেদ       
   
বাংলাদেশের হাইকোর্টের প্রথম মহিলা বিচারপতি?    উঃ নাজমুন আরা সুলতানা       
   
বাংলাদেশের আপীল প্রথম মহিলা বিচারপতি?    উঃ নাজমুন আরা সুলতানা       
   
বাংলাদেশের প্রথম মহিলা বিগ্রেডিয়ার?    উঃ সুরাইয়া রহমান।          

বাংলাদেশের প্রথম জেলা প্রকাশক?    উঃ কামরুন নেসা খানম, মোশফেক ইফফাত, বেগম মমতাজ আহমেদ, রাবেয়া বেগম।    
      
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম মহিলা উপ-উপাচার্য?    উঃ ডঃ জিন্নাতুন্নেছা তাহমিদা          

বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশনের প্রথম মহিলা চেয়ারম্যান?    উঃ ডঃ জিন্নাতুন্নেছা তাহমিদা       
   
বাংলাদেশের প্রথম ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্র ?    উঃ বেতবুনিয়া, রাঙ্গামাটি।          

প্রথম বাঙ্গালী ভাইস চ্যান্সেলর ?    উঃ স্যার এফ রহমান          

প্রথম বাঙ্গালী বিলেত গমণকারী ?    উঃ রাজা রামমোহন রায়।       
   
প্রথম বাঙ্গালী বিচারপতি?    উঃ স্যার সৈয়দ আমির আলী          

প্রথম বাঙ্গালী নোবেল বিজয়ী ?    উঃ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর          

বাংলাদেশের প্রথম উপজাতীয় রাষ্ট্রদূত?    উঃ শরদিন্দু শেখর চাকমা          

বাংলাদেশের প্রথম বানিজ্য জাহাজ ?    উঃ বাংলার দূত          

বাংলাদেশের প্রথম রণতরী ?    উঃ বি. এন. এস. পদ্মা          

প্রথম বাংলা চলচ্চিত্র?    উঃ মুখ ও মুখোশ, ৩ আগষ্ট, ১৯৫৬।       
   
প্রথম মুসলিম অভিনেত্রী ?    উঃ বনানী চৌধুরী          

প্রথম ইংলিশ চ্যানেল অতিক্রমকারী বাঙ্গালী ?    উঃ ব্রজেন দাশ (৬ বার)       
   
বিটিভি’র প্রথম মহিলা মহাপরিচালক ?    উঃ ফেরদৌস আরা বেগম       
   
বাংলাদেশের প্রথম নারী ওসি কে?    উঃ হোসনে আরা বেগম।          

জাতিসংঘে নিয়োজিত বাংলাদেশের প্রথম (মহিলা) স্থায়ী প্রতিনিধি কে?    উঃ ইসমাত জাহান।       
   
বাংলাদেশের প্রথম মহিলা এভারেষ্ট বিজয়ী কে?    উঃ নিশাত মজুমদার (২০ মে, ২০১২)    
   
   
বাংলাদেশের প্রথম মহিলা পারাট্রুপার কে?    উঃ সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন জান্নাতুল ফেরদৌস। (০৭/০২/২০১৩)    
      
বাংলাদেশের প্রথম নারী সহকারী ট্রেন কে?    উঃ সালমা খাতুন।          

সুপ্রিমকোর্টের প্রথম রেজিস্ট্রার জেনারেল কে?    উঃ সৈয়দ আমিনুল ইসলাম।

20
thanks to help us to share this post.

21
Important post for all. Thanks for sharing.

22
Bangladesh Civil Service-BCS / Re: MCQ
« on: March 15, 2017, 11:04:29 PM »
thanks for sharing...

23
Football / কৌশলেই মার খেল আবাহনী
« on: March 15, 2017, 11:03:23 PM »
পাল্টা আক্রমণে আবদুল্লাহ আসাদুল্লাহ প্রায় মাঝমাঠ থেকে বলটা যখন টেনে নিয়ে যাচ্ছেন, আবাহনীর শেষ ডিফেন্ডার রায়হান শোচনীয়ভাবে ব্যর্থ। পারলেন না মাজিয়ার স্ট্রাইকারকে আটকাতে। সুযোগ কাজে লাগিয়ে সর্বনাশের শেষটা টেনে দিলেন আবদুল্লাহ।
১-০ গোলে পিছিয়ে থাকা ম্যাচে সমতাসূচক গোলটা পেতে আক্রমণে ওঠা আবাহনীর জালে উল্টো দ্বিতীয় গোল, ৮৬ মিনিটে। অন্তত ড্রয়ের আশায় এএফসি কাপের প্রথম ম্যাচে আকাশি-নীলের ২-০ হারটা তুলে ধরল বাংলাদেশ-মালদ্বীপের ফুটবলের পার্থক্যও।
বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে ফুটবল রোমান্টিকদের অনেকে তখন ফিরে যাচ্ছেন আশি, নব্বই দশকে। মালদ্বীপের ভ্যালেন্সিয়াকে ৮-০ গোলে উড়িয়ে দিয়ে মোহামেডানের সেই উৎসব চোখে ভাসে তাঁদের! ওই ভ্যালেন্সিয়াই খাবি খেয়েছে আবাহনীর কাছেও (৭-২)। দ্বীপ দেশটির জাতীয় দলকে আসলাম-কায়সার হামিদরা ভাসিয়েছেন আট গোলে। সেই দিন আর নেই! গত মাসেই চট্টগ্রামে শেখ কামাল টুর্নামেন্টে মালদ্বীপের টিসি এফসির কাছে এই আবাহনী হেরেছে ১-০ গোলে।
পঞ্চম মিনিটেই পাওয়া গোল ধরে রাখতে আবাহনীর সামনে কাল মাজিয়া দাঁড় করিয়েছে নিখুঁত রক্ষণ। যদিও বল পজেশন ঢাকার দলটিরই ছিল বেশি। আক্রমণেও একক প্রাধান্য। আবাহনী ক্রস করেছে প্রচুর, কিন্তু তা আটকাতে প্রস্তুত ছিলেন মাজিয়ার দীর্ঘদেহী কিরগিজ গোলরক্ষক পাভেল।

আবাহনী কোচ দ্রাগো মামিচ বিরক্ত এমন ক্রস দেখে। ম্যাচ শেষে বলছিলেন, ‘আমি উঁচু গলায় বারবার বললাম, ‘তোমরা মাটিতে খেলো। কিন্তু ওরা ক্রস করতে থাকল আর তা প্রতিহত হলো।’ এমনিতে আবাহনীর খেলায় মামিচ খুশি। শেখ কামাল কাপে খেলা দলের পাঁচজন নেই। জোড়াতালির নতুন দলটাকে গড়ার সময় পাননি। সেই তুলনায় দল খারাপ খেলেনি বলেই মনে করেন মামিচ।

কিন্তু দুটি ভুল পাস ডেকে এনেছে সর্বনাশ। প্রথমবার অধিনায়ক মামুন মিয়ার ভুল থেকে বল পেয়ে মোহাম্মদ উমাইরের প্লেসিংয়ে ১-০। দ্বিতীয় গোলটা ইয়াসিনের ভুল পাসের খেসারত। অথচ চারজন বিদেশি নিয়ে খেলা মাজিয়া আক্রমণই করেছে মাত্র চারটি! এর মধ্যে দুটি ঠেকিয়েছেন আবাহনীর গোলরক্ষক সোহেল। শেষ পর্যন্ত ব্যক্তিগত নৈপুণ্যের অভাবই পার্থক্য হয়ে দাঁড়াল। প্রথমার্ধে রাইট উইং ব্যাক পজিশনে খেলা আবাহনী অধিনায়ক মামুন মিয়া ওপরে উঠেছেন বারবার। কিন্তু সৃষ্টিশীলতার অভাবে আক্রমণগুলো দানা বাঁধেনি। কিছুটা আহত মামুন মিয়াকে দ্বিতীয়ার্ধে বসিয়ে কোচ চলে গেলেন দ্বিতীয় স্ট্রাইকারে, নামালেন জীবনকে।

কিন্তু মাজিয়া প্রতিপক্ষকে শুটিং রেঞ্জে কোনো জায়গাই দেয়নি। উল্টো আবাহনী মাঝমাঠে অনেক ভুল পাস দিয়েছে, পাল্টা আক্রমণের জন্য রক্ষণও তৈরি ছিল না। সর্বনাশটা হয়েছে এখানেই। তবে ইরানি রেফারি কিছু ফ্রি-কিক দেননি বলেও ক্ষোভ আবাহনী কোচের।
আকাশি-নীলের পরের ম্যাচটা আগামী ৪ এপ্রিল কলকাতায় স্থানীয় মোহনবাগানের সঙ্গে। আরেকটি বড় পরীক্ষাই অপেক্ষা করছে!

24
ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে অবস্থান খুব ভালো নয় লেস্টারের। কিন্তু ক্রেইগ শেক্‌সপিয়ার বলেছেন তাঁর দল নাকি জিততে পারে চ্যাম্পিয়নস লিগও। লেস্টার কোচের কথা সত্যি হবে কি না, সেটা সময়ের হাতে তোলা থাকলেও লেস্টার যে সঠিক পথেই এগিয়ে চলেছে, তার প্রমাণ মিলেছ। সেভিয়াকে ২-০ গোলে হারিয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগের শেষ আটে পৌঁছে গেছে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা।
আগের লেগে সেভিয়ার মাঠে শেষ ষোলোর প্রথম লেগ ২-১ গোলে হেরেছিল লেস্টার। প্রতিপক্ষের মাঠ থেকে নিয়ে আসা ১ গোলের সুবিধাটা কাজে লাগিয়ে কাল নিজের মাঠে ফিরতি লেগে মরগান আর আলব্রাইটনের গোলে তারা হারিয়ে দিয়েছে ৭৪ মিনিটে ১০ জনের দলে পরিণত হওয়া সেভিয়াকে। নিজেদের মাঠে ২-০ গোলে জিতে সব মিলিয়ে ৩-২ ব্যবধানেই কোয়ার্টার ফাইনালে পা লেস্টারের।

গত মৌসুমে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে রূপকথার জন্ম দেওয়া লেস্টারের এবার লিগে এগোচ্ছে হোঁচট খেতে খেতে। যদিও ক্লদিও রানিয়েরির বরখাস্তের পর শেক্‌সপিয়ারের অধীনে কিছুটা হলেও ছন্দ ফিরে পেয়েছে তারা। তবে দেরি যা হওয়ার হয়ে গেছে। ২৭ ম্যাচে ২৭ পয়েন্ট নিয়ে তালিকায় লেস্টারের অবস্থান নিচের দিকে। অবনমন কীভাবে বাঁচানো যায় তা নিয়ে ভাবতেই গলদঘর্ম অবস্থা ইংলিশ চ্যাম্পিয়নদের। লিগে যাই হোক, এ দলটাই কিন্তু চ্যাম্পিয়নস লিগে দেখা দিচ্ছে ভিন্ন চেহারায়।

লেস্টার সিটির রূপকথার রূপকার ক্লদিও রানিয়েরি বরখাস্ত হওয়ার পর আপৎকালীন কোচ হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল শেক্‌সপিয়ারকে। শেক্‌সপিয়ারের অধীনে দলের পারফরম্যান্সের রেখ চিত্রটা যে ঊর্ধ্বমুখী! উন্নতির রেখাটা কার্ডিফে ৩ জুনের চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনাল পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে কি না, সেটাই দেখার।

লেস্টারের সাফল্যের রাতে পোর্তো হতে পারেনি ‘বার্সেলোনা’। চ্যাম্পিয়নস লিগে শেষ ষোলোর প্রথম লেগে জুভেন্টাসের কাছে নিজের মাঠে ২-০ গোলে হেরেছিল পোর্তো। কাল তুরিনে ৪০ মিনিটে ১০ জনে পরিণত হওয়া পোর্তো ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি, হেরেছে ১-০ গোলে। ৪২ মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করে জুভেন্টাসকে এগিয়ে নেন পাওলো দিবালা। সেই গোল আর শোধ দিতে পারেনি পোর্তো। দুই লেগ মিলিয়ে পর্তুগিজ দলকে ৩-০ ব্যবধানে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে পা রেখেছে জুভরা। সূত্র: এএফপি, গোলডটকম।

25
ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে আইসিসির চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন শশাঙ্ক মনোহর। ২০১৬ সালের মে মাসে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আইসিসির প্রথম স্বাধীন চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন। দুই বছরের মেয়াদে নির্বাচিত হলেও এক বছর না পেরোতেই সরে যাচ্ছেন মনোহর। অথচ বিশ্ব ক্রিকেটের ভারসাম্যহীন ক্ষমতার কুফলটা বুঝতে পেরে ধীরে ধীরে সব গুছিয়ে আনছিলেন তিনি। তাঁর নেতৃত্বেই তিন মোড়লের কর্তৃত্ব খর্ব করতে পেরেছিল আইসিসি।

ঠিক কী কারণে মনোহর পদত্যাগ করলেন সেটি জানা যায়নি। তবে আইসিসির প্রধান নির্বাহী ডেভ রিচার্ডসনকে তিনি লিখেছেন, ‘আমি আমার সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করেছি। আইসিসির নির্বাহী বোর্ড ও সদস্য বোর্ডগুলোর সম্পর্কিত সব বিষয়ে নিরপেক্ষ থাকার চেষ্টা করেছি। এ বিষয়ে পরিচালকদের (বোর্ড) সমর্থনও পেয়েছি। ব্যক্তিগত কারণে এই গুরুদায়িত্ব পালন আমার পক্ষে সম্ভব হচ্ছে না।’

রিচার্ডসনকে লেখা চিঠিতে মনোহর ধন্যবাদ জানিয়েছেন আইসিসির সকল পরিচালক, ব্যবস্থাপক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের। স্বল্প মেয়াদে এই দায়িত্ব পালনের মধ্যেই তাৎপর্যপূর্ণ এক পরিবর্তন আসে তাঁর হাত ধরে। একজন ভারতীয় হয়েও আইসিসিতে ভারতের আধিপত্য কমাতে মনোহরের ভূমিকা ছিল বলার মতোই। তিন মোড়লের একচ্ছত্র আধিপত্য ও লাভের ভাট-বাঁটোয়ারার সিংহ ভাগ ভারত, অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ডের নিয়ে যাওয়ার বিরুদ্ধে প্রথম থেকে দৃঢ় অবস্থান নিয়েছিলেন। প্রথম দীর্ঘ সাক্ষাৎকারে মনোহর বলেছিলেন, ক্রিকেটকে বাঁচিয়ে রাখতে হলে সবাইকে নিয়েই বাঁচতে হবে।

তিন মোড়ল নীতি বাতিল করে সংবিধানে সংশোধন আনলেও সব বিষয়ের মীমাংসা এখনো হয়নি। এর আগেই চলে গেলেন মনোহর। এখন নতুন চেয়ারম্যান কে হন, তা-ই দেখার। সূত্র: ক্রিকইনফো।

26
বিরাট কোহলির অধিনায়কত্ব কেমন সেটা আলোচনার সময় এখনো আসেনি। অধিনায়কত্বের দুই বছরের মাথায় কারও সম্পর্কে কোনো রায় দেওয়াটা বাড়াবাড়িই। শেন ওয়াটসন অবশ্য বেশ সাহসী। সাবেক অস্ট্রেলিয়ান অলরাউন্ডারের মতে কোহলির অধিনায়কত্ব ‘স্বৈরশাসক’দের মতো। তবে স্বৈরশাসক শুনেই কোহলি-ভক্তরা যেন খেপে না যান। প্রশংসা করতে গিয়েই এমনটা বলেছেন ওয়াটসন। তাঁর দাবি এটা ভারত ও ক্রিকেটের জন্য ভালো!

অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে বেঙ্গালুরু টেস্টের আগ্রাসী কোহলিকে অনেক দিন মনে রাখবেন সবাই। শরীরী-ভাষায় যুদ্ধের দামামা বাজিয়ে পুরো টেস্টে দলকে খেলিয়েছেন ভারত অধিনায়ক। সেটা নিয়ে অনেক কথাবার্তাও হয়েছে। কাল সিরিজের তৃতীয় টেস্টে রাঁচিতে মুখোমুখি হবে দুই দল। ওয়াটসন তাই সতর্ক করে দিচ্ছেন উত্তরসূরিদের, ‘বিরাট কোহলির অধিনায়কত্ব অনেকটা অবিচল স্বৈরশাসকদের মতো। অস্ট্রেলিয়ানদের তাই রাঁচিতেও আগের মতোই আক্রমণের শিকার হওয়ার প্রস্তুত থাকা ভালো।’

‘স্বৈরশাসক’ শব্দটার ব্যাখ্যাও দিয়েছেন ওয়াটসন, ‘আমি বলব না ও খুব মেজাজি। ম্যাচের পরিস্থিতির সঙ্গে ওর আবেগও উঠানামা করে। সে জিততে চায়, হারতে অপছন্দ করে। আর অধিনায়ক হিসেবে সে এভাবেই প্রস্তুত হয়। বিরাটের যে জিনিসটা খুব ভালো লাগে, সেটা হলো সে যেকোনোভাবে জিততে চায় এবং সামর্থ্যের সর্বোচ্চটা দেয়।’

অবশ্য মেজাজ দেখানোয় কোহলি একা নন, অস্ট্রেলিয়া অধিনায়ক স্টিভ স্মিথও কম যাচ্ছেন না এ সিরিজে। মাঠে দুজনের মধ্যে বেশ কয়েকবারই বচসা হয়েছে। মাঠ থেকে বোর্ড, এমনকি আইসিসি পর্যন্ত গড়িয়েছে এ দ্বন্দ্ব। এ নিয়ে তিক্ততা ছড়ালেও ওয়াটসন বিষয়টাকে ইতিবাচক চোখেই দেখছেন, ‘আমি জানি এ সিরিজটা দুজনের জন্য কতটা গুরুত্ব। তারা দুজনই ভয়ংকর-প্রতিদ্বন্দ্বী। বিরাট প্রকাশ করে ফেলে সে জিততে কতটা ভালোবাসে। স্টিভও তেমন, তবে সে অতটা দেখায় না। আমার ধারণা এ দুজন বিশ্বসেরা এবং কিছুদিন পরে তারা সর্বকালের সেরাও হতে পারে। এমন দুজন তরুণ অধিনায়ককে একে অপরের বিপক্ষে লড়তে দেখাটাই সিরিজটাকে অসাধারণ বানিয়ে দিয়েছে। দুজন মানুষ এভাবে দলের জন্য সবকিছু দিয়ে দিচ্ছে—এটা অনেকেই দেখতে পছন্দ করে।’ সূত্র: ডেকান ক্রনিকলস।

27
পি সারা ওভালে ম্যাচ শুরুর আগেই মুশফিকুর রহিমকে নিয়ে ভাগ্য একটু খেলল। নিজেদের শততম টেস্টে টস হারলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। এতে যে মুশফিকের একটু আফসোসই হয়েছে বোঝা গেল তাঁর কথায়, ‘টস জিতলে আমিও ব্যাটিং নিতাম।’ মাঠের খেলায়ও একই ছবি—ভাগ্য যেন বাংলাদেশের দিকে হাসতেই ভুলে গেছে!

১১তম ওভারে মোস্তাফিজুর রহমানের কাটারে বোকা বনে গেলেন উপুল থারাঙ্গা। এলবিডব্লিউর আউটও দিয়ে দিয়েছিলেন আম্পায়ার। কিন্তু রিভিউ নিয়ে বেঁচে গেলেন শ্রীলঙ্কান ওপেনার। পরে যদিও তিনি মেহেদী হাসান মিরাজের শিকার হয়েছেন ১১ রান করে। ৩৯তম ওভারে আবারও বাংলাদেশের ভাগ্যবিড়ম্বনা। সাকিব আল হাসানের বলে দিনেশ চান্ডিমালের বিপক্ষে প্রথম এলবিডব্লিউ, পরে ক্যাচের আবেদন। আম্পায়ার সাড়াও দিলেন। কিন্তু রিভিউ নিয়ে বেঁচে গেলেন ৩৯ রান করা শ্রীলঙ্কান ব্যাটসম্যান।
চান্ডিমাল আউট হতে পারতেন ৩৬তম ওভারেও। সাকিবের সরাসরি থ্রো উইকেটের পাশ দিয়ে গেল। ইশ্‌...একটা আফসোস মিলিয়ে গেল পি সারা ওভালের বাতাসে। সাকিবকে সান্ত্বনা দিলেন সতীর্থরা। ৩৩ রানে বেঁচে যাওয়া চান্ডিমাল প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত অপরাজিত ৬০ রানে। শ্রীলঙ্কান এই ব্যাটসম্যান আউট হতে পারতেন তাইজুল ইসলামের বলেও। ফাইন লেগে চান্ডিমালের দুর্দান্ত এক ক্যাচ নিলেন মিরাজ। কিন্তু থার্ড আম্পায়ারের রিপ্লে আবারও বাঁচিয়ে দিল তাঁকে।

৫৬তম ওভারে শুভাশিসের বলে নিরোশান ডিকভেলার যে কঠিন ক্যাচটা হাতছাড়া করেছেন মুশফিক, সেটাতেও ভাগ্যের ‘হাত’ আছে! চেষ্টার কমতি ছিল না বাংলাদেশ উইকেটকিপারের। বলটা গিয়ে পড়ল গ্লাভসের কিছুটা সামনে।

ভাগ্যেই সব হয় না, তবে ক্রিকেটে ভাগ্যটা বোধহয় অন্য যেকোনো খেলার চেয়ে একটু বেশিই গুরুত্বপূর্ণ। এই যে ৫০-৫০ সুযোগগুলো তৈরি হয়েছে, যদি সৌভাগ্যের ছোঁয়া বাংলাদেশ পেত, এতক্ষণে হয়তো ব্যাটিংয়ে নেমে যেতেন তামিম-সৌম্যরা। দক্ষিণ আফ্রিকান গলফার গ্যারি প্লেয়ারের একটা অমর উক্তি আছে, ‘দ্য মোর আই প্র্যাকটিস দ্য মোর আই গেট লাকিয়ার।’ হারতে হারতে জিতে যাওয়ার ঘটনা তাঁর ক্যারিয়ারে এত বেশি ঘটেছে যে ‘লাকি’ শব্দটা নামের সমার্থক হয়ে গিয়েছিল!

নিজেদের চেষ্টা তো থাকতেই হবে, শততম টেস্টটা স্মরণীয় করে রাখতে বাংলাদেশকে একটু ‘লাকি’ও হতে হবে। আফসোস এখানেই, সেটা যে মুশফিকদের হাতে নেই! তবে যে ব্যাটসম্যানই ভাগ্যের ছোঁয়ায় বেঁচে গেছেন, কিছুক্ষণের মধ্যেই বাংলাদেশ ঠিক তাঁকে ফিরিয়েছে। ভাগ্য যেন আজ নিজেই গড়ে নিতে চায় বাংলাদেশ। চান্ডিমালই যা একটু গলায় বিঁধে থাকা অস্বস্তির কাঁটা...।

28
চা বিরতির পরের সেশনটা বাংলাদেশেরই মনে হচ্ছিল। সাকিব আল হাসান তুলে নিলেন তাঁর প্রথম উইকেট। মোস্তাফিজ তাঁর দ্বিতীয় উইকেট। মনে হচ্ছিল শ্রীলঙ্কার ইনিংস গুটিয়ে যাওয়াটা সময়েরই ব্যাপার। ৭ উইকেট পড়ে গেছে, অলআউট হতে কতক্ষণ! কিন্তু শেষ পর্যন্ত ৩টি উইকেটের অপেক্ষাতেই কলম্বোর পি সারা ওভালে নিজেদের শততম টেস্টের প্রথম দিনটা শেষ করল বাংলাদেশ। দিন শেষ শ্রীলঙ্কার সংগ্রহ ৭ উইকেটে ২৩৮।

অষ্টম উইকেট জুটিতে এরই মধ্যে ৪৩ রান উঠে গেছে। সেই চারে নামা চান্ডিমাল এখনো গলার কাঁটা হয়ে অস্বস্তির অনুভূতি এনে দিচ্ছেন। প্রস্তুতি ম্যাচে ১৯০ করা এই ব্যাটসম্যান অপরাজিত আছেন ৮৬ রানে, হেরাথ ১৮ রানে অপরাজিত। তার চেয়ে বড় কথা খেলেছেন ৬৩ বল। ১৯৫ রানে ৭ উইকেট ফেলে দেওয়ার আনন্দটা শেষ বিকেলের মরা আলোর সঙ্গেই যেন মিলিয়ে যেতে বসেছে।

অথচ শততম টেস্টের প্রথম দিনটা সোনালি ফ্রেমে বেঁধে রাখার পণই যেন করেছিল বাংলাদেশ। প্রথম সেশনেই ৭০ রানে ফেলে দিল ৪ উইকেট। দ্বিতীয় সেশনে মাত্র এক উইকেট নিলেও চা বিরতির পর ১১ ওভারে দুই উইকেট তুলে নিলে শ্রীলঙ্কার প্রথম ইনিংস অল্পতেই গুটিয়ে দেওয়ার পূর্বাভাস জাগিয়েছিল বাংলাদেশ। কিন্তু সকালের চেষ্টা ম্লান হয়ে গেল বিকেলে।

সকালে টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে শ্রীলঙ্কা। দলীয় ১৩ রানে মোস্তাফিজের বলে গালিতে মেহেদী হাসান মিরাজকে ক্যাচ দেন দিমুথ করুনারত্নে। এরপর মিরাজ তুলে নেন উপুল থারাঙ্গা ও কুশল মেন্ডিসের উইকেট দুটি। থারাঙ্গা স্লিপে সৌম্যকে ক্যাচ দেন, মেন্ডিসকে স্টাম্পিং করেন এক টেস্ট পর উইকেটকিপিংয়ে ফেরা অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। লাঞ্চের আগেই শুভাশিস রায়ের বলে আসেলা গুনারত্নে এলবিডব্লু হয়ে ফিরলে বড় বিপর্যয়ের মুখেই পড়ে যায় শ্রীলঙ্কা। এর পরই শুরু চান্ডিমালের জাদু।

শ্রীলঙ্কা এদিন ভাগ্যকে পাশে পেয়েছে। দিনের চারটি রিভিউই তাদের পক্ষে গেছে। হাফ চান্সগুলোও বাংলাদেশের মুঠোয় ওঠেনি। চান্ডিমাল নিজে দুবার বেঁচে গেছেন ভাগ্য বাংলাদেশের পাশে ছিল না বলে। তবে এতেও বিন্দুমাত্র খাটো হচ্ছে না লঙ্কান ব্যাটসম্যানের কৃতিত্ব, প্রচেষ্টা। একপ্রান্ত কীভাবে আগলে রেখে খেলতে হয়, বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের যেন তারই ‘ডেমো’ দিলেন চান্ডিমাল। সারা দিনের আটটি জুটির ছয়টিতেই আছে তাঁর নাম! চান্ডিমাল আছেন এমন জুটিগুলোই শ্রীলঙ্কাকে এনে দিয়েছে ২১৪ রান! বাকি কেবল ২৪ রানে অংশীদারি নেই তাঁর!

একের পর এক উইকেট পতনেও হাল ছাড়তে নেই, টেস্ট ক্রিকেটের এই পুরাতন দীক্ষা নতুন করে দিলেন চান্ডিমাল। তাঁর কারণেই তৃপ্তির লাঞ্চটা অস্বস্তির ঢেকুর বানিয়ে দিনের দ্বিতীয় সেশনে ভোগা শুরু বাংলাদেশের। ৭৯ রান তুলে পাল্টা আক্রমণের আয়োজন করেছিল শ্রীলঙ্কা। সেশনটা নিজেদের দিকেই টেনে নিয়েছিল তারা। যদিও একটি উইকেট তুলে নিয়ে ম্যাচে ফেরে বাংলাদেশ। ডি সিলভাকে বোল্ড করে তাইজুল ভেঙেছেন পঞ্চম উইকেটের ৬৬ রানের জুটি। যা দিনের সর্বোচ্চও।

কিন্তু চান্ডিমাল তাতেও যেন হার মানবেন না। এবার ৪৪ রানের জুটি গড়লেন ডিকভেলাকে নিয়ে। চা বিরতির পর ষষ্ঠ ওভারে সাকিব নিজের প্রথম উইকেট নিয়ে ভাঙলেন এই জুটি। ৫ ওভার পর মোস্তাফিজ ফেরালেন পেরারাকেও। ৭ উইকেট নেই...বাংলাদেশের এই স্বস্তিটা দ্রুতই অস্বস্তির খোলসে নিয়ে গেলেন চান্ডিমাল!

বাংলাদেশের সেরা মেহেদী হাসান মিরাজ ও মোস্তাফিজুর রহমান। মোস্তাফিজ ৩২ ও মিরাজ ৫৮ রানে ২টি করে উইকেট পেয়েছেন। একটি করে উইকেট শুভাশিস, তাইজুল ও সাকিব আল হাসানের। দুটি বাজে বলে উইকেট পেয়েছেন মোস্তাফিজ। কিন্তু সারা দিনে করেছেন দুর্দান্ত বোলিং। কাল সকালে উজ্জীবিত লড়াই করতে না পারলে শ্রীলঙ্কার প্রথম ইনিংসের সংগ্রহটা বিপদের কারণ হতে পারে।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:
শ্রীলঙ্কার ১ম ইনিংস: ৮৩.১ ওভারে ২৩৮/৭ (চান্ডিমাল ৮৬* ডিকভেলা ৩৪, ধনঞ্জায়া ৩৪, হেরাথ ১৮*; মোস্তাফিজ ২/৩২, মিরাজ ২/৫৮, তাইজুল ১/৩৪, সাকিব ১/৪৩, শুভাশিস ১/৪৭)।

29
বাংলাদেশের ফিল্ডাররা কোনো সহজ ক্যাচ ফেলেননি। বোলাররাও করেননি একের পর এক ‘আলগা’ বল। বরং গলের টেস্টের ব্যর্থতা ঝেড়ে কলম্বোর পি সারা ওভালে নিজেদের শততম টেস্টে এক চনমনে বাংলাদেশকেই দেখা গেল আজ। টেস্টের প্রথম দিনে শ্রীলঙ্কার স্কোর ৭ উইকেটে ২৩৮। দিন শেষে শ্রীলঙ্কার শেষ ৩ উইকেট নিতে না পারার আক্ষেপ থাকলেও সাব্বির রহমান বলছেন, ম্যাচে এখনো বাংলাদেশ ভালো অবস্থানেই আছে।

বাংলাদেশ আজ একেবারেই ভাগ্যের ছোঁয়া পায়নি। আম্পায়ার আউট দেওয়ার পরও রিভিউ নিয়ে শ্রীলঙ্কান ব্যাটসম্যানরা বেঁচে গেছেন তিনবার। ফাইন লেগে দিনেশ চান্ডিমালের দুর্দান্ত এক ক্যাচ নিয়েছিলেন মেহেদী হাসান মিরাজ। কিন্তু টেলিভিশন রিপ্লেতে বেঁচে যান লঙ্কান এই ব্যাটসম্যান। প্রথম সেশনে ৪ উইকেট ফেলে দেওয়া বাংলাদেশ পরের দুই সেশনে তুলে নিতে পেরেছে ৩ উইকেট।

দিন শেষে সংবাদ সম্মেলনে এসে দিনটাকে সব মিলিয়ে নিজেদেরই বলছেন সাব্বির রহমান, ‘এখন পর্যন্ত খুব ভালো অবস্থানে আছি আমরা। সবাই খুব রোমাঞ্চিত, যেভাবেই হোক ম্যাচটা জিততে হবে আমাদের। আমরা জেতার জন্যই খেলতে নেমেছি। আমরা জেতার জন্য খেলি সব ম্যাচেই। এই ম্যাচটা জিততে পারলে খুব ভালো হবে।’

শ্রীলঙ্কাকে ৩০০ রানের নিচে আটকে রাখার সুযোগ এখন বাংলাদেশের সামনে। কাল দ্রুতই প্রতিপক্ষকে অলআউট করতে সাব্বির ভীষণ আশাবাদী, ‘৩০০ রানের নিচে ওদের অলআউট করা খুব সম্ভব। আর তিনটা উইকেট আছে। কাল তাড়াতাড়ি যদি ওদের অলআউট করতে পারি ,তাহলে ওরা ৩০০ করতে পারবে না।’

শততম টেস্টে খেলারই কথা ছিল না সাব্বিরের। চোটে পড়ে লিটন দাস ছিটকে যাওয়ায় আকস্মিক সুযোগ পেয়েছেন তিনি। এখন সুযোগটা কাজে লাগাতে যান সাব্বির, ‘আমি মানসিকভাবে প্রস্তুত ছিলাম, যেকোনো সময় সুযোগ আসতে পারে। সুযোগটা কাজে লাগানোর চেষ্টা করব।’

30
Congratulations to both...

Pages: 1 [2] 3 4 ... 21