Show Posts

This section allows you to view all posts made by this member. Note that you can only see posts made in areas you currently have access to.


Messages - alamin khan

Pages: [1]
1
ধরুন –“আপনার একটি হার্ডডিস্ক আছে যারা সাইজ 80GB বা তার অধিক। এই সাইজ দিয়ে নিঃসন্দেহে একাধিক ড্রাইভ তৈরি করা যায়। কিন্তু আপনার হার্ডডিস্কে ড্রাইভ আছে মাত্র একটি। সেটাতেই OS (Operating System), সেটাতেই আপনার সব ডাটা। এখন কোন সময় যদি আপনার OS ক্রাশকরে বা নতুনভাবে OS ইনস্টল করার প্রয়োজন হয় তাহলে আপনার ডাটাগুলো Back Up নেয়ার সুযোগ না থাকার কারণে নিশ্চয় হারাতে হবে। তাছাড়া আলাদা কোন ড্রাইভ নেই বলে আপনার মিউজিক, ভিডিও, সফটওয়ার, ডকুমেন্ট, ইমেজ ইত্যাদি ডাটাগুলো একই ড্রাইভে রাখতে হচ্ছে”। যদি হার্ডডিস্কে একাধিক ড্রাইভ থাকে তাহলে আপনার জন্য সুবিধা হয় । এতে আপনার ডাটাগুলো যেমনি ভাগ করে আলাদা আলাদা ড্রাইভে রাখতে পারবেন তেমনি তা OS ক্রাশকরলে বা নতুনভাবে OS ইনস্টল করলে হারানোর ভয় থাকবে না।

এখন আপনার প্রশ্ন হতে পারে-C ড্রাইভের OS অক্ষত রেখে, ডাটাগুলো সুরক্ষিত রেখে C ড্রাইভকে ভেঙ্গে আরো কয়েকটি ড্রাইভ করা যাবে কিনা। হ্যাঁ। এই কাজটি খুব সুন্দরভাবে করা যায়।Partition Wizard Mini Tool নামের একটি ফ্রী সফটওয়ার দিয়ে কাজটি সঠিকভাবে, মনের মত করে, খুব দ্রুত সময়ে করা যায়। আমি আজকে একটি ড্রাইভ “C” ভেঙ্গে তিনটি ড্রাইভ করে দেখাবো।
কিভাবে পার্টিশান রিসাইজ করতে হয়ঃ
প্রথমে Partition Wizard Mini Tool ডাউনলোড করে রান করুন। কিভাবে ডাউনলোড আর রান করতে হয় তার জন্য আমার Partition WizardDownload & Runপোস্টটি দেখতে পারেন।এর পর নিচের টিউটোরিয়াল অনুসরণ করুন।পোস্টটি ভালভাবে বুঝার জন্য খুব অল্প সময়ে হার্ডডিস্ক পার্টিশান করুন পোস্টটি দেখুন।
১।রান হওয়ার পর আমার হার্ডডিস্কের অবস্থা দেখুন নিচের চিত্রে।আমার একটি হার্ডডিস্ক (সবুজ চিহ্নিত), হার্ডডিস্কের Windows নামের C ড্রাইভ (কালো চিহ্নিত), ড্রাইভটি’র পুরো সাইজ বা Capacity15.99GB (লাল চিহ্নিত), ব্যবহৃত জায়গা বা Used Space2.61GB (লাল চিহ্নিত), অব্যবহৃত জায়গা বা Un-used Space13.38GB দেখাচ্ছে।
http://4.bp.blogspot.com/-BS29U_X0D78/UBcPy9j6FVI/AAAAAAAAEGY/htP9ZLMHL-M/s1600/Partition-Resize1.jpg
২। এখন আমরা Cড্রাইভেকে রিসাইজ করবো। উপরে ১ নং চিত্রে দেখা যাচ্ছে আমাদের Cড্রাইভের ব্যবহৃত সাইজ বা Used Space হলো 2.61GB। খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় মনে রাখতে হবে যে -আমরা কোন ড্রাইভকে যখন রিসাইজ করতে যাবো তখন এর সাইজটি দ্বিগুণ রাখবো। সুতরাং আমাদের Cড্রাইভেকে রিসাইজ করা হলে এর সাইজ রাখতে হবে কমপক্ষে 2.61GBx2=5.22GBবা 6GB এর কাছাকাছি। এর চেয়ে কমাতে চায়লে ঐ ড্রাইভে রক্ষিত ডাটা হারানোর সম্ভাবনা আছে।
Cড্রাইভেকে রিসাইজ করার জন্য ড্রাইভটি সিলেক্ট করুন (লাল চিহ্নিত)। তারপর Move/Resize বাটনে (সবুজ চিহ্নিত) ক্লিক করুন।
http://2.bp.blogspot.com/-ZeXzHF7nE5Q/UBcP6HdiSGI/AAAAAAAAEHY/YCDi7RzbDR0/s320/Partition-Resize2.jpg
৩।Cড্রাইভেকে রিসাইজ করার জন্য উইন্ডো চলে এসেছে। এখানে Cড্রাইভের কতটুকু জায়গায় ডাটা রক্ষিত আছে তা হলুদ রঙে দেখাচ্ছে (লাল চিহ্নিত)।
http://2.bp.blogspot.com/-lPqC5SPhF6c/UBcP61bK8WI/AAAAAAAAEHc/-odlXPVh-0w/s320/Partition-Resize3.jpg
৪। আমি Cড্রাইভেকে রিসাইজ করে 6.03GB করলাম।রিসাইজ করার পর OK দিন।
http://4.bp.blogspot.com/-VodbmRIQ6r8/UBcP7twUvaI/AAAAAAAAEHo/ephANAKaO-w/s320/Partition-Resize4.jpg
৫। আমাদের আগের Windows নামের C ড্রাইভ রয়েগেছে (সবুজ চিহ্নিত), এবং Unallocated (কালো চিহ্নিত) হিসেবে বাকি সাইজ 10GB এর কাছাকাছি রয়েগেছে।Unallocated মানে আরো ড্রাইভ তৈরি করার জন্য হার্ডডিস্কের খালি জায়গা। এখন আমরা বাকি সাইজ দিয়ে আরো দুটো ড্রাইভ করবো।
http://2.bp.blogspot.com/-7_4c1YPnwik/UBcP8liepVI/AAAAAAAAEHw/CoKQ6r6wGjU/s320/Partition-Resize5.jpg
৬।নতুন ড্রাইভ তৈরি করার জন্য UnallocatedSpace (কালো চিহ্নিত) সিলেক্ট করে Create বাটনে (কালো চিহ্নিত) ক্লিক করুন।
http://4.bp.blogspot.com/-nWZuuk8DYdc/UBcP9WwUwVI/AAAAAAAAEH4/-ZFjp6QoElk/s320/Partition-Resize6.jpg
৭। নিচের মত UnallocatedSpace এর সাইজ (কালো চিহ্নিত) নিয়ে উইন্ডো আসবে।এখানে আমার নতুন ড্রাইভ তৈরির জন্য সাইজ সহ বিস্তারিত তথ্য দিতে হবে।
http://4.bp.blogspot.com/-B22sZ2DXuUU/UBcP-VMrY_I/AAAAAAAAEIA/v84Ra3WA4uM/s320/Partition-Resize7.jpg
৮।এখানে আমি Partition Label= Media (নতুন ড্রাইভের নাম), Partition Type= Logical, File System= NTFS, Drive Size= 5 GB দিয়েছি। তারপর OK দিন।
http://3.bp.blogspot.com/-aNGosbu5NSc/UBcP_ea8XSI/AAAAAAAAEIE/vTmQjWDnWrA/s320/Partition-Resize8.jpg
৯।নিচের চিত্রের মত আসবে। আমার নতুন ড্রাইভ D (Media) (কালো চিহ্নিত) তৈরি হয়েগেছে। বাকি জায়গা 4.98 GB Unallocated (সবুজ চিহ্নিত) হিসেবে রয়েগেছে।
http://3.bp.blogspot.com/-v81gZaWfK2E/UBcQAB1icJI/AAAAAAAAEIM/gMM88oGR_EI/s320/Partition-Resize9.jpg
১০। বাকি 4.98 GBUnallocated জায়গা নিয়ে আরেকটি ড্রাইভ তৈরি করবো। এ জন্য UnallocatedSpace (কালো চিহ্নিত) সিলেক্ট করে Create বাটনে (কালো চিহ্নিত) ক্লিক করুন।
http://3.bp.blogspot.com/-hzqfLNnod9o/UBcPzt-X8lI/AAAAAAAAEGg/0nDJWBO67h0/s320/Partition-Resize10.jpg
১১।নিচের চিত্রের মত আসবে।এখানে আমি Partition Label= Image (নতুন ড্রাইভের নাম), Partition Type= Logical, File System= FAT32, Drive Size= 4.98 GB দিয়েছি। তারপর OK দিন।
http://1.bp.blogspot.com/-mmI9TeppFHY/UBcP0e7HqVI/AAAAAAAAEGk/DORODvzSr7c/s320/Partition-Resize11.jpg
১২। এখন আমি হার্ডডিস্ক সিলেক্ট করলাম (কালো চিহ্নিত)।এর ফলে আমার এতক্ষণ করা কতগুলো কাজ Pending রয়েগেছে তা দেখাচ্ছে (সবুজ চিহ্নিত)। Pending কাজগুলো কার্যকর না করা পর্যন্ত আমরা কোন ফলাফল পাব না।
http://2.bp.blogspot.com/-4qBWEHfF5WI/UBcP1a1zhGI/AAAAAAAAEGw/cBWwEI8IM14/s320/Partition-Resize12.jpg
১৩।Pending কাজগুলো কার্যকর করার জন্য Apply বাটনে (কালো চিহ্নিত) ক্লিক করতে হবে। আমি ক্লিক করলাম।
http://2.bp.blogspot.com/-aKiW_95rj74/UBcP2bk6M8I/AAAAAAAAEG4/pMj1eeeJZAo/s320/Partition-Resize13.jpg
১৪। Apply দেয়ার পর সতর্ক মেসেজ আসবে যেন কাজ চলাবস্থায় আপনার পিসি বন্ধ না হয়।Yes দিন।
http://1.bp.blogspot.com/-KESYFrpIHW0/T8zUGOeViQI/AAAAAAAACuA/Z1dMH8rewDU/s320/9-Careful-Massage.jpg
নিচের মত প্রসেসিং শুরু হবে। প্রসেসিং শেষনাহওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন।
http://1.bp.blogspot.com/-STbQfkCYro0/UBcP3OHqwxI/AAAAAAAAEHA/-_uaVjYgs8U/s320/Partition-Resize14.jpg
কাজ শেষ হলে Successful মেসেজ আসবে। OK দিন।
http://2.bp.blogspot.com/-LlE-63COiJg/T8zT-NRL9lI/AAAAAAAACs8/U1HH_FvaAxI/s320/11.0-Succesful-Massage.jpg
১৫। এখন দেখুন আমার পিসি খুব সুন্দরভাবে বুট হচ্ছে কোন সমস্যা ছাড়া। অর্থাৎ আমার অপারেটিং সিস্টেম সহ অন্যান্য ফাইলগুলো অক্ষত আছে।
আমার উইন্ডোজ বুট হচ্ছে
আমার উইন্ডোজ লগ অনের জন্য প্রস্তুত
C ড্রাইভ রিসাইজ করার পর সবগুলো ড্রাইভ সহ My Computer
Partition Wizard Mini Tool দিয়ে এইভাবে যেকোন ড্রাইভকে রিসাইজ করা কোন ব্যাপার নয়।

2
এলিয়েন (Alien) সম্পর্কে আমাদের জানার আগ্রহের কোন কমতি নেই। অনেকেই বিশ্বাস করেন এলিয়েন আছে অনেকেই বলেন এসব মিথ্যে। কিন্তু মনে মনে হয়ত আমরা সবাই কিছুটা হলেও এলিয়েনের অস্থিত্বে বিশ্বাস করি এবং এ বিষয়ে বেশ কৌতুহলি। এলিয়েনের অস্থিত্বে বিভিন্ন প্রমাণ মিললেও তা পাকাপোক্ত নয় তাই আমরা এলিয়েনের অস্থিত্ব সম্পর্কে অফিসিয়াল কোন বানী পাইনি। কিন্তু এত বড় মহাবিশ্বে পৃথিবী ছাড়াও অন্য কোন জায়গায় এলিয়েন থাকাটাই স্বাভাবিক। এলিয়েন সম্পর্কে আমার ব্যাক্তিগত কিছু কৌতুহল থেকে আমি এসম্পর্কে কিছু তথ্য নেট ঘেটে বের করেছি যা আপনাদের সাথে টিউন আকারে শেয়ার করলাম।

http://www.newanimal.org/alien_asgard_stargate.jpg
এলিয়েন কি?

এলিয়েন সম্পর্কে বলার আগে এলিয়েন সম্পর্কে কিছু ব্যাপার পরিষ্কার করে নেই। এলিয়েন বলতে এমন জীবকে বোঝায় যাদের উদ্ভব পৃথিবীর বাইরে মহাবিশ্বের অন্য কোথাও হয়েছে এবং তারা সেখানেই বসবাস করে। এলিয়েন দেখতে কেমন হবে তার কোন ঠিক নেই।তারা দেখতে পৃথিবীর প্রাণীদের কাছাকাছিও হতে পারে আবার আমাদের ধারনা থেকে সম্পূর্ণ আলাদা হতে পারে।মোট কথা এলিয়েনের আকার আকৃতি নিয়ে মানব জাতীর পাকাপোক্ত কোন ধারনা নেই। এলিয়েন আছে তাই স্পষ্টকরে প্রমাণ হলনা আবার আকার-আকৃতি সম্পর্কে ধারনা আসবে কোত্থেকে?
এলিয়েনের প্রকারভেদ

একটু আগেই বললাম এলিয়েন এর আকার আকৃতি সম্পর্কে মানব জাতীর কোন ধারনা নেই। কিন্তু কিছু কিছু মানুষ দাবী করেন তারা এলিয়েন দেখেছেন। তাদের বর্নণা থেকে এলিয়েনের বিভিন্ন প্রকারভেদ তৈরী করা হয়েছে। সাধারনত এদের গঠন দিয়েই এদেরকে বিভিন্ন ভাগে ভাগ করা হয়েছে। মৌলিক ভাগগুলো হলঃ গ্রে এলিয়েন, দ্য র‍্যাপ্টিলিয়ানস ও হিউম্যান টাইপ; এছাড়াও এদেরকে বিভিন্ন ভাগে ভাগ করা হয়েছে।

গ্রে এলিয়েন

এই টাইপের সবচেয়ে বেশি এলিয়েন পাওয়া যায়। এদের রংয়ে ধূষরের আধিক্ক থাকে বলে এদেরকে গ্রে এলিয়েন বলা হয়। এদের উচ্চতা ৩.৫ থেকে ছয় ফিট। এদের আছে বড় বড় ডিম্বাকৃতির গাঢ় কালো চোখ। এদের আবেগ অনুভুতি নেই বললেই চলে। মানুষের সাথে এরা খুবই নিষ্ঠুর আচরন করে। পাশের ছবিতে একটি গ্রে এলিয়েনের প্রতিকৃতি।


দ্য র‍্যপ্টিলিয়ানস

তিব্বতের একটি উপজাতীদের পূর্বপুরুষরা নাকি তারা(star) থেকে এসেছিল। উপজাতিটির নাম র‍্যাপটলিয়াডস। র‍্যাপ্টিলিয়ানসরা মানুষের আকারের প্রায় দ্বিগুন ছিল। এদের মস্তিষ্ক ছিল অনেক বড়। ফলে মাথার পেছনের দিকটা ছিল অনেক লম্বা। তাদের ওজনও ছিল প্রচুর প্রায় ২০০ কেজির মত। তাদের দেহ ছিল কুমিরের মত খাজ কাটা। কার খাজ ছিল ধূষরে সবুজ আবার কার কফি-গাঢ় সবুজ। এরা শিতল রক্ত বিশিষ্ট। পৃথিবীকে এরা নিজেদের গ্রহ মনে করে। এদের মূল গ্রহ দিন দিন বসবাসের অনুপযোগী হয়ে উঠছে তাই তারা ফিরে এলে পৃথিবীর পূর্ণ নিয়ন্ত্রন নিয়ে নিতে চাইবে। ছবির খুলিটি কোন এক গুহায় পাওয়া যায়। সম্ভবত এটি কোন র‍্যাপ্টিলিয়ানস এলিয়েনের খুলি।

হিউম্যান টাইপ

এরা দেখতে প্রায় মানুষের মত। মানুষের সাথে এদের পার্থক্য হল এদের মোটা লম্বা চুল এবং অত্যন্ত ফর্সা ত্বক। এরা লম্বায় ১.৭-২ মিটার লম্বা হয়ে থাকে। এদের গ্রহে অক্সিজেন অত্যন্ত অল্প তাই এদের কপার ভিত্তিক রক্ত রয়েছে যা তাদেরকে বেশি অক্সিজেন ধারনে সাহায্য করে। অতি বেগুনী রশ্মিতেও এরা দেখতে পায়। এরাই একমাত্র প্রজাতী যারা মানুষের ক্ষতি করতে নয় আমাদের সংস্কৃতির সাথে পরিচিত হতে আসে। Nordics-দের সাথে নাকি এদের সংঘর্ষও হয়েছে। মানুষের সাথে এদের মিলের কারনে অনেকে ধারনা করেন এরা মানুষের আত্বীয় যারা পূর্বে এ গ্রহ ছেড়ে চলে গেছে। কোন ছবি খুজে পেলাম না, দয়া করে আয়না দেখে নিন।
বাহন

এলিয়েনরা যেসব বাহন ব্যবহার করে সেগুলোকে UFO বা Unidentified Flying Object বলা হয়। এগুলো দেখতে প্লেটের মত এবং খুবই দ্রুতগতীর হয়। UFO দেখার মাধ্যমেই এলিয়েন সম্পর্কে মানুষের ধারনা আসে। UFO নিয়ে বিভিন্ন ঘটনা রয়েছে তার মদ্ধে রজওয়েলের ঘটনা অন্যতম। উইকিপিডিয়া থেকে এই ঘটনার বর্ণনা পেলামঃ

নিউ মেক্সিকোর মরুভূমিতে একটি শহর রজওয়েল। ১৯৪৭ সালের ১লা জুলাই, রাত্রিতে একটি প্রচন্ড ঝড়ে এবং বজ্রপাতের সময় এক বিমান ঘাটির রাডারে একটি অদ্ভুত ঘটনা ধরা পড়েছিল। রাডারে পর্দার এক কোনায় বার বার একটি বস্তু দেখা যাচ্ছিল। এটি এমন গতিতে যাচ্ছিল যে, ওই সময়ের সেনাবাহিনীর বিমানগুলোও (বর্তমান গতিরোধক বিমান) সেই গতিতে যাওয়ার কথা চিন্তাও করতে পারতো না। রাডারের এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে বজ্রপাতের মত দিক পরিবর্তন করতে দেখা যায়। এটি ছিল ব্যাখ্যাতীত বিষয়, ঝড়ের দ্বারা উৎ‍পাদীত তড়িৎ-চুম্বকীয় সমস্যার জন্য রাডার পরীক্ষা করা হয়। কিন্তু পরবর্তী সময়ে রাডারে একই জিনিষ লহ্ম্য করা হল যে, এটি আগের মতই বজ্রপাতের মত দিক পরিবর্তন করছে। তারা ভেবেছিল যে, কোন সত্যিকার বস্তু, বিপদজনকভাবে অজানা এবং সম্ভবত যুদ্ধপ্রিয় যা তাদের আকাশসীমা পার করছিল। পরে ৮ই জুলাই ১৯৪৭ সালে, রজওয়েল দৈনিক রেকর্ড নামে একটি সংবাদপত্রর প্রথম পাতায় প্রকাশ করেছিল যে, "রজওয়েলের খামার অঞ্চলে আরএএএফ উড়ন্ত বস্তু ধরা পড়েছে"। ঘটনাটি অন্যান্য স্থানীয় সংবাদপত্রতেও দেখা গিয়েছিল। এই বছর ৮ই জুলাই, বিমান বাহিনীর রেডিও সংবাদপত্রে ঘোষণা করেছিল যে, রহস্যময় দূর্ঘটনাটি একটি উড়ন্ত বস্তুর দ্বারা ঘটে ছিল। এই ঘটনাটির জন্য রজওয়েল শহরে ফেডারেল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (FBI) এসেছিল ব্যাপারটি পরীহ্মা করার জন্য। বিতর্কের কিছু দিন পরে, রজওয়েল সামরিক বাহিনীরা একটি বেলুনের ছিন্নাংশ দেখিয়েছিল, যেটি মুগুল নামের একটি প্রোগ্র্যামের জন্য ব্যবহার করা হয়েছিল। এ সিস্টেমটি পরমাণবিক ক্ষেত্রের ক্রিয়াকলাপ পর্যবেক্ষণ করার জন্য পরিকল্পনা করা ছিল। সেই বছর গুলোতে রজওয়েলের বাসিন্দাদের থেকে বিভিন্ন সংবাদ এসেছে বিমান বাহিনী এবং ফেডারেলের সম্বন্ধে। কিছু লোক বলেছিল যে, "কখনও কখনও বিমান বাহিনীর কমর্চারীরা ধ্বংসাবশেষ এবং ফেডারেলের ট্রাকে দেহ (মানুষের না) বহন করে"। কিন্তু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সরকারের দ্বারা এগুলো সব অস্বীকার করা হয়েছে।

এছাড়া আরও অনেক ঘটনা রয়েছে কিন্তু টিউন লম্বা হয়ে যাবে তাই আর এখানে যুক্ত করলাম না। চাইলে উইকিপিডিয়ায় এই লিঙ্ক দেখতে পারেন।

প্রমাণঃ এতক্ষন ধরে বকবক করলাম। ছোটখাট কিছু প্রমান না দিলে আপনারা বলবেন গাজাখুরি গল্প করেছি। তাই যা প্রমাণ পেলাম তাই তুলে ধরলামঃ

৬২ জন স্কুল ছাত্র-ছাত্রীদের প্রত্যক্ষ দর্শনঃ ১৯৯৪ সালের সেপ্টেম্বর মাসে জিমবাবুয়ের একটি প্রাইমারী স্কুলের ৬২ জন শিক্ষার্থী ভীনগ্রহীদের সাথে মুখুমুখি হন। তারা প্রত্যেকে একই ঘটনা বর্ণনা করেছেন। এমনকি আজ পর্যন্ত তাদেরকে এলিয়েনের ছবি আঁকতে বলা হলে তারা একই রকমের ছবি আঁকে। স্থানীয় একটি টিভি চ্যালেল এনিয়ে একটি প্রতিবেদন তৈরী করেছে। ভিডিওটি পাবেন এখানে।

অ'হের বিমানবন্দরঃ বেশিদিন আগে নয়। ২০০৬ সালের ৭ নভেম্বর, সিকাগোতে  অ'হের বিমানবন্দরের ১২ জন কর্মচারি বলেন যে তারা রানওয়ের সামান্য উপরে চাকতি আকৃতির বিশাল কোন বস্তুকে ঘুরপাক খেতে দেখেছেন।

শেষ কথা

এলিয়েন থাকুক আর নাই থাকুক এটা নিয়ে আমাদের কৌতুহল কোনদিন কমবে না। কিন্তু বুদ্ধিমান এলিয়েন থাকা আমাদের জন্য ক্ষতিকর। এবিষয়ে বিজ্ঞানি স্টিফেন হকিন্স বলেছেন,

    "মহাবিশ্ব অনেক বড়। এর কোথাও না কোথাও প্রাণের অস্থীত্ব থাকবে। আর এ প্রাণ যদি প্রযুক্তিতে আমাদের চেয়ে এগিয়ে থাকে তাহলে আমাদের জন্য তা অমঙ্গলকর হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি, যেমনটা হয়েছিল ক্রিস্টোফারের আমেরিকা আবিশকারের পর রেড-ইন্ডিয়ানদের অবস্থা।"

Pages: [1]