346
You need to know / চোখের ওষুধ ব্যবহারে সতর্ক হোন
« on: May 18, 2016, 10:56:35 PM »
চোখ আমাদের অমূল্য সম্পদ। দৃষ্টিহীনতা বা চোখের কোনো অসুখ, তাই আমাদের যারপর নাই চিন্তিত করে তোলে। ফলে অনেকে চোখে সামান্য সমস্যা হলেও ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়াও বিভিন্ন ওষুধ ব্যবহার করে থাকেন। যা একেবারেই ঠিক নয়।
চিকিৎসকরা বলছেন, চোখ আমাদের শরীরের এমনই এক সংবেদনশীল অঙ্গ যে এটিতে সামান্য আঘাত বা ভুল ওষুধ প্রয়োগ করা হলে জটিলতা দেখা দিতে পারে। আবার অনেক সময় বিভিন্ন বরোগী চোখের সমস্যা নিয়ে ডাক্তারের কাছে এলেও অজান্তেই বিভিন্ন তথ্য চেপে যাবার ফলে ওষুধ নিয়ে জটিলতা দেখা দেয়। তাই চিকিৎসকরা চোখে কোনো ধরনের ওষুধ ব্যবহারে সবাইকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন।
চোখের ওষুধ ব্যবহারে সতর্কতা
১. প্রথমত রোগীকে জানতে হবে তার চোখের কোনো ড্রপ-এ এলার্জি আছে কিনা? পূর্বের এলার্জির ইতিহাস থেকে সেই ড্রপের নাম ডাক্তারকে চিকিৎসা নেবার আগেই জানানো প্রয়োজন।
২. শরীরে চোখের রোগ ছাড়া অন্য কোনো রোগ আছে কিনা (যেমন ডায়াবেটিস, উচ্চরক্তচাপ, হৃদরোগ, হাঁপানি, বাতরোগ, ইত্যাদি) তা ডাক্তারকে জানানো প্রয়োজন।
৩. আমাদের মধ্যে চোখে সমস্যা হলেই ওষুধের দোকান হতে এন্টিবায়োটিক ড্রপ কিনে চোখে ব্যবহারের প্রবণতা রয়েছে। এতে চোখের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দিনদিন কমে যায় এবং ঘনঘন ইনফেকশন হতে পারে। যা পরবর্তীতে ওষুধ প্রয়োগেও নিয়ন্ত্রণ করা যায় না।
৪. যারা গ্লুকোমা রোগের জন্য চোখের ড্রপ ব্যবহার করেন তাদের ক্ষেত্রে কিছু সাবধানতা আবশ্যক। কারণ বিটাব্লকার জাতীয় চোখের ড্রপ যেমন টিমোলোল মেলিয়েট, হাঁপানি রোগীর শ্বাসকষ্ট বাড়িয়ে দেয় এবং হৃদরোগীদেরও অনেক মারাত্মক সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। সেই ক্ষেত্রে হাঁপানি, হৃদরোগীদের গ্লুকোমা রোগের চিকিৎসায় অন্যগ্রুপের ওষুধ ব্যবহার প্রয়োজন। এছাড়াও ওষুধ প্রয়োগের পর নেত্রনালীতে কিছুক্ষণ চাপ দিয়ে রাখলে ওষুধের পাশ্বপ্রতিক্রিয়া অনেকাংশে কম হয়।
৫. যাদের এঙ্গেলক্লোজার গ্লুকোমা রয়েছে, কোনো কারণে তাদের চোখে যদি হোমাট্টপিন বা এট্টপিন জাতীয় ওষুধ দেয়া হয়, সেক্ষেত্রে চোখে প্রচন্ড ব্যাথা হয়ে চোখের দৃষ্টিশক্তি কমে যেতে পারে।
৬ যাদের চোখের ভেতর প্রদাহ বা ইউভাইটিস রয়েছে, সেইক্ষেত্রে পাইলোকারপিন এবং ল্যাটানোপ্রষ্ট জাতীয় ওষুধ ব্যবহার করা যায় না, এতে চোখের প্রদাহ বেড়ে যায়।
৭. আঘাতের কারণে অথবা অন্য যে কোনো কারণে যদি কর্নিয়াতে ঘা হয়, সেই ক্ষেত্রে ডাক্তারের পরামর্শ ব্যতীত স্টেরইড ড্রপ ব্যবহার করলে কর্নিয়া ঘা বেড়ে গিয়ে কর্নিয়া ছিদ্র হয়ে যেতে পারে। এতে চোখ চিরতরে নষ্ট হয়ে যাবার সম্ভাবনা থাকে।
চিকিৎসকরা বলছেন, চোখ আমাদের শরীরের এমনই এক সংবেদনশীল অঙ্গ যে এটিতে সামান্য আঘাত বা ভুল ওষুধ প্রয়োগ করা হলে জটিলতা দেখা দিতে পারে। আবার অনেক সময় বিভিন্ন বরোগী চোখের সমস্যা নিয়ে ডাক্তারের কাছে এলেও অজান্তেই বিভিন্ন তথ্য চেপে যাবার ফলে ওষুধ নিয়ে জটিলতা দেখা দেয়। তাই চিকিৎসকরা চোখে কোনো ধরনের ওষুধ ব্যবহারে সবাইকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন।
চোখের ওষুধ ব্যবহারে সতর্কতা
১. প্রথমত রোগীকে জানতে হবে তার চোখের কোনো ড্রপ-এ এলার্জি আছে কিনা? পূর্বের এলার্জির ইতিহাস থেকে সেই ড্রপের নাম ডাক্তারকে চিকিৎসা নেবার আগেই জানানো প্রয়োজন।
২. শরীরে চোখের রোগ ছাড়া অন্য কোনো রোগ আছে কিনা (যেমন ডায়াবেটিস, উচ্চরক্তচাপ, হৃদরোগ, হাঁপানি, বাতরোগ, ইত্যাদি) তা ডাক্তারকে জানানো প্রয়োজন।
৩. আমাদের মধ্যে চোখে সমস্যা হলেই ওষুধের দোকান হতে এন্টিবায়োটিক ড্রপ কিনে চোখে ব্যবহারের প্রবণতা রয়েছে। এতে চোখের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দিনদিন কমে যায় এবং ঘনঘন ইনফেকশন হতে পারে। যা পরবর্তীতে ওষুধ প্রয়োগেও নিয়ন্ত্রণ করা যায় না।
৪. যারা গ্লুকোমা রোগের জন্য চোখের ড্রপ ব্যবহার করেন তাদের ক্ষেত্রে কিছু সাবধানতা আবশ্যক। কারণ বিটাব্লকার জাতীয় চোখের ড্রপ যেমন টিমোলোল মেলিয়েট, হাঁপানি রোগীর শ্বাসকষ্ট বাড়িয়ে দেয় এবং হৃদরোগীদেরও অনেক মারাত্মক সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। সেই ক্ষেত্রে হাঁপানি, হৃদরোগীদের গ্লুকোমা রোগের চিকিৎসায় অন্যগ্রুপের ওষুধ ব্যবহার প্রয়োজন। এছাড়াও ওষুধ প্রয়োগের পর নেত্রনালীতে কিছুক্ষণ চাপ দিয়ে রাখলে ওষুধের পাশ্বপ্রতিক্রিয়া অনেকাংশে কম হয়।
৫. যাদের এঙ্গেলক্লোজার গ্লুকোমা রয়েছে, কোনো কারণে তাদের চোখে যদি হোমাট্টপিন বা এট্টপিন জাতীয় ওষুধ দেয়া হয়, সেক্ষেত্রে চোখে প্রচন্ড ব্যাথা হয়ে চোখের দৃষ্টিশক্তি কমে যেতে পারে।
৬ যাদের চোখের ভেতর প্রদাহ বা ইউভাইটিস রয়েছে, সেইক্ষেত্রে পাইলোকারপিন এবং ল্যাটানোপ্রষ্ট জাতীয় ওষুধ ব্যবহার করা যায় না, এতে চোখের প্রদাহ বেড়ে যায়।
৭. আঘাতের কারণে অথবা অন্য যে কোনো কারণে যদি কর্নিয়াতে ঘা হয়, সেই ক্ষেত্রে ডাক্তারের পরামর্শ ব্যতীত স্টেরইড ড্রপ ব্যবহার করলে কর্নিয়া ঘা বেড়ে গিয়ে কর্নিয়া ছিদ্র হয়ে যেতে পারে। এতে চোখ চিরতরে নষ্ট হয়ে যাবার সম্ভাবনা থাকে।