Show Posts

This section allows you to view all posts made by this member. Note that you can only see posts made in areas you currently have access to.


Messages - Sahadat Hossain

Pages: 1 ... 22 23 [24] 25
346
চোখ আমাদের অমূল্য সম্পদ। দৃষ্টিহীনতা বা চোখের কোনো অসুখ, তাই আমাদের যারপর নাই চিন্তিত করে তোলে। ফলে অনেকে চোখে সামান্য সমস্যা হলেও ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়াও বিভিন্ন ওষুধ ব্যবহার করে থাকেন। যা একেবারেই ঠিক নয়।
চিকিৎসকরা বলছেন, চোখ আমাদের শরীরের এমনই এক সংবেদনশীল অঙ্গ যে এটিতে সামান্য আঘাত বা ভুল ওষুধ প্রয়োগ করা হলে জটিলতা দেখা দিতে পারে। আবার অনেক সময় বিভিন্ন বরোগী চোখের সমস্যা নিয়ে ডাক্তারের কাছে এলেও অজান্তেই বিভিন্ন তথ্য চেপে যাবার ফলে ওষুধ নিয়ে জটিলতা দেখা দেয়। তাই চিকিৎসকরা চোখে কোনো ধরনের ওষুধ ব্যবহারে সবাইকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন। 
চোখের ওষুধ ব্যবহারে সতর্কতা
১. প্রথমত রোগীকে জানতে হবে তার চোখের কোনো ড্রপ-এ এলার্জি আছে কিনা? পূর্বের এলার্জির ইতিহাস থেকে সেই ড্রপের নাম ডাক্তারকে চিকিৎসা নেবার আগেই জানানো প্রয়োজন।
২. শরীরে চোখের রোগ ছাড়া অন্য কোনো রোগ আছে কিনা (যেমন ডায়াবেটিস, উচ্চরক্তচাপ, হৃদরোগ, হাঁপানি, বাতরোগ, ইত্যাদি) তা ডাক্তারকে জানানো প্রয়োজন।
৩. আমাদের মধ্যে চোখে সমস্যা হলেই ওষুধের দোকান হতে এন্টিবায়োটিক ড্রপ কিনে চোখে ব্যবহারের প্রবণতা রয়েছে। এতে চোখের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দিনদিন কমে যায় এবং ঘনঘন ইনফেকশন হতে পারে। যা পরবর্তীতে ওষুধ প্রয়োগেও নিয়ন্ত্রণ করা যায় না।
৪. যারা গ্লুকোমা রোগের জন্য চোখের ড্রপ ব্যবহার করেন তাদের ক্ষেত্রে কিছু সাবধানতা আবশ্যক। কারণ বিটাব্লকার জাতীয় চোখের ড্রপ যেমন টিমোলোল মেলিয়েট, হাঁপানি রোগীর শ্বাসকষ্ট বাড়িয়ে দেয় এবং হৃদরোগীদেরও অনেক মারাত্মক সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। সেই ক্ষেত্রে হাঁপানি, হৃদরোগীদের গ্লুকোমা রোগের চিকিৎসায় অন্যগ্রুপের ওষুধ ব্যবহার প্রয়োজন। এছাড়াও ওষুধ প্রয়োগের পর নেত্রনালীতে কিছুক্ষণ চাপ দিয়ে রাখলে ওষুধের পাশ্বপ্রতিক্রিয়া অনেকাংশে কম হয়।
৫. যাদের এঙ্গেলক্লোজার গ্লুকোমা রয়েছে, কোনো কারণে তাদের চোখে যদি হোমাট্টপিন বা এট্টপিন জাতীয় ওষুধ দেয়া হয়, সেক্ষেত্রে চোখে প্রচন্ড ব্যাথা হয়ে চোখের দৃষ্টিশক্তি কমে যেতে পারে।
৬ যাদের চোখের ভেতর প্রদাহ বা ইউভাইটিস রয়েছে, সেইক্ষেত্রে পাইলোকারপিন এবং ল্যাটানোপ্রষ্ট জাতীয় ওষুধ ব্যবহার করা যায় না, এতে চোখের প্রদাহ বেড়ে যায়।
৭. আঘাতের কারণে অথবা অন্য যে কোনো কারণে যদি কর্নিয়াতে ঘা হয়, সেই ক্ষেত্রে ডাক্তারের পরামর্শ ব্যতীত স্টেরইড ড্রপ ব্যবহার করলে কর্নিয়া ঘা বেড়ে গিয়ে কর্নিয়া ছিদ্র হয়ে যেতে পারে। এতে চোখ চিরতরে নষ্ট হয়ে যাবার সম্ভাবনা থাকে।

347
রাতের আকাশে যেভাবে মিটমিট করে তারা জ্বলতে থাকে ঠিক তেমনই পৃথিবীর বুকে মিটমিট করে জ্বলতে থাকা ছোট্ট পোকাটির নাম জোনাকি পোকা। শহরের আলোয় এই সুন্দর পোকাটি নজরে না পড়লেও গ্রামে রাতের বেলা অসংখ্য জোনাকি পোকা দেখা যায়। মনে হয় রাতের আকাশের তারা মাঠের ওপর নেমে এসেছে।

জোনাকি পোকা ইংরেজিতে যার নাম ‘ফায়ার ফ্লাই’ এদের জীবনকাল শুধুমাত্র ১ থেকে ৩ সপ্তাহের মধ্যেই সীমাবদ্ধ। অর্থাৎ একটি জোনাকি পোকা খুব বেশি হলে মাত্র ৩ সপ্তাহ আলো জ্বেলে দিতে পারে পৃথিবীর বুকে। কিন্তু প্রশ্ন হলো এই জোনাকি পোকার দেহে আলো জ্বলে কিভাবে? এতো ছোট্ট একটি প্রাণীর দেহে আলোর ব্যবস্থা হয় কিভাবে?

জোনাকি পোকার দেহ থেকে আলো বিচ্ছুরণের মূল মাধ্যম হলো লুসিফারিন (luciferin) নামক একটি রাসায়নিক পদার্থ। জোনাকি পোকার দেহে এই কেমিক্যালটি উৎপাদন হয়, যা বাতাসের অক্সিজেনের সাথে মিশে আলো তৈরি করে। এর থেকেই আমাদের মনে হয় জোনাকি পোকা আলো বিচ্ছুরণ করে। আমাদের দেশে শুধুমাত্র সবুজ আলোর জোনাকি পোকা দেখা যায়। কিন্তু অন্যান্য অনেক দেশে লাল আলো বিচ্ছুরণকারী জোনাকি পোকারও দেখা মেলে।

348
আপনার দেয়া একব্যাগ রক্ত বাঁচিয়ে দিতে পারে একটি প্রাণ। হাসি ফোঁটাতে পারে মানুষদের মুখে। জাত-পাত-ধর্ম ভেদাভেদ ভুলে তাইতো সবাই শামিল হয় এই মহান ব্রতে। কিন্তু রক্ত দেওয়ার পূর্বে একটু সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে।

এখন জেনে নেওয়া দরকার কারা রক্ত দিতে পারবেনঃ

শারীরিক এবং মানসিক ভাবে সুস্থ নিরোগ ব্যক্তি রক্ত দিতে পারবেন। রক্ত দাতার বয়স ১৮ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে হতে হবে। শারীরিক ওজন ৪৫ কেজি বা এর বেশি হতে হবে। উচ্চতা অনযায়ী ওজন ঠিক আছে কিনা অর্থ্যাৎ বডি মাস ইনডেক্স ঠিক আছে কিনা দেখে নিতে হবে। রক্তে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ, পালস এবং শরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিক থাকতে হবে। শ্বাস-প্রশ্বাসজনিত রোগ এ্যাজমা, হাপানি যাদের আছে তারা রক্ত দিতে পারবেন না। চর্মরোগ থেকে মুক্ত থাকতে হবে।

রক্তদানের আগে, রক্তদাতার যেসমস্ত টেস্টের প্রয়োজনঃ

এনিমিয়া বা রক্ত স্বল্পতা, জন্ডিস, পালস রেট, রক্তচাপ, শরীরের তাপমাত্রা, ওজন, হিমোগ্লোবিন টেস্ট, ব্লাড সুগার বা চিনির মাত্রা পরিমাপ করা , ইসিজি। পরীক্ষাগুলো খুব সাধারণ। তাই রক্ত দাতাদের আগে থেকে টেস্ট করে রাখা উচিৎ। বিপদের সময় যাতে বিলম্ব না হয়।

রক্তদানে বিশেষ সতর্কতা:

রক্তদানের ৪ ঘন্টা আগে ভালোভাবে খাদ্যগ্রহণ করতে হবে। খালি পেটে রক্ত দান করা ঠিক নয়।
অ্যাসপিরিন ও এ জাতীয় ওষুধ খাওয়া অবস্থায় রক্ত দেয়া যাবে না। রক্তদানের ৪৮ ঘন্টা আগে এমন ওষুধ বন্ধ করতে হবে।
কোনরূপ এনার্জি ড্রিংক রক্তদানের ২৪ ঘন্টা আগে সেবন করা যাবে না।
শরীরে কোন উল্কি বা ট্যাটু করানো হলে বা নাক কান ফুটো করানো হলে দুই থেকে চার সপ্তাহ পর রক্ত দিতে হবে।
অ্যান্টিবায়োটিক গ্রহণ করা অবস্থায় রক্ত দেওয়া উচিৎ নয়।বিষয়গুলো জুরুরী তাই রক্তদাতা কে অবশ্যই এগুলো মানতে হবে। একই সাথে রক্ত দেওয়ার সময় যে সুঁচ ব্যবহার করা হচ্ছে তা নিশ্চিত হয়ে নেবেন তা নিরাপদ কিনা। আপনার একটু অসাবধানতায় রক্তে বাসা নিতে পারে কোন মরণব্যাধির। তাই রক্তদান করতেও রাখা উচিৎ অতিরিক্ত সতর্কতা।

যারা রক্ত দিতে পারবেন না:ক্যান্সারের রোগী, হিমেফিলিয়াতে যারা ভুগছেন, যারা মাদক গ্রহণ করেছেন, গর্ভবতী মহিলা, অতিরিক্ত শ্বাস কষ্ট যাদের আছে, যাদের এইচআইভি পজেটিভ তথা এইডস আছে, যাদের ওজন গত দু’মাসে চার কেজি কমে গেছে।
একজন পূর্ণবয়স্ক মানুষ চার মাসে অন্তত একবার রক্ত দিতে পারেন। রক্তদাতা একবার রক্ত দিলে তার শরীরের ১০ ভাগের মাত্র এক ভাগ রক্ত কমে। কিন্তু এই পরিমাণ রক্ত অল্প সময়েই আগের মত হয়ে যায়। শরীরে সাধারণ পাঁচ থেকে ছয় লিটার রক্ত থাকে। রক্তদাতা সাধারণত এক দফায় ৪০০-৪৫০ মিলিলিটার রক্ত দিয়ে থাকেন। এই পরিমাণ রক্ত দেওয়াতে দেহের উপর তেমন কোন প্রভাবই পড়ে না। তাই রক্ত দাতার অযথা ভয় ভীতির কোন কারণ নেই। তবে রক্ত দানের আগে এবং পরে বিশেষ কিছু সতর্কতা পালন করলে দশেরও ভাল হবে, নিজের ভাল হবে।

349
কোনকিছু ভুলে যাওয়া একটি স্বাভাবিক ঘটনা এবং বয়সের সাথে সাথে মানুষের ভুলে যাওয়ার পরিমাণ বাড়তে থাকে। এই ভুলে যাওয়া নিয়ে চিন্তা করাটাও স্বাভাবিক। অনেক বেশি ভুলে যাওয়াটাও স্বাভাবিক নয়। কিন্তু এর নির্দিষ্ট পরিমাণ কীভাবে নির্ণয় করবেন? ভুলে যাওয়া আপনার স্বাভাবিক বয়স বৃদ্ধির কারণে হচ্ছে নাকি অন্য কোন মারাত্মক সমস্যার লক্ষণ তা কীভাবে বুঝবেন? নিউরোসায়েন্টিস্ট ও  চিকিৎসকেরা এর সঠিক উত্তর দিতে পারেননি। কিন্তু তারা সাধারণ ভুলে যাওয়া ও মারাত্মক ধরণের স্মৃতির সমস্যা যেমন- ডিমেনশিয়ার মধ্যে কিছু পার্থক্য চিহ্নিত করেছেন। ডিমেনশিয়া হলে ক্রমশ স্মৃতিশক্তি কমতে থাকে এবং ব্যক্তির দৈনন্দিন কাজের উপর হস্তক্ষেপ করে।

স্বাভাবিক বয়স বৃদ্ধির প্রক্রিয়াটির সাথে সাথে মানুষের চিন্তা-ভাবনা ও স্মৃতিশক্তির পরিবর্তন হয়। এর ফলে মস্তিস্কের জন্য ক্ষতিকর অনু বা প্রোটিন এর সংখ্যা কমাতে অক্ষম হয়ে পড়ে  মস্তিষ্ক। কোষের শক্তি উৎপন্নকারী উপাদান মাইটোকন্ড্রিয়া কমতে থাকে। কিন্তু এই ধরণের পরিবর্তন আলঝেইমার্স বা সেরিব্রোভাস্কুলার ডিজিজের চেয়ে আলাদা। যখন মস্তিস্কের স্নায়ু ক্ষতিগ্রস্থ হয় বা ঠিকমত কাজ করতে পারেনা তখন স্মৃতিশক্তি কমতে থাকে।

কিছু মানুষের মনে রাখার ক্ষমতা অন্যদের তুলনায় বেশি ঠিক যেমন কেউ কেউ অন্যদের তুলনায় গণিতে বা অ্যাথলেটিক্সে ভালো। স্বাস্থ্যবান মানুষেরও স্মৃতিভ্রংশের সমস্যাটি হতে পারে। হারবার্ড ইউনিভার্সিটির সাইকোলজির প্রফেসর ড্যানিয়েল স্কেকটার স্মৃতি সংক্রান্ত ৬টি ত্রুটির কথা বর্ণনা করেছেন। এই সমস্যাগুলো বয়সের সাথে সাথে বৃদ্ধি পেতে থাকে। কিন্তু যদিনা তারা চরম আকার ধারণ করে বা  ক্রমাগত না হয় তাহলে ডিমেনশিয়া হিসেবে বিবেচনা করা যাবেনা।

১। নশ্বরতা
এতে সময়ের সাথে সাথে তথ্য বা ঘটনা ভুলে যাওয়ার প্রবণতা দেখা যায়। নশ্বরতা বা অস্থায়িত্ব স্মৃতির দুর্বলতার একটি লক্ষণ। মস্তিষ্ক বিজ্ঞানীরা একে উপকারি হিসেবে গণ্য করেন। কারণ এতে অপ্রয়োজনীয় স্মৃতি মস্তিষ্ক থেকে মুছে যায় ফলে নতুন স্মৃতির জন্য জায়গা সৃষ্টি হয় যা তার জন্য অনেক বেশি কার্যকরী হতে পারে।

২। অন্যমনস্কতা
আপনি যখন খুব মনোযোগ দিয়ে কোন কাজ করেন বা শুনেন তখন এই সমস্যাটি হতে পারে যেমন- আপনি ভুল জায়গায় আপনার চশমাটি বা গাড়ির চাবিটি রাখলেন। কারণ আপনি সেই সময় অন্য চিন্তা করছিলেন, তাই মস্তিষ্ক এই তথ্যটি নিরাপদে সংরক্ষণ করতে পারেনি। অন্যমনস্কতার ফলে নির্ধারিত সময়ের কাজ করতে ভুলে যায় মানুষ যেমন- কারো সাথে সাক্ষাতের কথা ভুলে যায়।

৩। ব্লকিং
স্মৃতি উদ্ধারের অস্থায়ী অক্ষমতাই হচ্ছে ব্লকিং। এক্ষেত্রে কোন তথ্য স্মৃতিতে ভালোভাবে সংরক্ষিত থাকলেও কোন কারণে মনে করা যায়না। ব্লকড মেমোরি একটির সাথে আরেকটি সংযুক্ত থাকে এবং আপনি ভুলটাকেই উদ্ধার করেন। এই প্রতিদ্বন্দ্বী স্মৃতির কারণেই আপনি যা মনে করতে চাইছেন তা মনে না পড়ে অন্য কিছু মনে পড়ে ঠিক যেমন- আপনি আপনার ছোট ছেলেকে ডাকছেন বড় ছেলের নাম ধরে।

৪। মিসঅ্যাট্রিবিউশন
এই ধরণের সমস্যা তখনই ঘটে যখন আপনি কোন বিষয়ের কিছুটা অংশ সঠিকভাবে মনে করতে পারেন কিন্তু বেশিরভাগ অংশই ভুলভাবে মনে করেন যেখানে স্থান, কাল ও পাত্র জড়িত। বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে স্মৃতির অন্যান্য সমস্যার সাথে এই ধরণের সমস্যা হওয়াও স্বাভাবিক। এর দুটি কারণ থাকতে পারে। প্রথমত- বয়সের সাথে সাথে বিস্তারিত তথ্য মনে রাখতে আপানার সমস্যা হয় এবং দ্বিতীয়ত- বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে স্মৃতিশক্তিরও বয়স বাড়তে থাকে। ওল্ড মেমোরিতে মিসঅ্যাট্রিবিউশন হওয়ার প্রবণতা বেশি থাকে।

৫। সাজেস্টিবিলিটি
পরামর্শ ক্ষমতায় স্মৃতির এই ধরণের দুর্বলতা দেখা যায়। কোন ঘটনা ঘটে যাওয়ার পরে আপনি তথ্য পান। আপনার শৈশবে ঘটেনি এমন ঘটনা স্মরণ করার ক্ষেত্রে প্রধান অভিযুক্ত হচ্ছে সাজেস্টিবিলিটি।

৬। পক্ষপাত
স্মৃতি সম্পর্কে একটি প্রচলিত মিথ হচ্ছে - সঠিক উদ্দেশ্য ও সম্পূর্ণ অভিজ্ঞতায় আপনি যা হৃদয়ঙ্গম করতে পারেন তাই সে রেকর্ড করে। বাস্তবে আপনার অনুভূতি প্রভাবিত হয় ব্যক্তিগত গোঁড়ামির দ্বারা যেমন- আপনার অভিজ্ঞতা, বিশ্বাস, জ্ঞান এবং ওই মুহূর্তে আপনার মেজাজের উপর নির্ভর করে। মস্তিষ্কে যখন স্মৃতি প্রোথিত হয় এবং পুনরুদ্ধার হয় উভয়ের ক্ষেত্রেই এই বিষয়গুলো কাজ করে। মানুষের অবসন্ন হওয়ার প্রবণতা বেশি যেমন- তারা ইতিবাচক তথ্যের নেয়ে নেতিবাচক তথ্য বেশি মনে রাখে।

যদি আপনি আপনার স্মৃতিশক্তি নিয়ে চিন্তিত হন তাহলে আপনার চিকিৎসকের সাথে কথা বলুন। রোগ নির্ণয়ের জন্য আপনার সম্পূর্ণ ইতিহাস জানার প্রয়োজন হতে পারে, শারীরিক পরীক্ষাও লাগতে পারে, বিভিন্ন ধরণের টেস্ট করতে হয় এবং রেজাল্টের উপর ভিত্তি করে একমাস বা একবছর সময় লাগতে পারে। কখনো কখনো অন্তর্নিহিত স্বাস্থ্যসমস্যা অথবা আবেগিয় সমস্যার চিকিৎসা করলে স্মৃতিশক্তির উন্নতি হয়। যদি প্রারম্ভিক ডিমেনশিয়া শনাক্ত করা যায় তাহলে চিকিৎসার মাধ্যমে স্মৃতি সংরক্ষণে সাহায্য করা যায় এবং স্মৃতিশক্তি কমে যাওয়ার প্রক্রিয়াটিকে ধীর গতির করা যায়।

চিকিৎসক যেভাবে ডিমেনশিয়া শনাক্ত করেন :
আমেরিকান মেডিক্যাল এ্যাসোসিয়েশন কর্তৃক একটি তালিকা প্রকাশ করা হয় “ডায়াগনোসিস, ম্যানেজমেন্ট এন্ড ট্রিটমেন্ট অফ ডিমেনশিয়া : এ প্রেক্টিকেল গাইড ফর প্রাইমারি কেয়ার ফিজিশিয়ান্স” নামে।

সাধারণ বয়স বৃদ্ধিতে – ব্যাক্তি স্মৃতিশক্তি কমে যাওয়ার কথা বললেও কখন ও কি পরিস্থিতিতে ভুলে গিয়েছিলেন তা বলতে পারেন।

ডিমেনশিয়ার ক্ষেত্রে – স্মৃতিশক্তি কমে যাওয়ার কথা জিজ্ঞেস না করলে বলেন না এবং কখন তার স্মৃতি লক্ষণীয়ভাবে কমে গিয়েছিলো তা স্মরণ করতে পারেন না।

সাধারণ বয়স বৃদ্ধিতে – তার অনুভূত ভুলে যাওয়ার অভ্যাসের বিষয়ে পরিবারের সদস্যদের চেয়েও নিজে অনেক বেশি উদ্বিগ্ন থাকেন। 

ডিমেনশিয়ার ক্ষেত্রে – ব্যক্তির চেয়ে পরিবারের সদস্যরা অনেক বেশি উদ্বিগ্ন থাকেন।

সাধারণ বয়স বৃদ্ধিতে – গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা, সম্পর্ক ও কথোপোকতনের জন্য সাম্প্রতিক মেমোরির বৈকল্য হয়না।

ডিমেনশিয়ার ক্ষেত্রে – ঘটনা ও বাক্যালাপের জন্য সাম্প্রতিক মেমোরি লক্ষণীয়ভাবে কমে যায়। 

সাধারণ বয়স বৃদ্ধিতে – ব্যক্তি মাঝে মাঝে শব্দ খুঁজে পেতে সমস্যায় পড়েন।

ডিমেনশিয়ার ক্ষেত্রে – ব্যক্তি খুব ঘন ঘন ই শব্দ খুঁজে পেতে সমস্যায় পড়েন

লিখেছেন- সাবেরা খাতুন

350
ফ্যাশন সচেতন তরুণীদের কাছে নেইল আর্ট বেশ জনপ্রিয়। তারা নানা রঙে নানা নকশায় নখকে করে তোলে আর্কষণীয়। পোশাকের রং, চুলের স্ট্যাইলের সাথে মিলিয়ে ভিন্ন ভিন্ন নকশায় নেইল আর্ট করা হয়। সময়ের সাথে সাথে ফ্যাশনে আসে পরিবর্তন আর এর সাথে পরিবর্তন হয় নেইল আর্টের। রং, নকশা সবকিছুতে আসে নতুনত্ব। নেইল আর্টে কখনও করা প্রিয় কোন কার্টুনের চরিত্র আবার কখন করা হয় নানা রঙের আলোকছটার নকশা।

এই সময়ে বেশ আলোচিত এবং জনপ্রিয় একটি নেইল আর্ট হল গ্র্যাডিয়েন্ট নেইল। নেইল আর্টের শুরুর থেকে এটি জনপ্রিয়। কয়েকটি রঙের সম্বনয়ে করা হয় বিধায়, পছন্দের পোশাকের সাথে খুব সহজে মানিয়ে যায়। এর সাথে এটি আপনাকে দেয় ফ্যাশনেবল এবং স্টাইলিশ একটি লুক। কিন্তু অনেকে মনে করেন গ্র্যাডিয়েন্ট  নেইল আর্ট করা বেশ কঠিন এবং সময়সাপেক্ষ। খুব সহজে অল্প উপাদান দিয়ে করে ফেলতে পারেন গ্র্যাডিয়েন্ট নেইল আর্ট। কিভাবে? তাহলে দেখে নিন ছোট ভিডিওতে।

যা যা লাগবে:
নেইল প্রোটেকটর বেইস কোট
হোয়াইট নেইলপলিশ
পছন্দের তিনটি নেইলপলিশ
মেকআপ স্পঞ্জ

টিপস:
১। ভাল মানের নেইলপলিশ ব্যবহার করুন।

২। দীর্ঘদিন একই নেইলপলিশ নখে রাখবেন না।

৩। নিয়মিত নখ পরিষ্কার রাখুন। এর জন্য ১৫ দিন পর পর ম্যানিকিওর-পেডিকিওর করুন।

৪। তাজা লেবুর রসে তুলা ভিজিয়ে নখে ঘষে তার কিছুক্ষণ পর ধুয়ে ফেলুন, এটি নখকে শক্ত এবং মজবুত করবে।

৫। রিমুভার নখের আর্দ্রতা নষ্ট করে দেয়, তাই ময়েশ্চারাইজারযুক্ত রিমুভার ব্যবহার করুন।

লিখেছেন- নিগার আলম
- See more at: http://www.deshebideshe.com/news/details/73676#sthash.raYcPAMH.dpuf

351
সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি, কেমিক্যালসমৃদ্ধ প্রসাধনী ব্যবহার ও ময়লা-ধুলাবালির কারণে ত্বক কালচে হয়ে যায়।

তাই গরমের এই সময়টাতে চাই ত্বকের বাড়তি যত্ন। এ ক্ষেত্রে মধু, নারকেল তেল ও লেবুর রস একসঙ্গে মিশিয়ে মুখে লাগাতে পারেন। এই তিনটি প্রাকৃতিক উপাদান কালচে দাগ দূর করে ত্বক উজ্জ্বল ও মসৃণ করে।

কীভাবে ত্বকে এই তিনটি উপাদান ব্যবহার করবেন, সে বিষয়ে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে জীবনধারাবিষয়ক ভারতীয় ওয়েবসাইট বোল্ডস্কাই-এর লাইফস্টাইল বিভাগে।

যা যা লাগবে
নারকেল তেল দুই টেবিল চামচ, মধু দুই চা চামচ, লেবুর রস এক চা চামচ। মধু ত্বকে প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজারের কাজ করে। অন্যদিকে লেবুর রস ত্বকে প্রাকৃতিক ব্লিচের কাজ করে। আর নারকেল তেলের অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান ত্বকের জীবাণু ধ্বংস করে ত্বক নরম ও মসৃণ করে।

যেভাবে ব্যবহার করবেন
প্রথমে একটি বাটিতে নারকেল তেল, মধু ও লেবুর রস একসঙ্গে মিশিয়ে প্যাক তৈরি করুন। এই প্যাক মুখে লাগিয়ে ১৫ থেকে ২০ মিনিট অপেক্ষা করুন।

এবার হালকা গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে অন্তত দুদিন এই প্যাক মুখে ব্যবহার করুন।
- See more at: http://www.deshebideshe.com/news/details/73675#sthash.0QKFCVgh.dpuf

352
মাংসের তৈরি যেকোন খাবার খেতে সবাই পছন্দ করে। মাংসের তৈরি পিঠা, মাংসের তৈরি রোল অথবা মাংসের তৈরি পাই তা যাই হোক না কেন খেতে দারুন। তুরস্কে মাংস দিয়ে তৈরি করা হয় একধরণের পেস্ট্রি। মজাদার লেয়ার পেস্ট্রিটি তুরস্কের বেশ জনপ্রিয় একটি খাবার।

উপকরণ:
১। ২ কাপ ময়দা এবং ৪ কাপ আটা
২। ২ চা চামচ লবণ

পুরের জন্য:
১। ৪০০ গ্রাম গরুর মাংস
২। ৪ টেবিল চামচ তেল
৩। ১টি পেঁয়াজ কুচি
৪। ২ চা চামচ লাল মরিচ গুঁড়ো
৫। ১ চিমটি গোল মরিচ গুঁড়ো
৬। ১ চা চামচ লবণ
৭। ১ টেবিল চামচ টকদই
৮। ১টি ডিম

লেয়ার দেওয়ার জন্য:
১। ১টি ডিম
২। ২ টেবিল চামচ টকদই
৩। ৪ টেবিল চামচ তেল

প্রণালী:
১। প্রথমে চুলায় প্যান দিয়ে তেল দিয়ে দিন। এতে পেঁয়াজ কুচি দিয়ে ২-৩ মিনিট নাড়ুন।

২। পেঁয়াজ নরম হয়ে আসলে এতে মাংসের কিমা দিয়ে রান্না করুন।

৩। মাংস নরম হয়ে আসলে এতে গোলমরিচ গুঁড়ো, লবণ, শুকনো মরিচ গুঁড়ো দিয়ে ঢেকে দিন।

৪। তারপর আরেকটি পাত্রে ময়দা, লবণ এবং পানি দিয়ে ডো তৈরি করুন।

৫। পাতলা কাপড় দিয়ে ৩০ মিনিট ঢেকে রাখুন।

৬। ৩০ মিনিট পর ডো থেকে ১২ টি লেচী তৈরি করে রাখুন।

৭। একটি লেচী দিয়ে পাতলা রুটি তৈরি করে নিন।

৮। আরেকটি পাত্রে ডিম, টকদই এবং তেল দিয়ে ভাল করে ফেটুন। মিশ্রণটি পাতলা করার জন্য এতে সামান্য পানি মিশিয়ে নিন।

৯। এবার বেক করার পাত্রে প্রথমে একটি পাতলা রুটি তার উপর ডিমের সস তার উপর আরেকটি পাতলা রুটি আবার ডিমের সস তার উপর আরেকটি রুটি এবং ডিমের সস তার উপর আরেকটি পাতলা রুটি দিয়ে দিন।

১০। তার উপর রান্না করা কিমা ছড়িয়ে দিন।

১১। তার উপর পাতলা রুটি, ডিমের সস আরেকটি পাতলা রুটি, মাংস এবং রুটি  তার উপর ডিমের সস তার উপর রুটি আবার মাংস এবং রুটি, ডিমের সস দিয়ে কয়েকটি লেয়ার তৈরি করুন।

১২। সবশেষে ডিম এবং টকদইয়ের মিশ্রণটি সম্পূর্ণ রুটির মাঝে ভাল করে ছড়িয়ে দিন।

১৩। এখন ছুরি দিয়ে ছোট ছোট চারকোণা আকৃতিতে কেটে নিন।

১৪। ২০০ ডিগ্রী সেলসিয়াস অথবা ৪০০ ডিগ্রী ফারেনহাইটে প্রিহিট ওভেনে ৩৫ থেকে ৪০ মিনিট বেক করুন।

১৫। ব্যস তৈরি হয়ে গেল তুরস্কের জনপ্রিয় লেয়ার পেস্ট্রি।
- See more at: http://www.deshebideshe.com/news/details/73677#sthash.X1PP7n4a.dpuf

353
স্বাস্থ্যকর খাবার সবারই খাওয়া দরকার। কিন্তু ডায়াবেটিস ধরা পড়ার পর ভালো মানের পুষ্টিকর খাদ্যভ্যাস মেনে চলাটা একেবারে জরুরী হয়ে পড়ে। আর খাওয়ার জন্য তো অবশ্যই বাজার করার সময়ে ভালো খাবার বেছে নিতে হবে। এ কারণে ডায়াবেটিস রোগীর জন্য বাজার করতে গেলে মেনে চলতে হবে ছোট কিছু নিয়ম-

১) শপিং করুন ভরাপেটে
ছোট একটা স্ন্যাক্স খেয়ে নিন বাজার করতে যাবার আগে, যেমন একটা আপেল, এক টুকরো পনির। এতে বাজার করার সময়ে আপনার ক্ষুধা লাগবে না, ব্লাড সুগার ঠিক থাকবে। ক্ষুধাপেটে শপিং করতে গেলে কেবলই ইচ্ছে হবে কোনো কিছু কিনে খেয়ে নিতে। আর বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায় এই খাবারটা স্বাস্থ্যকর হয় না। শপিং লিস্ট অবশ্যই সাথে নেবেণ যাতে অদরকারী কিছু কেনা না হয়।

২) জুস না কিনে ফল কিনুন
ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ফল খুবই উপকারী। তবে জুসের চাইতে আস্ত ফল আপনার জন্য বেশি উপকারি কারণ এতে প্রচুর ফাইবার ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে। ফ্রোজেন ফ্রুট কিনতে পারেন কিন্তু এতে যেন চিনি বা কেমিক্যাল না থাকে তা দেখে নিন।

৩) লো-সোডিয়াম স্যুপ বেছে নিন
ডায়াবেটিস থাকলে আপনার হৃদরোগ হবার ঝুঁকি বেড়ে যায়। এ কারণে আপনার খাদ্যভ্যাসে সোডিয়াম কমিয়ে দেওয়া উচিৎ। ক্যানড স্যুপে অনেক বেশি পরিমাণে সোডিয়াম থাকে। আপনি এমন স্যুপ বেছে নিন যাতে সোডিয়ামের পরিমাণ কম। অথবা নিজেই বাড়িতে তৈরি করে নিন স্বাস্থ্যকর স্যুপ।

৪) ফ্লেভারড দই খাওয়া বাদ দিন
অনেকেই বিভিন্ন ফ্লেভারের ইয়োগার্ট খেতে পছন্দ করেন, ভাবে সব ধরণের দই-ই স্বাস্থ্যকর আসলে কিন্তু তা নয়। অনেক সময়ে দেখা যায় এসব ফ্লেভারড দইতে অনেকটা চিনি দেওয়া থাকে। একদম ফ্লেভার ছাড়া প্লেইন টক দই খান। খেতে পারেন লো-ফ্যাট কটেজ চিজ।

৫) কম চর্বির মাংস খান
যখনই সম্ভব, কম চর্বি আছে এমন মাংস খান। গরুর মাংস চর্বি ফেলে খান। সামুদ্রিক মাছ খেতে পারেন, এতে ওমেগা ৩ ফ্যাটি এসিড আছে।

৬) খান হোল গ্রেইন ব্রেড
অনেক পাউরুটিতে চিনি দেওয়া থাকে তাও বেশ অনেকটা। প্রতি টুকরোয় ১৫ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট থাকে এমন রুটি খান আর হোল গ্রেইন খান। কারণ এগুলোতে বেশ পরিমাণে ফাইবার থাকে, এটা রক্তের সুগার লেভেল নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে।

৭) স্ন্যাক্স নির্বাচন করুন সাবধানে
ডায়াবেটিস হলে টুকটাক মুখরোচক স্ন্যাক্স খাওয়া যাবে না তা নয়। কিন্তু উচ্চমাত্রায় সুগার এবং সোডিয়ামযুক্ত খাবারের ব্যাপারে সতর্ক থাকুন। পপকর্ন খেতে পারেন অথবা হোল গ্রেইনে তৈরি চিপস খেতে পারেন। নিজেই তৈরি করে নিতে পারেন স্বাস্থ্যকর কিছু স্ন্যাক্স। আর ফল তো আছেই।

৮) সুগার-ফ্রি শুনেই গলে যাবেন না
সুগার ফ্রি খাবার ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য আশীর্বাদের মতো। কিন্তু কেনার আগে লেবেল দেখে নিন। সুগার-ফি মানেই কার্বোহাইড্রেট-ফ্রি নয়। এক সার্ভিং পরিমাণে যদি ১৫ গ্রামের বেশি কার্বোহাইড্রেট থাকে তবে তা না কেনাই ভালো। খেতে পারেন ৭০ শতাংশের বেশি কোকো আছে এমন ডার্ক চকলেট।

এছাড়াও আরও যেসব টিপস মেনে চলতে পারেন-
- কেনাকাটা করতে যাবার আগে ব্লাড সুগার মেপে দেখা যান নিয়ন্ত্রণে আছে কিনা
- ট্রান্স ফ্যাট বর্জন করে চলুন
- সি-ফুড জাতীয় খাবার কিনুন
- প্রসেসড ফুড কম কিনুন, ফ্রেশ শাকসবজি ও ফল কিনুন

লিখেছেন- কে এন দেয়া

354
Skin / চর্মরোগের ওষুধ হলুদ
« on: May 12, 2016, 10:16:27 AM »
রান্নার কাজের নিত্য ব্যবহার্য মশলা হলুদ। রান্নার পাশাপাশি ওষুধ হিসেবেও হলুদের গুণাগুণ কম নয়। গ্যাস-অম্বল প্রতিরোধ, মস্তিষ্কের ক্ষমতা বৃদ্ধি, ক্যান্সার প্রতিরোধ, শরীরের ব্যথা নিয়ন্ত্রণ, হৃদপিণ্ড সুস্থ রাখাসহ আমাদের শরীরের বিভিন্ন উপকারে লাগে মসলাজাতীয় এই পণ্যটি। তারুণ্য ধরে রাখতেও এই পণ্য ব্যবহার করা যায়।

চর্মরোগ প্রতিরোধেও ভূমিকা রাখে হলুদ। অ্যান্টি-অক্সিডেন্টের পাশাপাশি শরীরের প্রদাহরোধক এবং জীবাণুরোধক ক্ষমতা রয়েছে এই পণ্যে। যা ফলিকিউলিটিস নামক চর্মরোগ নিরসনে সাহায্য করে।

ফলিকিউলিটিস রোগের নিরাময়ে প্রয়োজনীয় উপকরণ
হলুদ গুঁড়া এবং গরম পানি বা দুধ।

ফলিকিউলিটিস রোগের নিরাময়ে হলুদের ব্যবহার বিধি
এক কাপ হালকা গরম পানির সঙ্গে এক চা চামচ হলুদ গুঁড়া মিশিয়ে তা পান করতে হবে। গরম পানির পরিবর্তে গরম দুধ দিয়েও এই মিশ্রণ তৈরি করা যায়। ২-৩ বার করে কমপক্ষে এক সপ্তাহ এই মিশ্রণ পান করলে ফলিকিউলিটিস রোগের নিরাময়ে ভালো ফল পাওয়া যায়।

পানি বা দুধের সঙ্গে হলুদের মিশ্রণ পান করতে না পারলেও আক্রান্ত স্থানে এটি ব্যবহার করলেও ফলিকিউলিটিস রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। আক্রান্ত স্থানে লাগানোর ক্ষেত্রে পানি বা দুধের সঙ্গে হলুদ গুঁড়ার মিশ্রণটি অনেক ঘন হতে হবে। এরপর দিনে অন্তত একবারের জন্য এটি ব্যবহার করতে হবে। আক্রান্ত স্থানে মিশ্রণটি লাগিয়ে ১৫ থেকে ২০ মিনিট অপেক্ষা করতে হবে। এরপর লাগানো মিশ্রণটি শুকিয়ে গেলে তা ভালোভাবে ধুয়ে ফেলতে হবে।

ফলিকিউলিটিস রোগের জ্বালা থেকে সম্পূর্ণভাবে মুক্তি পেতে শতভাগ ভালো না হওয়া পর্যন্ত এই মিশ্রণের ব্যবহার করা উচিত। এই মিশ্রণটি এক থেকে দুই সপ্তাহ পর্যন্ত নিয়মিত ব্যবহার করেই ভালো ফল পাওয়া যায়। সুত্র- ইত্তেফাক

355
হরমোন এমন এক ধরণের জৈব রাসায়নিক যা রাসায়নিক বার্তাবাহক হিসেবে কাজ করে। দেহের বৃদ্ধি ও উন্নয়ন, কর্মপ্রেরণা ও প্রজনন, বিপাক এবং মেজাজ নিয়ন্ত্রণ করে হরমোন। রাসায়নিক এই বার্তাবাহক যখন ভারসাম্যহীন হয়ে পড়ে তখন হজমের সমস্যা, ক্লান্তি ও ওজন বৃদ্ধির মত শারীরিক বিভিন্ন সমস্যা হয়। সুসংবাদ হচ্ছে কিছু প্রাকৃতিক পদ্ধতি অনুসরণ করে হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখা যায় এবং স্বাস্থ্যের উন্নতি করা যায়। এবার তাহলে সেই সহজ ও প্রাকৃতিক উপায়গুলো সম্পর্কে জেনে নিই চলুন।

১। ভেজিটেবল ওয়েল বাদ দিন
মানুষের শরীরে সুস্থ কোষ উৎপন্ন হওয়ার জন্য স্যাচুরেটেড, মনোস্যাচুরেটেড এবং পলিস্যাচুরেটেড ফ্যাটের ভারসাম্য থাকা প্রয়োজন। গবেষণায় দেখা গেছে যে পলিস্যাচুরেটেড ফ্যাট অল্প পরিমাণে হলে কোন অসুবিধা নাই। কিন্তু প্রয়োজনাতিরিক্ত হলে হরমোনের ভারসাম্যহীনতার পাশাপাশি অন্য স্বাস্থ্যসমস্যাও সৃষ্টি করে। পলিস্যাচুরেটেড ফ্যাট পাওয়া যায় সবজি, ক্যানুলা, চিনাবাদাম, সয়াবিন তেলে এবং মার্জারিনে। পলিস্যাচুরেটেড ফ্যাট আণবিকভাবে অস্থায়ী ধরণের হয় এবং অন্যান্য ফ্যাটের চেয়ে বেশি জারণ প্রবণ হয়। মানব দেহ উপযুক্ত স্থিতিশীল চর্বির অনুপস্থিতিতে নতুন কোষের গঠন ও মেরামতের জন্য পলিস্যাচুরেটেড ফ্যাট ব্যবহার করতে বাধ্য করে।দেহের এই ধরণের কাজের ফলে কোষের পরিবর্তন হয় এবং হরমোনের ত্রুটি দেখা দেয়। তাই এই ধরণের তেলের পরিবর্তে অসিদ্ধ ভার্জিন অলিভ  ওয়েল, অ্যাভোকাডো ওয়েল, আসল মাখন ও নারিকেল তেল ব্যবহার করুন। 

২। প্রতিদিন নারিকেল তেল খান
নারিকেল তেলে স্বাস্থ্যকর সম্পৃক্ত চর্বি থাকে যা একজন মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। ভার্জিন কোকোনাট ওয়েল থাইরয়েড ফাংশনের সামঞ্জস্য বজায় রাখতে সাহায্য করে কোলেস্টেরলকে প্রেগ্নেনোলোনে রুপান্তরের মাধ্যমে। হরমোন উৎপাদনে কাজে লাগে প্রেগ্নেনোলোন। এছাড়াও নারিকেল তেলে রয়েছে মিডিয়াম চেইন ট্রাইগ্লিসারাইড। এটি এক ধরণের বিশেষ ফ্যাট যা স্বাস্থ্যকর ওজন বজায় রাখতে সাহায্য করে মেটাবলিজম এবং এনার্জি লেভেল বৃদ্ধি করার মাধ্যমে। অধিক এনার্জি মানে শক্তিশালী দেহ, দৈনন্দিন কাজ করার সামর্থ্য বৃদ্ধি পায়।

৩। ভিটামিন ডি
সূর্যের আলো ত্বকের জন্য ভালো। যখন আমাদের ত্বকের কোষ সূর্যের আলোর সংস্পর্শে আসে তখন ফটোকেমিক্যাল রিঅ্যাকশনের ফলে ভিটামিন ডি উৎপন্ন হয়। ভিটামিন ডি বাহক প্রোটিন হিসেবে রক্তে উপস্থিত থেকে রক্তসংবহনের মাধ্যমে বিভিন্ন অঙ্গে যায়। DNA/RNA   উৎপাদনে কাজে লাগে, ইমিউন ও নিউরোমাস্কুলার সিস্টেমের এবং হরমোনের উৎপাদনে কাজে লাগে ভিটামিন ডি। এন্ডোক্রাইন সিস্টেম ভিটামিন ডি ছাড়া অক্ষম। প্রাকৃতিকভাবে হরমোনের ভারসাম্য রক্ষা করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ উপাদান এই ভিটামিন ডি। তাই প্রতিদিন কিছুটা সময় রোদে হাঁটুন।

৪। বিষ এড়িয়ে চলুন
প্লাস্টিকের সামগ্রিতে, পরিষ্কারক ও কীটনাশক হরমোনের কাজে বাঁধা সৃষ্টি করে। তাই প্লাস্টিকের পরিবর্তে কাঁচের বৈয়মে খাবার সংরক্ষণ করুন। অর্গানিক ফল ও সবজি খান এবং অ্যামোনিয়ার পরিবর্তে প্রাকৃতিক উপাদানের মাধ্যমে ঘর পরিষ্কার করুন।

তাছাড়া ম্যাগনেসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করুন বা সাপ্লিমেন্ট হিসেবে গ্রহণ করুন। রক্তে বেশি মাত্রায় ক্যাফেইন এর উপস্থিতি হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট করতে পারে। তাই ক্যাফেইন মুক্ত বা হারবাল চা গ্রহণ করুন। হরমোনের ভারসাম্য রক্ষার জন্য গভীরভাবে দম নিন, শরীরচর্চা করুন এবং পর্যাপ্ত ঘুম প্রয়োজন  ।

লিখেছেন- সাবেরা খাতুন

356
শরীরে যখন বার্ধক্য চলে আসে তখন স্বাভাবিকভাবেই মনেও বার্ধক্য স্থান করে নেয়। মানুষ তখন শারীরিক এবং মানসিকভাবে বুড়ো হয়ে যায়। কিন্তু এমন ৭ টি খাবারের কথা জেনে রাখুন যেগুলো খেলে আপনি দীর্ঘদিন পর্যন্ত আপনার শরীর ও মনের যৌবন ধরে রাখতে পারবেন। এই খাবারগুলো আপনাকে শরীর ও মনের দিক থেকে ১০ বছর কমিয়ে আনতে সহায়তা করবে-

১. কমলা :
দিনে একটিমাত্র কমলা আপনাকে তারুণ্য ফিরিয়ে দিতে পারে। এটি শুধুমাত্র দেগে ভিটামিন সি তৈরি করে দেহকে সতেজ রাখবে না পাশাপাশি ভিটামিন সি আপনার ত্বকের উজ্জ্বলতাও আরও বহুগুণ বাড়িয়ে তুলতে সহায়তা করবে। ফলে আপনি দেহ ও মনে থাকবেন বেশ তরুণ।

২. ব্রোকলি :
দিনে হাফ কাপের মত ব্রোকলি আপনার শরীরের অ্যানার্জীকে বহুগুণ বাড়িয়ে দেয় এবং আপনার শারীরিক ক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করতে সহায়তা করে। কেননা একটি ব্রোকলি ২/৩ দিনের প্রয়োজনীয় ভিটামিন সি সরবরাহ করতে সক্ষম। এছাড়া ব্রোকলিতে পুষ্টিকর সালফোরাফেন রয়েছে যেটি লিভারের ডেটক্সিফিকেশনে সহায়তা করে থাকে এবং এতে এমন কিছু উপাদান রয়েছে যা আপনার দেহকে ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়ক করে তোলে। ফলে আপনি দীর্ঘদিন শরীর ও মনে যৌবন ধরে রাখতে পারবেন।

৩. কম ফ্যাটযুক্ত দই :
কম ফ্যাটযুক্ত দই তে বিভিন্ন স্বাস্থ্যগুণ বিদ্যমান। এতে থাকা ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস দাঁতের এনামেল তৈরিতে সহায়তা করে যেটিতে আপনার হাসিকে আরও অনেক বেশি প্রাণোজ্জ্বল করে তুলতে সহায়তা করবে। এছাড়া এই কম ফ্যাটযুক্ত দই খেলে ত্বকের অস্বাভাবিক কুঁচকে যাওয়া রোধে সহায়তা করে থাকে।

৪. গোলমরিচ :
গোলমরিচেএ প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট রয়েছে। এটি শরীরের স্বাভাবিক ক্রিয়া সচল রাখে, সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি থেকে দেহকে রক্ষা করে এবং বিভিন্ন ক্যান্সার প্রতিরোধেও সহায়ক ভূমিকা রাখে।

৫. বেরি ফল :
সব ধরনের বেরি ফলই দেহের জন্য বেশ পুষ্টিকর যেমন ক্র্যানবেরি, স্ট্রবেরি, ব্ল্যাকবেরি, ব্লুবেরি, রাস্পবেরি। তবে ব্ল্যাকবেরি দেহের জন্য সবচেয়ে বেশি পুষ্টিকর কেননা এতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট রয়েছে। এছাড়া বেরি ফলে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে যা ত্বকের জন্য বেশ কার্যকর।

৬. মিষ্টি আলু :
মিষ্টি আলুতে বিভিন্ন ধরনের উপাদান রয়েছে যা আমাদের দেহের জন্য বেশ কার্যকর। এতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট রয়েছে পাশাপাশি ব্যথানাশক উপাদানও রয়েছে প্রচুর। এর ফলে দেহের বিভিন্ন ব্যথা সংকুচিত হয়। এছাড়া এতে থাকা ভিটামিন এ, সি এবং ই ত্বকের বিভিন্ন পুষ্টি যুগিয়ে থাকে এবং চুলের সৌন্দর্যও বাড়িয়ে তোলে।

৭. গাজর :
গাজরে প্রচুর পরিমাণে বিটা ক্যারোটিন রয়েছে যেটি শুধু ত্বকের নতুন কোষ গজাতে সহায়তাই করে না অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট হিসেবে কাজও করে থাকে। অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ত্বকের চামড়ার বয়স কমিয়ে আনতে বেশ সহায়ক ভূমিকা রাখে। এর ফলে আপনার বয়স ১০ বছরের মত কমে আসবে।

357
Fair and Events / Laptop Fair
« on: May 10, 2016, 05:27:42 PM »
১৩ মে থেকে রাজধানীতে ল্যাপটপ মেলা !!!

রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) ১৩ মে থেকে শুরু হচ্ছে তিন দিনের ‘গ্রীষ্মকালীন ল্যাপটপ মেলা ২০১৬’। গতকাল সোমবার রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান মেলার আয়োজক এক্সপো মেকারের পরিচালনা বিভাগের প্রধান নাহিদ হাসনাইন সিদ্দিকী। তিনি বলেন, ‘এবারে বড় পরিসরে ল্যাপটপ মেলা করতে যাচ্ছি আমরা। এক্সপো মেকারের ১৭তম ল্যাপটপ মেলা এটি।’

সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন গ্লোবাল ব্র্যান্ডের চেয়ারম্যান আবদুল ফাত্তাহ, এসারের কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ সাকিব হাসান, ডেলের কান্ট্রি মার্কেটিং ম্যানেজার প্রতাপ সাহা, এইচপির রিটেইল অ্যাকাউন্ট ম্যানেজার সালাউদ্দিন মো. আদেলসহ অনেকে। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, মেলায় একটি মেগা প্যাভিলিয়ন, চারটি প্যাভিলিয়ন, সাতটি মিনি প্যাভিলিয়ন ও ৪৭টি স্টলে প্রযুক্তিপণ্য নির্মাতা ও বিপণনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের সর্বশেষ প্রযুক্তির পণ্য প্রদর্শন ও বিক্রি করবে। মেলায় ল্যাপটপের পাশাপাশি ট্যাবলেট কম্পিউটার, কম্পিউটার নিরাপত্তা পণ্য ও ল্যাপটপের আনুষঙ্গিক যন্ত্রাংশ পাওয়া যাবে। মেলায় বেশ কয়েকটি নতুন মডেলের ল্যাপটপের মোড়ক উন্মোচন করা হবে বলেও জানানো হয়। গতবারের মতো এবারও মেলার ফেসবুক পেজে (facebook.com/laptopfair.bd) কুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হচ্ছে।
মেলার সহপৃষ্ঠপোষক এসার, আসুস, ডেল ও এইচপি। এ ছাড়া স্মার্টফোন সহযোগী হিসেবে লাভা, টিকিট বুথ সহযোগী হিসেবে প্যান্ডা সিকিউরিটি এবং সহযোগী হিসেবে রয়েছে পিপলস রেডিও, টেকশহর ডটকম ও এডুমেকার। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত মেলা চলবে।

358
প্রকৃতির এক সুস্বাদু, সুন্দর, সুগন্ধময় ও পুষ্টিমান সমৃদ্ধ ফল আম। আম আমাদের জাতীয় ফল না হলেও আমগাছ আমাদের জাতীয় বৃক্ষ আর আমকে বলা হয় ফলের রাজা। ভারত, পাকিস্তান ও ফিলিপাইনের জাতীয় ফল আম। আমাদের দেশের প্রায় সব এলাকায় কমবেশি আম জন্মালেও চাঁপাইনবাবগঞ্জ, রাজশাহী, দিনাজপুর, সাতক্ষীরা, মেহেরপুর ও পার্বত্য চট্টগ্রামে বাণিজ্যিকভাবে উন্নত মানের আম উৎপন্ন হয়। অবশ্য সারা দেশে উৎপাদিত আমের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ আমই উৎপন্ন হয় চাঁপাইনবাবগঞ্জে। এ জন্য চাঁপাইনবাবগঞ্জকে আমের রাজধানীও বলা হয়।
দেশের ঐতিহাসিক ও প্রত্নতাত্ত্বিক গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে গিয়ে ইত্যাদি ধারণের ধারাবাহিকতায় আমরা ৮ এপ্রিল গিয়েছিলাম চাঁপাইনবাবগঞ্জে ইত্যাদি ধারণ করতে। ভূমি গঠন ও প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন অনুযায়ী এই এলাকাকে বাংলাদেশের সবচেয়ে প্রাচীন ভূ-ভাগ বলা হয়। বরেন্দ্র অঞ্চল গৌড়ের বিভিন্ন ঐতিহাসিক নিদর্শন ও প্রত্নসম্পদে সমৃদ্ধ এই জেলা সুলতানি আমলেই গৌরবের উচ্চ শিখরে উন্নীত হয়। এ জেলার বিভিন্ন স্থানে বিশাল বিশাল এলাকাজুড়ে চোখে পড়ে দৃষ্টিনন্দন সব আমবাগান। যেহেতু আমের রাজধানীতে এসেছি, তাই অনুষ্ঠানের স্বার্থেই আমের ওপর একটি প্রতিবেদন করতে গিয়ে কথা বলেছিলাম বেশ কজন আম গবেষক, আম ব্যবসায়ী, বাগানমালিক ও আমচাষির সঙ্গে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ আঞ্চলিক উদ্যানতত্ত্ব গবেষণাকেন্দ্রের কর্মকর্তাদের মাধ্যমে জানা গেল, প্রতিবছর আমের মৌসুমে এ জেলার ৮ থেকে ১০ লাখ লোক আমগাছ পরিচর্যা, বাগান পরিষ্কার রাখা, আম সংগ্রহ, বিক্রি ও পরিবহন ইত্যাদি কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে থাকে। প্রতিবছর এ জেলা থেকে প্রায় ৮০০ থেকে ১০০০ কোটি টাকার আম বিক্রি হয়। ২০১১ সালের এফএওর দেওয়া তথ্যানুযায়ী বিশ্বের সেরা ১০টি আম উৎপাদনকারী দেশের মধ্যে বাংলাদেশ অষ্টম স্থানে। তবে বিশ্বের আম রপ্তানিকারক ২০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের কোনো স্থান নেই। কৃষিবিজ্ঞানীরা এ জন্য বেশ কিছু বিষয়কে দায়ী করেছেন। যেমন আমের মুকুল আসার পর থেকেই আমগাছের কিছু নিয়মতান্ত্রিক পরিচর্যার প্রয়োজন হয়, যা সবারই মেনে চলা উচিত। আম গবেষক ও কৃষি কর্মকর্তাদের তত্ত্বাবধানে এবং তাঁদের অনুমোদিত পদ্ধতিতে ঝুঁকিমুক্ত ও রপ্তানিযোগ্য আম উৎপাদন সম্ভব।
বেশি ফলনের আশায় আমগাছের গোড়ায় কালটার বা লবণ দেওয়া যেমন বন্ধ করতে হবে, তেমনি বেশি মুনাফার জন্য ক্যালসিয়াম কার্বাইড প্রয়োগ করে অসময়ে আম পাকানো এবং ফরমালিন ব্যবহার করে বেশি দিন আম সংরক্ষণ করার পদ্ধতিও পরিহার করতে হবে। এসব পদ্ধতি আমশিল্পের জন্য যেমন বিপজ্জনক তেমনি জনস্বাস্থ্যের জন্যও ঝুঁকিপূর্ণ। তবে চাঁপাইনবাবগঞ্জ আঞ্চলিক উদ্যানতত্ত্ব গবেষণাকেন্দ্রের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. শরফউদ্দিন বললেন, বাণিজ্যিকভাবে চাষাবাদের জন্য বর্তমানে ফ্রুট ব্যাগিং প্রযুক্তিটি অত্যন্ত সফল ও সম্ভাবনাময়। তাঁর মতে, এই প্রযুক্তিতে শতভাগ রোগ ও পোকামাকড় দমন করা যায়। এই প্রযুক্তিটি বিভিন্ন আম রপ্তানিকারক দেশে বহুল পরিচিত ও ব্যবহৃত পদ্ধতি। এই প্রযুক্তির মাধ্যমে ১০০ ভাগ রোগ ও পোকামাকড়মুক্ত আম উৎপাদন সম্ভব বলে তিনি মনে করেন।
তবে বাংলাদেশে কী পরিমাণ জমি এবং ওই জমিতে প্রতিবছর কী পরিমাণ আম উৎপাদিত হয়, তার সঠিক তথ্য জানা গেলে বাংলাদেশের অবস্থান আট থেকে আরও ওপরে উঠে আসতে পারে বলে মনে করেন বিজ্ঞানীরা। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর ২০১২ সালের দেওয়া তথ্যানুযায়ী বাংলাদেশে প্রতিবছর ২৭ হাজার ৪৬৬ হেক্টর জমি থেকে মোট ৮ লাখ ৮৯ হাজার ১৭৬ মেট্রিক টন আম উৎপাদিত হয় এবং শুধু চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে ২ লাখ ৪০ হাজার মেট্রিক টন আম উৎপাদিত হয় বলে জানানো হয়েছে; কিন্তু বেশ কয়েকজন কৃষিবিজ্ঞানী ও আম গবেষক এই পরিসংখ্যানের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করেন। কারণ, মাঠপর্যায়ে ঘুরে দেখা গেছে বাংলাদেশে চাষাবাদের এলাকাটা আরও বেশি।
শরফ উদ্দিনের দেওয়া এক তথ্যে দেখা যায়, চাঁপাইনবাবগঞ্জে ২৪ হাজার ২৬০ হেক্টর, রাজশাহীতে ১৬ হাজার ৫১৯ হেক্টর, নাটোরে ৪ হাজার ১০০ হেক্টর ও নওগাঁয় ৯ হাজার ১৪৬ হেক্টর জমিতে আম চাষ হয় অর্থাৎ এই চার জেলাতেই ৫০ হাজারেরও বেশি হেক্টর জমিতে আম চাষ হয়। এ ছাড়া দেশের অন্যান্য স্থানেও প্রচুর আম চাষ হচ্ছে। সেই হিসাবে সঠিক পরিসংখ্যান হলে দেখা যাবে, সারা দেশে প্রায় ৯০ হাজার থেকে ১ লাখ হেক্টর জমিতে আম চাষ হচ্ছে এবং এই পরিমাণ জমিতে উৎপাদিত আম হিসাব করলে উৎপাদনের পরিমাণও বেড়ে যাবে। সবকিছু মিলিয়ে যদি প্রকৃত তথ্যটা উপস্থাপন করা হয়, তাহলে আম উৎপাদনকারী দেশ হিসেবে বাংলাদেশের অবস্থান আরও ওপরে উঠে আসবে এবং সেটা পঞ্চম কিংবা ষষ্ঠ স্থানে পৌঁছে যাওয়ারও সম্ভাবনা রয়েছে। আর এই অবস্থান পরিবর্তনের ফলে বাংলাদেশের আমের প্রতি সবার উৎসাহ বেড়ে যাবে এবং আমদানিকারকদের দৃষ্টি পড়বে বাংলাদেশের দিকে। ফলে আম রপ্তানি বেড়ে যাবে, চাষিরা আর্থিকভাবে লাভবান হবেন এবং দেশও বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে সক্ষম হবে।
গাছ থেকে আম সংগ্রহ করা নিয়েও কিছুটা মতভেদ রয়েছে। আঞ্চলিক উদ্যানতত্ত্ব ও গবেষণাকেন্দ্রের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ফাহিম রেজা বলেন, পাকা আম সংগ্রহের ব্যাপারে কখনোই নির্দিষ্ট সময়সীমা বেঁধে দেওয়া ঠিক নয়। প্রাকৃতিকভাবে পাকার পরেই আম সংগ্রহ করা উচিত। কারণ, তাপমাত্রা, পরিবেশ, আমের জাত ও অবস্থানগত কারণে বিভিন্ন জেলায় বিভিন্ন সময় বিভিন্ন জাতের আম পাকে। তাই বিভিন্ন স্থানে এসব আম সংগ্রহ করার সময়েরও তারতম্য ঘটে।
তবে আম সংগ্রহের মৌসুমে আমে বিভিন্ন ধরনের রাসায়নিক প্রয়োগ ঠেকাতে আম সংরক্ষণাগার বা বিভিন্ন আড়তে প্রশাসনিক নজরদারি বাড়ানোর পাশাপাশি মিডিয়াতে আমের বিষয়ে সতর্ক মন্তব্য ও সঠিক তথ্য প্রচার করা উচিত বলে মনে করেন কৃষিবিজ্ঞানীরা। নইলে আমচাষি ও আম ব্যবসায়ীরা তথ্য বিভ্রান্তির শিকার হন। কারণ, গণমাধ্যমে প্রচারিত তথ্যকে কৃষক ও সাধারণ মানুষ বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে থাকেন। মনে রাখতে হবে আম আমাদের অত্যন্ত প্রিয় একটি ফল এবং এটি একটি অর্থকরী ও লাভজনক ফসল। আমবাগান অনেকটা স্থাবর সম্পত্তির মতো, কারণ প্রতিবছরই আমবাগান থেকে আয় আসতে থাকে। কাজেই আমগাছের বৃদ্ধি ও নিরাপদ আম উৎপাদনের জন্য সবারই সচেষ্ট হওয়া প্রয়োজন। কারণ, আমের মৌসুমে সবাই চায় ভেজালমুক্ত আম পেতে ও খেতে।
পরিশেষে দুটি আম–বিষয়ক পরামর্শ। চাঁপাইনবাবগঞ্জের আম গবেষকেরা আমপ্রিয় মানুষের জন্য দুটি পরামর্শ দিয়েছেন—
একটি হলো, আম কেনার সময় অবশ্যই আঘাতপ্রাপ্ত, বেশি নরম ও দাগযুক্ত আম না কেনা। আরেকটি হলো, বেশি পরিমাণে আম কেনার ক্ষেত্রে অবশ্যই একটি আম খেয়ে তারপর কেনা। এই দুটি পরামর্শ মেনে চললে খারাপ আম পাওয়ার ও খাওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে।

হানিফ সংকেত: গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব, পরিবেশ ও সমাজ উন্নয়নকর্মী।

359
কিছু মানুষ সারা বছর অ্যালার্জি সমস্যায় ভুগে থাকেন। ধুলোবালি, খাবার, পোকা মাকড়, পোষা প্রাণী এমনকি কিছু ওষুধের কারণেও বিভিন্ন  অ্যালার্জি সমস্যা হতে পারে। অধিকাংশ সময় এই ধরণের অ্যালার্জি কিছুদিন পর নিজে থেকে ভাল হয়ে যায়। আবার অনেক সময় এই সাধারণ রোগটিও ভয়ংকর আকার ধারণ করতে পারে। ঘরোয়া কিছু উপায়ে অ্যালার্জি থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। সহজলভ্য এই উপাদানগুলো আপনার অ্যালার্জি দূর করে দেবে খুব সহজে।

১। আপেল সিডার ভিনেগার
এক গ্লাস পানিতে এক চা চামচ আপেল সিডার ভিনেগার মিশিয়ে নিন। এটি দিনে তিনবার পান করুন। এই পানীয়টি অ্যালার্জি অ্যাটাক হওয়া রোধ করবে। এর প্রাকৃতিক হিলিং উপাদানসমূহ অ্যালার্জি দূর করে দেয়।

২। পেঁয়াজ পানি
একটি লাল পেঁয়াজ, চার কাপ পানি এবং মধু। পাতলা করে কাটা পেঁয়াজের টুকরো পানিতে ৮ থেকে ১২ ঘন্টা ভিজিয়ে রাখুন। এটি দিনে দুইবার পান করুন। স্বাদ বৃদ্ধির জন্য এতে মধু মিশিয়ে নিতে পারেন। আপনি এটি ফ্রিজে ৪ দিন পর্যন্ত সংরক্ষণ করতে পারেন। পেঁয়াজে কোয়ারসিটেন নামক উপাদান রয়েছে যা অ্যালার্জি লক্ষণ দূর করে দেয়।

৩। মধু
মধু অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি ফাঙ্গাল উপাদানের জন্য সুপরিচিত। এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে অ্যালার্জি জীবাণু বিরুদ্ধে লড়াই করে থাকে।

৪। গ্রীণ টি
ফুড অ্যালার্জি দূর করতে গ্রীণ টি বেশ কার্যকর। এর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টিইনফ্লামেনটরি উপাদান হজমশক্তি বৃদ্ধি করে। এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।

৫। নেটল(বিছুটি) পেপারমেন্ট টি
এক চা চামচ ড্রাই পিপারমিন্ট অথবা ১/৪ কাপ ফ্রেশ পিপারমিন্ট, এক চা চামচ ড্রাই  নেটল পাতা গুঁড়ো অথবা ১/৪ কাপ বিছুটি পাতা কুচি, মধু অথবা লেবুর রস (ইচ্ছা) এবং পানি। একটি পাত্রে নেটল এবং পেপারমেন্ট মিশিয়ে জ্বাল দিন। ১০-১৫ মিনিট জ্বালা দেওয়ার পর এরসাথে মধু মেশান। এটি দিনে দুইবার পান করুন।

লিখেছেন- নিগার আলম

360
আমরা কোলাহলপূর্ণ ও বিক্ষিপ্ত পৃথিবীতে বাস করি যেখানে নীরবতা ক্রমশই কঠিন হয়ে পড়ছে। যা আমাদের শরীরের উপর ও নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। ২০১১ সালে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা শব্দ দূষণকে “আধুনিক প্লেগ” নামে অবিহিত করেছে এবং বলা হয়েছে যে, “পরিবেশগত কোলাহল জনগণের স্বাস্থ্যের উপর বিরুপ প্রভাব ফেলছে যার অকাট্য প্রমাণ আছে”।     

আমরা কান দিয়ে ক্রমাগত বিভিন্ন ধরণের শব্দ শুনছি যেমন- গান শোনা, টিভি দেখা ও খবর শোনা এবং আমরা নিজেরাই বিভিন্ন ধরণের শব্দ তৈরি করছি অনবরত। একটু চিন্তা করে দেখুনতো দিনের কতটুকু সময় আপনি নীরব থাকেন? এর উত্তর সম্ভবত খুব সময় হবে। আমাদের আভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক পরিবেশ ক্রমশই কোলাহলপূর্ণ হয়ে উঠছে। নীরবতা আপনার মস্তিষ্কের জন্য কতটা উপকারি তা জেনে নিই চলুন।

১। স্ট্রেস ও টেনশন মুক্ত হতে সাহায্য করে
উনবিংশ শতাব্দীতে ব্রিটিশ নার্স ও সমাজ কর্মী ফ্লোরেন্স নাইটিংগেল একবার লিখেছিলেন যে, “অপ্রয়োজনীয় শব্দ যত্নের নিষ্ঠুর অনুপস্থিতি, যা সুস্থ বা অসুস্থ উভয়ের জন্যই নির্যাতনের সমান”। নাইটিংগেল বলেন, অপ্রয়োজনীয় শব্দের ফলে রোগীর নিরাময় দেরিতে হয়, ঘুম কমে যায় ও যন্ত্রণা বৃদ্ধি পায়। শব্দ দূষণের ফলে উচ্চ রক্তচাপ ও হার্ট অ্যাটাক হতে পারে। কানের পাশাপাশি সার্বিক স্বাস্থ্যেরও ক্ষতিসাধন করে করে মাত্রাতিরিক্ত শব্দ। গবেষণা ফলাফলে দেখা যায় যে, উচ্চমাত্রার শব্দ মস্তিষ্কের এমিগডালা অংশকে সক্রিয় করে তোলে ফলে স্ট্রেস হরমোন কর্টিসোল নিঃসৃত হয় এবং স্ট্রেস বৃদ্ধি পায়। গবেষণায় আর দেখা গেছে যে নীরবতা ঠিক এর বিপরীত কাজটাই করে থাকে। অর্থাৎ নীরবতা শরীর ও মস্তিস্ক থেকে টেনশন দূর করে। ২০০৬ সালে হার্ট নামক জার্নালে প্রকাশিত প্রতিবেদন মোতাবেক জানা যায় যে, রক্তচাপ ও মস্তিস্কের রক্ত সংবহনের উপর ভিত্তি করে বলা যায় যে ২ মিনিটের নীরবতা গান শুনার চেয়েও বেশি রিলাক্সিং হতে পারে।

২। নীরবতা মানসিক সম্পদকে পরিপূর্ণ করে
প্রাত্যহিক জীবনের প্রতিটা কোণ থেকেই আমাদের ইন্দ্রিয়ের উপর চাপ আসছে। আমরা  যখন এই ধ্বনিতরঙ্গের বিঘ্ন থেকে দূরে যেতে পারি তখনই আমাদের মস্তিস্কের মনোযোগ কেন্দ্র নিজেকে পুনরুদ্ধারের সুযোগ পায়। আধুনিক জীবনের বিরামহীন দাবী (চিন্তা, সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও সমস্যা সমাধান) আমাদের মস্তিস্কের প্রি-ফ্রন্টাল কর্টেক্সের  উপর বাঁধা সৃষ্টি করে। এর ফলে মনোযোগ হ্রাস পেতে থাকে। তাই আমরা বিভ্রান্ত ও মানসিকভাবে পরিশ্রান্ত হয়ে পরি। তাই আমাদের মনোযোগ কেন্দ্রীভূত করা, সমস্যার সমাধান করা ও নতুন ধারণা সৃষ্টিতে সংগ্রাম করতে হয়। মনোযোগ পুনরুদ্ধার মতবাদ অনুযায়ী, অনুকূল পরিবেশে মস্তিস্ক তার সসীম জ্ঞান পুনরুদ্ধার করে নিতে পারে। উদাহরণস্বরূপ বলা যা নীরবতার কথা। আপনি যদি একা একা কিছুক্ষণ হাঁটেন তাহলে শান্ত স্তব্ধতা খুঁজে পাবেন।

৩। নীরবতা মস্তিস্কের ডিফল্ট মোড নেটওয়ার্ককে নাড়া দেয়
মস্তিস্কের ডিফল্ট মোড নেটওয়ার্ক কাজ করে তখনই যখন “স্ব-উৎপন্ন চেতনা” যেমন- দিবাস্বপ্ন দেখা, ধ্যান করা ও ভবিষ্যৎ নিয়ে কল্পনা করা ইত্যাদির সাথে যুক্ত হয়। যখন মস্তিষ্ক অলস থাকে তখন চিন্তা, আবেগ, স্মৃতি ও ধারণা মনকে নাড়া দেয়। এই ধরণের নেটওয়ার্কের সাথে যুক্ত হওয়ার ফলে অভিজ্ঞতার অর্থ বুঝতে পারা, অন্যদের সাথে নিজের মতামত শেয়ার করতে পারা, সৃজনশীল হওয়া এবং মানসিক ও আবেগের প্রতিফলন হয়। ডিফল্ট মোড আমাদেরকে গভীরভাবে ও সৃজনশীলভাবে ভাবতে সাহায্য করে। হারমান মেনভিল লিখেছিলেন, “সকল অন্তর্নিহিত ও আবেগপূর্ব সিদ্ধান্ত নীরবতার অংশগ্রহণে হয়ে থাকে”।

৪। নীরবতা মস্তিস্কের কোষকে পুনর্জীবিত করে
মস্তিস্কের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে নীরবতা। ২০১৩ সালের ব্রেইন জার্নালে প্রকাশিত   ইঁদুরের উপর করা এই গবেষণা প্রতিবেদনে জানা যায় যে, দৈনিক ২ ঘন্টার নীরবতায় মস্তিস্কের হিপ্পোক্যাম্পাসে নতুন কোষ উৎপন্ন হয়। মস্তিস্কের এই অঞ্চলটি শিক্ষা, স্মৃতি ও আবেগের সাথে সংযুক্ত। নীরবতা বিষণ্ণতা ও আলঝেইমার্স এর ঔষধ হিসেবে কাজ করে।

লিখেছেন- সাবেরা খাতুন

Pages: 1 ... 22 23 [24] 25