Show Posts

This section allows you to view all posts made by this member. Note that you can only see posts made in areas you currently have access to.


Messages - frahmanshetu

Pages: [1] 2
1
শরীরে ভিটামিন ডির ঘাটতি বুঝবেন কীভাবে? 



শরীরের জন্য ভিটামিন ‘ডি’ খুবই জরুরি একটি উপাদান। এর ঘাটতি হলে বিভিন্ন ধরনের স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি হয়।

ভিটামিন ‘ডি’ চর্বিতে দ্রবণীয় একটি ভিটামিন, যা ক্যালসিয়াম ও ফসফরাসের শোষণে সহায়তা করে থাকে। ভিটামিন ‘ডি’ রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা সতেজ ও স্বাভাবিক রাখে।

শরীরে ভিটামিন ডির ঘাটতি বোঝার লক্ষণ ও ঘাটতি পূরণে করণীয় নিয়ে বিস্তারিত জানিয়েছেন ডা. মো. ফারুক হোসেন।

ভিটামিন ‘ডি’ দুই ধরনের হয়ে থাকে। একটি হলো ভিটামিন ‘ডি’২ বা এরগোক্যালসিফেরল, যা খাদ্য থেকে পাওয়া যায়; আর অন্যটি হলো ভিটামিন ‘ডি’৩ বা কোলিক্যালসিফেরল, যা শরীরে উৎপন্ন হয় সূর্যের আলো বিকিরণের মাধ্যমে।

ভিটামিন ‘ডি’ রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা ছাড়াও মাংসপেশির কার্যকারিতায় সহায়তা করে, হৃৎপিণ্ড সুস্থ রাখে আর মস্তিষ্কের গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
ভিটামিন ‘ডি’ মাল্টিপল স্কেলেরোসিস এবং ডিপ্রেসন বা হতাশার ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। আমাদের শরীরে ভিটামিন ‘ডি’ প্রয়োজন খাদ্য থেকে পাওয়া ক্যালসিয়াম ও ফসফরাসের শোষণের জন্য।

ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস মজবুত হাড়ের জন্য প্রয়োজন। ভিটামিন ‘ডি’র অভাবে হাড় ক্ষয়, হাড়ের ঘনত্ব কমে যাওয়া এবং সর্বোপরি হাড় ভেঙে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। ভিটামিন ‘ডি’র অভাবে শিশুদের রিকেটস্ এবং বড়দের ক্ষেত্রে অস্টিওম্যালেসিয়া হতে পারে।

ভিটামিন ‘ডি’র পরিমাণ স্বাভাবিক থাকলে মাল্টিপল স্কেলেরোসিস হওয়ার ঝুঁকি কমে যায়। বিভিন্ন সমীক্ষায় দেখা যায় ভিটামিন ‘ডি’র অভাবে টাইপ-২ ডায়াবেটিস হতে পারে।

এ ড়া ভিটামিন ‘ডি’র পরিমাণ কম হলে মোটা হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়। ভিটামিন ‘ডি’র পরিমাণ কম হওয়ার সঙ্গে ডিপ্রেসন বা হতাশার যোগসূত্র থাকতে পারে।

তাই এন্টিডিপ্রেসিভ ওষুধের সঙ্গে ভিটামিন ‘ডি’ প্রয়োগ করলে ডিপ্রেসনের লক্ষণগুলো কমে যায়।

গবেষণায় দেখা যায়,ভিটামিন ‘ডি’ ক্যান্সার প্রতিরোধ করে বা ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়। ভিটামিন ‘ডি’ পর্যাপ্ত পরিমাণে না থাকলে দন্তক্ষয় ও পেরিওডন্টাল রোগ দেখা দিতে পারে।

ভিটামিন ‘ডি’ পাওয়া যায় চর্বিযুক্ত মাছে। যেমন— সালমন মাছ, গরুর কলিজা, ডিমের কুসুম, দুধ ইত্যাদি খাবারে।

Source : shorturl.at/kTWX4

2
মঙ্গলগ্রহে ৪৬ ফুট উঁচুতে উড়ে রেকর্ড
একের পর এক চমক দিয়ে যাচ্ছে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার হেলিকপ্টার ইনজেনুইটি। লাল গ্রহের মাটিতে দেড় বছর পার করার পর এবার ৪৬ ফুট উঁচুতে ওঠার নতুন রেকর্ড গড়েছে ১ কেজি ৮০০ গ্রাম ওজনের এই হেলিকপ্টারটি। নাসার এই নভোযানটি ৩ ডিসেম্বর ৩৫তম বারের মতো মঙ্গলের আকাশে উড়েছে।

সে সময় ৫২ সেকেন্ড শূন্যে ভেসে ছিল এবং ৫০ মিটার দূরত্ব অতিক্রম করেছে কপ্টারটি। প্রায় এক মাসের মহাকাশযাত্রা শেষে রোববার বাংলাদেশ সময় রাত ১১টার পর ক্যালিফোর্নিয়া উপকূলের সমুদ্রপৃষ্ঠে নেমে আসার কথা আর্টেমিস ওয়ান মিশনের স্পেসক্র্যাফট ওরিয়ন। এর ঠিক আগেই নতুন এই রেকর্ডের খবর দিলো বার্তা সংস্থা রয়টার্স। খবরে বলা হয়, এর আগে ২২ নভেম্বর হেলিকপ্টারটি সর্বোচ্চ ১৮ সেকেন্ড পর্যন্ত আকাশে উড়েছিল।

গবেষকরা এরপর থেকে হেলিকপ্টারটির আয়ুষ্কাল আরও বৃদ্ধি করতে এর সফটওয়্যার হালনাগাদ করেন। এরপর তারা পরীক্ষামূলকভাবে হেলিকপ্টারটি দীর্ঘ সময় ওড়ান। এর পর গত ২ ও ৬ ডিসেম্বর মঙ্গলগ্রহের বালিয়াড়ির দুটি নমুনা সংগ্রহ করেছে এ রোবট। চলতি মাসের শেষ দিকে একটি স্থানে এসব নমুনা রেখে দেবে রোবটটি। আর ২০৩০ সালের দিকে ভবিষ্যতের মঙ্গল মিশনে এসব নমুনা পৃথিবীতে আনার পরিকল্পনা রয়েছে বিজ্ঞানীদের। বিজ্ঞানীরা বলছেন, হেলিকপ্টারটির সফটওয়্যার হালনাগাদ করার ফলে এখন মঙ্গলের পাথুরে পৃষ্ঠের ওপর নামার সময় সংঘর্ষ এড়াতে পারবে।

Source :shorturl.at/efJKL

3
প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে মাত্র ১০ মিনিটে দিয়াবাড়ি থেকে আগারগাঁওয়ে মেট্রোরেল


রাজধানীর দিয়াবাড়ি (উত্তরা) থেকে মেট্রোরেল আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রী নিয়ে আগারগাঁও স্টেশনে পৌঁছাল। মেট্রোরেলের প্রথম এই যাত্রার যাত্রী হিসেবে ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, মন্ত্রিসভার সদস্য ও আমন্ত্রিত অতিথিরা।

আজ বুধবার বেলা ২টায় দিয়াবাড়ি স্টেশন থেকে মেট্রোরেল আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা করে। মাত্র ১০ মিনিট ১০ সেকেন্ডে আগারগাঁও স্টেশনে পৌঁছায় মেট্রোরেল। সেখানে পৌঁছানোর পর মেট্রোরেল থেকে হাসিমুখে নেমে আসেন প্রধানমন্ত্রী ও অন্য যাত্রীরা।

দুপুর ১টা ৪০ মিনিটের দিকে প্রধানমন্ত্রী দিয়াবাড়ি স্টেশনে সবুজ পতাকা নাড়িয়ে বাংলাদেশের প্রথম মেট্রোরেল চলাচলের আনুষ্ঠানিক যাত্রার সূচনা করেন। তার আগে তিনি মেট্রোরেলের টিকিট (কার্ড) কেনেন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন ছোট বোন শেখ রেহানা। তিনিও টিকিট কেনেন।





মেট্রোরেলকে বাংলাদেশের উন্নয়ন, অগ্রযাত্রার আরেকটি পালক হিসেবে অভিহিত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, ‘আজকে আমরা বাংলাদেশের অহংকারের আরেকটি পালক সংযোজন করতে পারলাম।’

মেট্রোরেল উদ্বোধন উপলক্ষে আজ দুপুরে দিয়াবাড়িতে আয়োজিত সুধী সমাবেশে দেওয়া ভাষণে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। মেট্রোরেল প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের উন্নয়ন, অগ্রযাত্রায় আমরা আরেকটি পালক দিতে পারলাম, এটাই বড় কথা।’

সরকারপ্রধান বলেন, অনেক টাকা খরচ করে মেট্রোরেল করা হয়েছে। এই মেট্রোরেল সংরক্ষণ করা সবার দায়িত্ব। যাতে মেট্রোরেলের কোনো কিছু নষ্ট না হয়, সে জন্য তিনি সবাইকে তা ব্যবহারে যত্নশীল হতে আহ্বান জানিয়েছেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সবাইকে মেট্রোরেল নিয়মতান্ত্রিকভাবে ব্যবহারের জন্য তিনি অনুরোধ জানাচ্ছেন।

আজ বেলা ১১টার দিকে প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধনী ফলকের প্রতিরূপ (রেপ্লিকা) জনসম্মুখে উন্মোচন করেন। প্রতিরূপ উন্মোচনের পর মোনাজাত করা হয়।

সাধারণ যাত্রীরা মেট্রোরেলে চড়তে পারবেন আগামীকাল বৃহস্পতিবার সকাল আটটা থেকে।


ঢাকায় মেট্রোরেল নির্মাণ ও পরিচালনার দায়িত্বে থাকা ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আজ উদ্বোধনের পর মেট্রোরেল চলাচল করবে সীমিতভাবে। আগামী ২৬ মার্চ থেকে উত্তরা-আগারগাঁও পথে পুরোদমে যাত্রী নিয়ে চলাচল করবে মেট্রোরেল। উত্তরা–আগারগাঁও পথের জন্য ৬ কোচবিশিষ্ট ১০টি ট্রেন প্রস্তুত করা হয়েছে।

প্রাথমিক পরিকল্পনা হলো, প্রথম তিন মাস মেট্রোরেল মাঝের কোনো স্টেশনে থামবে না। ১০ মিনিট পরপর ট্রেন যাত্রা শুরু করবে। দিনে চলবে ৪ ঘণ্টা—সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত। প্রতিটি ট্রেন সর্বোচ্চ ২০০ যাত্রী নিয়ে চলাচল করবে। সপ্তাহে এক দিন মঙ্গলবার ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকবে। অবশ্য টিকিট কাটা, ওঠানামা ও চলাচলে মানুষের অভ্যস্ততা তৈরি হলে ঘন ঘন ট্রেন চলবে, সব স্টেশনে থামবে এবং যাত্রীও বেশি নেওয়া হবে।


ডিএমটিসিএল কর্মকর্তারা বলছেন, অভ্যস্ততা তৈরির পর নির্ধারিত সময় কমিয়ে আনা হতে পারে। মেট্রোরেলের মূল পরিকল্পনায় প্রতি সাড়ে তিন মিনিট অন্তর ট্রেন চলার কথা। মাঝের স্টেশনে যাত্রাবিরতির সময় হবে ৩০ সেকেন্ড।

ভিড় বেশি হলে একটি ট্রেন কত যাত্রী নিতে পারবে, তার একটি হিসাবও আছে। ডিএমটিসিএল বলছে, একেকটি ট্রেনে সর্বোচ্চ ২ হাজার ৩০৮ জন যাত্রী চলাচল করতে পারবেন। বসার ব্যবস্থা রয়েছে ৩০৬ জনের। ট্রেনের সাড়ে ৯ ফুট চওড়া কোচের দুই পাশে আসন থাকবে। মাঝে প্রশস্ত জায়গায় যাত্রীরা দাঁড়িয়ে ভ্রমণ করতে পারবেন।

Source :shorturl.at/rsyBY

4
মেঘনায় জাহাজডুবির তেল চলে যাচ্ছে সাগরে, জীববৈচিত্র্যের ক্ষতির শঙ্কা

https://images.prothomalo.com/prothomalo-bangla%2F2022-12%2F848401e8-d6f9-485b-b07d-1412ffc97680%2FBhola_DH0592_20221226_20221226_101631.jpg?rect=0%2C0%2C3379%2C1901&auto=format%2Ccompress&fmt=webp&format=webp&w=900&dpr=1.0

ভোলা সদর উপজেলার মেঘনা নদীতে ডুবে যাওয়া তেলবাহী ট্যাংকারের তেল নদীতে ছড়িয়ে পড়ছে। ভাটার টানে তেল সাগরের দিকে চলে গেছে। এ কারণে জলজ প্রাণী ও শ্বাসমূলীয় বনের উদ্ভিদ চরম ক্ষতির মধ্যে পড়বে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন পরিবেশবিদেরা।

তবে দক্ষিণাঞ্চলীয় কোস্টগার্ড বলছে, আংশিক ভেসে থাকা তেলবাহী ট্যাংকার সাগর নন্দিনী-২ থেকে তেল বের হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নিষ্কাশনযন্ত্র দিয়ে তা তুলে নেওয়া হচ্ছে। আজ সোমবার সকালে স্থানীয় জেলেরাও তেল তুলেছেন। নইলে তেলে নদী সয়লাব হয়ে যেত।

আজ সকালে মেঘনা নদীতে জাহাজ ডুবে যাওয়ায় ওই এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, নদীতে তেল ভাসছে। জ্বালানি তেলের দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়েছে। ভোলা সদর ও দৌলতখানের শত শত জেলে নদীতে কাপড় ভিজিয়ে ভাসমান তেল উদ্ধার করছেন।

সাগর নন্দিনী-২ ট্যাংকারের মাস্টার মাকসুদুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, গত শনিবার রাতে তেলবাহী এই জাহাজ চট্টগ্রাম থেকে চাঁদপুরের উদ্দেশে ছেড়ে আসে। গতকাল রোববার ভোরে ভোলা সদর উপজেলার ধনিয়া ইউনিয়নের তুলাতুলিসংলগ্ন মেঘনা নদীতে ঘন কুয়াশার কারণে তাঁদের ট্যাংকারটি অন্য একটি জাহাজের সঙ্গে ধাক্কা খায়। তখন জাহাজটির তলা ফেটে ডুবতে শুরু করে। জাহাজে ১১ লাখ লিটার ডিজেল ছিল। পরে স্থানীয় জেলে ও বালুবাহী জাহাজের মাধ্যমে ডুবে যাওয়া জাহাজ থেকে তাঁরা ১২ জন জীবিত উদ্ধার হন। মাস্টার আরও বলেন, কোস্টগার্ড কয়েকটি নিষ্কাশনযন্ত্র দিয়ে প্রায় এক হাজার লিটার তেল উদ্ধার করেছে। বাকি ডিজেল ভেসে গেছে। আজ সকাল ১০টার দিকেও জাহাজ থেকে অকটেন বের হচ্ছিল।

আরও পড়ুন
ভোলায় আরেক জাহাজের ধাক্কায় ‘১১ লাখ লিটার তেল’ নিয়ে ডুবল জাহাজ
ভোলার মেঘনা নদীতে তেলবাহী জাহাজ ডুবির ঘটনায় জাহাজটিতে থাকা কর্মীদের উদ্ধার করেন স্থানীয় জেলেরা





দৌলতখান উপজেলার মদনপুর ইউনিয়নের কৃষক মোহাম্মদ হাসান কেরানি বলেন, ‘নদীর পানি গ্যাস হইয়া গেছে। চোখ–মুখ জ্বলে। পানিত ত্যাল ভাসতেছে। জাইল্যারা চাদর, কাপুড় চুবাইয়া চুবাইয়া ত্যাল সংগ্রহ করতেছে।’

রাজাপুরের পল্লিচিকিৎসক আমির হোসেন হাওলাদার বলেন, তাঁদের এলাকার জেলেরা মেঘনা নদী থেকে চাদর ভিজিয়ে তেল সংগ্রহ করছেন। গতকাল ভাটার সময় রাজাপুরের জোরখালের পানিতে তেল ভাসতে দেখা গেছে। কিন্তু জোয়ারের সময় তা আবার অনেকটা কমে গেছে। এখনো নদীর পানিতে তেলের গন্ধ আছে।

রোববার ভোরে ভোলা সদর উপজেলার ধনিয়া ইউনিয়নের তুলাতুলিসংলগ্ন মেঘনা নদীতে ঘন কুয়াশার কারণে তেলবাহী ট্যাংকারটি অন্য একটি জাহাজের সঙ্গে ধাক্কা খায়। তখন জাহাজটির তলা ফেটে ডুবতে শুরু করে
রোববার ভোরে ভোলা সদর উপজেলার ধনিয়া ইউনিয়নের তুলাতুলিসংলগ্ন মেঘনা নদীতে ঘন কুয়াশার কারণে তেলবাহী ট্যাংকারটি অন্য একটি জাহাজের সঙ্গে ধাক্কা খায়। তখন জাহাজটির তলা ফেটে ডুবতে শুরু করেছবি: প্রথম আলো
ডুবে যাওয়া ট্যাংকারের জ্বালানি তেল ভেসে যাওয়ায় মেঘনা নদীর বিপুল পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে বলে মন্তব্য করেন ভোলা সরকারি কলেজের ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মাহবুব আলম। তিনি বলেন, এতে পানি দূষিত হবে। পানির ওপরে একধরনের বিষাক্ত স্তর তৈরি হওয়ার কারণে অক্সিজেন–সংকট দেখা দেবে। এতে জলজ প্রাণী মারা পড়বে। প্রাণীদের শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যা হবে। দূষিত পানি পান করলে একদিকে প্রাণীরা মারা পড়বে, অন্যদিকে উদ্ভিদও সংকটে পড়বে।


ভোলা পরিবেশ অধিদপ্তরের উপপরিচালক তোতা মিয়া প্রথম আলোকে বলেন, নদীতে তেল ছড়িয়ে পড়ায় পরিবেশের অনেক বড় ক্ষতি হয়েছে। নদীর পানিতে থাকা ক্ষুদ্র জলজ কণাগুলো ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। এতে খাদ্যশৃঙ্খল নষ্ট হওয়ায় জলজ প্রাণীরা খাদ্যসংকটে পড়বে। মাছের ডিম, পোনা, জলজ প্রাণীর লার্ভা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এ থেকে মুক্তির উপায়, যত দ্রুত সম্ভব, তেল তুলে ফেলা। না হলে এটা পরিবেশের সঙ্গে মিশে গিয়ে খারাপ প্রভাব সৃষ্টি করবে।

জাহাজ থেকে তেল বের হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই নিষ্কাশনযন্ত্র দিয়ে তা উদ্ধার করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন কোস্টগার্ডের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কে এম শাফিউল কিঞ্জল। তিনি বলেন, এই উদ্ধারকাজ গতকাল সকাল থেকে আজ পর্যন্ত চলমান আছে। ডুবে যাওয়া জাহাজটি বিআইডব্লিউটিএ উদ্ধার করবে বলে জানান তিনি।

কিন্তু জাহাজটি উদ্ধারে নিজেদের সক্ষমতা নেই বলে জানিয়েছেন ঢাকা থেকে আসা বিআইডব্লিউটিএর যুগ্ম পরিচালক (উদ্ধার) মো. আবদুস সালাম। তিনি বলেন, তাঁদের উদ্ধারের সক্ষমতা আছে ২৫০ মেট্রিক টন ওজনের জাহাজ। কিন্তু এটির ওজন ৩২০ মেট্রিক টন। তা ছাড়া জাহাজের মধ্যে যে পরিমাণ তেল ও পানি আছে, তা হাজার ছাড়িয়ে যাবে। সে জন্য মালিকপক্ষ বেসরকারিভাবে জাহাজটি উদ্ধারের চেষ্টা করছে।

Source : shorturl.at/ghqU9


5
রসায়নের জনক জাবির ইবনে হাইয়ান
[/b]

বিজ্ঞানের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ রসায়নের জনক একজন মুসলিম বিজ্ঞানী। আর তিনি হলেন জাবির ইবনে হাইয়ান। যার সম্পর্কে আমরা অনেকেই অজ্ঞ। ইউরোপীয়রা তার প্রকৃত নামকে বিকৃত করে জিবার নামে লিপিবদ্ধ করেছে। ফলে আমরা পাশ্চাত্যের জিবারকে চিনি, কিন্তু মুসলিম জাবির ইবনে হাইয়ানকে চিনি না।



তার পূর্ণ নাম আবু আবদুল্লাহ জাবির ইবনে হাইয়ান। তিনি আবু মুসা জাবির ইবনে হাইয়ান নামেও সুপরিচিত। জাবির ইবনে হাইয়ানের পূর্বপুরুষরা আরবের দক্ষিণ অংশে বসবাস করতেন। জাবির ইবনে হাইয়ানের বাবা ছিলেন একজন খ্যাতনামা চিকিৎসক। উমাইয়া শাসকদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থাকার অপরাধে তার মৃত্যুদণ্ড হয়। জাবির ইবনে হাইয়ান ৭২২ সালে তুস নগরে জন্মগ্রহণ করেন।


ছোটবেলা থেকেই তিনি ছিলেন জ্ঞানপিপাসু। খুব অল্প সময়ে তিনি গণিতের বিভিন্ন শাখায় বিশেষ পারদর্শী হয়ে ওঠেন। কর্মজীবনে জাবির ইবনে হাইয়ান বাবার মতোই চিকিৎসা পেশায় আত্মনিয়োগ করেন। তৎকালীন বিখ্যাত পণ্ডিত ইমাম জাফর সাদিকের অনুপ্রেরণায় তিনি রসায়ন ও চিকিৎসা বিজ্ঞানে গবেষণা শুরু করেন। খুব অল্প সময়ে তার সুখ্যাতি চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। তিনি বিভিন্ন বিষয়ে নতুন নতুন তথ্য ও বিভিন্ন পদার্থ আবিষ্কার করতে আরম্ভ করেন এবং খুব অল্প দিনের মধ্যেই শ্রেষ্ঠ রসায়ন বিজ্ঞানী হিসাবে পরিচিত হন।

জাবির ইবনে হাইয়ান চিকিৎসাশাস্ত্র, ইউক্লিড ও আল মাজেস্টের ভাষ্য, দর্শন, যুদ্ধবিদ্যা, রসায়ন, জ্যামিতি, জ্যোতির্বিজ্ঞান ও কাব্য সম্পর্কে বিভিন্ন গ্রন্থ প্রণয়ন করেন। ইবনে নাদিমের মতে জাবির ইবনে হাইয়ান দুই হাজারেরও বেশি গ্রন্থ রচনা করেন। অতিশয়োক্তি মনে হলেও এতে আশ্চর্যের কিছু নেই তার লিখিত গ্রন্থগুলোর অনেক গড় পৃষ্ঠা ৮-১০ এর মতো। আবার কোনোগুলোর আবার মাত্র দুটি।

বিভিন্ন বিষয়ে তার লিখিত গ্রন্থাবলির মধ্যে রসায়ন ২৬৭টি, দর্শন ৩০০টি, চিকিৎসা ৫০০টি, কিতাবুত তাকদির ৩০০টি, জ্যোতির্বিজ্ঞান ৩০০ পৃষ্ঠার ১টি। তার বিখ্যাত গ্রন্থগুলোর ভেতরে অন্যতম হচ্ছে : জীবাকুশ শরকি, কিতাবুল আরকানিল আরবা, কিতাবুল আহজার, কিতাবুল কালী, কিতাবুর রাহা, কিতাবুল ফিদ্দা, কিতাবুল মিহান, কিতাবুল রিয়াদ, কিতাবুল নুহাস, কিতাবুল ইহরাক, কিতাবুল বোরহানি ইত্যাদি।

জাবির ইবনে হাইয়ানের আলকেমি সংক্রান্ত গ্রিক ভাষায় কয়েকটি গ্রন্থের সন্ধান পাওয়া যায়। তবে সব গ্রন্থের আরবি পাণ্ডুলিপির কোনো সন্ধান মিলে না। ইংরেজিতে যে কটি গ্রন্থ ভাষান্তরিত হয় তা হলঃ the sum of perfection, the investigation of perfection, the invention verity, the testament,the book of veance etc. ইংরেজ বৈজ্ঞানিক হোলমায়ার্ডের মতে, প্রায় তিনশ বছর ধরে ইউরোপীয় আলকেমির চিন্তাধারা জাবির ইবনে হাইয়ান-এর উদ্ভাবিত পদ্ধতির ওপর ভিত্তি করেই সম্প্রসারিত হয়।

জাবির ইবনে হাইয়ান অনেক বড় মাপের একজন বিজ্ঞানী ছিলেন। তার জীবন ও কার্যক্রমের ওপর ইউরোপীয় বেশ কজন বিজ্ঞানী গবেষণা করেন। তাদের মধ্যে অন্যতম হলেন এইচ ই স্টাফলেটন, জে রুসকা, হোলমারড।

মূল কথা হলো, জাবির ইবনে হাইয়ান মুসলমানদের গর্ব। জাবির ইবনে হাইয়ানকে আধুনিক আলকেমির স্রষ্টা বলা হয়। তার নাম রসায়ন জগতে স্মরণীয় হয়ে রয়েছে। বিজ্ঞানের এমন কোনো শাখা নেই, যেখানে তার অবাধ বিচরণ ছিল না।

লেখক : শিক্ষার্থী ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া

Source : shorturl.at/oxJNX

6
Really we have to more conscious.

8
Great post.

9
শীতকাল হচ্ছে মুমিনের বসন্তকাল

শীতকালের জন্য রয়েছে বেশ কিছু আমল ও স্বতন্ত্র বিধিবিধান। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আর তিনি দিবারাত্রিকে পরস্পরের অনুগামী করেছেন, যে উপদেশ গ্রহণ করতে চায় অথবা কৃতজ্ঞ হতে চায় তার জন্য।’ (সুরা-২৫ ফুরকান, আয়াত: ৬২) ‘আল্লাহ দিন ও রাতের আবর্তন ঘটান, নিশ্চয়ই এতে জ্ঞানীদের জন্য শিক্ষা রয়েছে।’ (সুরা-২৪ নূর, আয়াত: ৪৪) হজরত ওমর (রা.) বলেন, ‘শীতকাল ইবাদতকারীদের জন্য গনিমতস্বরূপ।’

শীত তো এমন গনিমত (যুদ্ধলব্ধ সম্পদ), যা কোনো রক্তপাত কিংবা চেষ্টা ও কষ্ট ছাড়াই অর্জিত হয়। সবাই কোনো ক্ষয়ক্ষতি ছাড়াই এ গনিমত স্বতঃস্ফূর্তভাবে লাভ করে এবং কোনো প্রচেষ্টা বা পরিশ্রম ব্যতিরেকে তা উপভোগ করে।

শীতকাল নফল রোজা পালনের সুবর্ণকাল। কাজা রোজা থাকলে তা আদায় করার জন্যও শীতের দিন অতি উপযোগী। হজরত আবু সাঈদ খুদরি (রা.) থেকে বর্ণিত, মহানবী (সা.) বলেন, ‘শীতকাল হচ্ছে মুমিনের বসন্তকাল।’ (মুসনাদে আহমাদ)। ‘শীতের রাত দীর্ঘ হওয়ায় মুমিন রাত্রিকালীন নফল নামাজ আদায় করতে পারে এবং দিন ছোট হওয়ায় রোজা রাখতে পারে।’ (বায়হাকি)

শীতের তীব্রতা যদি সহ্যের বাইরে চলে যায়, পানি গরম করে ব্যবহার করার সুযোগ না থাকে এবং ঠান্ডা পানি ব্যবহারে শারীরিকভাবে ক্ষতি হওয়ার প্রবল আশঙ্কা থাকে, তাহলে অজু ও গোসলের পরিবর্তে তায়াম্মুম করতে পারেন




নবী করিম (সা.) বলেছেন, ‘শীতল গনিমত হচ্ছে শীতকালে রোজা রাখা।’ (তিরমিজি: ৭৯৫) কোরআনের ভাষায়, ‘তারা রাতের সামান্য অংশই এরা ঘুমিয়ে কাটায়, আর রাতের শেষ প্রহরে এরা ক্ষমা চাওয়ায় রত থাকে।’ (সুরা-৫১ জারিয়াত, আয়াত: ১৭-১৮)

শীতকালে সঠিকভাবে অজু করা, অজুর অঙ্গ ধোয়ার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকা বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ আমল। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘তিনটি আমল পাপ মোচন করে: সংকটকালীন দান, গ্রীষ্মের রোজা ও শীতের অজু।’ (আদ দোয়া লিত তাবরানী: ১৪১৪) রাসুলে আকরাম (সা.) আরও বলেছেন, ‘আমি কি তোমাদের জানাব না? কিসে তোমাদের পাপ মোচন করবে! এবং মর্যাদা বৃদ্ধি করবে!’ সাহাবায়ে কেরাম বললেন, অবশ্যই! হে আল্লাহর রাসুল (সা.)! তিনি বললেন, ‘শীতের কষ্ট সত্ত্বেও ঠিকভাবে অজু করা।’ (মুসলিম: ২৫১; কুরতুবি)

হজরত ওমর (রা.) তাঁর ছেলের উদ্দেশে বলেছেন, ‘শীতের দিনে ভালোভাবে অজু করা গুরুত্বপূর্ণ ও সওয়াবের কাজ।’ হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, নবীজি (সা.) বলেন, ‘আমি কি তোমাদের এমন কাজের কথা বলব না! যা দ্বারা গুনাহ মাফ হয় এবং মর্যাদা বৃদ্ধি হয়?’


সাহাবিরা বললেন, অবশ্যই হে আল্লাহর রাসুল! তিনি বললেন, ‘মন না চাইলেও অজু করা, অধিক পদক্ষেপে মসজিদে যাওয়া এবং এক নামাজের পর আরেক নামাজের জন্য অপেক্ষা করা।’ (মুসলিম)

অজু ও গোসলে গরম পানি ব্যবহার, শুকনো কাপড়ে মোছা ও তায়াম্মুমের বিধান: প্রচণ্ড শীতে কষ্ট হলে গরম পানি দিয়ে অজু করাতে কোনো বাধা নেই। অজুর পর অঙ্গপ্রত্যঙ্গ শুকনো কাপড় দিয়ে মুছে নিতে কোনো বাধা নেই। শীতের তীব্রতা যদি সহ্যের বাইরে চলে যায়, পানি গরম করে ব্যবহার করার সুযোগ না থাকে এবং ঠান্ডা পানি ব্যবহারে শারীরিকভাবে ক্ষতি হওয়ার প্রবল আশঙ্কা থাকে, তাহলে অজু ও গোসলের পরিবর্তে তায়াম্মুম করতে পারেন। (বায়হাকি, খণ্ড: ১, হাদিস: ২২৬, আল ফিকহুল ইসলামি, আল বাদায়েউস সানায়ে)

শীতকালে গরম পোশাক পরিধান করা সুন্নত। হজরত ওমর (রা.) তাঁর শাসনামলে গভর্নরের উদ্দেশে শীতের আগমনে লিখতেন, ‘শীত কিন্তু এসে গেল, এ তোমাদের দেহের শত্রু। অতএব এর প্রতিরোধে পশমি বস্ত্র, মোজা, হাতমোজা ইত্যাদির প্রস্তুতি নাও। আর পশম দিয়ে গায়ের চামড়ায় এবং শরীরের পোশাকে শীতের আক্রমণ ঠেকাও। কারণ, শীত খুব দ্রুত প্রবেশ করে, তবে সহজে বিদায়
নেয় না।’

অজুর ক্ষেত্রে পা না ধুয়ে মোজার ওপর মাসেহ করার বিধান রয়েছে। তবে এ ক্ষেত্রে অজু করে মোজা পরতে হয়। ‘মুসাফির’ (ভ্রমণরত) ব্যক্তি তিন দিন তিন রাত (৭২ ঘণ্টা) পর্যন্ত মাসেহ করে যেতে পারবেন এবং ‘মুকিম’ (সবাসে অবস্থানরত) ব্যক্তি এক দিন এক রাত (২৪ ঘণ্টা) মাসেহ করতে পারবেন।

এ সময়সীমার পর অজুর প্রয়োজন হলে মোজা খুলে পা ধুয়ে অজু করতে হবে। অনেক মুজতাহিদ ফকিহ শুধু চামড়ার মোজার ওপর মাসেহ করা অনুমোদন করেন। হজরত মুগিরা ইবনে শুবা (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুল (সা.) কাপড়ের মোজা (জাওরাবাইন) এবং জুতার ওপরও মাসেহ করেছেন। (তিরমিজি: ৯৯; আবু দাউদ: ১৫৯) এ হাদিসের ভিত্তিতে অন্যান্য মুজতাহিদ ফকিহ কাপড়ের মোজা ও পুরো পায়ের পাতা আবৃতকারী জুতার ওপর মাসেহ করা অনুমোদন করেন।

মুফতি মাওলানা শাঈখ মুহাম্মাদ উছমান গনী

যুগ্ম মহাসচিব, বাংলাদেশ জাতীয় ইমাম সমিতি; সহকারী অধ্যাপক, আহ্ছানিয়া ইনস্টিটিউট অব সুফিজম

smusmangonee@gmail.com

Source:shorturl.at/muzDO

10
অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম ৮১ ডলারে নেমে আবার বাড়ল


রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ যদি হয় তেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রভাবক, তাহলে বলা যায়, মন্দার আশঙ্কা তেলের দাম হ্রাসের প্রভাবক হিসেবে কাজ করছে।

বিশ্ববাজারে অপরিশোধিত জ্বালানির তেলের দর ব্যারেলপ্রতি ১০০ ডলারের নিচে নেমেছে আরও কয়েক মাস আগেই। চাহিদা কমে যাওয়ার কারণে ধীরে ধীরে কমে আসছিল জ্বালানি তেলের দাম। এর মধ্যে চীনে আবার বেড়েছে করোনার সংক্রমণ। আবারও তারা বিভিন্ন শহরে লকডাউন দিয়েছে। ফলে বিশ্বের বৃহত্তম তেল আমদানিকারক দেশের চাহিদা আরও কমে যাওয়ার আশঙ্কায় গতকাল সোমবার প্রায় ১১ মাসের মধ্যে ব্রেন্ট ক্রুড তেলের দাম সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমে আসে—৮১.৪৬ ডলার। আর যুক্তরাষ্ট্রের অপরিশোধিত তেল ডব্লিউটিআইয়ের দাম নেমে আসে ৭৪.৫১ ডলারে। খবর অয়েল প্রাইস ডটকমের।





তবে মঙ্গলবার বিকেলে এই প্রতিবেদন লেখার সময় ব্রেন্ট ক্রুডের দাম আবার বেড়ে দাঁড়ায় ৮৫ দশমিক ৬৯ ডলার, আর ডব্লিউটিআই ক্রুডের দাম দাঁড়ায় ৭৯ দশমিক ২৪ ডলার। এ সময় অন্যান্য জ্বালানির দরও ছিল বাড়তি।

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পরই বাড়তে শুরু করে অপরিশোধিত তেলের দাম। একটা সময় ব্রেন্ট ক্রুডের দর ব্যারেলপ্রতি ১৩৯ ডলারে উঠে যায়।

তেলের মূল্যবৃদ্ধির জেরে দেশে গত এক বছরে দুবার তেলের দাম বাড়ানো হয়েছে। এতে খাদ্যসহ সবকিছুর দামই বেড়েছে। চাপে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষ। সর্বশেষ আগস্টে জ্বালানি তেলের দাম একলাফে সর্বোচ্চ ৫৫ শতাংশ বৃদ্ধি করা হয়, যদিও তারপর আবার জ্বালানি তেলের দাম লিটারে পাঁচ টাকা কমানো হয়েছে।

বিশ্ববাজারে তেলের দাম কমতে শুরু করলে বাংলাদেশেও দাম সমন্বয় করা হবে বলে জানিয়েছিলেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। তাঁর বক্তব্য, ‘আমরা তেলের দাম বাড়াইনি, কেবল সমন্বয় করেছি।’ অর্থমন্ত্রীও একাধিকবার বলেছেন, বিশ্ববাজারে জ্বালানির দাম কমলে দেশেও কমবে। কিন্তু বিশ্ববাজারে জ্বালানির দর যুদ্ধের আগের পর্যায়ে ফেরত গেলেও দেশের বাজারে এখন পর্যন্ত দাম কমানোর উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না।


দাম আরও কমবে
বিশ্বের বৃহত্তম জ্বালানি তেল আমদানিকারক দেশ হচ্ছে চীন। তার পরেই আছে ভারত। ফলে জ্বালানি বাজারে এ দুটি দেশের বিপুল প্রভাব। চীনের জ্বালানি চাহিদা কমে গেলে বিশ্ববাজারে জ্বালানির চাহিদা কমে যায়। সম্প্রতি বিশ্ববাজারে জ্বালানির দাম হ্রাস পাওয়ার অন্যতম কারণ হচ্ছে চীনের লকডাউন। দেশটির বিভিন্ন স্থানে লকডাউন আরোপ করার কারণে দেশটির অর্থনৈতিক কার্যক্রম স্তিমিত হয়েছে।

সেই সঙ্গে আছে সরবরাহ–সংকট। ফলে বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম কিছুটা নিম্নমুখী। মার্কিন বিনিয়োগ ব্যাংক গোল্ডম্যান স্যাকস বলেছে, চীনের শূন্য কোভিড নীতির কারণে বিশ্ববাজারে তেলের চাহিদা হ্রাস পাবে। এ বাস্তবতায় তারা আগামী বছরের জন্য তেলের দামের পূর্বাভাস ব্যারেলপ্রতি ১০ ডলার হ্রাস করেছে।

Source : shorturl.at/DKMNW


12
Very informative ..

13
সূরা আর রহমান এর ফজিলত। সূরা ফালাক ও সূরা নাসের ফজিলত।
[/size]


সূরা আর রহমান এর ব্যাপারে আলী (রাঃ) বলেন আমি  রাসূল (সাঃ) কে বলতে শুনেছি  রসূল (সাঃ) বলেছেন প্রত্যেক জিনিসের নিজস্ব একটি সৌন্দর্য আছে  আর পবিত্র কোরআন শরীফের সৌন্দর্য হলো সূরা আর রহমান। [বাইহাকী শুআবুল ঈমান]

যে ব্যক্তি সূরা আর রহমান নিয়মিত তেলাওয়াত করবে তেলাওয়াতকারীর উপর আল্লাহ তাআলার রহমত বর্ষিত হয়।

তার জন্য দোজখের দরজা সমূহ বন্ধ করে দেওয়া হবে এবং জান্নাতের দরজা সমূহ কে খুলে দেওয়া হবে।

যে ব্যক্তি এই সূরাটি নিয়মিত তেলাওয়াত করবে কেয়ামতের দিন তার চেহারা পূর্ণিমার চাঁদের ন্যায় ঝলমল  করতে থাকবে। দুনিয়াতে তার রিজিক বৃদ্ধি করে দেওয়া হবে,  যে ব্যক্তি লাগাতার ৪০ দিন সূর্য উদিত হওয়ার সময় এই সূরাটি তেলাওয়াত করবে  এবং ‘ফাবি আইয়্যি আ-লা-ই রাব্বিকুমা তুকাজ্জিবান’ বলার সময় সূর্যের দিকে আঙ্গুল দিয়ে ইশারা করবে  দুনিয়ার মধ্যে সব কিছু তার অনুগত হবে। তার  স্ত্রী সন্তান তার বাধ্য হবে।

এই সূরাটি পাঠ করে চোখের মধ্যে ফু দিলে চোখের রোগ ভালো হয়ে যাবে।
এই সূরাটি স্বপ্নের মধ্যে পড়তে দেখলে হজ্জ্বে যাওয়া নসীব হবে।
এই সূরাটি নিয়মিত তেলাওয়াত করলে বসন্ত রোগ হতে মুক্তি পাবে।
‘ফাবি আইয়্যি আ-লা-ই রাব্বিকুমা তুকাজ্জিবান’ এই আয়াতটি তিনবার পাঠ করে কোন বিচার সালিশের মধ্যে গেলে বিচারকের মন পাঠকারীর উপর সদয় হবে।
যে ব্যক্তি সূরা আর-রহমান ১১ বার তিলাওয়াত করে আল্লাহর কাছে  প্রার্থনা করবে আল্লাহ তার দোয়া কবুল করবে তার মনের আশা পূরণ করবে।
এই সূরাটি নিয়মিত তেলাওয়াত করলে তেলাওয়াতকারীর সকল অভাব অনটন দূর হয়ে যাবে এবং  আর্থিক স্বচ্ছলতা বৃদ্ধি পাবে। ( নিয়ামুল কুরআন থেকে সংগৃহীত )
পবিত্র কোরআনের শেষ দুটি সূরার গুরুত্বপূর্ণ  ফজিলত।



পবিত্র কোরআনের ১১৪ টি সূরার মধ্যে  সর্বশেষ ২ টি সূরা একটির নাম  হলো সূরা ফালাক্ব আরেকটির নাম হলো সূরা নাস

দুনটি সূরা মদীনায় অবতীর্ণ হয়েছেন সূরা ফালাকের আয়াত সংখ্যা ৫ টি  রুকু সংখ্যা ১টি  আর সূরা নাসের আয়াত সংখ্যা ৬টি রুকু সংখ্যা ১ টি


এই গুরুত্বপূর্ণ দুটি সূরার মাধ্যমে কোরআন  শরিফ শেষ করা করেছেন। এই ২ টি সূরার মধ্যে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আল্লাহর কাছে  আশ্রয় প্রার্থনার করার  জন্য বলা হয়েছে।

হযরত উকবা  ইবনে আমের (রাঃ) হতে বর্ণিত তিনি বলেন রাসূল (সাঃ)  বলেছেন তোমরা কি জানো আজ রাতে আমার ওপর এমন কতগুলো আয়াত নাযিল হয়েছে  এই আয়াত গুলোর মত এমন কোন আয়াত দেখা ও যায়নি শোনা যায়নি আয়াত গুলো হলো ‘কুল আয়ুজু বি রাব্বিল ফালাক ও ‘কুল আয়ুজু বি রাব্বিন নাস। [-সহি মুসলিম হাদিস নং-৮১৪]

হযরত উকবা  ইবনে আমের (রাঃ) হতে বর্ণিত তিনি বলেন, আমি সফরে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর উটের পিছনে ছিলাম, তখন রাসূল সাল্লাল্লাহু সাল্লাম আমাকে বললেন হে উকবা আমি  তোমাকে দুটি উত্তম সূরা শিক্ষা দিব না,  ফলে তিনি আমাকে কুল আউযু বিরাব্বিন নাস ও কুল আউযুবি রাব্বিল ফালাক শিখিয়েছেন। আমি বলে বুঝাতে পারব না আমি এই দুইটা সূরা শিখে কি পরিমাণ আনন্দ পাইছি। [ আবু দাউদ হাদিস নং ১৪৬২]


হযরত জাবের (রাঃ) হতে বর্ণিত তিনি বলেন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম বলেছেন  হে জাবের তুমি পড় আমি বললাম আমার মাতা পিতা আপনার জন্য কোরবান হোক আমি কি পড়বো। তখন তিনি বললেন তুমি পড়ো “কুল আউযুবি রাব্বিল ফালাক” ও “কুল আউযু বিরাব্বিন নাস” ফলে আমি এই ২ টি সূরা  পড়লাম অতঃপর তিনি বললেন এই দুইটি সূরা পড়তে থাকবে, কারণ এই ২ টি সূরার মতো অন্য কোন সূরা এত সহজে পড়তে পারবে না। [সুনানে নাসাঈ ৮/২৫৪ ও সহি ইবনে হিববান, হাদিস নং-৭৯৬]

হযরত আয়েশা (রাঃ) বর্ণিত তিনি বলেন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম প্রতি রাতে যখন ঘুমাতে যেতেন তখন উভয় হাত এক সাথে মিলিয়ে সূরা  ইখলাস সূরা ফালাক ও সূরা নাস পড়তেন  তারপরে দেহের যতটুকু অংশে সম্ভব হতো হাত বুলিয়ে নিতেন। তিনি মাথা মুখমণ্ডল ও শরীরের সামনের অংশ থেকে শুরু করতেন। তিনি এরূপ তিনবার  করতেন। [-সহি বুখারি ৫০১৭, সুনানে আবু দাউদ : ৫০৫৮, জামে তিরমিজি, হাদিস নং-৩৪০২]

Source : shorturl.at/DMNUX

14
আল্লাহ,, তুমি আমাদের জাহান্নামের আগুন থেকে রক্ষা কর। সবাইকে সিরাতুল মুসতাকিম দান কর

15
শীতের রোগ থেকে সুরক্ষিত থাকবেন যেভাবে


শীতকালে রোগ বালাই বেড়ে যায়। ঠান্ডা আবহাওয়ায় শরীর জড়োশড়ো হয়ে থাকে। রক্ত চলাচলও বাধাগ্রস্ত হয়। 

nagad-300-250
এছাড়া শীতে সংক্রামক ব্যাধির প্রকোপও বাড়ে। এ ব্যাধির সঙ্গে সঙ্গে মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে পুরোনো কিছু শ্বাসযন্ত্রের রোগও।

শীতকালীন রোগ থেকে সুরক্ষা পাওয়ার উপায় নিয়ে বিস্তারিত জানিয়েছেন গ্রীনলাইফ মেডিকেল কলেজের মেডিসিন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. রাশেদুল হাসান কনক।


সাধারণ সর্দি-কাশি প্রায় সারা বছরই কম-বেশি হলেও এ সময় এর প্রকোপ একটু বেশিই থাকে। বিভিন্ন রকম ভাইরাস (প্রায় ২০০ রকম) দিয়ে এ রোগ হয়। আক্রান্ত রোগীদের নাক বন্ধ, নাক দিয়ে পানি পড়া, মাথাব্যথা, গলাব্যথা, শারীরিক দুর্বলতা, শরীর ব্যথা এবং হাঁচি-কাশি ও অল্প জ্বর থাকতে পারে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই কোনো ওষুধের সাহায্য ছাড়াই ২-৪ দিনের মধ্যে রোগী সুস্থ হয়ে যায়।

পর্যাপ্ত বিশ্রাম, পরিমিত পরিমাণে তরল খাবার, কুসুম গরম লবণ পানি দিয়ে গড়গড়া, মধু খাওয়া এবং ঠান্ডা পানি ও খাবার পরিহার করলে ভালো ফল পাওয়া যায়। তবে শিশু, বৃদ্ধ এবং বিভিন্ন জটিল রোগে আক্রান্ত রোগীদের জন্য ডাক্তারের পরামর্শের প্রয়োজন হতে পারে। প্রতিরোধের জন্য বারবার হাত ধোয়া, নাকে-মুখে হাত না দেওয়া, আক্রান্ত পরিবার সদস্যের নিত্য ব্যবহার্য জিনিসপত্র ব্যবহার না করা উচিত।

ফ্লু বা ইনফ্লুয়েঞ্জা

সাধারণ সর্দি-কাশির চেয়ে তীব্রতর উপসর্গ নিয়ে ইনফ্লুয়েঞ্জা হয়ে থাকে। সাধারণ সর্দি-কাশির অতিরিক্ত উপসর্গ হিসাবে বমি, পাতলা পায়খানা হতে পারে। ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস দিয়ে এ রোগ ছড়ায়। আক্রান্ত ব্যক্তির হাঁচি, কাশির মাধ্যমে নিঃসরিত লালার মাধ্যমে ছড়ায় বলে বদ্ধ জায়গায় এর সংক্রমণ বৃদ্ধি পায়। এ ভাইরাস বছরে বছরে তার ধরন বদলায় দেখে এর বিরুদ্ধে প্রচলিত টিকা প্রতি বছরই নিতে হয়। শিশু, বয়স্ক এবং বিভিন্ন জটিল রোগাক্রান্ত ব্যক্তির এ টিকা নেওয়া উচিত। সাধারণত ৭-১০ দিনের মধ্যে বেশিরভাগ উপসর্গের উপশম হলেও কাশি ভালো হতে অনেক সময় দুসপ্তাহের বেশিও লেগে যেতে পারে। উপসর্গের তীব্রতা বেশি হলে অথবা আগে থেকেই জটিল রোগ আছে এমন ব্যক্তি, শিশু এবং বৃদ্ধদের জন্য ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত। সাধারণ সর্দি-কাশির মতো সব চিকিৎসার সঙ্গে সঙ্গে এক্ষেত্রে অনেক সময় এন্টিভাইরাল ওষুধের প্রয়োজন হতে পারে।

ব্রংকাইটিস

সাধারণ সর্দি-কাশির মতো শুরু হয়। পরে শুকনো কাশির সঙ্গে প্রচুর পরিমাণ কফ তৈরি হয়। সঙ্গে শ্বাসকষ্ট, বুকের মধ্যে শোঁ শোঁ ও চিঁ চিঁ আওয়াজ, চোখ দিয়ে পানি পড়তে পারে। ধূমপায়ীদের এ রোগ বেশি হতে পারে। এ ছাড়াও যাদের অ্যালার্জি, সাইনোসাইটিস, টনসিল বা এডেনয়েডের সমস্যা থাকে তারাও আক্রান্ত হতে পারে।

দুই সপ্তাহের মধ্যে বেশিরভাগ সমস্যা সমাধান হয়ে গেলেও কাশি কয়েক মাস পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে। অনেক সময় এ রোগ নিউমোনিয়ার উপসর্গ হিসাবে প্রকাশ করে। ঘরোয়া পদ্ধতিতে চিকিৎসার পাশাপাশি চিকিৎসকের পরামর্শও নেওয়া উচিত।

নিউমোনিয়া

এক তৃতীয়াংশ নিউমোনিয়া ভাইরাস দিয়ে হলেও বেশিরভাগ নিউমোনিয়া ব্যাকটেরিয়া দিয়ে হয়ে থাকে। এ রোগ হলে ঠান্ডা ও কাঁপুনি দিয়ে তীব্র জ্বরের সঙ্গে কফযুক্ত কাশি, শ্বাসকষ্ট, বিভ্রান্তি, দ্রুত পালস, প্রেসার কমে যাওয়া, বুকে ব্যথা, মাথাব্যথা, শরীর ব্যথা হতে পারে।

অনেক সময় নিউমোনিয়াতে জীবন সংশয়ও হতে পারে। নিউমোনিয়া সন্দেহ করলে অতি সত্বর চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। চিকিৎসক নিউমোনিয়ার ধরন বুঝে বাসায় রেখে অথবা হাসপাতালে রেখে চিকিৎসা করবেন। এক্ষেত্রে কিছু পরীক্ষানিরীক্ষার প্রয়োজন হয়। নিউমোনিয়ার বিরুদ্ধে বেশ কিছু টিকা আছে, যা চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে রাখলে এর আক্রমণ থেকে কিছুটা নিস্তার পাওয়া যেতে পারে।

রাইনাইটিস ও সাইনোসাইটিস

এক্ষেত্রে নাক বন্ধ থাকা, অল্পবিস্তর শ্বাসকষ্ট, মাথাব্যথা থাকে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই কোনো এন্টিবায়োটিক লাগে না। কিছু অ্যালার্জির ওষুধ, ন্যাজাল স্প্রে এবং গরম পানির ভাপেই আরাম পাওয়া যায়।

কানের ইনফেকশন

কান ব্যথা, নাক বন্ধ, মাথা ঘোরানো, কান দিয়ে পুঁজ পড়া ইত্যাদি থাকতে পারে। এক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ না নিলে কানের পর্দা ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে শ্রবণযন্ত্রের স্থায়ী সমস্যা হয়ে যেতে পারে।

হাঁপানি বা অ্যাজমা

এটা যদিও সারা বছরেরই রোগ, তবে শীতকালে শুষ্ক আবহাওয়া এবং ঠান্ডা বাতাস ও বিভিন্ন অ্যালার্জির জন্য এ সময় বেশি আক্রান্ত হতে দেখা যায়। যাদের আগে থেকেই অ্যাজমা আছে, তাদের উচিত চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ইনহেলার ব্যবহার করা। মনে রাখতে হবে অ্যাজমায় ইনহেলার সবচেয়ে আধুনিক এবং শুরুর দিকের চিকিৎসা যার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নাই বললেই চলে। যাদের শুধু ইনহেলারে অ্যাজমা নিয়ন্ত্রণ হয় না, তাদের জন্য বিভিন্ন ধরনের মুখে খাবার ওষুধ ব্যবহার করা হয়। তবে চিকিৎসকের পরামর্শ এখানে অত্যাবশ্যক। সেই সঙ্গে পরিষ্কার পরিবেশ ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা প্রয়োজন।

বাত ও ব্যথা

শীতের সময় বিভিন্ন ধরনের বাত ও ব্যথার প্রকোপ বেড়ে যায়। তাই যাদের আগে থেকেই সমস্যা আছে, তারা নিয়ম মেনে ওষুধ সেবনের পাশাপাশি ব্যায়াম করবেন। ব্যথার ওষুধ চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া খাবেন না। চিকিৎসক আপনার ব্যথার প্রকৃতি, হার্ট, কিডনি, লিভার ও স্টোমাকের অবস্থা বুঝে ব্যথার ওষুধ দেবেন।

Source :shorturl.at/VZ035

Pages: [1] 2